Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
বঙ্গবন্ধু Archives - Daily Dakshinermashal

Category: বঙ্গবন্ধু

  • শেখ রাসেলের সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

    শেখ রাসেলের সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

    ন্যাশনাল ডেস্ক: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে শহীদ শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন উপলক্ষে তার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) সকালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় তার সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানাও উপস্থিত ছিলেন।

    পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে বঙ্গবন্ধুর এই দুই কন্যা কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। পরে সেখানে সমাহিত স্বজনদের কবরে ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে দেন তারা।

    নিহত স্বজনদের স্মরণ করে দুই হাত তুলে মোনাজাতও করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা।

    প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকেও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। শেখ রাসেল দিবস-২০২২ উপলক্ষে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেও বনানীতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

    এদিকে ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলে অবস্থিত শেখ রাসেলের ম্যুরালেও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট ভাই শেখ রাসেল ১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর ধানমন্ডির ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবনে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মানবতার শত্রু ঘৃণ্য ঘাতকদের নির্মম বুলেট থেকে রক্ষা পাননি শিশু শেখ রাসেল। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে নরপিশাচরা নির্মমভাবে তাকেও হত্যা করেছিল। তিনি ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।

    ঘাতকদের হাতে সেদিন একে একে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল এবং পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল। পৃথিবীর এ জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর অনুজ শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত এবং তার ছেলে আরিফ ও সুকান্তবাবু, মেয়ে বেবি, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মণি এবং আবদুল নাঈম খান রিন্টু ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও ঘনিষ্ঠজন।

    এ সময় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান।

  • ঐতিহাসিক ৭ই মার্চে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগারে বীরমুক্তিযোদ্ধা এমপি রবির পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন

    ঐতিহাসিক ৭ই মার্চে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগারে বীরমুক্তিযোদ্ধা এমপি রবির পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন


    ঐতিহাসিক ৭ই মার্চে মহান স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য নৌ-কমান্ডো বীরমুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবির পক্ষ থেকে পূষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে। সোমবার (৭ মার্চ) দুপুরে সাতক্ষীরা শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগারে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে বীরমুক্তিযোদ্ধা এমপি রবির পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন নেতৃবৃন্দ। এসময় নেতৃবৃন্দ সেখানে কিছু সময় নিরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন যুদ্ধকালীন কমান্ডার ও অস্ত্র প্রশিক্ষক বীরমুক্তিযোদ্ধা মীর মাহমুদ হাসান লাকী, সাতক্ষীরা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের ভাইস চেয়ারম্যান শেখ নুরুল হক, জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সহ-সভাপতি ও সাপ্তাহিক ইচ্ছেনদী পত্রিকার চীফ এডিটর শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জ্যোৎ¯œা আরা, জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি ও সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের নব-নির্বাচিত সদস্য মকসুমুল হাকিম, জেলা যুবলীগের সিনিয়র সদস্য যুব নেতা মীর মহিতুল আলম মহি, পৌর আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-দপ্তর সম্পাদক ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর বিন সেলিম যাদু, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি কাজী হাশিম উদ্দিন হিমেল প্রমুখ। এসময় দলীয় নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

  • চার নেতা হত্যার পেছনে বড় ষড়যন্ত্র ছিলো

    চার নেতা হত্যার পেছনে বড় ষড়যন্ত্র ছিলো

    অনলাইন ডেস্ক:

    জাতীয় চার নেতা হত্যার পেছনে শুধু বিপদগামী সেনা সদস্যরাই নয়, এর পেছনে বড় একটি ষড়যন্ত্র ছিলো বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

    মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডে অবস্থিত সাবেক ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর ও জাতীয় চার নেতা স্মৃতি জাদুঘরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর এ কথা বলেন তিনি।

    তিনি বলেন, ‘জাতীয় চার নেতা হত্যায় যারা জড়িত তাদেরকে দেশে ফেরত আনার জন্য সরকার সর্বোচ্চ আন্তরিক।’

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘শুধু বিপদগামী সেনা সদস্যই নয়। জাতীয় চার নেতাকে হত্যার পেছনে আরও বড় একটি ষড়যন্ত্র ছিলো। যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের মুখোমুখী উন্মোচন করা হবে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’

    এসময় জেলহত্যা মামলার পলাতক আসামিদের ফিরিয়ে আনতে আইনি প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি।

    শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন জাতীয় চার নেতার একজন শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলামের মেয়ে কিশোরগঞ্জ-২ আসনের সাংসদ ডাক্তার সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি, ঢাকা-৭ আসনের সাংসদ হাজী সেলিম, কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোমিনুর রহমান মামুন, কারা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক কর্নেল আবরার হোসেন প্রমুখ।

    উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বরের এই দিনে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজীবন রাজনৈতিক সহযোদ্ধা ও মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী জাতীয় চার নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। সেদিন খুন হন অস্থায়ী সরকারের প্রথম রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, প্রবাসী সরকারের অর্থমন্ত্রী এম মনসুর আলী এবং স্বরাষ্ট্র, কৃষি ও ত্রাণমন্ত্রী এএইচএম কামারুজ্জামান।

    কারাগারের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকা অবস্থায় বর্বরোচিত এ ধরনের হত্যাকাণ্ড পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার হত্যাকাণ্ড ছিলে একই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা।

  • মিয়াসাহেবের ডাঙ্গা স্কুলে শোক দিবস পালিত

    মিয়াসাহেবের ডাঙ্গা স্কুলে শোক দিবস পালিত

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা ৫নং ওয়ার্ডে দিনভর নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৫ তম শাহাদাত র্বাষিকী পালিত হয়েছে। মিয়া সাহেবের ডাংগা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ও ওয়ার্ড আ’লীগের সহসভাপতি আব্দুল গফফর অসহায় ও দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ করেন। এর আগে দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
    প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষিকা মোছা রওশন আরা খাতুনের পরিচালনায় শোক দিবসে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন,শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদ সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি রাশেদুজ্জামান রাশি, সাধারণ সম্পাদক মুস্তাফিজুর রহমান, আ’লীগ নেতা জাহাঙ্গীর হাসান খোকন, আব্দুর রউফ, ৫নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা আবু সাইদসহ অনেকে।
    পরে মরহুমের আতœার মাগফিরাত কামনা করে মাওলানা আব্দুল্লাহ দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন।

  • বাঙালির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ট্রাজেডি হলো বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা

    বাঙালির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ট্রাজেডি হলো বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা


    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদ’র আয়োজনে জাতীয় শোক দিবস যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মাধ্যমে পালন করা হয়েছে। শনিবার (১৫আগস্ট) সকালে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদ সাতক্ষীরা পৌর শাখার নিজস্ব কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন, অসহায় দুস্থদের মাঝে খাদ্য বিতরণ, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। দুস্থদের মাঝে খাদ্য বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাতক্ষীরা ০৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. আ.ফ.ম রুহুল হক। তিনি বলেন ‘বাঙালির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ঘটনা মুক্তিযুদ্ধ, সবচেয়ে সফলতম প্রাপ্তি স্বাধীনতা আর সবচেয়ে বড় ট্রাজেডি হলো বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করা।’ জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদ সাতক্ষীরা পৌর শাখার সভাপতি মোঃ নুরুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ ফিরোজ কামাল শুভ্র, শেখ হারুন উর রশিদ, শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদ সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি রাশেদুজ্জামান রাশি, সহ সভাপতি মোঃ আব্দুল আলীম সরদার, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, পৌর শাখার সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা লে. (অব.) মীর রিয়াছাত আলী (ক্যাপ্টেন রাজা), পৌর ৫নং ওয়ার্ড শাখার সভাপতি মোঃ আমিনুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল ইসলাম, ৮নং ওয়ার্ড শাখার সভাপতি সাংবাদিক মাসুদ আলী, ৯নং ওয়ার্ড শাখার সভাপতি হাজী মহসীন মোল্লা, যুগ্ম সম্পাদক মঞ্জুরুল, মোঃ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তফা, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর হোসেন, সদস্য বোরহান বখতিয়ার, মোঃ নজরুল ইসলামসহ বিভিন্ন ওয়ার্ড শাখার নেতৃবৃন্দ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদ পৌর শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ কবির হোসেন।

  • টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর শ্রদ্ধা

    টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর শ্রদ্ধা

    নিজস্ব সংবাদদাতা, টুঙ্গিপাড়া: গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন (এম পি)।
    গত শুক্রবার দুপুর ২ টায় তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং বঙ্গবন্ধু ও ৭৫ সালে ১৫ আগষ্ট তার পরিবারের শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন।
    এ সময় গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক সাহিদা সুলতানা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলী খান, , টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুল বশার খায়ের, সাধারণ সম্পাদক বাবুল সেখ, উপজেলা চেয়াররম্যান সোলায়মান বিশ্বাস, পৌর মেয়র শেখ আহম্মেদ হোসেন মির্জা, ইউএনও নাকিব হাসান তরফদার সহ সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
    পরে তিনি বঙ্গবন্ধু ভবনে রক্ষিত পরিদর্শন বইতে মন্তব্য করে স্বাক্ষর করেন।

  • জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সাতক্ষীরায় মাসব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসন

    জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সাতক্ষীরায় মাসব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসন

    হাজার বছরের শেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০২০ উপলক্ষে মাসব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন।
    জেলা প্রশাসন গৃহীত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, ১৫ আগস্ট সকাল ৮টায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ, বেলা ১১টায় শোক দিবসের বিশেষ আলোচনা, বিকাল ৩টায় বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ কুইজ প্রতিযোগিতার বিশেষ রাউন্ড, বিকাল সাড়ে ৩টায় ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ প্রতিযোগিতা, রাত ৯টায় আবৃত্তি ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গান: বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এবং সুবিধামতো সময়ে মসজিদ, মন্দির, গির্জায় বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া সুবিধাজনক সময়ে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আলোচনা, কবিতা আবৃত্তি, হামদ-নাত আয়োজন করা হবে।
    এদিকে, জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ৫ আগস্ট অসমাপ্ত আত্মজীবনী পাঠ ও আলোচনা, ৭ আগস্ট জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামালের সঞ্চালনায় আলোচনা অনুষ্ঠান ‘তারুণ্যের ভাবনা; বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’, ৮ আগস্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এর ৯০তম জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানমালা, ১০ আগস্ট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানবৃন্দকে নিয়ে বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠান-বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ, ১১ আগস্ট জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামালের সঞ্চালনায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অংশগ্রহণে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ শিরোনামে বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠান, ১২ আগস্ট আবৃত্তি অনুষ্ঠান ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ ও মাসব্যাপী সাংস্কৃতিক আয়োজন চলমান থাকবে।
    সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মোস্তফা কামাল বলেন, সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে জাতীয় শোক দিবস পালনের পাশাপাশি মাসব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা হাতে নেওয়া হয়েছে। এ সকল আয়োজন অনলাইনে জুম এর পাশাপাশি, ফেসবুক লাইভ এবং লোকাল কেবল চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। আয়োজনে যুক্ত থাকতে সংযুক্ত থাকুন জেলা প্রশাসক সাতক্ষীরার ফেসবুক পেইজে।

  • বঙ্গবন্ধুর প্রশংসায় ট্রাম্প

    বঙ্গবন্ধুর প্রশংসায় ট্রাম্প

    জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চিঠিতে তিনি জাতির পিতার ভূয়সী প্রশংসা ও ক্ষণজন্মা নেতা উল্লেখ করেছেন। 

    ওই চিঠি বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা চিঠিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, পৃথিবীতে বঙ্গবন্ধুর মতো নেতা খুব কম দেখা যায়। 

    আব্দুল মোমেন আরও বলেন, গত ২৭ এপ্রিল আমি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর কাছ থেকে চিঠি পেয়েছি। চিঠিতে তারা বাংলাদেশের খুব প্রশংসা করেছেন। বিশেষ করে বাংলাদেশ যেভাবে কভিড-১৯ মোকাবিলা করছে, সেটিকে উদাহরণযোগ্য হিসেবে উল্লেখ করেছেন। কভিড-১৯ মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করার কথাও বলেছেন তারা।

    এ ছাড়া চিঠিতে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশের পাশে থাকার কথা জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, এ সংকট মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র ৬৮ কোটি ডলার দিয়েছে এবং আরও দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। গত ২৭ এপ্রিল ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় তিনি পম্পেওর চিঠি হস্তান্তর করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।

  • সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগ : কেক কেটে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালন

    সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগ : কেক কেটে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালন


    সাতক্ষীরায় যথাযথ মর্যাদায় ও ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২০ উপলক্ষে কেক কাটা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর কেক কাটেন সাতক্ষীরা সদর ০২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।
    এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিভাগ উপপরিচালক সাতক্ষীরা মো. হুসাইন শওকত, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. বদিউজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সাঈদ, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবু, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এম.এম মাহমুদুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আবু সায়ীদ প্রমুখ। এসময় জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও দলীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিতরণ করা হবে ময়লার ঝুড়ি: তালা থেকে উদ্বোধন


    মুজিব বর্ষ উপলক্ষে সাতক্ষীরা জেলার প্রত্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিতরণ করা হবে ময়লা ফেলার ঝুড়ি। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বেলা ১২টায় তালা উপজেলার শিশু তীর্থ স্কুল থেকে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল।
    পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন নান্দনিক জেলা গড়ে তুলতে পর্যায়ক্রমে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিতরণ করা হবে ময়লা ফেলার ঝুড়ি।

  • করতালিতে মুখরিত প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধন ঘোষনা :সাতক্ষীরায় বর্ণাঢ্য র‌্যালিতে শহিদ রাজ্জাক পার্কে স্বাগত মুজিব বর্ষের ক্ষণগননা শুরু

    করতালিতে মুখরিত প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধন ঘোষনা :সাতক্ষীরায় বর্ণাঢ্য র‌্যালিতে শহিদ রাজ্জাক পার্কে স্বাগত মুজিব বর্ষের ক্ষণগননা শুরু


    নিজস্ব প্রতিনিধি: নাগরিক সমাজের অগনিত মানুষের পদচারণায় মুখরিত বর্ণময় র‌্যালির মধ্য দিয়ে সাতক্ষীরায় বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীর ক্ষণগননাকে স্বাগত জানানো হয়েছে।
    শুক্রবার দুপুরে ঢাক ঢোল বাজনা বাদ্যি বাজিয়ে ব্যানার ফেস্টুন প্লাকার্ড সজ্জিত র‌্যালিটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে যাত্রা শুরু করে। জেলা প্রশাসন আয়োজিত এই র‌্যালি ও অন্যান্য অনুষ্ঠানে নেতৃত্ব দেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আহমেদ, সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল , পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু , পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি প্রমূখ।
    র‌্যালিতে আরও উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ অধ্যক্ষ ডা. কাজী হাবিবুর রহমান, সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহিন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সাঈদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মোশাররফ হোসেন মশু, নাগরিক কমিটির আহবায়ক ও সদস্য সচিব অধ্যক্ষ আনিসুর রহিম ও আবুল কালাম আজাদ, নাগরিক আন্দোলন মঞ্চ সভাপতি ফাহিমুল হক কিসলু ও সম্পাদক সাধারন সম্পাদক হাফিজুর রহমান মাসুম, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের আহবায়ক আবু রায়হান ও সদস্য সচিব লায়লা পারভিন সেঁজুতি , বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, সাংবাদিক , সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মী, মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, ছাত্র ছাত্রী, পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, প্রশাসনের কর্মকর্তা প্রমূখ। শহর প্রদক্ষিণ শেষে বর্ণাঢ্য র‌্যালিটি মিলিত হয় শহিদ রাজ্জাক পার্কে স্থাপিত মুজিব বর্ষের ক্ষণগননা ঘড়িকে ঘিরে আয়োজিত অনুষ্ঠানমালায়। এ সময় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ ও শুদ্ধস্বরে সহ¯্র কন্ঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশিত হয়।
    বিকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধন ঘোষনার সাথে সাথে শুরু হয় কাউন্ট ডাউন।এ সময় করতালিতে মুখরিত হয়ে ওঠে শহিদ আবদুর রাজ্জাক পার্ক। পরে অনুষ্ঠিত হয় বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে স্মৃতিচারণমূলক আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
    জেলা প্রশাসকের প্রেস ব্রিফিং
    এর আগে সকালে জেলা প্রশ্সাকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক জনাকীর্ণ প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল বলেন বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে আজ সাতক্ষীরায় শুরু হতে যাচ্ছে মুজিব বর্ষের ক্ষণগননা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানী ঢাকা থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই কাউন্ট ডাউন উদ্বোধন করবেন। তিনি বলেন এ উপলক্ষে সাতক্ষীরা সেজেছে নানা সাজে নানা বর্ণে। এ উপলক্ষে সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা পৌর দীঘির চারপাশে মোমবাতি প্রজ্জ্বালন ও পৌর দীঘির মধ্যে বঙ্গবন্ধুর ভাষনের প্রতিকৃতি লাইটিংয়ের মাধ্যমে প্রদর্শন করা হবে। জেলা শহরের সাতটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে শোভা পাচ্ছে মুজিব তোরণ। শহিদ আবদুর রজ্জাক পার্কে বসানো হয়েছে ক্ষণ গননার ঘড়ি। দুপুরে মুজিব র‌্যালির মধ্য দিয়ে কর্মসূচির সুচনা করা হবে।
    শুক্রবার সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল তার সম্মেলন কক্ষে এসব তথ্য প্রকাশ করেন। তিনি বলেন বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ,সমবেত কন্ঠে শুদ্ধস্বরে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনা ও বিজয় ফুল এর ওপর বিশেষ প্রদর্শনী শেষে প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের সাথে সাথে শুরু হবে ক্ষণগননার আনুষ্ঠানিকতা।
    তিনি বলেন এরপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্মের ওপর আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। ২০২০ সালের ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী পালন ছাড়াও ২০২১ সালের ১৭ মার্চ পর্যন্ত চলবে মুজিববর্ষের নানা অনুষ্ঠান ,যোগ করেন জেলা প্রশাসক।
    প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, প্রেসক্লাব সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, স্থানীয় সরকার উপপরিচালক হুসাইন শওকতসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

  • বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে  শ্রদ্ধা

    বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা


    নিজস্ব সংবাদদাতা ,টুঙ্গিপাড়া ঃ
    জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, সামাজিক পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
    শুক্রবার সকাল ১০ টায় জাতির পিতার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ, মুক্তিযোদ্ধা লীগ, কৃষক লীগ, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ, কৃষক লীগ, মুক্তিযোদ্ধা লীগ, মহিলা লীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগ, নির্মাণ শ্রমিক লীগ, বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের নবনির্বাচিত অফিসার্স এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্মচারী সহায়ক সোসাইটি, গোপালগঞ্জ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। পুস্পস্তবক অর্পণ শেষে বঙ্গবন্ধু ও ৭৫ সালে ১৫ আগষ্ট তার পরিবারের শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। পরে অঙ্গ সংগঠনের সকল নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রা বের করেন।

  • ১০ জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস

    ১০ জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস

    ১০ জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। ১৯৭২ সালের এই দিনে বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি পাকিস্তানের কারাগারের নির্জন প্রকোষ্ঠ থেকে মুক্তি লাভ করে তাঁর স্বপ্নের স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশে ফিরে আসেন।

    বাঙালি জাতি বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জন করে। মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগারে থেকে মুক্ত স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে আসার মাধ্যমে সে বিজয় পূর্ণতা লাভ করে। এইদিন স্বাধীন বাংলার নতুন সূর্যালোকে সূর্যের মতো চির ভাস্বর-উজ্জ্বল মহান নেতা ইতিহাসের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ফিরে আসেন তার প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশে। স্বদেশের মাটি ছুঁয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসের নির্মাতা শিশুর মতো আবেগে আকুল হলেন। আনন্দ-বেদনার অশ্রুধারা নামলো তার দু’চোখ বেয়ে। প্রিয় নেতাকে ফিরে পেয়ে সেদিন সাড়ে সাত কোটি বাঙালি আনন্দাশ্রুতে সিক্ত হয়ে জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু ধ্বনিতে প্রকম্পিত করে তোলে বাংলার আকাশ বাতাস। জনগণনন্দিত শেখ মুজিব সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দাঁড়িয়ে তার ঐতিহাসিক ধ্রুপদি বক্তৃতায় বলেন, ‘যে মাটিকে আমি এত ভালবাসি, যে মানুষকে আমি এত ভালবাসি, যে জাতিকে আমি এত ভালবাসি, আমি জানতাম না সে বাংলায় আমি যেতে পারবো কিনা। আজ আমি বাংলায় ফিরে এসেছি বাংলার ভাইয়েদের কাছে, মায়েদের কাছে, বোনদের কাছে। বাংলা আমার স্বাধীন, বাংলাদেশ আজ স্বাধীন।’

    যুদ্ধবিধ্বস্ত ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন সদ্য স্বাধীন বাঙালি জাতির কাছে ছিল একটি বড় প্রেরণা। দীর্ঘ সংগ্রাম, ত্যাগ তীতিক্ষা, আন্দোলন ও আত্মত্যাগের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধে বির্জয় অর্জনের পর বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার প্রশ্নে বাঙালি জাতি যখন কঠিন এক বাস্তবতার মুখোমুখি তখন পাকিস্তানের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার পর বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করা হয়। ২৯০ দিন পাকিস্তানের কারাগারে প্রতি মুহূর্তে মৃত্যুর প্রহর গুনতে গুনতে লন্ডন-দিল্লি হয়ে মুক্ত স্বাধীন স্বদেশের মাটিতে ফিরে আসেন বাঙালির ইতিহাসের বরপুত্র শেখ মুজিবুর রহমান। সে থেকে প্রতিবছর কৃতজ্ঞ বাঙালি জাতি নানা আয়োজনে পালন করে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস।

  • বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস

    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস

    আজ ১০ জানুয়ারি। স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। ১৯৭২ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে রক্তস্নাত স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখেন। পূর্ণতা পায় বাঙালির বিজয়।

    স্বাধীন বাংলাদেশে মহান এই নেতার প্রত্যাবর্তনে স্বাধীনতা সংগ্রামের বিজয় পূর্ণতা পায়। স্বয়ং বঙ্গবন্ধু তার এই স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে ‘অন্ধকার হতে আলোর পথে যাত্রা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।

    ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদাররা বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তার ধানমণ্ডির বাসা থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। তাকে পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি করা হয়। বাঙালি যখন স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করছে, বঙ্গবন্ধু তখন পাকিস্তানের কারাগারে প্রহসনের বিচারে ফাঁসির আসামি হিসেবে মৃত্যুর প্রহর গুনছিলেন। একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর বাঙালিদের চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হওয়ার পর বিশ্বনেতারা বঙ্গবন্ধুর মুক্তির দাবিতে সোচ্চার হয়ে ওঠেন। আন্তর্জাতিক চাপে পরাজিত পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী শেষ পর্যন্ত বন্দিদশা থেকে বঙ্গবন্ধুকে সসম্মানে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। ২৯০ দিন পাকিস্তানের কারাগারে প্রতি মুহূর্তে মৃত্যুর প্রহর গণনা শেষে লন্ডন-দিল্লি হয়ে তিনি ঢাকায় পৌঁছেন ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি। এরপর প্রতি বছর কৃতজ্ঞ বাঙালি জাতি নানা আয়োজনে পালন করে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। বঙ্গবন্ধু হানাদারমুক্ত স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে আসেন বিজয়ের মালা পরে। সেদিন বাংলাদেশে ছিল এক উৎসবের আমেজ। গোটা বাঙালি জাতি রুদ্ধশ্বাসে অপেক্ষা করছিল কখন তাদের প্রিয় নেতা, স্বাধীন বাংলার মহান স্থপতি স্বাধীন দেশের মাটিতে আসবেন। পুরো দেশের মানুষই যেন জড়ো হয়েছিল ঢাকা বিমানবন্দর এলাকায়। বিমানবন্দর থেকে ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দান (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) পর্যন্ত রাস্তা ছিল লোকে লোকারণ্য। স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে পা রেখেই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন বঙ্গবন্ধু। দীর্ঘ ৯ মাস পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসরদের গণহত্যার সংবাদ শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। সেদিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে লাখো জনতার উদ্দেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঘোষণা দেন, ‘রক্ত দিয়ে হলেও আমি বাঙালি জাতির এই ভালোবাসার ঋণ শোধ করে যাব।’ কথা রেখেছেন জাতির পিতা। হিংস পাক হানাদাররা যার গায়ে আঁচড় দেয়ারও সাহস দেখাতে পারেনি, স্বাধীন দেশে বাঙালি নামক একশ্রেণীর কুলাঙ্গার-বিশ্বাসঘাতকের হাতে তাকে জীবন দিতে হয়েছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে নিজের বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে বঙ্গবন্ধু তার কথা রেখে গেছেন। সুত্র: দৈনিক যুগান্তর।