Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
বিশেষ সংবাদ Archives - Page 47 of 74 - Daily Dakshinermashal

Category: বিশেষ সংবাদ

  • ভোমরা বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ রেখেছে ভারত

    ভোমরা বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ রেখেছে ভারত

    নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে গত দুই দিন যাবত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। সোমবার সকাল থেকে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ভারতীয় কোনো পেঁয়াজের ট্রাক ভোমরা স্থলবন্দরে প্রবেশ করতে দেখা যায়নি। তবে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের রাখার ব্যাপারে ভারতীয় ঘোজাডাঙ্গা কাষ্টমস ও সিএন্ডএফ কর্তৃপক্ষ লিখিত ভাবে কিছু জানাননি বলে জানান ভোমরা স্থল কাষ্টমস ও সিএন্ডএফ নেতারা। পেয়াজ রপ্তানী বন্ধ হলেও অন্যান্য পন্যবাহী ট্রাক ভারত থেকে ভোমরা বন্দরে প্রবেশ করছে। ভোমরা স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম জানান, গত দুই দিন যাবত হঠাৎ করেই পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। ভারতীয় ঘোজাডাঙ্গা কাষ্টমস ও সিএন্ডএফ কর্তৃপক্ষ পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ রাখার ব্যাপারে ভোমরা কাষ্টমস ও সিএন্ডএফ নিতৃবৃন্দকে এখনও পর্যন্ত কোন কিছু লিখিত ভাবে জানাননি।
    সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের কোষাধ্যক্ষ মাকসুদ খান বলেন, গত ১৩ তারিখ পর্যন্ত ভারতীয় রফতানিকারকরা ২৫০ থেকে ৩০০ ডলারে পেঁয়াজ রফতানি করছেন সেটিতে তাদের লোকসান হওয়ায় তারা পেয়াজ রপ্তানী বন্ধ করে দিয়েছে। তবে, পেঁয়াজের রপ্তানী মূল্য বৃদ্ধি করে তারা খুব দ্রুতই আবারো পেঁয়াজ রপ্তানী করবে বলে তিনি আরো জানান।
    ভোমরা স্থলবন্দরের শুল্ক ষ্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা মহসিন হোসেন জানান, ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে গত এক সপ্তাহে (গত ৬ সেপ্টেম্বর থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত) ৫৩৩ টি ট্রাক যোগে মোট পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে ১২ হাজার ৪৩৭ মেট্রিক টন। তিনি আরো জানান, গতকাল সোমবার সকাল থেকে আজ মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত এখনও কোন ভারতীয় পেঁয়াজের ট্রাক বন্দর দিয়ে প্রবেশ করেনি এবং পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের ব্যাপরে তারা লিখিতভাবে এখনও পর্যন্ত তাদের কিছু জানাননি।

  • কোস্ট গার্ড কর্তৃক অবৈধ লুবওয়েলসহ ০৩ জন আটক

    কোস্ট গার্ড কর্তৃক অবৈধ লুবওয়েলসহ ০৩ জন আটক

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি : ১৩ সেপ্টেম্বর রোববার আনুমানিক বেলা দেড়টায় কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোনের বিসিজি বেইজ মংলার একটি টহল দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাগেরহাট জেলার মোংলা থানাধীন পশুর নদীর সাইলো সংলগ্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ১৯৫০ লিটার অবৈধ লুবওয়েল, ৩৯ টি ড্রাম, একটি মেশিন বোট, সোলার প্যানেল ও গ্যাস চুলা সহ ০৩ জনকে আটক করে। আটককৃতদের নাম ১। মোঃ নিয়ামুল (২২), পিতা ঃ বুলু খা, গ্রামঃ কানাইনগর, থানাঃ মোংলা, জেলাঃ বাগেরহাট। ২। রফিকুল(২৫) গ্রামঃ জয়বাংলা, পোস্টঃ হলদিবুনিয়া, থানাঃ মোংলা, জেলাঃ বাগেরহাট। ৩। হারুন হাওলাদার(৩৫), পিতাঃ মৃত মিনহাজ উদ্দিন হাওলাদার, গ্রামঃ জয়বাংলা, পোস্ট হলদিবুনিয়া, থানাঃ মোংলা, জেলাঃ বাগেরহাট। আটককৃত মালামাল পরবর্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থার জন্য মোংলা থানায় হস্তান্তর করা হয়। কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোনের গোয়েন্দা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার শাহরিয়ার পারভেজ জানান, কোস্ট গার্ড এর এখতিয়ারভূক্ত এলাকাসমূহে আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ, মৎস্য সম্পদ রক্ষা, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি চোরাচালানেও কোস্ট গার্ড জিরো টলারে›স নীতি অবল¤¦ন করে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে এবং ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে

  • শোক বিবৃতি : একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি



    মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউদ্দিন তারিক আলীর অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।’ আজ (৮ সেপ্টেম্বর) সংগঠনের এক শোক বিবৃতিতে বলা হয়-
    ‘মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি, প্রগতিশীল সামাজিক-সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক, বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউদ্দিন তারিক আলীর অকাল মৃত্যুতে আমরা গভীর শোকাহত্
    ’৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে সাংস্কৃতিক ফ্রন্টের এক অকুতোভয় যোদ্ধা ছাড়াও জিয়াউদ্দিন তারিক আলী ’৭১-এর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং মৌলবাদ ও সাম্প্রাদয়িকতাবিরোধী নাগিরক আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। এই অসাম্প্রদায়িক নেতা মানবতার সেবায় তাঁর দেহদান করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করলেও করোনা সংক্রমণে মৃত্যুবরণ করায় তাঁকে মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী গোরস্থানে সমাহিত করা হয়েছে।
    ‘বাংলাদেশের মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী-সামাজিক-সাংস্কৃতিক আন্দোলনে তাঁর অবদান শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবার পাশাপাশি আমরা তাঁর পরিবারের শোকসন্তপ্ত সদস্য এবং সহযোগী ও সহযোদ্ধাদের প্রতি গভীর সমবেদনা ও সহমর্মিতা জ্ঞাপন করছি।’
    স্বাক্ষরদাতা-
    বিচারপতি মোহাম্মদ গোলাম রাব্বানী, বিচারপতি সৈয়দ আমিরুল ইসলাম, বিচারপতি শামসুল হুদা, বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, লেখক সাংবাদিক আবদুল গাফফার চৌধুরী, অধ্যাপক অনুপম সেন, কথাশিল্পী হাসান আজিজুল হক, শিল্পী হাশেম খান, শিল্পী রফিকুননবী, অধ্যাপিকা পান্না কায়সার, অধ্যাপিকা মাহফুজা খানম, ক্যাপ্টেন আলমগীর সাত্তার বীরপ্রতীক, ক্যাপ্টেন সাহাবউদ্দিন আহমেদ বীরউত্তম, ক্যাপ্টেন আকরাম আহমেদ বীরউত্তম, মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আবদুর রশীদ (অবঃ), ডাঃ আমজাদ হোসেন, ড. নূরন নবী, লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, শহীদজায়া সালমা হক, সমাজকর্মী আরমা দত্ত এমপি, কলামিস্ট সৈয়দ মাহবুবুর রশিদ, শিক্ষাবিদ মমতাজ লতিফ, অধ্যাপক আবুল বারক আলভী, সমাজকর্মী কাজী মুকুল, ড. ফরিদা মজিদ, এডভোকেট খন্দকার আবদুল মান্নান, অধ্যাপক আয়েশ উদ্দিন, অধ্যাপক মেজবাহ কামাল, ডাঃ শেখ বাহারুল আলম, ড. মেঘনা গুহঠাকুরতা, ডাঃ ইকবাল কবীর, মুক্তিযোদ্ধা মকবুল-ই এলাহী, অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া, মুক্তিযোদ্ধা শফিকুর রহমান শহীদ, এডভোকেট আবদুস সালাম, অধ্যাপক মোহাম্মদ সেলিম, অধ্যাপক আবদুল গফ্ফার, কবি জয়দুল হোসেন, ব্যারিস্টার ড. তুরিন আফরোজ, মুক্তিযোদ্ধা কাজী লুৎফর রহমান, সাবেক ফুটবলার শামসুল আলম মঞ্জু, সমাজকর্মী কামরুননেসা মান্নান, এডভোকেট আজাহার উল্লাহ্ ভূঁইয়া, সঙ্গীতশিল্পী জান্নাত-ই ফেরদৌসী লাকী, ডাঃ মামুন আল মাহতাব, সাংবাদিক শওকত বাঙালি, উপাধ্যক্ষ কামরুজ্জামান, ডাঃ নুজহাত চৌধুরী শম্পা, লেখক আলী আকবর টাবী, সমাজকর্মী চন্দন শীল, এডভোকেট দীপক ঘোষ, সাংবাদিক মহেন্দ্র নাথ সেন, শহীদসন্তান তৌহিদ রেজা নূর, শহীদসন্তান শমী কায়সার, শহীদসন্তান আসিফ মুনীর তন্ময়, শহীদসন্তান তানভীর হায়দার চৌধুরী শোভন, মানবাধিকারকর্মী তরুণ কান্তি চৌধুরী, লেখক সাংবাদিক সাব্বীর খান, মানবাধিকারকর্মী আনসার আহমদ উল্লাহ, মানবাধিকারকর্মী স্বীকৃতি বড়ুয়া, ব্যারিস্টার নাদিয়া চৌধুরী, কবি দিব্যেন্দু দ্বীপ, অধ্যাপক সুজিত সরকার, সমাজকর্মী হারুণ অর রশীদ, এডভোকেট মালেক শেখ, সহকারী অধ্যাপক তপন পালিত, সমাজকর্মী পূর্ণিমা রাণী শীল, সমাজকর্মী শিমন বাস্কে, সমাজকর্মী শেখ আলী শাহনেওয়াজ পরাগ, সমাজকর্মী সাইফ উদ্দিন রুবেল প্রমুখ।

  • এনইউবিটি খুলনায় ফি ছাড়াই ভর্তির সুযোগ

    এনইউবিটি খুলনায় ফি ছাড়াই ভর্তির সুযোগ


    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: মহামারী করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) উদ্ভূত পরিস্থিতি বিচেনায় ফল-২০২০ সেমিস্টারে ভর্তিচ্ছু নতুন শিক্ষার্থীদের ফি ছাড়াই ভর্তির সুযোগ করে দিয়েছে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজী খুলনা। এনইউবিটি, খুলনার সিনিয়র জনসংযোগ কর্মকর্তা জুবায়ের মুস্তাফিজের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।
    ‘করোনা পরবর্তী বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়নে তরুণদের ভূমিকা’ শীর্ষক এক লাইভ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান এই ১০০% ফি মওকুফ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। করোনা পরিস্থিতি যাতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করতে না পারে এই লক্ষ্যে বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণা করেছে এনইউবিটি, খুলনা। এ ছাড়া এই সেমিস্টারে নতুন ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি ২০ শতাংশ থেকে প্রায় ১০০ শতাংশ মওকুফ করা হয়েছে।
    অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজী খুলনার, উপাচার্য প্রফেসর ড. আবু ইউসুফ মো. আবদুল্লাহ এবং প্রবন্ধ উপস্থাপক ও বিশেষ অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন নর্দান ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. ইঞ্জিনিয়ার মো. হুমায়ুন কবির। সভাপতিত্ব করেন নর্দান ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন।
    এদিকে টিউশন ফি, ভর্তি ফি মওকুফ ছাড়াও নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের সব শিক্ষার্থী যেন অনলাইনে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে সেজন্য ইতোমধ্যে ‘নর্দান ডিজিটাল ক্যাম্পেইন-২০২০’ এর আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীকে ফ্রি মোবাইল ডাটা এবং ৬৫ শতাংশ মূল্য ছাড়ে ল্যাপটপ প্রদান করা হচ্ছে। অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান এনইউবিটি খুলনার এই শিক্ষার্থীবান্ধব কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

  • কামালনগর দক্ষিণ পাড়া আহলে হাদিস জামে মসজিদের উদ্বোধন


    নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় পবিত্র জুমআ নামাজ ও দোয়া অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে কামালনগর দক্ষিণ পাড়া আহলে হাদিস জামে মসজিদের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। শুক্রবার (০৪ সেপ্টেম্বর) মসজিদ কমিটির সভাপতি আলহাজ¦ মো. রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে মসজিদ উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিল্পপতি আলহাজ¦ মো. এবাদুল ইসলাম, বিশিষ্ট সমাজসেবক ডা. আলহাজ¦ আবুল কালাম বাবলা, আহলে হাদিস আন্দোলন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা মোহাম্মদ আলতাব হোসাইন, আহলে হাদিস আন্দোলন বাংলাদেশ জেলা সভাপতি মাওলানা মো. আব্দুল মান্নান, পৌরসভার ০৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শফিকুল আলম বাবু, কামালনগর দক্ষিণ পাড়া আহলে হাদিস জামে মসজিদের আহবায়ক ও সম্পাদক আলহাজ¦ মো. আবু হোসেন ফিরোজ কবীর প্রমুখ। এসময় মসজিদের মুসুল্লীরা উপস্থিত ছিলেন।

  • চাদাবাজী করতে যেয়ে মোটর সাইকেল ফেলে পলায়ন

    আশাশুনি ব্যুরো ঃ আশাশুনি উপজেলার বুধহাটায় সাংবাদিক পরিচয়ে নিকাহ রেজিস্ট্রারের কাছে চাঁদাবাজী করতে গিয়ে ৪ জন মটর সাইকেল ফেলে পালিয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকালে বুধহাটা ইউনিয়নের বেউলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
    থানা সূত্র ও নিকাহ রেজিস্ট্রার আঃ আলিম জানান, বৃহস্পতিবার বিকার ৩.৩০ টার দিকে সাতক্ষীরা থেকে আব্দুল মান্নান (মোবাঃ ০১৭১৪৫৩৮৯২২২), হাফিজুর রহমান (মোঃ ০১৭৭৭০১৬৪৬৫), মোশাররফ হোসেন (মোঃ ০১৯২৬৯৫৫৯৫১) ও রবিউল ইসলাম (মোবাঃ ০১৯২৭৬০৩০৩৪) বেউলা গ্রামে নিকাহ রেজিস্ট্রারের বাড়িতে গিয়ে উপস্থিত হন। তারা নিজেদেরকে টিভি চ্যানেল থেকে এসেছে (সাংবাদিক) পরিচয় দিয়ে বাল্য বিবাহসহ বিভিন্ন বিবাহ সংক্রান্ত তথ্য চাওয়ার ছলে টাকা দাবীর চেষ্টা করে। বিষয়টি আচ করতে পেরে নিকাহ রেজিস্ট্রার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার এক পর্যায়ে তারা মটর সাইকেল নিয়ে কেটে পড়ার চেষ্টা করলে চাবি কেড়ে নেওয়া হয়। তখন কৌশলে সাংবাদিক নামধারীরা মটর সাইকেল পেলে পালিয়ে যায়। এব্যাপারে থানাকে অবহিত করলে পুলিশ মটর সাইকেল দু’টি থানা হেফাজতে নিয়েছে। এব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল। চক্রটি ইতিপূর্বে শোভনালী, আশাশুনি সদর ও কালিগঞ্জ উপজেলাসহ বিভিন্ন স্থানে নিকাহ রেজিষ্ট্রারদের কাছে চাঁদাবাজী করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

  • সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটি :  জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবীতে সাতক্ষীরা পৌরসভার সামনে অবস্থান ও স্মারকলিপি পেশ

    সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটি : জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবীতে সাতক্ষীরা পৌরসভার সামনে অবস্থান ও স্মারকলিপি পেশ

    নিজস্ব প্রতিনিধি: জরুরিভাবে সাতক্ষীরার জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবীতে সাতক্ষীরা পৌরসভার সামনে অবস্থান ও স্মারকলিপি পেশ করেছে সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটি। ১ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে প্রায় দুই ঘন্টার অবস্থান কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন জেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক মো. আনিসুর রহিম।
    দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে অনুষ্ঠিত অবস্থান কর্মসূচির বক্তারা বলেন, প্রতিবছরের মত এবারও সাতক্ষীরা পৌরসভার বিস্তীর্ণ এলাকা পানিতে তলিয়ে রয়েছে। এইসব এলাকায় বসবাসকারী মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। অনেকের ঘরের মধ্যেই পানি উঠেছে। মানুষের রান্না-খাওয়া, পয়ঃনিষ্কাশন, স্যানিটেশন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। রাস্তা-ঘাট, ড্রেনেজ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত। জেলা কালেকটারেট চত্বর, জজ কোট চত্বর, পুলিশ লাইনন্স, বিজিবি ক্যাম্প, সুন্দরবন টেক্সটাইল মিলস, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদসহ গুরুত্বপূর্ণ সরকারী দপ্তরও পানিতে তলিয়ে রয়েছে। প্রতিবছর এই জলাবদ্ধতাকবলিত এলাকার পরিধি বাড়ছে। এরফলে রাষ্ট্রীয় সম্পদ থেকে শুরু করে জনগনের সহায় সম্পদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। কিন্তু সাতক্ষীরা পৌরসভার পক্ষ থেকে সমস্যা সমাধানে কার্যকর কোন উদ্যোগ পরিলক্ষিত হচ্ছে না।
    বক্তারা জরুরিভাবে সাতক্ষীরা পৌরসভার জলাবদ্ধ এলাকার পানি নিষ্কাশনে যেখানে যে ধরণের বাধা রয়েছে তা অপসারণ ও পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করে যে সমস্থ মাছের ঘের গড়ে উঠেছে সেগুলো উচ্ছেদ, তাৎক্ষণিক পানি নিষ্কাশনের কোন পথ পাওয়া না গেলে সেখানে মেশিন দিয়ে পানি সেচের ব্যবস্থা, পৌর এলাকার জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধানে স্বল্প মেয়াদী, মধ্য মেয়াদী ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ, পানি নিষ্কাশনের পথ ছাড়া নতুন কোন বাড়ি-ঘর-স্থাপনা নির্মাণের অনুমতি প্রদান না করাসহ বিভিন্ন দাবী দাওয়া তুলে ধরেন।
    এসময় বক্তব্য রাখছেন অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, প্রফেসর আব্দুল হামিদ, সুধাংশু শেখর সরকার, এড. শেখ আজাদ হোসেন বেলাল, প্রভাষক ইদ্রিশ আলী, মাধব চন্দ্র দত্ত, আনোয়ার জাহিদ তপন, অপারেশ পাল, শেখ সিদ্দিকুর রহমান, কমরেড আবুল হোসেন, মুনসুর রহমান, কওসার আলী, আব্দুস সামাদ, আব্দুস সাত্তার, শফিকুল ইসলাম শফি, মিজানুর রহমান, আলী নুর খান বাবলু, এড. আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ। এসময় উপস্থিত বাংলাদেশ টেশনিক্যাল কলেজ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক তপন কুমার শীল, বঙ্গবন্ধু পেশাজীবী পরিষদের আসাদুজ্জামান লাভলু, লির্ডাস এর মোহণ কুমার মন্ডল, উত্তরণ, সুশীলন, পানি কমিটি, জলবায়ু পরিষদ সহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
    অবস্থান কর্মসূচি থেকে আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর সাতক্ষীরা ডিসি অফিসের সামনে অবস্থান ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর গণস্বাক্ষর সম্বলিত স্মারকলিপি পেশের কর্মসূচি এবং ২৪ সেপ্টেম্বর সাতক্ষীরার নাগরিক আন্দোলনের নেতা এড. আব্দুর রহিমের মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রয়াত নেতাদের স্মরণ অনুষ্ঠানের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
    অবস্থান শেষে সাতক্ষীরা পৌর মেয়রের কাছে সাতক্ষীরা পৌর এলাকার জলাবদ্ধতা পরিস্থিতি তুলে ধরে বিভিন্ন দাবী দাওয়া সম্বলিত স্মারকলিপি পেশ করা হয়। এসময় প্যানেল মেয়র ফারহা দিবা খান সাথী ও কাউন্সিলর শফিক উদ দৌল্লা সাগর মেয়রের পক্ষে স্মারকলিপিটি গ্রহণ করেন।

  • সাতক্ষীরা সদর পানি কমিটির সভা

    সাতক্ষীরা সদর পানি কমিটির সভা

    সাতক্ষীরা সদর পানি কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেন দৈনিক জনকন্ঠের প্রতিনিধি মিজানুর রহমান। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক দক্ষিণের মশাল সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী।

  • ২১ আগস্ট: একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি এক অনলাইন আন্তর্জাতিক সম্মেলন

    ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের স্মরণে আজ (২১ আগস্ট ২০২০) একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি এক অনলাইন আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করেছে।
    নির্মূল কমিটির সভাপতি লেখক ও প্রামাণ্যচিত্রনির্মাতা শাহরিয়ার কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে আলোচ্য বিষয় ছিল ’১৫ ও ২১ আগস্টের ঘাতকদের অভিন্ন রাজনীতি ও উদ্দেশ্য: সরকার ও নাগরিক সমাজের করণীয়।’
    সম্মেলনের আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) আবদুর রশীদ, নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী মুকুল, সমাজকর্মী আরমা দত্ত এমপি, অধ্যাপক ডাঃ মামুন আল মাহতাব, ব্যারিস্টার ডঃ তুরিন আফরোজ, গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক লেখক মারুফ রসুল, কেন্দ্রীয় নেতা লেখক সাংবাদিক সাব্বির খান (সুইডেন), সমাজকর্মী স্বীকৃতি বড়ুয়া (যুক্তরাষ্ট্র), প্রামাণ্যচিত্রনির্মাতা প্রকাশ রায় (ফ্রান্স), অনলাইন এ্যাক্টিভিস্ট অমি রহমান পিয়াল (সুইজারল্যাণ্ড), সর্ব ইউরোপীয় নির্মূল কমিটির সভাপতি তরুণ কান্তি চৌধুরী, মাহফুজুর রহমান (যুক্তরাষ্ট্র), ডঃ একরাম চৌধুরী (অস্ট্রেলিয়া), ডঃ মুজিবুর দপ্তরি (ফিনল্যান্ড), নির্মূল কমিটির তুরস্ক শাখার সাধারণ সম্পাদক শাকিল রেজা ইফতি, পশ্চিমবঙ্গ শাখার সাধারণ সম্পাদক বিদ্যুৎ দেবনাথ এবং দেশের বিভিন্ন জেলার নেতৃবৃন্দ।
    সভাপতির ভাষণে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধকালে যে রাজনীতি ইসলামের নামে স্মরণকালের নৃশংসতম গণহত্যাকে বৈধতা দিয়েছিল, বঙ্গবন্ধুর সরকার সাংবিধানিকভাবে যে রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছিলেন, সেই মওদুদিবাদী, ওহাবিবাদী রাজনীতির ধারকরাই ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট এবং ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের নৃশংসতম হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর পরিবারের সকল সদস্য ও ঘনিষ্ঠ সহযোদ্ধাদের হত্যা করে ’৭১-এর পরাজয়ের প্রতিশোধ গ্রহণ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাদীপ্ত বাংলাদেশকে পাকিস্তানের মতো মৌলবাদী, সাম্প্রদায়িক, সন্ত্রাসী রাষ্ট্রে পরিণত করা। ধর্মের পবিত্রতা রক্ষা এবং ধর্মের নামে যাবতীয় সন্ত্রাস, হত্যা ও নির্যাতন নির্মূল করার জন্য বঙ্গবন্ধুর সরকার বাংলাদেশের মূল সংবিধানে ধর্মের নামে রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল জিয়াউর রহমান বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানাবার জন্য পাকিস্তানপ্রেমী জামায়াতে ইসলামী ও তাদের মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক সহযোগীদের রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর ’৭২-এর সংবিধান চেতনাগতভাবে পুনঃপ্রবর্তন করা না হলে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অনুসারী ভিন্নমত, ভিন্নধর্ম ও ভিন্ন জীবনাধারার অনুসারীদের হত্যা ও সন্ত্রাস কখনও বন্ধ করা যাবে না।’
    বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, ‘বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল জিয়া যেমন ১৫ আগস্টের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য নায়ক একইভাবে তার সহধর্মিনী খালেদা জিয়া ২১ আগস্টের গ্রেণেড বোমা হামলার নেপথ্য নায়িকা। বাংলাদেশের ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকাণ্ডের এই দুই প্রধান খলনায়ক ও খলনায়িকাকে অবশ্যই বিচারের সম্মুখীন করতে হবে। নইলে বাংলাদেশে ধর্মের নামে হত্যা যেমন অব্যাহত থাকবে একইভাবে আইনের শাসনও প্রতিষ্ঠা করা যাবে না।’
    জেনারেল আবদুর রশীদ বলেন, ‘মাঠপর্যায়ে জঙ্গী মৌলবাদী সন্ত্রাস দমনে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যথেষ্ট সাফল্য প্রদর্শন করলেও এই সন্ত্রাসের দর্শন ও রাজনীতি মোকাবেলার ক্ষেত্রে তেমন কোনও উদ্যোগ দৃশ্যমান নয়। পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রকে জঙ্গী মৌলবাদী সন্ত্রাস থেকে মুক্ত করতে হলে সরকার ও নাগরিক সমাজকে সম্মিলিতভাবে সমন্বিত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’
    সভায় অন্যান্য বক্তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে অবিলম্বে বাংলাদেশের মূল সংবিধান থেকে সাম্প্রদায়িকতার যাবতীয় কলঙ্ক মুছে ফেলার জন্য আইন প্রণেতা এবং সর্বোচ্চ আদালতের প্রতি আহ্বান জানান।

  • কপোতাক্ষের জলাবদ্ধতা দূরীকরণে ৫৩১ কোটি টাকার প্রকল্প একনেকে অনুমোদন


    মশাল ডেস্ক:
    ‘কপোতাক্ষ নদের জলাবদ্ধতা দূরীকরণ (দ্বিতীয় পর্যায়)’ প্রকল্পটিতে একনেকে অনুমোদন হয়েছে। ৫৩১ কোটি ৭ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটির কাজ ২০২০ সালে শুরু হয়ে শেষ হবে ২০২৪ সালে। মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলানগর এনইসি সভাকক্ষে একনেক চেয়ারপার্সন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যুক্ত হন। সভাশেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে একনেকে অনুমোদিত প্রকল্পের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
    তিনি জানান, ৩ হাজার ৪৬১ কোটি ৯৭ লাখ টাকা ব্যয়ে মোট ৭টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রকল্প ব্যয়ের মধ্যে ২ হাজার ৬১৯ কোটি ৭৯ লাখ টাকা সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় করা হবে এবং প্রকল্প সাহায্য হিসেবে বৈদেশিক সহায়তা পাওয়া যাবে ৮৪২ কোটি ১৮ লাখ টাকা। অনুমোদিত প্রকল্পের মধ্যে ৬টি নতুন প্রকল্প ও একটি সংশোধিত প্রকল্প রয়েছে।
    এরমধ্যে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দুটি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। তার একটি ‘কপোতাক্ষ নদের জলাবদ্ধতা দূরীকরণ (দ্বিতীয় পর্যায়)’ প্রকল্পটিতে খরচ হবে ৫৩১ কোটি ৭ লাখ টাকা। সরকারী অর্থায়নে প্রকল্পটি ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে। এছাড়া ‘তেঁতুলিয়া নদীর ভাঙ্গন থেকে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার ধুলিয়া লঞ্চঘাট হতে বরিশাল জেলাধীন বাকেরগঞ্জ উজেলার দুর্গাপাশা রক্ষা’ প্রকল্পে খরচ করা হবে ৭১২ কোটি ১২ লাখ টাকা। তার মধ্যে চলতি বছরের জুলাই থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে।
    এদিকে ‘কপোতাক্ষ নদের জলাবদ্ধতা দূরীকরণ (দ্বিতীয় পর্যায়)’ প্রকল্পটি অনুমোদন হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনের সংসদ সদস্য এড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ কে অভিনন্দন জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

  • পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় জাতীয় বীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা, জাসদ নেতা এড হাবিবুর রহমান শওকত সমাহিত

    পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় জাতীয় বীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা, জাসদ নেতা এড হাবিবুর রহমান শওকত সমাহিত

    গত সোমবার রাত ৮-৩০ টায় রায়েরবাজার বুদ্ধিজীবী কবরস্থান চত্বরে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ঢাকা জেলা প্রশাসন এড. হাবিবুর রহমান শওকতের মরদেহ জাতীয় পতাকা দিয়ে মুড়িয়ে দিয়ে, পুষ্পস্তবক অর্পণ করে, পুলিশের একটি চৌকস দল বিউগলের করুণ সুরে গানস্যালুট দিয়ে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান করে।
    এরপর জাসদ স্থায়ী কমিটির পক্ষ থেকে প্রয়াত নেতার মরদেহ জাসদের দলীয় পতাকা দিয়ে মুড়িয়ে দেয়া হয়। জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটি, ঢাকা মহানগর কমিটি, মুক্তিযোদ্ধা সংগ্রাম পরিষদ, জাতীয় শ্রমিক জোট, জাতীয় যুব জোট, জাতীয় কৃষক জোট ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে তার মরদেহে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করে এবং তাকে শেষ অভিবাদন জানায়। এশার নামাজ শেষে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে রাত ৯ঃ২০টায় তাকে সমাহিত করা হয়।
    এ সময় উপস্থিত ছিলেন বীরমুক্তিযোদ্ধা শফিউদ্দিন মোল্লা, নুরুল আকতার, নাদের চৌধুরী, সাইফুজ্জামান বাদশা, আব্দুল্লাহিল কাইয়ূম, রোকনুজ্জামান রোকন, সাজ্জাদ হোসেন, এড. মোহাম্মদ সেলিম, এড. মহিবুর রহমান মিহির, ইদ্রিস ব্যাপারী, আনিসুজ্জামান জম, সরদার খোরশেদ, রাশিদুল হাসান ননী, আলাউদ্দিন খোকন, আবুল কালাম আজাদ মিন্টু, সৈয়দ নাভেদ হোসেন, রাশেদুল হাসান মানিক, শাহজামাল পিন্টু, আকরাম হোসেন সহ জাসদ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীগণ এবং মিসেস হাবিবুর রহমান শওকত, কন্যা ছুটি, পুত্র রাজি, জামাতা অপুসহ আত্মীয় স্বজন।
    এড. হাবিবুর রহমান শওকত গতকাল ৩ আগষ্ট ২০২০ সোমবার বিকাল ৩-৪১টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিট-২ এর আইসিইউ’তে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি করোনা আক্রান্ত হয়ে গত ১৯ জুলাই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিট-২য়ে ভর্তি হয়েছিলেন। তার অবস্থা অবনতি হলে তাকে আইসিইউ’তে স্থানান্তর করা হয়। চিকিৎসক ও নার্সগণ তাকে সুস্থ্য করে তুলতে আন্তরিকভাবে চেষ্টা চালিয়েছিলেন। তার কন্যা ছুটি, পুত্র রাজি, জামাতা অপু জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হাসপাতালে ভর্তির দিন থেকে হাসপাতালে পিতার পাশে থেকে পিতার সেবা করেছেন। বীরমুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান শওকত করোনার বিরুদ্ধে ১৪ দিন তুমুল যুদ্ধ করেছেন। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি সজ্ঞানে ছিলেন।
    তার সংকটাপন্ন অবস্থা শুনেই জাসদের দফতর সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন ও ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ মিন্টু ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুটে গিয়ে তার অন্তিম মুহূর্তে তার শয্যাপাশে উপস্থিত হন এবং পরিবারের সদস্যদের পাশে থাকেন।
    বিভিন্ন দল, সংগঠন ও নেতৃবৃন্দের শোক
    বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. হাবিবুর রহমান শওকতের মৃত্যুতে জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি, কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা আমির হোসেন আমু এমপি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি ও সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা এম এমপি, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, সেক্টর কমান্ডারর্স ফোরামের সভাপতি মেজর জেনারেল কে এম শফিউল্লাহ অব: বীরউত্তম ও সাধারণ সম্পাদক হারুন হাবিব, সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, ন্যাপ(মো), গণতন্ত্রী পার্টি, কমিউনিস্ট কেন্দ্র, গণ আজাদী লীগ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ও শোক সন্তপ্ত পরিবার-স্বজনদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।
    এছাড়াও পৃথক পৃথক শোকবার্তায়, জাসদের সহযোগী সংগঠন জাতীয় নারী জোটের আহবায়ক আফরোজা হক রীনা, জাতীয় শ্রমিক জোট-বাংলাদেশের সভাপতি সাইফুজ্জামান বাদশা ও সাধারণ সম্পাদক নইমুল আহসান জুয়েল, জাতীয় কৃষক জোটের সভাপতি নুরুল আমিন কাওছার এবং সাধারণ সম্পাদ আশেক এলাহী, জাতীয় যুব জোটের সভাপতি রোকনুজ্জামান রোকন ও সাধারণ সম্পাদক শরিফুল কবির স্বপন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ(হা-ন) সভাপতি আহসান হাবীব শামীম এবং সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল হক ননী, বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. হাবিবুর রহমান শওকতের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ও তাঁর পরিবার-আত্মীয়-পরিজন-বন্ধু-স্বজন-সহযোদ্ধাদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
    সংগ্রামী জীবন
    এড. হাবিবুর রহমান শওকত একজন বিরল দুঃসাহসী মুক্তিযোদ্ধা। তিনি ১৯৭১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক ৩য় বর্ষের ছাত্র থাকাকালীন অবস্থায় মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি তিনি ৩ জুন ১৯৭১ থেকে ১১ জুন তারিখে ‘বিলোনিয়া ব্রীজ’ ঐতিহাসিক যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি পরবর্তীতে প্রশিক্ষণ নিয়ে ২নং সেক্টরের ফরিদপুর কোম্পানীর কোর কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে তিনি জেনারেল ওসমানীর কাছে নিজের এলাকায় যুদ্ধ করার অনুমতি প্রার্থনা করেন। তিনি ৭০জন মুক্তিযোদ্ধাকে সংগঠিত কওে কোলকাতায় ৯নং সেক্টও হেড কোর্য়াটে যোগদান করেন। জে. ওসমানীর নির্দেশে ৯নং সেক্টরের সেক্টর ট্রুপসের পটুখালী-গলাচিপা সাব-সেক্টরের ডেপুটি কমান্ডার/সহ-অধিনায়ক ও সামরিক কমান্ডার হিসাবে দায়িত্ব পান। তিনি ১৮ নভেম্বর ১৯৭১ সাগরপারের যুদ্ধখ্যাত পানপট্টি সম্মুখ যুদ্ধসহ পটুয়াখালী হানাদারমুক্ত করার যুদ্ধে দুঃসাহসী ও বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। এ যুদ্ধের বিজয় পটুয়াখালীকে হানাদার মুক্ত করতে নিয়ামকের ভুমিকা পালন করে। এড. হাবিবুর রহমান শওকত ‘তৃণমূলে যুদ্ধাপরাধীদের চিহ্নতকরণে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ নির্যাতিত-ধর্ষিত পরিবারের সদস্যদের গণশুনানী করেন’। তার এই পদক্ষেপ ‘তৃণমূলে যুদ্ধাপরাধী চিহ্নিতকরণে পটুয়াখালী মডেল’ হিসাবে পরিচিতি পায়। তার উদ্যোগে এই গণশুনানীতে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের তালিকা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে প্রেরণ করা হলে আদালত তদন্ত করে যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট মামলা দায়ের-তদন্ত-বিচার করে, বিচারে ৮ জন যুদ্ধাপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তি হয়। ১৬ ডিসেম্বরের পর এড. হাবিবুর রহমান শওকত পটুয়াখালী ট্রেজারি থেকে লুট হয়ে যাওয়া ৩৫ কেজি স্বর্ণ উদ্ধার করে জেলা প্রশাসকের নিকট জমা দেন। উক্ত জেলা প্রশাসক ও কতিপয় অফিসারের যোগসাজসে এই স্বর্ণ আত্মসাৎ করলে তিনি দুর্নীতির মামলা করেন। মামলায় উক্ত জেলা প্রশাসকের সকল সম্পত্তি বাজেয়াপ্তসহ ৭ বছর দন্ড হয়। এড. হাবিবর রহমান শওকত ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই জাসদের সাথে যুক্ত ছিলেন। তিনি পটুয়াখালী জেলা জাসদের সভাপতি, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, সাংগঠনিক সম্পাদক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সহ-সভাপতিসহ বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন। মুক্তিযোদ্ধা সংগ্রাম পরিষদ এবং জাতীয় আইনজীবী পরিষদকে সংগঠিত করেন। তিনি স্বাধীনতা পরবর্তীকাল থেকে তিনি নির্যাতিত-অনির্বাচিত-সামরিক স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে সকল গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল আন্দোলন, যুদ্ধাপরাধের বিচার আন্দোলন, তেল-গ্যাস-বন্দর-বিদ্যুৎ-সুন্দরবন-জাতীয় সম্পদ রক্ষার আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন। ২০০৪ সাল থেকে জাতীয় পর্যায়ে ১ ডিসেম্বর জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা দিবস পালনের মূল সংগঠকের কাজ করতেন।
    জাসদ নিরবাচনী প্রতীক মশাল মামলার প্রধান কৌশলী ছিলেন করোনায় প্রয়াত জাসদের আরেক অভিভাবক এড. ইদ্রিসুর রহমান। সেই মামলায় জাসদের পক্ষে পেপারবুক তৈরি করেছিলেন এড. হাবিবুর রহমান শওকত। কুখ্যাত খুনি ওসি রফিক কর্তৃক বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের স্বীকার চাঞ্চল্যকর ছাত্রনেতা মোমিন হত্যা মামলার প্রধান কৌশলী ছিলেন এড. হাবিবুর রহমান শওকত।

  • বিদ্যুৎ : সাতক্ষীরার নাগরিক জীবন অতিষ্ঠ

    মশাল ডেস্ক : গত কয়েক দিনে বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের সীমাহীন ব্যবস্থাপনা ত্রুটির কারনে সাতক্ষীরার নাগরিক জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালীপনায় প্রতি ঘণ্টায় কয়েকবার বিদ্যুৎ আসা যাওয়া করায় অধিকাংশ বাড়ীর ইলেক্ট্রিক সামগ্রী বিকল হয়ে যাচ্ছে।
    সরকার সফলভাবে সকল এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান এবং নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ প্রদানে জনগনের প্রশংসা কুড়িয়েছে।বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পরে বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে।যেখানে বিগত সরকারের আমলে বিদ্যুৎ পাওয়া ভাগ্যের উপর নির্ভর করত সেখানে বর্তমান সরকার একদম প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিদ্যুৎ সংযোগ পৌছে দিয়ে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ প্রাপ্তি নিশ্চিত করেছে।সরকারের শতভাগ বিদ্যুতায়নের সুফলতা যখন সারাদেশের মানুষ ভোগ করছে তখন সাতক্ষীরার বিদ্যুৎ অফিসের দুর্নীতিপরায়ন কর্মকর্তাদের সীমাহীন অবহেলায় সাতক্ষীরা শহরের অদিবাসীবৃন্দ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে অনিয়মিত বিদ্যুৎ সরবরাহের কারণে। প্রতি ঘণ্টায় কয়েকবার করে হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে যায়।
    বিদ্যুতের এই অনিয়মিত সরবরাহের ফলে গৃহস্থলির বিদ্যুৎ নির্ভর পন্যসমূহ বিকল হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।সাতক্ষীরা শহর এখন প্রিপেইড সংযোগের আওতায়।ফলে বিদ্যুৎ ব্যবহারের আগেই সবাইকে টাকা পরিশোধ করতে হয়।ফলে বিদ্যুতের টাকা বাকি থাকার সুযোগ নেই।অথচ নিয়মিত এবং অধিক হারে বিদ্যুৎ বিল প্রদান করেও সাতক্ষীরা শহরের মানুষ দূর্ভোগ পোহাচ্ছে।

    স্থানীয় অভিজ্ঞ মহল মনে করে সাতক্ষীরায় বিদ্যুতের দুর্ভোগ থেকে মানুষকে উদ্ধার করতে বিদ্যুৎ বিভাগের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ জরুরী।

  • সাতক্ষীরায় নতুন করে ছয় ব্যাংক কর্মকর্তা ও তিন পুলিশ সদস্যসহ ২৫ জনের করোনা শনাক্ত, এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্ত ৪৪৯ জন

    নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ গত ২৪ ঘন্টায় সাতক্ষীরায় নতুন করে কালিগঞ্জ ইসলামী ব্যাংকের ছয় কর্মকর্তা ও তিন পুলিশ সদস্যসহ ২৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় আজ পর্যন্ত ৪৪৯ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
    বৃহস্পতিবার দুপুরে পিসিআর ল্যাব থেকে পাওয়া নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে উক্ত ২৫ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন সাতক্ষীরার স্বাস্থ্য বিভাগ।
    সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাঃ জয়ন্ত সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আজ পর্যন্ত এ জেলা থেকে মোট ৩ হাজার ৯০ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। ইতিমধ্যে ২ হাজার ১৭৭ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট সিভিল সার্জন কার্যালয়ে এসে পৌছেছে। এর মধ্যে ৪৪৯ জন করোনা পজিটিভ ও বাকীদের সব নেগোটভ রিপোর্ট এসেছে। তিনি আরো জানান, ইতিমধ্যে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের বাড়ি লক ডাউন করে লাল পতাকা টানানো হয়েছে।

  • কোভিড-19 পরিস্থিতি: সাতক্ষীরা


    প্রেস নোট: সাতক্ষীরা থেকে করোনা টেস্টের জন্য এ পর্যন্ত ২969 জনের নমুনা পাঠানো হয়েছে। ২093 জনের রিপোর্ট পাওয়া গেছে। সাতক্ষীরা জেলায় এখন পর্যন্ত 424 জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে। তাদের মধ্যে 168 জন সুস্থ হয়েছেন, 10 জন মারা গেছেন, ২24 জন নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন আছেন এবং 22 জন প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেসনে আছেন। জেলায় মোট ২৪৬ জন আইসোলেসনে আছেন।

  • গনশুনানি অনুষ্ঠিত



    আজ সকাল ১১ টা থেকে জেলা প্রশাসক, সাতক্ষীরা অনলাইন গনশুনানি করেন। অনলাইন গনশুনানি জুম এর মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়। গনশুনানিতে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ৪ জন, আশাশুনি উপজেলার ৩ জন, কলারোয়া উপজেলার ৫ জন, তালা উপজেলার ৩ জন, দেবহাটা উপজেলার ৩ জন, কালিগঞ্জ উপজেলার ২ জন, শ্যামনগর উপজেলার ২ জন সহ মোট ২৮ জন অনলাইন গনশুনানিতে অংশগ্রহন করেন। এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ এবং সহকারী কমিশনারগণ (ভূমি) ও  জেলা প্রশাসকের অনলাইন গণশুনানিতে যুক্ত হয়। জেলা প্রশাসক মানুষের সমস্যা, সম্ভাবনার কথা শুনেন এবং সমাধানে ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।

  • পাটকল বন্ধ ও শ্রমিককে সেচ্ছা অবসরে পাঠানোর ঘোষণায় শ্রমিক নিরাপত্তা ফোরাম এর উদ্বেগ

    পাটকল বন্ধ ও শ্রমিককে সেচ্ছা অবসরে পাঠানোর ঘোষণায় শ্রমিক নিরাপত্তা ফোরাম এর উদ্বেগ

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: রাষ্ট্রায়াত্ত ২৫ টি পাটকল বন্ধ ও ২৪,৮৮৬ জন শ্রমিককে সেচ্ছা অবসরে পাঠানোর ঘোষণায় শ্রমিক নিরাপত্তা ফোরাম এর উদ্বেগ

    করোনাকালীন সময়ে সরকারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রায়াত্ত ২৫ টি পাটকল বন্ধ ও কর্মরত ২৪,৮৮৬ জন শ্রমিককে গোল্ডেন হ্যান্ডশেক এর মাধ্যমে অবসর প্রদানের ঘোষণায় শ্রমিক নিরাপত্তা ফোরাম-এসএনএফ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। দীর্ঘ দিন যাবত এসব পাটকলে কর্মরত শ্রমিকরা পাটকল আধুনিকায়ন করার জন্য দাবী তুলে আসলেও কর্তৃপক্ষ পাটকলের আধুনিকায়ন করতে সক্ষম হয়নি। উপরন্তু এই করোনাকালীন সময়ে পাটকল বন্ধ করে শ্রমিকদের অবসরে পাঠানোর ঘোষণা অত্যন্ত মর্মান্তিক।

    বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে জানা যায়, বছরের পর বছর ধরে লোকসান গোনায় রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোর প্রায় ২৫ হাজার স্থায়ী শ্রমিককে স্বেচ্ছা অবসরে (গোল্ডেন হ্যান্ডশেক) পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন (বিজেএমসি)। তবে বিষয়টি সহজভাবে নিচ্ছেন না পাটকল শ্রমিকেরা। গোল্ডেন হ্যান্ডশেক এর মাধ্যমে অবসরে পাঠানোর সরকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শ্রমিকরা এক হয়ে রাষ্ট্রায়াত্ত পাটকল রক্ষা শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদ গঠন করে আন্দোলনে নেমেছেন। ইতোমধ্যে পাটকল শ্রমিকরা তাদের সন্তানদের নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। অন্যদিকে, এই কর্মসূচির পরই সরকারের শ্রম প্রতিমন্ত্রীর সাথে পাটকল শ্রমিক নেতাদের বৈঠক কোন ফলাফল ছাড়াই শেষ হওয়ার পর শ্রমিকরা আমরণ অনশন করার ঘোষণা দিয়েছেন।

    প্রকাশিত সংবাদে আরো জানা যায় যে, বিজেএমসির অধীন ২৬টি পাটকলের মধ্যে বর্তমানে চালু আছে ২৫টি। এর মধ্যে ২২টি পাটকল ও ৩টি ননজুট কারখানা। ঢাকা অঞ্চলে ৭টি, চট্টগ্রামে ১০টি ও খুলনা অঞ্চলে ৯টি পাটকল রয়েছে। পাটকলগুলোতে বর্তমানে স্থায়ী শ্রমিক আছেন ২৪ হাজার ৮৮৬ জন। এ ছাড়া তালিকাভুক্ত বদলি ও দৈনিকভিত্তিক শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ২৬ হাজার। তবে গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের আওতায় থাকবেন কেবল স্থায়ী শ্রমিকেরা।

    শ্রমিক নিরাপত্তা ফোরাম এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের পাট শিল্পের ভবিষ্যৎ ও এ শিল্পের সাথে স¤পৃক্ত সকল শ্রমিকের জীবিকার নিরাপত্তা বিষয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। দ্রুততার সাথে যথাযথ গবেষণা, অনুসন্ধান ও উন্নয়ন পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশের পাট শিল্পকে টিকিয়ে রাখার এবং পাটকল শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছে শ্রমিক নিরাপত্তা ফোরাম।

    শ্রমিক নিরাপত্তা ফোরামের পক্ষে:

    ড. হামিদা হোসেন
    আহ্বায়ক
    শ্রমিক নিরাপত্তা ফোরাম