Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
বিশেষ সংবাদ Archives - Daily Dakshinermashal

Category: বিশেষ সংবাদ

  • কলকাতায় গোপন কার্যালয় খুলেছে আ’লীগ

    কলকাতায় গোপন কার্যালয় খুলেছে আ’লীগ

    বিবিসি বাংলার অনুসন্ধান

    কলকাতা লাগোয়া উপনগরীটাতে শয়ে শয়ে বাণিজ্যিক কমপ্লেক্স, রাত-দিন লাখ লাখ মানুষের ভিড় সেখানে। ব্যস্ত এই এলাকায় একটি বাণিজ্যিক কমপ্লেক্সে এমন কয়েকজন যাতায়াত করছেন, যাদের কয়েক মাস আগেও সেখানে দেখা যেত না। ওই বাণিজ্যিক পরিসরে যাতায়াত করেন, এমন বেশিরভাগই চেনেন না এই নবাগতদের, চেনার কথাও নয়।

    তবে এদের অনেকেই মাত্র এক বছর আগেও বাংলাদেশের সবথেকে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন। তারা আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলির শীর্ষ এবং মধ্যম স্তরের নেতা।

    তারা যে বাণিজ্যিক কমপ্লেক্সটিতে যাতায়াত করছেন কয়েক মাস ধরে, সেখানেই ‘দলীয় দফতর’ খুলেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।  এই ‘পার্টি অফিস’টি নতুন।

    এর আগে, ২০২৪ সালের পাঁচই অগাস্ট শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়ার পরের কয়েক মাসে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে যারা ভারতে অবস্থান করছেন, তারা নিজেদের মধ্যে ছোটখাটো বৈঠক বা দলীয় দফতরের কাজকর্ম চালাতেন নিজেদের বাসাবাড়িতেই

    বড় বৈঠকগুলি অবশ্য করতে হত কোনো রেস্তরা বা ব্যাঙ্কয়েট হল ভাড়া করে। সেকারণেই একটা নির্দিষ্ট ‘পার্টি অফিস’এর দরকার ছিল বলে জানাচ্ছেন আওয়ামী লীগের নেতারা।

    কীরকম সেই ‘পার্টি অফিস’?

    বাণিজ্যিক পরিসরটির পেছনের দিকের ভবনটির আট তলায় লিফট দিয়ে উঠে বাঁদিকে গেলেই সার দিয়ে বাণিজ্যিক সংস্থার দফতর। করিডোরের দুদিকে হাল্কা বাদামী রঙের একের পর এক দরজা। তারমধ্যেই একটিতে আওয়ামী লীগের পার্টি অফিস। শুধু বাইরে কেন, পাঁচশো বা ছয়শো স্কোয়ার ফুটের ঘরটিতে উঁকি মারলেও কেউ বুঝতে পারবেন না যে এই ঘরটির সঙ্গে কোনোভাবে আওয়ামী লীগ জড়িত আছে।

    কোনো সাইন বোর্ড, শেখ হাসিনা অথবা বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের কোনো ছবি কোথাও নেই ঘরটির বাইরে বা ভেতরে।

    “বঙ্গবন্ধু বা নেত্রীর কোনো ছবি, সাইনবোর্ড কোনো কিছুই আমরা রাখি নি খুবই সচেতন ভাবে। আমরা চাইনি যে এই ঘরটার পরিচিতি প্রকাশ করতে। এমনকি একটা দলীয় দফতরে যেসব ফাইল ইত্যাদি থাকে, সেসবও এখানে রাখা হয় না। নিয়মিত দেখা-সাক্ষাৎ, বৈঠক ইত্যাদির জন্য একটা ঘর দরকার ছিল, এটা পাওয়া গেছে। এটাকে আমরা পার্টি অফিসই বলি, কিন্তু আদতে এটা একটা বাণিজ্যিক অফিস। আগে যে সংস্থা কাজ করত এখানে, তাদেরই ছেড়ে যাওয়া চেয়ার, টেবিল এসবই আমরা ব্যবহার করি,” বলছিলেন একজন আওয়ামী লীগ নেতা।

    তিনিই জানালেন, ৩০-৩৫ জনের বৈঠক এই দফতরেই হয়ে যায়, কিন্তু একটু চাপাচাপি করে বসতে হয়। ছোটখাটো বৈঠক বিভিন্ন নেতাদের বাসাবাড়িতে এখনও হয়। তবে বড় বৈঠকগুলি, যেখানে শ দুয়েক নেতা-কর্মী হাজির হওয়ার কথা, সেরকম বৈঠকের জন্য কোনো ব্যাঙ্কয়েট হল বা কোনো রেস্তরাঁর একটি অংশ ভাড়া নিয়ে নেওয়া হয়।

    কারা যাতায়াত করেন ‘পার্টি অফিসে’?

    গত বছরের পাঁচই অগাস্টের পর বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে চলে আসা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলির অনেক শীর্ষ নেতা এবং প্রাক্তন মন্ত্রীই কলকাতা বা তার আশপাশের অঞ্চলে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকছেন।

    এর বাইরে বিভিন্ন পেশাজীবী, সরকারি কর্মচারী, পুলিশ কর্মকর্তা এবং অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তারাও চলে এসেছেন ভারতে। মাস ছয়েক আগে আওয়ামী লীগের সূত্রগুলি জানিয়েছিল যে অন্তত ৭০ জন সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগের বিভিন্ন জেলার সভাপতি-সম্পাদক, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, মেয়র সহ শীর্ষ নেতৃত্বের প্রায় দুশো জন কলকাতা ও সংলগ্ন অঞ্চলে থাকছেন।

    এদের কেউ সপরিবারে থাকেন, আবার কোথাও একসঙ্গে কয়েকজন মিলেও একটা ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছেন। কারও পরিবার মাঝে মাঝে বাংলাদেশ থেকে এসেও কিছুদিন কাটিয়ে যান।

    “এখন যে সংখ্যাটা খুব বেশী বেড়েছে তা নয়। বর্তমানে দ্বাদশ সংসদের ৮০ জনের মতো সংসদ সদস্য এবং তারও আগে সংসদ সদস্য ছিলেন, এমন ১০-১২ জন নেতা আছেন এখানে। আবার এমনও কয়েকজন এসেছেন যারা কলকাতায় এসে আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া বা অন্যান্য দেশে চলে গেছেন,” বলছিলেন এক আওয়ামী লীগ নেতা।

    সহযোগী সংগঠনগুলোর শীর্ষ নেতারাও থাকেন কলকাতার আশেপাশেই।

    কলকাতা বা পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে আওয়ামী লীগের যে শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা বাস করছেন, তাদের প্রায় সবাই ‘পার্টি অফিসে’ যাতায়াত করে থাকেন।

    “তবে অফিস খোলার নির্দিষ্ট কোনো সময় নেই। যেরকম প্রয়োজন, সেরকমই আসেন নেতারা। আবার রোজই যে সবাই আসেন, তাও নয়। আসলে প্রয়োজনীয়তা ছিল একটা নির্দিষ্ট জায়গা গড়ে তোলা, সে জন্যই এই পার্টি অফিস,” জানাচ্ছিলেন ওই নেতা।

    আওয়ামী লীগের এই নতুন পার্টি দফতরের ব্যাপারে ওই বাণিজ্যিক পরিসরে যাতায়াত করা সাধারণ মানুষ যে কিছু জানবেন না, সেটাই স্বাভাবিক।

    দলেরও কোন স্তরের নেতা-কর্মীরা এই দফতরের ব্যাপারে কতটা জানেন, সেটা জানা যায় নি।

    কিন্তু এটা নিশ্চিতভাবেই বলা যায় যে ভারতীয় গোয়েন্দারা এই দফতরের ব্যাপারে জানেন এবং ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের শীর্ষ স্তরের অনুমোদন ছাড়া এই দলীয় দফতর থেকে আওয়ামী লীগের কাজকর্ম চলতে পারত না।

    যেভাবে দল চলছে এক বছর ধরে

    গত একবছরের কিছুটা কম সময় ধরে ভারত থেকেই আওয়ামী লীগ পরিচালিত হচ্ছে। দলটির নেত্রী শেখ হাসিনা দিল্লির কাছাকাছি কোথাও থাকেন, আর বড় অংশ থাকেন কলকাতা সংলগ্ন অঞ্চলে।

    তবে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন ছাত্র লীগের সভাপতি সাদ্দাম হুসেইন বলছিলেন, “এই ধারণাটা ঠিক নয় যে ভারত থেকে দল চলছে। মূল দল বা সহযোগী সংগঠনগুলোর কতজন নেতা-ই বা ভারত অথবা অন্যান্য দেশে রয়েছেন? বেশিরভাগ তো এখনও বাংলাদেশেই আছেন।”

    কিন্তু দলের নেত্রী শেখ হাসিনা এবং শীর্ষ নেতৃত্বের একটা বড় অংশ ভারতে আছেন বলে সেখান থেকেই যে রাজনৈতিক দিশা-নির্দেশ দেওয়া বা দলীয় অবস্থান চূড়ান্ত হবে, সেটাই স্বাভাবিক।

    তবুও দু সপ্তাহ আগে পর্যন্তও শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে সরাসরি দেখা হয় নি দল-নেত্রীর।

    গত ৩১শে জুলাই শীর্ষ নেতৃত্বের কয়েকজনকে দিল্লিতে এক বৈঠকে ডেকেছিলেন শেখ হাসিনা।

    আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা ওই বৈঠকের বিষয়টি বিবিসি বাংলার কাছে নিশ্চিত করেছিলেন, তবে বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে, কোথায় বৈঠক হয়েছে, সে ব্যাপারে কোনো কথা বলেননি ওই নেতারা।

    দলের নেত্রীর সঙ্গে ওই বৈঠকটি ছাড়া এবং নিজেদের মধ্যে সশরীরে দেখা সাক্ষাৎ এবং বৈঠক ছাড়া দলটির বাকি সব কাজই চলে ভার্চুয়াল মাধ্যমে।

    বিভিন্ন স্তরের নেতা কর্মীদের জন্য আলাদা হোয়াটস্অ্যাপ গ্রুপ, টেলিগ্রাম গ্রুপ ইত্যাদি গড়া হয়েছে। এছাড়া নিয়মিতই লাইভ অনুষ্ঠান করে থাকে দলটি। এরকম লাইভ অনুষ্ঠানে মাঝে মাঝেই যোগ দেন শেখ হাসিনা নিজেও।

    সেসব আলোচনাগুলিতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা যেমন হয়, তেমনই আবার মাঠ পর্যায়ের নেতা-কর্মী – যারা বাংলাদেশেই থেকে গেছেন, তাদের নির্দেশনাও দেওয়া হয়ে থাকে।

    প্রাক্তন সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথ বলছিলেন, “তথ্য প্রযুক্তির অবাধ প্রবাহের ফলে আমরা ভার্চুয়াল মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলের কর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে পারছি, তাদের মতামত জানতে পারছি, কী করণীয় সে ব্যাপারে নির্দেশনা দিতে পারছি।

    “এই ভার্চুয়াল মাধ্যমে বেশি আগ্রহ দেখা যাচ্ছে তরুণ প্রজন্মের। কোনো একটা ব্যবস্থা বদলানোতে এই তরুণ প্রজন্মের বড় ভূমিকা থাকে। আমরা ভার্চুয়াল মাধ্যমে তাদের কাছেই পৌঁছানোর চেষ্টা করছি,” বলছিলেন মি. দেবনাথ।

    ‘কর্মীরা দেশে মার খাচ্ছেন, নেতারা কেন ভারতে?’

    সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে মাঝে মাঝেই এই প্রশ্ন ওঠে যে আওয়ামী লীগের মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা যখন দেশে মার খাচ্ছেন, গ্রেফতার হয়ে জেলে যাচ্ছেন, তখন শীর্ষ নেতৃত্বের একটা বড় অংশ কেন ভারতে পালিয়ে আছেন।

    “এই প্রশ্ন ওঠা যে খুব অযৌক্তিক তা নয়। কিন্তু বাস্তবতা হল, ১৯৭১ এ যদি তখনকার নেতৃত্ব ভারতে চলে এসে প্রবাসী সরকার গঠন না করতেন, তাহলে কী বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ পরিচালনা করা সম্ভব হত? আমি ৭১-এর সঙ্গে তুলনা করছি না বর্তমান সময়ের, কিন্তু এরকম উদাহরণ আমাদের দেশেও রয়েছে, অন্যান্য দেশেও আছে যে বিদেশ থেকে দল পরিচালনা করে, শক্তি সঞ্চয় করে দেশে ফিরে ক্ষমতা দখল করেছেন নেতারা। পাকিস্তানে নওয়াজ শরিফ বা বেনজির ভুট্টো বলুন বা আমাদের দেশের তারেক রহমান। সবাই তো বিদেশ থেকেই দল পরিচালনা করেছেন বা এখনও করছেন,” বলছিলেন প্রাক্তন সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথ।

    তার প্রশ্ন, “দেশে থাকলে হয় জেলে থাকতে হত, মেরেও ফেলতে পারত। কিন্তু তাহলে আমাদের যে রাজনৈতিক কাজকর্ম – বর্তমান সরকারের ব্যর্থতা তুলে ধরা, দলকে আবারও সংগঠিত করা – সেগুলো কি আমরা করতে পারতাম?”

    নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্র লীগের সভাপতিও ভারতে

    বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্র লীগের সভাপতি সাদ্দাম হুসেইন ভারতে অবস্থান করছেন গত বছরের সেপ্টেম্বর মাস থেকে।

    তিনি বলছিলেন, “গত একবছর ধরে ক্যাম্পাসটা খুব মিস করি। দেশে থাকলেও যে গত এক বছরে ক্যাম্পাসে যেতে পারতাম তা নয়।

    “হাজার হাজার ছাত্রলীগের কর্মী-সমর্থক তারা তো দেশে থেকেও ক্যাম্পাসে যেতে পারছেন না একবছর ধরে। তাদের ক্লাস করতে দেওয়া হয় না, তারা পরীক্ষা দিতে পারেন না, পাশ করলেও সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে না। এদের সবার শিক্ষাক্রমটাই শেষ করে দেওয়া হয়েছে,” বলছিলেন মি. হোসেইন।

    “এটা যে শুধু ছাত্রলীগের কর্মীদের সঙ্গে করা হচ্ছে তা নয়। আওয়ামী লীগ করেন বা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী এমন পরিবারের ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গেও এই একই ঘটনা হচ্ছে। শুধু যে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে হচ্ছে, তাও নয়। এইচএসসি পরীক্ষা দিতে পারে নি বহু ছাত্রছাত্রী – শুধুমাত্র তারা আওয়ামী লীগ ঘরানার পরিবারের সন্তান বলে,” বলছিলেন সাদ্দাম হোসেইন।

    অর্থায়ন কী ভাবে হচ্ছে?

    ভার্চুয়াল মাধ্যমে দলীয় প্রচার প্রচারণার জন্য খুব বেশি অর্থের প্রয়োজন হয় না ঠিকই, কিন্তু খরচ তো আছে।

    আবার যেসব নেতা কর্মীরা ভারতে অবস্থান করছেন, তাদের ব্যক্তিগত খরচও চালাতে হয়। কীভাবে সেসবের জন্য অর্থের সংস্থান হচ্ছে?

    আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বিবিসিকে বলেছেন, দেশে,বিদেশে থাকা শুভাকাঙ্খীরাই তাদের খরচ চালাচ্ছেন।

    দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়েদুল কাদেরের কথায়, “সাংগঠনিক ভাবে অগাস্টের পরে যে বিপর্যয় নেমে এসেছে, সেই অন্ধকার অতিক্রম করা কঠিন কাজ। যেসব নেতা-কর্মী দেশে বা বিদেশে আছেন, তারাই এই দু:সময়ে এগিয়ে আসছেন, অর্থ সাহায্য করছেন। কর্মীরা এখানে কষ্ট করেই আছেন, তবে মনোবলই আমাদের সম্বল।”

    আরেক নেতা নাম উল্লেখ না করার শর্তে বলছিলেন, দেশ থেকে তার পরিবার-পরিজন এবং সহকর্মীরা প্রয়োজন মতো অর্থ পাঠিয়ে দেন।

    “তবে এই একবছরে আমাদের জীবনযাত্রায় অনেক পরিবর্তন আনতে হয়েছে,” বলছিলেন পঙ্কজ দেবনাথ।

    তার কথায়, “আমরা যে এখানে মানবেতর জীবন যাপন করছি, বা ৭১-এর যুদ্ধের সময়ের মতো শরণার্থী শিবিরে থাকছি তা নয়। কিন্তু আমাদের মধ্যে যাদের মধ্যবিত্ত বা উচ্চবিত্ত জীবনযাত্রা ছিল, সে সবই পরিবর্তন করতে হয়েছে। যারা ঢাকায় হয়তো গাড়ি ছাড়া চলতেন না, তাদের এখন কলকাতার গণ-পরিবহন ব্যবহার করতে হচ্ছে।

    “যেমন আমি একটি ফ্ল্যাটে আরও তিনজনের সঙ্গে থাকি। বাসে, ট্রেনে বা মেট্রো রেলে যাতায়াত করি। আবার সহকর্মীদের মোটরসাইকেল বা বাইকেও চেপে ঘোরাঘুরি করি। যদি কয়েকজন মিলে একসঙ্গে কোথাও যেতে হয়, তখন হয়তো ট্যাক্সিতে উঠলাম। ভাড়াটা ভাগাভাগি করে নিলে গায়ে লাগে না। আসলে সঞ্চিত অর্থে যতটা স্বল্প খরচে চলা যায়,” বলছিলেন মি. দেবনাথ।

    কিন্তু কতদিন থাকবেন তারা দেশ ছেড়ে?

    ওবায়েদুল কাদের বলছেন, “দিনক্ষণ ঠিক করে ওভাবে তো রাজনৈতিক লড়াই হয় না, আবার লড়াই ছাড়া উপায়ও নেই।”

     

    সৌজন্য : বিবিসি বাংলা

  • এইচটিআই এর উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন

    এইচটিআই এর উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন

    পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা এবং বৃক্ষরোপণের ব্যাপারে জনসচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে রাজশাহী মহানগরীতে বৃক্ষরোপণ ও বৃক্ষের চারা বিতরণ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে গঠিত অরাজনৈতিক, স্বেচ্ছাসেবী ও সামাজিক সংগঠন এইচটিআই (হ্যান্ডস টুগেদার ইনিশিয়েটিভস) এই কর্মসূচির আয়োজন করে।
    বৃহস্পতিবার ০৭ আগস্ট ২০২৫ সকাল ১১:০০টায় রাজশাহী শহরের সিএন্ডবি মোড় সংলগ্ন পলিমাটি চত্ত্বরে এ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ, রাজশাহী’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুঃ রেজা হাসান। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ, রাজশাহী’র সহকারী প্রকৌশলী এ,কে,এম আনোয়ার হোসেন এবং এইচটিআই এর উপদেষ্টা উপ প্রকৌশলী আলিফ মাহমুদ।
    এইচটিআই এর সভাপতি ও রেজিস্টার্ড নার্স, বিএনএমসি মো: নাহিদ হোসেন, নার্সিং শিক্ষার্থী মাহিম, ফারিয়া, সুরাইয়া, কোহিনুর,  সুমাইয়া, ঐশি, আশিক, ওমিও, সৈকত ও সাইফ এর সার্বিক সহযোগিতায় আম, আমড়া, জলপাই, কাঁঠাল, চালতা, পেয়ারা, মেহগনি ও অর্জুন গাছসহ ২৫০ টি বিভিন্ন ফলদ ও ঔষধি গাছ জনসাধারণের মাঝে বিতরণ করা হয়।
  • ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলার আশঙ্কা, সতর্কতা জারি করলো বাংলাদেশ ব্যাংক

    ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলার আশঙ্কা, সতর্কতা জারি করলো বাংলাদেশ ব্যাংক

    বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে সম্ভাব্য সাইবার হামলা সম্পর্কে সতর্ক করে আগাম নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে।

    সোমবার (৩০ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক এসএম তোফায়েল আহমদের সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ সতর্কতা জারি করা হয়।প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিভিন্ন সূত্রের ভিত্তিতে জানা গেছে, অদূর ভবিষ্যতে ব্যাংকিং ও আর্থিক খাত, স্বাস্থ্যসেবা, সরকারি ও বেসরকারি খাতের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো (Critical Information Infrastructure – CII) সাইবার হামলার ঝুঁকিতে পড়তে পারে। বিশেষ করে ছোট ও মাঝারি স্তরের সাইবার হুমকির বিষয়ে বেশি সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

    বাংলাদেশ ব্যাংক সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে তাদের সার্ভার, ডেটাবেইস এবং অন্যান্য সিস্টেমে প্রয়োজনীয় সিকিউরিটি প্যাচ আপডেট করার সুপারিশ করেছে। একইসাথে অপ্রয়োজনীয় পোর্টাল বন্ধ রাখা, ‘Least Privileged Access’ নীতি অনুসরণ, ডেটা ব্যাকআপ ও রিকভারির জন্য ৩-২-১ কৌশল বাস্তবায়ন এবং গুরুত্বপূর্ণ সিস্টেমে মাল্টি-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন (MFA) চালু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে

    তথ্যপ্রযুক্তি সিস্টেমে কোনো অনিয়ম দেখা দিলে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে Security Information and Event Management (SIEM) ও Network Intrusion Detection Systems (NIDS) ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে।

    হুমকি শনাক্ত ও প্রতিরোধে Endpoint Detection and Response (EDR) প্রযুক্তির অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার এবং নিয়মিত থ্রেট সিগনেচার আপডেট রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আইটি টিমগুলোকে সবসময় সতর্ক ও প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যেন যেকোনো ধরনের সাইবার হামলার ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে পারে।

    অস্বাভাবিক লগইন, অনুমোদনহীন ফাইল বা ডেটা পরিবর্তনের ঘটনাগুলো তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানাতে বলা হয়েছে। একইসাথে ব্যাংকগুলোকে বাহ্যিক কানেকশন নিবিড়ভাবে মনিটর করতে এবং রিমোট অ্যাকসেস, ভিপিএন এবং প্রিভিলেজড অ্যাকাউন্টসমূহ সীমিত ও নিয়মিত পর্যালোচনা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    বাংলাদেশ ব্যাংক আরও জানিয়েছে, প্রতিটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে যথেষ্ট জনবলসহ ২৪ ঘণ্টা চালু থাকা নিরাপত্তা মনিটরিং সেন্টার (Security Operations Center – SOC) পরিচালনার ব্যবস্থা নিতে হবে।

    সংস্থাগুলোর সচলতা বজায় রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের একটি শক্তিশালী ব্যাকআপ ব্যবস্থা থাকতে হবে। নিয়মিত হালনাগাদ করা ব্যবসা অব্যাহত রাখার পরিকল্পনা (Business Continuity Plan – BCP) এবং দুর্যোগ মোকাবিলা পরিকল্পনা (Disaster Recovery Plan – DRP) প্রস্তুত রাখতে হবে।×

    বাংলাদেশ ব্যাংকের এই নির্দেশনার উদ্দেশ্য হলো ব্যাংক ও আর্থিক খাতকে সাইবার ঝুঁকি থেকে আগেভাগেই সুরক্ষা দেওয়া এবং জাতীয় অর্থনীতির স্থিতিশীলতা বজায় রাখা।

  • নির্বাচন ফেব্রুয়ারির একদিন পরেও যাবে না: প্রেস সচিব

    নির্বাচন ফেব্রুয়ারির একদিন পরেও যাবে না: প্রেস সচিব

    প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম বলেছেন, আগামী চার/ পাঁচ দিন দেশের জাতীয় রাজনীতির জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। এরমধ্যেই জুলাই সনদ হয়ে যাবে। জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রধান উপদেষ্টা যে সময়সীমা দিয়েছেন, সেটা ফেব্রুয়ারির মধ্যে।

    নির্বাচন এ সময়সীমার মধ্যেই হবে। এ সময়সীমা অনুযায়ী নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে। এ সময়সীমার একদিন পরেও নির্বাচন পেছাবে না, এটা আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে আয়োজিত এক সংলাপ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোরটার্স ফোরাম- বিএসআরএফ এ সংলাপের আয়োজন করে।

    বিএসআরএফ সভাপতি মাসউদুল হকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক উবায়দল্লাহ বাদলের পরিচালনায় সংলাপে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রধান তথ্য কর্মকর্তা নিজামুক হকসহ বছর বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

    সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম বলেন, শেখ হাসিনার পতন ও পলায়নের পর দেশটা ভঙ্গুর অবস্থায় ছিল। দেশ থেকে টাকা কীভাবে পাচার হয়ে জাতীয় অর্থনীতি ধ্বংস হয়েছিল। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশকে একটি স্থিতিশীল অবস্থায় আনতে পেরেছে। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতিও সন্তোষজনক অবস্থায় এসেছে।

  • আজীবন নিষিদ্ধ হলেন সালমান এফ রহমান, জরিমানা ১০০ কোটি টাকা

    আজীবন নিষিদ্ধ হলেন সালমান এফ রহমান, জরিমানা ১০০ কোটি টাকা

    বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান এবং ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শিল্প ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানকে পুঁজিবাজারে বন্ড ইস্যুতে প্রতারণার অভিযোগে ১০০ কোটি টাকা জরিমানার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। একই সঙ্গে তাকে পুঁজিবাজারে আজীবনের জন্য অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে।

    এছাড়া বিএসইর সাবেক চেয়ারম্যানকে শিবলী রুবাইয়াতও পুঁজিবাজারে আজীবনের জন্য অবাঞ্ছিত ঘোষিত হয়েছেন।

    মঙ্গলবার পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৯৬৫তম কমিশন সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিএসইসি আজ বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানিয়েছে। পুঁজিবাজার অনুসন্ধান ও তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শ্রীপুর টাউনশিপ গ্রিন জিরো কুপন বন্ড ২০২৩ সালের ৪ জুন ১৫০০ কোটি অভিহিত মূল্যে এবং ১০০০ কোটি টাকা ইস্যু মূল্যে অনুমোদন দেয় তৎকালীন বিএসইসি। শ্রীপুর টাউনশিপ নামে একটি কোম্পানি নিবন্ধিত হওয়ার পরপরই তারা বন্ড ইস্যুর আবেদন করে। কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ছিল ৩৫০ কোটি টাকা এবং মাত্র ৪ দিনের ব্যবধানে ২৪৮ কোটি টাকা ভূমি উন্নয়নের জন্য উত্তোলন করা হয়। কমিশনের কাছে যা প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। আইএফআইসি ব্যাংক ওই বন্ড ইস্যু করেনি, জামিনদার ছিল। কিন্তু  ‘আইএফআইসি আমার বন্ড’ নামে বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে টাকা উত্তোলন করা হয়। সালমান এফ রহমান ওই সময় ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ছিলেন।

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, ‘বেক্সিমকো সিকিউরড কনভার্টিবল অর রিডিমেবল অ্যাসেট-ব্যাকড গ্রিন সুকুক’ নামে একটি ৩০০০ কোটি টাকা পাঁচ বছর মেয়াদি বন্ড ২০২১ সালের ২৩ জুন অনুমোদন হয়। এ বন্ডের ক্ষেত্রেও ব্যাপক অনিয়ম পেয়েছে তদন্ত কমিটি। ২০২১ সালের ১৭ জুলাই অনুমোদিত পাঁচশ কোটি টাকার সুকুকের মধ্যে বেক্সিমকো কর্তৃপক্ষ অনুমোদনের শর্ত লঙ্ঘন করে ৩২৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। এতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

    বিএসইসি আরও জানায়, অনিয়মের ঘটনায় বেক্সিমকোর পরিচালক নাসিমা রহমান, ড. শামসুন আহমেদ এবং এ এম আহসান উল্লাহকে ৫ বছরের জন্য পুঁজিবাজারে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। আইএফআইসি ব্যাংকের তৎকালীন মনোনীত পরিচালক নাজমুস সাকিব, গোলাম মোস্তফা, জাফর ইকবাল, কামরুন নাহার আহমেদ ও সাবেক স্বতন্ত্র পরিচালক শুদ্ধাংশু শেখর বিশ্বাসকে সতর্ক করা হয়েছে। এছাড়া রেটিং প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান এমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেডকে (ইসিআরএল) ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সুকুকের গ্রিন ভ্যালিডেশন প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ইসিআরএল এবং নিরীক্ষক এমজে আবেদিন অ্যান্ড কো. চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টসের ভূমিকাও তদন্ত করে দেখা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধেও বিধি লঙ্ঘনের প্রমাণ মিলেছে।

  • আশাশুনিতে আইন শৃংখলা  কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

    আশাশুনিতে আইন শৃংখলা  কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

    আশাশুনি উপজেলা আইন শৃংখলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বেলা ১১টায় উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
    উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সভায় সভাপতিত্ব করেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার কৃষ্ণা রায়। সভায় আশাশুনি সেনা ক্যাম্প কমান্ডার লে. আব্দুল কাদের, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল অদুদ, বিএনপি নেতা স ম হেদায়েতুল ইসলাম, মশিউল হুদা তুহিন, জাকির হোসেন বাবু, জামায়াতের উপজেলা আমীর আবু মুছা তারিকুজ্জামান তুষার, নায়েবে আমীর নূরুল আফছার মোর্তজা, ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল কুদ্দুছ, মাওঃ আবু বক্কর ছিদ্দিক, হাজী আবু দাউদ ঢালী, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বাচ্চু, প্যানেল চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, আশাশুনি আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. আবুল হাসান, প্রেস ক্লাব সভাপতি জি এম আল ফারুক, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সাইফুল ইসলাম, সমাজ সেবা অফিসার মোঃ রফিকুল ইসলাম, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম, শিক্ষা অফিসার স্বপন কুমার বর্মন প্রমুখ আলোচনা রাখেন। সভায় উপজেলার সার্বিক আইন শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হয়।
  • আশাশুনিতে খাদ্যবান্ধব ডিলার  নিয়োগে উন্মুক্ত লটারী অনুষ্ঠিত

    আশাশুনিতে খাদ্যবান্ধব ডিলার  নিয়োগে উন্মুক্ত লটারী অনুষ্ঠিত

    আশাশুনি প্রতিনিধি:
    আশাশুনি উপজেলায় খাদ্যবান্ধব ডিলার নিয়োগের নিমিত্তে উন্মুক্ত লটারী অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৭ জুলাই) বেলা ১১.৩০ টায় উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে কমিটির সদস্য, আবেদনকারী, গন্যমান্যব্যক্তি ও সাংবাদিকদের উপস্থিতে প্রকাশ্যে লটারী করা হয়।
    উপজেলা খাদ্য বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, উপজেলা খাদ্যবান্ধব কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার কৃষ্ণা রায়। খাদ্যবান্ধব কমিটির সদস্য সচিব উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা, সদস্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, সমাজ সেবা কর্মকর্তা, পরিসংখ্যান কর্মকর্তা, শিক্ষা কর্মকর্তা, প্রেস ক্লাবের সভাপতির উপস্থিতিতে লটারী পরিচালনা করা হয়। উপজেলার ১০ ইউনিয়নে ৩৬ টি ডিলার নিয়োগের জন্য ১২০ জন আবেদন করেন। লটারীর মাধ্যমে ৩৬ জনকে নির্বাচিত করা হয়। উন্মুক্ত লটারীর মাধ্যমে স্বচ্ছভাবে ডিলার নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সকলে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
  • একনেক সভায় ৮ হাজার ১৪৯ কোটি ৩৮ লাখ টাকার ১২ প্রকল্প অনুমোদন

    একনেক সভায় ৮ হাজার ১৪৯ কোটি ৩৮ লাখ টাকার ১২ প্রকল্প অনুমোদন

    জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) আজ ৮ হাজার ১৪৯ কোটি ৩৮ লাখ টাকা ব্যয় সম্বলিত ১২টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে।

    একনেকের চেয়ারপারসন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে আজ পরিকল্পনা কমিশন চত্বরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়।

    অনুমোদিত ১২টি প্রকল্পের মধ্যে ছয়টি নতুন, চারটি সংশোধিত এবং ব্যয় বৃদ্ধি ব্যতিরেকে মেয়াদ বৃদ্ধির দুইটি প্রকল্প রয়েছে।

    পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

    আজকের সভায় অনুমোদিত ১২টি প্রকল্প হলো- গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প, কর্ণফুলী নদীর তীর বরাবর কালুরঘাট সেতু হতে চাক্তাই খাল পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ (২য় সংশোধিত ৪র্থ বার বৃদ্ধি) প্রকল্প। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুইটি প্রকল্প (১) ‘দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ২০টি (১২টি নতুন ও আটটি ফায়ার স্টেশন পুনঃনির্মাণ) ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ষ্টেশন স্থাপন’ এবং (২) ‘বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের জন্য লজিস্টিকস ও ফ্রিট মেইনটেন্যান্স ফ্যাসিলিটিস গড়ে তোলা (প্রস্তাবিত ২য় সংশোধিন)। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দুইটি প্রকল্প, (১) ‘গ্রামীণ স্যানিটেশন প্রকল্প’ এবং (২) ‘বহদ্দারহাট বাড়াইপাড়া হতে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত খাল খনন’ (৩য় সংশোধিন) প্রকল্প। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প ‘বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের রেলপথ রক্ষণাবেক্ষণ ও পুনর্বাসন। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প ‘মিরপুর সেনানিবাসে ডিএসসিএসসি’র অফিসার্স মেস ও বিওকিউ নির্মাণ’ (১ম সংশোধিত) প্রকল্প। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিকতর উন্নয়ন’ প্রকল্প। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প, ‘উপজেলা পর্যায়ে মহিলাদের জন্য আয়বর্ধক (আইজিএ) প্রশিক্ষণ (২য় পর্যায়)’। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প, ‘বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের জাদুঘর ভবন সম্প্রসারণ এবং অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ’ (১ম সংশোধিত ৪র্থ বার বৃদ্ধি)। কৃষি মন্ত্রণালয়ের একটি ‘কন্দাল ফসল গবেষণা জোরদারকরণ প্রকল্প। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প ‘স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটারিং প্রজেক্ট ইন ডিস্ট্রিবিউশন জোনস অফ বিপিডিবি (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে।

    আজকের সভায় পরিকল্পনা উপদেষ্টা কর্তৃক ইতোমধ্যে অনুমোদিত ১৮টি প্রকল্প সম্পর্কে একনেক সদস্যদের অবহিত করা হয়। সেগুলো হলো- ১. গ্রাম সড়ক পুনর্বাসন প্রকল্প (২য় সংশোধিত), ২. ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা (২য় সংশোধিত) প্রকল্প, ৩. পেস্টিসাইড রিস্ক রিডাকশন ইন বাংলাদেশ (২য় সংশোধিত) প্রকল্প, ৪. ইউনিয়ন পর্যায়ে মৎস চাষ প্রযুক্তি সেবা সম্প্রসারণ (৩য় পর্যায়) প্রকল্প, ৫. হাতি সংরক্ষণ প্রকল্প, ৬. বন্যাপ্রবণ ও নদীভাঙ্গন এলাকায় বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ (৩য় পর্যায়) (২য় সংশোধিত), ৭. বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ (২য় সংশোধিত), ৮. গাজীপুর সাফারী পার্কের অত্যাবশ্যকীয় ব্যবস্থাপনা সহায়ক প্রকল্প, ৯. যান্ত্রিক পদ্ধতিতে ধান চাষাবাদের লক্ষ্যে খামার যন্ত্রপাতি গবেষণা কার্যক্রম বৃদ্ধিকরণ (২য় সংশোধিত), ১০. জিএনএসএস করস এর নেটওয়ার্ক পরিধি সম্প্রসারণ এবং টাইডাল স্টেশন আধুনিকীকরণ (২য় সংশোধিত), ১১. ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন ৪৩ নং ওয়ার্ডের ৩০০ ফুট পূর্বাচল সড়ক সংলগ্ন তলনা এলাকার অবকাঠামো উন্নয়ন, ১২. রাজশাহী মহানগরীর সমন্বিত নগর অবকাঠামো উন্নয়ন (১ম সংশোধিত), ১৩. আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর অস্ত্রাগার (১ম পর্যায়ে ৪০টি) নির্মাণ (২য় সংশোধিত), ১৪. চট্টগ্রামস্থ বাংলাদেশ নৌবাহিনী ডকইয়ার্ড টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের অবকাঠামো উন্নয়ন ও বর্ধিতকরণ, ১৫. ফেনী পৌরসভা অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (২য় সংশোধিত), ১৬. জামালপুর জেলা কারাগার পুনঃনির্মাণ (১ম সংশোধিত), ১৭. শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপন (২য় সংশোধিত), ১৮. দেশি ও বিদেশি উৎস থেকে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান-২০২৪ এর অডিও ভিজ্যুয়াল দলিল সংগ্রহ ও সংরক্ষণ এবং প্রকল্পের ২টি নাম পরিবর্তন ১. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহামন নভোথিয়েটার, বরিশাল স্থাপন (২য় সংশোধিত) এর পরিবর্তে নভোথিয়েটার, বরিশাল স্থাপন (২য় সংশোধিত) ২. মুজিবনগর সেচ উন্নয়ন প্রকল্প (২য় সংশোধিত) এর পরিবর্তে কুষ্টিয়া, মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গা জেলায় সেচ উন্নয়ন প্রকল্প।

  • জীবন-মৃত্যুর পরিস্থিতি না হলে সাধারণ মানুষ ঘর থেকে বের হবেন না: আসিফ

    জীবন-মৃত্যুর পরিস্থিতি না হলে সাধারণ মানুষ ঘর থেকে বের হবেন না: আসিফ

    জীবন-মৃত্যুর পরিস্থিতি না হলে গোপালগঞ্জে সাধারণ মানুষকে ঘর থেকে বের না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। বুধবার (১৬ জুলাই) ফেসবুকে এক পোস্টে এ আহ্বান জানান তিনি।

    তিনি লিখেছেন, গোপালগঞ্জে কারফিউ জারি করা হয়েছে। জীবন-মৃত্যুর মতো পরিস্থিতি না হলে সাধারণ জনগণ কেউ ঘর থেকে বের হবেন না।

    তিনি আরও বলেন, সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। নিষিদ্ধ সংগঠনের সন্ত্রাসীদের ভেঙে দেওয়া হবে। পুলিশ কন্ট্রোল রুম থেকে সবকিছু মনিটরিং এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টাসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রধানরা।

    এর আগে সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পাঠানো এক বার্তায় কারফিউয়ের কথা জানানো হয়। বার্তায় বলা হয়, আজ বুধবার রাত ৮টা থেকে পরদিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়েছে।

    জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে জেলার বিভিন্ন স্থানে ঘটে যাওয়া অস্থিরতা ও সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কারফিউ চলাকালীন সময়ে জনসাধারণের চলাচল সীমিত থাকবে এবং বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বের হতে পারবে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাঠে থাকবে এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে।

  • সাতক্ষীরায় ভারী বৃষ্টিতে পানিবন্দী শত শত পরিবার

    সাতক্ষীরায় ভারী বৃষ্টিতে পানিবন্দী শত শত পরিবার

    টানা প্রায় দুই সপ্তাহ পর দুইদিন বিরতি দিয়ে সাতক্ষীরা (১৪ জুলাই) ফের শুরু হয়েছে ব্যাপক বৃষ্টিপাত। এতে করে সাতক্ষীরা পৌরসভার নিম্নাঞ্চলের পাশপাশি সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে ভয়াবহ জলাবদ্ধতা। বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে বিল, খাল, পুকুর, মাছের ঘের, রাস্তাঘাট, আউশ ধানের ক্ষেত ও আমন বীজতলা। বৃষ্টির কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ ও কৃষকরা। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্লাবিত এলাকার বহু পরিবার।

    খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাতক্ষীরা পৌরসভার কামালনগর, ইটাগাছা, পলাশপোলের মধুমোল্লারডাঙি, মেহেদীবাগ, রসুলপুর, বকচরা, রাজারবাগান, বদ্দিপুর কলোনি, রইচপুর, মধ্য কাটিয়া, রথখোলার বিল, গদাইবিল, মাঠপাড়া, পার-মাছখোলা ও পুরাতন সাতক্ষীরার মতো নিম্নাঞ্চল পানিতে তলিয়ে গেছে। সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা পৌরসভার ৭ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকা। একই সাথে সদর উপজেলার আলিপুর, কাশেমপুর, বালিয়াডাঙ্গা, বাবুলিয়া, লাবসার মাগুরা, খেজুরডাঙি, গোপিনাথপুর, বল্লী, বিনেরপোতা, শাল্যে, মাছখোলাসহ উপজেলার নিম্নাঞ্চলের বহু এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। বৃষ্টির পানি দ্রুত নিষ্কাশন হতে না পারায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে এসব অঞ্চলের বহু পরিবার। ঘরের ভিতর পানি ঢুকে পড়ায় অনেকেই মাচান বানিয়ে সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন।

    প্লাবিত এসব এলাকার কিছু পরিবারকে কলাগাছের ভেলায় চলাফেরা করতে দেখা গেছে। রান্না ঘরে পানি উঠায় পানিবন্দী পরিবারগুলোতে রান্নাবান্না একরকম বন্ধ রয়েছে। চুলায় আগুন জ্বালানো তো দূরের কথা, খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে ভুগছেন অনেক পরিবার। টিউবওয়েল ডুবে গেছে পানিতে। বাড়ির উঠানে হাটু সমান পানি। ছেলে-মেয়েদের স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। চরম দুর্ভোগের মধ্যে রযেছে প্লাবিত এলাকার এসব মানুষ।

    সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিস জানায়, মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) দুপুর ১২টা পর্যন্ত সোমবার ভোর রাত থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে ১৪৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া ১ জুলাই থেকে ১৫ জুলাই দুপুর ১২ টা পর্যন্ত মোট ৫৩৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

    আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন বলেন, টানা বৃষ্টিতে শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে পানি জমে গেছে। বুধবার (১৬ জুলাই) থেকে বৃষ্টিপাত কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

    এদিকে, টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে রোপা আউশ ধানের ক্ষেত, আমন ধানের বীজতলা। সদর উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় থাকা মৎস্য ঘেরগুলোতেও পানি ঢুকে পড়েছে। অনেক ঘেরে সঠিক ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বিল একাকার হয়ে গেছে।

    কৃষকরা জানিয়েছেন, বীজতলা নষ্ট হওয়ায় এবার আমন রোপণে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। নিম্নাঞ্চলের পুকুর, সড়ক ও খানাখন্দ তলিয়ে যাওয়ায় ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে যাচ্ছে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

    স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, পৌরসভার জলাবদ্ধতা নিরসনে দীর্ঘমেয়াদি কোনো কার্যকর পদক্ষেপ না থাকায় প্রতিবছর বর্ষা এলেই ডুবে যায় পৌরসভার নিম্নাঞ্চলের পাশপাশি শহরতলীর বিভিন্ন এলাকা।

    সাতক্ষীরা পৌরসভার প্রশাসক মাশরুবা ফেরদাউস বলেন, দ্রুত পানি নিষ্কাশনের জন্য পৌর এলাকার ড্রেনগুলো পরিষ্কার করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে সব ড্রেনের মুখগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। আমাদের পৌরসভার কর্মীরা ৭ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে যে সকল খাল রয়েছে তার কচুরিপানা পরিষ্কার করছে, যাতে দ্রুত পানি নিষ্কাশন হয়।

    তিনি আরও বলেন, পৌর সভার পানি নিষ্কাশনে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সার্কিট হাউস থেকে বাইপাস পর্যন্ত একটি বড় ড্রেন নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাজেটের সঙ্গে সঙ্গে বাকি কাজগুলোও বাস্তবায়ন করা হবে।

    সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুর রহমান তাযকিয়া বলেন, সদর উপজেলার বিভিন্ন নিম্নাঞ্চলের পাশাপাশি পৌরসভার কয়েকটি এলাকার নিম্নাঞ্চলে জমে থাকা বৃষ্টির পানি যাতে দ্রুত নিষ্কাশিত হতে পারে সেজন্য বেতনা নদীর গাবতলা-উত্তর চাপড়া এলাকায় দেওয়া আড়াআড়ি বাঁধ কেটে দেওয়া হয়েছে। এখন উজান থেকে পানি দ্রুত ভাটায় নেমে যাচ্ছে।

    সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. সাইফুল ইসলাম জানান, গত কয়েকদিনের টানা বর্ষায় ২ হাজার হেক্টর জমির আউস ধান, ধানের বীজতলা ও সবজি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পুরো ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পেতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে।

  • কালিঞ্চীর কাঁচা রাস্তায় চরম দুর্ভোগ, উন্নয়নের ছোঁয়া চায় এলাকাবাসী

    কালিঞ্চীর কাঁচা রাস্তায় চরম দুর্ভোগ, উন্নয়নের ছোঁয়া চায় এলাকাবাসী

    সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কালিঞ্চী গ্রামের প্রধান সড়কটি বছরের পর বছর কাঁচা অবস্থাতেই রয়ে গেছে। এ সড়ক দিয়েই প্রতিদিন শত শত মানুষ চলাচল করেন। কিন্তু বর্ষা এলেই রাস্তাটি হয়ে ওঠে দুর্ভোগের প্রতীক। হাঁটু সমান কাদা ও জলাবদ্ধতা পেরিয়ে চলতে হয় তাদের।
    স্থানীয়দের অভিযোগ, বর্ষা মৌসুমে এ রাস্তায় হেঁটে চলাও বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। কোনো রোগী অসুস্থ হলে অ্যাম্বুল্যান্স তো দূরের কথা, সাধারণ যানবাহনও আসতে পারে না। অনেক সময় বয়স্ক ও অসুস্থ রোগীদের খাটিয়ায় করে গ্রামের বাইরে নিয়ে যেতে হয়। এতে রোগীর শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়।
    শুধু রোগী পরিবহন নয়, কালিঞ্চীর শত শত শিক্ষার্থী প্রতিদিন এই কাঁচা রাস্তা দিয়েই বিদ্যালয়ে যায়। তবে বর্ষাকালে রাস্তাটি এতটাই কর্দমাক্ত থাকে যে অনেক শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে দেয়। এতে তাদের পড়াশোনায় চরম ব্যাঘাত ঘটে।

    গ্রামের কৃষকরাও এই রাস্তার কারণে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েন। ধান, সবজি কিংবা মাছ বিক্রি করতে সময়মতো বাজারে পৌঁছানো যায় না। কাদা-পানির জন্য যানবাহন ঢুকতে না পারায় উৎপাদিত পণ্য মাঠেই নষ্ট হয়ে যায় বা অনেক কম দামে বিক্রি করতে হয়।
    স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে পাকা সড়কের দাবি জানিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসনের দপ্তরে একাধিকবার আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু আজও কোনো বাস্তব উন্নয়ন হয়নি। ফলে দিন দিন জনমনে হতাশা বাড়ছে।
    এলাকাবাসী মনে করেন, একটি পাকা সড়ক শুধু চলাচলের সুবিধাই দেবে না, এটি বদলে দিতে পারে একটি পুরো এলাকার জীবনমান। শিক্ষা, চিকিৎসা ও অর্থনীতির উন্নয়নের জন্য রাস্তাটি পাকাকরণ অত্যন্ত জরুরি। এ কারণে তারা দ্রুত এই সড়কটি পাকাকরণের দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে।
    তাদের প্রত্যাশা, স্থানীয় প্রশাসন ও সরকারের সদিচ্ছায় শিগগিরই কালিঞ্চী গ্রামের মানুষও পাবে একটি নিরাপদ ও টেকসই সড়ক, যা তাদের জীবনে আনবে স্বস্তি ও স্থিতি।
  • বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতি খুবই ভালো অবস্থায় : বিশ্বব্যাংক

    বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতি খুবই ভালো অবস্থায় : বিশ্বব্যাংক

    বাংলাদেশের বর্তমান সামষ্টিক অর্থনৈতিক অবস্থা প্রায় এক বছর আগের তুলনায় খুবই ভালো অবস্থায় আছে বলে মন্তব্য করেছে বিশ্বব্যাংক।

    সচিবালয়ে আজ অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এই মন্তব্য করেন বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট জোহানেস জুট।

    বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিশ্বব্যাংকের মন্তব্য হচ্ছে-বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক অবস্থা এখন খুবই ভালো।’

    তিনি বলেন, ‘প্রায় এক বছর আগে আমরা আশঙ্কা করেছিলাম, পরিস্থিতি আমাদের জন্য খুব কঠিন হয়ে উঠতে পারে।  কিন্তু এখন আমরা মনে করছি আমরা সঠিক পথে এগিয়ে যাচ্ছি।’

    অর্থ উপদেষ্টা বলেন, নতুন দায়িত্বে জোহানেস জুট এখন থেকে দক্ষিণ এশিয়ায় বিশ্বব্যাংকের কার্যক্রম দেখবেন এবং তার অফিস ওয়াশিংটনের পরিবর্তে নয়াদিল্লিতে থাকবে।

    তিনি বলেন, জোহানেস জুট বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের চলমান বিভিন্ন প্রকল্প ও বাজেট সহায়তার বিষয়ে অবহিত আছেন।

    তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে বলে প্রায় এক বছর আগে মনে করা হলেও, বর্তমানে সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্বব্যাংক সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে।

    ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট দেশের আর্থিক খাত, পেমেন্ট ব্যালান্স এবং বৈদেশিক মুদ্রা খাতের উন্নত অবস্থা স্বীকার করেছেন।

    তিনি বলেন, জোহানেস জুট বেসরকারি খাতের বিকাশ এবং আরও বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) আকর্ষণের উপর গুরুত্বারোপ করেছেন।

    অর্থ উপদেষ্টা বলেন, অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো বলে স্বীকার করেছেন জোহানেস জুট।

    তিনি আরও বলেন, ১০-১২ বছর আগে বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে যে পরিবর্তন হয়েছে, তা জুট ইতিবাচকভাবে উল্লেখ করেছেন।

    বৈঠকে আইএফসি’র কার্যক্রম সম্পর্কিত বিষয়ও আলোচনা হয়।

    এক প্রশ্নের উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিশ্বব্যাংকের কাছে চাওয়া সব সহায়তা  পেয়েছে।
    তিনি বলেন, আগামী অক্টোবর মাসে বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ গ্রুপের বার্ষিক সভায় প্রত্যাশিত সহায়তার পরবর্তী ধাপ উত্থাপন করা হবে ।

    অপর এক প্রশ্নের জবাবে ড. সালেহউদ্দিন বলেন, আর্থিক খাতে, বিশেষ করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) নেওয়া সংস্কার উদ্যোগে বিশ্বব্যাংক সন্তুষ্ট।

    তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ব্যাংকগুলোর পুনর্গঠন শুরু হয়েছে এবং এনবিআরকে দুটি পৃথক সংস্থায় বিভাজনের সিদ্ধান্তের পূর্ণ বাস্তবায়ন দেখতে চায় বিশ্বব্যাংক, যদিও এতে কিছুটা সময় লাগবে।

    সালেহউদ্দিন বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর, লালদিয়ায় কনটেইনার টার্মিনাল সম্পর্কেও আলোচনা হয়েছে এবং  বিশ্বব্যাংক অবকাঠামো খাতে সহায়তা দিতে সম্মত হয়েছে।

    মার্কিন শুল্ক ইস্যু নিয়ে জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বাণিজ্য উপদেষ্টা ও আলোচনা প্রতিনিধি দলের প্রধান দেশে ফেরার পর এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।

    বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের নতুন ভাইস প্রেসিডেন্ট জোহানেস জুট গতকাল ঢাকায় এসেছেন।

    স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে বিশ্বব্যাংক এখন পর্যন্ত প্রায় ৪৬ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছে, যার বেশিরভাগই অনুদান বা স্বল্প সুদে ঋণ।

  • মিটফোর্ডে ব্যবসায়ীকে হত্যার প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভ

    মিটফোর্ডে ব্যবসায়ীকে হত্যার প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভ

    চাঁদা না দেওয়ায় রাজধানীর পুরান ঢাকায় স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের সামনে লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ নামে এক ব্যবসায়ীকে পাথর মেরে নৃশংসভাবে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে ঢাকা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, সাতক্ষীরা জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ ।
     শনিবার (১২ জুলাই) বিকালে সাতক্ষীরা শহীদ আসিফ চত্বরে এ  বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন তারা ও  স্লোগান দেন।
    এ সময় জড়িতদের দ্রুত বিচারের দাবিতে,আহবায়ক আরাফাত হোসাইন ,মুখপাত্র মোহিনী পারভিন, যুগ্ম সদস্য সচিব তামীম তাসনীম,যুগ্ম সদস্য সচিব রাহাত নূহা আনছারীসহ  সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে অংশ নেয়।
    এসময় নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘আমাদের একজন ভাইকে পাথর দিয়ে মারা হয়েছে। আমরা পরিষ্কারভাবে বলছি, আপনারা যদি লাশের রাজনীতি বন্ধ না করেন, তাহলে শেখ হাসিনা যে পথে গিয়েছে, আপনাদেরও সে পথে যেতে হবে। আপনারা যদি হাসিনার পথ অবলম্বন করেন, তাহলে হাসিনার মতোই আপনাদের পরিণতি হবে।
  • সাফের শুরুতেই কাঁপন: শ্রীলঙ্কাকে ৯-১ গোলে গুঁড়িয়ে দিলো বাংলাদেশ!

    সাফের শুরুতেই কাঁপন: শ্রীলঙ্কাকে ৯-১ গোলে গুঁড়িয়ে দিলো বাংলাদেশ!

    সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে পরিষ্কার ফেভারিট হিসেবে মাঠে নেমেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। আগের দিন তিন প্রতিপক্ষই তাদের সমীহ করার কথা জানিয়েছিল। শুক্রবার (১১ জুলাই) টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচেই সেই প্রমাণ মিলেছে বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায়। শ্রীলঙ্কান মেয়েদের বিপক্ষে প্রথমার্ধেই ৩-০ গোলে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। শেষপর্যন্ত আফিদা খন্দকারের দল ৯-১ গোলের বিশাল ব্যবধানে প্রতিপক্ষকে উড়িয়ে দেয়। হ্যাটট্রিক করেন মোসাম্মৎ সাগরিকা।

    বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় আজ থেকে শুরু হয়েছে অনূর্ধ্ব-২০ নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। দক্ষিণ এশিয়ার নারী ফুটবলে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠত্ব আগে থেকেই ছিল। কিছুদিন আগেই নারী এশিয়া কাপে প্রথমবারের মতো জায়গা করে নেয় লাল-সবুজরা। সেই সিনিয়র দলের আটজন খেলোয়াড় এবার খেলছেন এই অনূর্ধ্ব-২০ দলে। তাই স্বাগতিক দলের এমন দাপুটে জয় প্রত্যাশিতই ছিল।

    লঙ্কানদের বিপক্ষে সাগরিকার হ্যাটট্রিক ছাড়াও মুনকি আক্তারের জোড়া গোল এবং স্বপ্না রানী, রুপা, শান্তি মার্দি ও শিখা আক্তার একটি করে গোল করেন। নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষে ইনজুরি সময়ে একটি গোল শোধ দেয় শ্রীলঙ্কা।

    মিয়ানমারে অনুষ্ঠিত এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের জন্য ঘোষিত ২৩ সদস্যের স্কোয়াড থেকে আটজনকে একাদশে রাখেন কোচ পিটার বাটলার। শুরু থেকেই বাংলাদেশের আক্রমণের সামনে জর্জরিত হয় লঙ্কান রক্ষণভাগ। ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই ফ্রি-কিক থেকে দুর্দান্ত এক গোল করে বাংলাদেশকে এগিয়ে দেন স্বপ্না রানী। চতুর্থ মিনিটে বাঁ দিক দিয়ে এগিয়ে গিয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মুনকি আক্তার। ৩৭ মিনিটে শিখা আক্তারের ক্রস থারুশিকা আটকাতে গিয়ে ভুল করেন, সুযোগ বুঝে বল জালে জড়ান সাগরিকা।

    বিরতির পর অধিনায়ক আফিদা খন্দকারসহ তিনজনকে উঠিয়ে নেন কোচ বাটলার। তবে এতে বাংলাদেশের খেলায় কোনো ভাটা পড়েনি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সাগরিকার পাস থেকে মুনকি গোল করেন। ৫০ মিনিটে বাঁ দিক থেকে আসা ক্রস ধরে শিখা নিখুঁত প্লেসিংয়ে গোল করেন। তিন মিনিট পর একক প্রচেষ্টায় সাগরিকা নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন।

    ৫৮ মিনিটে পূজার কাটব্যাকে প্লেসিং শটে নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করেন সাগরিকা। ৮৩ মিনিটে রুপার গোলে স্কোরলাইন দাঁড়ায় ৮-০। ইনজুরি সময়ে শ্রীলঙ্কার লালিয়ান একটি গোল শোধ দেন। আর ম্যাচের একদম শেষ মুহূর্তে শান্তি মার্দির গোলে ৯-১ ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।

  • সুধীজনদের সাথে তালায় নবাগত ইউএনও’র মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

    সুধীজনদের সাথে তালায় নবাগত ইউএনও’র মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

    তালায় সুধীজনদের সঙ্গে নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপা রানী সরকারের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৯ জুলাই) সকাল ১১টায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে তালা উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    সভায় সভাপতিত্ব ও স্বাগত বক্তব্য দেন তালা উপজেলার নবাগত নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা পরিষদের প্রশাসক দীপা রানী সরকার। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাসুদুর রহমানের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন তালা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মাইনউদ্দিন, পাটকেলঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ শাহিনুর রহমান, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাজমুন নাহার, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজিরা খাতুন, তালা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মৃণাল কান্তি রায়, সাতক্ষীরা জেলার নায়েবে আমীর ডা. মাহমুদুল হক, জামায়াতে ইসলামীর তালা উপজেলার আমীর মাওলানা মফিদুল ইসলাম, তালা মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শেখ শফিকুল ইসলাম, জালালপুর ইউপি চেয়ারম্যান এম মফিজুল হক লিটু, ধানদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, ইসলামকাটি ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক, খেশরা ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম লাল্টু, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক মোশাররফ হোসেন, উপজেলা নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, তালা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম হাকিম, পাটকেলঘাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি আব্দুল মোমিন, তালা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন, যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাইদুর রহমান সাঈদ, তালা বাজার বণিক সমিতির যুগ্ম আহ্বায়ক স. ম. ইসমাইল উল্লাহ এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আব্দুল কাদের প্রমুখ।

     

  • এসএসসির ফল প্রকাশ ১০ জুলাই

    এসএসসির ফল প্রকাশ ১০ জুলাই

    এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের সময়সীমা ঘনিয়ে আসছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ১০ জুলাই ফল প্রকাশ হতে পারে বলে শিক্ষা বোর্ড সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে ইঙ্গিত মিলেছে।

    যদিও এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে দিন নির্ধারিত হয়নি, তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সূত্র বলছে— ওই তারিখে ফল প্রকাশের জোর প্রস্তুতি চলছে।

    সোমবার (৭ জুলাই) ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক উপকমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার বলেন, ফল তৈরির কাজ শেষ। আমরা কয়েকটি সম্ভাব্য তারিখ চূড়ান্ত করে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছি। মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিলে সেই দিনেই ফল প্রকাশ করা হবে।’

    তবে তিনি সরাসরি ১০ জুলাই তারিখ উল্লেখ না করলেও, সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে— শিক্ষা বোর্ডগুলো মন্ত্রণালয়ে যে প্রস্তাব পাঠাতে যাচ্ছে, তাতে ১০ জুলাই এর নামও রয়েছে। ফলে অনুমোদন মিললে সেটিই চূড়ান্ত দিন হিসেবে ঘোষিত হতে পারে।

    এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, প্রধান উপদেষ্টার সম্মতির ভিত্তিতে দিন নির্ধারণ করা হবে। মন্ত্রণালয় চূড়ান্ত তারিখ অনুমোদন করার পর তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে।

    সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের এসএসসি, মাদরাসা বোর্ডের দাখিল ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের এসএসসি (ভোকেশনাল) এই তিন ধারার ফলই একযোগে প্রকাশ হবে। মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১৮ লাখ ২৮ হাজার।

    এর মধ্যে ৯টি সাধারণ বোর্ডে পরীক্ষায় অংশ নেয় ১৪ লাখ ৯০ হাজার ১৪২ জন, মাদ্রাসায় ২ লাখ ৯৪ হাজার ৭২৬ জন এবং কারিগরিতে ১ লাখ ৪৩ হাজার ৩১৩ জন।

    বোর্ড সূত্রে আরও জানা গেছে, ফলাফল প্রকাশের দিন সকাল ১০টা থেকে শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ বোর্ডের ওয়েবসাইটে রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে ফল জানতে পারবে। এছাড়া নির্ধারিত ফরম্যাটে মোবাইল ফোনে এসএমএস পাঠিয়েও ফল জানা যাবে।

    চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ১৫ ফেব্রুয়ারি এবং শেষ হয় ১৫ মে। প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী, পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ কর্মদিবসের মধ্যে ফল প্রকাশের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সে হিসেবে ১৫ জুলাইয়ের মধ্যেই ফল প্রকাশ করতে হবে।

  • দেশে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুত রয়েছে, খুব শিগগিরই চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে আসবে:খাদ্য উপদেষ্টা

    দেশে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুত রয়েছে, খুব শিগগিরই চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে আসবে:খাদ্য উপদেষ্টা

    খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, দেশে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুত রয়েছে। খুব শিগগিরই চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে আসবে।আজ যশোর সার্কিট হাউজে খুলনা বিভাগের ১০ জেলার খাদ্য সংগ্রহ, মজুত ও মূল্য পরিস্থিতি নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

    উপদেষ্টা বলেন, চলতি মৌসুমে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় বেশি পরিমাণ খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে। দেশে খাদ্য মজুত বর্তমানে অত্যন্ত সন্তোষজনক পর্যায়ে রয়েছে। তিনি বলেন, খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় বোরো ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি হয়েছে। ইতিমধ্যে ৭২ শতাংশ ধান ও চাল সংগ্রহ সম্পন্ন হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই শতভাগ সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।

    বাজারে চালের মূল্য কমছে না কেন এমন প্রশ্নের জবাবে খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, বোরো উৎপাদন ভালো হয়েছে, খাদ্য মজুতও সন্তোষজনক। শিগগিরই চালের বাজার সহনীয় হয়ে আসবে। চালের দাম বাড়াতে বাজারে কোনো সিন্ডিকেট থাকলে তা ভেঙে দিতে সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

    উপদেষ্টা আরো বলেন, দক্ষিণাঞ্চলে সরু জাতের ধান চাষের কারণে ধান সংগ্রহে কিছু সমন্বয়হীনতা দেখা দিয়েছে। সরকার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে এবং ভবিষ্যতে এর সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হবে।

    মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল হাছানাত হুমায়ুন কবির, যশোরের জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খুলনা বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম, যশোর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক আলমগীর বিশ্বাস, যশোর জেলার উপপরিচালক মো. মোশাররফ হোসেন এবং খুলনা বিভাগের ১০ জেলার জেলা প্রশাসক ও খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তাবৃন্দ।

  • প্রথমবারের মতো নারী এশিয়ান কাপে বাংলাদেশ

    প্রথমবারের মতো নারী এশিয়ান কাপে বাংলাদেশ

    স্বাগতিক মিয়ানমারকে হারিয়ে নারী এশিয়ান কাপ ফুটবলে এক পা দিয়ে রেখেছিল বাংলাদেশ। গ্রুপের অন্য ম্যাচে বাহরাইন-তুর্কমেনিস্তান ২-২ গোলে ড্র করেছে। এতে সি গ্রুপ থেকে বাংলাদেশ গ্রুপ সেরা হয়েছে। ফলে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল এশিয়ান কাপের মূল পর্বে খেলবে। আগামী বছর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে বসবে এই আসর।

    দুই ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের নামের পাশে ৬ পয়েন্ট। স্বাগতিক মিয়ানমারের ৩, বাহরাইন ও তুর্কেমেনিস্তানের সমান এক পয়েন্ট করে। বাংলাদেশ শেষ ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানের কাছে হারলে এবং মিয়ানমার বাহরাইনের বিপক্ষে জিতলে তখন দুই দলেরই সমান ৬ পয়েন্ট হবে। টুর্নামেন্টের বাইলজ অনুযায়ী প্রথমে হেড টু হেড বিবেচনা হবে। বাংলাদেশ মিয়ানমারকে হারানোয় বাংলাদেশ গ্রুপ সেরা হিসেবে গণ্য হবে। ফলে আজই বাংলাদেশের এশিয়া কাপ নিশ্চিত হলো।

    বাহরাইন-তুর্কমেনিস্তান ম্যাচটি বেশ উত্তেজনাপূর্ণ ছিল। ম্যাচের শেষ দিকে তুর্কমেনিস্তান ২-১ গোলে লিড নেয়। তুর্কমেনিস্তান ম্যাচটি জিতলে বাংলাদেশকে পরবর্তী ম্যাচে ন্যূনতম ড্র করতে হতো। কারণ তুর্কমেনিস্তান বাংলাদেশকে হারালে তখন তাদেরও ছয় পয়েন্ট হওয়ার সুযোগ থাকত। আবার মিয়ানমার শেষ ম্যাচে বাহরাইনকে হারালে তখন তিন দলের ছয় পয়েন্ট হতো। সেই সময় বড় জটিলতায় পড়ত গ্রুপটি।

    খেলার ইনজুরি সময়ে গোল করে ২-২ স্কোরলাইনে ড্র করে বাহরাইন বাংলাদেশকে অপেক্ষা থেকে মুক্তি দিয়েছে। কারণ এখন শুধু মিয়ানমারেরই ৬ পয়েন্ট হওয়ার সম্ভাবনা আছে এবং সেটা হলেও হেড টু হেড বিবেচনায় বাংলাদেশই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হবে।

    ৫ জুলাই বাংলাদশ-তুর্কমেনিস্তান ম্যাচ এখন শুধুই আনুষ্ঠানিকতার। ঐ ম্যাচে হারলেও বাংলাদেশের এশিয়া কাপ খেলায় কোনো বাধা থাকবে না।

    আজ ঋতুপর্ণার জোড়া গোলে মিয়ানমারকে প্রথমবারের মতো হারিয়ে বাংলাদেশ এশিয়া কাপের টিকিট নিশ্চিত করেছে। ১৯৮০ সালে কুয়েতে বাংলাদেশ পুরুষ ফুটবল দল খেলেছিল প্রথম এশিয়া কাপ। ২০২৬ সালে বাংলাদেশের নারীরা খেলবে প্রথম নারী এশিয়া কাপ।