Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
বিশেষ সংবাদ Archives - Page 35 of 74 - Daily Dakshinermashal

Category: বিশেষ সংবাদ

  • সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডায়ালাইসিস বিভাগের যন্ত্রপাতির টেন্ডার পাশ হলেও হয়নি ওয়ার্ক অর্ডার

    সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডায়ালাইসিস বিভাগের যন্ত্রপাতির টেন্ডার পাশ হলেও হয়নি ওয়ার্ক অর্ডার


    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কিডনি রোগীদের যন্ত্রপাতির টেন্ডার পাশ হলেও হয়নি ওয়ার্ক অর্ডার। যার ফলে প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ জন রোগীর পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ, গুনতে হচ্ছে হাজার হাজার টাকা, দ্রুত ওয়ার্ক অডারের দাবী ভুক্তভোগীদের। সরেজমিনে গিয়ে রোগীদের সাথে কথা বললে তারা জানান, ‘সাতক্ষীরা মেডিকেলে এসেছিলাম অনেক আশা নিয়ে কিন্তু এখানে রোগীদের ডায়ালাইসিসের প্রয়োজনীয় সামগ্রী না থাকার কারনে প্রতিদিন তাদেরকে ছুটতে হচ্ছে সাতক্ষীরার বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে, গুনতে হচ্ছে মোটা অংকের টাকা’, অনেকে আবার অর্থের অভাবে চিকিৎসা সেবা থেকে হচ্ছে বঞ্চিত হচ্ছে, ঠিক সেই সময় কান্না ভরা কন্ঠে কেশবপুরের কোহিনুর বেগম জানান, তিনি প্রায় দেড় বছর যাবৎ তার স্বামীকে নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেলে আছেন , স্বামীর চিকিৎসা করাতে গিয়ে তারা নিঃস্ব প্রায়, এখন অর্থের অভাবে তার স্বামীকে চিকিৎসা করাতে পারছে না , আজ ও তাকে ডায়ালাইজার, ব্লাডলাইন, নিডিল, সিরিঞ্জ বাবদ ২ হাজার টাকার প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী ক্রয় করতে হয়েছে ।

    অপর একটি সুত্র জানায়, টেন্ডার হওযার পরও কন্টাক্টরের সাথে কমিশন নিয়ে দরকশাকশির কারণে মাল ক্রয়ে বিলম্ব হচ্ছে।

    এ বিষয়ে হিসাব রক্ষক মোত্তাজুল জানান, গত ৩০ নভেম্বর ডায়ালাইসিস বিভাগের বিভিন্ন যন্ত্রপাতির টেন্ডার পাশ হয়েছে, কিন্তু টেন্ডার পাশ হলেই কার্যক্রম শুরু করা যায় না, টেন্ডার পাশ, মুল্যায়ন ও ওপেনিং করার জন্য কিছু প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করতে হয়, সে সকল কার্যক্রম শেষে ডায়ালাইসিস বিভাগের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ক্রয়ের জন্য খুব শীঘ্রই মেডিকেল তত্ত্বাবধায়ক ও অতিরিক্ত পরিচালকের নেতৃত্বে মেডিকেল অফিসারদের নিয়ে একটি বোর্ড মিটিং হবে, তারপর কন্টাক্টরের এর কাছে হস্তান্তর করা হবে। অপর একটি সুত্র জানায়, টেন্ডার হওযার পরও কন্টাক্টরের সাথে কমিশন নিয়ে দরকশাকশির কারণে মাল ক্রয়ে বিলম্ব হচ্ছে। এ বিষয়ে মেডিকেল তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ রফিকুল ইসলাম জানান, আমাদের কিছু প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ শেষে অতিশীঘ্রই কিডনি ডায়ালাইসিস বিভাগের টেন্ডারকৃত সকল যন্ত্রপাতির ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া হবে।

  • অভিনেতা ও মডেল নিরব হোসেনের মা নুরজান আলম আর নেই

    বিনোদন ডেস্ক ॥ অভিনেতা ও মডেল নিরব হোসেনের মা নুরজান আলম আর নেই। গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬০ বছর। নিরব নিজেই এ তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বেশ কিছুদিন ধরে তার মা অসুস্থ ছিলেন। বেশ কয়েকবার তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা আর হলো না। পৃথিবী ছেড়ে বিদায় নিয়েছেন তিনি। জানা গেছে, মরদেহ নিরবের গ্রামের বাড়ি রাজবাড়িতে নেওয়া হবে। সেখানে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

  • ভোমরা স্থলবন্দরের হ্যান্ডলিং শ্রমিকদের রক্তের গ্রুপ নির্ণয় কার্যক্রমের উদ্বোধন

    ভোমরা স্থলবন্দরের হ্যান্ডলিং শ্রমিকদের রক্তের গ্রুপ নির্ণয় কার্যক্রমের উদ্বোধন

    নিজস্ব প্রতিনিধি : ভোমরা স্থলবন্দরের হ্যান্ডলিং শ্রমিকদের রক্তের গ্রুপ নির্ণয় কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। বাংলাদেশ বন্দর কর্তৃপক্ষ নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় ও ভোমরা স্থলবন্দর সাতক্ষীরার আয়োজনে মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় ভোমরা স্থলবন্দর প্রাঙ্গণে উক্ত কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন, প্রধান অতিথি সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।
    অতিরিক্ত সচিব ও বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ’র চেয়ারম্যান কে.এম তারিকুল ইসলাম’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন শাফায়াত, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বদিউজ্জামান, বিজিবি ৩৩ ব্যাটেলিয়নের অধিনায়ক লে.কর্ণেল গোলাম মহিউদ্দিন খন্দকার, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই’র উপ-পরিচালক জাকির হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আসাদুজ্জামান, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ’র চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব কবির খান, ভোমরা শুল্কষ্টেশনের সহকারি কমিশনার আমীর মাহমুদ, সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি এইচ.এম আরাফাত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চলনা করেন ভোমরা স্থলবন্দর উপপরিচালক মনিরুল ইসলাম।
    প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি রবি বলেন, ভোমরা স্থলবন্দর বন্দরের শ্রমিকরাই বন্দরের প্রাণ। বন্দরের ভাল মন্দসহ সকল বিষয়ে শ্রমিকদের সহযোগিতা থাকতে হবে। তিনি আরো বলেন, ভোমরা স্থলবন্দরের সকল সমস্যা সমাধানে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি এ সময় ভোমরা বন্দরের উন্নয়নে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানান।

  • নদীকে বাঁচতে দিন

    নদীকে বাঁচতে দিন

    রিপন চন্দ্র পাল

    এসব নদীর সঙ্গে এদেশের মানুষের আত্মিক সম্পর্ক। একটা সময় নদী দিয়ে সব ধরনের পণ্য আনা-নেওয়া করা হতো এখনও হয়। তবে এখন নানা ধরনের পথ সৃষ্টি হয়েছে। তবুও নদীর কদর এখনও যথেষ্ট আছে। নদী পাড়েই আমাদের দেশের শহর গড়ে উঠেছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, সিলেটসহ অনেক শহর নদীর তীরে গড়ে উঠেছে।

    কিন্তু দেশে যত নগরায়ন হচ্ছে তত দূষিত হচ্ছে আমাদের নদী। ইতোমধ্যে অনেক নদী হারানোর পথে। নগরায়নের ফলে প্রতিনিয়ত নানা শিল্প প্রতিষ্ঠান নির্মিত হচ্ছে আর তাদের বর্জ্যগুলো নদীতে ফেলছে। এ কারণে নদী হারাতে বসেছে তাদের নাব্য, ভেসে উঠেছে চর। শুধু তা না নদীকে সবাই বর্জ্যরে ভাগাড় বানিয়ে ফেলেছে, বাস্তবে দেখা যায় যে একটা শহরের যত বর্জ্য আছে তা অন্য কোন দিকে না ফেলে নদীর পাড়ে জমা করে। এছাড়া শহরের সব জায়গায় ডাস্টবিন না থাকার কারণে যত্রতত্র নানা রকম প্লাস্টিকের প্যাকেট ফেলে দেয়ায় বাতাসের সঙ্গে সেটাও নদীতে চলে আসে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় সিলেট শহরের কীন ব্রিজ, কাজীর বাজার ব্রিজ, নতুন ব্রিজ ও চাঁদনীঘাট পয়েন্টের খেয়া নৌকা দিয়ে নদী পার হলে দেখা যায় শহরের বর্জ্য নদীতে বিপজ্জনকভাবে পড়ছে। নদীর এমন দূষণে বর্ষা মৌসুমে তেমনটা বুঝা যায় না ঠিকই কিন্তু শুকনো মৌসুমে জল কালো ও দুর্গন্ধ হয়। বেসরকারী সংস্থা এনভায়রনমেন্ট এ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন ২০১৯ সালের তথ্যানুসারে বাংলাদেশে জলে স্থলে ৬৫ লাখ টন প্লাস্টিক বর্জ্য জমা হয়েছে। প্রতিদিন আরও ৩ হাজার টন জমা হচ্ছে। আবার দেশের ৬১ শতাংশ মানুষ পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার করে। করোনার সময়ে ব্যবহৃত ৯২ শতাংশ মাস্ক ও গ্লাভস খাল, বিল, নালা হয়ে নদীতে আসছে যেখানে বলা হয়েছিল ব্যবহৃত মাস্ক ও গ্লাভস পুড়িয়ে ফেলতে। নদীতে চরম মাত্রায় দূষণ হওয়ার কারণে নানা প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হতে বসেছে। এমনকি নদী ঘিরে যে ইকোসিস্টেম আছে সেটাতেও ব্যাঘাত ঘটছে। শহরে গেলে দেখা যায় যে সব জায়গায় ঠিকঠাকভাবে ডাস্টবিন নেই। তাই যদি দেশের সর্বত্র ডাস্টবিন বসানো হয় তাহলে সেই বর্জ্যরে পরিমাণ কিছুটা হলেও কমবে।

    যত্রতত্র কেউ যাতে ময়লা আবর্জনা ফেলতে না পারে সেদিকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কড়া নজরদারি দরকার। ক্রমে দেশে থেকে পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার হ্রাস করে পাটজাত বা বায়োডিগ্রেডেবল ব্যাগ ব্যবহার করতে হবে। সেই সঙ্গে বর্জ্য ফেলার জন্য নির্দিষ্ট স্থান ঠিক করে, প্রশিক্ষিত লোকজন নিয়োগ করলে নদী যেমন বাঁচবে আর কর্মসংস্থান হবে অনেক মানুষের।

  • আগরদাড়ী আমিনিয়া কামিল মাদ্রাসায় স্বাধীনতা মাদ্রাসা শিক্ষক পরিষদের কমিটি গঠন

    আগরদাড়ী আমিনিয়া কামিল মাদ্রাসায় স্বাধীনতা মাদ্রাসা শিক্ষক পরিষদের কমিটি গঠন

    হাবিবুর রহমান সভাপতি ও শহিদুল ইসলাম সেক্রেটারি


    গত ৬ ডিসেম্বর আগরদাড়ী আমিনিয়া কামিলা মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে স্বাধীনতা মাদ্রাসা শিক্ষক পরিষদের কমিটি গঠন কল্পে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ এর কেন্দ্রীয় নেতা ও জেলা সভাপতি প্রভাষক এম সুশান্ত। বিশেষ অতিথি ছিলেন, স্বাধীনতা মাদ্রাসা শিক্ষক পরিষদ সাতক্ষীরা জেলা শাখার আহবায়ক মাও: মো: হাফিজুর রহমান, সদস্য সচিব আলহাজ্ব মাও: আব্দুর রউফ, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ সাতক্ষীরা জেলা শাখার সহ-সভাপতি মোস্তফা আব্দুল্লাহ আল মামুন, যুগ্ম সম্পাদক প্রভাষক মফিজুল ইসলাম, উপজেলা সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান। বক্তব্য রাখেন,হারুন অর রশিদ, আমিনুর রহমান,মাস্টার সাইফুল্লাহ প্রমুখ।
    সভায় সর্বসম্মতিক্রমে ৯ সদস্যের একটি প্রাতিষ্ঠানিক কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সভাপতি মাও: মো: হাবিবুর রহমান, সহ-সভাপতি মো: সাইফুল ইসলাম, সম্পাদক মো: শহিদুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ মো: আজিজুল ইসলাম, কার্যকরি সদস্য হলেন, মো: হযরত আলী, মো: মাগফুর রহমান, মো: তারিকুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, তানিয়া সুলতানা। (প্রেস বিজ্ঞপ্তি)

  • ঐতিহাসিক সাতক্ষীরা মুক্ত দিবস আজ

    ঐতিহাসিক সাতক্ষীরা মুক্ত দিবস আজ

    আজ ৭ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক সাতক্ষীরা মুক্ত দিবস। আজ ওড়ানো হয় লাল-সবুজ পতাকা। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকহানাদার মুক্ত হয়েছিল দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তের জেলা সাতক্ষীরা। এ জেলার দামাল ছেলেরা সেদিন থ্রি নট থ্রি আর এসএলআরের ফাঁকা গুলি ছুড়তে-ছুড়তে সাতক্ষীরা শহরে প্রবেশ করে। ওড়ানো হয় স্বাধীন বাংলার পতাকা। সন্তান হারানোর বেদনা ভুলে সেদিন মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে রাস্তায় নেমে আসে মুক্তি পাগল জনতারা।
    এই দিনটিকে স্মরণ করে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন। এ উপলক্ষ্যে আজ সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালা শুরু হবে।
    ১৯৭১ সালে দীর্ঘ ৯ মাসব্যাপী রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে দেশের সাহসী সন্তানরা দেশকে মুক্ত করতে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিল। পাক হানাদার ও তাদের দোসররা মা-বোনের ইজ্জত হরণ করেছিল। ধ্বংস করতে চেয়েছিল বাঙালীর ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে। শত্রুর বুলেটের এত সব আঘাত সহ্য করেও সাতক্ষীরার সন্তানরা মুক্তির সংগ্রাম ছেড়ে পিছু হটেনি। তারা পাকিস্তানী বাহিনীর মোকাবেলা করেছিল বারংবার।


    ১৯৭১ সালের ২ মার্চ সাতক্ষীরা শহরে পাকিস্তান বিরোধী মিছিল বের হয়। সে মিছিলে রাজাকাররা গুলি করে হত্যা করে শহীদ আব্দুর রাজ্জাককে। আর এখান থেকে শুরু হয় সাতক্ষীরার দামাল ছেলেদের মুক্তির সংগ্রাম।


    অষ্টম ও নবম সেক্টরের অধীনে ভারতের বিভিন্ন এলাকায় ট্রেনিং শেষে ২৭ মে সাতক্ষীরার ভোমরা সীমান্তে প্রথম সম্মুখ যুদ্ধ শুরু হয় । এ সময় পাক সেনাদের ২ শতাধিক সৈন্য নিহত হয়। ১৭ ঘণ্টাব্যাপী এ যুদ্ধে শহীদ হন তিনজন মুক্তিযোদ্ধা। আহত হন আরও দুইজন মুক্তিযোদ্ধা। এরপর থেমে থেমে চলতে থাকে সাতক্ষীরার বিভিন্ন এলাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের গুপ্ত হামলা। এসব যুদ্ধের মধ্যে ভোমরার যুদ্ধ, টাউন শ্রীপুর যুদ্ধ, বৈকারী যুদ্ধ, খানজিয়া যুদ্ধ উল্লেখযোগ্য । এ সব যুদ্ধে শহীদ হয় ৩৩ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা।

    মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে শত্রুদের গুলিতে সাতক্ষীরার বীর সন্তান শহীদ হন

    শহীদ আব্দুর রাজ্জাক, কাজল, খোকন, নাজমুল, হাফিজউদ্দিন, নুর মোহাম্মদ, আবু বকর, ইমদাদুল হক, জাকারিয়া, শাহাদাত হোসেন, আব্দুর রহমান, আমিনউদ্দিন গাজী, আবুল কালাম আজাদ, সুশীল কুমার, লোকমান হোসেন, আব্দুল ওহাব, দাউদ আলী, সামছুদ্দোহা খান, মুনসুর আলী, রুহুল আমীন, জবেদ আলী, শেখ হারুনার রশিদ, প্রমুখ।

    মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে শত্রুদের গুলিতে সাতক্ষীরার বীর সন্তান শহীদ হন


    তবে মুক্তিযোদ্ধাদের অভিযোগ, স্বাধীনতার ৪৯ বছর পেরিয়ে গেলেও আজও সাতক্ষীরার বধ্যভূমি ও গণকবরগুলো সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। অযতেœ আর অবহেলায় হারিয়ে যেতে বসেছে বধ্যভূমি ও গণকবরের স্মৃতিচিহ্ন। তাই বধ্যভূমি ও গণকবরের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
    এ ছাড়া সাতক্ষীরা কালেক্টরেট চত্বরে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নির্মিত শহীদ স্মৃতি স্তম্ভে রাজাকারের নাম উল্লেখ থাকায় তা এখনও উদ্বোধন করা হয়নি। সেখানে শ্রদ্ধা জানাতে যান না মুক্তিযোদ্ধারা।
    সাতক্ষীরা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মোশারফ হোসেন মশু জানান, প্রতিবছর ৭ ডিসেম্বর সাতক্ষীরা মুক্ত দিবস উপলক্ষ্যে জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের আয়োজনের যথাযোগ্য মর্যাদায় দিনটি পালন করা হয়।
    সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ইউনিট কমান্ডার (চলতি দায়িত্বে) এস.এম মোস্তফা কামাল জানান, সাতক্ষীরার বধ্যভূমিগুলো সংরক্ষণের ইতিমধ্যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে কালেক্টরেট চত্বরের শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ নিয়ে বিদ্যমান বির্তক নিরসন করার জন্য সেখানে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের নাম লিপিবদ্ধ করে অচিরেই তা উদ্বোধন করা হবে।

  • দৈনিক ‘দক্ষিণের মশাল’র প্রতিনিধি সম্মেলন

    দৈনিক ‘দক্ষিণের মশাল’র প্রতিনিধি সম্মেলন


    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত দৈনিক ‘দক্ষিণের মশাল’ পত্রিকার প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (০৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় দক্ষিণের মশাল সংলাপ কেন্দ্রে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

    প্রতিনিধি সম্মেলনে দক্ষিণের মশাল সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহীর সভাপতিত্বে পত্রিকাটির উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

    সভাপতির বক্তব্যে অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী বলেন, পত্রিকার প্রাণ এর পাঠকেরা আর প্রতিনিধিরা প্রাণ সঞ্চারক। তারা তৃণমূল থেকে গণমানুষের সমস্যা-সম্ভাবনা, সমাজের সচিত্র প্রতিচ্ছবি তুলে ধরেন বলেই পত্রিকা পাঠকপ্রিয় হয়। অফিস সব সময় প্রতিনিধিদের গুরুত্ব সহকারে মূল্যায়ন করেছে এবং ভবিষ্যতেও করবে।

    তিনি আরও বলেন, ২০১৫ সালে ‘মানবতার পক্ষে, গণমানুষের দৈনিক’ স্লোগান নিয়ে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই দক্ষিণের মশাল গণমানুষের কথা বলে চলেছে। আমরা সব সময় সত্য প্রকাশের চেষ্টা করি। অন্য সব ক্ষেত্রে আপোষ করলেও সত্য প্রকাশে আমরা কখনো আপোষ করিনা। ভবিষত্যেও দৈনিক দক্ষিণের মশাল সত্যের আলো ছড়াবে।

    সম্মেলনে কয়েকটি সেশনে পত্রিকার আগামী দিনের পথচলায় প্রতিনিধিদের করণীয়, অফিস ব্যবস্থাপনা কতৃপক্ষের করণীয় ও পত্রিকার গুণগত মানোন্নয়নের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

    এসময় উপজেলা ও ইউনিয়ন প্রতিনিধিরা পত্রিকার মানোন্নয়নে তাদের সুচিন্তিত মতামত প্রদান করেন।

  • কলারোয়ায় কৃষক হত্যার ঘটনায় ‘ছোট জামাতা মিজান’ গ্রেফতার


    খোরদো প্রতিনিধি: কলারোয়া উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নের বিশ্বাসপাড়ায় কৃষক মোসলেম উদ্দীন বিশ্বাসকে (৬০) গলা কেটে হত্যার ঘটনায় ব্যবহৃত ছুরি ও হ্যান্ড গ্লোভস উদ্ধার করেছে পুলিশ। একই সাথে হত্যাকান্ডের সময় হত্যাকারীর শরীরে পরিহিত আবুল কালাম আজাদের ভাইপো হাবিবুরের জ্যাকেট ও কাদামাখা প্যান্ট হাবিবুরের নিজ বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।এ ঘটনায় গ্রেফতার নিহত মোসলেম উদ্দীন বিশ্বাসের ছোট জামাতা দেয়াড়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক আবুল কালাম আজাদের দেওয়া তথ্য মতে শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) বিকালে নিহতের বাড়ির ৫০০ গজ দূরের একটি পুকুর থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি ও হ্যান্ড গ্লোভস উদ্ধার করা হয়।পরে দেয়াড়া খানপাড়া থেকে গ্রেফতার আবুল কালাম আজাদের ভাইপো হাবিবুরের ঘর থেকে উদ্ধার করা হয় ঘটনায় জড়িত হাবিবুরের জ্যাকেট ও কাদামাখা প্যান্ট।সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর্জা সালাউদ্দিন জানান, হত্যাকান্ডের পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচনে প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে তদন্ত শুরু করে। তদন্তের এক পর্যায়ে শুক্রবার সকালে গ্রেফতার করা হয় নিহত মোসলেম উদ্দীন বিশ্বাসের ছোট জামাতা দেয়াড়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক আবুল কালাম আজাদকে ওরফে মিজানকে। তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক নিহতের বাড়ির ৫০০ গজ দূরের একটি পুকুর থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি ও হ্যান্ড গ্লোভস উদ্ধার করা হয়েছে। একই সাথে ঘটনায় জড়িত মিজানের ভাইপো হাবিবুরের ঘর থেকে হত্যাকান্ডের সময় গায়ে থাকা জ্যাকেট ও কাদামাখা প্যান্ট উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতার আবুল কালাম আজাদকে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির জন্য আদালতে পাঠানো হবে। গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে৷ 
    প্রসঙ্গত, গত ২৪ নভেম্বর দিবাগত রাতের কোন এক সময় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে কৃষক মোসলেম উদ্দীন বিশ্বাসকে গলা কেটে হত্যা করা হয়।

  • পিপি আব্দুল লতিফসহ ৫ জনের নামে আত্মসাতের থানায় অভিযোগ

    মামলা পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে স্ত্রীকে ফুসলিয়ে নিয়ে ভাড়া বাসায় রেখে তার সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলা, মারপিট, টাকা ছিনতাই ও স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব থেকে প্রায় আট লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পিপি এড. আব্দুল লতিফসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করা হয়েছে। সাতক্ষীরা জেলা যুবলীগের সাবেক সাংগাঠনিক সম্পাদক ও শহরের রসুলপুরের হাসানুজ্জামান ডাবলু বাদি হয়ে শুক্রবার বিকেলে এ এজাহার দায়ের করেন।
    এজাহারে বর্ণিত আসামীরা হলেন, সদরের ওয়ারিয়া গ্রামের আকাশ, নুরুল উল্য¬াহ, বিপাশা ও লতিফের পিওন পলাশ।

    জেলা যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও শহরের রসুলপুরের জামের আলীর ছেলে হাসানুজ্জামান ডাবলু জানান, সদর উপজেলার ওয়ারিয়া গ্রামের বিপাশা বিশ্বাসের সঙ্গে ১৫ বছর আগে তার বিয়ে হয়। বর্তমানে তাদের ১২বছরের একটি ছেলে রয়েছে। দু’বছর আগে তিনি চিকিৎসার জন্য ভারতে যান। এর কিছুদিন পর তার স্ত্রী বিপাশা বিশ্বাস জনৈক নজরুল ও রবিউলের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার বাদিপক্ষের আইনজীবী হওয়ার সুবাদে সাতক্ষীরা জজ কোর্টের বর্তমান পিপি এড. আব্দুল লতিফ কৌশলে তার সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলে রসুলপুর পুলিশ লাইন এলাকার ব্যাংক কর্মকর্তা মারুফ হোসেনের বাড়ির তিনতলায় ভাড়াটিয়া হিসেবে রেখে দেয়। এ বাসায় থেকে লতিফ বিপাশার সঙ্গে অবৈধ মেলামেশা ও যৌন সঙ্গম করতে থাকে। ভারত থেকে ফিরে তিনি স্ত্রীর সন্ধান না পেয়ে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেন। একপর্যায়ে বিপাশা ও লতিফের মোবাইল কললিষ্ট যাচাই করে লতিফের সঙ্গে তার স্ত্রীর সম্পর্কের বিষয়টি নিশ্চিত হন। ফলে গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে তিনি বিপাশার বাসায় যেয়ে আব্দুল লতিফকে একই বিছানায় অবস্থান করতে দেখেন। প্রতিবাদ করায় লতিফ মোবাইল ফোনে আকাশ, নুরুল উল্ল¬াহ বিশ্বাস ও পলাশকে ডাকে। এরপর তিনি বিপাশার সঙ্গে কথা বলতে চাইলে লতিফ রান্না ঘরে যেয়ে ছোট বটি এনে তার হাতে কোপ মারলে দু’টি আঙুল কেটে মারাত্মক জখম হয়। পরে আকাশ, নুরুল উল-াহ, পলাশ তাকে মারপিট করে। মারপিটের সময় বিপাশা তাকে জাপটে ধরে রাখে। লতিফ তার প্যান্টের পকেটে থাকা ট্রাক ভাড়ার ৫৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। স্থানীয়রা তার চিৎকার শুনে তাকে উদ্ধার করে তাকে চিকিৎসা করায়। স্ত্রী বিপাশার নামে স্ট্যা-ার্ড ব্যাংকে থাকা দু’ লাখ ৪০ হাজার টাকা, জনতা ব্যাংকে থাকা তিন লাখ টাকা ও আল আরাফা ব্যাংক থেকে স্ত্রীর নামে থাকা আড়াই লাখ টাকা অর্থাৎ তিন ব্যাংকে থাকা সাত লাখ ৯০ হাজার টাকা লতিফ আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এ ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে থানায় যেয়ে কর্তব্যরত অফিসারের কাছে তিনি একটি এজাহার দায়ের করেছেন। তবে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওই সময় উপস্থিত না থাকায় এজাহারটি রেকর্ড করা যায়নি।

    জানতে চাইলে এড. আব্দুল লতিফ শুক্রবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের বলেন, বিপাশাকে নির্যাতন করতো ডাবলু। এ কারণে ছয় মাস আগে বিপাশা তার স্বামীকে তালাক দেয়। বিপাশা তার বন্ধুর মেয়ে বিধায় তাকে মা বলে ডাকেন। কোর্টের এড. ওসমান গণি ও সায়েদ তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আল¬াহ এর বিচার করবেন।
    সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সাংবাদিকদের বলেন, বিপাশা তিন মাস আগে ডাবলুকে তালাক দিয়েছে বলে জেনেছেন তিনি। তবে ডাবলুর দেওয়া এজাহারটি তিনি শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত হাতে পাননি। হাতে পেলে বিষয়টি নিয়ে খোঁজ খবর নেবেন।

  • পৌরসভার ৭ ও ৯ নং ওয়ার্ডে রাস্তা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন

    পৌরসভার ৭ ও ৯ নং ওয়ার্ডে রাস্তা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন


    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা পৌরসভার ০৯ নং ওয়ার্ডের রসুলপুর এলাকায় কার্পেটিং রাস্তা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) সকাল ০৯টায় পৌরসভার ০৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ শফিক উদ দৌলা সাগর’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে এ কার্পেটিং রাস্তা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি।
    গুরুত্বপূর্ণ নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প ফেস-০২ এর আওতায় ২৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে পৌরসভার ০৯ নং ওয়ার্ডে রসুলপুর জামালের বাড়ি হতে মাসুদ পারভেজ’র বাড়ি পর্যন্ত ৩১০ মিটার কার্পেটিং রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে।
    এসময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা পৌরসভার মহিলা কাউন্সিলর ফারহা দীবা খান সাথী, সাতক্ষীরা পৌরসভার সহকারি প্রকৌশলী কামরুল আখতার তপু, সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এস.এম খলিলুর রহমান, সাতক্ষীরা পৌরসভার এসও সাগর দেবনাথ, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠঅন সরদার এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি নাজমুল ইসলাম ও তুষারসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
    এছাড়া ০৭ নং ওয়ার্ডে কুখরালী এলাকায় নতুন ড্রেণ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা পৌরসভার ০৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন কালু’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে এ ড্রেণ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি।
    গুরুত্বপূর্ণ নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প ফেস-০২ এর আওতায় ৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে পৌরসভার ০৭ নং ওয়ার্ডে কুখরালী এলাকার করিম ডাক্তারের বাড়ি হতে কুখরালী মোড় পর্যন্ত ৬০০ ফুট ড্রেণ নির্মাণ করা হচ্ছে।
    এসময় উপস্থিত ছিলেন ডা. আব্দুল করিম, মাস্টার দ্বীন মোহাম্মদ, আব্দুল হামিদ, মোহাম্মদ আলী, নুর ইসলাম, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা মো. ফজলু ঢালীসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

  • করোনা প্রতিরোধে শহরের বড় বাজারে মাস্ক বিতরণ

    করোনা প্রতিরোধে শহরের বড় বাজারে মাস্ক বিতরণ


    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় মহামারী করোনার সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) বেলা ১২টায় শহরের সুলতানপুর বড় বাজারে শহর কাঁচা ও পাকা মাল ব্যবসায়ী সমিতির আয়োজনে ও শহর কাঁচা ও পাকা মাল ব্যবসায়ী সমিতির সেক্রেটারী মো. আব্দুর রহিম বাবু’র সৌজন্যে সংগঠনের সভাপতি কাজী কবিরুল হাসান বাদশা’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে মাস্ক বিতরণ করেন সাতক্ষীরা ০২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা পৌরসভার ০৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজী ফিরোজ হাসান। এসময় উপস্থিত ছিলেন পৌর আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-দপ্তর সম্পাদক জিয়াউর বিন সেলিম যাদু, জেলা পরিষদের সদস্য ওবায়দুর রহমান লাল্টু, বাঁশদহা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মাস্টার মফিজুর রহমান, শহর কাঁচা ও পাকা মাল ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সেক্রেটারী রজব আলী খাঁ, কোষাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক কামরুল ইসলাম, ক্রীড়া সম্পাদক আনারুল ইসলাম, নির্বাহী সদস্য কবিরুল ইসলাম, মহিদুল ইসলাম, রায়হান গাজী, সুলতানপুর বড় বাজার লেবার শ্রমিক ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত সেক্রেটারী মোনতেজ আলী ও আব্দুল হাকিম প্রমুখ।

  • মসেঞ্জারের ‘ভ্যানিশ মোড’

    মসেঞ্জারের ‘ভ্যানিশ মোড’


    তথ্য ও প্রযুক্তি ডেস্ক: সম্প্রতি মেসেঞ্জারে ‘ভ্যানিশ মোড’ চালু করেছে ফেসবুক। এ ফিচারের ফলে বার্তা পাঠানোর পর তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে মুছে যাবে। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা শিগগির ইনস্টাগ্রামেও এ ধরনের ভ্যানিশ মোড চালু করা হচ্ছে।
    প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট জিএসএম অ্যারেনার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, হোয়াটসঅ্যাপে ‘ডিসঅ্যাপিয়ারিং মেসেজেস’ ফিচার যুক্ত হওয়ার ১০ দিন পর মেসেঞ্জার ও ইনস্টাগ্রামে ‘ভ্যানিশ মোড’ ফিচার এলো। এ ফিচারের ফলে প্রাপক কোনো মেসেজ দেখে চ্যাট উইন্ডো ক্লোজ করার পরই সেই মেসেজ স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডিলিট হবে।

    ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বলছে, এ সুবিধা পেতে প্রাপক ও প্রেরক দু’জনকেই ফিচারটি চালু করতে হবে। এ মোড চালু থাকা অবস্থায় কেউ স্ক্রিনশট নিলেও তার নোটিফিকেশন পাওয়া যাবে।

  • খোকার মেশিন গান

    সাপের মতো বাঁকা মাথা
    দাদুর হাতের ছড়ি,
    তার সাথেই জুড়ে দিয়ে
    হাতখানেক এক দড়ি,
    বলল খোকা এটাই হল
    আমার মেশিন গান,
    আমি হলাম মুক্তি সেনা
    শত্রু ধরে আন।।

    মেঘ বারতা’র সৌজন্যে

  • সাতক্ষীরায় যথাযত মর্যাদায় বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালিত

    সাতক্ষীরায় যথাযত মর্যাদায় বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালিত

    প্রেস বিজ্ঞপ্তি::

    ১৪ নভেম্বর বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচির পালনের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হবে।

    এ বছর দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে-‌‘ডায়াবেটিস সেবায় পার্থক্য আনতে পারেন নার্সরাই’। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন।

    দিবসটি উপলক্ষে শনিবার (১৪ নভেম্বর) সাতক্ষীরা ডায়াবেটিস হাসপাতালের উদ্যোগে সাতক্ষীরা সার্কিট হাউস প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ডাঃ আজিজুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাঃ মাহমুদুল হাসান মুক্তা। এছাড়াও প্রেস ও মিডিয়ার কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

    এসময় ডাঃ আজিজুর রহমান সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, সারাবিশ্বেই ডায়াবেটিস এখন মহামারি আকার ধারণ করেছে। এ রোগ আজীবনের। একবার হলে তা কখনো সারে না। তবে এ রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে সুস্থ স্বাভাবিক জীবন যাপন করা সম্ভব।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডাঃ মাহমুদুল হাসান মুক্তা বলেন, ‘যথাযথ চিকিৎসা শিক্ষা পেলে একজন ডায়াবেটিক রোগী চিকিৎসকের ওপর নির্ভরশীল না থেকে রোগকে ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন। এ রোগের যেসব ঝুঁকি আছে তা এড়িয়ে চলতে পারেন।’

  • সাতক্ষীরায় বেওয়ারিশ কুকুরের ব্যাপক উৎপাত: ১২দিনে ২৩৯ জন আহত

    সাতক্ষীরায় বেওয়ারিশ কুকুরের ব্যাপক উৎপাত: ১২দিনে ২৩৯ জন আহত

    • জহুরুল কবীর:

    নিধন প্রক্রিয়া বন্ধ থাকায় ও জন্ম নিয়ন্ত্রনের ব্যাবস্থা না থাকায় সাতক্ষীরা পৌরসভা এলাকায় দিন কি দিন বেওয়ারিশ কুকুরের সংখ্যা ব্যাপকভাবে বেড়েই চলেছে। শহরের মোড়ে মোড়ে বিশেষ করে রাতে যেন ডজন ডজন কুকুর দল বেধে অবস্থান করছে। প্রতিদিন কুকুরের কামড়ে মানুষ মারাত্মক জখম হচ্ছেন।

    এরপরও পৌর কর্তৃপক্ষের কোন মাথা ব্যথা নেই। আর চিকিৎসা প্রাপ্তির জন্য ভ্যাকসিন দিতে ভিড় জমছে সদর হাসপাতালে। তবে পৌর পিতা বলছেন, এখন কুকুর হত্যা করা যাবেনা। এজন্য সরকারের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ফলে ভিন্ন পথ অবলম্বন করা হচ্ছে। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জলাতঙ্ক বিভাগের চিত্র থেকে দেখাগেছে, চলতি মাসের ১২দিনে কুকুরের কামড়ে আহত হয়ে সদর হাসপাতালের জলাতঙ্ক বিভাগ থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন ২৩৯ জন। এরমধ্যে গত বৃহস্পতিবার চিকিৎসা নিয়েছেন ৩৫জন। এই ১২দিনে কুকুরে কামড়ানো পুরাতন রোগিরা চিকিৎসা নিয়েছেন ৫১৭ জন। গত অক্টোবর মাসে কুকুরের কামড়ে আহত হয়েছেন নতুন ৩২৬ জন এবং পুরানো রোগি চিকিৎসা নিয়েছেন ৯০৬ জন। আহতদের অধিকাংশই গুরুতর জখম হয়েছেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের জলাতঙ্ক বিভাগের চিকিৎসক। একই সাথে আহদের অধিকাংশই বৃদ্ধ বৃদ্ধা ও শিশু কিশোর রয়েছে।

    এব্যাপারে সাতক্ষীরা পৌরসভার মেয়র তাজকীন আহমেদ চিশতী বলেন, সরকারি নির্দেশনা রয়েছে এখন কুকুর হত্যা করা যাবেন। তাই পাগলা কুকুরদের নিবৃত করতে রাতে তাদের মোড়ে মোড়ে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে প্রতিটি এলাকার পরিচ্ছন কর্মীদের সে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। একই সাথে তিনি পৌরবাসীকে আরও সতর্ক থাকার আহবান জানিয়েনে। সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ হুসাইন সাফায়েত জানান, ঋতুগত কারণে কখনও কখনও কুকুরের আক্রমণ ভাবটা বেড়ে যায়। তারা অনেকটাই উন্মাদ হয়ে পড়ে। ফলে সাধারণ মানুষকে হঠাৎ হঠাৎ কামড়াতে থাকে। বর্তমানে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে জলাতঙ্কের ভ্যাকসিন রয়েছে। তবে কুকুরে কামড়ানো রোগির সংখ্যা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। সেক্ষেত্রে যদি ভ্যাকসিনের সংকট পড়ে ব্যক্তি উদ্যোগে ভ্যাকসিন গ্রহণের আহবান করেন জেলাবাসীর প্রতি। কারণ কুকুরে কামড়ানোর পর ভ্যাকসিন না নিলে মৃত্যুর আশংকা থেকে যায় শতভাগ। ফলে সরকারি সেবা তো চলছেই। পাশাপাশি নিজ নিজ উদ্যোগে অবশ্যই চিকিৎসা গ্রহণের পাশাপাশি সকলকে সতর্কভাবে চলাচলের অনুরোধ করেছেন।

  • দেবহাটার প্রতিবন্ধী মেহেদী এখন স্বাবলম্বী

    দেবহাটার প্রতিবন্ধী মেহেদী এখন স্বাবলম্বী

    • মশাল, দেবহাটা বিশেষ সংবাদদাতা:

    বাড়ির আঙিনা ও ফসলের ক্ষেত ধন-ধান্যে পুষ্পে ভরে তুলেছেন প্রতিবন্ধী মেহেদী হাসান। কোন প্রতিবন্ধকতাই তাকে থামাতে পারেনি। কাঁচা ধানের পাতার মতো কচি মুখের মায়া তার। সবুজ গাঁয়ের চাষির ছেলে প্রতিবন্ধী মেহেদী আজ সব করেছে জয়। সাতক্ষীরার সকল গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে মেহেদী হাসানের নাম। প্রতিবন্ধী ক্যাটাগরিতে মেহেদী হাসান ১০০% বাক প্রতিবন্ধী ও ৪০% শারীরিক প্রতিবন্ধী। সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার ঘলঘলিয়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে তিনি।

    বাবা আবুল কাশেম একসময় ছেলেকে বোঝা মনে করলেও এখন মনে করেন ছেলে তার বড় সম্পদ। মেহেদী হাসান শৈশব থেকে গাঁয়ের পথে নানা রকম ফসলের ক্ষেত দেখে বাড়িতে এসে তা লাগানোর চেষ্টা করতো। বর্তমানে সে বাড়ির আঙিনায় গড়ে তুলেছে সবজির ক্ষেত। লাল শাক, পালং শাক, বেগুন, ঝাল (মরিচ), নানা জাতের কপিসহ বিভিন্ন ফসলে বাড়ির আঙিনা ভরে তুলেছেন। লাউ, শিম ও বরবটির মাচান দিয়েছেন। সেই মাচানও ফলে-ফুলে ভরে উঠেছে। শুধু তাই নয়, বিলের আমন-বোরো ধানের ক্ষেতেও সাফল্য আছে তার। বাড়িতে আপন মনে কাজ করে গড়ে তুলেছেন ছোট্ট একটি গরুর খামার। গরুর গোসল দেওয়া ও দুধ দোহনের কাজও করেন মেহেদি হাসান। বাড়ির পুকুরে করেছেন মাছের চাষ। এভাবে নিজের আত্ম-কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে সকলের নজর কেড়েছে প্রতিবন্ধী মেহেদী হাসান। কাজের কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ উপজেলা কৃষি অফিস তাকে সম্মাননাও দিয়েছে। দিয়েছে প্রশিক্ষণ ও উন্নতমানের বীজ।

    দেবহাটা উপজেলার দেবহাটা উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোস্তাক আহম্মদ বলেন, তিনি দেবহাটা উপজেলার কৃষি বিভাগের উপ-সহকারী কৃষি অফিসার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর তার ব্লক টাউনশ্রীপুর ও ঘলঘলিয়া এলাকায় কাজ করাকালীন মেহেদীর সাথে পরিচয় হয়। মেহেদির পিতা আবুল কাশেম তার ব্লকে সদস্য হিসেবে কাজ করতেন। মেহেদীর গল্প শুনে তাকে প্রশিক্ষণ ও বীজ দিয়ে সহায়তা করা হয়। এতে আরও বেশি সাফল্য পায় মেহেদি। সে আরও উদ্যোগী ও উদ্যমী হয়ে ওঠে। এরপর সে গড়ে তোলে সবজির খামার, ধানের ক্ষেত, মাছের ঘের ও গরুর খামার। মেহেদী এখন স্বাবলম্বী।

    দেবহাটা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরীফ মোহাম্মদ তিতুমীর ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শওকত ওসমান বলেন, মেহেদীকে কৃষি বিভাগের কয়েকটি প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণ শেষে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে সবজি বীজ, সারসহ বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ করা হয়। কৃষি অফিসার মোস্তাক আহম্মদ মেহেদীকে নিজে ওই সকল বীজগুলো সংরক্ষণ ও ফসল ফলাতে হাতে কলামে কাজ শেখান।

    মেহেদির পিতা আবুল কাশেম বলেন, এক সময় মেহেদীর প্রতিবন্ধীতা দেখে খারাপ লাগতো। শারীরিক ও বাক্ প্রতিবন্ধী হওয়ায় সে অনেক কষ্ট পেতো। আজ সেই মেহেদী আমার বড় সম্পদ। অনেকেই তার খামার দেখতে আসে। তখন গর্বে বুকটা ভরে ওঠে।

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাছলিমা আক্তার বলেন, ঐতিহ্যবাহী উপজেলার প্রতিবন্ধী মেহেদীও আমাদের গৌরব। তিনি মেহেদীর থেকে শিক্ষা নিয়ে সকলকে এই ধরনের কাজ করতে আহবান জানান।

  • সাতক্ষীরায় মাদক বিরোধী  মোটরসাইকেল র‌্যালি

    সাতক্ষীরায় মাদক বিরোধী মোটরসাইকেল র‌্যালি

    • মশাল ডেস্ক:

    মাদকের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার প্রত্যয়ে সাতক্ষীরায় ১২০ কিলোমিটার মোটরসাইকেল র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। র‌্যালির স্লোগান ছিল-‘আর নয় মাদক। মাদক গ্রহণ নয়, বেচাকেনাও নয়’। শত তরুণের স্লোগানে সাতক্ষীরায় শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) সাতক্ষীরা সদরের বাবুলিয়া থেকে শ্যামনগরের মুন্সিগঞ্জ পর্যন্ত ওই র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। পথে যেতে এ সময় বিভিন্ন এলাকায় জনসচেতনামূলক সমাবেশও করা হয়। সেবা সংঘ নামের একটি বেসরকারি সংস্থা সীমান্ত জেলা সাতক্ষীরায় ওই র‌্যালি বের করে। এতে ১৫০টি মোটরসাইকেল অংশ নেন। র‌্যালিটি সাতক্ষীরার দেবহাটার পারুলিয়া, সখীপুর, কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা, কাটুনিয়া রাজবাড়ি, শ্যামনগরের খানপুর, নূরনগর, পরানপুর, নকিপুর শাহী মসজিদ, বংশীপুর, ঈশ্বরীপুর শাহী মসজিদ, মুন্সিগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড, কলবাড়ি, নোয়াবেকি, কালিগঞ্জের বালিয়াডাঙা বাজার, বিষ্ণুপুর বাজারসহ বিভিন্ন দর্শনীয় পয়েন্ট প্রদক্ষিণ করে। একই সাথে মাদকের বিরুদ্ধে জনমত গঠনে সকলকে জেগে ওঠার আহ্বান জানানো হয়। পথে পথে করা হয় সমাবেশ। তুলে ধরা হয় মাদকের কুফল ও নেতিবাচক প্রভাব।

    সর্বশেষ সুন্দরবন সংলগ্ন মুন্সিগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে সমাবেশ করা হয়। এরপর বিকল্প পথে র‌্যালিটি আবার সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় ফিরে আসে। বিভিন্ন সমাবেশে বক্তব্য দেন সেবা সংসদের সভাপতি কওসার আলী, সেক্রেটারি রজব আলী, মো. মহিবুল্লাহ, জুলফিকার আলি ও মো. ইসরাইল হোসেন। বক্তারা বলেন, সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করেছে সর্বনাশা মাদকের বিষবাষ্প। মরণ নেশার নীল দংশিত হচ্ছে যুবসমাজ। নেশা সর্বনাশা জেনেও যুব সমাজ এ মরণ নেশায় আসক্ত হচ্ছে। ভারতের সীমান্তবর্তী জেলা সাতক্ষীরা হওয়ার কারণে মাদকের সদর দরজায় পরিণত হয়েছে। সুন্দরবনসহ ডাঙা, নদী সীমান্ত ও চোরাইপথ দিয়ে প্রতিদিন আসছে ফেন্সিডিল, গাঁজা, ইয়াবা, মদ ও চরসসহ নানা ধরনের মাদকদ্রব্য। গ্রামবাসীর সচেতনতার অভাবে এই দীর্ঘ সীমান্ত দিয়ে মাদক পাচার রোধ করতে পারছে না আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলো। যুব সমাজকে বাঁচাতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। বক্তারা, মাদকাসক্তদের এই অন্ধকার পথ ছেড়ে আলোর পথে ফিরে আসার আহ্বান জানান।