নিজস্ব প্রতিবেদক:কালিগঞ্জে মাদকবিরোধী পৃথক অভিযানে ১হাজার ২শ’ পিস ইয়াবা, নগদ ৩৮ হাজার টাকা সহ কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত কমিটির কোষাধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান মনি (৪৮) সহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার ভাড়াশিমলা ইউনিয়নের সাদপুর ও রাত সাড়ে ৯টার দিকে নাজিমগঞ্জ বাজার এলাকার একটি বাসাবাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত অন্যান্যরা হলেন, যশোরের শার্শা উপজেলার জামতলা এলাকার মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে ইমরান হোসেন (২৬), গিলাতলা এলাকার মোস্তফা কাইয়ুম এর ছেলে জাহিদ পারভেজ (৪০), কালিগঞ্জ উপজেলার শীতলপুর গ্রামের মৃত শেখ শহীদ এর ছেলে মনিরুজ্জামান মনি (৪৮), মৌতলার রাফায়াত আলী (৪৭) ও তার ছেলে ঈশান (১৮)। কালিগঞ্জ থানার ওসি দেলোয়ার হুসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
Category: বিশেষ সংবাদ
-

কালিগঞ্জে উপজেলা আ’লীগ নেতা সহ ৫জন গ্রেফতার, ইয়াবা উদ্ধার
-

তালায় জাতীয় পার্টির উদ্যোগে উপজেলা দিবস পালিত
জহুরুল কবীর: তালায় জাতীয় পার্টির আয়োজনে ৩৬তম উপজেলা দিবস উপলক্ষে জাতীয় পার্টির তালাস্থ কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।তালা উপজেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি ও সদর ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অবসর প্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা গাজী আব্দুল জলিল এর সভাপতিত্বে শুক্রবার সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি তালা সদর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান সাংবাদিক এস,এম নজরুল ইসলাম।
উপজেলা জাতীয় ছাত্র সমাজের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম হাসান আলী বাচ্চুর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক এস,এম জাহাঙ্গীর হাসান,জাতীয় পার্টির যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক মীর কাইয়ুম ইসলাম ডাবলু,সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ হাবিবুর রহমান হাবিব, সেচ্ছাসেবক পার্টির উপজেলা সভাপতি এ্যাড: কবির আহমেদ,সাংগঠনিক সম্পাদক বি,এম বাবলুর রহমান,মো: ফারুক হুসাইন,জাপানেতা আলহাজ¦ আব্দুর রাজ্জাক বিশ^াস, জাপা নেতা আব্দুর রশিদ সরদার, রহমত গোলদার, নুরুল আমিন বিশ^াস প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, ২৩শে অক্টোবর বাংলাদেশের উন্নয়নের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সংস্কারক, উন্নয়ন ও সু-শাসনের মহানায়ক জাতীয় পাটি প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রয়াত পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, ঘুণেধরা প্রাগৈতিহাসিক প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে ভেঙ্গে আধুনিক রাষ্ট্রের সময়োপযোগী উপজেলা ব্যবস্থার প্রবর্তন করেন।
এই দিনে তৎকালীন মহামান্য রাষ্ট্রপতি পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এর একটি স্বিদ্ধান্ত বদলে দেয় সারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরবর্তী ক্ষতবিক্ষত বাংলার রুপ । প্রশাসন কে বিকেন্দ্রীকরন করে ২১ টি জেলাকে ভেঙ্গে ৬৪ জেলায় ও ৪৬০টি থানাকে উপজেলায় রুপান্তরিত করেন তিনি।তার এই সময় উপযোগী সিধান্তের ফলে প্রতিটি অবহেলিত থানা উপ-শহরে রুপান্তরিত হয়।প্রতি উপজেলায় ম্যাজিষ্ট্রেট কোর্ট জজকোর্ট, এলজিইডি অফিস সৃষ্টি করে গ্রামের জনভোগান্তি রাস্তা-ঘাটের পিচের দ্বার উন্নয়ন।ফলে গ্রাম অঞ্চলের মানুষেরা বিচার বিভাগ,উপজেলা চেয়ারম্যানের কর্যালয় সেবা গ্রহনকারী লোকজনের সংখ্যাবৃদ্ধি পাওয়ায় উপ-শহরে পরিনত হয়। উপজেলা সদরের আশেপাশে বাড়িঘর নির্মাণ,ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে।কিন্তু পল্লীবন্ধুর সেই উপজেলা পরিষদ ব্যবস্থাপনা এখন আর নেই। জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে সরকারের কাছে পুনাঙ্গ উপজেলা পদ্ধতি বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয় । -

শুভ উদ্বোধন হলো সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কার্যক্রম।
নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা মেডিকেল ইন্টার্ন চিকিৎসকদের দীর্ঘদিনের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে অবশেষে মেডিকেল কলেজে চালু করা হয়েছে জরুরি বিভাগ। শনিবার সকালে ফিতা কেটে জরুরি বিভাগের উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা সদর সাংসদ মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মো. আসাদুজ্জামান বাবু, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. কাজী হাবিবুর রহমান, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারি পরিচালক ডা. কুদরত-ই খুদা, বিএমএ’র সভাপতি ডা. আজিজুর রহমান, ডা. মোখলেছুর রহমান, ডা. রুহুল কুদ্দুস, ডা. কাজী আরিফ আহমেদ, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিচালনা কমিটির সদস্য অধ্যাপক সালেহা আক্তার প্রমুখ।
উল্লেখ্য: সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগ চালু না থাকায় শিক্ষার্থীরা তাদের ভবিষ্যত কর্মজীবন নিয়ে হতাশার মধ্যে ছিলো। অথচ দেশের প্রতিটি মেডিকেল কলেজে জরুরী বিভাগ চালু থাকলেও সাতক্ষীরায় তার ব্যতিক্রম ছিলো। যে কারণে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে জরুরি বিভাগসহ পূর্ণাঙ্গরূপে চালু করার জন্য মানবন্ধন, স্মারকলিপি, রক্ত দিয়ে আন্দোলন কর্মসূচি করে ২০১১-২০১২, ২০১২-২০১৩, ২০১৩-২০১৪ সেশনের শিক্ষার্থীরা। কিন্তু আশ্বাসের ভিত্তিতে আন্দোলন থামিয়ে দিলেও তা পূর্ণতা পায়নি। পরবর্তীতে একই দাবিতে ২০১৫, ২০১৭, ২০১৮ এবং ২০১৯ সালে জরুরি বিভাগ চালুর জন্য ইন্টার্ন চিকিৎসকবৃন্দ নিয়মিতভাবে আন্দোলন করে আসছে। প্রতিবার আশ্বাস ও ভয়ভীতি প্রদান করে আন্দোলন থামিয়ে দেওয়া হয়। ২০২০ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি একই দাবিতে আন্দোলন শুরু হয় এবং দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাসে ১২ফেব্রুয়ারী ২০২০ তারিখে কর্মসূচি স্থগিত করা হয় কিন্তু তা বাস্তবায়নের পরবর্তী কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। সর্বশেষ ২০২০ সালে ২৪ সেপ্টেম্বর ইন্টার্ন চিকিৎসকবৃন্দ জরুরি বিভাগ চালুর জন্য কর্ম বিরতিতে যায়। কিন্তু কর্তৃপক্ষের সাথে দফায় দফায় আলোচনায় বসেও জরুরি বিভাগ চালুর নিমিত্তে কোন আশানুরূপ সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায়নি। পরবর্তীতে ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ এক জরুরি সভার আয়োজন করা হয়। উক্ত সভায় অধ্যক্ষ সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ, জেলা প্রশাসক সাতক্ষীরা, পুলিশ সুপার সাতক্ষীরা, সিভিল সার্জন সাতক্ষীরা, তত্ত্ববধায়ক সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং ইন্টার্ন চিকিৎসক প্রতিনিধি-এর উপস্থিতিতে ৭দিনের মধ্যে জরুরি বিভাগ চালুর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে ১১ অক্টোবর ২০২০ তারিখে জরুরি বিভাগ উদ্বোধনের তারিখ ঘোষণা করা হলেও তা বাস্তবায়িত না হওয়ায় ইন্টার্ন চিকিৎসকরা পুনরায় কর্ম বিরতী পালন করেন। দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের পর অবশেষে কলেঝ কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের দাবির এরপ্রেক্ষিতে শনিবার ২৪ অক্টোবর সাতক্ষীরা মেডিকেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগ চালু করেন। -

নাগরিক সমাজ গঠনকল্পে আশাশুনিতে পরামর্শ সভা
আশাশুনি ব্যুরো: নাগরিক সমাজ গঠন কল্পে আশাশুনিতে পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মোল্যা রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও প্রদর্শক ইয়াহিয়া ইকবালের পরিচালনায়আশাশুনি বাজারস্থ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন আশাশুনি প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জি,এম মুজিবুর রহমান, প্রেসক্লাব সভাপতি জি,আল আল ফারুক, সিনিয়র সহ-সভাপতি আলী নেওয়াজ, প্রভাষক মিজানুর ইসলাম, শিক্ষক কামরুন্নাহার কচি, হিন্দু মহাজোটের উপজেলা সভাপতি ডাঃ আশুতোষ রায়, প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি এসএম সাহেব আলী প্রমুখ।
-

মথুরাপুর ও লাবসায় অবৈধভাবে জমি দখলের প্রতিবাদে মানববন্ধন
নিজস্ব প্রতিবেদক: অবৈধভাবে জমি দখলের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল ১১টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া উপেক্ষা করে মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, “টুটুল, আবু বাক্কার ও আবু সাইদ বাহিনী অবৈধ ভাবে মথুরাপুর ও লাবসায় জমি দখল করে হজম করার পায়তারা করছে। কোর্টের নির্দেশে ভূমি অফিসার তদন্ত সম্পন্ন করে ফিরে গেলে টুটুল, আবু বক্কার ও আবু সাইদসহ তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী দেশিয় অস্ত্রসহ আমাদের উপর হামলা করে। তাদের হামলায় আহত হয় আবু রায়হান ও আলমগীর হোসেন সহ চারজন। তারা আমাদের পৈত্রিক ভিটা পরিকল্পিত ভাবে দখল করার পায়তারা করছে। তারা একের পর এক মামলা দিয়ে আমাদের হয়রানি করছে। টুটুল, বক্কার ও সাইদদের অত্যাচারে দেবনগরের ২০টি পরিবার আজ ভিটা ছাড়া হয়েছে। আমরা সবাই তাদের দেওয়া মিথ্যা মামলার ঘানি টানছি। আমরা দেবনগর বাসীরা এ বিষয়ে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। সেই সাথে সাথে এই বাহিনীর হাত থেকে মুক্তি চাই।” -

বাচ্চাকে বাঁচাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যাওয়া দুই হনুমান
মেহেরপুর শহরের কোর্ট এলাকায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দু’টি হনুমানের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকালে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকালে মেহেরপুর কোর্ট এলাকার সাবরেজিস্ট্রি অফিসের সামেনে কালোমুখো একদল হনুমান এক ভবনের ছাদ থেকে আরেক ছাদে লাফালাফি করছিল। এসময় একটি বাচ্চা হনুমান হঠাৎ বিদ্যুতের খুঁটির তারে জড়িয়ে সেখানেই মারা যায়। এসময় বাচ্চাটিকে রক্ষা করতে গিয়ে মা হনুমানটিও বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে মারা যায়।
স্থানীয় এক দোকানদার বলেন, মারা যাওয়ার পর হনুমান দু’টি তারেই ঝুলে ছিল। পরে স্থানীয়রা বিদ্যুৎ অফিসে খবর দিয়ে বিদ্যুৎ বন্ধ করে মৃত হনুমান দু’টি নামিয়ে আনেন। এসময় দলের অন্য হনুমানগুলো মৃত হনুমানের চারপাশে ঘোরাফেরা করতে থাকে। পরে দুপুরের দিকে মৃত হনুমান দু’টি স্থানীয়রা মটি খুঁড়ে পুতে রাখেন।
-

দেবহাটায় লক্ষ টাকার ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী খেলায় দেবহাটা বিজয়ী
দেবহাটা সংবাদদাতা: দেবহাটায় ৪ দলীয় লক্ষ টাকার ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেবহাটা আরআরপি ক্লাব বিজয়ী হয়েছে। দেবহাটার সখিপুর যুব সংঘের সার্বিব ব্যবস্থাপনায় সখিপুর কেবিএ কলেজ মাঠে বুধবার বিকাল ৪ টায় উক্ত খেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবেক সাংসদ মুনসুর আহম্মেদ। সখিপুরের বিশিষ্ট সমাজসেবক আব্দুল আজিজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন যথাক্রমে দেবহাটা উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান সবুজ, সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ সদস্য আল ফেরদাউস আলফা, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জি.এম স্পর্শ ও সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক সাইফুল ইসলাম। উদ্বোধনী খেলায় একদিকে অংশগ্রহন করে দেবহাটার পাচপোতা আরআরপি ক্লাব ও অন্যদিকে অংশগ্রহন করে কালীগঞ্জ উপজেলা উত্তরশ্রীপুর জাগরনী ক্লাব। খেলায় ১-০ গোলে দেবহাটা বিজয়ী হয়। খেলায় রেফারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন নাছির উদ্দীন পিন্টু। তাকে সহযোগীতা করেন মিজানুর রহমান ও দিলীপ কুমার। এছাড়া তৃতীয় রেফারী হিসেবে ছিলেন রফিকুল। আগামী ২৫ অক্টোবর রবিবার একই মাঠে ভাড়–খালী প্রগতি সংঘ বনাম রামিন স্পোর্টস একাডেমীর মধ্যে ২য় খেলা অনুষ্ঠিত হবে। -

কলারোয়া পাবলিক ইনস্টিটিউট সম্পাদকের সুস্থতা কামনায় দোয়ানুষ্ঠান
কলারোয়া প্রতিনিধি: কলারোয়া পাবলিক ইনস্টিটিউটের সাধারণ সম্পাদকের রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।ক.পা.ই সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পাবলিক ইনস্টিটিউটের নিজস্ব কার্যালয়ে সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. শেখ কামাল রেজার হার্ট এর অপরেশন করায় তাঁর সুস্থতা কামনা করে এক দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি সহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ক.পা.ই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রধান শিক্ষক বদরুজ্জামান বিপ্লব এর পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহ-সভাপতি পৌর মেয়র (ভারপ্রাপ্ত) মাস্টার মনিরুজ্জামান বুলবুল, সাবেক সভাপতি অধ্যাপক আবুল খায়ের, সাবেক কর্মকর্তা সন্তোষ কুমার পাল, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আবুল কাশেম, সহকারি অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, ক.পা.ই কর্মকর্তা অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহমান, শিক্ষক ও সাংবাদিক দীপক শেঠ, প্রভাষক শাহাদাৎ হোসেন, শহিদুল ইসলাম বাবু, শাহাদাৎ হোসেন শ্যামল, আবু তাহের মোল্যা, মিয়া ফারুক হোসেন স্বপন, অনুপ কুমার, মাস্টার হুমায়ুন কবির, শেখ সেলিম রেজা, রামলাল ও নিয়াজ আহম্মেদ খানসহ সদস্যবৃন্দ। দোয়া পরিচালনা করেন মাদ্রাসা সুপার মাওলানা আলহাজ্ব আবু ইউছুপ। উল্লেখ্য, ক.পা.ই সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. শেখ কামাল রেজা হার্ট অপারেশনের মাধ্যমে রিং স্থাপন করে ঢাকার একটি বাসায় বেশকিছু যাবৎ দিন চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে পারিবারিক সূত্রে জানা যায়। -

কৈখালী ফরেষ্ট কর্মকর্তার অবহেলায় ধ্বংস হচ্ছেপশ্চিম সুন্দরবন
নিজস্ব প্রতিবেদক, শ্যামনগর: কৈখালী ফরেষ্ট কর্মকর্তার অবহেলায় ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে পশ্চিম সুন্দরবন। প্রকাশ্যে দেখাগেছে যে, মিরগাং, কালিঞ্চী ও কৈখালীর কিছু কু-চক্রী মহল প্রকাশ্য দিবালকে সুন্দরবন থেকে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে উজাড় করে দিচ্ছে। ফলে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে সুন্দরবন।
একটি বিশেষ সূত্রে জানাগেছে, সাতক্ষীরা রেঞ্জের পশ্চিম সন্দরবনের কৈখালী ফরেষ্ট কর্মকর্তা মোবারক হোসেন গোপন উৎকোচ গ্রহণ করে এই সব চোরাচালানীদের সুন্দরবনের বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কাটার সুযোগ করে দিচ্ছে। যদিও গত ২০১৪ সালের পর সুন্দরবনের চোরাচালানী বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু নতুন কওে তা আবারও শুরু হয়েছে। গরান, গেওয়া, সুন্দরী, পশুর মিরগাং বিভিন্ন প্রজাতিরগাছ টহলফাঁড়ীর পাশ দিয়ে যতিন্দ্রনগর গ্রামের উপর দিয়ে শ্যামনগর চলে যায়।
তবে চোরাচালানীদের দু’একজনের সাথে কথা বলে জানাগেছে যে, বাড়ীতে কিছু জ¦ালানির প্রয়োজনে তারা ফরেষ্ট কর্মকর্তা মোবারক হোসেনকে বলে সুন্দরবনে যায়।
গত কয়েকটা প্রাকৃতিক দূর্যোগের ফলে সুন্দরবনে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে, এর পরও যদি এভাবে চোরাচালানীরা সুন্দরবনের গাছ কেটে উজাড় করতে থাকে তবে ধ্বংস হয়ে যাবে সুন্দরবন- এমন মন্তব্য সচেতন মহলের।
এ ব্যাপাওে মিরগাং টহলফাঁড়ীর অফিসার ইনচার্জ মহাসিন হোসেন বলেন, আমার জানামতে এমন ধরনের কোন কাজ চলছে না। তবে আমাদের অফিস ষ্টাফ কম হওয়ায় হয়তো এ ধরনের ঘটনা আমাদের জানার বাইরে ঘটতে পারে।
কৈখালী ফরেষ্ট কর্মকর্তা মোবারক হোসেনের সাথে ০১৭৮৮০৮০৮৭৯ নম্বরে যোগাযোগ করতে গেলে ফোনটি বন্ধ থাকার কারনে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। -

তালায় জাতীয় ছাত্র সমাজের মতবিনিময় সভা
বিশেষ প্রেিতবেদক,তালা:আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সাতক্ষীরার তালা উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি,সাবেক চেয়ারম্যান সাংবাদিক এসএম নজরল ইসলাম কে বিজয়ী করতে জেয়ালা নলতা ওয়ার্ড জাতীয় ছাত্র সমাজের মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার জেয়ালা নলতা ওয়ার্ডের সভাপতি মোঃ রনি ইসলাম এর সভাপতিত্বে মতবিনিময় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা জাতীয়পার্টির সভাপতি,তালা সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সাংবাদিক এসএম নজরুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন মোঃ আব্দুল হাকিম নিকারী,জাতীয় ছাত্র সমাজের তালা ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক মোঃ জাহিদুল ইসলাম নিকারী, জাতীয় ছাত্র সমাজ নেতা মোঃ মুন্না নিকারী। সভায় জাতীয় পার্টি তালা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী সাংবাদিক এসএম নজরুল ইসলাম কে বিজয়ী করতে সকলে একযোগে কাজ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। -

সিআইডির প্রেস ব্রিফিং এ রায়হানুলের স্বীকারোক্তির দাবী: ‘আমি একাই ভাই ভাবীসহ চারজনকে খুন করেছি’
জহুরুল কবীর: কলারোয়ার চার খুনের রহস্য উদঘাটন, ভাই রায়হানুলের স্বীকারোক্তি , সিআইডির প্রেস ব্রিফিং‘আমি একাই ভাই ভাবীসহ চারজনকে খুন করেছি’সাতক্ষীরার কলারোয়ায় একই পরিবারে সংঘটিত চার খুন ঘটনার নেপথ্য রহস্য উদঘাটিত হয়েছে দাবি করে সিআইডি কর্মকর্তারা জানান ‘ নিহত শাহিনুরের ভাই রায়হানুল পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে একাই এহ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে’।বুধবার বিকাল সাড়ে ৪ টায় সাতক্ষীরাস্থ সিআইডির জেলা অফিসে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সিআইডির খুলনাস্থ অতিরিক্ত ডিআইজি ওমর ফারুক এক প্রেসব্রিফিংয়ে এ কথা জানান। তিনি বলেন গ্রেফতারকৃত রায়হানুলকে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেওয়ার জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে। এজন্য তাকে হাজির করা গেল না।জনাকীর্ন প্রেসব্রিফিংয়ে তিনি বলেন রায়হানুল তার ভাই শাহিনুর , ভাবী সাবিনা খাতুন এবং তাদের দুই শিশু সন্তান মাহি ও তাসনিম সুলতানাকে একাই বাড়ির ধারালো চাপাতি দিয়ে জবাই করেছে। এর আগে সে বাজার থেকে ঘুমের ওষুধ ডিসোপেন ২ ও এনার্জি ড্রিংক কিনে আনে। ১৪ অক্টোবর রাত ৮ টার দিকে সে তার দুই শিশু ভাতিজা, ভাতিজি এবং ভাবীকে ওষুধ মেশানো এই ড্রিংক খাওয়ায়। পরে রাত দেড়টার দিকে তার ভাই শাহিনুর মাছের ঘের থেকে বাড়ি এলে তাকেও ঘুমের ওষুধ মেশানো এনার্জি ড্রিংক খাওয়ায়। রায়হানুলের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে তিনি আরও জানান ‘সে নিজে ঘরের ছাদের কার্নিশ বেয়ে উপরে উঠে খোলা দরজা দিয়ে ঢুকে প্রথমে তার ভাই শাহিনুরকে ঘুমন্ত অবস্থায় হত্যা করে হাতের রগ কেটে পায়ে রশি বেঁধে দেয় । এরপরই সে পাশের কক্ষে ভাবী সাবিনাকে জবাই করে হত্যা করে। তার চিৎকারে শিশুরা জেগে গেলে সে তাদেরকেও এইভাবে জবাই করে। সে সিআইডিকে জানিয়েছে ‘তার ওপর শয়তান ভর করেছিল। তাই অনিচ্ছা সত্ত্বেও শিশু দুটিকে হত্যা করে’। খালি গায়ে হত্যার পর সে রক্তমাখা তোয়ালে ও চাপাতি মাছের ঘেরে ফেলে দেয়। পরে ঘের থেকে তার দেখানো মতে তা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।কেনো সে এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে তার জবাবে রায়হানুলের বরাতে সিআইডি অফিসার জানান রায়হানুল একজন বেকার মানুষ। ৯/১০ মাস আগে তার স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে গেছে। সেই থেকে সে ভাইয়ের সংসারে খাওয়া দাওয়া করতো। নিজে কোনো কাজ করেনা খরচও দেয়না এসব কারণে প্রায়ই ভাই ভাবীর সাথে তার ঝগড়া হতো। তারা তাকে গালাগাল দিতো। রায়হানুলের জবানবন্দির বরাতে তিনি আরও জানান ‘ঘটনার দিন সন্ধ্যায় ভাবীর সাথে তার একই বিষয়ে বাদানুবাদ হয়। ভাবী তাকে বকাবকি করেন। পরে সে ঘুমের ওষুধ মেশানো এনার্জি ড্রিংক খাওয়ায় ভাবী ও তার দুই সন্তানকে। এতে তারা ঘুমিয়ে পড়ে’।রায়হানুল আরও জানিয়েছে ‘রাত দেড়টার দিকে সে ঘরে বসে টিভি দেখছিল। এ সময় তার ভাই শাহিনুর ঘের থেকে এসে তাকে বকাবকি করে বলেন এতো টিভি দেখিস, বিদ্যুতের বিল দেবে কে’। এ নিয়ে তাকে খানিকটা বকেনও শাহিনুর। রায়হানুল তাকে জানায় ‘ তুমি মাথা ঠান্ডা করো , এবারের বিদ্যুত বিল আমি দিয়ে দেবো।এই বলে সে তাকেও ঘুমের ওষুধ মেশানো এনার্জি ড্রিংক খাওয়ায় । পরে শাহিনুরও ঘুমিয়ে পড়েন। এ সময় সে এক এক করে তাদের খুন করে। সিআইডি কর্মকর্তা ১০ মিনিটেরও বেশি সময়ের এই প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন হত্যার সময় রায়নুলের সাথে আর কেউ ছিল না। কেবলমাত্র ভাই ভাবীর বকাবকির কারণেই সে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয় বলে জানিয়েছে সিআইডিকে। রিমান্ডে থাকা রায়হানুলকে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেওয়ার জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। প্রেস ব্রিফিংয়ের সময় সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।উল্লেখ্য যে গত ১৪ অক্টোবর রাতে কলারোয়ার খলিসা গ্রামে একই পরিবারে এই হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়। সেদিনই পুলিশ ঘাতক ভাই রায়হানুলকে গ্রেফতার করে।
-

ভিড়ের মধ্যে শরীর স্পর্শ করায় বখাটের আঙুল মচকে দেন তাপসী!
অনলাইন ডেস্ক ॥ ভারতের দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী হলেন তাপসী পান্নু। এই অভিনেত্রী বিভিন্ন সিনেমায় সাহসী ভূমিকায় অভিনয় করেছেন । তবে এবার আর সিনেমা নয়, বাস্তবেই দুর্দান্ত সাহসের নজির রাখলেন তিনি।
তার সঙ্গে অসদাচরণ করায় এক ব্যক্তির আঙুল মচকে দিয়েছেন বলিউডের এই অভিনেত্রী । তাপসী এই ঘটনা জানিয়েছেন কারিনা কাপুর খানের রেডিও টক শো ‘হোয়াট উইমেন ওয়ান্ট’-এ।
তাপসী বলেন, ‘গুরুপরবের সময় আমরা গুরুদ্বারে যেতাম। তার ঠিক পাশের একটি খাবার স্টল ছিল যেখানে বাইরে থেকে আসা দর্শনার্থীদের খাবার দেওয়া হতো। জায়গাটিতে এতটাই ভিড় থাকত যে সব সময় ধাক্কাধাক্কি হতো। এর আগেও সেখানে আমার অদ্ভুত কয়েকটি অভিজ্ঞতা হয়েছিল। আমি জানতাম এ রকম ভিড়ে গেলে আবারও খারাপ কিছু একটা হতে পারে। সেভাবেই নিজেকে মানসিকভাবে প্রস্তুত রেখেছিলাম। আচমকা এক ব্যক্তি আমাকে পেছন দিক থেকে খারাপভাবে স্পর্শ করার চেষ্টা করে। আমি বুঝলাম আবার এক-ই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে। তৎক্ষণাৎ আমি ওই ব্যক্তির আঙুল ধরে তা মচকে দিই এবং খুব দ্রুত সেই জায়গা ছেড়ে বেরিয়ে আসি।’
পর্দায় তিনি বরাবরের সাহসিনী। লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশনের বাইরেও সেই একই রকম সাহসী তাপসী। অন্যায়ের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছেন। সাম্প্রতিককালে রিয়া চক্রবর্তীর সমর্থনে মুখ খোলায় অনেক বিরূপ মন্তব্য উঠেছে তার দিকে। কোনো কিছুকে তোয়াক্কা না করেই রিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। একইভাবে অভিনেত্রী পায়েল ঘোষ পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের অভিযোগ আনার পর বন্ধু অনুরাগের পাশে ছিলেন তিনি। বন্ধুর কঠিন সময়ে তার সঙ্গে ছবি শেয়ার করে জানিয়েছিলেন অনুরাগই তার দেখা সব চেয়ে বড় একজন নারীবাদী মানুষ।
-

আইপিএল॥ টানা ২ ম্যাচে সেঞ্চুরি করে রেকর্ড গড়লেন ধাওয়ান
অনলাইন ডেস্ক ॥ আইপিএলের ইতিহাসে প্রথমবার টানা দু’টি ম্যাচে সেঞ্চুরি। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে দলকে জিতিয়েছিলেন দিল্লি ক্যাপিটালসের বাঁ-হাতি ওপেনার শিখর ধাওয়ান। আর মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে দুরন্ত সেঞ্চুরি করে নজির গড়লেন তিনি। যদিও এদিন হেরে যায় তার দল দিল্লি।
ধাওয়ানের চওড়া ব্যাটে ভর করে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের সামনে ১৬৫ রানের টার্গেট দেয় দিল্লি ক্যাপিটালস। ১০৬ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলে শেষ পর্যন্ত অপারিজত থাকেন দিল্লির এই বাঁ-হাতি ওপেনার। অর্থাৎ ওপেন করতে নেমে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে ‘ক্যারি দ্য ব্যাট’ করে টি-২০ ক্রিকেটে নজির গড়লেন ধাওয়ান। তার চওড়া ব্যাটে ৫ উইকেটে ১৬৪ রান তোলে দিল্লি ক্যাপিটালস।
কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বোলারদের বিরুদ্ধে এদিন শুরু থেকই আক্রমণাত্মক ইনিংস খেলেন ধাওয়ান। হাফ-সেঞ্চুরি করেন মাত্র ২৮ বলে আটটি চার ও একটি ছক্কা মেরে। অন্য প্রান্তে যখন কোনও ব্যাটসম্যান বেশিক্ষণ ক্রিজে কাটাতে পারেননি, তখন তিনি স্বমহিমায় ব্যাট করে গেলেন। ৫৭ বলে এক ডজন বাউন্ডারি ও ৩টি ওভার বাউন্ডারি মেরে সেঞ্চুরিতে পৌঁছান ধাওয়ান। শেষ পর্যন্ত ৬১ বলে ১২টি চার ও ৩টি ছয় মেরে ১০৬ রানে অপরাজিত থাকেন দিল্লির এই বাঁ-হাতি ওপেনার। স্টাইক-রেট ১৭৩.৭৭।
এর আগে গত শনিবার শারজায় চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধেও অপরাজিত সেঞ্চুরি এসেছিল ধাওয়ানের ব্যাটে। রান তাড়া করতে নেমে ১০১ রানে অপরাজিত থেকে দিল্লিকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন ধাওয়ান। ৫৮ বলের ইনিংসে সেদিন ১৪টি বাউন্ডারি এবং একটি ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়েছিলেন ধাওয়ান।
-

আইপিএল॥ পাঞ্জাবের দিল্লি জয়
অনলাইন ডেস্ক ॥ আরসিবি, মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের পর দিল্লি ক্যাপিটালসকে হারিয়ে প্লে-অফের লড়াইয়ে টিকে থাকল কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। এর আগে টানা পাঁচ ম্যাচ হেরেছিল পাঞ্জাব। হারের পর অবশেষে জয়ের হ্যাটট্রিক করলেন দলটি। মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) দুবাইয়ে দুই ক্যারিবিয়ানের ব্যাটে ভর করে ‘দিল্লি জয়’ করলেন পাঞ্জাব।
১৬৫ রান তাড়া করতে নেমে এক ওভার বাকি থাকতেই ৫ উইকেট ম্যাচ জিতে নিল কিংস ইলেভেন। সেই সঙ্গে ১০ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকায় পাঁচ নম্বরে উঠে এল প্রীতি জিনতার দল। তবে এই ম্যাচ হারলেও অবশ্য ১৪ পয়েন্ট নিয়ে এক নম্বরেই রইল দিল্লি ক্যাপিটালস।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি পাঞ্জাবের। দলের রান যখন ১৭, তখন ফর্মে থাকা রাহুলকে ডাগ-আউটে ফেরত পাঠিয়ে পাঞ্জাবকে ধাক্কা দেন অক্ষর প্যাটেল। ব্যক্তিগত ১৫ রানে আউট হন রাহুল। ক্যাপ্টেন আউট হলেও ক্রিজে এসেই ঝড়ো ব্যাটিং শুরু করেন ক্রিস গেইল। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন গেইল।
ব্যাটে ঝড় তোলার জন্য অনভিজ্ঞ তুষার দেশপাণ্ডেকে বেছে নেন গেইল। দেশপাণ্ডের প্রথম ওভারেই তিনটি চার ও ২টি ছয়সহ ২৬ রান নিয়ে পাঞ্জাবকে ম্যাচে ফেরান গেইল। মাত্র ৫ ওভারে ৫০ রানের গণ্ডি টপকে যায় পাণজাব। কিন্তু তারপরের ওভারে রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে ক্রস মারতে গিয়ে বোল্ড হন গেইল। তবে ১৩ বলে তিনটি চার ও ২টি ছক্কাসহ ২৯ রান করে দলের রাস্তা তৈরি করে দেন তিনি। এরপরই নিকোলাস পুরানের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউট হন মায়াঙ্ক আগরওয়াল। মাত্র ৫৬ রানে তিন উইকেট হারায় পাঞ্জাব।
তার ভুলে মায়াঙ্কের রানআউট হওয়ায় মেনে নিতে পারেননি পুরান। আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে পাঞ্জাবের ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যান তিনি। ২৮ বলে তিনটি ছয় ও ৬টি চারসহ ৫৩ রান করে কাগিসো রাবাদার শিকার হন পুরান। তখন দলের রান চার উইকেটে ১২৫। অর্থাৎ জয়ের জন্য এখনও দরকার ৪০ রান।
এই অবস্থায় ফের দায়িত্বজ্ঞান শট খেলে আউট হন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ২৪ বলে ৩২ রান করে আউট হন। এরপর দীপক হুডা ও জিমি নিশামের ব্যাটে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছায় পাঞ্জাব। তবে ম্যাচ হারলেও আইপিএলে রেকর্ড করে ম্যাচের সেরা হন শিখর ধাওয়ান। এদিনও সেঞ্চুরি করে আইপিএলে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে টানা দু’ম্যাচে শতরান করে ইতিহাস গড়েন দিল্লি ক্যাপিটালসের এই বাঁ-হাতি ওপেনার।
-

আজ থেকে ২৫ টাকা দরে আলু বিক্রি করবে টিসিবি
অনলাইন ডেস্ক ॥ দেশের খুচরা বাজারে প্রতি কেজি আলুর দাম ৩০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩৫ টাকা করেছে সরকার। আজ বুধবার থেকে এই মূল্য কার্যকর হবে। এদিকে অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধির মধ্যে ক্রেতাদের চাহিদা পূরণে আজ থেকে ট্রাকে করে ২৫ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি করবে রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণন প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)।
মঙ্গলবার রাতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ট্রাক সেলের মাধ্যমে টিসিবি আলু বিক্রি শুরু করবে। জনপ্রতি ২ কেজি করে ২৫ টাকা দরে আলু বিক্রি করা হবে।
একই সাথে পিয়াজ, ভোজ্যতেল, চিনি, মশুর ডাল নির্ধারিত সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রয় করা হবে বলেও জানায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
-

অর্ধ কোটি টাকা আত্মসাৎ: ভোমরা স্থলবন্দর ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতির কামরুল, শওকত, নিজামের বিরুদ্ধে অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা ভোমরা স্থলবন্দর ট্রান্সপোর্ট মালিক সমবায় সমিতির অর্ধ কোটি টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে ২০১৬-২০১৯ মেয়াদ কালের সভাপতি কামরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী ও অর্থ সম্পাদক নিজাম উদ্দীনের বিরুদ্ধে। আত্মসাৎকৃত অর্ধ কোটিরও বেশি টাকা উদ্ধার প্রসঙ্গে গত ৭ অক্টোবর ভোমরা স্থলবন্দর ট্রান্সপোর্ট মালিক সমবায় সমিতির সাধারণ শেয়ার সদস্যবৃন্দ সাতক্ষীরা জেলা সমবায় কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছে।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সাতক্ষীরা ভোমরা স্থলবন্দর ট্রান্সপোর্ট মালিক সমবায় সমিতি লিঃ রেজিঃ নং- ৮৬/ সাত ২০০৯ এর সাবেক ২০১৬-২০১৯ সালের কার্যকরী কমিটির মেয়াদ শেষ হলেও বহুদিন সমিতির আয়ব্যয়ের হিসাব সাধারণ সদস্যদের মাঝে উপস্থাপন না করায় ওই কমিটির দ্বায়িত্বে থাকা সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও অর্থ সম্পাদকে শেয়ার সদস্যরা হিসেব দিতে চাপ প্রয়োগ করে। চাপের মুখে পড়ে সেসময় সাধারণ সভার আয়োজন করেছিল, ওই সভায় তারা একটি মনগড়া হিসাব উপস্থাপন করে। সেই হিসাবের বিপরীতে সমিতির সদস্যরা প্রশ্ন করলে তারা প্রশ্নের জবাব দিতে ব্যার্থ হয়। এক পর্যায়ে সাধারণ সভা শেষ না করেই কৌশলে সভাস্থল ত্যাগ করেন তারা। ফলে সমিতির হিসাব নিকাশ অমিমাংসিত থেকে যায় এবং প্রতিষ্ঠানটির নেতৃত্ব শুন্য হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে জেলা সমবায় কতৃক একটি আদেশের মাধ্যমে মোঃ ফিরোজ হোসেন কে সভাপতি করে ১২০ দিন মেয়াদে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি অন্তর্বতীকালীন ব্যবস্থাপনা কমিটির ঘোষণা দেয়াহয়। ওই আদেশ পত্রের অনুলিপির ৬নং কলামে সাবেক সভাপতি মোঃ কামরুল ইসলাম কে আদেশ পত্র প্রাপ্তির সাত কার্যদিবসের মধ্যে অন্তর্বতীকালীন ব্যবস্থাপনা কমিটির কাছে সমিতির দ্বায়িত্ব ও হিসাব নিকাশ হস্তান্তরের জন্য বলা হলেও সে বিষয়ে কোনো প্রকার কর্ণপাত করেনি তিনি। পরবর্তীতে বিষয়টি পত্রের মাধ্যমে জেলা সমবায় কর্মকর্তা কে জানানো হয়েছিল। ওই পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির ১২০ দিন মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে পুনরায় জেলা সমবায় তিন সদস্য বিশিষ্ট আরও একটি কমিটি গঠন করে। যার সভাপতি ছিলেন, উপজেলা সমবায়ের কর্মকর্তা খান তৈয়েবুর রহমান। তিনিও সাবেক সভাপতি কামরুলের কাছ থেকে হিসাব নিতে ব্যর্থ হন। পরপর দুটি কমিটির আদেশ পত্র পেয়েও পুরো হিসাব দিতে অস্বীকৃতি জানান তিনি। তাদের অনিয়ম ও দুর্নীতি ধামাচাপা দিয়ে আবারো ক্ষমতায় পূর্নবহাল হওয়ার জন্য আত্মসাৎকৃত অর্থ দিয়ে অবৈধ পন্থা অবলম্বন করে আসছেন তারা বলে উল্লেখ করা হয়েছে ওই লিখিত অভিযোগে।
এব্যাপারে ভোমরা স্থলবন্দর ট্রান্সপোর্ট মালিক সমবায় সমিতির একাধিক সাধারণ শেয়ার সদস্যরা অভিযোগ করে বলেছেন, সাবেক সভাপতি কামরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী ও অর্থ সম্পাদক নিজাম উদ্দীন তাদের ৩৬ মাস মেয়াদ কালে সমিতির ৮৮ জন নতুন সদস্য নিয়োগের অর্থ সহ বিভিন্ন খাত থেকে আয় ও ব্যয়ের হিসেব অনুযায়ী তাদের কাছে সমিতির পঞ্চান্ন লক্ষের ও বেশি টাকা রয়েছে। তারা এই বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করার পায়তারা করছে।
আজিজুল ইসলাম, মাসুম বিল্লাহ সাব্বির, শাহিনুর রহমান শাহীন, ফরহাদ হোসেন সহ আরও অনেকে অভিযোগ করে বলেন, ওই কার্যকরী কমিটি আামাদের ৪০-৫০ জনের কাছ থেকে নির্ধারিত ভর্তি ফি নিয়েও সমিতিতে অন্তর্ভুক্ত না করে তালবাহানা শুরু করছে। যারা সদস্য পদ পেতে তাদের চাপ প্রয়োগ করছে তাদের ভুয়া পরিচয় পত্র দিয়েছে তারা।
ভোমরা স্থলবন্দর ট্রান্সপোর্ট মালিক সমবায় সমিতির প্রতিষ্ঠা কালীন শেয়ার সদস্য মোঃ সামছুরজ্জামান বলেন, সাবেক পরিষদের আত্মসাৎকৃত অর্ধ কোটিরও বেশি টাকা পুনঃউদ্ধরের হলে প্রতিষ্ঠানটি আবারও প্রাণ ফিরে পাবে। আত্মসাৎকৃত বিপুল পরিমাণ অর্থ উদ্ধারে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা ও করেছেন তিনি।
এব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা সমবায় কর্মকর্তা খন্দকার মনিরুল ইসলাম বলেন, টাকা আত্মসাৎ এর ঘটনায় ভোমরা স্থলবন্দর ট্রান্সপোর্ট মালিক সমবায় সমিতির সদস্যরা আমার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। মাঠ পর্যায়ে তদন্ত কাজ চলছে। খুব দ্রুতই তদন্ত রিপোর্ট হাতে আসবে। তদন্ত শেষ হলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। -

সাতক্ষীরায় কিশোরী-কিশোরী ও যুব সমাবেশ অনুষ্ঠিত
নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরায় নারী ও শিশু নির্যাতন, যৌন হয়রানী ও বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে কিশোরী-কিশোরী ও যুব সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা সহায় সাতক্ষীরার আয়োজনে মঙ্গলবার সকালে সদর উপজেলার লাবসা ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে উক্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশের শুরুতে একটি বর্ণাঢ্য র্যালী অনুষ্ঠিত হয়। র্যালিটি স্থানীয় বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন শেষে আবারও ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়।
লাবসা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলিমের সভাপতিত্বে সমাবেশে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ওয়ান ষ্টপ ক্রাইসিস সেল’র প্রোগ্রাম অফিসার আব্দুল হাই সিদ্দিক, বুশরা পলিটেশনিক ইনষ্টিউটের অধ্যক্ষ আসাদুজ্জামান, বিট পুলিশ অফিসার এস আই সাইফুল ইসলাম, জেলা বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ কমিটির প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাকিবুর রহমান, সহায় সাতক্ষীরার প্রকল্প সমন্বয়কারী মেহেদী হাসান প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সহায় সাতক্ষীরার প্রকল্প সহায়ক শোকর আলী।
বক্তারা বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন, যৌন হয়রানী ও বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে যুব সমাজের একত্রিত হয়ে মূখ্য ভুমিকা পালন করতে হবে। এ সময় তাদের জনপ্রতিনিধি ও সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করার আহবান জানিয়ে আগামীর নেতৃত্বে তাদের নিজেদেরকে গড়ে তোলার আহবান জানান।
এ সময় সেখানে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে শপথ বাক্য পাঠ ও লালকার্ড প্রদর্শনসহ কুউজ প্রতিযোগিতা ও পুরষ্কার বিতরন করা হয়। -

বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত
নিজস্ব প্রতিবেদক: “সকলে মিলে উৎপাদন ও পুষ্টি নিশ্চিত করে টেকসই খাদ্য ব্যবস্থা গড়ে তুলি” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এক আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়। ২১ অক্টোবর ২০২০ তারিখে উন্নযন সংগঠন স্বদেশ কার্যালয়ে জেলা কমিটির সভাপতি বেগম মরিয়ম মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ধারনাপত্র পাঠ করেন কমিটির সাধারন সম্পাদক মাধব চন্দ্র দত্ত। বিষয়ের ইপর আলোচনা করেন, উন্নয়ন কর্মি অপরেশ পাল, আবুজাফর সিদ্দিকী, সাবেক কাউন্সিলর ফরিদা আকতার বিউটি, নারী নেত্রী ফজিলা বেগম, শিবুপদ বৈদ্য, জ্যোৎ¯œা দত্ত, জোছনা আরা বেগম, লুইস রানা গাইন, আফজাল হোসেন প্রমুখ। আলোচনায় বৈশি^ক করোনা কালিন সময়ে বিশ^ খাদ্য পরিস্থিতি ও বাংলাদেশের অবস্তা, বিশেষতঃ এই সময়ে খাদ্যেও গুনমান বজায় রাখা ও পুষিমান সম্পন্ন খাদ্য নিশিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহবান জানানো হয়।
বিগত মে মাসে আম্ফানের আঘাত এবং পরবর্তীতে জুলাই মাসে উত্তরবঙ্গ ও ঢাকা বিভাগের মধ্যাঞ্চলে বন্যার ভয়াবহ প্রকোপ, যার ক্ষীণ ধারা এখনো অব্যাহত আছে। সরকারি হিসাবে, দীর্ঘ সময় ধরে স্থায়ী এবারের বন্যায় দেশের উত্তর দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলসহ প্রায় এক-তৃতীয়াংশ ডুবে গেছেএবং অর্ধকোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। কবলিত এলাকাগুলোর রাস্তা-ঘাট, ব্রীজ, কালভার্ট এবং অন্যান্য অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও দীর্ঘস্থায়ী এ বন্যার কারণ পদ্মা এবং যমুনাসহ বিভিনড়ব নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষের কাছে বড় আতঙ্ক তৈরি করেছে ভাঙন। নদী ভাঙ্গনের ফলে কয়েক হাজার ঘর-বাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা পানিতে বিলীন হয়ে গেছে। অনেকমানুষ মূহুর্তেই সহায় সম্বলহীন হ য় পড়েছে। ঢাকার অনেক নিচু এলাকাও এবা রর বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। অন্য যেকোন বছরের থেকে এবারের বন্যা পরিস্থিতি অনেকটাই ভিন্ন। আবার ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে দেশের উত্তরাঞ্চলে মাঝে মাঝে বন্যার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। একই সাথে নদী ভাঙ্গনও অব্যাহত আছে। ১ম পর্যায় (২৫ জুন হতে ০৯ জুলাই ২০২০ পর্যন্ত ১৪ জেলা) এবং ২য় পর্যায় (১১ জুলাই হতে ১৯ জুলাই, ২০২০ পর্যন্ত ১২ জেলা) মোট ২৬ জেলার ক্ষয়ক্ষতির হিসাব নিয়ে বিভিন্ন মতামত আছে।