Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
বিশেষ সংবাদ Archives - Page 12 of 74 - Daily Dakshinermashal

Category: বিশেষ সংবাদ

  • অন্তর্বর্তী সরকারের শপথ বৃহস্পতিবার: সেনাপ্রধান

    অন্তর্বর্তী সরকারের শপথ বৃহস্পতিবার: সেনাপ্রধানসেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান

    অন্তর্বর্তী সরকারের শপথ অনুষ্ঠিত হবে বৃহস্পতিবার রাত ৮ টায়। ওইদিন বঙ্গভবনে শপথ অনুষ্ঠিত হবে। বুধবার (৭ আগস্ট) বিকেল ৬টার দিকে বিফ্রিংয়ে এসব তথ্য জানান সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান।

    সেনাপ্রধান বলেন, ‘ড. ইউনূস বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দেশে আসবেন। আমি তাকে বিমানবন্দরে রিসিভ করব। আশা করি বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় অন্তর্বর্তী সরকারের শপথ অনুষ্ঠিত হবে।’

    অন্তর্বর্তী সরকারে ১৫ জন সদস্য থাকতে পারেন বলে উল্লেখ করেন সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান।

    ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে শিক্ষার্থীদের কাজের প্রশংসা করেন সেনাপ্রধান। একই সঙ্গে পুলিশ সক্রিয় হলে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দ্রুতই স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে জানান সেনাপ্রধান।

  • ড. ইউনূসের ছয় মাসের সাজা বাতিল

    ড. ইউনূসের সাজা বাতিলনোবেলজয়ী ড. ইউনূস

    শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ৬ মাসের সাজা বাতিল করেছেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল।

    আজ বুধবার শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম এ আউয়াল এ আদেশ দেন। আদালতে ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। শ্রম আইন লঙ্ঘনের দায়ে গত ১ জানুয়ারি ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাসের বিনাশ্রমে কারাদণ্ড দেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা। সাজার পাশাপাশি পৃথক দুই ধারায় প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ২৫ দিনের আরও সাজা ভোগ করতে হবে।

  • বৃহস্পতিবারের মধ্যে সব পুলিশকে কর্মক্ষেত্রে যোগ দেওয়ার নির্দেশ

    বৃহস্পতিবারের (৮ আগস্ট) মধ্যে সব পুলিশ সদস্যকে নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন নবনিযুক্ত আইজিপি ময়নুল ইসলাম।

    বুধবার বিকেলে পুলিশ সদরদপ্তরের কনফারেন্সে রুমে এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন পুলিশপ্রধান এ নির্দেশ দেন।

    আইজিপি বলেন, আজ এক বিশেষ পরিস্থিতিতে আমি আপনাদের সম্মুখে হাজির হয়েছি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন তথা ছাত্র-জনতার আন্দোলনকালের মাধ্যমে আমরা এক নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে যাত্রা শুরু করেছি। আমরা সবসময় জনগণের পাশে থেকে জনগণকে সর্বোচ্চ সেবা প্রদানে বন্ধ পরিকর। পারষ্পরিক সৌহাদ্য, সম্প্রীতি, ভ্রাতৃত্ববোধে উজ্জীবিত হয়ে সবাইকে একযোগে কাজ করে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাব।

    পুলিশ মহাপরিদর্শক ময়নুল ইসলাম বলেন, সারাদেশে পুলিশের বিভিন্ন থানা, স্থাপনা, আবাসিক ভবনে আক্রমণ হয়েছে। পুলিশ ও এর স্থাপনা সমূহ একটি রাষ্ট্রীয় সম্পদ। পুলিশ দেশ ও জনগণের কল্যাণে নিয়োজিত একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান। দেশের প্রয়োজনে যেকোনো সংকটময় মূহুর্তে এই বাহিনী সবসময় সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছে। আমরা এখনও আমাদের ওপর অর্পিত সকল দায়িত্ব পালনে দৃঢ়ভাবে অঙ্গীকারাবদ্ধ।

    আন্দোলনে আহত পুলিশের প্রত্যেক সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যদের আশ্বস্থ করে আইজিপি বলেন, সম্প্রতি পুলিশের যেসব সদস্য নিহত হয়েছেন তাদের প্রত্যেকটি পরিবারের দায়িত্ব আমরা নেব। যারা আহত হয়েছেন তাদের সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার জন্য ইতোমধ্যে নির্দেশনা প্রদান করেছি। প্রয়োজনে আহত পুলিশ সদস্যদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।

  • নির্বাচনের রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে: ড. ইউনূস

    অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, সরকারের প্রতি দ্রুত আস্থা ফিরিয়ে আনা জরুরি। নির্বাচনের একটি রোডম্যাপ করা দরকার। ফিন্যান্সিয়াল টাইমস পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন তিনি।

    সাক্ষাৎকারে মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘দেশ পুনর্গঠনে আমরা একসঙ্গে কীভাবে কাজ করতে পারি, সেই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সব দলের সঙ্গে কথা বলব।’

    শান্তিতে নোবেল বিজয়ী এ অর্থনীতিবিদ আরও বলেন, ‘নতুন নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত হতে কাজ করা দরকার।

  • ভাঙচুর ও লুটপাট শেষে প্রেট্রোল ঢেলে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে শিক্ষক পার্থ চক্রবর্তীর বাড়ি

    পাটকেলঘাটা ধানদিয়ায় ৫ লাখ টাকা চাঁদা ও ২০১৩
    সালের ডাকাতি মামলা তুলে না নিলে ঘরবাড়ি ফেলে
    ভারতে চলে যাওয়ার হুমকি

    পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করার
    পর সংখ্যালঘুদের বাড়িতে হামলা, লুটপাট ও ভাঙচুর শেষে
    অগ্নিসংযোগের ঘটনা অব্যহত রয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে
    সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানাধীন ধানদিয়া গ্রামের স্কুল শিক্ষক
    পার্থ চক্রবর্তীর বাড়িতে ভাঙচুর, লুটপাট ও প্রেট্রোল ঢেলে
    অগ্নিসংযোগ করার পর ভারতে চলে না গেলে পুড়িয়ে মারার হুমকি
    দেওয়া হয়েছে। ওই পরিবারের সদস্যদের আহাজারিতে ভারী হয়ে
    গেছে বাতাস। একাধিক মোবাইল থেকে বিভিন্ন পরিচয়ে চলছে
    চাঁদাদাবি ও জমি জবরদখলের হুমকি অব্যহত রয়েছে।
    বুধবার সকালে সরেজমিনে ধানদিয়া গ্রামের রবীন্দ্রনাথ
    চক্রবর্তীর ছেলে এনায়েতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের
    সহকারি শিক্ষক পার্থ চক্রবর্তীর বিশাল প্রাচীর দেওয়া বাড়িতে
    যেয়ে দেখা গেছে বাড়ির উঠান থেকে বারান্দা ও ঘরে ছড়িয়ে
    ছিটিয়ে পড়ে আছে পোড়া কাপড়, পোড়া মোটর, ভাঙা চাউলের
    ড্রাম, পায়খানার প্যান, কুড়াল দিয়ে কোপানো ফ্রিজ, ভাঙা
    আলমারি, ভাঙা দরজা, হাঁড়ি পাতিলসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র।
    নতুন করে হামলার ভয়ে দরজা বন্ধ করে রাখা হচ্ছে। বাড়িতে একই
    গ্রামের মোজাম সরদারের ছেলে বিএনপি ক্যাডার হিসেবেবে
    পরিচিত বিল্লাল হোসেন বসে আছেন তাদের হিতাকাঙ্খী
    হিসেবে।
    পার্থ চক্রবর্তী জানান, ২৪ বিঘা জমি তার। প্রায় তিন বিঘা
    জমির উপর বাড়ি। এক প্রতিবন্ধি ছেলেসহ পাঁচজনের সংসার তার।
    মঙ্গলবার বিকেল চারটার দিকে বাথরুমের পাশের প্রাচীর টপকে
    ভিতরে ঢোকে ধানদিয়া সরদারপাড়ার শাহজাহান সরদারের ছেলে
    ফিরোজ সরদার ও ভাইপো শামীম সরদার।। তাদের হাতে থাকা হাতুড়ি
    ও কুড়াল দিয়ে বৈদ্যুতিক মোটর ভেঙে ও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা
    হয়। প্রাচীরের দুটি ফটকের তালা হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে ভেঙে
    ফেলা হয়। দরজা খোলার সাথে সাথে সরদারপাড়ার গহর সরদারের ছেলে

    শাহজাহান সরদার, তার ভাই নজরুল ইসলামসরদারসহ চারজন হাতে দা ও
    কুড়াল নিয়ে বাড়ির মধ্যে ঢুকে পড়ে।একে একে তারা বাড়ির
    চাউলের ড্রাম, টিভি, ফ্রিজ, দরজা, আলমারি, পায়খানার প্যান,
    গ্যাসের উনুনসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র ভাঙচুর করে। আলমারি
    থেকে লুটপাট করা হয় নগদ দেড় লক্ষাধিক টাকাসহ চার ভরি ওজনের
    সোনার গহনাসহ বিভিন্ন মূল্যবান জিনিসপত্র। ভাঙচুর ও লুপাটে
    বাধা দেওয়ায় স্ত্রী কাকলী চক্রবর্তীর ডান পায়ে কোপ মারা হয়।
    এছাড়া তাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করে ঘরের বাইরে বের
    করে দেওয়া হয়। ফিরোজ ও শামীমের হাতে থাকা দুটি বোতল থেকে
    প্রেট্রোল ছড়ানো হয় ঘর বাড়িতে। এরপর জ্বেলে দেওয়া হয় আগুন।
    আগুনের লেলিহান শিখায় ঘরের বিভিন্ন জিনিসপত্র দাউ দাউ করে
    জ্বলতে থাকে। এ সময় বাড়ির বাইরে সাত থেকে আট জন সশস্ত্র
    পাহারায় ছিলে। চিৎকার শুনে একই গ্রামের মোজাম সরদারের ছেলে
    বিল্লাল হোসেন, মাদার সরদারের ছেলে কেরামত সরদার ও আজিজ
    সরদারের ছেলে হাফিজুর সরদার ছুঁটে এলে হামলাকারিরা ছুঁটে
    যায়। যাওয়ার আগে ডাকাতি মামলা তুলে না নিয়ে ঘরবাড়ি ফেলে
    ভারতে চলে না গেলে নতুন ঘরে ঘরবাড়িতে তালা লাগিয়ে
    মানুষজনসহ পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায়। বুধবার সকালে
    বিল্লাল হোসেনের মাধ্যমে জীবন বাঁচাতে পাঁচ লাখ টাকা
    চাঁদা দাবিসহ মামলা তুলে নিতে বলা হয়েছে।
    পার্থ চক্রবর্তী আরো বলেন, এক সময় নারী কেলেঙ্কারীর
    অভিযোগে তার বিদ্যালয় থেকে কাশীপুর খোরদো সরকারি
    প্রাথমিক বিদ্যালয় বদলী করে দেওয়া সহকারি শিক্ষক কয়েকটি
    নাশকতার মামলার আসামী তৈলকুপি গ্রামের মোঃ সাঈদুর রহমান
    বুধবার বিকেলে দলবল নিয়ে তার বাড়িতে হামলা ও লুটপাাট করার
    হুমকি দিয়েছেন। তার লীজ দেওয়া ৩৮ শতক জমির পাট কেটে নেওয়ার
    হুমকি দিযেছেন কৃষ্ণনগর গ্রামের জয়নাল সরদারের ছেলে আহম্মদ
    হোসেন। থানার কোন কার্যক্রম নেই। অভিযোগ করবেন কোথায়
    সেটা তারা জানেন না।
    কাকলী চক্রবর্তী তার পায়ের আঘাত দেখিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বলেন,
    জীবন ভিক্ষা চেয়েছি। তার পরেও হামলাকারিরা বলেছে, “তোদের মা
    শেখ হাসিনা ভারতে চলে গেছে। তোরা ভালোয় ভালোয় ঘরবাড়ি
    ফেলে ভারতে চলে না গেলে ঘরের দরজায় বাইর দিক থেকে তালা মেরে
    পেট্রোল দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে পুড়িয়ে মেরে ফেলে দেবো।” এ
    সময় কিভাবে পার্থ চক্রবর্তীর বাড়িতে হামলা হয়েছে তার বর্ণনা

    দেন বেল্লাল সরদার। মোটা অংকের টাকা ও মামলা তুলে নিলে পার্থ
    চক্রবর্তীর পরিবার শাহজাহানের হাত থেকে রেহাই পাবে বলে জানান
    বেল্লাল।
    একান্ত সাক্ষাৎকারে পার্থ চক্রবর্তী বলেন, ২০১৩ সালের ৯ মার্চ
    রাতে তার বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি সংগঠিত হয়। এ ঘটনায়
    তিনি বাদি হয়ে কারো নাম উল্লেখ না করে পাটকেলঘাটা থানায়
    একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার সর্বশেষ তদন্তকারি কর্মকর্তা
    উপপরিদর্শক আব্দুল মতিন ধানদিয়া সরদারপাড়ার গহর সরদারের ছেলে
    শাহজাহান সরদার, শেখ ফজলুর রহমানের ছেলে চৌগাছা গ্রামের
    আরিজুল ইসলাম ও চোমরখালি গ্রামের র মোড়লের চেলে জালাল
    মোড়ল এর নাম উল্লেখ করে ২০১৪ সালের ১৫ নভেম্বর আদালতে
    অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ওই মামলাটির(সেশন- ৬১/১৭) সাতক্ষীরার
    অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পাবলিক সাক্ষী শেষে তদন্তকারি
    কর্মকর্তার সাক্ষ্য দানের জন্য দিন ধার্য আছে। সাজা হয়ে যেতে
    পারে আসামী শাহজাহান সরদার এমন আশঙ্কা করছিলেন। তাই হঠাৎ
    করে সরকার পরিবর্তণ হওয়ায় মঙ্গলবার বিকেলে তার বাড়িতে এ
    হামলা, ভাঙচুর ও নাশকতা চালানো হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
    তবে স্থানীয়রা জানান, শাহজাহান সরদারের সুনাম নেই। তার পায়ে
    গুলিও হয় এক সময়। তাই থানায় পুলিশ না থাকায় স্থানীয় বিএনপি
    নেতারা তার ভয়ে পার্থ চক্রবর্তীর পাশে দাঁড়াতে ভয় পাচ্ছেন।
    এ ব্যাপারে শাহজাহান সরদার ও শিক্ষক সাঈদুর রহমানের সঙ্গে কথা
    বলা সম্ভব হয়নি।
    এ ব্যাপারে সাতক্ষীরার দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা ০১৭৬৯-
    ৫৫২৫৩৪ এর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা সম্ভব না হলেও
    ম্যাসেজ দেওয়া হয়।

  • পরিচ্ছন্নতা ও ট্রাফিক কন্ট্রোল কার্যক্রমে সাতক্ষীরা কমিউনিটি

    সাতক্ষীরার বিভিন্ন রাস্তা পরিষ্কার কার্যক্রম সহ বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক কন্ট্রোল করছে সাতক্ষীরা কমিউনিটি গ্রুপের কর্মীরা। বুধবার সকালে সাতক্ষীরা কমিউনিটি গ্রুপের সম্মানিত এডমিন উম্মে ফোয়ারা এ-র নির্দেশনায় সাতক্ষীরা কমিউনিটি গ্রুপ এই কার্যক্রম চালিয়ে যান শহরের খুলনা রোড মোড়, লাবনী মোড়ে। তারা সর্বদা মানুষের সেবায় নিয়োজিত আছে, ছিল এবং থাকবে। এই কাজে যারা সহযোগিতা করেছেন তারা হলেন সাতক্ষীরা কমিউনিটি গ্রুপের প্রতিনিধি মুস্তাফিজুর রহমান কল্লোল, মির্জা রাফিয়া রাহাত, এম এইচ মুহিম, মুত্তাকিম বিল্লাহ আকাশ প্রমুখ।
  • সাতক্ষীরায় ট্রাফিক পুলিশের ভূমিকায় শিক্ষার্থীরা, স্বস্তিতে সাধারণ মানুষ

    দেশের চলমান পরিস্থিতিতে সড়কে বিশৃঙ্খলা রোধে সাতক্ষীরায় ট্রাফিক জ্যাম নিয়ন্ত্রন ও পরিষ্কার পরিচ্ছনতার কাজ করছে সাতক্ষীরার কোটা সংস্কার আন্দলনরত শিক্ষার্থীরা। এতে যান চলাচলে অনেকটাই গতি ফিরেছে, একই সঙ্গে সড়কে সেই চিরচেনা যানজট না থাকায় স্বস্তি
    ফিরেছে সাধারণ মানুষের মাঝে। স্বাভাবিক হতে শুরু হয়েছে মানুষের জীবন যাত্রা। বুধবার সকালে শহরের খুলনা রোড মোড়, পাকাপোল মোড়, জজকোর্ট মোড়, সদর হাসপাতাল মোড়, এসপি বাংলো মোড়, বড় বাজার সড়কসহ কয়েকটি জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সড়কের যানজট নিরসনে কাজ করতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের। এছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি
    পালন করছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
    সাতক্ষীরা জেলার সমন্বয়ক হাফেজ আনিসুর রহমান বলেন, শহরে ট্রাফিক পুলিশ দায়িত্বে না থাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়ে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছিল, একারণে আমরা গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে যানজট নিরসনের জন্য কাজ করছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এ কর্মসূচি চলমান থাকবে।কোটা আন্দোলনের সময় শহরের বিভিন্ন স্থানে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। শহরের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা বিভিন্ন ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করে পৌরসভার ময়লার স্তুপে রাখা হয়।  পাকাপোল মোড়ে আল মামুনের নেতৃত্বে এ সময় দায়িত্ব পালন করেন জহির হাসান,নাইমুল ফারহান, আকদাস হোসেন,তালহা, রাহাত, রাধিন সহ অনেকে।  এদিকে দেশে চলমান সহিংসতা রোধে জনগনকে শান্ত ও ধৈর্য্য ধারনের জন্য সেনাবাহির পাশাপাশি সাতক্ষীরা জেলা বিএনপি ও জামায়াতের পক্ষ থেকে সড়ক-মহাসড়কে দিন-রাত মাইকিং করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্যহন। সোমবার (৫ আগস্ট) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে তিনি ভারতে পালিয়ে যান। এই খবর প্রচার হলে সাতক্ষীরা জেলা জুড়ে উত্তেজনা তৈরি হয়। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতার হামলা ও সহিংসতায় আওয়ামী লীগের সাবেক এক ইউপি চেয়ারম্যানসহ আওয়ামী লীগ-বিএনপির ১৪ জন নিহত হন। এছাড়াও বিক্ষুব্ধ জনতা সাতক্ষীরা সদর থানা, ট্রাফিক কার্যালয় ও শ্যামনগর থানায় অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। স্থানীয় থানাগুলোয় বর্তমানে কোন পুলিশ সদস্য নেই। সেখানে বর্তমানে আনসার সদস্যরা দায়ীত্ব পালন করছেন।
  • দিল্লি পালানোর সময় পলক আটক

    ভারতের রাজধানী দিল্লি পালানোর সময় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটক হয়েছেন জুনাইদ আহমেদ পলক। বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জ থেকে আজ (মঙ্গলবার) বিকেল ৩টার দিকে তাকে আটক করা হয়েছে।

    বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) দায়িত্বশীল সূত্র বিষয়টি জানিয়েছে।

    এখন পর্যন্ত জানা যাচ্ছে— শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে অপেক্ষায় ছিলেন শেখ হাসিনা সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

    তখন বিমানবন্দরের কর্মচারীরা তাকে ভিআইপি লাউঞ্জে আটকে রাখেন। কিছুক্ষণ পর বিমানবাহিনীর কর্মকর্তারা এসে তাকে আটক করেন।

  • সহিংসতায় সাতক্ষীরায় মৃত্যুর সংখ্যা -১৪

    • কারাগারের ফটক ভেঙে পালিয়ে যাওয়া আসামীরা আবার জেলখানায় ফিরতে শুরু করেছে

    • ৫টি থানায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, আরো-৫ জনের মৃত্যু

    • শেখ হাসিনার পদত্যাগকে কেন্দ্র করে রাতে সহিংসতায় সাতক্ষীরার একজন সাংসদ, দুটি পত্রিকা অফিস, দুইজন ইউপি চেয়ারম্যানসহ কমপক্ষে ৫০টির বেশি বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, ১০জনকে কুপিয়ে জখম

    আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পর সোমবার রাত ১০টার পর থেকে পরবর্তী ২০ ঘণ্টায় সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ, দুইজন ইউপি চেয়ারম্যান, দুটি পত্রিকা অফিস, কমপক্ষে ৫টি থানা, একজন চিকিৎসকের বাড়ি, আওয়ামীলীগ সভাপতিসহ কমপক্ষে ৫০টি বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর , লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। হামলায় পাঁচজন নিহত ও কমপক্ষে ১০জন জখম হয়েছেন। আহতদের সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
    নিহতরা হলেন, সাতক্ষীরার সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বৈকারী গ্রামের রাফেল সরদারের ছেলে আসাফুর রহমান(৫০), মৃগিডাঙা গ্রামের সাবেক ্সাবেক ইউপি সদস্য জাকির হোসেনের ছেলে জাহিদ হোসেন(২৭),একই গ্রামের তেজামউদ্দিনের চেলে মুকুল হোসেন(৩৪), আব্দুল গফুরের চেলে ফারুক হোসেন সান্টু (৪০), ঘোনা গ্রামের জবেদ আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম(২৯)।
    একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পদত্যাগের পর দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া শেখ হাসিনার দলীয় নেতাকর্মী ও তাদের বাড়িতে সোমবার রাত ১০টার পর থেকে নতুন করে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। তারা সংরক্ষিত নারী সাংসদ লায়লা পারভিন সেঁজুতির বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট শেষে একটি মোটর সাইকেলসহ দৈনিক পত্রদূত পত্রিকা অফিসে আগুণ লাগিয়ে দেয়। পরে তার ব্যবহৃত নতুন নোহা গাড়িটি বাইপাস সড়কে নিয়ে পুড়িয়ে দেয়। প্রায় একই সময় দুর্বৃত্তরা শহরের বাস টার্মিনাল এলাকায় দৈনিক কালের চিত্র অফিসে লুটপাট শেষে অগ্নিসংযোগ করে। তবে খবর পেয়ে ফায়ার ব্রিগেড এলেও তাদেরকে আগুন নিভাতে দেওয়া হয়নি। রসুলপুরের শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ আজিজুর রহমানের বাড়ি ভাঙচুর ও লুট্পাট শেষে অগ্নিসংযোগ করা হয়। ভাঙচুর করা হয় শহরের আলবারাকা মার্কেটে। একইভাবে ধুলিহর বাজারে ডাঃ দীনেশ দত্তের ফার্মেসি ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। থানা থেকে পুলিশ চলে যাওয়ার সূযোগে মামলা থাকার পরও প্রতিপক্ষ কালিপদ দাসের ছেলে সরোজিৎ কুমার দাস ও রণজিৎ কুমার দাস ৩০/৪০ জন ভাড়াটিয় সন্ত্রাসী নিয়ে সোমাবর সকাল ৬টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত দেবনগরের অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক নিরঞ্জন দাসের বাড়ির প্রাচীর ভেঙে, ১১টি আমগাছ, মেগহণি গাছ, নারিকেল গাছ কেটে জোর করে ইট দিয়ে বাড়ির উপর দিয়ে রাস্তা বানিয়েছে। বাধা দেওয়ায় নিরঞ্জন দাস ও তার স্ত্রীকে মারপিট করা হয়েছে।
    সোমবার রাতে সদর থানায় আন্দোলনকারিরা দফায় দফায় হামলা চালায়। করা হয় অগ্নিসংযোগ। এ সময় পুলিশ শূন্যে কয়েক রাউ- গুলি ছোঁড়ে। এরপরও হামলাকারিরা থানায় থাকা কমপক্ষে ৭০ টি মটর সাইকেল লুট করে নিয়ে যায়। থানার ভবন, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, তদন্ত ওসির কক্ষ, উপপরিদর্শকদের বসার কক্ষ ডিউটি অফিসারের কক্ষ, ব্রাকসহ কমপক্ষে সাতটি কক্ষ ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। এরপর একটি কক্ষে অগ্নিসংযোগ করা হয়। একইভাবে শ্যামনগর থানায়ও ভাঙচুর, লুটপাট শেষে অগ্নিসংযোগ করা হয়। তালা থানার মধ্যে দুটি মটর সাইকেলে অগ্নিসংযোগ ও দুটি মটর সাইকেল লুট করা হয়। ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয় কলারোয়া ও আশাশুনি থানায়। এ ছাড়া দেবহাটা, কালিগঞ্জ ও পাটকেলঘাটায় হামলার আতঙ্কে পুলিশ কর্মকর্তারা থানা ছেড়ে চলে যায়। নামমাত্র দুই তিনজন সিপাহী ওইসব তিন থানার ভিতরে তালা মেরে অবস্থান করছেন।
    এদিকে সোমবার গভীর রাতে কালিগঞ্জ উপজেলার ধলবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সজল মুখার্জীর বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট শেষে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এসময় পুড়ে জখম হয় তার প্রতিবন্ধী বোন রমা মুখার্জী। ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয় ওই ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রাজা’র ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। রতনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আশরাফুল আলমের বাড়ির গ্লাস ভাঙচুর করা হয়। লুটপাট শেষে আগুন দেওয়া হয় রতনপুর বাজারের জুয়েলারী ব্যবসায়ি খোকন দত্তের দোকান। একই উপজেলার শ্রীধরকাটি গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা শেখ সিদ্দীকুর রহমানের বাড়িতে ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়। রাত সোয়া ১১টার দিকে দক্ষিণ শ্রীপুর ইউপি চেয়ারম্যান গোবিন্দ চন্দ্র ম-লের বাড়ি, বিষ্ণপুর গ্রামের কলেজ শিক্ষক সনৎ গাইনের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় ভাাড়সিমলা ইউপি সদস্য বরুন কুমার ঘোষের চাউলের গুদাম “মা লক্ষী ভা-ার” এ লুট করা হয়। ভাংচুর ও লুটপাট শেষে অগ্নিসংযোগ করা হয় শ্যামনগরের মুন্সিগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান অসীম মৃধা, বুড়িগোয়ালিনীর ডালিম ঘরামী, ভবতোষ মন্ডল, সাবেক চেয়ারম্যান অসীম কুমার জোয়ারদার, কদমতলার সাংবাদিক সিরাজুল ইসলাম, মলয় রপ্তান, উৎপল জোয়ারদার, হরিনগর বাজারের অসীম ম-লের কসমেটিকস দোকান, নিরঞ্জন ম-লের ম্যাকানিকের দোকান, মোস্তফার চায়ের দোকান, কলবাড়ি বাজারের কার্তিক ম-ল ও বলাই ম-লের দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। সদর ইউনিয়নের চিংড়িখালি গ্রামের দেবদাস এর বাড়ি থেকে টাকা, সোনার গহনা ও মটর সাইকেল লুটপাট করা হয়। চিংড়িখালি দুর্গা মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি রামপদ ম-লের বাড়িতে ঢুকতে না পেরে উঠানে আগুন জ্বালানো হয়। ফুলবাড়ি গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য রামপদ এর বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। ভাংচুর ও লুটপাট করা হয় দেবহাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক তিলকুড়া গ্রামের ফারুক হোসেন রতনের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মুজিবর রহমান ও নওয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন ওরফে সাহেব আলীর অফিস ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। সাংবাদিক মাহামুদুল হাসান শাওনের সখীপুরের ব্যবসা প্রতিষ।ঠান ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। মঙ্গলবার দুপুর ২ টোর দিকে শ্যামনগরের রমজাননগর গ্রামের হরিপদ বর্মন ও তার ভাই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি অরুন বর্মনের বাড়িতে হামলা চালিয়ে লুটপাট শেষে তাদেরকে কুপিয়ে জখম করা
    হয়। তাদেরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় খুলনা ৫০০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
    পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে সোমবার রাত ১০টায় সদর উপজেলার মৃগীডাঙা গ্রামের জাহিদ, মুকুল, ফারুক ও ঘোনা গ্রামের সাইফুলকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। মুকুলের বাড়ি গোলা থেকে থান ও চাল লুটপাট শেষে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এসময় মারাত্মক জখম হয় মৃগীডাঙা গ্রামের আশরাফুল ইসলাম ও মোস্তফা কামাল। তালা উপজেলার কুমিরায় কমপক্ষে ২০টি হিন্দুদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর করা হয়। এছাড়া বাড়ি ভাংচুর না করার শর্তে ১০ থেকে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করা হয়। এ ছাড়া শেখেরহাট, মাগুরা বাজার, খেজুরবুনিয়া ও খলিলনগর বাজারসহ কয়েকটি বাজারের ১০ জনেরও বেশি হিন্দু ব্যবসায়িদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট করা হয়।সোমবার রাতে তালা উপজেলার মাগুরা আইডিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ আটঘরা গ্রামের রামপ্রসাদ দাস, জালালপুর ইউপি’র ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক রায়, শ্রীমন্তকাটি গ্রামের মিন্টু ও সন্টু দাসের কাপড়ের দোকান, শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদের সভাপতি মেহেদী হাসানের রড সিমেন্টের দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট শেষে অগ্নিসংযোগ করা হয়। জালালপুর বাজারের ফাম্মেষী মালিক জেলা পরিষদ সদস্য ইন্দ্রজিৎ দাসের পানের বরজ তার কেটে ফেলে দেওয়া হয়।
    এদিকে সোমবার সন্ধ্যায় জেলখানা থেকে চলে যাওয়ার সময় আসামী ও কারা কর্তৃপক্ষের সাথে হাতাহাতিতে কমপক্ষে ৫৫ জন আহত হয়। এদের মধ্যে রয়েছেন জেলর হাসনা জাহান বিথীসহ ২১ জন কারারক্ষী ও কর্মকর্তা। এসময় দুর্বৃত্তরা শতাধিক কারারক্ষীর রেশন, পিসি কার্ডের টাকা ও ক্যান্টিনের ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা লুটপাট করে। তবে চলে যাওয়া ৫৯৬ জন আসামীর মধ্যে শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলার আসামী কলারোয়ার সোহাগ, রকিব, নাশকতা মামলার আসামী সদরের মৃগিডাঙার ইসমাইল হোসেনসহ দুই শতাধিক আসামী মঙ্গলবার সকাল ১০টার পর থেকে আবার কারাগারে ফিরে এসেছে। সোমবার রাতে সাতক্ষীরা কারাফটকের পাশে সুমাইয়া স্টোর্স ও আওয়াল স্টোর্স ভাঙচুর করে আন্দোলনকারিরা তিন লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করেছে। তবে শহরের জীবনযাত্রা এখনও স্বাভাবিক হয়নি। যানবাহন চলছে কম। মঙ্গলবার রাতেও অনেকেই সহিংসতার আশংকা করছেন। মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে আদালতে দায়িত্ব পালন করতে যেয়ে প্রতিপক্ষের দারা লাঞ্ছিত হয়েছেন অতিরিক্ত পিপি অ্যাড. মিজানুর রহমান। তবে অনেকেই বর্তমান প্রেক্ষাপটে আদালতে যাননি। মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে আলীপুরের বাঁকাল এলাকার কয়েকটি দোকান ও বাড়িতে হামলা চালায় রউফ বাহিনীর সদস্যরা। ঝাউডাঙার সাংবাদিক দৈনিক পত্রদূতের মনিরুল ইসলাম মনিকে জনৈক হাসান মঙ্গলবার সকালে বাড়িতে ছুরি নিয়ে দুই বার জীবননাশের হুমকি দিয়েছে।
    মঙ্গলবার দুপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক ইমরান হোসেন সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, তারা রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনার পূর্ন সংস্কারের উদ্যোগ নেবেন। তবে শেখ হাসিনার পদত্যাগ পরবর্তী জেলায় সংখ্যালঘু সহ বিভিন্ন স্থানে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনার সাথে সাধারন ছাত্র আন্দোলনকারীদের কোন সম্পর্ক নেই।
    প্রসঙ্গত: শেখ হাসিনার পদত্যাগ পরবর্তী সহিংসতার সোমবার রাত ১০টা পর্যন্ত আশাশুনির প্রতাপনগরে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন , ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, জাকিরের ভাইপো সজীব, ভাগ্নে আশিক, গাড়ি চালক শাহীনুর রহমান, দেহরক্ষী শাকের আহম্মেদ, হাফেজ আনাস, আলম, আদম আলী নিহত হন। ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বঙ্গবন্ধুর ম্যূরাল সহ কমপক্ষে ৩০টি স্থাপনা ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে ফায়ার সার্ভিসকে আগুন নেভাতে বাধা দেওয়া হয়। এ নিয়ে জেলায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো-১৪।

  • ঢাকা ছেড়েছেন শেখ হাসিনা ও তার বোন

    ঢাকা ছেড়েছেন শেখ হাসিনা ও তার বোন

    সোমবার (৫ আগস্ট) বেলা আড়াইটায় বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টারে শেখ হাসিনা উড্ডয়ন করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা ছিলেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, তাঁরা হেলিকপ্টারে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।

    এদিকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, শেখ হাসিনা ও তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা গণভবন থেকে নিরাপদ স্থানে চলে গেছেন। শেখ হাসিনা যাওয়ার আগে একটি ভাষণ রেকর্ড করে যেতে চেয়েছিলেন। তিনি সে সুযোগ পাননি।

    এদিকে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে ঢুকে পরেছেন হাজারো মানুষ।আজ সোমবার দুপুর আড়াইটার পর থেকেই তারা গণভবনে ঢুকতে শুরু করেন। গণবিক্ষোভের মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বোনকে নিয়ে ঢাকা ছেড়েছেন।

    আবার আনন্দবাজারের মতে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইস্তফা দিয়েছেন। বোন রেহানাকে নিয়ে তিনি ‘গণভবন’ ছেড়েছেন বলে খবর। তাঁকে কপ্টারে করে ‘নিরাপদ’ আশ্রয়ের উদ্দেশে পাঠানো হচ্ছে। বাংলাদেশে সেনার অধীনে তদারকি সরকার গঠিত হতে পারে। সূত্রের খবর, তার আগে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর তরফে প্রধানমন্ত্রী হাসিনাকে সময় বেঁধে দেওয়া হয় ইস্তফা দেওয়ার জন্য। ৪৫ মিনিট সময় তাঁকে দেওয়া হয়েছিল বলে খবর। তার পরেই তিনি ইস্তফা দিয়েছেন। বাংলাদেশ গণমাধ্যম সূত্রে খবর, দেশ ছাড়ার আগে হাসিনা জাতির উদ্দেশে ভাষণ রেকর্ড করতে চেয়েছিলেন। তাঁকে সেই সুযোগও দেয়নি বাংলাদেশ সেনা। কিছু ক্ষণ পরে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

    কপ্টারে দেশ ছেড়েছেন হাসিনা। একটি সূত্রের দাবি, হাসিনা নয়াদিল্লির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। কিন্তু তাঁকে উদ্ধারের জন্য ভারত থেকে বাংলাদেশে বিমান পাঠানো হবে না বলে জানিয়ে দেয় নয়াদিল্লি। ভারতের তরফে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের আকাশসীমায় ভারত কোনও বিমান পাঠাবে না। কারণ তাতে আইন লঙ্ঘিত হতে পারে। ভারত থেকে জানানো হয়, হাসিনাকে ভারতে পৌঁছতে হবে। তার পর সেখান থেকে তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া যেতে পারে। কপ্টারে ঢাকা থেকে দিল্লি পর্যন্ত যাওয়া যায় না। এ ক্ষেত্রে তাঁর নিকটবর্তী অবতরণ স্থান হতে পারে কলকাতা বিমানবন্দর। সেখান থেকে তাঁকে বিশেষ বিমানে করে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হতে পারে। অন্যান্য সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, ত্রিপুরার আগরতলা বিমানবন্দরে এবং শিলিগুড়ির কাছে বাগডোগরা বিমানবন্দরেও নামতে পারেন হাসিনা।

    গত কয়েক দিন ধরে বাংলাদেশে সরকার বিরোধী আন্দোলন চলছে। আন্দোলনকারীদের একটাই দাবি ছিল— হাসিনা সরকারের পদত্যাগ। রবিবার বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়। পরিস্থিতি ক্রমে জটিল হচ্ছিল। সোমবার হাসিনা পদত্যাগ করলেন।

    রবিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশে অশান্তি ঠেকাতে কার্ফু জারি করা হয়েছিল। সোমবার থেকে তিন দিন ছুটিও ঘোষণা করে সরকার। তবে সোমবার সকাল থেকেই ঢাকার রাস্তায় কার্ফু উপেক্ষা করে ভিড় বাড়তে থাকে মানুষের। আন্দোলনকারীদের জমায়েতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। কাঁদানে গ্যাসও ছোড়া হয়। কিন্তু আন্দোলন দমানো যায়নি। পরে শোনা যায়, জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেনাপ্রধান। তার পরেই হাসিনার পদত্যাগের খবর প্রকাশ্যে আসে। বাংলাদেশ গণমাধ্যম সূত্রে খবর, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের মাঝেই বাংলাদেশের রাস্তায় নেমে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ। লাখ লাখ মানুষ হাসিনার বাসভবন ‘গণভবন’-এ ঢুকে পড়েছেন।

    খুলনা গেজেট থেকে নেওয়া

  • টানা বৃষ্টিতে সাতক্ষীরা শহরে জলাবদ্ধতা পানি বন্দী  হাজারও পরিবার

    শ্রাবনের মুষলধরায়  সপ্তাহবাপী টানা  বৃষ্টিতেই সাতক্ষীরা শহরে জলাবদ্ধতা পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন  হাজারের  অধিক পরিবার ,  পানি সরানোর জন্য সাতক্ষীরা পৌরসভা  কর্তৃপক্ষ  এখনো পর্যন্ত কোন ব্যাবস্হা গ্রহন করেন নি, চরম ভোগান্তিতে সাধারন খেটে খাওয়া মানুষ।  জলাবদ্ধতা দেখে মাঝে মাঝে মনে হয়, যেন শহরের ভিতর উপকূলীয় অঞ্চলের স্বাদ।
    সাতক্ষীরার অন্যতম প্রধান সড়ক সাতক্ষীরা সার্কিট হাউস  মোড়, জেলা পরিষদ মোড় হইতে বাসটার্মিনাল খুলনা রোড়   প্রতিদিন হাজার হাজার  মানুষের চলাচল। কিন্তু বৃষ্টি শুরু হলেই যেন রাস্তা আর সাগরের মধ্যে তফাৎ পাওয়া যায় না। পাশে ড্রেনের কালো, দুর্গন্ধযুক্ত পানি আর বৃষ্টির পানি একাকার হয়ে রাস্তার পাশে ঢেউ খেলছে।
    এদিকে, সাতক্ষীরা প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হওয়া সত্ত্বেও নেই কোনো ড্রেনেজ ব্যবস্থা। হাল্কা বৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়া এটা এখন আর নতুন কিছু নয়। মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে সাতক্ষীরা পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায়। তলিয়ে গেছে রাস্তা-ঘাট। এতে চলাচলে মারাত্মক দুর্ভোগে পড়ছেন পৌরবাসী।
    টানা কয়েকদিন বৃষ্টিতে শহরের অধিকাংশ রাস্তাঘাট জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে চলাচলে ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ পথচারী।
    সরেজমিন সাতক্ষীরা পৌরসভার রাজার বাগান, মুন্সীপাড়া, মুনজিতপুর, কাটিয়া, সুলতানপুরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পানি নিষ্কাশনের কার্যকর কোনো ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে রাস্তা-ঘাট। অনেকের বাড়ির উঠানেও জমেছে পানি।
    সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ মাঠসংলগ্ন এলাকার মিজানুর রহমান  বলেন, বৃষ্টিতে কলেজ মাঠসহ কলেজ-পুরাতন সাতক্ষীরা সড়ক তলিয়ে গেছে। একে তো সড়কটি চলাচলের অযোগ্য, তার ওপর বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় চলাচলে মারাত্মক ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন মানুষজন। বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এমন অবস্থা যে, চলাচল করতে গিয়ে মানুষ দুর্ঘটনার শিকারও হতে পারেন। নর্দমার পানি এত নোংরা যে, পানি মাড়িয়ে রাস্তা পার হলে পায়ে চুলকানি হয়ে যাচ্ছে সঙ্গে সঙ্গে।
    কামালনগরের বাবু জানান, তাদের এলাকাতেও পানি জমে গেছে। ড্রেন বন্ধ হয়ে আছে। নিষ্কাশনের কোনো পথ নেই। রাস্তার ওপর পানি জমেছে। প্রতিবছরই এই অবস্থার সৃষ্টি হয়। পৌর কর্তৃপক্ষের যেন কোনো দায় নেই!
    সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আবুল কালাম আজাদ বলেন, সাতক্ষীরা পৌরসভায় কার্যকর কোনো ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই। এতে সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এমনিতেই পৌরসভার রাস্তাঘাটের বেহাল দশা। তার ওপর বর্ষা মৌসুমে পানি জমে দুর্ভোগ কয়েক গুণ বেড়ে যায়। এসব বিষয়ে পৌর কর্তৃপক্ষ নির্বিকার!
    এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা পৌরসভার মেয়র (ভারপ্রাপ্ত) শেখ ফিরোজ হাসান বলেন, পৌরসভায় বড় কোনো বরাদ্দ পাওয়া যায় না। সামান্য যে বরাদ্দ আসে এবং পৌরসভার নিজস্ব কিছু আয় থেকে মাঝে-মধ্যে বিভিন্ন ওয়ার্ডে ড্রেন সংস্কার করা হচ্ছে। তবে সাড়ে ৩ কোটি টাকার একটি প্রকল্প পাস হয়েছে। শিগগিরই সড়কের কাজ এবং ড্রেনেজ কাজ শুরু হবে।
    সাতক্ষীরা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী জানান, কয়েকদিনে এই  পর্যন্ত সাতক্ষীরায় ৬৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
  • সর্বজনীন পেনশন স্কিম ‘প্রত্যয়’ বাতিল

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও সরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রস্তাবিত পেনশন স্কিম বাতিল ঘোষণা করেছেন।

    শনিবার দুপুরে গণভবনে পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় এ ঘোষণা দেন তিনি।

    এবছরে জুনের মাঝামাঝি সময়ে সরকারের সর্বজনীন পেনশন স্কিম ‘প্রত্যয়’-এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি বাধ্যতামূলক করার প্রতিবাদে আন্দোলনের ঘোষণা দেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। তাদের দাবি ছিল—সর্বজনীন পেনশন স্কিমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি বাতিল করা।

    জুনের মধ্যে দাবি না মানলে ১ জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে যান তারা। সব ধরনের ক্লাস পরীক্ষা ও অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ হয় তাদের আন্দোলনের ফলে।

    এরই ধারাবাহিকতায় ২৯ জুলাই বিকালে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের নিয়ে বৈঠকে বসেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। এতে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরীসহ আরও অনেকে।

    চলতি অর্থবছরের প্রথম দিন ১ জুলাই থেকেই সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয়’ স্কিম যাত্রা শুরু করে। এর আগে গত ২ জুলাই অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। সমাজের সব স্তরের মানুষকে একটি টেকসই পেনশন ব্যবস্থায় আনার লক্ষ্যে ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি আইন করে গেজেট প্রকাশ করে সরকার। এর আলোকে সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয়’ স্কিমে অন্যদের পাশাপাশি স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত ও তার অঙ্গসংগঠন প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ‘প্রত্যয়’ স্কিম প্রবর্তন করা হয়।

  • আবারো সাধারণ ছুটি ঘোষণা সম্পর্কে যা জানালেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী

    অসহযোগ কর্মসূচির ডাক এর পরিপ্রেক্ষিতে আবারো সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের জন্য সাধারণ ছুটি আসবে কিনা তা নিয়ে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

    শনিবার (৩ আগস্ট) গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

    তিনি বলেন, ‘গত মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার নিয়ে আমাদের একটি নির্দেশনা ছিল। তবে রোববার থেকে কীভাবে অফিস চলবে সে বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। হয়তো কিছুক্ষণ পর আমরা এ বিষয়ে জানাতে পারবো।’

    এদিকে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানদের জরুরি বৈঠক চলছে। সন্ধ্যা ৭টার পর বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত বিষয়ে জানাতে ব্রিফ করা হবে। এ সময় কারফিউ এবং অফিস টাইমের বিষয়ে জানা যেতে পারে বলে সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে।

    এর আগে, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে ২১ থেকে ২৩ জুলাই সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। এরপর অফিস আদালত স্বল্প পরিসরে খুলে দেয়া হয়। গত সপ্তাহের রোববার (২৮ জুলাই) থেকে মঙ্গলবার (৩০ জুলাই); এই তিন দিন সরকারি ও বেসরকারি অফিস চলেছে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত। আর বুধবার (৩১ জুলাই) ও বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত অফিস চালু ছিল।

  • ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর প্রধান পদচ্যুত

    ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ-এর প্রধান মহাপরিচালক নিতিন আগারওয়াল এবং তার সহকারী বিশেষ মহাপরিচালক (পশ্চিম) ওয়াই বি খুরানিয়াকে পদচ্যুত করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার।

    শুক্রবার ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এই দুইজনকে বিএসএফ থেকে সরিয়ে দেয়। খবর এনডিটিভির

    তাদের দুজনকেই নিজস্ব রাষ্ট্র ক্যাডারে ফেরত পাঠানো হয়েছে। নিতিন আগারওয়াল ১৯৮৯ ব্যাচের কেরালা ক্যাডার অফিসার। অপরদিকে ওয়াই বি খুরানিয়া উড়িশা ১৯৯০ ব্যাচের কর্মকর্তা।

    আগারওয়ালকে গত বছরের জুনে বিএসএফ প্রধান হিসেবে নিযুক্ত করে দেশটির সরকার। তার সহযোগী খুরানিয়া পাকিস্তান সীমান্তে মোতায়েনকৃত বিএসএফ সদস্যদের কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করছিলেন।

    ভারতের মন্ত্রীসভার নিয়োগ কমিটি জানিয়েছে এ দুজনকে ‘এই মুহূর্ত থেকে মেয়াদ পূর্ণ করার আগেই’ পদচ্যুত করা হয়েছে।

  • ‘অসহযোগ আন্দোলন’ সফলের জন্য শিক্ষার্থীদের ১৫ নির্দেশনা

    কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে আজ শনিবার দেশজুড়ে চলছে বিক্ষোভ মিছিল। পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামীকাল রোববার ‘অসহযোগ আন্দোলন’। এ আন্দোলন সফল করতে মুক্তিকামী ছাত্র-জনতার প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জারি করেছে বেশ কিছু জরুরি নির্দেশনা।

    শনিবার দুপুর ২টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ তার ফেসবুকে এসব নির্দেশনা দিয়ে পোস্ট দেন।

    নির্দেশনাগুলো হলো-

    ১. কেউ কোনো ধরনের ট্যাক্স বা খাজনা প্রদান করবেন না।
    ২. বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির বিলসহ কোনো ধরনের বিল পরিশোধ করবেন না।
    ৩. সব ধরনের সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, অফিস আদালত ও কলকারখানা বন্ধ থাকবে। আপনারা কেউ অফিসে যাবেন না, মাস শেষে বেতন তুলবেন।
    ৪. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
    ৫. প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে কোনো ধরনের রেমিটেন্স দেশে পাঠাবেন না।
    ৬. সব ধরনের সরকারি সভা, সেমিনার, আয়োজন বর্জন করবেন।
    ৭. বন্দরের কর্মীরা কাজে যোগ দিবেন না। কোনো ধরনের পণ্য খালাস করবেন না।
    ৮. দেশের কোনো কলকারখানা চলবে না, গার্মেন্টসকর্মী ভাই বোনেরা কাজে যাবেন না।
    ৯. গণপরিবহন বন্ধ থাকবে, শ্রমিকরা কেউ কাজে যাবেন না।
    ১০. জরুরি ব্যক্তিগত লেনদেনের জন্য প্রতি সপ্তাহের রোববারে ব্যাংকগুলো খোলা থাকবে।
    ১১. পুলিশ সদস্যরা রুটিন ডিউটি ব্যতিত কোনো ধরনের প্রটোকল, রায়ট ও প্রটেস্ট ডিউটিতে যাবেন না। শুধুমাত্র থানা পুলিশ নিয়মিত থানার রুটিন ওয়ার্ক করবে।
    ১২. দেশ থেকে যেন একটি টাকাও পাচার না হয়, সব অফশোর ট্রানজেকশন বন্ধ থাকবে।
    ১৩. বিজিবি ও নৌ-বাহিনী ব্যতিত অন্যান্য বাহিনী ক্যান্টনমেন্টের বাইরে ডিউটি পালন করবে না। বিজিবি ও নৌ-বাহিনী ব্যারাক ও কোস্টাল এলাকায় থাকবে।
    ১৪. আমলারা সচিবালয়ে যাবেন না, ডিসি বা উপজেলা কর্মকর্তারা নিজ নিজ কার্যালয়ে যাবেন না।
    ১৫. বিলাস দ্রব্যের দোকান, শো-রুম, বিপনি-বিতান, হোটেল, মোটেল, রেস্টুরেন্ট বন্ধ থাকবে।

    হাসপাতাল, ফার্মেসি, জরুরি পরিবহন সেবা ঔষধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম পরিবহণ, অ্যাম্বুলেন্স সেবা, ফায়ার সার্ভিস, গণমাধ্যম, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য পরিবহণ, জরুরি ইন্টারনেট সেবা, জরুরি ত্রাণসহায়তা এবং এই খাতে কর্তব্যরত কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিবহণ সেবা চালু থাকবে।

    নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকানপাট বেলা ১১-১টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।

  • রংপুরে আবু সাঈদ নিহতের ঘটনায় ২ পুলিশ সদস্য বরখাস্ত

    রংপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদ নিহতের ঘটনায় অপেশাদার আচরণের কারণে এএসআই আমীর হোসেন ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্রকে বরখাস্ত করেছে মেট্রোপলিটন পুলিশ। এএসআই আমীর হোসেন রংপুর পুলিশ লাইন্সে এবং কনস্টেবল সুজন তাজহাট থানায় কর্মরত ছিলেন।

    আজ শনিবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন।

    তিনি জানান, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ নিহতের ঘটনায় প্রাথমিক তদন্তে ওই দু’জনের অপেশাদার আচরণ প্রমাণিত হয়েছে, যার কারণে তাদের বরখাস্ত করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি আবু সাঈদের সুরতহাল, সেদিনের ভিডিও, ছবি এবং পারিপার্শ্বিক ঘটনা বিশ্লেষণ করে দেখছে। ওই ঘটনায় আরও কারও সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    প্রসঙ্গত, গত ১৬ জুলাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে মিছিলের সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবু সাঈদ। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি। এ ঘটনার পরে আন্দোলনের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে রংপুরসহ গোটা দেশজুড়ে। রংপুরের পীরগঞ্জের বাবনপুর গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে নিহত আবু সাঈদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।

  • কোটা আন্দোলনে আহত আরও একজনের মৃত্যু

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘাতে আহত আরও এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। মো. ইমন (১৭) নামের এই কিশোর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। আজ শনিবার ভোরে তার মৃত্যু হয়।

    এর আগে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি ঘিরে ১৬ থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত সংঘর্ষ-সংঘাতের ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২১৩ জন। ওই সময়ই আহত হয়েছিলেন ইমন। আজ তাঁর মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে এ সংখ্যা দাঁড়াল ২১৪ জন। এ ছাড়া গতকাল শুক্রবার আন্দোলন ঘিরে আরও দুজন নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হলো ২১৬ জনের।

  • সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে ঘোষণা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

    সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আজ শনিবার রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে হাজার হাজার মানুষের সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম এই ঘোষণা দেন।

    বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে নাহিদ ইসলাম মাইকে সমবেত মানুষের উদ্দেশে বলেন, ‘মানুষের জীবনের নিরাপত্তা ও সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা এক দফা দাবির সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি। এক দফাটি হলো, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ এই সরকারের পতন ও ফ্যাসিবাদের বিলোপ।’

    নাহিদ আরও বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে আমরা খুব দ্রুতই ছাত্র-নাগরিক অভ্যুত্থানের জন্য সর্বস্তরের নাগরিক, ছাত্রসংগঠন ও সব পেশাজীবী মানুষের সঙ্গে মিলে সম্মিলিত মোর্চা ঘোষণা করব। সবার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জাতীয় রূপরেখা আমরা সবার সামনে হাজির করব৷’

    ‘শুধু শেখ হাসিনা নয়, মন্ত্রিসভাসহ পুরো সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে৷ এই ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থার বিলোপ করতে হবে৷ আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গঠন করতে চাই, এমন একটি রাজনৈতিক বন্দোবস্ত তৈরি করতে চাই, যেখানে আর কখনো কোনো ধরনের স্বৈরতন্ত্র-ফ্যাসিবাদ ফিরে আসতে না পারে৷’—বলেন নাহিদ।

    যে স্বতঃস্ফূর্ত ছাত্র-নাগরিক অভ্যুত্থান শুরু হয়ে গেছে, তার সঙ্গে মানুষকে যোগ দেওয়া এবং পাড়ায়-পাড়ায়, মহল্লায়-মহল্লায় সংগঠিত হওয়ার আহ্বান জানান নাহিদ। তিনি কাল থেকে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ঘোষণাটিও তুলে ধরেন।

    সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে ১ জুলাই থেকে লাগাতার আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। ১৬ জুলাই সংঘর্ষে ৬ জনের মৃত্যু হয়। এরপর আন্দোলন আরও বেগবান হয়। পরবর্তীতে সংঘর্ষ ও সংঘাতে এখন পর্যন্ত ২১৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন বহু মানুষ।

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন হতাহতের ঘটনায় ৯ দফা দাবি দিয়েছিল। এবার এক দফা দাবি তুলে ধরা হলো। আজ শহীদ মিনারে সামনের সারিতে অন্তত ছয়জন সমন্বয়ক উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা হলেন নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহ, আসিফ মাহমুদ, আবু বাকের মজুমদার ও আবদুল কাদের। তাঁদের মধ্যে নাহিদসহ তিনজন বক্তব্য দেন।

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আজ শনিবার সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালন করে। রোববার থেকে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছে। আজকের কর্মসূচিতে অংশ নিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহীদ মিনার এলাকায় একত্রিত হয়েছেন শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ।

    শহীদ মিনার এলাকায় উপস্থিত প্রথম আলোর তিনজন প্রতিবেদক জানান, আজ শনিবার বেলা আড়াইটার পর থেকে দলে দলে শহীদ মিনারে জড়ো হতে শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা। সময় যত গড়াতে থাকে আন্দোলনকারীদের সংখ্যা বাড়তে থাকে। হাজারো মানুষের ভিড়ে শহীদ মিনার চত্বর ও এর আশপাশের এলাকার পা ফেলার জায়গা নেই।

    শহীদ মিনার ছাড়াও ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ সমবেত হয়েছেন। ঢাকার বাইরে কয়েকটি জেলায় সংঘর্ষ হয়েছে। বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ হয়েছে।

    এর আগে সকালে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান আওয়ামী লীগ ও ১৪-দলীয় জোটের নেতারা।

    আওয়ামী লীগ নেতারা জানিয়েছেন, দলের পক্ষ থেকে তিনজনকে আলোচনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁরা হলেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম ও মাহবুব উল আলম হানিফ।

    দলীয় সূত্র জানায়, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনুকেও আলোচনায় থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

    জানতে চাইলে মাহবুব উল আলম হানিফ প্রথম আলোকে বলেন, সমন্বয়কদের সঙ্গে তাঁদের এখনো যোগাযোগ হয়নি। যোগাযোগ করা হবে।

    তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘এখন আর আলোচনার সুযোগ নেই। সিদ্ধান্ত আসবে রাজপথ থেকে।