Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
বিশেষ সংবাদ Archives - Page 55 of 74 - Daily Dakshinermashal

Category: বিশেষ সংবাদ

  • সাতক্ষীরার প্রাক্তন ও বর্তমান রোভার স্কাউটদের মিলনমেলা ১৩ আগষ্ট

    সাতক্ষীরার প্রাক্তন ও বর্তমান রোভার স্কাউটদের মিলনমেলা ১৩ আগষ্ট

    ‘প্রাণের টানে জীবনের জয়গানে’ শ্লোগানে সাতক্ষীরার প্রাক্তন ও বর্তমান রোভার স্কাউটদের মিলনমেলা আগামী ১৩ আগষ্ট অনুষ্ঠিত হবে। ঈদের পর দিন সকাল ৯টায় সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিতব্য মিলনমেলা সফল করার জন্য এক প্রস্তুতি সভা কলেজ রোভার ডেনে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের প্রাক্তন সিনিয়র রোভার মেট আলতাফ হোসেন, কামরুল ইসলাম, নাজমুল হক, অতনু বোস, অহিদুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ আল মামুন, সেলিম হোসেন, আরিফুল ইসলাম, বর্তমান সিনিয়র রোভার মেট আল মামুন, গ্রুপের সম্পাদক জুলকার নাঈম প্রমুখ। মিলনমেলার রেজিষ্ট্রেশনের শেষ তারিখ ৮ আগষ্ট ২০১৯। প্রাক্তণ রোভার স্কাউটদের ২৫০ টাকা ও বর্তমান রোভারদের ১০০ টাকা দিয়ে ছবিসহ রেজিস্ট্রেশন করার জন্য আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি


  • সাতক্ষীরায় মাদ্রাসা ও এতিমখানার নামে দরিদ্রের সম্পত্তি দখল চেষ্টার অভিযোগ

    সাতক্ষীরায় মাদ্রাসা ও এতিমখানার নামে দরিদ্রের সম্পত্তি দখল চেষ্টার অভিযোগ

    প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
    সাতক্ষীরার পরানদাহে মাদ্রাসা ও এতিমখানার নাম করে কথিত টাউট হুজুর রবিউল কর্তৃক অসহায় এক ভ্যান চালকের পৈতৃক সম্পত্তি দখল চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে উক্ত সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন সদর উপজেলার সোনারডাঙ্গি হরিসপুর গ্রামের মৃত মোজাহার দালালের পুত্র ভুক্তভোগী আতিয়ার রহমান।
    তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি জগন্ন্াথপুর মৌজায় জে.এল নং-৪৪, এস এ ৭৩০ নং খতিয়ানে তিনটি দাগে ৪ শতক জমি বৈধ মালিক হিসেবে ভোগ দখল করে আসছিলাম। উক্ত জমিতে আমি মাটি ভরাট করে বসত বাড়ি তৈরী করি। কিন্তু সম্প্রতি মৃত আব্দুল ওহাব দালালের পুত্র ভুমিদস্যু টাউট হুজুর রবিউল ইসলাম ও আতর আলীর পুত্র আবুল হাসান গং জাল দলিল সৃষ্টি করে উক্ত বসত ভিটাটি দখল করে মাদ্রাসা ও এতিমখানা নির্মানের পায়তারা শুরু করেছে। ওই টাউট হুজুর এতটাই সুচতুর যে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে এতে যাতে কেউ বাধা না দেয় সেজন্য সে মাদ্রাসা নির্মানের নামে ওই জমি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছেন। অথচ উক্ত সম্পত্তি ১৯৬৭-৬৮ সালের ২২৪ নং মোকদ্দমা সার্টিফিকেট বয়নামা মূলে জমির দখল পেয়ে আমি সেখানে সীমানা নির্ধারন করে ভোগ দখল করে আসছি। তিনি বলেন, আমি একজন অসহায় ভ্যান চালক হওয়ায় উক্ত হুজুর নামের ভুমিদস্যু আমার বসবাসের শেষ সম্বলটুকু মাদ্রাসা নির্মানের নামে দখলের পায়তারা চালাচ্ছেন এবং আমাকে খুন জখমের হুমকি প্রদর্শন করে যাচ্ছেন। শুধু আমার সম্পত্তি নয় হরিসপুর এলাকার অনেক হিন্দু সম্প্রদায়ের একাধিক নিরীহ মানুষের সম্পত্তি সে মাদ্রাসা ও এতিমখানার নামে দখল করে যাচ্ছে। প্রতিবাদ করলে সে পুলিশকে ভুল বুঝিয়ে তাদের হয়রানির চেষ্টা চালায়। সে চরমোনাই পীরের মুরিদ পরিচয়ে একেরপর এক এই জমি দখল করে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, এই শেষ সম্বলটুকু দখল করে নিলে আমার স্ত্রী সন্তান নিয়ে রাস্তায় রাত কাটাতে হবে। এমতাবস্থায় তিনি ভুমিদস্যু টাউট হুজুর রবিউলের কবল থেকে সম্পত্তি রক্ষা এবং তার জীবনের নিরাপত্তার দাবীতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।


  • সাসাতক্ষীরার উপ নির্বাচনে চেয়ারম্যানপদে নৌকা-১ সতন্ত্র ২।

    সাসাতক্ষীরার উপ নির্বাচনে চেয়ারম্যানপদে নৌকা-১ সতন্ত্র ২।

    নিজস্ব প্রতিবেদক :
    সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের কুশুলিয়া ও মৌতলা ইউনিয়ন এবং আশাশুনির কুল্ল্যা ইউপি চেয়ারম্যান উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ এবাদুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের (বিদ্রোহী ) প্রার্থী কাজী রফিকুল ইসলাম বাটুল এবং আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবুল বাসেত হারুন চৌধুরী জয়লাভ করেছেন।
    বৃহস্পতিবার চেয়ারম্যান পদে এই তিনটি ইউনিয়নে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
    জেলা নির্বাচন অফিস জানিয়েছে কুশুলিয়া ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ এবাদুল ইসলাম ৬ হাজার ৬৩১ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন । তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের শেখ মোজাহার হোসেন কান্টু পেয়েছেন ১ হাজার ৬৬ ভোট। মৌতলা ইউপি উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী কাজী রফিকুল ইসলাম বাটুল ৪ হাজার ৭৮৪ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের শেখ মাহবুবুর রহমান সুমন পেয়েছেন ২ হাজার ৬২৯ ভোট।
    অপরদিকে আশাশুনির কুল্লা ইউপি উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবুল বাসেত হারুন চৌধুরী ৪ হাজার ৪৯৪ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকতটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র জাহিদা ইসলাম পুতুল পেয়েছেন ৪ হাজার ৭৪ ভোট। কুশুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শেখ মেহেদি হাসান সুমন ও মৌতলা ইউপি চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদি পদত্যাগ করায় এবং কুল্লা ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম দুর্ঘটনায় মৃত্যু বরণ করায় তিনটি পদ খালি হয়। শান্ত্পিূর্নভাবে এসব ইউনিয়নে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

  • সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ রোভার স্কাউট গ্রুপে সহচর ভর্তি


    নিজস্ব প্রতিবেদক:
    সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ রোভার স্কাউট গ্রুপের নতুন সহচর ভর্তি কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকালে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ রোভার ডেনে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এস.এম আফজাল হোসেন, রোভার নেতা আ.ন.ম গাউছার রেজা, রোভার নেতা সাইদুল হক, রোভার নেতা মুহাঃ আব্দুল্লাহ্ আল-আমিন, গার্লস-ইন রোভার নেতা আয়েশা আক্তার। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র রোভার মেট মোঃ ইয়াকুব আলী, আল-মামুন ও তামান্না তানজিন, সাধারন সম্পাদক জুলকার নাঈম সহ রোভার ও গার্লস-ইন রোভার।

  • সাতক্ষীরায় আওয়ামীলীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা

    সাতক্ষীরায় আওয়ামীলীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা

    নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরায় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি নজরুল ইসলামের (৪৫) গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে শহরের কাশেমপুর হাজামপাড়া নামকস্থান থেকে পুলিশ তার গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে।
    নিহত নজরুল ইসলাম আগরদাঁড়ি ইউনিয়ন আওয়ামীলীর সহ-সভাপতি ও আগরদাড়ি ইউনিয়নের কুঁচপুকুর গ্রামে মৃত নেছার উদ্দিনের ছেলে।
    আওয়ামীগ নেতা নিহত হওয়ার খবর পেয়ে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুনছুর আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
    আগরদাঁড়ি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান হবি জানান, নিহত নজরুল ইসলাম কদমতলা থেকে বাজার করে মটর সাইকেল যোগে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় পিছন দিক থেকে মটরসাইকেল যোগে এসে দুবৃত্তরা তার পিছন দিক থেকে দুই রাউন্ড গুলি করে পালিয়ে যায়। এসময় তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।
    নিহত নজরুল ইসলামের ছেলে পলাশ হোসেন জানান, স্থানীয় সাবেক মেম্বর তৌহিদুলের সাথে তার বাবার বিরোধ চলছিল। এই বিরোধের জের ধরে তার বাবাকে তৌহিদ মেম্বরের লোকজন হত্যা করতে পারে বলে তিনি জানান।
    সাতক্ষীরার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার ইলতুৎ মিস জানান, নিহত আওয়ামীলীগ নেতার লাশ পুলিশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। হত্যাকারিদের ধরতে পুলিশ মাঠে নেমেছে। তবে কি কারনে তাকে হত্যা করা হয়েছে সে সম্পর্কে তিনি কিছুই বলতে পারেননি।
    উল্লেখ্য ২০১৩ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত এ পরিবারের উপর নয় বার সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। সে হামলায় তার ভাই সিরাজুল ইসলাম ও ভাইপো যুবলীগ নেতা রাসেল নিহত হন। নজরুল নিজের নিরাপত্তার জন্য সে সময় তিনি সদর থানায় রাত্রি যাপন করতেন।

  • ভারতের নাগরিক রবীনের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরায় সংবাদ সম্মেলন

    প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
    ভারতের নাগরিক অস্ত্র ব্যবসায়ী রবীন কর্তৃক ভোমরা ইউনিয়নের মেম্বরকে জড়িয়ে মিথ্যা ভিত্তিহীন সংবাদ পরিবেশনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক জনার্কীন সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাতক্ষীরা সদরের হাড়দ্দা গ্রামের মৃত মোহাম্মাদ আলী মোল্লার ছেলে আব্দুল গণি।
    লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন ভোমরা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মেম্বর ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দীর্ঘদিন সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছি। গত ১৯ জুলাই ২০১৯ তারিখে কয়েকটি পত্র-পত্রিকায় হাড়দ্দহা ইউনাইটেড ক্লাবের নির্বাচন দাবী করায় ভারতে পাঠানোর হুমকি শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদে আমাকে জড়িয়ে যেসব মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যে প্রণোদিত। আমি কোনদিনও ওই ক্লাবের সদস্য ছিলাম না বা চাঁদাবাজি এবং কালোবাজারির সাথে ইতোপূর্বে কখনো জড়িত ছিলাম না বর্তমানেও নই। প্রকৃতপক্ষে মৃত শৈলেন ঘোষের পুত্র রবীন ঘোষ ভারতে লেখাপড়া করে ওখানেই চাকুরি করত। সে সময় ভারতের চব্বিশ পরগনায় জেলার বসিরহাট থানার জামরুলতলা গ্রামের ৯নং ওয়ার্ডে থাকতো। তার রেশন কার্ড নং- ২২৬০৩৫, ভারতের ভোটার ক্রমিক নং- ১০৩। চাকরির পাশাপাশি অধিক লাভের আশায় ভারতে ইটভাটা চালু করে। কিন্তু সেখানে অনেক ঋণ হয়ে বাধ্য হয়ে ২০১৪ সালে বাংলাদেশে তার মায়ের আশ্রয়ে চলে আসে। সে সময় এদেশে তার জন্ম নিবন্ধনও ছিলো না। ২০১৫/১৬ সালে সে জন্ম নিবন্ধন করে।
    তাকে ভারতের তাড়িয়ে দেওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা। সে নিজেই তার মায়ের শেষ সম্বলটুকু বিক্রয় করে এদেশ থেকে টাকা পয়সা নিয়ে ভারতে যাওয়ার পায়তারা চালাচ্ছে। সে কারণে কয়েক মাস ধরে তার মা কে চাপ প্রয়োগ করে। কিন্তু তার মা রাজি না হওয়ায় কয়েকবার তার মাকে মারপিট করে ওই সন্তান নামের কুলাঙ্গার রবিন। এঘটনায় প্রতিকার চেয়ে তার মাতা সুশীলা বালা ঘোষ সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের গণশুনানীতে অভিযোগ করেন। গত ৬/৭ মাস পূর্বে তার মাকে মারপিট করে বাড়ি থেকে তাড়িয়েও দেই সে। বর্তমানে ওই অসহায় বৃদ্ধা সুশীলা বালা ঘোষ অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। বিষয়টি সমাধানের জন্য ভোমরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আনারুল আমার পরামর্শ চাইলে, আমরা দু জন রবীনের বাড়িতে গিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করি। কিন্তু রবীন আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র শুরু করে এবং আমাদের সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য মিথ্যা সংবাদ সম্মেলন করে।
    ওই রবীন অস্ত্র ব্যবসার সাথে জড়িত। বিগত ২০০৩ সালে যশোর থেকে প্রকাশিত দৈনিক কল্যাণ পত্রিকায় ভারতীয় নাগরিক রবীন্দ্র অবৈধভাবে বাংলাদেশে বসবাস করে অস্ত্রের ব্যবসা চালাচ্ছে মর্মে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সে সময় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বরগণ মিলে তার বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মহোদয়ের কাছে “সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে অভিযোগ” মর্মে আবেদন করেন। সে অত্যান্ত ধূর্ত ও প্রভাবশালী হওয়ায় বীর দর্পে তার অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা তার অপকর্ম এবং তার বৃদ্ধা মাকে তাড়িয়ে দেওয়ার প্রতিবাদ করতে গিয়ে তার সাথে বিরোধ বাধে। এ বিষয়টিকে পুঁিজ করে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও কাল্পানিক তথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ওই রবীন্দ্র। আমরা উক্ত সংবাদের তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সাথে সাথে ওই সন্তান নামের কুলাঙ্গার রবীন্দ্র ঘোষের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।


  • সাতক্ষীরায় কৃষক খুনের ঘটনায় আটক হয়নি কেউ

    নিজস্ব প্রতিবেদক : বালিয়াডাঙ্গায় কৃষকের খুনের ঘটনায় মামলার আসামীরা কেউ গ্রেফতার হয়নি। আসামী ও তাদের সহযোগীদের হুমকিতে নিহত পরিবারের লোকজন নিরাপত্তাহীনতা রয়েছেন বলে জানাগেছে। ছাগলের পাট খাওয়া কেন্দ্র করে গত ১৩ জুলাই সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গার মসজিদের ভিতের ঢুকে আকবর সরদার (৩৫) কৃষককে কুপিয়ে জখম করা হয়। গত মঙ্গলবার রাত ৮ টার দিকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আকবর আলি। নিহত আকবর সরদার সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের মৃত আহম্মদ সরদারের ছেলে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান সদর উপজেলার বালিডাঙ্গা গ্রামে একটি ছাগলের পাট খাওয়া কেন্দ্র করে গত ১৩ জুলাই অনুমান সন্ধ্যা ৭টার সময় মৃত আহম্মদ আলির ছেলে আকবর আলি ও তার ভাই রইছউদ্দীনসহ আরো অনেকে বালিয়াডাঙ্গা মাঝেরপাড়া জামে মসজিদে মাগরিবের নামাজ পড়তে যান। এসময় একই গ্রামের ওজিয়ারের মাদক সম্রাট ও দুধর্ষ ক্যাডার বাবুলের ইন্ধনে একই এলাকার সাত্তার সরদারের ছেলে আহছান, আক্তারুল। পরান সরদারের ছেলে আব্দুল্লাহ, মতলেব, আবু তালেব। অজেদ মোড়লের ছেলে বিল্লাল। ওয়াছের ছেলে কদ্দুস, ইদ্রিস। তালেবের ছেলে আসাদুল ও দুস্তরি ছেলে সাত্তার অজ্ঞাত ৮/১০ জন ব্যাক্তিরা ধারালো দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে ওই মসজিদের ভিতরে ঢুকে নামাজ আদায়ের পূর্বে তাদেরকে হত্যা করার উদ্যেশে তারা আকবর আলি ও তার ভাই রইছউদ্দিনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। এতে আকবর আলি মাথায় মারাত্মক আঘাত পায় ও রইছউদ্দিনের হাত ভেঙে যায়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে আকবর আলির অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে এ হামলার ঘটনায় গত ১৪ জুলাই নিহতর ভাই গফফার সরদার বাদী হয়ে ১০ জনের নামসহ অজ্ঞাত ৮/১০ জনের আসামী করে সাতক্ষীরা থানায় মামলা করা হয়। যার মামলা নং- ৩৫। তবে ইন্দ্ধোনদাতা বাবুলসহ আসামীরা এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছেন বলে এলাবাসি জানান। সদর পুলিশ এস আই তরিকুল জানান আসামীরা পলাতক রযেছেন। এদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছেন। আকবর আলির খুনের আসামি ও তাদের সহযোগিদের গ্রেফতারের জন্য সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার সহ সংশ্লিষ্টদের কাছে হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন নিহত পরিবারের লোকজন।


  • সাতক্ষীরা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির বিরাজমান সমস্যা ও পরিস্থিতি নিয়ে মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দের সাথে এমপি রবির মতবিনিময়

    সাতক্ষীরা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির বিরাজমান সমস্যা ও পরিস্থিতি নিয়ে মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দের সাথে এমপি রবির মতবিনিময়


    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরা বাস-মিনিবাস, কোচ-মাইক্রোবাস মালিক সমিতির বিরাজমান সমস্যা ও পরিস্থিতি নিয়ে মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ মালিকদের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে মালিক সমিতির হলরুমে এ মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
    সাতক্ষীরা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির আহবায়ক ও জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি ছাইফুল করিম সাবু’র সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ সরকারের ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।
    এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক শেখ নুরুল হক, সাতক্ষীরা বাস-মিনিবাস কোচ মাইক্রোবাস মালিক সমিতির আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব মো. গোলাম মোর্শেদ, সদস্য জেলা যুবলীগের আহবায়ক মো. আব্দুল মান্নান প্রমুখ। এসময় সাতক্ষীরা বাস-মিনিবাস কোচ মাইক্রোবাস মালিক সমিতির আহবায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ বাস মালিকরা উপস্থিত ছিলেন।
    প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি রবি বলেন, সাতক্ষীরা বাস-মিনিবাস কোচ মাইক্রোবাস মালিক সমিতির বিরাজমান সমস্যা ও পরিস্থিতি মোটেও সন্তোষ জনক নয়। সাধারণ মালিকদের কথা আগে ভাবতে হবে। অনুমোদীত ইজিবাইক মাহেন্দ্রাসহ অন্যান্য যাত্রী সেবা গাড়িগুলি বন্ধ করা যাবেনা। এলাকা নির্ধারণ করে দিতে হবে। তারাও যেন পরিবার পরিজন নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতে পারে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। বাস মালিকদেরকে বাঁচিয়ে রাখা মালিক সমিতির মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। আমি সব সময় শান্তির পক্ষে। সংগঠন চলবে সকলের ঐক্যমতের ভিত্তিতে। তিনি এ সময় হিংসা বিদ্বেষ ভুলে সাতক্ষীরার উন্নয়ন ও কল্যাণে কাজ করার আহবান জানান।

  • জাকমজকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে নববধূকে ঘরে তুলে নিলেন জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটার কাঁটার মাস্টার খ্যাত মোস্তাফিজুর রহমান

    জাকমজকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে নববধূকে ঘরে তুলে নিলেন জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটার কাঁটার মাস্টার খ্যাত মোস্তাফিজুর রহমান


    প্রতিনিধি ঃ বিয়েটা অনেকটা চুপিসারে সম্পন্ন হলেও জাকমজকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে নববধূকে ঘরে তুলে নিলেন জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটার কাঁটার মাস্টার খ্যাত মোস্তাফিজুর রহমান। বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয স্বজন ও এলাকাবাসী ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার আড়াাই হাজার মানুষের আগমণে মুখরিত এই তারকা ক্রিকেটারের বৌভাত অনুষ্ঠাণটি।
    শনিবার দুপুর থেকে শুরু হওয়া বৌভাত অনুষ্ঠাণের অতিথিরা আসতে শুরু করে সকাল থেকেই। তবে আজকের এই আনন্দের দিনও মিডিয়ার সামনে চুপ হয়ে গেলেন মোস্তাফিজুর রহমান। বাড়িতে সুসজ্জিত আসরে বধু সুমাইয়া পারভীন শিমুকে নিয়ে পাশাপাশি বসেছিলেন এই কাটার মাস্টার। কোন কথায় তিনি বলেননি। তবে মোস্তাফিজুর রহমানের বাবা আবুল কাশেম গাজী মোস্তাফিজুর রহমানের জন্য দেশবাসীসহ সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন।
    এদিকে, সাতক্ষীরার কালিগজ্ঞ উপজেলার তেঁতুলিয়া গ্রামে মোস্তাফিজুর রহমানের বৌভাত অনুষ্ঠাণে আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হলেও হাজির হয়েছেন প্রায় তিন হাজারের অধিক মানুষ। অতিথি আপ্যায়নের খাওয়ার জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে খাসির বিরয়ানী, গরুর মাংস, দধি ও কোকোকোলা। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য ছিল খাসির বিরয়ানী।
    অনুষ্ঠাণে যোগ দিয়েছেন, সাতক্ষীরা-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী ডাঃ আফম রুহুল হক, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি মুনসুর আহমেদ, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম, সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার নেতৃবৃন্দ।
    উল্লেখ্য, গত ২২ মার্চ সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের বাসিন্দা সুমাইয়া পারভীন শিমুকে বিয়ে করেন মোস্তাফিজুর রহমান। শিমু বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী। শিমুর বাবা রওনাকুল ইসলাম বাবু মোস্তাফিজুর রহমানের মেজো মামা। মায়ের ইচ্ছাতে পারিবারিকভাবেই মামাতো বোন সুমাইয়া পারভীন শিমুকে বিয়ে করেন ‘কাটার মাস্টার’।

  • প্রেস বিজ্ঞপ্তি জেএসডি’র মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত

    গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি গরীবদের নিঃশেষ করে লুটেরা ও দুর্বৃত্তের মোটা তাজাকরণ প্রকল্প।

    জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি সাধারণ সম্পাদক জনাব আবদুল মালেক রতন বলেছেন, গ্যাসের মূল্য যেখানে কমানো যায় সেখানে উল্টো বৃদ্ধি করার কোন যুক্তি নেই। এ মূল্যবৃদ্ধি লুটেরা, দু:র্বৃত্ত ও দুর্নীতিবাজ কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের মোটা তাজাকরণ প্রকল্প ছাড়া কিছুই নয়। উপরোক্ত শ্রেনীর লোকেরা অগনিত অবৈধ সংযোগ দিয়ে হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। আর এ বিল যেয়ে যুক্ত হয় যারা প্রকৃত সংযোগ গ্রহনকারী তাদের উপর।

    গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির ফলে মিল-কল-কারখানার উৎপাদন, পরিবহন ব্যয়, যাত্রী ভাড়া, গৃহস্থালী কাজে গ্যাসের খরচ বৃদ্ধি পাবে। এতে গরীব, নি¤œ মধ্যবিত্ত মানুষের জীবনের দুর্ভোগ আরো বৃদ্ধি পাবে। বাজেটে সরকার ধনীদের কালো টাকা সাদা করা থেকে শুরু করে অনেক ক্ষেত্রে ট্যাক্স, ভ্যাট কমানোর দাবী মেনে নিয়েছে কিন্তু গরীব মধ্যবিত্তদের কোন দাবী মেনে নেয়নি। সঞ্চয় পত্রের সুদ বৃদ্ধি করে পেনশনভোগীদের অবস্থা দুর্বিসহ করে তুলছে। সারা দেশে ৭-৮ তলা পর্যন্ত ভবনের অনেক মালিকদের যেখানে টিন নাম্বার নেই, থাকলেও ট্যাক্স ফাঁকি দেয় সেখানে ব্যবস্থা না নিয়ে গরীব-দুঃখী যাদের জীর্ণ-শীর্ণ বাসায় বিদ্যুৎ সংযোগ আছে বা থাকবে তাদের টিন খোলা বাধ্যতামূলক করে গরীব মারার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

    জনাব মালেক রতন তার বক্তব্যে বাম গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট আহুত ৭ ই জুলাইয়ের হরতালের প্রতি নৈতিক সমর্থন ব্যক্ত করেন। আজ সকাল ১১ টায় গণদুর্ভোগের বাজেট ও গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জেএসডি আহুত সমাবেশ ও মানব বন্ধনে প্রধান বক্তার বক্তব্যে জনাব মালেক রতন এ সকল কথা বলেন।

    সভাপতির বক্তব্যে জেএসডি সহ-সভাপতি, ষ্টিয়ারিং কমিটির সদস্য মিসেস তানিয়া রব ভোট ডাকাতির সরকার বাতিল করে অবিলম্বে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন দাবী করেন।
    মানব বন্ধনে বক্তব্য রাখেন, এ্যাড. সৈয়দ বেলায়েত হোসেন বেলাল, জনাব মোশারফ হোসেন, আবদুর রজ্জাক রাজা, আবদুল্যাহ আল তারেক, নুরুল আবছার, হাজী আখতার হোসেন ভূইয়া, মোশাররফ হোসেন, আবদুল আউয়াল প্রমুখ।

  • সাতক্ষীরা পৌরসভা কর্মকর্তা-কর্মচারী এসোসিয়েশনের মানববন্ধন

    নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ রাষ্ট্রীয় কোষাগার হতে পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শতভাগ বেতনভাতা প্রদানসহ পেনশন প্রথা চালু ও জনপ্রতিনিধিদের সম্মানীভাতা প্রদানের দাবিতে ৪৮ ঘন্টা কর্মবিরতির দ্বিতীয় দিনে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
    বাংলাদেশ পৌরসভা সার্ভিস এসোসিয়েশন কার্যনির্বাহী কমিটির আহবানে ও সাতক্ষীরা পৌরসভা কর্মকর্তা-কর্মচারী এসোসিয়েশনের আয়োজনে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১ টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে উক্ত মানববন্ধন কর্মসুচি পালিত হয়।
    সাতক্ষীরা পৌরসভা কর্মকর্তা-কর্মচারী এসোসিয়েশনের সভাপতি মীর আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে মানবন্ধনে বক্তব্য রাখেন, পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল করিম, পৌসভার সচিব মো. সাইফুল ইসলাম বিশ^াস, সহকারী প্রকৌশলী কামরুল আখতার, শহর পৌরসভার প্রধান সহকারি প্রশান্ত ব্যাণার্জী, পরিকল্পনাবিদ শুভ্র চন্দন মহলী, হিসাব রক্ষক আক্তার হোসেন, পৌরসভা কর্মকর্তা-কর্মচারী এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম প্রমুখ।
    বক্তারা এ সময় রাষ্ট্রীয় কোষাগার হতে পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শতভাগ বেতনভাতা প্রদানসহ পেনশন প্রথা চালু ও জনপ্রতিনিধিদের সম্মানীভাতা প্রদানের জোর দাবী জানান।

  • পিছিয়ে পড়া দলিত সম্প্রদায়কে এগিয়ে নেওয়ার এখনই সময়

    পিছিয়ে পড়া দলিত সম্প্রদায়কে এগিয়ে নেওয়ার এখনই সময়


    এসএম শহীদুল ইসলাম:

    রোমানদের ছিল ক্রীতদাস, স্পার্টার্নদের ছিল সেবাদাস, ইংরেজদের ছিল ভূমিদাস, আমেরিকানদের ছিল নিগ্রো, জার্মানদের ইহুদি আর হিন্দুদের আছে অস্পৃশ্য দলিত। ভারতীয় উপমহাদেশে দলিত জনগোষ্ঠীর প্রতি জাত-পাত তথা জন্ম পরিচয় ও পেশাভিত্তিক বৈষম্য এবং তাদের ব্যাপারে সামাজিক মনোভাব সম্পর্কে দলিত আন্দোলনের নেতা ড. আম্বেদকর উচ্চারণ করেছিলেন এই অমোঘ বাণী।
    গ্রামের শেষ প্রান্তে ঠিকানা হয় পিছিয়ে থাকা দলিতদের। হাটের শেষ মাথায় বসার জায়গা হয় তাদের। পিছাতে পিছাতে তারা চলে গেছে শেষ প্রান্তে। সেখান থেকেই এগিয়ে আসার পথ সৃষ্টি করতে হবে। অন্যথায় সরকারের এসডিজি ও এমডিজির বাস্তবায়নের পরিকল্পনা থমকে যেতে পারে। কেননা সমাজের একটি বিরাট অংশ দলিত সম্প্রদায়কে উপেক্ষা করে জাতীয় উন্নয়ন আশা করা যায় না। তাই সমাজের মূল ধারায় ফিরিয়ে আনার এখনই সময়।
    দলিত নারীর স্বাস্থ্য পরিস্থিতি তাদের বাসস্থান ও পয়:নিস্কাশণ সুবিধার সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। দলিত জনগোষ্ঠী সাধারণত নোংরা পরিবেশে বাস করতে বাধ্য হয় এবং চরম দারিদ্র্য যেহেতু তাদের নিত্যসঙ্গী, ফলে তারা নানারকম রোগ-শোকে; যেমন-ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, পেটের পিড়া ও ত্বকের অসুখে ভুগতে থাকে। উপরন্তু নারী হওয়ার কারণে পুরুষতান্ত্রিক চর্চাও তার দুর্বল স্বাস্থ্যের কারণ হিসেবে ক্রিয়াশীল। খাদ্য গ্রহণের ক্ষেত্রে তারা বৈষম্যের শিকার হয়। তেমনি চিকিৎসা সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে নারী হওয়া একটি প্রতিবন্ধকতা হিসেবে কাজ করে। অন্যদিকে, যদি কেউ স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে যায়ও, অস্পৃশ্যতার কারণে স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে তারা বৈষম্যের শিকার হয়।
    যে জনগোষ্ঠী সাধারণত রাস্তাঘাট পরিস্কার ও অন্যদের টয়লেট পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখে, পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ ও পয়:নিস্কাশণ সুবিধার অভাবে তাদের কলোনিগুলো থাকে সবচেয়ে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর। সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আগরদাড়ি, বল্লী ও ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের কোন গ্রামে পানির লাইন নেই। এখানে খাবার পানির একমাত্র উৎস টিউবওয়েল। একটি থেকে প্রায় ৫-১০টি পরিবার পানি সংগ্রহ করে। ফলে তারা পানি সংকটে বেশি করে ভোগে। এই পানির অভাবে তাদের পয়:নিস্কাশণ ব্যবস্থা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এই পরিস্থিতিতে দলিত নারীরা সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হয়। কারণ, পানি সংগ্রহের পুরো দায়িত্ব নারীর উপর।
    সম্প্রতি পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে বলা হয়, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আগরদাড়ি, বল্লী ও ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের ১৩টি গ্রামের ১৩টি পাড়ার ৭৩১টি পরিবার এখনো নিরাপদ সুপেয় পানি, স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ও হাইজিন সমস্যায় আক্রান্ত। আগরদাড়ি ইউনিয়নের বাবুলিয়া ঋষিপাড়া, ইন্দ্রিরা গোলদারপাড়া, চুপড়িয়া ঋষিপাড়া, রামেরডাঙ্গা ভগবানীপাড়া ও কাশেমপুর হাজামপাড়ার নারী-শিশুরা সুপেয় পানি, স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ও হাইজিন সুবিধা থেকে বঞ্চিত। অপরদিকে বল্লী ইউনিয়নের কাঁঠালতলা ঋষিপাড়া, মুকুন্দপুর কারিকরপাড়া ও রায়পুর ভগবানীপাড়ার মানুষ নিরাপদ সুপেয় পানি, স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ও হাইজিন থেকে বঞ্চিত হয়ে ভুগছেন নানা রোগে। এছাড়া ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া ঋষিপাড়া, বলাডাঙ্গা কারিকরপাড়া, মাধবকাঠি কলোনীপাড়া, আখড়াখোলা মোড়লপাড়া ও ওয়ারিয়া গোলদারপাড়ার পিছিয়ে পড়া মানুষ ভুগছেন নানা রোগে। পুষ্টিহীনতার পাশাপাশি তারা ডায়রিয়া, আমাশয়, গ্যাস্ট্রিক, আলসার, হাপানীসহ চর্মরোগে রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। প্রায় ৪ হাজার মানুষ ব্যবহার করছেন আর্সেনিক ও আয়রনযুক্ত পানি। নলকূপের গোড়া ময়লা আবর্জনায় ভরা। এসব পরিবারের অধিকাংশ সদস্যরা স্বাস্থ্যসম্মত নিরাপদ পায়খানা ব্যবহার করেন না। এক সময় খোলা আকাশের নিচে বনে-বাদাড়ে ঝোপের আড়ালে তারা মলত্যাগ করতেন। এখন সে অবস্থা না থাকলেও যে পায়খানা ব্যবহার করেন তা আদৌ স্বাস্থ্যসম্মত নয়। ৪ থেকে ৫টি রিং স্লাব বসিয়ে তা বস্তা কিংবা কাপড় দিয়ে ঘিরে সেখানেই মলত্যাগ করেন নারী-পুরুষ ও শিশুরা। একটি পায়খানা ৩-৪টি পরিবার ব্যবহার করছেন। এলাকার অধিকাংশ মানুষ অতি দরিদ্র শ্রেণির। অন্যের ক্ষেতে খামারে কামলা খেটে সংসার চলে তাদের। গ্রামে গ্রামে ঘুরে বাঁশ সংগ্রহ করে ঝুড়ি ডালা বুনে অনেকেই কোন রকমে সংসার চালান। গরীব শ্রমজীবী এসব মানুষের পক্ষে নিরাপদ পানি কিনে পান করা দু:সাধ্য। পাকা পায়খানা নির্মাণ করার সক্ষমতা নেই তাদের।
    উপরোক্ত পরিস্থিতি এই জনগোষ্ঠীকে এমন এক জীবনের দিকে ঠেলে দিয়েছে, যেখানে তাদের মানবিক মর্যাদা চরমভাবে ভুলুণ্ঠিত। সামাজিকভাবে মর্যাদাহীন, অনিরাপদ ও নাগরিক সুবিধাবঞ্চিত হয়ে এই জনগোষ্ঠীর মধ্যে আরেক ধাপ পেছনে থাকা দলিত নারীদের বিকাশের জন্য পানি ও পয়:নিস্কাশণ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটিয়ে দলিতদের জীবনকে বিকাশ যোগ্য করতে হবে। লেখক: সংবাদ কর্মী।

  • সাতক্ষীরার অদম্য প্রতিভাবান চিত্রশিল্পী ও অভিনেতা তরুণ কান্তি সরকার

    সাতক্ষীরার অদম্য প্রতিভাবান চিত্রশিল্পী ও অভিনেতা তরুণ কান্তি সরকার


    বিশেষ প্রতিবেদন: আমাদের সমাজে এখনও এমন কিছু মানুষ আছেন যার সৃষ্টি আমাদের দারুণভাবে আন্দোলিত করে এবং সমাজ ও কালের জন্য হয়ে ওঠে অনন্য দৃষ্টান্ত। নিরবে নিভৃতে সৃজন করে যান আশা জাগানিয়া, মন ভোলানিয়া কিছু সৃষ্টিকর্ম । তেমনি একজন সৃজনশীল, নিভৃতচারী তরুণ চিত্রশিল্পী ও অভিনেতা সাতক্ষীরার আশাশুনির তরুণ কান্তি সরকার । প্রগতিশীল অভিনয় ও নিপুণ সৃষ্টিকর্মের মাধ্যমে তিনি হিংসা বিদ্বেষ ও সামজিক ব্যাধি সহ অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে সু-দৃঢ় সামাজিক সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন সমাজে।

    প্রগতিশীল সৃষ্টিতে অদম্য অভিনেতা ও চিত্রশিল্পী তরুণ কান্তি সরকার, প্রায় দশ বছর যাবৎ ঢাকা আন্তর্জাতিক বানিজ্যমেলা ও অমর ২১শে গ্রন্থমেলায় মানুষের সরাসরি ৫-১০মিনিটে হুবহু প্রতিকৃতি এঁকে আসছেন। যেকোন মাধ্যম দিয়ে তিনি ছবি আঁকতে পারেন, ক্যানভাসের তৈরী তৈল চিত্র” প্রতীক্ষা ” তাঁর জলন্ত উদাহরণ। অনলাইনে ইন্টারন্যাশনাল আর্ট কম্পিটিশনে ”প্রতীক্ষা” নামের ছবি এঁকে পেয়েছেন বিশেষ সম্মাননা সনদ । এছাড়াও বিভিন্ন সময় তিনি তাঁর অসাধারণ কৃতিত্তের জন্য পুস্কারও সনদে ভূষিত হয়েছেন ।
    তরুণ কান্তি সরকার আর্টের সব সাইডে যেমন বিচরণ করার চেষ্টা করেছেন তেমনি রঙেরও। এ বিষয়ে নিজের মেধাকে আরো পরিপূর্ণ করার জন্য তিনি ফাইন আর্টের উপরেও পড়াশুনা করেছেন। তাহার চিত্রকর্ম যৌথ প্রদর্র্শনীও করেছেন জাতীয় চিত্রশালায় । তাঁর আঁকা ”রহস্যময় মানব,রহস্যময়ী মানবী”,”প্রতীক্ষা”,”ক্ষুধা”,”দি ইসমাইল” খুবই জনপ্রিয় ।

    এই তরুণ চিত্রকর ও অভিনেতা তরুণ কান্তি সরকার সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার পুইজালা গ্রামে জন্ম। তিনি শিশু শ্রেণির ছাত্রাবস্থায় ক্লাশে ব্লাকবোর্ডে শ্রেনী শিক্ষক দৈব স্যারের আঁকা লতা-পাতা, ফুল-ফল, পুশু-পাখি দেখে দেখে ছবি আঁকার প্রতি তার আগ্রহ জন্মে। তার এ আগ্রহ থেকেই হয়ে ওঠেন বাংলাদেশের তরুণ আঁকিয়েদের মধ্যে অন্যতম। ছেলেবেলায় এলাকার দোকানপাটের বাৎসরিক হালখাতা অনুষ্ঠানের জন্য কাগজে আলতা দিয়ে দৃষ্টি নন্দন “শুভ হালখাতা” লিখে সকলের দৃষ্টিতে আসেন এবং সকলের প্রসংশায় ভাসেন। মূলত এই শুভ হালখাতা লেখার মাধ্যমেই তার চিত্রাংকন জগতে আত্মপ্রকাশ ঘটে। সেই থেকেই ছবি আঁকা হয়ে ওঠে তার ধ্যান ও জ্ঞান। ছবি আঁকার প্রতি গভীর ভালোবাসার কারনে তিনি খাবার কেনার পয়সা দিয়ে রং তুলি কিনতেন ।
    তিনি এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন ও সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন এবং উচ্চ ডিগ্রীর জন্য তিনি ঢাকা কলেজে ভর্তি হন। বাংলা সংস্কৃতি ও ভাষার প্রতি প্রবল অনুরাগের কারণে তিনি বাংলা বিষয়কেই তার পাঠ্য বিষয় হিসেবে বেছে নেন এবং বাংলা বিষয়ে তিনি কৃতিত্বের সাথে অনার্স মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। তরুণ একই সঙ্গে অভিনয় এবং ছবি আঁকা দুটোতেই পারদর্শী হতে থাকেন সমান তালে।

    তিনি নিজেকে যেমন তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন দক্ষ চিত্রশিল্পী হিসেবে তেমনে হয়ে উঠেছেন একজন অভিনেতা । এ পর্যন্ত তিনি অনেক নাটক সিনেমায় ও টেলিফিল্মে অভিনয় করেছেন । শুরুতেই বিটিভিতে ম্যাগাজিন “ত্রিভূনে ঈদ আনন্দ ” এ কমেডিয়ান পুলিশ চরিত্রে অভিনয় করেন। এর পর সৃষ্টি আর্ট লি. এর প্রয়োযোজনায় অডিশনের মাধ্যমে ৬টি ঐতিহাসিক নাটকে কাজ করার সুযোগ পান। সেগুলো হল-সমসের গাজী,আলাল- দুলাল,মহামায়ের প্রেম, মহাস্থানগড়, রামসাগর ও শাহজালাল। কাজ করেন একুশে টিভিতে আলভী হায়াৎ রাজের চার্জশীট রিপোর্টে কেন্দ্রীয় চরিত্রে,পরবর্তিতে ডিবি সিরিয়াল সহ অনেক সিরিয়ালে কাজ করেন কমবেশ এবং ডকুমেন্টারী, শর্টফিল্ম, বিজ্ঞাপন, ম্যাগাজিন, সিনেমা, টেলিফিল্মে পা রাখেন। পরিচালক দেওয়ান নাজমুলের হাজার পর্ব “সুয়োরানী -দুয়োরানী “নাটকে কাজ করেন, কাজ করেন একই পরিচালকের” ক্ষুদিরাম” সিনেমায়।

    তরুণ কান্তি সরকার বর্তমান সময় নিজের “আর্ট সার্কেল” নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন এবং আর্টের শিক্ষকতা করছেন। তিনি তার শিল্পকর্মের মাধ্যমে সব আর্টকে বৃত্তের মধ্যে সীমাবদ্ধ বুঝিয়েছেন। সেট ডিজাইন কাজ সহ ঘরে বসে তিনি ইলাস্ট্রেশন,লঘু ও প্রচ্ছদও আঁকেন এই শিল্পী। তিনি সকল আর্টের মধ্যে মানুষের প্রতিকৃতি আঁকতে বেশি আনন্দবোধ করেন । তার আঁকা-আঁকির হাতটা অনেক সূক্ষ ও নিখুত এক চান্সে বলা যেতে পারে। তাঁর বিশেষ গুণের কারনেই -“রহস্যময় মানব”-“রহস্যময়ী মানবী”-“প্রতীক্ষা”-“ক্ষুধা”-দি ইসমাইল”, এর মতো সারাজাগানো ছবি গুলোর জন্ম হয়েছে ।
    এখানেই শেষ নয়, ফিল্মে অভিনয় ও চিত্রাংকনের পাশা-পাশি মঞ্চ নাটকের প্রতিও ছিল তাঁর বিশেষ দুর্বলতা। নিজের দল “নাট-নালন্দা” এর সৌজন্যে ২৭বার মঞ্চস্ত নীল উপাখ্যান নামক নাটকটিতে তিনি কমেডিয়ান চরিত্রে অভিনয় করেছেন। শো করেছেন গাজী রাকায়েত, আসমা আক্তার লিজা ও মোমেনা চৌধুরীর সাথে অতিথী শিল্পী হয়েও। সাতক্ষীরা জেলার নাট্য সংগঠন থেকে পেয়েছেন বর্ষসেরা কমেডিয়ান অভিনেতা হিসেবে পুরুস্কার ও সনদ। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশের জাতীয় পাপেট দল,আবৃত্তি একাডেমি ও উজান গানের দলেও নিয়মিত সদস্য হিসেবে কাজ করেছেন।

    তরুণ চিত্রশিল্পী ও অভিনেতা তরুণ কান্তি সরকার জানান, শিল্পচর্চার জন্য যে ধরনের অর্থ ও পরিবেশ দরকার, তা কখনোই আমার ছিলনা । নানা প্রতিকুলতার মধ্যে কাজ করতে হয়েছে। কখনো হাল ছাড়িনি । সবচেয়ে বড় বিষয় হলো আমি-শুধু টাকার বিনিময় নয়, বরং অধিক ভালবাসা আর ব্যাপক চর্চার কারনে আঁকা-আঁকিতে আমি এ পর্যায়ে পৌঁছেছি। আর অভিনয়টাকেও আমি নেশা হিসেবে গ্রহন করেছি।
    ব্যস্ততম এই চিত্রশিল্পী আরো বলেন, শিল্পীদের আলাদা ছত্রছায়া খুবই দরকার । শিল্পীর দেশে শিল্পী বাঁচলে দেশ আরও সুন্দর ও এগিয়ে যাবে । তবে আমরা অবগত আছি যে, কিভাবে শিল্প উন্নয়ন বিকাশ ঘটানো যায় সে বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ব্যাপক চেষ্টা চালাচ্ছেন, এজন্য তাকে আমি শ্রদ্ধার সাথে সাধুবাদ জানাই ।সামনে কোন কাজ আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঈদের আগে ৪টি শর্ট ফ্লিম শেষ করেছি সামনে -২টি সিনেমা, ১টি টেলিফ্লিম ও ১টি বিজ্ঞাপন কাজের কথা চলছে। পরিশ্রমী, আত্মবিশ্বাসী ও ধৈর্যশীল। প্রতিভাবান এই তরুণ কান্তি সরকার সকলের সহযোগিতা কামনা করেন এবং ক্যারিয়ারকে আরও এগিয়ে নিতে চান।

  • শহীদ জননী জাহানারা ইমামের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

    শহীদ জননী জাহানারা ইমামের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

    শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ২৫তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। বরেণ্য এই নেত্রী ১৯৯৪ সালের ২৬ জুন দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। এই মহীয়সীর নেতৃত্বে গত শতকের নব্বইয়ের দশকে গড়ে ওঠে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য তীব্র আন্দোলন। তিনি একাধারে ছিলেন মুক্তিযোদ্ধার গর্বিত জননী, বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও সংগঠক। অন্যদিকে জাহানারা ইমাম ছিলেন ক্র্যাক প্লাটুন গেরিলা যোদ্ধা শহীদ শফি ইমাম রুমীর মা।

    বিচারের কাঠগড়ায় যুদ্ধাপরাধীদের দাঁড় করাতে সেই আন্দোলনের সূচনা করে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। বহু ঘাত-প্রতিঘাত অতিক্রম করে আজ তা বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়েছে। একাত্তরের হারিয়ে ছিলেন প্রিয় সন্তান শফি ইমাম রুমীকে। এছাড়া তার স্বামী শরীফ ইমামও মুক্তিযুদ্ধের সময় ইন্তেকাল করেন।

    ১৯৯১ সালের ২৯ ডিসেম্বর গোলাম আযমকে জামায়াতে ইসলামী তাদের দলের আমীর ঘোষণা করলে বাংলাদেশে জনবিক্ষোভের সূত্রপাত হয়। বিক্ষোভের অংশ হিসাবে জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে ১৯৯২ সালের ১৯ জানুয়ারি ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি গঠন করা হয়। তিনি হন এর আহ্বায়ক।

    পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা-বিরোধী প্রতিরোধ মঞ্চ, ১৪টি ছাত্র সংগঠন, প্রধান রাজনৈতিক জোট, শ্রমিক-কৃষক-নারী এবং সাংস্কৃতিক জোটসহ ৭০টি সংগঠনের সমন্বয়ে ১১ ফেব্রুয়ারি গঠন করা হয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল জাতীয় সমন্বয় কমিটি। এর আহ্বায়ক নির্বাচিত হন জাহানারা ইমাম। তার নেতৃত্বেই এই কমিটি ১৯৯২ সালের ২৬ মার্চ গণআদালতের মাধ্যমে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গোলাম আযমের ঐতিহাসিক বিচার সম্পাদন করা হয়। 

    ১২ জন বিচারকের সমন্বয়ে গঠিত গণআদালতের চেয়ারম্যান শহীদ জননী জাহানারা ইমাম গোলাম আযমের ১০টি অপরাধ মৃত্যুদণ্ডযোগ্য বলে ঘোষণা করেন। তার এই প্রতীকী বিচারের পরে দেশব্যাপী এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। তৎকালীন সরকারের বিরোধিতা জেল-জুলুম সহ্য করে তিনি এই আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন। আন্দোলন চলাকালীন তার ক্যান্সার আরো বেড়ে যায়। আমেরিকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

    জাহানারা ইমাম ১৯২৯ সালে বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলায় এক রক্ষণশীল বাঙালি মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বিখ্যাত উপন্যাস ‘একাত্তরের দিনগুলো’ আজও আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বাস্তবচিত্রের এক জলন্ত দলিল।

  • তিন বছরে মহারাষ্ট্রে ১২ হাজার কৃষকের আত্মহত্যা


    ২০১৫ সাল থেকে ২০১৮ সাল। গত তিন বছরে খরাসহ বিভিন্ন সমস্যার জেরে ভারতের মহারাষ্ট্রে প্রায় ১২ হাজার কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। শনিবার এমন তথ্য দিয়েছেন রাজ্যের বিধায়ক সুভাষ দেশমুখ। সংবাদ সূত্র : ইনডিয়া টাইমস

    বিরোধী বিধায়কের প্রশ্নের জবাবে এদিন মহারাষ্ট্রের ত্রাণ ও পুনর্বাসনমন্ত্রী সুভাষ দেশমুখ লিখিত উত্তরে জানান, গত তিন বছরে মহারাষ্ট্রে মোট ১২ হাজার ২১ জন কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। যার মধ্যে ছয় হাজার ৮৮৮টি ঘটনার তদন্ত করছে সরকারের বিশেষ কমিটি। একই সঙ্গে আরও ছয় হাজার ৮৪৫ জন কৃষকের পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে এক লাখ রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়েছে।

    সুভাষ জানান, চলতি বছর জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত মহারাষ্ট্রে আত্মহত্যা করেছেন ৬১০ জন কৃষক। যার মধ্যে ১৯২ জন আত্মঘাতী কৃষকের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, কৃষক-মৃতু্য ঠেকাতে এরই মধ্যে মহারাষ্ট্রে বিজেপি সরকার বহু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তারপরও শুধু ঔরঙ্গাবাদে গত চার বছরে মোট চার হাজার ১২৪ জন কৃষক আত্মহত্যা করেছেন।

  • কাজী আরেফ আহমেদকে অচেনা বলে আমুর কটাক্ষের প্রতিবাদ জানিয়েছে জাসদ

    কাজী আরেফ আহমেদকে অচেনা বলে আমুর কটাক্ষের প্রতিবাদ জানিয়েছে জাসদ


    গত ২২ জুন ২০১৯, শনিবার প্রকাশিত বাংলাদেশ প্রতিদিনের ১ম পৃষ্ঠায় কলামে পীর হাবিবুর রহমানের ইতিহাসের মুখোামুখি আমির হোসেন আমুর জবানীতে “রাজ্জাক তো সিরাজের বিরোধী করেছিলেন, অচেনা আরেফকে নিয়ে নিউক্লিয়াস হয় কী করে?” শীর্ষক প্রতিবেদনটির প্রতি আমাদের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে। এ ব্যাপারে আমাদের বক্তব্য হলো:
    বাংলাদেশ প্রতিদিনে আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমুর সাক্ষাৎকারে জাতীয় বীর বাঙালি জাতীয়তাবাদী সংগ্রাম-স্বাধীকার সংগ্রাম-স্বাধীনতা সংগ্রাম-মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক কাজী আরেফকে অচেনা কাজী আরেফ বলে কটাক্ষ করার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা করছি। আমরা মনে করি, যাদের ইতিহাসে গৌরবোজ্জল অবস্থান নেই তাদের কাছে কাজী আরেফ অচেনা। আজকের প্রধানমন্ত্রী ৬০ দশকে ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের অন্যতম নেত্রী ও ৬৬-৬৭ শিক্ষাবর্ষে ইডেন কলেজ ছাত্রী সংসদের নির্বাচিত ভিপি শেখ হাসিনা খুব ভাল করেই কাজী আরেফকে চিনতেন, তার ভূমিকা সম্পর্কে জানতেন। তাই ১৯৯৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি কাজী আরেফ আহমেদকে হত্যার পর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার অস্ট্রেলিয়ায় রাষ্ট্রীয় সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফিরে আসেন এবং কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কাজী আরেফ আহমেদের কফিনে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা কবরস্থানে সমাধিস্থ করার নির্দেশ দেন।
    কাজী আরেফ আহমেদ ১৯৬০ সালে জগন্নাথ কলেজে ভর্তি হন এবং ১৯৬২ সালে হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের মাধ্যমে ছাত্র রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। সে বছরই তিনি পূর্বপাকিস্তান ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৬৩ সালে ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালে বাঙালির মুক্তির সনদ ৬ দফা ঘোষণা করলে এ সময় ছাত্রলীগ ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি কাজী আরেফ আহমেদ সর্বপ্রথম ৬ দফার সমর্থনে ঢাকায় মিছিল বের করেন। ১৯৭০ সাল পর্যন্ত তিনি ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদের সদস্য ছিলেন।

    বিএলএফ/মুজিব বাহিনীর দক্ষিণ অঞ্চলীয় কমান্ডের ব্যারাকপুরস্থ হেড কোয়ার্টার থেকে অধিনায়ক অধিনায়ক তোফায়েল আহমেদ, উপ অধিনায়ক নুর আলম জিকুর সাথে মিলে কাজী আরেফ আহমেদ হাজার হাজার গেরিলা মুক্তিযোদ্ধাকে পরিচালনা করেছেন এবং চার অঞ্চলের অধিনায়ক ও উপ অধিনায়কদের সাথে সমন্বয় করেছেন। স্বাধীকার-স্বাধীনতা সংগ্রাম-মুক্তিযুদ্ধে প্রকাশ্যে সামনের কাতারে দাঁড়িয়ে কাজী আরেফ আহমেদ যে বীরত্বপূর্ণ দুঃসাহসিক ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছেন। ৬০ দশকের ছাত্রলীগের হাতে গোনা গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন নেতার মধ্যে অন্যতম কাজী আরেফ আহমেদকে অচেনা বলা বা না চেনার ভান করা সেই সময়ে কোনো ছাত্রলীগ নেতা বা কর্মীর জ্ঞানপাপ ও মিথ্যাচার ছাড়া আর কিছুই নয়। আর সত্যি সত্যি না চিনে থাকলে বলতে হয়, তিনি আর যাইহোক মন দিয়ে ঐ সময় ছাত্রলীগ করেননি বা ছাত্রলীগে থাকলেও মনে মনে পাকিস্তানপন্থী ছিলেন- যার কাছে শুধু কাজী আরেফ আহমেদই নয় পুরো ছাত্রলীগই অচেনা ছিল।

    কাজী আরেফ আহমেদ বাংলাদেশের রাজনীতির আকাশে চির উজ্জ্বল ধ্রুবতারা। বাঙালি জাতীয়তাবাদী সংগ্রাম-স্বাধীকার সংগ্রাম-স্বাধীনতা সংগ্রাম-মুক্তিযুদ্ধে তার কিংবদন্তীতুল্য অবদান অস্বীকার করা মানেই জাতির সবচাইতে গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসকেই অস্বীকার করা। স্বাধীন বাংলাদেশেও জাসদ গঠন করে সমাজবিপ্লবের লক্ষ্যে বিপ্লবী সংগ্রাম পরিছারনা করা, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ‘মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ-বিপক্ষ শক্তির দ্বন্দ্বকে রাজনীতির প্রধান দ্বন্দ্ব হিসাবে নির্ধারণ করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির বৃহত্তর রাজনৈতিক ঐক্য ও সামরিক শাসন-সাম্প্রদায়িকতা-ধর্মভিত্তিক রাজনীতির বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা-অসাম্প্রদায়িকতা-ধর্মনিরপেক্ষতার চেতনা ধারন করে ঐক্যবদ্ধ রাজনৈতিক সংগ্রাামের মৌলিক রাজনৈতিক তত্ত্ব ও রাজনৈতিক পথ বিনির্মাণ করেন। তার এই রাজনৈতিক তত্ত্ব ও লাইনের ভিত্তিতেই ১৯৮০ সালে জিয়ার বিরুদ্ধে ১০ দলীয় জোট, ১৯৮৩ সালে এরশাদের বিরুদ্ধে ১৫ দলীয় জোট, ১৯৯২ সালে ঐতিহাসিক গণ আদালত ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও জামাত নিষিদ্ধের দাবিতে আন্দোলন গড়ে উঠে। এসব কিছু জানার পরও তার সমসাময়িককালের একজন রাজনীতিক কর্তৃক তার প্রতি কটাক্ষ অত্যন্ত দুঃখজনক। এ ধরনের নিম্ম রুচি ও ইতিহাসকে অস্বীকার করার অপচেষ্টা স্বাধীনতা বিরোধীদের খুশি করবে মাত্র।
    বার্তা প্রেরক

    আব্দুল্লাহিল কাইয়ূম
    দফতর সম্পাদক



  • ‘সমস্যা সমাধানে কাজ করবো’ রিভা গাঙ্গুলি দাশ ভোমরা ঘোজাডাঙ্গা বন্দর আকষ্মিক পরিদর্শনে ভারতীয় হাইকমিশনার


    নিজস্ব প্রতিনিধি। সাতক্ষীরার ভোমরা ও সংলগ্ন ভারতের ঘোজাডাঙ্গা বন্দর আকষ্মিক পরিদর্শন করে গেলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিমনার রিভা গাঙ্গুলি দাশ। এ সময় তার সাথে ছিলেন ডেপুটি হাই কমিশনার সুরেশ রায়না।
    ভোমরা বন্দর ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা জুয়েল হাসান জানান আজ সোমবার সকাল সাড়ে নয়টায় ভারতীয় হাইকমিশনার ভোমরা বন্দরে আসেন। কয়েক মিনিট পর তিনি ওপারে ঘোজাডাঙ্গা বন্দরও পরিদর্শন করেন।
    পরিদর্শনকালে তিনি কর্মকর্তা যাত্রী সাধারণ ও ব্যবসায়ীদের কাছে সমস্যার কথা জানতে চান। এ সময় তাকে জানানো হয় বাংলাদেশের রোগীরা চিকিৎসার জন্য ভারতে যান। কিন্তু ফিরবার সময় তাদের কাছে ওষুধপত্র ও ব্যবহৃত লাগেজ বিএসএফ আনতে বাধা দেয়। এমনকি তাদের পায়ে হেঁটে আসার অক্ষমতার বিষয়টি বিবেচনা করে কোনো সাধারন যানবাহনও তাকে ব্যবহার করতে দেওয়া হয়না। অভিযোগ করে তারা আরও বলেন বিএসএফ ভারতীয় এবং বাংলাদেশি শ্রমিকদের আসা যাওয়ার পথেও নানা প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে। প্রকৃতপক্ষে আমদানি রফতানি বানিজ্যের স্বার্থে এসব শ্রমিকদের প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন কর্মকর্তারা। ভারতীয় এলাকা থেকে আসা পণ্যবাহী ট্রাক শ্রমিকরা ভোমরা ট্রাক টার্মিনালে প্রবেশ করলেই শৌচাগার ব্যবহার বাবদ তাদের টাকা গুনতে হয় । প্রতিদিন তাদের কাছ থেকে গড় পড়তা পাঁচ শ’ গাড়ি থেকে ২০ টাকা হিসাবে দশ হাজার টাকা আদায় করা হয় বলে অভিযোগ করা হয়।
    ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা জুয়েল হাসান আরও জানান ভারতের দেওয়া বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের ভিসায় নির্দিষ্ট রুট উল্লেখ করা হয়। অথচ বাংলাদেশের দেওয়া ভারতীয় পাসপোর্টধারীদের ভিসায় কোনো রুট উল্লেখ থাকে না। এই বৈষম্য দুর না হওয়ায় যাত্রী সাধারণ নানা সমস্যায় পড়েন বলে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া ভারত ভ্রমণে যাত্রী সাধারনের কিছু ব্যবহার্য মালামাল এবং আত্মীয স্বজনদের দেওয়া উপহার সামগ্রী বহনে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ বিশেষ করে বিএসএফ বাধা দেয়। এতে বাংলাদেশি রোগী এবং দুই দেশের ভিজিটররা বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে যান।
    ভারতীয় হাই কমিশনার ভারতের ঘোজাডাঙ্গা বন্দরে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা প্রশান্ত ঘোষ ও পাসপোর্ট যাত্রীদের সাথে তাদের সমস্যা নিয়ে কথা বলেন। তিনি দুই বন্দরের সমস্যা চিহ্ণিত করে তা সমাধানের জন্য কাজ করবেন বলে উল্লেখ করেন।