প্রেস বিজ্ঞপ্তি : র্যাব-৬, সাতক্ষীরা ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গত ০৬ ফেব্রুয়ারি জানতে পারে যে, জেলার শ্যামনগর এলাকায় পাচারকারী চক্রের কতিপয় সদস্য বাঘের চামড়া পাচার করার উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে জেলার শ্যামনগর থানাধীন হরিণনগর ধল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মোঃ হাফিজুর শেখ (৪৭), পিতা- মৃত সুরত শেখ, মোঃ ইসমাইল শেখ (২৪), পিতা- মোঃ মিজানুর শেখ কে গ্রেফতার করে। এ সময় গ্রেফতারকৃতদের হেফাজত হতে ০১টি বাঘের চামড়া উদ্ধার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা স্বীকার করে, মাছধরা ও গোলপাতা সংগ্রহের উদ্দেশ্যে সুন্দরবনে প্রবেশ করে ছাগলের মাংসের মধ্যে বিষাক্ত কিটনাশক ব্যবহার করে বাঘসহ বিভিন্ন ধরনের বন্যপ্রানী শিকার করে। জব্দকৃত চামড়াসহ গ্রেফতারকৃতদের শ্যামনগর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
Category: বিশেষ সংবাদ
-
লেক ভিউ ১ম বিভাগ ক্রিকেট লীগ-২০২৩ এর শুভ উদ্বোধন : মুন্সীপাড়া যুব সংঘ ৫ উইকেটে জয়ী
প্রেস রিলিজ : সাতক্ষীরা জেলা ক্রীড়া সংস্থার ব্যবস্থাপনায় এবং লেক ভিউ ক্যাফে এন্ড রেস্টুরেন্ট এর পৃষ্ঠপোষকতায় সাতক্ষীরা স্টেডিয়ামে আজ (৭ ফেব্রুয়ারী) সকাল ৯-০০টায় শুরু হয়েছে লেক ভিউ ১ম বিভাগ ক্রিকেট লীগ-২০২৩ । খেলার উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) ও চেয়ারম্যান, ক্রিকেট উপ-কমিটি শেখ মঈনুল ইসলাম মঈন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সাজেক্রীস সহ-সভাপতি আশরাফুজ্জামান আশু। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন তুফান কোম্পানী লি: ও লেক ভিউ ক্যাফে এন্ড রেস্টুরেন্ট এর সত্ত্বাধিকারী ১ম বিভাগ ক্রিকেট লীগ-২০২৩ এর পৃষ্ঠপোষক বিশিষ্ট সমাজ সেবক ডাঃ আবুল কালাম বাবলা, সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের ডিআই-১ এইচ এম জাহিদ বিন আলম। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সম্পাদক সাইদুর রহমান শাহীন, ক্রিকেট সম্পাদক মীর তাজুল ইসলাম রিপন, নির্বাহী সদস্য মির্জা মনিরুজ্জামান কাকন, খন্দকার আরিফ হাসান প্রিন্স, মোঃ আব্দুল মান্নান, আ.ম. আখতারুজ্জামান মুকুল, শেখ হেদায়েতুল ইসলাম, ফারহা দীবা খান সাথীসহ জেলা ক্রীড়া সংস্থার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাজেক্রীস কোষাধ্যক্ষ মোঃ ইদ্রিস আলী বাবু (ইদ্রিস বাবু)
-
সাতক্ষীরায় বিক্রেতার দলিল ভূয়া প্রমানিত হওয়ায় টাকা ফেরত চাওয়ায় হত্যার হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
সাতক্ষীরায় জমি ক্রয়ের পর বিক্রেতার দলিল ভূয়া প্রমানিত হওয়ায় টাকা ফেরত
চাওয়ায় ক্রেতার পরিবারের সদস্যদের মিথ্যা মামলায় হয়রানি ও খুন জখমসহ
হুমকি ধামকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে
সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ
সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন, পুরাতন সাতক্ষীরা এলাকার মৃত শেখ মোনায়েম
হোসেনের পুত্র শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন। লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, গত ২৪
আগস্ট১৯৯৮ তারিখে দহাকুলা মৌজায় ২৯২৩ দাগে ০৩ ১/৩ শতক সম্পত্তি আমার
স্ত্রী আনজুয়ারা বেগমের নামে ক্রয় করা হয়। এছাড়া ২০১৯ সালে রমজান বিশ^াস
এবং তার পুত্র রফিকুলের কাছ থেকে ৭৯৮৮ নং দলিলে আমি নিজ নামে ০১১/২ শতক
সম্পত্তি ক্রয় করি। কিন্তু জমিতে যাওয়ার চেষ্টা করলে রমজান আলী ও রজব
আলীর ওয়ারেশগণ বাধা সৃষ্টি করে। সে সময় আমরা আদালতের শরন্নাপন্ন হয়ে
জানতে পারি জমি বিক্রেতা রমজান বিশ^াস ও রজব আলী বিশ^াস, উভয় পিং- মরহুম
মাদার বিশ^াস ১৫ মে ১৯৬৫ সালে ২২৬৫ নং রেজিষ্ট্রিকৃত কোবলামূলে যে
সম্পত্তি কালিপদ ঘোষ, পিং- রামচন্দ্র ঘোষের কাছ থেকে সম্পত্তি ক্রয়
করেছিলেন উক্ত দলিল ভূয়া তঞ্চকী এবং অকার্যকর। এছাড়াও ২৯২৩ দাগে
আনজুয়ারার নিকট যে সম্পত্তি বিক্রয় করেছেন সেটিও দলিল ভূয়া তঞ্চকী এবং
অকার্যকর। জমিতে যাওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ার পর আমরা রমজান আলীর
ওয়ারেশ রফিকুলের কাছে টাকা ফেরত চাইলে তারা আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে
এবং আমাকেসহ আমার সন্তানদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। যার মামলা
নং সিআর ৩৭১/১৯। উক্ত মামলাটির কোন সত্যতা না পেয়ে গত ১৭ আগস্ট২০২২
তারিখে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক উক্ত মামলার সকল আসামীকে খালাস প্রদান করেন।
কিন্তু এরপর আমাদের প্রাপ্য টাকা ফেরত না দিয়ে আমাদের খুন জখমসহ বিভিন্ন
হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে যাচ্ছেন রফিকুলের ভাই নুর ইসলাম। এমনকি আবারো
মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে হয়রানির হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। আমরা গরিব অসহায় এবং
অশিক্ষিত হওয়ায় রফিকুল ও তার পিতা প্রয়াত রমজান আলী আমাদের ভূয়া দলিলের
সম্পত্তির জন্য টাকা গ্রহণ করে ও রেকর্ড করে দেয়। কিন্তু যে সম্পত্তি মূল
দলিলই ভূয়া সে সম্পত্তি আমাদের পাওয়ার সুযোগ না থাকলেও রফিকুল এবং তার
ভাই নূর ইসলাম সেটি না মেনে আমাদের নানাভাবে হয়রানি করে যাচ্ছেন। তিনি
রফিকুল এবং নুর ইসলামের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে
সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্র্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা
করেছেন। -

বাঙালিকে স্বাধীনতা এনে দিয়ে জাতির পিতা অমর হয়ে রয়েছেন : তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, পাঁচ হাজার বছরের ইতিহাসে বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতা এনে দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অমর হয়ে রয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘পাঁচ হাজার বছরের ইতিহাসে বাঙ্গালি জাতিকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাই তিনি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি। যুগে যুগে কোটি কোটি বাঙালির হৃদয়ে অমর।’
কক্সবাজারের রামু উপজেলা স্টেডিয়ামে আয়োজিত সপ্তাহব্যাপী ‘বঙ্গবন্ধু উৎসব ২০২৩’ এর ৬ষ্ঠ দিন শুক্রবার রাতে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ড. হাছান মাহমুদ একথা বলেন।
‘আজ বাংলাদেশে খালি পায়ে বা ছেঁড়া কাপড় পরা মানুষ দেখা যায় না। প্রতিটি জনপদ উন্নয়নের ছোঁয়ায় বদলে গেছে’ উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘এতো উন্নয়ন হয়েছে যে আকাশ থেকে আজ কক্সবাজারকে চেনা যায় না। এটাই বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার উন্নয়ন। এ বছরেই ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেন চালু হবে। কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, বিকেএসপি, ক্যান্টনমেন্ট প্রতিষ্ঠা-এসব স্বপ্নকে সত্যে পরিণত করেছেন শেখ হাসিনা।’
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান এ সময় বিএনপির রাজনীতির সমালোচনা করেন ও নৌকা মার্কায় ভোট চান। তিনি বলেন ‘বিএনপি শীতের পাখি, তাদের দেখা যায় শুধু ভোটের সময়। করোনার সময় বিএনপিকে দেখা যায়নি, তখন কেবল আওয়ামী লীগ নেতাদেরই মানুষের পাশে দেখা গেছে। এতো বড় বড় উন্নয়ন কেবল বর্তমান সরকারই করেছে। এই উন্নয়ন অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনে আবারও সকলকে নৌকায় ভোট দেয়ার আহবান জানাই।’
গভীর রাত অবধি কয়েক হাজার মানুষের এ মেলায় কক্সবাজার পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাবুল শর্মার সভাপতিত্বে উৎসবের প্রধান পৃষ্ঠপোষক কক্সবাজার-৩ আসনের এমপি ও তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, কক্সবাজার জেলার পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট ফরিদুল আলম, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মারুফ আদনান ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
২৯ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৭ দিনের এই উৎসবে প্রতিদিন গভীর রাত পর্যন্ত মঞ্চে বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত গান, কবিতা, নাটক, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ উপভোগ করতে হাজার হাজার মানুষ সমবেত হন। -

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চীনা গুপ্তচর বেলুন ট্র্যাক করছে : পেন্টাগন
পেন্টাগন বৃহস্পতিবার বলেছে, তারা একটি চীনা গুপ্তচর বেলুনকে ট্র্যাক করছে যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনেক ওপর দিয়ে উড়ছিল। বেলুনটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর পারমাণবিক অস্ত্র সাইটগুলো পর্যবেক্ষণ করছে বলে মনে করা হচ্ছে।
একজন সিনিয়র প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেছেন, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অনুরোধে প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন এবং শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা বেলুনটি নামিয়ে আনার কথা বিবেচনা করেছিলেন। কিন্তু সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, এটি মাটিতে থাকা অনেক লোককে বিপদে ফেলবে।
ওই কর্মকর্তা বলেন, বেলুনটি যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পশ্চিমে উড়ে গেছে যেখানে ভূগর্ভস্থ সাইলোসে স্পর্শকাতর বিমানঘাঁটি এবং কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই কর্মকর্তা বলেছেন,‘স্পষ্টতই, এই বেলুনের উদ্দেশ্য নজরদারির জন্য এবং বর্তমান ফ্লাইট পথ এটিকে বেশ কয়েকটি স্পর্শকাতর সাইটে নিয়ে যায়।’
তবে পেন্টাগন এটাকে বিশেষ বিপজ্জনক গোয়েন্দা হুমকি তৈরি করেছে বলে মনে করে না।
কর্মকর্তা বলেন,‘আমরা মূল্যায়ন করি যে বুদ্ধিমত্তা সংগ্রহের দৃষ্টিকোণ থেকে এই বেলুনের সীমিত সংযোজন মূল্য রয়েছে।’
বেলুনটি ‘কয়েকদিন আগে’ মার্কিন আকাশসীমায় প্রবেশ করেছিল উল্লেখ করে এই কর্মকর্তা বলেন, মার্কিন গোয়েন্দারা এর আগে থেকে এটিকে ভালোভাবে ট্র্যাক করছিল।
বাইডেন এটি মোকাবেলার বিকল্পগুলো সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার পর বুধবার ফিলিপাইনে সফররত অস্টিন পেন্টাগনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করেন।
আলোচনা চলাকালীন মন্টানার উপরে থাকা অবস্থায় বেলুনটি পরীক্ষা করার জন্য যুদ্ধবিমান উড্ডয়ন করা হয়েছিল।
তবে কর্মকর্তারা বলেছেন, পেন্টাগনের সিদ্ধান্ত ছিল ‘সম্ভাব্য ধ্বংসাবশেষ পতিত হয়ে মাটিতে থাকা মানুষের নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।’
পেন্টাগনের মুখপাত্র প্যাট রাইডার নিশ্চিত করেছেন, বেলুনটি এখনও মার্কিন আকাশে ট্র্যাক করা হচ্ছে।
‘বেলুনটি বর্তমানে বাণিজ্যিক এয়ার ট্র্যাফিকের ওপরে একটি উচ্চতায় ভ্রমণ করছে। এটি মাটিতে থাকা মানুষের জন্য সামরিক বা শারীরিক হুমকি তৈরি করতে পারে।
রাইডার এক বিবৃতিতে বলেন, চীন অতীতেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নজরদারি বেলুন পাঠিয়েছিল।
সিনিয়র প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বলেছেন,এটি মার্কিন আকাশে অনেক বেশি সময় ধরে রয়েছে। ‘তবে আমরা স্পর্শকাতর তথ্য সংগ্রহের বিদেশী গোয়েন্দাদের বিরুদ্ধে সুরক্ষার জন্য পদক্ষেপ নিচ্ছি।
তাইওয়ান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে ধীরে ধীরে উত্তেজনার মধ্যে বেলুনের উপস্থিতি দেখা যায়।’
চীন বলেছে, তারা একদিন স্বাধীনভাবে শাসিত দ্বীপটিকে মূল ভূখন্ডের সাথে পুনরায় মিলিত করার প্রয়োজনে বল প্রয়োগ করতে হলেও করবে। -

জনগণ আওয়ামী লীগের সঙ্গে আছে আন্দোলন করে লাভ হবে না : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের জনগণ যতদিন আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে আছে, ততদিন আন্দোলন সংগ্রাম করে কেউ সরকারের কোন ক্ষতি করতে পারবে না।
তিনি বলেন, ‘আপনারা আস্থা রাখতে পারেন (আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা) যে জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে। কারণ, আমরা জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি। কাজেই, জনগণ যতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন-সংগ্রাম করে কেউ কিছু করতে পারবে না। ’
প্রধানমন্ত্রী আজ দেশের প্রথম পাতাল মেট্রোরেল এমআরটি লাইন-১ এর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথি’র ভাষণে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, পাতাল রেলের নির্মাণ কাজের উদ্বোধনের মাধ্যমে ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় আরেকটি মাইলফলক স্থাপিত হল’ এবং ‘পাতাল রেলে বাংলাদেশের নবযাত্রা শুরু হল’।
সরকার প্রধান বলেন, বাংলাদেশকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি, দেশ আরো এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশের এই অপ্রতিরোধ্য অগ্রগতি আর কেউ রুখতে পারবে না। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা। এজন্য আপনাদের সহযোগিতা একান্তভাবে কাম্য।
তিনি আবারো সবাইকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও পানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, অন্যথায় বিপদের শঙ্কা রয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। এটা সম্ভব হয়েছে ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর থেকে এ পর্যন্ত গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রয়েছে বলেই। এই গণতন্ত্র আছে বলেই বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে যাত্রা শুরু করেছে। উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। ইনশাল্লাহ ২০৪১ সাল নাগাদ বাংলাদেশ হবে উন্নত সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’।
প্রধানমন্ত্রী আজ সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জের পূর্বাচল ৪ নম্বর সেক্টরে ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) লাইন-১ নির্মাণ কাজের উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুবলীগ নেতা সিরাজ হত্যার প্রতিবাদ সভায় অংশগ্রহণের জন্য ১৯৯৪ সালে ঠিক একই স্থানে নৌকা যোগে এসেছিলেন। আজ তিনি ঠিক সেই স্থানেই পাতাল মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
এর আগে গত ২৮ ডিসেম্বর রাজধানীর দিয়াবাড়ী থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল প্রকল্পের ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) লাইন-৬ এর ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার অংশের উদ্বোধনের মাধ্যমে দেশে প্রথম মেট্রোরেলের যাত্রা শুরু হয়।
প্রকল্প সুত্র জানায়, সরকার ২০২৬ সালের মধ্যে আনুমানিক ৫২,৫৬১.৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর এবং পূর্বাচল থেকে নতুন বাজার পর্যন্ত মাটির নীচ দিয়ে এবং এলিভেটেড উভয় সুবিধা সম্বলিত ৩১ দশমিক ২৪২ কিলোমিটার দীর্ঘ এমআরটি লাইন-১ নির্মাণ করবে। ২০৩০ সাল নাগাদ রাজধানী ঢাকায় মোট ছয়টি মেট্রোরেল রুট উদ্বোধন করা হবে এবং ডিএমটিসিএল এই মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করবে।
এমআরটি লাইন-১-এর দু’টি অংশ থাকবে-একটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত (বিমানবন্দর রুট) ১৯ দশমিক ৮৭২ কিলোমিটার অংশ। এটি হবে ভূগর্ভস্থ এবং এতে ১২টি স্টেশন থাকবে। অপর অংশটি নতুন বাজার থেকে প্রায় ১১ দশমিক ৩৭ কিলোমিটার এলিভেটেড লাইনসহ পূর্বাচল পর্যন্ত (পূর্বাচল রুট)। এতে সাতটি স্টেশন থাকবে। অন্যদিকে বিমানবন্দর রুটের অংশ হিসেবে নতুন বাজার এবং নদ্দা স্টেশন হবে ভূগর্ভস্থ ।
বাংলাদেশ সরকার ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) এমআরটি লাইন-১-এর নির্মাণ কাজের জন্য ৫২,৫৬১.৪৩ কোটি টাকার ব্যয়ভার বহন করবে। এর মধ্যে জাইকা প্রকল্প সহায়তা (পিএ) হিসাবে দেবে ৩৯,৪৫০.৩২ কোটি টাকা এবং বাংলাদেশ সরকার দেবে ১৩ হাজার ১১১ কোটি ১১ লাখ টাকা।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বীর প্রতীক, বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি এবং বাংলাদেশে জাইকা’র চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইচিগুছি তোমোহাইড। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী স্বাগত বক্তৃতা করেন এবং ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক প্রকল্প পরিচিতি তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে এমআরটি লাইন-১ এর ওপর একটি ভিডিও চিত্র এবং প্রকল্পের ওপর এটুআই নির্মিত একটি ‘থিম সং’ পরিবেশিত হয়।বিএনপির ছেড়ে দেয়া সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের ভোট পাওয়ার কথা তুলে ধরে দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘জনগণের মন জয় করেই আমরা ভোট পাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এত বছর মানুষের জন্য কাজ করায় এবং উপকার করায় তারা আমাদেরকে ভোট দিচ্ছে। জনগণের আস্থা-বিশ্বাস আমরা পাচ্ছি। আমাদের কাজের মধ্য দিয়ে জনগণের মন জয় করেই আমরা ভোট পাচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু নিজস্ব অর্থায়নে করার ঘোষণা দিয়েছিলাম। আমরা সেটা করতে সমর্থ হয়েছি। এ পদ্মা সেতু নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র ছিল। আমাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছিল। আমরা জনগণের সেবা করতে এসেছি, জনগণের সেবক। আমরা জনগণের ভাগ্য তৈরি করতে এসেছি, তাদের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে আসিনি। আমরা জনগণকে দিতে এসেছি, তাই এখানে দুর্নীতির প্রশ্ন আসে না।’
তিনি বলেন, গত ১৪ বছরে বাংলাদেশের আমূল পরিবর্তন হয়েছে। দেশ দুরন্ত গতিতে এগিয়ে চলছে। আমাদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল ঢাকার যানজট মুক্ত করার লক্ষ্যে মেট্রোরেল চালু করা। আমরা সেটা করেছি। আওয়ামী লীগ কথা দিলে কথা রাখে। আমরা সেটা রেখেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এমআরটি লাইন-১ নির্মাণকাজ করতে গিয়ে কোনো পরিষেবা স্থানান্তর করতে হবে না। সবকিছু স্বাভাবিক রেখেই এই পাতাল রেলের নির্মাণকাজ চলবে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় আরেকটি মাইলফলক অর্জিত হলো। এর আগে মেট্রোরেল উপহার দিয়েছি। সেটি ওপর দিয়ে যাবে। এবার মাটির নিচ দিয়ে যাবে পাতাল রেল। বাংলাদেশে এ ধরনের আয়োজন প্রথম।’
পাতাল রেলের নির্মাণকাজ করার সময় জনগণের চলাচলে কোনো সমস্যা হবে না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাটির নিচে শব্দহীন বোরিং মেশিন দিয়ে গর্ত করে টানেল করা হবে। ভূপৃষ্ঠের ১০ মিটার নিচে কাজ করা হবে। তাই ওপর থেকে বোঝা যাবে না যে মোটির নিচে কাজ চলছে। প্রকল্পটি আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে পরিবেশ বান্ধব হবে এবং জনগণের যেন কোন অনুবিধা না হয় নির্মান কাজে সেটিরও খেয়াল রাখা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
রাজধানীতে মোট ছয়টি মেট্রোরেল হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ লাইনগুলো করার জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ফিজিবিলিটি স্টাডিও শুরু হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ শহরে তিনটি মেট্রোরেল লাইন করার পরিকল্পনা রয়েছে।
নারায়ণগঞ্জকে একটি গুরুত্বপূর্ণ জেলা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এখানে অনেক কাজ হচ্ছে। তিনটি ফাস্ট ট্র্যাকসহ ৪৬টি ছোট বড় উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে একটা স্পেশাল ইকোনমিক জোন করা হবে, যেটাতে জাপান বিনিয়োগ করছে। এর মাধ্যমে এখানে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হবে।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে নতুন শহর পূর্বাচল গড়ে তোলা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘পূর্বাচল একটি স্মার্ট সিটি হবে। সেই সঙ্গে নারায়ণগঞ্জ শহরকে আমরা স্মার্ট সিটি হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।’
আওয়ামী লীগ যখনই সরকারে আসে, দেশের মানুষের উন্নতি হয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সারা দেশে যোগাযোগ নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে। সারাদেশে একই দিনে ১শ’ সেতু এবং ১শ’ সড়ক ও মহাসড়ক নির্মাণ করেছে, যেটা বোধ হয় কখনো কেউ করতে পারেনি। আওয়ামী লীগ সরকার আছে বলেই কিন্তু এটা সম্ভব হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী দেশের প্রতি ইঞ্চি জমি চাষাবাদের আওতায় আনার মাধ্যমে সার্বিক উৎপাদন বাড়াতে দেশবাসীর প্রতি তাঁর আহবান পুণর্ব্যক্ত করে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
বক্তব্যের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী হলি আর্টিজান জঙ্গি হামলায় নিহত মেট্রোরেলের কাজে যুক্ত সাত জাপানি পরামর্শককে বিশেষভাবে স্মরণ করেন। তাঁদের স্মরণে বাংলাদেশ ও জাপান সরকারের যৌথ উদ্যোগে উত্তরা দিয়াবাড়িতে মেট্রোরেল প্রদর্শনী ও তথ্য কেন্দ্রে স্মৃতিস্মারক স্থাপন করা হয়েছে, যা পরবর্তিতে এমআরটি লাইন-১ এবং এমআরটি লাইন-৫ : নর্দার্ন রুটের নতুন বাজার আন্তঃলাইন সংযোগ স্টেশনে স্থানান্তর করা হবে বলেও জানান তিনি।
ঐ ঘটনার পরও জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত শিনজো আবে ও দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রতি সহযোগিতা অব্যাহত রাখায় তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান প্রধানমন্ত্রী। -

উপনির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মিথ্যাচার করেছেন : ওবায়দুল কাদের
উপনির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মিথ্যাচার করেছেন : ওবায়দুল কাদের

সদ্য অনুষ্ঠিত ৬টি আসনের উপনির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মিথ্যাচার করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘বুধবার অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদের উপ-নির্বাচনগুলোয় ভোটারদের উপস্থিতি নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মিথ্যা তথ্য উপস্থাপনের মাধ্যমে জাতিকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করছেন। তিনি বিএনপির এক হিসাব তুলে ধরে বলেছেন উপ-নির্বাচনগুলোয় ভোটার উপস্থিতি ৫ শতাংশের বেশি হয়নি। যা সম্পূর্ণভাবে ভিত্তিহীন ও বানোয়াট।’
ওবায়দুল কাদের আজ শুক্রবার গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে এই মন্তব্য করেন। মির্জা ফখরুল ইসলামের মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে দেওয়া উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাতেই এই বিবৃতি প্রদান করা হয়।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের লক্ষ্যে এ ধরনের নির্লজ্জ মিথ্যাচার করেছেন। প্রচ- শীত ও প্রতিকূল আবহাওয়া উপেক্ষা করে ভোটাররা ভোট দিতে এসেছিলেন। সবগুলো উপ-নির্বাচনে ২৫ শতাংশের বেশি ভোটাররা ভোট প্রদান করেছেন। এমনকি ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে ভোটার উপস্থিতি ছিল ৪৫ শতাংশের মতো।’
তিনি বলেন,‘উপ-নির্বাচনে যেহেতু সরকার পরিবর্তনের কোন বিষয় থাকে না সেহেতু জাতীয় নির্বাচনের তুলনায় এটা নিয়ে ভোটারদের মধ্যে আগ্রহ কম থাকে। স্পষ্টভাবে বলা যায়, জাতীয় নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি আরও বৃদ্ধি পাবে এবং মানুষ ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে ভোট প্রদান করবে।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সর্বদা দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করে। তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি ঘোষণা করেছেন। অন্যদিকে দুর্নীতি বিএনপির মজ্জাগত বিষয়। দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে তারেক রহমানের নেতৃত্বে হাওয়া ভবন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। তাদের দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার অঙ্গীকার ছিল উন্নয়ন ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে সরকার।
তিনি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে যেখানে সারা বিশ্বে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে সেটা বিবেচনায় না নিয়ে মির্জা ফখরুল অর্বাচীনের ন্যায় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির দায় সরকারের উপর চাপানোর অপচেষ্টা করছেন। দেশবাসী ভালো করেই জানে, যাদের রাজনৈতিক উত্থান গণবিরোধী পন্থার সিঁড়ি বেয়ে তারা সবসময় ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ফায়দা নেওয়ার অপচেষ্টা করবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, হত্যা-ক্যু-ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে যারা গণতন্ত্রের কফিনে পেরেক ঠুকেছে তাদের মুখে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের কথা শোভা পায় না। বিএনপি যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই দেশের গণতন্ত্র মুখ থুবড়ে পড়েছে।
তিনি বলেন, মানবাধিকার হরণ, সংখ্যালঘু হত্যা, বিরোধী মত দমন বিএনপির রাজনৈতিক চরিত্র; মিথ্যাচার তাদের একমাত্র হাতিয়ার। আন্দোলনে জনগণের সাড়া না পেয়ে বিএনপি নেতৃবৃন্দ ষড়যন্ত্রের নীলনকশা সাজাচ্ছে। দেশের জনগণ সেটা বুঝতে পেরেই তাদের আন্দোলনে সাড়া দেয়নি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি মানবিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের নিরন্তর সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি সুশাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন এবং দুর্নীতি ও জবাবদিহিহীনতার চৌহদ্দি ডিঙ্গিয়ে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে দেশবাসী ঐক্যবদ্ধ জানিয়ে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বর্তমান সময়কে ধারণ করেই ভবিষ্যতের দিক-নির্দেশনা দেন। তাঁর সুদক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। একইসাথে এই দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত করতে জাতির সামনে তিনি রূপরেখা তুলে ধরেছেন। ন্যায্যতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিমূলক সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় তিনি ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এর ঘোষণা দিয়েছেন। -

ভোটে হারার পর হিরো আলোমের বর্তমান অবস্থা
বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের উপনির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থী এ কে এম রেজাউল করিম তানসেনের কাছে মাত্র ৮৩৪ ভোটের ব্যবধানে হেরে গেছেন আলোচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম।
বুধবার রাতে ভোট গণনা শেষে উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও বগুড়ার জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ফলাফলে এ তথ্য জানা গেছে।
ঘোষিত ফলাফলে দেখা গেছে, কাহালু ও নন্দীগ্রাম উপজেলার মোট ১১২টি কেন্দ্রে মোট বৈধ ভোট পড়েছে ৭৮ হাজার ৫২৪ ভোট। এর মধ্যে ২০ হাজার ৪০৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন ১৪-দলীয় জোটের প্রার্থী এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন (মশাল)। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আশরাফুল হোসেন (একতারা) পেয়েছেন ১৯ হাজার ৫৭১ ভোট। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মোশফিকুর রহমান (ট্রাক) ১০ হাজার ৭৯১ এবং কামরুল হাসান সিদ্দিকী (কুড়াল) ১০ হাজার ৪৪২ ভোট পেয়েছেন।
এর আগে কাহালু উপজেলার ৬৩টি কেন্দ্রে এগিয়ে ছিলেন হিরো আলম। ওই ৬৩টি কেন্দ্রের ফলাফলে স্বতন্ত্র হিরো আলম পেয়েছেন ১১ হাজার ৫৬৪ ভোট। আর মহাজোটের প্রার্থী এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন পান ৯ হাজার ৪০ ভোট।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রিটার্নিং কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, বগুড়া-৪ আসনে ভোট পড়ার হার ২৩ দশমিক ৯২।
এর আগে দুপুরে বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে হিরো আলম বলেন, ‘সদরের (বগুড়া-৬) কেন্দ্র সব দখল হয়্যা গ্যাচে। ডিসি-এসপিক কয়্যাও কোনো কাম হচ্চে না। সদরের আশা সব শ্যাষ।’ তবে বগুড়া-৪ আসনে ভোট গ্রহণ সুষ্ঠু হচ্ছে জানিয়ে হিরো আলম বলেছিলেন, ‘কাহালু-নন্দীগামের অনেক কেন্দ্র ঘুরে ঘুরে দেকচি। ভোট খুব সুষ্ঠু হচ্চে। মাঠের অবস্থা খুবই ভালো। কাহালু-নন্দীগ্রামের নিশ্চিত এমপি হচ্চি।’
-

শর্ত মানতে রাজী না হওয়ায় ‘আদর্শ’কে স্টল বরাদ্দ দেয়া হবে না : বাংলা একাডেমি
অনলাইন ডেস্ক: স্টল বরাদ্দ সংক্রান্ত শর্তাবলি মেনে চলতে অস্বীকৃতি জানানোর পরিপ্রেক্ষিতে প্রকাশনা সংস্থা ‘আদর্শ’কে অমর একুশে বইমেলায় কোন স্টল বরাদ্দ প্রদান করা হবে না বলে জানিয়েছে বাংলা একাডেমি।
আজ একাডেমির জনসংযোগ উপবিভাগের উপপরিচালক মোহাম্মদ আকবর হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রকাশনা সংস্থা ‘আদর্শ’র স্টল বরাদ্দ সংক্রান্ত শর্তাবলি মেনে চলতে অস্বীকৃতি জানানোর পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ২২ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় স্টল বরাদ্দের লটারিতে অংশগ্রহণে অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে বিবেচনায় প্রকাশনা সংস্থা ‘আদর্শ’-এর অনুকূলে স্টল বরাদ্দ প্রদান করা হবে না।’
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পত্রপত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত সংবাদ দৃষ্টিগোচর হলে অমর একুশে বইমেলা ২০২৩ পরিচালনা কমিটি ‘আদর্শ’ প্রকাশনার প্রকাশিত লেখক ফাহাম আব্দুস সালাম রচিত ‘বাঙালির মিডিয়োক্রিটির সন্ধানে’ বইটি সংগ্রহ করেন এবং উপর্যুক্ত বইটি পাঠ করে কমিটি অমর একুশে বইমেলা ২০২৩ ‘নীতিমালা ও নিয়মাবলি’ এর ১৪ নং অনুচ্ছেদের উপ-অনুচ্ছেদ ১৪.১৪, ১৪.১৫-এ বর্ণিত শর্তাবলি পূরণে সক্ষম হয়নি।
আদর্শ’-র বিতর্কিত বইটির ১৫ নং পৃষ্ঠায় বাঙালি জাতিসত্তা; ১৬ নং পৃষ্ঠায় বিচার বিভাগ, বিচারপতিরা, বাংলাদেশের সংবিধান, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের মাননীয় সদস্যবৃন্দ; ২০ নং পৃষ্ঠায় বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ এবং ৭১ নং পৃষ্ঠায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে অশ্লীল, রুচিগর্হিত, কটাক্ষমূলক বক্তব্য প্রদান করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ‘উপর্যুক্ত বক্তব্য বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৯(২) অনুচ্ছেদে বর্ণিত মত-প্রকাশের স্বাধীনতা, যুক্তিসঙ্গত বিধিনিষেধ সাপেক্ষে বাক ও ভাব-প্রকাশের স্বাধীনতার অধিকারের পরিপন্থি। যারা গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ-বিষয়ে বাংলা একাডেমির প্রতি নিন্দা জ্ঞাপন করেছেন, আমাদের বিশ্বাস তারা এই বিতর্কিত বইটি পাঠ করেননি অথবা পাঠ করলেও বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৯(২)-এর মর্মার্র্থ অনুধাবন করতে সক্ষম হননি।’ -

সরকার রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী
অনলাইন ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উন্নয়ন দর্শন ও সোনার বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নকে সফলভাবে বাস্তবায়নের অঙ্গীকার নিয়ে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আগামীকাল জাতীয় প্রশিক্ষণ দিবস উপলক্ষে আজ রোববার দেয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার সবক’টি লক্ষ্য অর্জনে আমরা সমানভাবে এগিয়ে যাচ্ছি। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে সামিল হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে। উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবেও বাংলাদেশ এখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সমাদৃত। আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ।’ তিনি বলেন, ‘বিএসটিডি দীর্ঘকাল ধরে মানবসম্পদ উন্নয়নের বিভিন্ন কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছে। প্রতিষ্ঠানটি প্রশিক্ষণ বিষয়ক বাস্তবধর্মী প্রশিক্ষণ কর্মসূচি উদ্ভাবন, গবেষণা পরিচালনা, সরকারি-বেসরকারি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানসমূহের সঙ্গে সমন্বয়মূলক কাজ ও উচ্চতর প্রশিক্ষণ আয়োজন করে রাষ্ট্রের মানবসম্পদ উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি আশা করি, বিএসটিডি আগামী দিনেও সরকারের রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করবে এবং মানবসম্পদ উন্নয়নের মাধ্যমে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত, সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা প্রশিক্ষণের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করে প্রশিক্ষণ সেক্টরের উন্নয়ন ও সংস্কার কার্যক্রম অব্যাহত গতিতে চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের সরকার যে জনপ্রশাসন নীতি বাস্তবায়ন করছে, তাতে প্রশিক্ষণকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণ খাতে বরাদ্দ বাড়ানোসহ প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানসমূহের অবকাঠামো উন্নয়নকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ক্যাডার অফিসারদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের মেয়াদ চার মাস থেকে বাড়িয়ে ছয় মাস করা হয়েছে। বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসকে সেবাধর্মী, উন্নয়নবান্ধব ও আধুনিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষণের পরিসর বাড়ানোসহ নানাবিধ সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। যথাযথ প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে একজন নির্বাহী ও কর্মীর মনোবল, দক্ষতা তথা সার্বিক মান উন্নয়ন সম্ভব, যা মানবসম্পদ উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকার বৈশ্বিক মহামারি করোনার ভয়াবহতা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সমস্যাবলী মোকাবিলা করে সর্বক্ষেত্রে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা করোনা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়টি সামনে রেখেই উন্নত রাষ্ট্রের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য সবরকম প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। আর এ লক্ষ্য অর্জনের জন্য সর্বস্তরে দরকার দক্ষ মানবসম্পদ। সুপ্রশিক্ষিত, দক্ষ ও নিবেদিত কর্মীবাহিনী ছাড়া কোন চ্যালেঞ্জ যথাযথভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। আর চৌকশ ও পেশাদার কর্মীবাহিনী গড়ে তোলার প্রধান মাধ্যম হলো প্রশিক্ষণ। প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নেই।’
বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন সমিতি (বিএসটিডি) ২৭তম জাতীয় প্রশিক্ষণ দিবস উদ্যাপন করতে যাচ্ছে জেনে আনন্দ প্রকাশ করেন এবং এই আয়োজনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। এছাড়াও তিনি ২৭তম জাতীয় প্রশিক্ষণ দিবস উদ্যাপন উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন। -

নির্বাচনে সহযোগিতায় অভিজ্ঞতা ও ঐতিহ্যকে কাজে লাগাবে প্রশাসন : মন্ত্রিপরিষদ সচিব 
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনেও অভিজ্ঞতা ও ঐতিহ্যের আলোকে সহযোগিতা করা হবে।
তিনি বলেন, ‘দেশের সব নির্বাচনেই প্রশাসনের তরফ থেকে সহযোগিতা করা হয়েছে। আগামী নির্বাচনের বিষয়েও আমাদের অবস্থান পরিষ্কার।’
মাহবুব হোসেন আরো বলেন, নির্বাচনে সহযোগিতা করার জন্য তাঁদের ঐতিহ্য ও অভিজ্ঞতা আছে। সেই অভিজ্ঞতা ও ঐহিত্যকে কাজে লাগাবে প্রশাসন এবং সেই অভিজ্ঞতার আলোকেই নির্বাচনে সহযোগিতা করা হবে।
মাহবুব হোসেন আজ দুপুরে সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আগামী ২৪ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া তিনদিনব্যাপী জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নির্বাচনে মাঠপ্রশাসনের সহযোগিতা করা নিয়ে করা সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
আগামী ২৪ জানুয়ারি থেকে তিনদিনব্যাপী এই সম্মেলন ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে। জাতীয় নির্বাচনের আগে এটাই শেষ ডিসি সম্মেলন।
এই সম্মেলনে সরকারপ্রধান থেকে শুরু করে সরকারের মন্ত্রী ও সচিবগণ সরাসরি উপস্থিত থেকে ডিসিদের সঙ্গে কথা বলেন এবং বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে হয়তো এটাই শেষ ডিসি সম্মেলন। নির্বাচনের আগে ডিসি সম্মেলন আর নাও হতে পারে। তবে, বছরে একাধিকবার ডিসি সম্মেলনের নজির আছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এবারের সম্মলেনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ সম্পর্কে আলোচনার জন্য ২৪৫টি প্রস্তাব দিয়েছেন ডিসিরা। এর মধ্যে এই সম্মেলনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, স্বাস্থ্য, ভূমি ব্যবস্থাপনা ও শিক্ষার মতো কিছু বিষয় বেশি গুরুত্ব পাবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিনদিনব্যাপী এই সম্মলেন ২৪ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুক্ত আলোচনায় অংশ নেবেন ডিসিরা। ডিসিরা সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরবেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অনুষ্ঠানের পরে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মন্ত্রণালয় ও বিভাগভিত্তিক কার্য অধিবেশন হবে।
সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে (২৫ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী ও প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর সঙ্গে এবং তৃতীয় দিনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে ডিসিরা সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। এতে উপস্থিত থাকবেন বিভাগীয় কমিশনারাও।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত বছরের ডিসি সম্মেলনে মোট ২৪২টি প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছিল, অর্থাৎ সিদ্ধান্ত হয়েছিল। এর মধ্যে ১৭৭টি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হয়েছে। বাস্তবায়নের হার ৭৩ শতাংশ। বাকি ৬৬ টি প্রস্তাব এখনো বাস্তবায়নাধীন। -

দেশের মানুষ বিএনপি নেতৃত্বের পতন চায় : ওবায়দুল কাদের
বাসস : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের মানুষ সরকারের পতন নয়, আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থ বিএনপি নেতৃত্বের পতন চায়।
তিনি বলেন, ‘বিএনপির কবে সম্মেলন হয়েছে ফখরুল সাহেবের কী মনে আছে? আন্দোলনেও ব্যর্থ, নির্বাচনেও ব্যর্থ। বিএনপির নেতাদের টপ টু বটম অনতিবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত। সেটা সময়ের ব্যাপার কী-না আমরা দেখতে চাই।’
ওবায়দুল কাদের আজ রোববার রাজধানীর বনানীতে সড়ক ভবনে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের পরিচালনা পরিষদের সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তারা নিজের ঘরে চর্চা করে না। আওয়ামী লীগে প্রতি তিন বছর পরপর সম্মেলন হয়, প্রত্যেক মাসে আমাদের সম্পাদকমন্ডলির মিটিং হয়। প্রতি ৬ মাসে আমাদের জেলাগুলোকে নিয়ে বর্ধিত সভা হয়। এক বছরে আমাদের জাতীয় কমিটির সভা হয়।’
তিনি বলেন, ‘আমি পিটার হাসকে (মার্কিন রাষ্ট্রদূত) অনুরোধ করব, আপনারা ডেমোক্রেসির কথার বলতে এলে যারা ডেমোক্রেসিকে ধ্বংস করে দিচ্ছে সেই বিএনপিকে জিজ্ঞেস করুন, তাদের ঘরে ডেমোক্রেসি নেই কেন? সেটা আগে জিজ্ঞেস করুন। কেন তারা সম্মেলন করেন না। কয় বছর আগে সম্মেলন করেছে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, যাদের ঘরে গণতন্ত্র নেই, যাদের দলের মধ্যে গণতন্ত্র নেই, তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না। ‘৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানে তাদের কোনও অবদান নেই। তারা গণঅভ্যুত্থানের স্বপ্ন দেখে। কিন্তু তাদের আন্দোলনে তারা জনসাধারণকে যুক্ত করতে পারেনি।
বিএনপিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আগামী নির্বাচন গ্রহণযোগ্য ও অংগ্রহণমূলক হবে। নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। আওয়ামী লীগ সরকার শুধু রুটিন দায়িত্ব পালন করবে। নির্বাচনে অংশ নিয়ে দেখুন আপনাদের জনপ্রিয়তা কতটুকু আছে। পরিবর্তন চাইলে নির্বাচনে আসতে হবে।’
তিনি বলেন, বিশ্ব সংকটের মধ্যেও সরকার সবকিছু সামাল দেয়ার চেষ্টা করছে। বিশ্বে এ সংকটে অন্যান্য দেশে বিরোধী দল দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে, সরকারকে সহযোগিতা করে। কিন্তু আমাদের দেশে বিএনপি সরকারকে সহযোগিতা না করে সংঘাতে যাচ্ছে।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নিজেই আলাপ আলোচনা করছেন। সামাজিক মাধ্যমে উল্টোপাল্টা তথ্যের বিষয়ে আমাদের কোনও মাথাব্যাথা নেই।
এর আগে তিনি সড়কে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের পরিচালনা পরিষদের ১৬তম সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভায় বাস রুট রেশনালাইজেশনের জন্য রাজধানীতে চারটি বাস টার্মিনাল নির্মাণের সিদ্ধান্ত ও সমন্বিতভাবে প্রকল্প নিতে কমিটি গঠন করা হয়।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নুর তাপস, সড়ক সচিব এবিএম আমানউল্লাহ নুরী, ডিটিসিএ নির্বাহী পরিচালকসহ সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা। -

অনলাইন প্রতারণার শিকার আইসিসির
বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। অনলাইন প্রতারণার শিকার হয়ে ২ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার বা বাংলাদেশী মুদ্রায় ২৬ কোটি টাকার বেশি হারিয়েছে আইসিসি।
ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফো ও ক্রিকবাজের প্রতিবেদনে অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্র থেকে অপরাধটি ২০২২ সালে সংগঠিত হয়েছে।
আর্থিক এই প্রতারনার জন্য বিজনেস ই-মেইল কম্প্রোমাইজ (বিইসি) ব্যবহার করেছে প্রতারকরা। এটিকে ‘সবচেয়ে আর্থিক ক্ষতিকারক অনলাইন অপরাধের’ একটি হিসেবে বর্ণনা করেছে ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)।
এ ঘটনা নিয়ে এখনও মুখ খুলেনি আইসিসি। যুক্তরাষ্ট্রে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সন্দেহভাজন জালিয়াতির কথা জানিয়েছে আইসিসি। এটি নিয়ে তদন্ত চলছে। আইসিসির অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু করেছে এফবিআই। জানা গেছে, গত বছর বোর্ডকে এ ঘটনা সম্পর্কে অবহিত করেছিলো আইসিসি।
প্রতারকরা আইসিসির অ্যাকাউন্ট থেকে ঠিক কোন উপায়ে অর্থ সরিয়ে নিয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। দুবাইয়ে সংস্থার সদর দফতরের কোনও কর্মীর সাথে সরাসরি যোগাযোগ করেছিলো কি-না, একবারেই বা একাধিকবার অর্থ সরানো হয়েছে কি-না, তা নিয়েও কিছু জানায়নি আইসিসি বা এফবিআই।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, বেশ কয়েক দফায় কয়েক দিন ধরে ২ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার সরানো হয়েছে। আইসিসির প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন। -

গত ২৪ ঘন্টায় ৯ জন করোনা আক্রান্ত
গত ২৪ ঘন্টায় দেশে আরো ৯ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া গেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)-এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ কথা জানানো হয়েছে।
এতে জানানো হয়, আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৯ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে।
নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৩২ শতাংশ। এ সময় ২ হাজার ৮২৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৪১ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন।
করোনাভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৯০ হাজার ৩৯৬ জন। -

উন্নয়নের জন্য অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহ করুন : বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
অনলাইন ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উন্নয়ন ও কল্যাণমূলক কাজের জন্য অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন ও কল্যাণমূলক কাজের জন্য অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের (প্রাক্তন ছাত্র সমিতির) মাধ্যমে আপনারা (বিশ্ববিদ্যালয়ের) নিজস্ব তহবিল বাড়ান “। তিনি তাঁর নিজস্ব বাসভবন গণভবনে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি কাউন্সিলের (বিইউসি) স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাতে একথা বলেন।
বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নিয়ে বিইউসি গঠন করা হয়েছে। পরে প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি কে এম শাখাওয়াত মুন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন রয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এই অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে নিজস্ব তহবিল সংগ্রহ করতে পারে এবং শিক্ষার্থীদের কল্যাণে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, পড়াশোনার পাশাপাশি প্রতিটি শিক্ষার্থীকে দেশের উন্নয়নে সময়ের উপযোগী মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত মেধাবী এবং তাদের একটু সুযোগ দিলে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষ করে বিদেশ থেকে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে আসতে পারবে। এ লক্ষ্যে তিনি শিক্ষার্থীদের উপযুক্ত মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আরও দায়িত্বশীল ও মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে সোনার ছেলে-মেয়ে হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। সরকারপ্রধান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক কর্মকা- ও সৃজনশীল কর্মকা-ে নিয়োজিত করতে হবে যাতে তারা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ থেকে দূরে থাকে। এ লক্ষ্যে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা পুনরায় চালুর উদ্যোগ নিতে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
এক সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্ত্রের ঝনঝনানি ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অস্ত্রের ঝনঝনানি বন্ধ করেছে, দেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে লৌহহস্তে। তরুণদের দক্ষতা উন্নয়নে সরকার গুরুত্ব দিয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, লেখাপড়া করে চাকরির পেছনে না ছুটে তরুণরা যাতে উদ্যোক্তা হতে পারে এবং অন্যদের চাকরি দিতে পারে সে জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে দেশে শিক্ষার হার ও মান বৃদ্ধি পায়। এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন যে তার সরকার শিক্ষা, গবেষণা, উৎপাদন ও উৎকর্ষের পাশাপাশি দক্ষতা উন্নয়নে গুরুত্ব দিয়েছে। একই সঙ্গে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে সরকার দেশকে ধীরে ধীরে শিল্পায়নের দিকে টেনে নিচ্ছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, তার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নির্দেশনায় সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছে। তিনি বলেন, জয় ইয়ং বাংলা ও সিআরআই-এর মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মকে স্বাবলম্বী হতে উৎসাহিত করছেন। দেশের উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ২০৪১ সালে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন এবং পর্যায়ক্রমে এসব সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। -

বাজার সম্প্রসারণ ও জনগণের ক্রয়ক্ষমতা বাড়াতে পদক্ষেপের আহ্বান প্রধা
স্থানীয় শিল্পকে আরও কার্যকর করতে দেশীয় বাজার সম্প্রসারণ এবং জনগণের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা রপ্তানিও যেমন করবো তেমনি নিজের দেশের বাজারও যাতে সৃষ্টি হয় এবং মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ে সেদিকেও দৃষ্টি দিতে হবে। তাহলেই আমাদের ইন্ডাস্ট্রিগুলো আরো কার্যকর হবে এবং উৎপাদন বাড়াতে পারবে।
আজ রোববার সকালে রাজধানীর পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে মাসব্যাপী ২৭তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা (ডিআইটিএফ-২০২৩) উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। খবর বাসসের
আজকের কূটনীতি রাজনৈতিক কূটনীতি নয়, এটি হবে অর্থনৈতিক কূটনীতি- একথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশে আমাদের সকল দূতাবাসকে আমরা নির্দেশ দিয়েছি, এখনকার ডিপ্লোমেসি এটা পলিটিক্যাল ডিপ্লোমেসি না ইকোনমিক ডিপ্লোমেসি হবে। অর্থাৎ প্রত্যেকটি দূতাবাস ব্যবসা-বাণিজ্য, রপ্তানি, কোন দেশে কোন পণ্যের চাহিদা বেশি, কী আমরা রপ্তানি করতে পারি বা কোথা থেকে আমরা বিনিয়োগ আনতে পারি, সেই দিকে দৃষ্টি দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছি।’
বিভিন্ন দেশে যখন গেছেন তখন সেখানকার রাষ্ট্রদূতদের ডেকে এই বিষযে ব্রিফ করেছেন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েরও একটি উদ্যোগ রয়েছে— যেখানে যে পণ্যের চাহিদা বেশি সেই পণ্যটা আমাদের দেশে আমরা উৎপাদন করে রপ্তানি করবো। এভাবেই বাণিজ্য আমরা বৃদ্ধি করবো।

মাসব্যাপী ২৭তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা – পিআইডি বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা প্রাপ্তির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদাটা কার্যকর করার জন্য ইতোমধ্যে আমরা বিভিন্ন কমিটি করে কোন খাতে আমাদের কী কী করণীয় সেগুলো সুনির্দিষ্ট করে আমরা এগিয়ে যাওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছি এবং আমরা দুই বছর সময় নিয়েছি এই কভিডের কারণে, ২০২৬ এর মধ্যে আমরা উন্নয়নশীল দেশ কার্যকর করবো, যেটা ২০২৪ এ করার কথা ছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এরপরই এলো যুদ্ধ, সেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, স্যাংশন এবং পাল্টা স্যাংশন। যার ফলে আজকে সমগ্র বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দা। উন্নত দেশগুলো হিমশিম খাচ্ছে, নিজেদের মন্দার দেশ হিসেবে ঘোষণা করছে। আমরা কিন্তু এখনও সেই পর্যায়ে যাই নাই। আমরা আমাদের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সক্ষম হয়েছি।’
রপ্তানি বাড়াতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নতুন নতুন বাজার খোঁজার পাশাপাশি দেশে উৎপাদন বৃদ্ধি এবং পণ্য বহুমুখীকরণ, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের দিকে মনোযোগী হতে ব্যবসায়ীদের পরামর্শ দেন সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, আমাদের রপ্তানিযোগ্য পণ্য খুব সীমিত। কিছু পণ্যের ওপর আমরা খুব বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়ছি। এটা বহুমুখী করার কথা আমি বারবার বলে যাচ্ছি। বহুমুখী করা এবং আমরা যত বেশি বাজার পাব তত বেশি আমরা পণ্য রপ্তানি করতে পারবো। আর আমাদের দেশের মানুষের কর্মক্ষমতা যাতে বাড়ে সেদিকেও দৃষ্টি দিতে হবে।

মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা – পিআইডি অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোর বাইরে কল-কারখানা না করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা ইন্ডাস্ট্রি করবেন অর্থনৈতিক অঞ্চলে করতে হবে। তার বাইরে করলে কোনো ধরনের সেবা পাবেন না।
তিনি বলেন, আমরা ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল করছি। এর মধ্যে অনেকগুলোর কাজ আমরা শুরু করে দিয়েছি। এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে আমরা ফাইভ-জি চালু করবো। এটা সব জায়গায় দরকার নেই, এটা অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য প্রযোজ্য বা ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য প্রযোজ্য। সেভাবে আমরা পরিকল্পনা নিচ্ছি।
সেবা খাত বিশেষ করে আইটি ও আইটি এনাবল সার্ভিসের ওপর গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, গত অর্থবছরে এই খাতে রপ্তানি আয় ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে।
ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিদ্যুৎ আর গ্যাস— এটা যদি একেবারে নিরবিচ্ছিন্ন চান তবে এগুলো ক্রয় করতে বা উৎপাদন করতে যে খরচ হবে সেই খরচের দামটা তো দিতে হবে। কত আর ভর্তুকি দেওয়া যাবে। কারণ ভুর্তকি তো জনগণের পয়সা, এত বেশি দেওয়া যায় না। কাজেই ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের এ বিষয়ে অন্তত একটু নজর দিতে হবে। পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উৎপাদনের যাওয়ায় এখন লোডশেডিং কমে গেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা – পিআইডি প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক ঘাত-প্রতিঘাত অতিক্রম করে ’৭৫ এর বিয়োগান্তক অধ্যায়ের দীর্ঘ ২১ বছর পরে ’৯৬ সালে আওয়ামী লীগ আবার সরকারে আসার সুযোগ পায় এবং তাঁর দলের যে অর্থনৈতিক নীতিমালা সেখানে বিরাট একটা পরিবর্তন নিয়ে আসে যার মাধ্যমে বেসরকারি খাতে উদ্যোক্তা সৃষ্টির জন্য বেসরকারি খাতকে উন্মুক্ত করে দেয়।
তিনি বলেন, ‘আজকে আপনারা যা যা দেখেন এত টেলিভিশন, বিমান, হেলিকপ্টার সার্ভিস, ইন্ডাস্ট্রি , ব্যাংক,বীমা, সকলের হাতে মোবাইল ফোন— এতকিছু সম্ভব হয়েছে আমাদের সেই বেসরকারি খাতকে উন্মুক্ত করে দেওয়ার নীতিমালা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার কারণে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা দুর্নীতি করতে আসিনি, দেশের মানুষের ভাগ্য গড়তে এসেছি। বাবা-মা-পরিবার হারিয়ে এদেশে দুর্নীতি করতে ফিরে আসিনি। সব হারিয়ে দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে এসেছি। ২১ বছর পর ক্ষমতায় আসলে আমাদের সরকারের একটি নীতিমালা ছিল ব্যবসাবান্ধব নীতি গ্রহণ করা, সেটাই করেছি।’
তিনি বলেন, ২০০৮ সালে দ্বিতীয়বার সরকারে আসার সময় তাদের নির্বাচনী ইশতেহারের ঘোষণা ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার। আজকে দেশ ডিজিটাল হয়েছে এবং ২০২০ সালে জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকী এবং ২০২১ সালে জাতি যে সময় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছিল সে সময়ই বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা লাভ করে।
প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে পাট ও পাটজাত পণ্যকে ২০২৩ সালের ‘বর্ষপণ্য’ হিসেবেও ঘোষণা দেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান এএইচএম আহসান।
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীরপ্রতীক), সিনিয়র বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ ও এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে দেশের রপ্তানি কার্যক্রমের ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে একটি স্মারক গ্রন্থ ‘আমি তোমাদেরই লোক’ প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করা হয়। প্রধানমন্ত্রী পরে মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন।
এবারের মেলায় স্থানীয় সংস্থাগুলোর পাশাপাশি সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, কোরিয়া এবং ভারতসহ ১০টি দেশের প্রায় ১৭টি সংস্থা অংশ নিচ্ছে।


