Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
বিশেষ সংবাদ Archives - Page 33 of 74 - Daily Dakshinermashal

Category: বিশেষ সংবাদ

  • সিরিজ বোমা হামলা মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ: রায় আজ

    সিরিজ বোমা হামলা মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ: রায় আজ

    নিজস্ব প্রতিনিধি : ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সাতক্ষীরা শহরের ৬টি স্থানে সিরিজ বোমা হামলার মামলায় গতকাল মঙ্গলবার রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামীপক্ষ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছেন।
    সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (প্রথম আদালত) এর বিচারক মোঃ শরিফুল ইসলামের আদালতে এই যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়। আদালত তা রেকর্ড করেন। আজ এ মামলার রায় প্রদান করা হবে বলে ঘোষনা দেওয়া হয়। এসময় কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন ৬টি মামলার আসামী মনিরুজ্জামান মুন্না, বিল্লাল হোসেন, মোঃ গিয়াস উদ্দিন, মাহবুবুর রহমান লিটন, শামীম হোসেন গালিব, হাবিবুর রহমান, সাইফুল ইসলাম, মনোয়ার হোসেন উজ্জ্বল, আনিসুর রহমান খোকন ও মিন্টু সহ সকল জামিনপ্রাপ্ত এবং জেলহাজতে আটক আসামী।


    রাষ্ট্রপক্ষে এই মামলা পরিচালনা করেন জজ আদালতের পিপি এ্যাড. আব্দুল লতিফ। তাকে সহায়তা করেন অতিরিক্ত পিপি এ্যাড. আব্দুস সামাদ। এসময় তারা বলেন, সাক্ষীদের সাক্ষ্যপ্রমান এবং আলামত জব্দের মধ্য দিয়ে প্রমানিত হয় এ মামলার সকলেই দোষী। তিনি তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রত্যাশা করেন।
    অপরদিকে আসামীপক্ষে ছিলেন এ্যাড. জিএম আবুবকর সিদ্দীক। তিনি আইনের বিভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, আসামীদের বিরুদ্ধে ৩,৪,৬ ধারা প্রযোজ্য নয়। ন্যায়বিচার হলে সকল আসামী খালাস পাবে। আজ বুধবার এ মামলার রায় ঘোষনার কথা রয়েছে।

  • সাংবাদিক সমাবেশে ঐক্য ধরে রাখার আহবান: খসড়া ভোটার তালিকা স্থগিত: আন্দোলন অব্যহত রাখার ঘোষনা

    সাংবাদিক সমাবেশে ঐক্য ধরে রাখার আহবান: খসড়া ভোটার তালিকা স্থগিত: আন্দোলন অব্যহত রাখার ঘোষনা


    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের কথিত নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে সাংবাদিকদের আন্দোলনের মুখে শেষ পর্যন্ত তৈরীকৃত খসড়া ভোটার তালিকা সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে পুলিশ সুপারের নেতৃত্বাধীন কমিটি। মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের হলরুমে সাংবাদিকদের চলমান আন্দোলনের কর্মসূচী হিসাবে আলোচনাসভা চলাকালে এ ধরনের একটি বার্তা পৌছে দেওয়া হয়। এই বার্তার সারকথায় এসে প্রেসক্লাবের সচিব মাহবুবুর রহমান সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন। এতে বলা হয়, তৈরীকৃত খসড়া ভোটার তালিকা সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তীতে আলোচনার ভিত্তিতে অন্যান্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
    এদিকে খসড়া ভোটার তালিকা স্থগিতের ঘটনায় সাংবাদিকরা সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, এটা তাদের আন্দোলনের ফসল। পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে কথিত নির্বাচনী প্রক্রিয়া বন্ধ না করা পর্যন্ত সাংবাদিকদের আন্দোলন অব্যহত থাকবে। তবে প্রেসক্লাবের বাইরের যেকোন আন্দোলন স্থগিত রেখে প্রেসক্লাবের অভ্যন্তরে আন্দোলন চালিয়ে যাবার আহবান জানানো হয়।
    আগেরদিনের ঘোষনা অনুযায়ী মঙ্গলবার দুপুরে প্রেসক্লাব সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আবু আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। এই সভার সঞ্চালনায় ছিলেন প্রেসক্লাব সাধারন সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপী। সভাপতির বক্তব্যে অধ্যক্ষ আবু আহমেদ বলেন, যেহেতু পুলিশ সুপারের নেতৃত্বাধীন কমিটি খসড়া ভোটার তালিকা সাময়িক স্থগিত করেছে সেজন্য আমরাও আমাদের আন্দোলন প্রেসক্লাবের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখতে চাই। প্রেসক্লাবের এই কথিত নির্বাচনী প্রক্রিয়া স্থগিত না করা পর্যন্ত এ আন্দোলন অব্যহত থাকবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। তিনি বলেন, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে নতুন কেউ সদস্যপদ চাইলে তাকে গঠনতান্ত্রিকভাবে আবেদন করতে হবে। সে অনুযায়ী তা নিষ্পত্তি করা হবে। অন্য কারো হাতে তৈরী সদস্যপদ প্রেসক্লাব গ্রহন করতে পারে না বলে মন্তব্য করেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি বলেন, আগামী দিনগুলিতেও সাংবাদিকরা ঐক্যবদ্ধ থেকে তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
    সাধারন সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপী বলেন, সাংবাদিকদের মধ্যে ঐক্যের কোন বিকল্প নেই। আমাদের লক্ষ্যে পৌছাতে হলে ঘরেবাইরে আন্দোলন করতে হবে। তবে আপাতত আন্দোলন প্রেসক্লাবের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। প্রেসক্লাব গঠিত এ্যাকশন কমিটির আহবায়ক কল্যান ব্যানার্জী বলেন, সাংবাদিকদের মধ্যে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করবেন না। তিনি বলেন, বাইরের কিছু লোক আমাদের আন্দোলনকে বাঁধাগ্রস্থ করতে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করছেন। তাদেরকে হুশিয়ার করে দিয়ে তিনি বলেন, যত চেষ্টাই হোক আমরা যে আন্দোলনে নেমেছি তার চূড়ান্ত ফসল ঘরে তুলবো।
    এ্যাকশন কমিটির সদস্যসচিব আবুল কালাম আজাদ বলেন, কোনভাবে চাপিয়ে দেওয়া সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হবে না। সম্মিলিতভাবে প্রেসক্লাব সদস্যরা যে সিদ্ধান্ত নেবেন সেটাই বাস্তবায়ন করা হবে। তিনি বলেন, গঠনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচন করানোর দায়িত্ব প্রেসক্লাবের। প্রেসক্লাবই সে ব্যবস্থা নেবেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ বিষয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে আলাপ আলোচনা ও সমঝোতা হতে পারে। প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সুভাষ চৌধুরী বলেন, পুলিশ সুপারের নেতৃত্বাধীন কমিটি তৈরীকৃত খসড়া ভোটার তালিকা স্থগিত করানোর মধ্য দিয়ে আমাদের প্রাথমিক বিজয় অর্জিত হয়েছে। তবে নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে সরে না যাওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন অব্যহত থাকবে। এ্যাকশন কমিটির সদস্য রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী বলেন, আমরা আন্দোলন অব্যহত রাখতে চাই। তবে সে আন্দোলন হবে প্রেসক্লাবের ভেতরে। প্রয়োজনে বাইরেও আন্দোলন ছড়িয়ে দেওয়া হবে। আমরা এক ও অভিন্ন পথে আন্দোলন চালিয়ে যাবো। প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারন সম্পাদক এম কামরুজ্জামান বলেন, আমরা আন্দোলনের ফসল হিসাবে কিছুটা অর্জন পেয়েছি। এই অর্জনকে ধরে রেখে চূড়ান্ত বিজয় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচী অব্যহত রাখতে হবে।
    সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন সেলিম রেজা মুকুল, কাজী শওকত হোসেন ময়না, ইয়ারব হোসেন সহ অন্যান্য সাংবাদিকবৃন্দ।

  • মেয়র প্রার্থী নাছিম ফারুক খান মিঠু’র নির্বাচনী সভা

    মেয়র প্রার্থী নাছিম ফারুক খান মিঠু’র নির্বাচনী সভা

    নিজস্ব প্রতিনিধি: আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরা পৌরসভা নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী নাছিম ফারুক খান মিঠু’র নির্বাচনী মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার বিকালে পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ পলাশপোলে মো. আলাউদ্দিনের সভাপতিত্বে নির্বাচনী মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মেয়র প্রার্থী নাছিম ফারুক খান মিঠু। এসময় তিনি বলেন, ‘আমি মেয়র নির্বাচিত হলে আপনাদের সাথে নিয়ে সাতক্ষীরা পৌরসভাকে একটি আধুনিক ও মডেল পৌরসভায় রুপান্তরিত করতে পারবো। সাতক্ষীরা পৌর এলাকার বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম সমস্যা জলাবদ্ধতা। এ সমস্যার মুল কারণ অপরিকল্পিত নগরায়ন গড়ে উঠেছে। পরিকল্পিত নগরায়ন গড়তে হবে। তাহলে জলবদ্ধতার হাত থেকে পৌরবাসী মুক্তি পাবে। আমি নির্বাচিত হতে না পারলেও সব সময় মানুষের পাশে থেকে কাজ করবো। বিগত দিনেও যেভাবে মানুষের সেবা করেছি যতদিন বেঁচে থাকবো মানুষের জন্য কাজ করে যাবো।’ মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন শাহজাহান, শিরিনা আক্তার, ইমামুল ইসলাম শরিফ, সিরাজুল ইসলাম, শাফিন আরমান খান, মনোয়ারা বেগম প্রমুখ। মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ভোটারদের মাঝে নারকেল প্রতীকের লিফলেট প্রদান করেন মেয়র প্রার্থী নাছিম ফারুক খান মিঠু। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আব্দুল জলিল।

  • জাহাঙ্গীর হোসেন কালুর নির্বাচনী মিছিল

    জাহাঙ্গীর হোসেন কালুর নির্বাচনী মিছিল

    নিজস্ব প্রতিনিধি: আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরা পৌরসভা নির্বাচনে ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন কালুর নির্বাচনী মিছিল ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার বিকালে সাতক্ষীরা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের ইটাগাছা পূর্বপাড়া থেকে কাউন্সিলর প্রার্থী শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন কালু’র নেতৃত্বে পানির বোতল প্রতীকের নির্বাচনী মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি শহরের বাঙ্গালের মোড়, কুখরালী মোড়, পুলিশ ফাঁড়ী মোড়, ইটাগাছা পশ্চিম পাড়া মোড়, হাসান-হোসেন জামে মসজিদ মোড়, মানিকতলা মোড় প্রদক্ষিণ শেষে ইটাগাছা পূর্বপাড়ায় পথসভায় মিলিত হয়। পথসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কাউন্সিলর প্রার্থী শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন কালু। এসময় উপস্থিত ছিলেন ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা মোজাম্মেল হোসেন মোজাম, ইলিয়াছ হোসেন, আব্দুল কুদ্দুস, তুহিনুর রহমান, মাসুম, নাহিদ, জাহিদ, শাওন, মোজাহিদ, সাইফুল ইসলাম লিটন, শাহাজান বিশ্বাস, সালাউদ্দীন, ঠিকাদার আশরাফ হোসেন, ফরিদা পারভিন, প্রতিমা, মুজিবর রহমান, ফজলু ঢালী প্রমুখ। এসময় বক্তারা বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে সাতক্ষীরা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হিসেবে বর্তমান কাউন্সিলর শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন কালুর বিকল্প নেই। । তাই আপনারা ১৪ ফেব্রুয়ারি স্বপরিবারে শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন কালুর পানির বোতল প্রতীকে ভোট দিয়ে এলাকার চলমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখুন।’

  • টিকা প্রদান কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন

    টিকা প্রদান কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন

    নিজস্ব প্রতিনিধি : জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামালের টিকা নেওয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে সাতক্ষীরায় কোভিড-১৯ এর টিকা গ্রহণের কার্যক্রম। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে রোববার দুপুর ১২টায় এর উদ্বোধন করেন সদর আসনের সাংসদ মীর মোস্তাক আহম্মেদ রবি।
    এরপর একে একে টিকা গ্রহণ করেন সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডাঃ হুসাইন সাফায়েত, সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তাঞ্জিলুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এমএম মাহামুদুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফজাল হোসেন, নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জুবায়ের হোসেন, বিজিবি’র মাদ্রা কোম্পানী কমান্ডার (মেজর সিটি) নায়েক মীর আবু সাঈদ আহমেদ প্রমুখ।


    সিভিল সার্জন ডাঃ হুসাইন সাফায়েত জানান, সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ ৭টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোববার থেকে কোভিড-১৯ টিকা দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। একটানা ১২ দিন এ কার্যক্রম চলবে। প্রথম দিনে জেলায় ৮৪৬ জনকে টিকা দেওয়া হবে। প্রতিদিন তারা জেলায় এক হাজার ২০০ লোককে টিকা দিতে পারবেন। প্রতি হাসপাতালে ১৬ জন সেবিকা ও ৩২ জন স্বেচ্ছাসেবক টিকা দেয়ার কাজ করছেন।


    সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্ফা কামাল টিকা গ্রহণের পর বলেন, বিশ্বের অনেক ধনী দেশ থাকতেও বাংলাদেশের মত একটি দেশে এত তাড়াতাড়ি টিকা পাওয়া এবং তিনি তা গ্রহণে করতে পারায় নিজেকে গর্বিত বোধ করছেন। তিনি আরো জানান, এর কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। তিনি এ সময় কোন গুজবে কান না দেয়ার আহবান জানান।


    এদিকে রবিবার বেলা ১১টায় দেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোভিশিল্ড টিকাদান কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করা হয়। এসময় উপজেলার মধ্যে প্রথম কোভিশিল্ড টিকা নেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. বিপ্লব মন্ডল। তিনি ছাড়াও প্রথম দিনে টিকা নিয়েছেন উপজেলার মোট ৩৮ জন ব্যাক্তি। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইউএইচএফপিও ডা. আব্দুল লতিফ বলেন, আমরা এপর্যন্ত দেবহাটা উপজেলাতে ৩৭০ ভায়াল কোভিশিল্ড টিকা পেয়েছি।

    যা থেকে তিনহাজার সাতশ জনকে প্রথম পর্যায়ে এই টিকা দেয়া সম্ভব। কেবলমাত্র যারা অনলাইনে টিকার জন্য আবেদন করেছেন তারা টিকা নিতে পারবেন। তবে প্রথম পর্যায়ে শুধুমাত্র মনোনীত সম্মুখ সারির করোনা যোদ্ধা এবং ৫৫ বছরের উর্দ্ধে বয়স্ক নাগরিকদের কোভিশিল্ড টিকার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারছেন। বাকিরাও শীঘ্রই কোভিশিল্ড টিকা পাবেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এপর্যন্ত দেবহাটা থেকে প্রায় দেড়শ ব্যাক্তি অনলাইনে টিকার জন্য আবেদন করেছেন। টিকা প্রদানকালে ইউএইচএফপিও ডা. আব্দুল লতিফ, আরএমও ডা. বিপ্লব মন্ডল, প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার শফিউল বশার, দেবহাটা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান শাওনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।


    কালিগঞ্জে নিজে গ্রহণের মাধ্যমে টিকা কাযক্রমের উদ্বোধন করলেন রুহুল হক এমপি
    অপরদিকে দৈনিক দক্ষিণের মশালের কালিগঞ্জ শহর প্রতিনিধি মুহিবুল্লাহর পাঠানো তথ্য অনুযায়ী¡ রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার সময় কালিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকা নেন সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী ডাঃ আ ফ ম রুহুল হক। কালিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিজে টিকা নিয়ে টিকা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন তিনি। এরপর নিজে হাতে একজন ডাক্তার হিসাবে কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী কে নিজে হাতে টিকা প্রদান করেন। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার রবিউল ইসলাম, থানা অফিসার ইনচার্জ দেলোয়ার হুসেন, মেডিকেল অফিসার মোয়াজ আরবার প্রমুখ।
    উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী অধ্যাপক আলহাজ্ব ডাঃ আ ফ ম রুহুল হক এমপি বলেন টিকা নেওয়াতে ভয়ের কিছু নাই। কোন গুজবে কান না দিয়ে নিজের জীবনের নিরাপত্তার বিধানের জন্য নিবন্ধন করে এই টিকা গ্রহন করার অনুরোধ জানান। পরে তিনি হাসপাতালে ঘুরে দেখেন এবং বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন।


    অপরদিকে তালা প্রতিনিধি শাহীনুর রহমানের পাঠানো তথ্যে জানা যায়, তালা হাসপাতালের কোনো ডাক্তার বা নার্স ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে রাজি না হওয়ায় অগত্যা জালালপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৯ ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ আমিনুর শেখ (৩১)’র শরীরে টিকা দিয়ে কার্যক্রম উদ্ভোধন করা হয়। তিনি আটুলিয়া গ্রামের মৃত্যু সিরাজ শেখের পুত্র।
    স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রাজিব সরদারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি উপস্থিত ছিলেন, তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তারিফ-উল-হাসান, আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, তালা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার।
    বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, তালা থানা অফিসার ইনচার্জ মেহেদী রাসেল, তালা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সরদার মশিয়ার মহমান, ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা) মুর্শিদা পারভিন পাপড়ি’সহ হাসপাতালের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা বৃন্দ।
    রবিবার (৭ ফেব্রুয়ারী) অনলাইনে আবেদনকৃত ১৭ জন ব্যক্তিকে টিকা প্রদানের তালিকা ভূক্ত করা হলেও কেহই টিকা নেননি। গ্রাম পুলিশ আমিনুর তালিকা ভূক্ত না হলেও তাকে টিকা প্রদানের মাধ্যমে উদ্ভোধন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এ সময় হাসপাতালের সকল ডাক্তার ও নার্স উপস্থিত থাকলেও তারা টিকা নেননি।
    এ বিষয়টি নিয়ে তালা উপজেলা সদরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে।
    গ্রাম পুলিশ আমিনুর বলেন, হাসপাতালের কেহই টিকা নিতে রাজি না হওয়ায় আমি সাহস করে এগিয়ে গিয়ে টিকা নিয়েছি। আমি এখনো সুস্থ আছি, আমার কোনো অসুবিধা হচ্ছে না।
    ডাঃ রাজিব সরদার বলেন, আজ টিকা কার্যক্রম উদ্ভোধন হয়েছে, পর্যায়ক্রমে আমরাও টিকা নিব। আজ নিলেন না কেন বা হাসপাতালের কেহই টিকা না নেয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি কাজের ব্যস্ততার অজুহাত দেখিয়ে এড়িয়ে যান।
    উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার বলেন, হাসপাতালের ডাক্তার বা নার্সরা টিকা না নেওয়া দুঃখজনক। সবার আগে তাদের টিকা নিয়ে মানুষের মধ্যে ভিতি দূর করতে হবে। তা না হলে সরকারের এ মহতি উদ্দ্যোগ মুখ থুবড়ে পড়তে পারে।

  • সাতক্ষীরা ট্যুারিস্ট এসোসিয়েশনের বার্ষিক সাধারণ সভা

    সাতক্ষীরা ট্যুারিস্ট এসোসিয়েশনের বার্ষিক সাধারণ সভা

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি : সাতক্ষীরা ট্যুারিস্ট এসোসিয়েশনের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সংগঠনের সভাপতি মাগফুর রহমানের কদমতলাস্থ বাসভবনে অনুষ্ঠিত সভায় দ্বি-বার্ষিক নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।
    উক্ত কমিটির সভাপতি মাগফুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মো: মিজানুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ মো: ফজলুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: আব্দুল করিম মনোনীত হন।
    তাদের মাধ্যমে অচিরেই ১১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে। সভায় সাতক্ষীরা ট্যুারিস্ট এসোসিয়েশনের আগামী মেয়াদের জন্য কিছু পরিকল্পিত কর্মসূচি গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়। পাশাপাশি সাতক্ষীরাকে একটি ভ্রমণ বান্ধব কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার এবং আগত ট্যুারিস্টদের সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদানের আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।

  • ভোমরা স্থলবন্দরে অননুমোদিত তিন ট্রাক শ্যামা চাল উদ্ধার

    ভোমরা স্থলবন্দরে অননুমোদিত তিন ট্রাক শ্যামা চাল উদ্ধার

    রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : কম রাজস্বের নন বাসমতি চালের ঘোষণা দিয়ে বাংলাদেশে রপ্তানির তালিকায় না থাকা তিন ট্রাক শ্যামা চাল আটক করা হয়েছে। বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই) ভোমরা শাখার কণিষ্ট মাঠ কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান তালুকদারের নেতৃত্বে ভোমরাস্থল বন্দর ইয়ার্ড থেকে এ চাল আটক করা হয়।
    ভোমরা বন্দর সূত্রে জানা গেছে, পহেলা ফেব্র“য়ারী ওই তিনট্রাক ভারতীয় শ্যামা চাল ভোমরাস্থল বন্দর ইয়ার্ডে প্রবেশ করে। কিন্তু ওই চালের অনুমোদন বাংলাদেশে না থাকায় সেখানেই ছিলো। আমদানীকারক প্রতিষ্ঠান
    সুলতানপুর বড় বাজারে পলাশ ট্রেডার্স এবং সিএন্ডএফ এজেন্ট মামুন ট্রেডার্স ভোমরা মোটা চালের অনুমোদন নিয়ে চালগুলো আমদানি করে। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভোমরা স্থলবন্দর এনএসআই অফিস এবং কাস্টমস অফিস যৌথ অভিযান পরিচালনা করে তিনটি ট্রাক (ট্রাক গুলোর নং (ডই ২৩ই-০৩৫৫, ডই ৬৫ই-৪৭১৬, ডই ২৩ই-৬৬৩১) উক্ত চালগুলো আটক করে।
    অভিযানে ট্রাক তিনটিতে বাংলাদেশে অননুমোদিত ১৪০৭ বস্তা (৮৪৪২০ কেজি) শ্যামা চাল এবং ৪৩ বস্তা(২৫৮০ কেজি) সিদ্ধ চাল উদ্ধার করা হয়। যা বর্তমানে ভোমরা স্থলবন্দর গোডাউন নং ১ এ সিলগালা অবস্থায় সংরক্ষিত রয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় দেড় কোটি টাকা। এ ব্যাপারে ভোমরা কাস্টসম এর সহকারি কমিশনার আমীর মামুন বলেন, আটককৃত চাল সরকারি পার্কিং এ নামিয়ে রাখা হয়েছে। কাগজপত্র যাঁচাই করে শনিবার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • মুনসুর আহমেদের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া

    মুনসুর আহমেদের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া

    নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবেক সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আহমেদ এর রূহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকাল ৪টায় শিল্পকলা মিলনায়তনে সাতক্ষীরা জেলা যুবলীগের আয়োজনে এবং ভোরের পাতা গ্রুপের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক জহিরুল হক নান্টুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ¦ নজরুল ইসলাম। প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও ভোরেরপাতা গ্রুপ অফ কোম্পানীর চেয়ারম্যান ড. কাজী এরতেজা হাসান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, আওয়ামীলীগ মনোনীত পৌর মেয়র প্রার্থী শেখ নাসেরুল হক। জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক আ.হ.ম তারেক উদ্দিন, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সহ-সম্পাদক জি এম ওয়াহিদ পারভেজ, জেলা আওয়ামীলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক প্রভাষক আফছার উদ্দীন, সাবেক ছাত্রনেতা ও ভোরের পাতার সম্পাদক কাজী হেদায়েত হোসেন রাজ, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আ: রশিদ, জেলা তাঁতীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো: আলমগীর, সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান মিজান, শ্যামনগর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি গাজী গোলাম মোস্তফা, দেবহাটা উপজেল যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান মিন্নুর, পৌর যুবলীগের আহবায়ক মনোয়ার হোসেন, কলারোয়া উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি শেখ মাসুমুজ্জামান মাসুম, সরকারী কলেজ ছাত্রলীগের (সাবেক) কাজী সাহেদ পারভেজ ইমন। উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী আকতার হোসেন, আতাউর রহমান, সদস্য নাজমুন নাহার মুন্নি, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আসাদুজ্জামান অসলে, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ শফিউদ্দীন, জেলা যুবলীগ নেতা তুহিনুর রহমান, যুবলীগ নেতা মামুন, অপু, রবিন, বিপুলসহ আওয়ামীলীগ ও সকল সহযোগী সংগঠনের নেতা ও কর্মীবৃন্দ। সঞ্চালনায় করেন, সাতক্ষীরা জেলা যুবলীগের সদস্য স ম আব্দুস সাত্তার।

  • মিনি শেখ হাসিনা সেজে ভাইরাল ‘দিঘী’

    মিনি শেখ হাসিনা সেজে ভাইরাল ‘দিঘী’

    স্টাফ রিপোর্টার :
    ‘ মুজিব বর্ষ ’ উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের কাছে ৬৬ হাজার ১৯৮টি গৃহ বিতরণ কর্মসূচি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেজে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে সাতক্ষীরার শিশু আবৃত্তি শিল্পী সাফানা ফারদিন দিঘী।

    https://www.facebook.com/100002060479815/videos/3649647451780568/

    স্বরণীয় এই দিনে সাফানা ফারদিন দিঘী মিনি শেখ হাসিনা সেজেই শুধু খ্যান্ত ছিলেন না, মিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মত অবিকল ভাষায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়ে সবাইকে রিতিমত তাকলাগিয়ে দিয়েছেন।

    গত ২৩ জানুয়ারী সাতক্ষীরা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মাঝে গৃহ বিতরণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্থানীয় প্রশাসনের আমন্ত্রনে মিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেজে অনুষ্ঠানে আসন গ্রহণ করেন শিশু আবৃত্তি শিল্পী সাফানা ফারদিন দিঘী। অবিকল সাজে সেজে ছিলেন মিনি শেখ হাসিনা।

    অনুষ্ঠানের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মূলমঞ্চে চেয়ারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভঙ্গিমায় বসে ছিলেন মিনি শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলের দৃষ্টিকাড়ে মিনি শেখ হাসিনা।

    অনুষ্ঠান শেষে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন মিনি শেখ হাসিনা। তার ভাষণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিও’টির নীচে অসংখ্য মানুষ মন্তব্য করেছেন।
    সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল মিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণ শুনে গতকাল ২৪ জানুয়ারী রোববার ভাইরাল হওয়া ভিডিও-এর নীচে মন্তব্য করে লিখেছেন ‘ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট আজ এটা পাঠাবো। একেবারে শেখ হাসিনা’।
    শিশু শিল্পী সাফানা ফারদিন দিঘী এবছর দ্বিতীয় শ্রেণী পেরিয়ে তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী। সাতক্ষীরার এতিহ্যবাহী বর্ণমালা ্কাডেমিতে নিয়মিত আবৃত্তি শিখছে। শিশু আবৃত্তি শিল্পী হিসেবে অতি পরিচিত দিঘী। জেলা পর্যায় একাধিক আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় দিঘী সেরা হয়েছে।

    সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, এটিএন বাংলার নিজস্ব প্রতিনিধি এম কামরুজ্জামান ও সাতক্ষীরার ছফুরননেছা মহিলা কলেজের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সেলিনা সুলতানা লিপির মেয়ে দিঘী।

  • আশাশুনিতে ওসির সাথে বীরমুক্তিযোদ্ধাদের সাক্ষাত

    আশাশুনিতে ওসির সাথে বীরমুক্তিযোদ্ধাদের সাক্ষাত

    আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মাদ গোলাম কবির এর সাথে বীরমুক্তিযোদ্ধাদের সৌজন্য সাক্ষাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১১টায় থানার অফিসার ইনচার্জ এর কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাতকালে বীরমুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ অফিসার ইনচার্জকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। সৌজন্য সাক্ষাতকালে সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল হান্নান, জেলা কমান্ডের সদস্য আব্দুল করিম, উপজেলা কমান্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজিমউদ্দীন, শোভনালী ইউনিয়ন কমান্ডার আব্দুল গফফার, দরগাহপুর ইউনিয়ন কমান্ডার শেখ আরব আলী, শ্রীউলা ইউনিয়ন কমান্ডার আব্দুুস সামাদ, বড়দল ইউনিয়ন ডেপটি কমান্ডার লিয়াকাত আলী, আনুলিয়া ইউনিয়ন সহকারি কমান্ডার আব্দুল কুদ্দুসসহ বীরমুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সবশেষে উপজেলার সকল বীরমুক্তিযোদ্ধাদের মুক্তিযোদ্ধার মনোগ্রাম সম্বলিত ব্যাচ উপহার দেন থানার অফিসার ইনচার্জ।

  • ভোমরায় ২৫তম জাতীয় হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরন অনুষ্ঠিত

    ভোমরায় ২৫তম জাতীয় হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরন অনুষ্ঠিত

    ভোমরা প্রতিনিধি : হুফ্ফাজুল কুরআন ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ সাতক্ষীরা জেলা শাখার উদ্যোগে সোমবার (১৮ জানুয়ারি ২০২১) সকালে ভোমরা পশ্চিম পাড়া কবর স্থান সংলগ্ন বায়তুল ফালাহ জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে আলহাজ্ব গোলাম রব্বানির সভাপতিত্বে ২৫তম জাতীয় হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এম মহতী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের সদস্য আলহাজ্ব আল-ফিরদাউস আলফা, বিশেষ অতিথি ছিলেন আলহাজ্ব মোঃ অহিদুল ইসলাম, আলহাজ্ব মোঃ আমজাদ হোসেন এবং শ্রমিক সর্দার আশরাফুল ইসলাম (বাবলু)। এ হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে সাতক্ষীরা জেলার ৭টি উপজেলাধীন হাফিজিয়া মাদ্রাসা থেকে হিফজুল কুরআন শিক্ষার্থীরা অংশ গ্রহন করে। কুরআন প্রতিযোগিতায় ৫ পারা থেকে শুরু করে ৩০ পারা পর্যন্ত শ্রেণী বিন্যাসের মাধ্যমে প্রতিযোগিতারা অংশ গ্রহন করে। অংশ গ্রহনকারী প্রতিযোগিদেরকে ক ও খ গ্রুপে বিভক্ত করে কুরআন তিলাওয়াতে অংশ নেয়। এ কুরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতায় প্রত্যেক গ্রুপ থেকে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারী প্রতিযোগিদের মধ্যে বিভিন্ন প্রকারের আকর্ষণীয় পুরস্কার বিতারন করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে হিফজুল কুরআন শিক্ষার্থীদের কল্যাণ কামনায় বিশেষ দোয়ানুষ্ঠান করা হয়।

  • নির্বাচনকে নিয়ে জমে উঠেছে তৃণমূলের রাজনীতি

    নির্বাচনকে নিয়ে জমে উঠেছে তৃণমূলের রাজনীতি

    ০১নং ওয়ার্ডে কয়েকটি ফ্রি ওয়াইফাই জোন করতে চাই

    শেখ রশিদুর রহমান রশিদ
    • মো. মুশফিকুর রহমান (রিজভি):

    আগামী ১৪ই ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরা পৌরসভা নির্বাচন। আসন্ন এ নির্বাচনকে নিয়ে জমে উঠেছে তৃণমূলের রাজনীতি। পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন দিয়ে ইতিমধ্যেই প্রার্থীরা তাদের প্রার্থীতা জানান দিয়েছেন। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই অলিগলি, রাস্তাঘাট, চায়ের দোকান সবখানে এখন নির্বাচনের আলোচনা।

    ভোটারদের মুখে-মুখে প্রার্থীদের নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন। এমন কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে আমাদের বিশেষ আয়োজন ‘নির্বাচনের হাওয়া’।

    ‘নির্বাচনের হাওয়া’র এ পর্বে আমাদের সাথে যুক্ত হয়েছিলেন সাতক্ষীরা পৌরসভার ০১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী শেখ রশিদুর রহমান রশিদ।

    দক্ষিণের মশাল: কেমন আছেন?

    শেখ রশিদুর রহমান রশিদ: আলহামদুলিল্লাহ, ভালো।

    দক্ষিণের মশাল: আপনার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার উদ্দেশ্য কি?

    শেখ রশিদুর রহমান রশিদ: মহামারী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সাতক্ষীরা পৌরসভার ০১নং ওয়ার্ডের অসহায় দুঃস্থ মানুষদের যখন চরম দুরবস্থা তখন আমি তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি। আমার সামর্থ্য অনুযায়ী কয়েক দফায় তাদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছি। সে সময় আমি ০১নং ওয়ার্ডের মানুষদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। তাদের উৎসাহেই আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি।

    দক্ষিণের মশাল: সাতক্ষীরা পৌরসভার ০১ নং ওয়ার্ডে প্রায় এক ডজন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, জনগণ তাদেরকে ভোট না দিয়ে কেন আপনাকে ভোট দেবেন?

    শেখ রশিদুর রহমান রশিদ: আমি সবসময় ০১নং ওয়ার্ডের জনগণের দুঃখ-দুর্দশায় তাদের পাশে থেকেছি। যখন ০১নং ওয়ার্ডকে ০৯নং ওয়ার্ডের সাথে মিশিয়ে একটি ওয়ার্ড করা হচ্ছিল তখন আমিই একমাত্র ব্যক্তি ছিলাম যে এলাকার জনগণকে সাথে নিয়ে এর বিরোধিতা করেছিল। ০১নং ওয়ার্ডকে পৃথক করার জন্য আমি মামলা করি এবং সেই মামলা করার কারণেই ০১নং ওয়ার্ড আজ পৃথক একটি ওয়ার্ড। আজকে আমি যেই ওয়ার্ডে নির্বাচন করছি সেখানে বহু প্রার্থী আছে তবে আমি তাদের মধ্যে ব্যতিক্রম। জনগণ আমাকে এক নম্বর ওয়ার্ডের রূপকার বলেন।

    দক্ষিণের মশাল: আপনি বললেন জনগণ আপনাকে ০১নং ওয়ার্ডের রূপকার বলেন কিন্তু কেন তারা আপনাকে ০১নং ওয়ার্ডের রূপকার বলেন?

    শেখ রশিদুর রহমান রশিদ: যখন ০১নং ওয়ার্ডকে ০৯নং ওয়ার্ডের সাথে মিশিয়ে একটি ওয়ার্ড করা হয়েছিল আমি তখন ঢাকাতে ছিলাম পরে খবর পেয়ে সাতক্ষীরায় আসার পরে স্থানীয়রা আমাকে বললেন রশিদ ভাই ০১নং ওয়ার্ডকে তো ০৯নং ওয়ার্ডের সাথে মিশিয়ে একটি ওয়ার্ড করা হচ্ছে, এখন কি করা যায়? তখন আমি নিজ উদ্যোগে প্রত্যেকটা বাড়িতে দৌড়ঝাঁপ করে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে মামলা করি। তৎকালীন সময়ে ছিলেন মরহুম এডভোকেট আব্দুর রউফ সাহেব, শেখ বসির আহমেদ, এডভোকেট তাচ্চু, মোতাহারসহ উল্লেখযোগ্য আরো কয়েকজনকে সাথে নিয়ে মামলা করে আমরা ০১নং ওয়ার্ডকে আবারও ফিরে পায়। তখন থেকেই স্থানীয়রা আমাকে ০১নং ওয়ার্ডের রূপকার বলেন।

    দক্ষিণের মশাল: ০১নং ওয়ার্ডকে পৃথক করার জন্য সেই সময় আপনি স্থানীয়দের বাড়ি-বাড়ি গিয়ে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করেছেন এখন আবার নির্বাচনকে সামনে রেখে জনগণের দোরগোড়ায় যাচ্ছেন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কেমন সাড়া পাচ্ছেন?

    শেখ রশিদুর রহমান রশিদ: এখন একটু ব্যতিক্রমী সাড়া পাচ্ছি। এখন ইন্টারনেটের যুগ মানুষ আরো আধুনিক হয়েছে। তাদের চিন্তা ধারাও উন্নত ধরণের। যারা সুচিন্তিত চিন্তা-ভাবনা করেন তারা মনে করেন আমিই যোগ্য প্রার্থী।

    দক্ষিণের মশাল: আপনি নির্বাচিত হলে ওয়ার্ডবাসীর জন্য কি কি করবেন?

    শেখ রশিদুর রহমান রশিদ: নির্বাচিত হলে আমার প্রথম লক্ষ্য হবে ০১নং ওয়ার্ডে কয়েকটি ফ্রি ওয়াইফাই জোন গড়ে তোলা। কারণ আধুনিক বিশ্ব ইন্টারনেট নির্ভর হয়ে উঠছে। আমি দেখেছি ০১নং ওয়ার্ডে এমন অনেক অসহায় মানুষ আছেন যাদের সন্তানেরা ইন্টারনেট সুবিধার অভাবে অনলাইনে ক্লাস করতে পারছে না। তাই আমি নির্বাচিত হলে সবার আগে কয়েকটি ফ্রি ওয়াইফাই জোন গড়ে তুলতে চাই। দ্বিতীয়তঃ আমি ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের ব্যবস্থা করতে চাই যেখানে সুবিধাবঞ্চিত মানুষেরা বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা পাবে। ফ্রি এম্বুলেন্স সার্ভিস চালু করতে চাই। এরপরে একটি বিশেষ হট লাইন চালু করতে চাই যে নম্বরে কল করলে ০১নং ওয়ার্ডের মানুষেরা প্রয়োজনীয় সকল সেবা সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। ০১নং ওয়ার্ডের আরো কিছু বিশেষ সমস্যা রয়েছে যেমন জলাবদ্ধতা, ড্রেনেজ ব্যবস্থার অসুবিধা এবং সড়কবাতির অসুবিধা। আমি নির্বাচিত হলে এই সব সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করব।

    দক্ষিণের মশাল: ইভিএম সম্পর্কে আপনার মতামত কি?

    শেখ রশিদুর রহমান রশিদ: ইভিএম হচ্ছে একটা ইলেকট্রনিক পদ্ধতি, পদ্ধতিটা ভালো কিন্তু মফস্বল শহরের মানুষ এ বিষয়ে এখনও অভিজ্ঞ হয়ে ওঠেন নি বরং অজ্ঞ আছে। আস্তে-আস্তে মানুষ এ বিষয়ে শিখছে। মানুষ ইভিএমের ধারণা পুরোপুরি জানলে তখন এর পূর্ণাঙ্গ সুফল পাওয়া যাবে।

  • মাছখোলায় নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার আগেই ধ্বসে পড়লো রাস্তা!

    মাছখোলায় নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার আগেই ধ্বসে পড়লো রাস্তা!

    সংবাদদাতা: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মাছখোলায় নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার আগেই ধ্বসে পড়েছে রাস্তা। গেল বছরের জুন মাসে মাছখোলা ক্লাব মোড় থেকে মাছখোলা বাজার পর্যন্ত রাস্তাটির নির্মাণ কাজ শুরু হলেও এখনো শেষ হয়নি তবে ইতিমধ্যেই ধ্বসে পড়েছে রাস্তটির কিছু অংশ।

    স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ভোগান্তির পর গেল বছরের মাঝামাঝি সময়ে রাস্তাটির পুণঃনির্মাণ কাজ শুরু হলেও এখনো শেষ হয়নি। তবে ঠিকাদারের অবহেলায় এরই মধ্যে মাছখোলার দাউদের পুকুর সংলগ্ন এলাকায় রাস্তাটির বৃহৎ একটি অংশ ধ্বসে পড়েছে। এখনি যদি রাস্তটির সংস্কার করা না হয় তবে সামনে আরও ভয়াভহ ভাঙ্গন দেখা দিতে পারে।

    স্থানীয়রা অভিযোগ করে আরো বলেন, রাস্তার ধার থেকে মাটি কেটে রাস্তার পাড় বাধার কারণে এতদ্রুত রাস্তা ধ্বসে পড়ছে।

    তারা আরো বলেন, এখনো রাস্তার নির্মাণকাজ শেষ না হলেও এরই মধ্যে রাস্তাটি দিয়ে দিনে অসংখ্যবার ট্রলি, ডাম্পার এবং ট্রাক ইটভাটার পরিবহন কাজে এ রাস্তাটি ব্যবহার করে ফলে দিনে-দিনে রাস্তাটি আরো ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়ছে।

    স্থানীয়রা দ্রুত রাস্তাটির নির্মাণকাজ শেষ ও ধ্বসে পড়া অংশের সংস্কার দাবি করেছেন।

  • মাদকমুক্ত ওয়ার্ড গড়তে চান আছাদুল ইসলাম ঢালী

    মাদকমুক্ত ওয়ার্ড গড়তে চান আছাদুল ইসলাম ঢালী

    মো. মুশফিকুর রহমান রিজভি:

    আগামী ১৪ই ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরা পৌরসভা নির্বাচন। আসন্ন এ নির্বাচনকে নিয়ে জমে উঠেছে তৃণমূলের রাজনীতি। পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন দিয়ে ইতিমধ্যেই প্রার্থীরা তাদের প্রার্থীতা জানান দিয়েছেন। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই অলিগলি, রাস্তাঘাট, চায়ের দোকান সবখানে এখন নির্বাচনের আলোচনা। ভোটারদের মুখে-মুখে প্রার্থীদের নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন। এমন কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে আমাদের বিশেষ আয়োজন ‘নির্বাচনের হাওয়া’।

    ‘নির্বাচনের হওয়া’র এ পর্বে আমাদের সাথে যুক্ত হয়েছিলেন সাতক্ষীরা পৌরসভার ০১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মোঃ আছাদুল ইসলাম ঢালী।

    দক্ষিণের মশাল: কেমন আছেন?

    মোঃ আছাদুল ইসলাম ঢালী: আলহামদুলিল্লাহ, ভালো আছি। আপনি কেমন আছেন?

    দক্ষিণের মশাল: আলহামদুলিল্লাহ ভালো। আপনি তো মূলত একজন ব্যবসায়ী, হঠাৎ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত কেন নিলেন?

    মোঃ আছাদুল ইসলাম ঢালী: ধন্যবাদ সুন্দর একটি প্রশ্ন করার জন্য। জনগণের সেবা করাই আমার নির্বাচনে আসার মূল উদ্দেশ্য। আমার পিতা মরহুম সাহাজউদ্দিন ঢালী তার জীবদ্দশায় জনগণের সেবা করে গেছেন। আমিও তার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে জনগণের সেবা করার উদ্দেশ্যেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি। জনগণও আমাকে চাচ্ছেন। বিভিন্নভাবে জনগণের সাড়া পেয়েই আমার নির্বাচনে আসা।

    দক্ষিণের মশাল: সাতক্ষীরা পৌরসভার ০১নং ওয়ার্ডে প্রায় এক ডজন প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা জানান দিয়েছেন। এই এক ডজন প্রার্থীর মধ্যে জনগণ কেন আপনাকে বেছে নিবেন?

    মোঃ আছাদুল ইসলাম ঢালী: আসলেই আপনার কথাটি সত্য। সাতক্ষীরা পৌরসভায় যতগুলো ওয়ার্ড আছে ০১নং ওয়ার্ডেই মনে হয় সবচেয়ে বেশি প্রার্থী। এত প্রার্থী হওয়ার কারণ হচ্ছে আমাদের ০১নং ওয়ার্ডের অনেক সমস্যা। দীর্ঘদিন যাবৎ ০১নং ওয়ার্ডবাসীরা নানা রকম সমস্যায় জর্জরিত। বিগত দিনে যে সমস্ত কাউন্সিলররা ছিলো তারা হয়তো জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন এজন্যই এত প্রার্থী।

    আর জনগণ কেন আমাকে বেছে নেবেন যদি এই প্রশ্ন করেন তাহলে আমি বলব আমার পরিবার ঢালী পরিবার আমাদের পরিবারের একটি ঐতিহ্য আছে। আজ পর্যন্ত আমাদের পরিবারের কোন বদনাম নেই। আমরা জনগণের সাথে ছিলাম আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকবো। জনগণের সেবা করাই আমার পরিবার এবং আমার উদ্দেশ্য। প্রার্থী হিসেবে আমি মনে করি যত জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন সবাই ভালো। কেউই খারাপ না, তারপরও আমি নিজেকে সবার চেয়ে যোগ্য বলে মনে করি। এজন্য জনগণ আমাকে বেছে নেবে।

    দক্ষিণের মশাল: নির্বাচনে জয়ী হলে ওয়ার্ডবাসীর জন্য আপনি কি কি কাজ করবেন?

    মোঃ আছাদুল ইসলাম ঢালী: যদি আমি নির্বাচিত হতে পারি আমার প্রধান কাজ হবে মাদক নিয়ন্ত্রণ করা। চুরি ডাকাতি বন্ধ করা এবং জলাবদ্ধতা নিরসণ করা। পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনের ব্যবস্থা করা। আমাদের এক নম্বর ওয়ার্ডের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে জলাবদ্ধতা। আমরা দেখেছি এই জলাবদ্ধতার জন্য অনেকেই উদ্যোগ নিয়েছেন কিন্তু আমরা ফলপ্রসূ কিছু পায় না। বর্ষা মৌসুম আসলেই আমাদের ১নং ওয়ার্ডের নিচু এলাকা প্লাবিত হয়ে থাকে। আমাদের এক নম্বর ওয়ার্ডের মাঠপাড়ার অবস্থা সাংঘাতিক খারাপ। আমি নির্বাচিত হলে ইনশাআল্লাহ এই পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করব। ড্রেনের ব্যবস্থা করব এবং যে সমস্ত রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত আছে সেগুলো ভালো করার চেষ্টা করব।

    আমি নির্বাচিত হলে প্রতিমাসে কমপক্ষে একবার সাধারণ জনগণ বিশেষ করে যারা নিম্নআয়ের এবং হতদরিদ্র তাদের জন্য ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের ব্যবস্থা করব যেখান থেকে তারা বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা নিতে পারবে। বিনামূল্যে অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করবো। কাউন্সিলরদের পৌরসভা থেকে যে সম্মানী ভাতা ও চিকিৎসা ভাতা দেওয়া হয় সেই টাকাটা প্রতিমাসে একটি কমিটির মাধ্যমে অসহায় মানুষদের মাঝে বিতরণ করবো।

    দক্ষিণের মশাল: আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে আপনি জনসংযোগ করছেন, মানুষের দোরগোড়ায় যাচ্ছেন, সাধারণ মানুষের কাছ থেকে কেমন সাড়া পাচ্ছেন?

    মোঃ আছাদুল ইসলাম ঢালী: আলহামদুলিল্লাহ ভালোই সাড়া পাচ্ছি। কারণ আমি সেই বর্ষা মৌসুম থেকে এরপর করোনা মহামারীর সময় সব সময় মাঠে আছি। এর আগেও মাঠে ছিলাম মানুষের পাশে থেকে কাজ করেছি। তো সব মিলিয়ে জনগণের কাছ থেকে আমি ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। ইনশাআল্লাহ নির্বাচনেও আমি জয়লাভ করবো।

    দক্ষিণের মশাল: এবার সাতক্ষীরা পৌরসভার নির্বাচন ইভিএমের মাধ্যমে হবে। ইভিএম সম্পর্কে আপনার মতামত কি?

    মোঃ আছাদুল ইসলাম ঢালী: ডিজিটাল বাংলাদেশ ইভিএম কে অবশ্যই স্বাগত জানাই। তবে আমার মনে হয় আমাদের এলাকার মানুষের ইভিএম সম্পর্কে এখনো পুরোপুরি ধারণা হয়নি। এজন্য ইভিএম নিয়ে জনগণকে আরেকটু নার্সিং করলে ভালো হতো।

  • রিয়াজুদ্দিন রাজুর হতদরিদ্রের মাঝে কম্বল বিতরণ

    রিয়াজুদ্দিন রাজুর হতদরিদ্রের মাঝে কম্বল বিতরণ

    মশাল ডেস্ক: সাতক্ষীরা শহরের উত্তর পলাশপোল এলাকার সমাজসেবক ও ব্যবসায়ী মোঃ রিয়াজুদ্দিন আহম্মেদ রাজুর নিজ অর্থায়নে ৩ শতাধিক অসহায় দুঃস্থ মানুষের মাঝে শীত বস্ত্র কম্বল বিতরণ করেছেন।
    শনিবার সকাল ১০ টায় সাতক্ষীরা শহরের উত্তর পলাশপোল এসপি বাংলোর পেছনে রসুলপুর, মধুমল্লার ডাঙ্গী,পলাশপোল এলাকার ৩ শতাধিক প্রতিবন্ধী অসহায় ও হতদরিদ্র মানুষের মাঝে এই কম্বল বিতরণ করা হয়।
    কম্বল বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন কামরুল ইসলাম বকুল, সোহরাব সিকদার, মিজানুর রহমান, এসএম আব্দুর রাজ্জাক, দোলন, মিঠ সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
    এসময় ব্যবসায়ী মোঃ রিয়াজুদ্দিন আহম্মেদ রাজু সমাজের বিত্তবানদের অসহায় গরীব হতদরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানান।

  • জঙ্গিবাদের শেষ শেকড়টিও উপড়ে ফেলতে চাই ॥ আইজিপি

    জঙ্গিবাদের শেষ শেকড়টিও উপড়ে ফেলতে চাই ॥ আইজিপি

    বাংলাদেশ থেকে জঙ্গিবাদের শেকড়-বাকড় উপড়ে ফেলার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ। তিনি বলেন, শেষ জঙ্গি নিশ্চিহ্ন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। সে লক্ষ্যেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

    আজ রবিবার দুপুরে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। পুলিশের অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের (এটিইউ) উদ্যোগে অনলাইনভিত্তিক উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে নির্মিত সচেতনতামূলক ওভিসি ও টিভিসি উদ্বোধন উপলক্ষ্যে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

    আইজিপি বলেন, জঙ্গিবাদ দমনে যতটুকু সফলতা অর্জন করেছি, তাতেও থেমে থাকা যাবে না। এখানে আত্মতুষ্টির কোনো স্থান নেই। বাংলাদেশ থেকে জঙ্গিবাদের শেষ শেকড়-বাকড়টিও উপড়ে ফেলতে চাই।

    তিনি বলেন, বিশ্বের মতো বাংলাদেশও সামনের সারিতে থেকে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে। ভৌগলিকসহ নানাবিধ কারণে জঙ্গিরা বিভিন্ন সময় বাংলাদেশকে টার্গেট করেছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স ও এই দেশের শান্তিপূর্ণ মানুষের জঙ্গিবাদ বিরোধী অবস্থানের কারণে তাদের অসৎ উদ্দেশ্য সফল হয়নি।

    আইজিপি বলেন, হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার ঘটনা বেশ নাড়া দেয়। তবে এর পরবর্তী সময়ের পরিস্থিতি সাফল্যের সঙ্গে মোকাবিলা করেছি। যে নেটওয়ার্কটি এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, সেটিকে খুব অল্প সময়ের মধ্যে ডিসমেন্টাল করে দিতে পেরেছি। এমনই একটা প্রেক্ষাপটে পুলিশের অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট গঠন করা হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য জঙ্গিবাদের এই শকুনের থাবা যেন কোনোভাবেই বিস্তার না করতে পারে।

    সম্প্রতি র‍্যাবের কাছে ৯ জঙ্গির আত্মসমর্পণ ঘিরে সমালোচনার প্রসঙ্গে টেনে আইজিপি বলেন, কিছু মানুষ আছে সবসময় নৈরাশ্যবাদী। আমি মনে করি তাদের মানষিক চিকিৎসা দরকার। জঙ্গি আত্মসমর্পণের ঘটনায় অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলার চেষ্টা করছেন, কোথাওতো জঙ্গি নাই আত্মসমর্পন করলো কারা? এখন জঙ্গি আছে সেটা প্রমাণের জন্য কি তাদেরকে বোমা ফাটাতে দিবো, মানুষ হত্যার সুযোগ দিবো? যদি প্রতি মাসে বা সপ্তাহে আমরা জঙ্গি গ্রেফতার না করতাম তাহলে দেখতেন। এমন কতো-শত জঙ্গি চেষ্টা আমরা সফলই হতে দেইনি।

    দেশে বর্তমান প্রেক্ষাপটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেই জঙ্গিবাদের গোড়াপত্তন বলে মনে করেন আইজিপি। তিনি বলেন, আমাদের পুলিশের প্রতিটি ইউনিট সাইবার পেট্রোলিং অব্যাহত রেখেছে। এজন্য প্রতিটি ইউনিটের আলাদা সাইবার ইউনিট রয়েছে। এর ভিত্তিতে নিয়মিত অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জঙ্গিবাদ বিরোধী স্বরব উপস্থিতি অব্যাহত রাখতে প্রতিটি ইউনিটকে অনুরোধ জানাচ্ছি।

    অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম, অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান মো. কামরুল আহসান প্রমুখ।

  • সাতক্ষীরা পৌরসভা নির্বাচন-২০২১

    সাতক্ষীরা পৌরসভা নির্বাচন-২০২১

    তৃতীয় দিনে মনোনয়ন পত্র দাখিল ১৩ প্রার্থী

    স্বতন্ত্র প্রার্থী নাছিম ফারুক খান মিঠু

    নিজস্ব প্রতিনিধি: আগামী ১৪-ই ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরা পৌরসভা নির্বাচন সামনে রেখে উৎসব মুখর পরিবেশে প্রস্তাবক ও সমর্থকদের নিয়ে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার তৃতীয় দিনে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন প্রার্থীরা।

    মো. আছাদুল ইসলাম ঢালী

    শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ০৫টা পর্যন্ত সাতক্ষীরা জেলা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়ে প্রার্থীরা তাদের মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন।

    সাতক্ষীরা পৌর নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র গ্রহণ করেন জেলা নির্বাচন অফিসার মো. নাজমুল কবীর। মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার তৃতীয় দিনে মেয়র মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী নাছিম ফারুক খান মিঠু এবং কাউন্সিলর প্রার্থী ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলরসহ মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন মোট ১২ জন প্রার্থী।

    মেয়র পদে ০১ জন, সাধারণ সদস্য পদে কাউন্সিলর প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছে ১০ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন ০২ জন।

    মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার তৃতীয় দিনে সাধারণ সদস্য পদে কাউন্সিলর প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছে ০১নং ওয়ার্ডে মো. কায়ছারুজ্জামান হিমেল,

    আহসান আজীম (লাভলু) ও মো. আছাদুল ইসলাম ঢালী,

    ০৩নং ওয়ার্ডে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন শেখ মুজিবর রহমান, ০৫ নং ওয়ার্ডে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছে মো. মিজানুর রহমান, ০৬নং ওয়ার্ডে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন শেখ মাহমুদ হোসেন ও মো. রফিকুল ইসলাম, ০৭ নং ওয়ার্ডে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন মো. আব্দুর রশিদ ও মো. জাহানুর হোসাইন (সাগর), সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন ০১,০২ ও ০৩ নং ওয়ার্ডে জ্যোৎ¯œা আরা, ০৭,০৮ ও ০৯নং ওয়ার্ডে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন রাবেয়া পারভীন। গত তিন দিনে মোট ৩৩ জন প্রার্থী তাদের মানোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন। সাতক্ষীরা পৌরসভা নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১৭/০১/২০২১, মনোনয়ন পত্র যাচাই বাছাই ১৯/০১/২০২১ তারিখ, মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার ২৬/০১/২০২১ তারিখ, ২৭/০১/২০২১ তারিখ প্রতীক বরাদ্ধ এবং ভোট গ্রহণ আগামী ১৪-ই ফেব্রুয়ারি।