Category: প্রেসক্লাব

  • মোহনা টিভির  প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

    মোহনা টিভির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

    সাতক্ষীরায় কেক কাটা, র‌্যালি ও আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে মোহনা টিভির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে। মোহনা টিভির দর্শক ফোরাম আয়োজিত দশম বছরে পদার্পন এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দর্শক ফোরামের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ নজরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ, পুলিশের বিশেষ শাখার এএসপি সাইফুল ইসলাম ।
    সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদের সঞ্চলনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আহম্মেদ বাপ্পী, সাংবাদিক কল্যাণ ব্যানার্জি, জেলা পরিষদের সদস্য শাহনাজ পারভীন মিলি, জেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক মোঃ আনিসুর রহিম, ফিফা রেফারি তৈয়েব হাসান বাবু, স্বদেশের নির্বাহি পরিচালক মধাব দত্ত, ডিএসবির ওসি মিজানুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সদস্য সচিব লায়লা পারভীন সেজুতি, মোহনা টেলিভিশন দর্শক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আরিফ হাসান প্রিন্স প্রমুখ।
    অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন, মোহনা টেলিভিশনের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি মো: আব্দুল জলিল। এর আগে প্রেসক্লাব থেকে একটি র‌্যালি বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এসময় জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো হয়।

  • দৃষ্টিপাত পরিবারকে শুভেচ্ছা জানাতে দৃষ্টিপাত ভবনে সম্পাদক ও সাংবাদিকরা

    দৃষ্টিপাত পরিবারকে শুভেচ্ছা জানাতে দৃষ্টিপাত ভবনে সম্পাদক ও সাংবাদিকরা

    দৈনিক দৃষ্টিপাতের উনিশ বছরে পদার্পনে দৃষ্টিপাত পরিবারকে শুভেচ্ছা জানাতে এবং দৃষ্টিপাতের পথচলায় স্বাগত জানাতে দৃষ্টিপাত সম্পাদক সহ দৃষ্টিপাত পরিবারের সাথে মত বিনিময় করেন সাতক্ষীরার সম্পাদক সহ সিনিয়র সাংবাদিকরা। স্বজনদের সাথে মত বিনিময় করেন কালের চিত্র সম্পাদক সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, দৈনিক পত্রদূতের উপদেষ্টা সম্পাদক ও প্রেসক্লাবের প্রাক্তন সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, দক্ষিণের মশাল সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক ই এলাহী, সিনিয়র সাংবাদিক প্রথম আলোর প্রতিনিধি কল্যাণ ব্যানার্জী, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপ্পী, প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারী, সাপ্তাহীক সূর্যের আলো সম্পাদক আব্দুল ওয়ারেশ খান চৌধুরী, সাপ্তাহিক মুক্ত স্বাধীন পত্রিকার সম্পাদক আবুল কালাম, সম্পাদক ও সিনিয়র সাংবাদিকরা দৃষ্টিপাত সম্পাদক সহ পরিবারকে শুভেচ্ছা জানান। সাতক্ষীরার সম্পাদক, সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্টদের মাঝে সৌহাদ্য, সম্প্রীতি আন্তরিকতা এবং পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র যেন জাগ্রত থাকে এমন আলোচনা ছিল উপস্থিত সম্পাদকসহ সাংবাদিকদের মাঝে।

  • সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আয়োজনে ‘দুর্গোৎসব ও বাংলাদেশ, সম্প্রীতির সেতুবন্ধন’

    সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আয়োজনে ‘দুর্গোৎসব ও বাংলাদেশ, সম্প্রীতির সেতুবন্ধন’



    নিজস্ব প্রতিনিধি : ব্যতিক্রম ও অভূতপূর্ব এ আয়োজনটির পরিসর বড্ড ছোট, বৃহৎতম পরিমন্ডলে হওয়া দরকার ছিল। আসলেই এটি সম্প্রীতির মেলবন্ধন। সাতক্ষীরার এক রাজনৈতিক দুর্যোগের মধ্যে ২০১৩ সালে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব সাহস নিয়ে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে দাড়িয়ে সম্প্রীতির দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সেতুবন্ধনের অনুষ্ঠানের যাত্রা শুরু করে তা আসলে অন্যন্য। এটি দেশের মধ্যে একমাত্র, আমরা অভিভুত। গতকাল সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সম্প্রীতির সেতুবন্ধন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে আবেগময় হয়ে অতিথিরা এভাবে অভিব্যক্তি ব্যক্ত করেন।
    জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন, রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দের উপস্থিতির মধ্য দিয়ে মিলন মেলায় পরিনত হয় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব। অনুষ্ঠানটিতে সভাপতিত্ব করেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আবু আহমেদ। সম্মানীত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সফল স্বাস্থ্যমন্ত্রি, আওয়ামীলীগের উপদেষ্ঠা মন্ডলীর সদস্য ও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সভাপতিত্ব অধ্যাপক আফম রুহুল হক এমপি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পাটির কেন্দ্রিয় পলিটব্যুরোর সদস্য, সাতক্ষীরা-১ আসনের সাংসদ এডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান, জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, বিজিবি অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল গোলাম মহিউদ্দীন খন্দকার, সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহিন, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ, সাধারন সম্পাদক নজরুল ইসলাম, জাতীয় গেয়েন্দা সংস্থা সাতক্ষীরার উপ-পরিচালক জাকির হোসেন, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু, জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি শেখ আজহার হোসেন, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক এড. সৈয়দ ইফতেখার আলী, জেএসডি সাধারন সম্পাদক সুধাংশ শেখর সরকার, সিএন্ডএফ সাধারন সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম, জেলা মন্দির সমিতির সভাপতি বিশ্ব নাথ ঘোষ প্রমুখ।
    সভায় অতিথিরা বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে সূচনা হয়েছিল অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সেদিন ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে বাঙ্গালি জাতি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে মাতৃভূমির স্বাধীনতা অর্জন করেছিল। রচিত হয়েছিল এক অসাম্প্রদায়িক সংবিধান। সেদিনের সেই সম্প্রীতির সেতুবন্ধন আজও অম্লান। আগামিতেও তা অটুট থাকবে।

  • জেলা সংবাদপত্র পরিষদের সভা

    জেলা সংবাদপত্র পরিষদের সভা

    সাতক্ষীরা জেলা সংবাদপত্র পরিষদের এক সভা শনিবার বেলা ১২টায় দৈনিক দৃষ্টিপাত ভবনে পরিষদের আহবায়ক দৃষ্টিপাত সম্পাদক জিএম নূর ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত দৈনিক পত্রিকার মান উন্নয়নে ও নানান সমস্যা নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করা হয়। একই সাথে সংবাদপত্রের বিরুদ্ধে হয়রানীমূলক মামলা, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সিনিয়ার সাংবাদিকদের সন্ত্রাসী কর্তৃক লাঞ্ছিত করার ঘটনায় নিন্দা জানান হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন দৈনিক কালের চিত্র সম্পাদক অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, দৈনিক পত্রদূতের উপদেষ্টা সম্পাদক এড. আবুল কালাম আজাদ, দৈনিক দক্ষিণের মশাল সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা সম্পাদক মো. মহসিন হোসেন বাবলু, দৈনিক সাতনদী হাবিবুর রহমান, দৈনিক পত্রদূদের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক লাইলা পারভিন সেঁজুতি, সপ্তাহিক সূর্য্যরে আলো সম্পাদক আব্দুল ওয়ারেশ খান চৌধুরী, সাপ্তাহিক মুক্তস্বাধীন সম্পাদক মো. আবুল কালাম। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সাতক্ষীরা থেকে নিয়মিত প্রকাশিত সংবাদপত্র সমূহকে পরিষদের সদস্য হওয়ার জন্য আবেদন করার আহবান জানানো হয়।

  • সাংবাদিক ইয়ারব হোসেনকে সাতদিনের মধ্যে হত্যার হুমকি দিয়ে চিঠি


    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: দৈনিক মানবজমিনের সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি ইয়ারব হোসেনকে সাতদিনের মধ্যে তার বাড়িতে যেয়ে হত্যার হুমকি দিয়েছে অজ্ঞাত পরিচয় সন্ত্রাসীরা। হাতে লেখা একটি চিঠিতে তারা বলেছে তোর সময় আছে মাত্র সাতদিন।
    সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশ ও সাংবাদিক ইয়ারব হোসেন জানান শুক্রবার জুমার নামাজের আগে কে বা কারা একটি প্যাকেট সদর উপজেলার তুজুলপুর মসজিদের বারান্দায় রেখে যায়। এতে লেখা ছিল ‘সাংবাদিক ইয়ারব হোসেন। তারা জানান ইয়ারব সাতক্ষীরার বাইরে থাকায় মসজিদের ইমাম আমির হোসেন সেটি নিজ হেফাজতে রেখে দেন। আজ শনিবার সন্ধ্যায় সবার সামনে প্যাকেটটি তার হাতে দিতেই বেরিয়ে পড়ে জীবন নাশের হুমকির নানা চিত্র। ইয়ারব হোসেন ওই মসজিদের সভাপতি।
    পুলিশের এস আই তারিকুল ইসলাম জানান প্যাকেটটিতে ছিল তিন খন্ড কাফনের কাপড়। সাথে আতর, সাবান,কর্পুর, গোলাপ পানি, সুগন্ধি, সুরমাসহ নানা উপকরণ। এর সাথে একটি চিঠি। হাতে লেখা চিঠিটি নিচে তুলে ধরা হলো।
    ‘ইয়ারব, সুমন সানার পেছনে লাগলে তোর অবস্থা নজরুলের মতো হবে। নজরুলকে মেরেছি রাস্তায়। তোকে মারবো তোর নিজ বাড়িতে। তোর সময় আছে মাত্র সাতদিন। কাফনটা পাঠালাম। রেখে দিস। ইতি তোর যম।
    ইয়ারব জানান সুমন সানা স্থানীয় একজন ইউপি সদস্য। তার সাথে তার বন্ধুত্ব আছে। তার নাম উদ্দেশ্যমূলকভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। তিনি জানান আগরদাঁড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল ইসলাম গত ২২ জুলাই বেলা ১১ টায় সাতক্ষীরার কদমতলায় সন্ত্রাসীদের ছোড়া গুলিতে নিহত হন। চিঠিতে সেই নজরুলের বিষয়টি উল্লেখ করেছে সন্ত্রাসীরা।
    এস আই তারিকুল আরও বলেন সব আলামত জব্দ করা হয়েছে । এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইয়ারব হোসেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে বলেও জানান তিনি।
    এঘটনায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে উদ্বেগের সাথে সাংবাদিক ইয়ারব হোসেন সহ প্রেসক্লাবের সকল সাংবাদিকদের নিরাপত্তা চেয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।

  • সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে মীর মোস্তাক আহমেদ রবি এমপি

    সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে মীর মোস্তাক আহমেদ রবি এমপি

    গতকাল সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে আসেন সাতক্ষীরা – ২ আসনের এমপি মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। এ সময় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাধারন সম্পাদকসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ তাকে স্বাগত জানান।

  • সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি সম্পাদকের সাথে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা শাহীনের সৌজন্য সাক্ষাৎ

    সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি সম্পাদকের সাথে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা শাহীনের সৌজন্য সাক্ষাৎ


    সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির মানব সম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক নাহিদ হাসান শাহিন। বৃহস্পতিবার রাত ৮ টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের কর্মকর্তাদের হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এসময় তার সাথে আরো উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি আশিকুর রহমান, কলারোয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান ফাহিম, ছাত্রলীগ নেতা মোয়াতাসিম বিল্লাহ প্রমুখ।

  • সাতক্ষীরা প্রেস ক্লাবের ঘটনা, তথাকথিত আহবায়ক কমিটি ও সাংবাদিকদের বিবৃতি সম্পর্কে জিএম মনিরুল ইসলাম মিনির বক্তব্য


    গত ১০ জুন দৈনিক সুপ্রভাত সাতক্ষীরাসহ কয়েকটি স্থানীয় পত্রিকায় “সাতক্ষীরা প্রেস ক্লাবের ঘটনা- আহবায়ক কমিটি ও সাংবাদিকদের বিবৃতি” শীর্ষক খবরে আমার নাম দেখলাম। আমি এ ধরনের কোন বিবৃতি প্রদান করিনি বা স্বাক্ষর করিনি। তাছাড়া সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের গঠনতান্ত্রিক কার্যক্রমের বিপক্ষে আমি কোন ধরনের অবস্থান গ্রহণ করিনি। এমনকি গত ৩০ মে ২০১৯ তারিখে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের হামলার ঘটনার সাথে আমার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। আমি পাঁচ বছরের অধিক সময় ধরে সুনামের সাথে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবরে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি। আশা করি এই বিবৃতির মধ্য দিয়ে সকল ভুল বুঝাবুঝির অবসান হবে।
    স্বাক্ষর অস্পষ্ট
    জি, এম মনিরুল ইসলাম মিনি
    তাং- ১৩/০৬/২০১৯ ইং

  • সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব নিয়ে মহল বিশেষের অপপ্রচার সম্পর্কে কার্যনির্বাহী কমিটির বক্তব্য


    আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে, সম্প্রতি একটি মহল সাতক্ষীরার সাংবাদিকদের ঐতিহ্যবাহি প্রতিষ্ঠান সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব নিয়ে বিভিন্ন ধরণের মিথ্যাচার ও অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছেন। এ ব্যাপারে গত ৮ জুন ২০১৯ সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় একটি বিবৃতি প্রদানে সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
    গত ৩০ জুন ২০১৯ বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে অতর্কিত হামলা করে একদল চিহ্নিত সন্ত্রাসী। কয়েকটি গ্রুপে বিভক্ত হামলাকারীদের একটি অংশ প্রথমে প্রেসক্লাবে প্রবেশ করে সিসিটিভির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে এবং পিছনের দরজা খুলে দেয়। আর একটি অংশ অতিথি কক্ষে অবস্থানরত সভাপতি অধ্যাপক আবু আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপী, প্রথম আলোর কল্যাণ ব্যানার্জি, চ্যানেল আই ও পত্রদূতের আবুল কালাম আজাদ, আব্দুল জলিল, আব্দুল বারীসহ অন্যদের উপর হামলা ও মারপিট শুরু করে। হামলাকারী ছাড়া ঘটনার সময় সন্ত্রাসীদের আরো একটি অংশ প্রেসক্লাবের সামনের চত্বরে অবস্থান নেয়। অপর একটি অংশ প্রেসক্লাবের সামনের সড়ক ও শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে অবস্থান নেয়। হামলায় নেতৃত্ব প্রদানকারীদের একটি অংশ প্রকাশ্যে লাঠি সোটা, ক্রিকেটের স্ট্যাম্প, হাতুড়ি নিয়ে এবং আর একটি অংশ আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে অবস্থান নেয়। হামলাকারীদের ৩/৪জন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সদস্য পদ বাতিল হওয়া সাংবাদিক ছিল। দীর্ঘ সময় ধরে এই হামলা পরিচালিত হলেও বারবার পুলিশকে জানানোর পর ঘটনার ৪০/৪৫ মিনিট পর মাত্র ৫০/৬০ গজ দুরে অবস্থিত সাতক্ষীরা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছায়। এর পরপরই জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল ও পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান ঘটনাস্থল সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে ঘটনার জন্য নিন্দা ও আহত সাংবাদিকদের সমবেদনা জানান।
    এই ঘটনার পূর্বে গত এক বছরের অধিক সময় ধরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এসে সাংবাদিকদের সাথে অসৌজন্যমূলক ব্যবহারের কারণে সাতক্ষীরা সদর আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবির সাথে দুরত্বের সৃষ্ঠি হয়। গত ১৮ অক্টোবর ২০১৮ শারদীয় দূর্গাপুজা উপলক্ষে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব আয়োজিত “দূর্গোৎসবে বাংলাদেশ, সম্প্রীতির সেতুবন্ধন” শীর্ষক অনুষ্ঠানে ঐ সময় তাঁর রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলামকে আমন্ত্রণ জানানোর কারণে রাজনীতিবিদ, জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাসহ হলভর্তি অতিথিদের সামনে চরম অসৌজন্যতামূলক আচরণ করে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন। প্রেসক্লাব আয়োজিত অনুষ্ঠানে মাননীয় সংসদ সদস্যের এই আচরণে সাংবাদিকসহ উপস্থিত অন্যান্যদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এরপর থেকে বেশ কিছুদিন তিনি আর প্রেসক্লাবে আসেন নি। গত ১৯ মার্চ ২০১৯ তারিখে দৈনিক ভোরের ডাকের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে পুনরায় মাননীয় সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে আমন্ত্রিত হন। অনুষ্ঠানের নির্ধারিত সময় বেলা ১১টায় হলেও ২ মিনিট পূর্বে তিনি সরাসরি প্রেসক্লাবের হলরুমে প্রবেশ করে নিজে হাতে জন্মদিনের কেকটির প্যাকেটটি ছিড়ে কাটতে শুরু করলে উপস্থিত মাত্র ৪/৫ জন সাংবাদিকের দুই একজন প্রেসক্লাবের বিভিন্ন রুমে অবস্থানরত সাংবাদিকসহ অন্যান্য অতিথিরা দুই এক মিনিটের মধ্যে পৌছাবেন বললে তিনি অসৌজন্যমূলক আচরণ করে কেক কেটে ১১টা ১ মিনিটে প্রেসক্লাব ত্যাগ করেন। এ ঘটনার ৪/৫ মিনিটের মধ্যে অনুষ্ঠানের আমন্ত্রিত অতিথিরা প্রেসক্লাবে পৌছান এবং মাননীয় সংসদ সদস্যের এই আচরণে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এক পর্যায়ে আয়োজক দৈনিক ভোরের ডাকের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি মোহম্মদ আলী সুজন আরো একটি কেক এনে পুনরায় অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেন। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি করা হয় উপস্থিত সাতক্ষীরা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহম্মদ আবু সায়ীদকে। অনুষ্ঠানের বক্তারা মাননীয় সংসদ সদস্যের উক্ত আচরণের তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানান। অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার কিছু পর উক্ত ঘটনাসহ পত্রিকায় ঐ দিন একটি খবর প্রকাশের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে শ্লোগান দিতে দিতে প্রেসক্লাবের সামনে এসে সমাবেশ করে এবং প্রেসক্লাবসহ কয়েকটি পত্রিকা অফিস ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে বক্তব্য দেয়। এরফলে সাংবাদিকদের মধ্যে চরম উত্তেজনা ও ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্ঠি হয়। একপর্যায়ে পরদিন ২০ মার্চ সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের বিশেষ সাধারণ সভা ডেকে সর্বসম্মতিক্রমে মাননীয় সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবিকে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে আর কোন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ না জানানোসহ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
    উক্ত ঘটনার পর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম গত ৩০ মার্চ সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের কর্মকর্তাদের সাথে মাননীয় সংসদ সদস্যের সৃষ্ট সমস্যার সমাধানে বৈঠকে বসেন। কিন্তু সেই বৈঠকে ঢুকে পড়ে এমপি সমর্থক কয়েকজন যুবক প্রেসক্লাবের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যদের উপর চড়াও হলে আলোচনার পরিবেশ নষ্ট হয়ে যায়।
    উক্ত ঘটনার পর সৃষ্ট পরিস্থিতির উন্নয়নে গত ৯ এপ্রিল সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আরো একটি বিশেষ সাধারণ সভা আহবান করা হয়। ঐ সভায় মাননীয় এমপির সাথে সৃষ্ট পরিস্থিতি নিরসনে সিনিয়র সাংবাদিকদের সমন্বয়ে ৯ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। ঐ কমিটির পক্ষ থেকে নানাবিধ উদ্যোগ গ্রহণ করা হলেও মাননীয় এমপি সাহেব চুড়ান্তভাবে সাংবাদিকদের বিভক্ত করার চেষ্ঠা শুরু করেন। তিনি তাঁর বিরুদ্ধে আনীত সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারসহ প্রেসক্লাবের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ এনে একটি দরখাস্তে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সদস্যদের স্বাক্ষর করানো শুরু করেন। কিন্তু তিনি কমিটির (৭৫ জন সদস্যের ৫১% ভাগ) বিরুদ্ধে কাঙ্খিত সংখ্যক সদস্যের স্বাক্ষর সংগ্রহ করতে পারেন নি। শহরের সিবি হসপিটালের ১০ তলায়, লেকভিউ ক্যাফে, মাননীয় এমপি সাহেবের বাসভবনে দফায় দফায় কিছু সাংবাদিকদের ডেকে নিয়ে তিনি তাদেরকে প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধ করার চেষ্টা করতে থাকেন। একপর্যায়ে সর্বমোট ২৭ জন স্বাক্ষরকারীর মধ্যে একজনের মধ্যস্থতায় দরখাস্তটি জমাও নেওয়া হয়। যদিও স্বাক্ষরকারীদের কয়েকজন তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে স্বাক্ষর করানো হয়েছে মর্মে উল্লেখ করে পরবর্তীতে পৃথক পৃথক আবেদন করেন। এরই মধ্যে গত ২০ মে সাতক্ষীরা সদর আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবির নেতৃত্বে সাতক্ষীরা ইউনাইটেড ক্লাবের একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। ঐ সভার পর দিন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের পুরাতন ভবনের দোতলায় অবস্থিত একটি পরিত্যক্ত কক্ষ সিবি হসপিতালের এমডি ও ঐ ক্লাবের সভাপতি পরিচয় দিয়ে একেএম আনিসুর রহমানের নেতৃত্বে সংস্কার করতে আসলে সাংবাদিকরা বাধা দেয়। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে সংস্কার কাজ বন্ধ করা হয়। গত ২৫ মে সিবি হসপিতালের এমডি একেএম আনিসুর রহমান এক সংবাদ সম্মেলন ডেকে ঐ সম্পত্তিসহ প্রেসক্লাবের জমি ইউনাইডেট ক্লাবের বলে দাবী করেন এবং প্রেসক্লাবের স্বার্থ সংশ্লিষ্ঠ এই বিষয়ে কয়েকজন সাংবাদিক প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে একেএম আনিসুর রহমানের পক্ষে অবস্থান নেন। সংবাদ সম্মেলনের পরদিন পুনরায় ঐ কক্ষের সংস্কার কাজ শুরু করা হলে প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ পুনরায় বাধা দেন এবং কাজ বন্ধ হয়ে যায়।
    এরপূর্বে গত ১৬ মে বেলা ২টা আড়াইটার দিকে প্রেসক্লাবের ২/৩ জন সদস্যের নেতৃত্বে ২৫/৩০ ব্যক্তি মহড়া দিতে দিতে একযোগে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে প্রবেশ করে। তারা প্রেসক্লাবের স্টাফদের সাথে দুর্ব্যবহার করে এবং একযোগে সদস্যপদের জন্য ২৩টি আবেদনপত্র জমা দেয়।
    আবেদনকারীরা হলেন, জাকির হোসেন মিঠু বাঙালীর কণ্ঠ, জাহিদুর রহমান একুশের বানী, আবু সাইদ সংযোগ বাংলাদেশ, গাজী মোক্তার হোসেন সরেজমিন, মকসুমুল হাকিম সাপ্তাহিক ইচ্ছেনদী, এসএম রেজাউল ইসলাম গ্রামের কাগজ, মনিরুজ্জামান তুহিন এশিয়ান টিভি, স ম মশিউর রহমান ফিরোজ কালবেলা, মতিয়ার রহমান দি বাংলাদেশ টুডে, হাফিজুর রহমান নওয়াপাড়া, শহীদুল ইসলাম বঙ্গজননী, ফারুক রহমান শেয়ার বিজ, মনিরুজ্জামান মনি খুলনাঞ্চল, ডা. এটিএম রফিক-এম রফিক- এম ঈদুজ্জামান ইদ্রিশ কাফেলা, আকাশ ইসলাম জয়যাত্রা টিভি, আকতরুজ্জামান আমাদের কণ্ঠ, আমিনুর রশিদ সুজন সান, শাহ আলম আজকের সাতক্ষীরা, একেএম আনিসুর রহমান-আসাদুল ইসলাম-এসএম নাহিদ হোসেন সুপ্রভাত সাতক্ষীরা।
    এরপর থেকে প্রেসক্লাবের কয়েকজন সদস্যের প্ররোচণায় উক্ত ব্যক্তিবর্গ ছাড়াও তাদের সহযোগীরা প্রেসক্লাবে ঢুকে নিজেদেরকে প্রেসক্লাবের তথাকথিত “আবেদনকারী সদস্য” হিসেবে পরিচয় দিয়ে সাধারণ সদস্যদের হুমকি ধামকিসহ এমপির পক্ষের লোক হিসেবে মহড়া দিয়ে নিজেদের জাহির করতে থাকে।
    এমন পরিস্থিতিতে কতিপয় সদস্যের আবেদন এবং সার্বিক দিক বিবেচনা করে গত ২৯ মে ২০১৯ সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভায় মাননীয় সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে গত ২০ মার্চ গ্রহীত সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়। একই সভায় প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্র বিরোধী কর্মকান্ড, তথাকথিত “আবেদনকারী সদস্য”দের নিয়ে প্রেসক্লাবে মহড়া দেওয়া, প্রেসক্লাবের পুরাতন ভবনের দোতলায় অবস্থিত পরিত্যাক্ত রুম দখলের চেষ্টায় সহায়তা ও অর্থ সংক্রান্ত গুরুতর অভিযোগে সর্বসম্মতিক্রমে ৪ জনের সদস্যপদ বাতিলের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এ সিদ্ধান্তের চিঠি পাঠানোর পূর্বেই প্রেসক্লাবে এই বর্বরোচিত হামলার ঘটনা ঘটে।
    এটা উল্লেখ করার মত বিষয় সারাদেশের বিভিন্ন জেলায় একাধিক প্রেসক্লাব থাকলেও সাতক্ষীরা জেলা শহরে রয়েছে একটি মাত্র প্রেসক্লাব। এটি জেলা শহরে কর্মরত পেশাদার সাংবাদিকদের একমাত্র প্রতিষ্ঠান। ১৯৬৯ সালে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠার পর নানা সংকট বিভক্তি দ্বন্দ্বসহ বেশ কয়েকটি পর্বে এর ধারাবাহিক কর্মকান্ড পরিচালিত হয়। সর্বশেষ গত ১০ বছরের প্রতি বছর নির্বাচনের মধ্যদিয়ে সংগঠনটির এক বছর মেয়াদী পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়। জেলা প্রশাসক নিযুক্ত নির্বাচন কমিশন সংগঠনটির বার্ষিক নির্বাচন পরিচালনা করে থাকে। এই নির্বাচন হয় উৎসবমূখর। প্রশাসন, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, পেশাজীবীসহ সর্বস্তরের মানুষের আগ্রহ সৃষ্টি হয় এই নির্বাচনকে ঘিরে। সর্বশেষ ২০১৭ সালের ১৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনের পর একজন প্রভাবশালী রাজনীতিক প্রেসক্লাবের কমিটি নিয়ে তার ব্যক্তিগত পছন্দ অপন্দের বিষয়টি সামনে এনে সাংবাদিকদের মধ্যে তার পক্ষে একটি গ্রুপ সৃষ্টি করতে তৎপর হন বলে সাংবাদিকরা জানতে পারেন। ফলে বাইরের কোন প্রভাব ছাড়াই যাতে প্রেসক্লাব পরিচালিত হতে পারে সে জন্য ২০১৮ সালের নির্বাচনে (গত ইং ২৬/০১/১৯ তারিখে অনুষ্ঠিত) প্রেসক্লাবের সকল পক্ষ ঐক্যমতের ভিত্তিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই একটি প্যানেল জেলা প্রশাসক নিযুক্ত নির্বাচন কমিশনে জমা দিতে সক্ষম হন। ফলে গঠিত হয় ঐক্যমতের কমিটি।
    নতুন এই কমিটি গঠনের পর ঐ প্রভাবশালী রাজনীতিক শুরু করেন নতুন ষড়যন্ত্র। প্রেসক্লাবকে জামাত বিএনপির আখড়া হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বিভিন্ন সভা সমাবেশ ঘরোয়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে থাকেন। তার পক্ষের জামাত-বিএনপির সবাই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে এবং তার পক্ষে না থাকলে সবাই মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে এ ধরণের প্রচারণা চলতে থাকেন গত কিছু দিন ধরে।
    প্রকৃত পক্ষে রাজনৈতিক পরিচয় দেখে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব কখনো কাউকে সদস্যপদ প্রদান করেনি। তারপরও সদস্যদের অধিকাংশই মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের বিভিন্ন মিডিয়ায় সাংবাদিকতার সাথে যুক্ত। সভাপতি নিজেও একজন মুক্তিযোদ্ধা। একই সাথে সাতক্ষীরায় মৌলবাদ ও সম্প্রদায়িকতা বিরোধী প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে প্রেসক্লাবের সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ গুরুত্বপূর্ণ ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে এসেছে। এমনকি শহিদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বাধীন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল জাতীয় সমন্বয় কমিটি, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, গণজাগারণ মঞ্চ, বাংলাদেশ রুখে দাড়াওসহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বহু আন্দোলন সংগ্রামের সংগঠকও এই প্রেসক্লাবেরই সিনিয়র সাংবাদিকবৃন্দ। ফলে তাদের রাজনৈতিক চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোন অবকাশ আছে বলে আমরা মনে করি না।
    সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে আমরা আশা করি এই বিবৃতির মধ্যদিয়ে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব নিয়ে মহল বিশেষের অপপ্রচার ও বিভ্রান্তি সৃষ্টির প্রয়াস বন্ধ হবে। প্রেসক্লাব কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের প্রতিপক্ষ নয়। সবার সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখেই দুর্নীতি অনিয়ম চাঁদাবাজী টেন্ডারবাজী কমিশন বানিজ্যের বিরুদ্ধে থেকে সাতক্ষীরার উন্নয়নে সকলের সাথে প্রেসক্লাব তার কর্মকান্ড অব্যাহত রাখতে চায়।

  • স্বেচ্ছায় গ্রেফতার দাবিতে থানা চত্বরে সাতক্ষীরার ২১ সাংবাদিকের চার ঘন্টা অবস্থান কর্মসূচি: সন্ত্রাসীর দেওয়া মামলা প্রত্যাহার ঘোষনায় কর্মসুচি প্রত্যাহার

    স্বেচ্ছায় গ্রেফতার দাবিতে থানা চত্বরে সাতক্ষীরার ২১ সাংবাদিকের চার ঘন্টা অবস্থান কর্মসূচি: সন্ত্রাসীর দেওয়া মামলা প্রত্যাহার ঘোষনায় কর্মসুচি প্রত্যাহার


    সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সন্ত্রাসী হামলার পাঁচ দিনের মাথায় পাল্টা একটি সাজানো মামলায় সাতক্ষীরায় কর্মরত ২১ সাংবাদিককে আসামী করায় তারা স্ব্চ্ছোয় গ্রেফতারের দাবি নিয়ে থানায় অবস্থান নেন। হয় তাদের গ্রেফতার করে জেলে পাঠাতে হবে না হলে ওসি মোস্তাফিজুর রহমানকে প্রত্যাহার ও ভুয়া মামলা প্রত্যাহার করতে হবে এই দাবিতে তারা অনড় থাকেন। আজ সোমবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এ ঘটনা ঘটে।
    টানা চার ঘন্টা পর সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় পুলিশ সুপার ইলতুতমিস সাংবাদিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ভুয়া মামলাটি এই মুহুর্ত থেকে প্রত্যাহারের ঘোষনা দেন। তিনি বলেন প্রেসক্লাব সেক্রেটারির দেওয়া প্রথম মামলাটি তার নিজস্ব গতিতে চলবে। একই সাথে সাংবাদিকদের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করা হবে। এরপরই সাংবাদিকরা তাদের অবস্থান কর্মসূচি তুলে নেন। এর আগে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য মুনসুর আহমেদ ও জাসদ নেতা ওবায়দুস সুলতান বাবলু সাংবাদিকদের প্রতি সহানভূতি ও সংহতি প্রকাশ করেন।
    উল্লেখ্য, যে গত ৩০ মে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে একদল সন্ত্রাসী লাঠিসোটা ও লোহার রড নিয়ে সাংবাদিকদের ওপর হামলা করে। তারা সিসিটিভি ক্যামেরা সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে সাংবাদিকদের এলাপাতাড়িভাবে মারপিট করে রক্তাক্ত করে ফেলে । এ সময় আহত হন প্রেসক্লাব সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, মোহনা টিভির আব্দুল জলিল প্রথম আলোর কল্যাণ ব্যানার্জি, সেক্রেটারি মমতাজ আহমেদ বাপী, সাবেক সেক্রটারি আবদুল বারীসহ ১০ সাংবাদিক। এ ঘটনায় ২৪ জনকে আসামি করে সাতক্ষীরা থানায় একটি মামলা করা হয়।
    এদিকে, এই মামলার আসামিদের না ধরে পুলিশ স্থানীয় সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবির চাপের মুখে ঘটনার পাঁচ দিনের মাথায় আজ সোমবার আহত সাংবাদিকগন ও এই প্রতিনিধিসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে একটি ভুয়া মামলা করা হয়। এর প্রতিবাদে সাংবাদিকরা ফুঁসে ওঠেন। ২১ জন সাংবাদিক সরাসরি থানায় গিয়ে চত্বরে অবস্থান নিয়ে বলেন ‘আমাদের গ্রেফতার করুন’। পুলিশ এ সময় বিপাকে পড়ে যায়। অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে সাংবাদিকরা জাতীয় প্রেসক্লাব, বিএফইউজে, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়ন ছাড়াও খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি , সাতক্ষীরার ডিসি ও এসপির সাথে কথা বলেন। এর পর প্রশাসনে শুরু হয়ে যায় তোলপাড়। নানাভাবে পুলিশ সাংবাদিকদের নিবৃত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। অবশেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় সন্ত্রাসী মনিরুজ্জামান তুহিনের দেওয়া মামলাটিকে (নম্বর ৫) ‘সাজানো ভুয়া ও ভ্যালুলেস অকার্যকর’ আখ্যায়িত করে পুলিশ সপুার ইলতুতমিস তা এই মুহুর্ত থেকে প্রত্যাহার বলে ঘোষনা দেন। একই সাথে তিনি বলেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের দেওয়া মামলাটি ( মামলা নম্বর ৬৯) তার নিজস্ব গতিেেত চলবে এবং আসামিদের গ্রেফতারের প্রতিশ্রিুতি ছাড়াও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে বলে ঘোষনা দেন তিনি। একই সাথে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ বিষয়টির শান্তিপূর্ন সমাধান করবেন বলেও জানান। এসব নিশ্চয়তা পেয়ে চার ঘন্টা পর সাংবাদিকরা তাদের কর্মসূচি তুলে নেন।
    অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ গ্রহনকারী সাংবাদিকরা হলেন প্রেসক্লাব সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সেক্রেটারি মমতাজ আহমেদ বাপী, মোহনা টিভির আবদুল জলিল, যুগান্তরের সুভাষ চৌধুরী, এটিএনএর এম কামরুজ্জামান, বাংলা ভিশন টিভির আসাদুজ্জামান আসাদ, মানবজমিনের ই্য়ারব হোসেন, ডিবিসি টিভির জিল্লুর রহমান, প্রেসক্লাব নির্বাহী কমিটির সদস্য সেলিম রেজা মুকুল, সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ আনিসুর রহিম, দৈনিক দক্ষিনের মশাল সম্পাদক আশেক ই এলাহি, সমাজের কথার আমিরুজ্জামান বাবু, দৈনিক বনিক বার্তার গোলাম সরোয়ার, বাংলা ট্রিবিউনের আসাদুজ্জামান মধু, সাবেক সেক্রেটারি আবদুল বারী, যুগ্মসম্পাদক আবদুস সামাদ, দৈনিক কালের চিত্রর মো. হাসানউল্লাহ, কালের চিত্রর আশরাফুল ইসলাম খোকন, দৈনিক দক্ষিনাঞ্চলের আব্দুল গফুর ও মো. হাসান ইমাম।
    এ সময় দৈনিক দৃষ্টিপাত সম্পাদক জিএম নুর ইসলাম, দৈনিক সাতনদী সম্পাদক হাবিবুর রহমান, প্রথম আলোর কল্যাণ ব্যানার্জি, সাবেক সেক্রেটারি রুহুল কুদ্দুসসহ আরও দুই ডজন সাংবাদিক সেখানে উপস্থিত ছিলেন

  • সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সন্ত্রাসী হামলায় খুলনা প্রেসক্লাবের নিন্দা


    গত ৩০ মে দুপুরে একদল বহিরাগত সন্ত্রাসী পরিকল্পিতভাবে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের অভ্যন্তরে ঢুকে সিসি ক্যামেরাসহ আসবাবপত্র ভাংচুর ও সাংবাদিকদের বেধড়ক মারপিট করে। এতে সাতক্ষীরা প্রেস ক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপীসহ ১০ জন সিনিয়র সাংবাদিক গুরুতর আহত হয়। আহতদের মধ্যে দুজন এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ।
    ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং অবিলম্বে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে হামলাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম হাবিব ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাহেব আলী।
    বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় আহত সাংবাদিকসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করার জোর দাবি জানান। অন্যথায় সাংবাদিক সমাজ কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবে ।

  • পত্রদূত সম্পাদক লুৎফুন্নেছা বেগম এর মাতার মৃত্যুতে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের গভীর শোক প্রকাশ



    দৈনিক পত্রদূত পত্রিকার সম্পাদক লুৎফুন্নেছা বেগম এর মাতা খাদিজা খাতুন
    (৮৯) আর নেই। তিনি সোমবার ভোর ৪ টায় বাধ্যর্ক জনিত কারনে ইন্তেকাল করেন
    (ইন্না— রাজেউন)। তিনি কলারোয়া উপজেলার বুইতা বেলেডাঙ্গা গ্রামের মরহুম
    হামিজ উদ্দিন বিশ্বাসের স্ত্রী এবং সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি
    আবুল কালাম আজাদের নানী শাশুড়ি। দৈনিক পত্রদূত পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত
    সম্পাদক লায়লা পারভীন সেঁজুতির নানী। সোমবার বাদ জোহর তার জানাজা শেষে
    পারিবারিক কবর স্থানে দাফন করা হয় তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোক সন্তপ্ত
    পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সভাপতি
    অধ্যাপক আবু আহমেদে, সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, সাধারণ সম্পাদক
    মমতাজ আহমেদ বাপী, যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুস সামাদ, সাংগঠনিক
    সম্পাদক এম শাহীন গোলদার, অর্থ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, সাহিত্য, সংস্কৃতি
    ও ক্রীড়া সম্পাদক আব্দুল জলিল, দপ্তর সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল, নির্বাহী
    সদস্য সেলিম রেজা মুকুল, গোলাম সরোয়ার, ইয়ারব হোসেন, জি.এম আদম শফিউল্লাহ
    ও কৃষ্ণ মোহন ব্যানার্জীসহ সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সকল সদস্যবৃন্দ।

  • সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে হামলার ৪ দিন , গ্রেফতার নেই আতংকে সাতক্ষীরার কর্মরত সাংবাদিকরা


    নিজস্ব প্রতিনিধি। আতংকে রয়েছেন সাতক্ষীরার কর্মরত সাংবাদিকরা। নিরাপত্তাহীনতার কারণে তাদের স্বাভাবিক চলাচল অনেকটাই কমে গেছে। সবচেয়ে বেশি নিরাপত্তাহীনতা বিরাজ করছে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব অভ্যন্তরে। সেখানে পুলিশ না থাকায় তাদের আতংক আরও বেড়ে গেছে।
    গত ৩০ মে দুপুর সাড়ে ১২ টায় একদল সন্ত্রাসী লাঠিসোটা হকিস্টিক নিয়ে প্রেসক্লাবের অভ্যন্তরে ঢুকে ফিল্মি কায়দায় সাংবাদিকদের মারধর করতে থাকে। লোহার রড ও ক্রিকেটের ব্যাটের আঘাতে তারা রক্তাক্ত হয়ে চিৎকার করতে থাকেন। প্রেসক্লাবের অভ্যন্তরে রক্তপাত দেখে অন্যান্য সাংবাদিকরা মাত্র ১০০ গজ দুরে সাতক্ষীরা থানায় ফোন করলেও পুলিশ আসে ঘটনার ৪০ মিনিট পর। ততক্ষনে হামলা থেমে গেলেও আহত সাংবাদিকরা অসহায় অবস্থায় পড়ে ছিলেন। তবে খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার প্রেসক্লাবে এসে সাংবাদিকদের প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে ঘটনার নিন্দা জানান।
    প্রত্্যক্ষদর্শীর বর্ননা দিয়ে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে বলা হয় হামলার সময় সদর থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান এই হামলার নেপথ্য গডফাদার একটি এনজিও পরিচালক একেএম আনিছুর রহমানের সাথে গল্পে মশগুল ছিলেন। ধারনা করা হচ্ছে যোগসাজশ করে ওসিকে তার টেবিলে ব্যস্ত রেখে প্রেসক্লাবে এই হামলার সুযোগ করে দেওয়া হয়।
    হামলায় আহত ১০ জনের মধ্যে রয়েছেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের বর্তমানসহ সাতবারের সভাপতি দৈনিক কালের চিত্র পত্রিকার সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা ও প্রাক্তন অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, চ্যানেল আই প্রতিনিধি ও সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক পাঁচবারের সভাপতি এড. আবুল কালাম আজাদ, প্রথম আলোর স্টাফ রিপোর্টার কল্যাণ ব্যানার্জি, মোহনা টিভির আবদুল জলিল, প্রেসক্লাব সম্পাদক সময় টিভির মমতাজ আহমেদ বাপী ও সাবেক সাতবারের সম্পাদক আবদুল বারী প্রমূখ। তাদের মধ্যে এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আবু আহমেদ ও আবদুল জলিল। এ ঘটনার সাথে জড়িত ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করা হলেও পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে ধরেনি। উপরন্তু আসামিরা প্রেসক্লাবের ভেতরে ও বাইরে আসা যাওয়া করছেন এবং নানাধরনের উত্তেজনাকর কথাবার্তা বলছেন। ফলে সাংবাদিকদের আতংক বেড়ে গেছে। তারা ফের হামলারও আশংকা করছেন। একটি পাল্টা সাজানো মামলা দিয়ে হামলাকারীরা নিজেদের রক্ষা করার চেষ্টা করছে। সাংবাদিকরা অবশ্য বলেছেন এমন কোনো ভুয়া মামলা নিয়ে আসামিদের রক্ষা করার চেষ্টা করা হলে তার ফল ভালো হবে না।
    সিনিয়র সাংবাদিকরা বলেছেন তারা নির্বিঘেœ ও নিরাপদে কাজ করতে পারছেন না। ভয়মুক্ত পরিবেশ পাচ্ছেন না। তবে এ ঘটনার পরদিন জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা সাংবাদিকদের নিয়ে একটি বিশাল মানববন্ধন করেছেন সাংবাদিকরা। এই মানববন্ধন থেকে সাংবাদিকদের নিরাপত্তার দাবি তোলা হয়। ঘটনা জানার পরও মাত্র ১০০ গজ দুরে পুলিশ কেনো ৪০ মিনিট পর আসলো তা নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন সাংবাদিকরা। এরও একদিন পর সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের এক সমাবেশ থেকে ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলা হয় ‘ সাতক্ষীরায় নতুন করে জয়নাল হাজারি ও এরশাদ শিকদারের জন্ম হচ্ছে। এদের প্রতিহত করতে হবে’। জেলা আওয়ামী লীগের দুই শীর্ষ নেতা সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য মুনসুর আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম হাশলাকারীদের গ্রেফতার দাবি করেছেন। ঘটনার পর কয়েকদিন কেটে গেলেও কোনো গ্রেফতার না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় এই হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করছেন সাংবাদিক সমাজ।
    উল্লেখ্য নানা কারণে সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবিকে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে অবাঞ্ছিত ঘোষনা করা হয় গত ২০ মার্চ। প্রায় আড়াই মাস পর গত ২৯ মে প্রেসক্লাব এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেয়। প্রত্যাহারের পর ২৪ ঘন্টা পার না হতেই প্রেসক্লাবে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। সাংবাদিকদের অভিযোগ হামলাকারীরা ওই সংসদ সদস্যের সমর্থক ও অনুসারী। তারা এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী , স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন।

  • সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সন্ত্রাসীদের হামলার নিন্দা জানিয়েছেন দৈনিক যশোর এর সম্পাদক


    সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সন্ত্রাসীদের হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন দৈনিক যশোর এর সম্পাদক ও প্রকাশক এবং যশোর প্রেসক্লাবের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, বার্তা সম্পাদক রেজাউল করিম রুবেল সহ পত্রিকায় কর্মরত সকল সাংবাদিকবৃন্দ। বিবৃতিতে উল্লেখ করেছেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সশস্ত্র সন্ত্রাসী হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবী জানীয়েছেন এবং হমলায় সে সমস্ত সাংবাদিক নেতৃ বৃন্দ আহত হয়েছেন তাদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।

  • Untitled post 6454

    সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সন্ত্রাসী হামলায় আহত জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সম্পাদক ও সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আবু আহমেদ ও আহত চিকিৎসাধীন সাংবাদিকদের দেখতে রবিবার রাত্র ১০টার সময় সদর হসপিটলে আসেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মুনসুর আহমেদ, এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক হারুনার রশীদ ও যুবলীগ নেতা ওয়াহিদ পারভেজ ও সৈয়দ হাসান ইমাম।

  • সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে বহিরাগত সশস্ত্র সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত

    সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে বহিরাগত সশস্ত্র সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত


    নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে বহিরাগত সশস্ত্র সন্ত্রাসী হামলায় সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ ১০ সিনিয়র সাংবাদিক আহত হওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে । কলারোয়া প্রেসক্লাব ও রিপোর্টার্স ক্লাবের যৌথ উদ্যোগে রবিবার দুপুরে কলারোয়া প্রেসক্লাবের সামনে যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কে উক্ত মানববন্ধন কর্মসুচিটি পালিত হয়। বৃষ্টির মধ্যে সাংবাদিকদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও এ কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করেন।
    মানববন্ধন চলাকালে বক্তারা বলেন, গত ৩০মে বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে বহিরাগত সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা খুবই ন্যাক্কারজনক। সাংবাদিকদের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে বাইরের হস্তক্ষেপ কাম্য নয়। বক্তারা হামলার শিকার সাংবাদিকদের সুস্থ্যতা কামনা ও হামলার ঘটনায় দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
    মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ইয়ারব হোসেন, কলারোয়া রিপোর্টস ক্লাবের সভাপতি আজাদুর রহমান খান চৌধুরী পলাশ, কলারোয়া প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি সহকারী অধ্যাপক কে.এম আনিছুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কলারোয়া নিউজের সম্পাদক প্রভাষক আরিফ মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এমএ মাসুদ রানা প্রমুখ।

  • সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সন্ত্রাসী হামলা জেইউজের নিন্দা ও প্রতিবাদ


    সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে স্থানীয় এমপির মদদে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে হামলা চালিয়েছে। এ সময় ক্লাবে সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আবু আহমেদসহ ১০ সাংবাদিক আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোর (জেইউজে) নেতৃবৃন্দ।
    এক যুক্ত বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি শহিদ জয় ও সাধারণ সম্পাদক আকরামুজ্জামান বলেছেন, গণমাধ্যমের কর্মীরা আজ চরম নিরাপত্তহীনতায় রয়েছে। ২৯ মে সাতক্ষীরা প্রেস ক্লাবের ভেতর ঢুকে প্রকাশ্যে সাংবাদিদের উপর নগ্ন হামলা তার বাস্তব চিত্র। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের অবিলম্বে আটক করে তাদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানান তারা। অন্যথায় সাংবাদিক সমাজ কঠিন আন্দোলনে রাজপথে নামতে বাধ্য হবে বলেও হুশিয়ারি দেন এ সাংবাদিক নেতারা। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

  • দৈনিক কাফেলা সম্পাদক আব্দুল মোতালেব এর ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে পরিবারের পক্ষ থেকে বিস্তারিত কর্মসূচী পালিত

    দৈনিক কাফেলা সম্পাদক আব্দুল মোতালেব এর ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে পরিবারের পক্ষ থেকে বিস্তারিত কর্মসূচী পালিত


    স্টাফ রিপোর্টার: দৈনিক কাফেলার সম্পাদক, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবক প্রয়াত আব্দুল মোতালেবের ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে গতকাল কাফেলা ভবনে বিস্তারিত কর্মসূচী পালিত হয়েছে। কর্মসূচীর মধ্যে ছিল আলোচনা সভা, মিলাদ, দোয়া অনুষ্ঠান, কোরান খানী ও মরহুমের মাজার জিয়ারত। বাদ আসর কাফেলা ভবনে মরহুমের জীবনের উপর আলোচনা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন প্রয়াত আব্দুল মোতালেবের বড় পুত্র দৈনিক কাফেলার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ডা: এ.টি.এম রফিক (উজ্জ্বল), কুমিরা মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যাপক নূর মোহাম্মদ পাড় প্রমুখ। মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাতক্ষীরা মিশন মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মো: জিয়াউর রহমান জিয়া। এ সময় অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মরহুমের জামাতা ও সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা: মো: রফিকুল ইসলাম, দৈনিক কাফেলার নির্বাহী সম্পাদক এ.টি.এম শফিক (উৎপল), সাতক্ষীরা দিবা-নৈশ কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ এ.কে.এম নাজিম উল্লাহ, কুমিরা মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ লুৎফুন-আরা-জামান, অধ্যাপক মো: মহিউদ্দীন, ফিফা রেফারী তৈয়েব হাসান বাবু, এটিএন বাংলা ও সমকালের জেলা প্রতিনিধি এম কামরুজ্জামান, মাছরাঙা টিভি ও আমাদের সময়ের জেলা প্রতিনিধি মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জ্বল, সমাজসেবক নারায়ন চন্দ্র মজুমদার, দৈনিক কাফেলার বার্তা সম্পাদক এম রফিক, চীফ রিপোর্টার এম ঈদুজ্জামান ইদ্রিস, স্টাফ রিপোর্টার কামরুল ইসলাম, ছফুরননেছা মহিলা কলেজের প্রভাষক শফি কামাল, সিভিল সার্জন অফিসের প্রধান সহকারি আশিক নেওয়াজ, অধ্যক্ষ আল মাহমুদ রিটু, সাংবাদিক সাগর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সকাল ১১টায় ৩০ মিনিটে রসুলপুরস্থ সরকারি গোরস্থানে কাফেলা পরিবারের পক্ষ থেকে মরহুমের মাজার জিয়ারত করা হয়। পরে কাফেলা ভবনে কোরানখানি অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখ্য কাফেলা সম্পাদক মো: আব্দুল মোতালেব ২০০২ সালে ২ জুন ঢাকা শিকদার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।