Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
বিশেষ সংবাদ Archives - Page 29 of 74 - Daily Dakshinermashal

Category: বিশেষ সংবাদ

  • সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির উদ্যোগে আলোচনা সভা ও প্রীতিভোজ

    সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির উদ্যোগে আলোচনা সভা ও প্রীতিভোজ


    নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির উদ্যোগে আলোচনা সভা ও প্রীতিভোজ ২০২২ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) রাতে শহরের তুফান কনভেনশন সেন্টার এন্ড রিসোর্টের লেকভিউতে যমুনা হলে কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির এঁর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. কামরুজ্জামান রাসেল’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য নৌ-কমান্ডো ০০০১ বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।
    সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. মফিজুর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর বিন সেলিম যাদু, সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ, অধ্যাপক গাজী আবুল কাশেম, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক তৃপ্তি মোহন মল্লিক, নির্বাহী সদস্য শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু, অধ্যক্ষ আশেক ই এলাহী, শেখ হারুন উর রশিদ, মো. আমিনুল হক, প্রভাষক মো. রেজাউল করিম, অধ্যাপক মো. রফিকুল ইসলামসহ সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির সকল সদস্যবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভা শেষে লাকী কুপন এবং শেষে প্রীতিভোজে অংশ নেয় উপস্থিত আমন্ত্রিত অতিথি লাইব্রেরির সদস্যরা।

  • মুক্তচিন্তার মঞ্চ সাতক্ষীরা’র উদ্যোগে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে গুণীজন সংবর্ধনা

    মুক্তচিন্তার মঞ্চ সাতক্ষীরা’র উদ্যোগে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে গুণীজন সংবর্ধনা


    নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে গুণীজন সংবর্ধনা-২০২২ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (০১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় মুক্তচিন্তার মঞ্চ সাতক্ষীরা’র আয়োজনে মুক্তচিন্তার মঞ্চ সাতক্ষীরা’র সভাপতি অধ্যাপক মো. আবুল হোসেন’র সভাপতিত্বে গুণীজন সংবর্ধনা-২০২২ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ সাতক্ষীরা মো. মফিজুর রহমান।
    গুণীজন সংবর্ধনা-২০২২ অনুষ্ঠানে দর্শক কাতারে বসে অনুষ্ঠান উপভোগ করেন এবং মীর ইশরাক আলী ইসু মিয়া মরণোত্তর সম্মাননা গ্রহণ করেন এছাড়াও অনুভূতি ব্যক্ত করে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য নৌ-কমান্ডো ০০০১ বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।
    বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ এম এ এম আব্দুল ওয়াহেদ, গুণীজন সংবর্ধনা-২০২২ উদযাপন কমিটির আহবায়ক জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর শেখ হারুন উর রশিদ, গুণীজন সংবর্ধনা-২০২২ উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব অতিরিক্ত পিপি এ্যাড. শেখ তামিম আহমেদ সোহাগ, এ্যাড. ফাহিমুল হক কিসলু, জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সহ-সভাপতি শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু, সাবেক ব্যাংকার কাজী আব্দুল মহিদ প্রমুখ। গুণীজন সংবর্ধনা-২০২২ অনুষ্ঠানে ১০ জনকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। সংবর্ধিতরা হলেন- মাহবুবউদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, মীর ইশরাক আলী ইসু মিয়া মরণোত্তর, স.ম আলাউদ্দিন এমপিও মরণোত্তর, অধ্যাপক ডা. এস.এম আব্দুল ওহাব, খায়রুল বাসার, মঞ্জুর হাসান মিন্টু মরণোত্তর, সুনীল ব্যানার্জী মরণোত্তর, রওশন আরা খানম মরণোত্তর, নিলুফার ইয়াসমিন মরণোত্তর সম্মাননা প্রদান করা হয়। শেষে মুক্তচিন্তার মঞ্চ সাতক্ষীরা’র উদ্যোগে গুণীজন সম্মাননা অনুষ্ঠানে মুক্তবার্তা’র মোড়ক উন্মোচন করা হয়। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন শেখ আমানউল্লাহ কলেজের সহকারি অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম রাবিয়ান’র সদস্য সচিব সাতক্ষীরার হাবীব সালাম।

  • আজ প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা মোড়ল আব্দুস সালাম’র ৭৩তম জন্ম বার্ষিকী

    আজ প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা মোড়ল আব্দুস সালাম’র ৭৩তম জন্ম বার্ষিকী



    -মীর জিল্লুর রহমান

    মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর সৈনিক প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা মোড়ল আব্দুস সালাম ১৯৪৮ সালের ১লা এপ্রিল সাতক্ষীরা জেলাধীন তালা উপজেলার কৃষ্ণকাটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। এই বীর সেনানী জীবদ্দশায় অসাম্প্রদায়িক রাজনীতিক হিসেবে সমাজ পরিবর্তনের ও দুর্নীতিমুক্ত আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে বিপ্লবী আদর্শের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে কয়েকবার কারা বরণ করেন। ১৯৭১ সালে তালা থানার মুজিব বাহিনীর প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তার নির্দেশনায় কপিলমুনি রাজাকার ঘাঁটি আক্রমণ ও সফলতা অর্জন করেন।
    তার আদর্শ ও জীবন আচরণ সকলকে উজ্জীবিত ও অনুপ্রাণিত করবে। ৭১’র অকুতোভয় বীর সেনানী মোড়ল আব্দুস সালাম জন্মগ্রহণ করেন ১৯৪৮ খ্রিঃ ১লা এপ্রিল সাতক্ষীরা জেলাধীন তালা উপজেলার কৃষ্ণকাটি গ্রামে। তার পিতার নাম হাজী আবুল কাশেম মোড়ল, মাতা আশাফুন্নেছা বেগম। ৩ ভাই ও ৪ বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। ছোট বেলায় তার বাবা-মা ও গ্রামবাসি আদর করে তাকে বাঁচা বলে ডাকতো। লেখাপড়ার হাতে খড়ি কৃষ্ণকাটি প্রাইমারী স্কুলে। পরবর্তীতে ভর্তি হন কপিলমুনি সহচারী বিদ্যামন্দিরে। স্কুলে লেখাপড়ার সময় ১৯৬২ সালে ৮ম শ্রেণির ছাত্র থাকা অবস্থায় তদানীন্তন পাকিস্তান সরকারের হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশন বাতিলের আন্দোলন ও ধর্মঘট পালনের মধ্যে দিয়েই মূলত তাঁর রাজনীতিতে হাতে খড়ি। তিনি ১৯৬৪ সালে কপিলমুনি সহচারী বিদ্যামন্দিরে ছাত্রদের বিভিন্ন দাবির আন্দোলন, স্কুলের নির্বাচিত ছাত্র মনিটর এবং ছাত্র ইউনিয়ন শাখার সভাপতি ছিলেন। ১৯৬৫ সালে একই স্কুল থেকে ২য় বিভাগে ম্যাট্রিকুলেশন সম্পন্ন করেন। উচ্চ শিক্ষা লাভের উদ্দেশ্যে পরবর্তীতে ভর্তি হন বাংলার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ দৌলতপুর ব্রজ লাল (বি.এল কলেজ) মহাবিদ্যালয়ে এবং ১৯৬৬ সালে দৌলতপুর কলেজ শাখার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৬৭ সালে কৃতিত্বের সাথে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। উচ্চ শিক্ষা লাভের আশায় পরবর্তীতে বাগেরহাট আচার্য্য প্রফুল্ল্য চন্দ্র মহাবিদ্যালয়ে (পি.সি কলেজ) ¯œাতক ভর্তি হন। সে সময়ে দেশে রাজনীতি তুঙ্গে। তিনিও সক্রিয়ভাবে ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৬৮-৭০ সালে পর পর দু’বার বাগেরহাট মহাকুমায় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
    ১৯৬৯ সালে ০১ ফেব্রুয়ারি সরকার বিরোধী গণআন্দোলনে ক্যাম্পাস থেকে গ্রেপ্তার হন এবং ০২ ফেব্রুয়ারি আন্দোলনের মুখে সরকার তাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। একই বছর তৎকালীন পাকিস্তানের মন্ত্রী খান এ সবুর তার রাজনৈতিক সফরে তালায় এসে পরবর্তীতে কৃষ্ণকাটি হাইস্কুল পরিদর্শণে যান। এই সময় খান এ সবুর তার অঞ্চলে আসায় প্রতিবাদ জানায়। ছাত্রাবস্থায় তিনি ১৯৭১ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহবানে মক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এবং সাতক্ষীরা জেলার তালা ও পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি অঞ্চলে অন্যতম সংগঠকের ভূমিকা পালন করেন। দেশের রাজনৈতিক টানা পোড়নের এক পর্যায়ে ১৯৭২ সালের ৩১ অক্টোবর জাসদ গঠনে সক্রিয় ভূমিকা পালনের পাশাপাশি ১৯৭৪ সালে খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, নড়াইল, গোপালগঞ্জ, পিরোজপুর সহ কয়েকটি জেলার গণবাহিনী প্রধান ও সি.ও.সি. এর সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে তিনি কয়েকবার কারা বরণ করেন। প্রগতিশীল প্রতিটি আন্দোলনে তিনি ছিলেন সক্রীয়। তার দলের মতাদর্শগত সংগ্রাম পরিচালনায় বাঁধাগ্রস্থ হয়ে দল থেকে বিচ্ছিন্ন হন এবং বাসদ গঠন করে বাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮৪ সালে সংস্কারপন্থি জাসদের সাথে যুক্ত হন এবং ১৯৮৬-১৯৮৮ মেয়াদে জাসদের খুলনা জেলার সভাপতি ও পরবর্তীতে আমৃত্যু জাসদের (জেএসডি) কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। মোড়ল আব্দুস সালাম তাঁর বর্ণাঢ্য রাজনীতির পাশাপাশি দেশের উন্নয়নে বিভিন্ন সামাজিক ও ইস্যুভিত্তিক আন্দোলনেও যুক্ত ছিলেন। তিনি ১৯৯৭ সালে হোমল্যান্ড লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানীর খুলনা বিভাগীয় সমন্বয়কারী ছিলেন। এছাড়াও কেন্দ্রীয় পানি কমিটি ও ভূমি কমিটি পরিচালনায় দক্ষ ভূমিকা পালন করেন। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সামাজিক ও পরিবেশগত সমস্যায় সুপেয় পানির নিশ্চয়তা এবং এতদ্ঞ্চলে জলাবদ্ধতা নিরসন আন্দোলনে কেন্দ্রীয় পানি কমিটির অন্যতম পুরোধা। এছাড়াও খুলনা সাতক্ষীরা অঞ্চলে খাস জমিতে ভূমিহীনদের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন সংগ্রাম এবং ভূমিহীন নারী পুরুষদের মাঝে খাস জমি বিতরণের নেতৃত্ব দেন। তিনি তালা উপজেলা ভূমি কমিটির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় ভূমি কমিটির সহ-সভাপতি হিসাবে আমৃত্যু দায়িত্ব পালন করেন। তালা উপজেলার খাস জমি চিহ্নিতকরণ, ভূমিহীন বাছাই ও তালিকা প্রণয়ন ছিল তারই চিন্তার ফসল। সামাজিক জীবনে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোড়ল আব্দুস সালাম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ক্লাব, ক্রীড়া প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত থেকে নিরলসভাবে কাজ করেছেন। তিনি কানাইদিয়া রথখোলা বালিকা মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, রায় সাহেব বিনোদ বিহারী সাধু স্মৃতি সংসদের আজীবন সদস্য, কপিলমুনি পাবলিক লাইব্রেরীর প্রতিষ্ঠাতা সহ-সভাপতি, কপিলমুনি আঞ্চলিক বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতির সভাপতি, কপিলমুনি ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান পৃষ্ঠপোষক, কৃষ্ণকাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি সহ আরও বহু প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। ব্যক্তি জীবনে মোড়ল আব্দুস সালাম এক কন্যা সন্তানের জনক। তিনি ছিলেন সম্পুর্ণ নির্লোভ, খাঁটি বাঙালী, আদর্শ দেশপ্রেমিক, সদালাপী, বিনয়ী, যুক্তিবাদী ও বিজ্ঞান মনোস্ক। তিনি কখনও সুযোগ সন্ধানী ছিলেন না। মানবতাবাদী ও অসাম্প্রদায়িকতাই ছিল তার ধর্ম। সকলের কাছে প্রিয় এই মানুষটি আমাদের মাঝে নেই। তিনি গত ৫ জুলাই ২০১১ খ্রিঃ মঙ্গলবার না ফেরার দেশে চলে যান। আমরা এ বীর সেনানীর অকাল প্রয়াণে শোকাহত, মর্মাহত। আমরা তাঁর বিদেহী আত্মার চির শান্তি কামনা করি। মৃত্যুর পরে যে সকল প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয় তার সংক্ষিপ্ত বিবরণ ঃ মোড়ল আব্দুস সালাম গণ-গ্রন্থাগার, বিপ্লবী আব্দুস সালাম স্মৃতি পরিষদ, আব্দুস সালাম ফাউন্ডেশন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোড়ল আব্দুস সালাম বৃত্তি ও কল্যাণ ট্রাষ্ট, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোড়ল আব্দুস সালাম স্মৃতি মিনার পরিষদ, ৬নং তালা সদর ইউনিয়ন পরিষদ ঘোষিত উপজেলার শ্রেষ্ঠ বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে মরণোত্তর স্মারক প্রদান করা হয়, কপিলমুনি বালিকা বিদ্যালয়ের একটি ভবন সালাম চত্ত্বর নামে নামকরণ করা হয়, তালা ব্রীজ ভায়া কপিলমুনি খেয়া ঘাট পর্যন্ত রাস্তাটি সালাম সড়ক নামে নামকরণ করা হয়।

    তিনি বাঙালী জাতীর মুক্তির চেতনায় মুক্তির পথ খোঁজার নতুন তাগিদ অনুভব করেন। ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ রদের আন্দোলন সহ ব্রিটিশ বিরোধী জাতীয়তাবাদীর আন্দোলনের ইতিহাসের মধ্যে বাঙালীর গৌরবময় জাতীয়তাবাদীর স্বাধীনতা আন্দোলন সংগ্রামে ধারাবাহিক ইতিহাস অধ্যায়ন ও চর্চার পাশাপাশি সাংগঠনিক কাজ নিরলস ভাবে অব্যাহত রাখেন। তিনি ১৯৭০ খ্রিঃ ৭ ডিসেম্বর পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ এবং প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ছাত্রলীগের দায়িত্ব ও কর্তব্য নিরুপনে ছাত্রলীগ আহুত কেন্দ্রীয় বর্ধিত ফোরামের ঢাকা বলাকা ভবনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় স্বাধীন সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন গড়ে তুলতে তৎকালীন ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক স্বপন কুমার চৌধুরীর প্রস্তাবে সমর্থন দিয়ে নতুন রাজনৈতিক নির্দেশনা খুঁজে পান।
    মোড়ল আব্দুস সালাম ১৯৭০ খ্রিঃ ২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবসকে বাংলাদেশ দিবস হিসাবে পালনের কর্মসূচীতে তৎকালীন পাইকগাছা, আশাশুনি, বড়দল, রাড়–লী, কপিলমুনি, খুলনা সাতক্ষীরার ব্যাপক এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক বক্তব্য ও সাংগঠনিক কাজ পরিচালনা করেন। কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক নির্দেশনায় ২৬ মার্চ আশাশুনি খড়িহাটির জনসভা বাতিল করে সাতক্ষীরা সদরে পৌছে ছাত্রনেতা মোস্তাফিজুর রহমান, কামরুল, আজিবর, ময়না, জজ ভাই, মাসুদা, কামরুছামা, এনামুল, দেলোয়ার হোসেন দুলু, মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, দুই খসরু, কাজল, হাবলু, গোলাম, সুভাষ সরকার, সাইদুর রহমান সহ সাতক্ষীরার ছাত্রনেতাদের প্রয়োজনীয় কাজের প্রস্তুতিকে নির্দেশনা প্রদান করেন। পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক ২৯ মার্চ সাতক্ষীরার তৎকালীন এসডিও খালেক মাসুদের অফিসের সামনে হাজির হয়ে মোড়ল আব্দুস সালামের নেতৃত্বে পাকিস্তানের জাতীয় পতাকা নামিয়ে তা পুড়িয়ে ফেলা হয় এবং একই সাথে স্বাধীন বাংলার মানচিত্র খচিত পতাকা উত্তোলন করা হয়। গণপরিষদের সদস্য এম.এ গফুর এবং সুবেদার আয়ুব আলী সহ সাতক্ষীরা জেলার রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সহায়তায় পাঞ্জাবী খালেদ মাহমুদকে গ্রেপ্তার করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন মোড়ল আব্দুস সালাম। দেশ মাতৃকা শৃঙ্খল ভান্ডার দুর্বর শপথে বলিয়ান মোড়ল আব্দুস সালামের চেতনায় প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের সৃষ্ট মশাল দাউ দাউ করে জ্বলতে শুরু করে। স্বাধীন দেশের কর্মযোগ্য পরিচালনায় অর্থের প্রয়োজনে সাতক্ষীরা সহ পাকিস্তান ন্যাশনাল ব্যাংকের অর্থ ও সম্পদ সংগ্রহ করার পরিকল্পনা ১৯৭১ সালে ৮ এপ্রিল সফল অভিযানে অংশগ্রহণ করেন মোড়ল আব্দুস সালাম। সংগৃহীত হয় নগদ এক কোটি বিরাশি লক্ষ টাকা যা ছিল নবগঠিত বাংলাদেশ সরকারের আর্থিক সহযোগিতার শুভ সূচনা।
    ১৯৭০ খ্রিঃ নির্বাচনে ব্যাপক গণসংযোগ এবং সাংগঠনিক কাজের মধ্যে দিয়ে স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন যোদ্ধা হিসাবে ভারতের দেরাদুল ক্যাম্প থেকে সশস্ত্র যুদ্ধের প্রশিক্ষণ নিয়ে ১৯৭১ খ্রিঃ ১৫ আগস্ট বৃহত্তর খুলনা জেলার মুজিব বাহিনীর প্রধান শেখ কামরুজ্জামান টুকুর নেতৃত্বে ১৬ জন প্রশিক্ষিত এবং ১৯ জন সহযোগী মোট ৩৫ জনের একটি দল নিয়ে ভারতীয় সিমান্ত অতিক্রম করে সাতক্ষীরা জেলার তালা থানার মাগুরায় অবস্থান নিয়ে যুদ্ধ পরিচালনার ঘাটি গড়ে তোলেন মোড়ল আব্দুস সালাম। এরপর শুরু করেন স্থানীয় মানুষের মধ্যে ট্রেনিং প্রদানের কাজ এবং পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের দোষর শত্রু ঘাটি আক্রমনের পরিকল্পনা। প্রস্তুতি পূর্বে প্রাথমিক আক্রমন পরিচালনায় পাইকগাছা বড়দল, বারহাড়িয়া সফলতা অর্জিত হয়। এরপর পাটকেলঘাটা ও কপিলমুনি রাজাকার ঘাটির বিরুদ্ধে কোনটি আগে পরিচালিত হবে সেই প্রশ্নে মোড়ল আব্দুস সালাম সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তার নির্দেশনায় কপিলমুনি রাজাকার ঘাঁটি আক্রমণ ও সফলতা অর্জন করেন। ৭ ডিসেম্বর মঙ্গলবার এই যুদ্ধ সম্পর্কে মোড়ল আব্দুস সালাম লিখেছেন, তার জীবনে নৌপথ ও সামুদ্রিক গেরিলা যুদ্ধ খুলনা/কপিলমুনি যুদ্ধই শেষ যুদ্ধ। কপিলমুনি রাজাকার ঘাটির তালিকা মতে এক হাজার ছয়শত এক জন মানুষকে হত্যা করে। কপিলমুনি যুদ্ধে বিজয় অর্জিত হবার পর গণ আদালতের রায়ে বন্দী ১৫৫ জন রাজাকারের মধ্যে ১৫১ জনকে মৃত্যুদন্ড প্রদান করা হয়। এদিকে নৌপথ ও সামুদ্রিক গেরিলা যুদ্ধে খুলনা সাতক্ষীরা বাগেরহাট অঞ্চলে নৌকমান্ডার লে. মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ (দাদু) (বীর প্রতীক) এর নেতৃত্বে মুজিব বাহিনীর প্রধান বৃহত্তর খুলনা কমান্ডো শেখ কামরুজ্জামান টুকু, স. ম বাবর আলী, ইউনুস আলী ইনু, আবুল কালাম আজাদ, গাজী মোঃ রফিক, মোড়ল আব্দুস সালাম, স. ম আলাউদ্দীন, ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবর রহমান, নৌকমান্ডো বজলুর রহমান, সামসের আলী, শফিক আহম্মেদ, ড. মাহফুজুর রহমান, মেজর সামছুল আরেফিন, সাইদুর রহমান কুটু, নুরুল ইসলাম মানিক, কে.এ.ম মুজিবর রহমান, শাহাদাৎ হোসেন বাচ্চু সহ হাজারও মুক্তিযোদ্ধা কপিলমুনি যুদ্ধের পর পর্যায়ক্রমে ১৬ ডিসেম্বর খুলনার বিজয় অর্জনে মোড়ল আব্দুস সালাম একজন নিবেদিত প্রাণ ও সংগঠক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
    মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ের প্রশ্নে মোড়ল আব্দুস সালাম এর বক্তব্য ছিল যে, মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন করার জন্য যুদ্ধে লিপ্ত ছিল, সার্টিফেকেট অর্জনের জন্য নয়। সার্টিফিকেট দেখিয়ে মুক্তিযোদ্ধার তালিকাভূক্ত হতে হবে এমন ভাবনা তাদের ছিল না। তাই অনেক মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট না থাকাটাই স্বাভাবিক। তাই বলে কি সে মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভূক্ত হবে না?
    তিনি আরো বলেন, আমরা ভারত থেকে ট্রেনিং নিয়ে দেশে ফিরে স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয় যুবকদের ট্রেনিং দিয়েছি। যেমন- সাতক্ষীরার মহাকুমার তালা থানার ভাতুয়াডাঙ্গায় মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছিল।

    #

  • সব পরিস্থিতিতে আমাদের সময় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রেখেছেন

    সব পরিস্থিতিতে আমাদের সময় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রেখেছেন

    নিজস্ব প্রতিনিধি:
    আমাদের সময় সরকারের পক্ষে বিপক্ষে নয়, রাষ্ট্র তথা জনগনের পক্ষে কথা বলে যাচ্ছে। সব পরিস্থিতিতে আমাদের সময় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রেখেছেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে আমাদের সময় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে একবিন্দুও বিচ্যুত হয়নি। সাততলা থেকে বটতলা’র প্রতিটি পাঠকের হৃদয়ে আজ আমাদের সময় দেশসেরা দৈনিকে পরিণত হয়েছে।
    আমাদের সময় পত্রিকা প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে স্বল্পমুল্যে সব পাঠকের হাতে পত্রিকা পৌঁছে দিয়ে নজির স্থাপন করেছিলেন। তার সুফল আজ দেশের কোটি কোটি পাঠক ভোগ করে যাচ্ছে। নতুন ধারার দৈনিক আমাদের সময় এর ১৮তম বর্ষে পদার্পন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অতিথিরা এসব কথা বলেন।
    আমাদের সময় এর উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করে সকল বক্তারা বলেন রাজনীতি, অর্থনীতি, ব্যবসা-বানিজ্য, বিশ্ব পরিস্থিতি, বিনোদন, খেলাধুলা, সাহিত্যসহ সকল ক্ষেত্রে সব খবর সবার সবার আগে পাঠকের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে। ভবিষ্যতেও এধারা অব্যাহত রাখবে বলে সকলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
    সোমবার বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনা সভায় সভাপতিত্বে করেন, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি মমতাজ আহমেদ বাপী।
    প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম কামরুজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন, আমাদের সময় এর নিজস্ব প্রতিবেদক মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জল। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর বাসু দেব বসু।
    বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, জেলা তথ্য কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক, ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের আহবায়ক শেখ এজাজ আহমেদ স্বপন, উদীচী জেলা সংসদের সভাপতি শেখ সিদ্দিকুর রহমান, প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যান ব্যানার্জি।
    এছাড়া অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, কবিতা পরিষদ সাতক্ষীরা’র সভাপতি মন্ময় মনির, ঐতিহ্য লোক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের আহবায়ক আমিনুর রশীদ, ডেইলী সাতক্ষীরার সম্পাদক হাফিজুর রহমান মাসুম, সিনিয়র সাংবাদিক সেলিম রেজা মুকুল, ফরিদ আহমেদ ময়না প্রমূখ।
    আলোচনা সভা শেষে আমাদের সময় এর ১৮ বর্ষে পদার্পন উপলক্ষে ১৮ পাউন্ডের একটি কেক কাটা হয়। অনুষ্ঠানে সাংবাদিক, রাজনীতিক, সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সাতক্ষীরাতে করোনা টিকা প্রদান কার্যক্রম সফল-সনাক-সাতক্ষীরা আয়োজিত ”কোভিড-১৯ টিকা প্রদানে সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও  উত্তরণের উপায়” শীর্ষক মতবিনিময় সভায় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর  মোস্তাক আহমেদ রবি

    সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সাতক্ষীরাতে করোনা টিকা প্রদান কার্যক্রম সফল-সনাক-সাতক্ষীরা আয়োজিত ”কোভিড-১৯ টিকা প্রদানে সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়” শীর্ষক মতবিনিময় সভায় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি



    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: ’নিঃসন্দেহে দেশের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব এবং সে দায়িত্ব পালনে সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি রাজনীতিবিদ, সিভিল সোসাইটি ও এনজিওগুলো কাজ করে যাচ্ছে। আর সে কারণেই প্রথম দিকের সমস্যাগুলো কাটিয়ে উঠে খুবই চমৎকারভাবে এবং সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সাতক্ষীরাসহ সারা দেশে করোনা টিকা প্রদান কার্যক্রম প্রায় শতভাগ সফলতার দাড়প্রান্তে। টিআইবি পরিচালিত গবেষণায়ও সেই চিত্রটিই আজ উঠে এসেছে। সবাই শুধু সমালোচনা করে, ভাল কাজের প্রশংসা অনেকেই করতে পারে না। টিআইবি ও সনাককে ধন্যবাদ, তাঁরা সে কাজটি করেছে’- ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-এর অনুপ্রেরণায় গঠিত সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক)-সাতক্ষীরা আয়োজিত ”কোভিড-১৯ টিকা প্রদানে সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়” শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, প্রথম দিকে টিকা দেওয়ার মানুষ পাওয়া যেত না, এখন দেখবেন প্রতিটি টিকা কেন্দ্রে মানুষের লম্বা লাইন। সরকারের বিভিন্ন প্রচার-প্রচারণার ফলে মানুষ এখন বেশ সচেতন হয়েছে, নিয়মিত টিকা প্রদান কার্যক্রমের পাশাপাশি গণ টিকা কার্যক্রম সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। পৃথিবীর উন্নত সব দেশ যখন করোনা নিয়ে দারুণ বিপাকে, আমরা তখন বেশ সহনীয় পর্যায়ে চলে এসেছি। এ সাফল্য আমাদের সকলের। তবে এই মহামারীর সময়ে সামনে থেকে যারা কাজ করেছেন, নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়েছেন, জীবন হারিয়েছেন, সেই চিকিৎসক থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য বিভাগে কর্মরত সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরকে আলাদা করে ধন্যবাদ জানাতেই হবে। এছাড়া ব্যক্তি উদ্যোগেও অনেকে অনেক কাজ করেছেন, তাঁদেরকেও ধন্যবাদ জানাই।
    ২৫ মার্চ শুক্রবার, সকাল ৯:৩০ মিনিটে সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর-এর খামার বাড়ির কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন, সনাক সাতক্ষীরার-এর সভাপতি জনাব পবিত্র মোহন দাশ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলার সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ হুসাইন শাফায়াত ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান জনাব আসাদুজ্জামান বাবু।
    সভার শুরুতে সভায় উপস্থিত সকলকে স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য রাখেন সনাক সদস্য এবং স্বাস্থ্যখাত বিষয়ক উপ-কমিটির আহ্বায়ক, ডাঃ সুশান্ত কুমার ঘোষ। তিনি টিআইবি পরিচালিত গবেষণার প্রেক্ষাপটটি তুলে ধরেন। এরপর গবেষণা প্রতিবেদনের উপর একটি পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা দেন টিআইবি’র খুলনা ক্লাস্টারের কো-অর্ডিনেটর জনাব মোঃ ফিরোজ উদ্দিন। উপস্থাপনা শেষে উন্মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। উন্মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করে বক্তারা প্রতিবেদন বিষয়ে তাদের মতামত সহ টিকা নিতে গিয়ে তাঁদের যে অভিজ্ঞতা হয়েছে তা তুলে ধরেন। আলোচনায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিলেন জেলা কৃষি প্রকৌশলী ইঞ্জি: মোঃ হারুন-অর-রশীদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ (অব:) জনাব আব্দুল ওয়াহেদ, বিএমএ-এর সাধারণ সম্পাদক ডাঃ মোঃ মনোয়ার হোসেন, রোটারী ক্লাবের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ভূধর চন্দ্র সরকার, স্বদেশ-এর নির্বাহী পরিচালক মাধব চন্দ্র দত্ত, স্বজন সদস্য মনিরুজ্জামান মুন্না, স্বজন সহ-সমন্বয়ক রেবেকা সুলতানা ও ইয়েস সহ-দলনেতা শেখ মোতাহার হোসেন। এছাড়া সনাক প্রতিনিধি হিসেবে সনাক সদস্য কল্যাণ ব্যানার্জি, ভারতেশ^রী বিশ^াস ও মোঃ অলিউর রহমান প্রতিবেদনের ফলাফলসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন। সনাক সদস্য মোঃ অলিউর রহমান শিক্ষার্থীদের টিকা প্রদানের সময় বিভিন্ন অব্যবস্থাপনার কথা তুলে ধরেন। সনাক সদস্য ভারতেশ^রী বিশ^াস আধা ঘণ্টার নোটিশে টিকা দেওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের হাজির করানোর বিড়ম্বনার বিষয়টি তুলে ধরেন। এছাড়া সনাক সদস্য কল্যাণ ব্যানার্জি বলেন, করোনাকালীন এ সময়ে সাতক্ষীরা স্বাস্থ্য বিভাগ বলতে গেলে ভাল কাজই করেছেন। তিনি সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন সহ করোনার টিকা প্রদান ও স্বাস্থ্যসেবার সাথে জড়িতদের কাজের প্রশংসা করেন। দূরবর্তী টিকা কেন্দ্রে টিকা পৌঁছানোসহ কিছু জটিলতার বিষয়েও তিনি তুলে ধরেন।
    এরপর বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব মোঃ আসাদুজ্জামান বাবু বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরে বলেন, প্রথম দিকে টিকা নিয়ে মানুষের মধ্যে অনীহা ছিল, মানুষকে জোর করে টিকা নেওয়ানো যাচ্ছিল না, এখন পুলিশ দিয়েও ঠেকিয়ে রাখা যাচ্ছে না। বিভিন্ন বাধা ও প্রতিকূলতা কাটিয়ে বাংলাদেশ করোনা কন্ট্রোলে এবং টিকা প্রদান কর্মসূচিতেও সফল বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি টিআইবি ও সনাককে ধন্যবাদ জানান এমন একটি আয়োজনের জন্য।
    বিশেষ অতিথির আলোচনায় সিভিল সার্জন জনাব ডাঃ মোঃ হুসাইন শাফায়াত বলেন, সরকারি স¦াস্থ্যসেবা খাতে অনেক ঘাটতি রয়েছে যা কাটিয়ে উঠতে সরকার কাজ করছে। চাইলেই রাতারাতি সেটা কাটিয়ে ওঠাও সম্ভব নয়। তবে সাধারণ জনগণকেও তাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। তিনি বলেন, দুর্যোগকালীন সময়ে বিদ্যমান সুবিধাদি দিয়ে কখনই কাজ হয় না। প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধাদি যেমন বাড়াতে হয়, তেমনি বাইরেরও সহযোগিতা লাগে। তিনি বলেন প্রতি ১০ হাজার মানুষের জন্য সর্বনি¤œ ৮টি বেড থাকা প্রয়োজন, সে হিসাবে সাতক্ষীরা জেলায় কমপক্ষে ১৬০০ বেড থাকা প্রয়োজন, কিন্তু সব মিলিয়ে সরকারি বেড আছে ৭৫০টি। এছাড়া করোনার দূর্যোগকালীন এ সময়ে এই বেডগুলোর উপর চাপ আরো বেড়েছে। সেই সাথে লোকবল সংকটও রয়েছে। তারপরও আমরা আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। তিনি সকলকে ক্লিনিশিয়ান ও পাবলিক হেলথ স্পেশালিস্টের পার্থক্যটা বোঝার অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, সকলের মাইন্ড সেট যেমন সমান নয়, তেমনি সকলের সামর্থ্য বা দক্ষতাও কিন্তু সমান নয়। তিনি টিআইবি ও সনাককে ধন্যবাদ জানান এজাতীয় একটি আয়োজনের জন্য।
    সবশেষে সনাক সভাপতি, সভায় উপস্থিত সকলের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথিসহ অংশগ্রহনকারি সকলকে ধন্যবাদ জানান। তিনি করোনার শুরু থেকে গতকাল অব্দি সাতক্ষীরাসহ দেশের ও বৈশি^ক বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত তুলে ধরেন। তিনি সাতক্ষীরার সিভিল সার্জনের ইতিবাচক মানসিকতার প্রশংসা করেন। শত ব্যস্ততার মধ্যেও সভায় উপস্থিত হয়ে মূল্যবান বক্তব্য রাখার জন্য উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং বিশেষ করে প্রধান অতিথি, সংসদ সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি-এর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। এছাড়া সভায় যুক্ত হয়ে যারা মূল্যবান বক্তব্য রেখেছেন, তাঁদেরকে এবং যারা দীর্ঘসময় ধরে সভায় উপস্থিত ছিলেন, তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
    সভায় অন্যানের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা পুলক কুমার চক্রবর্তী, ব্রাকের জেলা প্রতিনিধি একেএম আশরাফ, ব্রেকিং দ্য সাইলেন্সের অফিস ইনচার্জ শরিফুল ইসলাম, স্বজন সহ-সমন্বয়ক মোঃ ইয়াসিন সিদ্দিক, ইয়েস দলনেতা হুমায়রা ফারজানা, ইয়েস সহ-দলনেতা সুমাইতা ইয়াসমিন, ইয়েস সদস্য নিয়াজ মোর্শেদ, মুশফিকুর রহমান, উৎপল কুমার সাহা, টিআইবি’র এরিয়া কো-অর্ডিনেটর মো. রবিউল ইসলাম, বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দসহ আরো অনেকে। সভাটি সঞ্চালনা করেন সনাক সহ-সভাপতি মোঃ তৈয়েব হাসান সামছুজ্জামান ।

  • করোনাকালে বেড়েছে শিশুর প্রতি যৌন নির্যাতন ও সহিসংতা

    ॥ শাহিদুর রহমান ॥

    করোনাভাইরাস মহামারীর সময় শিশু পাচার, শিশুর প্রতি যৌন ও শারীরিক নির্যাতন বৃদ্ধি পেয়েছে। একইসঙ্গে বাল্যবিবাহ ও মানসিক সহিংসতার শিকার হয়েছে শিশুরা। এ পরিস্থিতি ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ও সমাজের ওপর খুবই নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। বাসযোগ্য পৃথিবী বিনির্মাণে শিশুদের ওপর সকল প্রকার সহিংসতা বন্ধ করতে সকলকে সচেষ্ট থাকতে হবে।

    এক মাত্র মেয়েকে নিয়ে কষ্টের মধ্যে দিনপার করছি। সারাদিন ভাবি কিভাবে মেয়েকে লেখাপড়া শিখিয়ে মানুষের মত মানুষ বানাবো।স্বামী-স্ত্রী,ছেলে ও মেয়ে মোট পরিবারের সদস্য সংখ্যা চারজন। বসবাস করার মত ঘর টুকু ছাড়া আর কোন জমি না থাকায় ডাব বিক্রি করে কোন রকমে সংসার চালায় ।শুক্রবার সকালে ভয়েস অব সাতক্ষীরা অফিসে এসে অশ্রুসিক্ত কন্ঠে এসব কথা বলেন সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল গ্রামের নির্যাতনের শিকার ২য় শ্রেনির ছাত্রীর পিতা।

    তিনি বলেন, আমার মেয়ে পলাশপোল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেনির ছাত্রী। তার বয়স ৯ বছর। সে ০৫.০৩.২০১৩ ইং তারিখে নানার বাড়িতে জন্ম গ্রহন করে। আমি একজন ডাব বিক্রেতা এবং স্ত্রী বাসায় গৃহিনীর কাজ করে। আমার এক মাত্র মেয়ে গত দুই বছর থেকেই স্কুলে যেত এবং স্কুল থেকে সে তিনটি বই পায়। তারা এক ভাই এক বোন এবং সে বড়। তার ছোট ভাইয়ের বয়স ৫ বছর ।কিন্ত করোনা পরিস্থিতির জন্য স্কুল বন্ধ থাকায় তার সময় কাটত বাড়ির পাশে সমবয়সীদের সাথে খেলাধুলা করে।

    তিনি আরও বলেন, আমার মেয়ে মানসিক প্রতিবন্ধী একটি মেয়ে।সে তার বন্ধুদের সাথে খেলতে খুব ভালোবাসত। কিন্তু এই খেলাধুলা করাটাই তার জন্য অভিশাপ হয়ে গেল। কেননা ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ১০ তারিখ তার জীবনে ঘটে গেল মর্মান্তিক ঘটনা।

    ঘটনার দিন আনুমানিক বিকাল ৪ টার দিকে সে তার বাড়ির পার্শ্বে খেলাধুলা করছিল এবং একসময় সে এক নির্মাণাধীন বাড়ির পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। তখন সেই নির্মাণাধীন বাড়ির কর্তা শামছুল গাজী (৫০) তাকে ডাক দেয় এবং খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে নির্মানাধীন বাড়িতে নিয়ে যায় এবং উক্ত নির্মানাধীন ঘরের মধ্যে নাবালিকা মেয়েটির মুখ চেপে ধরে শরীরের স্পর্শকাতর স্থান (যৌনাঙ্গে) হাত দিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণের চষ্টা করে।ব্যথায় মেয়েটি চিৎকার ও কান্নাকাটি করে উঠলে তার নানা ও নানি ঘটনাস্থলে পৌছালে আসাসী শামছুল গাজী আমার মেয়েকে ঘটনাস্থলে ফেলে দৌড়ে পালিয়ে যায়।সেসময় নানা-নানিকে কাছে পেয়ে নাবালিকা মেয়েটি ব্যথায় কাঁতরাতে ও কাঁদতে থাকে।তার মা দ্রুত আমাকে সংবাদ দেয় এবং দ্রুত তাকে নিকটস্থ ডাক্তারের কাছ থেকে চিকিৎসা করায়।

    তারপর সাতক্ষীরা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। এরপর সাতক্ষীরা সদর থানা হতে এই অভিযোগের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত তদন্ত কর্মকর্তা আমার মেয়ের জবানবন্দি নেন। সে নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন ছিল। কিন্তু সে তখন পুরোপুরি সুস্থ হয়নি। কেননা তখনও সে ভয়ে কুঁকড়ে থাকত। সে কারও সাথে কথা বলতে চাইত না। তার স্বাস্থ্য ভেঙে পড়ে। আমার পরিবারের আর্থিক অবস্থাও স্বচ্ছল না।তার উপর মেয়ের এই অবস্থা দেখে আমরা খুবই চিন্তিত।

    এদিকে, আমাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সদর থানা হতে পুলিশ আসামীকে কয়েকবার গ্রেফতার করতে আসে কিন্তু এই আসামী পলাতক থেকে পরে কোর্ট থেকে জামিন নিয়ে বাড়ি ফিরে আসে এবং পূর্বের মতো আবারও দেদার্ছে চলাফেরা করছে। আসামী এলাকায় ফিরে আসার পর আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় পড়ে এবং ভয় পেতে থাকে। আমরা খুব চিন্তিত এবং এই মামলার আসামীর যথাযথ শাস্তির জন্য কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

    স্কুল ছাত্রীর মা জানান, স্থানীয় ডাক্তার দিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয় এবং বাড়িতে রাখা হয়। এরপর থেকে আমার মেয়ে কারও সাথে কথা বলতে চাইত না। তার স্বাস্থ্য ভেঙ্গে পড়ে।পরিবারের আর্থিক অবস্থাও খুব বেশি স্বচ্ছল না। আমরা একদিন কাজ না করলে সংসার ঠিক মতো চলেনা। তা উপর মেয়ের এই অবস্থা দেখে আমরা খুব চিন্তিত হয়ে পড়েছি।

    ভয়েস অব সাতক্ষীরার সম্পাদক এম কামরুজ্জামান জানান, ২০২১ সালের আদম শুমারি অনুযায়ী দেশের জনগোষ্ঠীর শতকরা ৪৫ জন শিশু। সে হিসেবে দেশে শিশুর সংখ্যা আনুমানিক ৬ কোটি ৩০ লাখ। এর মধ্যে শতকরা ২৭ ভাগ শহরে ও ৭৩ ভাগ গ্রামে বাস করে। প্রতিদিন অসংখ্য শিশু পরিবার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কর্মক্ষেত্রসহ সমাজের বিভিন্ন স্থানে দৈহিক ও মানসিক সহিংসতার শিকার হয়। সেই সঙ্গে বাল্যবিবাহ ও পাচারের মত ভয়াবহ পরিণতিও হয় অনেক শিশুর। ২০১১ সালের প্রণীত শিশু নীতিমালায় শিশুদের মৌলিক মানবাধিকারের বিষয়টি অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ ভাবে দেখা হয়েছে। সরকারি নীতি ও আইন থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশে বাল্যবিবাহ, শিশু শ্রম, যৌন নির্যাতন, শিশু পাচার একটি সামাজিক ব্যাধিতে পরিনত হয়েছে। এই অবস্থার প্রতিকারে সরকারসহ সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানায়।পাশাপাশি জরুরি সেবার হটলাইন ৯৯৯, ১০৯, ১০৯৮ এর ব্যবহার সম্পর্কে শিশুদের সচেতন করতে হবে।

    মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জল বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারনে দীর্ঘদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ও ইন্টারনেটের অপব্যবহার ফলে সাতক্ষীরায় ধর্ষণের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া ধর্মীয় অনুশাসন কেও দায়ি করেণ তিনি।

    সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক অধ্যক্ষ আনিসুর রহিম জানান, দেশে কিছু ব্যক্তির হাতে অবৈধ পয়সা,অবৈধ ক্ষমতা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ও বিচারহীনতার সংস্কৃতি কারনে মানবিক মূল্যবোধ হারিয়ে যাচ্ছে ।যার ফলে শিশু ও নারী ধর্ষণ এবং নির্যাতনের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর জন্য মানুষকে সচেতনতার পাশাপাশি আইনের শাসন নিশ্চিত করতে হবে।

    সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি মোহাম্মদ গোলাম কবির জানান, স্কুল ছাত্রীর পিতার দেওয়া মামলাটির সত্যতা রয়েছে।আসামীর বিরুদ্ধে আমারা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলাম। আদালত থেকে আসামী জামিন নিয়েছে।নতুন ভাবে অন্যকোন সমস্যা করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

  • আশাশুনি মেধাবী শিক্ষার্থীদের উদারতার উপবৃত্তি প্রদান

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :আশাশুনি মেধাবী শিক্ষার্থীদের উদারতার উপবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠিত। শুক্রবার ২৫ই মার্চ সকাল ১০টায় আশাশুনির মাড়িয়ালা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কাম বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রের হলরুমে জেলার বৃহত্তর সেচ্ছাসেবী সংগঠন উদারতার আয়োজনে ও আব্দুল্লাহ মাহমুদ চৌধুরীর অর্থয়নে আশাশুনি উপজেলার একাদশ শ্রেনীতে অধ্যায়নরত গরিব মেধাবী শিক্ষার্থীদের আব্দুল ওহেদ চৌধুরী স্মৃতি শিক্ষাবৃত্তি-২০২২ (উপবৃত্তি) প্রদান করা হয়। উদারতার চেয়ারম্যান নিলিমা জিসানের সভাপতিত্বে ও পরিচালক শিমুল আহমেদের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আশাশুনি মহিলা কলেজের প্রভাষক ও শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান দিপাংকর বাছার দিপু, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিসিক,সাতক্ষীরা’র উপ- পরিচালক গোলাম সাকলাইন কাফী, মাড়িয়ালা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ অজিয়ার রহমান,সাতক্ষীরা কারেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের ইংরেজি শিক্ষক মোসলেম আলী,মাড়িয়ালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শামিমুজ্জামান পলাশ,মাড়িয়ালা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবু হাসান,বাংলাদেশ মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান আপন।এসময় অর্ধ শতাধিক দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীরা মাঝে উপবৃত্তি প্রদান করা হয়।

  • কোস্ট গার্ড,মংলা কর্তৃক ৯৭০ গ্রাম গাঁজাসহ ০১ জন আটক

    গত ২৩ মার্চ ২০২২ আনুমানিক ২০০০ ঘটিকায় কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোন অধীনস্থ বিসিজি আউটপোস্ট নলিয়ান কর্তৃক খুলনা জেলার পাইকগাছা থানার অন্তর্গত শিববাড়ি এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ৯৭০ গ্রাম গাঁজাসহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ী কে আটক করা হয়। আটককৃত ব্যক্তির নাম সুশান্ত মন্ডল (২৭), পিতাঃ মনিন্দ্র মন্ডল, গ্রামঃ শিববাড়ী, পোঃ পাইকগাছা, থানাঃ পাইকগাছা ও জেলাঃ খুলনা। পরবর্তীতে জব্দকৃত গাঁজা ও আটককৃত ব্যক্তিকে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পাইকগাছা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

  • জাতীয় বাজেটে উপকূলীয় অঞ্চলের জন্য বিশেষ বরাদ্দের দাবি

    জাতীয় বাজেটে উপকূলীয় অঞ্চলের জন্য বিশেষ বরাদ্দের দাবি


    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: সোমবার সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন চত্ত্বরে  সকাল ১০:৩০ টায় বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা লিডার্স এর সহযোগিতায় জেলা জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরাম আয়োজিত মানববন্ধন ও সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়।

    সাতক্ষীরা নাগরিক কমিটির আহবায়ক ও জেলা জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরামের সদস্য মোঃ আনিছুর রহিমের সভাপতিত্বে মানববন্ধন ও সমাবেশে বক্তৃতা করেন ফোরামের সদস্য সচিব মাধব চন্দ্র দত্ত্ব, জেলা নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব ও ফোরামের সদস্য আবুল কালাম আজাদ, ফোরামের সদস্য আলী নূর খান বাবলু, এ্যাড. ও ফোরামের সদস্য ফাহিমুল হক কিসলু, সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ও ফোরামের সদস্য শেখ আফজাল হোসেন, ফোরামের সদস্য ফরিদা আক্তার বিউটি, খুরশীদ জাহান শীলা, আশাশুনি উপজেলা জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরামের সদস্য মোহন্ত কুমার হালদার, লিডার্স এর প্রকল্প সমন্বয়কারী এস. এম রাজু জবেদ প্রমূখ। উল্লেখ্য, উপকূলীয় আশাশুনি, শ্যামনগর উপজেলার নারীরা সুপেয় পানির দাবীতে কলস নিয়ে উক্ত মানববন্ধন ও সমাবেশে হাজির হন।

    মানববন্ধন ও সমাবেশে উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষদের জীবনমান উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় অভিযোজন প্রক্রিয়া বাড়াতে হবে। আগামীতে সরকারের প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে দূর্যোগের ঝুঁকিতে থাকা উপকূলের মানুষের স্বার্থকে প্রাধান্য দিতে হবে। ৬০ এর দশকের বাঁধের পরিকল্পনা আজ দক্ষিণ-পশ্চিম উপকুলের মানুষের গলার ফাঁস। ঘূর্ণিঝড় ও উচ্চ জোয়ারের চাপে বেড়িবাঁধ ভেঙে বার বার মানুষ তার সহায় সম্বল হারাচ্ছেন এবং মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এজন্য জলবায়ু পরিবর্তন ও  দুর্যোগের অভিঘাত মোকাবেলায় স্থায়ী ও মজবুত বেড়িবাঁধ পুন:নির্মান করতে হবে।

    মানববন্ধন ও সমাবেশে বক্তারা বলেন, সরকার টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দু’টি মেগা প্রকল্প হাতে নিয়েছে। কিন্তু এখনো সেই প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজ শুরু হয়নি। জনস্বার্থে দ্রুত ওই প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজ শুরু করতে হবে। উপকূলের টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও জীবন-জীবিকা রক্ষায় সরকারের নেওয়া অন্যান্য প্রকল্পগুলো দ্রুত অনুমোদন দিতে হবে। সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে সমন্বয় এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তারা।

    মানববন্ধন ও সমাবেশে বক্তারা আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে মেরু অঞ্চলের বরফগলন ত্বরান্বিত হচ্ছে এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা দিন দিন বেড়ে যাওয়ায়, বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে  ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস ও লবনাক্ততা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এজন্য বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলকে দূর্যোগ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করার দাবী জানান তারা।

    বক্তারা বলেন, উপকূলের মানুষের খাবার পানির তীব্র সংকট। খাবার পানির জন্য এক জন নারীকে প্রতিদিন ৪/৫ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে পানি সংগ্রহ করতে হয়। এছাড়া পানির লাইনে দাঁড়িয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয় তাদের। এজন্য তারা উপকূলের সকল মানুষের খাবার পানির টেকসই ও স্থায়ী সমাধানের দাবী তুলে ধরেন।

    মানববন্ধন ও সমাবেশে উপকূলের সার্বিক উন্নয়নে ২০২২/২০২৩ অর্থবছরে জাতীয় বাজেটে  বিশেষ বরাদ্দের দাবী জানানো হয়। একই সঙ্গে উপকূলের মানুষের জীবন জীবিকা সুরক্ষায় বিশেষ অর্থনৈতিক উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণের দাবী জানানো হয়।

    মানববন্ধন ও সমাবেশ শেষে জেলা জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরামের সদস্যবৃন্দ  সাতক্ষীরা জেলা প্রসাশক এর নিকট মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর চারটি দাবী সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করেছেন।

  • Untitled post 16742

    সাকিবের মা শাশুড়ি ও তিন সন্তান হাসপাতালে ভর্তি

    ডেস্ক রিপোট : জাতীয় দলের হয়ে সিরিজ খেলতে দক্ষিণ আফ্রিকায় রয়েছেন অলরিাউন্ডার সাকিব আল হাসান। এদিকে তার তিন সন্তান, মা শিরিন আক্তার এবং শাশুড়ি আছেন হাসপাতালের বিছানায়। এক কথায় স্ত্রী ছাড়া সাকিবের পুরো পরিবারই হাসপাতালে ভর্তি।সন্তানরা মোটামুটি ভালো আছেন। তবে মা ও শাশুড়ির অবস্থা কিছুটা সংকটপন্ন। তসাকিবের পারিবারিক সুত্র গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছকিছুদিন ধরেই হাসপাতালে ভর্তি আছেন সাকিবের মা শিরিন আক্তার। হৃদরোগ রয়েছে তার। অবস্থা কিছুটা খারাপ হওয়াতে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি আছেন তিনি। সাকিবের মায়ের আগের চেয়ে কিছুটা উন্নতি হলেও এখনও স্বাভাবিক হতে পারেননি।

    এদিকে সাকিবের একমাত্র ছেলে আইজাহ আল হাসান ও মেঝো মেয়ে ইরাম হাসান নিউমোনিয়াতে আক্রান্ত। অন্যদিকে বড় মেয়ে আলাইনা হাসানের অব্রি ঠান্ডা জ্বর। তিনজনই দাদির সঙ্গে একই হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তবে তাদের অবস্থা অতোটা খারাপ নয়।

    তবে সাকিবের শাশুড়ি ক্যান্সারের রোগী। অবস্থা বেশ খারাপ হওয়ায় তিনি ভর্তি আছেন সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ)।

    সন্তানদের নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেন সাকিব পত্মী শিশির। গত ফেব্রুয়ারিতে শেষ হওয়া বিপিএলের সময় দেশে আসেন তিনি। সাকিব খেলার ফাঁকের অবসর সময়টাতে যুক্তরাষ্ট্র গিয়েই থাকেন। সুত্র : ভোরের কাগজ

  • বিদায়ী ভারতীয় সহকারি হাইকমিশনারকে বিদায়ী শুভেচ্ছা জানালেন বীরমুক্তিযোদ্ধা এমপি রবি

    বিদায়ী ভারতীয় সহকারি হাইকমিশনারকে বিদায়ী শুভেচ্ছা জানালেন বীরমুক্তিযোদ্ধা এমপি রবি

    নিজস্ব সংবাদদাতা : বাংলাদেশে নিযুক্ত খুলনা অঞ্চলের ভারতীয় সহকারি হাইকমিশনার বাংলাদেশ থেকে দিল্লীতে বদলী হওয়ায় বিদায়ী শুভেচ্ছা জানিয়েছে সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। রবিবার (২০ মার্চ) সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা সার্কিট হাউজ কনফারেন্স রুমে ভারতীয় সহকারি হাইকমিশনারকে ক্রেস্ট ও জাতীয় স্মৃতি সৌধ উপহার দেন এবং বীরমুক্তিযোদ্ধা এমপি রবি তার পক্ষ থেকে সফলতা কামনা করে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। বীরমুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি এমপির পক্ষ থেকে মহান স্বাধীনতার স্মৃতি সম্বলিত দূলর্ভ শুভেচ্ছা উপহার পেয়ে খুবই খুশি হয়ে ধন্যবাদ জানান। এসময় বাংলাদেশে নিযুক্ত খুলনা অঞ্চলের বিদায়ী ভারতীয় সহকারি হাইকমিশনার রায়না বলেন, সাহসীদের দেশ বাংলাদেশ। বাংলাদেশের মানুষের মত এত বেশি আতিথিয়তা পরায়ন দেশ পৃথিবীতে আর একটিও নেই। আমি বাংলাদেশকে ও বাংলাদেশের মানুষদের কখনও ভুলবোনা। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত খুলনা অঞ্চলের বিদায়ী ভারতীয় সহকারি হাইকমিশনার এর সহধর্মিনী নন্দিতা পাল।

  • পাইকগাছায় পিক-আপের চাপায় পিষ্ঠ হয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় একজনের মৃত্যু আহত-১

    পাইকগাছায় পিক-আপের চাপায় পিষ্ঠ হয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় একজনের মৃত্যু আহত-১

    বি.সরকার। পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি।। খুলনার পাইকগাছায় পিক-আপের চাপায় পিষ্ঠ হয়ে ফকির গাজী (৫৭) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। সে উপজেলার স্মরণখালী গ্রামের মৃত জিন্নাতুল্ল গাজীর ছেলে। একই সময় ভ্যান চালক খালেক গাজী(৫৫) আহত হয়। সে দেবদুয়ার গ্রামের মৃত মাদার গাজীর ছেলে। রোববার দুপুর ১২ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানায় ঘটনার সময় চাঁদখালীর দিক থেকে একটি ভ্যানে ফকির গাজী বাড়ীর দিকে আসছিল। কাঁটাখালী বাজার পর্যন্ত পৌছালে পিছন দিক থেকে একটি পিকআপ ভ্যানটিকে ধাক্কা দেয়। এ সময় ফকির গাজী ভ্যান থেকে ছিটকে পড়ে গেলে তার শরীরের উপর দিয়ে পিকআপটি চলে যাওয়ার চেষ্টা করে। যার চাপায় ঘটনা স্থলে ফকিরের মৃত্যু হয়। স্থানীয়রা তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষনা করেন। পুলিশ ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছেন। পাইকগাছা থানার ওসি জিয়াউর রহমান জানান, এ বিষয়ে এখন কোন অভিযোগ হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে। পিকআপ জব্দ আছে।

  • বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোন (মংলা) কর্তৃক ৪০০০ লিটার চোরাই ডিজেলসহ আটক ২

    বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোন (মংলা) কর্তৃক ৪০০০ লিটার চোরাই ডিজেলসহ আটক ২

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২০ মার্চ ২০২২ তারিখ কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোন অধীনস্থ বিসিজি বেইস মংলার একটি টহল দল কর্তৃক বাগেরহাট জেলার মংলা থানাধীন পশুর নদীর ওমেরা গ্যাস জেটি সংলগ্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৪০০০ লিটার অবৈধ ডিজেলসহ ০২ জন চোরাকারবারিকে আটক করা হয়। আটককৃত ব্যক্তিদের নামঃ ১। বিল্লাল সরদার (৩১), পিতাঃ মোঃ আমজাদ সরদার, গ্রামঃ কুসুডাংগা, থানাঃ কয়রা ও জেলাঃ খুলনা। ২। মোঃ নুর আলম (৫৩), পিতাঃ মৃত আঃ হান্নান, গ্রামঃ গাংচিল, পোঃ চরালায়, থানাঃ কোম্পানীগঞ্জ ও জেলাঃ নোয়াখালী। পরবর্তীতে জব্দকৃত ডিজেল ও আটককৃত ব্যাক্তিদের আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে মংলা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

  • আজ প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস

    ন্যাশনাল ডেস্ক :  

    আজ ১৯ মার্চ প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস। ১৯৭১ সালের ১৯ মার্চ মহান মুক্তিযুদ্ধ শুরুর আগে ঢাকার উত্তরে জয়দেবপুরে (বর্তমান গাজীপুর) অকুতোভয় মুক্তিকামী বাঙালিরা পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল।

    ১৯৭১ সালের ১৯ মার্চ ঢাকা ব্রিগেড হেডকোয়ার্টার্স থেকে আকস্মিকভাবে পাকিস্তানি ব্রিগেডিয়ার জাহান জেবের নেতৃত্বে পাকিস্তানি রেজিমেন্ট জয়দেবপুরের (গাজীপুর) দ্বিতীয় ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টকে নিরস্ত্র করার জন্য পৌঁছে যায়। এ খবর জানাজানি হতেই বিক্ষুব্ধ জনতা জয়দেবপুরে প্রতিরোধ সৃষ্টি করে। সশস্ত্র পাকিস্তানি সেনাবাহিনী জনতার ওপর গুলিবর্ষণ করলে অকুস্থলেই শহীদ ও হতাহত হয় অনেকে। এটি ছিল মুক্তিযুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ।

  • বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগারে  বীরমুক্তিযোদ্ধা এমপি রবির পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা  নিবেদন

    বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগারে বীরমুক্তিযোদ্ধা এমপি রবির পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন


    মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য নৌ-কমান্ডো ০০০১ বীরমুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবির পক্ষ থেকে পূষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) সকালে সাতক্ষীরা শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগারে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে বীরমুক্তিযোদ্ধা এমপি রবির পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন নেতৃবৃন্দ। এসময় নেতৃবৃন্দ সেখানে কিছু সময় নিরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফিরোজ কামাল শুভ্র, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী আখতার হোসেন, দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় মহিলা সংস্থা সাতক্ষীরা জেলা শাখার চেয়ারম্যান জ্যোৎ¯œা আরা, সাবেক দেবহাটা উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড. স.ম গোলাম মোস্তফা, জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সহ-সভাপতি ও সাপ্তাহিক ইচ্ছেনদী পত্রিকার চীফ এডিটর প্রকৌশলী শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জ্যোৎ¯œা আরা, পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-দপ্তর সম্পাদক ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর বিন সেলিম যাদু, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি কাজী হাশিম উদ্দিন হিমেল, জেলা তাঁতীলীগের সভাপতি কাজী মারুফ, জেলা তাঁতীলীগের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মীর আজহার আলী শাহিন, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলেখা রানী দাস, মুকুল ও নুর মনোয়ার প্রমুখ। এসময় দলীয় নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

    বীরমুক্তিযোদ্ধা এমপি রবির পক্ষ থেকে কোরআন খতম, দোয়া মাহফিল ও এতিম শিশুদের মাঝে উন্নতমানের খাবার বিতরণ
    মহান স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস যথাযথ মর্যাদায় পালনের লক্ষ্যে সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য নৌ-কমান্ডো ০০০১ বীরমুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবির পক্ষ থেকে কোরআন খতম, দোয়া মাহফিল ও এতিম শিশুদের মাঝে উন্নতমানের খাবার বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কস্থ বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগারে সূর্যদ্বয়ের সাথে সাথে কোরআন খতম শুরু হয়। কোরআন খতম করেন সাতক্ষীরা আহছানিয়া মিশনের হাফেজরা। কোরআন খতম শেষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর রুহের মাগফিরাত কামনা, দেশের শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয় এবং অসহায় এতিম শিশুদের মাঝে উন্নতমানের খাবার বিতরণ করা হয়। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন সাতক্ষীরা আহছানিয়া মিশন জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন হাফেজ ইব্রাহীম খলিল।

  • বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে জনতা ব্যাংক স্বাধীনতা অফিসার পরিষদ সাতক্ষীরা এরিয়া কমিটির পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে শ্রদ্ধা নিবেদন

    বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে জনতা ব্যাংক স্বাধীনতা অফিসার পরিষদ সাতক্ষীরা এরিয়া কমিটির পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে শ্রদ্ধা নিবেদন

    প্রেস বিজ্ঞপ্তি: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে জনতা ব্যাংক স্বাধীনতা অফিসার পরিষদ সাতক্ষীরা এরিয়া কমিটির পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে।
    ১৭ মার্চ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা শহরের খুলনামোড়স্থ বঙ্গবন্ধুর ম্যূরালে এ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন, জনতা ব্যাংক স্বাধীনতা অফিসার পরিষদ সাতক্ষীরা এরিয়া কমিটির
    মো: নাসির উদ্দীন, সহ-সভাপতি ওলিউন নাসির, আজিজুর রহমান, প্রাণ কৃষ্ণ মল্লিক, রাসেল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মল্লিক সাদিকুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুজিত কুমার ঘোষ, দিদারুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ সোহান আহম্মেদ, দপ্তর সম্পাদক সুমন আহমেদ, প্রচার সম্পাদক হাবিবুল্লাহ বাহার, অর্থ সম্পাদক মো: আমানুল্লাহ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক রাম কৃষ্ণ মন্ডল, ত্রাণ ও পূর্নবাসন সম্পাদক মো: জামাত আলী, ক্রীড়া সম্পাদক আব্দুল জব্বার, ব্যাংক ও পরিকল্পনা সম্পাদক মো: আব্দুল্লাহ আল মামুন, নির্বাহী সদস্য অর্জুন কুমার, শেখ রবিউল আযমসহ স্বাধীনতা অফিসার পরিষদের নেতৃবৃন্দ।
    এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা এরিয়া অফিসের সিবিএ’র কার্যকারি সভাপতি ও বিভাগীয় কমিটির খুলনার সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ আব্দুল গণি, সাতক্ষীরা এরিয়া কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নানসহ এরিয়া কমিটির সিবিএ নেতৃবৃন্দ।

  • রাশিয়া-ইউক্রেন সমঝোতার ইঙ্গিত

    অনলাইন ডেস্ক |রাশিয়া-ইউক্রেন সমঝোতার ইঙ্গিত

    রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে সমঝোতার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। দুই দেশের প্রতিনিধিরা ‘ইতিবাচক’ অবস্থানে পৌঁছানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন।

    গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়, শান্তি আলোচনার উভয় পক্ষের প্রতিনিধিদের ইতিবাচক শোনাচ্ছে। সামনের কয়েক দিনের মধ্যে আরো আলোচনা হবে বলে জানা গেছে।

    ইউক্রেনের প্রতিনিধি এবং রাষ্ট্রপতির উপদেষ্টা মাইখাইলো পোদোলিয়াক এক ভিডিও বার্তায় বলেন, আলোচনা গঠনমূলক হয়েছে। আমরা নীতিগতভাবে কোনো শর্তে রাজি হব না। রাশিয়া এখন এটা বুঝতে পেরেছে। রাশিয়া ইতিমধ্যে গঠনমূলক কথা বলতে শুরু করেছে। আমি মনে করি যে আমরা কিছুদিনের মধ্যে আক্ষরিক অর্থে কিছু ফলাফল অর্জন করব।

    রাশিয়ান প্রতিনিধি লিওনিড স্লুটস্কি রয়টার্সকে বলেন, উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে এবং শিগগিরই একটি যৌথ অবস্থানে পৌঁছানোর আশা করছি।

    রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন আরআইএ নিউজ এজেন্সি লিওনিডের উদ্ধৃতি দিয়ে জানায়, ইউক্রেনের সঙ্গে পূর্ববর্তী আলোচনার তুলনা করলে সর্বশেষ আলোচনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি।

    তবে ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজ জানান, শনিবার তাদের সঙ্গে ভ্লাদিমির পুতিন ফোনালাপে যুদ্ধ শেষ করার কোনো ইচ্ছা প্রকাশ করেননি।

  • ‘বাঙালির স্বশাসনের অধিকারের সূচনা ৩ মার্চ’

    ১৯৭১ সালের ৩ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালির স্বশাসনের প্রথম পদক্ষেপের সূচনা হয়েছিল বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন বক্তারা। এজন্য ঐতিহাসিকভাবে এই দিনটি অনেক তাৎপর্যপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন তারা। বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা মহানগর বঙ্গবন্ধু পরিষদ আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনায় যোগ দিয়ে বক্তারা বলেন, ৩ মার্চ দিনটি ঐতিহাসিকভাবে বাঙালির জীবনে অত্যন্ত তাৎপর্য দিন। 

    বঙ্গবন্ধুর মুক্তিযুদ্ধের রূপরেখা ঘোষণা দিবস উপলক্ষে ‘৩ মার্চ: স্বশাসনের প্রথম পদক্ষেপ’ শীর্ষক এই আলোচনায় বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি ডা. এস এ মালেক, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য প্রফেসর ড. আবদুল খালেক, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আ ব ম ফারুক।  

    বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি ডা. এস এ মালেক বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে ৩ মার্চ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে বিজয়ী হয়েও যখন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগকে সরকার গঠন করতে দেওয়া হলো না, ষড়যন্ত্র করে পার্লামেন্ট অধিবেশন অনিশ্চিত করে ক্ষমতা হস্তান্তরে টালবাহানা শুরু হলো এবং একের পর এক নীলনকশার জাল বুনতে থাকে পশ্চিমা শাসকরা- তখন ৩ মার্চ পল্টনে জনসভার ডাক দেন বঙ্গবন্ধু। ছাত্রলীগ ও শ্রমিক লীগ আয়োজিত ওই সভায় বঙ্গন্ধুর সামনে স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করা হয়। 

    তিনি বলেন, জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে জনগণের প্রতিনিধিত্বের অধিকার নিয়ে গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে স্বশাসনের ডাক দেন বঙ্গবন্ধু। কারণ তিনি তখন বুঝে যান পূর্ব বাংলার অধিকার আদায়ে স্বাধীনতার বিকল্প নেই। এজন্য স্বশাসনের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন শুরু করেন। ডাক দেন অসহযোগ আন্দোলনের। 

    ডা. এস এ মালেক বলেন, এই আন্দোলন ছিল পাকিস্তান রাষ্ট্রকে অস্বীকৃতির আন্দোলন। সরকার গঠনে বাধা পেয়ে পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সরকারের যে অধিকার তা সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার ঘোষণা করেন বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধু ট্যাক্স, খাজনা, অফিস আদালত, পরিবহন, শিল্প কলকারখানা সবকিছু বন্ধের ঘোষণা দিলে জনগণ স্বতস্ফূর্তভাবে তার ডাকে সাড়া দিয়ে আন্দোলনে যোগ দেন। 

    বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য প্রফেসর ড. আবদুল খালেক বলেন, পাকিস্তান আমলে ২৩ বছর আমরা বাঙালিরা শাসন ক্ষমতায় ছিলাম না। ১৯৭১ সালের ৩ মার্চ বঙ্গবন্ধু স্বশাসনের প্রথম পদক্ষেপের সূচনা করেন। অফিস, পরিবহন, কলকারখানা বন্ধের ঘোষণার মধ্য দিয়ে স্বশাসনের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে বাঙালির নেতৃত্ব। 

    বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বঙ্গবন্ধু তার রাজনৈতিক জীবনে যত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সবগুলো ঘোষণা করেছেন জনসভায়, জনগণের মাঝে এসে। কোনো সংবাদ সম্মেলনে নয়। এটিই আওয়ামী লীগের ইতিহাস। 

    বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, পাকিস্তান আমলে ২৩ বছরের আন্দোলন, সংগ্রাম, ত্যাগের ফসল স্বাধীনতা অর্জন। এগুলো আমাদের গৌরবের ইতিহাস যা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে পরিচালিত হয়েছে। 

    বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আ ব ম ফারুক বলেন, খাজনা ও ট্যাক্স বন্ধের ঘোষণার মধ্য দিয়ে প্রশাসনের দায়িত্ব নেওয়া শুরু করেন বঙ্গবন্ধু। এর মধ্য দিয়ে স্বশাসনের দিকে যাত্রা শুরু করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর বহমান। জনগণের টাকায় কেনা অস্ত্র পূর্ব বাংলার জনগণের বিরুদ্ধে ব্যবহারের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দেন তিনি। 

    ঢাকা মহানগর বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সরদার মাহমুদ হাসান রুবেলের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রচার উপ-কমিটির সদস্য দৃষ্টি প্রামানিক। কারিগরি সহযোগিতায় ছিলেন মো. আজিবুর রহমান রাজিব।

     প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালের ৩ মার্চ পল্টনে এক সমাবেশে পাঠ করা হয় স্বাধীন বাংলাদেশের ইশতেহার। দেশের নাম, পতাকা, জাতীয় সংগীত ও জাতীয় স্লোগান ঠিক করা হয় সেখানে।