Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
বিশেষ সংবাদ Archives - Page 16 of 74 - Daily Dakshinermashal

Category: বিশেষ সংবাদ

  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য বিজ্ঞান বিভাগ আয়োজিত কর্মশালায় ঘেরে ভাঙান মাছ চাষ গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন এবং ভাঙান মাছের চাষ পদ্ধতি ও বাবস্থাপনার উপর চাষি সহায়িকা বিতরণ

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য বিজ্ঞান বিভাগ আয়োজিত কর্মশালায় ঘেরে ভাঙান মাছ চাষ গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন এবং ভাঙান মাছের চাষ পদ্ধতি ও বাবস্থাপনার উপর চাষি সহায়িকা বিতরণ

     

     

    সংবাদবিজ্ঞপ্তি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্যবিজ্ঞানবিভাগ সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা উপজেলা্র ঘেরে ভাঙান মাছের পাইলট চাষ প্রকল্পের (Project title: Optimization of grey mullet (Mugil cephalus) mariculture in different culture techniques) সমাপ্তি ও ফলাফল প্রচার বিষয়ক কর্মশালা ১০ জুন সোমবার সাতক্ষীরা সদর উপজেলার পিজ্জামিলান, আল-বারাকাএর কনফারেন্স কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। প্রকল্পটি অর্থায়ন করে মৎস্যঅধিদপ্তরের সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিনফিসারিজ প্রকল্প।

     

    কর্মশালায় উপকূলীয় এলাকায় ভাঙানমাছ চাষ পদ্ধতি ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ক চাষি সহায়িকার মোড়কউন্মোচন করাহয় এবং পরবর্তীতে এই চাষি সহায়িকা বিভিন্ন চাষি ও অন্যান্যঅংশীজনদের মাঝে বিতরণ করা হয়। এছাড়া এই চাষিসহায়িকাটির উপরভিত্তিকরে তৈরি একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়। পরবর্তীতে এইপ্রকল্পের একজন সুবিধাভোগী চাষি ভাঙানমাছ  চাষবিষয়কঅভিজ্ঞতা এইকর্মশালায় তুলে ধরেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে ভাঙান মাছ চাষবিষয়ক উন্মুক্তআলোচনা ও প্রশ্নোত্তরপর পরিচালনা করা হয় । যেখানে কর্মশালায় উপস্থিত বিভিন্ন অংশীজন ভাঙানমাছ চাষ বিষয়ক বিভিন্ন প্রশ্ন উত্থাপন করেন।

     

    মূলত উপকূলীয় এলাকার ঘেরে লাভজনকভাবে ভাঙানমাছচাষ পদ্ধতির আবিষ্কার করতে এই গবেষণা প্রকল্প শুরু হয়। তিনটি ভিন্ন চাষ পদ্ধতিতে (সনাতন,উন্নত-সনাতন ওআধা-নিবিড়) ৯ টি পুকুরে বিভিন্ন ঘনত্বে অন্যান্য মাছের সাথে ভাঙান মাছ চাষ করাহয় এবং সবচেয়ে লাভজনক চাষপদ্ধতিতে (উন্নত-সনাতনচাষপদ্ধতি) ভাঙান মাছ চাষের জন্য চাষিদের উদ্বুদ্ধ করা হয়। উপকূলীয় এলাকায় ভাঙান মাছ চাষ জনপ্রিয়করার জন্য এইমাছ চাষ পদ্ধতির চাষি সহায়িকা চাষি ও অন্যান্য অংশীজনদের মাঝে বিতরণ করা হয়।

     

    ভেটকির বিকল্প ভাঙান

    অনুষ্ঠানে প্রকল্পের মুখ্যগবেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন,ভাঙান মাছ বিভিন্ন মাত্রার লবনাক্ততা সহ্য করতে পারে বিধায় অন্যান্য মাছের তুলনায় ভাঙান ঘেরে চাষেরজন্য অধিক উপযুক্ত। উপকূলীয় এলাকায় লবনাক্ত পানির ঘের/পুকুরে বাগদা চিংড়ির সাথে অন্যান্য মাছ যেমন, পারশে, টেংরা, ভেটকি,তেলাপিয়া, খল্লা, ইত্যাদি চাষ হয়ে থাকে । বর্ষা মৌসুমে পানির লবণাক্ততা কমে গেলে অন্যান্য স্বাদু পানির প্রজাতি যেমন, গলদাচিংড়ি, রুই, গ্রাস কার্প, মিরর কার্প, কাতলা, ইত্যাদি চাষ হয় । মাঝারি লবণাক্ত ঘেরগুলোতে বড় সাদা মাছ হিসেবে অন্যান্য মাছের সাথে ভেটকি মাছেরচাষ হয়। কিন্তু ভেটকি খুব রাক্ষুসে স্বভাবের এবং উৎপাদন খরচ অনেক বেশি (এফসিআর ৩ এর বেশি) হওয়ায় খামারিরাএর বিকল্প খুঁজছে । ভাঙান এক্ষেত্রে একটি কার্যকারী বিকল্প হতে পারে। এছাড়া ভেটকি মাছের মতোঅত্যধিক মাত্রার রাক্ষুসে স্বভাবের না হওয়ায় চিংড়ির সাথে এই মাছ চাষকরা অধিক লাভজনক। যদিও ভাঙানমাছ সুবিধাভোগী খাদক হিসেবে পরিচিত, অর্থাৎ ক্ষুধার্ত অবস্থায় প্রয়োজনে অন্যান্য ছোট মাছ খেয়ে থাকে, কিন্তু চাষ শুরুর প্রথমেই মাছ ছাড়ার সময় ভাঙান ও চিংড়িসহ অন্যান্য মাছের পোনার আকার বিবেচনায় মজুদ করলে এই সমস্যার সৃষ্টি হয় না। সুতরাং বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ভাঙান মাছচাষ করে অধিক লাভ করা সম্ভব।

     

    জলবায়ু সহনশীল উপায় হিসেবে উপকূলীয় এলাকায় ঘেরে ভাঙান মাছ চাষ

     

    এছাড়াও জলবায়ু পরিবর্তনের অভিযোজন হিসেবে জলবায়ুসহনশীল উপায় হিসেবে উপকূলীয় এলাকায় ঘেরে ভাঙানচাষ করা যেতে পারে যা কিনা উপকূলীয় এলাকার মৎস্য চাষিদের জীবিকার উন্নয়নে কাজ করতে পারে। কারণ এ মাছটি তাপমাত্রা, লবনাক্ততার অনেক তারতম্যের মধ্যে ও চাষাবাদ করা যায়।

     

    কারা উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রেখেছেন

     

    কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন প্রকল্পের মুখ্যগবেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য বিজ্ঞানবিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ মনিরুলইসলাম। প্রকল্পের ফলাফল উপস্থাপন করেন উক্ত প্রকল্পের কো-প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর ঢাকাবিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. গৌতম কুমার কুন্ডু।

     

    এছাড়া স্বাগত বক্তব্য উপস্থাপন করেন অপর্ণা বর্মণ, জলবায়ু পরিবর্তন ও মৎস্য বিজ্ঞান বিষয়ক গবেষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, কর্মশালার উপস্থাপনা করেন উশরিকা ইসলাম, মাস্টার্স শিক্ষার্থী, মৎস্য বিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকাবিশ্ববিদ্যালয়। এছাড়া গবেষণায় সহকারী গবেষক হিসেবে কাজ করেন মোঃআসিফহাসান,  সৈকতদাস, মোঃ ইসমাম ইবনে হায়দার এবং মোঃ জাফরুল ইসলাম।

     

    অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মোঃ মনিরুল ইসলাম, উপ পরিচালক, মৎস্য পরিদর্শন ও মাননিয়ন্ত্রন, মৎস্য অধিদপ্তর, খুলনা। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আনিসুর রহমান এবং খুলনা বিভাগীয় উপ প্রকল্প পরিচালক সরোজ কুমার মিস্ত্রি।

     

    সাতক্ষীরা সদর উপজেলার জেলার সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা  মোঃ শফিকুল ইসলাম, দেবহাটা উপজেলার জেলার সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আলমগীর হোসেন, আশাশুনি উপজেলার সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা        সত্যজিৎ মজুমদার, শ্যামনগর উপজেলার সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তুষার মজুমদার, কালীগঞ্জ উপজেলার সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ নাজমুল হুদা, কলারোয়া উপজেলার সিনিয়র উপজেলা মৎস্যকর্মকর্তা রবীন্দ্রনাথ মন্ডল এবং তালাউপজেলার সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা  স্নিগ্ধা খাঁ  বাবলী। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন প্রকল্পের সুবিধাভোগী চাষিগণ, সাতক্ষীরা ও খুলনার বিভিন্ন উপজেলা হতে আগত বিভিন্ন অংশীজন (ঘেরখামারি, হ্যাচারিমালিক, কম্পানিরপ্রতিনিধি, ইত্যাদি), এনজিওকর্মী এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকবৃন্দ।

  • সামেক হাসপাতালের আউটসোর্সিং নিয়োগ স্বচ্ছতা  দাবিতে পথসভা 

    সামেক হাসপাতালের আউটসোর্সিং নিয়োগ স্বচ্ছতা  দাবিতে পথসভা 

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা মেডিকেল হাসপাতালে আউটসোর্সিং জনবল নিয়োগ স্বচ্ছতা ও ভুয়া নিয়োগপত্র দেখাইয়ে প্রায় চার কোটি টাকা আত্নসাতকারী দুনীতিবাজ প্রতারক বরিশাল জেলা বিএনপির সদস্য ও পিমা এ্যাসোসিয়েট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেলোয়ার হোসেন দুলালকে পুনারায় সাতক্ষীরা মেডিকেল হাসপাতালের আউটসোর্সিং টেন্ডার না দেয়ার দাবিতে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৪ জুন মঙ্গলবার বিকেলে জেলা  নদী বন ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির উদ্যােগে সাতক্ষীরা খুলনা রোড মোড়স্থ বঙ্গবন্ধু ম্যাুরালের সামনে জেলা ভুমিহীন সমিতির সভাপতি কওছার আলীর সভাপতিত্বে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। পথসভায় জেলা  নদী বন ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের সঞ্চলনায় বক্তব্যে রাখেন, জেলা নদী বন ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির সভাপতি আদিত্য মল্লিক, জেলা ভুমিহীন সমিতির  সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ গাজী, সহ সভাপতি সাবেক সিবিএ নেতা শেখ শওকত আলী, মানবাধিকার কর্মী শেখ ফারুক হোসেন, ভুমিহীন অধিকার পরিষদ সভাপতি বাবলু হাসান, সাংবাদিক রুবেল হোসেন, শেখ রিয়াজুল ইসলাম, শাহাজান আলী ছোট বাবু,  কাজী আব্দুল আলিম, সিরাজুল ইসলাম প্রমূখ।

    বক্তারা বলেন, হাসপাতালের পরিচালক শীতল চৌধুরীসহ টেন্ডার কমিটির সিন্ধান্ত মোতাবেক  ২০২৪ সালের ১৭ মে তারিখে দৈনিক ভোরের কাগজ পত্রিকায় সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের  আউটসোর্সিং ঠিকাদারের টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত করেছেন।   উক্ত টেন্ডার দরপত্র সিডিউল জমার দেওয়ার শেষ তারিখ চলতি মাসের ৫ জুন এবং টেন্ডার দরপত্র হবে ৬ জুন।

    বক্তারা বলেন, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ শীতল চৌধুরীসহ  টেন্ডারবাজিরা মোটা অংকে টাকার বিনিময়ে টেন্ডার দরপত্র কারসাজি করে হাসপাতালের বর্তমান আউটসোর্সিং ঠিকাদার চতুর্থ সর্বনিম্ন দরদাতা বরিশাল জেলা বিএনপির সদস্য পিমা এ্যাসোসিয়েট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেলোয়ার হোসেন দুলালকে পুনারায় টেন্ডার দেয়ার জন্য জোর প্রচেষ্টায় পায়তারা চালাচ্ছেন।

    বক্তারা আরো সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পূর্বে আউটসোর্সিং ঠিকাদারের টেন্ডারে  আউটসোর্সিং ঠিকাদার টেন্ডার দরপত্র  আহবানে পিমা এ্যাসোসিয়েট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেলোয়ার হোসেন দুলাল আউটসোর্সিং  টেন্ডার পায়। এরপর দুলাল আউটসোর্সিং টেন্ডার পেয়ে সাতক্ষীরা জেলার সাধারণ মানুষকে হাসপাতালে  আউটসোর্সিং কর্মী হিসেবে চাকুরী দেওয়ার জন্য দুলাল একটি পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ঠিকাদার দুলাল সাতক্ষীরার মানুষের কাছে  কিছু ভুয়া নিয়োগপত্র দেখাইয়ে তাদের কাছ   থেকে নিয়োগ প্রতি ৩ লাখ থেকে ৪ লাখ টাকা করে প্রায় ৪ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় ঠিকাদার দুলাল।

    ঠিকাদার দুলাল ভুয়া নিয়োগপত্র দেখিয়ে পাটকেলঘাটা এলাকার সোবহানের ছেলে আল আমিনের কাছ থেকে ২৩ লাখ টাকা,  পাটকেলঘাটা থানার বড়ভিলা এলাকার শেখ শাহাজান আলীর ছেলে ইমরান হোসেনের কাছ থেকে  ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও তালা উপজেলার কৃষ্ণকাটির এলাকার মনিরুজ্জামান সরদারের ছেলে রফিকুল ইসলামের কাছ ২৩ লাখ টাকাসহ প্রায় চার কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় ঠিকাদার দুলাল।  এসব টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য ঠিকাদার দুলালের নামে সাতক্ষীরা আদালতে ৫ টি মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীরা।

    বক্তারা আরো বলেন,  ইতিপূর্বে সাতক্ষীরা মেডিকেলে পিমা এ্যাসোসিয়েট লিঃ এর ঠিকাদার দুলাল বিগত সময়ে টেন্ডার মেয়াদ শেষ হবার পূর্বে মাত্র ৬ মাসের টেন্ডারে হাইকোর্টে রিট করে গত ৫ বছর যাবত হাইকোর্টের রিটে  সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে ৪৬ জন জনবল কাজ করে আসছিল। আউটসোর্সিং  কর্মচারীদের কাছ থেকে বেতন শিটে জোর করে স্বাক্ষর করে নিয়ে তাদের মাসিক বেতন ১৪,৪৫০ টাকা উত্তোলন করে আউটসোর্সিং কর্মীদের মাত্র ৮/৯ হাজার টাকা বেতন দিতেন। আর স্বাক্ষর না দিলে কর্মীদের চাকুরীচ্যুত করার হুমকিও দিতেন তার পোষা লোকজন। ঠিকাদার ও তার দালালচক্রের অনিয়ম ও অত্যাচারে কর্মচারীরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠতেন।

    বক্তারা আরো বলেন, মেডিকেল হাসপাতালের আউটসোর্সিং কর্মী নিয়োগ প্রকাশ হবার আগেই আউটসোর্সিং আবেদন কারীদের আবেদনপত্র স্বাক্ষর দেওয়ার নামে আবেদনকারীদের  কাছে থেকে আবেদন প্রতি এক হাজার টাকা করে নিচ্ছে মেডিকেল হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ শীতল চৌধুরী।

    বক্তারা বলেন, এই দুনীতিবাজ, টাকা আত্নসাতকারী মামলার আসামী প্রতারক বরিশালের  পিমা এ্যাসোসিয়েট লিঃ এর ঠিকাদার দেলোয়ার হোসেন দুলালকে যদি পুনারায় আবারও সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আউটসোর্সিং টেন্ডার দরপত্র পায়, তাহলে সাতক্ষীরার সাধারণ মানুষ কর্মসংস্থান থেকে বঞ্চিত হবে এবং সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়বে। এছাড়াও সাতক্ষীরা সুন্দরবন টেক্সটাইল পুনারায় চালুর দাবি জানান বক্তারা। সাতক্ষীরা মেডিকেল হাসপাতালে আউটসোর্সিং জনবল নিয়োগ স্বচ্ছতা ও পিমা এ্যাসোসিয়েট লিঃ এর ঠিকাদার প্রতারক দেলোয়ার হোসেন দুলালকে পুনারায় সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আউটসোর্সিং টেন্ডার দরপত্র না দেয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে জোর দাবি জানান মানববন্ধনে বক্তারা।

  • সাতক্ষীরায় ঘুর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতায় এগিয়ে এলো সেভ দ্য চিলড্রেন ও উত্তরণ

    সাতক্ষীরায় ঘুর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতায় এগিয়ে এলো সেভ দ্য চিলড্রেন ও উত্তরণ

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় ঘুর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত  মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছে দাতা সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন ও উত্তরণ।

    মঙ্গলবার (৪ জুন) আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নে ঘুর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ পারিবারের মাঝে সেল্টার কির্ট বিতরণের মাধ্যমে দাতা সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন ও উত্তরণ তাদের পাশে দাঁড়ায়।

    সেল্টার কির্ট বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন- শ্রীউলা ইউনিয়ন পরিষদের প্রভাষক দীপংকর বাছাড় (দিপু), ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম বাচ্চু, সেভ দ্য চিলড্রেন এর কর্মকর্তা মো. আবু বক্কর সিদ্দিক, উত্তরণের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর সাইদুর রহমান, প্রথম আলো সাতক্ষীরা বন্ধুসভার সভাপতি কর্ণ বিশ্বাস কেডি, ভিবিডি সাতক্ষীরা’র সভাপতি মো. হোসেন আলী, ইয়ুথ এডাপটেশন ফোরামের লাবনী মজুমদার, মাশকুরা আক্তার, শোভা আশা হালদার, মো. আবু তাহের বিল্লাহ, মোকাররম বিল্লাহ ইমন, নির্মল গাইন, দেলোয়ার হোসেনসহ প্রতিষ্ঠানটির অন্যান্য কর্মীরা।

  • প্রেমের টানে বাংলাদেশে এসে বিয়ে করলেন যুক্তরাষ্ট্রের নারী

    প্রেমের টানে বাংলাদেশে এসে বিয়ে করলেন যুক্তরাষ্ট্রের নারী

    সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচয় থেকে বন্ধুত্ব। এরপর তা গড়ায় প্রেমের সম্পর্কে। ফলে প্রেমের টানে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে ছুটে আসেন মার্কিন নারী। সিদ্ধান্ত নেন তারা বিয়ে করবেন। কিন্তু এতে বাধ সাধে বয়স ও ধর্ম। তবে প্রেম মানে না কোনো বাধা।

    সোমবার (৩ জুন) দুপুরে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এই প্রেমিক যুগল। ফেনীর বেস্ট ইন রেস্টুরেন্টে ইসলাম ধর্মের রীতি অনুযায়ী তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের জন্য এই মার্কিন নারী খ্রিষ্টান ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। মুসলিম হওয়ার পর তার নাম রাখা হয়েছে লামিয়া।

    বর ফেনীর সন্তান ব্যবসায়ী জামশেদ আলম রাজু (২৫)। তিনি সোনাগাজী উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের পূর্ব সফরপুর গ্রামের মৃত রুহুল আমিনের ছেলে। কনে সেন্ডোরা ব্রোক্সের (৫৫) যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া শহরের বাসিন্দা। 

    জানা গেছে, রাজু ও সেন্ডোরা আদালতে হাজির হয়ে হলফনামা দিলে ফেনীর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অপরাজিতা দাশ তা মঞ্জুর করেন।

    জামশেদ আলম রাজু জানান, ২০১৮ সালে ফেসবুকে তাদের পরিচয় হয়। এরপর ধীরে ধীরে ভালো লাগা থেকে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। একপর্যায়ে দুজন বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। শনিবার (১ জুন) যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে আসে সেন্ডোরা।

    রাজু বলেন, ‘সেন্ডোরা আমাকে ভালোবেসে এখানে এসেছে। সুখে-দুঃখে আমরা একসঙ্গে থাকতে চাই বলে অঙ্গীকার করেছি। সে আমার জন্য নিজ ধর্ম ত্যাগ করেছে।’

    মনের মানুষকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেয়ে খুশি সেন্ডোরাও (লামিয়া)। তিনি বলেন, ‘আমি ভালো আছি। আমার অনেক ভালো লাগছে।’

  • দাম কমল এলপিজির, ১২ কেজির সিলিন্ডার ১৩৬৩ টাকা

    দাম কমল এলপিজির, ১২ কেজির সিলিন্ডার ১৩৬৩ টাকা

    ভোক্তা পর্যায়ে আবারও কমল তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলপিজি) দাম। ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম এক হাজার ৩৯৩ টাকা থেকে ৩০ টাকা কমিয়ে এক হাজার ৩৬৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে এ নতুন দর কার্যকর হবে।

    সোমবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এলপিজির নতুন দাম ঘোষণা করেন এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান মো. নূরুল আমিন।

    প্রাকৃতিক গ্যাসের নতুন সংযোগ বন্ধ থাকায় গৃহস্থালি রান্নার পাশাপাশি রেস্তোরাঁ, পরিবহন, ছোট-বড় শিল্পকারখানায়ও এলপিজি ব্যবহার ব্যাপকভাবে বেড়েছে। বিইআরসি প্রতি কেজি এলপিজির খুচরা দাম ১১৩ টাকা ৫৫ পয়সা নির্ধারণ করেছে। সে অনুযায়ী সাড়ে পাঁচ কেজি, ১২, ১৫, ১৬, ১৮, ২০, ২৫, ৩০, ৩৫ ও ৪৫ কেজি ওজনের সিলিন্ডারগুলোর দাম কমেছে। যদিও বাজারে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দাম দিয়ে ভোক্তাকে কিনতে হয় বলে ভোক্তাদের অভিযোগ রয়েছে। বাজার ঘুরে সে অভিযোগের সত্যতাও পাওয়া গেছে।

    এলপিজির পাশাপাশি গাড়িতে ব্যবহৃত অটোগ্যাসের দামও কমেছে। প্রতি লিটার অটোগ্যাসের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৬২ টাকা ৫৩ পয়সা। যা গত মাসে ছিল ৬৩ টাকা ৯২ পয়সা।

    গত এপ্রিল মাসে ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ছিল এক হাজার ৪৪২ টাকা, মার্চ মাসে ছিল এক হাজার ৪৮২ টাকা, ফেব্রুয়ারি মাসে ছিল এক হাজার ৪৭৪ টাকা, জানুয়ারিতে ছিল এক হাজার ৪৩৩ টাকা। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ছিল এক হাজার ৪০৪ টাকা, নভেম্বরে ছিল এক হাজার ৩৮১ টাকা, অক্টোবর মাসে ছিল এক হাজার ৩৬৩ টাকা, সেপ্টেম্বরে ছিল এক হাজার ২৮৪ টাকা, আগস্ট মাসে এক হাজার ১৪০ টাকা, জুলাই মাসে ছিল ৯৯৯ টাকা, জুনে ছিল এক হাজার ৭৪ টাকা, মে মাসে ছিল এক হাজার ২৩৫ টাকা ও এপ্রিলে ছিল এক হাজার ১৭৮ টাকা।

    আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে মিল রাখতে সৌদি আরামকো কোম্পানির প্রপেন ও বিউটেনের দামের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রতি মাসে এলপিজির মূল্য ঘোষণা করে আসছে বিইআরসি। ২০২১ সালের ১২ এপ্রিল দেশে প্রথমবারের মতো এলপিজির দাম নির্ধারণ করে বিইআরসি। তারপর থেকে প্রতি মাসে একবার দাম সমন্বয় করা হচ্ছে।

  • অধ্যাপক শিল্পীকে বাঁচাতে সহায়তার হাত বাড়াবে কি কেউ

    শ্যামল শীল,জবি:দেশের একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করতেন অধ্যাপক ড. শিল্পী খানম। শিক্ষার্থীদের বাংলায় জ্ঞান অর্জন করানো ছিল তার অ্যাকাডেমিক বিষয়। কিন্তু এই পথচলা রুদ্ধ হয়ে আছে দুই বছরের বেশি। যেতে পারেন না শ্রেণিকক্ষে, দেখার সুযোগ হয় না প্রিয় শিক্ষার্থীদের মুখ। তার অনুপস্থিতি শিক্ষার্থীদের মনেও ব্যথার সঞ্চার করেছে। দ্রুত তাকে নিজেদের মধ্যে ফিরে পেতে প্রতীক্ষার প্রহর গুনছেন শিক্ষার্থীরা। তবে সেজন্য প্রয়োজন সহায়তা– আর্থিক জোগান। কারণ শিল্পী যে আক্রান্ত হয়ে আছেন মরণব্যাধি ক্যানসারে।

    অধ্যাপক শিল্পী খানম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) বাংলা বিভাগের শিক্ষক। তিনি বোন ম্যারো (অস্থিমজ্জা) ক্যানসারে আক্রান্ত। বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় শুক্রবার (২৪ মে) রাতে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়েছে। দুর্ভাগ্যের পরিহাস– এই হাসপাতালে অধ্যাপক শিল্পীর চিকিৎসা বাবদ খরচের ১২ লাখ টাকা শনিবার পর্যন্ত পরিশোধ করা সম্ভব হয়নি। গত দুই বছর দেশ-বিদেশে চিকিৎসা ব্যয় বহন করে অনেকটা নিঃস্ব এখন তার পরিবার।

    পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আড়াই বছর আগে ক্যানসার ধরা পড়ে অধ্যাপক শিল্পী খানমের। দেশে কিছু দিন চিকিৎসার পর তাকে নেওয়া হয় ভারতে। সেখানে টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালে প্রায় দেড় মাস চিকিৎসা শেষে ফিরে আসেন তিনি। তবে দিন দিন শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। এই আড়াই বছরে তার পুরো দেহে ছড়িয়ে পড়েছে ক্যানসার। দীর্ঘ সময়ের চিকিৎসা ব্যয় বহন করতে গিয়ে শেষ হয়ে গেছে সঞ্চয়ে থাকা সব টাকা। অনেকের কাছ থেকে করতে হয়েছে ঋণ। একবার সহায়তার হাত বাড়িয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি।

    অধ্যাপক শিল্পীর দুই ছেলে এবার কৃতিত্বের সঙ্গে মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরিয়েছে। জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হওয়া দুই ছেলের উচ্চশিক্ষা নিয়েও সংশয় ভর করেছে পরিবারে। তাদের বাবা কাজী শফিকুল ইসলাম অসুস্থ স্ত্রীকে সময় দেওয়ার জন্য ছেড়ে দিয়েছেন নিজের চাকরি। এমন অনিশ্চিত সময়ে পুরো পরিবারের একটাই চিন্তা– কেউ কি অধ্যাপক শিল্পীকে বাঁচাতে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেবে? আবার কবে সব দ্বিধা কেটে শিল্পী-শফিকের পরিবারে ফুটবে সুখের হাসি?

    প্রিয় শিক্ষকের এই দুঃসময়ে সর্বোচ্চ দিয়ে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন তার শিক্ষার্থীরা। জবির বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী শিবলী নোমান বলেন, ‘ম্যাম অনেক বন্ধুসুলভ। তিনি সব সময়ই আমাদের আগলে রাখতেন। তার এমন অসুস্থতা আমাদের সবাইকে মর্মাহত করেছে। ম্যাম যাতে সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন সেজন্য আমাদের যা করার আছে সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করব।’

    আরেক শিক্ষার্থী মুজাহিদ বিল্লাহ বলেন, ‘ম্যামকে সদা হাস্যোজ্জ্বল দেখে এসেছি। তিনি নিজের সন্তানের মতো আদর-স্নেহ করতেন আমাদের। আমরা ম্যামকে সুস্থ দেখতে চাই।’

    বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন বলেন, ‘অধ্যাপক শিল্পীর পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। যোগাযোগ করলে আমরা সমিতির নির্বাহী সভায় উত্থাপন করব।’

    অধ্যাপক শিল্পীর স্বামী কাজী শফিকুল ইসলাম বলেন, “আমার স্ত্রীর ক্যানসার এখন ‘লাস্ট স্টেজে’। তার চিকিৎসায় আড়াই বছরে এক কোটি টাকার বেশি খরচ হয়ে গেছে। আমার সব সম্বল শেষ। এখনও হাসপাতালে ১২ লাখ টাকার মতো বিল বাকি। শিক্ষক সমিতি একবার সহায়তা করেছিল। এখন সংকোচে কারও কাছে হাতও পাততে পারছি না। অনেক টাকা প্রয়োজন, কী করব জানি না। আর্থিক সহায়তা পেলে হয়তো চিকিৎসা চালিয়ে যেতে পারব।”

    যে কেউ চাইলে আর্থিক সহায়তা পাঠাতে পারবেন এই ঠিকানায়– কাজী শফিকুল ইসলাম (অধ্যাপক ড. শিল্পী খানমের স্বামী), বেসিক ব্যাংক লিমিটেড, শান্তিনগর শাখা, অ্যাকাউন্ট নম্বর : 0914010004526

    জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক শিল্পী খান।

  • উপজেলার ৪ লক্ষ ভোটারকে চেয়ারম্যান হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন প্রার্থী

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মশিউর রহমান বাবুর লাঙ্গল প্রতিকের নির্বাচনী পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    সোমবার (২০ মে) রাতে ভোমরা ইউনিয়ন জাতীয় পার্টি আয়োজিত নির্বাচনী পথসভায় মশিউর রহমান বাবু বলেন, নির্বাচিত হলে সদর উপজেলাকে একটি স্মার্ট সু-সজ্জিত উপজেলা হিসাবে সাধারণ মানুষকে উপহার দেবো। উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে আমি একা চেয়ারম্যান হবো না, বরং সদর উপজেলার ৪ লক্ষ ৪ হাজার ভোটাররাই চেয়ারম্যান হবে। এ সময় তিনি সকলকে লাঙ্গল প্রতীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার আহবান জানান।

    ভোমরা ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি আব্দুল মোমেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি’র বক্তব্য রাখেন লেসদর উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আনোয়ার জাহিদ তপন, সম্মানিত অতিথি’র বক্তব্য রাখেন জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ শাখাওয়াতুল করিম পিটুল, সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক শেখ শরিফুজ্জামান বিপুল, জেলা জাতীয় তরুণ পার্টির সভাপতি আবু ইয়াসিন,জাতীয় পার্টি নেতা প্রভাষক শরিফুল ইসলাম, জেলা জাতীয় তরুণ পার্টির যুগ্ম আহবায়ক স.ম মুজাহিদ প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন ভোমরা ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুল ইসলাম।

  • এক শতাংশ ভোটার এলেও নির্বাচন গ্রহণযোগ্য: ইসি হাবিব

    নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটার উপস্থিতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘এই সময়ে ৩৬ শতাংশ ভোট কম না। নির্বাচনে এক শতাংশ ভোটার এলেও তা গ্রহণযোগ্য।’

    তিনি আরও বলেন, ‘উপজেলাওয়ারি ভোটার উপস্থিতির পরিসংখ্যান প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি আসন্ন দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে কেন্দ্রে ভোটার আনতে কমিশন প্রচারণা চালাবে। প্রার্থীদেরও প্রচারণা চালাতে হবে। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ভোটারদের নির্বিঘ্নে কেন্দ্রে আসতে সব ব্যবস্থা করবে।’

    বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুরে যশোর শিল্পকলা একাডেমিতে যশোর, নড়াইল ও মাগুরার উপজেলার নির্বাচনের প্রার্থী, নির্বাচনি কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

    নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘মূলত তিনটি কারণে ভোটার উপস্থিতি কম ছিল। এর মধ্যে একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলের অনুপস্থিতি, দ্বিতীয়ত এখন ধান কাটার মৌসুম, তাছাড়া ভোটের আগের রাতে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়েছে।’ আগামীতে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

    বৈঠকের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘আমি প্রার্থীদের বলেছি, মানুষ হিসেবে যে আমরা শ্রেষ্ঠ তা প্রমাণ করতে হবে। জনগণের সেবক হতে হবে। কারোর ওপর ভর না দিয়ে জনগণের ভালোবাসার ওপর ভর করতে হবে। প্রার্থীরা আমাদের কথায় সম্মত। তাদের আমরা আশ্বস্ত করতে পেরেছি। সামনের নির্বাচনগুলো আগের থেকে আরও স্বচ্ছ ও ভালো হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আইন প্রয়োগে কঠোর হবে। কোনও ছাড় হবে না।’

    আহসান হাবিব খান বলেন, ‘আমরা আস্তে আস্তে ভালো করছি। আগামীতে আমাদের নির্বাচন বিশ্ববাসীর জন্য রোল মডেল হবে।’

    বেলা ১১টায় যশোর শিল্পকলা একাডেমিতে যশোর, নড়াইল ও মাগুরার উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী, নির্বাচনি কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক বসেন নির্বাচন এই কমিশনার। দুপুর আড়াইটায় বৈঠক শেষ হয়।

  •  জুয়েলার্স এসোসিয়েশন সাতক্ষীরা জেলা শাখার  মধ্যবিনিময় সভা

    বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশন সাতক্ষীরা জেলা শাখা আয়োজনে মধ্যবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার ১৫ ই মে সকাল ১০ টায় সাতক্ষীরা শহরের কুরাইশী ফুডপার্কে এ মতবিনিময় সভায় জেলা জুয়েলার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি গৌর চন্দ্র দত্ত’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ- সভাপতি মো. রিপনুল হোসেন।  বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির  কোষাধ্যক্ষ  উত্তম বণিক, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ওয়াহিদুজ্জামান, সাতক্ষীরা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি নাসিম ফারুক খান মিঠু। এসময়  জেলা জুয়েলার্স এসোসিয়েশনের সকল সদস্যবৃন্দন উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন, জেলা জুয়েলার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মনোরঞ্জন কর্মকার মন্টু। এসময় প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে  বলেন, সংগঠনের সদস্য হতে চাইলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মানতে হবে। সংগঠনকে অবশ্যই নির্ধারিত চাঁদা দিতে হবে। যারা চাঁদার টাকা দিতে ব্যর্থ হবে তাদের সদস্য পদ দেওয়া হবে না। এছাড়া জেলা জুয়েলার্স এসোসিয়েশনের নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা হবে। কারও পক্ষে কাজ করার কোন নজির কেন্দ্রীয় কমিটির নেই। তিনি আরো বলেন, স্বর্ণ ক্রয়ের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট একটি রুলস আনতে আদালতের দারস্থ হতে হবে। খুব শিগ্রই এটির বিষয়ে সমাধান আসবে।

  • বিতর্কিত বিশ্বকাপ দলে লিটন

    বিতর্কিত বিশ্বকাপ দলে লিটন

    উদ্ভট যুক্তিতে বিশ্বকাপ দলে লিটন

    জায়গা পেয়েছেন দীর্ঘদিন ধরে অফ-ফর্মে থাকা ওপেনার লিটন দাস

    আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্বাধীন এই দলে জায়গা হয়নি মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের। এ নিয়ে চলছে নানান আলোচনা–সমালোচনা। তবে ঠিকই জায়গা পেয়েছেন দীর্ঘদিন ধরে অফ-ফর্মে থাকা ওপেনার লিটন দাস।

    জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সদ্য সমাপ্ত টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচে লিটনের ব্যাট থেকে এসেছে মোটের ওপর ৩৬ রান। ফর্মে না থাকার কারণে জায়গা হয়নি সিরিজের চতুর্থ ও পঞ্চম টি-টোয়েন্টির একাদশেও। বিশ্বকাপের আগে লিটনের এমন পারফরম্যান্সে হতাশ দেশের ক্রীড়াপ্রেমীরা। শুধু এই সিরিজই না, চলতি বছরের শুরু থেকেই ব্যর্থতার বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছেন তিনি।

    তবে সব সমালোচনা ছাপিয়ে ঠিকই বিশ্বকাপ স্কোয়াডে জায়গা পেয়েছেন তিনি। দল ঘোষণার সময় বিষয়টি নিয়ে অদ্ভুত যুক্তি দাড় করিয়েছেন বিসিবির প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। তার দাবি, উইকেটকিপিং বিবেচনায় নিয়েই তাকে দলে টেনেছেন তারা।

    লিপুর ভাষ্য, ‘লিটনকে তৃতীয় (মূলত চতুর্থ) ম্যাচে বাদ দেওয়ার কারণ সেটি ছিল সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ। সেজন্য ওই বিশেষ ম্যাচের জন্য আমাদের এ সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল। লিটন কেবল ওপেনারই নয়, তার বিষয়টা তুললে উইকেটকিপিং সামর্থ্যের কথাও চলে আসে। আমাদের দুটো উইকেটকিপার নিয়ে যেতেই হবে। ওপেনিংয়ে হয়তো তার পরিবর্তে রিপ্লেস করতে পারছি।’

    এ সময়ে এনামুল হক বিজয়ের নামও উঠে আসে। লিটনকে ফর্মে ফেরাতে কাজ চলছে বলেও জানান তিনি। লিপুর দাবি, ‘এক্ষেত্রে আবার আমরা এনামুল হক বিজয়কে নিয়েও আলোচনা করেছিলাম। তবে ফর্মহীন থাকার পরও আমাদের লিটনের ওপর আস্থা রাখতে হয়েছে। কারণ তাকে নিয়ে কাজ করা হচ্ছে এবং দুটো ম্যাচ যে তিনি খেলেননি সে সময়ও তার আস্থার জায়গা কিভাবে পুনরুদ্ধার করা যায়, সেই চেষ্টা করে যাচ্ছেন কোচিং স্টাফরা। কতটুকু উন্নতি হয়েছে সেটা তো বলা যায় না। তবে বল বাছাই ও শট খেলার দিক থেকে তাকে আরও দৃঢ় করার জন্য কোচরা কাজ করছেন।’

  • ১ মাস পর বাড়ি ফিরলেন ২৩ নাবিক 

    জিম্মিদশা থেকে ১ মাস পর বাড়ি ফিরলেন ২৩ নাবিক 

    সোমালিয়ান জলদস্যুদের জিম্মিদশা থেকে মুক্ত বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ দীর্ঘ এক মাস পর ঝড়-ঝঞ্ঝা সামলিয়ে অবশেষে দেশে পৌঁছেছে। আজ এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিক স্বজনদের কাছে ফিরলেন। এর আগে সোমবার (১৩ মে) সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটের দিকে জাহাজটি কুতুবদিয়ায় নোঙর করে।

    মঙ্গলবার (১৪ মে) একটি লাইটার জাহাজে করে কেএসআরএম লাইটার জেটি সদরঘাটে আনা হয়। এখান থেকে তারা নিজ নিজ বাড়ি ফিরবেন।

    নাবিকদের বরণ করে নিতে বন্দর জেটিতে বিকেলে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল। এ সময় নাবিকদের স্বজন ও কেএসআরএম গ্রুপের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিত রয়েছেন।

    উল্লেখ্য, ৩৩ দিনের মাথায় ১৩ এপ্রিল দিবাগত রাতে জাহাজটি মুক্ত হয়। এরপর জাহাজটি প্রথমে আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরে পৌঁছায়। সেখানে পণ্য খালাস শেষে আরেকটি বন্দর থেকে চুনাপাথর বোঝাই করে চট্টগ্রামের পথে রওনা হয়েছিল জাহাজটি। এ হিসেবে আমিরাত থেকে ১৩ দিনের মাথায় জাহাজটি বাংলাদেশের জলসীমায় এসে পৌঁছাল।

    কেএসআরএম গ্রুপ জানায়, এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে ৫৬ হাজার টন পণ্য চুনাপাথর রয়েছে। এতে প্রায় ১৯০ মিটার লম্বা জাহাজটির ড্রাফট (জাহাজের পানির নিচের অংশের গভীরতার পরিমাপ) বেড়ে হয়েছে সাড়ে ১২ মিটার। জাহাজটির ড্রাফট বেশি থাকায় কুতুবদিয়ায় প্রথমে কিছু পরিমাণ পণ্য খালাস করে। এরপর পতেঙ্গার কাছাকাছি বঙ্গোপসাগরে বন্দর জলসীমায় আনা হয়। সেখানে বাকি পণ্য খালাস করা হবে। এ জন্য দেশে পৌঁছার পরও নাবিকদের ঘরে ফিরতে একটু সময় লাগেছে।

    ২০১০ সালের ডিসেম্বরে আরব সাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল বাংলাদেশি জাহাজ জাহান মণি। ওই সময় জাহাজের ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয়। নানাভাবে চেষ্টার পর ১০০ দিনের চেষ্টায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান তারা।

  • সাতক্ষীরায় আ.লীগ নেতার বাড়ি থেকে অস্ত্রসহ গুলি ও ম্যাগজিন উদ্ধার

    সাতক্ষীরায় আ.লীগ নেতার বাড়ি থেকে অস্ত্রসহ গুলি ও ম্যাগজিন উদ্ধার

    সঠিক তদন্ত করে সোর্স, অস্ত্রের মালিকসহ ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী আ.লীগের

    প্রেসবিজ্ঞপ্তি : সাতক্ষীরায় র‌্যাবের অভিযানে দেশী তৈরী ২টি ওয়ান শুটার গান, ২টি ৯ এমএম সদৃশ্য বিদেশি পিস্তল, ২৯টি কার্তুজ এবং ৩টি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার রাত সাড়ে ৩টার দিকে সদর উপজেলার আলিপুর ইউনিয়নের মাহামুদপুর এলাকা থেকে পরিত্যাক্ত অবস্থায় উক্ত অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয় বলে র‌্যাবের এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
    এদিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আলিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর ইসলাম জিয়া জানান, ভোর রাতে র‌্যার সদস্যরা আলিপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান খোকনের বাড়িতে অভিযান চালায় এবং তাকে আটক করে। এ সময় তার বাড়ি তল্লাসী করে কিছু না পেয়ে বাড়ি থেকে প্রায় ২০০ গজ দুরে বাগানের বিচলী গাদার ভিতর থেকে অস্ত্র কার্তুজ ও ম্যাগজিন উদ্ধার করে। র‌্যাব সদস্যরা মোস্তাফিজুর রহমান খোকনকে অস্ত্রসহ নিয়ে যাওয়ার সময় আলিপুর চেকপোস্টস্থ মধুর মোড়ে তিনি র‌্যাব সদস্যদের সাথে কথা বলেন। এ সময় আলিপুর ইউনিয়নে ইতোপূর্বে সংঘটিত একই ধরনের বিভিন্ন ঘটনার কথা জানানোর পর এটিও পরিকল্পিত সাজানো ঘটনা হতে পারে জানালে র‌্যাব সদস্যরা উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেন। ভোর ৫টার দিকে র‌্যাব সদস্যরা মোস্তাফিজুর রহমান খোকনকে জিয়াউল ইসলাম জিয়ার জিম্মায় ছেড়ে দেন।
    এদিকে র‌্যাবের প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সাতক্ষীরা জেলার সদর থানার এলাকায় টহল ডিউটি করাকালীন ১৩ মে তারিখ দিবাগত রাত ২টা ৫৫ মিনিটের সময় আলীপুর বাজারে অবস্থানকালে র‌্যাব-৫ ও র‌্যাব-৬ এর যৌথ গোপন সংবাদের মাধ্যমে তথ্যপ্রাপ্ত হয় যে, সাতক্ষীরা জেলার  সদর থানাধীন আলীপুর ইউনিয়নের মাহমুদপুর সাকিনস্থ একটি একতলা বিশিষ্ট পাঁকা বসতঘরের পাশে বাগানের ভিতর পরিত্যক্ত অবস্থায় সন্দেহজনক বস্তু পড়ে আছে। উক্ত সংবাদ প্রাপ্ত হয়ে র‌্যাব-৬ এর টহল টিম সঙ্গীয় ফোর্সসহ একই তারিখ দিবাগত রাত ৩.৩০টায় উক্ত স্থানে পৌঁছাইলে ১টি হলুদ রংয়ের শপিং ব্যাগের মধ্যে রক্ষিত পরিত্যক্ত অবস্থায় দেশীয় তৈরী ২টি ওয়ান শুটার গান সদৃশ পিস্তল, ২টি ৯ এমএম সদৃশ্য বিদেশি পিস্তল, ২৯টি কার্তুজ, ৩টি লোহার তৈরী ম্যাগাজিন জব্দ করে। পরবর্তীতে র‌্যাব-৬, সিপিসি-১, সাতক্ষীরা এর একটি আভিযানিক দল আসামী গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে এবং অভিযান অব্যাহত রাখে।
    উদ্ধারকৃত পরিত্যক্ত ২টি ওয়ান শুটার গান সদৃশ পিস্তল, ২টি ৯ এম এম সদৃশ বিদেশি পিস্তল, ২৯টি কার্তুজ এবং ৩টি ম্যাগাজিন জিডি মূলে সাতক্ষীরা জেলার সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
    সাতক্ষীরা আলিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিবুর রহমান ময়ুর জানান, গত ২৯ এপ্রিল ২০২৪ তারিখে অনুষ্ঠিত আলিপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের পর থেকে বিজয়ী চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আব্দুর রউফের সন্ত্রাসীরা মোস্তাফিজুর রহমান খোকনসহ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ঢালাও ভাবে বিভিন্ন মিথ্যা অভিযোগ করে আসছে। ইতোপূর্বে ২০০৯ সালে ১৩ এপ্রিল বিকাল ৫টার দিকে রউফ চেয়ারম্যানের সন্ত্রাসীরা মোস্তাফিজুর রহমান খোকনকে মাহামুদপুর হাটখোলায় বেদমভাবে মারপিট করে এবং আলিপুর ইউনিয়ন পরিষদে তুলে নিয়ে যায়। সেখানেও বেদম মারপিটের পর গুরুতর আহত অবস্থায় সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। সে ঘটনায় রউফের ১০ জন সহযোগীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলায় রউফ আরো ক্ষিপ্ত হয়। একই বছর ১৯ জুলাই র‌্যাব সদস্যরা মোস্তাফিজুর রহমান খোকনকে আটক করে এবং তার ঘেরের পানির মধ্য হতে দুটি অস্ত্র উদ্ধারের পর তার বিরুদ্ধে থানায় অস্ত্র আইনে মামলা করে। সে মামলায় প্রায় ২০ মাস কারাভোগের পর বিচারে খোকন খালাস পায়।
    মহিবুর রহমান ময়ুর জানান, ইতোপূর্বে ২০১০ সালের ২২ মে আলিপুর ইউনিয়নের পাশ্ববর্তী নাথুয়ারডাঙ্গা গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা সফিকুল ইসলামের বাড়িতে র‌্যাব সদস্যরা অভিযান চালায়। সেই অভিযানের সময় সফিকুলের বাড়ির গ্রিলের ফাক দিয়ে ভিতরে অস্ত্র ফেলা এবং সেই অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় এলাকাবাসী র‌্যাব সদস্যদের ঘেরাও করে। প্রায় ৬ ঘন্টা র‌্যাব সদস্যরা ঘেরাও থাকার পর পুলিশ তাদেরকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় এলিট ফোর্স র‌্যাবের ভাবমুর্তির পাশাপাশি সরকারের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হয়। পরবর্তীতে র‌্যাবসহ সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তে প্রকৃত ঘটনা উৎঘাটিত হয় এবং ঐ বছর ১৪ জুলাই র‌্যাবের ডিএডি আমির হোসেন বাদী হয়ে আলিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ, তার ছেলে আব্দুস সেলিম, র‌্যাবের সোর্স আমিরুলসহ তাদের ৫জন সহযোগীর নামে মামলা করে।
    মহিবুর রহমান ময়ুর আরো জানান, আলিপুর ইউনিয়নে গত কয়েক দশক বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বে আব্দুর রউফ ও তার পরিবারের সদস্যরা সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে রেখেছে। একটানা ১৫ বছর ক্ষমতায় থেকেও এখানকার আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা চরম নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছে। আমরা তার কোন প্রতিকার পাচ্ছি না।
    সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ নজরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন সাতক্ষীরা সদরের আলিপুর ইউনিয়নে গত কয়েক দশক সন্ত্রাসের রাজত্ব চলছে। গত ২৯ এপ্রিল ২০২৪ তারিখে ইউনিয়নটির নির্বাচনে বিএনপি নেতা আব্দুর রউফ নির্বাচিত হয়েছেন। এরপর থেকে গত কয়েকদিন যাবৎ সরকারের ভাবমুর্তি নষ্ঠ করতে আমরা সেখানে নানামুখি অপতৎরতা লক্ষ্য করছি। পূর্বের মতই এলিট ফোর্স র‌্যাবসহ সরকারের ভাবমুর্তি নষ্ঠ করতে আবারো অস্ত্র নাটক সাজানো হয়েছে। আমিসহ সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য মোঃ আশরাফুজ্জামান আশু, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য লায়লা পারভীন সেঁজুতি র‌্যাবের সাথে কথা বলেছি এবং ঘটনার সঠিক তদন্ত করে প্রকৃত অস্ত্রের মালিকসহ ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলেছি।
    এব্যাপারে র‌্যার-৬ সাতক্ষীরা কোম্পানী কমান্ডার এএসপি নাজমুল হকের সাথে সংবাদিকরা যোগাযোগ করলে র‌্যাবের পাঠানো প্রেসবিজ্ঞপ্তির বাইরে আর কোন কথা বলতে রাজি হননি।

  • সৌদি আরবে পৌঁছেছে বাংলাদেশের প্রথম হজ ফ্লাইট

    সৌদি আরবে বাংলাদেশের এ বছরের প্রথম হজ ফ্লাইট পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে ৪১৫ জন হজযাত্রী নিয়ে হজ ফ্লাইট (BG-3301) সৌদি আরবের জেদ্দার কিং আবদুল আজিজ বিমানবন্দরের হজ টার্মিনালে পৌঁছেছে। সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিমানবন্দরে বাংলাদেশী হজযাত্রীদের স্বাগত জানান। এ সময় জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হক ও বাংলাদেশ হজ মিশনের কাউন্সিলর মো. জহিরুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

    সৌদি ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি মিনিস্টার আয়েত আল-খোয়ামী, জেদ্দা বিমানবন্দরের সিইও ইঞ্জিনিয়ার মাজেন জাওয়াহার, সৌদি পাসপোর্ট অধিদপ্তরের প্রধান মেজর জেনারেল ফয়সাল আল রাজি, হজ্জ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রহমান ও অন্যান্য কর্মকর্তারা বিমানবন্দরে বাংলাদেশী হজযাত্রীদের স্বাগত জানান।

    রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী আগত হজযাত্রীদের শুভকামনা জানান ও যেকোনো প্রয়োজনে বাংলাদেশ দূতাবাস, কনস্যুলেট ও বাংলাদেশ হজ মিশন সব সময় হজযাত্রীদের পাশে রয়েছে বলে আশ্বাস দেন।

    বাংলাদেশী হজযাত্রীরা বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপনা নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। হজযাত্রীরা বিমানবন্দরের সুন্দর ব্যবস্থাপনা ও উষ্ণ অভ্যর্থনা পেয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। রোড টু মক্কা ইনিশিয়েটিভের আওতায় এ বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন পবিত্র হজ পালনের জন্য নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন।

  • অবশেষে বিয়ের তারিখ জানা গেল পরিণীতির!

    অবশেষে বিয়ের তারিখ জানা গেল পরিণীতির!

    বিনোদন ডেস্ক :

    সেলিব্রিটি বলতেই তাদের জীবনযাপন কিংবা অন্দরমহলের প্রতিটা আপডেট, সর্বদাই থাকে লাইম লাইটে। যে কোনো তথ্য যতই গোপন করার চেষ্টা করুক না কেন, কোনো না কোনোভাবে তা ফাঁস হয়ে যায় ভক্তমহলে।

    ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর রাজস্থানের উদয়পুরে গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছেন এ জুটি। যদিও বিয়ের তারিখ নিয়ে দুজনের তরফে এখনো কোনো অফিসিয়াল ঘোষণা করা হয়নি।

    জানা গেছে, জাঁকজমকভাবে রীতিনীতি মেনেই বিয়ে হতে চলেছে তাদের। ফিল্ম ইন্ড্রাস্টি ও রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনেকেই এই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে চলেছেন।

    আম আদমি পার্টির বয়সে সবচেয়ে ছোট সাংসদ রাঘব। অন্যদিকে পরিণীতি বলিউড অভিনেত্রী, প্রিয়াংকা চোপড়ার বোন। রাঘব ও পরিণীতির প্রেমের গুঞ্জন শুরু হয়েছিল প্রথম মুম্বাইয়ের এক রেস্তোরাঁয় একসঙ্গে ক্যামেরাবন্দি হওয়ার পর। যদিও তখনই সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুলতে চাননি এ দুই তারকা।

    এর আগে গত ১৩ মে দিল্লিতে ঘনিষ্ঠ বন্ধুবান্ধব ও দুই পরিবারের উপস্থিতিতে আংটিবদল সেরেছিলেন তারা।

  • ১৫ বছর পর থাইল্যান্ড ফিরেই গ্রেফতার সিনাওয়াত্রা

    ১৫ বছর পর থাইল্যান্ড ফিরেই গ্রেফতার সিনাওয়াত্রা

    অনলাইন ডেস্ক :

    ১৫ বছরের স্বেচ্ছা নির্বাসন শেষে আজ দেশে ফিরেই গ্রেফতার হয়েছেন থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা। পার্লামেন্টে থাকসিনের দলের মনোনীত প্রার্থীকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগ দেওয়ার ভোট শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে তিনি গ্রেফতার হয়েছেন।

    থাকসিন টার্মিনাল ভবন থেকে অল্প সময়ের জন্য বের হয়ে আসেন। তিনি রাজা মহা ভাজিরালংকর্নের একটি ছবিতে ফুলের মালা পরিয়ে দেন ও মাথা নিচু করে সম্মান প্রদর্শন করেন। এর পর তিনি সমর্থকদের অভিবাদন জানান।

    বিমানবন্দর থেকে থাকসিনকে সরাসরি সুপ্রিম কোর্টে নিয়ে যাওয়া হয়। যুক্তরাজ্যের ফুটবল দল ম্যানচেস্টার সিটির সাবেক মালিক থাকসিনকে আদালতে নেওয়ার সময় সড়কের ২ পাশে সমবেত হন লাল শার্ট পরিহিত ভক্তরা।

    আদালতে তাকে ৩টি অভিযোগে ৮ বছরের কারাদণ্ড ভোগের আদেশ দেওয়া হয়। থাকসিনের অনুপস্থিতিতে তার বিরুদ্ধে সাবেক শিন কর্প প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট মামলা এবং ১টি ব্যাংক ঋণ ও ১টি লটারির মামলার বিচারের রায়ে এই শাস্তি দেওয়া হয়।

    ফেউ থাই দলের নেতৃত্বে গঠিত জোটের নেতা হিসেবে আজ স্রেথা থাভিসিনের থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচিত হওয়ার কথা। স্রেথা থাভিসিন দেশটির একজন প্রথম সারির ব্যবসায়ী। উল্লেখ্য, থাই ফেউ দল হচ্ছে থাকসিনের রাজনৈতিক দলের বর্তমান সংস্করণ।

    ৭৪ বছর বয়সী থাকসিন তার অনুপস্থিতিতে ৪ মামলায় অভিযুক্ত হন। তবে ১টি মামলার বিচারের মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে।

    আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও, থাকসিন কতদিন কারাগারে থাকবেন, তা নিশ্চিত নয়।

    তার দল ক্ষমতায় আসার মুহূর্তে থাকসিনের দেশে প্রত্যাবর্তনে বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, তার শাস্তি কমিয়ে দেওয়ার বা স্থগিত রাখার কোনো একটি ‘পেছনের দরজার চুক্তি’ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।

    দীর্ঘদিন দেশের বাইরে থাকলেও থাইল্যান্ডের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন থাকসিন। তিনি আধুনিক যুগে দেশটির সবচেয়ে প্রভাবশালী এবং একই সঙ্গে সবচেয়ে বিতর্কিত রাজনীতিক।

    পল্লী অঞ্চলে তিনি সহজলভ্য স্বাস্থ্যসেবা ও ন্যুনতম বেতন সুবিধা চালুর জন্য অত্যন্ত জনপ্রিয়। অপরদিকে, সামরিক বাহিনী ও রাজার প্রতি অনুগত জনগোষ্ঠী তাকে দুর্নীতিগ্রস্ত, কতৃত্বপরায়ণ ও থাই সামাজিক ব্যবস্থার প্রতি হুমকি হিসেবে দেখে।

    ২০০১ থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত থাইল্যান্ডের সব নির্বাচনে থাকসিনের দল বা তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দলগুলো আধিপত্য বিস্তার করেছে।

  • আমি সেই মেয়ে, যে স্বামীর মার খেয়ে ঘর ছেড়েছি: তমা

    আমি সেই মেয়ে, যে স্বামীর মার খেয়ে ঘর ছেড়েছি: তমা

    বিনোদন ডেস্ক :
    অসুস্থ হয়ে দিনকয়েক হাসপাতালে থাকার পর সম্প্রতি বাসায় ফিরেছেন চিত্রনায়িকা তমা মির্জা। জানিয়েছেন, সুস্থ হয়েই নতুন সিনেমার কাজ শুরু করবেন। গত কুরবানির ঈদে তার অভিনীত ‘সুড়ঙ্গ’ নামে একটি সিনেমা মুক্তি পায়। রায়হান রাফি পরিচালিত এ সিনেমাটি ব্যবসায়িকভাবে সাফল্য পেয়েছে।

    তবে সম্প্রতি রাজ-পরীমনি দ্বন্দ্বে নাম জড়িয়েছে তার। গুঞ্জন উঠেছে— তমা নাকি রাজ-পরীমনির মারামারি ঠেকাতে গিয়ে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তবে এই গুঞ্জনের রহস্য খোলাসা করে দিয়েছেন তিনি।

    তমা বলেন, প্রথম কথা হচ্ছে— কেউ কারও হাতে মার খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে কি চেকইন দেয়? আমি কিন্তু হাসপাতালে ঢুকেই সেটি দিয়েছি। দ্বিতীয়ত আমি সেই মেয়ে, যে স্বামীর হাতের মার খেয়ে ঘর ছেড়েছি। সেটার প্রকাশ্য প্রতিবাদ করার জন্য যা যা করা দরকার করেছি। তো সেই মেয়েটিকে অন্য কারও জামাই এসে মেরে চলে যাবে, আর আমি চুপচাপ হাসপাতালে শুয়ে কাঁদব, সেটা তো কল্পনাই করতে পারি না।

    এদিকে সুড়ঙ্গ সিনেমার শুটিংপরবর্তী প্রচারণার জন্য নতুন কোনো কাজ না করার কথা জানিয়েছিলেন তমা। তাই গত তিন মাস তাকে শুটিংয়ে দেখাও যায়নি। এবার নতুন সিনেমার প্রস্তুতি নিচ্ছেন এ নায়িকা। টিএম মুভিজ থেকে তৈরি হবে এটি। এরই মধ্যে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন তিনি।

    এ প্রসঙ্গে তমা বলেন, শরীর খারাপ ছিল অনেক। তার পরও সিনেমায় যুক্ত হয়ে মনে হয়েছে অনেকটাই সুস্থ হয়ে গেছি।

    জানা গেছে, শিগগিইর সিনেমাটির কাজ শুরু হবে। তবে সিনেমার নাম, নায়ক ও পরিচালক কে হবেন, সেটি এখনই জানাতে অপারগ প্রযোজনা সংস্থা।

    তবে তমা জানিয়েছেন, টিএম থেকে তিনটি সিনেমা নির্মাণ করা হবে। সেখানে একটি সিনেমায় তিনি অভিনয় করছেন এটা নিশ্চিত। শিগগির এর ঘোষণা দেওয়া হবে।

  • মানিকগঞ্জ জেলা জাতীয় কৃষক জোট এর প্রতিনিধি সভা

    মানিকগঞ্জ জেলা জাতীয় কৃষক জোট এর প্রতিনিধি সভা

    মানিকগঞ্জ জেলা জাতীয় কৃষক জোট এর প্রতিনিধিসভা গত ১২ তারিখে জাসদ জেলা কার্যলয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা জাতীয় কৃষক জোটের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোসলেম উদ্দীন খাঁন।সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় কৃষক জোট কেন্দ্রিয় কমিটির সভাপতি বীর মুক্নুতিযোদ্রুধা নূরুল আমিন কাওসার, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক ই এলাহী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান ফসি, সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সামসুল আলম খান। সভায় অন্যআন্যদএর মধ্যে বক্তব্য রাখেন মানিকগঞ্জ জেলা জাসদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আফজাল হোসেন খান জকি, সাধারন সম্পাদক আসলাম হোসেন খান, কৃষক জোট কেন্দ্রিয় কমিটির সহ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা সামসুর রহমান প্রমুখজাতীয় যুবজোট, বাংলাদেশ ছাত্র লীগ, কৃষক জোট এর জেল এবং বিভিন্ন উপজেলার নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন ।সভায় নেতৃবৃন্দ কৃষকের ফসলের লাভজনক মূল্য প্রদান, কৃষিজমি অকৃষি কাজে ব্যবহার বন্ধ করা ও প্রশাসনে সুশাসন প্রতিষ্ঠা দাবী জানান হয়। এছাড়াও মানিকগঞ্জ জেলায় কৃষি পণ্যের প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সংরক্ষণের দাবি করা হয়। সভায় জেলা জাতীয় কৃষক জোট এর আগের কমিটি বহাল থাকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।সভা শেষে জাতীয় কৃষক জোটের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও জাসদ স্থায়ী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ইকবাল হোসেন খান এর সমাধিতে মাল্যদান ও দোয়া করা হয়।সমগ্র অনুষ্ঠান টি উপস্থাপনা করেন জাতীয় কৃষক জোট জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছালাম আহম্মেদ।

  • সুন্দরবন থেকে ১২ টি নৌকা এক হাজার পিচ আটন সহ চার জন আসামি আটক

    উপকূলীয় অঞ্চল প্রতিনিধি : গত ১৩ আগস্ট রবিবার রাত ৯ টায় কোবাদক স্টেশনের সুন্দরবনের সাপখালী খাল এলাকা থেক‍ে ১১ টা নৌকা এক হাজার পিচ অবৈধ আটন জব্দ করে।এছাড়া অপর একটি অভিযানে রবিবার রাত ১০টায় ৩০মিনিটে কম্পাটমেন্ট নং ৪৬এর সাপ খালী খালে টহলরত অবস্থায় একটি ডিঙ্গি নৌকা এক বোতল বিষ একটি নিষিদ্ধ ভেসালজাল জব্দ করেন।এসময় নৌকায় অবস্থানকারী চার জন আসামী কে হাতেনাতে  ধৃত করেন বনবিভাগ।

    আটক কৃত আসামীরা হলেন কয়রা উপজেলার দোশালিয়া গ্রামের জেহের আলীর ছেলে ইমদাদুল(৪০) মৃত মোনাজাত মোল্লার ছেলে শাহিনুর(৪০) মৃত আবুল কাশেমের ছেলে সেফাতুল্লাহ(২৭) রহিম সরদারের ছেলে আবদুল্লাহ (২৭)১৪ আগস্ট বিকেল ৫টায় সাতক্ষীরা রেঞ্জ কর্মকর্তার কার্যালয়ে সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগ খুলনা এর সুযোগ্য বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ডঃ আবু নাসের মহসিন হোসেনের নির্দেশনায় সহকারী বন সংরক্ষক এম,কে,এম ইকবাল হোসাইন চৌধুরী, রেঞ্জ কর্মকর্তা সাতক্ষীরা এর তত্ত্বাবধানে কোবাদক্ষ স্টেশন কর্মকর্তা মোঃ মোবারক হোসেনের নেতৃত্বে নিয়মিতটহলকালে ১২ টি ডিঙ্গি নৌকা ও মাছ,কাঁকড়া ধরা সরঞ্জাম সহ চার আসামিকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে বলে প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান ইকবাল হোছাইন চৌধুরী।

    তিনি আরো জানান সরকার ঘোষিত জুন,জুলাই, আগস্ট মাসের প্রবেশ নিষিদ্ধ সময়ে বন বিভাগের নিয়মিত টহলের মাধ্যমে এই ধরনের অপরাধসমূহ দমন করা হচ্ছে। যার ফলে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য বৃদ্ধি পাচ্ছে।ধূত আসামীদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে  পি, ও, আর বন মামলা দাখিল পূর্বক আদালতে আসামীদের সোপর্দ কর হয়েছে।