Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
বিশেষ সংবাদ Archives - Page 38 of 74 - Daily Dakshinermashal

Category: বিশেষ সংবাদ

  • চার নেতা হত্যার পেছনে বড় ষড়যন্ত্র ছিলো

    চার নেতা হত্যার পেছনে বড় ষড়যন্ত্র ছিলো

    অনলাইন ডেস্ক:

    জাতীয় চার নেতা হত্যার পেছনে শুধু বিপদগামী সেনা সদস্যরাই নয়, এর পেছনে বড় একটি ষড়যন্ত্র ছিলো বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

    মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডে অবস্থিত সাবেক ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর ও জাতীয় চার নেতা স্মৃতি জাদুঘরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর এ কথা বলেন তিনি।

    তিনি বলেন, ‘জাতীয় চার নেতা হত্যায় যারা জড়িত তাদেরকে দেশে ফেরত আনার জন্য সরকার সর্বোচ্চ আন্তরিক।’

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘শুধু বিপদগামী সেনা সদস্যই নয়। জাতীয় চার নেতাকে হত্যার পেছনে আরও বড় একটি ষড়যন্ত্র ছিলো। যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের মুখোমুখী উন্মোচন করা হবে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’

    এসময় জেলহত্যা মামলার পলাতক আসামিদের ফিরিয়ে আনতে আইনি প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি।

    শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন জাতীয় চার নেতার একজন শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলামের মেয়ে কিশোরগঞ্জ-২ আসনের সাংসদ ডাক্তার সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি, ঢাকা-৭ আসনের সাংসদ হাজী সেলিম, কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোমিনুর রহমান মামুন, কারা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক কর্নেল আবরার হোসেন প্রমুখ।

    উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বরের এই দিনে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজীবন রাজনৈতিক সহযোদ্ধা ও মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী জাতীয় চার নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। সেদিন খুন হন অস্থায়ী সরকারের প্রথম রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, প্রবাসী সরকারের অর্থমন্ত্রী এম মনসুর আলী এবং স্বরাষ্ট্র, কৃষি ও ত্রাণমন্ত্রী এএইচএম কামারুজ্জামান।

    কারাগারের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকা অবস্থায় বর্বরোচিত এ ধরনের হত্যাকাণ্ড পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার হত্যাকাণ্ড ছিলে একই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা।

  • ৪ মাসে ১২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে রফতানি আয়

    ৪ মাসে ১২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে রফতানি আয়

    অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ করোনাভাইরাস মহামারীর শুরুতে তলানিতে নেমে যাওয়া রফতানি আয় এখন প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি লক্ষ্যমাত্রাও ছাড়াচ্ছে। চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের ৪ মাসে (জুলাই-অক্টোবর) বিভিন্ন পণ্য রফতানি করে বাংলাদেশ প্রায় ১ হাজার ২৮৪ কোটি ৪৬ লাখ ডলার আয় করেছে। এই অঙ্ক গত বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ১ শতাংশ বেশি। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় বেড়েছে শূন্য দশমিক ৩৮ শতাংশ। একক মাস হিসেবে অক্টোবর মাসে ২৯৪ কোটি ৭৮ লাখ ডলারের পণ্য রফতানি করেছে বাংলাদেশ।

    সোমবার রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের ৪ মাসে (জুলাই-অক্টোবর) বিভিন্ন পণ্য রফতানি করে বাংলাদেশ ১ হাজার ২৮৪ কোটি ৪৬ লাখ ডলার আয় করেছে। এই চার মাসে লক্ষ্যমাত্রা ধরা ছিল ১ হাজার ২৭৯ কোটি ডলার। গত ২০১৯-২০ অর্থবছরের একই সময়ে আয়ের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ২৭২ কোটি ১২ লাখ ডলার। এ হিসাবেই জুলাই-অক্টোবর সময়ে গত বছরের একই সময়ের চেয়ে রফতানি আয় বেড়েছে প্রায় ১ শতাংশ। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় বেড়েছে শূন্য দশমিক ৩৮ শতাংশ।

  • হাসপাতালে ভর্তি ম্যারাডোনা

    হাসপাতালে ভর্তি ম্যারাডোনা

    অনলাইন ডেস্ক ॥ বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ ১৯৮৬ বিশ্বকাপ জয়ী ডিয়েগো ম্যারাডোনা। কয়েকদিন আগে ৬০তম জন্মদিন পালন করা এই কিংবদন্তিকে সোমবার আচমকাই ভর্তি করাতে হয়েছে হাসপাতালে। এমন খবরে ভক্তদের মাঝে উদ্বেগ বাড়লেও পরিস্থিতি অতটা গুরুতর নয় বলে জানিয়েছেন তার চিকিৎসক।

    আর্জেন্টাইন কিংবদন্তিকে ভর্তি করানো হয়েছে লা প্লাতার একটি হাসপাতালে। এখানকারই স্থানীয় একটি ক্লাবের কোচের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

    ম্যারাডোনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. লিওপোলডো জানিয়েছেন, ‘গুরুতর কিছু নয়। তিনি চাইলে যে কোনও সময় হাসপাতাল ত্যাগ করতে পারবেন। তবে আমার মতে তাকে কমপক্ষে তিন দিন পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। যেন তার অবস্থা নিয়ন্ত্রণে থাকে।’

    শারীরিক স্বাস্থ্যের চেয়ে ম্যারাডোনার জটিলতা মানসিক স্বাস্থ্য নিয়েই বেশি। সেই কথাই বলেছেন লিওপোলডো, ‘তিনি মানসিকভাবে কিছুটা অসুস্থ। যা তার শারীরিক স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলতে পারে।’

    আর্জেন্টাইন সংবাদ মাধ্যম ওলে জানিয়েছে, ম্যারাডোনার মাঝে করোনার সংক্রমণ ঘটেনি। কিছুদিন আগে নেগেটিভ হয়েছেন। এর কারণ তার এক বডিগার্ডের মাঝে করোনার উপসর্গ দেখা দিয়েছিল। সেই ভয়ে ম্যারাডোনা নিজেকে আইসোলেশনে রেখেছিলেন।

    সর্বশেষ শুক্রবার নিজের জন্মদিন উপলক্ষে জনসম্মুখে এসেছিলেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি। এর পর তার দল জিমনাশিয়া লা প্লাতার লিগ ম্যাচে উপস্থিত হয়েছিলেন ঠিকই। কিন্তু বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। শুরুর আগেই অসুস্থতার কারণে মাঠ ত্যাগ করে গেছেন।

    প্রসঙ্গত, ম্যারাডোনা দীর্ঘ দিন ধরেই বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপনে অভ্যস্ত হওয়ায় তাকে বেশ কয়েকবারই হাসপাতালমুখী হতে হয়েছে। ২০১৯ সালেও পাকস্থলীতে রক্ত ক্ষরণের কারণে ভর্তি হতে হয়েছিল হাসপাতালে।

  • যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনের আগেই ভোট পড়ল প্রায় ১০ কোটি

    যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনের আগেই ভোট পড়ল প্রায় ১০ কোটি

    অনলাইন ডেস্ক ॥ করোনা পরিস্থিতির ফলে আমূল বদলে গেল ছবিটা। মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বুথে গিয়ে ভোটদান-পর্ব শুরু হবে। তার আগেই প্রায় ভোট দিয়েছেন ১০ কোটি ভোটার। করোনার ভয়ে আগে থেকেই পোস্টাল ব্যালট এবং আর্লিং ভোটিং-এর ডাকে সাড়া দিয়েছেন তারা। সোমবার পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী, নয় কোটি ৭৬ লাখের বেশি আগাম ভোট পড়েছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এক নতুন রেকর্ড তৈরি করেছে।

    করোনার ভয় স্বাভাবিক। যুক্তরাষ্ট্রের এরইমধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা এক কোটি ছুঁইছুঁই। মারা গেছেন দুই লাখ ৩১ হাজারেরও বেশি মানুষ। এই অবস্থায় পোস্টাল ব্যালট বা আগে ভোটদানের সুবিধা নেওয়ার মধ্যে কোনও অস্বাভাবিকতা নেই।

    এমন বাস্তবতায় এবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ইতিহাসে ঢুকে পড়েছে। ভোটের দিন অধিকাংশ মানুষ ভোট দেবেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দীর্ঘদিনের এই ছবিটা যেন এবার আমূল বদলে গেছে। এবার ভোটদাতাদের একটা বড় অংশ নিরাপদে থাকতে চেয়েছেন। এই মানসিকতার কারণেই বদলে গেছে ভোটের চিত্র।

    ট্রাম্প আগেই বলে রেখেছেন, পোস্টাল ব্যালটে কারচুপির আশঙ্কা আছে। ফল প্রত্যাশা অনুযায়ী না হলে তিনি আদালতেও যেতে পারেন, এমন একটা ধারণা ছড়িয়েছে। সোমবারও ট্রাম্প বলেছেন, পেনসিলভানিয়ায় পোস্টাল ব্যালট গুণতে অনেক সময় লেগে যাবে। তার জন্য ভোটের ফলাফল বন্ধ রাখা যাবে না। সব পোস্টাল ব্যালটের গণনা একদিনেই সেরে ফেলতে হবে।

    ট্রাম্পের দাবি মানা হবে কি না, মানা সম্ভব কি না, তা বোঝা যাবে গণনা শুরুর পর। তার আগে এইটুকু বলা যায়, করোনা মানুষের জীবনযাপনে, চিন্তা-ভাবনায় অনেক পরিবর্তন এনে দিয়েছে। ভোটের ময়দানেও সেই পরিবর্তনের স্পষ্ট ছায়াপাত ঘটেছে।

    ২০১৬ সালে যেখানে সব মিলিয়ে ভোট পড়েছিল ১৩ কোটি ৬৫ লাখ এবার সেখানে শুধু আগাম ভোটই পড়েছে প্রায় ১০ কোটি। অর্থাৎ গতবারের তুলনায় দুই তৃতীয়াংশেরও বেশি ভোট এরইমধ্যে পড়ে গেছে। আগাম ভোটের এমন প্রবণতা দেশটিতে গত এক শতকেরও বেশি সময়ের মধ্যে এবারই সবচেয়ে বেশি ভোট পড়ার ক্ষেত্র তৈরি করেছে।

    সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, এবার আগাম ভোটের এমন পরিসংখ্যান নির্বাচনের প্রতি মার্কিন জনগণের আগ্রহেরই প্রমাণ। বিশেষ করে ট্রাম্পকে ফের ক্ষমতায় দেখতে চান না; এমন অনেকেই এবার ভোট দিয়েছেন; যাদের সচরাচর নির্বাচন নিয়ে তেমন আগ্রহ কাজ করে না। সূত্র: ডিডব্লিউ।

  • যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ঘটেছে অনেক নাটকীয় ঘটনা

    যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ঘটেছে অনেক নাটকীয় ঘটনা

    অনলাইন ডেস্ক ॥ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে তেসরা নবেম্বর মঙ্গলবার। ২০২০ সালের নির্বাচনে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং সাবেক ভাইস-প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

    যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন ব্যবস্থা অন্য সব দেশের চেয়ে বেশ আলাদা। তবে সবসময়েই এই নির্বাচন সরলভাবে অনুষ্ঠিত হয়নি।প্রায় আড়াইশো বছরের মার্কিন গণতন্ত্রের ইতিহাসে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে ঘটেছে বেশ কয়েকটি চমকপ্রদ এবং নাটকীয় ঘটনা।

    ইতিহাস থেকে এখানে সেরকম কয়েকটি ঘটনা তুলে ধরা হলো।

    দুই বছর ধরে ভোটগ্রহণ নির্বাচন:

    যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট ছিলেন জর্জ ওয়াশিংটন।

    যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল আর্কাইভস তথ্য অনুযায়ী, সদ্য তৈরি করা সংবিধান অনুযায়ী ১৭৮৮ সালের ১৫ই ডিসেম্বর থেকে শুরু করে ১৭৮৯ সালের ১০ই জানুয়ারি পর্যন্ত, ২৫ দিন ধরে ওই নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এই একবারই দুই ক্যালেন্ডার বছরজুড়ে নির্বাচন হয়েছিল। তখনকার ইলেকটোরাল কলেজে মোট ভোট ছিল ৬৯টি, এখন যা ৫৩৮টি।তখনকার নিয়ম অনুযায়ী, কংগ্রেসে প্রতিনিধিত্ব অনুসারে প্রতিটি অঙ্গরাজ্যে ইলেকটোরাল কলেজ প্রতিনিধি নির্বাচিত হতেন। প্রত্যেক ইলেকটর আলাদা দুইজন প্রার্থীকে প্রেসিডেন্ট পদের জন্য একটি করে ভোট দিতেন। যিনি সবচেয়ে বেশি ভোট পাবেন, তিনি প্রেসিডেন্ট, এরপরে দ্বিতীয় সর্ব্বোচ্চ ভোট প্রাপ্ত ব্যক্তি হবেন ভাইস প্রেসিডেন্ট।

    তখন একেকটি অঙ্গরাজ্যে একেকভাবে ইলেকটর নির্বাচন করা হতো। যেমন পাঁচটি রাজ্যে আইন প্রণেতারা তাদের নির্বাচিত করতেন, বাকি ছয়টি রাজ্যে খানিকটা বেশি ভোটের ভিত্তিতে তাদের নির্বাচন করা হতো।যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা যুদ্ধের নেতা হিসাবে জর্জ ওয়াশিংটন সবগুলো ভোট পেয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। জন অ্যাডামস ৩৪টি ভোট পেয়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।

    সমান ভোট:

    ১৮০০ সালে যুক্তরাষ্ট্রে যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, প্রথমবারের মতো দলগতভাবে সেখানে প্রার্থী মনোনয়ন দেয়া হয়।রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ছিলেন তৎকালীন ভাইস প্রেসিডেন্ট টমাস জেফারসন এবং অ্যারন বার। আর ফেডারেলিস্টদের প্রার্থী ছিলেন সেই সময়ের প্রেসিডেন্ট জন অ্যাডামস আর চার্লস সি পিঙ্কনি।

    রিপাবলিকানরা চাইছিলেন যে, তাদের দুই প্রার্থীর মধ্যে জেফারসন কিছু ভোট বেশি পাবেন আর অ্যারন বার একটি হলেও কম। তাহলে একজন প্রেসিডেন্ট, আরেকজন ভাইস প্রেসিডেন্ট হবেন।কিন্তু ঘটনাক্রমে দুইজনের ভোট সমান, ৭৩ ভোট হয়ে যায়। কারণ তখনো নির্বাচকরা দুইটি করে ভোট দেয়ার সুযোগ পেতেন।

    ফলে কে প্রেসিডেন্ট হবে, সেই সিদ্ধান্ত নেয়ার ভার গিয়ে পড়ে হাউজ অব রিপ্রেজেন্টিটিভের ওপর। যেখানে সেই সময়ের ১৬টি অঙ্গরাজ্যের একটি করে ভোট। বিজয়ী হতে হলে একজনকে অন্তত নয়টি রাজ্যের ভোট পেতে হবে।কিন্তু জেফারসন আটটি অঙ্গরাজ্যের ভোট পান। কারণ তার বিরোধী ফেডারেলিস্ট প্রতিনিধিরা অ্যারন বারকে সমর্থন করেছিল। সাতদিন ধরে ৩৫ দফা ভোটাভুটিতেও কোন সমাধান আসেনি।

    শেষ পর্যন্ত অ্যালেকজান্ডার হ্যামিলটন কয়েকজন ফেডারেলিস্ট প্রতিনিধিকে জেফারসনকে সমর্থন করাতে রাজি করাতে সক্ষম হন।টমাস জেফারসন প্রেসিডেন্ট হন আর ভাইস-প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পান অ্যারন বার।সেই নির্বাচনের পর যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানে দ্বাদশ সংশোধনী আনা হয় যে, প্রত্যেক ইলেকটরকে আলাদাভাবে প্রেসিডেন্ট ও ভাইস-প্রেসিডেন্টের জন্য ভোট দিতে হবে।

    হাউজ অব রেপ্রেজেন্টেটিভের মাধ্যমে প্রথম নির্বাচন:

    পরবর্তীতে আরও দুইবার হাউজ অব রেপ্রেজেন্টেটিভের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে হয়েছে।

    ১৯২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিকান পার্টির পক্ষে চারজন প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন করেছিলেন। তাদের মধ্যে অ্যান্ড্রু জ্যাকসন সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছিলেন (পপুলার ভোট)। অন্য প্রার্থীদের চেয়ে ইলেকটোরাল কলেজেও তিনি বেশি ভোট পেয়েছিলেন। কিন্তু প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে হলে ইলেকটোরাল কলেজের যতগুলো ভোট দরকার, তা তিনি পাননি।

    ফলে সংবিধান অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দায়িত্ব বর্তায় হাউজ অব রেপ্রেজেন্টেটিভের ওপর, যাকে বলে ‘কনটিনজেন্ট ইলেকশন’। কংগ্রেসম্যানরা প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবেন আর সেনেটররা নির্বাচন করবেন ভাইস প্রেসিডেন্ট।

    এক্ষেত্রে হাউজ অব রেপ্রেজেন্টেটিভ সদস্যরা তাদের মোট প্রতিনিধির হিসাবে নয়, একেকটি অঙ্গরাজ্যের হিসাবে একটি করে ভোট দেবেন। সেই ভোটাভুটিতে নির্বাচিত হন জন কুইন্সি অ্যাডামস। কারণ নির্বাচনে চতুর্থ হওয়া (হাউজ স্পিকার) হেনরি ক্লের সমর্থকরা অ্যাডামসকে ভোট দেন। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে একমাত্র সেবারই সাধারণ ভোট ও ইলেকটোরাল কলেজের ভোটে সংখ্যাধিক্য থাকার পরেও পরাজিত হয়েছিলেন কোন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী।এরপরে অবশ্য ১৮৩৬ সালে ভাইস-প্রেসিডেন্ট নির্ধারিত হয়েছিল সেনেটের ভোটে।

    নির্বাচনের পরে গৃহযুদ্ধ:

    ১৯৬০ সালের নির্বাচনের সময় রিপাবলিকানরা দাসপ্রথা অবসানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। তবে দক্ষিণের রাজ্যগুলো ছিল দাসপ্রথার পক্ষে। রিপাবলিকানরা প্রেসিডেন্ট পদে আব্রাহাম লিঙ্কনকে মনোনয়ন দেয়। তবে ডেমোক্র্যাটরা স্টিফেন এ ডগলাসকে মনোনয়ন দেন। দক্ষিণের ডেমোক্র্যাটরা আলাদাভাবে মিলিত হয়ে ব্রেকিংরিজকে তাদের প্রার্থী হিসাবে মনোনীত করে। কন্সটিটিউশনাল ইউনিয়ন পার্টি নামের আরেকটি নতুন দল জন বেলকে তাদের প্রার্থী মনোনয়ন দেয়।

    উত্তরের সব রাজ্যে ভোট পেয়ে লিঙ্কন নির্বাচিত হন। দক্ষিণের সবগুলো রাজ্যের ভোট পান ব্রেকিংরিজ। নির্বাচনের ফলাফলের ভেতর দিয়ে যেন উত্তর আর দক্ষিণের রাজ্যগুলোর মতভেদ আরও প্রকট হয়ে ওঠে। এর পরের কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সাউথ ক্যারোলিনা ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাবার পক্ষে ভোট দেয়, আরও ছয়টি রাজ্য তাদের অনুসরণ করে। ১৯৬১ সালের ফেব্রুয়ারিতে এসব রাজ্য মিলে জেফারসন ডেভিসকে তাদের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেন। পরে আরও চারটি রাজ্য তাদের সঙ্গে যোগ দেয়।শুরু হয় আমেরিকার গৃহযুদ্ধ।

    কমিশন করে প্রেসিডেন্ট নির্ধারণ:

    ১৯৭৬ সালের নির্বাচনকে বলা হয় আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে বিতর্কিত নির্বাচন।

    রিপাবলিকান পার্টি প্রেসিডেন্ট পদে মনোনীত করেছিল রাদারফোর্ড বি হেইসকে আর ডেমোক্র্যাটরা মনোনীত করেছিল স্যামুয়েল জে টিলডেনকে।নির্বাচনে মি. টিলডেন মি. হেইসের চেয়ে দুই লাখের বেশি ভোট পান। ইলেকটোরাল কলেজের ভোটও তিনি পেয়েছিলেন ১৮৪টি, আর মি. হেইস পান ১৬৫টি। নির্বাচিত হওয়ার জন্য মি. টিলডেনের দরকার ছিল এক ভোট আর হেইসের দরকার ছিল ২০টি ভোট। বাকি যে ২০টি ভোট ছিল, উভয় দলই দাবি করেছিল যে, সেগুলো তারা পেয়েছে।

    কিন্তু এই ভোট কাদের ঘরে যাবে?

    সংকট সমাধানের জন্য একটি আইন পাস করে ১৫ সদস্যের নির্বাচনী কমিশন গঠন করা হয়, যার মধ্যে কংগ্রেসের উভয় কক্ষের পাঁচজন করে প্রতিনিধির সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচজন সদস্য থাকবেন।তবে সেখানেও দেখা যায়, কংগ্রেসের সদস্য আর বিচারপতি মিলিয়ে রিপাবলিকান হয়ে গেছেন আটজন আর ডেমোক্র্যাট সাতজন। শেষ পর্যন্ত কমিশনের ৮-৭ ভোটের ব্যবধানে ২০টি ইলেকটোরাল ভোট মি. হেইসকে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। ফলে ১৮৫-১৮৪ ভোটের ব্যবধানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন রাদারফোর্ড বি হেইস।

    সুপ্রিম কোর্টের রায়ে সিদ্ধান্ত:

    ২০০০ সালে জর্জ ডব্লিউ বুশ এবং আল গোরের মধ্যে ভোটাভুটি হওয়ার পর ডেমোক্র্যাট আল গোর পেয়েছিলেন ২৬৭ ইলেকটোরাল ভোট আর রিপাবলিকান বুশ পেয়েছিলেন ২৪৬ভোট। শুধুমাত্র ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের ২৫টি ভোট বাকি ছিল। সেখানে দুই প্রার্থীর মধ্যে ভোটের ব্যবধান এতো কম ছিল, যে সপ্তাহের পর সপ্তাহ জুড়ে ভোট গণনা চলছিল।সেই সময় ফ্লোরিডার গভর্নর ছিলেন জর্জ বুশের ভাই জেব বুশ। ২৬শে নবেম্বর তিনি ঘোষণা দেন, ফ্লোরিডার ইলেকটোরাল ভোট জর্জ বুশের পক্ষে যাচ্ছে।পুনরায় গণনার দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়। তবে সুপ্রিম কোর্ট ৫-৪ বিচারপতির মতামতের ভিত্তিতে ভোট পুনঃগণনা বন্ধের আদেশ দিয়ে বুশকে প্রেসিডেন্ট হিসাবে নির্বাচিত করার রায় দেন।

    বেশি ভোট পেয়েও পরাজয়:

    বেশি ভোট পাওয়ার পরেও কোন প্রার্থীর পরাজয়ের ঘটনা সেটাই শেষ ছিল না। ১৮৭৬ সালে, ১৮৮৮ সালে, ২০০০ এবং ২০১৬ সালে যে প্রার্থী জনগণের ভোট বেশি পেয়েছিলেন (পপুলার ভোট), ইলেকটোরাল কলেজের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পাওয়ার কারণে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে পারেননি।অনেকবার ইলেকটোরাল কলেজের ভোটিং পদ্ধতির বাইরে জনভোটের বিচারে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রস্তাব আনা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে কংগ্রেসে, কিন্তু কোনবারই তা পাশ হয়নি।

    নবেম্বরের মঙ্গলবার:

    আগে নানা দিনে ও অনেক সময় ধরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও ১৮৪৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে একটি বিল পাস করা হয়, যেখানে নির্ধারণ করে দেয়া হয় যে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে নবেম্বর মাসের প্রথম মঙ্গলবার।এর আগে ডিসেম্বর মাসের প্রথম বুধবারের আগের ৩৪ দিনের যেকোনো সময় রাজ্যগুলো ভোটাভুটি করতে পারতো। কিন্তু আগাম ফলাফল জেনে যাওয়ার কারণে, যেসব রাজ্যে পরে নির্বাচন হতো, সেখানে প্রভাব বিস্তারের সম্ভাবনা দেখা দিতো।

    এ কারণে নতুন আইনটি পাস করা হয়। কিন্তু নবেম্বর মাসের মঙ্গলবারেই কেন?

    ইতিহাসবিদ ইভান অ্যান্ড্রুসের তথ্য অনুযায়ী, সেই সময়ে বেশিরভাগ আমেরিকান কৃষিকাজ করতো এবং নির্বাচন কেন্দ্র থেকে অনেক দূরে বসবাস করতো। রবিবার সবাই গির্জায় সময় কাটাতো আর বুধবার ছিল কৃষকদের বাজারের দিন। এ কারণে মঙ্গলবার দিন নির্ধারণ করা হয় যাতে কৃষকরা রবিবারের প্রার্থনার পর সোমবার ভোটের জন্য রওনা দিতে পারেন। আবার মঙ্গলবার ভোট দিয়ে তারা হাট করে ফিরতে পারেন।

    আর নবেম্বর মাস? বসন্ত এবং গ্রীষ্মের সময়টায় ফসল বোনা হয়। সেই সময়ে নির্বাচন হলে চাষাবাদে সমস্যা তৈরি করে। আবার হেমন্তে ফসল তোলার সময়। নবেম্বর মাস নাগাদ কৃষকদের ফসল তোলা শেষ হয়ে যায়। আবার কঠিন, প্রচণ্ড শীত নামার আগে এটাই সবচেয়ে সুবিধাজনক সময়।এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়েই আইন প্রণেতারা নবেম্বর মাসের প্রথম মঙ্গলবার নির্বাচনের তারিখ ঠিক করে দিয়েছিলেন।

    সূত্র : বিবিসি বাংলা

  • যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচন ॥ প্রথম ভোট নিউ হ্যাম্পশায়ারে

    যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচন ॥ প্রথম ভোট নিউ হ্যাম্পশায়ারে

    অনলাইন ডেস্ক ॥ রীতি অনুযায়ী মধ্যরাতের পরপরই ভোট দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের নির্ধারিত দিনের সূচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা সীমান্ত সংলগ্ন নিউ হ্যাম্পশায়ার রাজ্যের ছোট শহর ডিক্সভিল নচ।

    ৩ নবেম্বর প্রথম প্রহরে হেমলেট এলাকার বালসামস হোটেলের হেল হাউসে ডিক্সভিল নচের ভোটাররা তাদের রায় জানান বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

    তাৎক্ষণিকভাবে সেখানকার ফলাফলও ঘোষিত হয়েছে। ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন এ কেন্দ্রে পড়া ৫টি ভোটের সবগুলোই পেয়েছেন; ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পাননি একটিও।

    ডিক্সভিল নচের রীতি অনুযায়ী, ভোটের দিন মধ্যরাতে কেন্দ্র খোলার পরপরই প্রাপ্তবয়স্ক ভোটাররা বালসামস হোটেলের ‘ব্যালট রুমে’ জড়ো হন। সবার ভোট দেওয়া শেষে গণনা হয় ব্যালট, এরপর ফল জানিয়ে দেওয়া হয়।

    তবে এ কেন্দ্রের ফলের সঙ্গে সবসময় রাজ্যে কারা সবচেয়ে বেশি ইলেকটোরাল ভোট পেতে যাচ্ছে কিংবা কে হতে যাচ্ছেন পরবর্তী প্রেসিডেন্ট, তার আভাস পাওয়া যায় না।

    ২০১৬ সালের নির্বাচনে এ কেন্দ্রে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন জিতেছিলেন; যদিও নিউ হ্যাম্পশায়ারের সব ইলেকটোরাল ভোট শেষ পর্যন্ত ট্রাম্পের পকেটেই যায়।

    ডিক্সভিল নচের কাছাকাছি মিলসফিল্ডেও মধ্যরাতের পরপরই ভোট হয়েছে। সেখানে ট্রাম্প বাইডেনকে ১৬-৫ ভোটে হারিয়েছেন বলে জানিয়েছে সিএনএন।

    এই দুটি শহর তাদের ঐতিহ্য ধরে রাখতে পারলেও প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ থেকে হার্টস লোকেশন এবার মধ্যরাতেই ভোট নেওয়ার আয়োজন করেনি। কেন্দ্রটির ৪৮ জন ভোটারকে এবার দিনের বেলায় ভোট দিতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেখানকার কর্মকর্তারা।

  • কলারোয়ায় আহত শিশু হুসাইনের চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান

    কলারোয়ায় আহত শিশু হুসাইনের চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান


    কলারোয়া সংবাদদাতা: কলারোয়ায় বাড়ির আঙিনায় বন্ধুদের সাথে খেলতে গিয়ে ঢেউটিনের আঘাতে পায়ের শিরা (রগ) কেটে যাওয়া শিশু হুসাইনের চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন কলারোয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু। পায়ের অস্ত্রোপচার করাতে পারলেও অর্থাভাবে ওষুধ কিনতে না পারা পরিবারটির অসহায়ত্ব ও শিশুটির সুচিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবানদের কাছে সহযোগিতা কামনা করে সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশের পর শনিবার উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নের ব্রজবাকসা গ্রামের প্রতিবন্ধী শফিকুল ইসলামের ছেলে হুসাইনের খোঁজ খবর নেন কলারোয়া উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু। পরে রোববার তিনি উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে শিশু হুসাইনের চিকিৎসাপত্র ও সার্বিক তথ্য নিয়ে তাকে আর্থিক সহায়তা করেন ও চিকিৎসার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এ সময় হুসাইনের চিকিৎসার কোনো ত্রুটি হবে না ও নিজে তাকে উন্নত চিকিৎসা করাবেন বলে আশ্বাস দেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু। এদিকে সোমবার শিশু হুসাইনের পাশে সহায়তার হাত বাড়িয়েছে কলারোয়ার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘আমরা বন্ধু’। সংগঠনটির পক্ষে শিশু হুসাইনের মায়ের কাছে সহায়তা তুলে দেন সাংবাদিক ফারুক রাজ। শিশুর পিতা শফিকুল ইসলাম এ সহায়তায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও সকলের কাছে ছেলের জন্য দোয়া কামনা করেছেন।

  • জেলহত্যা দিবসে বঙ্গবন্ধু ও ৪ নেতার প্রতি আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধা

    জেলহত্যা দিবসে বঙ্গবন্ধু ও ৪ নেতার প্রতি আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধা

    অনলাইন ডেস্ক ॥ আওয়ামী লীগ জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি ও জাতীয় চারনেতার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে ৷ পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনও শ্রদ্ধা জানিয়েছে।

    আজ মঙ্গলবার সকালে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে প্রথমে শ্রদ্ধা জানানো হয় ৷ এরপর বনানী কবরস্থানে জাতীয় তিন নেতার কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

    রাজশাহীতে এএইচএম কামরুজ্জামানের কবর হওয়ায় সেখানেও দলের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

    সকাল ৮টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। পরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, ড. আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুল মতিন খসরু ও জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, আ ফ ম বাহা উদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন ও মির্জা আজম, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দি, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা.রোকেয়া সুলতানা, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন প্রমুখ ৷

    পরে আওয়ামী লীগ নেতাদের রাজধানীর বনানী কবরস্থানে ১৫ আগস্টের শহীদ ও জাতীয় নেতাদের কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। বনানী কবরস্থানে ফাতেহাপাঠ, মিলাদ মাহফিল ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

  • কেএমপি পুলিশ কমিশনারের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার পরিদর্শন

    কেএমপি পুলিশ কমিশনারের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার পরিদর্শন

    মেহেদী হাসান, খুলনা প্রতিনিধি: খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা মডেল থানা সংলগ্ন ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার পরিদর্শন করেছেন কেএমপি’র পুলিশ কমিশনার মোঃ মাসুদুর রহমান ভূঞা।সোমবার (০২ নভেম্বর) পরিদর্শন কালে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার এর ইনচার্জ-সহ সকল অফিসারদের ব্রিফিং করেন।এসময় উপস্থিত ছিলেন, কেএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) এস.এম ফজলুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এএন্ডও) সরদার রকিবুল ইসলাম (বিপিএম-সেবা), ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (সদর) মোহম্মদ এহসান শাহ্, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) এম.এম শাকিলুজ্জামান, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (ইএন্ডডি) মোঃ কামরুল ইসলাম, অতিঃ ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (উত্তর) সোনালী সেন, সহকারী পুলিশ কমিশনার টু পুলিশ কমিশনার মোঃ হাফিজুর রহমান-সহ অন্যান্য অফিসারবৃন্দ ও ফোর্স।

  • সাতক্ষীরা জেলা ক্লাব ঐক্য পরিষদের অভিষেক ও আলোচনা সভা

    সাতক্ষীরা জেলা ক্লাব ঐক্য পরিষদের অভিষেক ও আলোচনা সভা

    নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা জেলা ক্লাব ঐক্য পরিষদের অভিষেক ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (০২ নভেম্বর) দুপুরে তুফান কনভেনশন সেন্টার এন্ড রিসোর্টের যমুনা হলে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি শেখ আশরাফ আলী’র সভাপতিত্বে প্রধানঅতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা ০২ আসনের সংসদ সদস্য নৌ-কমান্ডো ০০০১ বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।
    বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ.কে.এম আনিছুর রহমান, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান চৌধুরী, জাহিদ হাসান আলতু, দৈনিক যুগেরবার্তা পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক আবু নাসের মো. আবু সাঈদ, সাতক্ষীরা পৌরসভার সহকারি প্রকৌশলী কামরুল আখতার তপু, জেলা ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান শাহীন, মীর তাজুল ইসলাম রিপন, কোষাধ্যক্ষ আল-আমিন কবির চৌধুরী ডেভিড, নির্বাহী সদস্য তানজীম কামাল তমাল, মো. আব্দুল মান্নান, ইদ্রিস আলী বাবু, খন্দকার আরিফ হাসান প্রিন্স, মীর্জা মনিরুজ্জামান কাকন, কাজী আকতার হোসেন, এ্যাড. জহুরুল হায়দার বাবু, পৌর কাউন্সিলর ফারহা দীবা খান সাথী, হাবিবুর রহমান রিন্টু, একরামুল ইসলাম লালু, মাসুম বিল্লাহ, সৈয়দ জয়নুল আবেদীন জসি, মহিনুর রহমান, মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন, কাউন্সিলর শেখ আব্দুস সেলিম, সন্তোষ ঘোষ, মো. আনোয়ার হোসেন চান্দু, শেখ মুজিবুর রহমান, শেখ মুসফিকুর রহমান মিল্টন, মো. আনছার ইসলাম শামীম প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ.কে.এম আনিছুর রহমানের জন্মদিনের কেক কাটা হয়। আলোচনা সভা শেষে আরাধনা একাডেমি ও ব্যান্ড তরী’র শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোঙ্গ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়।

  • কলারোয়ার কাকডাঙ্গায় প্রাক্তন খেলোয়াড়দের ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত

    কলারোয়ার কাকডাঙ্গায় প্রাক্তন খেলোয়াড়দের ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত


    সীমান্ত প্রতিনিধি, কলারোয়া: কলারোয়ার কাকডাঙ্গায় স্থানীয় প্রাক্তন খেলোয়াড়দের প্রীতি ফুটবল ম্যাচে মোটা দল বিজয়ী হয়েছে। সোমবার (২রা নভেম্বর) বিকালে উপজেলার কেড়াগাছি ইউনিয়নের কাকডাঙ্গায় স্থানীয় ইউপি সদস্য ইয়ার আলীর ব্যবস্থাপনায় ও কাকডাঙ্গা তরুণ সংঘের আয়োজনে অনুষ্ঠিত ঐ ফুটবল ম্যাচে অংশগ্রহণ করেন স্থানীয় প্রাক্তন খেলোয়াড়দের সমন্বয়ে মোটা ফুটবল একাদশ ও চিকন ফুটবল একাদশ ।
    খেলার প্রথমার্ধে গোলশূন্য বিরতির পর দ্বিতীয়ার্ধে উভয় দল আক্রমণ পাল্টা আক্রমণ করলেও কোনো দল গোল করতে না পারায় খেলাটি টাইব্রেকারে গড়ায় । প্রথম টাইব্রেকারে গোলশূন্য ড্র হলে দ্বিতীয় টাইব্রেকারে মোটা দলের খেলোয়াড় প্রভাষক হাবিবুর রহমান লাল্টুর গোলে মোটা দল ১-০ গোলে মোটা দল জয় লাভ করে।
    খেলায় সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক সানোয়ার হোসেন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এসএম আফজাল হোসেন হাবিল, স্থানীয় ইউপি সদস্য ইয়ার আলী,সীমান্ত প্রেসক্লাবের সভাপতি অহিদুজ্জামান খোকা, সহ সভাপতি খায়রুল আলম (কাজল সরদার), অর্থ ও আইন বিষয়ক সম্পাদক হোসেন আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুর রহমান, স্থানীয় সমাজ সেবক জামাত আলী সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ।

  • পাইকগাছায় ফিশারিজ প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত

    পাইকগাছায় ফিশারিজ প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত


    পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি: পাইকগাছায় সাসটেইনেবল কোস্টাল এ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্পের উপজেলা অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকালে অফিসার্স ক্লাব মিলনায়তনে মৎস্য অধিদপ্তর ও সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (এসডিএফ) এ অবহিতকরণ সভার আয়োজন করে। সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার ভারপ্রাপ্ত মুহাম্মদ আরাফাতুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, মৎস্য অধিদপ্তর খুলনার বিভাগীয় উপ-পরিচালক নারায়ন চন্দ্র মন্ডল। বিশেষ অতিথি ছিলেন, নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার ইকবাল মন্টু, প্রকল্পের খুলনা বিভাগীয় উপ-প্রকল্প পরিচালক সরোজ কুমার মিস্ত্রী, এসডিএফ প্রকল্প সমন্বয়কারী আব্দুল বারি আনসারী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা পবিত্র কুমার দাস। প্রকল্পের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আঞ্চলিক কর্মকর্তা রওনক ফেরদৌস। পাইকগাছা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি মোঃ আব্দুল আজিজের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সরদার আলী আহসান, সমবায় কর্মকর্তা বেনজির আহম্মেদ, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান, বন কর্মকর্তা প্রেমানন্দ রায়, পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা রুহুল আমিন, সহকারী মৎস্য অফিসার এসএম শহিদুল্লাহ, প্রকল্পের ক্লাস্টার অফিসার নাসিম আহম্মেদ, যুবলীগনেতা এমএম আজিজুল হাকিম, পাইকগাছা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি তৃপ্তি রঞ্জন সেন, যুগ্ম-সম্পাদক এন ইসলাম সাগর, মৎস্য ব্যবসায়ী সংগঠনের সভাপতি আব্দুল জব্বার, শেখ রফিকুল ইসলাম, ছাত্রলীগনেতা রায়হান পারভেজ রনি, ক্ষেত্র সহকারী রণধীর সরকার ও আল-আমিন। সভায় বক্তারা বলেন, প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের জীবন মানের উন্নয়নের মাধ্যমে দারিদ্র বিমোচন, পরিবেশ সুরক্ষিত রেখে উপকূলীয় এবং সামগ্রীক মৎস্যজীবীদের অবদান বৃদ্ধি করা। অতিদরিদ্র ও দরিদ্র মৎস্যজীবী কমিউনিটি সদস্যদের অংশগ্রহণের ভিত্তিতে বিকল্প আয়ের মাধ্যমে জীবনমান এর টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা। প্রকল্পের আওতায় উপকূলীয় অঞ্চলের ১৩টি জেলার ৪৫টি উপজেলার পিছিয়ে পড়া ৪৫০টি গ্রাম অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। ৬০ হাজার মৎস্যজীবী পরিবারকে এই প্রকল্পের আওতায় সুবিধা প্রদান করা হবে।

  • খুলনা সিটি মেয়রের গাড়ির সঙ্গে করিমনের সংঘর্ষ

    খুলনা সিটি মেয়রের গাড়ির সঙ্গে করিমনের সংঘর্ষ


    মশাল ডেস্ক: খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেককে বহনকারী পাজেরো গাড়ির সঙ্গে করিমনের (শ্যালো ইঞ্জিনচালিত তিন চাকার বাহন) সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।সোমবার (২ নভেম্বর) সকাল ৯টার দিকে খুলনা-মোংলা মহাসড়কের সুকদাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।সংঘর্ষের সময় সিটি মেয়র গাড়িতে ছিলেন।বাগেরহাটের রামপালে একটি উন্নয়নমূলক কাজ পরিদর্শনে তিনি খুলনা থেকে ওই সড়ক দিয়ে যাচ্ছিলেন। দূর্ঘটনায় গাড়ির পেছনের অংশ কিছুটা ক্ষতিগ্রস্থ হলেও মেয়র বা অন্য কেউ আহত হননি। এ ঘটনায় করিমনের চালক পালিয়ে গেছেন। তবে ঘাতক করিমনটিকে জব্দ করেছে পুলিশ।
    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, খুলনা-মোংলা মহাসড়কের সুকদাড়া এলাকায় সিটি মেয়রের গাড়ির সামনে হঠাৎ একটি করিমন এসে থামে। এসময় মেয়রের গাড়িটির চালক গাড়ির গতি কমালে পেছন থেকে আরেকটি করিমন এসে ধাক্কা দেয়।এতে গাড়ির পেছনের অংশ কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে গাড়িতে থাকা মেয়রসহ চারজনের কেউই আহত হননি।
    কাটাখালি হাইওয়ে থানার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনায় সিটি মেয়রের গাড়িটির পেছনের গ্লাস ভেঙে গেছে। বড় ধরনের কোনো ক্ষতি হয়নি। দুর্ঘটনার পর তাৎক্ষণিক করিমনের চালক পালিয়ে গেছেন। তবে করিমনটিকে জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনও কোনো মামলা হয়নি।
    এর আগে ২০১৯ সালের ২৪ আগস্ট কেসিসি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের গাড়ি সঙ্গে একটি প্রাইভেটকারের সংঘর্ষ হয়। আড়ংঘাটা বাইপাস সড়কের মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে মেয়রকে বহনকারী গাড়িটি আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হলেও কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। প্রাইভেটকারটির সামনের অংশের বেশ কিছু ক্ষতিগ্রস্থ হয়।

  • কলারোয়ায় ২ আসামি গ্রেপ্তার

    কলারোয়ায় ২ আসামি গ্রেপ্তার


    কলারোয়া প্রতিনিধি: কলারোয়া থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ফেন্সিডিল ও গাঁজাসহ ১ ব্যক্তি এবং ওয়ারেন্টভুক্ত ১ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। থানা সূত্র জানায়, সোমবার থানার এসআই হামিদুল ইসলাম এবং এএসআই নুরুজ্জামান, কামাল হোসেন ও রকিবুল হাসানসহ সঙ্গীয় ফোর্স অভিযান চালিয়ে উপজেলার সীমান্তবর্তী মদনপুর গ্রামের নিছার আলি মোল্যার ছেলে রাসেল মোল্যার বসত বাড়ি থেকে ৭ বোতল ফেন্সিডিল ও ১শ’ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করে। এসময় রাসেল মোল্যাকে(৩৮) গ্রেপ্তার করা হয়। অপরদিকে, উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রাম থেকে ওয়ারেন্টভুক্ত ১ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি ওই গ্রামের মৃত মোছাব্দি মোড়লের ছেলে মো: হারুন।

  • দেবহাটায় মাদক বিরোধী সাইকেল র‌্যালীও পথ সভা

    দেবহাটায় মাদক বিরোধী সাইকেল র‌্যালীও পথ সভা


    দেবহাটা সংবাদদাতা: “মাদককে না বলুন, জীবনকে সুন্দর করুন” এই স্লোগানকে সামনে রেখে দেবহাটার পারুলিয়াস্থ স্বে”ছাসেবী সংস্থা ফেয়ার মিশনের আয়োজনে মাদক বিরোধী সাইকেল র‌্যালী ও পথ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেবহাটা উপজেলা সহ সর্বস্তরের জনগনকে মাদকের বিরুদ্ধে জনসচেতন করার লক্ষ্যে দেবহাটায় এই প্রথম সবচাইতে বড় মাদক বিরোধী প্ররোচনামূলক সাইকেল র‌্যালী অনুষ্ঠিত হয়। ২ নভেম্বর সোমবার সকাল ৯ টায় বহেরা বাজারে অবস্থিত শহিদ মিনারে উক্ত অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য মুনসুর আহমেদ।
    অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেবহাটা উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান সবুজ, দেবহাটা উপজেলা আওয়ামীলীগের সধারন সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, জেলা আওয়ামীলীগ নেতা আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম, রাফসান গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু হাসান, কুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আসাদুল ইসলাম, পারুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
    উদ্বোধনের পরে কুলিয়া বাজারে পথ সভায় বক্তব্য রাখেন কুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আসাদুল ইসলাম।পারুলিয়ায় শহীদ আবু রায়হান চত্ত্বরে পথ সভায় রখেন পারুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম। সখিপুরে পথ সভায় বক্তব্য রাখেন সখিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ ফারুক হোসেন রতন ও দেবহাটা থানার তদন্ত ওসি উজ্জ্বল কুমার মৈত্র।গাজীরহাট বাজারে পথ সভায় বক্তব্য রাখেন দেবহাটা থানার মহিলা এস আই হাসিনা বেগম।
    দেবহাটা উপজেলা সদরে পথ সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সবেক যুগ্ন সম্পাদক আনোয়ারুল হক। পথসভা সমুহে সভাপতিত্ব করেন দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা। পথ সভা শেষে পারুলিয়া শহীদ আবু রায়হান চত্বরে সমাপনি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দেবহাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি। উক্ত সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পারুলিয়া ফেয়ার মিশনের সভাপতি কাদের মহিউদ্দিন।

  • মণিরামপুরে আলু সবজির দাম সাধারণের নাগালের বাইরে

    মণিরামপুরে আলু সবজির দাম সাধারণের নাগালের বাইরে


    মণিরামপুর (যশোর) সংবাদদাতা: সরকারের বেঁধে দেওয়া ৩৫ টাকা দামে আলু মিলছে না যশোরের মণিরামপুরে। স্থানভেদে আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫; এমনকি ৫০ টাকায়। বিক্রেতারা যে যেমন পারছেন, তেমন দামে বিক্রি করছেন এই নিত্যপণ্যটি। ফলে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে পাঁচ থেকে ১৫ টাকা বেশি দামে আলু কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। এই অবস্থা থেকে জনগণকে রেহাই দিতে প্রশাসনিক কোনো তৎপরতাও দেখা যাচ্ছে না।
    এদিকে বাজারে শীতকালীন আগাম সবজি উঠলেও বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। সারা বছর উৎপাদিত হয়- এমন সবজির দাম বেশি। ফলে ভীষণ কষ্টে আছেন স্বল্পআয়ের মানুষেরা।
    সোমবার মণিরামপুর খুচরা কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, আলু কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪২ টাকা। আর গ্রামাঞ্চলে আলুর কেজি ৪৫-৫০ টাকা। তবে মাসখানেক ধরে স্থির রয়েছে পেঁয়াজ ও রসুনের দাম; পেঁয়াজ ৮০-৯০ ও রসুন ৯০-১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
    মণিরামপুর খুচরা বাজারে কাঁচা কলা ৫০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, উচ্ছে ৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, বরবটি ৭০ টাকা, শিম ১২০ টাকা, টমেটো ১০০ টাকা, ফুলকপি ৭০ টাকা ও মুলা ৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে; যা গত মৌসুমের তুলনায় কেজিপ্রতি প্রায় দ্বিগুণ বলে জানিয়েছেন খুচরা বিক্রেতারা। উপজেলার বাকোশপোল গ্রামের ক্রেতা রাজু হোসেন জানান, স্থানীয় বাকোশপোল হাট থেকে ৪৫ টাকায় এক কেজি আলু কিনেছেন।
    মণিরামপুর খুচরা কাঁচাবাজার কমিটির সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আলুর দাম ৩০ বা ৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে মিডিয়ায় দেখেছি। কিন্তু খুচরা বিক্রেতারা ৩৭ টাকা দরে আলু কিনছে। তাহলে বেঁচবে কত টাকায়?’ তিনি বলেন, বাজারে শীতকালীন সবজি যা উঠেছে তার দাম গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ। অন্য সবজির দাম কমছে না। বেশ কিছুদিন ধরে স্থিতিশীল রয়েছে। আগামী দুই সপ্তাহ আবহাওয়া ভালো থাকলে সবজির দাম কিছুটা কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।
    মণিরামপুর পাইকারি বাজারের আলু ব্যবসায়ী শাহাবুদ্দীন বলেন, ‘গতকাল কোল্ড স্টোরেজ থেকে আলু কিনেছি ৩৭ টাকা করে,তা আজ ৩৮ টাকায় বিক্রি করেছি।
    মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ জাকির হাসান বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে মণিরামপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চলমান রয়েছে। অভিযান আরো জোরদার করা হবে।

  • ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন প্রয়োজন : জিএম কাদের

    ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন প্রয়োজন : জিএম কাদের

    অনলাইন রিপোর্টার ॥ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনের প্রয়োজন রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের।

    ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) রজতজয়ন্তী উৎসব উপলক্ষে শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর কাকরাইল ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘রিপোর্টার্স চ্যালেঞ্জ: রিয়েল নিউজ ভার্সেস ফেক নিউজ’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

    জিএম কাদের বলেন, আমরা জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের বিষয়ে সংসদে কথা বলেছিলাম। এ আইনের যে ধারাগুলো নিয়ে আপনাদের আপত্তি রয়েছে, সেগুলো বাতিলের দাবি করেছিলাম। কিন্তু আমাদের সংসদীয় পদ্ধতি এমন যে, সরকার যেটা চাইবে তার বাইরে সংসদের যাওয়ার কোনো উপায় নেই। আমি মনে করি, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন সংশোধনের প্রয়োজন আছে। আপনারা চাইলে আমরা আবারও বিষয়টি সংসদে তুলে ধরতে পারি।

    সাংবাদিকরা সমাজের উন্নয়নে বড় ধরনের ভূমিকা পালন করছেন। আমরা চাই সেই ভূমিকা সাংবাদিকরা ভবিষ্যতে আরও দক্ষতার সঙ্গে পালন করবেন। সাংবাদিকদের সেই ভূমিকা পালন করতে গিয়ে যে সুযোগ সুবিধা প্রয়োজন আমরা রাজনীতিবিদরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো।

    জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ফেক আইডি দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অপব্যবহার করা হচ্ছে। আমি মনে করি, এসব বিষয়ে সরকারের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। কেউ ফেক আইডি খুলে সামাজিক মাধ্যমে যেন কোনো ধরনের অপপ্রচার না চালাতে পারেন। দেশের বাইরে থেকেও অনেক সময় নানা ধরনের অপপ্রচার চালানো হয়। আমাদের দেশের মিডিয়াগুলোকে যদি সব ধরনের কথা বলার সুযোগ করে দেওয়া হয়, তাহলে দেশের বাহির থেকে প্রচারিত অপপ্রচার খুব বেশি ফলপ্রসূ হবে না।

    বিশেষ অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হয়ে আলোচনায় অংশ নেন- দ্য ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহ্ফুজ আনাম, দৈনিক নয়া দিগন্ত সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শফিউল আলম প্রধান।

    মাহমুজ আনাম বলেন, বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ার ভূমিকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এসব সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক সময় ফেক নিউজ প্রচারিত হয়। তাই আমাদের আরও বেশি নিষ্ঠাবান, নিজেদের দক্ষতার উন্নয়ন এবং আধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত সত্য সংবাদ পরিবেশন করতে হবে। তাহলে পাঠক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত ফেক নিউজ থেকে মুলধারার গণমাধ্যমে ফিরে আসবে।

    সেমিনারে মূলপ্রবন্ধ পাঠ করেন একাত্তর টিভির হেড অব নিউজ শাকিল আহমেদ।

    আলোচনা করেন ডেইলি সান সম্পাদক এনামুল হক চৌধুরী, ডেইলি এশিয়ান এইজের কনসালটেন্ট এডিটর মোস্তফা কামাল মজুমদার, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, নিউইয়র্ক টাইমসের সাংবাদিক জুলফিকার আলি মানিক।

    সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ডিআরইউ সাবেক সভাপতি এম শফিকুল করিম ও ডিআরইউর অর্থ সম্পাদক জিয়াউল হক সবুজ।

  • আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)

    আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)

    ইসলাম ধর্মের সর্বশেষ নবী ও রাসুল হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও ওফাতের পুণ্য স্মৃতিময় দিন আজ ১২ রবিউল আউয়াল। সৌদি আরবের মক্কা নগরে ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের এই দিনে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) জন্মগ্রহণ করেন। ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দের একই দিনে তিনি ইহলোক ত্যাগ করেন। বাংলাদেশে দিনটি পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) নামে পরিচিত।

    ১২ রবিউল আউয়ালকে অশেষ পুণ্যময় ও আশীর্বাদধন্য দিন হিসেবে বিবেচনা করেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। আরব জাহান যখন পৌত্তলিকতার অন্ধকারে ডুবে গিয়েছিল, তখন হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে বিশ্বজগতের জন্য রহমতস্বরূপ পাঠিয়েছিলেন মহান আল্লাহ।

    হজরত মুহাম্মদ (সা.) নবুয়তপ্রাপ্তির আগেই ‘আল-আমিন’ নামে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। তাঁর এই খ্যাতি ছিল ন্যায়নিষ্ঠা, সততা ও সত্যবাদিতার ফল। তাঁর মধ্যে সম্মিলন ঘটেছিল সমুদয় মানবীয় সদ্‌গুণের: করুণা, ক্ষমাশীলতা, বিনয়, সহিষ্ণুতা, সহমর্মিতা, শান্তিবাদিতা। আধ্যাত্মিকতার পাশাপাশি কর্মময়তাও ছিল তাঁর জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। ইসলামের সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হিসেবে বিশ্বমানবতার মুক্তি ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠা ছিল তাঁর ব্রত। ধর্ম-বর্ণ-সম্প্রদায়নির্বিশেষে সর্বশ্রেষ্ঠ মানবিক গুণাবলির মানুষ হিসেবে তিনি সব কালে, সব দেশেই স্বীকৃত।

    ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণীদিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ধর্মীয় ও পার্থিব জীবনে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর শিক্ষা সমগ্র মানবজাতির জন্য অনুসরণীয়।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মহানবী (সা.)-এর সুমহান আদর্শ অনুসরণের মধ্যেই মুসলমানদের অফুরন্ত কল্যাণ, সফলতা ও শান্তি নিহিত রয়েছে।বিজ্ঞাপন

    পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালনের জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন নানা কর্মসূচি নিয়েছে। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে মহানবী (সা.)-এর ওপর আলোচনা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল। ইসলামিক ফাউন্ডেশন সারা দেশে ১৫ দিনব্যাপী অনুষ্ঠান আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বাদ মাগরিব জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ধর্মীয় আলোচনার উদ্বোধন করা হয়।

    এদিকে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আজ শুক্রবার রাজধানীতে আশেকানে মাইজভান্ডারি অ্যাসোসিয়েশন, আঞ্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভান্ডারিয়া, নারিন্দা দরবার শরিফ, আহলা দরবার শরিফ, রেজভিয়া দরবার শরিফ ও ইসলামী যুবসেনা পৃথক জশনে জুলুশ বের করবে।