জহুরুল কবীর: সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নদী বেষ্টিত দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুরাতে আবারো ভয়াবহ নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। গত সোমবার ভোরের দিকে গাবুরা ইউনিয়নের নাপিতখালী গ্রামে মিজানুর রহমানের বাড়ি হতে রশিদ মোড়লের দোকান পর্যন্ত সাড়ে ৩শত ফুট পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বেড়িবাঁধ কপোতক্ষ নদীতে বিলিন হয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে। এসময়ে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা সেচ্ছা শ্রমের ভিক্তিতে ভাঙ্গন কবলিত স্থানটি মাটি ও মাটির বস্তা দিয়ে বেঁেধ ফেলেছে।
গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আব্দুর রহিম জানান, ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের তান্ডবে কপোতক্ষ নদীতে প্রবল জোয়ারের আঘাতে ওই স্থানটি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। সে সময় পাউবো কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি ভাবে বিকল্প রিং বাধ নির্মান করে। পরবর্তীতে ওই রিং বাধটি সংস্কার না করায় কপোতক্ষ নদীতে প্রবল জোয়ারের ¯্রােতে আবারো বিলীন হয়ে যায় রিং বাঁধটি। পাউবো কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারনে বারবার নদী ভাঙ্গন সৃষ্টি হচ্ছে স্থানীয় ফিরোজ ও কাদের সহ অনেকের অভিযোগ।
গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জিএম মাসুদুল আলম জানান, পাউবো কর্তৃপক্ষকে বারবার তাগেদা দেওয়ার পরেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। জরুরী ভিত্তিতে ক্ষতিগ্রস্থ বেড়িবাঁধ সংস্কার করা না হলে সমগ্র গাবুরা ইউনিয়ন তলিয়ে চিংড়ি ঘের সহ জানমালের ব্যপক ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা বিদ্যমান।
সংশ্লিষ্ট ১৫ নং পোল্ডারের পাউবো সেকশান অফিসার (এসও) সাজ্জাদুল ইসলাম ভাঙ্গনের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। ভাঙ্গন মেরামতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
Category: বিশেষ সংবাদ
-

শ্যামনগরের গাবুরায় ভয়াবহ নদী ভাঙ্গন
-

কলারোয়ায় সংঘটিত নৃশংস হত্যাকান্ড সমুহের একটিরও বিচার পায়নি স্বজনরা

জহুরুল কবীর: সাতক্ষীরার কলারোয়ায় সংঘটিত কয়েকটি নৃশংস হত্যাকান্ডর একটিরও বিচার আজও পায়নি নিহতের স্বজনরা। সর্বশেষ গত ১৪ অক্টোবর গভীর রাতে একই বাড়ির ৪ খুনের ঘটনার বিচার হবে কি হবে না তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছে ওই এলাকার সাধারণ মানুষের।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০০০ সালের ২ মার্চ তারিখে কলারোয়ার এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের কলেজ ভেন্যুতে ৪টি তরতাজা প্রান ঝরে যায়। তদন্তে এ ঘটনাকে দুর্ঘটনা বলা হলেও পরিকল্পিতভাবে এ হত্যার ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে সে সময়। নিহতদের মধ্যে ছিলেন কলারোয়ার হঠাৎগঞ্জ হাইস্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষার্থী কেড়াগাছি গ্রামের শামসুন্নাহার লিপি, যুগিখালী হাইস্কুলের শিক্ষিকা ফজিলাতুন্নেসা এবং সাবেক কলেজছাত্র হাবিবুর রহমান ও মামুনুর রশীদ। শেষোক্ত দুইজন তাদের স্বজন পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা হলে পৌছে দিতে এসেছিলেন।
পরীক্ষা চলাকালে কলেজ ক্যাম্পাসের চারপাশে ১৪৪ ধারা জারির কোন নির্দেশ না থাকায় বিপুল সংখ্যক পরীক্ষার্থী কেন্দ্রের কলেজ ভেন্যুতে হুড়মুড় করে ঢুকে পড়ে। এসময় হইহট্টগোলের সৃষ্টি হলে রেলিং বেয়ে ছাদে উঠে পুলিশ হুইসেল দেয়। এরই মধ্যে কে বা কারা নিচের কলাপসিবল গেট আটকে দেয়। এসময় প্রচন্ড ভীড়ের মধ্যে শিক্ষিকা ও পরীক্ষার্থীর ছাত্রীরা অপমানজনক অবস্থার শিকার হন। ভীড়ের চাপে ৪ জন পদদলিত হয়ে প্রান হারান। এ ঘটনা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হলেও শেষ পর্যন্ত এ মামলা খারিজ হয়ে যায়। তার আগে পুনঃতদন্তে সিআইডি ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশীট দাখিল করে আদালতে।
এদিকে ২০১৫ সালের ১৫ জুলাই রাতে কলারোয়ার সোনালী ব্যাংকে দুই নৈশপ্রহরীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে। দুই নৈশ প্রহরীরা হলেন উপজেলার ঝাঁপাঘাট গ্রামের আব্দুল কাইয়ুমের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন (৩০) ও সদর উপজেলার হরিসপুর গ্রামের আনারুল ইসলামের ছেলে আসাদুজ্জামান রিপন (৩২)। সে দিনের এ হত্যার ঘটনায় তৎকালীন ব্যাংক ম্যানেজার মনতোস সরকার বাদী হয়ে কলারোয়া থানায় অজ্ঞত ব্যক্তিদের নামে একটি হত্যা মামলা নং (১৮) ১৫/৭/২০১৫ দায়ের করেন। এই জোড়াখুন মামলাটির তদন্তভার দেওয়া হয় সিআইডির ওপর। সেটি এখনও শেষ নামেনি।
অন্যদিকে ১৯৬৫ সালে কলারোয়ার বোয়ালিয়া গ্রামে একই পরিবারের গৃহকর্তা মোসলেম উদ্দিন, তার স্ত্রী এবং ছেলেমেয়ে সহ ৫ জনকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ নিহতের বাবা মোহাম্মদ আলী ও মাকে গ্রেফতার করে। পরে তারা ছাড়া পেয়ে যান। এই ৫ খুনেরও বিচার হয়নি এখনও।
সর্বশেষ ১৪ অক্টোবর কলারোয়া উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নের খলিসা গ্রামে একই পরিবারের স্বামী স্ত্রী ও ছেলেমেয়ে সহ চার জনকে জবাই করে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। বৃহস্পতিবার ভোররাতে কোন একসময় এই ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- মাছের ঘের ব্যবসায়ী মোঃ শাহীনুর রহমান(৪০) তার স্ত্রী সাবিনা খাতুন(৩০), ছেলে সিয়াম হোসেন মাহী(৯) ও মেয়ে তাসমিন সুলতানা(৬)। খুনীদের কবল থেকে রক্ষা পেয়ে যায় সাড়ে ৪ মাসের শিশু মারিয়া। এই হত্যা মামলায় নিহত শাহীনুরের ভাই রায়হানুলকে সিআইডি পুলিশ ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। এখন পর্যন্ত অন্য কোন আসামী ধরা পড়েনি। এই হত্যারও বিচার হবে কি হবে না তা নিয়ে কৌতুহলী হয়ে উঠেছেন এলাকাবাসীরা। -

কলারোয়ার কেরালকাতায় ইউ-চেয়ারম্যান উপ-নির্বাচন আজ
জহুরুল কবীর : কলারোয়ার ৮ নং কেরালকাতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদের উপ-নির্বাচন আজ ২০ অক্টোবর মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে। অনুষ্ঠেয় এ নির্বাচনে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে নির্বাচনী লড়াই হবে মূলত: দ্বিমুখী বলে শোনা যাচ্ছে। মুল প্রতিদ্বন্দ্বী এই দুই প্রার্থী হলেন: নৌকা প্রতীকের স.ম মোরশেদ আলী ও মোটর সাইকেল প্রতীকের আব্দুর রউফ সরদার। অপর প্রার্থী হলেন আনারস প্রতীকের নেছার আলি। মোটর সাইকেল ও আনারস প্রতীকের প্রার্থীরাও আওয়ামী লীগ ঘরানার মানুষ। নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করছেন এই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান স.ম মোরশেদ আলি। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও কলারোয়া সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি। তাঁর মূল প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুর রউফ সরদার সদ্য প্রয়াত কেরালকাতা ইউপি জনপ্রিয় চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল হামিদ সরদারের সহোদর ভাই। উপ-নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মনোরঞ্জন বিশ্বাস জানান, ২০ অক্টোবরের এই উপ-নির্বাচন সকাল ৯ টা থেকে বিরতিহীনভাবে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলবে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত ও আইন-শৃঙ্খলা সমুন্নত রাখতে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাচন অফিসার মনোরঞ্জন বিশ্বাস জানান, এবার কেরালকাতা ইউনিয়নে মোট ১৭ হাজার ৪শ’ ৪৫ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করার অনুমতি লাভ করেছেন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৮ হাজার ৭শ’ ৬১ জন ও মহিলা ৮ হাজার ৬শ’ ৮৪ জন। কেন্দ্রের সংখ্যা ৯ টি, আর ভোট গ্রহণ কক্ষের সংখ্যা ৪২টি। তিনি আরও জানান, কঠোর নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণের জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রসঙ্গত: উল্লেখ্য, গত ৩০ জুন ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন কেরালকাতা ইউনিয়নের ৩ বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল হামিদ সরদার।
-

মণিরামপুরে স্বামীর নির্যাতনে স্ত্রী ঘরছাড়া, আদালতে মামলা
মণিরামপুর (যশোর) সংবাদদাতা: যৌতুক একটি সামাজিক ব্যাধি, যৌতুক নেওয়া অপরাধ, এটা জেনেও যৌতুকের জন্য নিজের স্ত্রী পলি খাতুন (৩৪) কে শারীরিক মানসিক নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে পাষন্ড স্বামী শামীম হোসেন (৩৫)। শামীম হোসেন মণিরামপুর উপজেলার দেবীদাসপুর গ্রামের শের আলী দফাদারের ছেলে।
খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, শামীম হোসেন গত ৮/৯মাস আগে উপজেলার মাছনা বেগমপুর গ্রামের রিজউল সরদারের মেয়ে পলি খাতুনকে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা যৌতুক নিয়ে বিবাহ করেন। বিয়ের কিছুদিন পর শশুরবাড়ীর লোকজন পলি খাতুনকে তার পিতার বাড়ী থেকে পুনরায় টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। উপায়ন্তর না পেয়ে তিনি পিতার বাড়ী থেকে সুদে করে আরো ১০ হাজার টাকা এনে পাষন্ড স্বামী শামীম হোসেনের কাছে দিন। এরপর পলি খাতুনের সংসার কিছুদিন ভাল চললেও পুনরায় টাকার জন্য আবার চাপ দিতে শুরু করে। টাকা আনতে অস্বীকার করায় তার স্বামী শামীম হোসেনসহ তার পরিবারের লোকজন বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করে এবং নির্যাতন চালায়। কিন্তু গরীব, অসহায় পলি খাতুন টাকা কোথায় পাবে? অস্বচ্ছল পরিবার যেখানে উপার্যন করার কেউ নেয়, সেখানে আবার নতুন করে টাকা দিতে দিশেহারা হয়ে যায় তিনি। গত ২৭ এপ্রিল মাসে ভূক্তভোগী পলি খাতুনের স্বামী শামীম হোসেনের যোগসাজনে রেহেনা বেগম, শের আল দফাদার, রফিকুল ইসলাম, জয়নাল আবেদীন, মামুন হোসেন ও শহিদুল ইসলাম দ্বয় যৌতুকের দাবীতে পলি খাতুনকে বেধড়ক মারপিট করিয়া তার পিতার বাড়ীতে তাড়াইয়া দেয়। এ ঘটনায় ভূক্তভোগী পলি খাতুন মণিরামপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করলেও কোন উপকৃত না হওয়ায় সম্প্রতি বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালত যশোরে মামলা দায়ের করেন।
ভূক্তভোগী পলি খাতুন বলেন, মামলা দায়ের করার পর থেকে আমার স্বামী মামলা তুলে নেয়ার জন্য আমাকে অনবরত হুমকি দিয়ে আসছে এবং আমি আমার স্বামীর বাড়িতে ফেরত গেলে আমাকে আবারো মারধর করবে বলে হুমকি দিচ্ছে। আমি ভয়ে আমার স্বামীর বাড়িতে ফিরে যেতে পারছি না। তাই পৌর শহরে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করছি। এ ঘটনায় আমি প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য জয়নাল হোসেন বলেন, এটা খুবই দুঃখ জনক। যৌতুকে জন্য নিজের স্ত্রীকে এভাবে মারপিট সহ্য করা যায়না। আমি নিজেই তাদের বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করেছি। -

নাশকতার মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আজহারুলের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ
অনলাইন ডেস্ক: রাজধানী রমনা থানার নাশকতার মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত।
আজ সোমবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কেএম ইমরুল কায়েশ অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। পরে মামলায় পলাতক আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আজ মামলাটির অভিযোগপত্র গ্রহণের দিন ধার্য ছিল। এ দিন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি এটিএম আজহারুল ইসলামকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। এ সময় পলাতক আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলামসহ আরও অনেকের বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করে পুলিশ। এরপর তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
এদিকে, একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আগেই আরেকটি মামলায় জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
-

কৃষক লীগের ১১১ সদস্যের কমিটি চূড়ান্ত
অনলাইন ডেস্ক ॥ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন কৃষক লীগের ১১১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন করা হয়েছে।
সোমবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত কমিটির চিঠি সংগঠনটির সভাপতি সমীর চন্দ্র ও সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতির হাতে হস্তান্তর করা হয়। তাদের কাছে চিঠি হস্তান্তর করেন আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া ও উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান।
গত বছরের ১৬ নবেম্বর অনুষ্ঠিত কৃষক লীগের ১০ সম্মেলনে সভাপতি পদে সমীর চন্দ ও সাধারণ সম্পাদক পদে উম্মে কুলসুম স্মৃতি নির্বাচিত হন। সম্মেলনের পরে চলতি বছরের শুরুতে পূর্ণাঙ্গ কমিটির খসড়া তালিকা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে করোনার কারণে এর যাচাই-বাচাই আটকে যায়।
এখন করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় চূড়ান্ত কমিটিতে অনুমোদন দিলো আওয়ামী লীগ।
চূড়ান্ত কমিটিতে সহ-সভাপতি ১৬ জন। এর মধ্যে রয়েছেন- শরীফ আশরাফ আলী, মাহবুব্-উল-আলম শান্তি, শেখ জাহাঙ্গীর আলম, আশা লতা বৈদ্য প্রমুখ।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তিন জন- হলেন কৃষিবিদ বিশ্বনাথ সরকার বিটু, শামীমা শাহরিয়ার, একেএম আজম খান।
সাংগঠনিক সম্পাদক সাত জন হলেন- জসীম উদ্দিন (গাজী জসিম), আসাদুজ্জামান বিপ্লব, হাবিবুর রহমান মোল্লা, সৈয়দ সাগিরুজ্জামান শাকীক, নিজামুল বাহার রানা, নুরে আলম সিদ্দিকী হক, নাজমুল হক পানু।
অর্থ সম্পাদক নাজির মিয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শেখ ফারুক আহমেদ, দফতর সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা।
-

ব্যাংকের সিল ও বিআরটিএর নকল রশিসহ দালাল চক্রের ৩ সদস্য আটক
জহুরুল কবীর : সাতক্ষীরায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে এনআরবিসি ব্যাংকের সিল ও ড্রাইভিং লাইসেন্সর ফি জমাদেওয়ার নকল রশিদসহ দালাল চক্রের ৩ সদস্যকে আটক করা হয়েছে। রবিবার দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ইন্দ্রজীত সাহা এর নেতৃত্বে বিআরটিএ এ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করে।
আটককৃতরা হলেন, সাতক্ষীরা শহরের পুরাতন সাতক্ষীরা এলাকার কোরবান গাজীর পুত্র তুহিন ইসলাম, পলাশপোল সবুজবাগ এলাকার সাবুর আলীর পুত্র আবু সাঈদ, বেতলা এলাকার মোকবের আলীর পুত্র দেলোয়ার হোসেন।
বিআরটিএর সহকারী পরিচালক এ,এস,এম ওয়াজেদ হোসেন জানান, গ্রাহকের অভিযোগের ভিত্তিতে বহুদিন ধরে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে একটি দালাল চক্র ভুয়া রশিদ বানিয়ে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সহযোগিতায় কোর্টের উত্তর পাশে তুহিন কম্পিউটার নামক ফটোকপি ও কম্পোজের দোকানে অভিযান চালিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্সর ফি জমা দেওয়ার নকল রশিদ ও এনআরবিসি ব্যাংকের নকল সিলসহ তিন জনের চক্রবদ্ধ একটি দলকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদেরকে সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়। তিনি আরও জানান, রবিবার সন্ধ্যায় তিনি নিজে বাদি হয়ে আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. বুরহান উদ্দিন আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করে আজ দুপুরে তাদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। -

আশাশুনির মৎস্য ঘের থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার
জহুরুল কবীর: সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার শোভনালী ইউনিয়নের শোভনালী বিলে নিজেদের মাছের ঘেরে চন্দ্রশেখর সরকার নামের এক কলেজ ছাত্রের কাঁকড়ায় ক্ষতবিক্ষত করা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার সকালে ঘেরের বাসার পাশেই লাশটি ভাসমান ছিল।
আশাশুনি থানার ওসি মোঃ গোলাম কবির এ ঘটনা নিশ্চিত করে জানান, এটা হত্যা নাকি অন্যকিছু তা এখনও নিশ্চিত করা যায়নি। তবে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আমরা সাতক্ষীরা হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়ে দিয়েছি।
প্রতিবেশীরা জানান, অন্যান্য দিনের মত রোববার রাতেও চন্দ্রশেখর শোভনালী বিলে তাদের নিজেদের মাছের ঘেরের বাসায় ঘুমিয়ে ছিল। রাতের কোন এক সময় তার মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। চন্দ্রশেখর(২৫) শোভনালী গ্রামের শংকর সরকারের ছেলে এবং সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ থেকে অনার্স শেষ করেছেন। তার মৃত্যুর প্রকৃত কারন এখন জানা যায়নি। -
মণিরামপুরে দুই কিশোরী বোনকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ
মণিরামপুর (যশোর) সংবাদদাতা: মণিরামপুরের একটি ঋষিপলি¬তে ভিক্ষুক দম্পতির তরুণী দুই মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।অভিযোগ করা হচ্ছে, ইত্যা মাধ্যমিক বিদ্যালয়-সংলগ্ন কলোনিপাড়ার আবু দাউদ (৫০) নামে এক কবিরাজ ঝাড়ফুঁকের নাম করে ওই বাড়িতে গিয়ে ১৭ ও ১৩ বছরের দুই বোনকে ধর্ষণের চেষ্টা করে।
শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এই ঘটনা ঘটলেও সন্ধ্যার পর তা প্রকাশ পায়। রাতেই স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংশার চেষ্টা চলে। পরে শালিসে দুই পক্ষ হয়ে যাওয়ায় ঘটনাটি পুলিককে জানানো হয়।
খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ দুই মেয়েসহ ভিক্ষুক দম্পতিকে থানায় নিয়ে আসে।
অভিযুক্ত আবু দাউদ যশোর সদর উপজেলার বসুন্দিয়া ঘুনি গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে। দীর্ঘদিন তিনি ইত্যা গ্রামে শ্বশুর আব্দুল আজিজের বাড়িতে ঘরজামাই থাকেন। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন। তার দুই ছেলে বিদেশে থাকেন।এই ঘটনায় রোববার সকালে থানায় মামলা করেছেন দুই কিশোরীর মা।তবে ঘটনাটি নিয়ে বাদী ও দুই তরুণী ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য দিয়েছে।
বাদী বলেন, ‘আমার চার মেয়ে। বড় মেয়ে বিয়ে দিয়েছি। ছোট তিন মেয়ে বাড়ি থাকে। আমার মেজ মেয়ে অসুস্থ। শনিবার সকালে আমরা স্বামী-স্ত্রী ভিক্ষা করতে বের হই। এরপর বেলা ১১টার দিকে দাউদ কবিরাজ আমাদের বাড়ি যায়। তারপর সেজ মেয়ের হাতে দশ টাকা দিয়ে তাকে দোকানে খাবার আনতে পাঠায় কবিরাজ। সেই সুযোগে মেজ মেয়েকে ঝাড়ফুঁক দেওয়ার কথা বলে ঘরে নিয়ে মুখ বেঁধে খারাপ কাজ করে সে। সেজ মেয়ে দোকান থেকে ফিরে তার বোনের মুখ বাঁধা দেখে কবিরাজকে বকাঝকা করে। তখন কবিরাজ তারও গায়ে হাত দেয়।’
তবে মেয়ে দুটির মধ্যে বড়জন বলছে, ‘কবিরাজ আমার মুখ বেধে গায়ে হাত দেয়। পরে ধর্ষণের চেষ্টা করে। তখন আমি তাকে লাথি মেরে ফেলে দিই।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য নিখিল দাস বলেন, ‘বিকেলে ভিক্ষুক দম্পতি বাড়ি ফিরে বিষয়টি জানতে পারে। এরপর তারা আমার কাছে এসে ঘটনাটি খুলে বলে। আমি সাথে সাথে ঘটনাটি চেয়ারম্যানকে জানাই।’ঝাড়ফুঁক দিতে দাউদ আগেও ওই বাড়িতে যাতায়াত করতেন বলে জানান মেম্বার নিখিল।
কাশিমনগর ইউপি চেয়ারম্যান জিএম আহাদ আলী বলেন, ‘শনিবার সন্ধ্যার আগে মেম্বর আমাকে বিষয়টি জানায়। তখন দাউদকে ধরতে আমি দফাদারসহ গ্রামপুলিশদের সেখানে পাঠাই। তারা যেয়ে দাউদকে বাড়ি পায়নি। তার আগেই সে পালিয়েছে। পরে রাত তিনটার দিকে জানতে পারি ভুক্তভোগী পরিবারকে থানা পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে।’
তবে দাউদের পরিবারসহ তার বাড়ির আশপাশের নারীদের দাবি, কবিরাজ ভালো মানুষ। তিনি এই কাজ করতে পারেন না।
স্থানীয়রা বলছেন, ভিক্ষুকের মেজ মেয়ে মানসিক প্রতিবন্ধী। আগে তার একটা বিয়ে হয়েছিল। স্বামীর বাড়ি থাকতে পারেনি। এখন তার পায়ে শিকল লাগিয়ে বাবা-মা ভিক্ষা করতে যান।
মণিরামপুর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি ভালো করে পর্যবেক্ষণ করেছি। কবিরাজ ধর্ষণের চেষ্টা করেছে বলে জানতে পেরেছি। এই ঘটনায় থানায় ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেছে দুই তরুণীর মা। অভিযুক্ত দাউদ কবিরাজ পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’ -

দেবহাটায় মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে পুলিশের মতবিনিময়
দেবহাটা প্রতিনিধি: দেবহাটায় দূর্গাপূজা উপলক্ষ্যে দেবহাটা থানা প্রশাসনের আয়োজনে রবিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় উপজেলার সকল মন্দির কমিটির সভাপতি ও সম্পাদকবৃন্দের সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন দেবহাটা থানার ওসি (তদন্ত) উজ্জ্বল কুমার মৈত্র।উক্ত সভায় পুলিশের পক্ষ থেকে দূর্গাপূজা শান্তিপূর্নভাবে ও সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী করতে নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
দেবহাটা থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই নয়ন চৌধুরীর সঞ্চালনায় উক্ত মতবিনিময়ে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দেবহাটা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নওয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মুজিবর রহমান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, সখিপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক হোসেন রতন, দেবহাটা সদর ইউপি চেয়ারম্যান আবু বকর গাজী, পারুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম ও কুলিয়া ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আসাদুল ইসলাম। উক্ত মতবিনিময় সভায় উপজেলার ২১ টি মন্দির কমিটির সকল সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
দেবহাটায় মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে পুলিশের মতবিনিময়
দেবহাটা প্রতিনিধি:দেবহাটায় দূর্গাপূজা উপলক্ষ্যে দেবহাটা থানা প্রশাসনের আয়োজনে রবিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় উপজেলার সকল মন্দির কমিটির সভাপতি ও সম্পাদকবৃন্দের সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন দেবহাটা থানার ওসি (তদন্ত) উজ্জ্বল কুমার মৈত্র।উক্ত সভায় পুলিশের পক্ষ থেকে দূর্গাপূজা শান্তিপূর্নভাবে ও সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী করতে নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
দেবহাটা থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই নয়ন চৌধুরীর সঞ্চালনায় উক্ত মতবিনিময়ে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দেবহাটা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নওয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মুজিবর রহমান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, সখিপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক হোসেন রতন, দেবহাটা সদর ইউপি চেয়ারম্যান আবু বকর গাজী, পারুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম ও কুলিয়া ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আসাদুল ইসলাম। উক্ত মতবিনিময় সভায় উপজেলার ২১ টি মন্দির কমিটির সকল সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। -

দেবহাটায় ফেন্সিডিলসহ ২ জন ও চুরি মামলায় আটক ১
দেবহাটা প্রতিনিধি: দেবহাটায় থানা পুলিশের অভিযানে ৪৪ বোতল ফেন্সিডিলসহ ২ জন এবং চুরি মামলায় ১ জন আসামী আটক হয়েছে। ফেন্সিডিল গ্রেফতারের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ জানায়, সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, পিপিএম (বার) এর দিক নির্দেশনায়, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার, দেবহাটা সার্কেল শেখ ইয়াছিন আলীর তত্ত্বাবধানে এবং দেবহাটা থানার বিপ্লব কুমার সাহা ও ওসি (তদন্ত) উজ্জ্বল কুমার মৈত্রের নেতৃত্বে দেবহাটা থানা এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, গ্রেফতারী পরোয়ানা তামিল ও বিশেষ অভিযান পরিচালনাকালে ইং-১৮/১০/২০২০ তারিখ এসআই(নিঃ) আবু হানিফ সঙ্গীয় অফিসার এএসআই(নিঃ) রসিদুল ইসলাম এবং এএসআই(নিঃ)/ সোহেল উদ্দীন এর সহায়তায় দেবহাটার মাঝ সখিপুর গ্রামস্থ ফুটবল খেলার মাঠ সংলগ্ন জনৈক শফিকুল ইসলাম গাজীর বাড়ীর সামনে কালিগঞ্জ-সাতক্ষীরা সড়কের উপর ৪৪ বোতল ফেন্সিডিল সহ আসামী ১। মোফাজ্জেল (২৪), পিতা- আহমেদ আলী গাজী, সাং- নওয়াপাড়া, থানা- দেবহাটা ও ২। হারুন (২৬), পিতা- নজরুল মোড়ল, সাং- কাজলা কাশিবাটি, (এপি সাং শ্বশুর বাড়ি- নাংলা , নওয়াপাড়া, দেবহাটা), থানা-কালিগঞ্জ, উভয় জেলা-সাতক্ষীরাদের আটক করেন। তাদের বিরুদ্ধে এসআই আবু হানিফ দেবহাটা থানায় ৯ নং মামলা দায়ের করেছেন। এছাড়া অপর এক অভিযানে এসআই(নিঃ)/ আসিফ মাহমুদ চুরি মামলার হাসান আলী (৪০), পিতা-শমসের আলী সরদার, সাং- নওয়াপাড়া মির্জাপুর, থানা- পাটকেলঘাটা, জেলা- সাতক্ষীরাকে গ্রেফতার করেন। আসামীদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরন করা হয়েছে। -
আশাশুনির ৩ ইউনিয়নে উপকারভোগি বাছাইয়ে প্রচার
আশাশুনি ব্যুরো: ২০২১-২২ চক্রের ভিজিডি উপকার ভোগী বাছাই এর জন্য আশাশুনি উপজেলার ৩টি ইউনিয়নে প্রচার শুরু হয়েছে। আশাশুনি সদর, বুধহাটা ও কুল্যা ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে এ প্রচার চালান হচ্ছে।
আগামী ১৮ থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত স্ব স্ব ইউনিয়ন পরিষদে অফিস চলাকালীন সময়ে নির্ধারিত দিনে প্রার্থীরা অনলাইনে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড ভিত্তিক অআবেদন করতে পারবে। আবেদনকারীকে মহিলা ও বয়স সীমা ২০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে হতে হবে। জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি ও মোবাইল নম্বর সঙ্গে আনতে হবে, ২০১৭-২০১৮, ২০১৯-২০২০ সালে যারা ভিজিডি কার্ড পেয়েছে তারা আবেদন করতে পারবে না। আবেদন ফরম স্ব-স্ব ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সংগ্রহ করতে হবে। আবেদন ফরম দায়িত্বপ্রাপ্তদের মাধ্যমে পূরণ করে ইউনিয়ন পরিষদে জমা দিতে হবে। গ্রামে গ্রামে মাইকিং করে, বিভিন্ন মসজিদে ঘোষণা দিয়ে এবং বিভিন্ন স্থানে ঘোষণাপত্র সাটে দিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানগণ প্রচারের ব্যবস্থা করেছেন। -
শ্রীউলা ও শোভনালীতে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন বিরোধী র্যালী ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত
আশাশুনি ব্যুরো: আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ও শোভনালী ইউনিয়নে বিট পুলিশিং র্যালী ও সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন বিরোধী উক্ত র্যালি ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। শোভনালী ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে নারী ধর্ষণ ও নির্যাতন প্রতিরোধে র্যালী ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। আশাশুনি থানার বিট অফিসার, ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক ম. মোনায়েম হোসেন, ইউপি সদস্য উদয় কান্তি বাছাড় ও আঃ আজিজ প্রমুখ আলোচনা রাখেন। স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ ও স্কুলের ছাত্র ছাত্রীরা কর্মসূচিতে অংশ নেন।
এছাড়া শ্রীউলার নাকতাড়া বাজারে ৭নং শ্রীউলা ইউনিয়ন বিট পুলিশিং এর আয়োজনে শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিল ও এসআই হাসানুজ্জামানের নেতৃত্বে কর্মসূচি পালন করা হয়। এসময় এএসআই সাইফুল ইসলাম, মহিলা মেম্বার তহমিনা জোয়ার্দার, সাবেক মহিলা মেম্বার রুমাইয়া, স্বরসতী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। -
আশাশুনির কোদন্ডা ও কচুয়া স্কুলের ভবন উদ্বোধন
আশাশুনি ব্যুরো: রবিবার আশাশুনি সদরের কোদন্ডা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংস্কারকৃত স্কুল ভবনের উদ্বোধন করা হয়েছে। আম্ফানে বিধ্বস্থ কোদন্ডা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নির্মীত ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, আশাশুনি সদর ইউপি চেয়ারম্যান স ম সেলিম রেজা মিলন। প্রধান শিক্ষক দুখীরাম ঢালীর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, ব্র্যাকের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক ফিরোজ আহমেদ। মইনুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ও অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, স্কুলের শিক্ষক শফিকুল ইসলাম, সমীতোষ কুমার রায়, ছাত্র ইমামুল হোসেন প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে অতিথিবর্গ লাল ফিতা কেটে সংস্কারকৃত ভবনের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করে শিক্ষার্থী মোহনা ও গীতা থেকে পাঠ করে শিক্ষার্থী স্নিগ্ধা মন্ডল। সংগীত পরিবেশ করে শিক্ষার্থী সুতপা মন্ডল।
এছাড়া উপজেলার কুল্যা ইউনিয়নের কচুয়া বিএইচবিপি আদর্শ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে সংস্কারকৃত ভবনের উদ্বোধন করা হয়েছে। রবিবার সকালে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ওমর ছাকি পলাশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ব্র্যাক হিউম্যানিটারিয়াল প্রজেক্ট অফিসার জি এম মইনুল ইসলাম, পিটিএ কমিটির সভাপতি নিরঞ্জন কুমার ঘোষ, দাতা সদস্য মোসলেম উদ্দিন শিকারী, প্রধান শিক্ষক কেএম আলমগীর মাহমুদ, সহকারী শিক্ষক করুনা ময় সানা, শাহিনূর আলম, রেবেকা আক্তার, উৎপল মন্ডল, মোঃ ইসহাক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। -

খুলনায় শেখ রাসেলের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৫৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রবিবার দুপুরে খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে আলোচনা সভা, কেককাট ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়। খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন এতে প্রধান অতিথি ছিলেন। খুলনা জেলা প্রশাসন ও শিশু একাডেমি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এসময় খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিসের উপপ্রধান তথ্য অফিসার ম. জাভেদ ইকবাল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জিয়াউর রহমান, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মোঃ আলমগীর করিব, খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাহেব আলী, রূপান্তরের প্রধান নির্বাহী স্বপন কুমার গুহ, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মোঃ আবুল আলমসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে জেলা প্রশাসক বিজয়ী শিশুদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। এ উপলক্ষে সকালে খুলনা শিশু একাডেমিতে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
একই স্থানে শেখ রাসেলের ৫৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে খুলনা শেখ রাসেল আন্তর্জাতিক টেনিস কমপ্লেক্স এর উদ্যোগে কেককাটা অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন। -

শেখ রাসেলের জন্মদিনে শিশুদের শিক্ষা উপকরণ দিল সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ রাসেলের ৫৭ তম জন্মদিন উপলক্ষে সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগ শিশুদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করেছে।
রবিবার বিকাল ৫ টায় স্টেডিয়াম সংলগ্ন শিশু পার্কে সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগ নেতা কাজী হাশিম উদ্দীন হিমেলের নেতৃত্বে কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক পৌর ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃজাহিদ হাসান, সাবেক পৌর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক মাহফুজ আলী সুজল, পৌর ছাত্রলীগের সৈয়দ রহিত মোসলেম, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের এজাজুস সালেহিন শীতল, শেখ আসিফ, জিম, মিরাজ, সাতক্ষীরা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রলীগের সাকিব হোসেন, রাব্বি ও জি এম ফরহাদ প্রমুখ।
১৯৬৪ সালের এই দিনে ধানম-ির ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবনে শেখ রাসেল জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। এ হত্যাকা- থেকে সেদিনের অবুঝ শিশু রাসেলও রেহাই পাননি।
বঙ্গবন্ধু ও তার শিশুপুত্র শেখ রাসেলের হত্যায় জড়িত দ-প্রাপ্ত খুনিরা এখনও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পলাতক আছে। দ-প্রাপ্ত এসব পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়েএনে ফাঁসির রায় কার্যকর করা বর্তমানে সময়ের দাবি। -

সাতক্ষীরায় শেখ রাসেলের জন্মদিন পালন
সাতক্ষীরায় বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে ১৮ই অক্টোবর শেখ রাসেল এর জন্মদিন পালন করেছে জেলা যুবলীগ। এ উপলক্ষ্যে শনিবার দুপুরে গরিব মেহমানদের মাঝে খাদ্য বিতরণ করা হয়। সাতক্ষীরা জেলা যুবলীগের সিনিয়র সদস্য মহি আলমের নেতৃতে একই দিন বাদ আসর শেখ রাসেলসহ তার পরিবারের আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবলীগের সদস্য কাজী আক্তার হোসেন, সদস্য জিয়াউর বিন যাদু, সদস্য আব্দুস সবুর, সদস্য মোঃ বেলাল, পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ তাইজুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক মোঃ রাজীব আহমেদ রাজু, সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল ইসলাম কাজলসহ যুবলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। প্রেস বিজ্ঞপ্তি
-

ধর্ষন বন্ধ ও ন্যায় বিচারের দাবীতে তালায় মানববন্ধন
সংবাদদাতা, তালাঃ সাতক্ষীরার তালায় রবিবার(১৮ অক্টোবর) তালা ডাক বাংলায় মুক্তি ফাউন্ডেশনের আয়োজনে নারীদের ধর্ষনবন্ধ ও ন্যায় বিচারের দাবীতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।মুক্তি ফাউন্ডেশনের পরিচালক গোবিন্দ ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, তালা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাজমুন নাহার, তালা প্রেসকøাবের সভাপতি প্রনব ঘোষ বাবলু,জেলা পরিষদ সদস্য ও রির্পোটাস ক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক মীর জাকির হোসেন, উপজেলা শ্রমীকলীগের সভাপতি ও তালা সদর প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ আব্দুল জব্বার, সদর প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক সাংবাদিক মোঃ আকবর হোসেন, জেএসডির কেন্দ্রীয় নেতা মীর জিল্লুর রহমান, মুক্তি ফাউন্ডেশনের প্রকল্প সমন্বয়কারী জোসেফ মন্ডল, মুক্তি ফাউন্ডেশনের প্রজেক্ট অফিসার মোঃ আবুল কালাম আজাদসহ সাংবাদিক, সুধিজন ও এলাকার অসংখ্য পুরুষ মহিলা উপস্থিত ছিলেন ।