নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ক্যান্সার, কিডনী, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারালাইজড জন্মগত হৃদরোগ ও থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মাঝে চেক বিতরণ করা হয়েছে। বুধবার (২১ জুন) সকাল সাড়ে ১০টায় সদর উপজেলার ডিজিটাল কনফারেন্স রুমে সদর উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় ও সদর উপজেলা পরিষদের আয়োজনে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমা-তুজ-জোহরা’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে চেক বিতরণ করেন এবং বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা সদর-২আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি রবি বলেন,“জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে নিতে সমাজসেবা অধিদফতরের মাধ্যমে ভাতা ও অসহায় অসুস্থ্য মানুষের চিকিৎসার জন্য হাজার হাজার কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন। অতীতে কোন সরকার এমন মহৎ উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার করেছে। সেজন্য সকল সুবিধাভোগীদের উচিত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্য জনসম্মুখে স্বস্ফুর্তভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা ও দোয়া করা। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের সরকার। দেশ ও দেশের জনগণের কল্যাণে কাজ করেছে বলেই দেশের জনগণ আবারও নৌকায় ভোট দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আবারও দেশের প্রধানমন্ত্রী করবে ইনশাল্লাহ।” বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. আসাদুজ্জামান বাবু ও জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক সন্তোষ কুমার নাথ প্রমুখ।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার শেখ সহিদুর রহমান, সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. ইয়ারুল হক, শহর সমাজসেবা অফিসার মো. মিজানুর রহমান প্রমুখ।
এসময় বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত সদর উপজেলার ৫৮ জন রোগীর মাঝে ৫০ হাজার টাকা করে মোট ২৯লক্ষ টাকার চেক বিতরণ করা হয়। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার শেখ সহিদুর রহমান।
Category: বিশেষ সংবাদ
-

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ক্যান্সার, কিডনীসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মাঝে চেক বিতরণ করলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এমপি রবি
-

গত ২৪ ঘন্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৪ জনের মৃত্যু

ঢাকা, ১৭ জুন, ২০২৩ (বাসস) : গত ২৪ ঘন্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।এই সময় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৭৭ জন ।
এদের মধ্যে ঢাকায় ৪০২ জন এবং ঢাকার বাইরে ৭৫ জন ভর্তি হয়েছেন।
বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১ হাজার ১৩৮ জন ভর্তি রয়েছেন। এদের মধ্যে ঢাকার ৫৩ টি সরকারী ও বেসরকারী হাসপাতালে বর্তমানে সর্বমোট ভর্তি ৯১১ জন এবং অন্যান্য বিভাগে ভর্তি রোগী ২২৭ জন।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৭ জুন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ভর্তি হয়েছে ৪ হাজার ৬০৩ জন। এদের মধ্যে ঢাকায় ৩ হাজার ৫৭৫ জন এবং ঢাকার বাইরে ১ হাজার ২৮ জন। এ সময়ে মৃত্যু হয়েছে ৩৩ জনের।
এ ছাড়া ডেঙ্গু আক্রান্ত ৩ হাজার ৪৩২ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছে। -

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সাতক্ষীরা জেলার বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত
নিজস্ব প্রতিনিধি : আজ ১৬ জুন শুক্রবার বিকাল ৫:৩০ মিনিটে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সাতক্ষীরা জেলা শাখার ব্যবস্থাপনায় নবারুণ স্কুল মোড় হতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সাতক্ষীরা জেলা সভাপতি মাও: এ.কে.এম রেজাউল করিম এর সভাপতিত্বে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন চলাকালে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত হাতপাখা মার্কার মেয়র প্রার্থী মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম (শায়েখে চরমোনাই) ও নেতাকর্মীদের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত বিক্ষোভ মিছিলটি নবারুণ স্কুল মোড় থেকে শুরু হয়ে তুফান কোঃ মোড় হয়ে নিউ মার্কেট মোড় থেকে মুনজিতপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে এসে বিক্ষোভ সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তাগণ বরিশালে মেয়র প্রার্থীর উপর নির্বাচন চলাকালিন সময়ে হামলার তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
বক্তাগণ উক্ত হামলার সুষ্ঠ বিচার দাবি করেন এবং হামলায় জড়িতদের শাস্তির দাবি জানান। উক্ত সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সাতক্ষীরা জেলা সহ-সভাপতি ডাঃ ইছহাক, সহ-সভাপতি মো: ছারোয়ার আলম, জেলা জয়েন্ট সেক্রেটারি মাও: মাহমুদুল হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী মুবাশ্বীর হুসাইন আলমগীর, দপ্তর সম্পাদক মো: আশরাফুল ইসলাম, দ্বীনি সংগঠন সাতক্ষীরা জেলা সভাপতি আলহাজ্ব শেখ আব্দুর রাজ্জাক, সাধারণ সম্পাদক মো: মনিরুল ইসলাম, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ সাতক্ষীরা জেলা সভাপতি ডা: এবাদুল ইসলাম, জাতীয় শিক্ষক ফ্রম সাতক্ষীরা জেলা সভাপতি মুহাদ্দিস মোস্তফা শামছুজ্জামান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সদর থানা সভাপতি মো: ইমাদুল ইসলাম, সেক্রেটারি ডা: মুস্তাফিজ উর রউফ, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ সাতক্ষীরা জেলা সভাপতি মো: মুবাশশীরুল ইসলাম তকী, সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক মোহাম্মাদ আলী, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ সাতক্ষীরা জেলা সভাপতি গাজী মো: আছাদুল্লাহ্ প্রমুখ।
সমাবেশ পরিচালনা করেন প্রভাষক কাজী মো: ওয়েজ কুরণী, সেক্রেটারি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, সাতক্ষীরা জেলা । -

সুপেয় পানি সরবরহের লক্ষ্যে বাঁশদহা বাজারে ২কোটি টাকা ব্যয়ে পাইপ লাইন ও উচ্চ জলাধার নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এমপি রবি
নিজস্ব প্রতিনিধি : সুপেয় খাবার পানি সরবরহের লক্ষ্যে বাঁশদহা বাজারে পানির পাইপ লাইন ও উচ্চ জলাধার নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার (১০ মে) বেলা ১২টায় বাঁশদহা বাজারে বাঁশদহা ইউপি চেয়ারম্যান মাস্টার মো. মফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ফলক উন্মোচন করে পাইপ লাইন নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা সদর-২ আসনের সংসদ সদস্য নৌ-কমান্ডো ০০০১ বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি রবি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার মতো একজন সাহসী ও দূরদর্শী নেতা আছে বলেই বাংলাদেশ দূর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতেই বাংলাদেশ নিরাপদ। জননেত্রী শেখ হাসিনা তার বুদ্ধিমত্তা ও সঠিক চিন্তাভাবনায় যেভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তা বিশ্বের কাছে দৃষ্টান্ত। আমাদের দেশের ১৭ কোটি মানুষই যুদ্ধা। দেশের একমাত্র সমস্যা হচ্ছে দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রকারীরা। তিনি আরো বলেন, আমার সদর নির্বাচনী এলাকায় কোন মাটির রাস্তা থাকবে না। আমার সদর নির্বাচনী এলাকার মানুষ যেন সুপেয় খাবার পানি খেতে পারে সেজন্য সুপেয় পানির জন্য আমার সদর নির্বাচনী এলাকায় গত ১ বছরে ৩ হাজার ২০০ গভীর নলকুপ, অগভীর নলকুপ ও হাজার হাজার পানির ট্যাংকি দেওয়া হয়েছে। সদরের ১৪টি ইউনিয়নে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। তাই আমার সদরের সকল ইউনিয়নের মানুষ ভালো আছে। বিদ্যুতের লোডশেডিং স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। আর কিছুদিনের মধ্যেই বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হয়ে আসবে ইনশাল্লাহ।”
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য এস এম শওকত হোসেন, সদর উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সাবেক প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান, সাতক্ষীরা পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর বিন সেলিম যাদু, সদর উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী মো. মফিজুর রহমান, সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুল গণি, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মো. আনছার আলী প্রমুখ। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে বাঁশদহা ইউনিয়নে ২কোটি টাকা ব্যয়ে ৫ কিলোমিটার পাইপ লাইনের মাধ্যমে ৫০০ পরিবারের মাঝে পাইপ লাইনের মাধ্যমে সুপেয় খাবার পানি সরবরাহ করা হবে। এসময় দলীয় নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আহছান উদ্দীন। -
স. ম আলাউদ্দীনের ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে
৮ জুলাই মুক্তিযোদ্ধা-প্রজন্ম সমাবেশপ্রেসবিজ্ঞপ্তি : মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক বীরমুক্তিযোদ্ধা স. ম আলাউদ্দীনের ২৮তম
মৃত্যবার্ষিকী উপলক্ষে এক প্রস্তুতি সভা শনিবার (৩ জুন ২০২৩) সকাল ১০টায়
সাতক্ষীরা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পুরাতন ভবনে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বীরমুক্তিযোদ্ধা কাজী রিয়াজ।
বক্তব্য রাখেন বীরমুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, প্রফেসর আব্দুল হামিদ,
বীরমুক্তিযোদ্ধা জিএম আব্দুল গফুর, বীরমুক্তিযোদ্ধা বিএম আব্দুর রাজ্জাক,
বীরমুক্তিযোদ্ধা এড. মোস্তফা নুরুল আলম, এড. শেখ আজাদ হোসেন বেলাল,
বীরমুক্তিযোদ্ধা সফি আহমেদ, বীরমুক্তিযোদ্ধা মফিজ উদ্দীন,
বীরমুক্তিযোদ্ধা মুরালী মোহন সরকার, বীরমুক্তিযোদ্ধা রফিকুজ্জামান খোকন,
সুধাংশু শেখর সরকার, মাধব চন্দ্র দত্ত, জিএম মনিরুজ্জামান, ফজলুর রহমান,
এড. শফিউল ইসলাম খান, কাজী আকতার হোসেন, আদিত্ত মল্লিক, শেখ সিদ্দিকুর
রহমান, আবুল হোসেন, শেখ হারুণ অর রশিদ, জহুরুল কবির, অধ্যাপক ইদ্রিশ আলী,
শেখ তানজির আহমেদ, লায়লা পারভীন সেঁজুতি, এড. আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুর করিম, নাজমুন নাহার
মুন্নি, মো. মফিদুর রহমান লিটু, গাজী শাহজাহান সিরাজ, নিত্যানন্দ সরকার,
আব্দুস সামাদ, স. ম ইকবাল পারভেজ জয়, আব্দুস ছবুর, এড. মোস্তফা
আসাদুজ্জামান দিলু, মাহমুদ আলী সুমন, মো. হজরত আলী, আসাদুজ্জামান সরদার,
আহসানুর রহমান রাজিব, জিএম মনিরুজ্জামান, এমডি রায়হান সিদ্দিকী, অধ্যক্ষ
মোবাচ্ছেরুল হক জ্যোতি, মো. মফিজুল ইসলাম প্রমুখ।
সভায় ১৯ জুন স. ম আলাউদ্দীনের ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আগামী ৮ জুলাই
২০২৩ সকাল ১০টায় মুক্তিযোদ্ধা-প্রজন্ম সমাবেশের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
উক্ত কর্মসূচি সফল করার লক্ষে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের
সদস্য সচিব লায়লা পারভীন সেঁজুতিকে সমন্বয়ক এবং উপস্থিত সকলকে সদস্য করে
একটি কমিটি গঠন করা হয়। -
ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চা
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি : ২০২৩-’২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট জনদুর্ভোগ আরও বৃদ্ধি করবে – ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চা ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চার কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এক বিবৃতিতে আজ ০৩ জুন ২০২৩ শনিবার ২০২৩-’২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটকে গণমানুষের স্বার্থের পরিপন্থী হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, আইএমএফ-এর পরামর্শে ও ধনিকশ্রেণির স্বার্থে প্রণীত এ বাজেট সাধারণ মানুষের জীবনে বিরাজমান সংকট আরও বৃদ্ধি করবে।
ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চা’র সমন্বয়ক নয়াগণতান্ত্রিক গণমোর্চার সভাপতি জাফর হোসেন, বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলনের সমন্বয়ক শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, গণমুক্তি ইউনিয়নের আহŸায়ক নাসির উদ্দিন আহমেদ নাসু, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ এর আহŸায়ক সন্তোষ গুপ্ত, জাতীয় গণতান্ত্রিক গণমঞ্চের সভাপতি মাসুদ খান, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সভাপতি শহিদুল ইসলাম, কমিউনিস্ট ইউনিয়নের আহŸায়ক ইমাম গাজ্জালী গণমাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে এই সব কথা বলেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘দেশের শ্রমিক, কৃষকসহ সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ যখন তীব্র আর্থিক সংকটে জর্জরিত, তখন প্রস্তাবিত বাজেটে সাধারণ মানুষের ওপর করের বোঝা বাড়ানো হয়েছে। করযোগ্য আয় না থাকলেও, ৪৪টি পরিষেবা নিতে গেলে ন্যূনতম ২০০০ টাকা কর প্রদান বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পক্ষান্তরে, সম্পদের ওপর সারচার্জ আরোপের ক্ষেত্রে ধনীদের ছাড় দেওয়া হয়েছে। নিত্যপণ্যের দাম কমানো ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধির জন্যে সুনির্দিষ্ট কোনো পরিকল্পনা প্রস্তাবিত বাজেটে তুলে ধরা হয়নি। শিক্ষা, চিকিৎসা, সামাজিক সুরক্ষা খাতে কাক্সিক্ষত বরাদ্দ রাখা হয়নি। প্লাস্টিকের থালা-বাসন, টিস্যু, ন্যাপকিনসহ গৃহাস্থালি সামগ্রী এবং শিক্ষাউপকরণের ওপর ভ্যাট বৃদ্ধির ফলে সাধারণ মানুষের খরচ বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু, শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধি ও নি¤œআয়ের বেসরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বৃদ্ধির কোনো আশ^াস অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতায় নেই। মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশে নামিয়ে আনা এবং সাড়ে ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের যে লক্ষ্য ঘোষণা করা হয়েছে, সে লক্ষ্য অর্জনের বাস্তব কোনো ভিত্তি নেই’।
ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চার নেতৃবৃন্দ গণবিরোধী সরকারের প্রস্তাবিত বাজেট প্রত্যাখ্যান করেন এবং জনগণের শিক্ষা, চিকিৎসা, কর্মসংস্থান, সামাজিক সুরক্ষাসহ জনকল্যাণমূলক খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি ও সাধারণ মানুষের ওপর আরোপিত বাড়তি কর প্রত্যাহারের দাবি জানান। -

হলিউড সাংবাদিকের বিয়ের প্রস্তাব, সালমান বললেন আমার দিন শেষ
বিনোদন ডেস্ক : সম্প্রতি আবুধাবিতে আইফা রকসে গিয়েছেন বলিউড অভিনেতা সালমান খান। সেই অনুষ্ঠানেই বলিউড ভাইজান সাংবাদিকদের মুখোমুখি হোন। সেখানেই সালমান খানকে বিয়ের প্রস্তাব দেন সাংবাদিক ও উপস্থাপিকা অ্যালেনা খালিফে।
সেখানে সবার সামনেই অ্যালেনা খালিফে জানান,হলিউড থেকে সালমানকে বিয়ের প্রস্তাব দিতে এসেছেন বলে জানান তিনি।
সালমানকে অ্যালেনা খালিফে বলেন, ‘আমি হলিউড থেকে এসেছি শুধু এই প্রশ্নটি করার জন্য…আমি যখন আপনাকে দেখেছি, আপনার প্রেমে পড়েছি’। এরপর সালমান তাকে রসিকতা করে প্রশ্ন করেন, ‘আপনি শাহরুখ খানের কথা বলছেন, ঠিক না? উত্তরে সেই নারী বলেন, ‘আমি সালমান খানের কথা বলছি। বলুন সালমান খান, আপনি আমাকে বিয়ে করবেন?
অভিনেতা উত্তরে বলেন, ‘আমার বিয়ের দিন শেষ। আরও ২০ বছর আগে আমার সাথে আপনার দেখা করা উচিত ছিল।’
এতে সালমান ছাড়াও ভিকি কৌশল, নোরা ফাতেহি ও অভিষেক বচ্চন গিয়েছেন
-

মাইকিং করে প্রতিবেশী গ্রামবাসীর ওপর হামলা-সংঘর্ষ
ঘাটাইলে মাদক সেবন নিয়ে দুই গ্রামের মানুষের মধ্যে চার দিন ধরে সংঘর্ষ চলছে। গত শনিবার দিঘলকান্দি ইউনিয়নের বাদেপারশি ও পাড়াগ্রামে এই সংঘর্ষ শুরু হয়। দু’দিন থেমে থেমে সংঘর্ষ চললেও মঙ্গলবার পাড়াগ্রামের লোকজন মাইকিং করে বাদেপারশি গ্রামে হামলার ঘোষণা দেয়। ঘোষণার পর আমিনুর ইসলাম (২৭) নামে বাদেপারশি গ্রামের একজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দিঘলকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম। পরিবেশ থমথমে। গ্রামবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
বিবদমান গ্রাম দুটির বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পাড়াগ্রামের উঠতি বয়সী কিছু ছেলে বাদেপারশি গ্রামের ঈদগাহ মাঠের পাশের কবরস্থানে মাদক সেবন করে। গত শুক্রবার এলাকাবাসী ওই ছেলেদের ধর্মীয় স্থানে মাদক সেবন না করতে নিষেধ করেন। নিষেধ অমান্য করে পরদিন একই স্থানে মাদক সেবন করতে জমায়েত হয় পাড়াগ্রামের কিশোররা। স্থানীয়রা চরথাপ্পড় দিয়ে তাদের তাড়িয়ে দেন। ওই কিশোররা নিজ গ্রামে গিয়ে যুবসমাজের কাছে বিষয়টি ভুলভাবে উপস্থাপন করে। পরে ওই কিশোরসহ কিছু যুবক শনিবার রাত ৯টার দিকে বাদেপারশি গ্রামে হামলা চালায়। কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুর করে তারা। এ সময় বাদেপারশি গ্রামের লোকজন মসজিদের মাইকে ঘোষণা দেন, তদের গ্রামে পাড়াগ্রামের লোকজন আক্রমণ করেছে। যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে বের হতে মাইক থেকে ঘোষণা আসে।সংঘর্ষের খবর যায় চেয়ারম্যান রেজাউল করিমের কাছে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দেন তিনি। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। এর পর রোববার পরিবেশ শান্ত থাকে। সোমবার বিকেলে পাড়াগ্রামের আনছার আলীর ছেলে মো. আব্দুল্লাহ (২২) বাদেপারশি বিলে মাছ ধরতে যান। সেখানে তাঁকে একা পেয়ে মারধর করে বাদেপারশি গ্রামের মো. হৃদয়, আকাশসহ কয়েকজন কিশোর। আব্দুল্লাহ নিজ গ্রামে ফিরে মারধরের বিষয়টি জানান। পরে ঘটনাটি আর কিশোর যুবকদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। বিবাদ ছড়িয়ে পড়ে দুই গ্রামের বয়স্কদের মধ্যেও। সোমবার রাতে সভা ডাকেন পাড়াগ্রামের লোকজন। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকালে মসজিদের মাইক থেকে ঘোষণা আসে– যার যা কিছু আছে, তাই নিয়ে বাদেপারশি গ্রামে আক্রমণ করা হবে।
চেয়ারম্যান রেজাউল করিমের ভাষ্য, বিষয়টি লোকমুখে শোনার পর গ্রামের নেতৃস্থানীয় কয়েকজনকে ফোন করে শান্ত থাকতে বলেন তিনি। ঘটনাস্থলে এসে বিষয়টি সমাধানের আশ্বাসও দেন। কিন্তু পাড়াগ্রামের লোকজন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বাদেপারশি ঈদগাহ মাঠে অবস্থান নেয়। এক পর্যায়ে চেয়ারম্যান ঈদগাহ মাঠে এসে পাড়াগ্রামের লোকদের তাদের গ্রামের দিকে ফিরিয়ে দেন।
চেয়ারম্যান বলেন, বাদেপারশি গ্রাম সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য আব্দুর রহিম ও পাড়াগ্রাম সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য ইকবাল হোসেনসহ দুই গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে বাদেপারশি ঈদগাহ মাঠে মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে বিষয়টি সমাধানের জন্য বৈঠক ডাকা হয়। বৈঠকে যাওয়ার পথে চেয়ারম্যানের মোটরসাইকেলের পেছনের আসনে বসে থাকা বাদেপারশি গ্রামের আমিনুর ইসলামের ওপর দা-লাঠি নিয়ে হামলা করে পাড়াগ্রামের লোকজন। আমিনুরকে জড়িয়ে ধরেন চেয়ারম্যান। রক্তে তাঁর গায়ের পাঞ্জাবি ভিজে যায়। পরে আমিনুরকে উদ্ধার করে কালীহাতি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে।
ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ লোকমান হোসেন বলেন, বিষয়টি তাঁর জানা আছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
-

পরিবর্তনের কারিগর হোন : কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
ন্যাশনার ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নতুন ও ভবিষ্যতকে আলিঙ্গন করার মানসিকতার নিয়ে পরিবর্তনের কারিগর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য আয়োজিত ‘বাংলাদেশ: একটি উন্নয়ন মডেল: শেখ হাসিনার কাছ থেকে শেখা’ শীর্ষক অধিবেশনে তিনি বলেন, ‘নেতৃত্বের উদাহরণ সৃষ্টি করুন এবং পরিবর্তনের কারিগর হোন।’
প্রধানমন্ত্রী কাতার ইকোনমিক ফোরাম-২০২৩-এ যোগদানের জন্য দোহায় তিন দিনের সরকারি সফরে রয়েছেন।
তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘মূল্যবোধের প্রতিনিধিত্ব করুন, আপন দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি মনোনিবেশ করুন এবং দৃষ্টিভঙ্গি বাস্তবায়নের জন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা করুন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপন লোকজন এবং দলের ওপর বিশ্বাস রাখুন। আপনার মাতৃ চেতনাকে জাগ্রত করুন এবং নতুন ও ভবিষ্যতকে আলিঙ্গন করুন।’
শেখ হাসিনা তার দীর্ঘ বক্তৃতায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সংগ্রামের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা একটি জ্ঞানভিত্তিক, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চাই। স্মার্ট বাংলাদেশে একটি স্মার্ট সরকার, একটি স্মার্ট অর্থনীতি, একটি স্মার্ট জনসংখ্যা, একটি স্মার্ট সমাজ এবং স্মার্ট জনশক্তি থাকবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণকে ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারে দক্ষ করে তোলা হবে যাতে তারা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে অবদান রাখতে পারে।
তিনি আরও বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের উদ্দেশ্য হচ্ছে পরিবর্তনশীল বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, শিল্প উৎপাদন, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সব ক্ষেত্রে ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করা।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘লক্ষ্য অর্জনের জন্য আমরা প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করছি। সারা দেশে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ও ইনকিউবেশন সেন্টার এবং হাই-টেক পার্ক স্থাপন করা হচ্ছে।’
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের সরকার একটি ন্যানো প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার জন্য আইন পাস করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল ডিভাইস বা প্রযুক্তির ব্যবহার আমাদের সমাজে নারীদের জন্য ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে।
তিনি বলেন, ‘আজকের বাংলাদেশ একটি পরিবর্তিত বাংলাদেশ। এটিকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। ক্ষুধা, দারিদ্র্য, অপুষ্টি, নিরক্ষরতা ইত্যাদি দ্রুত বিলুপ্ত হচ্ছে,’ তিনি বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে কষ্টার্জিত উন্নয়ন কোনো অলৌকিক ঘটনা নয়। এটা আমাদের নারী-পুরুষের সম্মিলিত কাজ। আমি শুধুমাত্র তাদের কাঙ্খিত পথে পরিচালিত করার চেষ্টা করেছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, তবে আজকের অবস্থানে পৌঁছানো সহজ যাত্রা ছিল না কারণ সারাজীবন তাকে অনেক অগ্নিপরীক্ষা ও নিপীড়ন সহ্য করতে হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার বাবাকে তার জীবনের প্রায় এক-চতুর্থাংশ সময় কারাগারে কাটাতে হয়েছে। আমরা সন্তানরা তার স্নেহ-ভালবাসা থেকে বঞ্চিত হয়েছি। স্বাধীনতা লাভের পর সাড়ে তিন বছরের মধ্যেই দেশের প্রতিষ্ঠাতা, আমার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে আমার মা, তিন ভাই, দুই ভগ্নিপতি এবং এক চাচা সহ আমাদের পরিবারের ১৮ জন সদস্যের সাথে হত্যা করা হয়েছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, তার ছোট ভাইয়ের বয়স ছিল তখন মাত্র দশ বছর।
তিনি বলেন, ‘সেদিন আমি এবং আমার বোন বিদেশে থাকায় বেঁচে গিয়েছি। আমার বোন এবং আমাকে ছয় বছর ধরে উদ্বাস্তু জীবনযাপন করতে হয়েছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, তার দল আওয়ামী লীগ তাকে সভাপতি নির্বাচিত করার পর ১৯৮১ সালে তিনি দেশে ফিরে আসেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আমার বাবার দারিদ্র্য, ক্ষুধা ও নিরক্ষরতামুক্ত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার অঙ্গীকার নিয়ে দেশে এসেছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ফিরে এসে তিনি খাদ্য ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করেছেন। আমি বার বার অন্তরীণ ছিলাম।
তিনি আরো বলেন, ‘আমার জীবন নাশের জন্য কমপক্ষে ১৯বার প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে। সবচেয়ে গুরুতর একটি ছিল ২০০৪ সালের আগস্টে যখন আমাকে হত্যা করার জন্য আমার উপর এক ডজন আর্জেস গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়েছিল। আমি বেঁচে গিয়েছি, কিন্তু আমার দলের ২২ জন নেতা-কর্মী নিহত এবং কয়েক শতাধিক আহত হয়েছেন।’
শেখ হাসিনা বলেন, সকল প্রতিকূলতা কাটিয়ে তিনি শুধু তার দেশবাসীর ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য তার সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন।
তিনি অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন, ‘আমি যতদিন বেঁচে থাকব ততদিন আমি সংগ্রাম চালিয়ে যাব, ইনশাআল্লাহ। আমার স্বপ্ন হল আমাদের ব-দ্বীপকে আবারও সমৃদ্ধির দেশে পরিণত করা।’
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বাংলাদেশ পরবর্তী ২১ বছর সামরিক ও আধা-সামরিক শাসনের অধীনে ছিল এবং জনগণের ভাগ্যের খুব একটা পরিবর্তন হয়নি।
তিনি বলেন, ‘আমার দল, আওয়ামী লীগ, ২১ বছরের দীর্ঘ সংগ্রামের পর ১৯৯৬ সালে নির্বাচিত হয় এবং আমি প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলাম। পাঁচ বছরে, আমরা বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক পরিবর্তনের জন্য একটি শক্ত ভিত্তি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ২০০১ সালে শান্তিপূর্ণ উপায়ে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিলাম এবং তারপরে হত্যা, সন্ত্রাস, দুর্নীতি এবং সামরিক হস্তক্ষেপের আরেকটি অন্ধকার সময় অতিক্রম করতে হয়েছিল।
তিনি বলেন, তাদের দল ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে পুনঃনির্বাচিত হয় এবং তারপর থেকে টানা দুই মেয়াদে সরকার ক্ষমতায় রয়েছে।তিনি বলেন, ‘‘গত সাড়ে চৌদ্দ বছরে আমার বাবা যা চেয়েছিলেন- ‘একটি সুখী ও সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ’, তার জন্য আমরা বাংলাদেশকে প্রস্তুত করেছি।’’
শেখ হাসিনা বলেন, ২০১৫ সালে বাংলাদেশ একটি নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। সরকার সেই অবস্থা থেকে দেশকে ২০৩১ সালের মধ্যে এটি একটি উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে ও ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উচ্চ-আয়ের দেশে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা এলডিসি অবস্থান থেকে ২০২৬ সালের মধ্যে একটি উন্নয়নশীল দেশে উত্তীর্ণ হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে সমাজের দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অবস্থার অবসান ঘটানোকে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ প্রায় সব আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে সন্তোষজনক অগ্রগতি অর্জন করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতি-যার জিডিপি ৪৬০ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।’
তিনি আরো বলেন, ২০০৫-০৬ সালে দারিদ্র্যের হার ছিল ৪১ দশমিক ৫ শতাংশ, যেখানে বর্তমানে দারিদ্র্যের হার ১৮ দশমিক ৭ শতাংশে এবং চরম দারিদ্র্যের হার ৫ দমমিক ৬ শতাংশে নেমে এসেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি গত দেড় দশকে গড়ে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং মহামারী আঘাত হানার আগে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এটি ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা খাদ্য নিরাপত্তা, বিনামূল্যে ও সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন, কমিউনিটি স্বাস্থ্যসেবা, বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি, ডিজিটাল পরিষেবা, প্রত্যন্ত এলাকায় বিদ্যুত, দুর্যোগ প্রস্তুতি ও জলবায়ু অভিযোজনে সন্তোষজনক অগ্রগতি অর্জন করেছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, গত এক দশকের প্রচেষ্টার পর সরকার দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষাকে বিনামূল্যে করার পাশাপাশি দেশ এখন লিঙ্গ বৈষম্য কমানোর ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সরকারের নানা উদ্যোগের কারণে আমরা এখন নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের ব্যাপারে বিশ্বের সেরা দশটি দেশের মধ্যে আছি।’
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশই সম্ভবত একমাত্র দেশ যেখানে প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় সংসদের স্পিকার, সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা ও সংসদ উপনেতার সবাই নারী।
তিনি বলেন, স্থানীয় সরকারি সংস্থাগুলোতে মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ সংরক্ষিত আসন রয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, তিনি আশ্রায়ন নামে একটি প্রকল্প চালু করেছেন-যার মাধ্যমে আধা-পাকা ঘর তৈরি করে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণ করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, ‘দেশে মোট ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের সংখ্যা ৮ লাখ ৮৫ হাজার ৬২২ টি। এ পর্যন্ত আমরা ৫ লাখ ৫৫ হাজার ২২৮টি পরিবারের মধ্যে ঘর নির্মাণ করে বিতরণ করেছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু তাই নয়, আয়বর্ধক প্রশিক্ষণ ও সুদমুক্ত ঋণ প্রদানের মাধ্যমে তাদের জীবিকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি প্রান্তে শহরের সুবিধা পৌঁছে দিয়ে বাংলাদেশের গ্রামগুলোকে শহরে পরিণত করা হচ্ছে। -

বিজিবি সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়নের অভিযানে বাকাল চেকপোষ্ট থেকে স্বর্ণেরবার উদ্ধার
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি : বিজিবির সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়নের অভিযানে দায়িত্বপূর্ণ সাতক্ষীরা সদর উপজেলার গাজীপুর সীমান্তের (বাকাল চেকপোষ্ট) থেকে ০৭টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করে।
বিজিবি’র সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়ন (৩৩ বিজিবি) গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে যে অদ্য ১৮ মে ২০২৩ তারিখ দুপুর ১২ ঘটিকায় সাতক্ষীরা গাজীপুর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ হতে ভারতে স্বর্ণ পাচার করবে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে অত্র ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক, লে: কর্ণেল মো: আশরাফুল হক এর নেতৃত্বে বাকাল চেকপোষ্টের একটি চৌকষ আভিযানিক দল আলীপুর ইট ভাটা সংলগ্ন এলাকায় গোপনে অবস্থান করে। এ সময় চোরাকারবারীরা মোটর সাইকেলযোগে বর্ণিত এলাকায় আগমনের পর বিজিবি টহল দলের উপস্থিতি টের পেয়ে মোটর সাইকেল রেখে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে টহল দল চোরাকারবারীদের ফেলে যাওয়া মোটর সাইকেল তল্লাশী করে ০৭টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করে । উদ্ধারকৃত স্বর্ণের ওজন ৮১৬ গ্রাম ৪২০ মিলিগ্রাম যার মূল্য ৬৮,০০,৭৭৮/- (আটষট্টি লক্ষ সাতশত আটাত্তর) টাকা। এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা সদর থানায় মামলা করতঃ স্বর্ণের বারগুলো সাতক্ষীরা ট্রেজারী অফিসে জমা করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। -

দুই তৃতীয়াংশ তরুণী কর্মক্ষেত্রে হয়রানির শিকার : জরিপ
বাসস ডেস্ক : শুক্রবার প্রকাশিত এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ব্রিটেনে কর্মক্ষেত্রে প্রতি তিনজন তরুণীর মধ্যে দুইজন যৌন হয়রানি, ধমক বা মৌখিক অপব্যবহারের সম্মুখীন হচ্ছেন।
তবে বেশিরভাগ ভুক্তভোগী ঘটনাগুলি এই ভয়ে রিপোর্ট করেন না যে তাদের বিশ্বাস করা হবে না বা এটি কাজের সম্পর্ক এবং ক্যারিয়ারের সম্ভাবনার ক্ষতি করতে পারে। ব্রিটেনের বহুমাত্রিক শ্রমিক সংগঠন ট্রেডস ইউনিয়ন কংগ্রেস (টিইউসি) একথা জানিয়েছে।
শ্রমিকদের লাঞ্চনা ও হয়রানি থেকে রক্ষা করার লক্ষে নতুন আইনে পিছিয়ে না যাওয়ার জন্য ব্রিটেনের সরকারকে রাজি করানোর প্রচারণার অংশ হিসেবে তারা ফলাফল প্রকাশ করেছে।
১,০০০ জন মহিলার জরিপে, টিইউসি বলেছে যে প্রতি পাঁচজনের মধ্যে তিনটি কর্মক্ষেত্রে এই ধরনের ঘটনার রিপোর্ট করেছে। কিন্তু ২৫ থেকে ৩৪ বছর বয়সীদের মধ্যে এটি দুই তৃতীয়াংশে পৌঁছেছে।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কর্মক্ষেত্রে ঘটেছে তবে ফোন, ক্ষুদে বার্তা এবং ই-মেলের মাধ্যমে এবং সামাজিক যোগাযোগ বা ভার্চুয়াল মিটিং এর মাধ্যমেও ঘটেছে।
সমীক্ষায় দেখা গেছে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটার পরিবর্তে সেগুলো প্রায়শই পুনরাবৃত্তি হয়েছিল।
টিইউসি বলেছে যে, কর্মীদের সুরক্ষার নতুন আইনটি শাসক রক্ষণশীল দলের কিছু আইনপ্রণেতা দ্বারা নাশকতা করা হচ্ছে।
টিইউসি’র সাধারণ সম্পাদক পল নওয়াক বলেছেন, ‘প্রত্যেক মহিলার যৌন হয়রানি থেকে নিরাপদ থাকা উচিত কিন্তু প্রতিদিন আমরা আমাদের কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির পরিমাণ সম্পর্কে গল্প শুনি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা জানি জনসাধারণের মুখোমুখি চাকরিতে অনেক মহিলা যেমন খুচরা কর্মী এবং জিপি রিসেপশনিস্ট, গ্রাহক এবং রোগীদের কাছ থেকে নিয়মিত নির্যাতনের শিকার হন।’
‘আধুনিক কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি ও ধমকের কোনো স্থান নেই।’
সমীক্ষায়, দেখা গেছে প্রতি তিনজন নারীর মধ্যে একজনের কম যারা যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন,তারা তাদের নিয়োগ কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। -

ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’: এসএসসি পরীক্ষা নিয়ে সতর্কতামূলক ব্যবস্থার নির্দেশ
ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’র কারণে চলমান এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নিয়ে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে শিক্ষাবোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় জরুরি ব্যবস্থা নিতে বোর্ড চেয়ারম্যানদের অনুরোধ জানিয়ে চিঠিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’ আগামী দু-এক দিনের মধ্যে দেশের উপকূল এলাকাসহ সারা দেশের ওপর দিয়ে প্রবল বেগে অতিক্রম করতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সতর্কতামূলক সংবাদ পরিবেশ করা হচ্ছে। এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা চলমান থাকায় শিক্ষাবোর্ডগুলোরও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া আবশ্যক। এ জন্য ট্রেজারি, থানা ও পরীক্ষা কেন্দ্রে রাখা পরীক্ষা সংক্রান্ত সব গোপনীয় মালামাল নিরাপদ ও সতর্কতার সঙ্গে সংরক্ষণ করার জন্য নিজ নিজ শিক্ষাবোর্ডের নির্দেশনা প্রয়োজন।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’ আগামীকাল শুক্রবার সকাল পর্যন্ত দিক পরিবর্তন করে ক্রমান্বয়ে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা গত ৩০ এপ্রিল শুরু হয়েছে। এ বছর ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩ পরীক্ষার্থী। দেশের ২৯ হাজার ৭৯৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৩ হাজার ৮১০টি কেন্দ্রে এবার পরীক্ষা হচ্ছে। গত বছরের চেয়ে এবার প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ২০৭টি এবং কেন্দ্র বেড়েছে ২০টি।
-

সাতক্ষীরায় ৫ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, শ্যামনগর প্রেসক্লাবের নিন্দা
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় কর্মরত ৫ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ । গত রোববার (৭ মে) শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবে জরুরী সভায় এক বিবৃতিতে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এ মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তারা। বিবৃতি দাতারা হলেন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আলহাজ্ব জি.এম আকবর কবীর, সাধারণ সম্পাদক জাহিদ সুমন, সিনিয়র সাংবাদিক গাজী সালাউদ্দিন বাপ্পী,শেখ আফজালুর রহমান, আলহাজ্জ আবু কওসার, আবু সাইদ,এস.এম মোস্তফা কামাল, এস কে সিরাজ, এম আব্দুর রহমান বাবু, তপণ কুমার বিশ্বাস, শেখ সোহরাব হোসেন, জি.এমআব্দুল কাদের, আলমগীর সিদ্দিকী ও রণজিৎ কুমার বর্মণ, আবুল হোসেন, সহ অনেকে।
কাল্পনিক এই চাঁদাবাজির মামলায় শিকার হয়েছেন দৈনিক ভোরের পাতা ও ঢাকা মেইলের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি গাজী ফারহাদ, অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকা পোস্টের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি সোহাগ হোসেন, দৈনিক পত্রদূত ও এজেড নিউজ বিডি’র প্রতিনিধি মো: হোসেন আলী, দৈনিক মুক্ত খবরের প্রতিনিধি হাবিবুর রহমান ও দৈনিক কালের চিত্রের প্রতিনিধি শাহীন বিশ্বাস ।
এ ঘটনাকে নিন্দা জানিয়ে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেন, সাতক্ষীরার তালা উপজেলার আটারই গ্রামে শপিং ভ্যালী ফুড প্রোডাক্টস নামের একটি সেমাই কারখানায় নিম্নমানের ভেজাল সেমাই উৎপাদন সংক্রান্ত একটি খবর প্রকাশের পর র্যাব-৬ এর ভ্রাম্যমাণ আদালত উক্ত কারখানাটিতে অভিযান পরিচালনা করে। বিএসটিআই এর নিবন্ধন ছাড়াই নিম্নমানের সেমাই উৎপাদনের প্রমাণ পাওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালত কারখানাটি সিলগালা এবং ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করে। এই ঘটনায় কয়েকদিন পর উক্ত কারখানার মালিক পক্ষ সম্পূর্ণ সাজানো একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে। ঢাকা পোস্টের প্রতিনিধি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোনো প্রকার সংবাদ প্রকাশ না করেও মামলার শিকার হয়েছে। বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক।
সাংবাদিক নেতারা বলেন, আমরা শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকবৃন্দ এই মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একই সঙ্গে অনতিবিলম্বে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। -

‘সচেতনতামূলক কনসার্ট ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন
ইজারল্যান্ড দূতাবাস, বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় উইনরক ইন্টারন্যাশনাল পরিচালিত “আশ্বাস: মানব পাচার থেকে উদ্ধারপ্রাপ্ত নারী ও পুরুষদের জন্য” প্রকল্পের মানব পাচার প্রতিরোধ ও সারভাইভারদের সুরক্ষা কার্যক্রমের মাসব্যাপী প্রচারণার অংশ হিসেবে আগামী ৭ মে (রবিবার) বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সাতক্ষীরা বয়েজ স্কুল মাঠে ‘সচেতনতামূলক কনসার্ট ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন’ এর আয়োজন করা হয়েছে।কনসার্টে প্রধান আকর্ষণ হিসেবে থাকবেন জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী চন্দনা মজুমদার ও সন্দীপন। অনুষ্ঠানে প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, মানবাধিকার কমীর্সহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থাকবেন। বিজ্ঞাপনী সংস্থা কুল এক্সপোজারের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় কনসাটর্টি সবার জন্য উন্মুক্ত।
-

বাল্যবিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশেই সবচেয়ে বেশি: ইউনিসেফ
ন্যাশনাল ডেস্ক : বাংলাদেশে ৫১ শতাংশ তরুণীর বিয়ে হয় তাদের শৈশবে। দেশে বাল্যবিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ও বিশ্বের মধ্যে অষ্টম। বাংলাদেশে ৩ কোটি ৪৫ লাখ নারীর বিয়ে হয় তাদের বয়স ১৮ বছর হওয়ার আগে। ১ কোটি ৩ লাখ নারীর বিয়ে হয় তাদের বয়স ১৫ বছর হওয়ার আগে। আজ বুধবার বাল্যবিয়ে নিয়ে ইউনিসেফের প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়। এতে বলা হয়, বাল্যবিয়ে নির্মূলের ক্ষেত্রে ধীরগতি সবচেয়ে বেশি সাব-সাহারান আফ্রিকায়। ওই অঞ্চলে বাল্যবিয়ের অবসানে ২০০ বছরেরও বেশি সময় লাগবে। গত এক দশকে বাল্যবিয়ে ধারাবাহিকভাবে কমা সত্ত্বেও সংঘাত, জলবায়ুজনিত অভিঘাত ও কোভিড-১৯ এর বিরূপ প্রভাবসহ একাধিক সংকট এক্ষেত্রে কষ্টার্জিত অর্জনগুলো নস্যাৎ করে দেওয়ার হুমকি তৈরি করেছে। বৈশ্বিক বহুবিধ সংকটে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ কঠিন লড়াইয়ের মুখে।বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট বলেন, শিশুদের বিয়ে দেওয়া উচিত নয়। অগ্রগতি সত্ত্বেও বাংলাদেশে শিশুবধূর সংখ্যা বিস্ময়কর। লাখ লাখ মেয়ের শৈশব কেড়ে নেওয়া হচ্ছে এবং তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। মেয়েরা যেন স্কুলে যেতে পারে তা নিশ্চিত করতে ও তারা যেন পরিপূর্ণভাবে নিজের মধ্যে থাকা সম্ভাবনা অনুযায়ী বেড়ে উঠতে পারে সে সুযোগ দিতে আমাদের জরুরি ও সমন্বিত পদক্ষেপ দরকার।তিনি বলেন, যেসব মেয়ের শৈশবে বিয়ে হয়ে যায়, তাদের তাৎক্ষণিক ও জীবনভর এর পরিণতি ভোগ করতে হয়। তাদের স্কুলে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া সম্ভাবনা খুবই কম থাকে ও তারা অল্প বয়সে গর্ভধারণের বাড়তি ঝুঁকির সম্মুখীন হয়, ফলস্বরূপ যা শিশু এবং মাতৃস্বাস্থ্যের জটিলতা ও মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ায়। বাল্যবিয়ের এই প্রচলন মেয়েদের পরিবার ও বন্ধু-বান্ধব থেকেও বিচ্ছিন্ন করতে পারে এবং তাদের নিজেদের কমিউনিটিতে অংশগ্রহণ থেকে বঞ্চিত রাখতে পারে, যা তাদের মানসিক স্বাস্থ্য ও সার্বিক কল্যাণের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে।
ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে বসবাস করা মেয়েদের ‘বাল্যবিয়ে’ হওয়ার ঝুঁকি বৈশ্বিক গড়ের প্রায় দ্বিগুণ বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে সতর্ক করে বলা হয়, কোভিড-১৯ এর চলমান প্রভাবসমূহের কারণে বিগত এক দশকে বাল্যবিয়ের অবসান ঘটাতে মূল্যবান অর্জনগুলোও হুমকির সম্মুখীন বা এমনকি তা আগের অবস্থায় ফিরে যেতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে, মহামারিটি ইতোমধ্যে বাল্যবিয়ে প্রতিহতের সংখ্যা ২০২০ সাল থেকে এক-চতুর্থাংশ কমিয়ে দিয়েছে।
ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল বলেন, বিশ্ব একের পর সংকটে জর্জরিত, যা ঝুঁকিতে থাকা শিশুদের আশা ও স্বপ্নকে চুরমার করে দিচ্ছে, বিশেষ করে মেয়েদের যাদের বিয়ের কনে হিসেবে নয় বরং শিক্ষার্থী হিসেবে থাকা উচিত। স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক সংকট, ক্রমবর্ধমান সশস্ত্র সংঘাত এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মারাত্মক প্রভাব পরিবারগুলোকে বাল্যবিয়ের মতো মিথ্যা ধারণার আশ্রয় নিতে বাধ্য করছে।বিশ্লেষণে অন্তর্ভুক্ত সর্বশেষ বৈশ্বিক হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী আজ জীবিত প্রায় ৬৪ কোটি মেয়ে ও নারীর বিয়ে হয়েছে তাদের ছোটবেলায়, অথবা বলা যায়, প্রতি বছর ১ কোটি ২০ লাখ মেয়ের বিয়ে হয় তাদের ছোটবেলায়। পাঁচ বছর আগে এ বিষয়ে সর্বশেষ হিসাব প্রকাশের পর এ পর্যন্ত শৈশবে বিয়ে হয়ে যাওয়া তরুণীর সংখ্যা ২১ শতাংশ থেকে ১৯ শতাংশে নেমে এসেছে। তবে এই অগ্রগতি সত্ত্বেও ২০৩০ সালের মধ্যে বাল্যবিয়ের অবসান করার যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে তা পূরণের জন্য বিশ্বব্যাপী ওই কমার গতি ২০ গুণ দ্রুততর করতে হবে।
ক্যাথরিন রাসেল বলেন, আমরা প্রমাণ করেছি যে বাল্যবিয়ের অবসানে অগ্রগতি সম্ভব। তবে এর জন্য বাল্যবিয়ের ঝুঁকিতে থাকা মেয়ে ও পরিবারগুলোর জোরালো সমর্থন প্রয়োজন। মেয়েদের স্কুলে টিকিয়ে রাখার বিষয়ে এবং তাদের অর্থনৈতিক সুযোগ নিশ্চিত করার দিকে আমাদের মনোযোগ দিতে হবে।
-
পূর্ব সুন্দরবনে মাছ কাঁকড়া ধরার সময় ১০ জেলে আটক
বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটে পূর্ব সুন্দরবনের নারকেলবাড়িয়া ও শেলারচর এলাকায় অবৈধভাবে মাছ কাঁকড়া ধরার সময় ১০ জন জেলেকে আটক করেছে বনরক্ষীরা। আজ বুধবার সকালে শরণখোলা রেঞ্জের ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে থেকে তাদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ট্রলার, জাল ও বিপুল পরিমাণ চাই জব্দ করা হয়।
আটক জেলেরা হলেন–শরণখোলার মালিয়া রাজাপুর গ্রামের আসাদুল, মোরেলগঞ্জের বারইখালী গ্রামের মন্টু, বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার সিকিরডাঙ্গা গ্রামের ওমর ফারুক গাজী, বরগুনার তালতলী উপজেলার সখিনা গ্রামের জাফর পেয়াদা ও পাথরঘাটার রুহিতা গ্রামের কামাল কাজী।
তাদের কাছ থেকে তিনটি ইঞ্জিন চালিত নৌকা, চারটি ডিঙি নৌকা, ছয়টি ছোট ফাঁসের নিষিদ্ধ বেহুন্দি জাল, বিপুল পরিমাণ কাঁকড়া ধরার বাঁশের তৈরি চাই (চারো) এবং বিভিন্ন মালামাল জব্দ করেছে বনরক্ষীরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) শেখ মাহবুব হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ১০ জন জেলেকে আটক করা হয়েছে। আটক জেলেদের কাছে বন বিভাগের কোনো পাস-পারমিট পাওয়া যায়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘তারা অবৈধভাবে সুন্দরবনে প্রবেশ করে মাছ ও কাঁকড়া ধরছিলেন।’ তাদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
-
শ্রমিক-কর্মচারীদের ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা নির্ধারণ কর -ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চা
শ্রমিক-কর্মচারীদের ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করার দাবি জানিয়েছেন ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চার কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। মহান মে দিবসের সমাবেশ ও মিছিলে তাঁরা এই দাবি করেন।
মে ২০২৩, সোমবার, বিকাল ৪টায়, কামরাঙ্গীচর ঝাউলাহাটি চৌরাস্তায় ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চা’র উদ্যাগে মহান মে দিবস উপলক্ষ্যে সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চা’র সমন্বয়ক নয়াগণতান্ত্রিক গণমোর্চার সভাপতি জাফর হোসেনের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলন কেন্দ্রীয় পাঠচক্র ফোরামের সদস্য বেলাল চৌধুরী, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ এর কেন্দ্রীয় নেতা মহিনউদ্দিন চৌধুরী লিটন, জাতীয় গণতান্ত্রিক গণমঞ্চের সভাপতি মাসুদ খান, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সভাপতি শহিদুল ইসলাম, গণমুক্তি ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় নেতা রফিকুল ইসলাম। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন গণমুক্তি ইউনিয়নের আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন আহমেদ নাসু, বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা দলিলের রহমান দুলাল, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ এর নেতা জাকির হোসেন কাঞ্চন, জাতীয় গণতান্ত্রিক গণমঞ্চের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শান্তনু সুমন প্রমূখ।
সমাবেশ পরিচালনা করেন নয়াগণতান্ত্রিক গণমোর্চার সহ সভাপতি বিপ্লব ভট্টাচায্য।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ১৮৮৬ সালের এই দিনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের হে মার্কেটের শ্রমিকরা ৮ ঘণ্টা কাজের দাবিতে জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। ওই দিন তাঁদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে ৮ ঘণ্টা কাজের দাবি স্বীকৃত হয়েছিলো। এরপর থেকে সারা বিশ্বে দিনটি ‘মে দিবস’ হিসাবে পালিত হয়ে আসছে। কিন্তু বাংলাদেশসহ পৃথিবীর অনেক দেশে এখনও ৮ ঘন্টা কাজের দাবি বাস্তবায়ন হয়নি।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ, সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দিয়ে নিত্যপণ্যের দাম কমানোর দাবি করেন। এছাড়া মে দিবসে সকল কল কারখানা ও অফিস বন্ধ রাখা, গৃহ শ্রমিকসহ সকল খাতে ৮ ঘন্টা কর্ম দিবস ও আইএলওর বিধান অনুযায়ী ওভারটাইম নিশ্চিত করারও দাবি করেন। বক্তারা বলেন, সকল বেকারদের কাজ দিতে হবে, নইলে বেকার ভাতা দিতে হবে। এছাড়া হোটেল, পরিবহন, দোকান, গণমাধ্যম, গৃহশ্রমিকসহ আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক সকল সেক্টরের শ্রমিকদের নিয়োগপত্র ও মজুরী কাঠামো প্রদানের দাবি করেন। নেতৃবৃন্দ, কৃষি মজুরদের ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ সকল কালাকানুন বাতিল এর দাবি করেন। তাঁরা পরিসেবার নামে শ্রমিকদের ধর্মঘটের অধিকার হরণের চক্রান্ত রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
পরে ঝাউলাহাটি চৌরাস্তা থেকে মিছিল শুরু হয় এবং কোম্পানিহাটি হয়ে সেকশন মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। -

রাষ্ট্রপতি হিসেবে আজ শপথ নেবেন মো. সাহাবুদ্দিন
বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে আজ সোমবার দায়িত্ব গ্রহণ করতে যাচ্ছেন মো. সাহাবুদ্দিন। সকাল ১১টার দিকে বঙ্গভবনের ঐতিহাসিক দরবার হলে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হবে। জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী তাঁকে (সাহাবুদ্দিন) রাষ্ট্রপতির পদে শপথ পাঠ করাবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মন্ত্রিপরিষদ সদস্যসহ কয়েকশ বিশিষ্ট অতিথি এ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করবেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। এরপর নতুন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন শপথ নথিতে স্বাক্ষর করবেন।
রাষ্ট্রপতির সচিব মো. জয়নাল আবেদীন জানান, শপথ গ্রহণের পরপরই নতুন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ আনুষ্ঠানিকভাবে চেয়ার বদল করবেন।
মুক্তিযোদ্ধা ও মাঠপর্যায়ের রাজনীতিবিদ মো. সাহাবুদ্দিন ২১তম রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের স্থলাভিষিক্ত হবেন। রাষ্ট্রপতি হামিদ সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর পর ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হিসাবে ৪১ দিনসহ টানা দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতি হিসেবে ১০ বছর ৪১ দিন অতিবাহিত করার পরে অবসরে যাচ্ছেন।
নতুন রাষ্ট্রপতির স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ও ছেলে আরশাদ আদনান রনিসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, সংসদ সদস্য, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, তিন বাহিনীর প্রধানরা, কূটনীতিক, সম্পাদকসহ জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক এবং পদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানটি প্রত্যক্ষ করবেন।
এর আগে ৭৩ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ ২০২৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়াারি বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। মো. সাহাবুদ্দিন ১৯৪৯ সালের ১০ ডিসেম্বর পাবনা শহরের শিবরামপুরের জুবিলী ট্যাংক পাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর ডাক নাম চুপ্পু। তাঁর বাবার নাম শরফুদ্দিন আনছারী এবং মা’র নাম খায়রুন্নেসা।
তিনি ১৯৭৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন এবং পরে এলএলবি ও বিসিএস (বিচার) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।
তিনি পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, পাবনা জেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সভাপতি ছিলেন। জেলা বাকশালের যুগ্ম-সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
সাহাবুদ্দিন ছেষট্টির ৬ দফা আন্দোলন, উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান, সত্তরের নির্বাচন এবং একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
তিনি পাবনা জেলার আন্দোলন-সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ করেন। ওই সময় সামরিক স্বৈরশাসকদের রোষানলে তিন বছর জেল খাটেন এবং অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হন।
মো. সাহাবুদ্দিন দৈনিক বাংলার বাণীতে সাংবাদিকতাও করেছেন। তাঁর অনেক কলাম বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে ছাপা হয়েছে।
কর্মজীবনে তিনি জেলা ও দায়রা জজ এবং দুদকের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক এবং বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে নিযুক্ত সমন্বয়কারী হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেন।
সাহাবুদ্দিন পরপর দুবার বিসিএস (বিচার) অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব নির্বাচিত হন। চাকরি থেকে অবসরের পর হাইকোর্টে আইন পেশায় নিযুক্ত হন।
পরে ২০০১ সালের নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতা তদন্তে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দুদক কমিশনার হিসেবে সাহাবুদ্দিন পদ্মা সেতু প্রকল্পের বিরুদ্ধে উঠা তথাকথিত দুর্নীতির ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় দৃঢ়তার পরিচয় দেন।
সাবেক এই ছাত্রনেতা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।