Download daily dakshiner mashal android app
link-1 :
https://drive.google.com/file/d/1S99xKMKMA1-ybax9T8IPeocYBGynsTA0/view?usp=drive_link
link-2 :
https://drive.google.com/file/d/1QCUveyb45BDVg2LXy01a_ZvwcPlHOODg/view?usp=drive_link




Download daily dakshiner mashal android app
link-1 :
https://drive.google.com/file/d/1S99xKMKMA1-ybax9T8IPeocYBGynsTA0/view?usp=drive_link
link-2 :
https://drive.google.com/file/d/1QCUveyb45BDVg2LXy01a_ZvwcPlHOODg/view?usp=drive_link




গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে ও উজানের বন্যায় বিপর্যস্ত দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের অসহায় মানুষদের সাহায্যার্থে ও পুনর্বাসন সহায়তার লক্ষ্যে কানাডার অটোয়াভিত্তিক জনপ্রিয় চারটি ব্যান্ড এক সঙ্গে মঞ্চ মাতালেন। এ সহায়তার লক্ষ্যে তারা কানাডাস্থ অটোয়ার আলগনকুইন কমন্স থিয়েটারে শনিবার (৫ অক্টোবর) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় “অপার্থিবের আবছা নীল কণা –লাইভ” শীর্ষক এক কনসার্টের আয়োজন করে। এতে কানাডিয়ান অটোয়াভিত্তিক ব্যান্ড অপার্থিব, বিদ্রোহী, গহীন ও ম্যান অন বাইক অংশ নেয়।কনসার্ট থেকে উপার্জিত অর্থ বাংলাদেশের দাতা সহায়তা সংস্থা অংকুর ইন্টারন্যাশনাল বিতরণ করবে। কনসার্টের সহযোগী হিসেবে ছিল মিউজিশিয়ানদের স্বেচ্ছাসেবি প্রতিষ্ঠান ‘গেট আপ স্ট্যান্ড আপ’।
মিউজিশিয়ানদের স্বেচ্ছাসেবি প্রতিষ্ঠানটি আরও জানায়, এ কনসার্টের মত আরও বেশ কয়েকটি কনসার্টের আয়োজন করা হয় ইতিপূর্বে । কনসার্ট ছাড়াও প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন দাতা সংস্থার মাধ্যমে ত্রাণ সহায়তা সংগ্রহ করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ ও পুর্ণবাসন কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে বলেও তারা জানান।
এ কনসার্টের মূল উদ্যোক্তা বাংলা সিম্ফোনিক মেটাল ব্যান্ড অপার্থিবের লিড গিটারিস্ট এবং ভোকালিস্ট সালেহিন চৌধুরী এ প্রতিবেদককে জানান কনসার্টের উপার্জিত আয়ের একটি অংশ ওই এলাকার সাধারণ মানুষদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও চিকিৎসার জন্যও ব্যায় করা হবে।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতে আমরা সঙ্গীতের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের মানুষের জন্য আরও সহায়তার হাত বৃদ্ধি করতে চাই।
তিনি জানান, কনসার্টে এ ব্যান্ডের নতুন অ্যালবাম “আবছা নীল কণা” উন্মোচনও করা হয়। এছাড়াও অনুষ্ঠানের সকল ভেন্যু এবং টেকনিক্যাল খরচ বহন করেছে প্রিন্স মর্টগেজ টিম ডমিনিয়ন লেন্ডিং সেন্টারস ন্যাশনাল।
এ সময় অপার্থিব তাদের জনপ্রিয় গান “বাঙাল,” “রূপকথা,” “সাগরের প্রণয়,” “তুমি নেই,” এবং “যোদ্ধা” সহ তাদের সম্পূর্ণ অ্যালবামের গান পরিবেশন করে বলেও তিনি জানান।
তাদের গভীর লিরিক, মেটাল রিদম, অর্কেস্ট্রা আর কোয়ের-এর মিশ্রণ দর্শকদের পুরো কনসার্টের সময় জুড়ে সুরের জগতে নিয়ে যেতে পেড়েছিল বলে ব্যান্ডের সদস্যরা দাবি করেন।

বিনোদন ডেস্ক:
ঢালিউড অভিনেত্রী তমা মির্জা ‘সুড়ঙ্গ’ সিনেমায় অভিনয় করে দর্শকদের নজর কেড়েছিলেন। তার বিপরীতে অভিনেতা ছিলেন আফরান নিশো। সেই ছবিতে তাদের রসায়ন দর্শকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে। ছবিটি বাণিজ্যিকভাবে সফল হলেও এরপর আর কোনো সিনেমার পর্দায় দেখা যায়নি তমা মির্জাকে। তবে তিনি সরব রয়েছেন সামাজিকমাধ্যমে। সেখানে মাঝে মধ্যেই নিজের ছবি-ভিডিও কিংবা মতামত প্রকাশ করতে দেখা যায় তাকে।
গতকাল রোববার (৬ অক্টোবর) রাতে সামাজিকমাধ্যম ফেসবুক একটি পোস্ট দেন তমা মির্জা। সেখানে ক্যাপশনে এ অভিনেত্রী লিখেছেন— যে চিটার, সে সবসময়ই চিটার।
তিনটি বিষয় সবসময় মাথায় রাখা উচি উল্লেখ করে তমা আরও লিখেছেন— একবার যে প্রতারণা করে, সে সবসময়ই প্রতারণা করে। একবার যে মিথ্যা বলে, সে সবসময়ই মিথ্যা বলে।
অভিনেত্রী লিখেছেন, যদি কেউ তোমার হৃদয় ও বিশ্বাস ভাঙে সেটা তার ভুল। কিন্তু তুমি যদি সেই ব্যক্তিকে বিশ্বাস করে আবারও জায়গা দেও এবং ভালোবাসো তাহলে সেটা হবে তোমার ভুল।
তাহলে কী করতে হবে? তমা মজার ছলে বললেন— মারো কাছা, দাও দৌড়। ভুলেও পেছনে তাকাইও না।
এদিকে তমার এ পোস্ট দেখে নানান প্রশ্নের জাল বুনেছেন নেটিজেনরা। হঠাৎ কাকে উদ্দেশ করে এমন পোস্ট দিলেন অভিনেত্রী? সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে তার পুরোনো সম্পর্কের কথাও টেনে আনছেন অনেকে।
কয়েক দিন আগেই নির্মাতা রায়হান রাফীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে যায় তমার। যদিও সম্পর্কের বিষয়টি প্রকাশ্যে তারা কখনই স্বীকার করেননি। বরাবরই নিজেদের বন্ধু দাবি করেছেন রাফী ও তমা। তবে দুজনের ঘনিষ্ঠজনদেরই দাবি— রাফী-তমা একটা সময়ে চুটিয়ে প্রেম করলেও বর্তমানে তাদের সেই সম্পর্কে চিড় ধরেছে। দুজনের মাঝে আর ঘনিষ্ঠতা নেই।

বিনোদন ডেস্ক:
বলিউডের সেলিব্রিটি ফিটনেস ট্রেনার ইয়াসমিন করাচিওয়ালা। আলিয়া ভাট, ক্যাটরিনা কাইফ, কারিনা কাপুরদের ট্রেনার হিসেবে খ্যাতি রয়েছে তার। সম্প্রতি পুষ্টিবিদ রায়ান ফার্নান্দোর ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রীদের ট্রেনিং করানোর অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করেন তিনি।
সাক্ষাৎকারে ইয়াসমিন জানান, ২০১২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘অগ্নিপথ’ সিনেমার আইটেম গান ‘চিকনি চামেলি’র শুটিংয়ের আগে খানিকটা মজার ছলেই তাকে ‘হুমকি’ দিয়ে বসেন ক্যাটরিনা কাইফ।
ক্যাটরিনা চেয়েছিলেন গানের শুটিংয়ের সময় তার শরীরে যেন কোনো দৃশ্যমান মেদ না থাকে। সেজন্য এই অভিনেত্রী ইয়াসমিনকে বলেছিলেন, ‘যদি মেদ দেখা যায়, তাহলে আমি ন্যাশনাল টিভিতে গিয়ে বলে দেব তুমি ভালো ট্রেনার নও।’
এছাড়া অন্তঃসত্ত্বা আলিয়া ভাটকে ট্রেইন করার অভিজ্ঞতা জানিয়ে ইয়াসমিন যোগ করেন, ‘আলিয়ার মনোযোগের স্থায়িত্ব কম হওয়ায় তার জন্য টানটান ফিটনেস রুটিন তৈরি করতে হয়েছিল। যেমন আলিয়াকে যদি কোনো কিছু ২০ বার করতে বলি, তাহলে দেখা যাবে ৮ বারের সময় ও অমনোযোগী হয়ে পড়েছে। তাই আলিয়ার জন্য চটপটে ফিটনেস রুটিন নিয়ে কাজ করতে হয়েছে, যাতে তার মনোযোগ ধরে রাখা যায়।’

বিনোদন ডেস্ক:
সকাল সকাল টালিউড অভিনেত্রী শ্রাবন্তীর বাড়িতে দুম করে হাজির একদল আগন্তুক! বাইপাস লাগোয়া আরবানার ৩৪ তলার ঝাঁ চকচকে ফ্ল্যাট নায়িকার। অ্যাপার্টমেন্টের কলিংবেল বাজতেই দরজা খোলেন শ্রাবন্তীর সহকারী। সুন্দরী টালি নায়িকার বাড়ির দরজায় হাজির ‘বহুরূপী’। কিছুক্ষণ পর কালো-সোনালি সালোয়ার স্যুটে সেজে শ্রাবন্তী এলেন, তিনি তো অবাক এমন সারপ্রাইজ পেয়ে!
শ্রাবন্তীর বাড়িতে হাজির পরিচালক-অভিনেতা শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্য়ায়, তাও বহুরূপীর বেশে। সঙ্গী ননীচোরা দাস বাউল। আরজি করকাণ্ডের মাঝে মন ভার বাংলার, তার মাঝেই পূজায় টালিউডের তরফে মুক্তি পাচ্ছে তিনটি ছবি। যার অন্যতম আকর্ষণ ‘বহুরূপী’। শিবপ্রসাদ-নন্দিতা পরিচালিত ‘বহুরূপী’ ছবিটি আগামীকাল মুক্তি পাচ্ছে। ছবির অভিনব প্রচার কৌশল আগেই নজর কেড়েছে। জিৎ, রাজ-শুভশ্রীর বাড়িতে আগেই ননীচোরা দাস বাউলকে নিয়ে ঘুরে এসেছেন শিবপ্রসাদ। এবার পালা শ্রাবন্তীর।
‘বহুরূপী’র সাজে শিবপ্রসাদকে দেখেই হাসি থামল না নায়িকার। সেই সঙ্গে আবদার—‘একটা ছবি তুলতে হবে…’। সুন্দরী নায়িকার ঢ্যাবঢ্যাবে চাউনি নিয়ে ননীচোরা দাস বাউল প্রশ্ন করতেই কোমরে হাত রেখে শ্রাবন্তী বললেন, ‘বিয়ে দিয়ে দেবে নাকি?’ এই কথা কানে যেতেই ছবির ইতোমধ্যে সুপারহিট হয়ে যাওয়া গান— ‘ডাকাতিয়া বাঁশি’র ব়্যাপ অংশ গাইতে শুরু করলেন ননীচোরা ও শিবপ্রসাদ। কারণ এই গানেরই ফেমাস লাইন— ‘এ, বেশি তাকাস না বিয়ে দিয়ে দেব, কেঁন্দে মরে যাবি!’ অনিন্দ্য বসুর সঙ্গে মিলে গানটি লিখেছেন— ননীচোরা দাস বাউল। সুর দিয়েছেন বন্যি চক্রবর্তী, যিনি দীর্ঘদিন এআর রহমানের সঙ্গে কাজ করেছেন।
‘মোটর কড়াই গোলগোল…’-এর তালে তালেই নাচ জুড়ে দিলেন শ্রাবন্তী। এরপর চিৎকার করে বললেন— বেশি তাকাস না বিয়ে দিয়ে দেব কিন্তু… গোটা গানটার মধ্যে এটা আমার ফেভারিট লাইন। এইবার পূজায় বহুরূপী সুপারহিট। শিবপ্রসাদকে রীতিমতো পোজ দিয়ে দাঁড় করিয়ে বহুরূপীর বেশে ছবি তুললেন শ্রাবন্তী।
এই ভিডিওর কমেন্ট বক্সে নানা মুনির নানা মত। একজন লিখেছেন— ‘শ্রাবন্তীর আর বিয়ে দেবেন না দাদা। সত্যিই কেঁদে মরে যাবে’। প্রসঙ্গত তিনবার বিয়ে টেকেনি শ্রাবন্তীর। দুবার ডিভোর্সি নায়িকা গত চার বছর ধরে তৃতীয় স্বামীর সঙ্গে এক ছাদের তলায় থাকেন না। রোশন-শ্রাবন্তীর ডিভোর্স মামলা আদালতে বিচারাধীন, তাই বিয়ে নিয়ে খোঁচা হামেশাই শুনতে হয় অভিনেত্রীকে।
শিবপ্রসাদ-নন্দিতা পরিচালিত ‘বহুরূপী’ ছবিটি কাল মুক্তি পাচ্ছে। আর এ ছবিতে শিবপ্রসাদকে রোম্যান্স করতে দেখা যাবে কৌশানি মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে। এ ছাড়া থাকছেন আবির চট্টোপাধ্যায়, ঋতাভরী চক্রবর্তী প্রমুখ।

বিনোদন ডেস্ক:
নারী উদ্যোক্তা রোবাইয়াত ফাতিমা তনি। সেই সঙ্গে তিনি ইনফ্লুয়েন্সার। তনির স্বামী একজন সফল ব্যবসায়ী। যদিও এ দুজনের বয়সের ব্যবধান নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রায়ই কটাক্ষের মুখে পড়েন এ নারী উদ্যোক্তা। এসবের জবাবও দেন তিনি। শাহাদাৎ হোসাইন তনির দ্বিতীয় স্বামী। প্রথম স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন তিনি। এরপর ভালোবেসে বিয়ে করেন শাহাদাৎকে। প্রথমে পরিবার মেনে না নিলেও পরে সব ঠিক করে নেন তিনি।
তারপরও তাদের দুজনের অসম বয়সের ব্যবধানের কারণে সামাজিকমাধ্যমে নেটিজেনদের সমালোচিত হন তনি। এ মুহূর্তে তার স্বামী শাহাদাৎ হোসাইন অসুস্থ হয়ে লাইফ সাপোর্টে ভর্তি আছেন । গত শনিবার (৫ অক্টোবর) সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেন তনি।
তিনি পোস্টে লিখেছেন— আমার হাসবেন্ডের আপডেট- এখনো তেমন রেসপন্স করছে না। আজকে সকালে আমি অনেকবার ডেকেছি চোখ খুলে নাই। লাইফ সাপোর্টে আছে, চিকিৎসকরা চেষ্টা করছেন। একটু স্টেবল হলে দেশের বাইরে নেওয়ার কথা চলছে। তনি আরও বলেন, আমি হাসপাতালে আছি। সানভী সারফারাজ বাসায় আমার মায়ের সঙ্গে আছে। সারফারাজ কিছুই বোঝে না ছোট বাচ্চা, সে শুধু এতটুকু ফিল করতে পেরেছে তার ড্যাডির কিছু হয়েছে, ছেলেটারও জ্বর।
সবশেষে তনি বলেন, আমাদের শুভাকাঙ্ক্ষী যারা আমার হাসবেন্ডের খবর নিতে কল বা টেক্সট দিচ্ছেন, সবার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমি কথা বলার মতো মানসিক অবস্থাতে নেই। আল্লাহ ছাড়া এই বিপদ থেকে কেউ উদ্ধার করতে পারবে না, সবাই আমাদের সব ভুলত্রুটি ক্ষমা করে আমার হাসবেন্ডের জন্য দোয়া করবেন।

অনলাইন ডেস্ক : জিমেইলে বিষয় বললেই পুরো ই-মেইল স্বয়ংক্রিয়ভাবে লিখে দেবে এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি)। গুগল ‘হেল্প মি রাইট’ নামে নতুন টুল যুক্ত করেছে জিমেইলে। এর মাধ্যমে আইওএস ও অ্যান্ড্রয়েড বেটা সংস্করণ ব্যবহারকারীরা এ সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন। খবর সিনেটের
গুগলের তথ্যমতে, অ্যান্ড্রয়েড এবং আইফোনে জিমেইলে বার্তা লেখার সময় কম্পোজ বাটনে ট্যাপ করার পর নিচে ‘হেল্প মি রাইট’ অপশন পাওয়া যাবে। অপশনটিতে ক্লিক করে বিষয় লিখলেই সে অনুযায়ী খসড়া ই-মেইল লিখে দেবে জিমেইল। অর্থাৎ বিষয় হিসেবে ‘চাকরি’ বা ‘ছুটি’র আবেদন লিখলে ব্যবহারকারীদের আগের আদান-প্রদান করা ই-মেইল বার্তার তথ্য পর্যালোচনা করে খসড়া ই-মেইল লিখে দেবে জিমেইলের এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি।
স্বয়ংক্রিয়ভাবে ই-মেইল লিখে দিলেও সেগুলো সম্পাদনা করতে পারবেন ব্যবহারকারীরা। ফলে ই-মেইলে তথ্য ভুল বা বাদ পড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
উল্লেখ্য, বর্তমানে জিমেইল ব্যবহারকারীরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয় উত্তর এবং ই-মেইল লেখার সুপারিশ পেয়ে থাকেন।

আইসিটি ডেস্ক : সাংবাদিকের চাকরির জায়গায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) সম্ভাবনার নতুন দুয়ার উন্মোচন করতে চলেছে। এমন কথাই বললেন, জার্মান প্রকাশক অ্যাক্সেল স্প্রিংগার।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের মুখপাত্র অস্কার লিউ জানালেন, চ্যাটজিপিটিকে সাংবাদিক হিসেবে রিপোর্ট লিখতে পরীক্ষা করে দেখা গেছে, যে রিপোর্ট লিখতে ২ দিনের বেশি সময় লাগে, জিপিটি প্রমট মাত্র ৪০ সেকেন্ডেই ৯০০ শব্দের গ্রহণযোগ্য ও নির্ভর করার মতো রিপোর্ট আধুনিক ভাষায় লিখে দিয়েছে।
তাহলে দুদিনের শ্রম আর ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘোরাঘুরির বদলে মাত্র ৪০ সেকেন্ডে প্রত্যাশিত রিপোর্ট তৈরি হয়ে গেলে তা ভবিষ্যৎ সাংবাদিকতার ঝুঁকির কথাও ইঙ্গিত করে। কিন্তু যারা প্রমট (সঠিক শব্দের দিকনির্দেশানা) ব্যবহার জানবেন তারাই ভবিষ্যতের সাংবাদিকতায় টিকে থাকবে। নতুবা সময়ের নতুন দৌঁড়ে চাকরি হারানোরে ঝুঁকি এড়িয়ে যাওয়া কঠিন হবে, তা বলা যায় নিশ্চিত করেই।
সাংবাদিকের কাজের জায়গায় চ্যাটজিপিটির মতো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সিস্টেম নিজের সুদৃঢ় অবস্থান জানান দিতে শুরু করেছে। ফলে সারা বিশ্বে সব ভাষা বিশেষ করে ইংরেজি ভাষার সাংবাদিকতায় ঝুঁকি বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন জার্মান মিডিয়া গ্রুপের সিইও অ্যাক্সেল স্প্রিংগার।
জার্মান সংবাদপত্রমাধ্যম ‘বিল্ড অ্যান্ড ডাই ওয়েল্টে’ কর্মী ব্যয় কমিয়ে রাজস্ব বাড়াতে এবং পরিপূর্ণ ডিজিটাল মিডিয়া প্রতিষ্ঠান বিনির্মাণে কর্মী ছাঁটাই করার কথা ভাবছে। কারণ অটোমেশন এবং এআই ক্রমবর্ধমানভাবে সাংবাদিকের কর্মক্ষেত্রে নিজের দক্ষতার পরিচয় দিতে শুরু করেছে। সুতরাং সাংবাদিকতা পেশায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ক্রমেই চাপ ও ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। শুধু তাই নয়, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা স্বাধীন সাংবাদিকতাকে আগের চেয়ে তুলনামূলক চাপে ফেলবে।
সবে শুরু করে মাত্রই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে চ্যাটজিপিটি। কৃত্রিম বুদ্ধমত্তা (AI) টুলগুলো তথ্যে সংস্কৃতিতে রাতারাতি ‘বিপ্লব’ করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। ধীরে ধীরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানব সাংবাদিকতার তুলনায় বিশেষায়িত ‘তথ্যের একত্রিতকরণে’ ভালো করবে বলে অভিমত দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
ডিজিটাল সংস্কৃতিতে আমূল পরিবর্তন আসছে তা অনুমেয়। আর সত্যটা বুঝে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করা প্রকাশনা সংস্থা ও গণমাধ্যমের জন্য অতিব জরুরি। বিশেষ করে তথ্য বিশ্বের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অভুতপূর্ব ভবিষ্যতের কথাই বলছে। যারা শুধু মৌলিক বিষয় নিয়ে কাজ করবেন তারাই টিকে থাকবেন আসছে সময়ে। কথাগুলো জানালেন জার্মান মিডিয়া গ্রুপ ‘বিল্ড অ্যান্ড ডাই ওয়েল্ট’ সিইও ডুয়েপফনার।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (ওপেনএআই) স্মার্টফোনে মাইক্রোসফট বিং সার্চ ইঞ্জিনেও সব ধরনের তথ্যসেবা নিশ্চিত করার সামর্থ্য রাখে। সারাবিশ্বের অনেকেই আছেন এআই সম্পর্কে জেনেছেন, কিন্তু এখনও তার সঙ্গে কাজের ধরনে চ্যাট করা হয়ে ওঠেনি। তবে ক্রমান্বয়ে মানুষের সে ভয়টা কেটে যাবে। তখন মানুষ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ওপর আরও বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়বে।
অ্যাক্সেল স্প্রিংগার তার কতজন কর্মীকে চাকরিচ্যুত করবেন তা সুস্পষ্ট করেননি। তবে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রতিবেদক, লেখক বা বিশেষজ্ঞ সম্পাদকদের সংখ্যায় তেমন কোনো কাটছাঁট করা হবে না। শুধু সাধারণ মানের কর্মীদের বিষয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
ডুয়েপফনার তার কর্মীদের বলেছেন, ডিজিটাল মিডিয়া আউটলেটে অবশ্যই অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা এবং মূল ভাষ্যের ওপর দৃষ্টি বাড়াতে হবে। ইতিমধ্যে তাৎক্ষণিক ঘটনার দ্রুত সত্যতা অনুসন্ধানে চ্যাটিজিপিটি দারুণ সফলতা দেখিয়েছে। যা সাংবাদিকতার দুনিয়ায় আলোড়ন তুলেছে। শঙ্কার কথা তাই বারবার আলোচনায় উঠে আসছে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যে শুধু সীমাহীন তথ্য চটজলদি বিশ্লেষণ করতে পারে, তা কিন্তু নয়। লাখো কোটি মানুষের ভিড়ে তথ্য সংগ্রহ এবং তার সত্যতাও নিশ্চয়তার সঙ্গে যাচাই করতে পারদর্শী। গবেষণা রিপোর্টে বক্তারা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কটি মিডিয়া আউটলেট ইতিমধ্যেই ‘এআই’ দিয়ে ফ্যাক্ট চেক করতে শুরু করেছে। স্বনামধন্য রয়টার্স তার মধ্যে অন্যতম।
সামাজিক মাধ্যমে ব্রেকিং নিউজ ট্র্যাক করা ও টুইটের সত্যতা যাচাইয়ে নিউজ ট্রেসার হিসেবেও কাজ করছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। সময়ের সঙ্গে প্রতিনিয়তই নিজেকে আপডেট করে নেয় এআই প্রমট টুলস। তথ্যের অপারা সম্ভাবনা নিয়ে নিজেকে প্রস্তুত করছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার চ্যাট। যা নিজে থেকেও আপডেট হয় প্রতিনিয়ত, প্রতিমূহুর্তে।
সংবাদ বিশ্লেষকেরা বলছেন, সতর্ক থাকতে হবে সাংবাদিকদের। কারণ অ্যালগরিদম মিথ্যা বা বিভ্রান্ত করতে পারে। কারণ তারা মানুষের তৈরি প্রোগ্রাম। আর মানুষের মধ্যে পক্ষপাতদুষ্টতা আছে। লজিক্যাল প্যাটার্ন ভুল উপসংহারে নিয়ে যেতে পারে। অর্থাৎ সাংবাদিকদেরকে সব সময় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রমট থেকে আসা তথ্যবার্তা যাচাই-বাছাই করার সক্ষমতা নিশ্চিতে দক্ষ হতে হবে। তথ্য পরীক্ষায় বিবেচ্য হবে সন্দেহ, ক্রস চেক আর নথির সঙ্গে প্রদেয় তথ্য যাচাইয়ে পূর্ণ স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।

দৈনিক দক্ষিণের মশাল পরিবারের পক্ষ থেকে সকল শ্রেণির মানুষকে জানাই পহেলা বৈশাখ ও নববর্ষের শুভেচ্ছা ।


শ্যামনগরে জলবায়ু সম্মেলনের ঝড় চায়ের কাপে: কার্বন নিঃসরণ হ্রাসের আহবান
মশাল ডেস্ক : জলবায়ু সম্মেলনের ঝড় উঠলো চায়ের কাপে। স্থানীয় প্রবীণদের অংশগ্রহণে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ি ইউনিয়নের একটি চায়ের দোকান পরিণত হলো একটুরো শারম-আল-শেখে।
মিশরের শারম-আল-শেখে এবারের ২৭তম জলবায়ু সম্মেলন (কপ-২৭) নিয়ে পৃথিবীর সর্ব স্তরের মানুষের মাঝে যে আগ্রহ, তা থেকে বাদ যায়নি চায়ের দোকানও।
চায়ে চুমুক দিয়ে মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, জলবায়ু সম্মেলনের কথা কম বেশি শুনেছি। কিন্তু আমাদের দাবি আমরা আপনাদের কোন ফান্ড চাই না, আপনারা কার্বন নিঃসরণ কমান। আপনাদের ভোগ বিলাসী জীবন থেকে বের হয়ে আসেন। আমাদের বাঁচতে দিন। উপস্থিত সকলেই তার সাথে একমত প্রকাশ করে বলেন, কার্বন নিঃসরণ কমান।
বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) সুন্দরবন স্টুডেন্ট সলিডারিটি টিমের সমন্বয়ক এসএম রাইসুল ইসলামের সঞ্চালনায় চায়ের কাপে জলবায়ু সম্মেলন শীর্ষক এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বেসরকারি সংস্থা বারসিকের কর্মকর্তা চম্পা রানী মল্লিক, রুবিনা পারভীন ও সুন্দরবন স্টুডেন্ট সলিডারিটি টিমের সদস্যবৃন্দ।
সভায় বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য আমরা চরম ভোগান্তিতে রয়েছি। এর জন্য দায়ী ধনী দেশগুলো। ধনী দেশগুলো যদি এখন থেকেই কার্বন নিঃসরণ হ্রাস না করে, তাহলে আমরা ভয়াবহ হুমকির মুখে পড়বো। ভবিষ্যতে এমন পরিবর্তন চলতে থাকলে দেখা যাবে একটা সময় আমাদের অস্তিত্ব থাকবে না।

মশাল ডেস্ক: ঋতু শরৎকে বিদায় দিয়ে হেমন্তকে বরণ করেছে প্রকৃতি। বৈচিত্রপূর্ণ ছয়টি ঋতুর দেশ আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ। এক একটি ঋতুর রয়েছে এক একটি বৈশিষ্ট্য। ঋতু বৈচিত্রে এখন রাতের শেষে কুয়াশা জানান দিচ্ছে শীতের আগমন বার্তা। আবহমান গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য খেজুর রস সংগ্রহে প্রতিটি গ্রামে গ্রামে খেজুর রস সংগ্রহের জন্য গাছিরা খেজুর গাছ কাটার কাজে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন।
পুবালি বাতাসে অপরুপ সৌন্দর্যে সকলের মন মাতিয়ে তুলছে মিষ্টি খেজুর রসের ঘ্রাণ। কাক ডাকা ভোরে রস সংগ্রহ ও সন্ধ্যায় চলছে গাছ পরিচর্যার কার্যক্রম। এবার কিছুটা আগেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তিক জনপদের গ্রামে গ্রামে সকালের শিশিরের সাথে অনুভূত হচ্ছে মৃদু শীত।
আর মাত্র কয়েক দিন পর রস সংগ্রহ করে রস থেকে লালি ও গুড় তৈরির পর্ব শুরু হয়ে চলবে প্রায় মাঘ মাস পর্যন্ত। খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহের প্রস্তুতি প্রতিটি গ্রামে চোখে পড়ছে। খেজুর রস ও গুড়ের জন্য এক সময় খ্যাতি ছিল। সময়ের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রাম বাংলার প্রাচীনতম ঐতিহ্যবাহী খেজুরের গুড়। কিছুদিন আগেও বিভিন্ন এলাকার অধিকাংশ বাড়িতে, ক্ষেতের আইলে, ঝোপ-ঝাড়ের পাশে ও রাস্তার দুই ধার দিয়ে ছিল অসংখ্য খেজুর গাছ।
কোন পরিচর্যা ছাড়াই অনেকটা প্রাকৃৃতিক ভাবে বেড়ে উঠতো এসব খেজুর গাছ। প্রতিটি পরিবারের চাহিদা পূরণ করে অতিরিক্ত রস দিয়ে তৈরি করা হতো সুস্বাদু খেজুরের গুড়। গ্রামীন জনপদে সাধারণ মানুষের সচেতনতার অভাবে পুকুরের পাড়ে রাস্তার ধারে পরিবেশ বান্ধব খেজুর গাছ এখন আর তেমন চোখে পড়ে না। ইট ভাটার রাহু গ্রাসে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার বেশি হওয়ার কারণে যে পরিমাণ গাছ চোখে পড়ে তা নির্বিচারে নিধন করায় দিনদিন খেজুর গাছ কমছেই।
এখনও শীতকালে শহর থেকে মানুষ দলে দলে ছুটে আসে গ্রাম বাংলার খেজুর রস খেতে। এক সময় সন্ধ্যাকালীন সময়ে গ্রামীন পরিবেশটা খেজুর রসে মধুর হয়ে উঠতো। রস আহরণকারী গাছিদের প্রাণচাঞ্চল্য লক্ষ্য করা যেত সে সময়ে। রস জ্বালিয়ে পাতলা ঝোলা, দানা গুড় ও পাটালী তৈরি করতেন।
যার সাধ ও ঘ্রাণ ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। এখন অবশ্যই সে কথা নতুন প্রজন্মের কাছে রূপকথা মনে হলেও বাস্তব। যত বেশি শীত পড়বে তত বেশি মিষ্টি রস দেবে খেজুর গাছ। এ গাছ ৮ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত রস দেয়। এটাই তার বৈশিষ্ট্য। শীতের পুরো মৌসুমে চলে রস, গুড়, পিঠা, পুলি ও পায়েস খাওয়ার পালা। এ ছাড়া খেজুরর পাতা দিয়ে আর্কষনীয় ও মজবুত পাটি তৈরী হয়। এমনকি জ্বালানি কাজেও ব্যাপক ব্যবহার। কিন্তু জয়বায়ু পরিবর্তন, কালের বির্বতনসহ বন বিভাগের নজরদারী না থাকায় বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেজুর গাছ এখন বিলুপ্তির পথে।
তবে যে ভাবে খেজুর গাছ কাটা হচ্ছে অল্প দিনের মধ্যেই এই দেশে আর খেজুর গুড়ের ব্যবসা হবে না বলে মনে করেন গাছিরা। বর্তমান বাজারে আখের গুড় চিনি যে মূল্যে বেচাকেনা হচ্ছে তার চেয়ে মানসম্পন্ন খেজুরের গুড়ের দাম এবছর কিছুটা বেশি হবে এমনটাই আসা করছেন গাছিরা। শীত একটু বেশি পড়তে শুরু করলে আত্মীয়-স্বজন আনা নেয়া ও পিঠা-পুলির উৎসবে খেজুর গুড়ের দাম ও চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় সে সময় আমাদের লাভ একটু বেশি হয়। যে পরিমাণে শ্রম দিতে হয় সে পরিমাণে আমরা লাভ করতে পারি না। তবুও পেশাগত কারণে চালিয়ে যাচ্ছি এই ব্যবসা।
এ ব্যাপারে কৃষি বিভাগ জানায়, বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলেই খেজুর গাছ প্রায় বিলুপ্তির পথে। গাছিদের খেজুর গাছ কাটার কাজটি শিল্প আর দক্ষতায় ভরা। ডাল কেটে গাছের শুভ্র বুক বের করার মধ্যে রয়েছে কৌশল, রয়েছে ধৈর্য ও অপেক্ষার পালা। এ জন্য মৌসুমে আসার সাথে সাথে দক্ষ গাছিদের কদর বাড়ে।
এদিকে সচেতন মহল মনে করেন, খেজুর গাছ আমাদের অর্থনীতি, সংস্কৃতি, সাহিত্য তথা জীবনধারায় মিশে আছে। এই ঐতিহ্যকে যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করতে হবে।
লাইফস্টাইল ডেস্ক: চলছে সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান শারদীয় দুর্গোৎসব ।পাড়ায় পাড়ায় তৈরি হয়েছে পূজা মণ্ডপ। প্রতিমা দেখার পাশাপাশি বাড়িতে বাড়িতে চলছে সুস্বাদু রান্নার আয়োজনও। উৎসবের এ আমেজে মজাদার খাবার যোগ করবে ভিন্ন মাত্রা। দুর্গোৎসব উপলক্ষ্যে বাড়িতে তৈরি করতে পারেন নানা পদ।
পূজাই লুচি থাকবে তাই কি হয়। বেগুন ভাজা, লাবড়া কিংবা আলুর দম দিয়ে লুচি খাওয়ার স্বাদই আলাদা। তবে লুচি যাতে নরম আর স্বাদের হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন।
লুচির তৈরির রেসিপি
উপকরণ: ময়দা ২ কাপ, বেকিং পাউডার আধা চা চামচ, তেল ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো,লবণ স্বাদমতো, হালকা গরম পানি পরিমাণমতো।
প্রস্তুত প্রণালি : একটি বড় বাটিতে ময়দার মিশ্রণ নিয়ে তার মধ্যে সামান্য লবণ ও ২ টেবিল চামচ তেল দিন। স্বাদ বাড়াতে সামান্য ঘি-ও যোগ করতে পারেন এতে। এরপর অল্প অল্প করে পানি দিয়ে ডো তৈরি করে নিন। ডো খুব বেশি নরম করার দরকার নেই। ফোলার জন্য বেকিং পাউডার যোগ করুন। ডো তৈরি হলে আধা ঘণ্টার জন্য ঢেকে রাখুন। এরপর ডো থেকে ছোট ছোট ভাগ করে ছোট রুটির মতো বেলে নিন।
চুলাইয়ে কড়াই দিয়ে তেল গরম করুন। তেল গরম হয়ে এলে তাতে রুটি ছেড়ে দিন। কিছুক্ষণ পর সেটি ফুলে উঠলে উল্টে দিন। ভাজা হলে তুলে টিস্যুর উপর রাখুন। এভাবে একটি একটি করে লুচি ভাজুন। গরম গরম পরিবেশন করুন আলুর দম, সবজি কিংবা মাংসের সঙ্গে।
পাঁচমিশালি সবজি
উপকরণ : আলু ১টি, পটোল ৩-৪টি, মিষ্টিকুমড়া ছোট ১ ফালি, টমেটো ১টি, বেগুন ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, কাঁচা মরিচ ৬-৭টি, তেজপাতা ২টি, পাঁচফোড়ন সামান্য, লবণ স্বাদমতো, হলুদ আধা টেবিল চামচ, তেল প্রয়োজনমতো, আদাবাটা ১ টেবিল চামচ, রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ, জিরার গুঁড়া সামান্য ও ধনেপাতাকুচি সামান্য।
প্রস্তুত প্রণালি : সব সবজি ধুয়ে বড় টুকরো করে কেটে নিন। এবার কড়াইয়ে তেল গরম করে দুটি শুকনো মরিচ আর দুটি তেজপাতা ছিড়ে দিন। এবার পাঁচফোড়ন দিন। তারপর একে একে আলু, পটল দিন। লবণ ও হলুদের সাথে আদা-রসুন বাটা যোগ করে সামান্য পানি দিয়ে কষান। সবজি আধসিদ্ধ হয়ে এলে মিষ্টিকুমড়া, বেগুন আর টমেটো দিয়ে অল্প অল্প পানি যোগ করে কষিয়ে নিন। সবজিতে কাঁচা মরিচের ফালি দিন। সব সবজি সিদ্ধ হয়ে এলে ধনেপাতাকুচি ছড়িয়ে দিন। ব্যস, তৈরি হয়ে গেল মজাদার পাঁচমিশালি সবজি। গরম গরম লুচির সাথে সবজি পরিবেশন করুন।
আলুর দম
উপকরণ :ছোট আলু ১/২ কেজি, হলুদ বাটা ১/২ চা চামচ, মরিচ বাটা ১/২ চা চামচ, আদা ১ ইঞ্চি, কাঁচা মরিচ ৪টি, জিরা ১ চা চামচ, ধনিয়া ১ চা চামচ, জিরা গুঁড়া ১/২ চা চামচ, টমেটো পেস্ট -২ চামচ, গরম মসলা গুড়া আধা চা চামচ, লবণ স্বাদমতো।
প্রস্তুত প্রণালি :আলু লবণপানিতে সিদ্ধ করে লাল করে ভেজে নিতে হবে। কড়াইয়ে ২ টেবিল চামচ তেল দিয়ে সব বাটা মসলা কষাতে হবে। এরপর আলু দিয়ে নাড়তে হবে। ভাজা হলে ১/২ কাপ পানি দিয়ে আলু সিদ্ধ করতে হবে। আলুর দম মাখামাখা হয়ে গেলে কাঁচামরিচ আর ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

লাইফস্টাইল ডেস্ক
সুস্থতার জন্য হাড়ের যত্ন নেওয়া জরুরি। ভাবছেন, শরীরের ভেতরে থাকে যে হাড়, তার যত্ন নেবেন কীভাবে? আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে, কোন খাবারগুলো হাড়ের জন্য ক্ষতিকর আর কোনগুলো উপকারী। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে হাড় নাজুক হতে শুরু করে। আপনি যদি আগে থেকে সচেতন থাকেন তাহলে এটি ঠেকানো সম্ভব।
আমরা প্রতিদিন এমন কিছু খাবার খাই যেগুলো হাড়ের জন্য খারাপ। দুর্বল হাড়ের প্রাথমিক লক্ষণ হলো মাড়ির রোগ, হাতের মুঠোতে শক্তি কম পাওয়া, নখ ভঙ্গুর হয়ে যাওয়া, শরীর বেঁকে যাওয়া, ঘাড়ে ব্যথা ইত্যাদি। হাড় দুর্বল হলে অনেক সময় অল্প আঘাতেই তা ভেঙে যায়।
হাড় কীভাবে শক্তি পায়?
হাড়ের জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় উপাদানের একটি হলো ক্যালসিয়াম। আমাদের শরীর ক্যালসিয়াম নামক খনিজ সহজে গ্রহণ করতে পারে না। কিছু খাবার শরীরে ক্যালসিয়াম গ্রহণে বাঁধা দেয়। যে কারণে এই খনিজ শরীরে পৌঁছে না। তাই ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পাশাপাশি ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন এ, সি, ডি যুক্ত খাবার খেতে হবে। এছাড়া প্রতিদিন কমপক্ষে আধা ঘণ্টা শরীরচর্চা করতে হবে। এতে হাড় ভালো রাখা সহজ হবে। জেনে নিন কোন খাবারগুলো হাড়ের জন্য ক্ষতিকর-
কোল্ড ড্রিংকস
এমনিতেও কোল্ড ড্রিংকস বা কোমল পানীয় পানের কোনো উপকারিতা নেই, আছে অনেক ক্ষতিকর দিক। তার মধ্যে একটি হলো, এটি হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ ক্ষতিকর। এই পানীয়তে চিনির পরিমাণ থাকে অনেক বেশি। এছাড়া এতে ক্যাফেইন, ফসফোরিক অ্যাসিডও থাকে। এই উপাদানগুলো হাড়কে ভেতর থেকে দুর্বল করে দেয়।
প্রাণিজ প্রোটিন বেশি খাবেন না
আমাদের শরীর ভালো রাখার জন্য প্রয়োজন পড়ে প্রাণিজ প্রোটিনের। এই প্রোটিন শরীর গ্রহণ করতে পারে সহজেই। তবে এটি অতিরিক্ত গ্রহণ করলে সৃষ্টি হতে পারে সমস্যা। বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে যে, অতিরিক্ত প্রোটিন খাওয়া মানুষেরা অস্টিওপোরোসিস সমস্যায় ভুগে থাকেন। সেখান থেকে হাড় ভঙ্গুর হয়ে যায়।
কফি
দুই এক-দুই কাপ কফি খাওয়া যেতেই পারে। তবে এর বেশি কোনোভাবেই নয়। কফি বেশি খেলে অনেক ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে। এতে থাকা ক্যাফেইন ক্যালসিয়াম গ্রহণে বাধা দেয়। কফি তাই মাঝে মাঝে খাবেন, নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস করবেন না। হাড় ভালো রাখতে হলে তাই এদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
ধূমপান
ধূমপান মোটেই উপকারী অভ্যাস নয়। বরং এর ক্ষতিকর দিক লেখা থাকে সিগারেটের প্যাকেটের গায়েই। ধূমপান থেকে দেখা দিতে পারে শরীরের অনেক সমস্যা। তার মধ্যে একটি হলো, এটি হাড় দুর্বল করে দেয়। ধূমপানের ফলে শরীরে ক্যালসিয়াম ঠিকভাবে পৌঁছে না। তাই ধূমপান কিংবা তামাক গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
অতিরিক্ত চিনি ও লবণ
শরীরের জন্য লবণ প্রয়োজন, তবে তার একটি নির্দিষ্ট পরিমাপ রয়েছে। অতিরিক্ত লবণ বা চিনি গ্রহণ করা অত্যন্ত ক্ষতিকর। বিশেষ করে হাড়ের ক্ষতি করতে কাজ করে এই দুই উপাদান। কারণ অতিরিক্ত চিনি ও লবণ খেলে শরীর থেকে ক্যালসিয়াম বের হযে যায়। এছাড়া মদ্যপান, সারক্ষণ শুয়ে-বসে থাকার কারণেও হাড়ে সমস্যার সৃষ্টি হয়। হাড় সুস্থ রাখতে তাই এগুলো বাদ দিতে হবে।

মশাল ডেস্ক: কিশোরগঞ্জ তাড়াইল উপজেলার তালজাঙ্গা গ্রামের যুবক সফিউল আলম সজিব। মুরগী পালন আর মাছ চাষ করে মাসে আয় করেন ৬ থেকে ৭ লাখ টাকা। চাকরির পেছনে না ছুটে তিনি আজ সফল খামারি। ২০১১ সালে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে তিনমাসের প্রশিক্ষণ নিয়ে ১০০ ব্রয়লার মুরগী নিয়ে মুরগীর খামার শুরু করেন। বর্তমানে তার খামারে রয়েছে ১০ হাজার লেয়ার মুরগী।
খামারের পাশাপাশি রয়েছে ১২ টি পুকুর। পুকুরে শিং, পাবদা, গুলসা ও পাঙাস মাছ চাষ করেন। রয়েছে একটি মাঝের হ্যাচারি ও গরুর খামার। সজীবের খামারে ২০ জনের কর্মসংস্থান হয়েছে। তার খামারে কাজ করে অনেক শিক্ষার্থী পড়াশোনার পাশাপাশি সংসারের খরচও চালাতে পারছে।
তালজাঙ্গা গ্রামে সজীবই প্রথম মুরগীর খামার ও মাছ চাষ শুরু করেন। এখন তার সাফল্য দেখে এলাকার অনেক বেকার যুবক খামারি হিসেবে কাজ করছেন।
বেকার সমস্যা দূর করতে দেশের শিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত বেকার যুবকদের নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর। চাকরির পেছনে না ছুটে সফল আত্মকর্মী হিসেবে গড়ে তুলতে বেকার যুবকদের প্রতি আহ্বান করেন তাড়াইল উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা, মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান খান।
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তদের দিক নির্দেশনায় সফল খামারি সজীব এখন স্বপ্ন দেখছেন নিজের খামারকে বড় পরিসরে রূপ দিয়ে ৫০ হাজার লেয়ার মুরগী নিয়ে ৫০ জনের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার। সরকারি সহযোগিতা পেলে তার এই স্বপ্ন পূরণ করা সহজ হবে বলে জানান শফিউল আলম সজীব।

অনলাইন ডেস্ক: জাসপ্রিত বুমরাহর বিশ্বরেকর্ডে ক্রিকেট বিশ্বজুড়ে বয়ে চলেছে নানা প্রতিক্রিয়ার জোয়ার। অভিনন্দন জানানোর পালাও চলছে। আগের যৌথ রেকর্ডে উজ্জ্বলতম নামটি যিনি সেই ব্রায়ান লারাও এবার শুভেচ্ছা জানালেন বুমরাহকে। যার ওভারে আগের রেকর্ড গড়েছিলেন লারা, সেই রবিন পিটারসনও স্বস্তি প্রকাশ করেছেন কৌতুকের সুরে।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এজবাস্টন টেস্টের দ্বিতীয় দিনে শনিবার (২ জুলাই) ক্রিকেট বিশ্বকে নাড়িয়ে দেওয়া কীর্তি গড়েন বুমরাহ। তার ব্যাটিং তান্ডবে স্টুয়ার্ট ব্রডের এক ওভার থেকে রান আসে ৩৫। টেস্ট ক্রিকেটের ১৩৫ বছরের ইতিহাসে যা এক ওভারে সর্বোচ্চ রান। এর আগে টেস্টে ২৮ রানের বেশি আসেনি কখনোই। ২০০৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বাঁহাতি স্পিনার রবিন পিটারসনের ওভারে লারা মারেন চারটি চার ও দুটি ছক্কা। পরে ২০১৩ সালে জিমি অ্যান্ডারসনের ওভারে তিন ছক্কা, দুই চার ও একটি ডাবল নিয়ে লারার রেকর্ড স্পর্শ করেন অস্ট্রেলিয়ার জর্জ বেইলি। ২০২০ সালে এই তালিকায় যোগ হয় বিস্ময়কর এক নাম। ইংল্যান্ডের অনিয়মিত স্পিনার জো রুটের ওভারে তিনটি চার ও দুটি ছক্কা মারেন কেশভ মহারাজ, যিনি নিজে মূলত বাঁহাতি স্পিনার। ওই ওভারের শেষ বল থেকে অতিরিক্ত চার রান আসে । এবার ওই তিনজনকে ছাড়িয়ে রেকর্ড ছাড়িয়ে গেল নতুন উচ্চতায়। ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যুবরাজ সিংয়ের ব্যাটে ওভারে ছয় ছক্কা হজম করা ব্রডের অভিজ্ঞতা হলো নতুন দুঃস্বপ্নের। ৩৫ রানের সবই অবশ্য বুমরাহর ব্যাট থেকে আসেনি। ওয়াইড থেকে আসে বাইসহ ৫ রান, নো বলও ছিল একটি। তবে চারটি চার ও দুটি ছক্কাসহ বুমরাহর ব্যাট থেকেও আসে ২৯ রান। রেকর্ড তাই এমনিতেও হতো।পিটারসন অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ড থেকে মুক্তি পেয়ে টুইট করেন বুমরাহর কীর্তির পরপরই। তিনি জানান, আজকে আমার রেকর্ডটি হারিয়ে খারাপ লাগছে। তিনি কৌতুকের ইমোজি ব্যবহার করেই বুঝিয়ে দেন নিজের প্রতিক্রিয়া। সঙ্গে তিনি যোগ করেন, রেকর্ড গড়াই হয় ভাঙার জন্য, এবার পরের জনের পালা।লারা টুইট করেন আরও পরে। ছোট্ট টুইটে তিনি অভিনন্দন জানান বুমরাহকে, টেস্টে এক ওভারে সর্বোচ্চ রানের বিশ্বরেকর্ড ভেঙে দেওয়া জাসপ্রিত বুমরাহকে শুভেচ্ছা জানানোয় সবাই যোগ দিন আমার সঙ্গে। ওয়েল ডান।যুবরাজের ছয় ছক্কার সময় টিভি ধারাভাষ্যে ছিলেন যিনি, সেই রবি শাস্ত্রী এবারও ছিলেন ধারাভাষ্যকক্ষে। নিজ চোখে দেখেও যেন তিনি বিশ্বাস করতে পারছিলেন না বুমরাহর ব্যাটিং ঝড়। তিনি বলেন, আমি ভেবেছিলাম, সবকিছু দেখে ফেলেছি। আসলে তা নয়। যুবরাজের ৩৬ রানের কথা জানি আমরা, আমি নিজেও ওভারে ৩৬ নিয়েছি, তবে আজকে যা দেখলাম তা অদ্ভুত। জাসপ্রিত বুমরাহ ভারতের অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ম্যাচে ১০ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে রেকর্ড গড়বে, এমন কিছু আমরা কখনও কল্পনাও করতে পারিনি।

ডেস্ক সংবাদ: টেনিসজীবনের শেষ উইম্বলডনের শুরুটা সুখের হল না সানিয়ার। মহিলাদের ডাবলসের প্রথম রাউন্ডেই বিদায় নিতে হল। শুক্রবার নামবেন মিক্সড ডাবলসে।টেনিসজীবনের শেষ উইম্বলডনে ডাবলস অভিযান সুখের হল না সানিয়া মির্জার। প্রথম রাউন্ডেই বিদায় নিতে হল সানিয়াকে। চেক প্রজাতন্ত্রের লুসি রাদেকার সঙ্গে জুটি বেধে লড়াই করেও হেরে গেলেন।
ফরাসি ওপেনের মতোই উইম্বলডনেও রাদেকার সঙ্গে জুটি বেধেছিলেন সানিয়া। তাঁদের জুটি লড়াই করেও দ্বিতীয় রাউন্ডের ছাড়পত্র পেল না। পোলিশ-ব্রাজিলীয় জুটি ম্যাগডালেনা ফ্রেচ-বিত্রোজ মাইয়ার কাছে সানিয়ারা হারলেন ৪-৬, ৬-৪, ৬-২ ব্যবধানে। প্রথম সেট জিতে এগিয়ে গেলেও পরের দু’টি সেট হেরে গেলেন সানিয়ারা। ফলে উইম্বলডনের ডাবলসে শেষ হয়ে গেল সানিয়ার যাত্রা। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে মার্টিনা হিঙ্গিসের সঙ্গে জুটি বেধে উইম্বলডনে মহিলাদের ডাবলসে চ্যাম্পিয়ন হন সানিয়া।
ডাবলসে হারলেও সানিয়ার উইম্বলডন অভিযান অবশ্য শেষ হচ্ছে না। শুক্রবার মিক্সড ডাবলসের প্রথম রাউন্ডে খেলবেন তিনি। মিক্সড ডাবলসে তাঁর সঙ্গী ক্রোয়েশিয়ার মেট প্যাভিচ। প্রথম রাউন্ডে সানিয়াদের প্রতিপক্ষ নাতেলা জালামিডজে-ডেভিড ভেগা হার্নান্ডেজ জুটি। মিক্সড ডাবলসে তিন বার উইম্বলডনের শেষ আটে পৌঁছেছেন সানিয়া। বছরের তৃতীয় গ্র্যান্ড স্ল্যামে এ বার সানিয়াই একমাত্র ভারতীয় প্রতিনিধি। আনন্দবাজার অনলাইনকেই সানিয়া প্রথম জানান, চলতি মরসুম শেষ হলে অবসর নেবেন।

ডেস্ক সংবাদ: যত্ন নিয়ে রূপটান করলেও পেলব ত্বক না হলে সৌন্দর্যই মাটি হয়ে যায়। এখন অনেকেই তাই লোমহীন মসৃণ ত্বক পেতে হাত ও পায়ে ওয়্যাক্সিং করিয়ে থাকেন। ওয়্যাক্সিং করতে অনেকেই পার্লারে যান। কেউ কেউ আবার বাজারচলতি বিভিন্ন প্রসাধনী, ক্রিম বা রেজার ব্যবহার করে থাকেন ওয়্যাক্সিং করতে। তবে এই ধরনের প্রসাধনগুলিতে স্টেরয়েড মেশানো থাকে। ফলে এগুলির ব্যবহারে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। রেজার ব্যবহারের অভ্যাসও ত্বকে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। তা হলে উপায়? ওয়্যাক্সিং করতে ভরসা রাখুন ঘরোয়া পদ্ধতিতে।
নামমাত্র খরচে বাড়িতেই বানিয়ে নিতে পারেন ওয়্যাক্সিং কিট। রইল উপকরণ ও বানানোর পদ্ধতি।
উপকরণ:
চিনি: তিন কাপ
জল: আধ কাপ
এসেনশিয়াল অয়েল: তিন চামচ
পাতিলেবুর রস: আধ কাপ
মধু: পাঁচ চামচ।
পদ্ধতি:
পাত্রে জল দিয়ে তাতে চিনি মিশিয়ে গরম করে নিন। চিনি গলে গেলে আঁচ থেকে না নামিয়েই চিনির জলের মধ্যে মধু, এসেনশিয়াল অয়েল এবং লেবুর রস মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি ঘন হয়ে এলে নামিয়ে নিন। এ বার তাপ লেগে গলে যাবে এমন কোনও জিনিস দিয়ে হাত-পায়ে ওই মিশ্রণটি লাগান। এই মিশ্রণটি খুব গরম হলে যেমন চলবে না, তেমনই ঠান্ডা হয়ে গেলেও কার্যকারীতা হারাবে। ত্বকে লাগানো মিশ্রণটির উপর একটি ওয়্যাক্সিং স্ট্রিপ চেপে চেপে লাগান ও এক ঝটকায় রোমের বৃদ্ধির দিকে উল্টো দিকে টানুন। বার চারেক এমন করতে পারলেই হাত-পায়ের লোম পরিষ্কার করে ফেলা যাবে।

অনলাইন ডেস্ক:এমন অনেক পোস্ট নজরে পড়ছে, যেখানে দাবি করা হয়েছে মঙ্গল গ্রহে পা দিতে চলেছেন অ্যালিসা কারসন।বিভিন্ন জায়গায় দাবি করা হয়েছে, মঙ্গল গ্রহ অভিযানের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করছেন ২০ বছর বয়সি অ্যালিসা।এ-ও দাবি করা হচ্ছে যে, মঙ্গলে পৌঁছনোর পর তিনি আর পৃথিবীতে ফিরে আসবেন না। তিনিই না কি পৃথিবীর প্রথম মানুষ, যিনি মঙ্গল গ্রহে গিয়ে বসবাস করবেন।অ্যালিসার ‘লাল গ্রহ’-এ পা রাখার প্রবল আকাঙ্ক্ষা থাকলেও বাস্তবে তাঁকে মঙ্গলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে না। শুধু তা-ই নয়, এই অভিযানে যাঁরা যাবেন, তাঁরা সকলেই আবার পৃথিবীতে ফিরে আসার লক্ষ্য নিয়েই যাবেন। নাসা এমনই দাবি করেছে।এক ফেসবুক পোস্টে লেখা হয়েছিল, ‘অ্যালিসা কোনও দিন বিয়ে করতে পারবেন না। কোনও দিন সন্তানের মুখও দেখতে পারবেন না তিনি। তিনি মঙ্গল গ্রহে অভিযানে যাওয়া প্রথম মানুষ হবেন, যিনি আর কখনও পৃথিবীতে ফিরে আসবেন না।’নাসা ব্লুবেরি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অ্যালিসা আমেরিকার বাসিন্দা। মাত্র তিন বছর বয়স থেকেই তার নভশ্চর হওয়ার এবং মঙ্গল গ্রহে যাওয়ার ইচ্ছা প্রবল।একাধিক ওয়েবসাইট এ-ও দাবি করেছে, অসংখ্য মহাকাশ ক্যাম্প এবং মহাকাশ সম্পর্কে শিক্ষা দেয়, এমন প্রতিষ্ঠানে যোগ দিয়ে মঙ্গলাভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছেন অ্যালিসা।গুজব রটেছিল, অ্যালিসার মধ্যে বিশেষ কোনও জিন প্রবেশ করানো হচ্ছে যাতে তিনি মঙ্গলের পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেন। যাতে তাঁর আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। তবে এই দাবিও সর্বৈব মিথ্যা বলে পাল্টা দাবি নাসার।আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, ভবিষ্যতে সংস্থার তরফে মঙ্গল অভিযানের পরিকল্পনা চললেও অ্যালিসা বলে কেউ সেই অভিযানের অংশ নন।নাসার এক মুখপাত্র রয়টার্সকে জানিয়েছেন, নাসার বিভিন্ন অভিযানে আগ্রহী পড়ুয়াদের শামিল করা হয়। কিন্তু অ্যালিসা নামক কোনও ২০ বছর বয়সি পড়ুয়া কোনও অভিযানে নেই বলে সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে।পাশাপাশি নাসার আগামী মঙ্গল অভিযানে কারা যাবেন, তা এখনও ঠিক হয়নি বলেও নাসার তরফে জানানো হয়েছে।নাসার তরফে আরও জানানো হয়েছে, এক জন মহাকাশচারী হওয়ার জন্য যে যোগ্যতার প্রয়োজন, তা অ্যালিসার নেই।অ্যালিসার বাবাও রয়টার্সকে একটি ইমেলে করে জানিয়েছেন, তাঁর মেয়ের জীবনের মূল লক্ষ্য মঙ্গল অভিযানে যাওয়া। আর তার জন্য মেয়ে যথাসাধ্য চেষ্টা এবং পরিশ্রম করছেন। তবে আদৌ তাঁর মেয়েকে নাসার তরফে মঙ্গলে পাঠানো হবে কি না, তা তিনি জানেন না বলেও মন্তব্য করেছেন।অ্যালিসার বাবা জানান, তাঁর মেয়েকে নিয়ে যাওয়া হলে সে এক পায়ে যেতে রাজি। এমনকি, তাকে ফিরিয়ে না আনা হলেও সে যেতে রাজি বলে তিনি দাবি করেছেন।অ্যালিসার বিশ্বাস ছিল, তাঁকে মঙ্গল অভিযানে নিয়ে যাওয়া হবে। এমনকি ২০১৮ সালে, টিন ভোগ পত্রিকার সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি জানিয়েছিলেন যে, তিনি মঙ্গল গ্রহে যাওয়ার পরে আবার পৃথিবীতে ফিরে আসবেন।তবে অ্যালিসার পরিবার মনে করছে, এখন যেতে না পারলেও ভবিষ্যতে ঠিক মঙ্গল অভিযানে যাবেন তিনি।