Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
বিশেষ সংবাদ Archives - Page 25 of 74 - Daily Dakshinermashal

Category: বিশেষ সংবাদ

  • শেখ রাসেলের সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

    শেখ রাসেলের সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

    ন্যাশনাল ডেস্ক: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে শহীদ শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন উপলক্ষে তার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) সকালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় তার সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানাও উপস্থিত ছিলেন।

    পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে বঙ্গবন্ধুর এই দুই কন্যা কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। পরে সেখানে সমাহিত স্বজনদের কবরে ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে দেন তারা।

    নিহত স্বজনদের স্মরণ করে দুই হাত তুলে মোনাজাতও করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা।

    প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকেও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। শেখ রাসেল দিবস-২০২২ উপলক্ষে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেও বনানীতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

    এদিকে ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলে অবস্থিত শেখ রাসেলের ম্যুরালেও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট ভাই শেখ রাসেল ১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর ধানমন্ডির ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবনে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মানবতার শত্রু ঘৃণ্য ঘাতকদের নির্মম বুলেট থেকে রক্ষা পাননি শিশু শেখ রাসেল। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে নরপিশাচরা নির্মমভাবে তাকেও হত্যা করেছিল। তিনি ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।

    ঘাতকদের হাতে সেদিন একে একে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল এবং পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল। পৃথিবীর এ জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর অনুজ শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত এবং তার ছেলে আরিফ ও সুকান্তবাবু, মেয়ে বেবি, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মণি এবং আবদুল নাঈম খান রিন্টু ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও ঘনিষ্ঠজন।

    এ সময় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান।

  • হিজড়া জনগোষ্ঠির সদস্যদের নকশীকাঁথা ও বিউটিশিয়ান প্রশিক্ষণের উদ্বোধন

    হিজড়া জনগোষ্ঠির সদস্যদের নকশীকাঁথা ও বিউটিশিয়ান প্রশিক্ষণের উদ্বোধন

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: সরকারের অগ্রাধিকার ভিত্তিক উন্নয়ন কর্মসূচির অংশ হিসেবে সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠির মানুষকে কর্মক্ষম করে গড়ে তুলে মূল ¯স্রোতে সম্পৃক্ত করতে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবাহিত হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে সাতক্ষীরা হিজড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়েেন বিউটিশিয়ান ও নকশিকাঁথা প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করা হয়েছে। সাতক্ষীরা সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হিজড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় ১২ দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করা হয়েছে।

    সমাজসেবা অধিদপ্তরের উদ্যোগ আয়োজিত এবং স্বদেশ-সাতক্ষীরার কোর্স পরিচালনায় ১০ অক্টোবর ২০২২ সোমবার দুপুরে শহরের ম্যানগ্রোভ সভাঘরে লো সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সন্তোষ কুমার নাথের সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন খুলনা বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়ের পরিচালক (উপসচিব) ােঃ আব্দুর রহমান।

    স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্বদেশ’র নির্বাহী পরিচালক মাধব চন্দ্র দত্ত। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক ও উন্নয়নকর্মী ফারুক রহমান। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লো তথ্য অফিসার জাহারুল ইসলাম, জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো: রোকনুজ্জামান, শহর সমাজসেবা অফিসার মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ বেতারের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি ফারুক মাহবুবর রহমান, লাইট হাউস ডিআইজির ম্যানেজার সনজু মিয়।

    উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, বর্তমান সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের অংশ হিসেবে সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠিকে প্রশিক্ষিত করে মূল ¯স্রোতে ফিরিয়ে এনে অর্থনৈতিক কর্মসূচিতে সম্পৃক্ত করতে সর্বাত্মক চেষ্টা করছে এবং নানামুখি কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এরই ধারাবাহিকতায় সাতক্ষীরা জেলার হিজড়া জনগোষ্ঠির সদস্যদের ১২ দিনব্যাপী নকশীকাঁথা ও বিউটিশিয়ান প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে।

    প্রশিক্ষণ পরিচালনা করেন বিউটিশিয়ান মোছলেমা খাতুন মুন্নি ও নকশীকাঁথা প্রশিক্ষক আলেয়া খাতুন মিলি। চল্লিশ জন হিজড়া (তৃতীয় লিঙ্গ) ১২ দিনব্যাপী এই বিউটিশিয়ান ও নকশীকাঁথা তৈরি বিষয়ক প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করছে। সমগ্র প্রশিক্ষণ আয়োজনে সহযোগিতা করেছে লাইট হাউজ ডিআইজি, সাতক্ষীরা জেলা কার্যালয়ের কর্তৃপক্ষ।

  • জেলা পরিষদ নির্বাচন
    চেয়ারম্যান পদে ব্যয়সীমা ৫ লাখ, সদস্য ১ লাখ টাকা

    ন্যাশনাল ডেস্ক: আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীরা সর্বোচ্চ ৫ লাখ এবং সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্য ও সাধারণ সদস্য প্রার্থী ১ লাখ টাকা নির্বাচনি ব্যয় করতে পারবেন। এছাড়া চেয়ারম্যান প্রার্থী ব্যক্তিগত খরচ বাবদ সর্বোচ্চ ৫০ হাজার এবং সাধারণ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্যরা ১০ হাজার টাকা খরচ করতে পারবেন।

    সব প্রার্থীর ব্যয়সীমা সংক্রান্ত এ নির্দেশনা সম্প্রতি রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে পাঠিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান।

    নির্দেশনায় বলা হয়েছে, জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী নির্বাচনি ব্যয় হিসেবে সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা ব্যয় করতে পারবেন। এছাড়া ব্যক্তিগত খরচ হিসেবে সর্বোচ্চ ব্যয় করতে পারবেন ৫০ হাজার টাকা। এদিকে সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্য ও সাধারণ সদস্য প্রার্থী পদপ্রার্থীরা নির্বাচনী খরচ হিসেবে সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা এবং ব্যক্তি খরচ হিসেবে ১০ হাজার টাকা ব্যয় করতে পারবেন।

    নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীদের আয়কর সনদসহ রিটার্ন জমা দেওয়ার প্রমাণ জমা দিতে হবে। অপরদিকে কেবলমাত্র সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা এলাকার সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্য ও সাধারণ সদস্য প্রার্থীদের ১২ ডিজিটের আয়কর সনদ ও রিটার্ন জমার প্রমাণ দিতে হবে। তবে, এই দুই পদে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা এলাকার বাইরের প্রার্থীদের আয়কর সনদ দেওয়ার প্রয়োজন পড়বে না।

    প্রার্থীদের নির্বাচনি ব্যয় তার এজেন্ট ছাড়া অন্য কোনও ব্যক্তি খরচ করতে পারবেন না। যা কোনও তফসিলি ব্যাংকের নতুন একটি অ্যাকাউন্ট থেকে পরিচালিত হতে হবে।

    এদিকে অপর একটি নির্দেশনায় জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটকক্ষে কোনও ভোটার মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রে পোলিং এজেন্ট ও নির্বাচনি এজেন্টও মোবাইল ব্যবহার করতে পারবে না।
    নির্বাচনের ফলাফল সরকারি গেজেটে প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে ব্যয়ের তথ্য দাখিল করতে প্রার্থী বাধ্যবাধকতা দিয়েছে ইসি।

    নির্দেশনায় এসব তথ্য ভোটারদের মাঝে প্রচারের ব্যবস্থা করার জন্যও রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছে সংস্থাটি।

    অন্যদিকে প্রার্থী তার ব্যয়ের উৎস হিসেবে ইসি নির্দেশিত খাতের বাইরে যেতে পারবেন না। এক্ষেত্রে প্রার্থীর পেশা থেকে আয়, বাবা-মা, ছেলে-মেয়ে, স্বামী-স্ত্রী আর ভাই-বোনের কাছে (অন্য কোনও ব্যক্তির কাছ থেকে ধার বা ঋণ নেওয়া যাবে না) থেকে ধার বা ঋণ হবে ব্যয়ের উৎস। তবে কোনও সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান প্রার্থীকে স্বেচ্ছায় দান করতে পারবে।

  • শারদীয় দুর্গোৎসবের মহাসপ্তমী উপলক্ষে সাতক্ষীরায় সদর সার্বজনীন পূজা মন্দিরের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ

    শারদীয় দুর্গোৎসবের মহাসপ্তমী উপলক্ষে সাতক্ষীরায় সদর সার্বজনীন পূজা মন্দিরের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ


    নিজস্ব প্রতিনিধি : শারদীয় দুর্গোৎসবের মহাসপ্তমী উপলক্ষে সাতক্ষীরায় আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (০২ অক্টোবর) রাত ৮টায় সাতক্ষীরা সদর সার্বজনীন পূজা মন্দিরের আয়োজনে নারকেলতলা কর্মকার পাড়ায় এলাকায় সদর সার্বজনীন পূজা মন্দির কমিটির উপদেষ্টা অধ্যাপক ভূধর চন্দ্র সরকারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এবং পুরস্কার বিতরণ করেন সাতক্ষীরা সদর-২ আসনের সংসদ সদস্য নৌ-কমান্ডো ০০০১ বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. আসাদুজ্জামান বাবু, মালেশিয়া থেকে আগত ভিজে আদায়কালাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওামীলীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শহীদুল ইসলাম, সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর ইসলাম, সদর সার্বজনীন পূজা মন্দির কমিটির উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. সুশান্ত ঘোষ, কিশোরী মোহন সরকার, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গণেশ চন্দ্র মন্ডল, সাতক্ষীরা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সাহাদাৎ হোসেন, জেলা যুব লীগের সিনিয়র সদস্য যুব নেতা মীর মহিতুল আলম মহি, যুব নেতা এ্যাড শেখ তামিম আহমেদ সোহাগ, তালতলা আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক মো. আশরাফুর রহমান খোকন প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন সদর সার্বজনীন পূজা মন্দির কমিটির উপদেষ্টা দীনবন্ধু মিত্র, সভাপতি গৌর দত্ত, সাধারণ সম্পাদক কিরন্ময় সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক মনোরঞ্জন কর্মকার মন্টু, জেলা মৎস্যজীবী লীগের আহ্বায়ক মীর শাহীন, নারী নেত্রী জ্যোৎ¯œা দত্ত প্রমুখ। গীতা পাঠ প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার স্বর্ণ পদক পেয়েছে শ্রেয়ান মজুমদার, দ্বিতীয় পুরস্কার রৌপ্য পদক পেয়েছে অগ্নীব বিশ^াস ও তৃতীয় পুরস্কার রৌপ্য পদক পেয়েছে দীঘি দা। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন স্বদেশ এনজিও’র নির্বাহী পরিচালক মাধব দত্ত ও মন্দির কমিটির সহ-সভাপতি শঙ্কর কুমার রায়। সাতক্ষীরা সদর সার্বজনীন পূজা মন্দিরের আয়োজনে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ শেষে বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি এমপি সদর সার্বজনীন পূজা মন্দির পরিদর্শণ করেন। এসময় এমপি রবি মন্দির প্রাঙ্গণে আগত ভক্তদের সাথে শারদীয় শুভেচ্ছা ও কুশল বিনিময় করেন।

  • নবীনদের উপকূলে সংঘটিত ঘূর্ণিঝড়ের গল্প শোনালেন প্রবীণরা

    ডেস্ক রিপোর্ট: শ্যামনগরের কাশিমাড়ি গ্রামে ‘বহু ঘূর্ণিঝড়ের সাক্ষী যারা’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় নবীনদের উপকূলে সংঘটিত ঘূর্ণিঝড়ের গল্প শুনিয়েছেন প্রবীণরা।
    শনিবার (১ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস উপলক্ষে ‘পরিবর্তিত বিশ্বে প্রবীণ ব্যক্তির সহনশীলতা’ প্রতিপাদ্যে বেসরকারি সংস্থা বারসিকের সহযোগিতায় স্বেচ্ছাসেবক সংগঠন এসএসএসটি এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।
    সভায় শ্যামনগর উপজেলা জনসংগঠন সমন্বয় কমটির সভাপতি শেখ সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও বারসিক কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ মন্ডলের সঞ্চলনায় বক্তব্য রাখেন প্রবীণ নারী সুফিয়া, আনোয়ারা, সাহিদা, আমিরুন, ছফুরা, এসএসএসটির স্বেচ্ছাসেবক স্বপন, হাবিবুর প্রমুখ।
    সভায় প্রবীণ ব্যক্তিরা বলেন, আমরা উপকূলীয় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বাস করি। এখানে বছরের নানা সময়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগ আঘাত হানে। এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করেই আমরা টিকে আছি। অতীতে আমাদের এলাকা নানা প্রাণবৈচিত্র্যে ভরপুর ছিলো। আজ যেন তা রূপকথার গল্প। এখানে যেমন ছিলো প্রাচীন নানান ঐতিহ্য, গোলাভরা ধান, গোয়াল ভরা গরু, তেমনি প্রাকৃতিক জলাশয় ও পুকুরগুলোতে ছিলো হরেক রকমের মাছ। এলাকায় হতো নানা ধরনের ফল ও ফুল, নানান ধরনের সবজী, মসলা ও ডাল। গ্রামীণ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নানা খেলাধুলা ছিল বিনোদনের উৎস। সব কিছুই যেন শেষ হয়ে গেছে। এগুলোর বিলুপ্তির মূল কারণ ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও লবণাক্ততা।
    এসময় প্রবীণরা ১৯৮৮ সালের ঝড়, সিডর, আইলা, রোহানু, মহাসেন, আম্পান, বুলবুল, ফনী, ইয়াসসহ নানা দুর্যোগের কথা তুলে ধরেন।
    তারা বলেন, আগেকার দিনে দুর্যোগ হতো কম। আর এখন ঘন ঘন ঝড় হচ্ছে।
    সভায় তারা আরও বলেন, আগে মানুষ নানান বিনোদনের মধ্যে দিয়ে সময় কাটাতো। পাশাপাশি তারা পুষ্টিকর খাবার পেতো। সেজন্য রোগ বালাই কম হতো। আর এখন প্রতিটি এলাকা অসুখে ভরে গেছে। ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে মানুষ সহায় সম্পদ হারিয়ে খিটখিটে হয়ে গেছে। মানুষের ধৈর্য্য কমে গেছে। মানুষের মধ্যে দেখা দিচ্ছে নানা দ্বন্দ্ব।
    সভায় উপকূলীয় এলাকার উন্নয়নে নবীন ও প্রবীণ সকলের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ, প্রাকৃতিক জলাশয়গুলো উন্মুক্তকরণ, জলাশয় ও সুপেয় পানির পুকুরগুলো পুনঃখনন, প্রবীণদের ভাতার পরিমান বৃদ্ধি ও তাদের বিনোদনের ব্যবস্থা করার সুপারিশ উঠে আসে।

  • ৩শ’ বছরের ঐতিহ্যবাহী গুড়পুকুরের মেলার উদ্বোধন

    ৩শ’ বছরের ঐতিহ্যবাহী গুড়পুকুরের মেলার উদ্বোধন

    নিজস্ব প্রতিনিধি: ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা ও জাঁকজমকপূর্ণভাবে সাতক্ষীরার ৩শ’ বছরের ঐতিহ্যবাহী গুড়পুকুরের মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসন ও সাতক্ষীরা পৌরসভার আয়োজনে সাতক্ষীরা শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির এঁর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে ফিতা কেটে ও বেলুন ফেস্টুন উড়িয়ে এ মেলার উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা সদর-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।
    প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি রবি বলেন, “দীর্ঘ ২ বছর পর ব্যাপক পরিসরে এই ঐতিহ্যবাহী গুড়পুকুরের মেলাটি উদ্বোধন করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। এই মেলাটি এ জেলার ঐহিত্য বহন করে চলেছে। আমরা ছোটবেলা থেকে এ মেলা দেখে আসছি। আগে এই মেলাটি শহর জুড়ে হতো। দেশী বিদেশী বহু মানুষের আনা গোনা হতো এই মেলায়। গুড়পুকুরের মেলার আজকের এই উদ্বোধন দেখে মনে হচ্ছে আগের রুপে ফিরে এসেছে গুড়পুকুরের মেলা।”
    এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. সজীব খান, সাতক্ষীরা পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কাজী আরিফুর রহমান, সাতক্ষীরা পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাজী ফিরোজ হাসান, পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ শফিক উদ-দৌলা-সাগর, পৌরসভার ৮নং কাউন্সিলর শফিকুল আলম বাবু, পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ মারুফ হাসান, মহিলা কাউন্সিলর নুরজাহান বেগম নুরী, পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-দপ্তর সম্পাদক জিয়াউর বিন সেলিম যাদু, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি কাজী হাশিম উদ্দিন হিমেল, সাধারণ সম্পাদক মো. সুমন হোসেন, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক শেখ মুসফিকুর রহমান মিল্টন, মেলা কমিটির চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মানিক শিকদার প্রমুখ।

    এবারের মেলায় শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কের পুরো জায়গা জুড়ে থাকছে প্রায় ২০০টি মনোহারি পণ্যের স্টল। রয়েছে নাগর দোলা, ঘোড়ার গাড়ি। এছাড়া লৌহজাতদ্রব্য, বাঁশ ও বেতের দোকান, নার্সারি দোকান, শিল্পকলা একাডেমির সামনে নাগরদোলা ও রেলগাড়ি, নৌকা, শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কের মধ্যে বিভিন্ন প্রকার মিষ্টির দোকান। রয়েছে শিশুদের জন্য ব্যাপক বিনোদন। তাছাড়াও রয়েছে নানা বয়সী মানুষের জন্য বিনোদন। তবে এবারের মেলায় জুয়া, হাউজি, লটারি, র‌্যাফেল ড্র, লাকি কুপন, ফড়, চরকি, নগ্ন নৃত্য এবং অননুমোদিত যাত্রাগান, পুতুল নাচ বন্ধ থাকবে। প্রাথমিক পর্যায়ে মেলা চলবে মাসব্যাপী।
    উল্লেখ্য, ২০০২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর মেলা চলাকালীন সার্কাস প্যান্ডেলে এবং সাতক্ষীরার রকসি সিনেমা হলে জঙ্গীরা বোমা হামলা চালায়। বোমা হামলায় নিহত হয় ৩ জন। আহত হয় অর্ধশতাধিক। এর পর থেকে মেলায় বহিরাগত ব্যবসায়ীদের আসা অনেকটা কমে যায়। করোনার পরবর্তী দীর্য় ২ বছর পর মেলা জাঁকজকমভাবে উদ্বোধন করা হল।

  • বর্তমানে চারটা বিপদের মুখে রয়েছে বাংলাদেশ : ইনু

    বর্তমানে চারটা বিপদের মুখে রয়েছে বাংলাদেশ : ইনু

    মশাল ডেস্ক: জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেছেন, বর্তমানে চারটা বিপদের মুখে রয়েছে বাংলাদেশ। সুতরাং বাংলাদেশকে যদি সামনের দিকে এগুতে হয়, তাহলে একদিকে অস্বাভাবিক সরকার প্রতিষ্ঠায় বিএনপি-জামায়াতের চক্রান্ত, তালবানি সরকার প্রতিষ্ঠায় বিএনপি-জামায়াতের চক্রান্ত বানচাল করে দিতে হবে। অপরদিকে বাজার সিন্ডিকেটের কারসাজি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করতে হবে।
    সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জাসদের খুলনা বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    হাসানুল হক ইনু আরও বলেন, বৈশ্বিক সংকট আছে, কিন্তু বাজার সিন্ডিকেটের কারসাজির জন্য নিত্যপণ্যের অত্যাধিক মূল্য বৃদ্ধি হয়েছে। সুতরাং দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে বিদেশের ওপর দায় চাপিয়ে পার পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমাদের বাজার সিন্ডিকেটকে যদি ধ্বংস করতে পারি, তাহলে অবশ্যই দ্রব্যমূল্য নাগালের ভেতর আনা সম্ভব হবে। নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখার জন্য সরকারি পদক্ষেপের পাশাপাশি শ্রমিক, গরিব ও মেহনতি মানুষের জন্য রেশনিং পদ্ধতি চালু করা আহ্বান জানান তিনি।
    ১৪ দলীয় জোট প্রসঙ্গে হাসানুল হক ইনু বলেন, একলা চলা নীতিতে চলা আওয়ামী লীগর জন্য হবে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। জাসদ চায় স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তিগুলো ঐক্যবদ্ধ থাক এবং ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক।

    মিয়ানমার ইস্যু নিয়ে তিনি বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ উত্তাপ আমাদের সীমান্তে এসে পৌঁছেছে। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আলোচনা সাপেক্ষে বিষয়টি সমাধান হতে পারে।
    জাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও কুষ্টিয়া জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলিম স্বপনের সঞ্চালনায় বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন জাসদের সাধারণ সম্পাদক এবং সংসদ সদস্য শিরীন আখতার।


    প্রতিনিধি সভায় আরো বক্তব্য রাখেন,জোসদ কেন্দ্রিয় কমিটির উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজি রিয়াজ, জাসদের সহ সভাপতি আফরোজা হক রীনা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিউদ্দীন মোল্লা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান চুন্নু, জাতীয় কৃষক জোটের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, জাসদের স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক ও সাতক্ষীরা জেলা জাসদের সভাপতি শেখ ওবায়দুস সুলতান বাবলু, কুষ্টিয়া জেলা জাসদ সভাপতি গোলাম মহসিন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
    এ সময় কেন্দ্রীয় ও খুলনা বিভাগের ১০ জেলার নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও বিভাগের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও পৌর শাখার নেতারা প্রতিনিধি সভায় অংশ নেন।

  • শ্যালক কর্তৃক ভগ্নিপতিকে হত্যার মূল আসামি গ্রেপ্তার

    শ্যালক কর্তৃক ভগ্নিপতিকে হত্যার মূল আসামি গ্রেপ্তার

    নিজস্ব প্রতিনিধি: কালিগঞ্জে শ্যালক কর্তৃক শাবল দিয়ে আঘাত করে আপন ভগ্নিপতিকে হত্যার মূল আসামি মোঃ আহাদ আলী গাজী (৪০)কে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৬ এর সদস্যরা। রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) যশোর জেলার মনিরামপুর থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামি আহাদ আলী গাজী সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা।

    র‌্যাব সূত্র জানায়, নিহত সামছুর গাজীর ছেলে মোঃ মিজানুর কর্তৃক মাছের ঘেরে মাছ চুরি করা নিয়ে গত ১৫ সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ভিকটিমের সাথে তার শ্যালকদের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সামছুর গাজীর বড় শ্যালক ১নং আসামী মোঃ ফজর আলী এবং ছোট শ্যালক ২নং আসামী মোঃ আহাদ আলী গাজী শাবল দিয়ে ভিকটিমের মাথায় এবং গায়ে এলাপাথাড়ি আঘাত করে । যার ফলে ভিকটিম মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এছাড়াও তারা ভিকটিমের স্ত্রীকেও আঘাত করে গুরতর জখম করে। পরবর্তীতে ভিকটিমকে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভিকটিম মোঃ সামছুর গাজীকে মৃত ঘোষণা করেন।

    এঘটনায় নিহতের ছেলে বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় ৬ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক অজ্ঞাতনামা আরো ২/৩ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই ঘটনা এলাকার জনমনে চাঞ্চল্য এবং উদ্ধেগের সৃষ্টি করে। ঘটনা সংবাদ প্রাপ্তির সাথে সাথে র‌্যাব-৬, সাতক্ষীরা এর একটি আভিযানিক দল আসামীদের আইনের আওতায় আনার জন্য গোপনে ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রাখে।

    এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব-৬, সাতক্ষীরা এর আভিযানিক দলটি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার যশোর জেলার মনিরামপুর থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সামছুর গাজী হত্যার ঘটনার মূল হোতা মোঃ আহাদ আলী গাজীকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামী আহাদ আলী গাজী উক্ত হত্যার সাথে তার সরাসরি সম্পৃক্ততার কথা জানায়। গ্রেফতারকৃত আসামীকে সাতক্ষীরা জেলার কালীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

  • ১৭ সেপ্টেম্বর শনিবার সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের বর্ধিতসভা অনুষ্ঠিত হবে

    প্রেস বিজ্ঞপ্তি: আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর শনিবার সকাল ১০.৩০ মিনিটে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সাতক্ষীরা জেলা শাখার এক বর্ধিতসভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন সংগঠনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ এ কে ফজলুল হক।
    সভায় সভাপতি মন্ডলীর সদস্যবৃন্দ, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্যবৃন্দ, নির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ, সকল উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি – সাধারণ সম্পাদকগণ এবং অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের জেলা শাখার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে উপস্থিত হওয়ার জন্য বিশেষভাবে আহ্বান জানিয়েছেন, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আলহাজ¦ মো: নজরুল ইসলাম।

    বার্তা প্রেরক

    শেখ হারুন উর রশিদ
    দপ্তর সম্পাদক
    সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগ

  • আসন্ন ১৭ আক্টোবর সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জেলা প্রশাসকের নিকট মনোনয়ন পত্র জমা দিলেন নজরুল ইসলাম

    আসন্ন ১৭ আক্টোবর সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জেলা প্রশাসকের নিকট মনোনয়ন পত্র জমা দিলেন নজরুল ইসলাম


    নিজস্ব প্রতিনিধি : আসন্ন ১৭ আক্টোবর সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ¦ মো. নজরুল ইসলাম সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির এঁর নিকট মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে দলীয় নেতৃবৃন্দ, কর্মী-সমর্থক আওয়ামী লীগের অংগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দদের সাথে নিয়ে এ মনোনয়ন পত্র জমা দেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাবেক সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা এ.কে ফজলুল হক, সাতক্ষীরা জেলা নির্বাচন অফিসার ফারাজী বেনজীর আহম্মেদ, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলহাজ¦ মো. আসাদুজ্জামান বাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক আতাউর রহমান গোলদার, কাজী আক্তার হোসেন, জাতীয় মহিলা সংস্থা সাতক্ষীরা জেলা শাখার চেয়ারম্যান ও জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জ্যোৎ¯œা আরা, জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ডা. মুনছুর আহমেদ, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক শিমুন শামস্, সংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক শামীমা পারভীন রতœা, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক লায়লা পারভীন সেঁজুতি, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. সুব্রত কুমার ঘোষ, নির্বাহী কমিটির সদস্য এস.এম শওকত হোসেন, ফিরোজ আহমেদ স্বপন, শেখ আব্দুর রশিদ, মো. শাহ্জাহান আলী, মো. সাহাদাৎ হোসেন, অ্যাডভোকেট সৈয়দ জিয়াউর রহমান বাচ্চু, এনামুল হক ছোট, মিসেস কোহিনুর ইসলাম, শেখ মনিরুল হোসেন মাসুম, নাজমুন নাহার মুন্নি, মো. সামছুর রহমান, মিসেস মাহফুজা রুবি, সাতক্ষীরা প্যের সভার প্যানেল মেয়র কাজী ফিরোজ হাসান, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস.এম আশিকুর রহমান, পৌর কাউন্সিলর সৈয়দ মাহমুদ পাপা, শেখ শফিক উদ-দৌলা-সাগর, শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন কালু, শেখ আনোয়ার হোসেন মিলন, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এস.এম মারুফ তানভীর হোসাইন সুজন, জেলা কৃষক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস.এম রেজাউল ইসলাম, পৌর আওয়ামী লীগ নেতা এ.এস.এম মাকছুদ খান, জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবিহা হোসেন প্রমুখ। মনোনয়ন পত্র জমা দিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ নির্বাচনে আমাকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছেন। আমি জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে চির কৃতজ্ঞ। আমি খুবই ভাগ্যবান হাজার হাজার দলীয় নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে আজ মনোনয়ন পত্র জমা দিলাম। আমি বিগত সময়ে জেলার উন্নয়নে সকলকে সাথে নিয়ে সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ব্যাপক কাজ করেছি। ইনশাল্লাহ আমি সকলের দোয়া ও ভালবাসায় অনেক ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করবো এবং আমার অসমাপ্ত উন্নয়ন কাজগুলি করবো। এদিকে সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে চেয়ারম্যান পদে জমা পড়েছে ২টি মনোনয়ন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ¦ মো. নজরুল ইসলাম এবং স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন সাবেক ছাত্র নেতা ও বিশিষ্ট সমাজসেবক এম খলিলুল্লাহ ঝড়–। সাধারণ সদস্য পদে মনোনয়ন জমা পড়েছে ২৭টি ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে মনোনয়ন জমা পড়েছে ১১টি। এসময় দলীয় নেতৃবৃন্দ, কর্মী-সমর্থক আওয়ামী লীগের অংগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

  • স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আদরের পক্ষ থেকে রান্না করা খাদ্য বিতরণ

    স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আদরের পক্ষ থেকে করোনায় কর্মহীন দুস্থ মানুষের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে পলাশপোলস্থ এস এম মটর এর শোরুমের সামনে এ খাদ্য বিতরণ করা হয়।
    এসময় উপস্থিত ছিলেন, আদরের পরিচালক ও জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী আক্তার হোসেন, সহকারী পরিচালক ওয়ার্কার্স পার্টি নেতা মকবুল হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মীর মোস্তাক আলী, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সদস্য সচিব শেখ মোশফিকুর রহমান মিল্টন, পৌর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী ইকবল হোসেন প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

  • কুশখালীতে জেলা তথ্য অফিসের মহিলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত

    প্রেস বিজ্ঞপ্তি: জেলা তথ্য অফিস, সাতক্ষীরা কর্তৃক রবিবার সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কুশখালী ইউনিয়ন পরিষদে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা এবং বিভিন্ন সামাজিক বিষয়ে জনগণকে সচেতন ও উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি এপিএ খাতের জুলাই-সেপ্টেম্বর-২০২২ কোয়ার্টারের আওতায় মহিলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা তথ্য অফিসার মোঃ জাহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মুহাম্মদ আব্দুল গফফার, চেয়ারম্যান, কুশখালী ইউনিয়ন পরিষদ, জনাব পুলক চক্রবর্তী, সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা, সিভিল সার্জন অফিস, সাতক্ষীরা, জনাব মোঃ মনিরুল ইসলাম, প্যানেল চেয়ারম্যান, কুশখালী ইউনিয়ন পরিষদ। মোঃ মনিরুজ্জামানের সঞ্চালনায় মহিলা সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য প্রদান করেন সহকারি তথ্য অফিসার, জনাব মোঃ রমজান আলী, কুশখালী ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত সদস্য জনাব মোঃ তুহিন হোসেন, ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য জনাব আফরোজা খাতুন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে প্রায় ১৭০ জন মহিলা অংশগ্রহণ করেন।

  • শ্যামনগরের নরেন্দ্র মুন্ডা হত্যার বিচার ও অভিযুক্তদের দ্রæত গ্রেফতারসহ ৫ দফা দাবিতে স্মারক লিপি

    শ্যামনগরের নরেন্দ্র মুন্ডা হত্যার বিচার ও অভিযুক্তদের দ্রæত গ্রেফতারসহ ৫ দফা দাবিতে স্মারক লিপি

    নিজস্ব  প্রতিনিধি :
    সাতক্ষীরার শ্যামনগরের নরেন্দ্র নাথ মুন্ডা হত্যার সুষ্ঠু বিচার ও অভিযুক্তদের দ্রæত গ্রেফতারসহ ৫ দফা দাবিতে স্মারক লিপি প্রদান করা হয়েছে। সাতক্ষীরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা কমিটির পক্ষ থেকে বুধবার সাতক্ষীরা-৪ আসনের সংসদ সদস্য এস এম জগলুল হায়দার,উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম আতাউল হক দোলন এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার আক্তার হোসেনের কাছে স্মারক লিপি প্রদান করা হয়।
    এসময় নরেন্দ্র হত্যা সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিতসহ আসন্ন দুর্গাপূজায় যাতে শ্যামনগরে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সে বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের আশ^াস প্রদান করেন।

    স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা কমিটির আহবায়ক অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, সদস্য সচিব আলীনুর খান বাবলু, সদস্য সাংবাদিক কল্যাণ ব্যাণার্জি, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী সাতক্ষীরার সভাপতি শেখ সিদ্দিকুর রহমান, বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল সাতক্ষীরার সভাপতি তরিকুল ইসলাম, শম্পা গোস্বামী, এম বেলাল হোসাইন, মুন্ডা উন্নয়ন সংস্থা (শামস) এর পরিচালক কৃষ্ণপদ মুন্ডা, নিহত নরেন্দ্র মুন্ডা হত্যা মামলার বাদী ফনিন্দ্র মুন্ডা, আদিবাসী মুন্ডা সম্প্রদায়ের স্বার্থ সংরক্ষন আন্দোলন সংগ্রাম কমিটির সদস্য সচিব গোপাল কৃষ্ণ মুন্ডা যুগ্ম সদস্য সচিব প্রভাষক দিপংকর বিশ^াস, জাসদছাত্রলীগ নেতা মফিজুল ইসলাম প্রমুখ।

    স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে,জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে ৪ মূলনীতির ভিত্তিতে দেশটি স্বাধীন হয়। স্বাধীনতার পর রাষ্ট্রীয় দলীল সংবিধানে বলা হয় ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, লিঙ্গ ভেদে কোন বৈষম্য রাষ্ট্র কর্তৃক করা হবে না। সকলের জন্য সমান মর্যাদার স্বীকৃতি সংবিধানে প্রদান করা হয়। জননেত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রক্ষমতায় আসীন হয়ে সংবিধান সংস্কার কমিটিরমাধ্যমে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্টি তথা আদিবাসীদের প্রথাগত ভুমির অধিকারকে স্বীকৃতি দেন। আদিবাসীর সম্পত্তি হস্তান্তরের পূর্ববত আইনকে বলবত রাখা হয়।

    অর্থ্যাৎ জেলা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া জমি হস্তান্তর নিষিদ্ধ করা হয়। কিন্তু সরকারে নির্বাচনী অঙ্গিকারকে ব্যর্থ করতে ও সংবিধানের প্রতি বৃদ্ধা আঙ্গুল প্রর্দশন করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ধ্বংশ করতে নানা অপচেষ্ঠা করে আসছে একটি অপশক্তি। যার ধারাবাহিকতায় শ্যামনগরে আদিবাসী মুন্ডাদের সম্পত্তি দখল হত্যা, যতিন্দ্রনগরে আহমাদিয়াদের বিরুদ্ধে ধর্মীয় সভায় উস্কানী মূলক বক্তৃতা, ধর্মীয় সংখ্যা লঘুদের (হিন্দু) বিরুদ্ধে বিভিন্ন উস্কানী মূলক অপপ্রচারসহ নানা প্রক্রিয়ায় সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টি করে সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলার অপচেষ্টা চলছে।

    সম্প্রীতি কমিটির দাবি গুলো হচ্ছে -শ্যামনগরের ধুমঘাট এর আন্তাখালি গ্রামের গত ১৯ আগষ্ট ২২ ভ‚মিদস্যুদের আক্রমনে নিহত নরেন্দ্র মুন্ডার হত্যার সুষ্ঠু বিচার ও অভিযুক্তদের দ্রæত গ্রেফতার। আদিবাসীদের সম্পত্তি হস্তান্তর নিষিদ্ধ থাকলেও তঞ্চকতার মাধ্যমে বোআইনী পদ্ধতিতে রেকর্ডকৃত ও দখলকৃত সকল জমি মুন্ডাদের ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা।

    আগামী দূর্গাপূজাকে সামনে রেখে যাতে কোন ধরনের বিশৃংলা ও সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টি করতে না পারে তার জন্য জরুরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা। যতিন্দ্রনগরে অবস্থানকারী আহমাদিয়াদের সামগ্রিক নিরাপত্তা ও ধর্মীয় সভা সমুহে উষ্কানীমূলক বক্তব্য প্রদান কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ করা। নূরনগরসহ বিভিন্ন এলাকায় অবস্থানকারী শিয়া সম্প্রদায়ের স্বাধীন ভাবে ধর্মীয় অনুষ্ঠান করার ব্যবস্থা করা এবং নি¤œবর্ণের হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

  • ফাইলেরিয়াসিসের উচ্চ ঝুঁকিতে ১৯ জেলার মানুষ

    ন্যাশনাল ডেস্ক: দেশে নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, ১৯টি জেলা ফাইলেরিয়াসিস উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র (আইসিডিডিআর,বি) এ গবেষণা চালিয়েছে।

    বিশেষজ্ঞরা জানান, কিউলেক্স মশার কামড়ের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হয় পরজীবীঘটিত রোগ ফাইলেরিয়াসিস। আক্রান্ত অঙ্গের ফুলে যাওয়া এবং পরবর্তী সময়ে ঘন ঘন জ্বর হওয়া এই রোগের প্রধান উপসর্গ। এ রোগ দীর্ঘমেয়াদে বিভিন্ন মাত্রায় শারীরিক অক্ষমতার কারণ হতে পারে।

    ফাইলেরিয়াসিসে আক্রান্ত পুরুষ রোগীর অণ্ডথলি ফুলে যেতে পারে, যা হাইড্রোসিল নামে পরিচিত। নারীদের ক্ষেত্রে পা, যৌনাঙ্গ ফুলে যাওয়ার ঘটনাও ঘটে। তবে আক্রান্ত ব্যক্তিদের বেশিরভাগই পুরুষ। অণ্ডথলি ফুলে যাওয়া রোগ বেশি পাওয়া যায় দেশের ৩৪ জেলায়। এর মধ্যে উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে ১৯টি জেলা।

    গতকাল সোমবার এ গবেষণার ফলাফল তুলে ধরা হয়। অ থলি ফুলে যাওয়া রোগী শনাক্ত করতে ২০২০ থেকে টানা দুই বছর এই সমীক্ষা করে আইসিডিডিআর,বি। এ সময় প্রতিষ্ঠানটি ৫৭ হাজার ৪৩০ জন নারী ও পুরুষের কেসস্টাডি করে। সমীক্ষায় ৩২ হাজার ৬০৮ জনের শরীরে ফাইলেরিয়াসিস পাওয়া যায়। এর মধ্যে ২৬ হাজার ৫১৬ জনের অ থলি সমস্যা। বাকিরা পা ফুলে যাওয়াসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।

    সমীক্ষায় দেখা যায়, অ থলি ফুলে যাওয়া রোগের উচ্চ ঝুঁকির জেলার মধ্যে রয়েছে রংপুর, দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, বরগুনা, বরিশাল, ঝালকাঠি পটুয়াখালী, পিরোজপুর, চুয়াডাঙ্গা কুষ্টিয়া মেহেরপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পাবনা, রাজশাহী ও সিরাজগঞ্জ।

    অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, এই রোগ প্রতিরোধে ২০০১ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর শিশুদের ফাইলেরিয়ার একটি ট্যাবলেট খাওয়ানো হতো। লক্ষ্যমাত্রা ছিল এই রোগে আক্রান্তের হার প্রতি লাখে একজনে নামিয়ে আনা। এই কর্মসূচির ফলে এটি অর্জনও করেছে বাংলাদেশ। তবে এখনও কিছু জেলায় এ রোগের প্রকোপ রয়েছে।

    তিনি বলেন, ‘অ থলি ফুলে যাওয়া রোগীরা আমাদের সমাজেরই মানুষ। কিন্তু তাঁরা পরিবারেই নানাভাবে অবহেলিত। তাঁদের চিকিৎসায় প্রান্তিক স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্র কমিউনিটি ক্লিনিকেই হয়। কিন্তু এ ধরনের রোগীরা সবকিছু গোপন করতে চান। গত ৫০ বছরে এই রোগের চিকিৎসার মান অনেক বেড়েছে। তবে আমাদেরও সক্ষমতার ঘাটতি রয়েছে।

    তিনি জানান, অনেক রোগী লজ্জার কারণে কাউকে অসুখের কথাও বলেন না। এ ছাড়া অস্ত্রোপচার ব্যয়বহুল হওয়ায় অনেকে এ রোগের চিকিৎসাও করাতে পারেন না। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থায়নে এবং আইসিডিডিআর,বির উদ্যোগে এখন পর্যন্ত অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন ১ হাজার ৪১ রোগী।

  • মোবাইল আউটরিচ প্রকল্পের ত্রৈমাসিক সভা

    মোবাইল আউটরিচ প্রকল্পের ত্রৈমাসিক সভা


    নিজস্ব প্রতিনিধি: মোবাইল আউটরিচ প্রকল্পের ত্রৈমাসিক অগ্রগতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৭ এপ্রিল) বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা শহর সমাজসেবা অফিসের ট্রেনিং রুমে ইউরোপীয় ইউনিয়ন-জার্মান কর্পোরেশন, জিআইজেড’র অর্থায়নে সমাজসেবা অফিস ও সাতক্ষীরা পৌরসভার সার্বিক সহযোগিতায় এবং কারিতাস খুলনা অঞ্চলের আয়োজনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। শহর সমাজসেবা অফিসার মো. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. রোকনুজ্জামান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা সঞ্জীব কুমার দাশ, জেলা সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা পুলক চক্রবর্তী, জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রোগ্রাম অফিসার ফাতেমা জোহরা, জি আই জেড/ ইউএমআইএমসিসি এডভাইজার রতন মানিক সরকার প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন শহর সমাজসেবা কার্যালয়ের সমাজকর্মী ফাতেমা খাতুন ও বন্যা সরকার, কারিতাস খুলনা অঞ্চলের কমিউনিটি ফেন্সেলিটার অর্চনা মল্লিক, মোবাইল আউটরিচ প্রকল্পের ফ্যাসিলেটেটর সোহাগ, ইম্মানুয়েল নাগসহ মোবাইল আউটরিচ টিম’র মেম্বারদ্বয়সহ ও ৬নং ওয়ার্ডের ভলেন্টিয়ার এবং কারিতাসের কর্মকর্তাবৃন্দ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মোবাইল আউটরিচ এর মাঠ কর্মকর্তা প্রতাপ সেন।
    উল্লেখ্য, ইউএমআইএমসিসি প্রকল্পের আওতায় মোবাইল আউটরিচ কর্মসূচির মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের সেবা সমূহ শহরের দূরবর্তী এলাকার দরিদ্র জনগণের কাছে সহজে পৌঁছানোর লক্ষ্যে কাজ করছে।

  • স্টস মানুষের ভিতরে প্রবেশ করলে ক্যান্সার হতে পারে, নিষিদ্ধের দাবি

    স্টস মানুষের ভিতরে প্রবেশ করলে ক্যান্সার হতে পারে, নিষিদ্ধের দাবি

    ডেস্ক রিপোর্ট: অ্যাসবেস্টস শ্বাসযন্ত্রের সাহায্যে মানুষের ভিতরে প্রবেশ করলে বা এর স্পর্শে আশা পানি পান করলে ক্যান্সার হতে পারে। এটি বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ও গবেষণায় প্রমাণিত। এজন্য অ্যাসবেস্টস ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে হবে।

    বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) সাতক্ষীরা পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক আয়োজিত ‘ঘরে অ্যাসবেস্টসের ব্যবহার: ঝুঁকি ও করণীয়’ বিষয়ক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জিক্যাল অনকোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোঃ মনোয়ার হোসেন এ কথা বলেন।

    তিনি আরও বলেন, অ্যাসবেস্টসের কারণে ফুসফুস, পাকস্থলি, মেয়েদের ওভারিয়ান ক্যান্সারসহ বিভিন্ন ক্যান্সার হচ্ছে। পৃথিবীর ৬৬টি দেশে অ্যাসবেস্টস ব্যবহার নিষিদ্ধ। উপকূলীয় এলাকার মানুষ বেশি ক্যান্সার আক্রান্ত হচ্ছে। এর মধ্যে সাতক্ষীরার রোগী বেশি পাওয়া যাচ্ছে। উপকূলীয় এলাকায় অ্যাসবেস্টস ব্যবহার নিষিদ্ধ হওয়া দরকার। এজন্য সচেতনতা বাড়াতে হবে। মানবিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।

    আলোচনা সভায় ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন সাংবাদিক আসাদুজ্জামান সরদার।

    সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক আনিসুর রহিমের সভাপতিত্বে ও নাগরিক নেতা মাধব চন্দ্র দত্তের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন জেলা নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, দক্ষিণের মশাল সম্পাদক আশেক-ই-এলাহী, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী আসাদুল ইসলাম, বারসিকের পরিচালক ও গবেষক পাভেল পার্থ, জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. সুব্রত ঘোষ, বারসিকের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী রামকৃষ্ণ জোয়ারদার প্রমুখ।

    বক্তারা বলেন, অ্যাসবেস্টস আমাদের পরিবেশ ও মানুষের জন্য ক্ষতিকর। সাতক্ষীরা উপকূলের মানুষ অ্যাসবেস্টসের চালের পানি ধরে পান করছে। এই পানি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা খুবই প্রয়োজন। তাহলে ক্ষতির মাত্রাটা বোঝা যাবে।

    বক্তারা অ্যাসবেস্টসের ব্যবহার নিষিদ্ধ করার জোর দাবি জানান।

  • বছর ঘুরে আবার এলো বাঙালির শোকাবহ আগস্ট মাস: বীর মুক্তিযোদ্ধা এমপি রবির পক্ষ থেকে শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি

    বছর ঘুরে আবার এলো বাঙালির শোকাবহ আগস্ট মাস: বীর মুক্তিযোদ্ধা এমপি রবির পক্ষ থেকে শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি


    মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : বছর ঘুরে আবার এলো বাঙালির শোকাবহ আগস্ট মাস। এ মাসে শোককে শক্তিতে পরিনত করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়া ও ডিজিটাল বাংলাদেশের উন্নয়নের রুপকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার পাশে থেকে তার হাতকে শক্তিশালী করার আহবান জানিয়েছেন সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য নৌ-কমান্ডো ০০০১ বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, এ মাসের ১৫-ই আগস্ট পালিত হবে বঙ্গবন্ধুর ৪৭তম শাহাদৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস। ১৯৭৫ সালের এই আগস্ট মাসেই বাঙালি হারিয়েছে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট কালরাতে ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ দেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর তিন ছেলে- শেখ কামাল, শেখ জামাল, শিশু শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল। পৃথিবীর এই ঘৃণ্যতম হত্যাকান্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর সহোদর শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, ভাগ্নে শেখ ফজলুল হক মণি, তার সহধর্মিণী আরজু মণিসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও আত্মীয়-স্বজন। আরও প্রাণ হারান রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধুর সামরিক সচিব কর্নেল জামিল। সেনাবাহিনীর কিছুসংখ্যক বিপথগামী সদস্যের এই পৈশাচিকতায় গোটা বিশ্বে নেমে আসে তীব্র শোকের ছায়া এবং ছড়িয়ে পড়ে প্রচন্ড ঘৃণার ঝড়। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর নোবেল জয়ী পশ্চিম জার্মানির নেতা উইলি ব্রানডিট বলেন, মুজিবকে হত্যার পর বাঙালিদের আর বিশ্বাস করা যায় না। যে বাঙালি শেখ মুজিবকে হত্যা করতে পারে তারা যেকোনো জঘন্য কাজ করতে পারে। এই শোকাবহ আগস্ট মাসেই, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট, গ্রেনেড ছুড়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল জাতির জনকের কন্যা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে। ভাগ্যক্রমে সেদিন তিনি বেঁচে গেলেও ওই গ্রেনেড হামলায় নিহত হন সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের সহধর্মিণী আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা আইভি রহমানসহ ২৪ জন। আর সেই সাথে আহত হন পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী। শোকাবহ আগস্টে সমগ্র জাতির সঙ্গে একাত্ম হয়ে আওয়ামী লীগ, তার সহযোগী, ভ্রাতৃপ্রতিম ও বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক সংগঠন যথাযোগ্য মর্যাদা, শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও ভাবগম্ভীর আর বেদনাবিধূর পরিবেশে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে এই শোকের মাস পালন করবে। আমি এই শোকাবহ আগস্ট মাসে বঙ্গবন্ধু ও তার শহিদ পরিবারসহ যারা এ মাসে শহিদ হয়েছেন তাদের রুহের মাগফিরাত কামনার পাশা পাশি মহান আল্লাহর দরবারে শহিদদের জন্য জান্নাতুল ফেরদাউস কামনা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এমপি রবি।

  • সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি কমিটির মতবিনিময়

    সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি কমিটির মতবিনিময়

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি : সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা কমিটির পক্ষ হতে তালায় সরুলিয়ায় ইউনিয়নে সামাজিক সম্প্রীতি বজায় রাখার লক্ষে একটি প্রতিনিধি দল গতকাল যান। প্রতিনিধি দল স্থানীয় মানুষের সাথে কথা বলেন ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে অনুরোধ করেন। উপস্থিত গ্রামবাসীরা সম্প্রীতি রাখার বিষয়ে আন্তরিকতা দেখান। তারা বলেন, আমাদের এই এলাকায় কখনও কোন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ব্যাঘাত ঘটেনি আগামীতেও ঘটার সম্ভবনা নেই।

    প্রতিনিধি দলের মধ্যে ছিলেন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি কমিটির আহবায়ক অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, জাসদ সাতক্ষীরা জেলা কমিটির সভাপতি শেখ অবাদুস সুলতান বাবলু, দৈনিক প্রথম আলোর স্টাফ রিপোর্টার কল্যাণ ব্যানার্জি, কমিটির সদস্য জি এম মনিরুজ্জামান, সদস্য শেখ ফারুখ হোসেন, ও সদস্য সচিব আলিনূর খান বাবলু।