শ্রদ্ধায় ভালবাসায় পালিত হলো প্রয়াত সাংবাদিক নেতা বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ টেলিভিশন ও দ্য বাংলাদেশ অবজার্ভার এর সাতক্ষীরা করেসপন্ডেন্ট, দৈনিক কাফেলা সম্পাদক আবদুল মোতালেবের ১৭তম মৃত্যু বার্ষিকী। ২০০২ সালের ২ জুন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। বর্ষীয়ান সাংবাদিক রেডক্রিসেন্ট ব্যক্তিত্ব আবদুল মোতালেব ছিলেন একজন শিক্ষানুরাগী। তার হাত ধরে জন্ম লাভ করে শত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। নারী শিক্ষায় গুরুত্বপূর্ন অবদান রেখে এবং অগনিত মানুষকে চাকুরি দিয়ে বেকারত্ব ঘুচিয়ে সমাজকে আলোকিত করা ব্যক্তিত্ব আবদুল মোতালেবের নাম এখনও মানুষের মুখে মুখে। সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এবং বহু সাংবাদিকের হাতে খড়ি দেওয়া সাংবাদিক নেতা আবদুল মোতালেবকে এবারও সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেছে।
তার প্রয়াণের দিন গতকাল রোববার সকালে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব থেকে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ রসুলপুরে তার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এ সময় তার জন্য দোয়া করেন তারা।
সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি অধ্যক্ষ আশেক ই এলাহির নেতৃত্বে কবর জিয়ারত ও শ্রদ্ধাজ্ঞাপন অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলোর কল্যাণ ব্যানার্জি, প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপী, সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ আনিসুর রহিম, সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাবেক সহ সভাপতি কালিদাস রায়, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল বারী, মীর মোস্তফা আলিসহ অন্যান্য সাংবাদিকরা।
কবর জিয়ারত ও শ্রদ্ধাজ্ঞাপন শেষে তারা বলেন আবদুল মোতালেব ছিলেন আমাদের শিরোধার্য নেতা। সমাজের সকল কল্যাণ কাজে তিনি এগিয়ে এসেছেন। দুর্যোগে তিনি মানুষের মাঝে সাহায্যের ডালি নিয়ে হাজির হয়েছেন। প্রত্যন্ত এলাকায় তিনি শিক্ষার আলোক ছড়িয়েছেন। গড়ে তুলেছেন শত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তিনি ছিলেন সামজের অভিভাবক। আমরা তাকে হারিয়েছি। তার প্রতি আমাদের গভীর শ্রদ্ধা ও ভালবাসা চির অটুট থাকবে বলে মন্তব্য করেন তারা।
Category: প্রেসক্লাব
-

কবর জিয়ারতে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব: শ্রদ্ধায় ভালোবাসায় আবদুল মোতালেব
-

সাতক্ষীরার চার এমপিকে সাথে নিয়ে সব সমস্যার সমাধান করা হবে
সাতক্ষীরা নাগরিক সমাজের নেতৃবৃন্দ বলেন, যারা সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে হামলা করেছে তাদের গ্রেফতার করতে হবে। একটি মহল সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব দখল করার ষড়যন্ত্র করছে। তাদেরকে সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিহত করা হবে। জেলা আওয়ামী লীগসহ সকল প্রগতিশীল দল এক ও অভিন্ন পথে প্রতিরোধ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে।
শনিবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের শহিদ স.ম আলাউদ্দিন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত চার ঘন্টার মত বিনিময় সভায় এসব কথা তুলে ধরেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী সংগঠন, নাগরিক সমাজ, এনজিও ও সাংবাদিক প্রতিনিধিগন। স্পষ্ট ভাষায় তারা বলেন এসবের বিচারের দায়িত্ব আওয়ামী লীগকেই নিতে হবে। প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে দলীয় নেতারা সাক্ষাত করে শান্ত সাতক্ষীরাকে যাদের ইন্ধনে অশান্ত করে তোলা হচ্ছে তাদের চিহ্ণিত করে অভিযোগ দিতে হবে।
সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার তিনদিনের মাথায় প্রেসক্লাব ভবনে অনুষ্ঠিত বিশিষ্ট নাগরিক সমাবেশে আরও বলা হয় জেলা আওয়ামী লীগ এ ব্যাপারে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করতে পারে। তারা প্রেসক্লাব দখল চেষ্টাকারী দুস্কৃতিকারীদের এখনও কেনো আইনের আওতায় আনা হয়নি তা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করে বলেন হামলাকারীদের রক্ষা করার যেকোনো প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেওয়া হবে।
সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সহসভাপতি অধ্যক্ষ আশেক ই এলাহির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সুধি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সাবেক সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আহমেদ বলেন আমি প্রেসক্লাবে হামলাকারীদের গ্রেফতার দাবি করছি। একই সাথে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ ও ঘৃণা জানাচ্ছি। জড়িতদের শাস্তি দাবি করে তিনি আরও বলেন আমরা একাত্তরে মিত্র বাহিনীর প্রত্যক্ষ সহায়তা ছাড়া সাতক্ষীরাকে মুক্ত করেছি। ২০১৩ এর সহিংসতা প্রতিরোধ করেছি। ১৯৯৪ তে সাতক্ষীরায় গোলাম আযমের কর্মসূচি ভন্ডুল করে তাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছি। এবারও সাতক্ষীরার চার এমপিকে সাথে নিয়ে আমরা সব সমস্যা সমাধান করতে পারবো।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম বলেন প্রেসক্লাবে হামলা করে যারা রক্ত ঝরিয়েছে তারা নিন্দনীয় অপরাধ করেছে। শাস্তি তাদের পেতেই হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন এতে আওয়ামী লীগ দলীয় কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে গঠনতান্ত্রিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি সাতক্ষীরার সাংবাদিকদের মধ্যে ঐক্য ও সমন্বয় সাধনের ওপর জোর দেন।
সুধি সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন সদ্য সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোশাররফ হোসেন মশু, জেলা কমিউনিটি পুলিশের সভাপতি ডা. আবুল কালাম বাবলা, নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের এড. ফাহিমুল হক কিসলু, জাসদ এর ওবায়দুস সুলতান বাবলু, বাসদ নেতা এড. আজাদ হোসেন বেলাল, জেএসডির সুধাংশু শেখর সরকার, সাম্যবাদী দলের তরিকুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির আনোয়ার জাহিদ তপন, গণফোরমের আলি নুর খান বাবুল, বাংলাদেশ জাসদের ইদ্রিস আলি, বাসদের নিত্যানন্দ সরকার ও খগেন্দ্রনাথ ঘোষ, সিপিবির মসিউর রহমান পলাশ প্রমূখ। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাব সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপী, সাবেক সভাপতি সুভাষ চৌধুরী, সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ আনিসুর রহিম, সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল বারী। -

তিন সাংসদের সংহতি প্রকাশ, জেলা উপজেলায় আন্দোলন চলবে : সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদ ও গ্রেফতার দাবিতে সাংবাদিকদের মানববন্ধন
নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে ঢুকে ফিল্মী কায়দায় সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে সভাপতি সম্পাদকসহ ১০ সিনিয়র সাংবাদিককে আহত করার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন সাংবাদিকরা।
তারা অবিলম্বে হামলাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও আইনে সোপর্দ করে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করারও দাবি জানিয়েছেন। একই সাথে কোনো সাজানো মামলা খাড়া করে হামলাকারী সন্ত্রাসীদের রক্ষা করার চেষ্টা করা হলে তার ফল ভালো হবে না বলেও জানান সাংবাদিকরা।
শুক্রবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত দুই ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে সাংবাদিকরা বলেন বৃহস্পতিবারের এই হামলার নেপথ্য গডফাদারদেরও চিহ্ণিত করে আইন আমলে আনতে হবে। হামলা চলাকালে মাত্র ১০০ গজ দুরের সাতক্ষীরা থানা থেকে পুলিশ আসতে অহেতুক বিলম্ব করে হামলায় মদদ যোগানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তারা।
জেলার সাতটি উপজেলা প্রেসক্লাব রিপোর্টার্স ক্লাব এবং অন্যান্য সাংবাদিক সংগঠনের বিপুল সংখ্যক সাংবাদিকের অংশগ্রহনে হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলা হয় হামলাকারীরা প্রেসক্লাব সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আবু আহমেদ , প্রথম আলোর কল্যাণ ব্যানার্জি, সাবেক সভাপতি চ্যানেল আইয়ের আবুল কালাম আজাদ , প্রেসক্লাব সম্পাদক সময় টিভির মমতাজ আহমেদ বাপী, মোহনা টিভির আবদুল জলিল, সাবেক সম্পাদক আবদুল বারীসহ ১০ সাংবাদিককে আঘাত করে রক্ত ঝরিয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে উল্লেখ করেন তারা। সাংবাদিকরা বলেন এরই মধ্যে ২৪ জনকে আসামি করে সাতক্ষরিা থানায় মামলা করেছেন প্রেসক্লাব সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপী । এতে অজ্ঞাত আসামির সংখ্যা ১০০ থেকে ১৫০ জন। তারা সবাই চোরাচালানি, চোরাঘাট মালিক, মাদকপাচারকারী, স্বর্ণ চোরাচালানি, মাদকসেবী, চাঁদাবাজ , ত্রাণের চাল চোর ও ঘের দখলকারী বলে উল্লেখ করেন সাংবাদিকরা। তারা সবাই এমপি রবি বাহিনীর চেলা চামুন্ডা বলে জানিয়েছেন সাংবাদিকরা।
প্রেসক্লাবের সহসভাপতি অধ্যক্ষ আশেক ই এলাহির সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন সাবেক সভাপতি সুভাষ চৌধুরী , সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ আনিসুর রহিম, প্রেসক্লাব সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপী, প্রথম আলোর কল্যাণ ব্যানার্জি, সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, দৈনিক দৃষ্টিপাত সম্পাদক জিএম নুর ইসলাম, সাবেক সাধারন সম্পাদক আবদুল বারী, এম কামরুজ্জামান, রুহুল কুদ্দুস, ডেইলি সাতক্ষীরার সম্পাদক হাফিজুর রহমান মাসুম, দৈনিক পত্রদূত সম্পাদক লায়লা পারভিন সেঁজুতি, দৈনিক মানবজমিনের ইয়ারব হোসেন, যমুনা টিভির আহসানুর রহমান রাজীব, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির আবুল কাসেম, কালের কণ্ঠর মোশাররফ হোসেন, দৈনিক সাতনদী সম্পাদক হাবিবুর রহমান ছাড়াও জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আসা সাংবাদিকবৃন্দ।
তালা, দেবহাটা, কলারোয়া , আশাশুনি, কালিগঞ্জ ও শ্যামনগর উপজেলার প্রেসক্লাব ও অন্যান্য সাংবাদিক সংগঠন থেকে আসা বক্তব্যদানকারী সাংবাদিকরা হলেন- আশাশুনির আহসান হাবিব ও মোস্তাফিজুর রহমান, দেবহাটার আবদুল ওহাব ও গোলাম ফারুক, কলারোয়ার আরিফ মাহমুদ ও আজাদুর রহমান খান চৌধুরী পলাশ, তালার জুলফিকার রায়হান, শ্যামনগরের সামিউল মনির ও পিযুষ বাউলিয়া পিন্টু, কালিগঞ্জের নিয়াজ কাওসার তুহিন প্রমুখ সাংবাদিক। তারা জেলা পর্যায়ের সিনিয়র সাংবাদিকদের ওপর অতর্কিত হামলার ঘটনার বিচার দাবি করে বলেন, অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। তারা বলেন সাতক্ষীরা সদর আসনের সাংসদ মীর মোস্তাক আহমেদ রবিকে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব কিছুদিন আগে অবাঞ্ছিত ঘোষনা করা হয়। সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর ২৪ ঘন্টা পার না হতেই তার চেলা চামুন্ডা ও চামচারা সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে হামলা করে রক্ত ঝরিয়েছে বলে মন্তব্য করেন তারা।
এ ছাড়া সাংবাদিকদের দাবির প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন সাতক্ষীরা ১, ৩ ও ৪ আসনের সংসদ সদস্য এড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, ডা. আফম রুহুল হক ও এসএম জগলুল হায়দার ছাড়াও জেলার সকল রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ। এর আগে বৃহস্পতিবার প্রেসক্লাব ভবনে এসে ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল ও পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান।
আজ শনিবার সাতক্ষীরার তিনজন সংসদ সদস্য, রাজনৈতিক নেতা, মুক্তিযোদ্ধা, পেশাজীবী সংগঠনসহ সমাজের বিশিষ্ট নাগরিকদের সাথে প্রেসক্লাব ভবনে মত বিনিময়ের কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া দাবি আদায়ে জেলার সব উপজেলায় পৃথক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করবেন সাংবাদিকরা।
সিসিটিভি ক্যামেরা কারা ভাঙে
সচরাচর চোর ডাকাত, খুনি এবং অপরাধ সংঘটনকারীরা তাদের অপরাধের আলামত ঢাকা দেওয়ার জন্য সিসিটিভি ক্যামেরা অথবা টেলিফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে থাকে। বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে সিসিটিভি সংযোগ টেনে হেঁচড়ে বিচ্ছিন্ন করে একই অপরাধ করলেন দুই নামধারী সাংবাদিক শামীম ও মনি সহ তাদের সহযোগীরা।
আসামী হলেন কে কে
সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে নিন্দনীয় হামলার সাথে জড়িতদের ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ১০০-১৫০ জনের নামে মামলা করেছেন প্রেসক্লাব কর্তৃপক্ষ। তাদের মধ্যে যারা আসামী হয়েছেন এরা হলেন- টাকা আত্মসাত ও গুন্ডামির কারনে প্রেসক্লাবের সদস্যপদ হারানো জিএম মনিরুল ইসলাম মিনি, মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জ্বল, মনিরুল ইসলাম মনি ও শামীম পারভেজ। অন্য আসামীরা হলেন- পলাশপোলের জাকির হোসেন মিঠু, চায়না বাংলার মালিক একেএম আনিসুর রহমান, শাল্যের ত্রানের চাল চোর এসএম রেজাউল ইসলাম ওরফে চোর মোসলেম, পলাশপোলের কামরুল হাসান ওরফে চাঁদাবাজ চটা কামরুল, ব্রক্ষ্মরাজপুরের মনিরুজ্জামান তুহিন, নলকূড়ার খন্দকার আনিসুর রহমান, পুরাতন সাতক্ষীরার অমিত ঘোষ, মুনজিতপুরের আকাশ ইসলাম, মুহুরী মনিরুজ্জামান মনি, কাশেমপুরের শহিদুল ইসলাম, মুহুরী হাফিজুর রহমান, শ্রীউলার হাফিজুর রহমান পলাশ, বুলারাটির শেখ আমিনুর রশীদ সুজন, মেহেদীবাগের আক্তারুজ্জামান ওরফে আক্তারুল, মুনজিতপুরের শেখ আব্দুল হাকিম, পলাশপোলের শাহ আলম, সরকার পাড়ার তাজমিনুর রহমান টুটুল, মুনজিতপুরের জাদু ও দীপ, ভবানীপুরের আক্তারুল ইসলাম।
দুইঘন্টার গল্পবাজি, হঠাৎ হাসপাতাল বেডে
বৃহস্পতিবার হামলার পর মনিরুজ্জামান তুহিন, মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জ্বল, মনিরুল ইসলাম মনি, শহিদুল ইসলাম, শামীম পারভেজ সহ বেশ কয়েকজন হলরুমে এসে বীরত্বপূর্ন গল্পগুজব করছিলেন। এর আগে জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপারের মুখোমুখি হয়ে জবাবদিহিতা করতে গিয়ে গলদঘর্ম হচ্ছিলেন তারা । হঠাৎ সিবি হাসপাতালের একটি অ্যাম্বুলেন্স এলো। এসময় তুহিন, শহীদুল সহ কয়েকজন উহ্ আহ্ করতে করতে অ্যাম্বুলেন্সে উঠলেন। এরপর তারা হাসপাতালে শুয়ে ছবিতে পোজ দিলেন। পরদিন শুক্রবার একটি কাগজে ৪ টি ছবি দিয়ে বলা হলো তারা আহত এবং তাদের অবস্থা আশংকাজনক।
সাংবাদিকদের হুশিয়ারি
সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে ফিল্মি স্টাইলে হামলাকারীদের রক্ষার জন্য একটি মহল পাল্টা মামলার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে সাংবাদিকরা স্পষ্ট ঘোষনা দিয়ে বলেছেন কোন সাজানো মামলা তৈরী করে হামলাকারীদের রক্ষার চেষ্টা করা হলে ফল ভালো হবে না।
মানববন্ধনের সামনে ওরা কারা
শুক্রবার প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন চলাকালে আগেরদিনের অন্যতম হামলাকারী মুনজিতপুরের আব্দুল খালেকের ছেলে শেখ আব্দুল হাকিমকে দেখে সাংবাদিকরা উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। এ সময় সদর থানার ওসি(তদন্ত) মো. নজরুল ইসলাম তাকে হুশিয়ার করে বলেন এখনি সরে যা। একথা শুনতেই আব্দুল হাকিমের ভো দৌড়। এসময় দেখা গেল মুনজিতপুরের জাদু ও মাহি আলমকে পৃথক গাড়িতে মানবন্ধন রেকী করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে।