বি এম আলাউদ্দীন আশাশুনি প্রতিনিধি:আশাশুনিতে ঘুর্ণিঝড় আম্পানের তান্ডবে লন্ডভন্ড ৫ ইউনিয়নের ২৬টি পয়েন্ট ভেঙ্গে প্লাবিত হয়ে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে প্রায় ২৪কি: মিটার ভেড়িবাঁধ, ৩০কি: মি: রাস্তা, ৭হাজার ৮শত ৫০টি বসত ঘর ভাঙ্গা ও আংশিক ১৫ হাজার ৬০০ বসত ঘর ভাঙ্গাসহ ৩২৯ হেক্টর ফসলাধি জমি, ৮৬৯৮ হেক্টর মাছের ঘেরের জমি। বিদ্যুত বিচ্ছিন্ন হয়েছে উপজেলার সকল গ্রাম। নদীর ভেড়ীবাঁধ ভেঙ্গে গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত, চারদিক থেকে বয়ে যাওয়া ঝড়ে ঘরবাড়ি যেন উড়ছে। ঝড়ের গতিবেগ বেড়ে আশাশুনি উপজেলার আশাশুনি সদর ইউনিয়নের মানিকখালী ব্রীজ টু জেলেখালী দয়ারঘাট ৫টি পয়েন্ট, বলাবাড়িয়া ৪টি পয়েন্ট উত্তর বলাবাড়িসহ মোট ১২টি পয়েন্ট ভেঙ্গে ৮গ্রাম ও প্রায় ১০ হাজার বিঘার মাছের ঘের প্লাবিত হয়েছে। প্রতাপনগর ইউনিয়নের চাকলা, শুভদ্রকাঠি, কুড়িকাউনিয়া, হিজলিয়া, দিঘলার আইটসহ ৭টি পয়েন্টে ভেড়িবাঁধ ভেঙে এলাকায় ২০-২৫ হাজার মানুষের বসত বাড়ি ও মাছের ঘের প্লাবিত। অনুলিয়া ইউনিয়নের বিছট গ্রামের মেইন রোডের ৩টি পয়েন্ট ১০-১২ ফুট জলোচ্ছাসে পাকা রাস্তা ভেঙে প্লাবিত। শ্রীউলা ইউনিয়নের হাজরাখালি গ্রামের ২টি পয়েন্ট ভেঙে প্লাবিত হয়েছে। বড়দল ইউনিয়নের মানিকখালী ব্রীজ টু তেঁতুখালী স্লুইচ গেটের মধ্যস্থলে ২টি পয়েন্ট ভেঙ্গে আনুমানিক ১হাজার বসত ঘরসহ মাছের ঘের প্লাবিত হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন ইউনিয়নের শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানসহ অগনিত বসতঘর ও গাছ-গাছালির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভেড়িবাঁধ সংস্কারে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে নিয়ে সর্বোত্বক চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজা।
Category: বিশেষ সংবাদ
-

আম্ফান: সুন্দরবন ঘেঁষেই উপকূলে আঘাত হানবে
ঘূর্ণিঝড় আম্ফান আঘাত আনবে আজ সন্ধ্যায়। বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের দিকে মহাবিপদ সংকেত দেয়া হয়েছে। আবহাওয়ার সর্বশেষ বুলেটিনে বলা হয়, উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় আম্পান উত্তর-উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
আজ সকাল ৬টায় ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে; কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে; মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪১০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছিল। তখন ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৮৫ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছিল।
আজ বিকাল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে সুন্দরবনের কাছ দিয়ে অতি প্রবল এ ঘূর্ণিঝড় পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে। তখন এর বাতাসের শক্তি থাকতে পারে ঘণ্টায় প্রায় দেড়শ কিলোমিটার বা তার বেশি। ঘূর্ণিঝড় আম্পান বাংলাদেশ উপকূলের ৪০০ কিলোমিটারের মধ্যে চলে আসার পর মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর ‘মহাবিপদ সংকেত’ দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।
উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। উপকূলীয় জেলা নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার এবং অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৬ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্পান তার বর্তমান অবস্থান থেকে আরও উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে সুন্দরবনের কাছ দিয়ে বিকাল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বুধবার প্রথম প্রহরে (রাত ১২ টায়) অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে; কক্সবাজার সমুদ্র থেকে ৬৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে; মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছিল। তখন ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৯০ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছিল। অর্থাৎ ঘূর্ণিঝড়টি এরই মধ্যে শক্তি কিছুটা হারিয়ে, তার এগোনোর গতিও কমেছে। একদিন আগেও ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রে বাতাসের বেগ ২৭০ কিলোমিটারে উঠেছিল। আর ১২ ঘণ্টা আগেও ঝড়টি ২০ কিলোমিটার বেগে এগোচ্ছিল উপকূলের দিকে।
-
ল স্টুডেন্টস ফোরামের আয়োজনে ঈদ খাদ্য সামগ্রী বিতরণস্টাফ রিপোর্টার:ল স্টুডেন্টস ফোরামের
আয়োজনে ঈদ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। সোমবার বিকালে ল কলেজের হল রুমে কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। পরবর্তীতে সুবিধা ভোগীদের বাড়ি বাড়ি ঈদ খাদ্য সামগ্রী পৌছে দেওয়া হয়। কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ল কলেজের প্রভাষক ও ল স্টুডেন্টস ফোরামের উপদেষ্টা এড. মুনির উদ্দীন, ল স্টুডেন্টস ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক কাজী শাহাব উদ্দীন সাজু, প্রাক্তন সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন, সভাপতি এস এম বিপ্লব হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ অহিদুল ইসলাম, ইখতেয়ার উদ্দীন, সালাউদ্দীন রানা , তাহসান কবির খান শান্ত প্রমুখ।
-
জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভা : জেলায় জনগণের চলাচলে কঠোর নিয়ন্ত্রণ
জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় গৃহিত সিদ্ধান্ত সমূহ১। আন্তজেলা এবং আন্তউপজেলায় জনগণের চলাফেরা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। জেলার বাইরে থেকে কেউ ভেতরে প্রবেশ করতে পারবে না এবং জেলার ভেতর থেকে কেউ জেলার বাইরে যেতে পারবেনা। এক উপজেলা থেকে অন্য উপজেলায় এবং অন্যান্য উপজেলা থেকে জেলা সদরে কেউ আসতে পারবে না।
২। জেলার ভেরতে ঢোকার প্রতিটি পয়েন্টে কঠোরভাবে নজরদারি করা হবে। জেলা অভ্যন্তরে প্রবেশের চারটি পয়েন্টে চেকপোষ্ট স্থাপন করা হবে। চেকপোষ্ট এ পুলিশের পাশাপাশি এনজিও এবং স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী কাজ করবে।
৩। জেলা সীমান্ত দিয়ে কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। কেউ প্রবেশের চেষ্টা করলে তাকে ফেরত পাঠানো হবে। যদি কেউ বাহিরে থেকে জেলার অভ্যন্তরে প্রবেশ করে তাহলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক আইনানুযায়ী শাস্তির প্রদান করা হবে।
৪। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত জেলার প্রতিটি বাজারে কাপড়ের দোকান সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে।
৫। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সকাল ১০ টার আগে এবং বিকাল ৪ টার পরে হাট-বাজার, ব্যবসা কেন্দ্র, দোকান-পাট ও শপিংমলগুলো খোলা রাখা যাবে না। এর ব্যত্যয় হলে দোকানদারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং ঐ সব দোকান ও শপিংমল সিলগালা করা হবে।
৬। তথ্য গোপন করে করোনা রোগী জেলায় অবস্থান করলে বা প্রবেশ করলে এ তথ্য গোপনকারী এবং আশ্রয় প্রদানকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। -
ভাইরাস প্রতিরোধে সাতক্ষীরা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের পক্ষ থেকে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে হাত ধোয়ার ২টি বেসিন উদ্বোধন
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সাতক্ষীরা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের পক্ষ থেকে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও আগত দর্শণার্থীদের জন্য স্থাপনকৃত জীবাণুমুক্ত রাখতে হাত ধোয়ার ২টি বেসিন উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার (১৩ মে) দুপুর ১টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রবেশ দ্বারের পাশে প্রধান অতিথি হিসেবে নিজে হাত ধুয়ে হাত ধোয়ার বেসিন উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও আগত দর্শণার্থীদের জন্য সাতক্ষীরা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিট কর্তৃক স্থাপন করা বেসিন দু’টি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। জেলা প্রশাসক নিজে হাত ধুয়ে বেসিন দু’টির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন এবং বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি সাতক্ষীরা ইউনিটকে এই মহৎ উদ্যোগের জন্য ধন্যবাদ জানান। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি সাতক্ষীরা ইউনিটের সেক্রেটারী মোহাম্মদ আবু সায়ীদ, কার্যকরী সদস্য শেখ হারুন উর রশিদ ও শেখ তহিদুর রহমান ডাবলুসহ বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি সাতক্ষীরা ইউনিটের সদস্যরা। -

জন্মদিন: বীরকন্যা শহীদ প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার-এর শেষ বিবৃতি
শহীদ প্রীতিলতার পোস্ট মর্টেম করার সময়ে তাঁর সামরিক পোশাকের মধ্যে নিজ হাতে লেখা একটি বিবৃতি বের হয়ে আসে। অত্যন্ত যত্নে তিনি এটিকে অন্য একটি কাগজে মুড়ে পোশাকের ভিতরে রেখে দিয়েছিলেন। এটি বেশ বড়সড় একটি বিবৃতি। বেশ ভেবেচিন্তেই তিনি বিবৃতিটি লিখেছিলেন। দেখিয়েছিলেন তিনি এটি মাস্টারদা সূর্যসেনকে। সূর্যসেন পড়ে অনুমোদনও দিয়েছিলেন। এই বিবৃতিটি পড়লেই বোঝা যায় যে, বীরকন্যা প্রীতিলতা জানতেন- এই আক্রমণের পরে তাঁর জীবিত ফিরে আসার সম্ভাবনা খুবই কম। সে কারণেই শেষ লাইনে তিনি লিখেছিলেন-
‘এই আশা লইয়াই আমি আজ আত্মদানে অগ্রসর হইলাম।’বিবৃতিটি সরকারি পক্ষ আদালতে হাজির করেছিল। পুরো বিবৃতিটি ~
আমি বিধিপূর্বক ঘোষণা করিতেছি, যে প্রতিষ্ঠান উচ্চ আদর্শে অনুপ্রাণিত হইয়া, অত্যাচারের স্বার্থসাধনে নিয়োজিত সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশ শাসনের উচ্ছেদ সাধন করিয়া আমার মাতৃভূমি ভারতবর্ষে গণতান্ত্রিক শাসন প্রবর্তন করিতে ইচ্ছুক, আমি সেই ভারতীয় রিপাবলিকান আর্মির চট্টগ্রাম শাখার একজন সদস্য।
এই বিখ্যাত ‘চট্টগ্রাম শাখা’ দেশের যুবকদের দেশপ্রেমের নবচেতনায় উদ্বুদ্ধ করিয়াছে। স্মরণীয় ১৯৩০-এর ১৮ এপ্রিল এবং উহার পরবর্তী পবিত্র জালালাবাদ ও পরে কালারপুল, ফেনী, ঢাকা, কুমিল্লা, চন্দন নগর ও ধলঘাটের বিরোচিত কার্যসমূহই ভারতীয় মুক্তিকামী বিদ্রোহীদের মনে এক নূতন প্রেরণা জাগাইয়া তুলিয়াছে।
আমরা দেশের মুক্তির জন্য এই সশস্ত্র যুদ্ধ করিতেছি। অদ্যকার পাহাড়তলী ইউরোপিয়ান ক্লাব আক্রমণ স্বাধীনতা যুদ্ধের একটি অংশ।
ব্রিটিশরা জোরপূর্বক আমাদের স্বাধীনতা ছিনাইয়া লইয়াছে। ভারতের কোটি কোটি নরনারীর রক্তশোষণ করিয়া তাহারা দেশে নিদারুণ দুর্দশার সৃষ্টি করিয়াছে। তাহারাই আমাদের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ধ্বংসের এবং সকল অধঃপতনের একমাত্র কারণ। সুতরাং, তাহারাই আমাদের একমাত্র অন্তরায়। যদিও মানুষের জীবন সংহার করা অন্যায়, তবু বাধ্য হইয়া বড় বড় সরকারি কর্মচারীর ও ইংরেজদের জীবন সংহার করিতে আমরা অস্ত্রধারণ করিয়াছি। মুক্তিপথের যে কোনো বাধা বা অন্তরায় যে কোনো উপায়ে দূর করার জন্য আমরা সংগ্রাম করিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
আমাদের দলের মহামান্য ও পূজনীয় নেতা মাস্টারদা অদ্যকার এই সশস্ত্র অভিযানে যোগ দিবার জন্য যখন আমাকে ডাক দিলেন, তখন আমি নিজেকে যথেষ্ট সৌভাগ্যবতী মনে করিয়াছিলাম। মনে হইল, এতদিনে আমার বহু প্রত্যাশিত অভীষ্ট সিদ্ধ হইল এবং সম্পূর্ণ দায়িত্ব লইয়া আমি এই কর্তব্যভার গ্রহণ করিলাম। এই উন্নত ব্যক্তিত্বসম্পন্ন নেতৃত্ব যখন আমার মতো একটি মেয়েকে এই গুরুভার অর্পণ করেন, তখন এতগুলি কর্মঠ ও যোগ্যতর ভাইয়েরা বর্তমান থাকিতে অভিযানে নেতৃত্বের ব্যাপার একজন ভগিনীর উপর কেন ন্যস্ত হইবে, এই বলিয়া আমি আপত্তি জানাইলাম এবং একজন সাধারণ কর্মী হিসাবে ঐ কাজে যাইতে চাহিলাম।
কিন্তু আমি পরে পূজ্য নেতার আদেশ শিরোধার্য করিয়া লইলাম।
আমি মনে করি যে, আমি দেশবাসীর নিকট আমার কাজের কৈফিয়ৎ দিতে বাধ্য। দুর্ভাগ্যবশত এখনো হয়তো আমার প্রিয় দেশবাসীর মধ্যে এমনও অনেকে আছেন, যাঁহারা বলিবেন যে, ভারতীয় নারীত্বের ঊর্ধ্বতন আদর্শে লালিত একটি নারী কি করিয়া নরহত্যার মতো এই ভীষণ হিংস্র কাজে লিপ্ত হইল।
দেশের মুক্তি-সংগ্রামে নারী ও পুরুষের পার্থক্য আমাকে ব্যথিত করিয়াছিল। যদি আমাদের ভাইয়েরা মাতৃভূমির জন্য যুদ্ধে অবতীর্ণ হইতে পারে, আমরা ভগিনীরা কেন উহা পারিব না? ইতিহাসে অনেক উদাহরণ আছে, রাজপুত রমণীরা অসীম সাহসের সহিত রণাঙ্গনে যুদ্ধ করিতেন এবং স্বদেশের স্বাধীনতা ও নারীত্বের মর্যাদা রক্ষার জন্য তাহারা শত্রুর প্রাণ-সংহার করিতে কিছুমাত্র দ্বিধা করিতেন না। ইতিহাসের পৃষ্ঠা এইরূপ কত নারীর বীরত্বগাথায় পূর্ণ। তবে কেন আমরা, আজিকার ভারতীয় নারীরা বিদেশির দাসত্ব শৃঙ্খল হইতে নিজের দেশকে পুনরুদ্ধার করিবার জন্য এই মহান যুদ্ধে যোগদান করিব না? যদি বোনেরা ভাইদের সঙ্গে কংগ্রেসের সত্যাগ্রহ আন্দোলনে যোগ দিতে পারে, তবে সশস্ত্র বিদ্রোহে যোগদানে তাহাদের বাধা কি? সশস্ত্র বিদ্রোহে অন্য দেশের বহু নারী যোগদান করিয়াছে, তবে কেন ভারতীয় নারীরা বিপ্লবের এই পন্থাকে অন্যায় বলিয়া মনে করিবে?
নারীরা আজ কঠোর সংকল্প নিয়াছে যে, আমার দেশের ভগিনীরা আজ নিজেকে দুর্বল মনে করিবেন না। সশস্ত্র ভারতীয় নারী সহস্র বিপদ ও বাধাকে চূর্ণ করিয়া এই বিদ্রোহ ও সশস্ত্র মুক্তি আন্দোলনে যোগদান করিবেন এবং তাহার জন্য নিজেকে তৈয়ার করিবেন এই আশা লইয়াই আমি আজ আত্মদানে অগ্রসর হইলাম।
(স্বাক্ষর)
প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার।( Ziaul Hoque Mukta এর ফেসবুক থেকে
[মনিরুজ্জামান খানের পোস্ট। পড়ুন— নিজেদের বিপ্লবী ইতিহাস জানুন। ধন্যবাদ।])
-
সাতক্ষীরায় এই প্রথম করোনা ভাইরাস শনাক্ত, ১০ টি বাড়ি লকডাউন, জেলায় ১৯০ জনের নমুনা সংগ্রহ
স্টাফ রিপোটার ঃ সাতক্ষীরায় এই প্রথম তালা উপজেলার নগরঘাটায় সঞ্জয় সরকার নামে এক এনজিও কর্মী করোনা ভাইরাসে শনাক্ত হয়েছে। তিনি নগরঘাটা ইউনিয়নের কাপাসডাঙ্গা গ্রামের প্রভাষ সরকারের ছেলে। তিনি সদরের বিনেরপোতায় ঋশিল্পী নামে একটি এনজিওর হ্যান্ডিক্রাফটস সেকশনের প্রোডাকশন ম্যানেজার বলে জানা গেছে।
করোনার উপসর্গ থাকায় গত ২৮ এপ্রিল তালা উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ তার নমুনা সংগ্রহ করে খুলনা মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে পাঠায়। এরপর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় খুলনা মেডিকেল কলেজের সংশ্লিষ্ট ইউনিট থেকে তার করোনার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে মর্মে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন শাফায়াত।
তালা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রাজীব সরদার জানান, আক্রান্ত ব্যক্তি বাড়িসহ তার আশে পাশের ১০ টি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। টানানো হয়েছে লাল পতাকা। এছাড়া তার পরিবারের সকলের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, আপাতত ওই করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি হোমকোয়ারিন্টনে থাকবেন। স্থানীয় প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ তাকে দেখভাল করবেন।।
প্রসঙ্গতঃ এর আগে যশোরের শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক মেডিকেল টেকনোশিয়ান তার কর্মস্থল থেকে করোনা আক্রান্ত হয়ে সাতক্ষীরায় এসে শহরের উত্তর কাটিয়াস্থ ভাড়া বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন।
এদিকে, সাতক্ষীরায় মোট ৩ হাজার ৬২৪৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। ছাড় পত্র দেয়া হয়েছে আরো ৩ হাজার ৫৫৭ জনকে। এছাড়া, এ জেলা থেকে এ পর্যন্ত মোট ৩৪২ জনের নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআর ও পিসিআরল্যাবে পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যে ১৯০ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পৌঁছেছে। এর মধ্যে ১৮৯ টি রিপোর্ট নেগেটিভ ও একটি পজিটিভ এসেছে। -

রোজা রেখেও পুরোহিতের নিথর দেহ শ্মশানে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাঁধ দিলেন এলাকার মুসলিম যুবকরা
করোনাকে নিয়েও যখন ধর্মীয় দ্বেষ ছড়ানোর অ্যাজেন্ডায় পিছপা হচ্ছে না শাসকদল বিজেপির নেতা-কর্মীরা সেই সময় দাঁড়িয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য নজির গড়ল মীরাট। লকডাউনের মধ্যেই মারা যান মীরাটের শাহপীর এলাকার পুরোহিত ৬৮ বছরের রমেশ মাথুর। বড় ছেলে কর্মসূত্রে দিল্লিতে থাকেন। ফলে উপস্থিত হতে পারেননি বাবার শেষকৃত্যে। ছোট ছেলের একার পক্ষে সবটুকু দায়িত্ব পালন করা সম্ভব হচ্ছিল না। তাই রোজার উপবাস রেখেও পুরোহিতের নিথর দেহ শ্মশানে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাঁধ দিলেন এলাকার মুসলিম যুবকরা। জয় হল মানবতার। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে মীরাটের এই সম্প্রীতির ছবি।
ছোট ছেলে চন্দ্রমৌলি মাথুর জানিয়েছেন, ‘বাবার খাদ্যনালীতে টিউমার ছিল। দীর্ঘদিন ধরে চিকিত্সা চলছিল। মঙ্গলবার মারা যান। দাদা দিল্লিতে থাকায় লকডাউনের জেরে ফিরতে পারেননি। লকডাউনে কোনও আত্মীয়-স্বজনও আসতে পারেননি। এই সময় প্রতিবেশীরা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। বাবার দেহ নিয়ে যান শ্মশানে।’ সামাজিক দূরত্ব মেনে শেষকৃত্যের সব কাজ সম্পন্ন হয়েছে বুধবার। এলাকারই এক বাসিন্দা “শুধু আমরাই নয়, আমাদের পূর্বপুরুষরাও এখানে এভাবেই সকলের সঙ্গে মিলেমিশে থাকতেন। আমাদের এই সংস্কৃতি কয়েকশো বছরের।”
সুত্র: গণশক্তি
-

জাসদের ধন্যবাদ: করোনা সংকটে বাংলাদেশকে ১ লাখ হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন ট্যাবলেট ও ৫০ হাজার হ্যান্ড গ্লাভস প্রদান করায় ভারত সরকারকে
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি আজ রবিবার ২৬ এপ্রিল ২০২০ এক বিবৃতিতে করোনা সংকটে বাংলাদেশকে ১ লাখ হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন ট্যাবলেট ও ৫০ হাজার হ্যান্ড গ্লাভস সহযোগিতার নিদর্শন হিসাবে প্রদান করায় ভারত সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন। তারা বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী মি. নরেন্দ্র মোদি করোনা মহামারি মোকাবেলায় প্রতিবেশী দেশগুলো তথা সার্কভুক্ত সদস্য দেশগুলোর সাথে একযোগে কাজ করার যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন সেটা বজায় রেখে করোনা চিকিৎসা ও করোনাজনিত আর্থ-সামাজিক সংকট মোকাবেলা অভিজ্ঞতাসহ চিকিৎসায় বৈজ্ঞানিক গবেষণা আদান প্রদান অব্যাহত রাখার জন্য সার্কভুক্ত দেশগুলোর প্রতি আহবান জানান।
বার্তা প্রেরকসাজ্জাদ হোসেন
দফতর সম্পাদক
০১৭১২৬৩৭৪৬৫
০১৯১১৫৮৫৯৪৫ -
ছুটি শেষ না হতেই গার্মেন্টস খোলা বাংলাদেশের জন্য আত্মঘাতী হতে পারে
মাহমুদ হাশিম : করোনার বিস্তার ঠেকাতে গত ২৫ মার্চ থেকে গণছুটি ঘোষণা করে সরকার। কয়েক দফা বাড়িয়ে ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয় ছুটি। সে হিসেবে ২৬ এপ্রিল গণছুটির এক মাস পেরিয়ে গেছে। এ সময়ের মধ্যে দেশে করোনায় মারা গেছেন ১৪৫ জন। আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় সাড়ে ৫ হাজার। দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে ৬১টিতেই শনাক্ত হয়েছে করোনা রোগী। তারপরও এ কথা বলা যায় গণছুটি আর আক্রান্ত এলাকা বিচ্ছিন্ন করার কারণে দেশে করোনার বিস্তার কিছুটা হলেও ঠেকানো গেছে।
গণছুটিতে অফিস-আদালত, কলকারাখানা বন্ধ থাকায় দেশের অর্থনীতি অনিবার্যভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছে। অর্থনীতি এবং মানুষের জীবন-জীবিকার কথা বিবেচনা করে সরকার গণছুটি শেষ হবার আগেই ১৮টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগে সীমিত আকারে খোলার নির্দেশনা দিয়েছে ২৬ এপ্রিল থেকে। স্বাস্থ্যবিধি ও নিরাপত্তা মেনে সীমিত আকারে পোশাক কারখানা খোলা রাখা যাবে বলেও সরকারের তরফে জানানো হয়েছে। সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয় সচল হয়েছে ৩১ দিন পর। কাজ শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ। রাজধানীসহ দেশের পোশাক কারখানাগুলোও চালু হয়েছে স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে।
করোনা দুর্যোগের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবাসহ সরকারের জরুরি বিভাগগুলো চালু ছিল। সঙ্গত কারণে ১৮টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ চালু হয়েছে সীমিত আকারে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা করোনার বিষয়ে অনেকটাই সচেতন এবং তাদের পক্ষে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করেও অফিস করা সম্ভব। কিন্তু প্রশ্ন দেখা দিয়েছে- ছুটি শেষ হবার আগেই ফের পোশাক কারখানা খোলা নিয়ে। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় পোশাক শ্রমিকদের অশেষ কষ্ট স্বীকার করে কাজে যোগ দিতে হচ্ছে। যদিও কর্তৃপক্ষ বলছেন, তারা শুধু কারখানার আশপাশে থাকা শ্রমিকদের কাজে যোগ দিতে বলছেন। কিন্তু এটি আদৌ গ্রহণযোগ্য নয়। এর আগেও দেখা গেছে চাকরি রক্ষা করতে দূরদূরান্ত থেকে শ্রমিকরা ভয়ানক কষ্ট স্বীকার করে- এমনকি অনেকে মাইলের পর মাইল পায়ে হেটে কাজে যোগ দিতে এসেছিলেন- যদিও পরে তাদের ফিরে যেতে হয়।
শুধু কষ্টেই শেষ নয়। সঙ্গত কারণে পোশাক শ্রমিকদের পক্ষে যাতায়াত কিংবা কর্মক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা সম্ভব নাও হতে পারে। আর কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়টা কতখানি গুরুত্বের সঙ্গে নেবেন সে প্রশ্নও থেকে যায়।
এ কথা ঠিক যে দেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত এই পোশাক শিল্প। করোনা দুর্যোগে এরই মধ্যে হাজার হাজার কোটি টাকার কার্যাদেশ বাতিল হয়েছে। লাখ লাখ পোশাক শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েছে। অনির্দিষ্টকাল শুধু পোশাক শিল্প নয়, কোনো কিছুই হয়তো বন্ধ রাখা যাবে না। কিন্তু গণছুটি শেষ হবার আগেই পোশাক কারখানা ফের খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত ঠিক হয়নি বলে মনে করেন অনেক। এতে করোনা বিস্তারের ঝুঁকি রয়েই গেলো।
সরকারের পক্ষ থেকে- এমনকি খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বারবার বলেছেন, এপ্রিল মাসটি দেশে করোনা বিস্তারের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। হয়েছেও তাই। কিছু কমবেশি হলেও এ মাসে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা ধারাবাহিকভাবেই বাড়ছে। বিশেষ করে যতই পরীক্ষা বাড়ছে তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত।
শুধু যে সাধারণ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তা নয়। করোনার সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে কাজ করা চিকিৎসক-নার্স-স্বাস্থকর্মী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও আক্রান্ত হচ্ছেন প্রাণঘাতি এ ভাইরাসে। এ পর্যন্ত তিন শোর বেশি চিকিৎসক, দুই শো’র বেশি নার্স আক্রান্ত হয়েছেন করোনায়। এরই মধ্যে একজন চিকিৎসক ও একজন স্বাস্থ্যকর্মী প্রাণ দিয়েছেন করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর আড়াই শো’র বেশি সদস্য করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। অর্থাৎ দেশ এখনো পূর্ণমাত্রায় করোনা ঝুঁকিতে রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখ্য চিকিৎসক, খ্যাতিমান অধ্যাপক এ বি এম আবুদল্লাহ বলেছেন, এপ্রিল মাসের পর দেশে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। তবে এ মাসটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এ জন্য তিনি ছুটি বাড়ানো ও লকডাউনে যাবারও পরামর্শ দেন। সংশ্লিষ্ট অনেকে মনে করেন, ৫ মে ছুটি শেষ হওয়ার আগেই মন্ত্রণালয় ও বিভাগ খোলায় হয়তো বড় ঝুঁকি নেই। কিন্তু ঝুঁকির এপ্রিলে গার্মেন্টস খুলে দেয়া আত্মঘাতি হতে পারে। (সি আর আই )
-
সাধারণ ছুটিতে জরুরি সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব সরকারি অফিস সীমিত পরিসরে খোলা থাকবে
ঢাকা অফিস ॥ সরকারঘোষিত সাধারণ ছুটিতে জরুরি সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব সরকারি অফিস সীমিত পরিসরে খোলা থাকবে। শুধুমাত্র ১৮টি মন্ত্রণালয়ও বিভাগ খোলা রাখার আগের নির্দেশনা প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুন জানিয়েছেন। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনি তিনি বলেন, ১৮টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ খোলা রাখায় নির্দেশনা দেওয়ার পর ওই তালিকার বাইরে থাকা কোনো কোনো মন্ত্রণালয় আমাদের জানায়, তারাও সীমিত পরিসরে অফিস খোলা রেখে কাজ করছে। এখন আমরা কোনো মন্ত্রণালয়, বিভাগ বা সরকারি অফিসের নাম নির্দিষ্ট না করে দিয়ে বলছি, জরুরি সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব সরকারি অফিসই এই ছুটির মধ্যে সীমিত পরিসরে খোলা থাকবে। ওইসব সরকারি দপ্তরের মাঠ পর্যায়ের অফিসগুলোও সীমিত পরিসরে খোলা রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান জনপ্রশাসন সচিব। নতুন করে ২৬ এপ্রিল থেকে ৫ মে পর্যন্ত ছুটির আদেশ জারির পর গত বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এক অফিস আদেশে বলেছিল, এই ছুটির সময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, কৃষি মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ, জননিরাপত্তা বিভাগ, সুরক্ষা সেবা বিভাগ, তথ্য মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সীমিত পরিসরে খোলা থাকবে।
-

নারীনেত্রী নাসরিন হকের মৃত্যুবার্ষিকী
২০০৬ সালের নিজের বাসার নিচে গ্যারেজে গাড়ি দুঘটনায় নিহত হন নাসরিন হক। তিনি ছিলেন একশন এইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর।
