Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
বিশেষ সংবাদ Archives - Page 34 of 74 - Daily Dakshinermashal

Category: বিশেষ সংবাদ

  • মুনসুর আহমেদের সুস্থ্যতা কামনায় দোয়া

    মুনসুর আহমেদের সুস্থ্যতা কামনায় দোয়া

    দেবহাটা প্রতিনিধি: দেবহাটার কৃতি সন্তান, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাবেক সাংসদ ও পারুলিয়া আহছানিয়া মিশনের সভাপতি মনসুর আহমেদ অসুস্থ থাকায় তার আশু রোগমুক্তি ও সুস্থ্যতা কামনায় দেবহাটায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার মাগরিবের নামাজ শেষে পারুলিয়া আহছানিয়া মিশনের সাধারণ সম্পাদক জামাল বিশ্বাসের পরিবারের পক্ষ থেকে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এসময় পারুলিয়া আহছানিয়া মিশনের জমিদাতা মোসলেহউদ্দিন মুকুল, সহ-সভাপতি শাহাবুদ্দিন বিশ্বাস আবারা, সহ-সভাপতি রজব আলী মোল্ল্যা, সাধারণ সম্পাদক জামাল বিশ্বাস, নাজমুল হোসেন, সদস্য রফিকুল ইসলাম, জিয়াদ আলী, গোলাম ফারুক, মোস্তফা কামাল সরদার, আব্দুল্লাহ মোল্ল্যা, সাফায়েত হোসেন বাচ্চু, সরদার ইদ্রিস আলী, খোকন হোসেন, হাফিজসহ আহছানিয়া মিশনের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

  • বাংলাদেশের প্রথম নারী কাজি হতে চেয়েছিলেন আয়েশা

    বাংলাদেশের প্রথম নারী কাজি হতে চেয়েছিলেন আয়েশা

    বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন

    অনলাইন ডেস্ক   :

    গত প্রায় ১৯ বছর ধরে দিনাজপুরে ফুলবাড়ী উপজেলার পূর্ব কাটাবাড়ীতে হোমিও চিকিৎসক হিসেবে কাজ করছেন আয়েশা সিদ্দিকা। এলাকায় চিকিৎসক হিসেবে বেশ সুনামও আছে তার। এখনো তিনি সপ্তাহে চারদিন রোগী দেখেন। কিন্তু এই হোমিও চিকিৎসকই হতে চেয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রথম নারী কাজি বা নিকাহ্ রেজিস্টার।

    ব্যতিক্রমী পেশার স্বপ্নে

    ২০১২ সালে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেখে ফুলবাড়ী পৌরসভায় নিকাহ রেজিস্টার বা কাজি পদের জন্য আবেদন করেন আয়েশা সিদ্দিকা। নিয়োগ বিজ্ঞাপনে কেবল পুরুষ সদস্য আবেদন করতে পারবেন, এমন কোনো কথা লেখা ছিল না। ধাপে ধাপে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা দিয়ে ২০১৪ সালে নিয়োগ পরীক্ষায় তিনি প্রথম স্থান অধিকার করেন।

    নিয়োগ প্রক্রিয়া চূড়ান্তে গঠিত কমিটির সদস্য ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়রসহ মোট পাঁচজন। ওই কমিটি নির্বাচিত তিনজন সদস্যের একটি প্যানেল প্রস্তাব দিয়ে চূড়ান্ত করে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছিল।

    এরপর মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি দিয়ে কমিটির কাছে জানতে চাওয়া হয়, তারা কাকে নিয়োগ দিতে চান। সেসময় কমিটি চিঠি দিয়ে আয়েশা সিদ্দিকাকে নিয়োগের সুপারিশ করে। কিন্তু কয়েকমাস পরে আয়েশাকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছিল যে নিয়োগ কমিটির প্রস্তাবিত প্যানেল বাতিল করে দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়।

    আদালতে গেলেন কখন?

    বিবিসি বাংলাকে আয়েশা সিদ্দিকা জানিয়েছেন, ২০১৪ সালের ১৬ই জুন আইন মন্ত্রণালয় ‘বাংলাদেশের বাস্তব অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে নারীদের দ্বারা নিকাহ্ রেজিস্টারের দায়িত্ব পালন করা সম্ভব নয়’ – এমন মত দিয়ে একটি চিঠি দিয়ে নিয়োগ কমিটির প্রস্তাবিত প্যানেল বাতিল করে।

    মনঃক্ষুণ্ণ হলেও তিনি মেনেই নিয়েছিলেন বিষয়টি। কিন্তু এরমধ্যে আয়েশা হঠাৎ জানতে পারলেন, প্যানেলের প্রস্তাবিত তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা ব্যক্তিকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে, যিনি একজন পুরুষ এবং সম্পর্কে তার আত্মীয়।

    আয়েশা বলেন, ‘এই ঘটনায় আমি খুবই আঘাত পাই মনে। আমার খুব অপমানও লাগে যখন জানতে পারি যে পরীক্ষায় প্রথম হয়েও আমি নিয়োগ পাব না, কারণ আমি নারী।’

    বিষয়টি নিয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়লে স্বামীর পরামর্শে আয়েশা আইনি প্রতিকার চাইতে ঢাকায় আসেন। এরপরই আইন মন্ত্রণালয়ের ওই চিঠিকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন আয়েশা সিদ্দিকা।

    ছয় বছর পরে ২০২০ সালের ২৬শে ফেব্রুয়ারি আদালত মন্ত্রণালয়ের মতামতকে বহাল রেখে রায় দেন। সম্প্রতি ১০ই জানুয়ারি পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়, আর তারপরই বিষয়টি সবার সামনে চলে আসে। বিষয়টি নিয়ে দেশের গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা চলছে এখনো।

    রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে যে, কিছু নির্দিষ্ট শারীরিক ও সামাজিক বাস্তবতার কারণে দেশের নারীরা নিকাহ্ রেজিস্টার বা কাজি হতে পারবেন না।

    আয়েশা জানিয়েছেন, পূর্ণাঙ্গ রায় এখন প্রকাশিত হলেও, ২০২০ সালে আদালতের রায়ের পরই তিনি আপিল করা সিদ্ধান্ত নেন। ইতোমধ্যে অ্যাপিলেট ডিভিশনে এ নিয়ে একটি আপিল দায়ের করা হয়েছে।

    কেন কাজি হতে চেয়েছিলেন আয়েশা?

    আয়েশা সিদ্দিকার কাছে বিবিসি বাংলার পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয়েছিল- নিকাহ রেজিস্টার বা কাজির মত যে পেশায় এখনো পর্যন্ত কোন নারী নিয়োগ পাননি, তেমন একটি পদে তিনি কেন আবেদন করেছিলেন?

    জবাবে তিনি বলেছেন, ‘ব্যতিক্রমী কিছু করার জন্য আমি আবেদন করিনি। বিজ্ঞপ্তি দেখে আগ্রহী হয়েছিলাম, কারণ সমাজে গ্রহণযোগ্যতা আছে এই পেশার। তাছাড়া ওই বিজ্ঞপ্তিতে তো উল্লেখ ছিল না যে নারীরা আবেদন করতে পারবে না। আমি যখন দেখলাম যে নারী পুরুষ কিছু উল্লেখ নাই, তখন ভাবলাম – তাহলে আমি তো আবেদন করতেই পারি।’

    ‘পরে আবেদনপত্র বাছাই, বা পরীক্ষার সময়ও তো আমাকে নারী বলে বাদ দেয় নাই, নিয়োগ কমিটিও তো ফলাফল চূড়ান্ত করে প্রস্তাব পাঠিয়েছে। এই কোনো পর্যায়েই তো আমাকে ‘ডিসকোয়ালিফাইড’ বা অযোগ্য ঘোষণা করা হয় নাই! তাহলে আমি তো অযোগ্য না।’ বলেন আয়েশা।

    আয়েশার শৈশব ও কৈশোর কেটেছে ফুলবাড়ীর পূর্ব কাটাবাড়ীতে। তিন বোন এক ভাইয়ের পরিবারে দ্বিতীয় সন্তান তিনি। বাবাও ছিলেন হোমিও চিকিৎসক। বাবা অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় মাদ্রাসায় পড়তে পড়তেই অল্প বয়সে বিয়ে দিয়ে দেয়া হয় তাকে। বিয়ের পরও তিনি পড়াশোনা চালিয়ে যান। একই সঙ্গে ফুলবাড়ীর দারুল সুন্নাহ সিনিয়র সিদ্দিকিয়া মাদ্রাসা থেকে ফাজিল পাস করেছেন, আবার হোমিও কলেজ থেকেও ডিগ্রী নিয়েছেন।

    আয়েশা বলেন, ‘ব্যতিক্রমী কিছু করার ইচ্ছা ছিল না, কিন্তু এটা মেনে নেয়া কষ্টকর যে শুধু নারী হওয়ার কারণে আমি অযোগ্য হবো অন্য কোনো কিছুর জন্য।’

  • আজ পৌষ পার্বণ বা মকর সংক্রান্তি

    আজ পৌষ পার্বণ বা মকর সংক্রান্তি

    আব্দুল্লাহ: আজ ১৪ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার পৌষ পার্বণ বা মকর সংক্রান্তিÍ। মকর সংক্রান্তির দিন দান, স্নান ও সূর্য আরাধনার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এদিন সূর্যকে লাল বস্ত্র, গম, গুড়, মুসুর ডাল, তামা, সোনা, সুপুরি, লাল ফুল, নারকেল, দক্ষিণা ইত্যাদি অর্পণ করা উচিত। মকর সংক্রান্তির দিনে পুণ্যকালে দান করলে অক্ষয় ফল ও পুণ্য লাভ হয়।শাস্ত্র মতে, সূর্য যখন দক্ষিণায়নে থাকেন, তখন সেই ৬ মাস দেবতাদের রাত ও উত্তরায়ণের ৬ মাস দেবতাদের দিন হিসেবে বিবেচ্য। দক্ষিণায়নকে অন্ধকার ও অশুভ প্রতীক মনে করা হয়। আবার উত্তরায়ণ শুভ এবং প্রকাশের প্রতীক। উত্তরায়ণের গুরুত্ব বর্ণনা করে কৃষ্ণ গীতার অষ্টম অধ্যায় বলেছেন, ৬ মাস যখন ভাস্কর দেব উত্তরায়ণে থাকেন, তখন পৃথিবী আলোকিত হয়। এই প্রকাশের মধ্যে দেহত্যাগ করলে ব্যক্তির পুনর্জন্ম হয় না এবং সে ব্রহ্ম লাভ করে। অন্যদিকে সূর্যের দক্ষিণায়নের সময় দেহত্যাগ করার ফলে ব্যক্তির পুনর্জন্ম হয়। মকর সংক্রান্তির দিনে যজ্ঞের আহুতি গ্রহণের জন্য দেবতা স্বয়ং মর্ত্যে আসেন। তখন এই পথেই প্ণ্যুাত্মারা শরীর ত্যাগ করে স্বর্গলোকে প্রবেশ করেন।এদিন সূর্য শনির সঙ্গে দেখা করতে স্বয়ং তাঁর গৃহে প্রবেশ করেন। শনি মকর রাশির অধিপতি হওয়ায়, সূর্যের প্রভাবের ফলে শনি দুর্বল হয়ে পড়ে। মকর সংক্রান্তির দিনে সূর্য-শনির সাধনা ও এর সঙ্গে সম্পর্কিত দানরে ফলে শনিজনিত দোষ দূর হয়।আবার মকর সংক্রান্তির দিন গঙ্গা স্নানের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। শাস্ত্র মতে, মকর সংক্রান্তির দিনই বিষ্ণুর বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ থেকে নির্গত গঙ্গা ভগীরথের পিছন পিছন কপিল মুনির আশ্রমে পৌঁছন। কপিল মুনির আশ্রম থেকেই সাগরে মিশে যান গঙ্গা। সে সময় গঙ্গা ভগীরথের পূর্বপুরুষ মহারাজ সগরের পুত্রদের মুক্তি প্রদান করেন। তাই গঙ্গা ও গঙ্গাসাগরে স্নানের গুরুত্ব অপরিসীম। আবার অন্য এক পৌরাণিক ধারণা অনুযায়ী, পিতামহ ভীষ্ম মহাভারত যুদ্ধ শেষে সূর্যের উত্তরায়ণের অপেক্ষা করেন ও মকর সংক্রান্তিতে প্রাণ ত্যাগ করেন। এ-ও মনে করা হয় যে, কৃষ্ণকে সন্তান রূপে পাওয়ার জন্য যশোদা এ দিন উপবাস করেছিলেন। পদ্মপুরাণ অনুযায়ী উত্তরায়ণ বা দক্ষিণায়ন শুরুর সময় যে পুণ্য কর্ম করা হয়, তা অক্ষয় হয়। মকর সংক্রান্তির দিন সূর্যোদয়ের পূর্বে স্নান করা উচিত। এমন করলে ১০ হাজার গৌদানের সমান ফল লাভ হয়। এ সময়ের তর্পণ, দান ও দেব আরাধনা অক্ষয় হয়। এ সময় যে কোনও তীর্থ, নদী বা সমুদ্রে স্নান করে দান-পুণ্য করে কষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তবে প্রয়াগরাজ সঙ্গমে স্নানের ফলে মোক্ষ লাভ সম্ভব।দেশ জুড়ে নানা ভাবে নানা নামে মকর সংক্রান্তি উৎসব পালিত হয়। আরাধনা করা হয় কোথাও লক্ষ্মীর, কোথাও বা সূর্যের, কোথাও বা পূজিত হন । কিন্তু পূজা বা প্রসাদের উপকরণ মূলত এক – নতুন ফসল। আমাদের এই উৎসব পৌষ সংক্রান্তি, পৌষপার্বণ বা নবান্ন। বাঙালির কাছে এই উৎসব মূলত নতুন ফসলের। গ্রামবাংলার ঘরে ঘরে ওঠে নতুন ধান, নতুন অন্ন। তাই এই উৎসব বাঙালির কাছে ‘নবান্ন’। পৌষ সংক্রান্তি শস্যোৎসব। ক্ষেতের পাকা ধান প্রথম ঘরে ওঠা উপলক্ষে পালিত হয় এই উৎসব। পাকা ধানের শিস এনে নির্দিষ্ট কিছু আচার-অনুষ্ঠান পালন করা হয়। দু’-তিনটি খড় এক সঙ্গে লম্বা করে পাকিয়ে তার সঙ্গে ধানের শিস, মুলোর ফুল, সরষে ফুল, আমপাতা ইত্যাদি বেঁধে ‘আউনি বাউনি’ তৈরি করা হয়। এই ‘আউনি বাউনি’ ধানের গোলা, খড়ের চাল, ঢেঁকি, বাক্স-প্যাঁটরায় গুঁজে দেওয়া হয়।বাংলায় পৌষপার্বণের প্রধান অঙ্গ হল পিঠে খাওয়া। এই সময়ে নতুন ধানের পাশাপাশি বাংলার গ্রামে গ্রামে খেজুর গাছে রস আসে, তৈরি হয় নতুন গুড়, খেজুর গুড়। তাই নতুন চালের গুঁড়ো, নতুন গুড়, নারকেল আর দুধ দিয়ে তৈরি করা হয় নানা ধরনের পিঠে। তাই পৌষপার্বণের আরেক নাম পিঠেপার্বণ।আমাদের দেশে, বিশেষ করে ঢাকায়, পৌষ সংক্রান্তির দিন পালিত হয় সাকরাইন উৎসব। এ দিন শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুড়ি ওড়ানো হয়। বহু জায়গাতেই পৌষ সংক্রান্তির দিন ঘুড়ি ওড়ানোর রেওয়াজ আছে।এদিন সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঘরে ঘরে আয়োজন করা হয় নানা রকম খাবার। সংক্রান্তির দিনে বাংলার প্রতিটি ঘরেই গৃহিণীরা নতুন চালের বিভিন্ন নকশা ও সুস্বাদু পিঠে তৈরি করেন।

  • সাতক্ষীরা পৌরসভার নির্বাচনের নৌকার টিকেট পেলেন শেখ নাসেরুল হক

    সাতক্ষীরা পৌরসভার নির্বাচনের নৌকার টিকেট পেলেন শেখ নাসেরুল হক

    জহুরুল কবীর : আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার টিকেট পেলেন সাতক্ষীরা পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র শেখ আশরাফুল হকের ছেলে শেখ নাসেরুল হক।

    জেলা আওয়ামীলীগের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দরা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। উল্লেখ্যঃবুধবার সারাদেশে আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয়ভাবে দেশের বিভিন্ন পৌরসভা নির্বাচনের প্রাথীদের নামের তালিকা প্রকাশ করেন। 

  • সাতক্ষীরা-মুন্সীগঞ্জ সড়ক ৩৪ ফুটে উন্নীত করতে চাই- সচিব সফিকুল আহম্মদ

    সাতক্ষীরা-মুন্সীগঞ্জ সড়ক ৩৪ ফুটে উন্নীত করতে চাই- সচিব সফিকুল আহম্মদ

    নিজস্ব প্রতিবেদক, দেবহাটা: গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, দেবহাটার পারুলিয়া ইউপির খেঁজুরবাড়ীয়া গ্রামের কৃতি সন্তান, সৎ ও নিষ্ঠাবান ব্যক্তিত্ব মো: সফিকুল আহম্মদ প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন- অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ, জনবসতিপূর্ণ সাতক্ষীরা-মুন্সীগঞ্জের আঠার ফুট মহাসড়কটি ৩৪ ফুটে উন্নীত করতে চাই। আর এ কাজ অতি দ্রুততম সময়ে অর্থাৎ আগামী কয়েক মাসের মধ্যে যাতে কার্যক্রম শুরু হয় সেজন্য এলাকার সন্তান হিসেবে যেখানে যাওয়া লাগে তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে। আমার পক্ষ থেকে কোনো গাফিলতি হবে না। আর এ জন্য ঢাকা, খুলনা থেকে সড়ক ও জনপদ বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে এসেছি। যাতে ওনারা সড়ক ও জনপদ বিভাগের স্থানীয় নির্বাহী প্রকৌশলীদের নিয়ে সরেজমিন পরিদর্শন করে এ রোড থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নানা পরিবহন সহ নানা ধরনের বাহন চলাচল, অনেকগুলো উপজেলার সাথে সংযোগ, রাস্তা চিকনের কারণে প্রতিনয়ত সড়ক দুর্ঘটনা তথা রাস্তা প্রশস্ত করার নানান যৌক্তিক কারণগুলো সংশ্লিষ্ট দপ্তর বা মন্ত্রণালয়ে উপস্থাপন করতে পারেন।
    সচিব আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সারা দেশে উন্নয়নমূলক কাজ অব্যাহত আছে। তারপরও এলাকার সন্তান হিসেবে যার যার এলাকার উন্নয়নে একটা দায়বদ্ধতা থেকেই যায়। সে কারণে সরকারি দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি প্রত্যেক কর্মকর্তাকে তার নিজস্ব এলাকার উন্নয়নে ভূমিকা থাকা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। তিনি উপস্থিত সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের পাশাপাশি সড়ক উন্নয়ন সহ এলাকার যে কোনো উন্নয়নে যার যার অবস্থান থেকে আন্তরিক সহযোগিতার আহবান জানান ।
    সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার ২নং পারুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের হল রুমে ১১ জানুয়ারি সোমবার বেলা সাড়ে ১০ টা হতে অনুষ্ঠিত সাতক্ষীরা-কালিগঞ্জ তথা মুন্সিগঞ্জ পর্যন্ত সড়ক উন্নয়ন বিষয়ক মতবিনিময় সভায় দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাছলিমা আক্তার এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের উপ-সচিব মো: সামীমুজ্জামান, সড়ক ও জনপদ বিভাগ খুলনার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী তাপসী দাশ, সড়ক ও জনপদ বিভাগ সাতক্ষীরার নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ, দেবহাটা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্জ মো: মুজিবর রহমান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো: মনিরুজ্জামান মনি, সখীপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ফারুক হোসেন রতন, সখীপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সরদার আমজাদ হোসেন প্রমূখ।
    ইউপি সদস্য সালাহউদ্দিন সরাফির সহযোগিতায় এবং পারুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: সাইফুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন সমাজসেবক সাজন, সহকারী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ সিদ্দিকী, সরকারি খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা কলেজের সিনিয়র প্রভাষক মো: মনিরুজ্জামান (মহসিন), ইউপি সচিব, ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ, সংবাদকর্মী ও বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। সভা শেষে সাতক্ষীরার এ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান কলেজের পক্ষ থেকে প্রধান অতিথিকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। প্রধান অতিথি আজ বিকালের ফ্লাইটে ঢাকার উদ্দেশ্যে সাতক্ষীরা ত্যাগ করবেন বলে জানা গেছে।

  • আম্পান ও করোনার ক্ষতি কাটাতে হিমসিম খাচ্ছে ২২ লাখ মানুষ

    আম্পান ও করোনার ক্ষতি কাটাতে হিমসিম খাচ্ছে ২২ লাখ মানুষ

    প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরায় বিশেষ বরাদ্দের দাবি

    নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনা ও আম্পানের মত ভয়াহব দুর্যোগ মোকাবেলা করতে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরার ২২ লাখ মানুষ রীতিমত হিমসিম খাচ্ছে। দেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে সাতক্ষীরা জেলায় দরিদ্্র মানুষের সংখ্যা সব চেয়ে বেশি, অথচ করোনা সিডর-আইলা-বুলবুল-আম্পানের মতো ভয়াবহ দুর্যোগ মোকাবেলায় এ জেলার জন্য সরকারের নেই অতিরিক্ত কোন বরাদ্দ। ফলে সাতক্ষীরা উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় নাকাল হয়ে পড়েছে। দুর্বিসহ জীবনযাপন করছে তারা।
    সুপার সাইক্লোন আম্পান ৮ মাস আগে সাতক্ষীরায় শক্তিশালী রুপ নিয়ে আঘাত হানে। আম্পানে বিধ্বস্ত আশাশুনি ও শ্যামনগর উপজেলার দেড় লক্ষাধিক মানুষ এখনো নদীর জোয়ার ভাটার সাথে লড়াই করে বসবাস করছে। অনেকের একমাত্র আশ্রয়স্থল হয়ে দাঁড়িয়েছে নদীর বেড়িবাঁধ। আর করোনায় কর্মহীন হয়ে পড়েছে অসংখ্য মানুষ। অনেকেই কর্মের খোঁজে সাতক্ষীরা ছেড়ে অন্যত্রে চলে যেতে বাধ্য হচ্ছে। এমতাবস্থায় সাতক্ষীরার উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষকে বাঁচাতে অতিরিক্ত বরাদ্দসহ সরকারকে বিশেষভাবে নজর দেয়ার দাবি সাতক্ষীরার ২২ লাখ মানুষের।


    ২০১০ সালের বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ পরিসংখ্যান মতে সাতক্ষীরা জেলায় মোট জনসংখ্যা ১৯ লাখ ৮৫ হাজার ৯৫৯ জন, যা বর্তমানে দাঁড়িয়েছে প্রায় ২২ লাখে। পরিবারের সংখ্যা ৪ লাখ ৬৯ হাজার ৮৯০টি। ওই পরিসংখ্যান অনুযায়ী সাতক্ষীরা জেলার ৪৬.৩০ ভাগ মানুষ দারিদ্রসীমার নীচে বসবাস করে। আর ২৯.০৭ ভাগ মানুষ অতিদরিদ্র। দেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে সাতক্ষীরা অঞ্চলের মানুষ সবচেয়ে দরিদ্র ও পিছিয়েপড়া জনগোষ্টি।
    সাতক্ষীরা উপকূলবর্তী জেলা হওয়ায় প্রতিবছর এখানকার মানুষকে কোন না কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করতে হয়। দুর্যোগপ্রবন জেলা হিসেবে চিহ্নিত সাতক্ষীরা। অথচ এ জেলায় সরকারের অতিরিক্ত কোন বরাদ্দ না থাকায় মানুষজন সীমাহীন দুর্ভোগের মধ্যে দিনাতিপাত করছে। নেই কোন বাড়তি সুযোগ-সুবিধা। দিন দিন দরিদ্র ও অতিদরিদ্র মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে মানুষের আগামী দিনের ভবিষ্যত।


    করোনার ভয়াল ছোঁবলে গত বছর (২০২০ সালে ) ২০ মে সাতক্ষীরা উপকূল অঞ্চলে আঘাতহানে সুপার সাইক্লোন আম্পান। ল-ভ- হয়েপড়ে সাতক্ষীরার বিস্তিন্ন এলাকা। আম্পান ৮ মাস অতিবাহিত হয়েছে। অথচ উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ এখনও মাজা সোজাকরে দাঁড়াতে পারেনি। একদিকে করোনার ভয়াল ছোঁবল, অন্যদিকে শক্তিশালী আম্পানের আঘাত। অনেক এলাকায় এখনও বেড়িবাঁধ সংস্কার করা সম্ভব হয়নি। ফলে গ্রামের উপর দিয়ে আজও নদীর জোয়ার-ভাটা প্রবাহিত হচ্ছে। রাস্তাঘাটের বেহালদশা, খানাখন্দে ভরা। অনেক এলাকায় রাস্তাঘাট নদীতে ধসে গেছে। দুর্গত এলাকায় চিকিৎসা, সুপেয় পানি ও খাদ্য সংকট লেগেই আছে। সবমিলিয়ে সাতক্ষীরা অঞ্চলের মানুষের কাটছে দুর্বিসহ জীবন।
    তথ্যানুসন্ধানে জানাগেছে, করোনা ও আম্পানে সাতক্ষীরা জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরে করোনা, ক্ষুদ্র নৃগোষ্টি ও নদী ভাঙ্গন রোধ খাতে গত এক বছরে মাত্র ৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সাতক্ষীরা জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে করোনা ও আম্পানে বরাদ্দ পাওয়াগেছে ২০ জনকে ২ হাজার টাকা করে মাত্র ৪০ হাজার টাকা এবং প্রতিটি উপজেলার ৬ টা করে সেলাই মেশিন অর্থাৎ জেলার ৭ টা উপজেলায় ৪২টি সেলাই মেশিন। আম্পানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর থেকে বরাদ্দ পাওয়া গেছে ৩ কোটি ৬০ লাখ ৮১ হাজার টাকা ব্যয়ে ২১১টি ভূমিহীন পরিবারের জন্য গৃহনির্মাণ প্রকল্প। নিয়মিত বরাদ্দের বাইরে কোন বরাদ্দই দেয়া হয়নি সাতক্ষীরায়।
    স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ জেলার সিংহভাগ রাস্তাঘাট সংস্কার ও ঘুর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ করে থাকে। এই দপ্তরে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, আম্পানের ক্ষয়ক্ষতির চিত্র তুলে ধরে ৩১ কোটি ৫০ লাখ টাকার পৃথক ১০টি প্রকল্প ( ৪৫.২৬ কি: মি: সড়ক সংস্কারের জন্য ) তৈরী করে সংশ্লিষ্ট বিভাগে চাহিদাপত্র পাঠিয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ। কিন্তু আম্পান প্রকল্পে আজও কোন বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। বেসরকারি সংস্থার উল্লেখযোগ্য সহায়তার মধ্যে উত্তরণ করোনা মোকাবেলায় দাতাদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে গত এক বছরে প্রায় ১৮ কোটি টাকা সংগ্রহ করে সাতক্ষীরার মানুষকে নগদ অর্থসহ বিভিন্ন সহায়তা করেছে এবং এসব সহায়তা অব্যাহত রয়েছে। সংস্থাটি স্বাস্থ্য বিভাগের সাথে করোনা মোকাবেলায় মানুষকে সচেতন করতে নানা ধরনের প্রচারনাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। হাতেগোনা আরো কয়েকটি বেসরকারি সংস্থা কাজ করে যাচ্ছে।
    সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আনিসুর রহিম বলেন,

    শিক্ষা- স্বাস্থ্য-চিকিৎসা, বাসস্থানসহ নাগরিক সুবিধা থেকে অনেকখানি বঞ্চিত সাতক্ষীরা জেলার মানুষ। দেশের অন্যান্য জেলার তুলনায় সাতক্ষীরা জেলা অনেক পিছিয়ে। এ জেলায় নিরক্ষরতার হার অন্য জেলা থেকে ১৮ ভাগ বেশি। স্বাস্থ্যে অন্যান্য জেলা থেকে ২০ ভাগ বেশি মানুষ বঞ্চিত। এ জেলায় তেমন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। যোগাযোগ ব্যবস্থা, অবকাঠামোগত উন্নয়ন না হওয়ায় দিন দিন আরো পিছিয়ে পড়ছে সাতক্ষীরা। দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পুন:বাসনে সরকারকে নজর দিতে হবে । এ জেলার অর্থনৈতিক কর্মকান্ডকে এগিয়ে নিতে হলে অতিরিক্ত বরাদ্দের প্রয়োজন। তা নাহলে দিন দিন সাতক্ষীরা জেলা আরো পিছিয়ে পড়বে।

    সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আনিসুর রহিম


    সাতক্ষীরার নাগরিক নেতা এড. ফাইমুল হক কিসলু বলেন, সাতক্ষীরা জেলা দুর্যোগপ্রবন একটি জেলা। এ জেলায় সমস্যার কোন শেষ নেই। জলাবদ্ধতা নিরসন, কয়েক’শ কিলোমিটার উপকূলীয় ঝুকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ স্থায়ী ভাবে নির্মানসহ এখানকার মানুষের বেশ কিছু যৌক্তিক দাবি রয়েছে। সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তা নিরসনে সরকার যদি দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা না গ্রহন করে তাহলে সাতক্ষীরা জেলা মনুষ্যবসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়বে। অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মধ্যে দিনাপতিপাত করছে দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের লাখ লাখ মানুষ। এসব মানুষকে রক্ষা করতে হলে সরকারকে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। নশ্চিত করতে হবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরার জন্য অতিরিক্ত বরাদ্দ।
    সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল বলেন, সাতক্ষীরা একটি দুর্যোগপ্রবন জেলা। প্রতিবছর কোন না কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করতে হয় এখানকার মানুষকে। দুর্যোগ পূর্ববর্তী, দুর্যোগকালীন এবং দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে এখানকার মানুষের কষ্টের সীমা থাকেনা। দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য একটি সুপরিকল্পিত পরিকল্পনা তৈরী করা খুবই জরুরী। আর এজন্য আম্পানের পর বেসরকারি সংস্থা উত্তরণসহ অন্যান্য কয়েকটি সংস্থার সহায়তায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি সুপারিশমালা তৈরীর কাজ চলছে। ডাটাবেজ তৈরীর কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। চলতি মাসের মধ্যেই বিশেষ করে সাতক্ষীরা অঞ্চলে দুর্যোগ মোকাবেলায় কি ধরনের পরিকল্পনা গ্রহন করা প্রয়োজন তার একটি সুনিদিষ্ট সুপারিশমালা তৈরী করে সরকারের কাছে পাঠানো হবে। সুপারিশ মালার মধ্যে সল্প ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা থাকবে। আর এসব কর্মপরিকল্পনা সরকারি ভাবে বাস্তবায়ন করা হলে সাতক্ষীরা অঞ্চলের জন্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় সহায়ক ভূমিকা রাখবে। তিনি আরো বলেন, করোনা ও আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত পাশ্ববর্তী জেলাগুলোর তুলনায় সাতক্ষীরা জেলায় অতিরিক্ত কোন বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। অথচ প্রকৃতিক দুর্যোগে পাশ্ববর্তী জেলা থেকে সাতক্ষীরা জেলা অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলকে বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে।

  • দেশে টিকা আসছে ২৬ জানুয়ারি

    দেশে টিকা আসছে ২৬ জানুয়ারি

    অবশেষে আগামী ২৬ জানুয়ারি করোনাভাইরাসের টিকা আসছে বাংলাদেশে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র গতকাল রবিবার রাতে কালের কণ্ঠকে এ তথ্য জানিয়েছে। তবে আরেকটি সূত্র বলছে, আগামী ২০ থেকে ২৫ জানুয়ারির ভেতরও টিকার একটি লট চলে আসতে পারে।

    সরকারের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদিত অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত টিকা ‘কোভিশিল্ড’ দেশে আসবে দেশীয় প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের মাধ্যমে। এরই মধ্যে এই টিকা সংরক্ষণ ও পরিবহনের সার্বিক ব্যবস্থা সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে ৬০ লাখ ডোজ টিকা আসবে। এর মধ্যে ৫০ লাখ সরকারিভাবে এবং ১০ লাখ ডোজ বেক্সিমকোর নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় প্রাইভেট মার্কেটিংয়ের জন্য।

    স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (টিকাদান) ডাক্তার শামসুল হক গত রাতে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আজই জানানো হয়েছে ২০ থেকে ২৫ জানুয়ারির মধ্যে টিকা আসবে। সেটা হয়তো ২৬ তারিখে ফিক্সড হতে পারে মন্ত্রণালয় পর্যায় থেকে।’

    টিকা আসার বিষয়টি নিয়ে আজ সোমবার দুপুরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সংবাদ সম্মেলন করবেন।

    বেক্সিমকো ফার্মার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাব্বুর রেজা কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘টিকা পরিবহনের জন্য ইতিমধ্যে আমাদের ১৪টি বিশেষ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কাভার্ড ভ্যান প্রস্তুত করা হয়েছে। আরো কয়েকটি গাড়ি দেশে আসার প্রক্রিয়ায় রয়েছে। এ ছাড়া আমাদের স্টোর আগে থেকেই প্রস্তুত করা আছে।’

    এদিকে সরকারিভাবে এই টিকা দেশে আনার আগেই বেসরকারি  প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমেও টিকা আমদানি করা হতে পারে। সে অনুযায়ী প্রস্তুতিও চলছে। ছয়-সাতটি কম্পানি টিকা আনার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর মধ্যে পাঁচটি কম্পানি আবেদনও করেছে। এ বিষয়ে সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে পরোক্ষভাবে সায় মিলেছে বলে জানা গেছে নির্ভরযোগ্য সূত্রে।

    খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দুটি কম্পানি রাশিয়া ও চীন উভয় দেশের টিকা আনতে আগ্রহী। অন্য একটি কম্পানি চীনের সিনোভ্যাক ও আরেকটি কম্পানি রাশিয়ার টিকা আনার জন্য প্রস্তাব দিয়েছে সরকারের কাছে। এর পাশাপাশি ফাইজার ও মডার্নার টিকা আনার জন্য আরো দুটি বড় কম্পানি অনেকটা পথ এগিয়ে এসেছে। তারা সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের সঙ্গেও কথাবার্তা বলেছে। একটি কম্পানি আবেদনও করেছে।

    মডার্নার টিকা আনতে আগ্রহী কম্পানি সূত্র জানিয়েছে, সরকারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে মোটামুটি চূড়ান্ত পর্যায়ে যাওয়ার পরই শুধু তারা এ বিষয়ে জানাতে চায়।

    স্বাভাবিকভাবেই বেসরকারি কম্পানির আনা যেকোনো টিকার দাম সরকারি টিকার চেয়ে বেশি হবে। টিকাভেদে প্রতি ডোজের দাম সর্বোচ্চ পাঁচ-ছয় হাজার এবং সর্বনিম্ন পাঁচ-ছয় শ টাকা হতে পারে। যদিও সরকারের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর দাম নির্ধারণ করে দেবে।

    এত দিন তাপমাত্রার অজুহাতে এড়িয়ে যাওয়া ফাইজার ও মডার্নার টিকাও এখন হঠাৎ করে গুরুত্ব পাচ্ছে। একই সঙ্গে রাশিয়ার স্পুৎনিক ভি ও চীনের সিনোভ্যাকের দিকেও নজর বেড়ে গেছে।

    সরকারিভাবে বৈশ্বিক উদ্যোগ কোভ্যাক্স গ্রুপ থেকে ফাইজার ও মডার্নাসহ যেকোনো টিকাই আসতে পারে। গত শনিবার মানিকগঞ্জে এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক কোভ্যাক্সের আওতায় ফাইজারের টিকা পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন।

    এর পরই সরকারের সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছে, আগ্রহী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারের নিয়ম-নীতি মেনে ফাইজার-মডার্নাসহ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত যেকোনো টিকা আনতে পারে। এ ক্ষেত্রে সংরক্ষণ ও বিতরণের পর্যায়ে তাপমাত্রার বিষয়টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকেই নিশ্চিত করতে হবে।

    সরকারের টিকা ব্যবস্থাপনায় জড়িত একাধিক সূত্র জানায়, তাপমাত্রার কারণে স্পর্শকাতর হিসেবে বিবেচিত ফাইজার ও মডার্নার টিকা কোভ্যাক্সের আওতায় দেশে এলে কিভাবে ব্যবস্থাপনা করা হবে তা নিয়ে এক ধরনের উদ্বেগ রয়েছে। বিষয়টি মাথায় রেখেই এখন কৌশলগত কারণে বেসরকারি খাতকে প্রস্তুত করা হচ্ছে। সরকারিভাবেও নিজস্ব ব্যবস্থাপনা কাঠামো প্রস্তুত করার কাজ চলছে।

    জানতে চাইলে করোনাভাইরাসের টিকাসংক্রান্ত জাতীয় টাস্কফোর্সের সদস্য ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘কোভ্যাক্স থেকে আমরা ফাইজারের টিকা আনব কি না তা ১৮ জানুয়ারির মধ্যে জানাতে হবে। আমরা সে বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। এ ক্ষেত্রে টিকা সংরক্ষণ ও বিতরণের জন্য কারিগরি বিষয়গুলোই মুখ্য। যেহেতু অল্প পরিমাণ টিকা আসবে, আশা করি আমরা ম্যানেজ করতে পারব। এ ছাড়া প্রাইভেট সেক্টর থেকেও কথাবার্তা চলছে। তাপমাত্রাব্যবস্থা ঠিকঠাক করা গেলে অসুবিধা থাকার কথা নয়।’

    ওই কর্মকর্তা বলেন, বেসরকারি খাত থেকে কয়েকটি আবেদন জমা পড়েছে। সেগুলো নাইট্যাগের (ন্যাশনাল ইমিউনাইজেশন টেকনিক্যাল গ্রুপ) কাছে পাঠানো হয়েছে। তারা পর্যালোচনা করে যে সুপারিশ ও পরামর্শ দেবে, সে অনুসারে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

    সরকারি টিকার আগেই বেসরকারি কম্পানির টিকা আসার বিষয়ে ড. ফ্লোরা বলেন, ‘সরকারি নিয়ম-নীতি মেনে টিকা আনতে কোনো বাধা নেই। তবে আপাতত নাইট্যাগের পরামর্শ হচ্ছে, ঝুঁকি বা বিশৃঙ্খলা এড়াতে প্রাইভেট সেক্টরের আগে সরকারি ব্যবস্থাপনায়ই দেশে টিকা দেওয়া শুরু করা উচিত হবে। তার পরও আমরা পরিস্থিতি অনুসারে ব্যবস্থা নিতে পারব।’

    সরকারের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের টিকা অনুমোদনকারী কমিটির একজন সদস্য কালের কণ্ঠকে বলেন, তাঁরা আগেই সরকারকে পরামর্শ দিয়েছেন যে দেরি করা যাবে না। যেকোনো মাধ্যমেই হোক দেশে টিকা নিয়ে আসা দরকার। সরকারিভাবে আনতে দেরি হলে যদি সম্ভব হয় বেসরকারি খাতের মাধ্যমে আগেভাগেই টিকা আনার ব্যবস্থা করার কথা বলেছেন তাঁরা।

    দেশে মডার্না ও ফাইজারের টিকার অনুমোদন পেতে কোনো সমস্যা হবে না জানিয়ে ওই সদস্য বলেন, কারণ ওই দুটি টিকা উৎপাদনকারী দেশের যেকোনো ওষুধ ও টিকা পরীক্ষা ছাড়াই ব্যবহারের নীতিমালা করা আছে। টিকা দুটির মান নিয়েও এখন আর সংশয় নেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও অনুমোদন দিয়েছে। মডার্নার টিকা নির্ধারিত তাপমাত্রায় সংরক্ষণ ও বিতরণ খুব যে কঠিন তা-ও কিন্তু নয়। ফাইজারের টিকার ক্ষেত্রেও এটা কঠিন, কিন্তু পুরোপুরি অসম্ভব নয়। বেসরকারি কোনো প্রতিষ্ঠান যদি নিজ দায়িত্বে কারিগরি কাঠামোর ব্যবস্থা করতে পারে তাহলে আমদানিতে কোনো বাধা থাকার কথা নয়। এর পাশাপাশি সরকারের উচিত চীন ও রাশিয়ার টিকা আনার ব্যবস্থা করা। ওই টিকাও তো দুই দেশেই ব্যাপকভাবে ব্যবহার হচ্ছে এবং পরিস্থিতিও ভালোই দেখা যাচ্ছে। তিনি মনে করেন, এ ব্যাপারে আগেই সরকারের সায় দেওয়া উচিত ছিল।

    সংশ্লিষ্ট সূত্র অনুসারে, সরকারি খরচে দেশে যে টিকা আনা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত করা হয়েছে, তার কোনোটির দাম প্রতি ডোজ দুই মার্কিন ডলারের বেশি নয়। প্রথম ধাপের সব টিকাই দেওয়া হবে বিনা মূল্যে। পরে কিছু সেবা মাসুল ধার্য করা হতে পারে বলে আলোচনা চলছে, তবে সেটা এখনো নিশ্চিত হয়নি।

    বেসরকারি পর্যায়ে আমদানি টিকার ক্ষেত্রে দাম বেশি হবে। এ পর্যন্ত যে কয়টি টিকা অনুমোদন পেয়েছে তার মধ্যে সর্বোচ্চ দাম হচ্ছে মডার্নার। এ টিকার প্রতি ডোজের দাম ৩৭ ডলার। অন্যদিকে ফাইজারের টিকার দাম প্রতি ডোজ প্রায় ২০ ডলার করে। স্পুৎনিক ভি ১০ ডলার। এখন পর্যন্ত কম দামি টিকা বলতে অক্সফোর্ড, ভারত বায়োটেক ও চীনের টিকা, যা দুই থেকে চার ডলারের মধ্যে।

    দেশে মডার্নার টিকা বেসরকারি পর্যায়ে এলে তার দাম প্রতি ডোজ সব খরচসহ ৫০-৬০ ডলারের ওপরে চলে যেতে পারে। বাজারে সেটা প্রতি ডোজ পাঁচ-ছয় হাজার টাকা করে বিক্রি হতে পারে।

    অন্যদিকে ফাইজারের টিকা আমদানি খরচসহ প্রতি ডোজ ২০-৩০ ডলারের মধ্যে হলে তা দেশে দুই হাজার টাকার বেশি হতে পারে। রাশিয়া, চীন বা ভারতের টিকার দাম প্রতি ডোজ পাঁচ-ছয় শ টাকার মধ্যে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

  • খাগড়াছড়ি বদলী গেলেও অন্যায়ের কাছে মাথানত করবো না

    খাগড়াছড়ি বদলী গেলেও অন্যায়ের কাছে মাথানত করবো না

    তালায় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কালে নবাগত ইউএনও মোঃ তারিফ-উল-হাসান

    নিজস্ব সংবাদদাতা. তালা: সাতক্ষীরা তালায় তালার সদ্য যোগদানকারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তারিফ-উল-হাসান এর সাথে তালা সদর প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
    রবিবার অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন তালা সদর প্রেসক্লাবের সভাপতি দৈনিক মানবজমিন ও আঞ্চলিক পত্রদুত পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ আব্দুল জব্বার, সহ-সভাপতি ও আনন্দ টিভির জেলা প্রতিনিধি হাসানুর রহমান (হাসান), তালা সদর প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক ও জাতীয় দৈনিক মানবকন্ঠ, আঞ্চলিক দৈনিক খুলনা, দৈনিক সাতনদী পত্রিকার প্রতিনিধি মোঃ আকবর হোসেন, সহ-সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় দৈনিক সমাচার দর্পন পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি শেখ মনিরুজ্জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক এশিয়া টিভি ও দৈনিক খুলনাঞ্চল পত্রিকার প্রতিনিধি ইলিয়াস হোসেন, দৈনিক গড়ব বাংলাদেশ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি প্রভাষক নাজমুল ইসলাম মাহী, আনন্দ টিভির ক্যামেরাম্যান আব্দুর রউফ, সদর প্রেসক্লাবের সদস্য মোঃ ইউনুছ আলী, মোঃ মনিরুজ্জামান শুভ প্রমুখ ।
    মতবিনিময় সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তারিফ-উল-হাসান বলেন, আমি তালা বাসির জন্য নিঃস্বার্থ ভাবে কাজ করতে চাই, দূনীতিমুক্ত, মাদকমুক্ত , সন্ত্রাস মুক্ত দেশ গড়তে চাই। সবাইকে সাথে নিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে তালা উপজেলাকে মডেল তালা গড়তে চাই । যে কোন মুল্যে সরকারের উন্নয়নকে তরান্বিত করতে চাই । সেই জন্য যতই প্রতিবন্ধকতা আসুক না কেন, তালার জনগনকে সাথে নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাব ইনশাল্লাহ । এতে যদি আমার খাগড়াছড়ি বদলীও যেতে হয় তবুও অন্যায়ের কাছে মাথানত করবো না ইনশাল্লাহ ।

  • পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডে শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন কালুর পৃথক নির্বাচনী মত বিনিময় সভা

    পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডে শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন কালুর পৃথক নির্বাচনী মত বিনিময় সভা

    সংবাদদাতা : আসন্ন পৌর নির্বাচনকে সামনে রেখে সাতক্ষীরা পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর ও আগামি ১৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে ৭নং ওয়ার্ডের অন্যতম প্রার্থী শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন কালুর নির্বাচনী মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার ইটাগাছা পশ্চিম পাড়া সাকা উদ্দিনের বাড়ির উঠানে মহিলাদের নিয়ে এবং ইটাগাছা সি এন্ড বি মোড়ের দোকানদার সহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সাথে পৃথক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ৭ নং ওয়ার্ডের চলমান উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে আগামি নির্বাচনে পুনরায় জয়ী হতে শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন কালু সকলের দোয়া ও সমর্থন কামনা করেন।

  • বৃদ্ধ পিতাকে জিম্মিদশা থেকে মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহরের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

    বৃদ্ধ পিতাকে জিম্মিদশা থেকে মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহরের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন


    নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরায় বৃদ্ধ পিতাকে জোর পূর্বক আটকে রেখে ছোট ভাই কর্তৃক অপর দুই ভাইয়ের নামে আদালতে মিথ্যে মামলা দায়ের করার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে কলারোয়া উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের মোঃ হাজের আলী সরদারের দুই ছেলে আব্দুল মান্নান (৫৩) ও আব্দুল হান্নান (৫০) এই অভিযোগ করেন।
    লিখিত বক্তব্যে দুই ভাই বলেন, আমরা তিন ভাই ও চার বোন। আমাদের ছোট ভাইয়ের নাম আবুল হাসান (৪০)। দীর্ঘদিন ধরে আমরা পিতার সাথে এক অন্ন বাটিতে বসবাস করে আসছি। আমরা দুই ভাই পিতার সাথে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কঠোর পরিশ্রম করে সংসারের উন্নতি করার এক পর্যায় আমার পিতা ৩৬ বিঘা সম্পত্তির মালিক হন। এছাড়াও নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারের মালিক ছিল। দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে পিতার সাথে কঠোর পরিশ্রমে উপার্জিত অর্থ দিয়ে ১২ বিঘা জমি আমাদের তিন ভাইয়ের নামে ক্রয় করেন। আমারা কষ্ট করে ছোট ভাই আবুল হাসানকে ফাজিল পাস করাই। কিন্তুু কোন চাকুরি না পাওয়া ২বিঘা জমি বিক্রি করে পিতা তাকে মালয়েশিয়ায় পাঠান। সেখানে রোজগার করতে না পেরে সে বাড়ি ফিরে আসে। পরে অনেক টাকা খরচ করে তাকে বিয়ে দেয়া হয়।
    আব্দুল মান্নান ও আব্দুল হান্নান আরো বলেন, আবুল হাসানের বিয়ের পর পিতা আমাদের তিন ভাইকে পৃথক সংসারের ব্যবস্থা করেন। পিতা হাজের আলী সরদারের বয়স ৮৫ বছর হওয়ায় তিনি পর্যায়ক্রমে তিন ছেলে বাসায় খাওয়া দাওয়া করতেন। আয়ের উৎস্য না থাকায় ১০ কাঠা জমি বিক্রি করে নাভারন বাজারে ছোট ভাইকে ঔষধের দোকান করে দেয়া হয়। কিন্ত আবুল হাসান পদে পদে আমাদের পিতাকে অপমান করতো। ছোট ছেলের এরূপ নিষ্ঠুরতা, অকৃতজ্ঞতা ও অপমান সহ্য করতে না পেরে হাসানের বাড়ি ছেড়ে পিতা আমাদের দুই ভাইয়ের বাড়িতে এসে থাকা খাওয়া শুরু করেন। তিনি আমাদের বাসায় থেকে সুখি সুন্দর ভাবে জীবন যাপন করছিলেন। এমতবস্থায় তিন বছর আগে আমার মা মারা যাওয়ার পর থেকে পিতা হাজের আলী সরদার ১২/১৩ বিঘা জমি লিখে নেয়ার জন্য আমাদেরকে বার বার তাগিদ দিতে থাকেন। একপর্যায় গত ২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর কলারোয়া সাবরেজিষ্ট্রি গিয়ে স্ব-ইচ্ছায়, সুস্থ্য মস্তিষ্কে ও স্বজ্ঞানে কোন প্রকার ভয়ভীতি ছাড়াই এবং কারো দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে পিতা ২৩ বিঘা জমির মধে থেকে ৪ একর ১৯ শতক জমি আমাদের দুই ভাইয়ের নামে লিখে দেন।
    এঘটনার একমাস পরে বিষয়টি জানতে পেরে আবুল হাসান কয়েকজন সন্ত্রাসীকে নিয়ে আমাদের বাড়িতে এসে অস্ত্রের মুখে সবাইকে জিম্মি করে পিতা হাজের আলী সরদারকে টেনে হিছড়ে অন্যত্রে নিয়ে আটকে রাখে। পরে জোরপূর্বক পিতাকে দিয়ে স্বীকারোক্তি করিয়ে আমরা দুই ভাই জমি রেজিষ্ট্রি করে নিয়েছি মর্মে সাতক্ষীরা আমলী আদালত-৪ একটি মিথ্যে মামলা দায়ের করেছে।
    আব্দুল মান্নান ও আব্দুল হান্নান তাদের বৃদ্ধ পিতা যাতে জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে স্ব-স্থানে এসে স্বাধীনভাবে বসবাস করতে পারেন ও মিথ্যে মামলা প্রত্যাহার করা হয় তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

  • সিইওওয়ার্ল্ড ম্যাগাজিনের তালিকা

    সিইওওয়ার্ল্ড ম্যাগাজিনের তালিকা

    ক্ষমতাশালী ১০০ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ

    বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী ১০০টি দেশের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে বাংলাদেশ। নতুন বছরে ক্ষমতাশালী দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান ৮১তম। সম্প্রতি মার্কিন সিইওওয়ার্ল্ড ম্যাগাজিনের করা তালিকায় বাংলাদেশের এ অবস্থান তুলে ধরা হয়েছে। বিশ্বের ১৯০টি দেশ নিয়ে এই র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ করা হয়েছে। ১০০ নম্বরের ভিত্তিতে করা ওই জরিপে বাংলাদেশের স্কোর ৬১ দশমিক ৬৭। তালিকায় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির স্কোর হচ্ছে ৯৮ দশমিক ০৯। এর পরেই হচ্ছে চীন ও রাশিয়ার অবস্থান। দেশ দুটির স্কোর যথাক্রমে ৯৪ দশমিক ২৯ ও ৯৪ দশমিক ১১।

    তালিকায় ৯৩ দশমিক ৬২ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে আছে ভারত। এরপর যথাক্রমে আছে ফ্রান্স ও জার্মানি। সপ্তম স্থানে আছে জাপান, অষ্টম অবস্থানে যুক্তরাজ্য। নবম স্থানে দক্ষিণ কোরিয়া আর দশম অবস্থানে ইসরায়েল। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে এ তালিকায় বাংলাদেশের আগে রয়েছে ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। ৭৩ দশমিক ২২ স্কোর নিয়ে ৩৭তম অবস্থানে আছে পাকিস্তান। আর ৬১ দশমিক ৭০ স্কোর নিয়ে শ্রীলঙ্কা ৮০তম অবস্থানে আছে। তালিকার সবার শেষে আছে স্লোভেনিয়া, এস্তোনিয়া, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া ও স্লোভাকিয়া।

    সিইওওয়ার্ল্ড শক্তিমত্তার সাতটি দিক বিবেচনা করে এই তালিকা প্রণয়ন করেছে। সেগুলো হলো রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক প্রভাব, প্রতিরক্ষা বাজেট, অস্ত্রভান্ডার, বৈশ্বিক জোট, কূটনৈতিক ক্ষমতা ও সামরিক শক্তি।

    যে সাতটি ক্যাটাগরির ভিত্তিতে এই র‌্যাঙ্কিং করা হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে আবার ৬০টি সূচক প্রণয়ন করা হয়েছে। প্রতিটি সূচককে আবার ১ থেকে ১০০-এর মধ্যে সাজানো হয়েছে। এই সূচকগুলোর মধ্যে আবার কিছু উপসূচকও আছে। ১৯ অক্টোবর থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত সিইওওয়ার্ল্ড সাময়িকী গ্লোবাল বিজনেস পলিসি ইনস্টিটিউটের সঙ্গে এই জরিপ পরিচালনা করেছে।

  • আ’লীগ নেতা লেলিন কর্তৃক মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

    আ’লীগ নেতা লেলিন কর্তৃক মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন


    নিজস্ব প্রতিবেদক:
    সাতক্ষীরায় পাওনা টাকা ফেরত চাওয়ায় আ’লীগ নেতা শফিউল আযম লেলিন কর্তৃক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তিকে মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে হয়রানি এবং খুন জখমের হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন কালিগঞ্জ উপজেলার কোমরপুর গ্রামের মৃত. হরিশচন্দ্র’র ছেলে কান্তি লাল দেবনাথ। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি কালিগঞ্জের কৃষ্ণনগর বাজারের একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। স্থানীয় ফরিদপুর গ্রামের মাহবুব মোড়লের মাধ্যমে শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান গাবুরা গ্রামের মৃত. নওশের আলী গাইনের ছেলে জি এম শফিউল আযম লেলিনের সাথে আমার পরিচয় হয়। পরিচয়ের এক পর্যায় মাহবুবের কথায় সরল বিশ^াসে ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে আমি ক্রমান্বয়ে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিঃ কালিগঞ্জ ও শ্যামনগর শাখার মাধ্যমে লেলিনে’র নামীয় ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিঃ ঢাকার বারিধারা শাখায় ৬৭৭ নং হিসাবে ২০১৬ সালের ২৮ ডিসেম্বর, ১৭ সালের ৫ জানুয়ারী, একই বছরের ১৪ ও ২২ ফেব্রুয়ারী ৪ টি জমা রশিদের মাধ্যমে ১২লক্ষ টাকা প্রদান করি। কান্তি লাল দেবনাথ অভিযোগ করে বলেন, টাকা প্রদানের পর থেকে লেলিন আর আমার সাথে আলোচনা করতে চান না। বিষয়টি মাহবুবকে বললে সে আমাকে সাথে নিয়ে লেলিনের বাড়িতে গেলে লেলিন বলে “আমার ইচ্ছামত টাকা দিবো, তুই হিন্দু মানুষ বেশি বাড়াবাড়ি করলে লোকজন দিয়ে পিটিয়ে উচ্ছেদ করবো, দেশের প্রতিটি থানায় ২/৩টি মামলা দিয়ে ভিটেই ঘুঘু চরিয়ে দেশ ত্যাগে বাধ্য করবো”। বিষয়টি বিষ্ণপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ রিয়াজ উদ্দীনকে জানালে তিনি মাহবুবকে টাকা পরিশোধের জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। কিছুদিন পর প্রতারক লেলিন চেয়ারম্যানের মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংক শ্যামনগর শাখার হিসাব নং ১২৮৭ চেক নং ৯৫৭১২৭১ এবং ২৯/১১/২০১৮ তারিখের ১০ লক্ষ টাকা উল্লেখপূর্বক একটি চেক প্রদান করে। আমি চেকটি নিয়ে ইসলামী ব্যাংক শ্যামনগর শাখায় জমা দিলে কর্তৃপক্ষ জানান, চেকে উল্লেখিত হিসাব নম্বারটি বহুদিন আগে বন্ধ হয়ে গেছে। বিষয়টি লেলিনকে জানালে তিনি দুই কিস্তিতে আমাকে ৪লক্ষ টাকা প্রদান করেন এবং ১০ লক্ষ টাকার চেকটি ফেরত না নিয়ে অবশিষ্ট ৮লক্ষ টাকা দিয়ে চেক ফেরত নিবেন বলে জানান। তিনি আরো বলেন, চেকে উল্লেখিত তারিখ উত্তীর্ণ হওয়ার পর ইসলামী ব্যাংকের ম্যানেজার মেসবাহউদ্দীন নগদ দুই লক্ষ টাকা ও লেলিন স্বাক্ষরিত ৬ লক্ষ টাকার অপর একটি চেক দেয়ার কথা বলে আমার কাছে ১০ লক্ষ টাকার চেকটি চায়। চেকটি দেয়ার সময় তিনি উল্টোপিঠে দুটি স্বাক্ষর করিয়ে নেন। এসময় ব্যাংক ম্যানেজার লেলিন স্বাক্ষরিত ৬লক্ষ টাকার একটি চেক নগদ ১লক্ষ টাকা আমাকে প্রদান করেন। বাকী ১লক্ষ টাকা ১ সপ্তাহের মধ্যে দেওয়ার কথা থাকলেও আজও পর্যন্ত দেয়নি। এদিকে উক্ত ৬লক্ষ টাকার চেকটি বারিধারা ইসলামী ব্যাংকে পাঠালে সেটি ডিজঅনার হয়ে ফেরত আসে। আমি নিরূপায় হয়ে আদালতে চেক ডিজঅনারের মামলা দায়ের করি। লেলিন উক্ত মামলায় হাজির না হয়ে উল্টো ঢাকার বারিধারা ডিসি কাঁচাবাজার এলাকায় তার কাছ থেকে একটি চেক চুরি করেছি মর্মে ঢাকা সিএমএম কোর্টে মিথ্যে একটি মামলা দায়ের করে। মামলায় হয়রানি করার জন্য ছোট ছোট দিন ফেলে আমাকে দিশেহারা করে তুলেছে। কান্তি লাল দেবনাথ বলেন, আমি লাভের আশ^াসে জীবনের সঞ্চিত অর্থ তার হাতে তুলে দিয়ে নিজে পথে বসে গিয়েছি। এই প্রতারনার ঘটনার সাথে ব্যাংকের ম্যানেজার, মাহবুব এবং লেলিন সকলেই জড়িত। তারা বিভিন্ন এলাকার অসহায় নিরিহ মানুষের কাছ থেকে মিথ্যে আশ^াসে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে প্রতারনা করে। পরবর্তীতে টাকা ফেরত চাইতে গেলে মিথ্যে মামলা, হামলা, খুন-জখমসহ বিভিন্নভাবে হয়রানি করে। এছাড়া লেনিন আ’লীগের দলীয় পরিচয়কে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। বিশেষ করে দলের উর্দ্ধতন নেতাদের সাথে ছবি তুলে তা দেখিয়ে লোকের বিশ^াস স্থাপন পূর্বক প্রতারনাই তার মুল ব্যবসা। তিনি লেলিনের কাছ থেকে পাওনা টাকা উদ্ধার এবং মিথ্যে মামলার দায় হতে অব্যহতি পেতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ করেন।

  • স্বচ্ছতার ভিত্তিতে আমন ধান ও চাল সংগ্রহ করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান এমপি রবির

    স্বচ্ছতার ভিত্তিতে আমন ধান ও চাল সংগ্রহ করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান এমপি রবির


    নিজস্ব প্রতিবেদক:
    “শেখ হাসিনার বাংলাদেশ ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার অভ্যন্তরীন আমন ধান ও চাউল সংগ্রহ ২০২০-২১ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার বেলা ১২টায় সদর উপজেলা খাদ্য গুদামে সদর সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আসাদুজ্জামান’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে সদর উপজেলার আভ্যন্তরীন আমন ধান ও চাউল সংগ্রহ ২০২০-২১ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি রবি বলেন, “মহান আল্লাহর রহমতে জননেত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পুর্ন্ন। আমরা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে শেষ করতে পারবোনা। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নে বড় বড় মেঘা প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন। পৃথিবীকে আমরা এখন হাতের মুঠোয় পেয়েছি সেটা জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশের অবদান। তিনি আরো বলেন, স্বচ্ছতার ভিত্তিতে আমন ধান ও চাল সংগ্রহ করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান। ধান ও চাল এর সাথে ক্রয় মূল্যের সমন্বয় করা বিষয়ে রাইচ মিল মালিকদের যুক্তি সংগত ও নার্য্য দাবী আমি মহান জাতীয় সংসদে উপাস্থাপন করবো।’
    উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শেখ মো. জাহেদুল ইসলাম, সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মইন-উল ইসলাম, সদর উপজেলা খাদ্য গুদামের ইনচার্জ এ.এস,এম মনজুরুল আলম, জেলা রাইচ মিল মালিক সমিতির সহ-সভাপতি আব্দুল খালেক, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গফ্ফার, সদর উপজেলা রাইচ মিল মালিক সমিতির সভাপতি মোকাদ্দেস খান ছৌধুরী মিন্টু, সাধারণ সম্পাদক মো. মশিউর রহমান বাবু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি কাজী আকতার হোসেন, পৌর আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-দপ্তর সম্পাদক জিয়াউর বিন সেলিম যাদু, জেলা ছাত্রলীগ নেতা কাজী হাশিম উদ্দীন হিমেল প্রমুখ। সাতক্ষীরা জেলার আভ্যন্তরীন আমন ধান সংগ্রহ ২০২০-২১ এর মোট লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে ৩২১০ মেঃ টন, আতপ চাউল ৬১১ মেঃ টন, সিদ্ধ চাউল ৭৯৩৫ মেঃ টন এবং সদর উজেলায় আমন ধানের লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে ৭০৩ মেঃ টন, আতপ চাউল ১৪৮ মেঃ টন, সিদ্ধ চাউল ৩৮৫১ মেঃ টন। উপজেলা ওয়ারী আমন ধান সংগ্রহের লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে কলারোয়া উপজেলা আমনধান ৪২৮ মেঃ টন, আতপ চাউল ১৪ মেঃ টন, সিদ্ধ চাউল ৪৫২ মেঃ টন, দেবহাটা উপজেলা আমনধান ১৯৯ মেঃ টন, সিদ্ধ চাউল ২৫০ মেঃ টন, কালিগঞ্জ উপজেলা আমন ধান ৬৪৩ মেঃ টন, আতপ চাউল ১৩ মেঃ টন, সিদ্ধ চাউল ৩৫৬ মেঃ টন, শ্যামনগর উপজেলা আমনধান ৬০৫ মেঃ টন, আতপ চাউল ৩১ মেঃ টন, সিদ্ধ চাউল ৭২ মেঃ টন, আশাশুনি উপজেলা আমনধান ৩২৮ মেঃ টন, আতপ চাউল ২৪ মেঃ টন, সিদ্ধ চাউল ৬৪ মেঃ টন, ও তালা উপজেলায় আমনধান লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে ৩০৪ মেঃ টন, আতপ চাউল ৩৮১ মেঃ টন ও সিদ্ধ চাউল২৮৯০ মেঃ টন। এসময় প্রধান অতিথি এমপি রবিসহ অতিথিবৃন্দ ফিতা কেটে ও ওজন পরিমাপ করে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আভ্যন্তরীন আমন ধান ও চাউল সংগ্রহ ২০২০-২১ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সদর উপজেলা খাদ্য গুদামের ইনচার্জ এ.এস,এম মনজুরুল আলম।

  • নবারুণ বালিকা বিদ্যালয়ে নব নির্মিত একাডেমিক ভবন উদ্বোধন করলেন এমপি রবি

    নবারুণ বালিকা বিদ্যালয়ে নব নির্মিত একাডেমিক ভবন উদ্বোধন করলেন এমপি রবি


    নিজস্ব প্রতিবেদক:
    সাতক্ষীরার নবারুণ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নব নির্মিত উদ্ধমুখী নতুন একাডেমিক ভবন দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ তলার উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার বেলা ১১টায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মকসুমুল হাকিম’র সভাপতিত্বে ফিতা কেটে ও ফলক উন্মোচন করে নবনির্মিত একাডেমিক ভবন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য নৌ-কমান্ডো বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি রবি বলেন,‘আমি নবারুণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের সার্বিক পরিবশে দেখে খুবই খুশি ও আনন্দিত। বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, প্রধান শিক্ষকসহ সকল শিক্ষককে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, অনুষ্ঠানের সার্বিক উপাস্থাপনা আমার খুবই ভাল লেগেছে। আমার আর একটি প্রোগ্রাম আছে বলে বেশি সময় দিতে পারলামনা। নতুন বছরের এই দিনটি আমাকে খুবই আনন্দ দিয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলের কাছে জননেত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনার পাশা পাশি দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা এবং সকলের মঙ্গল কামনা করেন এমপি রবি। অনুষ্ঠানের শুরুতে ফুল, উত্তোরীয় ও কোর্টপিন পরিয়ে অতিথিদের বরণ করা হয়।
    বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা শিক্ষা অফিসার এস.এম আব্দুল্লাহ আল-মামুন, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর সাতক্ষীরা’র প্রকৌশলী এম.এম.এ জায়েদ বিন গফুর, সমন্বয়ক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল মালেক গাজী, সাপ্তাহিক ইচ্ছেনদী পত্রিকার চীফ এডিটর শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু, সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কাজী আকতার হোসেন, পৌর আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-দপ্তর সম্পাদক জিয়াউর বিন সেলিম যাদু, জেলা ছাত্রলীগ নেতা কাজী হাশিম উদ্দীন হিমেল, ঠিকাদার মো. আব্দুস সালাম গাজী, জেলা ওলামালীগের সভাপতি সৈয়দ নাজমুল হক বকুল প্রমুখ। নবনির্মিত নির্বাচিত বেসরকারি বিদ্যালয় সমূহের উর্দ্ধমুখী সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় নবারুণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের নতুন একাডেমিক ভবন দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থতলার ভবন ১ কোটি ৪৭ লক্ষ ৯১ হাজার টাকা ব্যয়ে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তররের বাস্তবায়নে নির্মাণ করা হয়েছে। এসময় সড়ক দূর্ঘটনায় অকালে মৃত্যুবরণকারী নবারুণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক জাহিদ হাসানের নামে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে জাহিদ উদ্যানের উদ্বোধন করেন এমপি রবি। এসময় বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল মালেক গাজী।

  • জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতির রোগমুক্তি কামনায় দোয়া

    জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতির রোগমুক্তি কামনায় দোয়া


    নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ সাবেক সংসদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মুনসুর আহমেদ অসুস্থ্য অবস্থায় বেশ কিছু দিন ধরে সাতক্ষীরা সিবি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তার দ্রুত সুস্থতা কামনায় দোয়া অনুষ্ঠান করেছে ভোমরা স্থলবন্দর সি এন্ড এফ এজেন্ট এসোসিয়েশন। এ উপলক্ষে এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ভোমরা বাইতুন নূর জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে বুধবার বাদ আসর এক দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভোমরা সি এন্ড এফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান (নাসিম), কাস্টমস্ ও দপ্তর বিষয়ক সম্পাদক জি. এম. আমির হামজা, অর্থ সম্পাদক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, সুমনা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এ. এস. এম. মাকছুদ খান, সাবেক সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ আমজাদ হোসেনসহ স্থানীয় অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। দোয়া অনুষ্ঠানে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন ভোমরা বাইতুন নূর জামে মসজিদের পেশ ইমাম আলহাজ্ব মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক।

  • বড়দলে আটদলীয় ক্রিকেট টুর্ণামেন্টে মাগুরা ক্রিকেট একাদশ চ্যাম্পিয়ন

    বড়দলে আটদলীয় ক্রিকেট টুর্ণামেন্টে মাগুরা ক্রিকেট একাদশ চ্যাম্পিয়ন

    আশাশুনি প্রতিবেদক: আশাশুনি উপজেলার বড়দল আফতাবউদ্দিন কলেজিয়েট স্কুল মাঠে আটদলীয় নকআউট ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকালে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে ফাইনাল খেলাটির শুভ উদ্বোধন করেন, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাঃ আ ফ ম রুহুল হক এমপি। আকর্ষনীয় এই খেলায় সাতক্ষীরার নগরঘাটা কালিবাড়ী রুপালি যুব সংঘ ক্রিকেট একাদশ ও মাগুরা ক্রিকেট একাদশ পরষ্পরের মুখোমুখি হয়। মনোমুগ্ধকর এই খেলায় মাগুরা ক্রিকেট একাদশ প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২৫ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৬০ রান সংগ্রহ করে। জবাবে নগরঘাটা কালিবাড়ী রুপালি যুব সংঘ সব কয়টি উইকেট হারিয়ে ২৪.৪ বলে ১৪১ করতে সক্ষম হয়। ফলে মাগুরা ক্রিকেট একাদশ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। খেলায় আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করেন, নাসিরউদ্দীন ও শাহাদাৎ হোসেন জেসন। ধারাভাষ্যে ছিলেন আশরাফ হোসেন ও বাবু। হাজারও দর্শকের উপস্থিতিতে ফাইনাল খেলাটিতে সম্মানিত অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মাদ গোলাম কবির। বড়দল ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম মোল্যার সভাপত্বিতে এসময় সাবেক অধ্যক্ষ মোহাম্মাদ আলীসহ বীরমুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ, জনপ্রতিনিধিবৃন্দ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

  • মণিরামপুরে ভূমিহীনদের ঘর পরিদর্শনে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের পরিচালক

    মণিরামপুরে ভূমিহীনদের ঘর পরিদর্শনে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের পরিচালক

    মণিরামপুর সংবাদদাতা: মুজিববর্ষ উপলক্ষে যশোরের মণিরামপুরে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের পুনর্বাসনের জন্য নির্মাণাধীন গৃহনির্মাণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক-৩ মুহাম্মদ শাহীন ইমরান। সোমবার সকালে তিনি উপজেলার মাছনা ও হাজরাইল এলাকার নির্মাণাধীন ৯৬টি ঘর পরিদর্শন করেন।
    মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ জাকির হাসান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) পলাশ দেবনাথ, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এসএম আবু আব্দুল্লাহ বায়েজিদ প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক-৩ মুহাম্মদ শাহীন ইমরান কাজের সার্বিক পরিস্থিতি পরিদর্শন করে নিন্মমানের কিছু ইট দেখতে পেয়ে সেগুলো সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেন। এসময় তিনি কয়েকজন উপকারভোগীর সাথে কথা বলেন। মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ জাকির হাসান বলেন, মণিরামপুরে গৃহহীন ও ভূমিহীনদের জন্য খাস জমিতে ২৬২টি ঘর নির্মাণের অনুমোদন পেয়েছি। প্রথমধাপে মাছনায় ৫৪টি, হাজরাইলে ৪২টি, পৌরসভা এলাকায় ২৭টি, কাশিমনগরের শিরিলি এলাকায় ৪১টি, হরিহরনগরের মধুপুরে ২৫টি ঘর নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। আগামী ১০ জানুয়ারির মধ্যে ঘরগুলোর নির্মাণ কাজ শেষ করার ইচ্ছে রয়েছে।

  • কে হবেন পৌরপিতা? প্রার্থীর ছড়াছড়ি আ’লীগে, বিএনপি-জামায়াত মাঠে থাকলেও জাপা নিরব

    কে হবেন পৌরপিতা? প্রার্থীর ছড়াছড়ি আ’লীগে, বিএনপি-জামায়াত মাঠে থাকলেও জাপা নিরব

    জহুরুল কবীর : চতুর্থ ধাপে পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি সারাদেশের ৫৬টি পৌরসভার সাথে সাতক্ষীরা পৌরসভাতেও ইভিএমের মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। পৌর নির্বাচন নিয়ে সাতক্ষীরার পৌরসভার প্রার্থীদের মধ্যে বেশকদিন ধরেই সাজ সাজ রব থাকলেও এবার তা পূর্ণ ভোটযুদ্ধে পরিনত হবে। ইতোমধ্যেই প্রার্থীরা সভা, সমাবেশ ও নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা জোরদার করেছেন। তবে দলীয় প্রতীক না পেলে শেষ মূহুর্তে নির্বাচন থেকে সরে দাড়াবেন অনেকেই।
    সাতক্ষীরার মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশীগণ হলেন- সাতক্ষীরা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ নাসেরুল হক ও সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাদৎ হোসেন, সাবেক ছাত্রনেতা এজাজ আহম্মেদ স্বপন, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জ্যোস্না আরা, সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান সৈয়দ আমিনুর রহমান বাবু, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেত্রী আয়েশা সিদ্দিকা এবং প্রবাসী মাহমুদুল আলম বিবিসি আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নের প্রত্যাশায় নিজ নিজ সমর্থকদের দিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
    গত পৌর নির্বাচনের উল্লেখ্যযোগ্য ভোট পাওয়া সাতক্ষীরা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি নাছিম ফারুক খান মিঠুও স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে দীর্ঘদিন মাঠে রয়েছেন। এখন পর্যন্ত বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন বর্তমান মেয়র সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য তাজকিন আহমেদ চিশতী, মাসুম বিল্লাহ শাহীন ও সাতক্ষীরা পৌর বিএনপির সভাপতি বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান হবি। সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি নূরুল হুদা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ইতোমধ্যে প্রচার প্রচারণা শুরু করেছেন। জাতীয় পার্টির কোন প্রার্থীকে এখনও মাঠে দেখা প্রচার প্রচারণা করতে দেখা যাচ্ছে না।

    নাসিম ফারুক খান মিঠু


    স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে পৌরসভা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবেন সাতক্ষীরা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রীর সভাপতি নাছিম ফারুক খান মিঠু। গত পৌর নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য ভোট পাওয়া এ প্রার্থী জানান, “সাতক্ষীরা অবহেলিত এলাকা। আমাদের রাস্তা গুলোর সমস্যাতো আছেই সেই আছে জলাবদ্ধতা। পৌরসভার বেশ কিছু এলাকা পানিতে নিমজ্জিত থাকে। এছাড়াও পৌরসভার প্রতিটা ওয়ার্ডের গোরস্থান নিয়েও জটিলতা আছে। এসব অসুবিধা দুরকরণসহ আমি পৌরসভার সৌন্দর্যবর্ধনেও কাজ করব। সর্বোপরি পৌরবাসীর জীবনমান উন্নয়নের সাথে সাথে আধূনিক পৌরসভা গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করব।”

    পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ নাসেরুল হক


    আওয়ামী লীগের মেয়র পদপ্রার্থী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ নাসেরুল হক বলেন, “দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয় তাহলে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে সর্বস্তরের জনগনকে সাথে রেখে পৌরসভার উন্নয়নে কাজ করে যাব।” এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, “পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দলীয় ডিসিপ্লিন ভঙ্গ আমি কখনই করবো না। দল যাকে মনোনয়ন দিবে আমরা তার সাথেই কাজ করব।”

    পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন


    অন্যদিকে পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন বলেন, “দলের বাই যাওয়ার কোন ধরনের চিন্তা ভাবনা আমার মধ্যে নাই। এবার মনোনয়ন পেলে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে বিজয় ছিনিয়ে আনতে পারবো এবং সাতক্ষীরা পৌরসভার রাস্তা নির্মান ও সংস্কার, জলাবদ্ধতা দূরীকরসহ সৌন্দর্যবর্ধন করে ডিজিটাল পৌরসভায় রূপান্তর করবো।”

    সাবেক ছাত্র নেতা এজাজ আহম্মেদ স্বপন


    এদিকে সাবেক ছাত্র নেতা এজাজ আহম্মেদ স্বপন পৌর নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চাইবেন। এ বিষয়ে স্বপন জানান, “যদি দল আমাকে মনোনয়ন দেয় তাহলে সাতক্ষীরা পৌরসভায় একটি ভাল ভোট যুদ্ধ উপহার দিয়ে মেয়র হব।” তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনি নির্বাচন করবেন না।

    জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান কাউন্সিলর জ্যোস্না আরা


    মেয়র প্রার্থী জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান কাউন্সিলর জ্যোস্না আরা জানান, আমি দেশনেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার একজন ক্ষুদ্র কর্মী। মহিলা প্রার্থী হিসেবে আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকা চাইব। যদি নেত্রী আমাকে যোগ্য মনে করে মনোনয়োন দেন অবশ্যই আমি মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দীতা করব।

    জেলা পরিষদের সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান সৈয়দ আমিনুর রহমান বাবু


    সংকটে, সংগ্রামে, সহযোগীতায় উন্নয়নের অঙ্গীকার নিয়ে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান সৈয়দ আমিনুর রহমান বাবু।

    জাতীয় শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মাহমুদুল আলম বিবিসি


    এদিকে প্রাবাসী ও সংযুক্ত আরব আমিরাত জাতীয় শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মাহমুদুল আলম বিবিসির সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে তার সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের একাধিক মনোনয়ন প্রার্থী জানান, “হঠাৎ করে দেশে দু-চারদিন ত্রান বিতরণ করে তিনি মেয়র পদে দাঁড়িয়েছেন। সারা বছর ভোটারদের পাশে না থেকে হঠাৎ এসে নির্বাচন করবেন। তিনি মনোনয়ন পেলে সাতক্ষীরা পৌরসভায় দলের জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ।”
    জাতীয় পার্টির পক্ষে পৌরসভা নির্বাচনে এখনও কেউ প্রচার প্রচারণা করেননি। তবে জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি শেখ আজাহার হোসেন জানান তিনি এখনও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেননি।
    মেয়র পদে জামায়াত থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন জেলা সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি নূরুল হুদা। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ইতোমধ্যে প্রচার প্রচারণা শুরু করেছেন তিনি।
    আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষ্যে মাঠ চষে বেড়ানো প্রার্থীদের মধ্যে অনেক প্রার্থীই শেষ সময়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন কি না তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন রয়েছে। তবে এ প্রশ্নে র উত্তর পেতে আগামী ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীরা মনোনয়ন না পেয়ে যিনি নৌকা প্রতীক পাবেন তাকেই সমর্থন দিবেন বলে সকল প্রার্থীরা জানিয়েছেন।
    উল্লেখ্য, চতুর্থ ধাপের ৫৬টি পৌরসভা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ আগামী ১৭ জানুয়ারি। যাচাইবাছাই হবে ১৯ জানুয়ারি। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৬ জানুয়ারি। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। ৫৬টি পৌরসভার মধ্যে সাতক্ষীরাসহ ৩১টি ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এবং ২৫টি পৌরসভায় ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।