Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
বিশেষ সংবাদ Archives - Page 36 of 74 - Daily Dakshinermashal

Category: বিশেষ সংবাদ

  • ডাইনোসরের ছানা

    বইয়ের পাতার ফাঁক গলে এক
    ডাইনোসরের ছানা,
    সন্ধ্যে বেলায় খোকার ঘরে
    যেই না দিল হানা,
    বলল খোকা, ওরে পাজি
    নেই কি রে তোর জানা,
    পরীক্ষা কাল, চুপ করে বোস
    হালুম হুলুম মানা

  • মায়ের ভালোবাসা

    মায়ের ভালোবাসা

    আমির ইশতিয়াক

    অনিক খুব চঞ্চল স্বভাবের বালক। সারাদিন এ বাড়ী ও বাড়ী ঘুরে বেড়ানো যার কাজ। লেখা পড়ার দিকে তেমন কোন মনযোগ নেই। বাবা-মা স্কুলের কথা বললেই বন্ধুদের নিয়ে চলে যায় খেলার মাঠে। খেলার ছলে কখনো কাউকে চিমটি কাটে। কখনো বা ব্যাট দিয়ে কারো মাথা ফাঁটিয়ে দেয়। আবার কখনো রাগে কারো জামা ছিঁড়ে দেয়। ফল খাওয়ার লোভ সামলাতে না পেরে কখনো কখনো অন্যের গাছে ঢিল মারে। একদিন পাশের বাড়ীর কুল গাছে ঢিল মেরে তাদের গরুর পানি খাওয়ার গামলা ভেঙ্গে দেয়। এই নিয়ে চলে দু’পরিবারের মধ্যে তুমুল ঝগড়া। সেই থেকে অনিক আর সেই বাড়ীতে যায় না। দিনে অনন্ত ৪/৫টি নালিশ আসে তার বাবা-মার কাছে। বাবার বকুনি ও মায়ের শাসনে দিন কাটছে তার। তাই এখন আর সে অন্যের গাছে ঢিল ছুঁড়ে না কিন্তু অন্য একটি নেশায় পেয়ে বসেছে তাকে। আর তাহলো পাখি শিকার করা। কারণ সে এতদিনে বুঝতে পেরেছে অন্যের গাছে ঢিল ছুঁড়া অন্যায় কিন্তু পাখি শিকার করা অন্যায় না। পাখির বাসা ভেঙ্গে পাখির ছানা ধরা এখন তার নেশা হয়ে গেছে। বনে জঙ্গলে, আশে পাশের ঝোপ ঝাড়, ক্ষেত-খামারে ঘুরে বেড়ানো এখন তার নিত্যদিনের কাজ। এ কাজে কেউ তাকে বাঁধা দেয় না। কেউ আর এখন পাখির বাসা ভাঙ্গার জন্য তার বাবা-মার কাছে নালিশ করে না। তাই মনের আনন্দে নাওয়া-খাওয়া ভুলে পাখির ছানা ধরার নেশায় দিন রাত ঘুরে বেড়াচ্ছে অনিক।

    অনিকের দুষ্টুমির সংঙ্গী হিসেবে যোগ দিয়েছে তার প্রতিবেশী রবিন। সেই শিশুকাল থেকেই দু’জনে এক সাথে খেলা-ধূলা, মারা-মারি করে আসছে। একদিন দুজনে এক ঝোপের পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। তখন তারা টুনটুনি পাখির ছানার ছিঁ ছিঁ আওয়াজ শুনতে পায়।

    চুপ করে দাঁড়িয়ে থাক এখানে কোন কথা বলবি না। টুনটুনির ছানা ধরার সময় কথা বলা নিষেধ। তোর কথার আওয়াজ পেলে ফুরৎ করে টুনটুনির ছানা চলে যাবে। অনিক তার বন্ধু রবিনকে একথা বলেই টুনটুনির বাসার দিকে চুপি চুপি হাঁটতে লাগল। অনিক আগে রবিন পিছনে। অনিক সামনে থেকে দু’হাতে চেপে ধরে বাসাটি গাছ থেকে ছিঁড়ে ফেলে। আর অমনি বাসার ভেতর থেকে টুনটুনির চারটি ছানা ছিঁ ছিঁ করে কাঁদতে লাগল। কিন্তু সেদিকে অনিকের কোন খেয়াল নেই। তার আনন্দ লাগলো এই ভেবে যে, সে আজ বিরাট কিছু জয় করে ফেলছে। অনেক দিনের শখ ছিল সে টুনটুনির ছানা ধরবে এবং সেটি খাঁচায় বন্দি করে লালন পালন করবে।

    টুনটুনির ছানাগুলোর ছিঁ ছিঁ আওয়াজ পেয়ে মা টুনটুনিটা বাসার কাছে এসে টুনটুন করে আওয়াজ করছে। সন্তান হারানোর শোকে মা টুনটুনিটা কাঁদছে কিন্তু অবুঝ অনিক তার সেই কান্না বুঝে না। মনের আনন্দে অনিক আর রবিন ছানাগুলো নিয়ে বাসায় ফিরে এল। মা টুনটুনিটা বাচ্চার শোকে কাঁদতে কাঁদতে অনিকের পিছে পিছে তার বাড়ীর সামনে আসছে। একবার মা টুনটুনিটা উড়াল মেরে অনিকের কাছে আসে আবার দূরে চলে যাচ্ছে। আর টুনটুন করে কাঁদছে। টুনটুনি বলছে, ‘অনিক আমার বাচ্চাগুলোকে মেরো না। তাদেরতো কোন দোষ নেই। আমিতো তোমাদের কোন ক্ষতি করি নাই। তাহলে কেন তুমি আমার অবুঝ শিশু বাচ্চাগুলোকে ধরে নিলে?’ কিন্তু সেই বোবা পাখির মনের ভাষা অবুঝ অনিক বুঝে না।

    অনিক তার বাবার কাছে বায়না ধরল একটা খাচা এনে দেয়ার জন্য। কারণ সে টুনটুনির ছানাগুলো খাঁচায় বন্দি করে পালবে। অনিকের বাবা চিন্তা করে দেখলো পাখির ছানা লালন পালন করলে হয়তো ছেলের দুষ্টুমিটা একটু কমবে। তাই ছেলের বায়না রাখতে গিয়ে অনিকের বাবা বাজার থেকে খাঁচা কিনে আনলেন। অনিক বাচ্চাগুলো খাঁচায় বন্দি করে রাখল।

    এদিকে সন্ধ্যা ঘনিয়ে এল। শত চেষ্টা করেও যখন মা টুনটুনিটা তার বাচ্চাগুলোকে রক্ষা করতে পারেনি তখন মনের দুঃখে এ বাড়ি ছেড়ে তার নিজ বাসায় ফিরে গেল।

    মা টুনটুনি তার বাচ্চাগুলোকে কোন ধরনের খাবার খাওয়ায় তা অনিকের জানা নেই। টুনটুনির ছানাগুলো নতুন পরিবেশে এসে তাদের কাছে অসহ্য লাগছে। একদিকে মা হারানোর বেদনা অন্যদিকে ক্ষুধার যন্ত্রণা। ক্ষুধার যন্ত্রণায় ছানাগুলো ছিঁ ছিঁ করে কাঁদছে। এ দেখে রাতের বেলা অনিক টুনটুনির বাচ্চাগুলোকে খাওয়ানোর জন্য কিছু চাউল নিল। তাকে দেখে বাচ্চাগুলো হা করল। অমনি অনিক তাদের মুখে চাউল তুলে দেয়। কিন্তু সে চাউল তাদের মুখে ঠিকমত পড়ে না। তাই অনিক বাধ্য হয়ে একটা একটা বাচ্চা ধরে মুখ হা করে টিপে টিপে ইচ্ছে মতো চাউল খাওয়ালো। একটা বাচ্চাকে এমনভাবে খাওয়ালো যে, পেটে আর জায়গা নেই। দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।

    রাত অনেক হলো। অনিক ঘুমিয়ে পড়েছে। সে স্বপ্ন দেখছে তাকে দুজন সন্ত্রাসী ধরে নিয়ে যাচ্ছে। তার মা-বাবা তার পিছে পিছে কাঁদছে আর বলছে, ‘আমার ছেলেকে তোমরা ছেড়ে দাও। অনিক নিজেও মা মা বলে কাঁদছে। কিন্তু কিছুতেই তারা অনিকের বাবা-মায়ের কথা শুনছে না। এক সময় তারা অনিকের চোখ বেধে এক নির্জন জায়গায় নিয়ে যায়। অনেক রাত হলে তারা তাকে খাবার দেয়। অনিকের পেটে ক্ষুধা থাকা সত্ত্বেও তাদের খাবার খাচ্ছে না। তখন তারা অনিককে গলা টিপে ধরে খাওয়াচ্ছে। এ দৃশ্য দেখে অনিক হাউ-মাউ করে কেদে ঘুম থেকে উঠল। কান্নার আওয়াজ পেয়ে অনিকের বাবা-মাও ঘুম থেকে উঠল। অনিকের বাবা বলল, কি হয়েছো তোর কোন খারাপ স্বপ্ন দেখছিস?

    অনিক তখন চিৎকার করছে আর বলছে আমার টুনটুনির ছানা কোথায়? এই বলেই দৌঁড়ে পাখির খাঁচার দিকে ছুটে গেল। খাঁচাটি খুলে দেখলো একটি ছানা মারা গেছে এবং ঐ ছানাটির সারা শরীরে পিঁপড়া কামরাচ্ছে। এ দৃশ্য দেখে সে আরো জোরে হাউ-মাউ করে কাঁদছে।

    পরদিন সকাল বেলা তার মামা আমির আসল বেড়াতে। অনিকের মামা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞানে মাস্টার্স করেছে। অনিক তার পাখির ছানার ঘটনাটি ও স্বপ্নের কথা তার মামার কাছে খুলে বলে। মামা সব ঘটনা শুনে বলল, দেখ অনিক মা-বাবা যে তার সন্তানকে কত ভালোবাসে তা তুমি স্বপ্নে দেখতে পেয়েছো। আজ সত্যি সত্যি যদি তোমাকে কেউ ধরে নিয়ে যায় তাহলে তোমার মা নিশ্চয় কষ্ট পাবে?

    অনিক মাথা নাড়িয়ে বললো, হ্যাঁ।
    তুমিও তোমার মায়ের জন্য কষ্ট পাবে?
    হ্যাঁ।
    তেমনি টুনটুনির ছানাগুলো ধরে আনাতে টুনটুনির মা-বাবাও নিশ্চয় কষ্ট পেয়েছে তাই না?
    হ্যাঁ মামা।
    আর বচ্চাগুলোতো তাদের মায়ের জন্য কষ্ট পেয়েছে।
    হ্যাঁ মামা।
    অন্য পরিবেশে তাদের খাবার দেয়াতেও খেতে কষ্ট হয়েছে। তুমি জোর করে তাদের খাওয়ানোর ফলে পেট ফেপে একটি বাচ্চা মারা গেল। এই কাজটা কি তুমি ভাল করেছে?
    অনিক নিশ্চুপ হয়ে গেল।
    কি হলো বলো কাজটা কি ভালো হয়েছে? অন্যকে কষ্ট দিলে নিজেও কষ্ট সহ্য করতে হয়। তোমার যেমন প্রাণ আছে ঐ টুনটুনিরওতো প্রাণ আছে।
    অনিক অনুতপ্ত হয়ে বললো, মামা আমার ভুল হয়েছে। আমি কাজটি ঠিক করিনি। আর কোনদিন পাখির ছানা ধরব না।
    তাহলে এখন তাদেরকে তার মায়ের কাছে দিয়ে আসো।
    ঠিক আছে মামা।

    অনিক মৃত ছানাটি ফেলে দেয় আর মামার কথামতো মামাকে সাথে নিয়ে অনিক অন্য তিনটি ছানা নিয়ে টুনটুনির বাসায় রেখে আসে। অনিক ছানাগুলো বাসায় দিতেই মা টুনটুনি বাসায় আসল। এসেই বাচ্চাগুলোকে পেয়ে আনন্দে টুনটুন করে উঠল। আর এ দৃশ্য দেখে অনিক ও তার মামার চোখ বেয়ে আনন্দের অশ্রু ঝড়ে পড়ল।

  • দলে খালেদা-তারেকের মতের অমিল

    দলে খালেদা-তারেকের মতের অমিল

    • জহুরুল কবীর:

    মা খালেদা জিয়ার সঙ্গে অনেক বিষয়ে ছেলে তারেক রহমানের মতের মিল হচ্ছে না। স্থায়ী কমিটিতে শূন্য পদ নিয়ে তিক্ততা সৃষ্টি হয়েছে জ্যেষ্ঠ নেতাদের মধ্যে।

    বিএনপিতে মা-ছেলের দ্বন্দ্ব চলছে—মাঝেমধ্যেই এমন আলোচনা শোনা যায়। নানা বিষয়ে মা খালেদা জিয়ার সঙ্গে ছেলে তারেক রহমানের মতের অমিলের কথাও দলের ভেতর আলোচনা আছে। আসলে পরিস্থিতি কী?

    গত সেপ্টেম্বরের কথা। ঢাকা-৫ আসনের উপনির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন পান সালাহউদ্দিন আহমেদ, যিনি ২০১৮ সালের নির্বাচনে ঢাকা-৪ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন। তখন ঢাকা-৫ আসনে প্রার্থী ছিলেন নবীউল্লাহ। তাঁর মনোনয়ন হয় দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ইচ্ছায়। এবার নবীউল্লাহর বদলে সেখানে সালাহউদ্দিন আহমেদকে প্রার্থী করতে ভূমিকা রাখেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বাদ পড়েন নবীউল্লাহ।

    পরিবারের ঘনিষ্ঠজন সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-৫ আসনে উপনির্বাচনে প্রার্থী বদল নিয়ে মায়ের সঙ্গে তারেকের একচোট রাগ-অনুরাগও হয়েছে। দলের বিভিন্ন বিষয়ে এমনটা জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গেও হচ্ছে। খালেদা জিয়া দুদকের মামলায় দণ্ডিত হওয়ার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিচ্ছেন তারেক রহমান।

    দলীয় সূত্রগুলো বলছে, বর্তমান সংসদে বিএনপির সাংসদদের যোগদানের প্রশ্নেও খালেদা জিয়ার সঙ্গে মতভিন্নতা ছিল তারেক রহমানের। ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করার পর নাটকীয়ভাবে সংসদে যোগ দেয় বিএনপি। শেষ মুহূর্তে লন্ডন থেকে এ সিদ্ধান্ত দেন তারেক রহমান। পরে খালেদা জিয়া এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন।

    ২০১৮ সালের নির্বাচনে ২০ দলের শরিক জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীদের ‘ধানের শীষ’ প্রতীক দেওয়া নিয়েও দুজনের ভিন্ন অবস্থান ছিল। তারেক রহমানসহ দলের স্থায়ী কমিটির মত ছিল, যেহেতু জামায়াতকে একটু আলাদা রাখতেই বিএনপি জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করেছে, তাই দলটিকে ‘ধানের শীষ’ না দেওয়াই ভালো। কিন্তু শেষ মুহূর্তে কারাগার থেকে খালেদা জিয়ার বার্তা আসে জামায়াতকে ‘ধানের শীষ’ দেওয়ার।

    এ বিষয়ে দলের জ্যেষ্ঠ নেতা ও স্থায়ী কমিটির সদস্য জমিরউদ্দিন সরকারের ব্যাখ্যা একটু ভিন্ন। তিনি বলেন, ‘জামায়াতকে ছাড়ার জন্য চাপ আছে। আমাদের কিছুসংখ্যক লোক এটা চায়। সরকারও তাদের ব্যাক (সহযোগিতা) করছে। কিন্তু বিষয়টি রাজনৈতিক কৌশলগত। ঐক্যের লক্ষ্যেই জামায়াতকে ধানের শীষ প্রতীক দেওয়া হয়েছিল।’

    সর্বশেষ সরকারের নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়া শর্তসাপেক্ষ মুক্তি চাননি বলে দলে গুঞ্জন আছে। এ কাজে সমঝোতায় মুখ্য ভূমিকা রাখেন খালেদা জিয়ার ভাইবোনসহ পরিবারের সদস্যরা।

    ‘জামায়াতকে ছাড়ার জন্য চাপ আছে। আমাদের কিছুসংখ্যক লোক এটা চায়। সরকারও তাদের ব্যাক (সহযোগিতা) করছে। কিন্তু বিষয়টি রাজনৈতিক কৌশলগত। ঐক্যের লক্ষ্যেই জামায়াতকে ধানের শীষ প্রতীক দেওয়া হয়েছিল।’

    জমিরউদ্দিন সরকার, জ্যেষ্ঠ নেতা ও স্থায়ী কমিটির সদস্য

    বিএনপির উচ্চপর্যায়ের একাধিক সূত্র জানায়, সাইফুল আলম ওরফে নীরবকে যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি করা নিয়েও খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান অনেকটা বিপরীত অবস্থানে ছিলেন। এ পদে খালেদা জিয়া চেয়েছিলেন শহীদ উদ্দীন চৌধুরীকে (এ্যানি)। শেষ পর্যন্ত সাইফুল আলমকেই সভাপতি করেন তারেক রহমান। সাইফুল ইসলামকে এখন বিএনপির মহানগর কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়ার চিন্তাও আছে বলে জানা গেছে।

    এ ধরনের পরিস্থিতি দলের নেতা-কর্মীদের ভেতরে নানা প্রশ্ন ও প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করছে। এর রেশ পড়ছে দলের নীতিনির্ধারণে এবং মাঠপর্যায়ে দল পুনর্গঠনেও।

    এ বিষয়ে স্থায়ী কমিটির তিনজন সদস্যের সঙ্গে কথা হয় প্রথম আলোর। তাঁদের দাবি, খালেদা–তারেকের মতবিরোধ ‘একেবারে অসত্য’। এর সঙ্গে জমিরউদ্দিন সরকার যুক্ত করেন, ‘অনেক সময় এমন কিছু ইস্যু থাকে, যেগুলো আমরা স্থায়ী কমিটিতে আলোচনার পর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে বলি, আপনি আপনার মায়ের (খালেদা জিয়া) সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেন।’

    স্থায়ী কমিটিতে শূন্যতা, তিক্ততা

    বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্ষদ স্থায়ী কমিটির ১৯টি পদের এখনো চারটি শূন্য আছে। এই শূন্যতা দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে জ্যেষ্ঠ নেতাদের তিক্ততার একটা কারণ হয়ে উঠেছে বলেও জানা গেছে। যার বহিঃপ্রকাশ সম্প্রতি তিন ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, হাফিজউদ্দিন আহমেদ ও শাহজাহান ওমর দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কড়া সমালোচনা করেন।

    এ বিষয়ে দলের মহাসচিবসহ পাঁচজন জ্যেষ্ঠ নেতার সঙ্গে কথা হয়। তাঁরা বলছেন, স্থায়ী কমিটিতে পদ না দেওয়ার মনঃকষ্ট থেকে তাঁরা এই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

    নেতা-কর্মীদের অনেকে বলছেন, ২০১৬ সালের মার্চে বিএনপির কেন্দ্রীয় সম্মেলন হয়। এর ৩৯ মাস পর গত বছরের ১৯ জানুয়ারি দলের স্থায়ী কমিটিতে নেওয়া হয় সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদকে। তখন এ নিয়ে দলে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছিল। কারণ, এ সিদ্ধান্তে জ্যেষ্ঠ অনেকে উপেক্ষিত হন। এর রেশ এখনো রয়ে গেছে।

    ‍‍‍‍‘দলের প্রধান মুক্ত নন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান দেশের বাইরে—এ রকম একটা পরিস্থিতিতেও দল ঐক্যবদ্ধ। দুটি ভিন্ন মেরুর জোটকে সঙ্গে নিয়ে আমরা একটি নির্বাচনও করেছি। মানুষ ভোট দিতে পারলে ফলাফল কী হতো সবাই জানে। এসব ছোট করে দেখার উপায় নেই।’

    মির্জা ফখরুল

    বর্তমানে দলের স্থায়ী কমিটিতে আছেন ১৫ জন। খালেদা জিয়া মুক্ত নন, তারেক রহমান দেশে নেই। রফিকুল ইসলাম মিয়া গুরুতর অসুস্থ। ভারতে অনুপ্রবেশের মামলায় সে দেশে রয়েছেন সালাহউদ্দিন আহমেদ। স্থায়ী কমিটি থেকে অব্যাহতি চেয়ে চিঠি দিয়েছেন সাবেক সেনাপ্রধান মাহবুবুর রহমান। সেটি গৃহীত হওয়া না হওয়ার ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। ​ফলে ১৯ সদস্যের স্থায়ী কমিটিতে এখন সর্বোচ্চ ১১ জনের উপস্থিতিতে সভা হয়।

    ২০১৬ সালে দলের ষষ্ঠ কেন্দ্রীয় সম্মেলনের পর থেকেই স্থায়ী কমিটি নিয়ে গুঞ্জন চলছে। প্রায়ই খবর হয়, ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজউদ্দিন আহমেদ, আবদুল্লাহ আল নোমান, খন্দকার মাহবুব হোসেন, আবদুল আউয়াল মিন্টু ও মো. শাহজাহান স্থায়ী কমিটিতে যুক্ত হচ্ছেন। প্রশ্ন হচ্ছে, শূন্য পদগুলো কি পূরণ হবে?

    বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, খালেদা জিয়ার অবর্তমানে স্থায়ী কমিটিকে​ নিজের মতো করে তৈরি করতে চাইছেন তারেক রহমান। সে লক্ষ্যে সেলিমা রহমানকে নারী কোটায়, ইকবাল হাসান মাহমুদকে নিজের পছন্দে কমিটিতে আনেন। সামনে যাঁরা এ পদ পাবেন, তাঁরাও এ বিবেচনাতেই আসবেন বলে জানা গেছে।

    এ নিয়ে অস্বস্তি আছে জ্যেষ্ঠ নেতাদের। অবশ্য দলে এমন কথাও দীর্ঘদিন থেকে চালু আছে যে জ্যেষ্ঠ নেতারা খালেদা জিয়ার সঙ্গে কাজ করতে যতটা স্বস্তিবোধ করেন, তারেক রহমানের সঙ্গে তা পান না। এ প্রসঙ্গে দলের একটি সূত্র গত সেপ্টেম্বর মাসে স্থায়ী কমিটির এক সভায় একটি ঘটনার উল্লেখ করেন। তিনি জানান, সাংগঠনিক বিষয়ে স্থায়ী কমিটির এক সদস্যের একটি বক্তব্যে তারেক রহমান যে প্রতিক্রিয়া দেখান, তাতে ওই সদস্য খুবই মনঃক্ষুণ্ন হন। তৎ​ক্ষণাৎ ওই নেতা বলেন, দলের বিষয়ে তিনি আর কখনো কিছু বলবেন না।

    বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘স্থায়ী কমিটিতে যেকোনো বিষয়ে দ্বিমতের চর্চা আছে, কিন্তু মূল নেতৃত্ব নিয়ে আমাদের মধ্যে এতটুকুও দ্বিমত নেই।’ তিনি বলেন, ‘দলের প্রধান মুক্ত নন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান দেশের বাইরে—এ রকম একটা পরিস্থিতিতেও দল ঐক্যবদ্ধ। দুটি ভিন্ন মেরুর জোটকে সঙ্গে নিয়ে আমরা একটি নির্বাচনও করেছি। মানুষ ভোট দিতে পারলে ফলাফল কী হতো সবাই জানে। এসব ছোট করে দেখার উপায় নেই।’

    দল পুনর্গঠন কত দূর?

    ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচন ঠেকানোর আন্দোলনে ব্যর্থ হওয়ার পর ওই বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি সংবাদ সম্মেলন ডেকে খালেদা জিয়া বলেছিলেন, দল গুছিয়ে তাঁরা আবার আন্দোলন শুরু করবেন। এরপর ২০১৬ সালে দলের সম্মেলন হয় এবং দল পুনর্গঠনে দায়িত্ব বদল হয়েছে তিনবার—আদতে বলার মতো কিছুই হয়নি।

    দেশের ৬৪ জেলা ও মহানগরে বিএনপির সাংগঠনিক ইউনিট আছে ৮১টি। দলের কেন্দ্রীয় দপ্তর সূত্র বলছে, বর্তমানে পূর্ণাঙ্গ কমিটি আছে মাত্র ৩৯টি ইউনিটে। ২৩টিতে আহ্বায়ক কমিটি, ১৬টিতে আংশিক কমিটি রয়েছে। একটি ইউনিট কমিটি বিলুপ্ত আছে, সেটি হচ্ছে লক্ষ্মীপুর জেলা কমিটি। এর মধ্যে পূর্ণাঙ্গ ও আহ্বায়ক মিলিয়ে ৫২টি কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ। অর্থাৎ​ মেয়াদ আছে মাত্র ১০টির। সেগুলো হচ্ছে লালমনিরহাট, জয়পুরহাট, সিরাজগঞ্জ, কুষ্টিয়া, জামালপুর, শেরপুর, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলা কমিটি।

    যদিও আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণার সময় তিন মাসের মধ্যে সম্মেলন করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কেউই সম্মেলন করতে পারেনি। এমনও আছে, ২০১১-২০১২ সালে কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, সেই কমিটি এখনো বহাল রয়েছে। যেমন ২০০৯ সালে বেগম রাবেয়া চৌধুরী ও আমিনুর রশিদ ইয়াসীনের নেতৃত্বে দুই বছরের জন্য কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা কমিটি দেওয়া হয়। ২০১১ সালের ২৯ নভেম্বর কমিটির মেয়াদ শেষ হয়, সে কমিটি এখনো বহাল রয়েছে।

    বয়স, অসুস্থতা ও শারীরিক অবস্থা—সব মিলিয়ে আগের জায়গায় নেই খালেদা জিয়া। এর সঙ্গে আছে জেল ও মামলা। সার্বিক পরিস্থিতিতে অঘোষিতভাবেই দলের হাল ছেলে তারেক রহমানের হাতে ছেড়ে দিয়েছেন। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর থেকেই কার্যত দল চলছে তারেক রহমানের নেতৃত্বে। এখন খালেদা জিয়া চেয়ারপারসন পদে আছেন, এটুকুই।

    তারেক রহমান খালেদা জিয়া

  • ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী রক্ষায় করোনাকালে কাজ করেছে “চিকিৎসক বার্তা”

    ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী রক্ষায় করোনাকালে কাজ করেছে “চিকিৎসক বার্তা”


    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক পত্রিকা “চিকিৎসক বার্তা” ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রীতে অনুপ্রানিত হয়ে করোনাকালেও অবিরাম কাজ করেছে এবং বর্তমানেও তারা দুই দেশের সম্প্রীতি রক্ষায় বেশ ভাল কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে নব নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার শ্রী বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী। চিকিৎসা বার্তা’র নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও সমাজ কল্যান উপ-কমিটির সদস্য ও সারাদেশে সাতক্ষীরার অধিবাসী চিকিৎসক ও চিকিৎসা বিজ্ঞানে অধ্যয়নরত ছাত্র-ছাত্রীদের সংগঠন ডক্টরস এন্ড মেডিকেল স্টুডেন্ট ফ্রম সাতক্ষীরার আহবায়ক জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. সুব্রত ঘোষ পুরাতন ইন্ডিয়া হাউসে সাক্ষাৎ করে চিকিৎসক বার্তা’র করোনা সংখ্যা হস্তান্তর করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন চিকিৎসক বার্তা’র আন্তর্জাতিক সম্পাদক রাজীব পোদ্দার, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক তথ্য প্রযুক্তিবিদ নিভেল চক্রবর্তী ও সম্পাদক ম-লীর সদস্য ডা. দেবাশীষ সাহা তন্ময়। মান্যবর ভারতীয় হাইকমিশনার চিকিৎসক বার্তার উত্তরোত্তর সম্মৃদ্ধি কামনা করেন এবং করোনাকালে চিকিৎসক বার্তার জনসতেনতামূলক কর্মকা-ের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি এই পত্রিকার সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।

  • হতাশা আর দারিদ্রের আড়ালে এগিয়ে চলেছে প্রতিবন্ধী যুবক

    হতাশা আর দারিদ্রের আড়ালে এগিয়ে চলেছে প্রতিবন্ধী যুবক

    সরোয়ার হোসেন: সদর উপজেলার বকচরা গ্রামের রবিউল ইসলামের শারিরীক প্রতিবন্ধী ছেলে আল-আমিন। হতাশা আর দারিদ্রতার মাঝে থেকেও দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। পিতা ভ্যানচালক রবিউল ইসলামের সংসারে টানা পোড়ন অবস্থা। কোনমতে ভ্যান চালিয়ে দিনের উপার্জনের টাকায় সংসার চালাতে হিমশিম খায়। মা মরা শারিরীক প্রতিবন্ধী যুবক আল-আমিন বকচরা আহমাদিয়া দাখিল মাদরাসায় লেখাপড়া করতেন। সে নবম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করতে পেরেছেন। কিন্তু মা মারা যাওয়ার সংসারের টানাপোড়ন অবস্থার কারণে আর লেখাপড়া করা হয়নি প্রতিবন্ধী যুবকের। ২ ভাইয়ের মধ্যে প্রতিবন্ধী ভাই আল-অমিন বড়। সৎ মায়ের সংসারে দুবেলা দুমুঠো খেতে অনেক ঝড়ঝামটা পোহাতে হয়। তাই তো লেখাপড়া বাদ দিয়ে অসহায় জীবন নিয়ে ছুটে চলেছেন এক দোকান থেকে অন্য দোকানে নিজের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে হাতের কাজ শেখার উদ্দেশ্যে। সুদূর বকচরা থেকে কদমতলা বাজারে ইলেক্ট্রনিক্সের কাজ শিখতে আসে প্রতিবন্ধী যুবক আল-আমিন। কিন্তু অর্থ সংকটে থাকায় সে নিজে তিন চাকার একটি আলগা ভ্যান তৈরি করে খুব কষ্টে চালিয়ে আসতে হয় তাকে। তারপরেও দমে যায়নি সে। সে এখন ইলেক্ট্রনিক্সের কাজ করতে পারে। কিন্তু তার নিজের কোন দোকান না থাকায় অসহায় ও হতাশাগ্রস্থ হয়ে বেকার জীবন-যাপন করছে। প্রতিবন্ধী যুবকের ইচ্ছা একটি দোকান করে নিজে কাজ করে তার ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করবে। নাই তার কোন অর্থনৈতিক সম্বল। তাই সে যদি কোন ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান থেকে সহযোগিতা পায় তাহলে প্রতিবন্ধী যুবক তার অসহায়ত্ব জীবন থেকে মুক্তি পেয়ে নিজে স্বাবলম্বী হতে পারবে এজন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সু-নজর এবং সহযোগিতা কামনা করছে প্রতিবন্ধী যুবক।

  • পুলিশ হওয়ায় অন্ধ করে দেওয়া হলো নারীকে

    পুলিশ হওয়ায় অন্ধ করে দেওয়া হলো নারীকে

    তিনজন আরোহী নিয়ে একটি মোটরসাইকেল আসছিল। ৩৩ বছরের পুলিশ কর্মকর্তা খায়েতেরার দেখা শেষ দৃশ্য এটি। এরপর তিনি আর কিছু দেখতে পাননি। কারণ, মোটরসাইকেল থেকে ওই তিনজন তাঁর দিকে গুলি ছুড়ে। চোখে ছুরিকাঘাত করে।

    এরপর হাসপাতালে আফগান নারী খায়েতেরার জ্ঞান ফেরে। সবকিছু ছিল অন্ধকার। চিকিৎসকদের কাছে জানতে পারেন, চোখে আঘাতের কারণে ব্যান্ডেজ বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তাই তিনি কিছু দেখতে পাচ্ছেন না। কিন্তু খায়েতেরা বুঝতে পারেন, তিনি আর কখনোই কিছু দেখতে পাবেন না।

    রয়টার্সের গতকাল সোমবারের খবরে জানা যায়, কয়েক দিন আগে আফগানিস্তানের গজনি প্রদেশে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ হামলার জন্য খায়েতেরা ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ তালেবান জঙ্গিদের দায়ী করেছে। তবে তালেবানরা হামলায় জড়িত নয় বলে জানিয়েছে।

    তালেবানদের ভাষ্য, হামলাকারীদের ভাড়া করেছিলেন খায়েতেরার বাবা। তিনি খায়েতেরার ঘরের বাইরে কাজ করা পছন্দ করতেন না।বিজ্ঞাপন

    কয়েক মাস আগেই খায়েতেরা গজনি পুলিশের অপরাধ শাখায় যোগ দিয়েছিলেন। দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে খায়েতেরার স্বাধীনভাবে পেশাগত জীবন গড়ার স্বপ্নটাই ভেঙে যায়। রয়টার্সকে তিনি বলেন, ‘ভেবেছিলাম কমপক্ষে এক বছর পুলিশ হিসেবে দায়িত্ব পালন করব। যদি হামলাটা তার পরে হতো, তাহলে দুঃখ কম পেতাম। মাত্র তিন মাস আমি পুলিশে চাকরি করতে পেরেছি।’

    মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, একজন নারীর পুলিশ কর্মকর্তা হওয়াটাই ছিল তালেবান জঙ্গিদের রাগের কারণ।

    আফগানিস্তানে নিযুক্ত অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের কর্মী সামিরা হামিদি রয়টার্সকে বলেন, আফগানিস্তানে নারীদের অবস্থা বরাবরই খারাপ। তবে এই সহিংসতার ঘটনা পরিস্থিতি আরও খারাপ করেছে। তিনি আরও বলেন, তালেবানদের সঙ্গে শান্তিচুক্তির কারণে আফগানিস্তানে নারীদের অধিকার ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

    ছোটবেলা থেকে খায়েতেরার স্বপ্ন ছিল ঘরের বাইরে কাজ করার। স্বাবলম্বী হওয়ার। বাবাকে পাশে না পেলেও স্বামীর সমর্থন পান তিনি। খায়েতেরা বলেন, ‘আমি কাজে যাওয়ার সময় দেখতাম বাবা আমাকে অনুসরণ করছেন। তিনি তালেবানদের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন। আমাকে কাজ করতে বাধা দিতে বলেছিলেন তাঁদের।’

    খায়েতেরা আরও বলেন, বাবা তাঁর পুলিশের পরিচয়পত্র তালেবানদের দিয়েছিলেন। যেদিন হামলা হয়, সেদিন বাবা তাঁকে কয়েকবার ফোন করেন। তাঁর অবস্থান কোথায়, তা জানার চেষ্টা করেন।

    ভেবেছিলাম কমপক্ষে এক বছর পুলিশ হিসেবে দায়িত্ব পালন করব। যদি হামলাটা তার পরে হতো, তাহলে দুঃখ কম পেতাম। মাত্র তিন মাস আমি পুলিশে চাকরি করতে পেরেছি

    খায়েতেরা

    গজনীর পুলিশের মুখপাত্র বলেন, তাঁরা মনে করেন হামলার জন্য তালেবান জঙ্গিরা দায়ী। খায়েতেরার বাবাকে পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তবে তাঁর বাবার সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে পারেনি রয়টার্স।

    তালেবানদের মুখপাত্র জানিয়েছে, তাঁরা হামলার ঘটনা সম্পর্কে জানেন। তবে এটা পারিবারিক বিষয়। তালেবানরা এ ঘটনায় জড়িত নন। খায়েতেরার পরিবার ও তাঁর পাঁচ সন্তান এখন লুকিয়ে আছেন।

    খায়েতেরার সঙ্গে তাঁর পরিবারের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বাবাকে আটক করার জন্য মা তাঁকে দায়ী করেছেন। খায়েতেরা আশা করেন, বিদেশের কোনো দক্ষ চিকিৎসক তাঁর দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিতে পারবেন।

    খায়েতেরা বলেন, ‘যদি আমি দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাই, তাহলে আবার পুলিশের চাকরিতে ফিরে যাব। আমি ঘরে বন্দী থাকতে চাই না। বাইরের জগতে কাজ করতে চাই। আমার অর্থনৈতিক স্বাধীনতাও দরকার।’

  • সিপাহী জনতার অভ্যুথান দিবস উপলক্ষে খাজরায় জাসদের মশাল মিছিল

    সিপাহী জনতার অভ্যুথান দিবস উপলক্ষে খাজরায় জাসদের মশাল মিছিল

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: ৩১ অক্টোবর জাসদের ৪৮ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ৭ নভেম্বর সিপাহী জনতার অভ্যুথান দিবস উপলক্ষে খাজরা ইউনিয়ন জাসদের উদ্যোগে ৭ নভেম্বর শনিবার তুয়ারডাঙ্গা-গদাইপুর বাজার থেকে শুরু হয়ে তুয়ারডাঙ্গা স্কুল বাড়ী বাজারে সমাবেশে মিলিত হয়। খাজরা ইউনিয়ন জাসদ সভাপতি মোহাম্মদ ফজলুল হকের সভাপতিত্বে উক্ত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা জাসদের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আশেক ই এলাহী। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আশাশুনি উপজেলা জাসদের সদস্য সচিব সাহিদুল ইসলাম রুবেল, বড়দল ইউনিয়ন পরিষদের ১ নং ওয়ার্ড সদস্য কমরেড দিলিপ কুমার সানা, ও জেলা জাসদের সহ সম্পাদক সমরাশীষ মন্ডল বিপ্লব।
    প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে সবাইকে ৭ জাসদের পতাকাতলে সমাবেত হওয়ার আহবান জানান। এবং দুর্ণীতি লুটপাটের বিরুদ্ধে জাসদের নেতৃত্বে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহবান জানান।
    এসময় প্রবীণ জাসদ নেতা রুহুল আমিন সরদার, আব্দুস সবুর, টুকু সরদার, হারুন মোল্লা, খাজরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের (জাসদ) সভাপতি মো: রাজু হোসেন, সহ সভাপতি মাইকেল মুখোপাধ্যয়, সাধারণ সম্পাদক সাজেদ আহমেদ লেখন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
    সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ইউনিয়ন জাসদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান সরদার।

  • ভাল নেই বই বিক্রেতারা

    ভাল নেই বই বিক্রেতারা

    রোয়ার হোসেন: সদর উপজেলার কদমতলা বাজারসহ আবাদের হাট বাজার, বাঁশদহা বাজার, ঝাউডাঙ্গা বাজার এলাকার বই বিক্রেতারা ভাল নেই। বিশ্বজুড়ে করোনার থাবায় বাংলাদেশেও স্কুল, কলেজগুলো দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল। আর এ বন্ধ থাকায় বই বিক্রেতাদের বই ব্যবসায় নেমেছে ধস। দীর্ঘ আট থেকে দশ মাস স্কুল কলেজ মাদরাসাসহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকায় নেই কোন বই বিক্রয়, নেই খাতাকলমসহ স্টেশনারী দ্রব্যাদি বিক্রয়। দোকান ঘর খোলা আর বন্ধ করা ছাড়া নেই কোন তাদের কাজ। কদমতলা বাজারের ন্যাশনাল বুক ডিপোর স্বত্বাধীকারী আব্দুল আলিম বলেন, দীর্ঘদিন স্কুল কলেজগুলো বন্ধ থাকায় দোকানে নেই কোন বেচা-বিক্রী, বাড়ি থেকে আসা ও যাওয়া ছাড়া নেই কোন গতি। তাই খুব কষ্টে জীবন-যাপন করছি। এদিকে হতাশার প্রহর গুনে দিন যাপন করছেন বই বিক্রেতারা। অপেক্ষায় আছে কবে স্কুল কলেজগুলো আগের ন্যায় চলবে এই আশায়। অপেক্ষা আর অপেক্ষা। আবাদের হাট বাজারের জ্ঞান তীর্থ লাইব্রেরীর জ্ঞান তীর্থ রায় প্রতিবেদকের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে জানান তার হতাশার কথা। তিনিও একই কথা জানান, দোকানে আসা-যাওয়া ছাড়া নেই কোন কাজ, নেই কোন বিক্রী ও। তিনি আরও জানান, ব্র্যাক থেকে লোন নিয়েছেন তিনি, লোনের কিস্তী পরিশোধ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাকে। কখনও কখনও অন্যের কাছ থেকে ধার/ঋন নিয়ে কিস্তি পরিশোদ করতে হয়। কখনও কিস্তি দিতে বিলম্ব হওয়ায় কটু কথা শুনতে হয় তাকে। বাঁশদহা বাজারের বই ব্যবসায়ী নুর আলী মাষ্টার বলেন, দোকান খুলে কি হবে নাই কোন বিক্রী, তাই বাড়িতে অলস সময় পার করছি। ব্যবসায় নাজুক অবস্থা। এদিকে বই ব্যবসা না থাকায় তাদের সংসারেও টানাপোড়েন অবস্থা, সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। বই ব্যবসা না থাকায় সংসার এবং ব্যবসায়িক ভাবনা তাদের দুঃচিন্তায় পরিণত হয়েছে। মানসিক চিন্তা আর হতাশা বিরাজ করছে তাদের মাঝে। ব্যবসা এখনও সচল না হওয়ায় হতাশা অপেক্ষার পালা বেড়েই চলেছে। তবে তাদের কথা ভাবে না কেউ, তবে ভাবতে হবে মানবিক দৃষ্টিকোন থেকে, শোনাতে হবে শান্তনার বানী, অপেক্ষার পালা বদল হবেই।

  • চিংড়িতে পুশ বন্ধের আহবানে সাতক্ষীরায় আলোচনা সভা

    চিংড়িতে পুশ বন্ধের আহবানে সাতক্ষীরায় আলোচনা সভা

    নিজস্ব প্রতিনিধি: চিংড়িতে পুশ বন্ধের আহবান জানিয়ে সাতক্ষীরায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (০৮ নভেম্বর) বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা বড় বাজারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
    আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলা ডিপো মালিক সমিতির সভাপতি বাবু দিনবন্ধু মিত্র।
    সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবারে জেলা প্রশাসক মহোদয় চিংড়িতে পুশ বন্ধের জন্য এক আলোচনা সভার আয়োজন করেছিলেন। আমরা সেখানে উপস্থিত থেকে তার এই কর্মকা- পরিচালনায় সব ধরনের সহযোগীতা করার অঙ্গিকার করেছি। তারই ধারাবাহিকতায় আজকের এই আলোচনা সভা।
    তিনি আরও বলেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা ডিপো মালিক সমিতির পক্ষে আমি সকল চিংড়ি ব্যবসায়ীকে পুশ বন্ধের আহবান জানাচ্ছি। এরপরও যদি কেউ চিংড়িতে পুশ করেন হাহলে আমরা ব্যবসায়ীরা সম্মিলিতভাবে তাদেরকে রুখে দেব। প্রয়োজনে প্রশাসনের সহযোগীতা নেব।
    আলোচনা সভায় ব্যবসায়ীদের চিংড়ি মাছে পুশ না করার আহবান জানিয়ে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলা ডিপো মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ কামরুল হক চঞ্চল।
    আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা মৎস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আ স ম আবদুর রব। তিনি বলেন, সাতক্ষীরার সাদা সোনা খ্যাত চিংড়ি খাতকে বাচিয়ে রাখার জন্য পুশ বন্ধ করার কোন বিকল্প নেই। চিংড়িতে পুশ করার কারণে বহিবিশের্^ বাংলাদেশের সুনাম ক্ষুণœ হয়। আমরা চইনা কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর জন্য আমাদের দেশের বদনাম হোক।
    এসময় তিনি চিংড়ি মাছের পুশ বন্ধে সরকারের নজরদারি আরও বাড়ানোর দাবি জানিয়ে চিংড়ি ব্যবসায়ীদের সততার সাথে ব্যবসার পরিচালনার আহবান জানান।
    আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, চিংড়ি ব্যবসায়ী বাবু প্রতাপ কুমার, বাবু সুভাষ চন্দ্র, আবু বক্কর সিদ্দিক, হিরা, রবিউল ইসলাম, আবদুর রহিম, মইনুর রহমান প্রমুখ।

  • এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের কদমতলা উপ-শাখা উদ্বোধন

    এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের কদমতলা উপ-শাখা উদ্বোধন

    কদমতলা প্রতিনিধি: এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাতক্ষীরা কদমতলা উপ-শাখা উদ্বোধন করা হয়েছে। রবিবার সকাল ১১টায় কদমতলা বাজারস্থ এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের নিজস্ব কার্যালয়ে ভিডিও কনফারেন্স মাধ্যমে প্রধান অতিথি হিসেবে উদ্বোধন করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ হাবিব হাসনাত। ভার্চুয়াল মাধ্যমে ব্যাংকের এডিশনাল এমডি ও ডিএডিসহ বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
    এসময় উপস্থিত ছিলেন এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক সাতক্ষীরার শাখা ব্যবস্থাপক শাহীন মোখলেছুর রহমান, কদমতলা উপ-শাখা ইনচার্জ সুমন রেজা, প্রধান শাখার কর্মকর্তা হাবিব মোহাম্মদ, মিজবাউদ্দীন, অফিসার এটিএম গোলাম কিবরিয়া, আবিদ আহসান, উপ-শাখার অফিসার নাজমুল হোসেন, আক্তার হোসেনসহ ব্যাংকের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারাসহ আমন্ত্রিত অতিথি ও গ্রাহকরা উপস্থিত ছিলেন। পরে ফিতা কেটে উদ্বোধন করেন জেলা শাখার কর্মকর্তারা।
    ভার্চুয়াল মাধ্যমে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ হাবিব হাসনাত বলেন, মানুষের সেবা দিতে আমরা সদা প্রস্তুত। গ্রাহকরা যাতে কোন হয়রানি না হয় সেটাই হবে আমাদের মূল লক্ষ্য। মানুষের দোড় গোড়ায় সেবা পৌছে দিতে এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাতক্ষীরা শহরের উপকণ্ঠে কদমতলা উপ-শাখার যাত্রা শুরু হলো।

  • বাড়িতে আগুন, গভীর ঘুমে মালিক! কীভাবে প্রাণ বাঁচাল বুদ্ধিমান টিয়া?

    #কুইন্সল্যান্ড: বাড়িতে আগুন লেগেছে৷ ওদিকে বাড়ির মালিক তখনও গভীর ঘুমে৷ কয়েক মুহূর্ত দেরি হলেই আগুনে পুড়ে তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত৷ কিন্তু মালিকের সঙ্গে সঙ্গেই নিজেরও প্রাণ বাঁচাল বাড়িতে পোষা বুদ্ধিমান টিয়া৷ আগুন ধরেছে বুঝতে পারা মাত্রই মালিকের নাম ধরে চিৎকার করতে শুরু করে সে৷

    অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের এই ঘটনায় মালিকের প্রাণ বাঁচিয়ে রীতিমতো প্রশংসা কুড়োচ্ছে এরিক নামে এই টিয়া পাখিটি৷ জানা গিয়েছে, অ্যান্টন নেগুয়েন নামে এক ব্যক্তির পোষা টিয়া সেটি৷ বিবিসি-তে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, বুধবার অ্যান্টন নামে ওই ব্যক্তির বাড়িতে আগুন লাগে৷ সেই সময় বাড়ির ভিতরে ঘুমোচ্ছিলেন তিনি৷

    স্থানীয় দমকল আধিকারিকরা জানিয়েছেন, আগুন লেগেছে বুঝতে পেরেই ‘অ্যান্টন’, ‘অ্যান্টন’ বলে তারস্বরে নিজের মালিককে ডাকতে শুরু করে টিয়া পাখিটি৷ অ্যান্টন নামে ওই ব্যক্তির কথায়, ‘ঘুমের মধ্যেই বেশ জোরে একটা শব্দ শুনি, তার পর দেখি এরিক খুব জোরে চিৎকার করছে৷ ঘুম থেকে উঠে আসতেই পোড়া গন্ধ পাই৷ পিছনের দরজা খুলে দেখি বাড়িতে আগুন লেগেছে৷ সঙ্গে সঙ্গে এরিককে নিয়ে বাড়ির বাইরে চলে আসি আমি৷’

    জানা গিয়েছে বাড়িতে স্মোক ডিটেক্টর লাগানো ছিল৷ কিন্তু স্মোক ডিটেক্টরের অ্যালার্ম বাজার আগেই চিৎকার করতে শুরু করে ওই টিয়াপাখিটি৷ তা না হলে নিজের মালিকের সঙ্গে এরিকও বিপদে পড়ে যেত৷ আগুনে ওই বাড়িটির যথেষ্ট ক্ষতি হলেও দমকলের বাড়িতে আশেপাশের বাড়িগুলিতে তা ছড়িয়ে পড়তে পারেনি৷ তবে কী কারণে বাড়িতে আগুন লাগল তা জানতে তদন্ত করছে দমকল৷

  • কোদালা চা বাগানে নওশাবার জীবন যেমন…

    কোদালা চা বাগানে নওশাবার জীবন যেমন…

    চট্টগ্রামের কোদালা চা বাগানে শ্রমিকের চাকরি নিয়েছেন অভিনেত্রী নওশাবা। রোজ আয় ১২০ টাকা। রাতভর আবার নাচতে হয় বাগানের ম্যানেজারের বাসায়!

    ৬ নভেম্বর থেকে তিনি এই রুটিনের মধ্যে আছেন। বাগান থেকে মুঠোফোনে জানালেন, সময়টা তার মোটেই ভালো যাচ্ছে না। চা শ্রমিকদের জীবনের সঙ্গে যতো মিশছেন, ততোই মানসিক কষ্টে আচ্ছন্ন হচ্ছেন।
    কাজী নওশাবা আহমেদের নতুন এই অভিজ্ঞতার কারণ চলচ্চিত্র ‘ছায়াবৃক্ষ’। ৬ নভেম্বর থেকে চট্টগ্রামের ঐ বাগানে শুরু হয়েছে টানা ২০ দিনের শুটিং। বন্ধন বিশ্বাসের পরিচালনায় এই ছবির পুরোটাজুড়ে থাকবে চা শ্রমিকদের জীবনের গল্প। যে গল্পের প্রধান জুটি হিসেবে যুক্ত হয়েছেন অপু বিশ্বাস ও নিরব হোসাইন।
    অন্যদিকে নওশাবার বিপরীতে নায়ক হিসেবে থাকছেন ছোট পর্দার সুমিত। সরকারি অনুদান পাওয়া এই ছবির অন্যান্য চরিত্রে আরও আছেন শতাব্দী ওয়াদুদ, সুস্মি রহমান, ইকবাল আহমেদ, বড়দা মিঠু, রানা প্রমুখ।
    নওশাবা বলেন, ‘সময় খুব কম পেয়েছি প্রস্তুতির। ৩ নভেম্বর চুক্তিবদ্ধ হই। ৫ নভেম্বর চট্টগ্রাম চলে আসি। ৬ তারিখ থেকে টানা শুটিং হচ্ছে। ফলে চলতি পথেই ইউটিউব দেখে খানিক অভিজ্ঞতা নিতে হলো চা শ্রমিকদের। এখানে এসেও চেষ্টা করছি সরাসরি ওদের কাছ থেকে শেখার। আমি আসলে কাজটি নিয়ে রোমাঞ্চিত। আবার বিষণ্ন-ও। কারণ, শ্রমিকদের এই কষ্টের জীবন অমানবিক।’

    নওশাবার মুক্তি পাওয়া ছবির সংখ্যা তিন−‘ঢাকা অ্যাটাক’, ‘স্বপ্নের বাড়ি’ ও ‘ভুবন মাঝি’। আবার মুক্তির মিছিলে থাকা ছবির সংখ্যাও একই−‘আলগা নোঙর’, ‘চন্দ্রাবতী’ ও ‘নাইনটি নাইন ম্যানশন’। ‘ছায়াবৃক্ষ’ তার ক্যারিয়ারের ‘শুভ সাত’ হলেও, এটিকে তিনি অন্য বিবেচনায় প্রথম সিনেমা হিসেবে নিয়েছেন।
    তার ভাষ্যে, ‘এর আগে আমি যে ক’টা ছবি করেছি, তার সবই ছিল চেনা-জানা পরিবেশের মধ্যে। চরিত্রগুলোও অলমোস্ট জানা ছিল। তবে এবারই প্রথম কাজ করছি পুরোপুরি এফডিসি ঘরানার ইউনিটে। বন্ধন দা সেখানকার নামকরা একজন নির্মাতা। তিনি আমাকে যে পছন্দ করেছেন, এটাই বড় বিস্ময়। কারণ, উনাদের সঙ্গে তো আমার কাজই করা হয়নি, পরিচয় দূরের কথা। ফলে এই বিষয়টি আমার জন্য আনন্দের এবং চ্যালেঞ্জেরও। উনাদের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিয়ে কাজটি সঠিকভাবে শেষ করতে চাই।’

    ‘ছায়াবৃক্ষ’তে নওশাবাকে দেখা যাবে একসঙ্গে দুটি চরিত্রে। রোজ সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চা পাতা তোলেন। সন্ধ্যার পর থেকে প্রায় সারা রাত তাকে নাচতে হয় ম্যানেজারের ঘরে! এভাবে একটা সময় নওশাবা স্বপ্ন দেখেন চা বাগানের জাল ছিঁড়ে বড় নৃত্যশিল্পী হওয়ার। কিন্তু সেই জাল ছেঁড়া তো সহজ কাজ নয়।
    নওশাবা বলেন, ‘১৯২১ সাল থেকে এই শ্রমিকরা যে আন্দোলন শুরু করেছে, তা ভেতরে ভেতরে আজও বহমান। ৪০ টাকায় শুরু করে এখন তাদের শ্রমমূল্য ১২০ টাকা। নেই পড়াশুনার সুযোগ। পুরো অন্ধকার একটা জীবন। আমার চরিত্রটি সেই অন্ধকার ভেদ করতে চায় নাচের মাধ্যমে। চিত্রনাট্যে এমনটাই আছে, পর্দায় কতোটা দেখাতে পারি−সেটাই বিষয়।’

  • চঞ্চলের ছেলের ‘যুবতী রাধে’

    চঞ্চলের ছেলের ‘যুবতী রাধে’

    স্টাফ রিপোর্টার ॥ অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী ও সঙ্গীতশিল্পী মেহের আফরোজ শাওন ‘সর্বত মঙ্গল রাধে’ শিরোনামের গানটি নতুন করে কাভার করেন। মূলত একটি অনুষ্ঠানের জন্যই গানটিতে কণ্ঠ দেন তারা। গত ২০ অক্টোবর গানটি প্রকাশ্যে আসার পর নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়। দর্শক-শ্রোতারা গানটির দারুণ প্রশংসা করেন। নতুন করে গানটির সঙ্গীতায়োজন করেন পার্থ বড়ুয়া। এরপর কপিরাইট ইস্যুতে গানটি সরিয়ে নেয় ইউটিউব কর্তৃপক্ষ। তারপর এ নিয়ে জলঘোলা কম হয়নি। এরমধ্যে চঞ্চল চৌধুরীর ছেলে শৈশব রুদ্র শুদ্ধর গাওয়া একই গান অন্তর্জালে ভাইরাল হয়েছে। নেটিজেনরাও ভূয়সী প্রশংসা করছেন তার। গত ১৪ সেপ্টেম্বর চঞ্চল চৌধুরী শুদ্ধর গাওয়া গানের ভিডিও তার ফেসবুকে পোস্ট করেন। এদিন শুদ্ধর জন্মদিন ছিল। আর এ উপলক্ষে ভিডিওটি প্রকাশ করেন চঞ্চল। অর্থাৎ চঞ্চল চৌধুরী ও শাওনের গাওয়া গানটি মুক্তির আগে শুদ্ধর গাওয়া গানটি প্রকাশ্যে আসে। বেশ আগে ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসলেও গত কয়েকদিন ধরে গানটি অন্তর্জালে দারুণ চর্চিত।

  • বিভিন্নস্থানে জাতীয় সমবায় দিবস পালন

    বিভিন্নস্থানে জাতীয় সমবায় দিবস পালন

    জেলার খবর


    ‘বঙ্গবন্ধুর দর্শন, সমবায়ে উন্নয়ন’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে নিয়ে বিভিন্নস্থানে শনিবার উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা সমবায় অধিদপ্তরের আয়োজনে ৪৯তম জাতীয় সমবায় দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে আলোচনাসভা ও শ্রেষ্ঠ সমবায়ীদের সম্মাননা প্রদানসহ অন্যান্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
    শ্যামনগর: উপজেলা পরিষদ হল রুমে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি আব্দুল হাই সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম আতাউল হক দোলন। উপজেলা সমবায় অফিসার মো. জহুরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদুজ্জামান সাইদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খালেদা আইয়ুব ডলি, বিআরডিবি কর্মকর্তা এসএম সোহেল প্রমুখ।

    অনুষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ সমবায় সমিতি হিসেবে ৬টি প্রতিষ্ঠান, শ্রেষ্ঠ সমবায়ী হিসাবে ১জন ও করোনা এবং আম্পানে ভূমিকা রাখার জন্য ১টি সমবায়ী প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। এছাড়া ৫০টি সমবায় সমিতিকে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আতœজীবনী বইটি উপহার দেওয়া হয়।

    আশাশুনি: আশাশুনিতে জাতীয় সমবায় দিবস’২০ পালিত হয়েছে। শনিবার সকালে উপজেলা পরিষদ হল রুমে উপজেলা প্রশাসন ও সমবায় বিভাগের আয়োজনে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহিন সুলতানা। আলোচনা রাখেন উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান অসীম বরণ চক্রবর্তী, উপজেলা ভারপ্রাপ্ত সমবায় অফিসার রমেন্দু বাছাড়, প্রেসক্লাব সভাপতি জিএম ফারুক। বড়দল পদ্ম সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমিতির সভাপতি শিক্ষক উত্তম কুমারের পরিচালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মৎস্যজীবী সমিতির সম্পাদক নাসির উদ্দীন, অফিস সহকারী জাহাঙ্গীর হোসেন, কল্যাণী সরকারসহ বিভিন্ন সমবায় সমিতির সভাপতি/সম্পাদকবৃন্দ। আলোচনায় উপস্থিত সকলকে মাস্ক সরবরাহ করা হয় এবং শ্রেষ্ঠ সমবায়ীদের ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।


    কলারোয়া: কলারোয়া উপজেলা অডিটরিয়ামে সমবায় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। এরআগে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি কলারোয়া উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু ও সমবায় পতাকা উত্তোলন করেন বিশেষ অতিথি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আক্তার হোসেন। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আক্তার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ও সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কলারোয়া উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিআরডিবি’র চেয়ারম্যান মশিয়ার রহমান বাবু, সদ্য অবসরে যাওয়া সমবায় কর্মকর্তা নওসের আলী প্রমুখ।


    কালিগঞ্জ: শনিবার বেলা ১১টায় উপজেলা প্রশাসন ও সমবায় বিভাগের আয়োজনে উপজেলা অডিটরিয়ামে উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা খান তৈয়েবুর রহমানের সভাপতিত্বে ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক রাসেলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাষ্টার নরীম আলী মুন্সি, ভাইস চেয়ারম্যান শেখ নাজমুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এড. হাবিব ফেরদাউস শিমুল প্রমুখ।

    দেবহাটা: দেবহাটায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন শেষে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাছলিমা আক্তার। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান সবুজ। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সমবায় অফিসার আকরাম হোসেন, বিআরডিপি অফিসার রাকিব হোসেন, সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রউফ, দেবহাটা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওহাব, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি এনামুল হকসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও বিভিন্ন সমবায় সমিতির প্রতিনিধিগণ।
    শার্শা: যশোরের শার্শায় ৪৯তম জাতীয় সমবায় দিবস পালিত হযেছে। জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে সমবায় দিবসের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করা হয়। শার্শা উপজেলা অডিটরিয়ামে সমবায় দিবসের অনুষ্ঠানে এসি ল্যান্ড রাসনা শারমিন মিথির সভাপতিত্বে অনুষ্টিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন নাভারন ডিগ্রি কলেজের অধ্যাক্ষ ইব্রাহিম খলিল-উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফ্ফর হোসেন, ডেপুটি কমান্ডার নাসির উদ্দিন, সমবায় কর্মকর্তা এবিএম আক্কাস আলী, সাংবাদিক এম এ রহিম, মতিয়ার রহমান, রফিকুজামান, মহিদুল ইসলাম প্রমুখ।


  • সাতক্ষীরা জজকোর্টের সড়ক সংস্কার কাজ পরিদর্শন কাজ করলেন সিনিয়র জেলা জজ শেখ মফিজুর রহমান

    সাতক্ষীরা জজকোর্টের সড়ক সংস্কার কাজ পরিদর্শন কাজ করলেন সিনিয়র জেলা জজ শেখ মফিজুর রহমান

    সামান্য বৃষ্টি হলেই পানিতে তলিয়ে যায় সাতক্ষীরা জজকোর্টে চলাচলের সড়ক। বছরের অধিকাংশ সময় পানিতে তলিয়ে থাকায় রাস্তার পিচ, খোয়া উঠে বড় বড় গর্তে পরিণত হয়। চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে সড়কটি। বিষয়টি নজরে আসে সাতক্ষীরা সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমানের। কিভাবে দ্রুত রাস্তাটির সংস্কার করা যায় সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ শুরু করেন। একপর্যায়ে কোর্টের সড়ক সংস্কার শুরু হয়েছে। শনিবার এ সংস্কার কাজ পরিদর্শনে যান তিনি।

    কোর্টের সড়ক সংস্কার বিষয়ে তিনি বলেন, সামান্য বৃষ্টির পানিতে কোর্টের মধ্যকার সড়কগুলো পানিতে ডুবে থাকে। এতে সড়কের খোয়া উঠে যায়। বিচার প্রার্থীদের চলাচলের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। সড়ক সংস্কারের জন্য আইনজীবী সমিতির আমাকে অনুরোধ জানালে আমি সাতক্ষীরা সড়ক ও জনপদ বিভাগে যোগাযোগ করলে তারা জানান, তাদের বরাদ্দ নেই। পরে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের খুলনা বিভাগীয় এডিশন্যাল চীফ ইঞ্জিনিয়ারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বাজেট পাশ করিয়ে সংস্কার শুরু করেন। রাস্তাটি দুটি অংশের সংস্কার করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে একটি অংশের কাজ শেষ হয়েছে। বাকী অংশের শুরু হয়েছে দ্রুত শেষ হবে বলে জানান তিনি।

  • আড়াইহাজারে ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনীতে যুবক নিহত

    আড়াইহাজারে ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনীতে যুবক নিহত

    স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ ॥ নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ডাকাত সন্দেহে এলাকাবাসীর গণপিটুনিতে এক যুবক (৩০) নিহত হয়েছে। পুলিশের ধারণা নিহত যুবক ডাকাত দলের সদস্য। আজ শুক্রবার ভোররাতে উপজেলার ইলুমদী আমবাগ এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। বিকেল সাড়ে ৫টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিহতের পরিচয় সনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। আড়াইহাজার থানার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

    পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, শুক্রবার ভোররাতে স্থানীয় এক যুবলীগ নেতার ভাইয়ের মোটরসাইকেলটি ডাকাতি করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে একদল ডাকাত। এ সময় মোটরসাইকেলটি চালু হচ্ছিল না। পরে তার ডাকচিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে ডাকাতদের ধাওয়া করে। এ সময় একজন ছাড়া অন্য ডাকাতরা পালিয়ে যায়। পরে একজনকে আটক করে গণপিটুনী দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে আড়াইহাজার থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

    আড়াইহাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, ইলুমদী আমবাগ এলাকায় ডাকাত দলের সদস্য সন্দেহে এলাকাবাসীর গণপিটুনিতে একজন মারা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, ডাকাত দলের অন্য কোনও উদ্দেশ্য ছিল। ব্যর্থ হয়ে তারা মোটরসাইকেলটি ডাকাতি করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। ওসি আরও জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। নিহতের পরিচয় সনাক্ত হলে আরো বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানান।

  • কলারোয়া বসন্তপুর ওয়ার্ডের  শ্রমিকলীগের আহবায়ক কমিটি গঠন

    কলারোয়া বসন্তপুর ওয়ার্ডের শ্রমিকলীগের আহবায়ক কমিটি গঠন

    (জয়নগর কলারোয়া প্রতিনিধি) 

    কলারোয়া  বসন্তপুর ওয়ার্ডের জতীয় শ্রমিকলীগের আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।শুক্রবার (৬নভেম্বর )  বিকাল ৫টায় কলারোয়া উপজেলার ১নং জয়নগর ইউনিয়নের বসন্তপুর গাজী পাড়া আলমগীর হোসেনের দোকানের সামনে ৪নং বসন্তপুর ওয়ার্ডের জাতীয় শ্রমিকলীগের আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। ইউনিয়ন জাতীয় শ্রমিকলীগের সভাপতি আব্দুর রহমান রাজুর সভাপতিত্বে ও  জাতীয় শ্রমিকলীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুল লতিফ গাজীর পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, ১নং জয়নগর ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের 

    সভাপতি মাষ্টার আজিজুর রহমান।বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন,ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ রকসি ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলিম।এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় শ্রমিকলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি মনিরউদ্দীন মোড়ল,  ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ  সম্পাদক আলমগীর হোসেন,৪নং বসন্তপুর ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগের সাধারণ  সম্পাদক আশরাফ হোসেন, ২নং ওয়ার্ড শ্রমিকলীগের সদস্য সচিব কেসমত মালী,৩ নং ওয়ার্ড শ্রমিকলীগের আহবায়ক যোহন সরকার,সদস্য সচিব রঞ্জন সরকার,৬নং ওয়ার্ডের যুগ্ম আহবায়ক ফুলচাঁদ সরকার,

    ৮নং ওয়ার্ড শ্রমিকলীগের আহবায়ক তপন মন্ডল,৯নং ওয়ার্ডের শ্রমিকলীগের যুগ্ম আহবায়ক মনিরুজ্জামান মনি গাজী, সদস্য সচিব শফিকুল ইসলাম মোল্লা প্রমুখ।

    অনুষ্ঠানের শেষে  প্রধান অতিথি সেলিম হোসেন মধুকে আহবায়ক ও আল- মামুন হোসেনকে যুগ্ম আহবায়ক এবং আনারুল ইসলামকে  সদস্য সচিব করে  ৪নং বসন্তপুর ওয়ার্ডের জাতীয় শ্রমিকলীগের আহবায়ক কমিটি ঘোষনা  করেন।

  • করোনার উপসর্গ নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক নারীর মৃত্যু

    নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকালে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এনিয়ে, জেলায় করোনার উপসর্গ নিয়ে আজ পর্যন্ত মারা গেছেন অন্ততঃ ১২০ জন আর ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরো ৩১ জন।
    মৃত ওই নারীর নাম জোছনা খাতুন (২২)। তিনি কুমিল্লা জেলার দক্ষিণ কুমিল্লার ছোট শরিফপুর এলাকার মোশারফ হোসেনের স্ত্রী।
    মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ রফিকুল ইসলাম জানান, জ¦র, সর্দি, কাশি ও শ^াসকষ্টসহ করোনার বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে ওই নারী গতকাল ৫ অক্টোবর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকালে তিনি মারা যান। তিনি আরো জানান, তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হলেও এখনও পর্যন্ত তার রিপোর্ট পাওয়া যায়নি।
    সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডাঃ হুসাইন শাফায়াত বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে মৃত ওই ব্যক্তির লাশ দাফনের অনুমতি দেয়া হয়েছে।