Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
বিশেষ সংবাদ Archives - Page 54 of 74 - Daily Dakshinermashal

Category: বিশেষ সংবাদ

  • সাতক্ষীরায় ‘জাসদ’র প্রতিনিধি সভা- সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য রাষ্ট্রকে রাজনৈতিক চুক্তি করতে হবে জনগণের সাথে, রাজনৈতিক দলের সাথে

    সাতক্ষীরায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির পুরাতন ভবনে খুলনা জেলা, মহানগর ও সাতক্ষীরা জেলা জাসদের নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    প্রতিনিধি সভায় সভাপতিত্ব করেন সাতক্ষীরা জেলা জাসদের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আশেক-ই এলাহী। বক্তব্য রাখেন জাসদ কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা শফি উদ্দীন মোল্যা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান চুন্নু, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ হোসেন, জনসংযোগ বিষয়ক সম্পাদক শরিফুল কবির স্বপন, সহ-সম্পাদক শেখ ওবায়েদু সুলতান বাবলু , সাতক্ষীরা জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন লস্কর শেলী, কলারোয়া উপজেলা সভাপতি আনোয়ার হোসেন, তালা উপজেলা সভাপতি বিশ্বাস আবুল কাশেম, দেবহাটা উপজেলার সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওহাব, যুবজোটের সাধারন সম্পাদক মিলন ঘোসাল প্রমুখ।

    প্রতিনিধি সভায় বক্তারা বলেন, দেশের শাসন-প্রশাসনে সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে। সুশাসন নিশ্চিতের জন্য প্রয়োজন রাজনৈতিক চুক্তি। রাষ্ট্রকে রাজনৈতিক চুক্তি করতে হবে জনগণের সাথে, রাজনৈতিক দলের সাথে।

    বক্তারা আরো বলেন, প্রশাসনের ভূমিকা ও জনগণের সমর্থনে জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস-সহিংসতা-অন্তর্ঘাত-নাশকতা-আগুন সন্ত্রাস-অশান্তির রাজনীতি কোনঠাসা হয়েছে। দেশ শান্তি-স্থিতিশীলতা-উন্নয়ন-উৎপাদনের পথে এগিয়ে চলেছে। দেশের সাধারণ মানুষ এর সুফল ভোগ করছে। কিন্তু দুর্নীতি, লুটপাট, দলবাজী, ক্ষমতাবাজী, চাঁদাবাজী, ক্ষমতার অপব্যবহার, গুন্ডামী, নারী ও শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ, মাদকের দাপটসহ সামাজিক অনাচার-অবিচার আশংকাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ক্ষেত্র বিশেষে অপরাধীরা রাজনৈতিক ক্ষমতার মদদপুষ্ট হয়ে প্রশাসনিক আশ্রয়-প্রশ্রয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। বহুক্ষেত্রেই প্রশাসন দল দেখে, মুখ দেখে চলছে। সাধারণ মানুষের ন্যায়-বিচার ও প্রতিকার পাবার অধিকার নিশ্চিত করতে পারছে না। মানুষের মধ্যে হতাশা ও বিষন্নতা তৈরি হচ্ছে। সমাজে বৈষম্য বেড়েছে। বৈষম্য ও বঞ্চনার শিকার সাধারণ মানুষ বিপন্ন বোধ করছে। সামাজিক অস্থিরতা ও অসহিষ্ণুতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশের এ পরিস্থিতি কারোই কাম্য নয়।

    জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ তাই বহু কষ্টে অর্জিত শান্তি-স্থিতিশীলতা-উন্নয়ন-উৎপাদনের ধারায় দেশকে এগিয়ে নিতে শাসন-প্রশাসনে সুশাসন নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছে।

    এসময় বক্তারা দেশে চলমান শুদ্ধি অভিযানের প্রশংসা করে বলেন, দুর্নীতিবাজ, লাটপাটকারীদের শাস্তির আওতায় আনতে সরকার শুদ্ধি অভিযান চালাচ্ছে। আমরা সরকারের এ পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানায়। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে শুদ্ধি অভিযান যেন শুধুমাত্র লোক দেখানো না হয়। শুধু চুনো পুটিদের ধরলে হবে না প্রশাসন ও রাজনৈতিক দলের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা দুর্নীতিবাজসহ সব স্তরের রাঘব বোয়ালদের ধরতে হবে।

    সভা সঞ্চালানা করেন সাতক্ষীরা জেলা জাসদের কার্যকরী সদস্য শেখ জাকির হোসেন। প্রতিনিধি সভায় খুলনা জেলা, মহানগর ও সাতক্ষীরা জেলা জাসদ, কৃষক জোট, যুব জোট এবং ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

  • সাতক্ষীরায় ‘জাসদ’র প্রতিনিধি সভা- রাষ্ট্রকে রাজনৈতিক চুক্তি করতে হবে জনগণের সাথে, রাজনৈতিক দলের সাথে


    সাতক্ষীরায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির পুরাতন ভবনে খুলনা জেলা, মহানগর ও সাতক্ষীরা জেলা জাসদের নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    প্রতিনিধি সভায় সভাপতিত্ব করেন সাতক্ষীরা জেলা জাসদের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আশেক-ই এলাহী। বক্তব্য রাখেন জাসদ কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা শফি উদ্দীন মোল্যা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান চুন্নু, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ হোসেন, জনসংযোগ বিষয়ক সম্পাদক শরিফুল কবির স্বপন, সহ-সম্পাদক শেখ ওবায়েদু সুলতান বাবলু , সাতক্ষীরা জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন লস্কর শেলী, কলারোয়া উপজেলা সভাপতি আনোয়ার হোসেন, তালা উপজেলা সভাপতি বিশ্বাস আবুল কাশেম, দেবহাটা উপজেলার সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওহাব, যুবজোটের সাধারন সম্পাদক মিলন ঘোসাল প্রমুখ।

    প্রতিনিধি সভায় বক্তারা বলেন, দেশের শাসন-প্রশাসনে সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে। সুশাসন নিশ্চিতের জন্য প্রয়োজন রাজনৈতিক চুক্তি। রাষ্ট্রকে রাজনৈতিক চুক্তি করতে হবে জনগণের সাথে, রাজনৈতিক দলের সাথে।

    বক্তারা আরো বলেন, প্রশাসনের ভূমিকা ও জনগণের সমর্থনে জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস-সহিংসতা-অন্তর্ঘাত-নাশকতা-আগুন সন্ত্রাস-অশান্তির রাজনীতি কোনঠাসা হয়েছে। দেশ শান্তি-স্থিতিশীলতা-উন্নয়ন-উৎপাদনের পথে এগিয়ে চলেছে। দেশের সাধারণ মানুষ এর সুফল ভোগ করছে। কিন্তু দুর্নীতি, লুটপাট, দলবাজী, ক্ষমতাবাজী, চাঁদাবাজী, ক্ষমতার অপব্যবহার, গুন্ডামী, নারী ও শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ, মাদকের দাপটসহ সামাজিক অনাচার-অবিচার আশংকাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ক্ষেত্র বিশেষে অপরাধীরা রাজনৈতিক ক্ষমতার মদদপুষ্ট হয়ে প্রশাসনিক আশ্রয়-প্রশ্রয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। বহুক্ষেত্রেই প্রশাসন দল দেখে, মুখ দেখে চলছে। সাধারণ মানুষের ন্যায়-বিচার ও প্রতিকার পাবার অধিকার নিশ্চিত করতে পারছে না। মানুষের মধ্যে হতাশা ও বিষন্নতা তৈরি হচ্ছে। সমাজে বৈষম্য বেড়েছে। বৈষম্য ও বঞ্চনার শিকার সাধারণ মানুষ বিপন্ন বোধ করছে। সামাজিক অস্থিরতা ও অসহিষ্ণুতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশের এ পরিস্থিতি কারোই কাম্য নয়।

    জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ তাই বহু কষ্টে অর্জিত শান্তি-স্থিতিশীলতা-উন্নয়ন-উৎপাদনের ধারায় দেশকে এগিয়ে নিতে শাসন-প্রশাসনে সুশাসন নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছে।

    এসময় বক্তারা দেশে চলমান শুদ্ধি অভিযানের প্রশংসা করে বলেন, দুর্নীতিবাজ, লাটপাটকারীদের শাস্তির আওতায় আনতে সরকার শুদ্ধি অভিযান চালাচ্ছে। আমরা সরকারের এ পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানায়। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে শুদ্ধি অভিযান যেন শুধুমাত্র লোক দেখানো না হয়। শুধু চুনো পুটিদের ধরলে হবে না প্রশাসন ও রাজনৈতিক দলের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা দুর্নীতিবাজসহ সব স্তরের রাঘব বোয়ালদের ধরতে হবে।

    সভা সঞ্চালানা করেন সাতক্ষীরা জেলা জাসদের কার্যকরী সদস্য শেখ জাকির হোসেন। প্রতিনিধি সভায় খুলনা জেলা, মহানগর ও সাতক্ষীরা জেলা জাসদ, কৃষক জোট, যুব জোট এবং ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

  • সাতক্ষীরা পা্উবোর ২০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ অধিক ঝুকিপূর্ণ। যে কোন সময় প্লাবিত হওয়ার আশংখা

    নিজস্ব প্রতিনিধি: পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বিভাগ-১ ও ২ এর আওতাধিন ৮০০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ। সিডর ও আইলায় ক্ষতিগ্রস্থ এসব বেড়িবাঁধে ব্যাপক ভাঙন ও ফাঁটল দেখা দিয়েছে। নদী ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করায় সিডর ও আইলা বিধ্বস্ত সাতক্ষীরার শ্যামনগর, আশাশুনি, কালিগঞ্জ ও দেবহাটা উপজেলার ভাঙন কবলিত এলাকার লক্ষাধিক মানুষ চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।
    বেড়িবাঁধ সংস্কার করা না হলে জোয়ারের তীব্র স্রোতে আশাশুনি, শ্যামনগর, কালিগঞ্জ ও দেবহাটা উপজেলার কপোতাক্ষ নদ, খোলপেটুয়া, ইছামতি ও বেতনা নদীর বেড়ি বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা পাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসি।
    পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, সাতক্ষীরা পাউবো বিভাগ-১ ও ২ এর অধীনে ১১ টি পোল্ডারে ৮০০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে প্রায় ৭০টি পয়েন্টে ২৫০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে ২০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ অধিক ঝুকিপূর্ণ। বেড়িবাঁধে ভাঙন শুরু হওয়ায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে নদীর তীরবর্তী অঞ্চলের লক্ষাধিক মানুষ।
    সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড বিভাগ- ১ ও ২ এর আওতাধীন আশাশুনি উপজেলার জেলেখালী, দয়ারঘাট, কেয়ারগাতি, চাকলা, বিছট, কাকবসিয়া, কোলা, হাজারাখালী, ঘোলা ত্রিমোহনী, হিজলিয়া, চন্ডিতলা ও বুধহাটার তেতুলতলা, দেবহাটা উপজেলার সুশীলগাতী, চরকোমরপুর, খারাট, টাউনশ্রীপুর ও ভাতশালা এবং শ্যামনগর উপজেলার পদ্মপুকুর, গাবুরা, কাশিমাড়ি, বুড়িগোয়ালিনী, মুন্সিগঞ্জ ও রমজাননগর ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি পয়েন্টে পাউবো’র বেড়িবাঁধে মারাত্মক ভাঙন দেখা দিয়েছে। যে কোন মুহূর্তে বেড়িবাঁধ ভেঙে এই তিন উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা পাবিত হয়ে লক্ষাধিক লোক পানি বন্দী হয়ে পড়বে। পানিতে তলিয়ে যাবে হাজার হাজার বিঘা চিংড়ি ঘের ও ফসলের ক্ষেত। উৎপাদন ব্যাহত হবে দেশের সাদা সোনা খ্যাত চিংড়ি।
    একইভাবে মারাত্মক ভাঙনের মুখে পড়েছে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার সীমান্ত নদী ইছামতি। সম্প্রতি উপজেলার সুশীলগাতী, চরকোমরপুর, টাউনশ্রীপুর ও ভাতশালা এলাকায় ইছামতি নদী‘র বেড়িবাঁধে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। ফলে ওই এলাকায় বসবাসরত মানুষজন চরম আতঙ্কে দিন কাঠাচ্ছে বলে জানা গেছে।
    সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবুল খায়ের জানান, তার বিভাগের অধিনে ৩৮০ কিলোমিটর বেড়িবাঁধ রয়েছে। এর মধ্যে কমপক্ষে ১০টি পয়েন্টে অধিক ঝুপিপূর্ন বেড়িবাঁধের পরিমান প্রায় ৮ কিলোমিটার এবং ঝুকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ ৩০ কিলোটারের মতো। তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ এসব বেড়িবাঁধ মেরামতের জন্য সম্প্রতি ২কোটি টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধগুলো দ্রুত সংষ্কারের উদ্যোগ নেয়া হবে।
    পাউবো বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফ উজ্জামান খান জানান, তার বিভাগের আওতাধীন ৪২০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ রয়েছে। এর মধ্যে ৬০টি পয়েন্টে ১২কিলোমিটার বাঁধ অধিক ঝুকিপূর্ণ এবং প্রায় ২০০ কিলোমিটার বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। চাহিদা অনুযায়ী বরাদ্দ না আসায় এসব বেড়িবাঁধ তেমনভাবে মেরামত করা সম্ভব হচ্ছেনা। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় টেকসহি বাঁধ নির্মাণের লক্ষ্যে পাউবো বিভাগ-২ এর অধিনে ৭/১, ৭/২ ও ১৩-১৪/১ এবং ১৩-১৪/২ নং পোল্ডারের ভাঙ্গন কবলিত ৩৪টি পয়েন্টে বাঁধ সংস্কারের জন্য ইতিমধ্যে ৪কোটি টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। চাহিদার বিপরিতে বরাদ্দের পরিমান এতোই নগন্য যে তা দিয়ে যতসামান্য কিছু করা ছাড়া কোনো উপায় থাকে না। আরো প্রয়োজনীয় বরাদ্দ চেয়ে পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে পর্যায়ক্রমে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধসমূহ মেরামত করা হবে বলে তিনি জানান।

  • লাবসায় জমাটবদ্ধ পানি অপসারণে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিলেন সদর এসিল্যান্ড

    নিজস্ব প্রতিবেদক :
    সাতক্ষীরা সদর উপজেলার লাবসা ইউনিয়নের ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের একাংশে জমাটবদ্ধ পানি অপসারণে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিলেন সদর সহকারী কমিশনার(ভূমি) রনি আলম নুর। বুধবার সকাল ১১টায় জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামালের নির্দেশে জলাবদ্ধতা নিরসনে সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকৌশলে, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে অভিযানে যান তিনি।
    এসময় জানা যায়, অল্প বৃষ্টিতেই সাতক্ষীরা সদর উপজেলার লাবসা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের একাংশে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। বাড়ির উঠান ও কাঁচা রাস্তা পানিতে ডুবে যায়। জমাটবদ্ধ পানি অপসারণের জন্য একটি ড্রেন থাকলেও তা মহাসড়কের কাছে এসে অসম্পূর্ণ থেকে যায়। তারপর দীর্ঘ জায়গা পাকা দোকানঘর থাকার কারণে বর্ষার পানি পার্শ্ববর্তী খালে যাওয়ার সুযোগ নেই দেখে জলাবদ্ধতা দূরীকরণে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেন তিনি।
    একজন ব্যক্তি জনস্বার্থে তাঁর ব্যক্তিগত জমির উপর দিয়ে তাৎক্ষনিক পানি অপসারণের জন্য রাজি হন। তবে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা হিসেবে মহাসড়কের পাশে অবস্থিত দোকান ঘরের সামনে দিয়ে ড্রেন নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে এ ড্রেন নির্মাণের জন্য অনুরোধ জানান সদর এসিল্যান্ড রনি আলম নুর।
    এসময় উপস্থিত ছিলেন, নাগরিক আন্দোলন মঞ্চ, সাতক্ষীরার সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান মাসুম, স্থানীয় ইউপি মেম্বর মনিরুল ইসলাম, সংরক্ষিত মহিলা মেম্বর ফেরদৌস ইসলাম মিষ্টি, নাগরিক আন্দোলন মঞ্চ, সাতক্ষীরার প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমির হোসেন খান চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক এম. বেলাল হোসাইন প্রমুখ।

  • সাতক্ষীরায় ৪০ কেজি পঁচা ইলিশ মাছ বিনষ্ট ॥ দুই ব্যবসায়ীকে জরিমানা

    নিজস্ব প্রতিনিধি :
    সাতক্ষীরায় পঁচা ইলিশ মাছ বিক্রির অভিযোগে দুই মাছ ব্যবসায়ীকে ৪ হাজার জরিমানা ও প্রায় ৪০ কেজি পঁচা ইলিশ মাছ বিনষ্ট করা হয়েছ। মঙ্গলবার সকালে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মোস্তফা কামাল মহোদয়ের নির্দেশে সাতক্ষীরা বড় বাজারে পঁচা ইলিশ মাছ বিক্রির অভিযোগে উপর মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট স্বজল মোল্লা। এ সময় পঁচা মাছ বিক্রির অপরাধে দুইজন মাছ বিক্রেতাকে ৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া পঁচা প্রমানিত হওয়ায় প্রায় ৪০ কেজি পঁচা ইলিশ মাটিতে গর্ত করে বিনিষ্ট করা হয়।
    একইসাথে সব মাছ বিক্রেতাকে পঁচা মাছ যাতে বিক্রি না করে সে ব্যাপারে সর্তক করা হয়।
    নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট স্বজল মোল্লা বলেন, নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে আজ সাতক্ষীরা বড় বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


    ২৭.০৮.২০১৯

  • মাগুরায় পানি অপসারনের দাবিতে মানববন্ধন

    নিজস্ব প্রতিনিধি : অতিবর্ষণে ডুবে গেছে সাতক্ষীরার নি¤œাঞ্চল। ভরাট হয়ে যাওয়া নদী খাল ও নালাগুলির পানি প্রবাহ সচল না থাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে বিস্তীর্ন অঞ্চল জুড়ে। এ ছাড়া অপরিকল্পিত চিংড়ি চাষ করতে ইচ্ছা মতো বেড়ি বাঁধ দিয়ে পানি প্রবাহ আটকে রাখায় পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারন করেছে।
    সাতক্ষীরা সদর উপজেলার লাবসা ইউনিয়নের মাগুরা, দাসপাড়া, ঈদগাহ এলাকা,কৈখালি ও খেজুরডাঙ্গি গ্রামের পাঁচ হাজার পরিবারের বাড়িঘর ফসলী ক্ষেত এখন পানির নিচে। তাদের বাড়িতে বাড়িতে পানি। পানির কারণে তাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। জেলা প্রশাসন পানি নিষ্কাশনের জন্য পরিকল্পনা হাতে নিলেও এখনও তা সুফল দেয়নি। ফলে প্রতিদিনের বৃষ্টির সাথে সাথে পানির মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় জনজীবন আরও বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে।
    পানি অপসারনের দাবিতে মঙ্গলবার বিকালে শহরতলির মাগুরা পশ্চিমপাড়া মসজিদের পাশে সড়ক ধারে শত শত মানুষ সমবেত হয়ে এক প্রতিবাদী মানববন্ধনে অংশ নেন। স্থানীয় এলাকাবাসীর আয়োজনে মানব বন্ধনে সভাপতিত্ব করেন ডা. শহিদুল ইসলাম। এতে দ্রুত পানি অপসারন করে জনগনের ভোগান্তি দুরীকরণে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহবান জানিয়ে বক্তব্য রাখেন নাগরিক মঞ্চ সভাপতি অ্যাডভোকেট ফাহিমুল হক কিসলু, প্রবীন সাংবাদিক সুভাষ চৌধুরী, অধ্যক্ষ সুভাষ সরকার, মো. ইকবাল লোদী , ডা. ইউসুফ আলি, ফসিয়ার রহমান, আফসার আলি, মুনজি খাতুন প্রমূখ। এক সপ্তাহের আলটিমেটাম দিয়ে তারা বলেন এর মধ্যে খাল নদী থেকে নেট পাটা তুলে দিয়ে অবৈধ বেড়ি বাঁধ কেটে দিতে হবে। অবিলম্বে পানি নিষ্কাশন না করা হলে জনগন বৈধ ও অবৈধ বেড়ি বাঁধ কেটে দিতে বাধ্য হবে।


  • সাতক্ষীরায় শ্রমিক মারপিট ॥ প্রতিবাদে জেলার সকল রুটে বাস চলাচল বন্ধ

    নিজস্ব প্রতিনিধি :
    সাতক্ষীরায় বাস শ্রমিকদের মারপিটের প্রতিবাদে জেলার সকল রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে শ্রমিকরা। সুষ্ঠ সমাধান না হওয়া পর্যন্ত বাস চলাচল বন্ধ থাকবে বলে হুশিয়ারি উচ্চারন করেছেন বাস মালিক সমিতি। এদিকে জেলা ব্যাপি বাস চলাচল বন্ধ হওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।
    মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে জেলার সকল রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে শ্রমিকরা।
    জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি সাইফুল করিম সাবু জানান, সাতক্ষীরা আশাশুনি সড়কে পুরাতন সাতক্ষীরা নামকস্থানে ২৬ আগষ্ট বাস নং ৩৩৯ গাড়িটির কন্টাকটার লিটন হোসেনকে মারপিট করে আহত করে স্থানীয় যুবকরা। আজ ২৭ আগষ্ট আবার একই রুটে ৩২৭৬ নং গাড়ির কন্টাকটার আসাদকে ব্যাপক মারপিট করে আহত করে একই এলকার যুবকরা। আহতরা মারাত্মক আহত অবস্থায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
    তিনি আরও বলেন জেলায় প্রায় সকল রুটে এমন ঘটনা ঘটলেও মালিক সমিতির পক্ষ থেকে অভিযোগ দিলেও আজও পর্যন্ত একটি ঘটনার সুষ্ঠ সমাধান না হওয়ায় শ্রমিকরা এ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে বলে তিনি জানান।
    সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এ ঘটনায় কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

  • সাতক্ষীরায় শ্রমিক মারপিট ॥ প্রতিবাদে জেলার সকল রুটে বাস চলাচল বন্ধ

    নিজস্ব প্রতিনিধি :
    সাতক্ষীরায় বাস শ্রমিকদের মারপিটের প্রতিবাদে জেলার সকল রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে শ্রমিকরা। সুষ্ঠ সমাধান না হওয়া পর্যন্ত বাস চলাচল বন্ধ থাকবে বলে হুশিয়ারি উচ্চারন করেছেন বাস মালিক সমিতি। এদিকে জেলা ব্যাপি বাস চলাচল বন্ধ হওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।
    মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে জেলার সকল রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে শ্রমিকরা।
    জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি সাইফুল করিম সাবু জানান, সাতক্ষীরা আশাশুনি সড়কে পুরাতন সাতক্ষীরা নামকস্থানে ২৬ আগষ্ট বাস নং ৩৩৯ গাড়িটির কন্টাকটার লিটন হোসেনকে মারপিট করে আহত করে স্থানীয় যুবকরা। আজ ২৭ আগষ্ট আবার একই রুটে ৩২৭৬ নং গাড়ির কন্টাকটার আসাদকে ব্যাপক মারপিট করে আহত করে একই এলকার যুবকরা। আহতরা মারাত্মক আহত অবস্থায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
    তিনি আরও বলেন জেলায় প্রায় সকল রুটে এমন ঘটনা ঘটলেও মালিক সমিতির পক্ষ থেকে অভিযোগ দিলেও আজও পর্যন্ত একটি ঘটনার সুষ্ঠ সমাধান না হওয়ায় শ্রমিকরা এ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে বলে তিনি জানান।
    সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এ ঘটনায় কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

  • সাতক্ষীরা আইনজীবী সমিতির লাইব্রেরী ভাংচুরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ

    সাতক্ষীরা আইনজীবী সমিতির লাইব্রেরী ভাংচুরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ

    নিজস্ব প্রতিনিধি। ১৮৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত সাতক্ষীরা আইনজীবী সমিতির পুরাতন ভবনের লাইব্রেরী ভাংচুর ও তছনছ করার অভিযোগ এনেছে সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতি।
    সোমবার এ বিষয়ে এক জরুরি সভার মাধ্যমে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তারা এদিন কলম বিরতি পালন করেন। পরে শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে আইনজীবীরা জানিয়েছেন যে বা যারা এর সাথে জড়িত তাদের চিহ্নিত করে আইনে সোপর্দ করতে হবে।
    সাধারণ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল করে বক্তারা বলেন ১৪৮ বছর ধরে দখলে থাকা এই ভবন এখন আইনজীবী সমিতির লাইব্রেরী হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। গত ২১ আগস্ট রাতে কে বা কারা এই ভবনের ভেতরের সব আসবাবপত্র ভাংচুর করেছে। তালা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে দরজা জানালা আলমারি শোকেজ ভাংচুর ও বইপত্র তছনছ করে গেছে। এমনকি মূল্যবান কাগজপত্রও লন্ডভন্ড করে দিয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহ্ণিত করার জোর দাবি জানিয়ে তারা বলেন সেখানে রাতভর পুলিশের লোক পাহারায় থাকে। তা সত্ত্বেও এ ঘটনা কিভাবে ঘটলো তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আইনজীবীরা। তারা জানান এই ভবন ভেঙ্গে সেখানে সাততলা ভবন নির্মানের সরকারি অনুমোদন পাওয়া গেছে। অথচ সেই সাইনবোর্ডটিও সরিয়ে ফেলেছে রাতের দুর্বৃত্তরা।
    জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ্অ্যাডভোকেট শাহ আলম বলেন এই ভবনের জমি নিয়ে পুলিশের সাথে মামলা চলছে। এ মামলায় সমিতি গত ৮ আগস্ট অনুকূল রায়ও পেয়েছে। এর মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যে এমন ঘটনা কেনো ঘটলো তার তদন্ত ও প্রতিকার চান তারা। সাধারন সভা ও বিক্ষাভ মিছিলে তারা এক মাসের আলটিমেটাম দিয়ে বলেন ‘কালেকটরেট চত্বরে জজ আদালত ও জুডিসিয়াল আদালতের মধ্যে যে প্রাচীর দেওয়া হয়েছে তা ভেঙ্গে চলাচলের পথ বের করে দিতে হবে। একই সাথে পুরাতন আইনজীবী সমিতির লাইব্রেরী ভবনে ভাংচুর ও তছনছের সাথে জড়িতদের আইনে সোপর্দ করতে হবে’। এর অন্যথা হলে আইনি লড়াই ছাড়াও আইনজীবীরা কলম ছেড়ে রাজপথে নামতে বাধ্য হবেন।
    সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফা, অ্যাডভোকেট আবুল হোসেন, অ্যাডভোকেট আবদুল মজিদ, অ্যাডভোকেট তপন কুমার দাস, অ্যাডভোকেট সরকার যামিনীকান্ত, অ্যাডভোকেট সৈয়দ ইফতেখার আলি, অ্যাডভোকেট ওসমান গনি, অ্যাডভোকেট অ্যাডভোকেট আমজাদ হোসেন, অ্যাডভোকেট মো. ইউনুস আলি, অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান দিলু প্রমূখ।

  • সাতক্ষীরা থেকে সাইকেলে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে ৮৪ বছরের জয়নাল

    সাতক্ষীরা থেকে সাইকেলে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে ৮৪ বছরের জয়নাল

    নিজস্ব প্রতিনিধি : হালকা পাতলা শরীর। মাথায় কাঁচা পাকা চুল। শে^ত শুভ্র শ্মশ্রু চোখের ভ্রু। গায়ের চামড়া ঝুলে গেছে। তবু মনের জোরই তার কাছে বড়। দেহে শক্তিরও কমতি নেই। এ অবস্থায় সাইকেলে রাজশাহী যাবেন ৮৪ বছরের বৃদ্ধ জয়নাল আবেদিন।
    সাথে কয়েকটি রুটি, কিছু চিড়া গুড় পানি। আছে স্যালাইন আর ব্যথার ট্যাবলেট। আরও আছে ছাতা ও একটি টর্চলাইটও। পকেটে সামান্য কিছু টাকা। এসব নিয়ে নিজের বাইসাইকেলে জয়নাল আবেদিন উত্তরবঙ্গের উদ্দেশ্যে সাতক্ষীরা ছেড়েছেন।
    আজ সোমবার ভোরে তার গ্রাম সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কাওনডাঙ্গা থেকে সাইকেলে চেপে রওনা হয়েছেন তিনি। বৃদ্ধ জয়নাল ২০০৪ সাল থেকে প্রতিবছরই যান রাজশাহীতে। ২৭৫ কিলোমিটারেরও বেশি দুরে অবস্থিত বিভাগীয় সিটি রাজশাহী তার গন্তব্যস্থল। সেখানে আহলে হাদিসের ইজতেমা অথবা কর্মী সম্মেলনকে লক্ষ্য করেই তার এই সাইেকেলযাত্রা অভিযান।
    কষ্ট হয় কিনা জানতে চাইলে জয়নাল বলেন না কোনো কষ্ট হয় না। অসুবিধাও হয়না। বৃষ্টি নামলে থেমে থাকি। বৃষ্টি ছাড়লে আবার সাইকেল চড়ি। চলতি পথে রাত্রিকালিন যাত্রা বিরতি হয় কোনো মসজিদে অথবা মাদ্রাসায়। কর্মসূচি শেষে আগামি শনিবার জয়নাল বাড়ির উদ্দেশ্যে ফের রওনা হবেন রাজশাহী থেকে।
    জয়নাল আবেদিন সব বাধা বিপত্তি রোদ ঝড় বৃষ্টি মাথায় নিয়েও সাইকেলে চলেছেন। তিনি বলেন যতদিন শরীর চাইবে ততদিন এভাবেই রাজশাহী যাতায়াত করতে চান তিনি। মনের জোরই বেশি। আমার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ভালো, তাই কোনো কষ্ট বোধ নেই। বরং আনন্দ লাভ করি বললেন জয়নাল আবেদিন।

  • সাতক্ষীরায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে বাড়ি বাড়ি জেলা প্রশাসক

    সাতক্ষীরায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে বাড়ি বাড়ি জেলা প্রশাসক

    নিজস্ব প্রতিবেদক :
    ডেঙ্গু প্রতিরোধে বাড়ি বাড়ি পরিচ্ছন্নতা অভিযানে নেমেছেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল।
    শুক্রবার সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড থেকে এ অভিযান শুরু করেন। এসময় একেক ওয়ার্ডে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে অভিযান অব্যাহত রাখার নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসক।
    অভিযানে উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সাঈদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বদিউজ্জামান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাম্মী আক্তার, এন ডিসি দেওয়ান আকরামুলহক,জেলা তথ্য অফিসার মোজাম্মেল হক, কাউন্সিলর শেখ সফিক উদ্দ দৌলা সাগর, ফারহা দিবা খান সাথী, জ্যোন্সা আরা প্রমুখ।
    এসময় জেলা প্রশাসক বলেন, এডিস মশার প্রজনন ক্ষমতা নষ্ট করার জন্য এ অভিযান। বাড়ি,বাসা, অফিস, স্কুল, কলেজের ছাদ ও আশপাশ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করতে হবে। বিশেষ করে ডবের খোলা, ফুলের টব, প্লাস্টিকের পাত্র, ভাঙ্গা হাড়ি-পাতিল, ভাঙ্গা কলস, পরিত্যাক্ত টায়ার, এসি ও ফ্রিজের তলায় জমে থাকা পানি নিজ উদ্যোগে পরিস্কার করতে হবে। এডিস যাতে না জম্মাতে পারে তার জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, প্রতিটি বাড়ি বাড়ি এ অভিযান চালাতে হবে। একটি বাড়িও যেন বাদ না পড়ে। আশা করি আমরা সফল হবো।

  • সাতক্ষীরায় এ পর্যন্ত ৬৯ জন ডেঙ্গু রোগী সনাক্ত

    নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ যতই দিন যাচ্ছে ততই ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে সাতক্ষীরায়। গত ২৪ ঘন্টায় সাতক্ষীরায় আরো ১৬ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এনিয়ে আজ পর্যন্ত সাতক্ষীরায় মোট ৬৬ জন ডেঙ্গু রোগীকে সনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে বিভিন্ন হাসপাতালে এখনও পর্যন্ত ভর্তি রয়েছে ৩২ জন। চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন আরো ৩০ জন এবং অন্যত্র রেফার করা হয়েছে আরো ৪ জনকে। আক্রান্তদের সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ, কলারোয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা এখন আশংকামুক্ত বলে জানিয়েছেন জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। এসব রোগীর অধিকাংশই ঢাকা থেকে ডেঙ্গু জ¦রে আক্রান্ত হয়ে সাতক্ষীরায় ফিরে এসেছেন।
    এদিকে, ডেঙ্গু প্রতিরোধে ইতিমধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে র‌্যালী, আলোচনাসভা, ঔষধ ছিটানো, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযানসহ নানা জনসচেতনতামূলক প্রচারাভিযান শুরু করা হয়েছে। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে খোলা হয়েছে ডেঙ্গু কর্ণার নামে একটি মেডিকেল ক্যাম্প।
    অপরদিকে, সাতক্ষীরা জেলায় প্রতিদিন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় আতঙ্কিত সাধারন মানুষ।
    সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহিন জেলায় ৬৯ জন ডেঙ্গু রোগী সনাক্ত করার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ডেঙ্গু হলে জ্বর, পেটে ব্যাথা, মাথা ব্যাথা, অনেকেরে প্রেসার কমে যাচ্ছে। এটি প্রতিরোধে মশার কামড় থেকে দূরে থাততে হবে। মশা যাতে জন্মাতে না পারে সেজন্য বাড়ির আশ পাশ পরিষ্কার করতে হবে এবং পরিত্যক্ত জিনিস পত্র বোতল, নারকেলে খোসা, টায়ারসহ অন্যান্য জিনিস পত্র পরিষ্কার রাখতে হবে এবং ঘুমানোর আগে অবশ্যই মশারি ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। তিনি আরো জানান, ডেঙ্গু প্রতিরোধে ইতিমধ্যে শহর থেকে গ্রামের তৃণমূল পর্যায়ে বিভিন্ন প্রকার জনসচেতনতামূলক প্রচারাভিযান শুরু করা হয়েছে। তিনি এ সময় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তদের পানি ও পানি জাতীয় খাদ্য ( ডাব, শরবত, পেঁপে) বেশী খাবার পরামর্শ দেন। ##

  • এসএটিভি’র সাংবাদিক শাহীন গোলদারের মাতার সুস্থ্যতা কামনা করেছেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব



    সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক ও এসএটিভি’র সাতক্ষীরা
    প্রতিনিধি শাহীন গোলদারের মাতা মেছা.নূরজাহান বেগম স্ট্রোক জনিত কারনে
    গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে সাতক্ষীরার ডা.আরিফ আহমদের তত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সাংবাদিক শাহীন গোলদারের মাতা মেছা.নূরজাহান বেগমের আশু সুস্থ্যতা কামনা
    করে বিবৃতি প্রদান করেছেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সভাপতি অধ্যাপক আবু
    আহমেদে, সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আহমেদ
    বাপী, যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুস সামাদ, অর্থ সম্পাদক মোশাররফ
    হোসেন, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক আব্দুল জলিল, দপ্তর সম্পাদক
    ইব্রাহিম খলিল, নির্বাহী সদস্য সেলিম রেজা মুকুল, গোলাম সরোয়ার, ইয়ারব
    হোসেন, জি.এম আদম শফিউল্লাহ ও কৃষ্ণ মোহন ব্যানার্জীসহ সাতক্ষীরা
    প্রেসক্লাবের সকল সদস্যবৃন্দ।

  • দেবহাটায় বিপুল পরিমান মেয়াদোত্তীর্ন শিশুখাদ্য জব্দ

    দেবহাটায় বিপুল পরিমান মেয়াদোত্তীর্ন শিশুখাদ্য জব্দ

    নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরার দেবহাটায় মেয়াদোত্তীর্ন ও নিন্মমানের শিশুখাদ্য উৎপাদনকারী একটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান মেয়াদোত্তীর্ন শিশুখাদ্য জব্দ ও কারখানার মালিককে এক মাসের বিনাশম কারাদন্ড প্রদান করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। সোমবার বেলা ১২টায় উপজেলার কুলিয়া ভুমি অফিস সংলগ্ন খাল পাড় এলাকার একটি অবৈধ কারখানায় এ অভিযান পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুন নাহার।
    দীর্ঘদিন ধরে সেখানে একটি অবৈধ কারখানায় নি¤œমানের শিশু খাদ্য তৈরি করা হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের তিনি সেখানে অভিযান চালিয়ে উক্ত অবৈধ কারখানা বন্ধসহ বিপুল পরিমান মেয়াদোত্তীর্ন শিশুখাদ্য জব্দ ও কারখানা মালিক আমিনুর রহমান মুকুলকে আটক করেন। পরে তাকে জাতীয় ভোক্তা অধিকার আইনের ৫৩ ধারা অনুযায়ী এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। জব্দকৃত মেয়াদোত্তীর্ন এসব শিশুখাদ্য পরে সেখানে বিনষ্ট করা হয়। দীর্ঘদিন ধরেই সম্পুর্ন বেআইনীভাবে কারখানাটি পরিচালনা সহ নিন্মমানের শিশু খাদ্য উৎপাদনের পাশাপাশি মেয়াদোত্তীর্ন শিশুখাদ্য নতুনভাবে প্যাকেটজাত করে বাজারে বিক্রি করে আসছিল কারখানা মালিক মুকুল। উক্ত অভিযানে এ সময় কুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এমাদুল ইসলাম, দেবহাটা প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক মাহমুদুল হাসান শাওনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।##

  • সাতক্ষীরায় স্ত্রী হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

    সাতক্ষীরায় স্ত্রী হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

    নিজস্ব প্রতিনিধি : স্ত্রী হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে এক ব্যক্তিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সোমবার দুপুর ১২টায় সাতক্ষীরার জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান এক জনাকীর্ণ আদালতে এ আদেশ দেন। এ সময় আসামী কাঠগোড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
    ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামীর নাম বিজন মণ্ডল (৪৭)। তিনি সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার গোয়ালডাঙা গ্রামের মনোহর মণ্ডলের ছেলে।
    মামলার বিবরণে জানা যায়, ১৯৯৬ সালে আশাশুনি উপজেলার ফকরাবাদ গ্রামের অনিল কৃষ্ণ মণ্ডলের মেয়ে কঙ্কাবতী মণ্ডলের(৪০) সঙ্গে একই উপজেলার গোয়ালডাঙা গ্রামের মনোহর মণ্ডলের ছেলে বিজন মণ্ডলের হিন্দু ধর্ম মতে বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েক বছর পর প্রতিবেশী দীপক মণ্ডলের স্ত্রী সন্ধ্যা রানী মণ্ডলের সঙ্গে বিজনের পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রতিবাদ করায় কঙ্কাবতীর সঙ্গে বিজনের প্রায়ই ঝগড়া লেগে থাকতো। এরই জের ধরে ২০১৭ সালের ১০জুন রাত ১১টার দিকে বিজন তার স্ত্রীর মুখমণ্ডল ও নাকে লাীঠ দিয়ে আঘাত করে। এতে জ্ঞান হারিয়ে যাওয়া কঙ্কাবতীর গলায় নাইলনের দড়ি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসসরোধ করে হত্যা করে বিজন। পরে কঙ্কাবতীর লাশ বাড়ির পাশের পুকুর পাড়ে বাথরুমের সামনে আম গাছে ঝুলিয়ে আত্মহত্যার প্রচার দেয় বিজন ও তার পরিবারের সদস্যরা। ২০১৭ সালের ১০ জুন দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে লোকমুখে খবর পেয়ে ১১ জুন সকালে বিজনের বাড়িতে যেয়ে কঙ্কাবতীর রক্তাক্ত লাশ দেখতে পায় বাবা অনিল কৃষ্ণ মণ্ডল ও তার স্বজনরা। জিজ্ঞাসা করায় গ্রামবাসির সামনে বিজন তার স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করে। পরে তাকে পুলিশে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা অনিল কৃষ্ণ মণ্ডল বাদি হয়ে ওই বছরের ১১ জুন রাতে জামাতা বিজন কুমার মণ্ডলসহ অজ্ঞাতনামা তিন জনের বিরুদ্ধে আশাশুনি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
    ১২ জুন বিজন সাতক্ষীরার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম মোঃ জাহিদ হোসেনের কাছে পরকীয়া প্রেমে বাধা দেওয়ার কারণে স্ত্রীকে নির্যাতন চালিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা আশাশুনি থানার উপপরিদর্শক আব্দুর রাজ্জাক ২০১৭ সালের ১১ সেপ্টেম্বর এজাহারভুক্ত বিজন মণ্ডলের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
    মামলার নয়জন সাক্ষীর জবানবন্দি ও নথি পর্যালোচনা শেষে আসামী বিজন মণ্ডলের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে হত্যার বিষয়টি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাািণত হওয়ায় বিচারক শেখ মফিজুর রহমান তার মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখার নির্দেশ দেন।
    জানতে চাইলে মামলার বাদি অনিল কৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, এ রায়ে তিনি খুশী। মহামান্য উচ্চ আদালতে যাতে এ রায় বহাল থাকে সেজন্য তিনি বিচার ব্যবস্থার সঙ্গে জড়িতদের সহায়তা কামনা করেছেন।
    আসামী পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাড. মিজানুর রহমান পিণ্টু , অ্যাড. এসএম হায়দার আলীসহ কয়েকজন আইনজীবী।
    রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন জজ কোর্টের পিপি অ্যাড. তপন কুমার দাস। তিনি বলেন, দু’ বছর এক মাস ১৮ দিনে মামলাটির বিচার সম্পন্ন হলো। যেখানে আদালতে কয়েক হাজার মামলার জট সেখানে এ মামলাটি দ্রুত শেষ করতে পারায় বিচার প্রার্থীদের আদালতের উপর আস্থা বাড়বে।