Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
বিশেষ সংবাদ Archives - Page 2 of 74 - Daily Dakshinermashal

Category: বিশেষ সংবাদ

  • সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের ওপর নারকীয় হামলা; জেলা প্রশাসনের আশ্বাসের পরিপেক্ষিতে আগামী ৮ জুলাই পর্যন্ত আন্দলনের কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা : গ্রেপ্তার-১

    সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের ওপর নারকীয় হামলা; জেলা প্রশাসনের আশ্বাসের পরিপেক্ষিতে আগামী ৮ জুলাই পর্যন্ত আন্দলনের কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা : গ্রেপ্তার-১

    নিজস্ব প্রতিনিধি: গতকাল (১ জুলাই) সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের ওপর নারকীয় হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধন জেলা প্রশাসনের আশ্বাসের পরিপেক্ষিতে আগামী ৮ জুলাই পর্যন্ত গৃহীত সাংবাদিকদের আন্দলনের কর্মসূচি স্থগিত রাখা হয়েছে বলে প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কাশেম ঘোষনা করেন। পূর্ব নির্ধারিত মানববন্ধনের সমাপ্তি সভাপতির উক্ত ঘোষনার মাধ্যমে শেষ হয়। এর আগেই সাতক্ষীরার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সাংবাদিকদের উপরে বহিরাগত সন্ত্রাসিদের হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধনের সংহতি জানাতে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ শহীদ আলাউদ্দীন চত্ত্বরে সমবত হন।
    প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কাসেম বলেন,‘‘ সাংবাদিকদের দীর্ঘদিনের আকাঙ্খা প্রেসক্লাবের একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। এলক্ষ্যে ধারাবাহিক ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলমান। সাধারণ সদস্যদের প্রেসক্লাবে যাতায়াত একটি গঠণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু প্রেসক্লাবের কতিপয় সদস্য গঠণতন্ত্রের ধাঁর না ধেরে একটি মনগড়া কমিটি গঠণ করে সাধারণ সদস্যদের প্রেসক্লাবে যাতায়াত অঘোষিতভাবে বন্ধ করেছে। সোমবার পূর্বঘোষিত সাধারণ সভায় যোগদানের উদ্দেশ্যে প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে সাধারণ সদস্যরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রেসক্লাবে প্রবেশ মুখে লাঠি,রড,হাতুড়িসহ দেশী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা সাংবাদিকদের ওপর হায়েনার মতো ঝাপিয়ে পড়ে। এতে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের যুগ্ন সম্পাদক বেলাল হোসেন,সাধারণ সদস্য আমিনুর রহমান, ইদ্রিস আলীসহ ২০ জনেরও বেশি সাংবাদিক গুরুতর আহত হন। বিকেলে প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাদি হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেন। সামগ্রিক ঘটনার প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসনের আহবানে মঙ্গলবার সকালে উভয় গ্রুপের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের একটি সুষ্ঠু ভোটের জন্য নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে আগামী ৮ জুলাই জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আবারও একটি সভা আহবানের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ৮ জুলাই পর্যন্ত সাংবাদিকদের সকল আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করা হলো।”
    এদিকে, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাদি হয়ে ১৮ জনকে জ্ঞাত ও ৩০/৪০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা-নং-১। ধারা-পেনাল কোড-১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩২৫/৩০৭/৫০৬/১১৪। এঘটনায় পুলিশ চিহিৃত ভাড়াটে সন্ত্রাসী ও মাদকাসক্ত যুবক সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মৃগিডাঙ্গা গ্রামের নাজমুল হুদার ছেলে সাব্বির হোসেনকে শহর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি শামিনুল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।

  • ১৬ জুলাই ‘জুলাই শহীদ দিবস’ ও ৫ আগস্ট ‘গণঅভ্যুত্থান দিবস’

    ১৬ জুলাই ‘জুলাই শহীদ দিবস’ ও ৫ আগস্ট ‘গণঅভ্যুত্থান দিবস’

    আগামী ১৬ জুলাই ‘জুলাই শহীদ দিবস’ এবং ৫ আগস্ট ‘গণঅভ্যুত্থান দিবস’ হিসেবে পালন করা হবে।অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ রোববার (২৯ জুন) এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

    অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি জানান, ৮ আগস্ট কোনো বিশেষ কর্মসূচি পালন করা হবে না বলে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

  • বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে সাতক্ষীরায় র‍্যালি আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত

    বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে সাতক্ষীরায় র‍্যালি আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত

    ‘প্লাস্টিক দূষণ আর নয়’ এই
    প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সাতক্ষীরায় বিশ্ব পরিবেশ দিবস
    ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‍্যালি , আলোচনা সভা ও পুরস্কার
    বিতরণ করা হয়েছে।
    বুধবার সকালে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের
    উদ্যোগে একটি র‍্যালি সাতক্ষীরা কালেক্টরেট প্রদক্ষিণ করে।
    পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
    সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বিষ্ণুপদ পালের সভাপতিত্বে
    স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিবেশ অধিদপ্তর সাতক্ষীরার সহকারী পরিচালক
    সরদার শরিফুল ইসলাম।
    মনির হোসেনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার
    শাহীন চৌধুরী, জেলা জামায়াতের আমীর উপাধ্যক্ষ শহিদুল
    ইসলাম মুকুল, জেলা সামাজিক বন কর্মকর্তা প্রিয়াঙ্কা
    হালদার, শহর জামায়াতের নায়েবে আমীর ফকরুল হাসান লাভলু,
    বড়বাজার মাছ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুর রব, জেলা
    দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক
    অধ্যাপক মোজাম্মেল হক, সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা অফিসার মো.
    মাহবুবুর রহমান, সুশীলনের সহকারী পরিচালক মো. মনির
    হোসেন, সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক আফজাল
    হোসেন, সিডোর নির্বাহী পরিচালক শ্যামল কুমার বিশ্বাস,
    শিক্ষক পল্টু বাশার, নারীনেত্রী ফরিদা আখতার বিউটি, শিক্ষার্থী
    জান্নাত, সালেহা জান্নাত প্রমুখ।

    আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, মাইক্রো প্লাস্টিকের হাত থেকে
    বাঁচতে আমাদের সচেতন হতে হবে, দায়িত্ব পালন করতে হবে।
    এছাড়া সকল ধরনের প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। খাল, বিল,
    পুকুর ও ড্রেনে প্লাস্টিক জাতীয় দ্রব্য না ফেলতে জনগণকে
    সচেতন করতে করতে হবে।

  • শেখ পরিবারের ১ হাজার ৪৫ কোটি টাকা জব্দ

    শেখ পরিবারের ১ হাজার ৪৫ কোটি টাকা জব্দ

    ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার পরিবারের সদস্য এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা মোট ১৫৬টি ব্যাংক হিসাব থেকে প্রায় ১ হাজার ৪৫ কোটি টাকা জব্দ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এই বিশাল অঙ্কের অর্থ জব্দের বিষয়টি ইতোমধ্যে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী সম্পন্ন হয়েছে।

    দুদকের সূত্র জানায়, জব্দ করা টাকার মধ্যে সবচেয়ে বড় অংশটি রয়েছে ‘শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট’-এর নামে। এ ট্রাস্টের নামে ৩২টি ব্যাংক হিসাবে জমা থাকা ৪৭৯ কোটি ২৭ লাখ ৬৪ হাজার ২৬৪ টাকা জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া ‘সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন’ (সিআরআই)-এর নামে ১৬টি ব্যাংক হিসাবে ৫৫ কোটি ৭৩ লাখ ৫৬ হাজার ১৩৬ টাকা, আওয়ামী লীগের নামে আটটি ব্যাংক হিসাবে ৩৩ কোটি ৮৫ লাখ ৩৮ হাজার ১৩১ টাকা এবং সূচনা ফাউন্ডেশনের নামে ৯টি ব্যাংক হিসাবে ৩১ কোটি ৬০ লাখ ৭৯ হাজার ১১৫ টাকা জব্দ করা হয়েছে।

    এছাড়াও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের নামে দুটি ব্যাংক হিসাবে ১৯ কোটি ৩৫ লাখ ৮৬ হাজার ৩৪৪ টাকা, আবু সিদ্দিক মেমোরিয়াল ট্রাস্টের নামে পাঁচটি হিসাবে ৫৬ লাখ ৭ হাজার ৭৪৩ টাকা, সায়মা ওয়াজেদের নামে পাঁচটি হিসাবে ২ কোটি ৭৬ লাখ ৫ হাজার ৮৫৪ টাকা এবং শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার যৌথ নামে থাকা চারটি ব্যাংক হিসাবে ২ কোটি ৭২ লাখ ১৪ হাজার ৮৬২ টাকা জব্দ করা হয়েছে।

    ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাবের মধ্যে শেখ হাসিনার নামে ১২টি হিসাবে রয়েছে ১ কোটি ২৯ লাখ ৬৮ হাজার ৭০৫ টাকা, শেখ রেহানার নামে দুটি হিসাবে ৮১ লাখ ৫ হাজার ৮৩৪ টাকা, সজীব ওয়াজেদ জয়ের নামে দুটি হিসাবে ১ কোটি ১৭ লাখ ১৫ হাজার ২৭১ টাকা, রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববির নামে দুটি হিসাবে ১ কোটি ২৭ লাখ ৫৬ হাজার ৯১৪ টাকা এবং ববির বাবা শফিক আহমেদ সিদ্দিকের নামে রয়েছে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৯৫০ টাকা।

    দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) আকতারুল ইসলাম জানিয়েছেন, তদন্ত কর্মকর্তারা আদালতের অনুমোদন নিয়ে আইনানুগভাবে এসব ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছেন। তদন্তের অংশ হিসেবে কমিশনের উপপরিচালক মনিরুল ইসলামের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত সময়কালীন বিভিন্ন ধাপে জব্দের আদেশ দিয়েছেন।

    দুদক আরও জানায়, শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, রাদওয়ান মুজিব ববি, শফিক আহমেদ সিদ্দিক ও তাদের নিকটাত্মীয়দের নামে বিদেশে—বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, হংকং ও কেম্যান দ্বীপপুঞ্জে—বিলাসবহুল সম্পদেরও খোঁজ পাওয়া গেছে। এসব সম্পদের উৎস ও বৈধতা খতিয়ে দেখতে বর্তমানে আন্তর্জাতিক তদন্ত সহযোগিতার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

  • ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও ৩ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৯

    ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও ৩ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৯

    করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে আবারও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের, এবং নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ১৯ জন রোগী। এই তথ্য নিশ্চিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, যা প্রকাশিত হয়েছে ২৩ জুন ২০২৫ তারিখে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দৈনিক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।

    স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এই ২৪ ঘণ্টায় মোট ৪০৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়, যার মধ্যে ১৯টি পজিটিভ আসে। এতে করে সংক্রমণের হার দাঁড়ায় ৪.৬৮ শতাংশ

    মৃত্যু ও শনাক্তের বিস্তারিত:

    • মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ১ জন পুরুষ এবং ২ জন নারী

    • বয়সসীমা ছিল ৬১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে

    • মৃতদের মধ্যে ১ জন ঢাকার বাসিন্দা এবং ২ জন চট্টগ্রামের

  • করোনায় ৫ জনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ৩৬

    করোনায় ৫ জনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ৩৬

    করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক দিনে সারা দেশে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে শনাক্ত হয়েছেন আরো ৩৬ জন। রোববার (২২ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

    বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ৬২১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সেই হিসাবে শনাক্তের হার পাঁচ দশমিক ৮০ শতাংশ।

    দেশে চলতি বছর জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ৫ হাজার ৫৯৮ জন করোনা পরীক্ষা করেছেন। এর বিপরীতে ৪৩৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।

    এই বছর করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১৬ জনের। এর মধ্যে ৯ জন নারী আর ৭ জন পুরুষ রয়েছেন। আর এখন পর্যন্ত দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২৯ হাজার ৫১৫।

    চলতি বছর প্রথম ৫ জুন করোনায় আক্রান্ত একজনের মৃত্যুর খবর জানা যায়। এরপর ১৩ জুন দুজন, ১৫ জুন একজন, ১৬ জুন একজন ও ১৭ জুন দুজন, ১৮ জুন একজন, ১৯ জুন একজন ও ২১ জুন দুজনের মৃত্যু হয়।

  • রাশিয়া ইরানকে শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচিতে সহায়তা দিতে প্রস্তুত: পুতিন

    রাশিয়া ইরানকে শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচিতে সহায়তা দিতে প্রস্তুত: পুতিন

    রাশিয়া ইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচিকে সমর্থন জানিয়ে এতে সহায়তা দেওয়ার প্রস্তুতির কথা ঘোষণা করেছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গত শুক্রবার (২০ জুন) সেন্ট পিটার্সবার্গ আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ফোরামে দেওয়া এক বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন।

    পুতিন বলেন, “ইরান যে শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে, তা আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী বৈধ এবং আমরা এতে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।” তিনি আরও জানান, “ইরানের বিরুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির কোনো প্রমাণ নেই — না রাশিয়ার কাছে, না আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (IAEA)-এর কাছে।”

    রুশ প্রেসিডেন্টের এই বক্তব্য এমন সময়ে এলো যখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে নানা ধরনের বিতর্ক ও উদ্বেগ চলছে। বিশেষ করে ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছে, ইরান গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে পুতিন সেই অভিযোগকে নাকচ করে দিয়েছেন।

    পারমাণবিক কর্মসূচিতে রাশিয়ার ভূমিকা

    রাশিয়া দীর্ঘদিন ধরে ইরানের বুশেহর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ বিভিন্ন শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক প্রকল্পে সহায়তা দিয়ে আসছে। পুতিনের সাম্প্রতিক বক্তব্য সেই ধারাবাহিকতারই অংশ। তিনি বলেন, “যতদিন ইরানের কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পরিচালিত হবে, ততদিন রাশিয়া তার পাশে থাকবে।”

    ইসরায়েল-ইরান উত্তেজনা নিরসনে মধ্যস্থতার প্রস্তাব

    এছাড়াও পুতিন ঘোষণা দেন, ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে চলমান উত্তেজনা প্রশমনে রাশিয়া একাধিক শান্তি প্রস্তাব দিয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা উভয় দেশকেই সংঘাত থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছি। যুদ্ধ নয়, আলোচনাই হতে হবে পথ।”

    আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া

    পুতিনের বক্তব্যে আন্তর্জাতিক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। পশ্চিমা বিশ্ব বরাবরই ইরানের পারমাণবিক কর্মকাণ্ড নিয়ে সন্দিহান। তবে রাশিয়ার এ বক্তব্য ইরানকে কূটনৈতিকভাবে শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে যেতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

    বিশ্লেষকদের মতে, ইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক প্রযুক্তিতে সহযোগিতা দেওয়ার মাধ্যমে রাশিয়া শুধু তাদের মিত্রতাই জোরালো করছে না, বরং মধ্যপ্রাচ্যে নিজেদের কৌশলগত অবস্থানও আরও মজবুত করছে।

  • জেলা প্রশাসকের সঙ্গে রেড ক্রিসেন্ট সাতক্ষীরা ইউনিটের নবগঠিত কমিটির সৌজন্য সাক্ষাৎ

    জেলা প্রশাসকের সঙ্গে রেড ক্রিসেন্ট সাতক্ষীরা ইউনিটের নবগঠিত কমিটির সৌজন্য সাক্ষাৎ

    সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সঙ্গে  বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সাতক্ষীরা ইউনিটের নবগঠিত অ্যাডহক কার্যনির্বাহী কমিটির প্রতিনিধিরা সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
    বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সকালে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সাথে এই সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়। এ সময়
    অ্যাডহক কার্যনির্বাহী কমিটির প্রতিনিধিরা
     রেড ক্রিসেন্টের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও কার্যক্রম নিয়ে   জেলা প্রশাসকের  সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং সহযোগিতা কামনা করেন।
    সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলার রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের অ্যাডহক কার্যনির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান শেখ মাসুম বিল্লাহ শাহীন, সেক্রেটারি তাসকিন আহমেদ চিশতী, সদস্য শেখ সিরাজুল ইসলাম, আবুল হাসান আল হাদী, আবু জাহিদ ডাবলু,, ডাঃ আবুল কালাম বাবলা, প্রমুখ।
  • খানা-খন্দে ভরা নাভারন-সাতক্ষীরা মহাসড়ক, জলাবদ্ধতায় নরকযন্ত্রণা

    খানা-খন্দে ভরা নাভারন-সাতক্ষীরা মহাসড়ক, জলাবদ্ধতায় নরকযন্ত্রণা

     সড়কটি যেন আর সড়ক নয়, এক ভয়ঙ্কর মৃত্যু ফাঁদ। নাভারন-সাতক্ষীরা মহাসড়কের বাগআঁচড়া সাতমাইল বাজার থেকে বেলতলা আমবাজার পর্যন্ত অংশজুড়ে যেন ভয়াল বিভীষিকা। খানাখন্দে পরিপূর্ণ এই সড়ক প্রতিদিনই কেড়ে নিচ্ছে জনজীবনের স্বাভাবিকতা। ভোগান্তির যেন শেষ নেই। জলাবদ্ধতা, কর্দমাক্ত গর্ত, যানজট ও দুর্ঘটনা এখন নিত্যদিনের সঙ্গী।

    সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন বাগআঁচড়া বাজারের ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা। জিরো পয়েন্ট মোড়ে বড় বড় গর্তের কারণে বাজারে আসা মানুষজন পড়ছেন চরম বিড়ম্বনায়। বর্ষায় এই গর্তগুলোতে জমে থাকা পানি ও কাদামাটি রাস্তার চেহারাই পাল্টে দিয়েছে—দেখলে মনে হয় যেন শহরের বুকে গজিয়ে ওঠা বিশাল পুকুর!

    মাত্র দুইদিনের বৃষ্টিতেই হাঁটুসমান পানি! স্থানীয়দের অভিযোগ, সড়কের এই করুণ দশায় একটি মাঝারি বৃষ্টি হলেই পুরো রাস্তাজুড়ে হাঁটু সমান পানি জমে যায়। বিশেষ করে সাতমাইল থেকে বেলতলা পর্যন্ত বাজার এলাকায় কোথাও কোথাও পথচারীরা ঠিক করে বুঝতেও পারেন না, তারা হাঁটছেন গর্তে না সমতলে! দোকানপাটে যাওয়া কষ্টকর হয়ে পড়ে, কেউ কেউ কাঁধে করে শিশু বা বই-খাতা বাঁচিয়ে রাস্তা পার হন। জলাবদ্ধতায় মোটরসাইকেল, রিকশা ও ভ্যান প্রায়শই বিকল হয়ে পড়ে থাকে, সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজট। বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, “একটু বৃষ্টি হলেই মনে হয় নদী বয়ে যাচ্ছে, মানুষ পড়ছে, পণ্য নষ্ট হচ্ছে, আমাদের জীবনই যেন থেমে যায়।”

    সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় রাস্তার কার্পেটিং উঠে গিয়ে জেগে উঠেছে গভীর গর্ত। যশোর ও সাতক্ষীরা জেলার লাখো মানুষ চলাচলের একমাত্র ভরসা এই মহাসড়কটি এখন যান চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। স্কুল-কলেজগামী হাজারো শিক্ষার্থী, রোগী ও সাধারণ মানুষ নিত্য ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।

    বাগআঁচড়া কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী তিশা খাতুন বলেন,“প্রতিদিন প্রায় ২ কিমি পথ হেঁটে কলেজে যাই। আগে যেখানে ২০ মিনিটে পৌঁছাতাম, এখন সেখানে লাগে এক ঘণ্টা। ক্লাসে মনোযোগ দিতে পারি না। বিশেষ করে পরীক্ষার সময়ে সঠিক সময়ে পৌঁছানো দুঃস্বপ্নের মতো। প্রশাসনের কাছে আমাদের আকুতি—দয়া করে এই সড়কের দিকে নজর দিন।”

    একই কথা বললেন স্থানীয় ভ্যানচালক আয়ুব আলী মুন্সি। তিনি বলেন, “জীবনের ঝুঁকি নিয়েই যাত্রী বহন করি। গর্তে পড়ে ভ্যান উল্টে প্রতিদিনই কেউ না কেউ আহত হচ্ছে। অথচ সড়ক বিভাগের কেউ নেই দেখার!”

    বাগআঁচড়া বাজারের ঔষধ ব্যবসায়ী জিয়াউর রহমান জানান, “বাজারের মূল স্থানে গর্তে জমে থাকা পানিতে গাড়িগুলো একে অপরকে ওভারটেক করতে গিয়ে যানজট তৈরি করছে। হঠাৎ বৃষ্টি হলে রীতিমতো পানিতে ডুবে যায় পথচারীরা। বহু মোটরসাইকেল উল্টে আহত হয়েছে। ভারী ট্রাকগুলো বিকল হয়ে দীর্ঘ সময় পড়ে থাকে বাজারের মাঝখানে।”

    স্থানীয় যুবক জয়নাল আবেদিন বলেন, সড়ক নির্মাণে ব্যবহৃত নিম্নমানের উপকরণ এবং সংস্কারের দীর্ঘসূত্রতা এ দুরবস্থার প্রধান কারণ। মাঝে মাঝে লোক দেখানো মেরামত করা হলেও, তা এক বর্ষাতেই ধুয়ে-মুছে যায়।“প্রতিবছর সাংবাদিকরা আসে, ছবি তোলে, নিউজ হয়। পরে সড়ক বিভাগ লোক দেখানো মেরামত করে—দুই-এক বস্তা বালি দিয়ে গর্ত ঢেকে চলে যায়। কিছুদিনের মধ্যেই সব আগের অবস্থায় ফিরে যায়।”

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মাহবুব হায়দার খান বলেন, “নাভারন-সাতক্ষীরা মহাসড়কের সংস্কারকাজের দরপত্র (টেন্ডার) ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে এবং ঠিকাদারও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আগামী জুলাই মাসেই কাজ শুরু করা যাবে বলে আশা করছি।”

    তিনি আরও বলেন, “বাজার এলাকায় জলাবদ্ধতার অন্যতম কারণ হচ্ছে অপরিকল্পিত দোকান ও ভবন নির্মাণ। যত্রতত্র ড্রেনেজ লাইন না থাকায় বাজার ও আশপাশের বাসাবাড়ির পানি সরাসরি রাস্তার ওপর এসে পড়ে, এতে সড়কের ব্যাপক ক্ষতি হয়। অনেক জায়গায় সড়কের চেয়ে দোকান বা মার্কেটের প্ল্যাটফর্ম উঁচু হওয়ায় বৃষ্টির পানি রাস্তাতেই জমে থাকে। অথচ এসব স্থানে পানি নিষ্কাশনের কোনো পরিকল্পনাই রাখা হয়নি।”

    তিনি বলেন, “প্রতিটি সড়কে লম্বালম্বিভাবে ড্রেন নির্মাণ সম্ভব নয়, এটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ। আবার বিটুমিনের (রাস্তা নির্মাণে ব্যবহৃত উপাদান) বড় দুর্বলতা হলো—পানি। টানা দুই-তিন দিন বৃষ্টিতে ভিজে থাকলে বিটুমিন দ্রুত ক্ষয়ে যায়। তাই সড়ক টেকসই করতে হলে শুধু মেরামত নয়, জনগণকেও ড্রেনেজ ও পানি নিষ্কাশনের ক্ষেত্রে সচেতন হতে হবে।”

    মাহবুব হায়দার খান দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে আরো জানান, “আগামী মাসে আমরা বাজার কমিটি ও সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসনের কাছে চিঠি পাঠাব, যাতে ভবিষ্যতে দোকান-পাট ও ঘরবাড়ি নির্মাণে সঠিক ড্রেনেজ ব্যবস্থার বিষয়টি মাথায় রাখা হয়। জনগণের সহযোগিতা ছাড়া শুধু সড়ক বিভাগ একা এই সমস্যার সমাধান করতে পারবে না।”

  • আশাশুনিতে দপ্তরী কর্মচারী কল্যাণ সমিতির কমিটি গঠন

    সভাপতি- মাজেদ, সম্পাদক-শাহজালাল 
     আশাশুনি প্রতিনিধি:
    আশাশুনিতে দপ্তরী কর্মচারী কল্যাণ সমিতির কমিটি গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) আশাশুনি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এক সাধারণ সভায় পুরনো কমিটি বিলুপ্ত করে ২৫ নম্বর দক্ষিণ চাপড়ার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী আব্দুল মাজেদকে সভাপতি ও ৯নং গোদাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দপ্তরি মোঃ শাহজালালকে সাধারণ সম্পাদক করে ২৩ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্যান্যদের মধ্যে মোঃ আল মামুন হোসেন সিনিয়র সহ সভাপতি, মোঃ শরিফুল ইসলাম, বাপ্পী কুমার সানা ও মোঃ জাহিদুল ইসলাম সহ সভাপতি, মোঃ শহিদুল ইসলাম সিনিয়র সাধারণ সম্পাদক, মোঃ শাহ নেওয়াজ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনিরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক, মোঃ শাহিনুর রহমান সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, মোঃ ফরহাদ হোসেন দপ্তর সম্পাদক, মোঃ মোজাম্মেল হোসেন কোষাধ্যক্ষ, মোঃ আব্দুল আলীম প্রচার সম্পাদক, মোঃ ইসমাইল হোসেন শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক করা হয়েছে। কমিটির কার্যকরী সদস্যরা হলেন ইমরান হোসেন, মোঃ ইমদাদুল হক, গৌতম কুমার, মোঃ ফিরোজ রুমি , মোঃ গিয়াস উদ্দিন, মোঃ আল মুজাহিদ, দেব প্রসাদ রায় মিজানুর রহমান, নিরান কুমার মন্ডল এবং এস এম আক্তারুজ্জামান (পিন্টু), বিধান চন্দ্র মন্ডল, শংকর কুমার দাশ ও মোঃ শরিফুল ইসলাম কে কমিটির উপদেষ্টা করা হয়েছে।
  • তালায় ভিডব্লিউভি  চাল কার্ড এর তালিকায় অনিয়মের অভিযোগ

    তালায় ভিডব্লিউভি  চাল কার্ড এর তালিকায় অনিয়মের অভিযোগ

    তালা উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের ভিডব্লিউভি (চাল) তালিকায় ইউপি সদস্য মোঃ মফিজুল ইসলামের স্ত্রী সহ ধনী ও নিকট আত্মীয়ের নাম তালিকা ভ‚ক্তির অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে তালা উপজেলা নাগরিক কমিটি উপজেলা নির্বাহী কর্তকর্তা বরাবরে অভিযোগ করেছেন।

    বুধবার (১৮ জুন) এ অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মোঃ রাসেল তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কে  নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

    অভিযোগপত্র সূত্রে জানা যায়, গত ৪ জুন তালা সদর ইউনিয়ন পরিষদের হলরুমে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সহ প্যানেল চেয়ারম্যান সহ সকল ইউপি সদস্য ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে যাচাই বাছাই এ ৮২ জনের স্বাক্ষাতকার গ্রহণ করা হয়। তবে জনসংখ্যানুপাতে এই ওয়ার্ডে ৪২ জন কে ভাতা প্রদান করা হবে। সরকারী পরিপত্র অনুযায়ী কোন চাকুরীজিবীর পরিবারের সদস্য, চলমান কোনো ভাতাভোগী হলে, দুইটি সন্তানের অধিক সন্তান হলে, অপেক্ষাকৃত ধনী পরিবারের সদস্যরা এই ভাতার আওতায় আসবে না। তবে সরকারী পরিপত্র উপেক্ষা করে ৯ নং ইউপি সদস্য মফিজুল ইসলাম ৪২ নং ক্রমিকে তার স্ত্রী জুলিয়া খাতুনের সহ ১১৬ নং পপি খাতুন, ৭৭ নং লিপিয়া খাতুন, ৮৮ নং সুরাইয়া বেগম, ০৩ নং তহমিনা বেগম, ৭২ নং আসমা খাতুন, ৫৮ নং ইয়াসমিন, ১১১ নং ফতেমা খাতুন, ৬১ নং ইতি খাতুন, ১১৩ নং জান্নাতুল খাতুন ও ১০ নং বৃষ্টি খাতুনের নাম অর্ন্তভ‚ক্ত করেছেন। এই সকল পরিবার ধনী শ্রেণীর। অধিকাংশের পাঁকা বাড়ি এবং কোনো না কোনো ভাতা চলমান আছে।উপজেলা নাগরিক কমিটির সহ-সভাপতি রেজাউল ইসলাম রেজা বলেন, ভিডবিøউবি কার্ড যাচাই বাছাই এর সময় আমি উপস্থিত ছিলাম। আমরা চলে আসার পরে ইউপি সদস্যরা যোগসাজসে ইউপি সদস্য মফিজুল ইসলাম তার স্ত্রী সহ চলমান ভাতাভোগী ও ধণী পরিবারের সদস্যদের অর্ন্তভ‚ক্তি করেছেন। যা সরকারী পরিপত্রের চরম লংঘন। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেছি।ইউপি সদস্য মফিজুল ইসলামের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি। তিনি স্বাক্ষাতে কথা বলবেন বলে জানান।উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাজমুন নাহার বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ বিয়য়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। এবিষয়ে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মোঃ রাসেল বলেন, এবিষয়ে অভিযোগ পাওয়ার পরে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কে তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পেলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  • ইরানে ইসরাইলি হামলার সময় রেডিও ভবনে ছিল আট বাংলাদেশি

    ইরানে ইসরাইলি হামলার সময় রেডিও ভবনে ছিল আট বাংলাদেশি

    ইরান-ইসরাইল চলমান সংঘাতের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বজুড়ে। এই উত্তেজনার মধ্যে ইরানের রাজধানী তেহরানে অবস্থানরত বাংলাদেশিরা রয়েছেন চরম ঝুঁকিতে। স্থানীয় সময় সোমবার (১৬ জুন) রাতে ইসরাইলের চালানো বিমান হামলায় ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ও রেডিও ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। হামলার সময় ওই ভবনে কর্মরত ছিলেন আটজন বাংলাদেশি নাগরিক। তবে ভাগ্যক্রমে তারা সবাই অক্ষত রয়েছেন।

    মঙ্গলবার ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র সচিব (ভারপ্রাপ্ত) রুহুল আলম সিদ্দীকী এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, “গতকাল রাতে ইরানের রেডিও ভবনে হামলার সময় আমাদের আটজন বাংলাদেশি সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তারা সবাই নিরাপদে আছেন এবং কেউ আহত হননি। তেহরানে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিক ও দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”

    তবে ইরানে ব্যাংকিং চ্যানেল ও বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাঠানো ও পুনর্বাসন কার্যক্রমে কিছুটা জটিলতা তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সচিব। তিনি বলেন, “রিলোকেশনের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ পাঠাতে বিলম্ব হচ্ছে। তবে সরকার পুরো পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।”

    এ ঘটনায় বাংলাদেশ সরকার ইসরাইলি আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এবং অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কার্যকর পদক্ষেপ কামনা করেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, “আমরা জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মহলের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি, যেন যুদ্ধ বন্ধ করে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়।”

  • ইসরায়েল পারমাণবিক হামলা চালালে পাকিস্তানও বোমা ফেলবে -ইরানের শীর্ষ কর্মকর্তা

    ইসরায়েল পারমাণবিক হামলা চালালে পাকিস্তানও বোমা ফেলবে -ইরানের শীর্ষ কর্মকর্তা

    আর্জাতিক ডেস্ক:

    টানা কয়েক দিন ধরে ইরান ও ইসরায়েলের হামলা-পাল্টা হামলায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মধ্যপ্রাচ্য। এরই মধ্যে ইরানের এক শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা দাবি করেছেন, যদি ইসরায়েল ইরানের ওপর পারমাণবিক হামলা চালায়, তাহলে পাকিস্তানও পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে।

    ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, সোমবার (১৬ জুন) ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) সিনিয়র কর্মকর্তা ও জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য জেনারেল মহসেন রেজায়ি ইরানি টেলিভিশনে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এই মন্তব্য করেন।

    তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান আমাদের আশ্বস্ত করেছে যে, যদি ইসরায়েল পারমাণবিক বোমা ব্যবহার করে, তাহলে তারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পারমাণবিক হামলা চালাবে।’ জেনারেল রেজায়ি আরও দাবি করেন, পাকিস্তান মুসলিম বিশ্বের ঐক্যের পক্ষে দাঁড়িয়েছে এবং ইরানের পাশে রয়েছে। তিনি জানান, তেহরান এখনও অনেক গোপন শক্তি প্রকাশ করেনি।

    তবে পাকিস্তান এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি। কিন্তু দেশটি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরানের অবস্থানকে সমর্থন জানিয়ে আসছে। বিশ্বের মাত্র ৯টি দেশের কাছে বর্তমানে পারমাণবিক অস্ত্র আছে এবং ইসরায়েল ও পাকিস্তান উভয়ই সেই তালিকায় রয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ সংস্থা আইসিএএন।

    এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়ে ইরানকে দেওয়া পাকিস্তানের এই আশ্বাসকে সরাসরি সামরিক প্রতিশ্রুতি না বলে কূটনৈতিক সমর্থন হিসেবে দেখা হচ্ছে। কারণ এই সংঘাত শুধু মধ্যপ্রাচ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও এশিয়ার অনেক দেশ এতে কৌশলগতভাবে জড়িত।

    যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে একটি চুক্তির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে তিনি ইরানকে হুঁশিয়ার করে বলেন, ‘যদি তারা যুক্তরাষ্ট্রকে আঘাত করে, তাহলে মার্কিন সেনাবাহিনী এমন শক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়বে যা ইতিহাসে আগে কখনও দেখা যায়নি।’

    এদিকে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ এক অনলাইন পোস্টে বলেন, ‘ইসরায়েলের পারমাণবিক ক্ষমতা নিয়ে পশ্চিমাদের চিন্তা করা উচিত। কারণ এই সংঘাত শুধু একটি অঞ্চল নয়, পুরো বিশ্বকে বিপদে ফেলতে পারে। ইসরায়েল একটি বেপরোয়া রাষ্ট্র, যাকে সমর্থন করে পশ্চিমা দুনিয়া ভয়াবহ ভুল করছে।’

  • প্রথম ম্যাচেই বাজিমাত! হামজার মাথা, সোহেলের বুলেট — জাতীয় স্টেডিয়ামে ‘ফুটবল মহোৎসব

    প্রথম ম্যাচেই বাজিমাত! হামজার মাথা, সোহেলের বুলেট — জাতীয় স্টেডিয়ামে ‘ফুটবল মহোৎসব

    দীর্ঘদিন পর জাতীয় স্টেডিয়ামে ফিরেছে বাংলাদেশ। ফেরার উপলক্ষ্যটা রাঙাতে দরকার ছিল দারুণ এক জয়। জাতীয় স্টেডিয়ামে দুই মিডফিল্ডারের কল্যাণে সেটাই করেছে বাংলাদেশ। হামজা চৌধুরী আর সোহেল রানার দুই গোল বাংলাদেশকে এনে দিয়েছে দাপুটে এক জয়।
    ঘরের মাঠে হামজা চৌধুরীর অভিষেক। ফাহামিদুল প্রথমবার জাতীয় দলের জার্সিতে। মাঝমাঠে জামাল ভূইয়া আর হামজা চৌধুরীর রসায়ন। বাংলাদেশের ফুটবল ভক্তরা যেমনটা দেখতে চেয়েছিলেন কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা বুঝি সেটাই পূরণ করেছেন।

    বাংলাদেশের শুরুটাও ছিল দারুণ। রাইট উইং থেকে ভয় ধরানো আক্রমণ হয়েছে। গোল পেতে অবশ্য খুব বেশি সময়ও লাগেনি বাংলাদেশের৷ ম্যাচের মাত্র ছয় মিনিটে ডান প্রান্ত দিয়ে জামাল ভূঁইয়ার কর্ণার কিক নেন। সেই কিকে উড়ে আসা বলে হেড করতে সময়ক্ষেপন করেননি বারের খুব সামনে দাঁড়িয়ে থাকা হামজা চৌধুরী।

    হোম ম্যাচে অভিষেকেই গোল করে দর্শকদের বাহবা কুড়ান ইংলিশ লিগে খেলা মিডফিল্ডার হামজা চৌধুরী। ইতালি প্রবাসী ফরোয়ার্ড ফাহমিদুলের পাস ৩০ মিনিটে ফাহামেদুল থেকে রাকিব বল পেয়ে শট করেন। গড়িয়ে আসা বলে জামাল ভূঁইয়ার শট পোস্ট ঘেষে বাইর চলে যায়।

    আজকের ম্যাচে অভিষেক হয়েছে ফাহমিদুল ইসলামের। তার গতির ঝড় দেখেছে ঢাকা স্টেডিয়ামের দর্শকরা। হামজা চৌধুরী আর ফাহামেদুল ইসলামের গতির কাছে ম্যাচের শুরু থেকেই কুপোকাত হয়ে পড়ে ভুটান। প্রায়ই ভুটানের রক্ষণভাগ ভেঙ্গে চুরমার হয়েছে।

    ফাহমেদুল বাম প্রান্তে বারবার গতি দিয়ে পরাস্ত করছিলেন ভুটানের রক্ষণকে। অন্তত দুবার ভালো কাটব্যাক ছিল, যদিও সেটা গোলে পরিণত করা হয়নি। আবার ডানপ্রান্তে কাজেম শাহ কিংবা তাজউদ্দিনরাও ছিলেন উজ্জ্বল। তবে সবকিছু ছাপিয়ে প্রথমার্ধে গোল আর পাওয়া হয়নি বাংলাদেশের। ১-০ ব্যবধান নিয়েই টানেলে ফেরে স্বাগতিকরা।

    দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে বাংলাদেশের কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা হামজা, জামাল ভুইয়া ও কাজেমকে তুলে নেন৷ তাদের পরিবর্তে হৃদয়, মোরসালিন ও ইব্রাহিম নামেন। প্রীতি ম্যাচে নির্ধারিত ৫ জনের বেশিও খেলোয়াড় বদল করা যায়। সিঙ্গাপুর ম্যাচের জন্য কোচ ফুটবলারের পরখ করছেন।

    দ্বিতীয়ার্ধের তিন মিনিটে সোহেল রানা দুর্দান্ত গোল করেন। দূরপাল্লার শটে ভুটানের জালে বল পাঠান সিনিয়র এই ফুটবলার। বাংলাদেশ ২-০ লিড পায়। রাকিব হোসেন খানিকক্ষণ পর আরেকটি গোল মিস করেন। খালি বারপোস্টেও বল নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পেরে গোল মিসের হতাশায় ভুগেন রাকিব।

    কাজেম এবং হামজাকে আগেই আগেই উঠিয়ে নিয়েছিলেন কোচ। ফাহামিদুলকেও একপর্যায়ে উঠিয়ে নেন ক্যাবরেরা। তবে মাঠ ছাড়ার আগেও দারুণ এক মাপা ক্রস ফেলেছিলেন বক্সে। তবে ভুটানি গোলরক্ষকের দৃঢ়তায় সেখান থেকে গোল আসেনি।

    ফাহামিদুল ইসলাম ওঠার পর খেলার গতি অবশ্য খানিক কমেছে। দুই গোল পাওয়ার পর বাংলাদেশ অনেকটাই নির্ভার হয়েই খেলেছে। তারমাঝেও ফয়সাল আহমেদ ফাহিম বা শেখ মোরসালিনরা চেষ্টা করেছিলেন ব্যবধান বাড়াতে।

    খেলার ধারার অনেকটা বিপরীতে ৭৬ মিনিটে গোল প্রায় হজমই করে ফেলেছিল বাংলাদেশ। কর্নার থেকে আসা বল অনেকটাই ফাঁকায় পেয়ে যান সেলটব দর্জি। তবে হেড থাকেনি লক্ষ্যে। ২-০ গোলের লিড অক্ষুন্ন থাকে বাংলাদেশের।

    ম্যাচের শেষদিকে বাংলাদেশের দুশ্চিন্তা খানিক বাড়িয়েছেন অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার সাদউদ্দিন। ইনজুরিতে মাঠ ছেড়েছেন স্ট্রেচারে করেই। আগেই খেলোয়াড় বদলের কোটা শেষ হওয়ায় শেষ কয়েকমিনিট বাংলাদেশ খেলেছে ১০ জন নিয়ে।

    সাদ মাঠ ছাড়ার পরেই বাংলাদেশ দারুণ এক সুযোগ পেয়েছিল। তবে ভুটান গোলরক্ষক আরও একবার হতাশ করেছেন বাংলাদেশ দল আর জাতীয় স্টেডিয়ামে আসা দর্শকদের। ম্যাচের ইনজুরি সময়ে জিগমে নামগয়ালের শট একেবারে কাছ থেকে দারুণ দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন বাংলাদেশি গোলরক্ষক মিতুল মারমা। পুরো ম্যাচে খুব একটা পরীক্ষা দিতে না হলেও শেষের এই সেইভে দলের ত্রাতা হয়েছেন মিতুল।

    ম্যাচে ফাহামিদুলের পাশাপাশি অভিষেকের স্বাদ পেয়েছেন ফরোয়ার্ড আল আমিন। ঘরোয়া ফুটবলে ভালো খেলার পুরস্কার পেলেন ভুটান ম্যাচে। সেই সাথে আজকের ম্যাচে ৬ খেলোয়াড়কে বদল করেছেন হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা। সিঙ্গাপুর ম্যাচের আগে দলের খেলোয়াড়দের পরখ করতে চেয়েছেন তিনি। সাধারণ ফিফা প্রীতিম্যাচে ৫ বদলের নিয়ম থাকলেও ক্যাবরেরা আজকের ম্যাচে এনেছেন ৬ বদল।

  • জুলাই সনদ করব এটাই আমাদের লক্ষ্য : প্রধান উপদেষ্টা

    জুলাই সনদ করব এটাই আমাদের লক্ষ্য : প্রধান উপদেষ্টা

    প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, দ্বিতীয় পর্বের আলোচনায় যেটুকুই আলাপ ছিল, দূরত্ব ছিল, সেই দূরত্বকে ঘুচিয়ে এনে যাতে জুলাই সনদের বর্তমানে যত ঐকমত্যের বিষয় আছে, তার সঙ্গে আরও কিছু যোগ করতে পারি। দেখতে সুন্দর লাগবে, জাতীয় একটা সনদ হলো, অনেক বিষয়ে আমরা একমত হতে পেরেছি, গর্বিত জাতি হিসেবে আমরা যাতে দাঁড়াতে পারি। আমরা তো বিভক্তিকরণ প্রক্রিয়ার মধ্যে রাজনীতি সৃষ্টি করিনি। আমরা সৃষ্টি করেছি ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য, দেশের উন্নতির জন্য। দেশের মঙ্গলের জন্য। সোমবার (২ জুন) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফার বৈঠকের শুরুতে তিনি এসব কথা বলেন।

    ড. ইউনূস বলেন, আমি সারা দিন যত মিটিং করি, সব থেকে আনন্দ পাই আপনাদের সঙ্গে এরকম বসে আলাপে। কারণ এখানেই সবাই মিলে বাংলাদেশের প্রকৃত ভবিষ্যৎ রচনা করা হচ্ছে। এটা আমাকে শিহরণ জাগায়, এরকম একটা কাজে আমি নিজেকে যুক্ত করতে পেরেছি। শুধু আপনাদের কথা শোনার জন্য এটাকে আপনারা কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। আমাদের ওপর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল সংস্কার করার জন্য। আমরা তো বুঝতে পারছিলাম না কোথা থেকে শুরু করবো। প্রথমেই নানা আলাপের মধ্যে ঠিক হলো, আমরা কিছু কমিশন করে দেই। তারা প্রকৃতপক্ষে ভেতরে গিয়ে জিনিসটা তৈরি করবে। এটা দীর্ঘ প্রক্রিয়া, শেষ পর্যন্ত আমরা লোক জোগাড় করলাম।
    প্রথমে ছয়টি, পরবর্তী সময়ে আরও ছয়টি কমিশন করা হলো। দ্রুতগতিতে কাজ করার জন্য তাদের ৯০ দিন সময় দিয়েছিলাম। তারা করতে পেরেছে, কয়েকটা কমিশন বেশি সময় নিয়েছে, তাতে অসুবিধা নেই। কমিশনের রিপোর্ট আসার পর এখন আমরা যে ঐকমত্য গঠন করতে চাচ্ছি, এটা কীভাবে হবে। সেখান থেকে আইডিয়া হলো আলাদা একটা কমিশন করি। আমি কমিশনের সঙ্গে যখনই বৈঠক করি, আমাকে জানানো হয় আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। শুনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত হই, যেভাবে আপনারা সহযোগিতা করেছেন, কারণ আমার মনে হয়েছিল কারও আগ্রহ হবে, পাশ কাটিয়ে যাবে। আমি অত্যন্ত আশ্চর্য হয়েছি, কত গভীরভাবে আপনারা এর ভেতরে গিয়েছেন।

    তিনি বলেন, এরকম আগ্রহ নিয়ে যদি আমরা নিজে থেকে বসি তাহলে নিশ্চয়ই ভালো কিছু আসবে। আজকে প্রথম পর্ব শেষ হলো, সেটাও আনন্দের দিন। সবাই কোন বিষয়ে একমত হলাম, সেসব মিলিয়ে সবাই মিলে আমরা জুলাই সনদ করবো। এটি আমাদের লক্ষ্য। এটি ছিল প্রথম পর্বে, দ্বিতীয় পর্বে তাহলে কী হবে। অনেক বিষয় আছে যেগুলো নিয়ে আমরা কাছাকাছি এসেছি, আরেকটু একমত হলে আমাদের তালিকাটি আরেকটু সুপারিশযুক্ত হয়। এই সুযোগ যেন আমরা হারিয়ে না ফেলি।

  • ১৬ জুনের আগেই হাজিরা দিতে হবে শেখ হাসিনাকে? জারি হলো পরোয়ানা!

    ১৬ জুনের আগেই হাজিরা দিতে হবে শেখ হাসিনাকে? জারি হলো পরোয়ানা!

    জুলাই মাসে সংঘটিত গণ-অভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা এবং তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ১ জুন (রোববার) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

    এই মামলায় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ইতোমধ্যেই গ্রেপ্তার হয়েছেন। তবে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। আদালত আগামী ১৬ জুনের মধ্যে তিন আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছে।

    উল্লেখ্য, জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কাঠামো পুনর্গঠন করা হয় এবং এরপরই এই ঘটনায় প্রথম একটি বিবিধ মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলার ভিত্তিতেই আনুষ্ঠানিক অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে, যা এখন একটি পূর্ণাঙ্গ মামলায় রূপ নিয়েছে। অভিযোগপত্রে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মোট পাঁচটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।

    এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন গত ১২ মে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে জমা দেয়। প্রচলিত বিধি অনুযায়ী, তদন্ত সংস্থা প্রথমে চিফ প্রসিকিউটরের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়, যা তিনি পর্যালোচনা করে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আকারে ট্রাইব্যুনালে দাখিল করেন।

    পুনর্গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বর্তমানে মোট তিনটি মামলা চলছে। এর মধ্যে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত ঘটনাটি নিয়ে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠিত হয়েছে। এছাড়া, তাঁর শাসনামলে গুম ও হত্যার অভিযোগ এবং হেফাজতে ইসলামের মতিঝিল শাপলা চত্বরে সমাবেশে প্রাণহানির ঘটনায় আরও দুটি মামলায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে।

  • এবার ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষনা করবে সরকার

    এবার ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষনা করবে সরকার

    মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণসহ সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে চলতি বাজেটের চেয়েও ছোট বাজেট দিতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। আগামী ২০২৫–২৬ অর্থবছর সরকারি ব্যয় ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা চলতি বাজেটের চেয়ে ৭ হাজার কোটি টাকা কম।

    আগামী বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা খাতের আওতায় কিছু কর্মসূচিতে ভাতার পরিমাণ ও উপকারভোগী বাড়ানোর পাশাপাশি কর্মসংস্থানে সুযোগ তৈরির উদ্যোগ থাকবে গ্রামীণ পর্যায়ে। এজন্য উজ্জীবিত করা হবে রাস্তাঘাট নির্মাণ, সংস্কারসহ গ্রামীণ অবকাঠামো খাতের কর্মযজ্ঞকে।

    জুলাই অভ্যুত্থানে বদলে যাওয়া বাংলাদেশের ভিন্ন বাস্তবতায় এবার সংসদের বাইরে বাজেট উপস্থাপন করা হবে ভিন্ন আঙ্গিকে। সংসদ না থাকায় ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের বাজেট এবার রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম বিটিভিসহ অন্যান্য বেসরকারি গণমাধ্যমে একযোগে প্রচার করা হবে। আগামী সোমবার বিকেল ৪টায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের বাজেট বক্তব্য সম্প্রচার করা হবে বলে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

    আগামী ২ জুন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জাতির উদ্দেশ্যে ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট উপস্থাপন করবেন। ওইদিন বিকেল ৪টায় ধারণকৃত বাজেট বক্তৃতা বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে প্রচারিত হবে। এছাড়া বাংলাদেশ টেলিভিশন থেকে ‘ফিড’ নিয়ে অন্যান্য সব বেসরকারি টেলিভিশন ও বেতারে একই সময়ে জাতীয় বাজেট বক্তব্য প্রচারের অনুরোধ করা হয়েছে তথ্য বিবরণীতে।

    এর আগে সংসদের বাইরে বাজেট দেওয়া হয়েছিল ২০০৮ সালে। তখন ক্ষমতায় ছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকার। ওই বছরের ৯ জুন তখনকার অর্থ উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম ২০০৮-০৯ অর্থবছরের জন্য ৯৯ হাজার ৯৬২ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছিলেন। সেদিনও ছিল সোমবার। বেলা ৩টায় বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে সম্প্রচার করা হয়েছিল মির্জ্জা আজিজুল ইসলামের বাজেট বক্তব্য।

    তারপর আওয়ামী লীগের চার মেয়াদে সাড়ে ১৫ বছরে আবুল মাল আবদুল মুহিত টানা ১০ বার, আ হ ম মুস্তফা কামাল পাঁচবার এবং আবুল হাসান মাহমুদ আলী একবার জাতীয় বাজেট উপস্থাপন করেন। নির্বাচিত সরকারের আমলের এসব বাজেট জাতীয় সংসদেই উপস্থাপন করা হয়। পরে মাসজুড়ে সেই প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনা হত সংসদে। জুন মাসের শেষ দিকে সংসদে পাস হত নতুন অর্থবছরের বাজেট।

    এবার সংসদ না থাকায় সংসদের আলোচনা বা বিতর্কের কোনো সুযোগ থাকছে না। তবে বাজেট ঘোষণার পর প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর নাগরিকদের নিকট মতামত চাইবে অর্থ মন্ত্রণালয়। মতামতের ভিত্তিতে তা চূড়ান্ত করা হবে। এরপর আগামী ২৩ জুনের পর যেকোনো একদিন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনুমোদন নিয়ে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ আকারে তা আগামী এক জুলাই থেকে কার্যকর করা হবে।

    সবশেষ ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগ সরকারের অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। জুলাইয়ে নতুন অর্থবছর শুরুর পর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। এবার বাজেটের আকার সামান্য ছোট হয়ে দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৮৯ হাজার ৯৯৮ কোটি টাকা। স্বাধীনতার পর এই প্রথম বাজেটের আকার আগের অর্থবছরের তুলনায় কমছে।

  • আশাশুনিতে এলজিইডির পিচের রাস্তা সংস্কার পূর্বের ন্যায় করার দাবি এলাকাবাসির

    আশাশুনিতে এলজিইডির পিচের রাস্তা সংস্কার পূর্বের ন্যায় করার দাবি এলাকাবাসির

    আশাশুনিতে এলজিইডির পিচের রাস্তা ১৫ ফুট কিন্তু নতুন করে সংস্কার হচ্ছে ১২ফুট! রাস্তাটি পূর্বের ন্যায় ১৫ ফুট করার দাবি এলাকাবাসি

    আশাশুনি প্রতিনিধি:
    আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের গোয়ালডাঙ্গার ছমিল মোড় টু তেতুলিয়ার ব্রীজের এলজিডির মেইন সড়ক পূর্বে পিচের রাস্তা ছিল ১৫ ফুট কিন্তু নতুন করে সংস্কার হচ্ছে ১২ ফুট। রাস্তাটি পূর্বের ন্যায় ১৫ ফুট করার জোর দাবি এলাকাবাসীর। এমতাবস্থায় শুক্রবার সকালে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ জনগণ কাজটি বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বড়দল ইউনিয়ন যুবদল নেতা শরিফুল ইসলাম, ইউপি সদস্য ফারুক হোসেন আঙ্গুর, গোয়ালডাঙ্গা আল-আমিন যুব সংঘের সভাপতি ও সাংবাদিক এস এম শরিফুল ইসলাম শরীফ, হাফেজ রুহুল আমিনসহ স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন রাস্তাটি অবহেলিত ভাবে পড়ে ছিলো। এই রাস্তা দিয়ে সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনির দক্ষিণ অঞ্চল প্রতাপনগর, খুলনা জেলার তালা, পাইকগাছা ও কয়রা উপজেলার যাত্রীবাহী বাস, মালবাহী ট্রাক সহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে থাকে। রাস্তাটি দক্ষিন অঞ্চলের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। এই রাস্তাটি পূর্বে ছিল ১৫ ফুট। নতুন করে এজিং এর কাজ করা হচ্ছে ১২ফুটের। টার্নিং রাস্তাটিতে একটি ট্রাক গেলে দুই পাশ দিয়ে একটা মানুষ চলাচল করার অনুপযোগী। এ ব্রীজের টার্নিং রাস্তায় ইতিপূর্বে বড় বড় সড়ক দুর্ঘটনাও কয়েকটা তরতাজা প্রাণ ঝরে গেছে। তাই স্থানীয়দের দাবি পূর্বের মতো ১৫ ফুটের কাজ করার জন্য। মানুষের জান মাল রক্ষার্থে ১৫ ফুটের নিচে কাজ করলে যে কন্ট্রাক্টার আসুক না কেন তাকে কাজ করতে দেব না এমনটা দাবি এলাকাবাসীর।
    মেসার্স সরদার এন্টার প্রাইজের কন্টাকটার মুকুল সরদার জানান, গোয়ালডাঙ্গার ছমিল মোড় হতে তেতুলিয়ার ব্রিজ পর্যন্ত ৬৫০ মিটার রাস্তা সহ কাদাকাটি হলদেপোতা মোট আড়াই কিলোমিটার রাস্তার কাজের বরাদ্দ ১ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকা। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন ৩.৭ অর্থাৎ ১২ ফুট ২ ইঞ্চি কাজ করার কথা কিন্তু আমার মিস্ত্রীরা মনে হয় ব্রিজের ওখানে রাস্তাটি একটু ছোট করে ফেলেছে। স্থানীয় লোকজন এসে রাস্তার কাজটি বন্ধ করে দিয়েছে। আমি আমার মিস্ত্রীদের বলে দিয়েছি ব্রিজের ওখানে একটু রাস্তা চওড়া করে কাজ করার জন্য। রাস্তাটির কাজ আগামী ৩০ জুন ২০২৫ তারিখের মধ্যে শেষ করার কথা। সেখানে এত প্রতিবন্ধীকতা আসলে আমি কিভাবে ওই তারিখের মধ্যে কাজ শেষ করব। উপজেলা এলজিইডি কর্মকর্তা অনিন্দ্য দেব জানান, গোয়ালডাঙ্গা টু হলদেপোতা রোডের আড়াই কিলোমিটার রাস্তা ৩.৭ অর্থাৎ ১২ ফুট ২। ইঞ্চি চওড়া করার কথা সরকারিভাবে এস্টিমেটেল করা। স্থানীয় লোকজন কাজটিকে প্রতিবন্ধীকতা করা ঠিক না। তবুও যখন প্রতিবন্ধীকতা এসেছে আমি ওই কন্টাকটার কে বলে দেব টার্নিং রাস্তাটুকু চওড়া করে দেওয়ার জন্য। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এস্টিমেটল পরিবর্তন করে নতুন বরাদ্দ নেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জনঃ গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি ১৫ ফুট চওড়া করতে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার প্রস্তুতি চলছিল বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।