Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
বিশেষ সংবাদ Archives - Page 5 of 74 - Daily Dakshinermashal

Category: বিশেষ সংবাদ

  • সাতক্ষীরায় সুলভ মূল্যে মাংস, ডিম ও দুধ বিক্রি শুরু

    সাতক্ষীরায় সুলভ মূল্যে মাংস, ডিম ও দুধ বিক্রি শুরু

    পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে সাতক্ষীরায় সুলভ মূল্যে গরুর মাংস, দুধ ও ডিম বিক্রি শুরু হয়েছে।

    শনিবার (১ মার্চ) সকালে সাতক্ষীরা শহরের সংগীতা মোড়ে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উদ্যোগে সুলভ মূল্যে গরুর মাংস, দুধ ও ডিম বিক্রয় কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়।

    সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( সার্বিক) বিষ্ণুপদ পাল প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. বিষ্ণুপদ বিশ্বাস ও সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নাজমুস সাকিব।

    এসময় জানানো হয়, মাসব্যাপী ৬৫০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস, ৭০ টাকা কেজি দরে দুধ ও ৯ টাকা ৫০ পয়সা দরে ডিম বিক্রি করা হবে। যা সময়ের ব্যবধানে উঠানামা করতে পারে। সুলভ মূল্যের এই দোকান থেকে সর্বনিম্ন ১০০ টাকার মাংসও কেনা যাবে।

  • জাতীয় নাগরিক পার্টির আত্মপ্রকাশ; আহ্বায়ক নাহিদ, সদস্য সচিব আখতার

    জাতীয় নাগরিক পার্টির আত্মপ্রকাশ; আহ্বায়ক নাহিদ, সদস্য সচিব আখতার

    জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের তরুণদের নেতৃত্বে গঠিত নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টি আত্মপ্রকাশ করেছে। আর এ নতুন দলের আহ্বায়ক করা হয়েছে সাবেক তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামকে। আর সদস্য সচিব করা হয়েছে আখতার হোসেনকে।

    শুক্রবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মানিকমিয়া অ্যাভিনিউতে নতুন রাজনৈতিক দল ও আহ্বায়ক এবং সদস্য সচিবের নাম ঘোষণা করেন জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে নিহত শহীদ মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন রাব্বীর বোন মীম আক্তার।

    মীম আক্তার বলেন, ইতিহাসে দেখিনি বোনের কাঁধে ভাইয়ের লাশ। আমরা দুই বোনের কাঁধে ছিল ভাইয়ের লাশ।

    এতে দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হয়েছেন শামান্তা শারমিন, আরিফুল ইসলাম আদীব, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব হয়েছেন ডা. তাসনিম জারা, নাহিদা সরওয়ার রিভা, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হয়েছেন হাসনাত আব্দুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হয়েছেন সারজিস আলম, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক হয়েছেন আবদুল হান্নান মাসউদ। বিকেল ৪টার পর নতুন দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠান শুরু হয়।

    অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নায়েবে আমির আহমেদ আলী কাসেমী, বিকল্পধারার নেতা মেজর (অব.) আব্দুল মান্নান, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমেদ, লেবার পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ইসলামী ঐক্য জোটের সহ সভাপতি জসিম উদ্দিন, বিএলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমেদ আবদুল কাদের।

    এ ছাড়া অনুষ্ঠানে কূটনৈতিকদের মধ্যে পাকিস্তানের হাইকমিশনারের পক্ষে একজন কাউন্সিল অংশ নিয়েছেন বলে মঞ্চ থেকে জানানো হয়।

  • ফুল স্টপ, এখানে কোনো ইফ এবং বাট নাই: সেনাপ্রধান

    ফুল স্টপ, এখানে কোনো ইফ এবং বাট নাই: সেনাপ্রধান

    ন্যাশনাল ডেস্ক : ২০০৯ সালে পিলখানা হত্যাকা- নিয়ে রাজধানীর রাওয়া কনভেনশন হলে মঙ্গলবার আয়োজিত বিশেষ অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান জানান, ‘ডিসিপ্লিন ফোর্সকে ডিসিপ্লিন থাকতে দেন। আজকে এই দেশের ক্রান্তিলগ্নে সমস্ত বাহিনী, সমস্ত অর্গানাইজেশন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। খালি সেনাবাহিনী টিকে আছে, বিমানবাহিনী টিকে আছে, নৌবাহিনী টিকে আছে। কেন? বিকজ অব ডিসিপ্লিন।’
    সেনাপ্রধান তাঁর বক্তব্য আরো বলেন, আজকে একটা বেদনাবিধুর দিবস। ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ৫৭ জন চৌকস অফিসারকে, শুধু তাই নয় আমরা কিছু পরিবারের সদস্যদের হারিয়েছি। অনেকে ছবিতে দেখেছেন, তবে আমি এ বর্বরতার চাক্ষুষ সাক্ষী। একটা জিনিস আমাদের সবসময় মনে রাখতে হবে, এই বর্বরতা কোনো সেনা সদস্য করেনি। সম্পূর্ণটাই তদানীন্তন বিডিআরের সদস্য দ্বারা সংগঠিত।
    ঊুড়রপফুল স্টপ, এখানে কোনো ইফ এবং বাট নাই। এখানে যদি ইফ এবং বাট আনেন, এই যে বিচারিক কার্যক্রম এত দিন ধরে হয়েছে, ১৬-১৭ বছর ধরে যারা জেলে আছে, যারা সাজাপ্রাপ্ত। সেই বিচারিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে। এই জিনিসটা আমাদের খুব পরিষ্কার করে মনে রাখা প্রয়োজন। এই বিচারিক প্রক্রিয়াকে নষ্ট করবেন না।
    যে সমস্ত সদস্য শাস্তি পেয়েছে, তারা শাস্তি পাওয়ার যোগ্য। কোনো রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এর মধ্যে উপস্থিত ছিল কি না, ইনভলভ ছিল কি না, বাইরের কোনো শক্তি এর মধ্যে ইনভলভ ছিল কি না, সেটার জন্য কমিশন করা হয়েছে। কমিশনের চেয়ারম্যান এখানে আছেন। উনি এটা বের করবেন এবং আপনাদের জানাবেন।
    বোটম লাইন হচ্ছে, আমাদের এই সমস্ত চৌকস যেসব সেনা সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন, তারা প্রাণ হারিয়েছেন তদানীন্তন বিডিআর সদস্যদের গুলিতে। আমরা নিজেরা এই সমস্ত জিনিস নিয়ে ভিন্নমত পোষণ করছি। কেউ কেউ এই জিনিসটাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছি। সেটা আমাদের জন্য মঙ্গলজনক হবে না।
    আজকে আমি যে উপদেশ আপনাদের দিয়ে যাব, সেটি যদি আপনারা গ্রহণ করেন, আপনারা লাভবান হবেন। আমি এটা আপনাদের নিশ্চিত করছি। আমরা নিজেরা ভেদাভেদ সৃষ্টি না করি। আমরা নিজেরা ইউনাইটেড থাকি। আমাদের মধ্যে যদি কোনো সমস্যা থেকে থাকে, কোনো ব্যত্যয় থেকে থাকে, কোনো গ্রিভলসেন্স থেকে থাকে, সেটা আলোচনার মাধ্যমে সমাধা করব। এটার জন্য ডানে-বায়ে দৌঁড়িয়ে কোনো লাভ হবে না। নিজের ক্ষতি ছাড়া কোনো লাভ হবে না। আমি আপনাদের এই জিনিসটা নিশ্চিত করে দিচ্ছি।
    কিছু কিছু সদস্যদের দাবি, যে তারা ২০০৯ সাল থেকে আজ পর্যন্ত বিভিন্ন শাস্তি পেয়েছেন। কেউ কেউ দায়ী করছেন যে, তারা অযাচিতভাবে শাস্তি পেয়েছেন। এটার জন্য আমি একটা বোর্ড করে দিয়েছি। একজন লেফটেন্যান্ট জেনারেল সেই বোর্ডের সদস্য। প্রথম ফেজে ৫১ জন সদস্যের ব্যাপারে আমার কাছে রিকমেন্ডেশন নিয়ে এসেছে। আর রিকমেন্ডেশনের অধিকাংশই আমি গ্রহণ করেছি। এবং আরও বেশি আমি দিয়েছি। নেভি-এয়ার ফোর্সও তাদের এই কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
    আমার স্ট্যান্ডপয়েন্ট হচ্ছে, যদি কেউ অপরাধ করে থাকে, সেটার জন্য কোনো ছাড় হবে না। বিন্দুমাত্র ছাড় নাই। আমি আপনাদের পরিষ্কার করে দিচ্ছি। ইট ইজ এ ডিসিপ্লিন ফোর্স। ডিসিপ্লিন ফোর্সকে ডিসিপ্লিন থাকতে দেন। আজকে এই দেশের ক্রান্তিলগ্নে সমস্ত বাহিনী, সমস্ত অর্গানাইজেশন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। খালি সেনাবাহিনী টিকে আছে, বিমানবাহিনী টিকে আছে, নৌবাহিনী টিকে আছে। কেন? বিকজ অব ডিসিপ্লিন।

  • দৈনিক পত্রিকা

    দৈনিক পত্রিকা

    অথবা পড়ুন : https://drive.google.com/drive/u/1/my-drive

  • ধর্ষিত ভুক্তভোগী যখন নিজের হাতে আইন তুলে নিতে পারবেন

    ধর্ষিত ভুক্তভোগী যখন নিজের হাতে আইন তুলে নিতে পারবেন

    বাংলাদেশ ‘দন্ডবিধি ১৮৬০’ আইনের ১০০ ধারার ৩য় ধাপে বলা আছে – “কোন ব্যাক্তি যদি ধর্ষণের অভিপ্রায়ে আক্রমণ করে, তাহলে ঐ আক্রমণকারী হতে দেহের রক্ষার জন্য আত্মরক্ষার ব্যক্তিগত অধিকার প্রয়োগ করে মৃত্যু ঘটানো যায়। এবং এই মৃত্যু ঘটানো ‘খুন’ বলে বিবেচ্য হবে না।”

    বাংলাদেশের দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ১০০ ধারায় বলা হয়েছে, যদি একজন ব্যক্তি তার জীবনের জন্য বিপদজনক পরিস্থিতিতে পড়ে এবং আত্মরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়, তাহলে তা খুন হিসেবে গণ্য হবে না। এই ধারাটি আত্মরক্ষার অধিকার সম্পর্কে বলে, বিশেষ করে ধর্ষণের বা যৌন নিপীড়নের পরিস্থিতিতে, যেখানে ভুক্তভোগী নিজেকে রক্ষা করার জন্য আইনগতভাবে কিছু পদক্ষেপ নিতে পারেন।

    ধারা ১০০ এর ৩য় উপধারায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, যদি ধর্ষণের উদ্দেশ্যে কোনো ব্যক্তি আক্রমণ করে, তাহলে আত্মরক্ষার জন্য ঐ আক্রমণকারীকে মারাত্মকভাবে আঘাত করা যেতে পারে, এমনকি তার মৃত্যু ঘটানোও জায়েজ হতে পারে। এই ক্ষেত্রে, ঐ মৃত্যুকে “খুন” হিসেবে বিবেচনা করা হবে না। অর্থাৎ, এটি আত্মরক্ষার অধিকার হিসেবে গ্রহণযোগ্য হবে।

    তবে, এই আইনের প্রয়োগের জন্য বিশেষ কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে:

    ১.আক্রমণকারীর আক্রমণ ধর্ষণের উদ্দেশ্যে হতে হবে।
    ২.ভুক্তভোগী যদি নিজের রক্ষা করার জন্য আক্রমণকারীকে আঘাত করেন এবং তা পরিস্থিতির জন্য প্রয়োজনীয় ও যুক্তিসঙ্গত হয়।
    ৩.আত্মরক্ষার প্রয়োজনে করা পদক্ষেপটি অতিরিক্ত সহিংসতার কারণে না হয়ে থাকে।
    ৪.এটা আইনের একটি ব্যতিক্রমী বিধান, যেখানে প্রয়োগকারী ব্যক্তি নির্দিষ্ট পরিস্থিতির মধ্যে আত্মরক্ষা করতে পারবেন। তবে, এই ধরনের ঘটনা বিচারক ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর মূল্যায়নের ওপর নির্ভর করবে।

  • কুয়েটে নিষিদ্ধ রাজনীতি

    কুয়েটে নিষিদ্ধ রাজনীতি

    খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) নিষিদ্ধই থাকছে রাজনীতি। একইসঙ্গে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করতে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনসহ পাঁচটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় অনলাইনে অনুষ্ঠিত খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের ৯৮তম (জরুরি) সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাছুদ।

    খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার ও প্রকৌশলী মো. আনিছুর রহমান ভূঞা স্বাক্ষরিত সিন্ডিকেট সভার কার্যবিবরণী থেকে এ তথ্য পাওয়া যায়।

    বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কুয়েটে ২০২৪ সালের ৮ আগস্ট ঘোষিত রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের আদেশটি বহাল থাকবে অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সকল ধরনের রাজনৈতিক সংগঠনের কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ততা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল, তা কঠোরভাবে অনুসরণ করা হবে।

    এ ছাড়া খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০০৩ এর ধারা ৪৪(৫) অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে সকল ধরনের রাজনৈতিক সংগঠনের কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ততা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো। এ আইন অমান্যকারীর বিরুদ্ধে তদন্তসাপেক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধান অনুযায়ী চাকরিচ্যুত করাসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এ ছাড়া রাজনীতির সঙ্গে জড়িত শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে তদন্তসাপেক্ষে আজীবন বহিষ্কার ও ছাত্রত্ব বাতিল করা হবে।

    এদিকে গতকাল মঙ্গলবারের সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত বহিরাগতদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মামলাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং একইসঙ্গে সরাসরি জড়িত শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিস্কার করা হবে। প্রকৃত দোষী শিক্ষার্থীদের খুঁজে বের করাসহ পূর্ণাঙ্গ তদন্তের জন্য চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করবে।

    কমিটির সভাপতি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. এম. এম. এ. হাসেম, সদস্য শহীদ স্মৃতি হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. মোহাম্মাদ আবু ইউসুফ, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. আবু জাকির মোর্শেদ ও সদস্যসচিব সহকারী পরিচালক (ছাত্রকল্যাণ) শাহ মুহাম্মদ আজমত উল্লাহ।

    খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের তত্ত্বাবধায়নে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে ও ক্যাম্পাস সংলগ্ন এলাকায় সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসন কর্তৃক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ঘটনায় আহত সকল শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা ব্যয়ভার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বহন করবে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সকল প্রকার একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

    এদিকে উপাচার্যের পদত্যাগসহ পাঁচ দফা দাবি পূরণের জন্য আজ বুধবার দুপুর ১টা পর্যন্ত বেঁধে দেওয়া সময় পার হওয়ার পর তারা তালা লাগিয়ে দেন।

    শিক্ষার্থীরা বলেন, দুপুর ১টা পর্যন্ত আমাদের আল্টিমেটাম ছিল। প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। আমাদের দাবিদাওয়া মেনে নেওয়া হয়নি। তাই আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা মিলে অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রশাসনিক ভবন, বিভিন্ন একাডেমিক ভবন ও বিভাগে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছি।

    এদিকে পাঁচ দফা দাবিতে আজ সকাল ৯টা থেকে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রের সামনে অবস্থান নেন। এই চিকিৎসাকেন্দ্রের দোতলায় চিকিৎসাধীন আছেন ভিসি মুহাম্মদ মাছুদ। মঙ্গলবার রাতে কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়ায় তিনি সেখানে আছেন।

    অপরদিকে বুধবার দুপুর ১২টার দিকে খুলনার শিববাড়ি মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মীরা। পরে সাড়ে ১২টার দিকে খুলনা প্রেসক্লাবের লিয়াকত আলী মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে ছাত্রদল। সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতারা কুয়েটে হামলা ও উসকানিতে জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।

    প্রসঙ্গত, ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি নিয়ে বিরোধের জের ধরে গতকাল মঙ্গলবার কুয়েটে ছাত্রদলের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহত হন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাতে শিববাড়ি মোড়ে মুখোমুখি অবস্থান নেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। তবে অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ঘটেনি।

  • কুয়েটে ছাত্রদলের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ

    কুয়েটে ছাত্রদলের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ

    খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে নগরীর রেলিগেট, তেলিগাতিসহ আশপাশের বিএনপি নেতাকর্মীরা ছাত্রদলের সঙ্গে এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগ দিলে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নেয়। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে প্রায় ৩০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। তাদের কুয়েটে মেডিকেল সেন্টারসহ আশপাশের বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

    বর্তমানে কুয়েটের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকে অবস্থান নিয়েছে। ছাত্রদল ও বিএনপি নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাস সংলগ্ন সড়কে অবস্থান নিয়ে আছে। পুরো এলাকা ঘিরে রেখেছে সেনা  ও নৌবাহিনী, র‌্যাব ও পুলিশ সদস্যরা।

     

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গত কয়েকদিন ধরে কুয়েট শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ম্যাসেনজার গ্রুপে ছাত্রদলের কমিটি গঠন নিয়ে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া চলছিল। সোমবার তারা ক্যাম্পাসে লিফলেট বিতরণ করে। মঙ্গলবার সকালে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবিতে শিক্ষার্থীরা মিছিল বের করে। পরে উপাচার্যের কার্যালয় ঘেরাও করলে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের সঙ্গে বাকবিতন্ডা হয়।

    বেলা ১২টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে মিছিল বের করে। তারা  ‘ছাত্র রাজনীতি ঠিকানা, এই কুয়েটে হবে না’, ‘দাবি মোদের একটায়, রাজনীতি মুক্ত ক্যাম্পাস চাই’, ‘এই ক্যাম্পাসে হবে না, ছাত্র রাজনীতির ঠিকানা’-সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে দিতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র হলগুলো প্রদক্ষিণ করে। পরে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে পৌছালে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা তাদের ভুয়া ভুয়া বলে স্লোগান দেয়। এ সময় দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এক পর্যায়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে তা কুয়েটের বাহিরেও ছড়িয়ে পড়ে।

    দুপুর আনুমানিক দুইটার দিকে কুয়েট পকেটগেটের বাইরে বিএনপি সমর্থিত বহিরাগতরা একজন ছাত্রকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে ক্যাম্পাসের ভিতর ফেলে দেয়। এরপর থেকে সাধারণ ছাত্রদের ভেতর চরম উত্তেজনা দেখা দেয়।

    পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মী একজোট হয়ে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের ধাওয়া দেয়। রেলিগেট, তেলিগাতিসহ আশপাশ এলাকার বিএনপি নেতাকর্মীরা  ছাত্রদলের সঙ্গে যোগ দেয়। বিকাল ৫টা পর্যন্ত সংঘর্ষ চলে। এতে প্রায় ৩০ জন আহত হন। সংঘর্ষে আহতদের কুয়েটের অ্যাম্বুলেন্সে করে একের পর এক হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেখা গেছে। এ পর্যন্ত চারটি অ্যাম্বুলেন্সে করে আহতদের হাসপাতালে নিয়ে গেছে।কুয়েট সিভিল ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী রাহাতুল ইসলাম বলেন, ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবি নিয়ে ভিসির কাছে গেলে ছাত্রদলের ছেলেরা আমাদের হুমকি দেয়। তারা সিনিয়রদের লাঞ্চিত করে। আমরা ভিসির কাছে এই বিচার দিয়ে বের হয়ে আসার পর বিনা উস্কানিতে আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমরা তাদের ধাওয়া দিয়ে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দিয়েছি। পরে আশপাশের এলাকার বিএনপির লোকজন সঙ্গে নিয়ে তারা আবার হামলা চালায়। এতে অসংখ্য ছাত্র আহত হয়েছে।

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন খুলনা জেলা কমিটির মুখপাত্র মিরাজুল ইসলাম ইমন বলেন, বিনা উস্কানিতে ছাত্রদলের কর্মীরা ছাত্রদের রক্ত ঝড়িয়েছে। তারা কুয়েটের সদস্য সচিব জাহিদ ভাইকে রামদা দিয়ে ১০টা কোপ দিয়েছে,  জেলার আহ্বায়ক তাসনিম  ও সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব রাতুলে পা ইট দিয়ে থেকলে দিয়েছে। অসংখ্য ছাত্র আহত। সব তথ্য পরে দিতে পারবো।

    খুলনা মহানগর ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক ইশতিয়াক আহমেদ ইশতি দাবি করেন, ছাত্রশিবির সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালাতে গেলে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা তাদের বাঁধা দেয়। পরে তাদের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে।

    তবে অভিযোগ অস্বীকার করে মহানগর ছাত্রশিবিরের সভাপতি আরাফাত হোসাইন মিলন বলেন, কুয়েটের ঘটনার সঙ্গে ছাত্রশিবিরের কোনো সম্পর্ক নেই। সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রদল ও বিএনপি নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়ে অনেককে আহত করেছে বলে শুনেছি। আমরা হামলার নিন্দা ও জড়িতদের বিচার চাই।

    খানজাহান আলী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কবির হোসেন বলেন, ঘটনাস্থল থেকে ৫ জন আটক করা হয়েছে। সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, পুলিশ ও র‌্যাব পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমরা কাজ করছি।

  • মৌচাক সাহিত্য পরিষদের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

    মৌচাক সাহিত্য পরিষদের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

    শহর  প্রতিনিধি:
    মৌচাক সাহিত্য পরিষদের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টায় তুফান কনভেনশন সেন্টার লেকভিউতে মৌচাক সাহিত্য পরিষদের সভাপতি বিশিষ্ট সমাজসেবক ডা: আবুল কালাম বাবলা’র সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। মৌচাক সাহিত্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কবি- নাট্যকার আব্দুল ওহাব আজাদ’র সঞ্চালনায়  সভায় সংগঠনকে  আরও বেগবান করার লক্ষ্যে ও মৌচাক সাহিত্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক সদ্যপ্রায়াত আব্দুস সোবহানের জীবন ও কর্মের উপর আলোকপাত করে  বক্তব্য রাখেন সংগঠনের উপদেষ্টা মন্ডলীর সভাপতি ড. মোঃ আব্দুল বারী, উপদেষ্টা আব্দুর রব ওয়ার্ছি,অধ্যাপক মোজাম্মেল হোসেন , তৃপ্তিমোহন মল্লিক,মৌচাক সাহিত্য পরিষদের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মছরুর রহমান, সহ সাহিত্য সম্পাদক মো. রফিকুল বারী,সহ সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম,সংস্কৃতিক সম্পাদক মো. মুসা করিম, সহ মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা গুলশান আরা,কার্যনির্বাহী  সদস্য মনিরুজ্জামান মুন্না,মো. শফিকুল ইসলাম, সদস্য এম আলমগীর আলম, শফিউল আলমসহ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
     উক্ত সাধারন সভায় মৌচাক পত্রিকা প্রকাশনা, সাহিত্য সম্মেলন, নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্ত করন,পবিত্র মাহে রমজানের ইফতার মাহফিল, বাৎসরিক পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত  হয়। সাধারণ সভা শেষে মৌচাক সাহিত্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক সদ্যপ্রায়াত আব্দুস সোবহানের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন সংগঠনের  কোষাধ্যক্ষ মোঃ আব্দুল মজিদ।
    ক্যাপশন :মৌচাক সাহিত্য পরিষদের সাধারণ সভায় বক্তব্য রাখছেন সংগঠনের সভাপতি ডা: আবুল কালাম বাবলা।
  • বন্ধুত্ব চাইলে ভারতকে তিস্তার ন্যায্য হিস্যা দিতে হবে: ফখরুল

    বন্ধুত্ব চাইলে ভারতকে তিস্তার ন্যায্য হিস্যা দিতে হবে: ফখরুল

    বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে চাইলে ভারতকে তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, তিস্তা রক্ষার আন্দোলন বাঁচা-মরার লড়াই। জনগণ লড়াই-সংগ্রামের মাধ্যমে তিস্তাকে রক্ষা করবে।

    আজ সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে লালমনিরহাটের কাউনিয়ায় তিস্তাপারে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি। এর আগে তিনি ‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগান সামনে রেখে সমাবেশ উদ্বোধন করেন। তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় ও তিস্তা মেগাপ্রকল্প অবিলম্বে বাস্তবায়নের দাবিতে ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি তিস্তাপারে ৪৮ ঘণ্টা লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি।

    উদ্বোধনকালে তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে জোরালো ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব। জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে অবিলম্বে নির্বাচন দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। সমাবেশে বিভিন্ন দলের নেতারা বলেন, সীমান্ত হত্যা বন্ধ করার পাশাপাশি পারস্পরিক সম্মান ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতে সম্পর্ক গড়তে হবে। ভারতের আগ্রাসীনীতি জনগণ মেনে নেবে না বলেও মন্তব্য করেন তারা।

    সোমবার সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজারো মানুষ এসেছে এই সমাবেশে। একই দাবিতে তিস্তার বাংলাদেশ অংশে ১১৫ কিলোমিটার তিস্তার দুই পাশে ২৩০ কিলোমিটার অংশের ১১টি স্পটে একযোগে ৪৮ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি যোগ দিতে আসছে তিস্তা তীরবর্তীতে বসবাসরত মানুষজন।

    দাবি আদায় অংশ নেওয়া মানুষজনের রাত্রী যাপনের জন্য বানানো হয়েছে শত শত তাঁবু। ব্যবস্থা করা হয়েছে রাতের খাবার।

  • কোথায় হচ্ছে শেখ হাসিনার বিচার কাজ ?

    কোথায় হচ্ছে শেখ হাসিনার বিচার কাজ ?

    তথ্যপ্রমাণও সূক্ষ্ম বিশ্লেষণের মাধ্যমে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের নানা অজানা তথ্য উঠে এসেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে। প্রতিবেদনে অপরাধের নির্দেশদাতা হিসেবে সরাসরি অভিযুক্ত করা হয়েছে শেখ হাসিনাকে। তুলে ধরা হয়েছে মানবতাবিরোধী অপরাধে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ কী ভাবে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করেছে তার চিত্র। রিপোর্টের ভিত্তিতে শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করতে কী বলছেন আইন ও রাজনীতি বিশ্লেষকরা। এর পর আর কীভাবে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে জাতিসংঘ?

    শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে যখন বিচারের দাবি উঠছে তখন জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের তদন্ত প্রতিবেদন অকাট্য দলিল হিসেবে তাদের বিচারের মুখোমুখি করতে অনেকটাই সহায়ক হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন আইন ও রাজনীতি বিশ্লেষকরা।

    আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের দোষীদের বিচারের আবশ্যকতা ন্যায্যতা এবং বিশ্বাসযোগ্যতা আরও অনেক বেশি স্পষ্ট করে ফুটিয়ে তুলেছে।এই প্রতিবেদন বিচার কাজের সহায়ক মেটেরিয়াল হিসেবে প্রতিবেদনটির সাক্ষ্য মূল্য রয়েছে বলেও মনে করছেন তিনি

    বাংলাদেশের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামও সাংবাদিকদের সাথে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছেন, তাঁরা যে সব তথ্যপ্রমাণ পাচ্ছেন তার সঙ্গে জাতিসংঘের এই প্রতিবেদনের সাদৃশ্য রয়েছে এবং এটিকে অকাট্য দলিল হিসেবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ব্যবহার করা যাবে।

    তবে শেখ হাসিনা ও অন্যান্য জড়িতদের বিচারে বাংলাদেশের বিচার কাজের চেয়ে সরকারের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত বা আইসিসিতে মামলা করার প্রয়োজন বলে মনে করেন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সাবেক দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ও যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব এসেক্স এর আইনের শিক্ষক আব্বাস ফয়েজ। কারণ হিসেবে তিনি ব্যাখ্যা করেন এমন গুরুতর বিষয় মোকাবিলা করার আগে বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থায় বড় ধরনের সংস্কার প্রয়োজন।মামলাটি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে পাঠানোর জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি পরামর্শ তাঁর।

    জাতিসংঘের এই প্রতিবেদনের মধ্যে দিয়ে বিচারের একটি নির্ভরযোগ্য ভিত্তির সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন অ্যাডভোকেট এলিনা খান। তবে প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম মনে করেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করতে রাষ্ট্র আগ্রহী বা সক্ষম না হলে তখন আইসিসিতে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিতে পারে।

    জাতিসংঘের এই প্রতিবেদনের একটি সাহসী ও নিরপেক্ষ কাজ হিসেবে প্রশংসিত হয়েছে সচেতন মহলে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও এই প্রতিবেদনকে স্বাগত জানিয়েছে।

  • তিন দিন নিখোঁজের পর সন্তান পাওয়া গেলেও এখনো নিখোঁজ প্রবাসীর স্ত্রী উম্মে হাবিবা রিয়া

    তিন দিন নিখোঁজের পর সন্তান পাওয়া গেলেও এখনো নিখোঁজ প্রবাসীর স্ত্রী উম্মে হাবিবা রিয়া

    শহর প্রতিনিধি:তিন দিন নিখোঁজের পর সন্তান পাওয়া গেলে ও এখনো নিখোঁজ প্রবাসীর স্ত্রী উম্মে হাবিবা রিয়া। গত রবিবার( ১২ জানুয়ারি) পারিবারিক ঝগড়া কারে সন্তানসহ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন মালয়শিয়া প্রবাসী সাতক্ষীরা সদরের ঝাউডাংগা ইউনিয়নের ওয়ারি গ্রামের বাবুর স্ত্রী লাবসা ইউনিয়ন উত্তর দেবনগর গ্রামের উম্মে হাবিবা রিয়া ও তার সন্তান।পরে সোমবার সন্ধ্যার রিয়ার বাড়ির এলাকার চারাবটতলা মোড়ে সন্তানকে কান্নারত অবস্থায় দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন।তবে এখনো নিখোঁজ উম্মে হাবিবা রিয়া।

    নিখোঁজের সময় রিয়ার কাছে থাকা মোবাইল ফোনটি সার্বক্ষণিক বন্ধ থাকা ও অলৌকিকভাবে সন্তানকে রেখে যাওয়া নিয়ে দুই পরিবারের মানুষের মধ্যে অজানা ভয় ও এলাকার মানুষের মাঝে বিভিন্ন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। দুই পরিবারের মানুষের আকুতি তারা যেন সন্তানকে অক্ষত অবস্থায় ফিরে পান। এই ঘটনা উল্লেখ করে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি জিডি করা হয়েছে। জিডি নং ৭৭৪, জিডির দায়িত্বপ্রাপ্ত সদর থানার এসআই (নিরস্ত্র) হাসান পারভেজ বলেন, তার ব্যবহারিত মোবাইল নাম্বার ট্রাকিং এর জন্য কাজ চলছে রিপোর্ট পেলে আমাদের কাজ সহজ হবে আশা করি নিখোঁজ ব্যক্তি কোথায় এবং কিভাবে আছে সেইটা সনাক্ত করতে সক্ষম হব।

  • আশাশুনিতে মৎস‍্য ঘেরের বাসা ও নেট পাটা ভাংচুর করে লক্ষাদিক টাকার ক্ষয়ক্ষতির অভিযোগ 

    বিএম আলাউদ্দীন আশাশুনি প্রতিনিধি:
    আশাশুনিতে মৎস্য ঘেরের বাসা ও নেট পাটা ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা গেছে আদালতপুর গ্রামের মৃত করিম শেখের ছেলে মোঃ নজির উদ্দিন শেখ (৬৯) বাদি হয়ে আদালতপুর গ্রামের মোছেল সরদারের ছেলে শামীম সরদার, মুনছুর গাজীর ছেলে বাবু গাজী, শাহিনুর মিস্ত্রীর ছেলে পলাশ মিস্ত্রী, হাফিজুল সরদারের ছেলে জুয়েল সরদার,
    কোদন্ডা গ্রামের আজিজ গাজীর ছেলে সাদ্দাম গাজী, দূর্গাপুর গ্রামের বাহাদুর ঢালীর ছেলে খায়রুল ঢালী ও তরিকুল ঢালী সহ অজ্ঞাত ৭/৮ জনের বিবাদী করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। থানায় লিখিত অভিযোগ ও বাদির সাথে কথা বলে জানা গেছে বাদি কোদন্ডা মৌজায় ২৪৮ নং খতিয়ানের ২৪৮৫ দাগে আনুমানিক ২৫ বিঘা জমির ঘেরে শান্তিপূর্ণ ভাবে মৎস্য চাষ করে আসছিলো। উল্লেখিত বিবাদীরা ০৩/০১/২৫ তারিখ সকালে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অনাধিকারে মৎস্য ঘেরে প্রবেশ করে ঘেরের বাসা ও নেট পাটা ভাংচুর করে জাল টেনে লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন করে। সেখানে নতুন ঘর নির্মাণকালে বাদি বাধা দিতে গেলে উল্লেখিত বিবাদীরা তাদেরকে মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করে খুন করার হুমকি দেয়। এমতাবস্থায় বাদি পুনরায় মাছ চাষ, ক্ষতি পুরন পেতে ও শান্তিপূর্ণভাবে মৎস্য চাষ করতে পারে সেজন্য প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এবিষয়ে আশাশুনি থানার ডিউটিরত অফিসার এসআই নাহিদুজামান জানান, অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে ইমারজেন্সি ডিউটির ফোর্স পাঠানো হয়েছে। উভয় পক্ষকে স্ব স্ব কাগজপত্র নিয়ে সোমবারে থানায় আসার কথা বলা হয়েছে।
  • চাঁদাবাজ সফি বেপরোয়া!

    চাঁদাবাজ সফি বেপরোয়া!

    অতিষ্ঠ সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড

    বিশেষ প্রতিবেদক:

    সাতক্ষীরায় বিগত সরকারের সময়ে সুযোগ-সুবিধা ভোগকারী ঠিকাদার সফিউর রহমান সফির অত্যাচারে অতিষ্ঠ সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তারা। সফি চাঁদা আদায়ে ব্যবহার করতেন উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তা ও সংসদ সচিবালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে। আলোচিত সফির বিরুদ্ধে এলাকাবাসী সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত গণঅভিযোগ দিয়েছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রাণালয়, দূর্নীতি দমন কমিশন-দুদক, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে জমা দেওয়া অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে সফিউর রহমান সফি বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে পৌর আওয়ামী লীগ নেতা পরিচয়ে বিভিন্ন স্থানে প্রভাব খাটিয়ে সাধারণ মানুষদের কাছ থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার নামে অর্থ আদায় করেছেন।

    অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বিগত ১৫ বছর নিজেকে আওয়ামী লীগ সরকারের লোক, পৌর আওয়ামী লীগ নেতা, বিগত সরকারের একজন পুলিশ কর্মকর্তা ও সংসদ সচিবালয়ের এক কর্মকর্তার নাম ভাঙিয়ে সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের দু’টি বিভাগে (পওর-১ ও ২) নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কর্মকর্তাদের জিম্মি করে রাখতেন এই সফি। ঠিকাদারি কাজের চেয়ে তার আগ্রহ বেশি ছিলো চাঁদাবাজিতে। ইচ্ছামত চাঁদা দাবি করতেন, না দিলেই হয়রানি। ফোন ধরিয়ে দেওয়া হতো কথিত ওই দুই কর্মকর্তাকে। নতুন কাজের টেন্ডার হলেই তাকে একটা কাজ দেওয়াই লাগতো। নিজের লাইসেন্স না থাকার পরও এভাবে মানসিক নির্যাতন করতেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের। ওই সময়ে শফির চাঁদাবাজির বিষয়টি প্রকাশ্যে না আসলেও এখন মুখ খুলতে শুরু করেছে ক্ষতিগ্রস্ত এসব কর্মকর্তারা।

    অভিযোগকারী এলাকাবাসী জানায়, বিগত ২০০৩-২০০৪ সালে মানবপাচার করে শফি ও তার সহযোগীরা অর্থ আদায় করে কয়েকজনকে পথে বসিয়ে দিয়েছে। ভুক্তভোগীরা হলেন, পাবনা জেলার মোঃ সুলতানের ছেলে আজিম ওরফে জুয়েল, মোঃ কলিমুদ্দিন বিশ^াসের ছেলে মোঃ ইলিয়াস, মোঃ আরিফ হোসেনের ছেলে মোঃ ফিরোজ, রাঙ্গামাটি জেলার মোঃ আসলাম হোসেনের ছেলে মোঃ জাকির হোসেন, ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া থানার সত্যনগর গ্রামের মোস্তফা চৌধুরী ও আনোয়ার হোসেনের পরিবারের কাছ থেকে প্রায় পনেরো লক্ষ টাকা ও পাসপোর্ট আত্মসাত করে। এই ঘটনায় আদালত শফিকে এক বছরের কারাদন্ড প্রদান করেন।

    এছাড়াও শফি ঢাকা, নীলফামারী ও সাতক্ষীরা জেলার ১০ থেকে ১৫ জনের নিকট থেকে প্রতারণার মাধ্যমে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। সফি তার বর্তমান শ্যালিকার (স্ত্রীর বোন) সাথে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপনের জন্য বিভিন্ন ধরণের চাপ প্রদান করে। শ্যালিকা রাজি না হয়ে পরিবারের মতে বিয়ে করেন। সে কারনে ওই দম্পতির বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় বিভিন্ন লোকজন দিয়ে মামলা করে তাদের পারিবারিক জীবন বিষিয়ে তুলেছেন বলেও কার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।

    স্থানীয় বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম জানান, সফির বাড়ির সামনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অফিস হওয়ায় নির্বাহী প্রকৌশলীদেরকে জিম্মি করে রাখতে নানা পন্থা অবলম্বন করেন। অফিসাররা যদি তার কথা না শুনলে তাদের বিরুদ্ধে নামে-বেনামে মিথ্যা তথ্য দিয়ে দূর্নীতি দমন কমিশনে বিভিন্ন আবেদন করে। নিজের কোন লাইসেন্স না থাকলেও তিনি নির্বাহী প্রকৌশলীদের অন্যের নামে কাজ দিতে বাধ্য করেন। এর আগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল খায়েরের কাছ থেকেও অবৈধ সুবিধা গ্রহণ করেছে সে। পরে তিনি অনৈতিক সুযোগ সুবিধা দিতে রাজি না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে লাগাতার বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা অভিযোগ করে চলেছে।

    বর্তমান নির্বাহী প্রকৌশলী সালাউদ্দিনের নিকট হতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অর্থ আদায় করেছে। পওর-১ ডিভিশন থেকে ৩ লক্ষ টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে নিয়েছে সফি। গত ১৮ এপ্রিল ২০২৪ তারিখে ২ লাখ ও ১ লাখ করে দুটি স্লিপে মোট তিন লক্ষ টাকা ৩ লাখ টাকা সাউথ বাংলা এগ্রিকালচারাল ব্যাংক সাতক্ষীরা শাখায় মেসার্স শফি এন্টারপ্রাইজ নামের একাউন্টে জমা করা হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি বিএনপি অফিসের নাম করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের শাখা কর্মকর্তা ও নির্বাহী প্রকৌশলীর থেকে মোট অংকের চাঁদা নিয়েছে।

    এদিকে, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নতুন রূপ ধারণ করেছেন ভয়ঙ্কর সফিউর রহমান সফি। জানা গেছে, বর্তমানে নিজেকে বিএনপির স্থানীয় নেতা পরিচয় দিয়ে সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী-১ এর নিকট থেকে সম্প্রতি দুই লাখ টাকা চাঁদা নিয়েছেন সফি। একইভাবে নির্বাহী প্রকৌশলী-২ এর নিকট থেকে শহরের ইটাগাছাস্থ ওয়ার্ড বিএনপির অফিসের চেয়ার ও টেবিল কেনার জন্য ২৫ হাজার টাকা চাঁদা নিয়েছেন কথিত বিএনপি নেতা ও একসময়ের ঠিকাদার সফি।

    সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের শীর্ষ দুই কর্মকর্তাই সফিকে চাঁদা দেওয়ার বিষয়ে মুখ খুলতে ভয় পাচ্ছেন। তবে, ওই দুই কর্মকর্তা বলেন, আমরা প্রচণ্ড চাপে আছি, আমার মানসিক যন্ত্রণায় আছি। এসব বিষয়ে সংবাদপত্রে না লেখার অনুরোধ করেন দুই নির্বাহী প্রকৌশলী।

    সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম বলেন, সফিউর রহমান সফি নামের কোন ব্যবসায়ী বা ব্যক্তি আমাদের সংগঠনে নেই। দলের নামে চাঁদা দাবি করেল তাকে আটকে প্রশাসনের হাতে তুলে দিতে বলেন এই রাজনীতিবিদ।

    শহরের ইটাগাছা এলাকার শাহীন বলেন, সফি আমাদের এলাকায় থাকলেও তার বাড়ি মূলত সীমান্তে। সাতক্ষীরা শহরে ‘ফটকা সফি’ নামে পরিচিত। তিনি কয়েক বছর আগে ঠিকাদারী করতেন এখন বিভিন্ন সরকারি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারি ও শহরের বিভিন্ন শেণিপেশার মানুষের বিরুদ্ধে ভূয়া অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করেন। মানুষকে জিম্মি করে চাঁদা আদায় করেন। বর্তমানে তার নির্দিষ্ট কোনো পেশা নেই।

    অন্যদিকে, চাঁদাবাজ সফির হাত থেকে রেহাই পাননি সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক প্রকৌশলী মো: আবুল খায়ের। তিনি জানান, দুইজন সরকারি কর্মকর্তার ফোন ধরিয়ে দিয়ে সফি তার কাছ থেকে দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে জোরপূর্বক চাঁদা নিয়েছে। যার মধ্যে একজন সংসদ সচিবালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও আরেকজন পুলিশ কর্মকর্তা দাবি করতেন। টাকার লোভ তার পিছু ছাড়েনি। বিভিন্ন ভূঁয়া ও ভিত্তিহীন অভিযোগ দিয়ে সফি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের জিম্মি করতেন। তিনি পরবর্তীতে টাকা না দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে নানান চক্রান্ত করে করেছে এই সফি। তখন টাকা দিতে বাধ্য হয়েছি। সময় পরিবর্তন হয়েছে আমি তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

    আবুল খায়ের আরও বলেন, কোন প্রকল্প অনুমোদন হওয়ার পরে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে যথাক্রমে জিও ও এও জারি করার পরে এডিপিতে বরাদ্দ প্রদান করা হয়। কাজেই ভূঁয়া প্রকল্প হলে কখনোই বরাদ্দ পাওয়া যাবে না। বেড়িবাঁধে টেন্ডারবিহীন কাজ বাস্তবায়ন করা হয়নি। ডিপিএম কাজ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন ও রুলস অনুযায়ী একটি অনুমোদিত পদ্ধতি। এই পদ্ধতি কখন কোথায় ব্যবহার করা যাবে সে বিষয়ে সুষ্পষ্টভাবে ক্রয় আইন ও ক্রয় বিধিমালায় বলা আছে। ওই বিধিমালা অনুসরন করে ডিপিএম পদ্ধতি ব্যবহার করে ফনি, আম্ফান, বুলবুল, ইয়াস বিভিন্ন ঘূর্ণিঝড়ের পরে সাতক্ষীরা এলাকার বেড়ীবাঁধ মেরামত করা হয়। আম্ফানের সময় ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতা এতো বেশি হয়েছিল যে সেনাবাহিনীকে পর্যন্ত মোতায়েন করতে হয়েছিল। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষে বেড়িবাঁধে ডিপিএম কাজের ঘোষণা করা হয় তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর মাধ্যমে। তিনি নিজে এসে বাঁধ পরিদর্শন সাপেক্ষে বিবেচনা করেন যে বাঁধে এ মুহূর্তে ডিপিএম পদ্ধতিতে কার্যক্রম গ্রহণ না করা হলে বাঁধের ক্ষতি হবে কি-না এবং বাঁধ ভাঙলে মানুষের জানমালের ক্ষতি হবে কি-না। এসব বিষয়ে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে আলোচনার সিদ্ধান্তের আলোকে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জরুরি ঘোষণা করেন। কাজেই নির্বাহী প্রকৌশলীর নিজের মনগড়াভাবে ডিপিএম পদ্ধতিতে কাজ বাস্তবায়ন করার কোন সুযোগ নেই। টেন্ডার ছাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোন কাজ করার সুযোগ নেই। টেন্ডার ছাড়া যদি ঠিকাদার আবুল কালাম আজাদ কাজ করেন তাহলে ইজিপি’র টেন্ডার আইডি ৫১০৭১৭ কিভাবে আসলো? একটি প্রকল্পের অধীনে আহবানকৃত প্যাকেজের ইজিপি আইডি পাওয়া কখনো প্রকল্প অনুমোদনের আগে সম্ভব নয়।

    পানি উন্নয়ন বোর্ডের নথিপত্রে জানা গেছে, সাতক্ষীরা জেলার পোল্ডার নং-১, ২, ৬-৮ এবং ৬-৮ (এক্সটেনশন) প্রকল্পটি ০২-০৬-২০২০ খ্রি. তারিখে একনেক সভায় অনুমোদিত হয়। ২৪-০৮-২০২০ খ্রি. তারিখে প্রকল্পটির জিও জারি হয়। ০৮-০৯-২০২০ খ্রি. তারিখে প্রকল্পটির এও জারি করা হয়। ০৫-১১-২০২০ খ্রি. তারিখে বর্ণিত প্যাকেজের দরপত্র আহবান করা হয়। এ প্যাকেজের কাজটি তিনটি স্থানে বাকাল, চরবালিথা ও বলদঘাটায় অবস্থিত। চরবালিথা ও বাকালের তুলনায় বলদঘাটা সীমান্তে প্রাক্কলন অনুযায়ী মাটির পরিমাণ অনেক কম। বলদঘাটা এলাকা সীমান্তবর্তী হওয়ায় কাজ বাস্তবায়নের সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ কর্তৃক বাঁধা দেয়ার কারণে কাজ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। যেহেতু বাঁধের অবস্থান সীমান্ত হতে ১৫০ গজের মধ্যে সেহেতু জোরপূর্বক কাজ বাস্তবায়ন করলে উভয় দেশের মধ্যে অপ্রীতিকর পরিস্থিতির উদ্ভব হতে পারে। এ কারণে বলদঘাটায় ঠিকাদার কর্তৃক কয়েকবার কাজ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিলেও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ কর্তৃক বাঁধার কারণে ডিজাইন অনুযায়ী ওই স্থানে বাঁধ মেরামত করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু অবশিষ্ট দুটি স্থানে যথা বাঁকাল ও চরবালিথায় ঠিকাদার কর্তৃক কাজ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। বাকাল ও চরবালিথায় বাস্তবায়িত কাজের পরিমাণ অনুযায়ী ঠিকাদারকে রানিং বিল প্রদান করা হয়েছে।

    যে কাজটির চুক্তি মূল্য ৫৪৬.৭২ লক্ষ টাকা। বিল দেয়া হয়েছে ২ কোটি তথা ২০০ লক্ষ টাকা। চরবালিথা ও বাকালের কাজের দৈর্ঘ্য ৫ কি:মি: এবং বলদঘাটাসহ সমগ্র কাজের দৈর্ঘ্য ৯.৪ কি:মি:। কাজেই দৈর্ঘ্য অনুযায়ী সমগ্র প্যাকেজে বাস্তবায়িত কাজের হার ৫৩.১ শতাংশের বেশি। কাজেই ৫৩.১ শতাংশ বাস্তবায়িত কাজের ভিত্তিতে যদি ৩৬.৬ শতাংশ বিল প্রদান করা হয় তাহলে সেখানে কিভাবে দুর্নীতি হয়। বাস্তবায়িত কাজের তুলনায় ঠিকাদারকে কম পরিমাণ বিল প্রদান করা হয়েছে। ঠিকাদারকে কোন গাছের বিল প্রদান করা হয়নি। ঘাসের বিল আংশিক প্রদান করা হয়েছে। দাপ্তরিক কাগজপত্র হতে দেখা যায় ডিপিপি বহির্ভূত কোন স্থানে বিল প্রদান করা হয়নি। সিডিউল অনুযায়ী ঠিকাদার কাজ করেছে।

    এদিকে, সাতক্ষীরার ব্যবসায়ী সফিউর রহমান সফির নামে দীর্ঘদিন কোন কার্যাদেশ হয়নি। ঠিকাদারি কাজের নিয়মকানুন না জেনে মানুষকে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে এই ধরণের অভিযোগ করেন। ইতোপূর্বে তিনি সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের পূর্বের নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে জরুরি কাজ নিয়ে দুদকে আবেদন করেন। তদন্তে তার অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি। এই দরপত্র যখন অনুমোদন করা হয় তখন এ অভিযোগকারী তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলীর নিকট কাজ চেয়েছিলেন। কিন্ত আইন ও বিধি অনুযায়ী তাকে কোন কাজ দেয়া সম্ভব হয়নি। এজন্য তিনি তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। সেই সময়ে তিনি হুমকি দিয়েছিলেন যে কিভাবে কাজ বাস্তবায়ন করে সে বিষয়টি তিনি দেখে নিবে।

    এদিকে, সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস সূত্রে জানা গেছে, সফিউর রহমানের নিজস্ব কোন লাইসেন্স নেই। কেবলমাত্র এলটিএম’র একটি লাইসেন্স আছে। বর্তমান নির্বাহী প্রকৌশলীকে গতঅর্থবছরে তাকে অন্যের নামে কাজ দিতে বাধ্য করেছেন। সফি সরকারি কাজের বিরুদ্ধে কিংবা দরপত্রের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে হাইকোর্টে রিট করে কমর্কর্তা ও ঠিকাদারদের জিম্মি করে অর্থ আদায় করে। ইতোপূর্বে সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড-১ এর খাল পুন:খনন কাজের বিরুদ্ধে ২০২১-২০২২ সালে একটি রিট করে কাজটি অন্যের নামে নিয়ে বিশেষ কায়দায় অর্থ আদায় করেছে। সম্প্রতি সময়ে মজুমদার মানিকতলা খাল নিয়ে রিট করেছেন।

    সফির ব্যবহৃত পুলিশের স্টিকার লাগানো গাড়িটি অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অফিস চত্তরে রেখেছেন। এই বিষয়ে কারও টু-শব্দ করার ক্ষমতা নেই। কারন হিসেবে জানা গেছে, তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে দুদকের ভয় দেখান তিনি। দুদকে অভিযোগ করবেন- এমন হুমকি দিয়ে অফিসের যে কোন ধরণের কাজ করেন লাইসেন্স বাতিল হওয়া ঠিকাদার শফি। তার কাজে বাঁধা দেওয়ার মত কেউ নেই- এমন ধারণা অন্যদের!

    সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস চত্ত্বরে পুলিশের স্টিকারযুক্ত গাড়ি কিভাবে থাকে ও গাড়ির মালিক কে? এমন প্রশ্নের জবাবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আশিকুর রহমান জানান, আমি এই ব্যাপারে কোন তথ্য দিতে পারবো না, পরে জানাবো।

    এদিকে, খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, সফির গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁশদহ গ্রামে। গ্রামে বসবাসকালীন সময়ে সীমান্ত দিয়ে সোনা ও গরু চোরাকারবারসহ নানা অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সফির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন জনসাধারণ। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে সে প্রভাব বিস্তার করে এলাকায় গরুর খাটাল, মাদক, অস্ত্র, শাড়ি কাপড় ও স্বর্ণ চোরাচালানের সাথে জড়িয়ে পরে। সফি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত চোরাচালানি ও হুন্ডি ব্যবসায়ী বলেও জানা গেছে। তদন্ত করলে তার অপরাধের রাম রাজত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে। এলাকায় প্রচলিত আছে বীমার টাকা পাওয়ার জন্য সে তার পূর্বের দুই স্ত্রীকে হত্যা করেছেন। এ বিষয়ে বিশেষ প্রক্রিয়ায় তার পূর্বের স্ত্রীদের সন্তানদের নিকট তথ্য সংগ্রহ করা হলে প্রকৃত তথ্য পাওয়া যাবে।

    এই বিষয়ে অভিযুক্ত সফিউর রহমান সফির সাথে যোগাযোগ করা হরে তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি ঠিকাদার তাই পানি উন্নয়ন বোর্ডে আমার যাতায়াত আছে। আমি ফকির না যে বিএনপির অফিসের জন্য টাকা নেব। আমি কখনও খারাপ কাজ করিনি।

  • রেমিট্যান্সে জোয়ার, ২১ দিনে এলো ২ বিলিয়ন ডলার

    রেমিট্যান্সে জোয়ার, ২১ দিনে এলো ২ বিলিয়ন ডলার

    চলতি ডিসেম্বর মাসের প্রথম ২১ দিনে দেশে বৈধপথে ২০০ কোটি ৭৩ লাখ মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ২৪ হাজার কোটি টাকার বেশি (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে)। সে হিসেবে দৈনিক গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে ৯ কোটি ৫৫ লাখ ডলার বা এক হাজার ১৪৫ কো‌টি টাকা।

    রোববার (২২ ডিসেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত সবশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। রেমিট্যান্সের এ ধারা অব্যাহত থাকলে ডিসেম্বরে দেশের প্রবাসী আয় রেকর্ড তিন বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি হবে বলে আশা করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।

    কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ডিসেম্বরের মাসের প্রথম ২১ দিনে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৬১ কোটি ৩১ লাখ ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৭ কোটি ৭৩ লাখ মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৩১ কোটি ১৬ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫১ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।

    ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে এসেছে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার, আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ৪১ লাখ ৫০ হাজার ডলার, সেপ্টেম্বরে এসেছে ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার ডলার, অক্টোবরে এসেছে ২৪০ কোটি (২ দশমিক ৪০ বিলিয়ন) ডলার এবং নভেম্বরে মাসে এসেছে ২২০ কোটি (২ দশমিক ২০ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।

    ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দুই হাজার ৩৯২ কোটি মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। দেশীয় মুদ্রার যার পরিমাণ দুই লাখ ৮২ হাজার কোটি টাকা। রেমিট্যান্সের অঙ্ক এ যাবৎকালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আহরণ। দেশের ইতিহাসে রেকর্ড রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২০-২১ অর্থবছরে, দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ডলার।

  • গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে কমিশন

    গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে কমিশন

    দুই দেশের মধ্যে বন্দি বিনিময়ের কার্যক্রম এবং আটক ব্যক্তিদের সম্ভাব্য পরিণতি সম্পর্কে গোয়েন্দা তথ্য তুলে ধরতে গিয়ে কমিশন তাদের প্রতিবেদনে জানায়, ‘বাংলাদেশে গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা জনসমক্ষে একটি আলোচিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

    সাবেক বিচারপতি মাইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের কমিশন সম্প্রতি ‘সত্য উদঘাটন’ শিরোনামে প্রতিবেদনটি রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে হস্তান্তর করেছে।

    কমিশন জানিয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে এ বিষয়ে একটি জোরালো ইঙ্গিত রয়েছে যে, কিছু বন্দি এখনো ভারতের জেলে থাকতে পারে।

    কমিশন জানায়, ‘আমরা পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করছি যেন তারা ভারতে এখনো বন্দি অবস্থায় থাকাতে পরে এমন যেকোনো বাংলাদেশি নাগরিককে খুঁজে বের করতে সাধ্যমত চেষ্টা করে। বাংলাদেশের সীমানার বাইরে এই বিষয়টি তদন্ত করা কমিশনের এখতিয়ার বহির্ভূত কাজ।’

    প্রতিবেদনে উল্লেখিত দুটি বহুল আলোচিত ঘটনা গুমের এই কার্যক্রম কীভাবে পরিচালিত হয়েছিল তা বোঝার জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ সরবরাহ করে।

    ঘটনা দুটির একটি হলো- বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে অপহৃত হয়ে ভারতীয় কারাগারে উপস্থিত হওয়া সুখরঞ্জন বালির ঘটনা এবং অপরটি হলো বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদের ঘটনা।

    এসব ঘটনার পাশাপাশি হুম্মাম কাদের চৌধুরী জানান, তার কারাগারের বাইরে হিন্দি ভাষায় কথা বলতে শোনা যেত, যেখানে বলা হচ্ছিল- ‘ওকে কখন ধরা হয়েছে? কোনো তথ্য দিয়েছে কি? এখনো কী জিজ্ঞাসাবাদ হয়েছে?’ ইত্যাদি।

    কমিশন জানায়, বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদের ঘটনা বাংলাদেশ-ভারত বন্দি বিনিময় ব্যবস্থার কিছু কার্যপ্রণালীকে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরে।

    ২০১৫ সালে উত্তরায় লুকিয়ে থাকা অবস্থায় আটক হওয়ার পর তিনি জানান, তাকে একটি পরিত্যাক্ত সেলে আটক রাখা হয়েছিল, যেখানে মেঝেতে একটি গর্ত ছিল যা টয়লেট হিসেবে ব্যবহৃত হতো।

    তাকে দেওয়া কম্বলটিতে ‘টিএফআই’ অক্ষরগুলো লেখা ছিল, যা ‘টাস্ক ফোর্স ফর ইন্টারোগেশন’-এর ইঙ্গিত বহন করে।

    তারা জানায়, ওই সময় একমাত্র সক্রিয় টিএফআই কেন্দ্রটি ছিল র‌্যাব গোয়েন্দা শাখার তত্ত্বাবধানে, যা র‌্যাব সদর দপ্তরের অধীনে পরিচালিত হলেও, এটি ঢাকার উত্তরায় র‌্যাব-১ ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরের একটি প্রাচীর ঘেরা স্থাপনার ভিতরে ছিল

  • মারা গেছেন উপদেষ্টা হাসান আরিফ

    মারা গেছেন উপদেষ্টা হাসান আরিফ

    অন্তর্বর্তী সরকারের বিমান ও পর্যটন এবং ভূমি উপদেষ্টা এ এফ এম হাসান আরিফ মারা গেছেন। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাজধানী ঢাকার ল্যাবএইড হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। উপদেষ্টার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মো. আবেদ চৌধুরী।

    উপদেষ্টা হাসান আরিফের ছেলে মুয়াজ আরিফ গণমাধ্যমকে জানান, তার বাবা উপদেষ্টা হাসান আরিফ হঠাৎ করে মেঝেতে পড়ে যায়। এরপরে তাকে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

    গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন এ এফ হাসান আরিফ। এর আগে ২০০১ থেকে ২০০৫ সালের ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এ এফ হাসান আরিফ। এ ছাড়া ফখরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়, ভূমি এবং ধর্ম মন্ত্রণালয় বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

    এ এফ হাসান আরিফ ১৯৪১ সালে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। এরপর স্নাতক এবং এলএলবি ডিগ্রি সম্পন্ন করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।

    ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা হাইকোর্টে ১৯৬৭ সালে আইনজীবী হিসেবে কাজ করেন। এরপর ঢাকায় এসে বাংলাদেশ হাইকোর্টে কাজ শুরু করেন।

    এ এফ হাসান আরিফ বিদেশি বিনিয়োগকারীদের পরামর্শ, নির্মাণ সালিস, বাণিজ্যিক সালিস, অর্থ, ব্যাংকিং এবং সিকিউরিটিজ, করপোরেট, বাণিজ্যিক ও ট্যাক্সেশন , সাংবিধানিক আইন বিষয়, পাবলিক আস্বাদন, আরবিট্রেশন এবং বিকল্প বিরোধ সমাধানের অন্যান্য পদ্ধতি নিয়ে কাজ করছেন।

  • মাছের উৎপাদন বৃদ্বিতে সুন্দরবনে প্রকল্প হাতে নিয়েছে হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তর

    মাছের উৎপাদন বৃদ্বিতে সুন্দরবনে প্রকল্প হাতে নিয়েছে হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তর

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি :
    বাংলাদেশের ৪৩ শতাংশ জলাশয়কে কাজে লাগিয়ে যদি মৎস্য উৎপাদন করা যায় তাহলে বিপুল পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পাশাপাশি অর্থনীতিকে আরো সচল করা সম্ভব। এ জন্য জলাশয় ও হাওরগুলোর উপর গুরুত্বারোপ করছে সরকার। এর আওতায় মাছের উৎপাদন বৃদ্বির জন্য সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার সুন্দরবনে জীববৈচিত্র রক্ষাকরে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তর। বাংলাদেশে মোট ১৪টি প্রকল্পের মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বাগেরহাট ও শ্যামনগর উপজেলা রয়েছে। এর জন্য সি,জে,এইচ ও আই, ডাবলু সমিক্ষা করবে। এর জন্য ১০ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।

    আজ বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হাওরের ১০০ বছর এবং আমাদের করনীয় বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন  বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অতিরিক্ত সচিব মোঃ আক্তারুজ্জামান।

    কর্মশালায় জেলা প্রশাসক মোঃ মোশতাক আহমেদের সভাপতিত্বে অনান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বিষ্ণুপদ পাল, সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ বাসুদেব, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ সাইফুল ইসলাম, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জিএম সেলিম, সাংবাদি মনিরুল ইসলাম মনি,  গোলাম সারোয়ার প্রমূখ। এসময় জেলা প্রশাসনের সকল কর্মকর্তা,বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি ও বৈষ্যমবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।