Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
বিশেষ সংবাদ Archives - Page 56 of 74 - Daily Dakshinermashal

Category: বিশেষ সংবাদ

  • শখের কোয়েলে সফলতার মুখ দেখছেন কিশোর আসিফ

    শখের কোয়েলে সফলতার মুখ দেখছেন কিশোর আসিফ


    রাহাত রাজা :
    ছোটবেলা থেকেই কোয়েল পোষার শখ ছিল সাতক্ষীরার বাকাল সরদার পাড়া গ্রামের আসিফের ।
    বাবার মুখ দেখিনি আসিফ। পরিবারের অভাব ঘোচাতে মা ও কাজের সন্ধানে চলেগেছে সৈাদি আরব। বাড়িতে একা থাকেন আসিফ।
    খুব ছোট থাকতে কোয়েল খামার করার শখ ছিলো তার , ২০১৬ তে প্রথম কোয়েলের বাচ্চা কিনে খামার শুরু করেন। কিন্তু এ বিষয়ে কিছু না জানার ফলে শুরুতেই অধিক অংশ পাখি মারা যায়।
    ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে বড় বাজারের কোয়েল ডিম বিক্রেতার পরামর্শে আবারও ১ হাজার কোয়েল পাখির বাচ্চা কিনে আনেন। দেড়মাস পরে ৪০০ টির মত পুরুষ পাখি ভাল দামে বিক্রয় করেন। শীতের কারনে কিছু পাখি মারাগেলেও এখন ৫০০ কোয়েল পাখি রয়েছে তার খামারে। প্রতিদিন ডিম পাচ্ছে ৪০০ টির ও বেশি । সেখান থেকে প্রতি মাসে আয় হওয়াই উৎসাহ আরও বেড়েছে তার । এভাবে ব্যস্ততার মধ্যেই খুঁজে পাই একধরনের প্রশান্তি। আগামীতে বড় খামার করার স্বপ্নআছে বলে জানান । বর্তমানে ৭ম শ্রেনীতে পোড়ালেখা করছে আসিফ। বাড়িতে একাই থাকেন বাবা খোজ খবর না রাখলেও মা রাখছে বলে জানান তিনি।
    আরও বলেন, ‘আমাকে দেখে ইতিমধ্যে এলাকার অনেক এস এস সি পরিক্ষার্থী এখন আমার সাথে যোগাযোগ করছে খামার করার জন্য।
    সুলতান পুর বড় বাজারের ডিম ব্যবসায়ী মনির হোসেন বলেন, মুরগির চেয়ে কোয়েলের ডিমে লাভ বেশি। আসিফের কাছ থেকে প্রতিদিন ১টাকা ৭০ পয়সা দরে ৪০০ টির ও বেশি ডিম কিনে থাকি। এ ডিমের চাহিদাও বেশি। অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা এটি। এর মাংস, ডিম খুবই সুস্বাদু ও পুষ্টিকর। রোগীর পথ্য। ডিম ও মাংসে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কম থাকায় তা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
    সম্প্রতি ইউটিউবের জনপ্রিয় কৃষিভিত্তিক অনুষ্ঠান কৃষি ও কৃষকের গল্পে আসিফের কোয়েল খামার নিয়ে একটি প্রতিবেদ প্রকাশ পাওয়াতে প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকা থেকে তার খামারে লোকজন আসছে খামার দেখার জন্য,জানতে চান কোয়েল পোষার নিয়ম কানুন।

  • ভুল সংশোধন : আমাদের কৈফিয়াত

    আমি অত্যান্ত দু:খের সাথে জানাচ্ছি , রবিবার ২ জুন ২০১৯, আমার সম্পাদিত দৈনিক দক্ষিণের মশাল পত্রিকার প্রথম পাতায় প্রকাশিত একটি প্রতিবাদ সমাবেশের সংবাদে অসাবধানতাবশত সংবাদপত্রের নীতিমালার পরিপন্থী ও অসৎ  তথ্যসহ প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদের বক্ত্যবের সাথে আমরা একমত নই। এ অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য আমরা আমাদের পাঠক সমাজ ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিকট অনুতপ্ত। সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের চলমান আন্দোলনের সাথে আমরা একাত্ম। সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সাবেক সভাপতি এড. আবুল কালাম আজাদ, সিনিয়র সাংবাদিক কল্যাণ ব্যার্নাজি, সাবেক সাধরণ সম্পাদক আব্দুল বারী ও সাংবাদিক আব্দুল জলিল এর উপর বহিরাগতদের আক্রমনের বিরুদ্ধে দৈনিক দক্ষিণের মশাল প্রথম থেকেই স্বোচ্চার। আক্রমনকারীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার সংগ্রামের নেতৃত্বস্থানীয় ব্যক্তিত্ব।

    এ প্রসংগে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের লড়াইয়ের সাথে আমাদের সম্পৃক্ততা প্রথম থেকেই। সেজন্য কে কে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের কে বিপক্ষের সে তথ্য আমাদের কাছে অনেক বেশী সংরক্ষিত।

    সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ ৬৮-৬৯ গণ আন্দোলনের যশোর অঞ্চলের একজন প্রভাবশালী ছাত্রনেতা ছিলেন, মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।  শিক্ষক ও অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং স্থানীয় একটি পত্রিকার সম্পাদক। বর্তমান প্রেসক্লাবের সভাপতি।

    এড. আবুল কালাম আজাদ প্রগতিশীল ছাত্র আন্দোলনের নেতা ছিলেন। তিনি সাতক্ষীরার মৌলবাদবিরোধী মুক্তিযুদ্ধের চেতনার স্বপক্ষের লড়াইয়ের স্বপক্ষ সৈনিক। তিনি একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির শীর্ষ সংগঠক ছিলেন। ২০১৩সালে যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবিতে গড়ে উঠা গণজাগরণমঞ্চ এর সংগঠক, কমিটির সভাপতি ছিলেন। তাঁর বড়বোন পাকিস্থান আমল থেকে বাম রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন । ছাত্র ইউনিয়নের (মতিয়া গ্রুপ) সাতক্ষীরা মহকুমা নেত্রী ছিলেন।

    সাতক্ষীরা গণমানুষের আন্দোলনের স্বপক্ষে থাকার কারণে আবুল কালাম আজাদ স্বৈরশাসকের সময় পুলিশি নির্যাতন ও জেল খাটেন।

    এহেন দুজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে রাজনৈতিকভাবে প্রদত্ত বক্তব্য আমার পত্রিকায় সংবাদ হিসেবে প্রকাশিত হওয়ায় আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।

    এনিয়ে ভুলবোঝাবুঝির কোন অবকাশ নেই। সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের চলমান আন্দোলন সঠিক। তবে প্রেসক্লাব কোন রাজনৈতিক শক্তির বিপক্ষে নয়।


    দৈনিক দক্ষিণের মশাল

  • ২৬ মে প্রেসক্লাবের ইফতার মাহফিল সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের নির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত





    সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের নির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার
    সকাল সাড়ে ১০ টায় প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদের সভাপতিত্বে এ
    সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সর্বসম্মতিতে আগামী ২৬ মে ২০ রমজান ইফতার মাহফিলের
    দিন ধার্য করা হয়েছে। সভায় আরও সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়ে যে- সাম্প্রতি
    প্রেসক্লাবে অগঠনতান্তিকভাবে কিছু বহিরাগত বিশৃংখলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে
    তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ, কিছু সহযোগী ও ব্যবহারকারী
    সদস্যদের বিরুদ্ধে গঠনতন্ত্র বিরোধী কর্মকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে
    বহিস্কার করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। একই সাথে প্রেসক্লাবে অবৈধ
    অনুপ্রবেশ ঠেকাতে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
    সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, সাধারণ সম্পাদক
    মমতাজ আহমেদ বাপী, যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুস সামাদ, অর্থ সম্পাদক
    মোশাররফ হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল, নির্বাহী সদস্য সেলিম রেজা
    মুকুল, গোলাম সরোয়ার, ইয়ারব হোসেন,ও কৃষ্ণ মোহন ব্যানার্জী।

  • তালার বহুলালোচিত নমিতার লাশের ৫ দিন পর ময়না তদন্ত শেষে সৎকার সম্পন্ন


    নিজস্ব প্রতিনিধি ॥
    অবশেষে মৃত্যুর ৫ দিন পর নমিতার লাশের ময়না তদন্ত শেষে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্থানীয় বলুয়া নদীর রাজাপুর শ্মশানে সৎকার সম্পন্ন হয়েছে। প্রায় ৩ বছর আগে ইউপি নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শুক্রবার(১০ মে) সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়। তবে মামলাসহ নানা আইনী জটিলতায় তার লাশের সৎকার কিংবা ময়না তদন্তে সায় ছিলনা স্থানীয় প্রশাসনের। বাধ্য হয়ে গত ৫ দিন যাবৎ তার লাশ পড়ে ছিল বাড়িতেই।
    এমন পরিস্থিতিতে মৃত্যুর ৪ দিন পর সোমবার (১৩ মে) নমিতার ভাসুর ও সহিংসতার ঘটনায় দায়ের করা মামলার বাদী প্রভাষক আদিত্য ব্যানর্জি সাতক্ষীরা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নমিতার মৃত্যু ও তার সৎকারের আবেদন করলে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক বিলাস মন্ডল তার জবানবন্দী ও নালিশী দরখাস্ত পর্যালোচনা করে ঘটনার সত্য-মিথ্যা নির্ধারণ পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহনপূর্বক প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদিসহ আগামী ১১ জুলাই প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সাতক্ষীরা জেলা গোয়েন্দা শাখা (সিআইডি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।
    এরপর সিআইডি’র তত্ত্বাবধানে মঙ্গলবার লাশের সুরোতহাল রিপোর্ট শেষে ময়না তদন্তের পর বিকেলে তার লাশ নেয়া হয় সরাসরি বলুয়া নদীর রাজাপুর মহা শ্মশানে। সেখানে নমিতার ৩ সন্তানসহ স্বজনদের উপস্থিতিতে সন্ধ্যা ৭ টার দিকে তার সৎকার সম্পন্ন হয়।
    প্রসঙ্গত,সাতক্ষীরার তালায় ইউপি নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার জের ধরে প্রায় তিন বছর আগে শ্লীলতাহানি ও মারপিটে গুরুতর আহত তালা উপজেলার মেশারডাঙ্গা এলাকার কার্ত্তিক ব্যাণার্জীর স্ত্রী নমিতা ব্যানার্জীর চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সন্ধ্যায় মৃত্যু হয়। তবে মামলাসহ নানা জটিলতায় তার মৃত দেহটির সৎকার হয়নি। লাশ পড়ে ছিল গ্রামের বাড়িতেই। বিষয়টি নিয়ে জেলা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
    অভিযোগ ও মামলার বিবরণে জানাযায়, ২০১৬ সালের অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে এক নম্বর মেশারডাঙ্গা ওয়ার্ড থেকে নির্বাচিত কুলপোতার মৃত করুণাময় সানার ছেলে নিমাই পদ সানা নির্বাচনে তার সমর্থন না করায় ২৩ মার্চ দুপুর ১২ টার দিকে স্ব-দলবলে হানা দেয় মেশারডাঙ্গার মৃত প্রফুল্ল ব্যাণার্জীর ছেলে আদিত্য ব্যানার্জির বাড়িতে। তবে ঘটনার সময় আদিত্য বাড়িতে না থাকায় তার ভাইয়ের স্ত্রী নমিতা ব্যাণার্জী (৪০) কে শাবল দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। পরণের শাড়ি ছিড়ে শ্লীলতাহানি ঘটায়।
    পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে তালা হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে নমিতা ব্যানার্জির অবস্থার অবনতি হলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। ঘটনায় পরের দিন ২৪ মার্চ কার্ত্তিকের ভাই আদিত্য ব্যাণার্জী বাদী হয়ে নিমাই পদ সানাকে প্রধান করে ২০ জনের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাত আরো ১৫/২০ জনের নামে তালা থানায় একটি মামলা করেন। মামলা নং ১২। তাং-২৪/৩/২০১৬। জি আর ২৯/১৬,পওে মামলাটি বিচারের জন্য চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করা হয়। যার টি.আর মামলা নং ৩০৮/১৮।
    এদিকে মাথায় গুরুতর যখম নমিতাকে নিয়ে তার পরিবার দেশ ও দেশের বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার পর ক্রমাবনতির একপর্যায়ে বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সন্ধ্যায় মৃত্যু হয় তার। তবে মামলাসহ নানা জটিলতায় গত ৪ দিনেও সৎকার কিংবা ময়না তদন্ত হয়নি নমিতার।
    এব্যাপারে সাতক্ষীরা জেলা গোয়েন্দা শাখা (সিআইডি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দীন বলেন,আদালতের নির্দেশে মামলাটির তদন্তভারের কাগজপত্র পেয়েছেন তারা এবং ইতোমধ্যে তদন্ত কাজ শুরু করেছেন।

  • রওনকের পিতার মৃত্যুতে নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের শোক


    প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
    নাগরিক আন্দোলন মঞ্চ, সাতক্ষীরা’র যুগ্ম সম্পাদক রওনক বাসারের পিতা আব্দুস সাত্তার গত সোমবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে সাতক্ষীরা শহরের নিজ বাড়িতে বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন (ইন্নালিল্লাহে……রাজেউন)। তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন নাগরিক আন্দোলন মঞ্চ, সাতক্ষীরা’র সভাপতি অ্যাড. ফাহিমুল হক কিসলু ও সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান মাসুমসহ কার্যনির্বাহী কমিটির নেতৃবৃন্দ।

  • কলারোয়ার জয়নগরে সংখ্যালঘুর জমি দখলের চেষ্টায় মরিয়া জামায়াত কর্মী মশিয়ার

    নিজস্ব প্রতিবেদক : এক সময়কার জামায়াতের সক্রিয় কর্মী নব্য আওয়ামী লীগার সেজে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার খোর্দ্দ-বাটরা গ্রামের মশিয়ার রহমান ও তার পরিবারের সদস্যরা জয়নগর গ্রামের স্বপন বসুর জমি জবরদখলের পায়তারা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
    জয়নগর গ্রামের নিরাপদ বসুর ছেলে স্বপন কুমার বসু জানান, জয়নগর মৌজার ৯৪০ খতিয়ানের এসএ ৮০,৮১সহ ১০টি দাগে ৩.৪৭ একর অর্পিত সসম্পত্তির মধ্যে তার পৈতৃক জমি ২.৬৫ একর জমি। অবমুক্তির মামলা করে তারা বাবা মারা যাওয়ার পর তিনি দেওয়ানী রিভিশন ৩৭/২০০৩ মামলায় ২০১১ সালের ১৫ মার্চ জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালত থেকে রায় ডিক্রী পান। পৈতৃক ২.৬৫ একরের মধ্যে এসএ খতিয়ান ৯৪০ ও ৯৪০/১ এর ৮০ দাগে ১.২৬ ও ৮১ দাগের ২৮ শতক ব্যতীত বাকী ৮৪ শতক জমি ভিপি ঘোষণা করা হয়। এ ছাড়া কাকা নীল রতন বসু নিঃসন্তান হওয়ায় অংশীদার হিসেবে তিনি ১/১ খতিয়ানভুক্ত ‘ক’ তপশীলের ২.২৩ একর জমি অবমুক্তির জন্য অর্পিত সম্পত্তি ট্রাইব্যুনালে (৪৮৩/২০১২ ) মামলা করেন।
    স্বপন কুমার বসু জানান, নিজেদের দখলে থাকা জমি ২০১১ সালে আদালতের রায় ডিক্রী পাওয়ার পরও সংশ্লিষ্ট জয়নগর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম আর্থিক সুবিধা নিয়ে খোর্দ্দ-বাটরা গ্রামের শেখ আবুল কাশেমের ছেলে মশিয়ার রহমান ও মফিজুল ইসলামসহ কয়েকজনের নামে ২.৩৬ একর জমি একসনা ডিসিআর দেন। জানতে পেরে তিনিও গত বছরের ২৫ জুলাই উপজেলা সহকারি ভূমি কশিশনারের কাছে ডিসিআরের আবেদন করেন। জয়নগর ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা শেখ মুনজির আহম্মেদ ওই জমি কোনদিনও মশিউর রহমানদের দখলে ছিল না ও স্বপন বসুদের পৈতৃক বিধায় নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে এফিডেফিডের মাধ্যমে তাকে একসনা ডিসিআর দিলে কোন ঝামেলা থাকবে না বলে সহকারি ভূমি কমিশনারের কাছে প্রতিবেদন দেন।
    এদিকে স্বপন বসুদের ডিক্রীপ্রাপ্ত জমি দূর্ণীতির মাধ্যমে দখল দেখিয়ে ডিসিআর নিলেও দখল পেতে মশিয়ার জেলা প্রশাসকের গণশুনানী অনুষ্ঠানে আবেদন করেন। বাংলা ১৪২৫ সালের ৩১ চৈত্র ডিসিআরের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় মশিয়ার রহমান ও তার শরিকগন আবারো ডিসিআরের আবেদন করে জমি জবরদখলে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন। কিরণ শঙ্কর বসুর সাক্ষর জালিয়াতি করে ১৯৯২ সালের ২৪ মার্চ ১১৬৮/৯২নং দলিল সৃষ্টির অভিযোগে কলারোয়া থানায় তার (স্বপন) দায়েরকৃত জিআর-৯৬/৯৩নং মামলায় ১৯৯৭ সালের ২৯ এপ্রিল মশিয়ার রহমানসহ তিনজনের আট বছর জেল হয়। ক্রিমিনাল আপিল ৩৭/৯৭ মামলায় ওই দলিলমূলে তারা জমি দাবি করেন না এবং এই দলিল সম্পর্কে কিছু জানে না উল্লেখ করে জজ কোর্ট থেকে মশিয়ার জামিন পান। আপিল মামলাটি অতিরিক্ত জেলা জজ প্রথম আদালতে চলমান রয়েছে। যদিও কলারোয়া সহকারি জজ আদালতে তার (স্বপন) দায়েরকৃত দেওয়ানী স্বত্বপ্রচারের মামলায় (৩১৫/১১) ওই জাল দলিল মূলে জমি দাবি করে চলতি বছরের ২০ ফেব্র“য়ারি পক্ষভুক্ত হয়েছেন। কিন্তু বাদী পক্ষে আইনজীবী আদালতকে জানান ওই দলিলটি জাল। তারপরও পক্ষভূক্ত হয়েছে।
    ২০০১ সালে চার দলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর জামায়াতের সক্রিয় কর্মী মশিয়ার ও তার ভাইয়েরা তার (স্বপন) মা বাসন্তী বসু ও বোন সুনু রানী দে কে পিটিয়ে জখম করে জমি দখলের চেষ্টা চালায়। বর্তমানে আবারো জমি জবরদলের চেষ্টা চালালে বিগত ২০১২ সালের তদন্ত প্রতিবেদনে মশিয়ারগং জামায়াত বিএনপি সমর্থিত সন্ত্রাসী বলে উল্লেখ করা হয়। মশিয়ার ও তার পক্ষের লোকজন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের ম্যানেজ করে নব্য আওয়ামী লীগার সেজে তাদের জমি আবারো জবরদখলের চেষ্টা চালাচ্ছেন। এঘটনায় তিনি ৫ এপ্রিল ১৯ তারিখে থানায় একটি অভিযোগ করেন।
    স্বপন কুমার বসু আরো জানান, ওই সম্পত্তি নিয়ে তারা চরম উদ্বিগ্নতার মধ্যে দিনাতিপাত করছেন। যে কোন সময় ওই চিহ্নিত জামায়াত-বিএনপির সন্ত্রাসী মশিয়ার গং তাদের সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল করতে পারে এবং বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করে এদেশ থেকে তাড়িয়ে দিতে পারে। এবিষয়ে ভুক্তভোগী সংখ্যালঘু পরিবারটি তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি রক্ষা এবং ওই মশিয়ারের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার, এমপিসহ সংশ্লিষ্ট আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

  • শ্যামনগর সংবাদ

    শ্যামনগরে মোবাইল কোট পরিচালনায়
    বংশীপুর বাজারে দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
    শ্যামনগর ব্যুরো ঃ রবিবার শ্যামনগর উপজেলার বংশীপুর বাজারে মোবাইল কোর্ট পরচিালনা করা হয়। মোবাইল র্কোট পরিচালনাকালীন দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ৭ হাজার টাকা জরিমানা ও ১০ হাজার টাকার আটককৃত মেয়াদোত্তীর্ন পণ্য ধ্বংস করা হয়। মোবাইল র্কোট পরিচালনা করনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার ভূমি সুজন সরকার। এ সময় উপস্থতি ছিলনে উপজেলা স্যানটিারী ইন্সপেক্টর বিকাশ চন্দ্র সরকার, শ্যামনগর থানা পুলিশ প্রমুখ। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯-এর আওতায় বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে মুদি দোকানদার মোহাম্মদ গাজীকে ৫ হাজার ও আনিসুর রহমানকে ২ হাজার টাকা দুই প্রতিষ্ঠানকে মোট ৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় ও দোকানদারকে সর্তক করা হয়।

    শ্যামনগরে প্রতিপক্ষের লাঠি, রড ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে
    ৪ ব্যক্তি গুরুতর আহত
    শ্যামনগর প্রতিনিধি ঃ শ্যামনগরে জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষরা পরিকল্পিতভাবে দা, লাঠি ও লোহার রডের আঘাতে ৪ ব্যক্তিকে গুরুতর আহত করে। আহতরা শ্যামনগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এঘটনায় শ্যামনগর থানায় মামলা হয়েছে। মামলা নং- ১২/১৯। মামলার নথি সূত্রে জানা যায় মামলার বাদী শ্যামনগর উপজেলার সেন্ট্রাল-কালিনগর গ্রামের মৃত কালিপদ সরদারের পুত্র ত্রিদীপ কুমার সরদার মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছেন- জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে প্রতিপক্ষরা শত্রুতা পোষন করে আসছে। এক পর্যায়ে ১১ মে দুপুর ১ টার পরে ত্রিদীপের ভাই লিটন সরদার নিজ ব্যবসা ক্ষেত্র ফুলতলা ট্রেডার্স নামক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বাড়ি ফেরার পথে প্রতিপক্ষ একই গ্রামের মৃত হাকিম গাজীর পুত্র মোজাম গাজী, মোজাম গাজীর স্ত্রী ফাতেমা বেগম, পুত্র নয়ন, কন্যা মমতাজ খাতুন ও হরিণগর-সিংহড়তলী গ্রামের সুরাত শেখের পুত্র আলমগীর দলবদ্ধ হয়ে লিটনের উপর হামলা করে। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে দা, লাঠি ও লোহার রড দিয়ে লিটনকে বেপরোয়া মারপিঠ করে তার কাছে থাকা দোকানের ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা ছিনতাই করে নেয়। এসময় লিটনের চিৎকারে ত্রিদীপ ছুটে যেয়ে তাকে মারপিঠ করার কারন জানতে চাইলে তাকেও মারপিঠ করে। এসময় তার কাকা প্রশান্ত, প্রশান্তের পুত্র মদন মোহন ও গৌতম ঠেকাতে গেলে তাদেরকেও মারপিঠ করে আহত করে। তাদের চিৎকারে মামলার সাক্ষীরা সহ আরও লোকজন এসে পড়লে হামলাকারীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এঘটনায় ত্রিদীপ কুমার সরদার বাদী হয়ে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। মামলা নং-১২, তাং- ১১/০৫/২০১৯।

  • সাতক্ষীরার সীমান্তে বিএসএফএর নির্যাতনে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত


    প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার কুশখালী সীমান্তের বিপরীতে ভারতের দুদলিতে বিএসএফ এর নির্যাতনে একজন বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন বলে তার পরিবারের দাবী। শুক্রবার মধ্যরাতে নির্যাতনের পর তাকে সাতক্ষীরার কুশখালি সীমান্তের ছয়ঘরিয়া এলাকায় রেখে যাওয়া হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করেন। তবে বিজিবি বলছেন, এ ঘটনার জন্য বিএসএফ দায়ী নয়।
    নিহত যুবকের নাম কবিরুল ইসলাম (৩২)। তিনি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ছয়ঘরিয়া গ্রামের আজিজ মোল্লার ছেলে।
    নিহত কবিরুলের মামা ফারুক হোসেন জানান, তার ভাগ্না বাড়ির কাউকে কিছু না বলে শুক্রবার রাতে কুশখালি সীমান্তের বিপরীতে ভারতের দুদলি এলাকায় যায়। সেখান থেকে ভারতীয় চা পাতাসহ অন্যান্য চোরাচালান সামগ্রী নিয়ে আসার সময় বিএসএফএর নজরে পড়ে। বিএসএফ তাকে মারপিট করে। পরে তার গালে পেট্রল ঢেলে দেয়। এ ঘটনায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বাংলাদেশ সীমান্তে রেখে যাওয়া হয়। পরে তাকে বাড়িতে নেওয়া হয়। রাত ১২ টার দিকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
    কুশখালি ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শ্যামল জানান, কবিরুল চা পাতা আনতে ভারতে গিয়েছিল। বিএসএফ তাকে নির্মমভাবে পিটিয়ে আহত করে পরে মুখে পেট্রল ঢেলে দেয়।
    সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, তার দেহে নির্যাতনের চিহ্ণ পাওয়া গেছে। মুখে পেট্রল ঢেলে দেওয়ার বিষয়টি মেডিকেল রিপোর্ট ছাড়া নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। তিনি জানান, কবিরুলের লাশের ময়না তদন্ত করা হবে।
    এদিকে জানতে চাইলে বিজিবির কুশখালি বিওপির নায়েক সুবেদার আরিফ বলেন, এমন কোনো ঘাটনা সম্পর্কে আমার জানা নেই।
    অপরদিকে, বিজিবির ৩৩ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্ণেল গোলাম মহিউদ্দিন খন্দকার জানান, ঘটনাটি আমিও শুনেছি। হাসপাতালে লোক পাঠিয়েছি। তবে বিএসএফ যে তাকে মেরে ফেলেছে এমন কোন তথ্য আমরা এখনও পায়নি। বিএসএফ কোন বাংলাদেশী ধরে নাই বলে আমাদেরকে জানিয়েছে। তবে, বিষয়টি নিশ্চিত হতে পারলে আপনাদেরকে জানানো হবে।

  • শ্যামনগর ১৪ সহস্রাধিক মানুষ

    বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবেলায় শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার পক্ষ থেকে ১২টি ইউনিয়নে ২৮৩টি আশ্রয় কেন্দ্রে ১৪ সহস্রাধিক মানুষকে ৩ মে সকাল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সুন্দরবন উপকূলীয় এলাকার জনগণকে অঞ্চলের মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং অব্যাহত রয়েছে। বিশেষ করে বৃদ্ধ, গর্ভবতী মহিলা, শিশু ও প্রতিবন্ধীদের আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়ার জন্য প্রাণান্তর চেষ্টা করা হচ্ছে। শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সুজন সরকার জানান, ১২টি ইউনিয়নে ১৫৫টি সাইক্লোন শেল্টার সহ স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা মোট ২৮৩টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এ পর্যন্ত ১৪ সহস্রাধিক মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। ১২টি ইউনিয়নে ১২টি মেডিকেল টিম এবং উপজেলায় কর্মরত সকল স্বেচ্ছা সেবী সংগঠন দুর্যোগ মোকাবেলায় সকল ধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রেখেছে। ১২টি ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে প্রশাসনের সহযোগিতায় উপূকুলীয় এলাকার জনগণকে নিরাপদ আশ্রয় নেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট স্থানে জলযান ও মিনি ট্রাক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সরকারী ভাবে সকল আশ্রয় কেন্দ্র ১০টন চাউল, ৪০মন চিড়া, ২০মন মুড়ি, ১০মন চিনি ও রান্নার আনুষঙ্গিক জিনিষপত্র সহ নগদ ২লক্ষ টাকা সরবরাহ করা হয়েছে। উপজেলায় কন্ট্রোল বুথ খোলা হয়েছে মোবাইল নং- ০১৭০০-৭১৭০২৪ যার মাধ্যমে সার্বক্ষণিক পরিস্থিতির নজরদারী রাখার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

  • পানির জন্য তাদের পাড়ি দিতে হয় ২ কিলোমিটার পথ

    পানির জন্য তাদের পাড়ি দিতে হয় ২ কিলোমিটার পথ


    মো. মুশফকিুর রহমান (রজিভ): কপোতাক্ষ নদী এবং নদী তীরের ২০ লাখ মানুষের কথা ভেবে ৩৪টি পরিবার ছেড়ে দিয়েছেন নিজেদের বসতবাড়ি। নদী তীরের সবাই সুখে-শান্তিতে খাকবে এ চিন্তা চেতনা থেকেই মহৎ এ মানুষগুলি নিজেদের বাপ-দাদার ভিটা ছেড়ে দিয়েছেন টিআরএম প্রযুক্তি বাস্তবায়নের জন্য। কিন্তু তাদের খবর রাখেন না কেউ। এ ৩৪টি পরিবার এখন এক খ- খাস জমিতে (নদী ভরাট হওয়া জায়গায়) কোন প্রকার বন্দোবস্ত ছড়াই মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

    সাতক্ষীরার তালা উপজেলার কপতাক্ষ নদী পাড়ের বালিয়া গ্রামে ছিলো এ পরিবারগুলির বসবাস। টিআরএম প্রযুক্তি বাস্তবায়নে খনন করা সংযোগ খালে চলে গেছে তাদের ভিটামাটি। এখন তারা পাশের গ্রাম জালালপুরের একটি সরকারি জমিতে বসবাস করেন। সে জমিতেও তাদের কোনপ্রকার বন্দবস্ত দেওয়া হয়নি। ৩৪ পরিবারের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা এ স্থানটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আজিজ সুশিল পল্লী’। তালা-কলারোয়ার সাংসদ অ্যাড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ এবং বেসরকারি সংস্থা ‘উত্তরণ’ এখানে প্রতিটি পরিবারের জন্য একটি করে ছোট ঘর নির্মাণ করে দিয়েছেন। সে ঘরে ৩ থেকে ৭ সদস্য বিশিষ্ঠ পরিবারগুলো অতি কষ্টে বসবাস করেন।

    ‘শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আজিজ সুশিল পল্লী’তে এ একটি মাত্র ঘর ছাড়া এ পরিবারগুলির আর কিছু নেই। এখানে না আছে বিদ্যুৎ, না আছে স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থা, না আছে সুপেয় পানির ব্যবস্থা। সুপেয় পানির জন্য তো এখানকার বাসিন্দাদের পাড়ি দিতে হয় দুই কিলোমিটার পথ। সেখানে নতুন বাজার নামক স্থান থেকে তারা প্রতি লিটার ১ টাকা দরে পানি কিনে আনেন।

    ‘শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আজিজ সুশিল পল্লী’র গৃহবধু আসমা বেগম, ময়না বেগম, সেলিনা বেগমসহ কয়েকজন বলেন, এখানে খুব কষ্ট করে বসবাস করছি। আমাদের এখানে ন্যূনতম নাগরিক সুবিধা নেই। বিদুৎ নেই, স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট নেই, পানি নেই। গোসল করতে আমরা আধা কিলোমিটার দূরে অন্যের পুকুরে যায়। যাদের পুকুরে গোসল করতে যায় তারা আমাদের আড় চোখে দেখে, রাগ করে।
    গৃহবধু আসমা বেগম আরো বলেন, আমাদের এখানে খাওয়ার পানির হাহাকার। দুই কিলো

  • সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ নিরাপত্তাহীনতায় কালিগঞ্জের কলেজ ছাত্র শেখ হেলাল


    নিজস্ব প্রতিনিধি :
    কালিগঞ্জের রতনপুর ইউনিয়নের মহেশকুড় গ্রামের কলেজ ছাত্র শেখ হেলাল নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছেন। তাকে পুকুরে পুতে ফেলার হুমকি দিয়েছে প্রতিপক্ষ। এমনকি বংশে বাতি দেওয়ার মতো কাউকেই রাখবে না বলে হুমকি দিয়েছে তারা।
    শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা বলেন শেখ হেলাল। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন তাদের সাথে প্রতিবেশি শেখ মুজিবর রহমানের পরিবারের জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এই জমি নিয়ে আদালতে মামলায় শেখ হেলাল পরিবার ডিক্রি লাভ করে। সে অনুযায়ী তারা ওই জমিতে ভোগ দখলে রয়েছেন। হাল ডিপি ২৫৪ নম্বর খতিয়ানের ২৬০,২৬২,৪০৫ চূড়ান্তভাবে তার পরিবারের নামে রেকর্ড হয়। কোবালা দলিল বুনিয়াদে এসএ ২১ নম্বর রেকর্ডে অংশ কালিগঞ্জ সহকারির জজ আদালতে রেকর্ড সংশোধনের মামলা করে শেখ হেলাল পরিবার দুই তরফা ডিক্রি পায়। বিবাদী পক্ষ আপিল করলেও তারা ডিক্রি লাভ করেন। বর্তমানে সেটলমেন্ট জরিপে ডিএস এবং আর এস রেকর্ডও লাভ করেন শেখ হেলালের পরিবার।
    লিখিত বক্তব্যে শেখ হেলাল বলেন গত ১৯ এপ্রিল ওই জমির পুকুর থেকে ধান ক্ষেতে পানি সেচ দেওয়ার সময় বাধা দেয় একই গ্রামের আশরাফ আলি, শোকর আলি, শেখ বাবুল, শেখ হাসেম আলি ও লাইলি বেগম। তারা তাদেরকে গালিগালাজ করে। তাদের শ্যালো মেশিন বন্ধ করে দেয়। তারা পুকুরে নামতে নিষেধ করে। তিনি জানান শেখ হেলালের দাদা শেখ আবু তাহের এ ব্যাপারে কালিগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দেন। পুলিশ দুইপক্ষকে ডাকলেও প্রতিপক্ষ তাদের সমর্থনে কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি।
    শেখ হেলাল অভিযোগ করে বলেন গত ২৫ এপ্রিল সকালে প্রতিপক্ষের লোকজন তার নিজের মুদি দোকানে এসে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে গেছে। এই পুকুরে এলে তাদের পুতে ফেলা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে। এমনকি মিথ্যা মামলায় তাদের ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে। তারা শেখ হেলালের গলার কলার ধরে দোকান থেকে টেনে বের করে এনে মারধর করে। এ বিষয়ে কালিগঞ্জ থানায় আরও একটি সাধারন ডায়েরি করা হয়েছে।
    শেখ হেলাল এর প্রতিকার দাবি করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আহবান জানান। তিনি বলেন আমি এর পর থেকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি

  • কলারোয়ায় স্কুল ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়ের।। আসামী পলাতক


    নিজস্ব প্রতিনিধিঃ কলারোয়া থানায় এক স্কুল ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। শনিবার বিকালে এ মামলাটি কলারোয়ায় থানায় রেকর্ড ভুক্ত হয়। কলারোয়া থানার অফিসার ইনসচার্জ মনিরুজ্জামান জানান-উপজেলার জালালাবাদ গ্রামের বাবুল সরদারের মেয়ে বাদী হয়ে কলারোয়া থানায় এ সংক্রান্তে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়-উপজেলার জালালাবাদ গ্রামের মফিজুল ইসলামের ছেলে সাদ্দাম হোসেন (২৪) গত ১৩ এপ্রিল বিকাল ৫টার দিকে প্রতিবেশী অষ্টম শ্রেণিতে পুড়–য়া কন্যাকে পাশ্ববর্তী শহিদুল ইসলামের ছেলে রুহুল কুদ্দুসের বাড়ীর বারান্দায় ফেলে ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। যা ২৫ এপ্রিল ওই স্কুল ছাত্রী তার মাকে জানায়। এনিয়ে ওই এলাকায় মেয়ের মা ও মেয়ে গ্রাম্য শালিশের দারস্থ হয়। সেখানে কোন সুরহা না হওয়ায় শনিবার বিকালে কলারোয়া থানায় সাদ্দাম হোসেনকে আসামী করে ২০০০সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১)ধারায় একটি মামলা নং-২২(৪)১৯ দায়ের হয়। এদিকে মামলার ভিকটিম মামলায় উল্লেখ্য করেন যে-আসামী সাদ্দাম হোসেন তার প্রতিবেশী হওয়াতে পরিচয় হয়। ঘনঘন তাদের বাড়ীর আশেপাশে ঘোরা ফেরা করার এক পর্যায়ে তার সাথে ভালবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর পর দুই একদিন তার সহিত কথা বার্তা ও দেখা হয়। ১৩ এপ্রিল বিকালে ভিকটিম পাশ্ববর্তী প্রতিবেশির বাড়ীতে টিভি দেখাকালীন আসামী সাদ্দাম হোসেন ইশারায় ডাকদিলে সেথানে যায়। তখন আসামী সাদ্দাম ভিকটিমকে মিষ্টি মিষ্টি ভালবাসার কথা বলিয়া সুকৌশলে ফুসলাইয়া পাশ্ববর্তী রুহুল কুদ্দুসের বাড়ির বারান্দার কর্ণারে ঘেরা জায়গায় নিয়ে যায়। তখন ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়। ওই বাড়ীতে কেহ না থাকার সুযোগে এবং রুহুল কুদ্দুসের স্ত্রী রান্না ঘরে থাকায় ঝড়ের বাতাস ও বৃষ্টির মধ্যে ভিকটিমকে মুখ চাপিয়া জাপটাইয়া ধরিয়া জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে নীরবে লোক লজ্বার ভয়ে এবং মান-সম্মানের কথা চিন্তা করে কাউকে কিছু না বলিয়া রুহুল কুদ্দুসের বাড়ী হতে চয়ে যাই। এর মধ্যে ভিকটিম আসামী সাদ্দামের সহিত এ বিষয় নিয়ে কথাবার্তা বলিতে থাকে। তখনও কাউকে বিষয়টি নিয়ে ভিকটিম বলে নাই। পরবর্তীতে ২৫ এপ্রিল ভিকটিম তার মাতা রাবেয়া খাতুনকে বিষয়টি খুলে বলে। তার পরে ভিকটিমের পিতা ও মাতা বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে শালিশের দারস্থ হয়। আসামী সাদ্দাম হোসেন শালিশে হাজির না হওয়ায় কলারোয়া থানায় এ মামলাটি দায়ের করা হয়। এবিষয়ে কলারোয়া থানার অফিসার ইনসচার্জ মনিরুজ্জামান বলেন-ভিকটিম পুলিশ হেফাজাতে রয়েছে। আদালতে জবানবন্দি গ্রহন শেষে অনুমতি নিয়ে মেডিকেল করা হবে।

  • ২৪ এপ্রিল হতে শুরু হচ্ছে মুন্সিগজ্ঞ-খুলনা গেটলক সার্ভিস

    অবশেষে ২৪ এপ্রিল হতে শুরু হচ্ছে মুন্সিগজ্ঞ-খুলনা গেটলক সার্ভিস। কম সময়ের মধ্যে পৌচ্ছে দেওয়ার জন্য এ পরিবহনটি বেশ জনপ্রিয় ছিল। কিন্তু সাতক্ষীরা জেলা ও কালিগজ্ঞ উপজেলা বাস মালিক সমিতির মধ্যকার দ্বন্দে মুলত তিন বছর পূর্বে এ চলাচল ব্যবস্থাটি বন্ধ হয়ে যায়।
    শ্যামনগর উপজেলার সাথে জেলা সদর সাতক্ষীরা ও খুলনাতে যাওয়ার একটি মাত্র সড়ক পথ। সড়ক পথে যোগাযোগ ছাড়া আর কোন দ্রুত পরিবহন ব্যবস্থা নেই। আর পরিবহন ব্যবস্থা পরিচালিত হয়ে থাকে তিনটি মালিক সমিতির গাড়ী। কালিগজ্ঞ মালিক সমিতি, সাতক্ষীরা মালিক সমিতি ও খুলনা মালিক সমিতির গাড়ী খুলনা- মুন্সিগজ্ঞ ভায়া সাতক্ষীরা চলাচল করে থাকে। এছাড়া যশোর মালিক সমিতির গাড়ীও এ পথে চলাচল করে থাকে। দুরপাল্লার পরিবহন শ্যামনগর থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চলাচল করে থাকলেও স্থানীয় বাস মালিকদের চাপে স্থানীয় যাত্রীদের উক্ত পরিবহনে বহন করতে পারে না। অনেক ক্ষেত্রে দূরপাল্লার পরিবহন খেকে অনেক সময় যাত্রীদের নামিয়ে নেওয়া হয়। অন্যদিকে মুন্সিগজ্ঞ- কালিগজ্ঞ এবং কালিগজ্ঞ -সাতক্ষীরা এবং সাতক্ষীরা -খুলনা এ ভাবে যাতায়াত করতে প্রায় একটা দিন চলে যায়।
    শ্যামনগরে অবস্থান করে সাতক্ষীরা অফিস করা অথবা সাতক্ষীরা অবস্থান করে শ্যামনগরে অফিস করা প্রায় অসম্ভব হয়ে গিয়েছিল। এছ্ড়াা প্রতিদিন জেলা সদরে কোট কাছারীসহ দৈনন্দিন কাজে জেলা সদর সাতক্ষীরাতে আসা ছিল দুর্ভোগময় করুণ অভিজ্ঞতা। তাই শ্যামনগর উপজেলাবাসীর দাবী ছিল নিদেন পক্ষে গেটলক ব্যবস্থাটি আবার চালু হোক।
    স্থানীয় জনদূর্ভোগের এ অবস্থার অবস্থান ঘটানোর উদ্যোগ সাতক্ষীরা ৪ এর সংসদ সদস্য এস এম জগলুল হায়দারের পক্ষ হতে নেওয়া হয়। সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংসদ সদস্যদের সংবর্ধনা সভায় তিনি বিষয়টি উপস্থাপন করেন। এর ধারাবাহিকতায় তিনি বাস মালিক সমিতিসহ সকল পর্যায়ে আলোচনার করে একটি সমাধানে উপনীত হতে সক্ষম হন। ফলে আজ ২৪ এপ্রিল থেকে গেটলক আবার শুরু হলো।

  • রাফিহত্যাসহ সকল নির্যাতন বন্ধ ও শাস্তির দাবিতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন

    রাফিহত্যাসহ সকল নির্যাতন বন্ধ ও শাস্তির দাবিতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন


    নিজস্ব প্রতিবেদক : মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যাসহ সম্প্রতিকালে ঘটে যাওয়া সকল নারী হত্যা, নির্যাতন ও ধর্ষণের প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন কর্মসুচি পালিত হয়েছে। বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদ ও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সাতক্ষীরা জেলা শাখা সোমবার সকাল ১১টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসুচি পালন করে।
    বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদের সাতক্ষীরা জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা সুভাষ ঘোষের সভাপতিত্বে ও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সাতক্ষীরা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক স্বপন শীলের পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, পুজা উদযাপন পরিষদের সাতক্ষীরা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ ঘোষ, অ্যাড. অনিত মুখার্জী, সাংবাদিক রঘুনাথ খাঁ, জাসদ নেতা সুধাংশু সরকার,জেলা মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জ্যো¯œা দত্ত, জিতেন্দ্রনাথ ঘোষ, নিত্যানন্দ আমিন, অধ্যক্ষ শিবপদ গাইন, মানবাধিকার কর্মী মাদব চন্দ্র দত্ত প্রমুখ।
    বক্তারা বলেন, ফেনী জেলার সোনাগাজীতে মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টা মামলা তুলে না নেওয়ায় তার শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে সেলিনা গোমেজ, মামনি দেবসহ কয়েকজন নারীকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ ছাড়াও সাতক্ষীরা সদরের আখড়াখোলা বাজারে পাঁচটি সাধুখাঁ পরিবারকে জালজালিয়াতির মাধ্যমে কাগজপত্র তৈরি করে তাদের জমিদখলের চেষ্টা চালাচ্ছে কুখ্যাত সন্ত্রাসী ও চোরাচালানি আলাউদ্দিন। সে ওইসব পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পাঠিয়েছে। একই উপজেলার খড়িয়াডাঙা গ্রামে বাসন্তীপুজা উপলক্ষে কুখ্যাত ডাকাত আব্দুল কাদের, আবুল কাশেম, আশরাফুল ইসলাম, মিমসহ একটি সন্ত্রাসী মহল হামলা চালিয়েছে। তাদেও পরিবারের শিক্ষার্থীরা স্কুল ও কলেজে যেতে পারছে না। হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন বাজারে ও কর্মস্থলে যেতে পারছে না। একইভাবে কালিগঞ্জের জয়পত্রকাটি নামযজ্ঞস্থল থেকে শিখারানী ম-ল ও তার ভাই সুজনকে মজিদ-জাকির বাহিনী তুলে নিয়ে মোবাইল ফোন, টাকা ও সোনার গহনা লুটপাট করেছে।। তারা সুজনের বাবার কাছে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপন চেয়েছে। টাকা না পেয়ে ওই নারীকে শারীরিক নির্যাতন চালিয়েছে। এসব ঘটনাসহ দেজজুড়ে সকল নারী নির্যাতন ও সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রতিবাদ জানিয়ে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান বক্তারা।

  • বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি সাতক্ষীরা জেলা ইউনিটের এডহক কমিটি অনুমোদন


    গত ১৮ এপ্রিল বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব মোঃ ফিরোজ সালাহউদ্দিন স্বাক্ষরিত এক পত্রে সাতক্ষীরা জেলা ইউনিটের এডহক কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন। কমিটি নি¤œরূপ; আলহাজ¦ মোঃ নজরুল ইসলাম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদাধিকারবলে চেয়ারম্যান, শেখ নূরুল হক ভাইস চেয়ারম্যান, মোঃ আবু সায়ীদ সেক্রেটারী, সদস্য যথাক্রমে জ্যোৎ¯œা আরা (কাউন্সিলর), সৈয়দ ফিরোজ কামাল শুভ্র, শেখ হারুন উর রশিদ, মোঃ সাহাদাৎ হোসেন, মোঃ শাহজাহান আলী, শেখ আব্দুর রশিদ, মীর মোশাররফ হোসেন মন্টু ও মকসুমুল হাকিম।

  • সাতক্ষীরায় বাংলাদেশ ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মিদের মানববন্ধন


     
    সাতক্ষীরায়  বাংলাদেশ ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মিদের নির্দিষ্ট বেতন স্কেল, পদবী নির্ধারণ ও স্থায়ী কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ চেয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
    রবিবার (২১এপ্রিল) সকালে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে সারা দেশের ন্যায় বাংলাদেশ ন্যাশনাল সার্ভিস একতা কল্যাণ পরিষদ সদর উপজেলা শাখার আয়োজনে এটি অনুষ্ঠিত হয়।সদর উপজেলা শাখার সভাপতি মো. আশরাফুল আলম বাবুর সভাপতিত্বে মানববন্ধন কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, এস,এম,হাবিবুল হাসান,মোতাহার হোসেন, ইয়াসিন আলি,আবু রায়হান শিমুল, মো. আজহারুল ইসলাম, তানজুয়ারা খাতুন,রিজিয়া সুলতানা,শর্বরী, মাহি,মিলটন,আল মামুনসহ ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচিতে সদর উপজেলার বিভিন্ন অফিসে কর্মরত কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

  • সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

    সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির সভা অনুষ্ঠিত


    সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির এক জরুরী সভা শনিবার বিকাল ৪টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের হল রুমে অনুষ্ঠিত হয়।
    নাগরিক কমিটির আহবায় মো. আনিসুর রহিম এর সভাপত্বিতে সভায় বক্তব্য রাখেন সদস্য সচীব এড. আবুল কালাম আজাদ, অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল বারী, এম কামরুজ্জামান, মনিরুজ্জামান জমাদ্দার, এড. আজাদ হোসেন বেলাল, স্বদেশ নির্বাহী পরিচালক মাধব চন্দ্র দত্ত, নিত্যানন্দ সরকার, এড. মনির উদ্দীন, প্রেসক্লাবের নির্বাহী সদস্য সেলিম রেজা মুকুল, নাগরিক কমিটির যুগ্ন সদস্য সচীব আলীনূর খান বাবুুল প্রমুখ।
    সভায় আগামী বাজেটে সাতক্ষীরা উন্নয়নের দাবীতে ২৪ এপ্রিল বেলা ১২টায় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। একই সাথে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের দূর্নিতি,অনিয়মের কারনে দূর্নিতি দমন কমিশনের হস্থক্ষেপ কামনা করা হয়। এছাড়া সভায় চিত্র শিল্পী এম,এ, জলিলের আশু রোগ মুক্তির কামনা করা হয়।