Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
বিশেষ সংবাদ Archives - Page 10 of 74 - Daily Dakshinermashal

Category: বিশেষ সংবাদ

  • বৈঠকে সচিবদের যেসব নির্দেশনা দিলেন প্রধান উপদেষ্টা 

    বৈঠকে সচিবদের যেসব নির্দেশনা দিলেন প্রধান উপদেষ্টা 

    অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বৈঠকে সচিবদের প্রতি বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন।

    বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সচিবদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।

    সচিবদের যেসব নির্দেশনা প্রদান করেছেন-

    সরকারের সকল পর্যায়ে সংস্কার কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নে ‘মার্চিং অর্ডার’ প্রদান করেছেন। সংস্কার কর্মসূচি প্রণয়নে প্রয়োজন অনুযায়ী সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনা ও মতামত গ্রহণ করতে হবে।

    জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতা বৈষম্যহীন মানবিক দেশ গড়ার যে প্রত্যয়, যে ভয়হীন চিত্ত আমাদের উপহার দিয়েছে, তার উপর দাঁড়িয়ে বিবেক ও ন্যায়বোধে উজ্জীবিত হয়ে আমাদের স্ব স্ব ক্ষেত্রে সততা, নিষ্ঠা, জবাবদিহিতা নিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়তে হবে।

    নতুন বাংলাদেশ গড়ার জন্য গৎবাঁধা চিন্তাভাবনা থেকে বেরিয়ে এসে, চিন্তার সংস্কার করে, সৃজনশীল উপায়ে জনস্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সরকারি কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।

    দুর্নীতির মূলোৎপাটন করে, সেবা সহজিকরণের মাধ্যমে জনগণের সর্বোচ্চ সন্তুষ্টি অর্জন করতে হবে।
    সরকারি অর্থের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

    সরকারি ক্রয়ে যথার্থ প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করতে হবে এবং স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিতে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতাসমূহ দুর করতে হবে।

    সৃষ্টিশীল,নাগরিক-বান্ধব মানসিকতা নিয়ে প্রতিটি মন্ত্রণালয়/বিভাগ স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার কর্মসূচির সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা দাখিল করবে, যা নিয়মিত মূল্যায়ন/পরিবীক্ষণ করা হবে।

    ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সৃষ্ট নতুন বাংলাদেশ নিয়ে বিশ্বব্যাপী যে আগ্রহ, ইতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছে, দেশের স্বার্থে তা সর্বোত্তম উপায়ে কাজে লাগাতে হবে।

  • শহীদ আহনাফের পরিবারের পাশে তথ্য উপদেষ্টা

    শহীদ আহনাফের পরিবারের পাশে তথ্য উপদেষ্টা

    শহীদ আহনাফের বাসায় তথ্য উপদেষ্টা। ছবি: সংগৃঞীত

    ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নিহত কলেজ ছাত্র আহনাফের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।

    বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) মিরপুরের পাইকপাড়ায় আহনাফের বাসায় তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তিনি।

    উপদেষ্টা বলেন, গণঅভ্যুত্থানের সময় ছাত্ররা যেভাবে রাস্তায় নেমে এসেছিল, তাদের আত্মত্যাগের ফলে আজ আমরা নতুন স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি। খুব শিগগিরই সকল শহীদ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে একটি স্মরণসভা করা হবে। সেখানে আপনাদের উপস্থিতি কাম্য।

    তিনি বলেন, আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের দেশ মনে রাখবে। নাম না জানা অনেক ছাত্র-জনতা এ আন্দোলনে শহীদ হয়েছে। তাদের তালিকা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ৮০০ জনের নাম পাওয়া গেছে। শহীদদের জন্যই আমরা বেঁচে আছি। স্বাধীনভাবে, প্রাণ খুলে কথা বলতে পারছি।

    তথ্য উপদেষ্টা আহনাফের ছোট ভাইয়ের পড়াশোনার খোঁজখবর নেন এবং এখন থেকে যে কোনো সময়, যে কোনো প্রয়োজনে পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেন। এ সময় বাসায় আহনাফের মা,বাবা, দুই ভাই এবং খালা উপস্থিত ছিলেন।

    উল্লেখ্য, শহীদ শফিক উদ্দিন আহমেদ আহনাফ (১৭) রাজধানীর বিএএফ শাহীন কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিল। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সময়ে গত ৪ আগস্ট সে মিরপুর ১০ এ পুলিশের গুলিতে নিহত হয়। গুলি তার বুকের ডান দিক দিয়ে ঢুকে অপর পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়।

  • ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করবে যুক্তরাষ্ট্র

    ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করবে যুক্তরাষ্ট্র

    বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক আরও বিভিন্ন বিষয়ে ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করবে। ঢাকায় মার্কিন চার্জ ডি’অ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফেভ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এসব প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।

    সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে মার্কিন কূটনীতিক এ মন্তব্য করেন বলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়।

    মার্কিন চার্জ ডি’অ্যাফেয়ার্স বলেছেন, তার দেশের সরকার প্রধান উপদেষ্টাকে অভিনন্দন জানাতে পেরে খুশি এবং একসঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার জন্য উন্মুখ। ভিসা প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার প্রয়াসে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস এই সপ্তাহে তাদের কনস্যুলার পরিষেবা পুনরায় চালু করবে।

    তিনি বলেন, হাজার হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী এখন যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়াশোনা করে। হেলেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র স্বাস্থ্য, শিক্ষা, শ্রম, শাসন এবং রোহিঙ্গা ইস্যুতে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে। ওয়াশিংটন রোহিঙ্গাদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পুনর্বাসন শুরু করেছে এবং তিনি আশা করেছিলেন যে প্রক্রিয়াটি ত্বরান্বিত হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গাদের মানবিক প্রতিক্রিয়ায় সবচেয়ে বড় অবদানকারী এবং মার্কিন চার্জ ডি’অ্যাফেয়ার্স বলেছেন, মার্কিন অর্থায়নের পরে এই বছর রোহিঙ্গাদের মাসিক খাদ্য সহায়তার পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। তিনি রোহিঙ্গাদের জন্য জীবিকার সুযোগেরও আহ্বান জানান।

    প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস কক্সবাজারের ক্যাম্পে বসবাসকারী ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গার জন্য অব্যাহত অর্থায়নসহ বাংলাদেশকে সমর্থন করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানান। প্রধান উপদেষ্টা তাকে জানান, অন্তর্বর্তী সরকারকে গভীর সংস্কারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এবং একটি যুক্তিসঙ্গত সময়ের পরে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

    অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশে বন্যা মোকাবিলায় দাতাদের মধ্যে একটি সম্মিলিত প্রচেষ্টা এবং একটি অভিন্ন প্ল্যাটফর্মের আহ্বান জানিয়েছেন। মানির্ক চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স শ্রমিক ও সংখ্যালঘু বিষয় নিয়ে কিছু উদ্বেগ উত্থাপন করেছেন।

    প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দেশের প্রতিটি নাগরিক সংবিধান দ্বারা সুরক্ষিত এবং অন্তর্বর্তী সরকার সব নাগরিকের মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। মানবাধিকার ইস্যু, সাইবার নিরাপত্তা আইন এবং র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নও আলোচনার সময় উঠে এসেছে।

    মার্কিন চার্জ ডি’অ্যাফেয়ার্স বলেছেন, তার সরকার দেশে ন্যায্যবিচার নিশ্চিত করার প্রয়াসে বাংলাদেশকে একটি প্রসিকিউটরিয়াল সার্ভিস গঠনে সহায়তা করার চেষ্টা করছে।

  • আশাশুনির বড়দলে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত

    আশাশুনির বড়দলে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত

    আশাশুনির বড়দলে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত বড়দল আফতাব উদ্দিন কলেজিয়েট স্কুলে এ ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়। সাতক্ষীরা গ্রামীণ চক্ষু হাসপাতালের আয়োজনে ও গ্রামীন চক্ষু মেডিকেল টিমের অর্গানাইজার আরাফাত হোসেনের নেতৃত্বে ১০ জন ডাক্তার চিকিৎসা প্রদান করেন। উক্ত ক্যাম্পে বড়দল ইউনিয়নের হতদরিদ্র প্রায় ৫ শতাধিক নারী-পুরুষ তাদের চোখের পরীক্ষা, ছানি অপারেশন, চোখের লেন্স বসানো, এক মাসের ঔষধসহ ডাক্তারের কাছ থেকে বিভিন্ন পরামর্শ গ্রহণ করেন। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ও সার্বিক সহযোগিতা করেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবাহক ও ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক মোঃ আজহারুল ইসলাম মন্টু। ইউনিয়ন বিএনপি সদস্য সচিব আরিফুল ইসলাম বকুলের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন বিএনপি’র যুগ্ন আহবায়ক শরিফুল ইসলাম, মোঃ আবু হুরায়রা (আল মামুন), ফরিদ হোসেন, ইয়াকুব আলী, বিশিষ্ট সমাজসেবক আব্দুর রহমান ঢালী প্রমুখ।

  • ৩১ আগষ্ট থেকে উঠছে সুন্দরবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা, প্রস্তুতিতে ব্যস্ত বনজীবীরা

    সুন্দরবনের বনজ ও মৎস্য সম্পদের উপর নির্ভরশীল জেলে-বাওয়ালীদের সুন্দরবনে ঢোকার টানা তিন মাসের সরকারি নিষেধাজ্ঞা শেষ হতে চলেছে। ৩১ আগষ্ট নিষেধাজ্ঞা শেষে আগামী ১ সেপ্টেম্বর রোববার থেকে সুন্দরবনে যেতে পারবেন বনজীবীরা। বনে ঢোকার দিন ঘনিয়ে আসায় শুরু হয়েছে নৌকা ও জাল মেরামতের তোড়জোড়। সবকিছু ঠিক থাকলে মাছ ও কাঁকড়া ধরার জন্য ১ সেপ্টেম্বর থেকে সুন্দরবনে যেতে পারবেন বনজীবীরা।

    সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা, বুড়িগোয়ালিনী, মুন্সিগঞ্জ, কৈখালী ও রমজাননগর এলাকা থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, সুন্দরবন সংলগ্ন চুনা, চুনকুড়ি, মালঞ্চ ও খোলপেটুয়া নদীর পাড়ে পুরোনো নৌকা, ছেঁড়া জাল মেরামত ও রঙ করার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন বনজীবীরা। এসব এরাকার প্রায় ১০ হাজার জেলে পরিবার সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জে নদীতে মাছ ও কাঁকড়া ধরে জীবিকা নির্বাহ করে। মাছ ও কাঁকড়া ধরে জীবিকা নির্বাহ করা মানুষগুলোর দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হতে চলায় চারদিকে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। তাঁদের মুখে বইছে হাসির ঝিলিক।

    শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী এলাকার ষাটোর্ধ্ব হানিফ গাজী ছোটবেলা থেকেই মাছ ধরার পেশায় জড়িত। সুন্দরবনের নদ-নদীতে মাছ-কাঁকড়া ধরা নিয়ে তার রয়েছে নানান অভিজ্ঞতা। তিনি বলেন, যখন থেকে বুঝতে শিখেছি তখন থেকেই বাদায় (সুন্দরবনে) মাছ-কাঁকড়া ধরার কাজে জড়িত। এখন পর্যন্ত এ পেশায় আছি। বছরের দুটি সময় মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকে। তখন আমাদের অন্য কাজ করে সংসার চালাতে হয়। মাছ ধরা শুরুর আগে ঋণ করে নৌকা মেরামত ও জাল কিনে নদীতে নামি। তবে মাছ পাওয়ার বিষয়টি অনেক সময় ভাগ্যের উপর নির্ভর করে। নদীতে নামলে অনেক সময় মাছ পাওয়া যায়, আবার অনেক সময় খালি হাতে ফেরতে হয়।

    নীলডুমুর এলাকার ওয়াহেদ গাজীর (৬০) জানান, নিষেধাজ্ঞা দিলে আমরা মাছ ধরা থেকে বিরত থাকি। তবে এসময় সরকার থেকে যে সহায়তা দেওয়া হয় সেটি দিয়ে সংসার চলে না। এ কারণে অন্য কাজ করে উপার্জন করি। সরকার সুন্দরবনের মাছ ও কাঁকড়া রক্ষায় যে অভিযান চালায় সেটি আরও কঠোর এবং নেট জাল ও কারেন্ট জালের ব্যবহার পুরোপুরি নিষিদ্ধসহ অবৈধভাবে সুন্দরবনে চোরা শিকারিদের প্রবেশ বন্ধ করা দরকার। তাহলে সুন্দরবনের নদ-নদীতে মাছ কাঁকড়া পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে।

    একই এলাকার আবু হাসান সরদার (৪৫), জামাল হোসেন (৩৫), রফিকুল সরদার (৪০)। তারা নদীতে নামার জন্য জাল ও নৌকা মেরামতের কাজ করছেন। তারা জানান, তিন মাস সুন্দরবনে মাছ কাঁকড়া আহরণ থেকে বিরত থাকায় সংসার অনেক কষ্টে চলেছে। কারণ মাছ-কাঁকড়া ধরা ছাড়া তারা অন্য কোনো কাজ করতে পারেন না।

    তারা আরও বলেন, প্রতিটি নৌকায় ২-৫ জন জেলে থাকে। পাঁচ জনের পাঁচটি পরিবার। আমাদের মাছ পাওয়ার ওপর নির্ভর করে সংসার। মাছ পাওয়া গেলে সংসার ভাল চলে। না পাওয়া গেলে কষ্ট করেই চলতে হয়। অনেকে সন্তানদের নিয়ে কষ্টে দিনাতিপাত করেন।

    বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য রক্ষা, জীবজন্তু ও মাছের প্রজনন বাড়ানোর জন্য ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ৯২ দিনের জন্য সুন্দরবনের নদ-নদীতে মাছ, কাঁকড়া ধরা ও পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এর আগে জানুয়ারি ও ফেব্রয়ারি মাসে প্রজনন মৌসুম হিসেবে বন্ধ রাখা হয়েছিল কাঁকড়া ধরা। ফলে সুন্দরবনের মাছ ও কাঁকড়া ধরার ওপর নির্ভরশীল মানুষ চরম কষ্টে ছিল।

    সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জ অফিস সূত্রে জানা যায়, ১ থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত সাতক্ষীরা রেঞ্জের চারটি স্টেশন থেকে বিএসসি (নোট লাইসেন্স সার্টিফিকেট) হয়েছে ২ হাজার ৯০০টি।

    বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন কর্মকর্তা এ.বি.এম হাবিবুর রহমান জানান, সাধারণত একটি নৌকায় ২-৬ জন করে মাছ কিংবা কাঁকড়া ধরতে সুন্দরবনে ঢুকে থাকেন। আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে আবার মাছ ও কাঁকড়া ধরার অনুমতি দেওয়া হবে। এতে করে আবার কর্মচাঞ্চল্য ফিরে আসবে জেলেদের মাঝে।

    সুন্দরবন ট্রলার মালিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হালিম জানান, পর্যটকের ওপর নির্ভর করে সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জ এলাকায় পাঁচ শতাধিক ট্রলার চলে। সুন্দরবনে জুন থেকে আগষ্ট পর্যন্ত মাছ ও কাঁকড়া ধরা বন্ধ রাখার পাশাপাশি পর্যটক ঢোকা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ সময় তাঁদের প্রায় এক হাজার ট্রলার চালক ও শ্রমিক বেকার জীবনযাপন করেন। তাদের সংসার চলে খুব কষ্টে ধার দেনা করে।

    সুন্দরবন নিয়ে কাজ করা সাংবাদিক পীযুষ বাউলিয়া পিন্টু বলেন, বছরের প্রায় সাড়ে পাঁচ মাস সুন্দরবনে মাছ ও কাঁকড়া ধরা বন্ধ থাকে। মৎস্য বিভাগ প্রতিবছর মাছের প্রজনন মৌসুমে ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন সাগরে মাছ ধরা বন্ধ রাখে। এই অবসরকালে সাগরে মাছ ধরা জেলেদের মাথাপিছু ৮৬ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। অথচ সুন্দরবনের নদ-নদীতে মাছ ও কাঁকড়া ধরে যাঁরা জীবিকা নির্বাহ করেন, তাঁদের জন্য কোনো সুবিধা কিংবা বরাদ্দ নেই। তিনি এ সময় বেকার হয়ে পড়া জেলে ও বাওয়ালীদের জন্য বরাদ্দের দাবি জানান।

    পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) এম কে এম ইকবাল হোছাইন চৌধুরী বলেন, তিন মাস পর ১ সেপ্টেম্বর থেকে জেলে ও বাওয়ালীদের সুন্দরবনে ঢোকার পাস (অনুমতি) দেওয়া হবে। এ জন্য আগে থেকে জেলে বাওয়ালীর পাশাপাশি পর্যটক পরিবহনকারী ট্রলার মালিকেরা প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

  • জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু গ্রেপ্তার

    জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) হাসানুল হক ইনু
    জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) হাসানুল হক ইনুফাইল ছবি

    জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

    ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার ফারুক হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, নিউমার্কেট থানায় দায়ের করা একটি হত্যা মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

    হাসানুল হক ইনুকে মিন্টো রোডে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে।

    আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪–দলীয় জোটের অন্যতম শরিক দল জাসদ। জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বিগত আওয়ামী লীগ সরকারে তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ১৪–দলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে কুষ্টিয়ার একটি আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর কাছে হেরে গিয়েছিলেন তিনি।

    ছাত্র–জনতার আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগ ও দলটির সহযোগী সংগঠনের নেতা–কর্মীরা আত্মগোপনে চলে গেছেন। তাঁদের কেউ কেউ গ্রেপ্তার হয়েছেন। এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি চলাকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ চলকালে ছাত্র–জনতা নিহতের ঘটনায় মামলা করা হচ্ছে। এসব মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও তাঁর সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী ও দলের নেতাদের আসামি করা হচ্ছে।

    এমন কয়েকটি মামলায় আওয়ামী লীগের জোট শরিক জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু এবং বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননকে আসামি করা হয়েছে। ২২ আগস্ট মেননকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরদিন নিউমার্কেট থানার একটি হত্যা মামলায় তাঁর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। বর্তমানে তিনি পুলিশ রিমান্ডে আছেন।

  • ফারাক্কা খোলায় বন্যাঝুঁকিতে দেশের যেসব জেলা 

    ভারতের বিহার ও ঝাড়খণ্ডে বন্যার জেরে ফারাক্কা ব্যারেজের ১০৯টি গেট খুলে দিয়েছে ভারত। সোমবার এ গেট গুলো খুলে দেওয়া হয়। এতে একদিনে বাংলাদেশে ঢুকবে ১১ লাখ কিউসেক পানি। এই গেট খুলে দেওয়ায় দেশের রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, কুষ্টিয়া, রাজবাড়ী ও মানিকগঞ্জসহ  আশপাশের জেলাগুলো প্লাবিত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

    নদ-নদী বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিভারাইন পিপলের পরিচালক এম আনোয়ার হোসেন সমকালকে বলেন, ফারাক্কার গেট খুলে দেওয়ার খবরটি আমাদের জন্য বিপদজনক। এর ফলে দেশের রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, কুষ্টিয়া, রাজবাড়ী ও মানিকগঞ্জসহ  আশপাশের জেলাগুলো প্লাবিত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

    সোমবার ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রতিবেশী দুই রাজ্যে বন্যার জেরে পানির চাপ পড়েছে। তবে স্বস্তির বিষয়, এখনও নেপাল থেকে পাহাড়ি ঢল নামেনি। ফারাক্কা ব্যারাজ এলাকায় পানি বিপৎসীমার ৭৭ দশমিক ৩৪ মিটার ওপর দিয়ে বইতে থাকায় বাধ্য হয়ে গেট খুলতে হচ্ছে। সেক্ষেত্রে ফিডার ক্যানেলেও পানির পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে।

    ফারাক্কা ব্যারেজের জেনারেল ম্যানেজার আর দেশ পাণ্ডে বলেন, ফারাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ সবসময় এলার্ট রয়েছে। প্রতিমুহূর্তে নজর রাখা হচ্ছে। খুব কম সময়ের মধ্যে যেভাবে পানির চাপ তৈরি হয়েছে তাত ১০৯ গেটের সবকটি খুলে না দিল ব্যারাজের ওপর বড় চাপ তৈরি হচ্ছিল। বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারত। আপাতত ফিডার ক্যানেলে ৪০ হাজার কিউসেক ও ডাউন স্ট্রিমে ১১ লাখ কিউসেক পানি ছাড়া হয়েছে।

  • এবার ফারাক্কার ১০৯ গেট খুলল ভারত

    এবার ফারাক্কার ১০৯ গেট খুলল ভারতফারাক্কা বাঁধ। ফাইল ছবি

    ভারতের বিহার ও ঝাড়খণ্ডে বন্যার জেরে ফারাক্কা ব্যারেজের ১০৯টি গেট খুলে দিয়েছে ভারত। আজ সোমবার গেট খুলে দেওয়া হয়। এতে একদিনে বাংলাদেশে ঢুকবে ১১ লাখ কিউসেক পানি। বাঁধ খুলে দেওয়ায় বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদসহ বাংলাদেশেও। বন্যা পরিস্থিতি ও পাহাড়ি ঢলের বিষয়ে আগে থেকে বাংলাদেশকে তথ্য দেওয়া হচ্ছে বলে ভারতের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।

    সোমবার ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রতিবেশী দুই রাজ্যে বন্যার জেরে পানির চাপ পড়েছে। তবে স্বস্তির বিষয়, এখনও নেপাল থেকে পাহাড়ি ঢল নামেনি। ফারাক্কা ব্যারাজ এলাকায় পানি বিপৎসীমার ৭৭ দশমিক ৩৪ মিটার ওপর দিয়ে বইতে থাকায় বাধ্য হয়ে গেট খুলতে হচ্ছে। সেক্ষেত্রে ফিডার ক্যানেলেও পানির পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে।

    ফারাক্কা ব্যারেজের জেনারেল ম্যানেজার আর দেশ পাণ্ডে বলেন, ফারাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ সবসময় এলার্ট রয়েছে। প্রতিমুহূর্তে নজর রাখা হচ্ছে। খুব কম সময়ের মধ্যে যেভাবে পানির চাপ তৈরি হয়েছে তাত ১০৯ গেটের সবকটি খুলে না দিল ব্যারাজের ওপর বড় চাপ তৈরি হচ্ছিল। বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারত। আপাতত ফিডার ক্যানেলে ৪০ হাজার কিউসেক ও ডাউন স্ট্রিমে ১১ লাখ কিউসেক পানি ছাড়া হয়েছে।

  • সাতক্ষীরা জেলা কেন্দ্রীয় মন্দিরে শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা

    নিজস্ব প্রতিনিধি : শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার ( ২৬ আগস্ট ) বেলা ১১ টায় পুরাতন সাতক্ষীরা মায়ের বাড়ি মন্দির প্রাঙ্গণে  বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ সাতক্ষীরা জেলা শাখার আয়োজনে  বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ সাতক্ষীরা জেলা শাখার সহ-সভাপতি  স্বপন কুমার শীল এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন  অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ সজিব খান।
    আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ জেলা শাখার সভাপতি  বিশ্বজিৎ সাধু, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ সাতক্ষীরা জেলা শাখার সহ-সভাপতি এ্যাড, সোমনাথ ব্যানার্জী, গৌর চন্দ্র দত্ত,সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ ঘোষ প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন অধ্যক্ষ শিবপদ গাইন, অসীম কুমার দাস সোনা, প্রভাষক বাসুদেব সিংহ, কাটিয়া সর্বজনীন পূজা মন্দিরের উপদেষ্টা দীনবন্ধু মিত্র, কাটিয়া সর্বজনীন পূজা মন্দিরের  সহ-সভাপতি সমরেশ কুমার দাস সহ ভক্তবৃন্দরা ও মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দ। এসময় বাংলাদেশে পূজা উদযাপন পরিষদ ও সাতক্ষীরা জেলা কেন্দ্রীয় মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে বন্যা দুর্গতদের জন্য নগদ অর্থ সংগ্রহ  ত্রাণ তহবিল গঠন করা হয়। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাতক্ষীরা জেলা কেন্দ্রীয় মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক নিত্যানন্দ আমিন।

  • সাতক্ষীরায় শশুরবাড়ির লোকজনের হুমকি ধামকির হাত থেকে নিষ্কৃতি পেতে এক ব্যক্তির সংবাদ সম্মেলন

    সাতক্ষীরায় নিজের স্ত্রীর ভাইদের বিরুদ্ধে বাড়িতে ঢুকে ভাংচুর, লুটপাট করে মটর সাইকেল বিক্রির টাকা, স্বর্ণালংকার, আসবাবপত্র সহ সংসারের সকল জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। রোববার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে কালিগঞ্জ উপজেলার কুশুলিয়া গ্রামের মৃত কাজী বদর উদ্দীনের ছেলে কাজী আব্দুস সালাম এই অভিযোগ করেন।
    লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, প্রায় ৯ বছর আগে মহৎপুর গ্রামের মোঃ নূরু সরদারের ছোট মেয়ে মনজুয়ার সঙ্গে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্ত্রীর সঙ্গে শান্তিপূর্নভাবে সংসার করতে থাকি। কিন্তু আমার স্ত্রীর দুই ভাই মোঃ আব্দুল হাকিম ও আব্দুর রহিম, পিতা নূরু সরদার, মাতা জরিনা বেগম, বোন-মনিরা খাতুন এবং খালা-করিমুন বেগমের কুপরামর্শে আমার স্ত্রী বিগত ৩ বছর আগে আমার অগোচরে বিদেশ চলে যায়। সেখান থেকে ১৩/১৪ মাস পর আবার দেশে চলে আসে। তখন আমি স্ত্রীকে মেনে নিতে অস্বীকার করলে এক পর্যায়ে গ্রাম্য শালিসের মাধ্যমে স্ত্রীকে মেনে নিতে বাধ্য হই। কিন্তু কিছুদিন না যেতেই তার পরিবারের সদস্যদের কুপরামর্শে সে আবারও বিদেশ যাওয়ার জন্য পায়তারা করতে থাকে। কিন্তু আমি রাজি না হওয়ায় আমার সাথে গোলযোগ করে বাপের বাড়িতে চলে যায়। গত ৯ আগষ্ট বেলা ১১টার দিকে আমার দুই শ্যালকসহ আরও ১০/১৫ জন আমার বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় তারা আমাকে তাড়া করলে জীবনের ভয়ে আমি পালিয়ে যাই। পরে তারা আমার বাড়িতে ঢুকে ভাংচুর, লুটপাট করে মটর সাইকেল বিক্রির টাকা, স্বর্ণালংকার, আসবাবপত্রসহ সংসারের সকল জিনিসপত্র মিলে পাঁচ লক্ষ সত্তর হাজার টাকার মালামাল নিয়ে যায়।
    কাজী আব্দুস সালাম আরো বলেন, এঘটনার পর তারা আমাকে খুন জখম করার হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছে।
    তাদের ভয়ে বর্তমানে আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। প্রাণ নাশের ভয়ে আজ ১৯ দিন আমি বাড়িতে উঠতে পারি না। বিষয়টি নিয়ে আমি কালিগঞ্জ থানা, সহকারি পুলিশ সুপার কালিগঞ্জ সার্কেল, জেলা প্রশাসক, খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি ও স্থানীয় সেনাবাহিনী ক্যাম্প কমান্ডারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছি। কিন্তু লুটপাট ও ডাকাতির প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও কোন ফল হয়নি। তিনি এবিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

  • নেপালে নদীতে পড়ল যাত্রীবাহী বাস, ১৪ ভারতীয় নিহত 

    নেপালের নদীতে শুক্রবার (২৩ আগস্ট) যাত্রীবাহী এক বাসে পড়ে অন্তত ১৪ জন ভারতীয় নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও ১৭ জন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। 

    প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতে নিবন্ধিত বাসটি উত্তরপ্রদেশ থেকে নেপালের রাজধানী কাঠমুন্ডুর উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিল। এতে যাত্রী ছিল ৪০ জন। পথিমধ্যে নেপালের তানাহুন জেলার মারশিয়াংড়ি নদীতে বাসটি হাইওয়ে থেকে পড়ে যায়। গন্তব্যস্থল থেকে ১১০ কিলোমিটার দূরে বাসটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।

    ভারতের পুলিশের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা এএনআই’কে বলেন,  ইউপি (উত্তর প্রদেশ) এফটি ৭৬২৩ নাম্বার প্লেট বহনকারী বাসটি নদীতে পড়ে গেছে এবং নদীর তীরে এখন আছে।

    উদ্ধার অভিযান এখন চলছে বলে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। তবে বাসটি ঠিক কী কারণে নদীতে পড়ে গেল- তা নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি।

  • নওফেল জোর করে টেন মিনিট স্কুলের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করায়

    দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন শিক্ষামূলক প্রতিষ্ঠান ‘টেন মিনিট স্কুল’-এর জন্য বিনিয়োগ প্রস্তাব গত ১৬ জুলাই বাতিল করেছে স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড। স্টার্টআপ বাংলাদেশের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ সংক্রান্ত ঘোষণা দেওয়া হয়। এতদিন পর এই বিনিয়োগ প্রস্তাব বাতিলের ব্যাপারে জানা গেল চাঞ্চল্যকর তথ্য।

    ডিবি হেফাজতে রিমান্ডে থাকা আসামি সাবেক তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশে গঠনে টেন মিনিট স্কুলের সঙ্গে ৫ বছর মেয়াদি সরকারের যে ৫ কোটি টাকার চুক্তি ছিল সেটা আমি বাতিল করতে চাইনি। সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল জোর করে ওই চুক্তি বাতিল করায়। কারণ, ওই স্কুলের অন্যতম কর্ণধার আইমান সাদিক অন্দোলনকারী ছাত্রদের পক্ষে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। তারা তাদের ফেসবুক প্রোফাইল লাল করেছিলেন।

    ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে পলক বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রীকে বাস্তবতা মেনে নেওয়ার অনুরোধ জানালেও তিনি মানতে রাজি হচ্ছিলেন না। এ সময় সংশ্লিষ্ট ডিবি কর্মকর্তা তাকে প্রশ্ন করেন, ‘আপনি যদি সত্যিই দেশের স্থিতিশীলতা চাইতেন তাহলে দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করলেন না কেন?’ তখন পলক চুপ থাকেন বলে যুগান্তরের প্রতিবেদনে জানা যায়।

    আরেক প্রশ্নের উত্তরে পলক বলেন, সরকার পতনের একদফা অন্দোলনের শেষ পর্যায়ে ৪ আগস্ট গণভবনে আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে আমি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বলেছি, প্রয়োজনে আমাকে বলি দিন। তারপর শিক্ষার্থীদের অন্দোলন বন্ধ করুন। তাদের চোখের ভাষা, মনের ভাষা বোঝার চেষ্টা করেন। এ সময় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আমাকে তেড়ে মারতে আসেন। তখন আমি সাহসী হয়ে গেলাম। প্রধানমন্ত্রীকে বললাম, আপনি স্টেপ ডাউন করুন। আওয়ামী লীগকে মানুষ ঘৃণা করছে, থুতু দিচ্ছে। এরপর আমাকে গণভবন থেকে বের করে দেওয়া হয়।

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই পল্টন এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান রিকশাচালক কামাল মিয়া। এ ঘটনায় পল্টন থানায় হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার হন সাবেক তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, জাতীয় সংসদের সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক এবং ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান। নিরাপত্তার কারণে তাদের ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে রাখা হয়। থানা-পুলিশ হত্যা মামলার বিষয়ে খোঁজখবর নিলেও সার্বিক বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ডিবির গুলশান বিভাগ।

  • বন্যার্তদের সহযোগিতায় একদিনের বেতন দিলো সেনাবাহিনী

    বন্যার্তদের সহযোগিতায় প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে এক দিনের বেতনের সমপরিমাণ অর্থ দিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সকল পর্যায়ের সদস্যরা।

    7বন্যার্তদের পাশে সেনাবাহিনী। ছবি: সংগৃহীত

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সকল পদবির সেনা সদস্যদের একদিনের বেতনের সমপরিমাণ অর্থ বন্যার্তদের সহযোগিতায় প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে প্রদান করা হয়েছে। সাম্প্রতিক ফেনী, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, নোয়াখালী, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জে চলমান ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যার্থে মানবতার সেবায় এ অর্থ প্রদান করা হয়।

    উল্লেখ্য, বন্যা কবলিত এলাকায় সেনা সদস্যরা সক্রিয় ভূমিকা পালনের পাশাপাশি একটি মহতি উদ্যোগে সরাসরি সম্পৃক্ত হলো।

  • ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া কমপ্লেক্সে হামলার প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন

    ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া কমপ্লেক্সে ন্যাক্কারজনক হামলার
    প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১১টায়
    সাতক্ষীরার কর্মরত সাংবাদিকদের আয়োজনে প্রেসক্লাবের সামনে এ
    কর্মসূচি পালিত হয়।
    এতে বক্তারা ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া কমপেক্সে হামলার সাথে জড়িতদের অবিলম্বে
    গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে বলেন, মিডিয়ার উপর হামলা হলে জাতির চতুর্থ
    স্থম্ভ ভেঙ্গে পড়বে।
    দুর্বৃত্তরা বার বার গণমাধ্যমকে টার্গেট করছে। বিগত সরকারের সময়ে
    যেখানে কোনো গণমাধ্যম দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে সাহসের সাথে
    লিখতে পারেনি, সেখানে কালের কণ্ঠ সাবেক আইজিপি বেনজীরের দুর্নীতি
    ও অপকর্মের তথ্য তুলে ধরে জাতির সামনে রাষ্ট্রযন্ত্রের অপব্যবহার তুলে ধরতে
    সক্ষম হয়েছে। কিন্তু এখন সেই কালেরকণ্ঠ আক্রান্ত, বাংলাদেশ প্রতিদিন
    আক্রান্ত, বাংলানিউজসহ ৭ টি মিডিয়া আক্রান্ত। যে কেনো মূল্যে
    গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে হবে। অবিলম্বে হামলাকারীদের
    গ্রেপ্তার করতে হবে।
    গত ১৯ আগষ্ট রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ইস্টওয়েন্ট মিডিয়া
    গ্রুপে হামলা করে দূর্বত্তরা। তারা কালেরকণ্ঠ, বাংলাদেশ প্রতিদিন, রেডিও
    ক্যাপিটাল, বাংলানিউজ, নিউজ টুয়েন্টিফোর, ডেইলি সান, টি
    স্পোর্টর্সে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। এসময় সংবাদকর্মীদের মারধর করা হয়। এ
    ঘটনার প্রতিবাদে দেশজুড়ে সাংবাদিকদের বিক্ষোভ চলছে।
    উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট সাতক্ষীরার দৈনিক কালের চিত্র ও দৈনিক পত্রদূত পত্রিকায়
    দৃর্বৃত্তরা অগ্নি সংযোগ করে। উক্ত ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে
    আইনের আওতায় আনার জোর দাবি করে আগামীতে এধরণের ঘটনার
    পূবরাবৃত্তি হলে সাংবাদিকরা কঠোর কর্মসূচি পারল করবে বলেও হুশিয়ার করা
    হয়।
    মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ও অংশ নেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ
    সম্পাদক আব্দুল বারী, ও মাছ রাঙা টিভি ও আমাদের সময়ের মোস্তাফিজুর
    রহমান উজ্জল, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির আবুল কাসেম, কালেরকণ্ঠের মোশাররফ
    হোসেন, বাংলাদেশ প্রতিদিনের মনিরুল ইসলাম মনি, বণিক বার্তার
    গোলাম সরোয়ার, দৈনিক তথ্যের সৈয়দ রফিকুল ইসলাম শাওন,
    বাংলানিউজের শেখ তানজির আহমেদ, এখন টিভির আহসান রাজীব,

    এনটিভির এসএম জিন্নাহ, গ্লোবাল টিভির রাহাত রাজা, তাজমিনুর
    রহমান টুটুলসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সংবাদকর্মীরা।#

  • জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সাতক্ষীরায় বর্ণাঢ্য   র‍্যালি ও সমাবেশ  

    জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সাতক্ষীরায় বর্ণাঢ্য   র‍্যালি ও সমাবেশ  অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার  বিকালে সাতক্ষীরা পৌর  স্বেচ্ছাসেবকদলের আয়োজনে শহরের আমতলা মোড়  হতে বর্ণাঢ্য   র‍্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে  নারিকেলতলা মোড়ে  গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। সমাবেশে সাতক্ষীরা পৌর স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব শেখ আজিজুর রহমান সেলিম এর  সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুজ্জামান ভুট্টে। এসময় উপস্থিত ছিলেন, স্বেচ্ছাসেবকদলের
    পৌর ১ নং ওয়ার্ডের সদস্য সচিব ইয়াসিন আরাফাত, ৩ নং ওয়ার্ড সভাপতি মহসিন হোসেন, সদস্য সচিব মোঃ শিমুল, স্বেচ্ছাসেবকদলনেতা বিল্লাল হোসেন,  মো. আবুল কালাম, আশিকুর রহমান শিমুল,আবু রায়হান, পৌর যুবদলনেতা সাইফুল্লাহ আল কাফি প্রমুখ।
     এ সময় পৌর সভার ৯ টি ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেবকদলের সকল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশে প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সকল অপকর্মের বিচার করতে হবে। শেখ হাসিনা দেশে হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে পালিয়ে গেলেও এখনো তার দোসররা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। খুনি হাসিনার সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিতে স্বেচ্ছাসেবক দলের সকল পর্যায়ে নেতৃবৃন্দকে সতর্ক থেকে কাজ করতে হবে। র‍্যালিপূর্বক বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদ্বোধন করেন নেতৃবৃন্দ।
  • নবনির্বাচিত কলারোয়া বাজর ব্যাবসায়ী সমিতির পরিচিত সভা অনুষ্ঠিত

    ১৮ আগষ্ট রবিবার রাতে কলারোয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির কার্যালয়ে নবনির্বাচিত কলারোয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যদের নিয়ে পরিচিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন কলারোয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির ২২ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির সদস্য বৃন্দরা। নবনির্বাচিত কমিটির কমিটির সভাপতি-  মোঃ শওকাত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক- মীর রফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান। অন্যান্য সদস্যরা হলেন-  সহ-সভাপতি রবিউল আলম, সহিদুল ইসলাম বাবু, আশফাকুর রহমান সোহেল। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক – আবু সাঈদ, আশরাফুজ্জামান বাবু। সহ সাংগঠনিক সম্পাদক – আসাদুজ্জামান আসাদ,আব্দুল মমিন, সফিউল্লাহ। অর্থ বিষয়ক সম্পাদক – দিলীপ অধিকারী চান্দু। ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক – আশরাফ আলী বাবু। দপ্তর সম্পাদক – হাসান আলী, মোঃ জয়নাল। সমাজ কল্যাণ সম্পাদক – মোঃ মোস্তাক আহমেদ। প্রচার সম্পাদক – মামুনুর রশিদ লালু, মোঃ রবিউল ইসলাম। ক্রিড়া সম্পাদক – ফারুক হোসেন স্বপন। কার্যনির্বাহী সদস্য- ইমরান হোসেন, জেহের আলী, আজহারুল ইসলাম, আনারুল ইসলাম, মেহেদী হাসান, রূপচাঁদ সদ্দার। এ সময় আগামীদিনে যাতে বিনা বাধায় বাজারে ব্যবসায়ীরা শান্তিপূর্ণভাবে ব্যবসা করতে পারেন, কোন ধরনের হয়রানির শিকার না হতে হয় এবং বাজারের নৈশো প্রহরীদের বেতন বৃদ্ধি ও তাদের বিভিন্ন নির্দেশনা মূলক বক্তব্য রাখেন বক্তারা।
  • সাতক্ষীরায় মটর সাইকেল ও ট্রাকের সংঘর্ষে দুইজন নিহত

    মটর সাইকেলের সঙ্গে পণ্যভর্তি ট্রাকের
    মুখোমুখি সংঘর্ষে মটর সাইকেলের চালকসহ আরোহী নিহত
    হয়েছেন। সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা- ভোমরা সড়কের সুফির
    বাঁশতলা নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
    নিহতরা হলেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আলীপুর দীঘির পাড়ের নূর
    আলী দেঁড়ীর ছেলে ভাড়ায় চালিত মটর সাইকেল চালক আব্দুল
    হান্নান(৫৫) ও আলীপুর গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে শরিফুল
    ইসলাম(৪২)।
    নিহত হান্নানের ভাই আব্দুল মান্নান জানান, তার ভাই ভাড়ায়
    চালিত মটর সাইকেল চালক আব্দুল হান্নান ভোমরা বন্ধরের শ্রমিক
    শরিফুলকে নিয়ে সোমবার দুপুর একটার দিকে আলীপুর থেকে
    ভোমরার দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে সুফির বটতলা নামক স্থানে
    বিপরীত দিক থেকে আসা পণ্যভর্তি একটি দ্রুতগামি
    ট্রাক(ঢাকা মেট্রো-ট-১৮-০২১৯) ওই মটর সাইকেলের সামনে ধাক্কা
    মারে। এতে ঘটনাস্থলেই মটর সাইকেল চালক আব্দুল হান্নান নিহত
    হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় শরিফুলকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ
    হাসপাতালে নিয়ে গেলে বিকেল তিনটার দিকে তাকে মৃত বলে
    ঘোষণা করা হয়। নিহতদের লাশ ময়না তদন্ত ছাড়াই নিজ নিজ
    বাড়িতে আনা হয়েছে।
    সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক নজরুল ইসলাম সড়ক
    দুর্ঘটনায় দুইজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।#

  • আদালতে সাতক্ষীরার সহকারি পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামানসহ ২৮ জনের নামে হত্যা মামলা

    ২০১৪ সালে সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোলের মুকুল
    হোসেনের বাড়ির ছাত্রাবাসে পুলিশের গুলিতে
    ছাত্রশিবির নেতা আমিনুর রহমানের মৃত্যুু
    তৎকালিন পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর, সদর
    সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার কাজী
    মনিরুজ্জামানসহ ২৮ জনের নামে আদালতে হত্যা
    মামলা

    ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল সাতক্ষীরার শহরের
    কামাননগরের একটি ছাত্রবাসে ঢুকে ছাত্র শিবিরের নেতা
    আমিনুর রহমানকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে সাতক্ষীরার তৎকালিন
    পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর, সদর সার্কেলের তৎকালিন
    অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান ও সদর থানার তৎকালিন
    ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইনামুল হকসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
    দায়ের করা হয়েছে। সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর
    ইউনিয়নের দক্ষিণ রঘুনাথপুর গ্রামের মফিজউদ্দিন সরদারের ছেলে
    নিহত আমিনুর রহমানের ভাই সিরাজুল ইসলাম(৫৪) বাদি হয়ে
    সোমবার সাতক্ষীরার জ্যেষ্ট বিচারিক হাকিম প্রথম আদালতে এ
    মাম লা দায়ের করেন। বিচারক নয়ন কুমার বড়াল বাদির লিখিত
    অভিযোগ আমলে নিয়ে (১৫৬(৩) ধারা মতে) এজাহার হিসেবে
    গণ্য করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সদর থানার ভারপ্রাপ্ত
    কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন। একইসাথে একজন সহকারি
    পুলিশ সুপার বা পুলিশ সুপার মর্যাদার একজন পুলিশ
    কর্মকর্তাকে দিয়ে মামলার তদন্ত করানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া
    হয়েছে।
    মামলার আসামীরা হলেন, সাতক্ষীরার সাবেক পুলিশ সুপার চৌধুরী
    মঞ্জুরুল কবীর, সদর সার্কেলের সাবেক জ্যেষ্ঠ সহকারি পুলিশ সুপার
    কাজী মনিরুজ্জামান, সদর থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
    ইনামুল হক, সদর থানার উপপরিদর্শক আবুল কাশেম, উপরিদর্শক
    হুমায়ুন কবীর, উপপরিদর্শক বিধান কুমার বিশ্বাস, উপপরিদর্শক

    ইয়াছিন আলী, সহকারি উপপরিদর্শক লিটন বিশ্বাস, সিপাহী
    জাহাঙ্গীর আলম, সিপাহী বেলায়েত হোসেন, সিপাহী জিল্লুর
    রহমান, সিপাহী বাবুল হোসেন, সিপাহী ফারুখ হোসেন,
    সিপাহী শেখ আলম, জেলা গোয়েন্দা পুলিশে তৎকালিন কর্মরত
    উপপরিদর্শক আব্দুল হান্নান, উপপরিদর্শক হান্নান শরীফ,
    উপপরিদর্শক আবুজার গিফারী, বাগেরহাট জেলার মোল্লারহাট
    থানার সোনাপুর গ্রামের মৃত মোশাররফ হোসের ছেলে গোয়েন্দা
    পুলিশে কর্মরত মোঃ আলী হোসেন, সাতক্ষীরা গোয়েন্দা পুলিশের
    তৎকালিন সিপাহী হাবিবুর রহমান, সিপাহী রাসেল মাহমুদ,
    সিপাহী ওমর ফারুক, সিপাহী আব্দুর রহমান, সিপাহী আবিদুর
    রহমান, সিপাহী আসাদুজ্জামান, সিপাহী বদরুল আলম, শহরের
    দক্ষিণ কামাননগরের আবুল কাশেমের ছেলে আনারুল ইসলাম রনি,
    একই গ্রামের আতিয়ার রহমানের ছেলে এসএম ইউসুফ সুলতান ও
    মোকছেদ সরদারের পালক পুত্র মোঃ বাবর আলী।
    মামলার বিবরনে জানা যায়, কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর
    ইউনিয়নের দক্ষিণ রঘুনাথপুর গ্রামের মফিজউদ্দিন সরদারের ছেলে
    ছাত্রশিবির নেতা আমিনুর রহমান খুলনা ব্রজমোহন মহাবিদ্যালয়
    থেকে ২০১৪ সালে বাংলায় অনার্স মাস্টার্স শেষ করে সাতক্ষীরা
    শহরের কামাননগর কবরস্থানের পাশে জনৈক মুকুল হোসেনের
    বাড়িতে একটি ছাত্রাবাসে থাকতো। ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল
    দুপুরে ভাত খাওয়া চলাকালিন তৎকালিন পুলিশ সুপার চৌধুরী
    মঞ্জুরুল কবীরের নির্দেশে পুলিশের সোর্স বাবর আলী , যুবলীগ
    কর্মী আনোয়ারুল ইসলাম রনি এসএম ইউসুফ সুলতান, সদর
    সার্কেলের জ্যেষ্ঠ সহকারি পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান, সদর
    থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইনামুল হকসহ সদর থানার চারজন
    উপপরিদর্শক, একজন সহকারি উপপরিদর্শক, ছয়জন সিপাহী
    গোয়েন্দা পুলিশের তিনজন উপপরিদর্শক ও আট জন সিপাহী
    মুকুল হোসেনের বাড়ির বাইরে অবস্থান নেয়। বাড়ির গেট ধরে
    ধাক্কা ধাক্কি করার একপর্যায়ে ছাত্রাবাসে থাকা আব্দুল গফুর গেট
    খুলে দেয়। এ সময় পুলিশ ছাত্রাবাসের আটজন সদস্যকে অস্ত্রের
    মুখে জিম্মি করে ফেলে। সদর থানার উপপরিদর্শক আবুল কাশেম
    ছাত্রাবাসে থাকা আমিনুর রহমানের পিঠের বাম দিকে গুলি করে।
    আমিনুর মেঝেতে পড়ে গেলে তার পায়েও গুলি করা হয়। একপর্য়ায়ে
    অধিক রক্তক্ষরণে আমিনুর মারা হয়। এ সময় ছাত্রাবাসে থাকা
    কয়েকজন ছাত্র শিবিরের সাত কর্মী গুলিতে জখম হন। তাদেরকে

    পুলিশের পক্ষ থেকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল ও পরে খুলনা ৫০০ শয্যা
    হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পুলিশ ছাত্রাবাস থেকে মটর
    সাইকেল , বাই সাইকলেসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র পিকআপ যোগে
    থানায় নিয়ে যায়। ময়না তদন্ত শেষে আমিনুরের লাশ তার ভাই
    হাবিবুর রহমানের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ঘটনার তারিখে রাতে
    পুলিশের পক্ষ থেকে নিহত আমিনুরসহ কয়েকজন জখমীর নামে সদর
    থানায় জিআর-৩২৮/১৪ ও ৩২৯/১৪ নং মামলা দায়ের করা হয়। ওই
    সময়কার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কারণে আসামীদের বিরুদ্ধে
    মামলা করা সম্ভব না হওয়ায় রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তণ
    হওয়ায় মামলার বিলম্বের কারণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
    বাদিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন সাতক্ষীরা জজ কোর্টের জ্যেষ্ঠ
    আইনজীবী অ্যাড. বাসারাতুল্লাহ আওরঙ্গীসহ পাঁচজন।
    সাতক্ষীরা জজ কোর্টের আইনজীবী অ্যাড. তোজামম্মেল
    হোসেন তোজাম ২৫ পুলিশ সদস্যসহ ২৮জনের বিরুদ্ধে আদালতে
    দায়েরকৃত মামলাটি এফআইআর হিসেবে গণ্য করার নির্দেশের
    বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।