Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
বিশেষ সংবাদ Archives - Page 27 of 74 - Daily Dakshinermashal

Category: বিশেষ সংবাদ

  • আশাশুনিতে সড়ক দুর্ঘটনায় পল্লী চিকিৎসক আশুতোষ রায়ের মর্মান্তিক মৃত্যু










    বি এম আলাউদ্দিন আশাশুনি প্রতিনিধ:
    আশাশুনি সদরের পল্লী চিকিৎসক সাবেক সাংবাদিক ও বাংলাদেশ গ্রাম্য ডাক্তার কল্যাণ সমিতির উপজেলা সাখার সভাপতি আশুতোষ সানা (৬০) মোটরসাইকেল এক্সিডেন্টে নিহত হয়েছেন। তথ্য অনুসন্ধানে এবং সারা জমিনে গিয়ে দেখা যায়। বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে সাতক্ষীরা হইতে মোটরসাইকেল যোগে আশাশুনি আসার পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চাপড়া সড়কের কেয়ার রাস্তার মোড়ে, চিলেঙ্গার মোড়ের একটু আগে মোটরসাইকেল এক্সিডেন্ট করে ঘটনা স্থলে মৃত্যুবরণ করেন। এই ঘটনার খবর পেয়ে আশাশুনি ফায়ার সার্ভিসের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে তার বাড়িতে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করেন। নিহত পল্লী চিকিৎসক আশুতোষ রায়ের বাড়ি আশাশুনি সদরের দয়ারঘাট গ্রামে। পূর্বে বাড়ি কাদাকাটি ইউনিয়নের টেংরাখালী গ্রামের মৃত জীবন কৃষ্ণ রায়ের ছেলে আশুতোষ রায় (৬০)। তার এই মৃত্যুতে আশাশুনি উপজেলার পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ ও উপজেলা নাগরিক সমাজ সহ আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাবের নেতৃবৃন্দ গভীর শোক প্রকাশ করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।


    to balaka.att, bapi62322, bbcsatkhira, bablu.press14, bablaassa, babusat87, news.satkhiraprotidin, nuralammali22, abachcu, amadernotunbarta, PRESS, sktanzir, satkhira.9400, salimahmed2350, shaheengolder, shomoynews24, svmiraj2016, hossinshamim31, farukr75, dailyspandan, dasatkhira, me, dailyspandan06, voiceofchilmari21, dailysatkhira, dailysatnadee







    আশাশুনিতে সড়ক দুর্ঘটনায় পল্লী চিকিৎসক আশুতোষ রায়ের মর্মান্তিক মৃত্যু

    বি এম আলাউদ্দিন আশাশুনি প্রতিনিধ:
    আশাশুনি সদরের পল্লী চিকিৎসক সাবেক সাংবাদিক ও বাংলাদেশ গ্রাম্য ডাক্তার কল্যাণ সমিতির উপজেলা সাখার সভাপতি আশুতোষ সানা (৬০) মোটরসাইকেল এক্সিডেন্টে নিহত হয়েছেন। তথ্য অনুসন্ধানে এবং সারা জমিনে গিয়ে দেখা যায়। বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে সাতক্ষীরা হইতে মোটরসাইকেল যোগে আশাশুনি আসার পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চাপড়া সড়কের কেয়ার রাস্তার মোড়ে, চিলেঙ্গার মোড়ের একটু আগে মোটরসাইকেল এক্সিডেন্ট করে ঘটনা স্থলে মৃত্যুবরণ করেন। এই ঘটনার খবর পেয়ে আশাশুনি ফায়ার সার্ভিসের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে তার বাড়িতে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করেন। নিহত পল্লী চিকিৎসক আশুতোষ রায়ের বাড়ি আশাশুনি সদরের দয়ারঘাট গ্রামে। পূর্বে বাড়ি কাদাকাটি ইউনিয়নের টেংরাখালী গ্রামের মৃত জীবন কৃষ্ণ রায়ের ছেলে আশুতোষ রায় (৬০)। তার এই মৃত্যুতে আশাশুনি উপজেলার পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ ও উপজেলা নাগরিক সমাজ সহ আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাবের নেতৃবৃন্দ গভীর শোক প্রকাশ করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
    Attachments

    আশাশুনিতে সড়ক দুর্ঘটনায় পল্লী চিকিৎসক আশুতোষ রায়ের মর্মান্তিক মৃত্যু
    বি এম আলাউদ্দিন আশাশুনি প্রতিনিধ:আশাশুনি সদরের পল্লী চিকিৎসক সাবেক সাংবাদিক ও বাংলাদেশ গ্রাম্য ডাক্তার কল্যাণ সমিতির উপজেলা সাখার সভাপতি আশুতোষ সানা (৬০) মোটরসাইকেল এক্সিডেন্টে নিহত হয়েছেন। তথ্য অনুসন্ধানে এবং সারা জমিনে গিয়ে দেখা যায়। বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে সাতক্ষীরা হইতে মোটরসাইকেল যোগে আশাশুনি আসার পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চাপড়া সড়কের কেয়ার রাস্তার মোড়ে, চিলেঙ্গার মোড়ের একটু আগে মোটরসাইকেল এক্সিডেন্ট করে ঘটনা স্থলে মৃত্যুবরণ করেন। এই ঘটনার খবর পেয়ে আশাশুনি ফায়ার সার্ভিসের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে তার বাড়িতে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করেন। নিহত পল্লী চিকিৎসক আশুতোষ রায়ের বাড়ি আশাশুনি সদরের দয়ারঘাট গ্রামে। পূর্বে বাড়ি কাদাকাটি ইউনিয়নের টেংরাখালী গ্রামের মৃত জীবন কৃষ্ণ রায়ের ছেলে আশুতোষ রায় (৬০)। তার এই মৃত্যুতে আশাশুনি উপজেলার পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ ও উপজেলা নাগরিক সমাজ সহ আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাবের নেতৃবৃন্দ গভীর শোক প্রকাশ করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।

  • প্রয়াত দখিনায়ন সম্পাদক আব্দুর রহিম কচি ছিলেন অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত

    প্রয়াত দখিনায়ন সম্পাদক আব্দুর রহিম কচি ছিলেন অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত


    নিজস্ব প্রতিনিধি: দারিদ্র্যকে ধারণ করে সব লোভ লালসাকে পেছনে ফেলে সততার সাথে সাংবাদিকতা করে গেছেন সাতক্ষীরার সাপ্তাহিক দখিনায়ন সম্পাদক মুফতি আব্দুর রহিম কচি। একজন নির্লোভ, পাপমুক্ত, নিরহংকারী ও সৎ ব্যক্তি হিসাবে তার জুড়ি মেলা ভার। তিনি সাতক্ষীরার বহু তরুণকে হাত ধরে সাংবাদিকতা শিখিয়েছেন। এখন এইসব সাংবাদিক দেশের বিভিন্ন শীর্ষ দৈনিক ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় কাজ করছেন। দখিনায়ন সম্পাদক মুফতি আব্দুর রহিম কচি তার নিজের জীবন ও আদর্শ দিয়ে নিজেকে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তিনি কোন ফরমাইশি নিউজ প্রকাশ করতেন না। এমনকি কোন প্রেস রিলিজ দেওয়া হলে এর সাথে সংশ্লিষ্ট অনেকের বক্তব্য জুড়ে দিয়ে রিপোর্টটিকে সমৃদ্ধ করে তুলতেন।
    সোমবার সাতক্ষীরা সাংবাদিক ঐক্য আয়োজিত তাঁর পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকীর স্মরণসভায় উপস্থিত সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। তারা বলেন, মুফতি আব্দুর রহিম কচি পরমুখাপেক্ষী ছিলেন না। প্রচারবিমুখ এই মানুষটি একটি ভাঙাচোরা সাইকেল চড়ে তৎকালীন মহকুমা সাতক্ষীরা থেকে খুলনা জেলা প্রশাসক অফিসে বারবার যাতায়াত করে সাপ্তাহিক দখিনায়নের ডিক্লারেশন আদায় করেছিলেন। তিনি নিজ হাতে রিপোর্ট তৈরী করেছেন, লেটার টাইপে কম্পোজ করেছেন এবং নিজের সম্পাদনায় সাতক্ষীরার জাহান প্রিন্টিং প্রেস থেকে তা প্রকাশ করে সাইকেলের পেছনে অথবা বগলে নিয়ে বিলিবণ্টন করেছেন। তার রিপোর্ট ছিল ক্ষুরধার ও তীর্যকের মতো।
    সাতক্ষীরাতে স্থানীয় একটি কনভেনশন সেন্টারে সাংবাদিক ঐক্য’র আহবায়ক সুভাষ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় এই স্মরণসভা। ২০১৭ সালের ৩০ জুন দীর্ঘ রোগভোগের পর এই মানুষটির জীবনাবসান ঘটে উল্লেখ করে বক্তারা তার পথ অনুসরণ করার জন্য সাংবাদিক সমাজের প্রতি আহবান জানান।
    সাংবাদিক ঐক্য’র সদস্য সচিব শরীফুল্লাহ্ কায়সার সুমনের সঞ্চালনায় পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণসভায় অতিথি হিসাবে আরও বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা দৈনিক কালের চিত্র সম্পাদক অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ আনিসুর রহিম, দৈনিক দৃষ্টিপাত পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক জিএম নূর ইসলাম, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাপ্তাহিক সূর্যের আলো সম্পাদক ওয়ারেশ খান চৌধুরী পল্টু, বাংলাদেশ বেতারের ফারুক মাহাবুবর রহমান প্রমুখ অতিথি। এতে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাসদ সভাপতি অধ্যাপক ইদ্রিস আলী, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মোহনা টিভির আব্দুল জলিল, গণফোরাম সভাপতি আলী নূর খান বাবুল, খবর পত্রের রবিউল ইসলাম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ডা. মুনসুর রহমান, যমুনা টিভির আহসানুর রহমান রাজীব, সমাজের কাগজের আমিরুজ্জামান বাবু, ডেইলি অবজারভারের এম জিল্লুর রহমান প্রমুখ সাংবাদিক ও সুধীজন।
    বক্তারা তার রূহের মাগফেরাত ও পারিবারিক সুখশান্তি কামনা করে বলেন, এখন থেকে মুফতি আব্দুর রহিম কচির মতো নিবেদিত সাংবাদিক ও সুধীজনকে আমরা স্মরনে রাখার দায়িত্ব গ্রহণ করতে চাই। গুণীর মর্যাদা না দিলে সমাজে গুণী জন্মায় না, এমন মন্তব্য করে আলোচকরা বলেন তিনি শুধু সাংবাদিকতাই করেননি, তিনি ছিলেন একজন কবি, একজন নাট্যকার, একজন আবৃত্তিকার ও একজন অভিনেতা। সংস্কৃতিমনা ব্যক্তি হিসাবে তিনি একটি ছোট্ট পানবিড়ি ও সিগারেটের দোকান পরিচালনা করে সংসার নির্বাহ করে গেছেন।

  • ৫ জুলাই মৃত্যু দিবস: বীর মুক্তিযোদ্ধা মোড়ল আব্দুস সালামের সংক্ষিপ্ত জীবনী

    ৫ জুলাই মৃত্যু দিবস: বীর মুক্তিযোদ্ধা মোড়ল আব্দুস সালামের সংক্ষিপ্ত জীবনী



    মীর জিল্লুর রহমান

    মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক জীবদ্দশায় অসাম্প্রদায়িক রাজনীতিক হিসেবে সমাজ পরিবর্তনের ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে বিপ্লবী আদর্শের বীর সৈনিক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোড়ল আব্দুস সালাম ২০১১ সালে বেলা পৌনে ৩টায় আকষ্মিক হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে ৬৩ বছর বয়সে কপিলমুনি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।

    মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক জীবদ্দশায় অসাম্প্রদায়িক রাজনীতিক হিসেবে সমাজ পরিবর্তনের ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে বিপ্লবী আদর্শের বীর সৈনিক রূপে স্মারক রেখে গেছেন তিনি। তার আদর্শ ও জীবন আচরণ সকলকে উজ্জীবিত ও অনুপ্রাণিত করবে। ৭১’র অকুতোভয় বীর সেনানী মোড়ল আব্দুস সালাম জন্মগ্রহণ করেন ১৯৪৮ খ্রিঃ ১লা এপ্রিল সাতক্ষীরা জেলাধীন তালা উপজেলার কৃষ্ণকাটি গ্রামে। তার পিতার নাম হাজী আবুল কাশেম মোড়ল, মাতা আশাফুন্নেছা বেগম। ৩ ভাই ও ৪ বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। ছোট বেলায় তার বাবা-মা ও গ্রামবাসি আদর করে তাকে বাঁচা বলে ডাকতো। লেখাপড়ার হাতে খড়ি কৃষ্ণকাটি প্রাইমারী স্কুলে। পরবর্তীতে ভর্তি হন কপিলমুনি সহচারী বিদ্যামন্দিরে। স্কুলে লেখাপড়ার সময় ১৯৬২ সালে ৮ম শ্রেণির ছাত্র থাকা অবস্থায় তদানীন্তন পাকিস্তান সরকারের হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশন বাতিলের আন্দোলন ও ধর্মঘট পালনের মধ্যে দিয়েই মূলত তাঁর রাজনীতিতে হাতে খড়ি। তিনি ১৯৬৪ সালে কপিলমুনি সহচারী বিদ্যামন্দিরে ছাত্রদের বিভিন্ন দাবির আন্দোলন, স্কুলের নির্বাচিত ছাত্র মনিটর এবং ছাত্র ইউনিয়ন শাখার সভাপতি ছিলেন। ১৯৬৫ সালে একই স্কুল থেকে ২য় বিভাগে ম্যাট্রিকুলেশন সম্পন্ন করেন। উচ্চ শিক্ষা লাভের উদ্দেশ্যে পরবর্তীতে ভর্তি হন বাংলার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ দৌলতপুর ব্রজলাল (বি.এল কলেজ) মহাবিদ্যালয়ে এবং ১৯৬৬ সালে দৌলতপুর কলেজ শাখার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৬৭ সালে কৃতিত্বের সাথে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। উচ্চ শিক্ষা লাভের আশায় পরবর্তীতে বাগেরহাট আচার্য্য প্রফুল্ল্য চন্দ্র মহাবিদ্যালয়ে (পি.সি কলেজ) ¯œাতক ভর্তি হন। সে সময়ে দেশে রাজনীতি তুঙ্গে। তিনিও সক্রিয়ভাবে ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৬৮-৭০ সালে পর পর দু’বার বাগেরহাট মহাকুমায় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
    ১৯৬৯ সালে ০১ ফেব্রুয়ারি সরকার বিরোধী গণআন্দোলনে ক্যাম্পাস থেকে গ্রেপ্তার হন এবং ০২ ফেব্রুয়ারি আন্দোলনের মুখে সরকার তাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। একই বছর তৎকালীন পাকিস্তানের মন্ত্রী খান এ সবুর তার রাজনৈতিক সফরে তালায় এসে পরবর্তীতে কৃষ্ণকাটি হাইস্কুল পরিদর্শণে যান। এই সময় খান এ সবুর তার অঞ্চলে আসায় প্রতিবাদ জানায়। ছাত্রাবস্থায় তিনি ১৯৭১ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আহবানে মক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এবং সাতক্ষীরা জেলার তালা ও পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি অঞ্চলে অন্যতম সংগঠকের ভূমিকা পালন করেন। দেশের রাজনৈতিক টানা পোড়নের এক পর্যায়ে ১৯৭২ সালের ৩১ অক্টোবর জাসদ গঠনে সক্রিয় ভূমিকা পালনের পাশাপাশি ১৯৭৪ সালে খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, নড়াইল, গোপালগঞ্জ, পিরোজপুর সহ কয়েকটি জেলার গণবাহিনী প্রধান ও সি.ও.সি. এর সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে কয়েকবার কারা বরণ করেন। প্রগতিশীল প্রতিটি আন্দোলনে তিনি ছিলেন সক্রীয়। তার দলের মতাদর্শগত সংগ্রাম পরিচালনায় বাঁধাগ্রস্থ হয়ে দল থেকে বিচ্ছিন্ন হন এবং বাসদ গঠন করে বাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮৪ সালে সংস্কারপন্থি জাসদের সাথে যুক্ত হন এবং ১৯৮৬-১৯৮৮ মেয়াদে জাসদের খুলনা জেলার সভাপতি ও পরবর্তীতে আমৃত্যু জাসদের (জেএসডি) কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। মোড়ল আব্দুস সালাম তাঁর বর্ণাঢ্য রাজনীতির পাশাপাশি দেশের উন্নয়নে বিভিন্ন সামাজিক ও ইস্যুভিত্তিক আন্দোলনেও যুক্ত ছিলেন। তিনি ১৯৯৭ সালে হোমল্যান্ড লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানীর খুলনা বিভাগীয় সমন্বয়কারী ছিলেন। এছাড়াও কেন্দ্রীয় পানি কমিটি ও ভূমি কমিটি পরিচালনায় দক্ষ ভূমিকা পালন করেন। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সামাজিক ও পরিবেশগত সমস্যায় সুপেয় পানির নিশ্চয়তা এবং এতদ্ঞ্চলে জলাবদ্ধতা নিরসন আন্দোলনে কেন্দ্রীয় পানি কমিটির অন্যতম পুরোধা। এছাড়াও খুলনা সাতক্ষীরা অঞ্চলে খাস জমিতে ভূমিহীনদের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন সংগ্রাম এবং ভূমিহীন নারী পুরুষদের মাঝে খাস জমি বিতরণের নেতৃত্ব দেন। তিনি তালা উপজেলা ভূমি কমিটির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় ভূমি কমিটির সহ-সভাপতি হিসাবে আমৃত্যু দায়িত্ব পালন করেন। তালা উপজেলার খাস জমি চিহ্নিতকরণ, ভূমিহীন বাছাই ও তালিকা প্রণয়ন ছিল তারই চিন্তার ফসল। সামাজিক জীবনে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোড়ল আব্দুস সালাম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ক্লাব, ক্রীড়া প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত থেকে নিরলসভাবে কাজ করেছেন। তিনি কানাইদিয়া রথখোলা বালিকা মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, রায় সাহেব বিনোদ বিহারী সাধু স্মৃতি সংসদের আজীবন সদস্য, কপিলমুনি পাবলিক লাইব্রেরীর প্রতিষ্ঠাতা সহ-সভাপতি, কপিলমুনি আঞ্চলিক বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতির সভাপতি, কপিলমুনি ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান পৃষ্ঠপোষক, কৃষ্ণকাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি সহ আরও বহু প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। ব্যক্তি জীবনে মোড়ল আব্দুস সালাম এক কন্যা সন্তানের জনক। তিনি ছিলেন সম্পুর্ণ নির্লোভ, খাঁটি বাঙালী এবং আদর্শ দেশপ্রেমিক, সদালাপী, বিনয়ী, যুক্তিবাদী ও বিজ্ঞান মনোস্ক। তিনি কখনও সুযোগ সন্ধানী ছিলেন না। মানবতাবাদী ও অসাম্প্রদায়িকতাই ছিল তার ধর্ম। সকলের কাছে প্রিয় এই মানুষটি আমাদের মাঝে নেই। তিনি গত ৫ জুলাই ২০১১ খ্রিঃ মঙ্গলবার না ফেরার দেশে চলে যান। আমরা এ বীর সেনানীর অকাল প্রয়াণে শোকাহত, মর্মাহত। আমরা তাঁর বিদেহী আত্মার চির শান্তি কামনা করি। মৃত্যুর পরে যে সকল প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয় তার সংক্ষিপ্ত বিবরণ ঃ মোড়ল আব্দুস সালাম গণ-গ্রন্থাগার, বিপ্লবী আব্দুস সালাম স্মৃতি পরিষদ, আব্দুস সালাম ফাউন্ডেশন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোড়ল আব্দুস সালাম বৃত্তি ও কল্যাণ ট্রাষ্ট, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোড়ল আব্দুস সালাম স্মৃতি মিনার পরিষদ, ০৬ নং তালা ইউনিয়ন পরিষদ ঘোষিত উপজেলার শ্রেষ্ঠ বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে মরণোত্তর স্মারক প্রদান করা হয়, কপিলমুনি বালিকা বিদ্যালয়ের একটি ভবন সালাম চত্ত্বর নামে নামকরণ করা হয়, তালা ব্রীজ ভায়া কপিলমুনি খেয়া ঘাট পর্যন্ত রাস্তাটি সালাম সড়ক নামে নামকরণ করা হয়।
    তিনি বাঙালী জাতীর মুক্তির চেতনায় মুক্তির পথ খোঁজার নতুন তাগিদ অনুভব করেন। ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ রদের আন্দোলন সহ ব্রিটিশ বিরোধী জাতীয়তাবাদীর আন্দোলনের ইতিহাসের মধ্যে বাঙালীর গৌরবময় জাতীয়তাবাদীর স্বাধীনতা আন্দোলন সংগ্রামে ধারাবাহিক ইতিহাস অধ্যায়ন ও চর্চার পাশাপাশি সাংগঠনিক কাজ নিরলস ভাবে অব্যাহত রাখেন। তিনি ১৯৭০ খ্রিঃ ৭ ডিসেম্বর পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ এবং প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ছাত্রলীগের দায়িত্ব ও কর্তব্য নিরুপনে ছাত্রলীগ আহুত কেন্দ্রীয় বর্ধিত ফোরামের ঢাকা বলাকা ভবনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় স্বাধীন সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন গড়ে তুলতে তৎকালীন ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক স্বপন কুমার চৌধুরীর প্রস্তাবে সমর্থন দিয়ে নতুন রাজনৈতিক নির্দেশনা খুঁজে পান তিনি।
    ১৯৭০ খ্রিঃ ২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবসকে বাংলাদেশ দিবস হিসাবে পালনের কর্মসূচীতে তৎকালীন পাইকগাছা, আশাশুনি, বড়দল, রাড়–লী, কপিলমুনি, খুলনা সাতক্ষীরার ব্যাপক এলাকার গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক বক্তব্য ও সাংগঠনিক কাজ পরিচালনা করেন মোড়ল আব্দুস সালাম। কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক নির্দেশনায় ২৬ মার্চ আশাশুনি খড়িহাটির জনসভা বাতিল করে সাতক্ষীরা সদরে পৌছে ছাত্রনেতা মোস্তাফিজুর রহমান, কামরুল, আজিবর, ময়না, জজ ভাই, মাসুদা, কামরুছামা, এনামুল, দেলোয়ার হোসেন দুলু, মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, দুই খসরু, কাজল, হাবলু, গোলাম, সুভাষ সরকার, সাইদুর রহমান সহ সাতক্ষীরার ছাত্রনেতাদের প্রয়োজনীয় কাজের প্রস্তুতিকে নির্দেশনা প্রদান করেন। পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক ২৯ মার্চ সাতক্ষীরার তৎকালীন এসডিও খালেক মাসুদের অফিসের সামনে হাজির হয়ে মোড়ল আব্দুস সালামের নেতৃত্বে পাকিস্তানের জাতীয় পতাকা নামিয়ে তা পুড়িয়ে ফেলা হয় এবং একই সাথে স্বাধীন বাংলার মানচিত্র খচিত পতাকা উত্তোলন করা হয়। গণপরিষদের সদস্য এম.এ গফুর এবং সুবেদার আয়ুব আলী সহ সাতক্ষীরা জেলার রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সহায়তায় পাঞ্জাবী খালেদ মাহমুদকে গ্রেপ্তার করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন মোড়ল আব্দুস সালাম। দেশ মাতৃকা শৃঙ্খল ভান্ডার দুর্বর শপথে বলিয়ান মোড়ল আব্দুস সালামের চেতনায় প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের সৃষ্ট মশাল দাউ দাউ করে জ্বলতে শুরু করে। স্বাধীন দেশের কর্মযোগ্য পরিচালনায় অর্থের প্রয়োজনে সাতক্ষীরা সহ পাকিস্তান ন্যাশনাল ব্যাংকের অর্থ ও সম্পদ সংগ্রহ করার পরিকল্পনা ১৯৭১ সালে ৮ এপ্রিল সফল অভিযানে অংশগ্রহণ করেন মোড়ল আব্দুস সালাম। সংগৃহীত হয় নগদ এক কোটি বিরাশি লক্ষ টাকা যা ছিল নবগঠিত বাংলাদেশ সরকারের আর্থিক সহযোগিতার শুভ সূচনা।
    ১৯৭০ খ্রিঃ নির্বাচনে ব্যাপক গণসংযোগ এবং সাংগঠনিক কাজের মধ্যে দিয়ে স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন যোদ্ধা হিসাবে ভারতের দেরাদুল ক্যাম্প থেকে সশস্ত্র যুদ্ধের প্রশিক্ষণ নিয়ে ১৯৭১ খ্রিঃ ১৫ আগস্ট বৃহত্তর খুলনা জেলার মুজিব বাহিনীর প্রধান শেখ কামরুজ্জামান টুকুর নেতৃত্বে ১৬ জন প্রশিক্ষিত এবং ১৯ জন সহযোগী মোট ৩৫ জনের একটি দল নিয়ে ভারতীয় সিমান্ত অতিক্রম করে সাতক্ষীরা জেলার তালা থানার মাগুরায় অবস্থান নিয়ে যুদ্ধ পরিচালনার ঘাটি গড়ে তোলেন মোড়ল আব্দুস সালাম। এরপর শুরু করেন স্থানীয় মানুষের মধ্যে ট্রেনিং প্রদানের কাজ এবং পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের দোষর শত্রু ঘাটি আক্রমনের পরিকল্পনা। প্রস্তুতি পূর্বে প্রাথমিক আক্রমনে পরিচালনায় পাইকগাছা বড়দল, বারহাড়িয়া সফলতা অর্জিত হয়। এরপর পাটকেলঘাটা ও কপিলমুনি রাজাকার ঘাটির বিরুদ্ধে কোন টি আগে পরিচালিত হবে সেই প্রশ্নে মোড়ল আব্দুস সালাম সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তার নির্দেশনায় কপিলমুনি রাজাকার ঘাঁটি আক্রমণ ও সফলতা অর্জন করেন। ৭ ডিসেম্বর মঙ্গলবার এই যুদ্ধ সম্পর্কে মোড়ল আব্দুস সালাম লিখেছেন, তার জীবনে নৌপথ ও সামুদ্রিক গেরিলা যুদ্ধ খুলনা/কপিলমুনি যুদ্ধই শেষ যুদ্ধ। কপিলমুনি রাজাকার ঘাটির তালিকা মতে এক হাজার ছয়শত এক জন মানুষকে হত্যা করে। কপিলমুনি যুদ্ধে বিজয় অর্জিত হবার পর গণ আদালতের রায়ে বন্দী ১৫৫ জন রাজাকারের মধ্যে ১৫১ জনকে মৃত্যুদন্ড প্রদান করা হয়। এদিকে নৌপথ ও সামুদ্রিক গেরিলা যুদ্ধে খুলনা সাতক্ষীরা বাগেরহাট অঞ্চলে নৌকমান্ডার লে. মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ (দাদু) (বীর প্রতীক) এর নেতৃত্বে মুজিব বাহিনীর প্রধান বৃহত্তর খুলনা কমান্ডো শেখ কামরুজ্জামান টুকু, স. ম বাবর আলী, ইউনুস আলী ইনু, আবুল কালাম আজাদ, গাজী মোঃ রফিক, মোড়ল আব্দুস সালাম, স. ম আলাউদ্দীন, ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবর রহমান, নৌকমান্ডো বজলুর রহমান, সামসের আলী, শফিক আহম্মেদ, ড. মাহফুজুর রহমান, মেজর সামছুল আরেফিন, সাইদুর রহমান কুটু, নুরুল ইসলাম মানিক, কে.এ.ম মুজিবর রহমান, শাহাদাৎ হোসেন বাচ্চু সহ হাজারও মুক্তিযোদ্ধা কপিলমুনি যুদ্ধের পর পর্যায়ক্রমে ১৬ ডিসেম্বর খুলনার বিজয় অর্জনে মোড়ল আব্দুস সালাম একজন নিবেদিত প্রাণ ও সংগঠক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।

    #

    লেখক ঃ মীর জিল্লুর রহমান, সদস্য, কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জে.এস.ডি) ও সভাপতি, মুক্তিযোদ্ধা মোড়ল আঃ সালাম ফাউন্ডেশন, উপজেলা কমিটি, তালা, সাতক্ষীরা।

  • বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও সুষ্ঠু বিনোদন ছড়িয়ে দিতে অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শণী-বীর মুক্তিযোদ্ধা এমপি রবি

    বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও সুষ্ঠু বিনোদন ছড়িয়ে দিতে অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শণী-বীর মুক্তিযোদ্ধা এমপি রবি


    মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে সাতক্ষীরা জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ও সাতক্ষীরা জেলা শিল্পকলা একাডেমি মনোমুগ্ধকর এই অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (০২ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় প্রধান অতিথি হিসেবে এ অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শণী’র উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা-২আসনের সংসদ সদস্য নৌ-কমান্ডো ০০০১ বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা এমপি রবি বলেন, “আমরা আগে এসব টিভিতে দেখেছি। কিন্তু সরাসরি চোখে দেখার আলাদা একটা অনুভূতি। অ্যাক্রোবেটিক শোতে অনেক শিক্ষণীয় বিষয় রয়েছে, যা মানুষকে যেমন আনন্দদান করে, তেমনি শিশুদের শেখারও বিষয় রয়েছে। জেলা পর্যায়ে জনপ্রিয় করতে ও সুষ্ঠু বিনোদন ছড়িয়ে দিতে সারা দেশে অ্যাক্রোবেটিক শো করা প্রয়োজন।
    প্রত্যেকটি শিশুকে জাতির পিতার আদর্শ নিয়ে বেড়ে ও গড়ে উঠতে হবে, যাতে আগামীতে তারা দেশ ও জাতির কল্যাণমূলক কাজে এগিয়ে আসতে পারে। এজন্য শিশুদের পড়াশোনার পাশাপাশি বিনোদনেরও প্রয়োজন রয়েছে। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক-সামাজিক সংগঠন, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায় বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও সুষ্ঠু বিনোদন ছড়িয়ে দিতে অ্যাক্রোবেটিক শোর আয়োজন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে এর মাধ্যমে বাংলা, বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধকে নতুন প্রজন্মকে চেনানো ও তুলে ধরার জন্য আগামীতেও এর আয়োজন করা হবে।”
    এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ¦ মো. নজরুল ইসলাম, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আমানউল্লাহ-আল-হাদী, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমা-তুজ-জোহরা, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সহ-সভাপতি নাসরিন খান লিপি ও ঢাকার অ্যাক্রোবেটিক’র টিম লিডার ইতিহাস প্রমুখ।
    দম আটকানো শারীরিক কসরত। একচুল এদিক-ওদিক হলেই শরীরের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা। তাসের ওপর তাস নয়, এ তো দেহের ওপর দেহ সাজানোর খেলা। একের শরীরে অন্যজন ভর দিয়ে তৈরি করছে নানা দৃশ্য প্রতিরূপ, জ্যামিতিক আকার। মনোমুগ্ধকর আয়োজন শ^াসরুদ্ধকর অনুভূতিরই জন্ম দিল সাতক্ষীরা জেলা শিল্পকলা একাডেমির দর্শকদের মনে। চীনা অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী দর্শকদের অনেকেরই দেখা। কিন্তু এবার এদশের অ্যাক্রোবেট শিল্পীরাই প্রমাণ দিলেন, তারাও পিছিয়ে নেই। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির বড় ও ছোট শিল্পীরা অ্যাক্রোবেটিক শোতে অংশ নেন। একের পর এক চোখ ধাঁধানো কসরত চলছিল মঞ্চে। নানা ধরনের অপূর্ব সাধারণ খেলা ও শরীরচর্চায় মুগ্ধতা বিরাজ করে পুরো অনুষ্ঠানস্থলে।
    শিল্পমাধ্যম সার্কাসের প্রধানতম অঙ্গ অ্যাক্রোবেটিক শিল্পসমগ্র পৃথিবীতে সমাদৃত ও মর্যাদাপূর্ণ। জেলা পর্যায় থেকে হারিয়ে যাওয়া অ্যাক্রোবেটিক শো দেখতে অনুষ্ঠানস্থলে ভিড় করে শিশু-নারীসহ নানা বয়সের দর্শনার্থী। মুহুর্তের মধ্যে অনুষ্ঠানস্থল পরিপূর্ণ হয়ে যায়। চলে তুমুল করতালি আর হর্ষধ্বনি। জমজমাট অ্যাক্রোবেটিক শো দেখে চোখের পাতাও ফেলতে পারেনি দর্শকরা। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির এই অ্যাক্রোবেটিক দল আক্ষরিক অর্থেই সাতক্ষীরার দর্শকদের মন জয় করে নিল।” সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাতক্ষীরা জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক শেখ মুসফিকুর রহমান মিল্টন।

  • সাতক্ষীরা দিবা- নৈশ কলেজের শোক প্রকাশ

    সাতক্ষীরা দিবা- নৈশ কলেজের শোক প্রকাশপ্রেস বিজ্ঞপ্তিসাতক্ষীরা দিবা- নৈশ কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সঞ্জীব কুমার বসুর মা মীরা রানী বসু (৮২) বার্ধক্য জনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেছেন। শনিবার বিকালে তার নিজ বাড়িতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ এবং আত্মার শান্তি কামনা করেছেন কলেজের অধ্যক্ষ একেএম সফিকুজ্জামান, উপাধ্যক্ষ ময়নুল হাসান সহ সকল শিক্ষক-কর্মচারীবৃন্দ।

  • সাতক্ষীরায় যথাযথ মর্যাদায় শহীদ জননী জাহানারা ইমামে ২৮ তম মৃত্যু বার্ষিকী পালিত

    সাতক্ষীরায় যথাযথ মর্যাদায় শহীদ জননী জাহানারা ইমামে ২৮ তম মৃত্যু বার্ষিকী পালিত

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি : আজ ২৬ জুন শহীদ জননী জাহানারা ইমাম এর ২৮তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে ম্যানগ্রোভ সভাঘরে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির উদ্যোগে এক স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন, সংগঠনের আহবায়ক অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী।
    শিক্ষক ও কবি গাজী শাহজাহান সিরাজ(সৌহার্দ সিরাজ) এর সঞ্চালনায় স্মৃতিচারনে অংশ নেন সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় চিকিৎসা সহায়ক সেল এর সাংগঠনিক সম্পাদক ডা: সুব্রত ঘোষ, সাবেক জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কিশোরী মোহন সরকার, বাসদ জেলা সংগঠক এড. আজাদ হোসেন বেলাল, বাংলাদেশ জাসদ জেলা সম্পাদক অধ্যাপক ইদ্রিস আলী, সিপিবির জেলা সম্পাদক আবুল হোসেন, কবি স ম তুহিন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা: মুনসুর রহমান, শ্যামনগর নির্মূল কমিটির সংগঠক শেখ ফারুক হোসেন, কবি মন্ময় মনির, প্রথম আলো বন্ধুসভার সাধারণ সম্পাদক হুমায়রা ফারজানা, সাংগঠনিক সম্পাদক রাহাতুল ইসলাম, আশরাফ সরদার ও মাহফুজুর রহমান প্রমুখ।
    সভায় নেতৃবৃন্দ শহীদ জননী জাহানারা ইমামের আদর্শকে ধারন করে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়। সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তে বলা হয় বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ স.ম আলাউদ্দীন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদ তরফদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আ: লতিফ, হাতেমসহ সকল মুক্তিযোদ্ধা হত্যার বিচার করা, ২০১৩-১৪ সালের আগুন সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত রায়হান, মামুনসহ ১৬জনের হত্যার সাথে যুক্ত ও নাশকতা মামলার সকল আসামিদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসা ও সাতক্ষীরার যুদ্ধাপরাধ মামলার রায় দ্রুত কার্যকর করা এবং স্বাধীনতা বিরোধীদের নামে সাতক্ষীরার সকল প্রতিষ্ঠান ও সড়কের নাম করন বাতিল করে মুক্তিযোদ্ধা ও প্রগতিশীল ব্যক্তিদের নামে করতে হবে।

  • শহীদ জননী জাহানারা ইমামের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

    শহীদ জননী জাহানারা ইমামের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

    facebook sharing button
    twitter sharing button
    linkedin sharing button

    একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক, শহিদ জননী ও বরেণ্য কথাসাহিত্যিক জাহানারা ইমামের ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৯৪ সালের আজকের দিনেই দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। 

    মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী মানুষের কাছে জাহানারা ইমাম দেশপ্রেম, ত্যাগ ও সংগ্রামের এক অনন্য প্রেরণার উৎস হিসেবে আজও অবিস্মরণীয়। তার লেখা ‘একাত্তরের দিনগুলি’ মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম প্রামাণ্য দলিল হিসেবে স্বীকৃত।

    একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে তার ছেলে রুমী শহীদ হন। স্বামী শরিফ ইমামও মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে অসুস্থ হয়ে বিনা চিকিৎসায় মারা যান। এক সন্তান হারিয়ে সারাদেশের সব মুক্তিযোদ্ধার জননী হয়ে উঠেছিলেন তিনি। সবার কাছে পরিচিত হয়েছিলেন শহিদ জননী হিসেবে।

    ১৯২৯ সালের ৩ মে ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলার সুন্দরপুরে জন্মগ্রহণ করেন জাহানারা ইমাম। তার ডাক নাম ছিল জুড়ু। জাহানারা ইমামের বাবা সৈয়দ আবদুল আলী ছিলেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট। মায়ের নাম সৈয়দা হামিদা বেগম। জাহানারা ইমাম ম্যাট্রিক পাস করেন ১৯৪২ সালে। ১৯৪৪ সালে রংপুর কারমাইকেল কলেজ থেকে আইএ পাস করে ১৯৪৫ সালে কলকাতার লেডি ব্রেবোর্ন কলেজে ভর্তি হন। এখান থেকে বিএ পাস করেন ১৯৪৭ সালে। ১৯৬০ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএড ডিগ্রি অর্জন করেন। যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১৯৬৪ সালে সার্টিফিকেট ইন এডুকেশন ডিগ্রি অর্জন করেন। সেখান থেকে ফিরে ১৯৬৫ সালে বাংলায় এমএ পাস করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।

    ১৯৯২ সালে যুদ্ধাপরাধের বিচারের দাবিতে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক-পেশাজীবী সংগঠন ও ছাত্র-নারী-মুক্তিযোদ্ধা সংগঠনের সমন্বয়ে গড়ে ওঠে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল জাতীয় সমন্বয় কমিটি’। এই কমিটির উদ্যোগে ওই বছরের ২৬ মার্চ ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত গণ-আদালতে জামায়াত নেতা গোলাম আযমের প্রতীকী বিচার হয়।

    জাহানারা ইমামের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ রবিবার সকালে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির মহানগর নেতারা মিরপুরে তাঁর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। দিনটিকে কেন্দ্র করে স্মারক বক্তৃতা ও আলোচনাসভার আয়োজন করেছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।

  • আশাশুনিতে পদ্মা সেতু’র উদ্বোধন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‍্যালি

    আশাশুনিতে পদ্মা সেতু’র উদ্বোধন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‍্যালি


    বি এম আলাউদ্দীন আশাশুনি প্রতিনিধি:আশাশুনিতে পদ্মা বহুমুখী সেতু’র শুভ উদ্বোধন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বর্ণাঢ্য র‍্যালিটি উপজেলা চত্বর থেকে বের হয়ে বাজারের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে পুনরায় আবার উপজেলা চত্বরে এসে শেষ হয়।এসময় র‌্যালিতে অংশগ্রহণ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইয়ানুর রহমান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহীন সুলতানা, থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মমিনুল ইসলাম (পিপিএম), নির্বাচন কর্মকর্তা কামরুজ্জামান শিকদার, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা এসএম আজিজুল হক, বিআরডি কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ ঘোষ, আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা বিউটি সহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ প্রমুখ।

  • যা আছে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আমন্ত্রণপত্রে

    যা আছে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আমন্ত্রণপত্রে

    আজ উদ্বোধন হতে যাচ্ছে বহুল কাঙ্ক্ষিত পদ্মা সেতু। উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ উপলক্ষে এরই মধ্যে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে পাঠানো হয়েছে আমন্ত্রণপত্র। কিন্তু এই আমন্ত্রণপত্রে কী লেখা রয়েছে?

    আমন্ত্রণপত্রের ওপর ছাপা রয়েছে সেতুর অবকাঠামো। পাশাপাশি লাল-সবুজ এবং সাদা রঙে লেখা রয়েছে। এতে সই করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মনজুর হোসেন।

    পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আসার জন্য অতিথিদের কিছু দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে আমন্ত্রণপত্রে। অতিথিদের আমন্ত্রণপত্র সঙ্গে আনার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে এবং এটি হস্তান্তরযোগ্য নয় বলেও জানানো হয়েছে।

    এছাড়া আমন্ত্রণপত্রে নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা আগেই সবাইকে অনুষ্ঠানস্থলে আসার জন্য বলা হয়েছে। অনুষ্ঠান শুরুর আগে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কোভিড-১৯ পরীক্ষা করে রিপোর্ট সঙ্গে নিয়ে যেতে বলা হয়েছে অতিথিদের। চাবি, চাবির রিং, কলম, মোবাইল, ছাতা, হাতব্যাগ, ক্যামেরা ও ইলেক্ট্রনিক্স বস্তু না নিয়ে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে। অনুষ্ঠানস্থলে মাস্ক পরাসহ কোভিড-১৯ সংশ্লিষ্ট সব প্রটোকল অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। আমন্ত্রণপত্রের সঙ্গে দেওয়া স্টিকারটি গাড়ির সামনের কাচের বাম পাশে দৃশ্যমান স্থানে লাগানোর জন্য বলা হয়েছে।

    jagonews24

    এছাড়া শনিবার সকাল ৯টায় অতিথিদের অনুষ্ঠানস্থলে আসন গ্রহণ করার কথা বলা হয়েছে আমন্ত্রণপত্রে। এরপর সকাল ১০টায় মাওয়া প্রান্তের অনুষ্ঠানস্থলে আসবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর এক মিনিট পরই প্রদর্শন হবে প্রামাণ্য চিত্র। এরপর সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সকাল ১০টা পাঁচ মিনিটে সভাপতির বক্তব্য দেবেন।

    পদ্মা সেতুর থিম সং দেখানো হবে সকাল ১০টা ১০ মিনিটে। প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল সোয়া ১০টায় বক্তব্য দেবেন। বক্তব্য শেষে মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করবেন তিনি। পরে সেখানে মোনাজাত হবে। এরপর প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে জাজিরা প্রান্তে এসে উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করবেন।

    ধারণা করা হচ্ছে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রায় ৮-১০ লাখ লোকের সমাগম হবে। উদ্বোধনের পরদিন ২৬ জুন ভোর থেকে যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে বহুল প্রত্যাশিত বাংলাদেশের এই মেগা স্ট্রাকচার।

    এদিকে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড (এমবিইসি) নির্মাণ কাজ শেষ পদ্মা সেতু বুঝিয়ে দিয়েছে। তবে অবকাঠামোর ক্ষেত্রে ছোটখাটো কোনো কাজ থাকলে আগামী এক বছর ধরে ‘ডিফেক্ট লায়াবিলিটি পিরিয়ড’ এর মধ্যে তা করে দেবে।

    এদিকে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড (এমবিইসি) নির্মাণ কাজ শেষ পদ্মা সেতু বুঝিয়ে দিয়েছে। তবে অবকাঠামোর ক্ষেত্রে ছোটখাটো কোনো কাজ থাকলে আগামী এক বছর ধরে ‘ডিফেক্ট লায়াবিলিটি পিরিয়ড’ এর মধ্যে তা করে দেবে।

  • স্বপ্নের পদ্মাসেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে বীর মুক্তিযোদ্ধা এমপি রবির নেতৃত্বে কয়েক হাজার নেতা কর্মীর সাতক্ষীরা ত্যাগ

    স্বপ্নের পদ্মাসেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে বীর মুক্তিযোদ্ধা এমপি রবির নেতৃত্বে কয়েক হাজার নেতা কর্মীর সাতক্ষীরা ত্যাগ


    নিজস্ব প্রতিনিধি : জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত দিয়ে স্বপ্নের পদ্মাসেতু উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে সাতক্ষীরাসহ দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার মানুষের ভাগ্যের দূয়ার খুলে যাবে। স্বপ্নের পদ্মাসেতুর উদ্বোধন ২৫ জুন সকাল ১০টায়। সেই উদ্বোধনে শরীক হতে এবং উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অংশ নিতে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সদর-২ আসনের সংসদ সদস্য নৌ-কমান্ডো ০০০১ বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবির নেতৃত্বে ও সার্বিক ব্যবস্থাপনায় পদ্মাসেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সাতক্ষীরা সদর নির্বাচনী এলাকার কয়েক হাজার নেতা-কর্মী নিয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে সাতক্ষীরা ত্যাগ করেছেন। শুক্রবার (২৪ জুন) রাতে এমপি রবির পক্ষ থেকে সাতক্ষীরা সদরের ১৪টি ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে ও পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ড থেকে উৎসাহিত নেতা-কর্মী পদ্মাসেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। পদ্মাসেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যাওয়ার প্রাক্কালে সকলের কাছে দোয়া কামনা করেছেন নেতা-কর্মীরা।

  • সাতক্ষীরায় এমপি রবির পক্ষ দোয়া ও সর্বত্র মিষ্টি বিতরণ

    সাতক্ষীরায় এমপি রবির পক্ষ দোয়া ও সর্বত্র মিষ্টি বিতরণ


    মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : আগামী ২৫ জুন জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত দিয়ে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন সফল করতে, বন্যা থেকে মুক্তি এবং দেশের সমৃদ্ধি-শান্তি কামনা ও সামগ্রীক উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে সাতক্ষীরার সদর নির্বাচনী এলাকার মসজিদে মসজিদে বিশেষ দোয়া ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে। শুক্রবার (২৪ জুন) বাদ জুমআ সাতক্ষীরা সদর নির্বাচনী এলাকার ১৪টি ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে ও পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সদর-২ আসনের সংসদ সদস্য নৌ-কমান্ডো ০০০১ বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবির আয়োজনে এবং সার্বিক ব্যবস্থাপনায় পদ্মাসেতুর উদ্বোধনের খুশিতে মহান আল্লাহর দরবারে এ বিশেষ দোয়া কামনা ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি এমপি শহরের মুনজিতপুরস্থ কেন্দ্রীয় ঈদগাহ সংলগ্ন জামে মসজিদে পবিত্র জুমআ নামাজ আদায় করে দোয়া অনুষ্ঠানে শরীক হন। দোয়া শেষে মসজিদের মুসুল্লীদের মাঝে মিষ্টি বিতরণ করেন। পরে শহরের নবারুণ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মোড়, পিএন স্কুল মোড়, পাকা পোল মোড়, নিউ মার্কেট মোড়সহ বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামে গ্রামে মিষ্টি বিতরণ করেন। এসময় দলীয় নেতা কর্মী ও দলীয় জনপ্রতিনিধিদেরকে স্ব স্ব এলাকার মসজিদে উপস্থিত থেকে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা এমপি রবি বলেন, দেশের কল্যাণ কামনায় যিনি থাকেন সবসময় অতন্দ্র প্রহরী। তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। একবিংশ শতাব্দীতে বিশ্বের আর কোনো দেশ উন্নতির এমন অসাধ্য সাধন করতে পারেনি, যেমন পেরেছে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ। একটি স্বল্পোন্নত দেশ থেকে, নিম্ন মধ্যম আয়ের পথ পেরিয়ে উন্নত বাংলাদেশে পরিণত হওয়ার দিকে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলার নাম মানবতার ‘মা’ জননেত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার সরকার নিজস্ব অর্থায়নে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের মাধ্যমে দেখিয়ে দিচ্ছেন বাঙালিরা সবই পারে, বাংলাদেশ পারে।

  • সাতক্ষীরার মাটিতেই বিচার হবে শহীদ স ম আলাউদ্দিনের খুনীচক্রের

    সাতক্ষীরার মাটিতেই বিচার হবে শহীদ স ম আলাউদ্দিনের খুনীচক্রের


    ২৬তম মৃত্যুবার্ষিকীতে সাংবাদিক ঐক্য’র নাগরিক সংলাপে বক্তাদের প্রতিশ্রুতি
    সাতক্ষীরার মাটিতেই বিচার হবে শহীদ সম আলাউদ্দিনের খুনীচক্রের
    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: ১৯৭১ এ মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে কোনরকম আরাম আয়েশের চিন্তা না করেই রাইফেল হাতে নিয়ে শত্রু নিধনে সাহসী ও অনবদ্য ভূমিকা রাখা সেদিনের ২৬ বছরের যুবক আলাউদ্দিন হত্যার বিচার এই সাতক্ষীরার মাটিতে একদিন হবেই। ৩৪ বছর পর বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার সম্পন্ন করার দৃষ্টান্ত রয়েছে আমাদের রাষ্ট্রে, অথচ ২৬ বছর ধরে সম আলাউদ্দিনের বিচার হয়নি এমনটি হতাশাব্যঞ্জক উল্লেখ করে বক্তারা বলেছেন, এর জন্য কোন দল, কোন ব্যক্তি বা কোন গোষ্ঠী সরাসরি দায়ী নয় বরং আইনের কিছু খামতি এই বিচারকে বাধাগ্রস্থ করেছে। খুনীরা যত প্রতাপশালী হোক একদিন তাদের এই পাপের শাস্তি নিতেই হবে।
    শনিবার শহীদ সম আলাউদ্দিনের ২৬তম মৃত্যুবার্ষিকী ও ২৭ বছরে উত্তরণ উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরার সাংবাদিক ঐক্য আয়োজিত ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ সম আলাউদ্দিন ও সাতক্ষীরা’ শীর্ষক এক নাগরিক সংলাপে এই অভিমত ব্যক্ত করেন অভ্যগতরা। তারা বলেন, একজন আলাউদ্দিনকে হত্যার পর তার বিচার না হওয়া সংস্কৃতি আরও হত্যাকে উৎসাহ যোগায়। আমরা প্রস্তাব করছি বিচার বাস্তবায়ন সংক্রান্ত কয়েক সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে অবিলম্বে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এই বিচার ত্বরান্বিত করার দাবি জানাচ্ছি। ২৬ বছর ধরে আমরা বিচার বাস্তবায়নের চেষ্টা করেও তা আদালতের কাঠগড়া পর্যন্ত আমাদের দাবি তুলে ধরতে না পারার ব্যর্থতা স্বীকার করে নিচ্ছি। এ বিষয়ে স্থানীয় সংশ্লিষ্ট বিচারকের সাথে সাক্ষাৎ করে বিচার বাস্তবায়নের ব্যাপারে আগ্রহী করে তোলা হবে।
    শহরের এলজিইডি মিলনায়তনে সাংবাদিক ঐক্যের আহবায়ক সুভাষ চৌধুরীর সভাপতিত্বে নাগরিক সংলাপে অংশ নিয়ে জেলা পরিষদ প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত যথার্থভাবে বিচার আদায় করতে পারিনি। শহীদ সম আলাউদ্দিন গণমানুষের নেতা ছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১৯৯৬ এর নির্বাচনের প্রাক্কালে আমি নিজেও এমন একটি গুপ্ত হত্যার শিকার হতে চলেছিলাম। কিন্তু আমার পরিচিত কয়েকজন তারা আমাকে সতর্ক করে দিয়ে রাজনৈতিক সমাবেশে যথাযথ সুরক্ষা দিয়ে এই গুপ্ত হত্যাকে কৌশলে প্রতিহত করেছিলেন। আলাউদ্দিন হত্যার পর আমার সেই ধারনাই হলো যে, রাজনৈতিক নেতারা কোন সময় নিরাপদ নন। বিশেষ করে নির্বাচনে আসন দখল প্রতিযোগিতায় নেমে তারা ভাড়াটে হিসাবে রাজনৈতিক নেতাদের সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করে থাকে। হত্যার দীর্ঘ ২৬ বছর পরও এই বিচারের জন্য আমরা বারবার আবেদন জানাচ্ছি। নিশ্চয়ই একদিন সাতক্ষীরার উন্নয়নের উপকার, শিল্প উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী সহ প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য ভোমরা স্থলবন্দরের প্রাণ প্রতিষ্ঠাতা এবং সাতক্ষীরা চেম্বার অব কমার্সের সূতিকাগার বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ সম আলাউদ্দিনের বিচার আদায়ে সব রকম উদ্যোগ গ্রহণ করবো।
    সংলাপে অংশ নিয়ে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোশাররফ হোসেন মশু বলেন, শহীদ আলাউদ্দিন মুক্তিযুদ্ধকালে অনেকের মতো আরাম আয়েশে গা ভাসিয়ে না দিয়ে কাদামাটির মধ্যে গেরিলাযুদ্ধ করে শত্রু নিধন করার সাহস দেখিয়েছেন। একজন গণপরিষদ সদস্য হিসাবে গেরিলাযুদ্ধে অংশগ্রহণ করার দৃষ্টান্ত এই যুবকই রাখতে পেরেছিলেন বলে মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন, তাকে সরিয়ে দিয়ে সাতক্ষীরার উন্নয়নকে চরম বাঁধার সম্মুখীন করা হয়েছে। আলাউদ্দিন ভাই বেঁচে থাকলে আমরা সাতক্ষীরাবাসী আরও উন্নয়নের অংশীদার হতে পারতাম।
    জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি বিশিষ্ট সমাজসেবক শেখ আজহার হোসেন বলেন, তিনি ছিলেন একজন ডাকসাইটের নেতা। যে কাজে তিনি হাত দিতেন তা শেষ না হওয়া পর্যন্ত তার পেছনে লেগে থাকতেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, তিনিই প্রথম এখানে কৃষিভিত্তিক সমাজ এবং শিল্পভিত্তিক বানিজ্য গড়ে তোলার সব উদ্যোগ নিয়েছিলেন। আমরা তার ডাকে সাড়া দিয়ে মাঠে নামতাম। আমাদের দূর্ভাগ্য, এমন উন্নয়ন সূতিকাগারকে আমরা অকালেই হারিয়েছি। আমি ঘাতকদের বিচার দাবি করছি এবং যতদিন বিচার সম্পন্ন না হবে ততদিন আমরা সবাই মাঠে থাকবো।
    বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আবু আহমেদ তার বক্তব্যে বলেন, খুনীরা তার সাথে কৌশলে মিলেমিশে থাকতো। আর তারাই তাকে হত্যা করে সাতক্ষীরার সার্বিক উন্নয়ন ভাবনাকে বাঁধাগ্রস্থ করে দিয়েছে। সম আলাউদ্দিন একজন বজ্রকন্ঠী সাচ্চা মানুষ ছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা তার ভিতর বাহির সবটাই দেখে বুঝতাম, তিনি মনেপ্রাণে একজন রাজনীতিক, একজন শিল্প উদ্যোক্তা, একজন দরদী জনপ্রতিনিধি। তিনি সবাইকে সহযোগিতা দিয়ে নিজের জন্য কোনকিছু প্রত্যাশা করেননি। এমন মানুষ এই সমাজে খুজে পাওয়া বিরল। আজ তিনি জীবিত থাকলে আমরা সাতক্ষীরাকে অন্য চেহারায় দেখতে পেতাম।
    সাতক্ষীরা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু বলেন, আলাউদ্দিন সাহেব আমাদের নেতা ছিলেন। তিনি আমাদের রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন। আমরা তার কথা যথাযথভাবে মান্য করতাম। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে এবং সাতক্ষীরার উন্নয়নের রূপকার হিসাবে তার ভূমিকা কোনভাবেই কেউ খাটো করে দেখতে পারবে না। এই হত্যার বিচার বাস্তবায়নের জন্য যা কিছু করতে হয় আমি আপনাদের সঙ্গে থেকে তা করতে রাজী আছি। একইসাথে আমি তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করে বিচার আদায়ে ব্যর্থতা স্বীকার করে নিচ্ছি।
    দৈনিক দৃষ্টিপাত সম্পাদক জিএম নূর ইসলাম বলেন, আলাউদ্দিন সাহেবের সাথে প্রতিদিন রাত সাড়ে ১০টার পরে পত্রদূত অফিসে আমার সাক্ষাৎ হতো। কিছুক্ষণ গল্পআড্ডা দিয়ে চা খেয়ে আমি বাড়ি চলে যেতাম। একজন শিল্প উদ্যোক্তা হিসাবে তিনি পাটকেলঘাটা অঞ্চলে একটি মিনি সুগার মিল তৈরীর উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। ভোমরা স্থলবন্দরের প্রতিষ্ঠালগ্নে সেখানকার বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আমি ও আমরা পত্রপত্রিকায় রিপোর্ট করতাম। আলাউদ্দিন ভাই একদিন আমাকে ডেকে বলেন, বন্দরটি কেবলমাত্র যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে। এক্ষুণি যদি রাস্তাঘাট, টেলিফোন, ব্যাংক, ভবন এসব সমস্যা তুলে ধরা হয় তাহলে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা খুব কঠিন হয়ে পড়বে। জিএম নূর ইসলাম বলেন, আমি সেদিনই বুঝেছিলাম, একটি পজিটিভ নিউজ নেগেটিভ নিউজে রূপান্তরিত হতে পারে। তার এই পরামর্শ অনুযায়ী আমরা ভোমরা বন্দরের সব ভালো দিক তুলে ধরতাম।
    বিশিষ্ট আওয়ামী লীগ নেতা আনম তারেক উদ্দিন বলেন, সম আলাউদ্দিন সাতক্ষীরাকে গড়তে চেয়েছিলেন। তার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হতে পারলো না। ঘাতকদের বুলেট তার প্রান কেড়ে নিয়েছিল। আমি এই হত্যার বিচার বাস্তবায়নে সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানাই।
    জেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ আনিসুর রহিম আলাউদ্দিন হত্যার ভিতর ও বাহির নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য তুলে ধরে বলেন, আমি নিজে কয়েকজন সঙ্গীকে নিয়ে ঘাতকদের পিছু ধাওয়া করেছিলাম, সেইসাথে পুলিশও। এরই মধ্যে একজন ঘাতককে সেখানে গাড়ি নিয়ে এসে কথা বলতে শুনলাম, আলাউদ্দিন এখনও মরেনি ? অধ্যক্ষ আনিসুর রহিম বলেন, তাকে হত্যা বাস্তবায়নের জন্য ১৬ই জুন প্রস্তুত হয়েছিল ঘাতকরা। কিন্তু বন্দুকের গুলি বের না হওয়ায় ওইদিন তারা আলাউদ্দিন ভাইকে খুন করতে পারেনি। হত্যার আগে ও পরে আমি প্রত্যক্ষদর্শী হিসাবে যেসব ঘটনা দেখেছি তা আদালতে তুলে ধরেছি। আমি এই হত্যার দ্রুত বিচার দাবি করছি।
    নাগরিক সংলাপে চ্যানেল আইয়ের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি ও প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ একটি মুখবন্ধ তুলে ধরে তা পাঠ করে শোনান। এতে তিনি শহীদ সম আলাউদ্দিনের জীবনের সকল দিক পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তুলে ধরেন। যার মধ্যে ছিল, কৃষিভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা, শিল্প ভিত্তিক বানিজ্য প্রতিষ্ঠা, কারিগরী শিক্ষা সম্প্রসারণ, ভোমরা স্থলবন্দর প্রতিষ্ঠা, সাতক্ষীরা চেম্বার অব কমার্স প্রতিষ্ঠাসহ বহু দিক। একারনে তিনি ঢাকা, কোলকাতা, দিল্লী সকল স্থানে সংশ্লিষ্টদের কাছে যথাযথ আবেদন করেছিলেন।
    সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সর্বশেষ সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলী সুজন বলেন, আমার বাবা এএফএম এন্তাজ আলী ও আমার চাচা সম আলাউদ্দিন দুজনেই ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা। তারা দেশ ও জাতির জন্য কাজ করে গেছেন। দুর্ভাগ্য বশতঃ আমরা শহীদ সম আলাউদ্দিনকে অকালে হারিয়েছি। খুনীরা তাকে বেঁচে থাকতে দিলো না।

    নাগরিক সংলাপে অংশ নিয়ে আরও বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুল ওয়াজেদ কচি, দৈনিক দক্ষিণের মশাল সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক ই এলাহী, বিশিষ্ট এনজিও ব্যক্তিত্ব মাধব চন্দ্র দত্ত, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী, বাংলাদেশ বেতারের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি ফারুক মাহবুবুর রহমান, আলাউদ্দিন কন্যা লায়লা পারভিন সেঁজুতি, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারী, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা শেখ হারুনার রশিদ, বাসদ নেতা এড. শেখ আজাদ হোসেন বেলাল, জাসদ নেতা ওবায়দুস সুলতান বাবলু, দৈনিক কল্যাণের প্রতিনিধি কাজী শওকত হোসেন ময়না, টিভি জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের আহবায়ক আবুল কাশেম, জাসদ অপরাংশের নেতা সুধাংশু শেখর সরকার, উদীচির শেখ সিদ্দিকুর রহমান, গণফোরাম নেতা আলী নূর খান বাবুল, আশাশুনি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অসীম চক্রবর্তী, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ডা. মুনসুর রহমান প্রমুখ।
    দেশটিভি ও দেশ রূপান্তরের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি সাংবাদিক ঐক্য’র সদস্য সচিব শরীফুল্লাহ্ কায়সার সুমনের সঞ্চালনায় সকাল থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত নাগরিক সংলাপে উঠে আসে অনেক তথ্য। এসময় তিনি বলেন, অকালে তার প্রাণঘাতে আমরা একজন সফল রাজনীতিক, সফল উন্নয়নের রূপকারকে হারিয়েছি। তার হত্যার বিচার আমরা আদায় করবোই।
    সভার সভাপতি সুভাষ চৌধুরী শহীদ আলাউদ্দিনকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, তিনি ছিলেন একজন উদার মানসিকতার মানুষ। তিনি মানুষকে ভালোবাসতেন। দলীয় কর্মীদের ভালোবাসতেন। সমাজের প্রতিটি মানুষের সাথে তার মধুর সম্পর্ক ছিল। যে পত্রিকাকে তিনি তার দল আওয়ামী লীগ ও রাষ্ট্রের কাছে কোন প্রশ্নের সম্মুখীন না হতে হয় বলে স্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছিলেন সেই পত্রিকা অফিসেই ঘাতকদের বুলেট তার বক্ষ ও মস্তক ভেদ করে তার প্রাণবায়ু নিভিয়ে দেয়। এই মানুষটির মৃত্যুর পরও তাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র থামেনি। তাকে নিয়ে অপপ্রচারও থামেনি। আমি এই হত্যার বিচার বাস্তবায়নে সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানাই।


    ১২

  • নিজ খরচে এবার সাতক্ষীরা জেলা আ.লীগ কার্যালয় করে দিলেন ড. কাজী এরতেজা হাসান


    নিজস্ব প্রতিনিধি, সাতক্ষীরাঃসাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের স্থায়ী কার্যালয় নিজ খরচে নির্মাণ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন দলের জেলা শাখার অন্যতম সহ-সভাপতি ড. কাজী এরতেজা হাসান,সিআইপি। তবে এর আগেই তিনি বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর সুযোগ্য কন্যা,আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী,দেশরত্ন,জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আনুগত্যের প্রকাশ-স্বরূপ প্রায় ২ হাজার বর্গফুটের ওপর নিজ খরচে (স্থায়ী  কার্যালয় না হওয়া পর্যন্ত)অত্যাধুনিক অঙ্গ সজ্জায় সজ্জিত একটি অস্থায়ী কার্যালয় নির্মাণ করে দিলেন।
    সাতক্ষীরা জেলা শহরের সুলতানপুর বড়বাজার সড়কের ডে-নাইট কলেজ মোড়ে নবপ্রতিষ্ঠিত অস্থায়ী কার্যালয়টি গতকাল রোববার (১২ জুন) দুপুর ১২ টায় জেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম সহ সভাপতি ড. কাজী এরতেজা হাসান সিআইপি’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথি হিসেবে শতাধিক নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে আলোচনা সভা, দোয়া মোনাজাত ও কেক কাটার মাধ্যমে কার্যালয় উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা জেলা  আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সাংসদ আলহাজ্ব একে ফজলুল হক ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, জেলা পরিষদের প্রশাসক আলহাজ্ব মোঃ নজরুল ইসলাম। 
    বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, সহ সভাপতি শাহানা মহিদ বুলু, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক লাইলা পারভীন সেঁজুতি, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক শেখ এজাজ আহমেদ স্বপন, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক শামীমা পারভীন রত্না, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. সুব্রত কুমার ঘোষ,  সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী আখতার হোসেন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফসার আলী বাবলু, ক্রিয়া সম্পাদক আব্দুল কাদের, সদস্য মাহফুজা রুবি, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুর রশিদ। 
    এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম খান বাবু, যুগ্ম আহ্বায়ক এহসান হাবিব অয়ন, পৌর যুবলীগের সভাপতি মনোনয়ন হোসেন অনু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মীর মোস্তাক আলী, মাহবুর রহিম চঞ্চল, কেন্দ্রীয় ছাত্র লীগ নেতা আসিফ শাহাবাজ খান, জেলা ছাত্র লীগের সভাপতি আশিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সুমন হোসেন, শেখ জুবায়ের  আল জামান, সাবেক ছাত্র লীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির বিরাজ, শেখ এজাজ উদ্দীন তাপস, জি, এম সামিউল ইসলাম রাব্বি,  ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মুশফিকুর রহমান মিল্টন, স্বেচ্চাসেবক লীগ নেতা কাজী নজরুল ইসলাম বাবু, রবিউল ইসলাম, যুবলীগ নেতা এস এম তুহিনুর রহমান তুহিন, জি এম আহসান, কাজী সাইদ হাসান দোলন, মনিরুল ইসলাম ফুলবাবু, শেখ শাহাজান কবীর সাজু, নাসির রহমতুল্লাহ প্রমুখ।
    বক্তারা বলেন, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের  সহ-সভাপতি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শিল্প-ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য,দৈনিক ভোরের পাতা,দ্য পিপলস্ টাইম পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক এবং এফবিসিসিআই’র পরিচালক- ড.এরতেজা হাসানের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতা-কর্মী-সমর্থকরা। এছাড়াও আওয়ামী লীগের অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এই মহতী উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান এবং তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
    কার্যালয় উদ্বোধন শেষে ড.এরতেজা হাসান সাংবাদিকদের জানান, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের নিজস্ব কার্যালয় নিজ খরচে নির্মাণ করে দেওয়ার উদ্যোগও অনেকখানি এগিয়েছে।স্থায়ী কার্যালয় স্থাপনের জন্য জমি চেয়ে নিজ স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত একটি লিখিত আবেদন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক বরাবর দাখিল করেছি। জেলা প্রশাসন থেকে এ ব্যাপারে আন্তরিক সহযোগিতার আশ্বাসও মিলেছে। জমি পাওয়ার পরপরই সেখানে পরিকল্পনা অনুযায়ী স্থায়ী কার্যালয় নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে তিনি জানান। সেই আবেদনে জোর সুপারিশ করেছেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাবেক সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে ফজলুল হক এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের প্রশাসক আলহাজ্ব মো. নজরুল ইসলাম।
    এর আগে গত বছরের ১১ নভেম্বর সাতক্ষীরা জেলা শহরের কামালনগরে তুফান কনভেনশন সেন্টারের যমুনা হলে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির প্রথম পরিচিতি সভায় এই সাহসী ঘোষণা দিয়েছিলেন ড.কাজী এরতেজা হাসান।
    গত নভেম্বরে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাবেক সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা একে ফজলুল হকের সভাপতিত্বে নির্বাহী কমিটির সেই সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. আ. ফ. ম রুহুল হক এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. নজরুল ইসলাম। সম্মানিত অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য এস এম জগলুল হায়দার।
    সেই অনুষ্ঠান শেষে, স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে ড.কাজী এরতেজা হাসান বলেছিলেন, ‘সাতক্ষীরা আওয়ামী লীগের নিজস্ব কোনো ভবন বা কার্যালয় নেই। এটা সত্যিই বেদনার। আমি নিজে দায়িত্ব নিয়ে দলীয় স্থায়ী কার্যালয় করার জন্য সব খরচ বহন করব। কেননা ৫০ বছরেও সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের নিজস্ব কার্যালয় না থাকাটা আমাকে পীড়া দিয়েছে। জামায়াত-বিএনপির আখড়া খ্যাত সাতক্ষীরাকে শেখ হাসিনার ঘাঁটিতে পরিণত করতে আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। কেননা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শিক কর্মী হিসাবে এবং জেলা আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল নেতা হিসাবে আমার দায় রয়েছে। এ কারণেই নিজস্ব কার্যালয় স্থাপনের মাধ্যমে প্রথম ধাপে জেলা আওয়ামী লীগকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।’
    সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চলনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক হারুন-আর-রশিদ, অনুষ্ঠান শেষে দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা উপ কমিটির সদস্য, দৈনিক ভোরের পাতার প্রধান সম্পাদক, সাবেক ছাত্রনেতা কাজী হেদায়েত হোসেন (রাজ)।

  • বাংলাদেশ গ্রাম ডাক্তার কল্যাণ সমিতি কলারোয়া পৌর শাখার কমিটি গঠন

      আহসান উল্লাহ কলারোয়া প্রতিনিধি বাংলাদেশ গ্রাম ডাক্তার কল্যাণ সমিতি কলারোয়া পৌর  শাখার গ্রাম ডাক্তার সম্মেলন ও কমিটি গঠন করা হয়েছে। কলারোয়া  উপজেলা অডিটোরিয়ামে ৪ জুন (শনিবার)সকাল ১১টায় কলারোয়া উপজেলা শাখার সভাপতি গ্রাম ডাঃ নজরুল ইসলামের  এর সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, কলারোয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃআমিনুল ইসলাম লাল্টু।প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ  গ্রাম ডাক্তার কল্যাণ সমিতির সাতক্ষীরা জেলার  সভাপতি গ্রাম ডাঃমাহবুবুর রহমান,বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা  বুশরা হাসপাতালের পরিচালক  জাহিদুল ইসলাম,বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন কলারোয়া ডক্টর ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের এমডি প্রভাষক ইমরুল হোসেন (মিন্টু)।এ সময় কলারোয়া উপজেলা কমিটির সকল নেতৃবৃন্দ ও কলারোয়া উপজেলার সকল ইউনিয়নের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকরা। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে গ্রা‍ঃ ডাঃ মোঃ দ্বীন আলী শেখ কে সভাপতি, গ্রাম ডাঃসাব্বির আহম্মদ (রাসেল) কে সাধারণ সম্পাদক এবং গ্রাঃ ডাঃ তৌহিদুল ইসলাম কে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট পৌর কমিটি গঠন করা হয়।কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন সহ-সভাপতি যথাক্রমে গ্রাঃ ডাঃকাজী আসাদুল হক,গ্রাঃ ডাঃ শেখর চন্দ্র পাল, গ্রাঃ ডাঃআজগার আলী, সহ সাধারণ সম্পাদক গ্রাঃ ডাঃ গোলাম মোস্তফা,গ্রাম ডাঃ আরিফ মাহমুদ বাপ্পা কোষাধক্ষ্য গ্রাঃডাঃ রবীন্দ্রনাথ দাস,প্রচার সম্পাদক গ্রাম ডাঃ আবুল হোসেন,ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক গ্রাম ডাঃ তাজউদ্দীন,ক্রীড়া সম্পাদক গ্রাম ডাঃ হযরত আলী,সমাজ কল্যাণ সম্পাদক  গ্রাম ডাঃ আবুল কালাম আজাদ।নির্বাহী সদস্যরা হলেন,গ্রাম ডাঃ ইকবাল হোসেন,শিহাব উদ্দীন,নাজমুল হুদা,রফিকুল ইসলাম,শাহারুল ইসলাম,রেজওয়ানা আক্তার লিলি,সুবোল চন্দ্র পাল।সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বাংলাদেশ গ্রাম ডাক্তার কল্যাণ সমিতির কলারোয়া উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক গ্রাম ডাক্তার সেলিম মোঃসিদ্দিকী।

  • সাতক্ষীরায় মানব পাচারের সারভাইভারদের সফল পুন: একত্রীকরণে পরামর্শ সভা

    সাতক্ষীরায় মানব পাচারের সারভাইভারদের সফল পুন: একত্রীকরণে পরামর্শ সভা

    সাতক্ষীরায় মানব পাচারের সারভাইভারদের সফল পুন: একত্রীকরণে সরকরি, বেসরকারি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে জেলা পর্যায়ে পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।বুধবার (২৫ মে) সকাল ১১ টায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলা অফিসে আশ্বাস : মানব পাচার থেকে উদ্ধার প্রাপ্ত নারী-পুরুষের জন্য সুইজারল্যান্ডের অর্থায়নে উইনরক ইন্টারন্যাশনালের সহযোগিতায় এবং অগ্রগতি সংস্থার বাস্তবায়নে আশ্বাস প্রকল্পের মানব পাচার প্রতিরোধে এই পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    ‘আশ্বাস’ প্রকল্পটি মূলত বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে মানব পাচার থেকে উদ্ধারপ্রাপ্ত সারভাইভারদের কাউন্সেলিং ও আইনি সেবা প্রদানের পাশাপাশি তাদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের জন্য কাজ করছে।

    এসময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমা তুজ জোহরা, সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর ইসলাম, সমাজসেবা অফিসার রকুনুজ্জামান, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রোগ্রাম অফিসার ফতেমা জোহরা,যুব উন্নয়ন অফিসার সণ্জীব কুমার দাশ, পাসপোর্ট অফিসের সহকারি পরিচালক শাহাজাহান কবীর প্রমুখ।

    অতিথিরা তাদের বক্তব্যে বলেন,সভ্যতা বিবর্জিত জঘন্য অপকর্ম ‘মানব পাচার’ একটি সামাজিক ব্যাধি।পাচারের নামে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়া হচ্ছে এ দেশের সহজ-সরল মানুষকে। কেউবা সোনার হরিণের আশায় প্রলোভনের ফাঁদে পা রাখছেন অন্ধকার জগতে।এই জঘন্যতম অপরাধটি কোনো একক ব্যক্তির পক্ষে করা সম্ভব নয়। এই অপরাধের পেছনে থাকে বিশাল এক চক্র। যে যে দেশে মানব পাচার হয় সেই দেশের দালালদের মধ্যে থাকে যোগসূত্র। দলবদ্ধ পরিকল্পনার মাধ্যমে এই অপরাধটি সংঘটিত হয়।মানব পাচার জঘন্যতম একটি ব্যবসা। এটি নির্মূলের মাধ্যমে আমরা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তুলতে পারি।

    এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন অগ্রগতি সংস্থার প্রকল্প সমন্বয়কারী অসিত ব্যানার্জী, সিডাব্লিউসিএস এর প্রকল্প সমন্বয়কারী আসাদুজ্জামান রিপন, মটস্ এর প্রকল্প সমন্বয়কারী শ্যামলী রায়, অগ্রগতি সংস্থার কাউন্সিলর সিরাজুম মনিরা প্রমুখ।

  • ভোক্তা অধিকার বিভাগ’ চায় ক্যাব

    ভোক্তা অধিকার বিভাগ’ চায় ক্যাব

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি


    ভোক্তাদের অধিকার সংরক্ষণের জন্য ভোক্তা অধিদপ্তর যথেষ্ট নয়, ভোক্তার অধিকার সংরক্ষণের জন্য ‘ভোক্তা অধিকার বিভাগ’ চায় কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। ২৩ মে সোমবার দুপুর ১২টায় ‘অতিমুনাফা ও প্রতারণার শিকার ভোক্তারা: আইন মানার তোয়াক্কাই নেই’ শীর্ষক এক অনলাইন ওয়েবিনারে সরকারের উদ্দেশ্যে এ দাবি করা হয়।
    ক্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়, বাণিজ্যমন্ত্রণালয়ের কাঠামো অনুযায়ী ভোক্তাদের অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। ভোক্তা অধিদপ্তরও যথেষ্ট নয়। এর জন্য আলাদা মন্ত্রণালয় প্রয়োজন। তবে আপাতত ভোক্তাদের অধিকার সংরক্ষণে ‘ভোক্তা অধিকার বিভাগ’ জরুরি। দাবি না মানলে আন্দোলনে যাবারও হুশিয়ারি দেয়া হয়।
    ওয়েবিনারটি পরিচালনা করেন ক্যাব এর সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মিজানুর রহমান রাজু।
    ক্যাব এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এম সামসুল আলম বলেন, আমরা দীর্ঘদিন থেকে দাবি করে আসছি, হয়তো আমাদের আন্দোলনের পর্যায়ে যেতে হবে। আমরা ভোক্তা মন্ত্রণালয় চাচ্ছিলাম। ভোক্তা অধিদপ্তর ভোক্তাদের অধিকার সংরক্ষণে যথেষ্ট নয়, অন্তত ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণে আপাতত ‘ভোক্তা অধিকার বিভাগ’ চাই। নিশ্চিতভাবে ভোক্তাদের অধিকার সংরক্ষণের জন্য সরকারের পলিসি বিভাগ উদ্যোগ নিবে এবং সরকারের যথাযথ প্রশাসন, তার জায়গা থেকে দায়িত্ব পালন করবেন।
    তিনি বলেন, এখন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ডিজি ছাড়া আর কোথাও ভোক্তাদের যাবার জায়গা নেই। আমরাও কোন জায়গায় কোন কিছু বলে সুবিধা করতে পারছি না। আজকের এই সেমিনারের মাধ্যমে সরকারের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষনের জন্য কেবলমাত্র ভোক্তা অধিদপ্তরই যথেষ্ট নয়, ভোক্তাদের অধিকার রক্ষায় বিভাগ চাই।
    সিমেনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ক্যাব এর ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন।
    তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের অসাধু তৎপরতা অপতৎপরতা ঠেকাতে ভোক্তা সংরক্ষন অধিদপ্তর, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, সিটি করপোরেশনের বাজার অভিযান পরিচালনা করছে। অপরাধের জন্য আদায় করা হচ্ছে জরিমানা, করা হচ্ছে সতর্ক। কিন্তু তারপরও অসাধু ব্যবসায়ীদের অপতৎপরতা বন্ধ হচ্ছে না।

    সরকারের বিভিন্ন সংস্থার কার্যক্রমের তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, এ অসাধু ব্যবসায়ীদের ভিত এতই শক্তিশালী যে সরকারী প্রশাসন যন্ত্র মনে হয় তাদের কাছে অসহায়, এরা টাকার জোরে সরকারি আমলা, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও বিভিন্ন মিডিয়াকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করেন। বরং এরকম জলজ্যান্ত মানুষ মেরে কোটিপতি হবার লোকের সংখ্যা প্রতিনিয়তই বাড়ছে। ইতিপুর্বে একই কায়দায় গুড়োদুধে ময়দা মিশ্রিত করার হোতাসহ চিনি, সয়াবিন, চাল কেলেংকারী হোতাদের কোন শাস্তি হয়নি। তারা পর্দার আডালে আবার রেহাই পেয়ে যায়। আর সাধারন ভোক্তা হিসাবে জনগন অসচেতন ও অসংগঠিত, ভোক্তার অধিকার সম্পর্কে অজ্ঞতা, ভোক্তা সংগঠনগুলিকে সরকারি উপেক্ষার কারনে প্রকারান্তরে বাংলাদেশকে ভেজাল ও নিন্মমানের খাদ্যের বাজার ও পরীক্ষাগারে পরিণত করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। ফলে মানুষ যা আয় রোজগার করছে তার সিংহভাগই ঔষধ ও চিকিৎসার খরচ যোগাতে চলে যাচ্ছে। সরকার ও বহু জাতিক দাতা সংস্থা গুলি ব্যবসায়ী ও চেম্বারগুলিকে নানা সুবিধা দিলেও ভোক্তাদের সচেতন করার জন্য কোন কার্যকরী পদক্ষেপ নিচ্ছে না। ফলে দেশে ব্যবসায়ী ও ভোক্তাদের মধ্যে ভারসাম্যহীন পরিস্থিতি বিরাজ করছে। যা ব্যবসায় সুস্থ ধারা বিকাশে বিশাল প্রতিবন্ধক।
    তিনি আরও বলেন, ব্যবসা শুধুমাত্র একটি অর্থ উপার্জনের উপায় নয়, এটা একটি সেবাও বটে। যার মাধ্যমে একজন ব্যবসায়ী ভোক্তাকে খাদ্য-পণ্য ও সেবা সার্ভিস দিয়ে সেবাও করছেন। পণ্যের মূল্য ঘষামাজা করে অতিমুনাফা আদায়ে সচেষ্ঠ হওয়াকে ব্যবসা বলা যাবে না। এটা প্রতারনা আর এই প্রতারনা ফৌজদারী অপরাধও বটে। তবে আইন দিয়ে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ সব সময় সম্ভব না ও হতে পারে। এজন্য প্রয়োজন অতিমুনাফালোভী, প্রতারক, মজুতকারী ও অসাধু ব্যবসায়ীদের সামাজিক ভাবে বয়কট করা। তাহলেই হয়তো ব্যবসা-বানিজ্যে জবাবদিহিতা ও সুশাসন নিশ্চিত হবে।
    দেশে এমন কোন খাত নেই যেখানে অসাধু ব্যবসায়ীরা মাথা চারা দেয়নি বলে আক্ষেপ প্রকাশ করে ড. এম সামসুল আলম আরও বলেন, আমরা ভোক্তারা অনেকটা বন্দী হয়ে গেছি। এই বন্দি দশা থেকে মুক্তি দেবার জন্য দেশের আইন, সরকারি প্রতিষ্ঠান কেউ-ই সফল নন।
    ভোক্তাদের প্রতি অনুরোধ রেখে তিনি বলেন, আপনারা জেলায় জেলায় অন্তত একটা করে ঘটনা চিহ্নিত করুন। যাতে এসব ঘটনাকে ভোক্তা অধিকার সুরক্ষা আইনের আওতায় এনে আদালতে ফৌজদারি আইনে মামলা করা যায়। ভোক্তা অধিদপ্তরের হয়তো এখনও মামলা করার অধিকার নেই। তবে এই আইন করা হচ্ছে। কিন্ত একমাত্র সংগঠন ক্যাব, যাকে মামলা করার অধিকার দেয়া হয়েছে। আমরা প্রয়োজনে প্রমাণ সহ এসব ভোক্তা স্বার্থ বিরোধী ঘটনায় আদালতে যাব।
    সেমিনারে ভোক্তাকণ্ঠের সম্পাদক কাজী আব্দুল হান্নান বলেন, আমাদের দেশে দুটি সময়কে অসাধু ব্যবসায়ীরা কারসাজির মহা উৎসব হিসেবে নেয়। এর মধ্যে রমজানের ঈদ এবং বাজেটকে সামনে রেখে দাম বৃদ্ধির কারসাজি শুরু করে ব্যবসায়ীরা। এবছর ঈদ এবং বাজেট কাছাকাছি সময়ে হওয়ায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আগে থেকেই বাড়িয়ে দিয়েছে। বাজেটকে সামনে রেখে আরেক দফা বাড়ানোর পায়তারা করছে।

  • সাতক্ষীরা বৈকারীতে নিয়োগ বানিজ্য

    স্টাফ রিপোর্টার:

    সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বৈকারী ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অফিস সহকারি, আয়া ও নিরাপত্তাকর্মী পদে টাকার বিনিময়ে গোপনে নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবু হেনা মোস্তফা কামাল মোটা টাকার বিনিময়ে এ নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা করছেন।

    অভিযোগকারী চাকরি প্রার্থীরা জানান, স্বজনদের নিয়োগ দেওয়ার জন্য বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতির নির্দেশে বহিরাগত কোনো প্রার্থীর আবেদন গ্রহণ করেননি। ফলে নিরুপায় হয়ে পড়েছেন তারা।

    তারা বলেন, গত ১৭ মে বৈকারী ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অফিস সহায়ক, নিরাপত্তাকর্মী এবং আয়া পদে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ওই পদগুলোতে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষকের ছেলেকে অফিস সহায়ক পদে, জামাত নেতা শহীদ হাসানের ভাগ্নি মিনুকে আয়া পদে ও রাজাকার জহিরুল ইসলাম টিক্কা খানের ভাগ্নে নুরুজ্জামানকে পিওন পদে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার জন্য তাদের থেকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক আবেদন নেওয়া হয়। তবে বহিরাগত প্রার্থীরা আবেদন জমা দিতে গেলে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান বিভিন্ন অজুহাতে আবেদন গ্রহণ করেননি।

    এ ব্যাপারে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, এ পর্যন্ত আমার কাছে কেউ চাকরির জন্য আবেদনপত্র জমা দেননি। নিজের ছেলের ব্যাপারে তিনি বলেন, আমার ছেলে অফিস সহায়ক পদে চাকরির জন্য আবেদন করতে আগ্রহী। চাকরি প্রার্থীদের অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি কাউকে চাকরির জন্য ঠিক করেছে কিনা সেটা সম্পর্কে আমি অবগত নই। বিষয়টি তাকে জানালে তিনি বলতে পারবেন। এব্যাপারে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবু হেনা মোস্তফা কালামের ব্যবহৃত নাম্বারে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তার নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।

  • দেশে আনা হবে গাফ্‌ফার চৌধুরীর মরদেহ, দাফন মিরপুরে

    দেশে আনা হবে গাফ্‌ফার চৌধুরীর মরদেহ, দাফন মিরপুরে

    শেষ শ্রদ্ধা জানানো ও দাফনের জন্য বাংলাদেশে আনা হবে একুশের গানের রচয়িতা, সাংবাদিক-সাহিত্যিক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর মরদেহ।

    বৃহস্পতিবার প্রবাসী বাংলাদেশি সাংবাদিকদের প্রশ্নে লন্ডনে বাংলাদেশের হাই কমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম বলেন, গাফফার চৌধুরীর শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী, তাকে মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে স্ত্রীর পাশে সমাহিত করা হবে।

    তিনি বলেন, শুক্রবার জুমার নামাজের পর পূর্ব লন্ডনের ব্রিক লেইন মসজিদে গাফফার চৌধুরীর জানাজা হবে।

    ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের ‘বাতিঘর’ গাফফার চৌধুরীর প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য মরদেহ লন্ডনের শহীদ আলতাব আলী পার্কে রাখার পরিকল্পনার কথাও জানান হাই কমিশনার।

    লন্ডনে এসব কার্যক্রম শেষ করে বাংলাদেশ বিমানের কার্গো ফ্লাইটে তার মরদেহ দেশে পাঠানো হবে জানান মুনা তাসনীম।

    হাই কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ’সংশ্লিষ্ট সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে মরহুম আবদুল গাফফার চৌধুরীর মরদেহ আগামী সপ্তাহে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে যত দ্রুত সম্ভব ঢাকায় প্রেরণের জন্যে বাংলাদেশ হাই কমিশন, লন্ডন যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।’

    দেশে ফেরানো হলে ভাষা সংগ্রামী আবদুল গাফফার চৌধুরীর শেষ শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হবে বলে জানান হাই কমিশনার।

    বাংলাদেশের ইতিহাসের বাঁক বদলের সাক্ষী আবদুল গাফফার চৌধুরী বৃহস্পতিবার ভোরে লন্ডনের একটি হাসপাতালে মারা যান।