নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা সদরের ৪নং ঘোনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের ও তার সন্ত্রাসী মাফিয়া বাহিনী কর্তৃক ঘোনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিকী’র উপর নগ্ন হামলার প্রতিবাদে বিশাল প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (৯ জুলাই) বিকালে ঘোনা বাজারে ঘোনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সরদার রহিলউদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী আকতার হোসেন, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ডা. মনসুর আহমেদ, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক ঘোনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ ফজলুর রহমান, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক রোখসানা পারভীন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রুহুল আমিন, বৈকারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সরদার মহাসিন কবির পিন্টু, ঘোনা ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল করিম ও ঘোনা ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মুতাছিম বিল্লাহ প্রমুখ। প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, “ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কুখ্যাত সন্ত্রাসী আব্দুল কাদের নৌকার বিরোধিতা করে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নৌকার বিরুদ্ধে নির্বাচন করে। ওই নির্বাচনে যারা নৌকার পক্ষে কাজ করেছে এবং নৌকায় ভোট দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে বারবার পরিকল্পিতভাবে একের পর এক আওয়ামী লীগের নেতা কর্মী ও সমর্থকদের উপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। তারই ধারাবিকতায় ঘোনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিকী’র উপর একটি বিচার চলাকালীন সময়ে গত বৃহস্পতিবার তার মাফিয়া বাহিনী নিয়ে হামলা চালিয়েছে। কাদের চেয়ারম্যান ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর সীমাহীন চাঁদাবাজি, অত্যাচার ও নির্যাতনে অতিষ্ঠিত হয়ে ফুসে উঠেছে ঘোনা ইউনিয়নের মানুষ। বক্তারা প্রতিবাদ সভায় বলেন, আর একবার যদি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, সমর্থক এবং সাধারণ মানুষের উপর হামলা করে তাহলে দাঁতভাঙ্গা জবাব দেবে ঘোনা ইউনিয়নের মানুষ। কাদের চেয়ারম্যানের সন্ত্রাসী বাহিনীতে একজন সন্ত্রাসী আছে সে ভারত ও বাংলাদেশ উভয় দেশের নাগরিক। কাদের চেয়ারম্যানের ছেলে ইউনিয়ন পরিষদে তার পিতার চেয়ারে বসে পিতার পৌষ্য সন্ত্রাসীদের নিয়ে ফেনসিডিল সেবন করে। ইউপি সদস্যরা প্রতিবাদ করলে তাদের উপর চড়াও হয়ে ওঠে। কাদের চেয়ারম্যানের সন্ত্রাসী বাহিনীর সবাই যেন এক একজন চেয়ারম্যান। তাদের খবরদারীতে ইউনিয়নবাসী অতিষ্ঠ। সন্ত্রাসী কাদের চেয়ারম্যান ঘোনা আওয়ামী লীগের এই প্রতিবাদ সমাবেশ বন্ধ করতে বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করে মানুষের বাড়িতে বাড়িতে যেয়ে হুমকি ধামকি দিয়েছে। এই কাদের চেয়ারম্যান হঠাৎ করে আঙুল ছুলে কলাগাছ হয়েছে। সে চেয়ারম্যান হতে না হতেই এত অল্প দিনে বিশাল টাকার মালিক হয়েছে। তার এত টাকার উৎস কোথায় ? তার বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও দুদকসহ সংশিষ্ট দপ্তরের আশু কামনা করেন বক্তারা।”
এসময় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী ও এলাকাবাসীরা উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ঘোনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক ও ইউনিয়ন আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি কামাল হোসেন।
Category: বিশেষ সংবাদ
-

ঘোনা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিকী’র উপর নগ্ন হামলার প্রতিবাদ সভা
-
ডুমুরিয়া প্রেস ক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে অজয় সরকারের মতবিনিময় সভা
নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী খুলনা – ৫ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য পদ প্রার্থী অজয় সরকার গতকাল রবিবার সকাল ১১টায় ডুমুরিয়া সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন। প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় অজয় সরকার বলেন জননেত্রী শেখ হাসিনার ধারাবাহিক উন্নয়ন ও সাফল্য তুলে ধরেন। দেশব্যাপী অভূত উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় ডুমুরিয়ায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আগামীতে নৌকা প্রতিকে ভোট দিয়ে আওয়ামীলীগকে ক্ষমতায় আনতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। সে ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের ভূমিকা রয়েছে। তিনি সরকারের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরতে সাংবাদিকদের আহবান জানান। ডুমুরিয়া প্রেস কøাবের সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন সাধারন সম্পাদক শেখ মাহাতাব হোসেন, সিনিয়র সাংবাদিক জিএম আব্দুস ছালাম, এম এ এরশাদ, মাহাবুর রহমান, সুজিত মল্লিক, শেখ সিরাজুল ইসলাম, এ সময় উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের সহ সভাপতি আব্দুর রশিদ এলিন, যুগ্ন সম্পাদক সাব্বির খান ডালিম,সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদুর রহমান বিপ্লব, দপ্তর সম্পাদক শেখ আব্দুল মজিদ, ক্রীড়া ও সাংষ্কৃতিক সম্পাদক আব্দুর রশিদ বাচ্চু, সাবেক সভাপতি বেলায়েত হোসেন, এস এম হাবিবুর রহমান, আরশাফুল আলম, ইলিয়াজ হুসাইন, গাজী আতিয়ার রহমান, সুমন বক্ষ্র, ফরিদুল ইসলাম, খান মহিদুল ইসলাম,মোক্তার হোসেন, আক্তারুজ্জামান লিটন, জাহাঙ্গীর আলম মুকুল, এস কে বাপ্পী, বাধন মন্ডল প্রমুখ ।
-

ভারতের সঙ্গে রুপিতে লেনদেন শুরু ১১ জুলাই
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের সঙ্গে মার্কিন ডলারে লেনদেনের বিদ্যমান ব্যবস্থার পাশাপাশি রুপিতে লেনদেন শুরু হচ্ছে আগামী ১১ জুলাই। এ বিষয়ে দুই দেশের প্রাথমিক প্রস্তুতি শেষ। তবে রুপিতে যে পরিমাণ রপ্তানি আয় হবে; শুধু সমপরিমাণ আমদানি দায় মেটাতে ভারতীয় এ মুদ্রা খরচ করা যাবে। কোনো ব্যাংক বা ব্যবসায়ী ডলার কিংবা অন্য কোনো বৈদেশিক মুদ্রা দিয়ে রুপি কিনে আমদানি দায় নিষ্পত্তি করতে পারবে না।
বাংলাদেশ অংশে সোনালী, ইস্টার্ন ও স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার মাধ্যমে এ বাণিজ্য হবে। ভারতের অংশে স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এবং আইসিআইসিআই ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন হবে। আগামী ১১ জুলাই এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রুপিতে লেনদেনের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রমের উদ্বোধন হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার,রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার (আরবিআই) গভর্নর শক্তিকান্ত দাস ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে এর উদ্বোধন করবেন।এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহী ও ভারতীয় হাইকমিশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আফজাল করিম শনিবার বাসসকে বলেন, ‘রুপিতে লেনদেন চালুর বিষয়ে আমরা ইতোমধ্যে প্রস্তুতি শেষ করেছি। স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এবং আইসিআইসিআই ব্যাংকে হিসাব খোলা হয়েছে এবং এই দুই ব্যাংকের সঙ্গে সুইফট কমিউনিকেশন সিস্টেম চালু করা হয়েছে। এখন কোন ব্যবসায়ী চাইলে রুপিতে এলসি খুলতে পারবেন।’
তিনি আরও বলেন, ভারতে বছরে ২ বিলিয়ন ডলারের মতো রপ্তানি করে বাংলাদেশ। দেশটি থেকে আমদানি হয় ১৪ বিলিয়ন ডলারের মতো। এখন এ দ্ইু বিলিয়ন ডলারও যদি রুপিতে নিষ্পত্তি করা যায়, তাতে বৈদেশিক মুদ্রার ওপর চাপ কমবে। এ ছাড়া আগামীতে রপ্তানি আরও বাড়াতে পারলে তখন সুযোগ বাড়বে। -

সাতক্ষীরা শহরের প্রাণসায়ের খাল রক্ষায় দু’পাড়ে বৃক্ষবীজ বপন করছে প্রকৃতি ও জীবন ক্লাব
প্রেসবিজ্ঞপ্তি
সাতক্ষীরা শহরের প্রাণসায়ের খাল রক্ষায় দু’পাড়ে বৃক্ষবীজ বপন করছে
প্রকৃতি ও জীবন ক্লাব
সাতক্ষীরা শহরের বুক চিরে প্রবাহিত প্রাণসায়ের খালের দু’পাড়ে বৃক্ষবীজ
বপন কর্মসূচি উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার (৮ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় শহরের
পাকাপুলের মোড় থেকে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। প্রাণ সায়ের খাল রক্ষায়
প্রকৃতি ও জীবন ক্লাব এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। সাতক্ষীরা শহরের
অস্তিত্ব রক্ষাকারী প্রাণ সায়ের খালটি আবর্জনায় ভরে গেছে। দখল আর দূষণের
কবলে জনগুরুত্বপূর্ণ এ খালটি অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। খালটির অস্তিত্ব ও
সৌন্দর্য রক্ষায় প্রকৃতি ও জীবন ক্লাব বৃক্ষ বীজ বপন কর্মসূচি বাস্তবায়ন
করছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বীর
মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর আব্দুল ওয়াহেদ, প্রকৃতি ও জীবন ক্লাব, সাতক্ষীরার
উপদেষ্ঠা অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল হামিদ, অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ
ড. দিলারা বেগম, অধ্যাপক পবীত্র মোহন দাস, অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, প্রকৃতি
ও জীবন ক্লাবের সমন্বয়কারী ও চ্যানেল আইয়ের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি আবুল
কালাম আজাদ, উপদেষ্ঠা শেখ সিদ্দিকুর রহমান, প্রকৃতি ও জীবন ক্লাব
সাতক্ষীরার সভাপতি এড. মুনির উদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ,
সাতক্ষীরা ‘ল’ স্টুডেন্ট ফোরামের সভাপতি সালাউদ্দীন রানা, অ্যাডঃ খায়রুল
বদিউজ্জামান, সাংবাদিক শেখ আব্দুল আলিম, প্রকৃতি ও জীবন ক্লাবের
সহ-সভাপতি আহসানুর রহমান রাজিব, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম বিপ্লব হোসেন
প্রমুখ।
এর আগে প্রাণ সায়ের খালের পাড়ে প্রকৃতি ও জীবন ক্লাবের নেতারা ‘প্রাণ
সায়ের খাল রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচী’ পালন করেন।
প্রসঙ্গতঃ সাতক্ষীরা শহরের বুক চিরে বহমান খালটির নাম প্রাণসায়ের। এই
প্রাণসায়ের খাল ঘিরে গড়ে উঠেছিল একসময় সাতক্ষীরা শহর। বর্তমানে খালটি
সাতক্ষীরার শহরের ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে
ইচ্ছেমতো। খালের কালো পানি পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে সর্বত্র। খালের পাড়ের
সড়ক দিয়ে লোকজনকে চলতে হয় নাক চেপে।
স্থানীয়রা জানান, ১৮৫০ সালের দিকে সাতক্ষীরার জমিদার প্রাণনাথ রায় চৌধুরী
নদীপথে ব্যবসা-বাণিজ্যের সুবিধা ও শহরের শ্রীবৃদ্ধির জন্য খালটি খনন
করেন।
সাতক্ষীরা শহরের দক্ষিণে মরিচ্চাপ নদের সঙ্গে উত্তর দিকের বেতনা নদীর
সরাসরি যোগাযোগ রক্ষার জন্য ১৪ কিলোমিটার এ খাল খনন করা হয়। খুলনা,
বরিশাল, ঢাকা, কলকাতাসহ বিভিন্ন স্থানের সঙ্গে প্রধান যোগাযোগের মাধ্যম
ছিল এ খাল। এ খালের মাধ্যমে সহজ হয়ে উঠেছিল জেলার অভ্যন্তরীণ যোগাযোগও।
জমিদার প্রাণনাথ রায় চৌধুরীর নাম অনুসারে খালটির নামকরণ করা হয়
প্রাণসায়ের খাল।
সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো, বিভাগ-২) নির্বাহী প্রকৌশলীর
কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সাতক্ষীরার সদর উপজেলার এল্লারচর থেকে
খেজুরডাঙ্গী পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার খাল পুনঃখননের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এর
প্রাক্কলিত ব্যয় ছিল ১০ কোটি ১৩ লাখ টাকা। খাল খননের কার্যাদেশ দেওয়া হয়
২০১৯ সালের ১ আগস্ট। শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২০ সালের ৩০ জুন। কিন্তু শেষ হয়
২০২১ সালে জুনে। খননকাজ শেষ হওয়া খালটি দেড় বছর যেতে না যেতেই আবার ভরাট
হয়ে গেছে।
সাতক্ষীরা পাউবোর (বিভাগ-২) নির্বাহী প্রকৌশলী শামিম হুসনাইন মাহমুদ
গণমাধ্যমকে জানান, খালটি পাউবো খনন করলেও জমির মালিক পৌর কর্তৃপক্ষ ও
জেলা প্রশাসন। তাদেরই এটি রক্ষণাবেক্ষণ করার কথা।
এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা পৌরসভার মেয়র তাসকিন আহমেদ বলেন, প্রাণ সায়ের খালের
সৌন্দর্য ও পরিবেশ রক্ষার দায়িত্ব সবার। এ খালটি শহরের রক্ষা কবজ। মানুষ
যাতে খালটিতে ময়লা-আবর্জনা না ফেলে সেজন্য বারবার সতর্ক করা হচ্ছে।
সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির জানান, প্রাণসায়ের
খালপাড়ের বাসিন্দা ও দোকানদারদের নোটিশ করে নিষেধ করা হবে। তাঁরা না
শুনলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা ছাড়া অন্য কোনো উপায় দেখছেন না। খাল
রক্ষায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। -

পানিতে ডুবে সাতক্ষীরার সুলতানপুরের শিশু আহসান আরিফে মৃত্যু
শহর প্রতিনিধিঃ ঈদের ছুটিতে নানার বাড়ী বেড়াতে যেয়ে পানিতে ডুবে সাতক্ষীরার সুলতানপুরের শিশু আহসান আরিফে (৯) মৃত্যু হয়েছে। সাতক্ষীরা সুলতানপুর পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের আহসানুল হক রুমির ছেলে আহসান আরিফ (৯) ঈদের ছুটিতে আশাশুনি নানার বাড়িতে বেড়াতে যায়। শুক্রবার পাশের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যেয়ে গায়ে কাদা লাগলে পুকুরে পরিষ্কার করতে যায়। অনেক খোজাখুঁজির পরে তাকে কোথাও না পেয়ে বিকালে পুকুরে নেমে খুঁজে পাওয়া যায় তার মৃত্যুদেহ। শিশু আহসান আলিফের এমন মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
শিশু আহসান আলিফের পিতা আহসানুল হক রুমি বলেন, ঈদের ছুটিতে পরিবারসহ সবাই আহসান আলিফের নানার বাড়িতে বেড়াতে যায়, তাদের বাড়ির পাশে একটি মাঠে ফুটবল খেলা করে গায়ে কাদামাটি লেগে গেলে সে বড় ভাইকে বলে নানারবাড়িতে চলে আসতেছিল। পাশের একটি পুকুরের হাত পা ধুতে গেলে সেখানে সে পা পিছলে পুকুরে পড়ে যায়। শুক্রবার বিকালে স্থানীয়রা প্রথমে আহসান আলিফের পুকুরের পাড়ে জুতা দেখে পুকুরে খোঁজ নিলে মরদেহ তাদের পায়ে লাগে। পরবর্তীতে তার মৃত্যুদেহটি উদ্ধার করেন। শনিবার ৮ ই জুলাই সকাল ১০ টায় শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে তার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।
-

নওগাঁয় এ বছর ১ হাজার ৮শ ৯০ কোটি টাকার আম উৎপাদন
ক্রমেই আম উৎপাদনে উল্লেখযোগ্য জেলা হিসেবে পরিচিতি লাভ করছে নওগাঁ। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলা ছাড়াও বিদেশে রপ্তানী হচ্ছে নওগাঁর আম।
এরই ধারাবাহিকতায় জেলায় চলতি বছর ৩০ হাজার হেক্টর জমির বাগানে আম উৎপাদিত হয়েছে। উল্লেখিত বাগান থেকে চলতি বছর ৩লক্ষ ৭৮ হাজার মেট্রিকটন আম উৎপাদিত হয়েছে। যারা গড় বাজার মূল্য ১ হাজার ৮শ ৯০ কোটি টাকা।
নওগাঁ জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আবুল কালাম আজাদ জানিয়ে,ে নওগাঁ’র কয়েকটি উপজেলায় ক্রমাগত আম চাষের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ জেলার আম তুলনামুলকভাবে সুস্বাদু ও মিষ্টি। দেশের বিভিন্ন জেলায় নওগাঁ’র আমের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী জেলায় মোট ৩০ হাজার হেক্টর জমিরে বাগানে বিভিন্ন জাতের আম উৎপাদিত হয়েছে। হেক্টর প্রতি গড় আম উৎপাদনের পরিমাণ ১২.৬০ মেট্রিক টন।
প্রকারভেদে আম উৎপাদনকৃত বাগানের পরিমাণ হচ্ছে নাগ ফজলী ৯৪০ দশমিক ৭৫ হেক্টর, ল্যাংড়া ১ হাজার ৫৫৯ হেক্টর, ফজলী ১হাজার ৪২০ হেক্টর, আ¤্রপালি ১৮ হাজার ৩১৩ দশমিক ৫০ হেক্টর, গোপালভোগ ৬৪৬ হেক্টর, খিরসাপাত ১ হাজার ৩৮৮ হেক্টর, বারী-৪ জাতের আম ২ হাজার ২৬২ দশমিক ৫০ হেক্টর, বারী-১১ জাতের আম ৩৫ হেক্টর, মল্লিকা ৪৪ হেক্টর, কাটিমন ১৩৮ দশমিক ২৫ হেক্টর, গৌড়মতি ১৪১ দশমিক ২৫ হেক্টর, হাঁড়িভাঙ্গা জাতের আম ৩৪ দশমিক ৫০ হেক্টর, বানানা ম্যাংগো ১১৩ দশমিক ২৫ হেক্টর, আশ্বিনা জাতের আম ২ হাজার ৩২৬ হেক্টর, কুমড়াজালি জাতের আম ১৩ হেক্টর এবং গুটি আম বা স্থানীয় জাতের আম ৬২৫ হেক্টর। কৃষি বিভাগের প্রত্যাশা অনুযায়ী এ বছর উল্লেখিত বাগান থেকে ৩ লক্ষ ৭৮ হাজার মেট্রিকটন আম উৎপাদিত হয়েছে।
বর্তমান বাজার দর অনুযায়ী জেলায় উৎপাদিত আমের মোট মূল্য ১ হাজার ৮শ ৯০ কোটি টাকা। -

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে নতুন ভর্তি হয়েছে ১৮২
বাসস : গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে একজন মারা গেছেন। হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৮২ জন। এরমধ্যে ঢাকায় ৭২ এবং ঢাকায় বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে ১১০ জন ভর্তি হয়েছে।
আজ স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ২ হাজার ১৬৫ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঢাকার ৫৩টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ১ হাজার ৫২৮ এবং অন্যান্য বিভাগে ভর্তি রয়েছে ৬৩৭ জন রোগী।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে ১১ হাজার ২৯৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় ৭ হাজার ৯৭১ এবং ঢাকার বাইরে ৩ হাজার ৩২৭ জন। এদিকে এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে ৬৫ জন মারা গেছেন।
অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে সুস্থ বাড়ি গেছেন ৯ হাজার ৬৮ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ৬ হাজার ৩৯২ এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন স্থানে সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৬৭৬ জন -

আগামীকাল থেকে নিয়মিত বিচারকার্যে ফিরছে সুপ্রিমকোর্ট
ন্যাশনাল ডেস্ক : ঈদুল আজহার সরকার ঘোষিত ছুটি, সাপ্তাহিক ছুটি ও কোর্টে অবকাশ শেষে আগামীকাল রোববার থেকে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিমকোর্ট নিয়মিত বিচারিক কার্যক্রম শুরু হচ্ছে।
সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে কাল ৯ জুলাই থেকে বিচারকার্য পরিচালনার জন্য ৫৪ টি বেঞ্চ গঠন করে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। সুনির্দিষ্ট বিচারিক এখতিয়ার দিয়ে গঠিত এসব বেঞ্চের বিস্তারিত সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩০টি দ্বৈত বেঞ্চ এবং ২৪টি একক বেঞ্চ রয়েছে।
গত ২২ জুন থেকে শুরু হয়ে আজ ৮ জুলাই পর্যন্ত ঈদুল আযহার সরকার ঘোষিত ছুটি, সাপ্তাহিক ছুটি ও কোর্টে অবকাশ মিলিয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিমকোর্টে নিয়মিত বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ ছিল। -

প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসায় মাশরাফি
ন্যাশনাল ডেস্ক : আবেগের বশে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়ে হয়তো মানসিক কষ্টেই ছিলেন তামিম ইকবাল। বিষয়টি ভালোভাবেই বুঝতে পারছিলেন তার কাছের মানুষজন। তবে সে খারাপ লাগা কেটে যেতে ২৮ ঘণ্টাও লাগেনি। গতকাল প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে অবসরের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নিয়েছেন তামিম। এর পেছনে বড় ভূমিকা রয়েছে জাতীয় দলের আরেক সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার।
সাবেক এ অধিনায়কের মাধ্যমেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে বসেন তামিম। পরে মাশরাফি ওয়ানডে দলের এ অধিনায়ককে প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত পৌঁছানোর প্রক্রিয়াও জানান। এবার প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে একটি আবেগঘন পোস্ট করেছেন সাবেক টাইগার অধিনায়ক। শনিবার দুপুরে নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে মাশরাফি ওই পোস্টটি করেন।
সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাতের উদাহরণ টেনে মাশরাফি লিখেছেন, ‘সাকিবের ডেঙ্গু হলে, তিনি হাসপাতালে গিয়ে হাজির। মুশফিকের ব্যক্তিগত কথা বলতে হবে, তিনি বললেন, ‘চলে আসো গণভবনে।’ তামিম হুট করে অবসরে, তিনি ডেকে নিয়ে সমাধান করে দিলেন। এ রকম আরও অনেক উদাহরণ আছে একজন নেতার, যিনি দেশের অর্থনীতি থেকে শুরু করে খেলাধুলা— সব কিছুর খেয়াল রাখেন।’
এরপর ক্রিকেটারদের উদ্দেশে মাশরাফির পরামর্শ, ‘প্রিয় খেলোয়াড় ভাইরা, এটা আপনাদের বুঝতে হবে যে, এসব তার দুর্বলতা নয়, বরং তার ভালোবাসা। সেই ভালোবাসা থেকেই তিনি আপনাদেরকে সম্মান করেন। আপনাদেরও উচিত ভালোবাসা দিয়েই সেই সম্মানটা ফিরিয়ে দেওয়া, অর্থাৎ নিজের কাজটা ঠিকভাবে করা, পুরো মনোযোগ দিয়ে খেলা ও সর্বোচ্চ চেষ্টা করা।’মাশরাফি আরো লিখেন, ‘দেশের কোটি কোটি ক্রিকেটভক্ত আপনাদের দিকে তাকিয়ে, কারণ আপনারাই পারেন দেশ ও দেশের মানুষকে আনন্দের জোয়ারে ভাসাতে। কোটি কোটি মানুষ প্রতিদিনের জীবনযুদ্ধের পরও একটু আশা নিয়ে কখনো গ্যালারিতে, কখনো টেলিভিশনের সামনে বসে আপনাদের দেখতে, স্রেফ আপনাদের ভালোবেসে আর আপনাদের কাছ থেকে একটু আনন্দ পাওয়ার আশায়। আপনাদের জয় দেখে এ মানুষগুলো ভাবে, তারা নিজেরাই জিতেছে। এই আনন্দ, এই সুখ পৃথিবীর কোনো কিছুতেই আসবে না। আপনারা জিতবেন, আমরাও জিতব, এই আশাতেই আছি আমরা। ধন্যবাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ জননেত্রী শেখ হাসিনা…. ইউ বিউটি!’
-

তালায় পল্লীবন্ধুর চতুর্থ মৃত্যু বার্ষিকী পালনে জালালপুর ৯ নং ওয়ার্ড জাতীয় পার্টির প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত
প্রেস রিলিজ : জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও সাবেক সফল রাষ্ট্রপতি পল্লীবন্ধুর চতুর্থ মৃত্যু বার্ষিকী পালন উপলক্ষ্যে তালায় জালালপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড জাতীয় পার্টির প্রস্তুতি সভায় জনতার ঢল নেমেছে।
গতকাল তালার জালালপুর ইউনিয়নের (আটুলিয়া, দোহার, গলাভাঙ্গা) ৯ নং ওয়ার্ড জাতীয় পার্টির আয়োজনে আটুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে ওয়ার্ড জাতীয় পার্টির প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রস্তুতি সভায় ওয়ার্ড জাতীয় পার্টির সভাপতি সভাপতি মোঃ আব্দুল লতিফ সরদারের সভাপতিতে¦ প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তালা উপজেলা জাতীয় পার্টি,তালা প্রেসক্লাব সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী সাংবাদিক এস,এম নজরুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন জালালপুর ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সাধারন সম্পাদক মোঃ মকবুল হোসেন সরদার,ওয়ার্ড জাতীয় পার্টির সাধারন সম্পাদক মোঃ রবিউল ইসলাম, মোঃ টিকাম আলী সানা, জাতীয় যুব সংহতির তালা সদর ইউনিয়ন সাধারন সম্পাদক শেখ ইকবল হোসেন, জাতীয় যুব সংহতির জালালপুর ইউনিয়ন সভাপতি মোঃ আব্দুল আলিম,সাধারন সম্পাদক মোঃ শফিয়ার রহমান শফি, জাতীয় ছাত্র সমাজ জালালপুর ইউনিয়ন সভাপতি মোঃ রাশেদুল ইসলাম, জাতীয় তরুর পার্টি তালা সদর ইউনিয়ন সভাপতি শেখ মোঃ হাসিবুল হাসান শায়েক।
সভায় এমপি প্রার্থী সাবেক মন্ত্রী সৈয়দ দিদার বখত্ ও উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী সাংবাদিক নজরুল ইসলাম কে বিজয়ী করতে সংগঠন কে গতিশীল সহ আগামী ১৪ ই জুলাই শুক্রবার বিকাল ৩টায় তালা সদর ডাকবাংলো চত্বরে পল্লীবন্ধুর চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী সফল করতে ১০ ই জুলাই বিকাল ৪ টায় জালালপুর ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির প্রস্তুুতি সভা জেঠুয়া বাজার চত্বরে অনুষ্টিত হবে। সকল নেতা কর্মিদের অংশ গ্রহনের জন্য আহব্বান জানানো হয়।
-

সৌদিতে ৮৭ বাংলাদেশি হাজির মৃত্যু
ডেস্ক রিপোর্ট : পবিত্র হজ পালন করতে সৌদি আরবে গিয়ে বাংলাদেশের ৮৭ হাজি মারা গেছেন। তাঁদের ৬৭ জন পুরুষ এবং ২০ জন নারী। এই হাজিদের বেশিরভাগই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। কেউ কেউ কিডনি, হিট স্ট্রোক, শ্বাসকষ্ট ও সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। স্বাভাবিক মৃত্যুও হয়েছে অনেকের। গত ৩১ মে থেকে ৫ জুলাইয়ের মধ্যে মারা যান।
তাঁরা হলেন- আমিনুল হক (৬০), নাজমুল আক্তার (৬৩), নুরুল আমিন (৬৮), গোলাম মোস্তফা সরকার (৪৭), শহিদুল্লাহ মন্ডল (৭৬), শহিদুল আলম (৬৭), আয়াজ উদ্দিন (৭১), আমজাদ হোসেন প্রধান (৫৮), শহিদুল ইসলাম (৬০), আক্কাস আলী (৭১), আবুল ফাত্তাহ (৬৪), আব্দুল মান্নান (৫৯), আমান উল্লাহ (৭১), আব্দুল মতিন (৬০), গিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ (৫৭), জাকির উদ্দিন সরকার (৫৭), হযরত আলী প্রামানিক (৭৭), আব্দুজ জহির কাজী (৬৮), শামসুল আলম (৭৭), সৈয়দ নিয়ামুল হক (৬২), ডা. শফিকুল ইসলাম (৫৮), সেকান্দার আলী (৬৪), রেদোয়ান (৬৪), শাহাদাত হোসেন (৭১), ফরিদ উদ্দিন (৭৩), এন কে এম শহিদুল ইসলাম কালাম (৫৩), ইউনুস আলী (৭৩), নুরতাজ আলী (৭৪), আমির হোসেন (৬৮), আবুল হাসেম ৬২), আইয়ুব খান (৪৮), আব্দুর রাজ্জাক (৬৫), আব্দুল ওয়াহেদ (৪৬), মতিউর রহমান (৬৮), খন্দকার জামাল উদ্দিন (৬১), শেখ ফরিদ খান (৬৬), আব্দুল কুদ্দুস খান (৬৪), আজাহার আলী (৭৩), কাজী আবুল কাশেম (৬৩), আবুল কালাম (৬১), আলী হোসেন (৬৭), আব্দুল জব্বার (৬৬), শাহজান আলী (৬৭), আবু তাহের (৬১), আবুল হাসেন ভুঁইয়া (৭১), আমজাদ হোসেন (৭১), আব্দুল মান্নান (৬৮), মমতাজুল হক (৮১), আব্দুল মোতালিব (৬৩), আবু মুসা (৬১), আহমেদ আলী (৬৪), গোলাম মোস্তফা (৬৫), বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম (৭২), আব্দুল হাদী (৪১), হাফিজার রহমান জিলাদার (৫৪), সুলায়মান খা (৭১), আব্দুল মালেক (৭১), আব্দুল হান্নান ভুঁইয়া (৭০), আব্দুস সালাম (৬৯), আদম উদ্দিন মন্ডল (৭১), শামসুল আলম (৬২), রহমান খালাসী (৭৮), আবুল কাশেম (৪৬), ফারগু মিয়া (৫৮), আব্দুল গাফফার ৬১), রাহিমা বেগম (৫২), মোসলেমা খাতুন (৬৫), হালিমা বেগম (৬২), হামিদা বেগম (৭৯), রুমী বেগম (৪৫), মনোয়ারা বেগম (৫৫), হাজেরা বেগম (৬১), জামিলা বেগম (৫৬), মাখফুরা খাতুন (৬১), শাহানারা বেগম (৬৪), পারুল বেগম (৭১), সালমা সুলতানা (৫৫), ওজুফা বেগম (৬১), মজিরন নেছা (৭১), মনোয়ারা বেগম (৭২), ফাতেমা বেগম (৬৫), রাবেয়া বেগম (৫৮), সানজিদা খান (৬৭), রোকেয়া বেগম (৬২), বিলকিস বেগম (৫২) প্রমুখ।তাঁদের কেউ মক্কায় হজ এজেন্সির ভাড়া করা হোটেলে, কেউ ভাড়া করা হোটেল থেকে সৌদি আরবে বাংলাদেশ মিশনের ক্লিনিকে আসার পথে, কেউ কিং ফয়সাল হাসপাতালে, কেউ কিং আবদুল আজিজ হাসপাতাল, কেউ বাংলাদেশ মিশনের ক্লিনিকে এবং কেউ কিং ফয়সাল হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান।
সৌদি আরবে বাংলাদেশ হজ অফিসে কর্মরত চারজন পদস্থ কর্মকর্তা সমকালকে জানান, প্রয়াত হাজিদের সৌদি আরবের মক্কায় শরাইয়া ও মদিনার বাকীউল গরকা (জান্নাতুল বাকী) কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। সৌদি আরব সরকার তাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় দাফনের ব্যবস্থা করেছে।
-

শ্যামনগরে আমন মৌসুমে ১১৪৮০ কেজি ধানবীজ ও ৯১৮৪ কেজি সার বিতরণ করেছে লিডার্স
০৬ জুলাই (বৃহস্পতিবার) সকাল ১১ টায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা লিডার্স এর বাস্তবায়নে এবং জার্মান দাতা সংস্থা ‘ব্রেড ফর দ্য ওয়ার্ল্ড’ এর আর্থিক সহযোগিতায় “জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুঁকিপূর্ণ জনগণের জীবন-জীবিকা নিরাপত্তা শক্তিশালীকরণ কার্যক্রম” উপকূলীয় এলাকায় অভিযোজিত কৃষি সম্প্রসারনের লক্ষে লিডার্স এর প্রধান কার্যালয়ে ১১৪৮ জন কৃষকের মাঝে লবণ ও খরা সহনশীল ১১৪৮০ কেজি ধানবীজ ও ৯১৮৪ কেজি সার বিতরণ করা হয়েছে।
উক্ত বীজ ও সার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বীজ ও সার বিতরণ উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা ৪ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব এস.এম. জগলুল হায়দার। লিডার্স এর নির্বাহী পরিচালক মোহন কুমার মন্ডলের সভাপতিত্বে এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি অফিসার জনাব মো: নাজমুল হুদা ও শ্যামনগর উপজেলা অনলাইন নিউজ ক্লাবের সভাপতি মারুফ হোসেন মিলন। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক মোহাম্মদ আলী, লিডার্স এর কর্মকর্তাগন, উপকূলীয় এলাকা মুন্সিগঞ্জ ও ঈশ^রীপুর ইউনিয়নের কৃষকগন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন লিডার্স এর প্রকল্প কর্মকর্তা তাহসিনা সিরাজ।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন,“লিডার্স প্রতিবছর কৃষকদের বিভিন্ন প্রযুক্তি, বীজ, সার এবং কারিগরি সহযোগিতা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছরও লিডার্স উপকূলীয় কৃষকদের সহযোগিতা করছে। কৃষকদের পাশে থাকার জন্য লিডার্স এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি”। তিনি কৃষকদের এই বীজের মাধ্যমে উৎপাদন বাড়াতে আহ্বান জানান। তিনি সাম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাত হতে জায়েদ সাস্টেইন্যাবিলিটি প্রাইজ- ২০২৩ অর্জন করায় লিডার্সের পরিচালক মোহন কুমার মন্ডল ও লিডার্স পরিবারের সকলকে বিশেষভাবে অভিনন্দন জানান।
উল্লেখ্য জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে দুর্যোগ আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। দুর্যোগের ক্ষয়-ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে এবং দুর্যোগ সহনশীল কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে এবং কৃষকদের আমন মৌসুমে লবণ ও খরা সহনশীল ধান চাষে উদ্বুদ্ধকরণের লক্ষ্যে শ্যামনগর ও কয়রার ৫টি ইউনিয়নে ১১৪৮ উপকারভোগী প্রত্যেক কৃষকের মাঝে ১০ কেজি লবণ সহনশীল ধান বীজ (ব্রি-৫২, ব্রি-৭৮, ব্রি-৬৭, ব্রি-৮৭, বিনা-১০, বি-আর ২৩) ও ৮ কেজি ইউরিয়া সার বিতরণ করা হয়েছে।
-

ধীরগতির অস্ত্র সরবরাহে পাল্টা হামলা দেরি হচ্ছে : জেলেনস্কি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বুধবার সম্প্রচারিত এক টিভি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ইউক্রেনের কাছে দেরিতে অস্ত্র সরবরাহ কারণে কিয়েভের পরিকল্পিত পাল্টা হামলা বিলম্ব হচ্ছে। এদিকে, রাশিয়া মাইনসহ অধিকৃত এলাকায় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করেছে।
কয়েকদিন আগে ইউক্রেনের বন্দর নগরী ওডেসাতে সিএনএন’র এরিন বার্নেটের সাথে কথা বলার সময় জেলেনস্কি বলেন, তিনি রাশিয়ার বিরুদ্ধে জুনের শুরুতে চুড়ান্ত শুরুর অনেক আগে পাল্টা হামলা শুরু করতে চেয়েছিলেন। খবর এএফপি’র।
একজন দোভাষীর কাছে ধারনকৃত জেলেনস্কি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘আমাদের যুদ্ধক্ষেত্রে কিছু অসুবিধার কারণে পাল্টা হামলা বিলম্বিত হয়েছে। সেখানে সবকিছুই ব্যাপকভাবে তলীয়ে দেখা হয়েছে।’ ‘আমি চেয়েছিলাম আমাদের পাল্টা হামলা আগে বাগে চালানো হোক। কারণ, সবাই বুঝতে পেরেছিল যদি পাল্টা হামলা বিলম্বিত হয় তাহলে আমাদের অঞ্চলের অনেক বড় অংশ বেদখল হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, পাল্টা হামলার আগে মার্কিন এবং ইউরোপীয় নেতাদের তিনি সরবরাহের অভাবের ফলে আরও হতাহতের ঘটনা ঘটবে বলে জানান। তিনি বলেন, ‘আমাদের সমর্থনের নেতা হিসেবে আমি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে কৃতজ্ঞ। তবে আমি তাদের পাশাপাশি ইউরোপীয় নেতাদের বলেছি যে, আমরা আমাদের পাল্টা হামলা শুরু করতে চাই এবং এর জন্য আমাদের সমস্ত অস্ত্র ও উপাদানের প্রয়োজন।
গত সপ্তাহে মার্কিন মিডিয়ার সাথে আরেকটি সাক্ষাৎকারে ইউক্রেনের সামরিক কমান্ডার-ইন-চিফ ভ্যালেরি জালুঝনিও পশ্চিম থেকে প্রতিশ্রুত অস্ত্রের ধীরগতিতে হতাশা প্রকাশ করেছেন।
জেলেনস্কি সিএনএনকে বলেন, তিনি বহুবার এফ-১৬ এর প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন। -

২৫ বিঘা পর্যন্ত মওকুফের বিধান রেখে সংসদে ভূমি উন্নয়ন কর বিল, ২০২৩ উত্থাপন
ন্যাশনাল ডেস্ক : পঁচিশ বিঘা পর্যন্ত ভূমি উন্নয়ন কর মওকুফের বিধান আজ জাতীয় সংসদে ‘ভূমি উন্নয়ন কর আইন ২০২৩’ উত্থাপন করা হয়েছে।
তবে বিলের প্রস্তাবনা অনুযায়ী, ২৫ বিঘার বেশি জমির মালিক হলে পুরোটারই ভূমি উন্নয়ন কর দিতে হবে। বাংলার পরিবর্তে ইংরেজি বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী ওই কর আদায় করা হবে।
নতুন করে ভূমি উন্নয়ন কর ধার্য, কর ফাঁকি ও আদায়ে কোন অনিয়ম প্রতিরোধ করতে আজ জাতীয় সংসদে বিলটি উত্থাপন করেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। বিলের ওপর আপত্তি জানান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির মো. ফখরুল ইমাম। সেই আপত্তি কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বিলটি অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে রিপোর্ট প্রদানের জন্য ৩০ দিনের সময় দিয়ে ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠিয়ে দেন।
বিলটি উত্থাপনকালে ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, প্রস্তাবিত বিলটি আইনে পরিণত হলে ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ে সর্বসাধারণ উপকৃত হবেন এবং স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহায়ক হবে। এতে সরকারের রাজস্ব বাড়বে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভূমি উন্নয়ন কর ধার্য ও আদায়ের লক্ষ্যে নতুন আইন প্রণয়নের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাবিত ‘ভূমি উন্নয়ন কর আইন-২০২৩’ শীর্ষক আইনে জনস্বার্থে ২৩টি ধারা সন্নিবেশ করা হয়েছে।
এছাড়াও ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা, উত্তরাধিকারী, কালেক্টর ইত্যাদি সংজ্ঞাকে যুগোপযোগী করা হয়েছে। প্রস্তাবিত আইনে কৃষি ভূমির ভূমি উন্নয়ন করের হার ২৫ বিঘা পর্যন্ত মওকুফ রাখার বিধান রয়েছে এবং অকৃষি ভূমির ভূমি উন্নয়ন করের হার সরকার সময় সময়ে গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা পুনঃনির্ধারণ করতে পারবে মর্মে বিধান রাখা হয়েছে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, প্রস্তাবিত আইনে জনগণের সুবিধার্থে ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের জন্য জুলাই-জুন অর্থাৎ অর্থবছরকে কর বৎসর হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। আগে পহেলা বৈশাখ থেকে ৩০ চৈত্র পর্যন্ত সময়ের জন্য ভূমি উন্নয়ন কর দিতে হতো। এখন সেটা হবে পহেলা জুলাই থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত।
সংসদে উত্থাপিত বিলে কার কত ভূমি উন্নয়ন কর, তা আগেই জমির মালিককে জানিয়ে দেয়ার বিধান রাখা হয়েছে। ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবহারভিত্তিক হবে। প্রতিবছর কার কত ভূমি উন্নয়ন কর, সেটা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা তালিকা তৈরি করে সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কাছে পাঠাবেন। সহকারী কমিশনার (ভূমি) তা নোটিশ বোর্ডে টাঙিয়ে দেবেন। এ বিষয়ে যদি কারো আপত্তি থাকে, সেটা তিনি দায়ের করতে পারেন। তিনি এসিল্যান্ড ও জেলা কালেক্টরের কাছে আপত্তি জানিয়ে আবেদন করতে পারেন। জেলা কালেক্টর (ডিসি) তা ১৫ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করবেন।
প্রস্তাবিত আইনে প্রজ্ঞাপন দিয়ে মহামারী, দুর্বিপাক ইত্যাদি বিশেষ সময়ে ভূমি উন্নয়ন কর কমানোর সুযোগ রাখা হয়েছে। এছাড়া বিলের বিধান অনুযায়ী, কোনো ভূমির মালিক টানা ৩ বছর ভূমি উন্নয়ন কর না দিলে তাকে প্রথম বছর থেকে তৃতীয় বছর পর্যন্ত সোয়া ৬ শতাংশ হারে জরিমানাসহ কর পরিশোধ করতে হবে। -

দেশে-বিদেশে মানুষের পাশে দাঁড়ানোয় সশস্ত্র বাহিনীর প্রশংসায় প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সবসময় দেশে ও বিদেশে মানুষের পাশে দাঁড়ায়।
ঢাকা সেনানিবাসের সদর দফতরে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের (পিজিআর) ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে আজ তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রতিটি বাহিনী দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি সবসময় জনগণের পাশে দাঁড়ায়।’
শেখ হাসিনা বলেন, বাহিনীর সদস্যরা পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার সাথে তাদের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি শুধু দেশেই জনগণের পাশে দাঁডায়ই না, অধিকন্তু বিদেশে শান্তিরক্ষা মিশনেও কাজ করে।
তিনি আরো বলেন, ‘তাদের মানবিক সদিচ্ছার কারণে, তারা সাধারণ মানুষের কাছ থেকে সম্মান পায়। আমি খুব গর্ববোধ করি, যখন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা তাদের দেশে অবদান রাখার জন্য বাংলাদেশী শান্তিরক্ষীদের প্রশংসা করেন।’
প্রধানমন্ত্রী রেজিমেন্টের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গার্ডগুলোর সকল সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার প্রধান হিসেবে তিনি পিজিআরকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন। তাদের কাজ, দায়িত্ব ও নিষ্ঠা দেখে তিনি মুগ্ধ।
তিনি আরো বলেন, তিনি জানেন যে রেজিমেন্টের সদস্যরা সর্বদা পেশাদারিত্ব, আনুগত্য, শৃঙ্খলা ও আন্তরিকতার সাথে তাদের দায়িত্ব পালন করে।
তিনি আরো বলেন, ‘ঝড়-বৃষ্টিসহ সকল প্রতিকূল আবহাওয়া মোকাবেলা করে দায়িত্ব পালনে আপনাদের আন্তরিকতা অত্যন্ত প্রশংসিত। এই সুনাম ধরে রাখতে আাপনারা সততা ও দেশপ্রেমের সাথে কাজ করবেন-এটাই আমার প্রত্যাশা।’
শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার ঝুঁকিপূর্ণ রক্ষীদের ঝুঁকি বিবেচনা করে প্রথমে পিজিআর-এর জন্য ঝুঁকি ভাতা চালু করে।
তিনি বলেন, ইতিমধ্যেই সরকার গণভবন সংলগ্ন ব্যারাক তৈরি এবং গার্ডদের পরিবারের জন্য ১৪ তলা ভবন নির্মাণের মাধ্যমে আবাসন সমস্যার সমাধান করেছে।
জাতির পিতা ১৯৭৫ সালের ৫ জুলাই পিজিআর গঠন করেন।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু তাঁর নিজস্ব উদ্যোগে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশের জন্য উপযুক্ত সমর শক্তি গড়ে তুলেছিলেন।
সশস্ত্র বাহিনীর সার্বিক উন্নয়নে তাঁর সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা সব বাহিনীকে আন্তর্জাতিক মানের ব্যবস্থায় রূপান্তরিত করেছি।
শেখ হাসিনা আরো বলেন, বাহিনীগুলোকে সক্ষম করা হয়েছে- যাতে করে তারা বৈশ্বিক বাহিনীগুলোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে পারে, বিশেষ করে বিদেশে শান্তিরক্ষা মিশনে- যেখানে তারা অন্যান্য বিশ্ব বাহিনীর সঙ্গে কাজ করে।
তিনি বলেন, তাঁর সরকার সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রণীত প্রতিরক্ষা নীতি-১৯৭৪-এর সাথে সঙ্গতি রেখে ফোর্সেস গোল-২০৩০ বাস্তবায়ন করছে।
বিশ্বব্যাংকের দুর্নীতির মিথ্যা অভিযোগের উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছে।
তিনি বলেন, উন্নয়ন ও অগ্রগতির স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা দেশকে এমনভাবে গড়ে তুলছি, যাতে কখনো অন্যের ওপর নির্ভর করে এগিয়ে যেতে না হয়। আগামী দিনেও দেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে এই কামনা করি।’
নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের পর, উন্নয়ন সহযোগীরা এখন আর আগের বছরগুলোর মতো অনেক শর্ত দেয় না।
প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতার স্বপ্নের বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট দেশ হিসেবে গড়ে তোলার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ এবং পিজিআর কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ খালেদ কামাল প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলের চারপাশে হেঁটে সকল অফিসার এবং জুনিয়র কমিশনড অফিসারদের সাথে কুশল বিনিময় করেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী পিজিআরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কেক কাটেন।
তিনি ভিভিআইপি দায়িত্ব পালনের সময় গুরুতর আহত ও নিহতদের পরিবারের সদস্য এবং পিজিআর সদস্যদের মধ্যে উপহার বিতরণ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারেক আহমেদ সিদ্দিক এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহউদ্দিন ইসলাম মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সংশ্লিষ্ট সচিব এবং ঊর্ধ্বতন বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। -

দেশে ৮৬ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৮৬ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
এদের মধ্যে ৭২ জন ঢাকা মহানগর, ৫ জন কক্সবাজার, ২ জন রাঙ্গামাটি, ২ জন খাগড়াছড়ি, ২ জন পাবনা, ২ জন সিরাজগঞ্জ এবং ১ জন দিনাজপুর জেলার বাসিন্দা রয়েছেন। তবে এ সময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
এ নিয়ে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৪২ হাজার ৯৪০ জনে। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ৪৬২ জনে অপরিবর্তিত রয়েছে।
আজ বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৮৫টি পরীক্ষাগারে ১২৩৬ টি নমুনা সংগ্রহ ও ১২৩৬ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৬ দশমিক ৯৬ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ২০ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৪৯ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৯ হাজার ৫৯৪ জনে। সুস্থতার হার ৯৮ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যুর তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। -

গত ২৪ ঘন্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৫৮৪ জন হাসপাতালে ভর্তি

দেশে গত ২৪ ঘন্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৮৪ জন। এদের মধ্যে ঢাকায় ৩৮২ জন এবং ঢাকার বাইরে ২০২ জন ভর্তি হয়েছেন।
আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে।
বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১ হাজার ৯১১ জন ভর্তি রয়েছেন। এদের মধ্যে ঢাকার ৫৩টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে সর্বমোট ভর্তি ১ হাজার ২৮৫ জন এবং অন্যান্য বিভাগে ভর্তি রোগী ৬২৬ জন।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৫ জুলাই পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ভর্তি হয়েছেন ১০ হাজার ৪৫৫ জন। এদের মধ্যে ঢাকায় ৭ হাজার ৪৬৬ জন এবং ঢাকার বাইরে ২ হাজার ৯৮৯ জন। এ সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৬২ জনের।
এ ছাড়া ডেঙ্গু আক্রান্ত ৮ হাজার ৪৮২ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। -

পদ্মা সেতুতে পরীক্ষামূলক ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন সিস্টেম-ইটিসিএস চালু

পদ্মা সেতুতে ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন সিস্টেম-ইটিসিএস পরীক্ষামূলক শুরু হয়েছে। বুধবার থেকে সয়ংক্রিয় এ টোল আদায়ের আওতায় আনা হয়েছে ১৪টি বুথ। আর বাকি তিন বুথে মোটরসাইকেলের জন্য আগের মত ম্যানুয়ালি রাখা হয়েছে। এছাড়া সেতুর যান চলাচল পর্যবেক্ষণে মাওয়া প্রান্তে চালু হয়েছে পদ্মা ব্রিজ ট্রাফিক মনিটরিং সেন্টার।
রেডিও ফিকিউয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন-আরএফআইডি পদ্ধতিতে চলন্ত অবস্থায় টোল আদায়ের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে । এ পদ্ধতির জন্য রেজিস্ট্রেশন করা গাড়ি টোল প্লাজার সামনে আসতেই ১ নম্বর বুথ থেকে স্ক্যানারে গাড়ি শনাক্ত করে। নির্ধারিত টোল কেটে ব্যারিয়ার উঠে এবং স্ক্রিনে ব্যালেন্স দেখা যায়।
সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে সেতু সচিব স্মার্ট পদ্ধতিতে টোল পরিশোধ করে টোল প্লাজা অতিক্রম করেন। ২ নম্বর বুথের নাম হাইব্রিড। আরএফআইডি, টাচ এন্ড গো এবং ক্যাশ। এ তিন পদ্ধতিতে টোল পরিশোধের সুযোগ থাকবে এখানে। আর ৩ থেকে ৭ নম্বর এ পাঁচটি বুথে টাচ অ্যান্ড গো এবং ক্যাশ পদ্ধতি চালু হয়েছে। দুই পাড়ে একই রকম। আর সেতুর যান চলাচল পর্যবেক্ষণে মাওয়া প্রান্তে চালু হয়েছে পদ্মা ব্রিজ ট্রাফিক মনিটরিং সেন্টার।
সেতু সচিব মো. মঞ্জুর হোসন বলেন, পরীক্ষামূলকভাবে স্মার্ট টোল আদায় শুরু হওয়ায় দুই পাড়ে দুইটি বুথ বাড়ানো হয়েছে। তাই এখন সেতুর দুই পাড়ে প্রবেশ পথে ১৭টি টোল বুথ চালু । ইলেকট্রনিক টোলের আওতায় আনা হয়েছে ১৪টি টোল বুথ।
মাওয়া প্রান্তের পদ্মা সেতু উত্তর থানার পূর্ব পাশে ইটিসিএস রেজিস্ট্রেশন বুথ চালু হয়েছে। পুরোপুরি এ পদ্ধতি চালু হলে যানবাহনগুলোকে অপেক্ষায় থাকতে হবে না, জটলামুক্ত থাকবে টোলপ্লাজা। প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারের খবরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে সেতু ব্যবহাকারীরা।
সেতুর মাওয়া প্রান্তের ৮নং এবং জাজিরা প্রান্তের ৮নং ও ৯নং মোট তিন বুথে মোটরসাইকেলের জন্য আগের মত ম্যানুয়ালি কম্পিউটারে টোল আদায় হবে।