Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
বিশেষ সংবাদ Archives - Page 4 of 74 - Daily Dakshinermashal

Category: বিশেষ সংবাদ

  •  ভারতের বস্তি থেকে উচ্ছেদ করে যেভাবে ৭৮ জনকে সুন্দরবনে ছেড়ে দিল বিএসএফ

     ভারতের বস্তি থেকে উচ্ছেদ করে যেভাবে ৭৮ জনকে সুন্দরবনে ছেড়ে দিল বিএসএফ

    ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ও ভারতীয় নৌবাহিনী কর্তৃক বঙ্গপোসাগর তীরবর্তী মান্দারবাড়িয়া এলাকায় একটি চরের মধ্যে ফেলে যাওয়া ৭৮ জনকে সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানায় হস্তান্তর করেছে কোস্টগার্ড। রোববার (১১ মে) রাত ১১টার দিকে তাদের শ্যামনগর থানায় হস্তান্তর করা হয়। এদের মধ্যে ৭৫জন বাংলাদেশি নাগরিককে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে ও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তিনজন ভারতীয়কে শ্যামনগর থানায় রাখা হয়েছে।

    রাতেই তাদের প্রয়োজনীয় প্রাথমিক চিকিৎসা ও খাবারের ব্যবস্থা করে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন। তাদের অধিকাংশের বাড়ি নড়াইল, খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন এলাকায়। আজ সোমবার (১২ মে) সকালে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন কালিগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিথুন সরকার।

    পুশ ইন করা একাধিক ব্যক্তি জানান, তারা সকলেই ভারতের গুজরাটের সুরাট বস্তিতে থাকতেন এবং ছোটখাট কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। গত ২৬ এপ্রিল তাদের বস্তি ভেঙে গুড়িয়ে দেয় স্থানীয় প্রশাসন। ওইদিন রাতেই তাদের আটক করা হয়। সেখান থেকে তাদের হাত ও চোখ বেঁধে নেয়া হয় পুলিশ ক্যাম্পে। সেখানে চার দিন রাখার পর বিমানে করে আনা হয় কোলকাতায়। কোলকাতা থেকে তাদেরকে জাহাজে করে এনে গত ৯ মে বঙ্গপোসাগরের তীরবর্তী মান্দারবাড়িয়া এলাকায় নিয়ে চোখ বেঁধে একটি চরে ছেড়ে দেয়া হয়। পরে তারা পায়ে হেটে বনবিভাগের মান্দারবাড়িয়া ফরেস্ট ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়। রোববার কোস্টগার্ড তাদের মোংলায় নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা ও তাদের নাম পরিচয় সনাক্তকরণের কাজ শেষে রাতে শ্যামনগর থানায় হস্তান্তর করে। তারা বাংলাদেশী হলেও দীর্ঘদিন ধরে তারা গুজরাটে বসবাস করতেন।

    তারা আরো জানায়, ২৬ এপ্রিল থেকে ৬ মে পর্যন্ত তাদের সাথে অমানবিক আচরণ করা হয়েছে। তাদের ঠিকমতো খেতে দেয়া হতো না। মাঝেমধ্যে মারধর করা হতো। এছাড়া তারা সবসময় আমাদেরকে গালিগালাজ করত।

    এদিকে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তিনজন জানান, তাদের বাবা-মা গুজরাটে থাকাকালে সেখানেই তাদের জন্ম হয়। তাই জন্ম সূত্রে তারা ভারতীয় নাগরিক। তাদের সব ধরণের কাগজপত্র ছিল। ২০২৪ সালের তাদের সকল কাগজপত্র ভারত সরকার কর্তৃক নিয়ে নেয়া হয়।

    মান্দারবাড়িয়া টহল ফাঁড়ির ওসি মোবারক হোসেন জানান, তার ফাঁড়িতে তিন দফায় মোট ৭৮ জন মানুষ আশ্রয় নেয়। শুরুতে ৩২জন এলেও পরবর্তীতে আরও দুই দফায় ৪৬ জন মানুষ পায়ে হেঁটে তার ফাঁড়িতে এসে পৌঁছায়।

    বনবিভাগের সহকারী বনসংরক্ষক (এসিএফ) মশিউর রহমান জানান, প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে ৭৮ জন বাংলাভাষীকে ভারতের বিভিন্ন এলাকা থেকে আটক করা হয়। এসব ভালাভাষী নাগরিকদের ভারতীয় একটি জাহাজ ও স্পিডবোর্ডযোগে গত ৯ মে বঙ্গপোসাগরের এলাকার একটি চরে ফেলে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে তারা পায়ে হেঁটে নিকটস্থ মান্দারবাড়িয়া টহলফাঁড়িতে আশ্রয় নেয়। পরে শনিবার রাতে তাদেরকে কোস্টগার্ডের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

    শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ রনী খাতুন জানান, এভাবে আকস্মিকভাবে ৭৮জনকে বঙ্গপোসাগর তীরবর্তী নির্জন এলাকায় চরে ফেলে যাওয়ার ঘটনা সকলকে বিস্মিত করেছে। পরবর্তীতে বনবিভাগ ও বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের সহায়তায় এসব মানুষকে মান্দারবাড়িয়া টহলফাঁড়িতে আশ্রয় দেয়া হয়। এসময় তাদের নাম পরিচয় ঠিকানা সনাক্তের পাশাপাশি তাদের সুন্থ রাখার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনা খাবার, চাল, ডাল ও পানিসহ প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী পাঠানো হয়।

  • বাংলাদেশের স্বাধীনতা—সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আমরা আপোষহীন

    বাংলাদেশের স্বাধীনতা—সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আমরা আপোষহীন

    বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি ডাঃ সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোঃ তাহের বলেছেন, ইসলামে সন্ত্রাসের কোন জায়গা নেই। ইসলাম সন্ত্রাসবাদে বিশ্বাস করে না। আমরা পাঁচদফা প্রস্তাবনা দিয়েছি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা—সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আমরা আপোষহীন থাকবো। ভারতের আধিপত্যবাদকে বাংলাদেশের মানুষ ভয় পায় না। ভারত মিসাইল ছুঁড়লে আমরা সেই মিসাইল ভারতে পাঠিয়ে দিব। আমরা মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করব। মানুষের বাক স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দেওয়া হবে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করে কেয়ারটেকার সরকার গঠনের মধ্য দিয়ে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য আমরা সংস্কারের কাজ করে যাচ্ছি। আমরা পরীক্ষিতভাবে সৎ। আমরা সৎ লোকের শাসন চাই, আল কোরআনের আইন চাই। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সম্পূর্ণ দুর্নীতিমুক্ত। আমাদের কমিটমেন্ট থাকবে উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা। সবার জন্য ভাত কাপড় শিক্ষা স্বাস্থ্যের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। সবাই থাকার জন্য ঘর পাবে। ফ্রি শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা হবে। আমরা আওয়ামী লীগের শাসন দেখেছি, আমরা বিএনপি’র শাসন দেখেছি, আমরা জাতীয় পার্টির শাসন দেখেছি। এখন বাকি আছে একটি দল। সেই দলের নাম বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি। আমাদেরকে ভোট দিন, নির্বাচিত করুন, আমরা আপনাদের অধিকার ফিরিয়ে দেব। আমরা এদেশের সকল ধর্মের মানুষের সম অধিকার নিশ্চিত করবো। আমরা নারীর মর্যাদা সমুন্নত করবো। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স) এর হাদিস বর্ণনা করে তিনি বলেন, ইসলামে কোন নারীকে হত্যা করা যাবে না।
    তিনি আরও বলেন, আমরা সোনার বাংলার স্লোগান শুনেছি, আমরা ছয়দফার স্লোগান শুনেছি। কিন্তু সোনার বাংলার স্লোগান এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারেনি।
    প্রধান অতিথি বলেন, দরকার হলে পাঁচ বছরের জন্য জামায়াতের কাছে বাংলাদেশকে লিজ দিন। আমরা যদি ব্যর্থ হই, তাহলে কান ধরে, ধাক্কা দিয়ে বের করে দিবেন। আমরা ব্যর্থ হবো না— ইনশাআল্লাহ।
    বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলা শাখার কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
    তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, লুটপাট, চাঁদাবাজির কথা বললে একটি বড় দল মাথায় হাত দেন। লুটপাট, দুর্নীতি, জুলুম, অত্যাচার, নির্যাতন, গুম, খুন আর অপশাসন চালিয়ে এদেশ থেকে পালিয়ে গেছে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের নেতা—কর্মীরা। এখন আবার আর একটি দল সেই একইভাবে লুটপাট, চাঁদাবাজি, দখলবাজি শুরু করেছে। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের সজাগ থাকতে হবে।
    প্রধান অতিথি এসময় সাতক্ষীরার প্রত্যেকটি সংসদীয় আসনে স্ব—স্ব দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনের জন্য নেতা—কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
    শনিবার (১০ মে) বিকাল ৩টায় সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন শহীদ আব্দুস সামাদ স্মৃতি ময়দানে কর্মী সম্মেলনে সভপতিত্ব করেন উপজেলা জামায়াতের আমীর ও সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল ওহাব সিদ্দিকী।
    কালিগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আব্দুর রউফ ও সরকারি সেক্রেটারি মাওলানা আনোয়ারুল ইসলামের পরিচালনায় কর্মী সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চলের সহকারি পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, জেলা জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর, কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য হাফেজ মাওলানা মুহাদ্দিস রবিউল বাশার, সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল, জেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর শেখ নূরুল হুদা, কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য ও জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মাওলানা আজিজুর রহমান, জেলা জামায়াতে ইসলামীর কর্ম পরিষদ সদস্য ও সাবেক এমপি গাজী নজরুল ইসলাম, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ—সভাপতি মাস্টার শফিকুল আলম, জেলা ছাত্র শিবিরের নেতা এমামুল ইসলাম, জেলা জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি ওমর ফারুক, জেলা জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি মাহবুবুল আলম, অফিস সেক্রেটারী মাওলানা রুহুল আমিন,কালিগঞ্জ উপজেলার জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর জিএম আব্দুল গফ্ফার, শ্যামনগর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা আব্দুর রহমান, আশাশুনি উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর আবু মুছা তারিকুজ্জামান তুষার, দেবহাটা উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা ওলিউল ইসলাম, শহিদ আরিফুজ্জামানের পিতা আবতাবুজ্জামান, সাতক্ষীরা জেলা ছাত্র শিবিরের সেক্রেটারি এসএম জোবায়ের হোসেন, সাতক্ষীরা শহর ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মেহেদী হাসান, সাতক্ষীরা জেলা ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আজিজুল ইসলাম, প্রমুখ।
    এর আগে একই দিন সকালে একই ময়দানে জামায়াতে ইসলামীর মহিলা কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

    গ্রীষ্মের তীব্র তাপদাহ উপেক্ষা করে সম্মেলনে হাজার হাজর মানুষ স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করে উপস্থিত ছিলেন।  সম্মেলন শেষে স্থানীয় মোহনা শিল্পগোষ্ঠীর আয়োজনে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হয়।

  • আ. লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ

    আ. লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ

    আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ অবরোধ করেছে ছাত্র-জনতা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলমান থাকবে বলে জানানো হয়েছে। শুক্রবার (৯ মে) বিকেল সাড়ে চার টার দিকে শাহবাগ অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেল সংলগ্ন সড়কে থেকে শাহবাগ মোড়ে এসে আন্দোলনকারীরা জড়ো হচ্ছেন। সাধারণ মানুষ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী এই অবরোধে অংশ নেন। যার ফলে শাহবাগ থেকে সায়েন্সল্যাব, টিএসসি এবং বাংলামোটরগামী রাস্তায় যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।

    এ সময় আন্দোলনকারীরা প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন নিয়ে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি এবং গণহত্যার বিচারের আহ্বান জানায়। ‘ব্যান করো ব্যান করো, আওয়ামী লীগ ব্যান করো’, ‘দিল্লি না, ঢাকা, ঢাকা-ঢাকা’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’, ‘গোলামি না আজাদী, আজাদী আজাদী’ ‘নাহিদ-আক্তার আসছে, রাজপথ কাঁপছে’, ‘একটা একটা ছাত্রলীগ ধর, ধইরা ধইরা জবাই কর’, ‘আওয়ামী লীগের আস্তানা, ভেঙে দাও ঘুড়িয়ে দাও’, ‘২৪ এর বাংলায়, আওয়ামী লীগের ঠাঁই নাই’, ‘লীগ ধর, জেলে ভর’, প্রভৃতি বলে স্লোগান দেয়।

    এর আগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশের অগ্রগতি সেদিন থেকে শুরু হবে, যেদিন বাংলাদেশ টাইটেল পাবে ‘বাংলাদেশ উইদাউট আওয়ামী লীগ’। আমরা সেই টাইটেল দেওয়ার জন্য কিছুক্ষণ আগে মানুষের সমাগম করার জন্য এ জায়গা বেছে নিয়েছিলাম। এ জায়গা থেকে আমরা এখন রাস্তা ব্লকেড করব। ইন্টারিমের কানে আমাদের কথা পৌঁছায় নাই; অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কানে আমাদের আওয়াজ পৌঁছায় নাই; অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আহতদের আওয়াজ পৌঁছায় না, আহতদের আর্তনাদ পৌঁছায় না, আমরা এখান থেকে গিয়ে শাহবাগে অবরোধ করব। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি না করা পর্যন্ত আমরা জায়গা ছাড়ব না।

  • এবার ঈদুল আজহায় টানা ১০ দিন ছুটি

    এবার ঈদুল আজহায় টানা ১০ দিন ছুটি

     

    পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটি শুরু হবে আগামী ৫ জুন থেকে। টানা ১০ দিন ছুটি থাকবে। অর্থাৎ ছুটি শেষ হবে ১৪ জুন। মঙ্গলবার ( ৬ মে) সচিবালয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ছুটির এই সিদ্ধান্ত হয়।

    বৈঠকে উপস্থিত দায়িত্বশীল একজন উপদেষ্টা গণমাধ্যমকে ছুটির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    ওই উপদেষ্টা আরও জানান, ১৭ মে ও ২৪ মে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শনিবার সব সরকারি অফিস খোলা থাকবে।

    এর আগে ১০ দিনের ছুটি ঘোষণার কথা জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।

    এ বছর পবিত্র ঈদুল ফিতরেও ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ৯ দিন ছুটি ছিল। ঈদ উপলক্ষে আগেই পাঁচ দিন টানা ছুটি ঘোষণা করেছিল সরকার। সেখানে নির্বাহী আদেশে আরও এক দিন ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল।

    অবশ্য এই ছুটি শুরুর দুই দিন আগে ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের ছুটি ছিল। পরদিন বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ এক দিন অফিস খোলা ছিল।

  • উপজেলা কৃষি, প্রাণী সম্পদ ও মৎস্য দপ্তরের সাথে এ্যাডভোকেসি সভা

    উপজেলা কৃষি, প্রাণী সম্পদ ও মৎস্য দপ্তরের সাথে এ্যাডভোকেসি সভা

    আশাশুনি প্রতিনিধি:বেসরকারি সংস্থা উন্নয়ন প্রচেষ্টার আয়োজনে উপজেলা  কৃষি, প্রাণী সম্পদ ও মৎস্য দপ্তরের সাথে এ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৫ মে) খুলনার কয়রা উপজেলা মৎস্য অফিসের সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।ইইউ এবং পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর সহায়তায় পিপিইপিপি-ইইউ প্রকল্পের টেকনিক অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পিপিইপিপি -ইইউ প্রকল্প সমন্বয়কারি হুমায়ূন কবির। সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার সমীর কুমার সরকার, উপজেলা কৃষি অফিসার সঞ্জয় কুমার সরকার এবং ভারপ্রাপ্ত উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার ডাঃ শুভ বিশ্বাস স্ব স্ব দপ্তরের কার্যক্রম ও সেবাসমুহ অবহিত করেন। সভায় সংস্থার টেকনিক্যাল ও সহকারি টেকনিক্যাল অফিসার ছাড়াও বাগালি ইউনিয়ন এর বিভিন্ন পিভিসি হতে ২০ জন নারী উদ্যোক্তা উপস্থিত ছিলেন। সভায় বক্তাগণ সমন্বিত কৃষির ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে উদ্যোক্তাদের আধুনিক বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আর্থ সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখতে হবে। তবেই দেশ সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাবে।

  • আদালত চত্বরে সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হককে থাপ্পড়

    আদালত চত্বরে সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হককে থাপ্পড়

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে মাদরাসাছাত্র হাফেজ সোলাইমান হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আদালত থেকে কারাগারে যাওয়ার সময় আইনজীবীদের একাংশ আনিসুল হককে চড়থাপ্পড় মারেন এবং ধাওয়া দেন। পরে পুলিশ নিরাপত্তা দিয়ে তাকে আদালত থেকে কারাগারে পাঠায়।

    সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ আদালত চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।

    রিমান্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক কাইউম খান। তিনি বলেন, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাইনউদ্দিন কাদিরের আদালতে সিআইডি সাত দিনের আবেদন করলে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

    রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আনোয়ার প্রধান জানান, ছাত্র আন্দোলনে মাদরাসাছাত্র হাফেজ মো. সোলাইমান নিহত হন। এ ঘটনায় নিহতের দুলাভাই সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে তিন নম্বর আসামি করা হয়েছে। আদালতে সিআইডির তদন্তকারী কর্মকর্তা সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। এ সময় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে এবং মূল রহস্য উদঘাটনের লক্ষ্যে আনিসুল হকের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। আশা করি এই রিমান্ডের মাধ্যমে এ ঘটনার সঠিক তথ্য উদঘাটন হবে।

    প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল এলাকায় মাদরাসাছাত্র মো. সোলাইমান নিহত হন। পরে ২২ আগস্ট সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করা হয়। মামলাটি বর্তমানে সিআইডিতে তদন্তাধীন রয়েছে।

  • আশাশুনির কুল্যা-দরগাহপুর সড়কে পথচারী ও এলাকাবাসীর চরম দুরাবস্থা

    আশাশুনির কুল্যা-দরগাহপুর সড়কে পথচারী ও এলাকাবাসীর চরম দুরাবস্থা

    ★২বছর কাজ বন্ধ
    ★রাস্তা খুড়ে রাখায় ধুলার অত্যাচারে দিশেহারা পথচারী ও এলাকার মানুষ
    আশাশুনি প্রতিনিধি:
    আশাশুনি উপজেলার কুল্যা টু দরগাহপুর সড়কে ঠিকাদারের গাফিলতিতে চরম দুর্গতিতে পড়েছে পথচারী ও এলাকার মানুষ।
    খুলনার মেসার্স এসআর ট্রেডার্স সড়কের কাজটি পায়। কাজ শুরুর পর থেকে অনিয়ম দুর্নীতির আশ্রয় নেওয়া হলে এলাকার মানুষ ফুসে ওঠে। তখন ঠিকাদার নিজেকে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর ভাইপো পরিচয় দিয়ে ক্ষমতার দাপট দেখাতে থাকেন। কখনো অস্ত্র দেখানো, কখনো প্রকাশ্য হুমকী ও চুড়ান্ত আস্ফালন করে রাম-রাজত্ব কায়েমের চেষ্টা করেন। ফলে ভয়ে এলাকার মানুষ দূরে থাক প্রশাসন পর্যন্ত থমকে যেতে দেখা গেছে। যার ফলশ্রুতিতে ইচ্ছেমত কাজ চলেছে সড়কে। দু’বছর আগে সড়কের কাজ শুরুর পর মাঝপথে এসে এক প্রকার বন্ধ হয়ে আছে। সড়কের গুনাকরকাটি ব্রীজ হতে গুনাকরকাটি বাজার পর্যন্ত, কাদাকাটি বাজার হতে কাদাকাটি পুরনো বাজার এবং শৈলমারী হতে ধাপুয়া ব্রীজ পর্যন্ত সড়কে ম্যাকাডম করে ফেলে রাখা হয়। ফলে ধুলা বালির গুড়া উড়ে এলাকা একাকার হয়ে যাচ্ছে। যানবাহন চলাচলের সময় ছোট যানবাহনের যাত্রী, পথচারী এবং সড়কের পাশের দোকানপাট, বসতবাড়ি, স্কুল-মাদ্রাসা ধুলায় ভরে যাচ্ছে। পাশের পুকুরের পানি ধুলায় একাকার হয়ে যাওয়ায় ব্যবহার করা অসম্ভব হয়ে উঠছে।
    স্থানীয় ইউপি সদস্য বছির আহমেদ টুকু জানান, গত দু’বছর রাস্তায় কোন কাজ হয়নি। ঠিকাদার ৫ আগস্টের পূর্বে হুমকী ও শক্তি প্রদর্শন করে পার পেয়ে এসেছেন। এখনো কাজ করা হচ্ছেনা। মানুষের শান্তিতে বসবাস ও পথ চলাচল করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
    সাবেক মেম্বার নুরুল ইসলাম মালী ও চা ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম জানান, আমরা অতিষ্ঠ হয়ে গেছি। এলাকায় বসবাস করা, রাস্তায় চলাচল করা কষ্ট সাধ্য হয়ে উঠেছে।
    আশাশুনি উপজেলা প্রকৌশলী অনিন্দ্য কুমার দেব জানান, কাজের জন্য ঠিকাদারকে বারবার বলা হচ্ছে, করবো করবো বলেও কাজ করা হচ্ছেনা। বলার পর কয়েকজন শ্রমিক পাঠালেও কয়েকদিন পর তাদের পাওয়া যায়না। বিষয়টি নিয়ে আমি এক্সেন স্যারের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেব বলে তিনি জানান।
  • রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান না হলে মিয়ানমারে শান্তি আসবে না: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

    রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান না হলে মিয়ানমারে শান্তি আসবে না: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

    পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌ‌হিদ হোসেন বলেছেন, মার্কিন কর্মকর্তাদের স‌ঙ্গে আলোচনায় শুল্কের প্রসঙ্গ এসেছে এবং বলেছি, আমরা চেষ্টা করছি বাণিজ্য বাধা কমিয়ে আনতে। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) ফরেন সার্ভিস দিবস উপলক্ষ্যে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা জানান উপদেষ্টা।

    তৌ‌হিদ হো‌সেন ব‌লেন, আমি আরেকটি পয়েন্ট বলেছি যে, দুপক্ষের মধ্যে যতটা তফাত বলা হয়, সেটি ততটা নয়। কারণ সেবা খাতে আমরা প্রচুর আমদানি করি।

    উপদেষ্টা ব‌লেন, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে শক্তভাবে জানানো হয়েছে যে, রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান না হলে মিয়ানমারে শান্তি ফেরত আসবে না।

    তি‌নি ব‌লেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের পথে বড় সমস্যা আরাকান আর্মি। বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি রাষ্ট্রীয় বা আন্তর্জাতিক স্বীকৃত কোনো প্রতিষ্ঠান না হওয়ায় তাদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনায় যাওয়া যাচ্ছে না। আবার তাদের এড়িয়েও এ সংকট সমাধান সম্ভব নয়।

    মিয়ানমার ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান না হলে মিয়ানমারে যুদ্ধ শেষ হয়ে গেলেও শান্তি আসবে না। এটি আমি শক্তভাবে বলেছি। আমি এটাও বলেছি যে, আমরা এখন একটি নতুন বাস্তবতায় আছি। সত্যিকার অর্থে আমরা এখন নতুন প্রতিবেশীর মুখোমুখি; যারা আবার নন-স্টেট অ্যাক্টর। কাজেই তাদের সঙ্গে আমরা না পারছি সরাসরি আচরণ করতে, না পারছি উপেক্ষা করতে। এটি একটি কঠিন পরিস্থিতি।

    উপদেষ্টা ব‌লেন, আমি বলেছি যে, হয়ত একটা সময় সমস্যাটি থিতিয়ে আসবে এবং সমাধানের দিকে যাবে। তখন যারা আমাদের বন্ধু ও শক্তিশালী রাষ্ট্র আছে, তাদের সেখানে চাপ সৃষ্টি করতে হবে। যেন সেখানে যারা ক্ষমতায় আসবে, তারা রোহিঙ্গাদের মানবিকভাবে বিবেচনা করে তাদের অধিকার ফিরিয়ে দেয়।

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি নিকোল অ্যান চুলিক ও পূর্ব এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয়বিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অ্যান্ড্রু আর হেরাপ বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ও পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন।

  • বহুকাঙ্খিত পোস্ট অফিস মোড় হতে পুরাতন সাতক্ষীরা হাটখোলা মোড় পর্যন্ত কার্পেটিং রাস্তা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন 

    বহুকাঙ্খিত পোস্ট অফিস মোড় হতে পুরাতন সাতক্ষীরা হাটখোলা মোড় পর্যন্ত কার্পেটিং রাস্তা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন 

    নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরাবাসীর বহুকাঙ্খিত সাতক্ষীরা পৌরসভার পোস্ট অফিস মোড় হতে পুরাতন সাতক্ষীরা হাটখোলা মোড় রাস্তা সংস্কার কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বেলা ১১টায় শহরের পোস্ট অফিস মোড়ে সিআরআইএম প্রকল্পের আওতায় জার্মানি কেএফ ডব্লিউ এর অর্থায়নে সাতক্ষীরা পৌরসভার বাস্তবায়নে দোয়া অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে ফিতা কেটে কার্পেটিং রাস্তা নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার বিভাগ সাতক্ষীরা উপপরিচালক মাশরুবা ফেরদৌস।
    এ সময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা পৌরসভার সাবেক মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতী, সাতক্ষীরা পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল করিম, জেলা কৃষক দলের আহসানুল কাদির স্বপন, স্বেচ্ছাসেবক দলের মোঃ আব্দুল সেলিম, সাতক্ষীরা পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. লিয়াকত আলী, জার্মানি কেএফ ডব্লিউ এর প্রজেক্ট কনসালটেন্ট প্রকৌশলী মিরাজ আহম্মেদ, সহকারী প্রকৌশলী পীযুষ মল্লিক, জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোজাম্মেল হোসেন, সাতক্ষীরা পৌরসভার উপসহকারি প্রকৌশলী সাগর দেবনাথ, কামরুজ্জামান শিমুল, মোহব্বাত হোসাইন, বিএনপি নেতা ইয়াছিন আলী ও ঠিকাদার প্রতিনিধি শিহাবুজ্জামান প্রমুখ।
    সিআরআইএম প্রকল্পের আওতায় ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে জার্মানি কেএফ ডব্লিউ এর অর্থায়নে সাতক্ষীরা পোস্ট অফিস মোড় হতে পুরাতন সাতক্ষীরা হাটখোলা মোড় পর্যন্ত ১৮১৫ মিটার কার্পেটিং রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে। নির্মাণ কাজ উদ্বোধনকালে সাতক্ষীরা পৌর কর্তৃপক্ষ ও জার্মানি কেএফ ডব্লিউ প্রকল্পের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
  • ঢাকা থেকে বিদায় নিলেন জাতিসংঘ মহাসচিব

    ঢাকা থেকে বিদায় নিলেন জাতিসংঘ মহাসচিব

    চার দিনের সফর শেষে ঢাকা ছেড়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। যাওয়ার আগে তিনি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন এবং বিদায়ী শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

    রোববার (১৬ মার্চ) সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন জাতিসংঘের মহাসচিব।

    এসময় তাকে বিদায় জানান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং রোহিঙ্গা সংকট বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টার উচ্চ প্রতিনিধি খলিলুর রহমান।

    এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বিকালে জাতিসংঘের মহাসচিব ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। সেখানে তাকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। জাতিসংঘ মহাসচিবের হাতে ফুল তুলে দেয় শিশুরা।

    সফরের দ্বিতীয় দিনে শুক্রবার (১৪ মার্চ) কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন গুতেরেস। সেখানে লাখো রোহিঙ্গাদের সাথে ইফতার করেন তিনি।

    এরপর সফরের তৃতীয় দিনে শনিবার (১৫ মার্চ) সকালে জাতিসংঘ কান্ট্রি টিম বাংলাদেশের সঙ্গে একটি বৈঠকে অংশ নেন। এরপর দুপুরে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে গোলটেবিল বৈঠক করেন তিনি। পরে তরুণ সমাজের প্রতিনিধিদের সাথেও বৈঠক করেন।

    এদিন বিকালে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সাথে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনের পর অংশ নেন ইফতার ও আর্লি ডিনার সেশনে।

  • রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জাতিসংঘ মহাসচিব

    রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জাতিসংঘ মহাসচিব

    রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শনের উদ্দেশে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বাংলাদেশে সফররত জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস কক্সবাজার থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌঁছেছেন।

    শুক্রবার দুপুর ১টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্স যোগে তিনি কক্সবাজারে পৌঁছান।

    কক্সবাজার থেকে আন্তোনিও গুতেরেস রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌঁছেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।

    কক্সবাজার বিমানবন্দরে জাতিসংঘের মহাসচিবকে স্বাগত জানান অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ফারুক-ই–আজম বীর প্রতীক, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন ও পুলিশ সুপার। এরপর কক্সবাজার শহর থেকে জাতিসংঘ মহাসচিব যান উখিয়ার আশ্রয়শিবিরে। আর প্রধান উপদেষ্টা কক্সবাজার শহরের বেশকয়েকটি অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে বিকেলে যাবেন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে।

    জানা গেছে, কক্সবাজারে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস নির্মাণাধীন কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও খুরুশকূল জলবায়ু উদ্বাস্তু কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন। পরিদর্শন শেষে উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস উখিয়ায় জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এবং প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর সঙ্গে ইফতারে যোগ দেবেন।

    জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেস বিমানবন্দর থেকে সরাসরি উখিয়ায় যাবেন। সেখানে তিনি রোহিঙ্গা লার্নিং সেন্টার, রোহিঙ্গাদের সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও পাটজাত পণ্যের উৎপাদন কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন।

    পরিদর্শন ও ইফতার শেষে প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব একসঙ্গে সন্ধ্যায় ঢাকায় ফিরবেন।

  • সাত দিনের মধ্যে মাগুরার শিশু ধর্ষণের বিচার শুরু: আইন উপদেষ্টা

    সাত দিনের মধ্যে মাগুরার শিশু ধর্ষণের বিচার শুরু: আইন উপদেষ্টা

    মাগুরায় শিশুকে ধর্ষণ ও নিপীড়নের ঘটনায় ৭ দিনের মধ্যে বিচারের কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।

    বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সচিবালয় আইন মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি কথা বলেন।

    এসময় তিনি বলেন, মাগুরার ধর্ষণের শিকার শিশুটির পোস্টমর্টেম বিশেষ ব্যবস্থায় আজই শুরু করা হয়েছে। সাত দিন মধ্যেই প্রতিবেদন পাওয়া যাবে আশা করি। হেলিকপ্টার যোগে মাগুরা নিয়ে যাওয়া হবে দেহ। উপদেষ্টা ফরিদা আখতার দাফন পর্যন্ত সাথে থাকবেন।

    তিনি জানান, ধর্ষণ ও নারী সহিংসতা রোধ করতে রোববার বা সোমবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিষয়ে সংশোধিত আইন অধ্যাদেশ আকারে জারি হবে। শিশু ধর্ষণ ও বলাৎকারের বিচার কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হবে।

    উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে কোনো নৈরাজ্য সরকার বরদাস্ত করবে না।

  • সাতক্ষীরায় ‘ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার ও অনলাইনে আয়’ বিষয়ক ফ্রি সেমিনার: যুক্ত হতে পারবেন আপনিও!

    Kind Regards,
    image
    Md. Mushfikur Rahman
    Web Developer
    image
    +8801719-716070
    image
    +8801919-716070
    image
    rizvynews24@gmail.com
    image
    Satkhira-9400, khulna, Bangladesh
    facebook twitter instagram website

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় ‌’ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার ও অনলাইনে আয়’ বিষয়ক ফ্রি সেমিনারের আয়োজন করেছে দেশের স্বনামধন্য আইটি প্রতিষ্ঠান ই-লার্নিং এন্ড আর্নিং লিমিটেড। শুক্রবার (১৪ মার্চ) বিকাল সাড়ে তিনটায় সাতক্ষীরা শহরের শহীদ নাজমুল স্মরণী রোডের পাকাপোল সংলগ্ন অর্ঘ্য প্লাজার দ্বিতীয় তলায় ই-লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং লিমিটেড সাতক্ষীরা শাখার কার্যালয়ে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।

    সেমিনারে ‘ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার ও অনলাইনে আয়’ বিষয়ে দিক নির্দেশনামূলক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করবেন দেশসেরা মেন্টর ও ফ্রিল্যান্সার আশিকুর রহমান অরন্য, মোঃ জাওয়াদ হাসান, ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সপার্ট আব্দুল্লাহ আল-মামুন ও গ্রাফিক ডিজাইন স্পেশালিস্ট আহমেদ রাইয়ান।

    ফ্রি সেমিনারের বিষয়ে ই-লার্নিং এন্ড আর্নিং লিমিটেড সাতক্ষীরা শাখার কো-অর্ডিনেটর আজিজুল হাকিম বলেন, বর্তমানে বিশ্বে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কাজের প্রসার বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেই সাথে কাজ করার সুযোগও তৈরি হচ্ছে। সাতক্ষীরায় ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য মানুষ আগ্রহী হচ্ছে কিন্তু সেই অনুযায়ী দক্ষ ফ্রিল্যান্সার গড়ে উঠেনি। সেক্ষেত্রে দরকার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়ার সঠিক গাইডলাইন। তাছাড়া আরও জানা প্রয়োজন অনলাইনে আয়ের নির্ভুল ধাপগুলো যা আপনাকে সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়ার জন্য সহায়তা করবে। তাই সাতক্ষীরাবাসীকে এই সঠিক দিক নির্দেশনা দিতে আমাদের এই সেমিনারের আয়োজন।

    তিনি আরও বলেন, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনে সাতক্ষীরাসহ দেশের ৬৪ জেলাতেই ই-লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং লিমিটেড বিনামূল্যে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ কোর্স করাচ্ছে। এই প্রশিক্ষণ কোর্সে ভর্তি হওয়ার জন্য কোনো ফি লাগবে না, এবং সরকারের পক্ষ থেকে ২০০ টাকা দৈনিক যাতায়াত ভাতা, দুপুরের খাবার, এবং দুইবার নাস্তা দেওয়া হবে। ফ্রি কোর্স ছাড়াও আমাদের রয়েছে বিষয়ভিত্তিক প্রিমিয়াম ফ্রিল্যান্সিং কোর্স। যেখানে ভর্তি হওয়ার মাধ্যমে অনলাইন থেকে নিশ্চিত আয়ের গ্যারান্টি পাবে প্রশিক্ষণার্থীরা।

    এসময় সাতক্ষীরা জেলার বেকার যুবক-যুবতীদের ‘ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার ও অনলাইনে আয়’ বিষয়ক ফ্রি সেমিনারের অংশগ্রহণ করার আমন্ত্রণ জানান তিনি।

  • প্লট দুর্নীতি : হাসিনা-রেহানা পরিবারসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

    প্লট দুর্নীতি : হাসিনা-রেহানা পরিবারসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

    পূর্বাচলে ৬০ কাঠা প্লট বরাদ্দ নেওয়ার প্রমাণ পাওয়ায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানার পরিবারে সদস্য, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব সালাউদ্দিন এবং জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ১৪ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পৃথক ৮টি অভিযোগপত্র বা চার্জশিট দাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

    সোমবার (১০ মার্চ) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে চার্জশিট অনুমোদন হওয়ার পর আদালতে দাখিল করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানা গেছে। গত ১২, ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে মামলাগুলো দায়ের করা হয়েছিল। চার্জশিটে নতুন করে সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব সালাউদ্দিনকে যুক্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

    আসামিদের বিরুদ্ধে সরকারের সর্বোচ্চ পদাধিকারী ও পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে বহাল থাকাকালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের ওপর অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করে বরাদ্দ পাওয়ার যোগ্য না হওয়া সত্ত্বেও অসৎ উদ্দেশ্যে পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরের ২০৩ নং রাস্তার ৬টি প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি, ১৮৬০ এর ১৬১/১৬৩/১৬৪/৪০৯/১০৯ ধারা তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    চার্জশিটের আসামিরা হলেন- সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ (পুতুল), বোন শেখ রেহানা, শেখ রেহানার মেয়ে রেহানার মেয়ে ও ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও অপর মেয়ে আজমিনা সিদ্দিক।

    অন্যদিকে জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের পুরাতন ১৪ আসামিরা হলেন- ওই মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন)কাজী ওয়াছি উদ্দিন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ) কবির আল আসাদ, সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) তন্ময় দাস, সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মো. নুরুল ইসলাম, সাবেক সদস্য (পরিকল্পনা) মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, সাবেক সদস্য মেজর (ইঞ্জিনিয়ার) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব.), পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-২) শেখ শাহিনুল ইসলাম, উপপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান ও হাবিবুর রহমান।

    অভিযোগে রাজনৈতিক বিবেচনায় সরকারের বিশেষ ক্ষমতাবলে শেখ হাসিনা ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের যোগসাজশে নিজের ও ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, বোন শেখ রেহানা, বোনের ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি ও মেয়ে আজমিনা সিদ্দিক রূপান্তির নামে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের ২৭ সেক্টরের কূটনৈতিক জোনের ২০৩ নম্বর রোড থেকে ১০ কাঠা করে মোট ৬০ কাঠার ছয়টি প্লট বরাদ্দের অভিযোগ ছিল।

    শেখ হাসিনাসহ তার পরিবারের ছয় সদস্যের বিরুদ্ধে পূর্বাচলে প্লট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগ দুদক থেকে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত দেওয়ার কথা গত ২৭ ডিসেম্বর জানিয়েছিল দুদক। দেড় দশক দেশ শাসনের পর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এরপর থেকে সেখানেই রয়েছেন তিনি।

    দুদক গত বছরের ২২ ডিসেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে ওঠা ৩০০ মিলিয়ন ডলার (৩০ হাজার কোটি টাকা) বিদেশে পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়। তার আগে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা পরিবারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকল্পে ৮০ হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে পাঁচ সদস্যের একটি অনুসন্ধান দল গঠন করেছে। একই দলকে নতুন করে আসা ৩০০ মিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগটি অনুসন্ধানের নির্দেশ দেয় কমিশন। সবগুলোই অনুসন্ধান পর্যায়ে রয়েছে বলে জানা গেছে।

  • সাংবাদিক ফারুক রহমানের পিতার মৃত্যুতে সাতক্ষীরা সাংবাদিক কেন্দ্রের শোক  

    সাংবাদিক ফারুক রহমানের পিতার মৃত্যুতে সাতক্ষীরা সাংবাদিক কেন্দ্রের শোক  

    আজকের বিজনেস পত্রিকার সাতক্ষীরা প্রতিনিধি মো: ফারুক রহমানের পিতা গোলাম রহমান (৭৬) ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না…রাজিউন)।
    শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। এর আগে গত ১ মার্চ কালীগঞ্জ উপজেলার কুশলিয়া ইউনিয়নের ভদ্রখালী গ্রামের নিজ বাড়িতে ব্রেইন স্ট্রোকে আক্রান্ত হলে তাকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
    সাংবাদিক ফারুক রহমানের পিতার মত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে
    সাতক্ষীরা সাংবাদিক কেন্দ্র।
    একইসাথে শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন, বাংলা ট্রিবিউনের আসাদুজ্জামান সরদার, মানবজমিনের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি এস এম বিপ্লব হোসেন, যুগান্তরের মোজাহিদুল ইসলাম, নাগরিক টিভি ও প্রতিদিনের বাংলাদেশের কৃষ্ণ ব্যানার্জী, এখন টিভির আহসান রাজীব, বাংলাদেশের খবর এর আব্দুস সামাদ, গ্লোবাল টেলিভিশনের রাহাত রাজা, দৈনিক রানারের শহীদুজ্জামান শিমুল, খবরের কাগজের জিএম নাজমুস সাদাত জাকির, ঢাকা টাইমসের মো. হোসেন আলী, ঢাকা পোস্টের ইব্রাহিম খলিল, সংবাদ প্রকাশের রিজাউল করিম, বার্তাটুয়েন্টিফোরের মৃত্যুঞ্জয় রায় অপূর্ব, ভয়েস অব টাইগারের মিলন বিশ্বাস, হৃদয় বার্তার আলী মুক্তদা হৃদয়, আমাদের সময়ের বিলাল হোসেন (শ্যামনগর), দ্য এডিটরস ও খবরের কাগজের সুলতান শাহাজান (শ্যামনগর), দ্য এডিটরসের এম জুবায়ের মাহমুদ (শ্যামনগর) প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি
  • ডিসেম্বর থেকে মার্চের মধ্যে নির্বাচন: ড. ইউনূস

    ডিসেম্বর থেকে মার্চের মধ্যে নির্বাচন: ড. ইউনূস

    ন্যাশনাল ডেস্ক : এবার জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় জানালেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের মার্চ মাসের মধ্যে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
    ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা জানিয়েছেন বলে বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।
    ছাত্র-জনতার ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে গত বছরের আগস্টের শুরুতে শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন। তারপর থেকে তিনি ভারতেই নির্বাসনে রয়েছেন। নাটকীয় এই পটপরিবর্তনের পর একে একে বের হয়ে আসছে সাবেক স্বৈরাচারী সরকারের গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকা-সহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের ভয়াবহ নানা চিত্র। হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে, দাবি উঠেছে দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচারেরও।
    এমন অবস্থায় এই বছরের শেষের দিকে নির্বাচন আয়োজন করার আশা করছেন ড. ইউনূস। ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর সেখানেই নির্বাসনে থাকা হাসিনা এবং তার দল সেই নির্বাচনে অংশ নেবে কিনা তাও স্পষ্ট নয়। মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বিচারের জন্য হাসিনাকে ফেরত চাচ্ছে বাংলাদেশ।
    তিনি বলেন: “শান্তি ও শৃঙ্খলা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস এবং এরপর অর্থনীতি। সাবেক সরকারের রেখে যাওয়া এটি এক ছিন্নভিন্ন অর্থনীতি, বিধ্বস্ত অর্থনীতি। এটা এমন কিছু যেন ১৬ বছর ধরে কিছু ভয়ানক টর্নেডো হয়েছে এবং আমরা এখন টুকরোগুলো তুলে নেওয়ার চেষ্টা করছি।”
    অধ্যাপক ইউনূস বলেছেন, তিনি ২০২৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করবেন। তার সরকার কত দ্রুত সংস্কার করতে পারে তার ওপর নির্বাচনের এই সময়সীমা নির্ভর করছে। কারণ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য এসব সংস্কারকে প্রয়োজনীয় বলে মনে করেন তিনি।
    অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “যদি আমাদের ইচ্ছা মতো দ্রুত সংস্কার করা যায়, তাহলে ডিসেম্বরে আমরা নির্বাচন করতে পারবো। আর যদি সংস্কারের পরিমাণ বেশি হয়ে থাকে, তাহলে আমাদের আরও কয়েক মাস সময় লাগতে পারে।”
    গত গ্রীষ্মে বাংলাদেশকে ঘিরে থাকা সহিংস বিক্ষোভের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমরা সম্পূর্ণ বিশৃঙ্খলা থেকে এসেছি। (এমন বিশৃঙ্খলা যেখানে) মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল।”
    কিন্তু প্রায় সাত মাস পেরিয়ে গেলেও ঢাকার মানুষ বলছেন, আইনশৃঙ্খলা এখনও পুনরুদ্ধার হয়নি এবং পরিস্থিতি ভালো হচ্ছে না। ড. ইউসূস বলেন, “বেটার (ভালো) একটি আপেক্ষিক শব্দ। উদাহরণস্বরূপ যদি আপনি গত বছরের একই সময়ের সাথে তুলনা করেন তবে এটি (আইনশৃঙ্খলা) ঠিক আছে। এখন যা ঘটছে, তা অন্য সময়ের চেয়ে আলাদা বা ভিন্ন কিছু নয়।”

  • শেখ হাসিনা অবশ্যই আদালতের মুখোমুখি হবেন: ড. ইউনূস

    শেখ হাসিনা অবশ্যই আদালতের মুখোমুখি হবেন: ড. ইউনূস

    বাংলাদেশের অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, শুধু হাসিনা নন, তার পরিবারের সদস্য, ক্লায়েন্ট এবং সহযোগীদেরও বিচারের আওতায় আনা হবে।
    ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস জানান, হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ ও দুর্নীতির অভিযোগে দুটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। তিনি বলেন, হাসিনাকে ফেরত চেয়ে আমরা আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠিয়েছি, তবে নয়াদিল্লি থেকে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। ড. ইউনূস আরও বলেন, হাসিনার বিচার অবশ্যই হবে, সেটা তিনি বাংলাদেশে উপস্থিত থেকে হোক বা ভারতে থেকেই হোক।
    প্রধান উপদেষ্টা সম্প্রতি কুখ্যাত ‘আয়নাঘর’ বা গোপন টর্চার সেল পরিদর্শন করেছেন, যেখানে গত ১৫ বছর ধরে ভিন্নমতাবলম্বীদের ওপর অত্যাচার-নিপীড়ন চালানো হয়েছিল। তিনি বলেন, সেখানে যা দেখেছেন, তাতে তিনি হতবাক। হাসিনার বিরুদ্ধে তার নিরাপত্তা বাহিনী ও পুলিশকে ব্যবহার করে শত শত নেতাকর্মীকে অপহরণ, নির্যাতন ও হত্যার তদারকি করার অভিযোগ রয়েছে। অনেক অভিযুক্ত বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গেছেন।
    ড. ইউনূস স্বীকার করেন, অভিযুক্তদের সংখ্যা ও পরিসর বেশি হওয়ায় বিচার প্রক্রিয়া সময়সাপেক্ষ। তিনি বলেন, পুরো সরকার এই অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল, তাই কারা সত্যিই উৎসাহের সঙ্গে এই অপরাধগুলো করেছিল, আর কারা উচ্চপদস্থদের আদেশের অধীনে এসব কাজ করেছিল, তা বের করা কঠিন। তবে ভুক্তভোগীদের পরিবার যাতে দ্রুত ন্যায়বিচার পায়, সে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

  • আজ জাতীয় পতাকা দিবস

    আজ জাতীয় পতাকা দিবস

    ডেস্ক রিপোর্ট : আজ ২ মার্চ জাতীয় পতাকা দিবস। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কলাভবনে প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়েছিল। ১৯৭০ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর শঙ্কিত হয়ে পড়েছিল পাকিস্তানের শাসক গোষ্ঠী। তারা নিশ্চিতভাবেই ধারণা করেছিল যে ছয় দফার বাস্তবায়ন এবার হয়েই যাবে। যেহেতু সংখ্যাগরিষ্ঠতা আওয়ামী লীগের। ৭১ এর ১২ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ঢাকায় এলেন। বৈঠকের পর শেখ মুজিব বলেন, আলোচনা সন্তোষজনক, এবং প্রেসিডেন্ট খুব শিগগিরই ঢাকায় জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহবান করতে সম্মত হয়েছেন। ইয়াহিয়া খানের বক্তব্যও ঠিক অনুরূপ ছিল। তিনি বললেন, শেখ মুজিব তার সঙ্গে যে কথা বলেছেন, যে আলোচনা তুলেছেন সেসব যৌক্তিক ও সঠিক। কিন্তু, ইয়াহিয়া খান পাকিস্তানে ফিরে গিয়ে লারকানায় জুলফিকার আলী ভুট্টোর বাসভবনে গিয়ে গোপন বৈঠকে মিলিত হলেন পাকিস্তান আর্মির জেনারেলদের সঙ্গে। ৭১ এর জানুয়ারির শেষ দিকে দলের অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে জুলফিকার আলী ভুট্টো ঢাকায় এলেন। ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই জাতীয় পরিষদের বৈঠকে ছয় দফার ওপর শাসনতন্ত্র তৈরির কথা বললেন। কিন্তু, ভুট্টো তখন আরও আলোচনার কথা বলেছিলেন। ভুট্টো চান জাতীয় পরিষদের অধিবেশন জানুয়ারি মাসের শেষ দিকে হোক।