Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
বিশেষ সংবাদ Archives - Page 11 of 74 - Daily Dakshinermashal

Category: বিশেষ সংবাদ

  • অন্তর্বর্তী সরকার সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: ড.ইউনূস

    প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

    অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

    তিনি বলেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক, বহুবচনবাদী গণতন্ত্র রূপান্তর নিশ্চিত করতে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

    শনিবার (১৭ আগস্ট) তৃতীয় ভয়েস অব গ্লোবাল সাউথ সামিটে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন ড. ইউনূস।

    প্রধান উপদেষ্টা জানান, নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার ব্যবস্থা, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা, গণমাধ্যম, অর্থনীতি ও শিক্ষা ব্যবস্থা সংস্কার করা অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম কাজ।

    সামিটে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা।

    এর আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ড. ইউনূসকে সম্মেলনে যোগদানের আমন্ত্রণ জানান। রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধান পর্যায়ের এই অধিবেশনটি সঞ্চালনা করছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    উদ্বোধনী নেতাদের অধিবেশনের প্রতিপাদ্য সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য, ‘অ্যান এমপাওয়ারড গ্লোবাল সাউথ ফর এ সাসটেইনেবল ফিউচার।’

    ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস অউর সবকা প্রয়াস’ দর্শনের সম্প্রসারণ হিসেবে এ উদ্যোগটি শুরু হয়েছিল। আর এটি মূলত ভারতের বসুদেব কুটুম্বকমের দর্শন।

    এটি গ্লোবাল সাউথের দেশগুলোকে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি এবং অগ্রাধিকারগুলোকে একটি সাধারণ প্ল্যাটফর্মে সম্পূর্ণ পরিসরে ভাগ করার জন্য একত্রিত করার পরিকল্পনার অংশ।

    ভারত ২০২৩ সালের ১২-১৩ জানুয়ারি প্রথম ভয়েস অব গ্লোবাল সাউথ সামিট (ভিওজিএসএস) এবং একই বছরের ১৭ নভেম্বর দ্বিতীয় ভয়েস অব গ্লোবাল সাউথ সামিটের আয়োজন করেছিল, তবে দুটি সম্মেলনই ভার্চুয়াল ফরম্যাটে আয়োজন করা হয়েছিল।

    শীর্ষ সম্মেলনের পূর্ববর্তী উভয় আয়োজনে গ্লোবাল সাউথ থেকে ১০০টিরও বেশি দেশ অংশগ্রহণ করেছিল।

  • এবার হাসিনা ও নওফেলসহ ৮৪ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

    চট্টগ্রামে শিক্ষার্থী তানভীর ছিদ্দিকী হত্যার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলসহ ৮৪ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।

    শনিবার (১৭ আগস্ট) বিকেলে চাঁন্দগাও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তানভীর ছিদ্দিকীর চাচা মোহাম্মদ পারভেজ বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

    ওসি জাহিদুল কবির বলেন,‘শিক্ষার্থী তানভীর ছিদ্দিকী হত্যার ঘটনায় মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, নগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নুরুল আজিম রনি, চাঁন্দগাও ওয়ার্ড কাউন্সিলর এসরারুল হক এসরার, জামালখান ওয়ার্ড কাউন্সিলর শৈবাল দাস সুমর, কাউন্সিলর এসরারুলের সহযোগী মহিউদ্দীন ফরহাদ, ড্রিল জালাল, ফরিদ, সিটি কলেজের ভিপি তাহসীন, ফিরোজসহ ৩৪ জনের নাম উল্লেখ করা করা হয়েছে। এছাড়া, অজ্ঞাত আরো ৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।’

    এর আগে, গত ১৮ জুলাই চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাট এলাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগ-যুবলীগের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিন তরুণ নিহত হন। তাদের একজন নগরের আশেকানে ডিগ্রি কলেজের ছাত্র তানভীর আহমেদ (১৯)। তার মাথায় গুলি লাগে। সংঘর্ষ চলাকালে স্থানীয় কাউন্সিলর এসরারুল হকের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ-যুবলীগের একাধিক নেতাকর্মীকে অস্ত্র হাতে গুলি করতে দেখা যায়। ওইদিন তানভীর ছাড়া গুলিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হৃদয় চন্দ্র তরুয়া ও দোকানকর্মী সাময়ন নিহত হন।

  • ‘দ্রুত ঢাকায় আসুন, না হলে গুরুত্বপূর্ণ কিছু মিস করবেন’

    ‘দ্রুত ঢাকায় আসুন, না হলে গুরুত্বপূর্ণ কিছু মিস করবেন’

    ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং নরেন্দ্র মোদি।

    ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আপনাকে দ্রুত ঢাকা সফরের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। নয়তো গুরুত্বপূর্ণ কিছু মিস করতে পারেন। ঢাকার অনেকটা অংশ পরিণত হয়েছে বিশ্বের গ্রাফিতি রাজধানীতে। তরুণ শিক্ষার্থী ও ১২ থেকে ১৩ বছর বয়সী শিশুরা ৪০০ বছরের পুরোনো এই শহরের দেওয়ালে নতুন গণতান্ত্রিক পরিবেশবান্ধব বাংলাদেশের চিত্র দিয়ে রাঙিয়ে তুলছে।

    শনিবার (১৭ আগস্ট) তৃতীয় ভয়েস অব গ্লোবাল সাউথ সামিটে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ড. ইউনূস এমব কথা বলেন। গ্লোবাল সাউথ সামিটে অংশ নেওয়া ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছাড়াও নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভুটান, ফিজি, ওমান ও ভিয়েতনামের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের দ্রুত বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান ড. ইউনূস।

    তিনি বলেন, ‘কোনো কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা বা দিকনির্দেশনা নেই। কারও কাছ থেকে বাজেট সাপোর্ট পায়নি তারা। এটা দ্বিতীয় বিপ্লবের লক্ষ্যের প্রতি তাদের আবেগ ও অঙ্গীকারের বহিঃপ্রকাশ মাত্র। তারা রং এবং ব্রাশ কেনার জন্য দোকানে যান। তারা তাদের নিজস্ব বিষয় এবং নিজস্ব বার্তা তৈরি করে। তারা যে বার্তা আঁকছে তা যে কাউকে শিহরিত করবে। তরুণদের স্বপ্ন সত্যি করাই আমাদের কাজ।’

    ড. ইউনূস বলেন, ‘আমাদের জনসংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশ তরুণ। এরা সমাজের সবচেয়ে ক্ষমতাধর অংশ। তারা আলাদা। তারা একটি নতুন বিশ্ব গড়তে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তরুণ ও শিক্ষার্থীরা সক্ষম এবং প্রযুক্তিগতভাবে তারা আগের প্রজন্মের চেয়ে অনেক এগিয়ে।’

    অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘তারা সব অসম্ভব সম্ভব করতে পারে। তারা উদ্যোক্তা। তারা যে চাকরি চায়, সেটা উপভোগ করার কারণে নয়। বরং তারা অন্য কিছু করতে পারছে না তাই। কারণ আমাদের সব দেশের শিক্ষাব্যবস্থা তাদের চাকরির জন্য প্রস্তুত করে।’

    পরিবেশগত ও সামাজিক সমস্যা সমাধানে সামাজিক ব্যবসা গড়ে তুলতে গ্লোবাল সাউথের নেতাদের একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বুড়ো হওয়ার অর্থ এই নয় যে আপনাকে অবসর নিতে হবে, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিতে হবে। রাষ্ট্রের নির্ধারিত মানুষের আয়ু অনুযায়ী সৃজনশীলতা কখনও থেমে থাকে না। শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত থামে না। আমরা একসঙ্গে কাজ করে দেখতে পারি কীভাবে সমাজকে সব মানুষের সৃজনশীলতার সহায়ক করে তোলা যায়, যতদিন তারা বেঁচে থাকবে।’

    ড. ইউনূস বলেন, ‘১৯৫২ সালে মাতৃভাষার জন্য বাংলাদেশি ছাত্ররা প্রাণ দিয়েছিল। এটি সারা বিশ্বে মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকারের জন্য সংগ্রামকে অনুপ্রাণিত করেছিল। প্রায় সাত দশক পরে আমাদের ছাত্র-নেতৃত্বাধীন দ্বিতীয় বিপ্লব গণতন্ত্র, মানবাধিকার, মর্যাদা, সমতা এবং অংশীদারত্বমূলক সমৃদ্ধির জন্য তাদের কণ্ঠস্বর উত্থাপন করতে গ্লোবাল সাউথজুড়ে যুবকদের অনুপ্রাণিত করছে। আমি সবচেয়ে বয়স্ক তরুণ হিসেবে এ বিপ্লবে অংশ নিতে পেরে এবং তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সহায়তা করতে পেরে সম্মানিত বোধ করছি। তাদের সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। তাদের সর্বাঙ্গীন সাফল্য কামনা করি।’

  • নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ড. ইউনূসের ফোনালাপ

    বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। শুক্রবার (১৬ আগস্ট)  তাদের এ ফোনালাপ হয়। আলাপে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী অধ্যাপক ইউনূসকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্ব গ্রহণের জন্য অভিনন্দন জানান।

    প্রধান উপদেষ্টা ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে এই ফোন কল এবং তার শপথ গ্রহণের পর টুইটারে অভিনন্দন জানানোয় ধন্যবাদ জানান। তিনি ভারতের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভারতীয় নেতা ও ভারতীয় জনগণকে অভিনন্দন জানান।

    ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নতুন সরকারকে শুভকামনা জানিয়েছেন এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে জনগণের কল্যাণে বাংলাদেশের সাথে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তিনি অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা করে জানান, তিনি ড. ইউনূসকে দীর্ঘ দিন ধরে চেনেন। তিনি বলেন, অধ্যাপক ইউনূসের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং তার নেতৃত্ব বাংলাদেশের জনগণের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে।

    ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার বিষয় নিয়ে কথা বললে, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আশ্বস্ত করে বলেন, তার সরকার দেশের সব নাগরিকের সুরক্ষা নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যার মধ্যে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ও রয়েছে।

    অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার খবর অতিরঞ্জিত করা হয়েছে এবং তিনি ভারতীয় সাংবাদিকদের সরেজমনি বাংলাদেশ সফর করে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা বিষয়ে প্রতিবেদন করার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অধ্যাপক ইউনূসকে আগামী ১৭ আগস্ট ভারতের নয়াদিল্লিতে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিতব্য তৃতীয় গ্লোবাল সাউথ সম্মেলনে যোগদানের আমন্ত্রণ জানান। প্রধান উপদেষ্টা ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি সম্মেলনে যোগ দেয়ার বিষয়ে সম্মতি দিয়েছেন।

    তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার ছাত্র আন্দোলনের ফলে ক্ষমতা গ্রহণ করেছে। এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বিপ্লব এবং তার সরকার ছাত্র ও জনগণের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষা পূরণ করবে।

  • তুলির আঁচড়ে পাল্টে যাচ্ছে  সাতক্ষীরা সদর থানা,  সরকারি  কলেজসহ বিভিন্ন দেয়াল

    তুলির আঁচড়ে পাল্টে যাচ্ছে  সাতক্ষীরার বিভিন্ন দেয়াল। শুক্রবার (১৬ আগস্ট) সাতক্ষীরা সদর থানা, ফুড অফিস মোড়ে ও  সাতক্ষীরা  সরকারি কলেজে গিয়ে দেখা যায় দেয়াল জুড়ে লেখা হয়েছে বিভিন্ন নীতিকথা ও চিত্রকর্ম। হাঁটতে হাঁটতে চোখে পড়ে এসব লেখা। কেউ কেউ দাঁড়িয়ে সেসব লেখা পড়ছে কেউ বা চলতে চলতে।দেয়ালে লেখা মনিষীদের বাণী, বিভিন্ন উপদেশমূলক উক্তি দেখে নীতিকথা শিখছে শিক্ষার্থীরা।কথা হয় সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের  প্রথম বর্ষের ছাত্রী রাবিয়ার সাথে ।রাবিয়া বলেন, “লেখাগুলো পড়তে ভালো লাগে। অনেক কিছু জানা যায়। রাস্তা দিয়ে যখনই হাঁটি লেখাগুলো পড়তে পড়তে হাঁটি।”এ বিষয়ে সরকারি কলেজের এক শিক্ষক  বলেন, “আমরা চাই আমার ছাত্রী-ছাত্রীরা যেন সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়।তারা শুধু বইয়ের পড়া পড়বে এমনটা না। বিভিন্ন লেখকের কথা অনেকেই জানে না। তাই আমরা দেওয়ালে বিভিন্ন লেখকের লেখা লিখে দিয়েছি। যাতে তারা যাওয়া আসার পথে হলেও এসব নীতিকথা পড়ে।”এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষার্থী তানভীর,হাফিজ,সুমাইয়া, অয়ন,বখতিয়ার, বেলাল এদের কেউ বলেছে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আমরা বাংলাদেশকে নতুনভাবে পেয়েছি। সেই আনন্দে আমরা আমাদের কলেজ ক্যাম্পাসকে নতুনভাবে রাঙিয়ে তোলার জন্য গ্রাফিক্সের কাজ করছি। কেউ বলেছে এদেশকে আমরা নতুনভাবে পেয়েছি। স্বৈরশাসন থেকে আমরা মুক্তি পেয়েছি।সবাই নিজ নিজ জায়গা থেকে সোচ্চার হলে আমার সোনার বাংলা সত্যিকারের সোনার বাংলা হয়ে উঠবে।
     এ লক্ষ্যেই আমরা তুলির সাহায্য কাজ করে আমাদের সরকারি নাজির আখতার কলেজকে রঙিন করে তুলতেছি।
  • শ্যামনগরে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু, সহোদরের অবস্থা সংকটাপন্ন

    সাতক্ষীরার শ্যামনগরে পানিতে ডুবে সুফিয়ান (৮) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। একই সঙ্গে ডুবে যাওয়া তার সহোদর আরাফাতের (৫) অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানা গেছে।
    শুক্রবার (১৬ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার কাশিমাড়ী ইউনিয়নের পূর্ব কাশিমাড়ী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
    স্থানীয়রা জানান, পূর্ব কাশিমাড়ী গ্রামের সোহাগ হোসেনের ছেলে সুফিয়ান (৮) ও আরাফাত (৫) খেলতে খেলতে পুকুরের পানিতে ডুবে যায়। এসময় তাদের উদ্ধার করে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুফিয়ানকে মৃত ঘোষণা করেন এবং আরাফাতকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
    সুফিয়ানের মা রাশিদা বেগম বলেন, সকালে আমার দুই ছেলে খেলতে খেলতে পুকুরের পানিতে ডুবে যায়। আমি দৌড়ে পুকুরে নেমে পড়ি কিন্তু অনেক দূর চলে যাওয়ায় আমি খুজে পাচ্ছিলাম না এবং চিৎকার করে লোকজন ডাকি। তখন কয়েকজন এসে তাদের উদ্ধার করে।
    শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শাকির হোসেন বলেন, শ্যামনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার আগেই সুফিয়ানের মৃত্যু হয়েছে। আরাফাতের অবস্থাও সংকটাপন্ন। তাকে সাতক্ষীরা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।
  • ১১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে পারে এইচএসসি পরীক্ষা

    আগামী ১১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে পারে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে পরীক্ষা শুরুর এমন প্রস্তাব দিয়েছে শিক্ষা বোর্ড। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান তপন কুমার সরকার আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

    কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কয়েক দফায় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। প্রথমে গত ১৮ জুলাইয়ের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। তারপর একসঙ্গে ২১, ২৩ ও ২৫ জুলাইয়ের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এর পর ২৮ জুলাই থেকে ১ আগস্ট পর্যন্ত পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। পরে সিদ্ধান্ত হয় ১১ আগস্ট থেকে নতুন সময়সূচিতে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেওয়া হবে। তবে ৭ আগস্ট ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. আবুল বাশারের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১১ আগস্ট পরীক্ষা হচ্ছে না। অনিবার্য কারণে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।

  • সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হক গ্রেপ্তার

    ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

    মঙ্গলবার রাজধানীর সদরঘাট থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের গ্রেপ্তার করে।

    ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মাইনুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, ঢাকার নিউমার্কেট থানায় করা একটি মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

    উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে দেশত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর পর মূলত মন্ত্রিপরিষদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতারা আত্মগোপনে চলে যান। আর ৭ আগস্ট নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে ১৭ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়।

  • ট্রমা কাটিয়ে উঠলে পুলিশ সম্পূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে পারবে 

    বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, ‘পুলিশ এখনও কিছুটা ট্রমার মধ্যে আছে। এ ট্রমা কাটিয়ে উঠলে তারা তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারবে। তখন পরিস্থিতি আরও স্বাভাবিক হবে।’

    মঙ্গলবার বিকালে রাজশাহী সেনানিবাসে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন সেনা প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। সেনাপ্রধান বলেন, ‘আনসার, র‌্যাব, বিজিবিসহ সবার সঙ্গে কথা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত হয়ে এসেছে। আমি বলব যে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখন সম্পূর্ণভাবে আমাদের নিয়ন্ত্রণে। পুলিশ বিভিন্ন থানায় ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। আমরা পুলিশকে প্রটেকশন দিয়ে যাচ্ছি। তারা সম্পূর্ণভাবে যখন কাজকর্ম শুরু করে দেবে, তখন পরিস্থিতি আরও স্বাভাবিক হয়ে আসবে। তখন আমরা সেনানিবাসে ফেরত যাব। সেই পর্যন্ত আমরা থাকব এবং কাজ করে যাব।’

    তিনি বলেন, ‘সংখ্যালঘু যে ইস্যুটা আছে, দেখলাম যে, এখানে একেবারে ওরকম কোনো ঘটনা ঘটেনি এ আটটা জেলায় (রাজশাহী বিভাগের আট জেলায়)। এটা অত্যন্ত ভালো দিক এবং এই যে একটা সুন্দর পরিবেশ সেটা বজায় রাখতে হবে। আমরা সবাই মিলে কাজ করব এবং দেশকে উন্নতির দিকে নিয়ে যাব। আমরা সুন্দর ভবিষ্যতের দিকে যেতে চাই। সুন্দর একটা পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। এ দেশকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব, যদি সবাই একসঙ্গে কাজ করি।’

    আওয়ামী লীগের নেতা ও ক্ষমতাচ্যুত সরকারের কাউকে কাউকে সেনা হেফাজতে নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান সাংবাদিকদের বলেন, ‘অবশ্যই আমরা তাদের আশ্রয় দিয়েছি। তাদের প্রতি যদি কোনো অভিযোগ থাকে, মামলা হয়, তাহলে তারা শাস্তির আওতায় যাবেন। কিন্তু অবশ্যই আমরা চাইব না যে, বিচারবহির্ভুত কোনো কাজ বা হামলা হোক। তাদের জীবনের যে হুমকি আছে, সেটার জন্য আমরা তাদের আশ্রয় দিয়েছি। যে দলেরই হোক, যে মতেরই হোক, যে ধর্মের হোক, সেটা (নিরাপত্তা) আমরা দেখব।’

    সেনা প্রধান বলেন, ‘দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সংখ্যালঘুর কোনো ইস্যু নেই। বহির্বিশ্বের কোনো চাপ নেই। রাষ্ট্রের সংস্কার শেষে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান আয়োজনে সেনাবাহিনী বর্তমান সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।’

    এ সময় রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর, পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আনিসুর রহমান, জেলা প্রশাসক শামিম আহমেদ, জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) সাইফুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সেনানিবাসে স্থানীয় পুলিশ, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

  • সাবেক প্রতিমন্ত্রী পলক ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব জব্দ

    সাবেক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং তার স্ত্রী আরিফা জেসমিন কনিকার ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দিয়েছে আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।

    এছাড়া, পলকের পরিবারবর্গের অ্যাকাউন্ট ও মালিকানাধীন সব প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দের তালিকায় থাকবে বলে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে জানিয়েছে বিএফআইইউ।

    মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট এ নির্দেশনা দিয়েছে।

    একই দিন আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য (পিরোজপুর-২) মহিউদ্দিন মহারাজ ও তার স্ত্রী-সন্তানের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে বিএফআইইউ।

    সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বরাবর বিএফআইইউয়ের চিঠিতে বলা হয়েছে, মহিউদ্দিন মহারাজ ও তার স্ত্রী উম্মে কুলসুম, ছেলে সাম্মাম জুনায়েদ ইফতির নামে থাকা ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক অ্যাকাউন্টের লেনদেনের যাবতীয় তথ্য আগামী সাতদিনের মধ্যে পাঠাতে হবে।

  • খালেদা জিয়াকে পুলিশি নিরাপত্তা দিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

    সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়ার আদেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) এ আদেশ দেওয়া হয় বলে জানান বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।

    দুই মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া কারাবন্দি ছিলেন। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বকশীবাজার আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালত। রায় ঘোষণার পর খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রাখা হয়। এরপর ওই বছরের ৩০ অক্টোবর এ মামলায় আপিলে তার আরও পাঁচ বছরের সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন হাইকোর্ট।

    একই বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন একই আদালত। রায়ে সাত বছরের কারাদণ্ড ছাড়াও খালেদা জিয়াকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

    ২০২০ সালের মার্চে করোনা মহামারি শুরু হলে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাহী আদেশে দণ্ড স্থগিত করে কারাবন্দি খালেদা জিয়াকে সরকার শর্তসাপেক্ষে ২৫ মার্চ থেকে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেয়। এরপর পরিবারের আবেদনে দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ বেড়েছে আটবার। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এর পরপরই মন্ত্রিসভা ও সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। ৬ আগস্ট মুক্তি পান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

  • হাসিনা-কাদের-কামালসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা রেকর্ড করার নির্দেশ

    রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবু সায়েদ নামের এক মুদি দোকানিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ এজাহার হিসেবে রেকর্ড করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

    মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) বেলা পৌনে ৩টার দিকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী এই আদেশ দেন। হত্যার মামলাটি রেকর্ড করতে মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    আসামি হিসেবে অন্য যে ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, তারা হলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, অতিরিক্ত কমিশনার মো. হারুন অর রশীদ ও যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার।

    এর আগে আজ একই আদালতে মামলাটি নেওয়ার জন্য আবেদন করা হয়। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ দুপুর ১২টার দিকে আদালত মামলার বাদী এস এম আমীর হামজার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে আদেশ দেন আদালত।

    মামলার এজাহারের তথ্য বলছে, কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালায়। গুলিতে গত ১৯ জুলাই মোহাম্মদপুরের বছিলায় মুদি দোকানি আবু সায়েদ নিহত হন।

    কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ-সংঘাতে এখন পর্যন্ত ৫৮০ জনের নিহত হওয়ার খবর জানা গেছে।

    ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। পদত্যাগ করে তিনি দেশ ছেড়ে ভারতে যান। তিনি এখন সেখানেই অবস্থান করছেন।

  • দেবহাটার খলিষাখালির ভূমিহীন জনপদে সন্ত্রাসী হামলা

    মুহু মুহু গুলি ও বোমা হামলায় আহত -৫, ৩টি ঘরে আগুন

    ৫ আগষ্ট বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী
    শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের পরবর্তী ভেঙেপড়া
    থানাপুলিশের কার্যক্রমকে কাজে লাগিয়ে সাতক্ষীরার দেবহাটা
    উপজেলার পারুলিয়া ইউনিয়নের খলিষাখালিতে বসবাসরত
    ভূমিহীনদের উপর বোমা ও গুলি চালানো হয়েছে। হামলায় ৫ জন
    ভূমিহীন জখম হয়েছে।সোমবার রাত সাড়ে ৯টা থেকে দেড়
    ঘণ্টাব্যাপি এ হামলায় এলাকায় ওইজনপদে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
    আহতদের সাতক্ষীরার একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
    আহতরা হলেন, দেবহাটার খলিশাখালির মৃত আবু বক্কর গাজীর ছেলে
    সাইফুল ইসলাম (৩৫), একই গ্রামের রুস্তুম সরদারের ছেলে আল
    আমিন (২৫), কামরুল গাজীর ছেলে আব্দুল ওহাব(১৯), খলিষাখালি
    (কাটাখালি) গ্রামের মজিদ গাজীর ছেলে মহিব হাসান (১৭),
    নোড়ারচকের মৃত আব্দুস সোবহানের ছেলে রিয়াজ আহম্মেদ (৪০)
    ও একই গ্রামের হামিজউদ্দিন পাড়ের ছেলে হাফিজুর রহমান (২৫) ।
    সাতক্ষীরার একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা খলিষাখালি
    গ্রামের সাইফুল ইসলাম জানান, ২০২১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর থেকে
    তিনিসহ সাপমারা খাল কাটানোর সময় দুই পাশ থেকে উচ্ছেদ
    হওয়া তিন শতাধিক ভূমিহীন পরিবারসহ ৭৮৫টি ভূমিহীন পরবিার
    সাতক্ষীরার যুগ্ম জেলা জজ দ্বিতীয় আদালত থেকে মহামান্য
    সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ পর্যন্ত লাওয়ারিশ সম্পত্তিতে
    বসবাস করে আসছিলেন। মহামান্য হাইকোর্টের স্থিতাবস্থা
    জারির নির্দেশ থাকার পরও ২০২২ সালের ১৫ নভেম্বর পুলিশের
    সহায়তায় ভূমিদস্যুরা তাদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়। এরপর তারা
    আশ্রয়হীন হলেও পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করতে
    থাকেন। চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি মহামান্য সুপ্রিক কোর্টের
    প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৫ সদেস্যর বেঞ্চ জমির মালিক
    দাবিদারদের দায়েরকৃত সিভিল রিভিউ পিটিশন ১৬৮/২১ খারিজ
    করে দেন। এরপর ওই জমি কৌশলে জবরদখল শুরু করেন নলতা ইউপি

    চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আরিজুল ইসলাম, পারুলিয়া ইউপি
    চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা গোলাম ফারুেক বাবু, নওয়াপাড়া
    ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা রেজাউল ইসলাম,
    মাটি কোমরার মাছ আনারুল, ইন্দ্রনগরের মিলন বাবু, পারুলিয়ার
    সেঝ খোকন, ইলতুত, আহসানিয়া মিশনের কর্মকর্তা ইকবাল
    মাসুদসহ একটিমহল। সম্প্রতি তারা ওই জমিতে বসবাস শুরু করলে
    আরিজুল ইসলামের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী তালা উপজেলার খলিলনগর
    ইউনিয়নের মাছিয়াড়া গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে কমপক্ষে
    একডজন অস্ত্র ও দস্যুতা মামলার আসামী আব্দুল হালিম (পাখরা),
    নোড়ারচকের ইছাক গাজীর ছেলে কমপক্ষে ৬টি মামলার গ্রেপ্তারি
    পরোয়ানা থাকা আনারুল ইসলাম,তার শ্যালক একই এলাকার
    শাহজাহান গাজীর ছেলে রবিউল ইসলাম, চিংড়িখালির নয়াব আলীর
    ছেলে শহীদুল ইসলাম, শওকত হোসেন, রবিউল ইসলাম ওরফে বুল্লা,
    কুতুব মোড়ল, সন্ন্যাসীরচকের আবু তালেব গাজী, ইন্দ্রনগরের
    মুর্শিদ, ইসরাফিল, সেকেন্দার আলী, আইয়ুব আলীসহ শতাধিক
    সশস্ত্র সন্ত্রাসী সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাদের উপর
    হামলা চালায়। হামলাকারিদের ছোঁড়া গুলি ও বোমায় তিনিসহ
    পাঁচজন জখম হন। পুড়িয়ে দেয়া হয় খলিষাখালি চরের বাবলু মোড়ল,
    শাহাদাৎ হোসেন ও মনিরুল ইসলামের বসত ঘর। বিষয়টি
    তাৎক্ষণিকভাবে সেনা ক্যাম্প, উপজেলা চেয়ারম্যান ও স্থানীয়
    থানাকে অবহিত করা হয়েছে।

  • চট্টগ্রামে নিত্যপণ্যের বাজারে কমিশন এজেন্টস প্রথা বন্ধের দাবিতে আড়তদার কল্যান সমিতির সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

    ক্রয়-বিক্রয় ব্যবসা বানিজ্যের অন্যতম প্রধান কার্যক্রম হলেও নানা স্তরে নানা ধরনের চাঁদাবাজি, খরচের পাল্লাভারী করে নিত্যপন্যের বাজারে মুল্যবৃদ্ধির নানা খাত-উপখাত সৃষ্ঠি করে একটি মহল সাধারন মানুষের জীবন যাত্রাকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। নিত্যপণ্যের বাজারে কমিশন এজন্টেস প্রথার মতো যুগ যুগ ধরে চলমান চাঁদাবাজির মতো ঘটনার কারনে কোন প্রকার বিনিয়োগ ছাড়াই একটি পক্ষ শুধুমাত্র তাদের আড়তে পণ্য রেখে বিক্রি করতে গিয়ে কেজি প্রতি ৬.২৫ টাকা মুনাফা আদায় করছেন, যার পুরো দায় নিতে হচ্ছে দেশের ভোক্তাদেরকে। যার কারনে বগুড়ায় ২০ টাকার বেগুন ঢাকার বাজারে ১০০ টাকায় কিনতে বাধ্য হতে হচ্ছে। ক্যাবসহ ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরও কমিশন এজেন্টস প্রথা, ডিও/স্লিপ প্রথার মতো অবৈধ চর্চার কারণে দেশের ব্যবসা বানিজ্যে একটি চক্র বিপুল অংক হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে দাবি করছেন। আর এই চক্রটি একটা সময় আমদানিকৃত পেয়াঁজ নিয়ে সক্রিয় হলেও তাদের পদাংক অনুসরন করে বর্তমানে আলু, মসলা, সবজিসহ নিত্যপণ্যের অনেকগুলি জায়গায় কোন প্রকার বিনিয়োগ ছাড়াই বিপুল অংক হাতিয়ে নিচ্ছেন। এই কমিশন এজন্টেস ও স্লিপ প্রথা চলমান থাকলে ব্যবসা বানিজ্যে কারসাজি বন্ধ, মধ্যস্বত্তভোগীদের অপতৎপরতা বন্ধ করা যাবে না বলে মত প্রকাশ করে অবিলম্বে দেশ সংস্কারের অংশহিসাবে কমিশন এজেন্টস ও ডিও/স্লিপ প্রথার মতো বিষয়গুলো বন্ধ করে মধ্যস্বত্তভোগীদের অপতৎপরতা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম এর নেতৃবৃন্দ। ১৩ আগষ্ঠ ২০২৪ইং নগরীর ভোগ্যপণ্যের অন্যতম বৃহৎ পাইকারী বাজার রেয়াজউদ্দীন আড়তদার কল্যান সমিতির কার্যালয়ে কমিশন এজেন্টস প্রথা বন্ধে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় উপরোক্ত দাবি জানানো হয়।

    রেয়াজ উদ্দীন বাজার আড়তদার কল্যান সমিতির সাধারন সম্পাদক ফারুক শিবলীর সঞ্চালনায় ও সমিতির সভাপতি আলহাজ¦ রশিদ আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরের বিভাগীয় উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজউল্যাহ, মুখ্য আলোচক ছিলেন ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন। আলোচনায় অংশনেন সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন মাহরাফ, ভোক্তা অধিদপ্তর চট্টগ্রাম জেলার সহকারী পরিচালক নাসরীন আক্তান, ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস, যুগ্ন সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম জাহাঙ্গীর, ক্যাব সদরঘাটের সভাপতি শাহীন চৌধুরী, ক্যাব চান্দগাও থানা সভাপতি মোহাম্মদ জানে আলম, ক্যাব যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম মহনগরের সভাপতি আবু হানিফ নোমান, ক্যাব যুব গ্রুপের রাসেল উদ্দীন, রেস্তোরা মালিক সমিতি সভাপতি ইলিয়াছ ভুইয়া, রেয়াজ উদ্দীন বাজার আড়তদার কল্যান সমিতির উপদেষ্টা মোহাম্মদ তারেক, সহ-সভাপতি আলহাজ্ব  কামাল উদ্দীন, আবু তৈয়ব, ক্যাব পাচলাইশের সভাপতি সায়মা হক, আবদুল আওয়াল, ক্যাব সদরঘাটের মোস্তফা কামাল, সদরঘাট থানা হিন্দু বৌদ্ধ, খৃষ্ঠান ঐক্য পরিষদের সভাপতি সুবল দাস প্রমুখ।

    মতবিনিময় সভায় আতদার কল্যান সমিতির নেতৃবৃন্দ বৃটিশ আমল থেকে চলমান এজেন্টস প্রথা বহাল রাখার নানা যুক্তি দেখালেও এই যুক্তির পক্ষে জোরালো কোন প্রমান ও আইনগত ভিত্তি দেখাতে পারেন নি। তারা বেপারী ও কৃষকের কাছ থেকে ক্রয়কৃত পণ্যের রশিদ সংরক্ষনের প্রতিশ্রæতি দেন। একই সাথে কৃষিপণ্যের জন্য অগ্রিম দাদন দিয়ে থাকেন বলে দাবি করেন। তবে মূল্য নির্ধারণে তাদের কোন হাত নেই বলে জানিয়ে বলেন চাহিদা ও যোগানে ভিত্তিতে বাজারে দাম নির্ধারিত হয়। কিন্তু ক্যাব ও ভোক্তা অধিদপ্তর থেকে বাজারে পর্যবেক্ষনের অভিজ্ঞতা থেকে জানা যায় আড়তদাররা এক একটা সময় এক এক ধরনের ভূমিকা পালন করেন। দাম বাড়লেই তারা পণ্যের মালিক হয়ে যান, আবার আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজন বাজারে অভিযান চালালে তারা শুধুমাত্র গুদাম ভাড়ার অংশ পান বলে দাবি করেন। আর সব দোষ চাপান বেপারী ও কৃষকের ঘাড়ে। তাই আড়তদার ও কমিশন এজন্টেস এই দ্বৈত ভূমিকার কারনে বাজার অস্থির হয়ে উঠে। বাজারে পণ্যের চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা সরবরাহ কমিয়ে দেন। তাই বর্তমান প্রেক্ষাপটে অবিলম্বে ব্যবসা বানিজ্যে সংস্কার করে মধ্যস্বত্তভোগীদের অপতৎপরতা বন্ধ করে অবিলম্বে কমিশন এজন্টেস ও স্লিপ প্রথার মতো ব্যবসার বন্ধ করতে হবে। কোন প্রকার ক্রয়-বিক্রয় রশিদ ছাড়া কোন পণ্য বিক্রি করা যাবে না। একই সাথে কৃষকদের মাঝে দাদন বা অগ্রিম টাকা দিয়ে পণ্য কেনা বন্ধ করতে হবে। কৃষকদের মাঝে ক্ষুদ্র ঋনদানকারী প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সহজ শর্তে ঋণের পর্যাপ্ত যোগান নিশ্চিত করতে হবে। তাহলেই এধরনে ফটকা ও জোয়াড়ির মতো কার্যক্রম বন্ধ করে ব্যবসা বানিজ্যে শৃংখলা ফেরানো সম্ভব হবে।

    সভায় আরও বলা হয় ছাত্র জনতার গণঅভ্যত্থান পরবর্তী সময়ে সবগুলি পণ্যের দাম কম ছিলো। ঐ সময়টিতে স্থানীয় চাঁদাবাজি না থাকাকে বড় কারণ দেখাণো হলেও কয়েকদিন যেতে না যেতেই আবার চাল, আলু, কাঁচা মরিচ, পেয়াঁজসহ শাক-সবজিসহ সবগুলো নিত্যপণ্যের দাম হু হু করে বেড়ে যাচ্ছে। তাই ছাত্র-জনতার এই গণঅভ্যত্থানকে সফল করতে বড় করপোরেট হাউসগুলোর একতরফা আধিপত্য বিস্তার বন্ধসহ বিগত সরকারের আমলে তারা কি পরিমান অর্থ লুপাট করেছেন তার অনুসন্ধান ও তাদের অবৈধ রাস্ট্র মেরামতে বিনিয়োগ করার দাবি জানান।

  • শিক্ষার্থী থেকে অন্তর্বর্তী সরকারে, প্রশংসায় ভাসছেন নাহিদ ও আসিফ

    কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম দুই সমন্বয়ক ছিলেন মো. নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ। এরপর তাদের আনন্দোলন রুপ নেয় সরকার পতনের একদফায়। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে জনতাও যোগ দিলে আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গঠন হয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার৷

    ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে গঠন করা এই সরকারে জায়গা পেয়েছেন নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ। আর এই খবরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে সর্বত্র প্রশংসায় ভাসছেন নাহিদ ও আসিফ।

    রুকাইয়া জেসমিন নামের একজন তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘নাহিদ আমাদের দক্ষিণ বনশ্রী খিলগাঁও এর গর্ব।। ইনশাল্লাহ, নাহিদ বড় হয়ে ভালো কিছু করবে দেশের জন্য।’ সমন্বয়ক সারজিস আলম লেখেন, ‘অভিনন্দন তরুণ প্রজন্ম।’ এছাড়াও আরো অনেকে তাদের ফেসবুক পোস্টে নাহিদ ও আসিফতে শুভেচ্ছা জানান।

    অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের মধ্যে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্য ১৬ জন সদস্যের মধ্যে আছেন- ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ, ড. আসিফ নজরুল, আদিলুর রহমান খান, হাসান আরিফ, তৌহিদ হোসেন, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, শারমিন মুর্শিদ, ফারুকী আযম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, সুপ্রদীপ চাকমা, বিধান রঞ্জন, ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন, ফরিদা আখতার, নুরজাহান বেগম, মো. নাহিদ ইসলাম (ছাত্র প্রতিনিধি), আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া (ছাত্র প্রতিনিধি)।

     

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের মধ্যে যে দুজন ছাত্র প্রতিনিধি উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন তাদের খোঁজ নিয়ে তাদের পরিবার ও শিক্ষা সম্পর্কে কিছু তথ্য জানা গিয়েছে।

     

    নাহিদ ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী৷ থাকেন বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে। সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন৷ বাবার নাম বদরুল ইসলাম জামির। নাহিদের স্থায়ী ঠিকানা ঢাকার বাড্ডা এলাকার বেরাইদ ইউনিয়নে। বর্তমানে পরিবারের সঙ্গে থাকেন রাজধানীর দক্ষিণ বনশ্রী এলাকায়। তিনি একই সঙ্গে গণতান্ত্রিক ছাত্র শক্তির সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

    আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া (আসিফ মাহমুদ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা বিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী। ভর্তি হয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে। নাখালপাড়া হোসাইন আলী হাই স্কুল থেকে মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরিয়ে আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। বাবার নাম মো. বিল্লাল হোসেন। আসিফ মাহমুদের স্থায়ী ঠিকানা কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলায়। তিনি বর্তমানে গণতান্ত্রিক ছাত্র শক্তি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

  • শপথ নিলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুস ও উপদেষ্টা পরিষদ

    অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ গ্রহণ করলেন নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাত সোয়া ৯টায় বঙ্গভবনে শপথ গ্রহণ করেন তিনি। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন শপথ বাক্য পাঠ করান ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে।

    প্রধান উপদেষ্টার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহ উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক ড. আসিফ নজরুল, মানবাধিকারকর্মী আদিলুর রহমান খান, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল হাসান আরিফ, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হোসেন, পরিবেশ আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, নির্বাচন পযবেক্ষক শারমিন মুর্শিদ,  সাবেক নির্বাচন কমিশনার বি. জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেন, ইসলামি চিন্তাবিদ আ ফ ম খালিদ হাসান, উন্নয়নকর্মী ফরিদা আখতার, গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক নূরজাহান বেগম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়া শপথ দেন।

    তবে ঢাকার বাইরে থাকায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুকী আজম, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান সুপ্রদীপ চাকমা, চিকিৎসক বিধান রঞ্জন শপথ নিতে পারেনি।

    অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও উপদেষ্ঠাদের শপথ অনুষ্ঠানে কোটা বিরোধী আন্দোলনে নিহত শহীদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাত ৯টায় ১৪ মিনিটে বঙ্গভবনে শপথ অনুষ্ঠান শুরু হয়। তারপর এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় ।

    এর আগে  বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) বিকাল থেকেই বঙ্গভবনে হাজারো উৎসুক জনতা ভিড় করেন। ড . ইউনূস বঙ্গভবনে আসলে বাইরে অপেক্ষমাণ জনতা তাকে অভিবাদন জানান ও স্লোগান দেন। তিনি স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) সদস্যদের প্রটোকলে রাত ৮টা ২৫ মিনিটে তিনি সেখানে প্রবেশ করেন।

    এই অনুষ্ঠানে রাজনীতিক, শিক্ষাবিদ, কূটনীতিকসহ সরকারি ও সামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

  • সাতক্ষীরা সরকারি কলেজকে সবধরণের রাজনীতি ও সন্ত্রাসমুক্ত ক্যাম্পাস ঘোষণা

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা জেলার সব থেকে বড় এবং ঐতিহ্যবাহী শিক্ষপ্রতিষ্ঠান সাতক্ষীরা সরকারি কলেজকে সবধরণের রাজনীতি ও সন্ত্রাসমুক্ত ক্যাম্পাস ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) দুপুরে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কর্মীরা কলেজ ক্যাম্পাসকে রাজনীতি ও সন্ত্রাসমুক্ত ঘোষণা দিয়ে কলেজের প্রধান ফটকে একটি ব্যানার টানিয়ে দেন।

    ক্যাম্পাসকে রাজনীতি ও সন্ত্রাসমুক্ত ঘোষণাকালে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের ভ‚গোল ও পরিবেশ বিভাগের ফাইনাল ইয়ারের শিক্ষার্থী মোঃ তানজিদুর রহমান বলেন, শুধুমাত্র অপরাজনীতি এবং সন্ত্রাসবাদের কারণেই আমাদের দেশে এতগুলো ছাত্র ও সাধারণ মানুষের জীবন গেল। আমাদের ক্যাম্পাসে অসংখ্য সাধারণ শিক্ষার্থী ইতিপূর্বে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রনেতাদের দ্বারা হয়রাণি এবং হামলার শিকার হয়েছে। এখন অনেক রক্ত এবং ত্যাগ তিতিক্ষার বিনিময়ে আমাদের দেশ নতুন করে স্বাধীন হয়েছে। তাই সদ্য স্বাধীন এই দেশে ছাত্ররাজনীতির নামে সাধারণ ছাত্রদের উপর নিপিড়ন আমরা কোন ভাবেই মানবো না। এজন্য আজ থেকে আমাদের কলেজ ক্যাম্পাসকে সব ধরণের ছাত্র রাজনীতি এবং সন্ত্রাসবাদমুক্ত ঘোষণা করা হলো।

    এদিকে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজকে ছাত্ররাজনীতি ও সন্ত্রাসমুক্ত ঘোষণা করায় সাদুবাদ জানিয়েছেন এলাকার সাধারণ জনগণ ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা।