Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
বিশেষ সংবাদ Archives - Page 49 of 74 - Daily Dakshinermashal

Category: বিশেষ সংবাদ

  • লাদাখে হত ২০ ভারতীয় সেনা, চিনের দিকে হতাহত ৪৩

    লাদাখে হত ২০ ভারতীয় সেনা, চিনের দিকে হতাহত ৪৩

    আন্ত্রজাতিক ডেক্স : লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারত এবং চিনের সেনা সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার রাতে এমনটাই দাবি করেছে সংবাদ সংস্থা এএনআই। ভারতীয় সেনাকে উদ্ধৃত করে এএনআই জানিয়েছে, সোমবার রাতের সংঘর্ষে তিন জন ভারতীয় সেনা নয়, কমপক্ষে ২০ জন নিহত হয়েছেন। অন্য দিকে, সরকারি সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, চিনা বাহিনীরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এএনআই-এর দাবি, চিনা বাহিনীর অন্তত ৪৩ জন নিহত নয়তো গুরুতর আহত।

    মঙ্গলবার সকালে পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় পয়েন্ট ১৪ ভারত-চিন সেনার সংঘর্ষের খবর প্রকাশ্যে আসে। প্রাথমিক ভাবে সেনা সূত্রে জানা গিয়েছিল, সোমবার রাতের সংঘর্ষে, ভারতীয় সেনার ১ কর্নেল-সহ তিন জন নিহত হয়েছেন। সেনা এবং সরকারি সূত্রকে উদ্ধৃত করে, একাধিক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম দাবি করে, চিনের অন্তত পাঁচ জন সেনা নিহত হয়েছেন সোমবার রাতের সংঘর্ষে। কিন্তু সন্ধ্যার পর থেকেই পরিস্থিতি বদলাতে থাকে।

    ভারতীয় সেনা সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, সোমবার রাতে সংঘর্ষে আরও ১৭ জন গুরুতর ভাবে জখম হয়েছিলেন। হিমাঙ্কের নিচে তাপমাত্রায়, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে অত উঁচুতে, খোলা আকাশের নীচে আহত অবস্থায় দীর্ঘ ক্ষণ থাকার ফলে তাঁদের মৃত্যু হয়। ওই সেনা সূত্রকে অভিহিত করে সংবাদ সংস্থা এএনআই দাবি করেছে, ওই সংঘর্ষস্থল থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর পিছু হটেছে দু’পক্ষই। সেনা জানিয়েছে, ভারতীয় ভূখণ্ডের সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতা রক্ষা করতে তারা বদ্ধপরিকর।

    সংবাদসংস্থা এএনআই ১০ জন ভারতীয় সেনা মৃত্যুর খবর প্রকাশ করলেও এখনও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। এ দিন সন্ধ্যায় বিবৃতিতে বিদেশ মন্ত্রকের এক মুখপাত্র সোমবার লাদাখে সংঘর্ষের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। সেই বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়েছে, চিনা বাহিনী বিনা প্ররোচনায়, একতরফা ভাবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার স্থিতাবস্থা ভাঙার চেষ্টা করলে সংঘর্ষ শুরু হয়। ওই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সংঘর্ষে দু’পক্ষের সেনাই হতাহত হয়েছেন। তবে ওই বিবৃতিতে হতাহত সম্পর্কে নির্দিষ্ট কোন সংখ্যা উল্লেখ করা হয়নি। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে খবর, কিছু ক্ষণের মধ্যেই বিবৃতি প্রকাশ করা হবে।

  • প্রেমিকের বিচার চেয়ে সুইসাইড নোট, অন্তঃসত্ত্বা স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা!

    প্রেমিকের বিচার চেয়ে সুইসাইড নোট, অন্তঃসত্ত্বা স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা!

    ‘আমার পেটে জীবনের বাচ্চা। আমিতো বেঁচে থাকতে ওর বিচার করতে পারলাম না। মরার পরে যেন কঠোর বিচার হয়” মৃত্যুর আগে এভাবে আবেগঘন সুইসাইড নোট লিখে দুই মাসের অন্তঃস্বত্তা এক স্কুলছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। সোমবার সকাল ৭ টার দিকে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়ের চর নিতাইল পাড়ার পূর্ব পাড়াতে এ ঘটনা ঘটে।

    ওই ছাত্রীর নাম সোনিয়া খাতুন (১৬)। তিনি শালঘর মধুয়া হাজী আছিয়া খাতুন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী এবং নিতাইল পাড়ার সুফিয়া খাতুনের কন্যা। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, একই এলাকায় জহুরুল হাজীর কলেজ পড়ুয়া ছেলে জীবনের (২০) সাথে সোনিয়ার প্রায় এক বছর যাবৎ প্রেম চলছিল। এর মাঝে তারা শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। সম্পর্কের এক পর্যায়ে সোনিয়া দুই মাসের অন্তঃস্বত্তা হয়ে পড়লে বিয়ের জন্য জীবনকে সোনিয়া চাপাচাপি করতে থাকে। এরপর গত শনিবার জীবনের সাথে পালিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যাগপত্র গুছিয়ে রাখে সোনিয়া। কিন্তু জীবন পালাতে রাজি না হওয়াই রবিবার সন্ধ্যায় জীবনের বাড়িতে ছুটে যায় সোনিয়া। এসময় জীবনের মা বাবা বোন মিলে সোনিয়াকে মারধর করে তাড়িয়ে দেয়। সোনিয়া সোজা বাঁশগ্রাম পুলিশ ক্যাম্পে গিয়ে লিখিত অভিযোগ করে। পুলিশ বিষয়টি দেখা হবে বলে আশ্বস্ত করে সোনিয়াকে বাড়ি পৌঁছে দেয়। অপমান আর ক্ষোভে সোমবার সকাল ৭ টার দিকে সুইসাইড নোট লিখে নিজ ঘরে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে সোনিয়া।

    নিহতের মা সুফিয়া খাতুন জানান, জীবনের সাথে গোপনে সোনিয়ার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। জীবনের বাড়িতে গেলে ওরা মারধর করলে ক্যাম্পে যায় সোনিয়া। পরে পুলিশ সোনিয়াকে বাড়ি পৌঁছে দেয়। তিনি আরো জানান, রাতেই সোনিয়ার কাছ থেকে জানতে পারলাম ওদের শারীরিক সম্পর্ক ছিল এবং সোনিয়া দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তবে মেডিকেল টেস্ট করানো হয়নি। সুফিয়া জানান, আমার মেয়ে বাবা হারা। অনেক কষ্টে বড় করেছি। ওর সাথে যারা খারাপ কিছু করেছে, তাদের কঠোর বিচার চাই। 

    এ বিষয়ে বাঁশগ্রাম পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ রেজাউল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, মেয়েটি ক্যাম্পে এসে তার এক ছেলের সাথে প্রেমের কথা জানিয়ে বলে আমি বাড়ি গেলে পরিবারের লোকজন মারবে। এ কথা শুনে আমরা বাড়ি পৌঁছে দিয়েছি। তবে লিখিত অভিযোগের কথা তিনি অস্বীকার করেন। 

    কুমারখালী থানার ওসি অফিসার মজিবুর রহমান জানান, সুইসাইড নোট লিখে মেয়েটি ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তদন্তের স্বার্থে সুইসাইড নোটসহ একটি ডায়েরী জব্দ করা হয়েছে এবং সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এদিকে ঘটনার পর থেকেই জীবনসহ তার পরিবারের সকল সদস্য পলাতক রয়েছে।

  • তরুণীকে পাচারের পর যৌনপল্লিতে বিক্রি, যুবক গ্রেফতার

    তরুণীকে পাচারের পর যৌনপল্লিতে বিক্রি, যুবক গ্রেফতার

    :

    ডেক্স রিপোর্ট : কথা ছিল ঢাকায় নিয়ে চাকরি দেওয়া হবে। কিন্তু সেই চাকরির নামে নিজের অজান্তেই পাচার হয়ে যান এক তরুণী। পরে তাকে রাজবাড়ির দৌলতদিয়া যৌনপল্লিতে নিয়ে বিক্রি করে দেওয়া হয়। তবে শেষ পর্যন্ত নিজের চেষ্টা ও ভাগ্যের জোরে অন্ধকার সেই জগৎ থেকে পালিয়ে আসতে সক্ষম হন তরুণী। এর পর ওই মানবপাচারকারীর বিরুদ্ধে থানায় গিয়ে অভিযোগ দেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে তড়িৎ ব্যবস্থা নেয় পুলিশ।

    মঙ্গলবার (১৬ জুন) ভোরে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার উজানপাড়া এলাকা থেকে মানবপাচারকারী আলিফ হোসেনকে (২৮) গ্রেফতার করা হয়। আলিফ রাজশাহী মহানগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার গুড়িপাড়া এলাকায় তকবুল হোসেনের ছেলে। 

    রাজশাহীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) ইফতে খায়ের আলম মঙ্গলবার বিকেলে এ মানবপাচারের ঘটনা ও দোষি ব্যক্তি গ্রেফতার অভিযানের তথ্য নিশ্চিত করেন।

    ইফতে খায়ের আলম বলেন, গ্রেফতারের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়েছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আলিফ জানিয়েছেন- ঢাকার পোশাক কারখানায় চাকরি দেওয়ার নাম করে ওই তরুণীকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি রাজবাড়ির দৌলতদিয়া যৌনপল্লিতে নিয়ে গিয়ে মাত্র ২৫ হাজার টাকায় তাকে বিক্রি করে দিয়ে আসেন। আলিফ মানবপাচারকারী চক্রের সঙ্গে জড়িত বলে জানিয়েছে। এ চক্রের আরও তিনজনের নাম বলেছে। বর্তমানে তাদের গ্রেফতারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

    তিনি আরও বলেন, গোদাগাড়ীর ওই অসহায় তরুণীকে গত ৯ জুন চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়েছিল আলিফ। ১৫ জুন ওই তরুণী বহু কষ্টে দৌলতদিয়া যৌনপল্লি থেকে পালিয়ে আসতে সক্ষম হন। তিনি বাড়ি ফিরে পরিবারকে ঘটনা খুলে বলেন। পরে তারা গোদাগাড়ী থানায় অভিযোগ করেন। পরে রাজশাহীর পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহর নির্দেশে তড়িৎ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ওই মানবপাচারকারীকে ধরতে রাতেই অভিযান শুরু করে গোদাগাড়ী থানা পুলিশ। 

    পরে মঙ্গলবার ভোরে মানবপাচারকারী আলিফকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারেও পাঠানো হয়েছে বলেও জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতে খায়ের আলম।

  • ডা. জাফরুল্লাহর শারীরিক অবস্থার হঠাৎ অবনতি

    ডা. জাফরুল্লাহর শারীরিক অবস্থার হঠাৎ অবনতি

    ডেক্স রিপোর্ট : গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শারীরিক অবস্থার কিছুটা অবনতি হয়েছে। করোনা নেগেটিভ হলেও তার শরীরে নিউমোনিয়ার প্রাদুর্ভাব আগের তুলনায় বেড়েছে।

    মঙ্গলবার (১৬ জুন) বিকেলে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভেরিভায়েড ফেসবুক পেজে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শারীরিক অবস্থার আপডেট শিরোনামে এ তথ্য জানানো হয়।

    এতে অধ্যাপক ডা. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মামুন মোস্তাফিজ বলেন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর স্বাস্থ্যের অবস্থা আজ কিছুটা চিন্তাযুক্ত। তার নিউমোনিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। অবস্থা বিবেচনায় নতুন করে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ডা. জাফরুল্লাহ সবার দোয়া চেয়েছেন।

    ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বর্তমানে ওনার নিজের স্থাপিত প্রতিষ্ঠান গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে অধ্যাপক ডা. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মামুন মোস্তাফিজ ও অধ্যাপক ডা. নাজিব মোহাম্মদের সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন।

  • সাতক্ষীরাসহ দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় এলাকাকে দুর্যোগ প্রবন এলাকা হিসেবে ঘোষণার দাবীতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন ও প্রধানমন্ত্রীর বরাবর স্মারকলিপি প্রদান

    সাতক্ষীরাসহ দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় এলাকাকে দুর্যোগ প্রবন এলাকা হিসেবে ঘোষণার দাবীতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন ও প্রধানমন্ত্রীর বরাবর স্মারকলিপি প্রদান

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : ঘুর্নিঝড় আম্পান দুর্গত এলাকাকে দুর্যোগ প্রবণ
    এলাকা ঘোষনা, উপকূলীয় এলাকায় টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মান, ঝড়-জলোচ্ছাস,
    নদীর বেড়িবাঁধ ভাঙন, লবনাক্ততা ও জলাবদ্ধতায় বিপন্ন উপকূলীয় এলাকার মানুষকে
    রক্ষার দাবীতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে
    জেলা নাগরিক কমিটি। সোমবার বেলা ১১ টায় সাতক্ষীরা কালেকটরেট চত্বরে
    মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে উক্ত স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
    জেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক আনিসুর রহিমের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে
    বক্তব্য রাখেন, অধ্যাপক আবু আহমেদ, প্রফেসর আব্দুল হামিদ, মমতাজ আহমেদ বাপী,
    এড. শেখ আজাদ হোসেন বেলাল, সুধাংশু শেখর সরকার, আবুল হোসেন, আব্দুল
    বারী, এম কামরুজ্জামান, এড. খগেন্দ্র নাথ ঘোষ প্রমুখ।


    বক্তারা বলেন, ঝড়-জলোচ্ছাস ছাড়াও দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় এলাকার মানুষ নদীর বাঁধ
    ভেঙে প্লাবিত হওয়া, লবণাক্ততা বৃদ্ধি এবং জলাবদ্ধতা সমস্যার সাথে প্রতিনিয়ত
    যুদ্ধ করে চলেছে। এক সময় অন্য জেলা থেকে লোক না এলে এ এলাকার ধান কাটা
    হতো না সেই এলাকার লাখ লাখ মানুষ এখন কাজের সন্ধানে দেশের বিভিন্ন এলাকায়
    যেতে বাধ্য হচ্ছে। সরকারের নানামুখি উদ্যোগ নেয়ার সত্বেও এই এলাকায় দারিদ্র
    পরিস্থিতির আশানুরূপ উন্নতি হচ্ছে না। শিক্ষাসহ অন্যান্য সূচকেও এই এলাকা
    পিছিয়েই থাকছে কেবলমাত্র প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে।
    মানববন্ধন থেকে সাতক্ষীরাসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় এলাকাকে দুর্যোগ
    প্রবন এলাকা হিসেবে ঘোষণা, এলাকার উন্নয়নে পৃথক অথরিটি গঠন এবং
    সেই অথরিটিকে পর্যাপ্ত বরাদ্দসহ বিভিন্ন দাবী-দাওয়া পেশ করা হয় এবং বিভিন্ন
    দাবী সম্বলিত একটি স্মারকলিপি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর
    প্রদান করা হয়।

  • সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে করোনা উপসর্গ নিয়ে এক নারীর মৃত্যু, গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আরো ৬ জনসহ জেলায় মোট ৮৫ জন করোনা আক্রান্ত

    সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে করোনা উপসর্গ নিয়ে এক নারীর মৃত্যু, গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আরো ৬ জনসহ জেলায় মোট ৮৫ জন করোনা আক্রান্ত

    নিজস্ব প্রতিনিধি : করোনার উপসর্গ নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ
    হাসপাতালের আইসোলেশনে আমেনা বেগম নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
    সোমবার রাত ১১টায় তিনি মারা যান।
    তিনি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মাহমুদপুর গ্রামের মফিজুল মোড়লের স্ত্রী।
    মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ রফিকুল ইসলাম জানান,
    গত রোববার জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে আমেনা বেগম (৩৮) মেডিকেল কলেজ
    হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায়
    আমেনা বেগম রাতে মারা যান। তিনি আরো জানান, ওই দিনই তার নমুনা
    সংগ্রহ করে খুলনা পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। এখনও তার নমুনা পরীক্ষার
    রিপোর্ট পাওয়া যায়নি।
    সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাঃ জয়ন্ত সরকার
    জানান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে মৃতের লাশ দাফনের প্রস্তুতি চলছে।
    তিনি আরো জানান, মৃত ওই নারীর বাড়িসহ তার আশোপশের কয়েকটি
    বাড়ি লক ডাউন করা হয়েছে।
    এনিয়ে সাতক্ষীরায় করোনার উপসর্গ নিয়ে এ পর্যন্ত মোট ১৫ জনের
    মৃত্যু হয়েছে। এদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় সাতক্ষীরায় নতুন করে আরো ৬
    জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে জেলায় আজ পর্যন্ত মোট ৮৫ জনের
    করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১ হাজার ৪৭৩
    জনের। ইতিমধ্যে ১ হাজার ২১ জনের রিপোর্ট সিভিল সার্জন কর্যালয়ে
    এসে পৌছেছে। এরমধ্যে ৮৫ টি রিপোর্ট পজিটিভ বাকী সব নেগেটিভ
    এসছে।

  • কামরানের মৃত্যুতে সাতক্ষীরা জেলা আ.লীগের শোক

    কামরানের মৃত্যুতে সাতক্ষীরা জেলা আ.লীগের শোক



    বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, সিলেট
    সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র বদর উদ্দীন আহমদ কামরানের
    মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ ও তার শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি
    সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি,
    সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আহমেদ এবং সাধারণ
    সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম।
    সোমবার এক বিবৃতিতে তারা এই শোক প্রকাশ করেন। প্রেস
    বিজ্ঞপ্তি

  • রেড জোনে জোরদার হচ্ছে সেনা টহল

    রেড জোনে জোরদার হচ্ছে সেনা টহল

    করোনা ভাইরাস ঠেকাতে সংক্রমণের ভিত্তিতে ঢাকা শহরের ৪৫টি এলাকাকে রেড জোন চিহ্নিত করা হচ্ছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ইতোমধ্যে রেড জোনে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। 

    এদিকে, রেড জোন চিহ্নিত এলাকাগুলোতে সরকারি নির্দেশাবলী যথাযথভাবে নিশ্চিতের উদ্দেশে সেনা টহল জোরদার করা হচ্ছে।মঙ্গলবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সহকারী পরিচালক রাশেদুল আলম খান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

    ইতোমধ্যে রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজার পরীক্ষামূলক রেড জোন ঘোষণা করে লকডাউন করা হয়েছে। সে এলাকা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে প্রশাসন।

  • প্রথমবার ভারতের আকাশে দেখা মিলল সেই পবিত্র ‘আইবিস’

    প্রথমবার ভারতের আকাশে দেখা মিলল সেই পবিত্র ‘আইবিস’

    বিশ্বজুড়ে চলছে করোনা আবহ। অদৃশ্য ব্যাধির দাপটে কার্যত বেসামাল অবস্থা ভারতবাসী। করোনার সংক্রমণ রোধে চলছে দফায় দফায় লকডাউন। তবুও লাগাম টানা যাচ্ছে না মৃত্যু মিছিলের। প্রায় পাঁচ মাস হতে চলল গৃহবন্দি সাধারণ মানুষ। আর এই সুযোগে প্রকৃতি যে হাঁফ ছেঁড়ে বেঁচেছে তার প্রমাণ আগেও বহুবার মিলেছে।

    ফের এই লকডাউনের সময় অভিনব এক দৃশ্যের সাক্ষী হয়ে রইলেন প্রকৃতি প্রেমী মানুষজন। এবার ভাদোদরার আকাশে দেখা মিলল সুদূর আফ্রিকার ‘আফ্রিকান আইবিস পাখির।’ যা আফ্রিকানদের কাছে পবিত্র পাখি হিসেবে খ্যাত। আর ঘরে বসে এমন অবাক করা দৃশ্যের সাক্ষী থাকতে পেরে আপ্লুত হয়ে পড়েছেন আট থেকে আশি বছরের সকলেই।সম্প্রতি এই আফ্রিকান আইবিস পাখির ছবিটি নিজের ইন্সটাগ্রামে পোস্ট করেছেন সোরং দালভি। পেশায় ইঞ্জিনিয়ার ওই ব্যক্তির বাড়ি ভাদোদরার সানফার্মা রোডে। গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সোরং জানিয়েছেন, পেশায় ইঞ্জিনিয়ার হলেও পশুপাখির প্রতি তার প্রেম অনেকদিনের। নতুন নতুন পশু-পাখির সঙ্গে পরিচিত হওয়া তার একটা নেশাও বটে। আর এই নেশার টানেই কাজের ফাঁকে সময় পেলেই তিনি বেরিয়ে পড়েন নতুন কিছু আবিষ্কারের সন্ধানে। আর এভাবেই প্রতিদিন সকালে দুই ঘণ্টা সময় নিজেকে উজাড় করে দেন প্রকৃতির সঙ্গে।

    প্রকৃতির প্রতি এমন ভালোবাসায় তাকে সাক্ষাৎ করিয়ে দিয়েছে আফ্রিকান আইবিস পাখির সঙ্গে। সোরং আরও জানিয়েছেন, গত এপ্রিল মাসের ২০ তারিখ ভাদোদরার একটি জঙ্গল থেকে তিনি পরিযায়ী ওই পাখির ছবিটি তোলেন। প্রথমে তিনি পাখিটি চিনতে না পারলেও ওই ছবিটি নিয়ে গিয়ে দেখান তারই এক বন্ধুকে। 

    এরপর ওই ছবিটি পাঠানো হয় এমএস প্রাণীবিদ্যা বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখান থেকেই নিশ্চিতভাবে জানানো হয় যে, সোরং-এর তোলা পরিযায়ী পাখিটি হল আফ্রিকান আইবিস পাখি। যা আগে কখনও ভারতে দেখা যায়নি। শুধু তাই নয়, এই পাখিদের বিচরণ ক্ষেত্র একমাত্র দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে মধ্য আফ্রিকার মধ্যে। তবে মাঝেমধ্যে এর দেখা মেলে কাজাকিস্তান, তুর্কি, ইরাক এবং রাশিয়ায়।

    ফলে বলাবাহুল্য, করোনাভাইরাস ঠেকাতে বিশ্বজুড়ে জারি লকডাউন। আকাশপথে বিমান চলাচলও থমকে যাওয়ায় একপ্রকার নিশ্চিন্তে উড়ে বেড়াচ্ছে পরিযায়ী পাখির দল। কারণ, পাখিদের যে সীমানায় বেঁধে রাখা যায় না। কলকাতা২৪

  • আশাশুনিতে পুলিশ সুপার এর পক্ষ থেকে খাদ্য সহায়তা প্রদান

    আশাশুনিতে পুলিশ সুপার এর পক্ষ থেকে খাদ্য সহায়তা প্রদান

    নিজস্ব প্রতিনিধি: আশাশুনিতে পুলিশ সুপার মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান এর পক্ষ থেকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। রবিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত এ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন এ এসপি সার্কেল শেখ ইয়াসিন আলী। আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের ৬০০ পরিবার ও শ্রীউলা ইউনিয়নের ৬০০ পরিবার মোট ১২০০ পরিবারের মাঝে প্রত্যেককে ১৪ কেজি আটা বিতরণ করা হয়। খাদ্য সামগ্রী বিতরণ কালে এ এসপি সার্কেল শেখ ইয়াসিন আলী বলেন, সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানের পক্ষ থেকে ও দিকনির্দেশনায়  আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ও প্রতাপনগর ইউনিয়নের পানিবন্দি মানুষ যারা অসহায় অবস্থায় দিনযাপন করছে তাদেরকে খাদ্যসহায়তা প্রদান করা হয়েছে। আমরা জনগণের সেবক হিসাবে সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ছিলাম এবং ভবিষ্যতেও থাকবো। তিনি আরো বলেন, আগামী দিনে এই এলাকার পানিবন্দি মানুষ খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি যাহাতে চিকিৎসা সেবা পায় তার ব্যবস্থা করা হবে। খাদ্য বিতরণ কালে আশাশুনি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এবিএম মোস্তাকিম, থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ গোলাম কবির, অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মোঃ মাহফুজুর রহমান, এসআই হাসানুজ্জামান, শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিল, প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জাকির হোসেন, আনুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর আলম লিটন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ বাচ্চু, পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্য বৃন্দ জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।

  • তালায় সেভ ওয়াল্ড লাইফের বন্য পাখি উদ্ধার,প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান

    তালায় সেভ ওয়াল্ড লাইফের বন্য পাখি উদ্ধার,প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান


    প্রেস বিজ্ঞপ্তী:
    সাতক্ষীরা জেলায় তালা উপজেলার খলিলনগর ইউনিয়নের হাজরাকাটি গ্রাম হতে এক বন্য অসুস্থ বাজ পাখি উদ্ধার করেছেন সেভ ওয়াল্ড লাইফের সদস্যরা।পাখিটিকে উদ্ধার করে উপজেলা প্রাণী সম্পদ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে।
    জানাযায়,উপজেলার খলিলনগর ইউনিয়নের হাজরাকাটি নামক গ্রামে গভীর রাতে স্থানীয় এলাকাবাসী পরিতাক্ত অবস্থায় বাজ পাখিটিকে দেখতে পায়।পরে সেভ ওয়াল্ড লাইফ সহ-সভাপতি জহর হাসান সাগরের মুঠোফোন যোগাযোগ করা হয়।
    জহর হাসান সাগর জানান,আমাকে রাত্র আনুমানিক ১টার দিকে মুঠোফোনে জানানো হয় একটি বাজ পাখি অসুস্থ্য অবস্থায় পরিতাক্ত স্থানে আছে। আমি স্থানীয় আওয়ামীলীগ আফজাল হোসেন সহ সেভ ওয়াল্ড লাইফের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে পাখিটিকে উদ্ধার করা হয় ।পরবর্ত্তিতে সকালে তালা উপজেলা প্রাণী সম্পদ হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সেভ ওয়াল্ড লাইফের সাধারণ সম্পাদক মো: বায়োজিদ মাওলানার বাসাতে রাখা হয়েছে। বাজ পাখিটি সুস্থ্য হলে পরিবেশের মাঝে উন্মক্ত করা হবে।
    প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা সজ্ঞয় বিশ্বাস জানান,সকাল আনুমানিক ১১টার দিকে সেভ ওয়াল্ড লাইফের সভাপতি মো: ইমরান হোসেন,সি:সহ-সভাপতি এসএম হাসান আলী বাচ্চু,সহ-সভাপতি জহর হাসান সাগর,শেখ ইমরান হোসেন,সাধারণ সম্পাদক বায়োজিদ মাওলানা, সাংগঠনিক সম্পাদক সোহাগ হোসেন, কার্যকারী সদস্য বি এম বাবলুর রহমান,গোপীনাথ শীল,মো:আবদুল্লা,আক্তার হোসেন,সাধারণ সদস্য আব্দুল্লা আল-মামুন উপজেলা প্রাণী সম্পদ কার্যলয়ে নিয়ে আসে।আমি পাখিটার পা ও গলায় আঘাত প্রাপ্ত হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করেছি এবং পাখিটিকে কিছুদিন বিশ্রামে রাখতে বলেছি।

  • রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় চিরনিদ্রায় শায়িত মোহাম্মদ নাসিম

    রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় চিরনিদ্রায় শায়িত মোহাম্মদ নাসিম

    ন্যাশনাল ডেক্স : দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র ও সাবেক মন্ত্রী বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ জননেতা মোহাম্মদ নাসিম। 

    আজ সকালে প্রথমে রাজধানীর সোবহানবাগ মসজিদে নামাযে জানাজা শেষে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় নিজ বাড়িতে। এরপর সকাল সাড়ে দশটায় বনানী কবরস্থানে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা শেষে তাকে বনানী কবরস্থানে মায়ের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়। সকাল সাড়ে দশটায় দ্বিতীয় নামাজে জানাজা শেষে ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ’র পক্ষে তার সামরিক সচিব, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সামরিক সচিব, এরপর আওয়ামী লীগের পক্ষে কেন্দ্রীয় নেতারা দলের পতাকা মুড়িয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

    পর্যায়ক্রমে কেন্দ্রীয় ১৪ দল, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, গাজীপুর সিটি করপোরেশন, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ, ছাত্রলীগ, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ, দক্ষিণ আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতারা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।  

    নামাজে জানাজায় সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার জন্য বলা হলেও প্রিয় নেতাকে শেষ বিদায় নিতে শত শত নেতাকর্মীর ঢল নামে বনানী কবরস্থানে। বনানীতে মানুষের ঢল যেন না নামে সেজন্য রাস্তায় চেক পোস্ট বসানো হয়। তারপরও মানুষের ঢল নামে। 

    গতকাল বেলা সোয়া ১১টার দিকে রাজধানীর একটি তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে মোহাম্মদ নাসিমের বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। তিনি স্ত্রী, তিন ছেলেসহ অসংখ্য নেতাকর্মী, আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। বর্ষিয়ান এই রাজনীতিবিদের মৃত্যুতে সারাদেশে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। 

    বনানীতে জানাজার আগে তার বড় সন্তান সাবেক এমপি প্রকৌশলী তানভির শাকিল জয় দেশবাসীর উদ্দেশে বলেন, আমার বাবা অসুস্থ হওয়ার পর থেকেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিয়েছেন। পরিবারের পক্ষ থেকে আমি তার প্রতি অসীম কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। তিনি বলেন, মানুষ ভুলে উর্ধ্বে নয়, আমার বাবারও ভুলত্রুটি হয়ে থাকলে সন্তান হিসেবে আমি সকলের কাছে ক্ষমা চাই। আপনাদের প্রিয় নেতাকে ক্ষমা করে দেবেন। 

    সিরাজগঞ্জবাসীর উদ্দেশে নাসিমপুত্র জয় বলেন, সিরাজগঞ্জের মানুষের দাবি ছিল আমার পিতাকে একনজর শেষ দেখার। কিন্তু করোনাভাইরাসের কথা চিন্তা করে সিরাজগঞ্জবাসীর লাখ লাখ মানুষের দাবি পুরণ করতে পারিনি। আপনারা আমার বাবার জন্য দোয়া করবেন। 

    বনানী কবরস্থানে নামাজে জানাজায় অংশ নেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুল মতিন খসরু, কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, পররাষ্ট্র মন্ত্রী একেএম আবদুল মোমেন, কেন্দ্রীয় সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, উপ দফতর সম্পাদক সায়েম খান ও তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান প্রমুখ। 

    পরে আওয়ামী লীগের পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় উপস্থিত ছিলেন ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দফতর সম্পাদক ব্যারিষ্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।

  • ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ আর নেই

    ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ আর নেই

    ন্যাশনাল ডেক্স : ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লাহ আর নেই। শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১ টার দিকে তিনি রাজধানীর সম্মিলিতি সামরিক হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

    তার ব্যক্তিগত সহকারী (এপিএস) নাজমুল হক সৈকত গণমাধ্যমকে খবরটি নিশ্চিত করেছেন।ধর্ম মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আনোয়ার হোসাইন গণমাধ্যমকে জানান, আমরা ধারণা করছি তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে আগে থেকেই ডায়াবেটিসসহ নানা রোগে আক্রান্ত ছিলেন প্রতিমন্ত্রী।

    ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে এতে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান শেখ মো. আবদুল্লাহ। প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব লাভের আগে আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন তিনি।

    গোপালগঞ্জ জেলার মধুমতী নদীর তীরবর্তী কেকানিয়া গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে শেখ মো. আবদুল্লাহ ১৯৪৫ সালের ৮ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম শেখ মো. মতিউর রহমান এবং মাতা মরহুমা মোসাম্মৎ রাবেয়া খাতুন। চার ভাই ও তিন বোনের মধ্যে দ্বিতীয় ছিলেন তিনি।

  • সাতক্ষীরা ৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এইচএম গোলাম রেজা করোনা আক্রান্ত

    সাতক্ষীরা ৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এইচএম গোলাম রেজা করোনা আক্রান্ত

    অনলাইন ডেস্ক: সাতক্ষীরা-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, জাতীয় পাটির সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বিকল্প ধারার কেন্দ্রীয় নেতা এইচএম গোলাম রেজা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি বর্তমানে তাঁর ঢাকার বাসায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গেছে।

  • মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে বিএনপির শোক

    মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে বিএনপির শোক

    সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিমের ইন্তেকালে শোক জানিয়েছে বিএনপি। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘মোহাম্মদ নাসিম একজন সিনিয়র রাজনীতিবিদ ছিলেন। তার মৃত্যুতে আমরা শোক প্রকাশ করছি, দুঃখ প্রকাশ করছি। তিনি ১৪ দলীয় জোটের সমন্বয়ক ছিলেন।’

    শনিবার (১৩ জুন) বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান দলের শোক প্রকাশের বিষয়টি জানান। তিনি জানান, মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুর খবর যখন আসে, তখন করোনা বিষয়ক একটি সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন বিএনপির মহাসচিব। সংবাদ শুনেই তিনি গভীর দুঃখ প্রকাশ করেন।

    মোহাম্মদ নাসিম শনিবার সকাল সোয়া ১১টার দিকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

  • বাংলাদেশের ইতিহাস মোহাম্মাদ নাসিম

    বাংলাদেশের ইতিহাস মোহাম্মাদ নাসিম

    ডেক্স রিপোর্ট :

    মোহাম্মদ নাসিম (২ এপ্রিল ১৯৪৮ – ১৩ জুন ২০২০) বাংলাদেশের একজন রাজনীতিবিদ ছিলেন। তিনি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ছিলেন। তিনি ১৯৯৬ সালেও স্বরাষ্ট্র, গৃহায়ন ও গণপূর্ত এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও দলের মুখপাত্র হিসাবে ছিলেন।

    জন্ম ও শিক্ষা জীবন

    মোহাম্মদ নাসিমের জন্ম ১৯৪৮ সালের ২ এপ্রিল সিরাজগঞ্জ জেলার কাজীপুর উপজেলায়। তার পিতা শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী[৩] এবং মাতা আমেনা মনসুর। পিতা মনসুর আলী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশে সরকারের মন্ত্রী, স্বাধীন বাংলাদেশের তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।[৪]

    পাবনার এডওয়ার্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পাশের পর তিনি জগন্নাথ কলেজ (বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন।

    রাজনৈতিক জীবন

    ১৯৮৬, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালেও সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন মোহাম্মদ নাসিম। পরবর্তীতে ২০১৪ সালে তিনি সিরাজগঞ্জ-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন এবং ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।

    ছাত্র ইউনিয়নের মাধ্যমে ষাটের দশকে ছাত্র রাজনীতির জীবন শুরু হলেও পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর সরাসরি প্রভাবে তিনি ছাত্রলীগে যোগদান করেন। পঁচাত্তরের হত্যাকাণ্ডের পর মোহাম্মদ নাসিমকেও গ্রেপ্তার করা হয়। সেইসময় দীর্ঘদিন তাকে কারাগারে থাকতে হয়েছে। ১৯৮১ সালের আওয়ামী লীগের সম্মেলনের মাধ্যমে ছাত্ররাজনীতি থেকে জাতীয় রাজনীতিতে প্রবেশ করেন নাসিম। ওই সম্মেলনে আওয়ামী লীগের যুব সম্পাদক নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ১৯৮৭ সালের সম্মেলনে দলের প্রচার সম্পাদক মনোনীত হন। ১৯৯২ ও ১৯৯৭ সালের সম্মেলনে তিনি দলের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০০২ সালের আগ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ একটি ছিল। এরপর থেকে বিভাগভিত্তিক সাংগঠনিক সম্পাদকদের দায়িত্ব দেয়া হয়। ২০০২ ও ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত দলের সম্মেলনে তাকে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির এক নম্বর সদস্য পদে রাখা হয়। ২০১২ সালের সম্মেলনে তাকে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য পদে পদোন্নতি দেয়া হয়। পরপর তিন মেয়াদে তিনি এই দায়িত্ব পালন করেন।

    ১৯৮৬ সালে নাসিম প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। সিরাজগঞ্জ-১ সংসদীয় আসন (কাজীপুর) থেকে পাঁচবার বিজয়ী হন তিনি। ১৯৯৬ সালে তিনি স্বরাষ্ট্র, গৃহায়ন ও গণপূর্ত এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নিযুক্ত হন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে তৎকালীন ১/১১ সরকারের দেওয়া মামলার কারণে অংশগ্রহণ করতে পারেন নি। ঐ নির্বাচনে তার সন্তান তানভীর শাকিল জয় দলীয় মনোনয়ন লাভ করেন। ২০১২ সালে কাউন্সিলে তাকে প্রেসিডিয়াম সদস্য নির্বাচিত করা হয়। এরপর ২০১৪ সালের নির্বাচনে নাসিমকে মনোনয়ন পান এবং বিজয়ী সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০১৯ সালের নির্বাচনেও তিনি বিজয়ী হন।

    ব্যক্তিগত জীবন

    পারিবারিক জীবনে মোহাম্মদ নাসিম বিবাহিত এবং তিন সন্তানের জনক ছিলেন। তার স্ত্রীর নাম লায়লা আরজুমান্দ।

    মৃত্যু

    রক্তচাপজনিত সমস্যা নিয়ে ২০২০ সালের ১ জুন হাসপাতালে ভর্তি হন নাসিম। ওই দিনই কোভিড-১৯ পজিটিভ আসে তার। এর চার দিন পর, চিকিৎসার সময় তার ইন্ট্রাসেরিব্রাল রক্তক্ষরণ হয়েছিল। এরপর ৪ জুন অবস্থার উন্নতি হয়, তবে পুনরায় ৫ জুন ভোরে তিনি বড় ধরনের স্ট্রোক করেন। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত সমস্যার কারণে দ্রুত অস্ত্রোপচার করে আইসিইউতে রাখা হয়। তার চিকিৎসায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়ার নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের বোর্ড গঠিত হয়। এরপর দুই দফায় ৭২ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে ছিলেন। এর মধ্যে পরপর তিনবার নমুনা পরীক্ষা করে করোনাভাইরাস অনুপস্থিত পাওয়া যায়। ১২ জুন পরপর কয়েকদিন স্থিতিশীল থাকার পরে পুনরায় অবস্থার অবনতি ঘটে। আজ ১৩ই জুন ঢাকায় বেলা ১১টা ১০ মিনিটে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

  • মোহাম্মদ নাসিম: রাজনীতিতে পাঁচ দশকের বেশি পথচলা

    মোহাম্মদ নাসিম: রাজনীতিতে পাঁচ দশকের বেশি পথচলা

    ন্যাশনাল ডেক্স : সিরাজগঞ্জ-১ আসন (কাজীপুর ও সদর উপজেলার একাংশ) থেকে তিনি পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। আওয়ামী লীগের হুইপ থেকে শুরু করে বিভিন্ন সময় স্বরাষ্ট্র, ডাক ও টেলিযোগাযোগ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত এবং সর্বশেষ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

    সর্বশেষ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম কমিটির সদস্য মোহাম্মদ নাসিম দলের মুখপাত্র হিসাবেও দায়িত্ব পালন করছিলেন।

    রাজনীতির সঙ্গে মোহাম্মদ নাসিম সম্পৃক্ত হন ষাটের দশকে। শুরুর দিকে তিনি ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হলেও পরবর্তীতে ছাত্রলীগ করতে শুরু করেন। পাবনার এডওয়ার্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পাশের পর ঢাকার জগন্নাথ কলেজ থেকে (বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন।

    মোহাম্মদ নাসিমের জন্ম হয়েছিল ১৯৪৮ সালের দোসরা এপ্রিল, সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলায়। তার পিতা ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ছিলেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশে সরকারের মন্ত্রী, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী।Image caption জনসভায় ভাষণ দানরত মো. নাসিম।

    উনিশশো পঁচাত্তর সালে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারের হত্যাকাণ্ড ও জেলখানায় আরো তিন জাতীয় নেতার সঙ্গে তাঁর পিতা এম মনসুর আলী হত্যাকাণ্ডের পরে তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে পুরোপুরি সম্পৃক্ত হয়ে ওঠেন।

    পঁচাত্তরের হত্যাকাণ্ডের পর মোহাম্মদ নাসিমকেও গ্রেপ্তার করা হয়। সেইসময় দীর্ঘদিন তাকে কারাগারে থাকতে হয়েছে।

    ওই হত্যাকাণ্ডের শিকার আরেকজন নেতা এ এইচ এম কামরুজ্জামানের ছেলে, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ‘’১৯৭৫ সালের পর তাকে বেশ একটা দুঃসময় পার করতে হয়। আমাদের সবাইকেই সেটা করতে হয়েছে। ৭৮ সালের দিক থেকেই তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে পুরোপুরি জড়িয়ে পড়েন। নেত্রী আসার পর (আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বিদেশ থেকে দেশে আসার পর) তিনি সবসময় নেত্রীর সঙ্গেই থেকেছেন।‘’

    ‘’একাত্তর সালে মুক্তিসংগ্রামের সময় কলকাতায় আমরা এক বাড়িতে থাকতাম। জাতীয় চার নেতার পরিবারের মধ্যে আমরা তাকে আমাদের বড় ভাইয়ের মতো মনে করতাম। তিনিও সেভাবেই আমাদের খোঁজখবর রাখতেন। তাকে দেখেছি, যেকোনো প্রতিকূল পরিবেশেও শক্ত মন নিয়ে দাঁড়াতে পারতেন, কর্মীদের চাঙ্গা করে তুলতে পারবেন। পরবর্তীতে প্রশাসক হিসাবেও তাকে সফল দেখতে পেয়েছি।‘ছবির কপিরাইট Facebook Image caption প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে মো. নাসিম।

    ‘’তিনি অনেক সময় গর্ব করেই বলতেন,আমি কোন বেঈমানের সন্তান নই, আমি বঙ্গবন্ধুর পরীক্ষিত আদর্শের সৈনিক, তার সন্তান।‘’ বলছেন এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।

    উনিশশো একাশি সালে আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলে মোহাম্মদ নাসিম যুব সম্পাদক হন। তখন থেকেই কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে আসেন মোহাম্মদ নাসিম। পরবর্তীতে ১৯৮৭ তিনি আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক নির্বাচিত হন।

    তার আগের বছর, ১৯৮৬ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সিরাজগঞ্জ থেকে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মোহাম্মদ নাসিম।

    আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ‘’মোহাম্মদ নাসিম রাজনীতির ক্ষেত্রে সারাজীবন সংগ্রামী ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি ষাটের দশক থেকেই রাজনীতির সাথে জড়িত। তিনি একটা রাজনীতিক পরিবারের বেড়ে উঠেছেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, তাকে সাজা পর্যন্ত দিয়েছে। কিন্তু প্রতিটা আন্দোলন সংগ্রামে তিনি সম্মুখ সারিতে ছিলেন। বাংলাদেশের প্রতিটা সংগ্রামের সাথে তিনি সামনের কাতারে ছিলেন।‘’

    আওয়ামী লীগের ‘৯২ ও ‘৯৭ সালের জাতীয় সম্মেলনে তাকে দলের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়। ২০১২ সালে কাউন্সিলে তাকে প্রেসিডিয়াম সদস্য নির্বাচিত করা হয়।ছবির কপিরাইট Facebook

    উনিশশো ছিয়ানব্বই, ২০০১, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে তিনি সিরাজগঞ্জ থেকে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। একসময় তিনি জাতীয় সংসদের হুইপ হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

    রাজনীতিতে তাদের পরিবারের ভূমিকা নিয়ে ‘সংসদে তিন প্রজন্ম’ নামের একটি বইয়ের সম্পাদনাও করেছেন মোহাম্মদ নাসিম। সেখানে ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী, তার সন্তান মোহাম্মদ নাসিম এবং তার ছেলে তানভীর শাকিল জয়ের ভূমিকা নিয়ে বইটি লেখা হয়েছে। তিনি তিন সন্তানের জনক।

    তাঁর নির্বাচনী এলাকা কাজীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শওকত হোসেন বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ‘’তার পিতাকে যেমন এলাকার লোক দরকারের সময় পেতো, তেমনি তাকেও আমাদের যেকোনো দরকারে সবসময় কাছে পেয়েছি। প্রতিমাসে কয়েকবার তিনি এলাকায় আসতেন। তিনি বিদেশে থাকলেও আমাদের ফোন করে এলাকার খোঁজখবর নিতেন। দলমত নির্বিশেষে এখানকার সবাই জানে, তার মতো নেতা পাওয়া যায় না।‘’

    ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর স্বরাষ্ট্র, গৃহায়ন ও গণপূর্ত, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী করা হয়।

    রাজনীতির বিভিন্ন পর্যায়ে মোহাম্মদ নাসিমকে অনেকবার কারাবন্দী হতে হয়েছে। প্রথম তাকে কারাগারে যেতে হয় ১৯৬৬ সালে, যখন তিনি এইচএসসি পড়ছিলেন। সেই সময় পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে ভুট্টা খাওয়ানোর চেষ্টার বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে পিতা এম মনসুর আলীর সঙ্গে কারাগারে যেতে হয় মোহাম্মদ নাসিমকেও। একবছর পরে তিনি ছাড়া পান।

    ১৯৭৫ সালে সপরিবারে শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা ও জাতীয় চার নেতার হত্যাকাণ্ডের পরে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল মোহাম্মদ নাসিমকে। ২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অভিযানে আরো অনেক রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়।

    সেই সময় অবৈধভাবে এক কোটি ২৬ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন ও ২০ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগে বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি মামলায় বিশেষ জজ আদালত ২০০৭ সালে মোহাম্মদ নাসিমকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেয়। তবে ২০১০ সালে উচ্চ আদালত ওই সাজা ও মামলা বাতিল করে দেন।

    কিন্তু মামলায় সাজা হওয়ার কারণে ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি মোহাম্মদ নাসিম। সেই আসনে তার ছেলে অংশ নিয়ে বিজয়ী হন। মামলা ও সাজা উচ্চ আদালতে বাতিল হয়ে যাওয়ার পরে ২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশ নিয়ে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মোহাম্মদ নাসিম। এরপর তাকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী করা হয়, ২০১৮ সাল পর্যন্ত তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকেন।

    ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে তিনি পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। মন্ত্রী না হলেও তিনি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও দলের মুখপাত্র হিসাবে তিনি দায়িত্ব পালন করেন।

  • একজন বিশ্বস্ত সহযোদ্ধাকে হারালাম: প্রধানমন্ত্রী

    একজন বিশ্বস্ত সহযোদ্ধাকে হারালাম: প্রধানমন্ত্রী

    ন্যাশনাল ডেক্স : জাতীয় চার নেতার অন্যতম ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর ছেলে ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    শনিবার এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে একজন বিশ্বস্ত সহযোদ্ধাকে হারালাম।রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে টানা নয় দিন ধরে লাইফ সাপোর্টে থাকা নাসিমকে শনিবার বেলা ১১টার দিকে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, পিতার মতোই মোহাম্মদ নাসিম আমৃত্যু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে ধারণ করে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করে গেছেন। সকল ঘাত-প্রতিঘাত উপেক্ষা করে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনা প্রতিষ্ঠায় তিনি অনন্য অবদান রেখেছেন।

    তিনি আরও বলেন, ‘মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে বাংলাদেশ একজন দেশপ্রেমিক ও জনমানুষের নেতাকে হারাল। আমি হারালাম একজন বিশ্বস্ত সহযোদ্ধাকে।’

    প্রধানমন্ত্রী তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।