সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের ওপর সংঘটিত সন্ত্রাসী হামলার ছয় দিন পার হলেও মামলার প্রধান আসামিরা এখনো ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। ভিডিও ফুটেজ, ছবি, ভুক্তভোগীদের বয়ান ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য থাকলেও প্রশাসনের এই নিষ্ক্রিয়তায় উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জেলার সাংবাদিক সমাজ। অবাক করার মতো বিষয় আসামিরা প্রকাশ্যে সাতক্ষীরা থানার সামনেই দলবল নিয়ে ঘোরাফেরা করছে।
এর আগে, গত ৩০ জুন (সোমবার) দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে চলমান নেতৃত্ব সংকট ও অভ্যন্তরীণ বিরোধকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা চালানো হয় প্রেসক্লাবের বর্তমান সভাপতি আবুল কাশেম ও তার সঙ্গে থাকা সাংবাদিকদের ওপর। হামলায় কমপক্ষে ৩০ জন সাংবাদিক আহত হন। ঘটনার পরপরই প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলায় হামলার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে নাম উল্লেখ করা হয় আবু নাসের মো. আবু সাঈদ (৪৫)-এর।পাশাপাশি নাম আসে তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী আল ইমরান, অমিত ঘোষ বাপ্পা এবং শাকিলা ইসলাম জুঁই–এরও। প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই ছিল হামলায় সরাসরি অংশগ্রহণ ও নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ।
এদিকে, আল ইমরান ও অমিত ঘোষের বিরুদ্ধে মাদকাসক্তি, প্রতারণা ও ভাড়াটে সন্ত্রাসী হিসেবে সক্রিয় থাকার অভিযোগ পুরোনো। অপরদিকে, শাকিলা ইসলাম জুঁই বর্তমানে সাতক্ষীরা জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হলেও ঘটনার দিন তাকে হাতে লোহার রড নিয়ে হামলায় অংশ নিতে দেখা গেছে, যার ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রীতিমতো ভাইরাল হয়েছে।
সাংবাদিকদের অভিযোগ, এতদিনেও মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিদের কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। বরং ঘটনার পরদিন হামলার মূল অভিযুক্ত আবু সাঈদ নিজেই থানায় পাল্টা মামলা করেন, যেখানে তিনি সাতক্ষীরার ৩৭ জন কর্মরত সাংবাদিককে আসামি করেন। মামলার ধারা: ১৪৩/৩২৫/৩০৭/৪২৭/৫০৬ দণ্ডবিধি। সাংবাদিকদের দাবি, এ মামলা মিথ্যা, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং প্রকৃত হামলাকারীদের রক্ষার কৌশল মাত্র।
অভিযোগ রয়েছে, আবু সাঈদ দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে চলছেন। এক সময় তিনি ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি এবং ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা মুস্তফা লুৎফুল্লাহ-র আর্থিক সহায়তাকারী (ডোনার)।
২০১৯ সালের ৩১ মে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে প্রথমবারের মতো হামলার সময়ও এমপি রবির ছত্রছায়াতেই সাঈদ ক্লাবে প্রবেশ করে ভাঙচুর চালান বলে অভিযোগ রয়েছে। ওই সময় প্রেসক্লাবের নবনির্মিত হলরুমের নাম পরিবর্তন করে তিনি ‘বঙ্গবন্ধু মিলনায়তন’ নামকরণ করে একটি ফলকও স্থাপন করেন।
৫ আগস্ট ২০২৪-এর পরবর্তী সময় থেকে সাঈদ ও তার পরিবার সাতক্ষীরার তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সংগঠন দখলে নেয়। বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি– সাঈদের চাচা আব্দুর রউফ, ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন– চাচা হাবিবুল ইসলাম হবি (এখানে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে), সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব–সাঈদের নিজ নেতৃত্বে এখনো রয়েছে তার দখলে।
সাংবাদিকদের ভাষ্য, এসব পদ-পদবি ব্যবহার করেই সাঈদ ও তার সহযোগীরা দখল ও সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন। হামলার পরদিন থেকে সাতক্ষীরা শহরের বিভিন্ন এলাকায় আসামিদের প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে। থানার সামনেই দলবল নিয়ে বসে আড্ডা দিচ্ছেন আসামিরা, অথচ পুলিশ কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. আবুল কাশেম বলেন, সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনার ভিডিও ও স্থিরচিত্রসহ পর্যাপ্ত প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও ঘটনার ছয়দিন অতিক্রম করেছে, এখনো পর্যন্ত মূল আসামিদের কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। আসামিরা থানার সামনেই দলবল নিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে—এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ও প্রশাসনের ব্যর্থতারই বহিঃপ্রকাশ।
তিনি আরও বলেন, আমরা আশা করি, এই ঘটনায় জড়িত সবাইকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা হবে। সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে প্রশাসনের আরও কার্যকর পদক্ষেপ প্রয়োজন।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামিনুল হক বলেন, ঘটনাস্থল থেকেই একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে হামলাকারীরা প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থানার সামনেই প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে—এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি জানান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে (আইও) বিষয়টি জানান, তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে থানার সামনে আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে—এমন কোনও তথ্য এখনো আমার কাছে পৌঁছায়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Category: প্রেসক্লাব
-

সাংবাদিকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ছয় দিন, থানার সামনেই প্রকাশ্যে ঘুরছেন আসামিরা
-

সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের ওপর নারকীয় হামলা; জেলা প্রশাসনের আশ্বাসের পরিপেক্ষিতে আগামী ৮ জুলাই পর্যন্ত আন্দলনের কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা : গ্রেপ্তার-১
নিজস্ব প্রতিনিধি: গতকাল (১ জুলাই) সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের ওপর নারকীয় হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধন জেলা প্রশাসনের আশ্বাসের পরিপেক্ষিতে আগামী ৮ জুলাই পর্যন্ত গৃহীত সাংবাদিকদের আন্দলনের কর্মসূচি স্থগিত রাখা হয়েছে বলে প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কাশেম ঘোষনা করেন। পূর্ব নির্ধারিত মানববন্ধনের সমাপ্তি সভাপতির উক্ত ঘোষনার মাধ্যমে শেষ হয়। এর আগেই সাতক্ষীরার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সাংবাদিকদের উপরে বহিরাগত সন্ত্রাসিদের হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধনের সংহতি জানাতে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ শহীদ আলাউদ্দীন চত্ত্বরে সমবত হন।
প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কাসেম বলেন,‘‘ সাংবাদিকদের দীর্ঘদিনের আকাঙ্খা প্রেসক্লাবের একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। এলক্ষ্যে ধারাবাহিক ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলমান। সাধারণ সদস্যদের প্রেসক্লাবে যাতায়াত একটি গঠণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু প্রেসক্লাবের কতিপয় সদস্য গঠণতন্ত্রের ধাঁর না ধেরে একটি মনগড়া কমিটি গঠণ করে সাধারণ সদস্যদের প্রেসক্লাবে যাতায়াত অঘোষিতভাবে বন্ধ করেছে। সোমবার পূর্বঘোষিত সাধারণ সভায় যোগদানের উদ্দেশ্যে প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে সাধারণ সদস্যরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রেসক্লাবে প্রবেশ মুখে লাঠি,রড,হাতুড়িসহ দেশী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা সাংবাদিকদের ওপর হায়েনার মতো ঝাপিয়ে পড়ে। এতে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের যুগ্ন সম্পাদক বেলাল হোসেন,সাধারণ সদস্য আমিনুর রহমান, ইদ্রিস আলীসহ ২০ জনেরও বেশি সাংবাদিক গুরুতর আহত হন। বিকেলে প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাদি হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেন। সামগ্রিক ঘটনার প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসনের আহবানে মঙ্গলবার সকালে উভয় গ্রুপের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের একটি সুষ্ঠু ভোটের জন্য নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে আগামী ৮ জুলাই জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আবারও একটি সভা আহবানের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ৮ জুলাই পর্যন্ত সাংবাদিকদের সকল আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করা হলো।”
এদিকে, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাদি হয়ে ১৮ জনকে জ্ঞাত ও ৩০/৪০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা-নং-১। ধারা-পেনাল কোড-১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩২৫/৩০৭/৫০৬/১১৪। এঘটনায় পুলিশ চিহিৃত ভাড়াটে সন্ত্রাসী ও মাদকাসক্ত যুবক সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মৃগিডাঙ্গা গ্রামের নাজমুল হুদার ছেলে সাব্বির হোসেনকে শহর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি শামিনুল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। -

সংবাদকর্মীদের রক্ত ঝরল প্রেসক্লাবের সামনে: ইতিহাসে যুক্ত হলো বিভীষিকাময় দিন
সমাজ ও রাষ্ট্রে সাংবাদিকতার ভূমিকা কী হবে তা সাংবাদিকরাই জানে না। আমাদের দেশে
সাংবাদিক হওয়া সবচেয়ে সহজ। প্রকৃতপক্ষে, সাংবাদিকতা পৃথিবীর কঠিনতম কাজগুলোর
একটি। একজন সাংবাদিকের দক্ষতা একজন মানুষকে ধ্বংসের মুখ থেকে ফিরিয়ে আনতে পারে,
আবার একজন সাংবাদিকের অজ্ঞতা একজন মানুষকে ধ্বংশ করে দিতে পারে। সাতক্ষীরা
প্রেসক্লাবের ইতিহাসে যুক্ত হলো এক বিভীষিকাময় দিন ৩০ জুন ২০২৫। এদিন দুপুরে
প্রেসক্লাবের সামনে যে বর্বরোচিত হামলার ঘটনা ঘটেছে, তা শুধু কিছু সাংবাদিকের ওপর
শারীরিক নিপীড়নের সীমায় আবদ্ধ নয়; এটি ছিল মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় এক ভয়ংকর আঘাত।
কলম যে সত্যের প্রতীক-সেই কলম যখন রক্তে ভিজে যায়, তখন গোটা সমাজ ব্যথিত হয়, বিবেক
কাঁদে। ডিবিসি টেলিভিশনের এম বেলাল হোসেন, দৈনিক ভোরের আকাশের আমিনুর রহমান,
ঢাকার ডাকের তৌফিকুজ্জামান লিটুসহ অন্তত ১০ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন এই ঘটনায়।
মাথা ফেটে রক্তাক্ত সাংবাদিকের ছবি দেখে কোনো বিবেকবান মানুষ নিশ্চুপ থাকতে পারে না।
আহতরা এখন চিকিৎসাধীন; কেউ শারীরিকভাবে বিপর্যস্ত, কেউ মানসিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত।
এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও
প্রত্যাশিত প্রতিরোধ তারা দেখাতে পারেননি-এমন অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন মহলে। আমরা
মনে করি, পেশাদারিত্বের প্রশ্নে পুলিশ ও সাংবাদিক-উভয় পক্ষকেই দায়িত্ববান আচরণ করতে হবে।
সাধারণ মানুষের আস্থা রক্ষায় উভয়েরই ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
আমরা বিশেষভাবে স্বস্তির সঙ্গে লক্ষ করেছি, ঘটনার পরপরই সেনাবাহিনীর উপস্থিতি পরিস্থিতি
নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রেখেছে এবং সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে। এটি একটি আশাব্যঞ্জক বার্তা-
রাষ্ট্র যেখানেই বিপদ, সেখানেই নিরপেক্ষ ভূমিকার মাধ্যমে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে প্রস্তুত।
তবে বড় প্রশ্ন থেকে যায়-এমন ভয়াবহ সহিংসতা কেন? প্রেসক্লাবের নেতৃত্ব নিয়ে
দীর্ঘদিন ধরে দুইটি গ্রুপের মধ্যে বিরোধ বিদ্যমান ছিল, যা এক সময় সীমানা ছাড়িয়ে
রক্তক্ষরণে গড়ায়। নেতৃত্বের এই প্রতিযোগিতা যদি সংঘাতে রূপ নেয়, তাহলে আমরা কী বার্তা
দিচ্ছি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সংবাদকর্মীদের?
প্রেসক্লাব হলো মত ও তথ্য বিনিময়ের একটি পবিত্র মঞ্চ। এখানে মতভেদ থাকবে, থাকবে
মতবিরোধও। কিন্তু মতের পার্থক্য কখনো রড-লাঠির মাধ্যমে সমাধান হতে পারে না। বরং
আলোচনার মাধ্যমে, সাংগঠনিক প্রক্রিয়ায় এই সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করাটাই সবার
জন্য সম্মানজনক পথ।
এখন প্রয়োজন সুষ্ঠু তদন্ত ও যথাযথ বিচার। যারা এই হামলায় জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত
আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ হোক। প্রশাসনের দায়িত্বরতদের ভূমিকা নিয়েও নিরপেক্ষ তদন্তের
মাধ্যমে প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসুক। সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার, প্রশাসন
ও সাংবাদিক সমাজ-সব পক্ষকেই এগিয়ে আসতে হবে।
আমরা মনে করি, এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নেওয়ার সময় এখনই। যে সংকটের জন্ম হয়েছে অভ্যন্তরীণ
কোন্দল থেকে, তার সমাধান হতে হবে শান্তিপূর্ণ উপায়ে। সহিংসতা নয়-মুক্ত সংলাপ,
ভ্রাতৃত্ববোধ ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাই হতে পারে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের নতুন পথচলার ভিত্তি।
একজন সাংবাদিকের কলম শুধু তার ব্যক্তিগত অস্ত্র নয়; তা সমাজের প্রতিবিম্ব, রাষ্ট্রের চেতনা
এবং গণতন্ত্রের প্রহরী। তাই সাংবাদিকদের রক্ত নয়-চাই তাদের স্বাধীনভাবে কাজ করার পরিবেশ,
নিরাপত্তা এবং মর্যাদা। পরিশেষে আমাদের প্রত্যাশা, এই দুঃখজনক ঘটনার পরে সাতক্ষীরা
প্রেসক্লাব হয়ে উঠবে সকল সাংবাদিকের সম্মিলিত কণ্ঠস্বরের প্রতীক। রক্ত নয়-বিশ্বাস,
সহমর্মিতা ও দায়িত্ববোধ হোক সাংবাদিক সমাজের ঐক্যের ভিত্তি। সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব
হোক সাংবাদিক ঐক্য ও পেশাগত মর্যাদার প্রতীক-এটাই এখন সবচেয়ে জরুরি।
লেখক: সম্পাদক, সাহিত্যপাতা। -

সাতক্ষীরায় কোবলা সূত্রে প্রাপ্ত জমি আপন ৩ ভাই কর্তৃক অন্য ভাইদের সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলের পায়তারা অভিযোগ
সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরায় অবৈধ লোভের বশবর্তী হয়ে কোবলা সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি ৩ ভাই কর্তৃক অন্য ভাইদের সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলের পায়তারার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন অন্য ভাইদের পক্ষে সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুর এলাকার মৃত দাউদ আলী বিশ^াসের ছেলে মো: খায়রুল আলম।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমরা ৭ ভাই। সাতক্ষীরা সদরের আলীপুর ইউনিয়নের মাদারতলা মৌজায় জে এল ৯৫. এস এ ৮৬ নং খতিয়ানে ৩ একর ২৪ শতক সম্পত্তির মধ্যে ৪৬.৩৩ শতক সম্পত্তি কবলা সূত্রে ৭ ভাইয়ের মধ্যে সমভাবে বণ্টন করা হয়। সেখানে মৎস্য ঘের পরিচালিত হয়ে আসছে। সে অনুযায়ী আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ভোগ দখল করে আসছিলাম। কিন্তু সম্প্রতি ৭ ভাইয়ের মধ্যে ৩ ভাই শহিদুল ইসলাম, আব্দুল রশিদ ও নুরুল ইসলাম আমাদের ৪ ভাইয়ের সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলের পায়তারা শুরু করে। একপর্যায়ে গত ২৩/৫/২৫ তারিখ সন্ধ্যা ৭টার দিকে শহিদুল ইসলাম, আব্দুল রশিদ ও নুরুল ইসলামসহ ২৫ থেকে ৩০ জন ব্যক্তি সংঘবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমাদের মৎস্যঘেরের মধ্যে অনাধিকার প্রবেশ করে জাল দিয়ে মাছ ধরতে থাকে। ঘেরের ভেড়ী কেটে দিয়ে লুটপাট চালায়। সেখানে থাকা ঘের কর্মচারী জীবন বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাকে মারপিট করে গুরুতর আহত করে। খবর পেয়ে আমিসহ অন্য ভাইসহ তাদের পরিবারের সদস্যরা সেখানে গেলে আমাদের মারপিট করে গুরুতর আহত করে। একপর্যায়ে আমাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। আমাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে তারা চলে যাওয়ার সময় খুন জখমসহ বিভিন্ন হুমকি প্রদর্শন করে। এ বিষয়ে আমি বাদী হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করলে থানায় বসাবসি হলেও কোন সমাধান হয়নি। এরপর থেকে তারা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
তিনি আরো বলেন, আমি খায়রুল আলম, খায়রুল বাশার ও শামসুর এবং প্রয়াত কবির আহমেদ এর সম্পত্তি তারা অবৈধভাবে দখলের পায়তারা চালাচ্ছে ঐ পর সম্পদলোভী তিন ভাই শহিদুল ইসলাম, আব্দুল রশিদ ও নুরুল ইসলাম। আমি নিজে অসুস্থ্য, আমাদের ছোট ভাই কবির মারা গেছেন এবং অপর বিবাদী ভাইরা অবস্থাশালী। ফলে তাদের বাহিনীর কাছে আমরা ধরাশয়ী হয়ে পড়েছি। কাগজপত্র থেকে শুরু সকল কিছু আমাদের পক্ষে রয়েছে। কিন্তু তারপরও আইন আদালতের তোয়াক্কা না করে সম্পূর্ণ গায়ের জোরে ওই তিন ভাই নামের পর সম্পদ লোভীরা দখলের পায়তারা চালাচ্ছে।
তিনি ওই লোভীদের কবল থেকে কোবলা সম্পত্তি রক্ষা এবং নিজেদের জীবনের নিরাপত্তার দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। -

বিএটি’র সিগারেট ফ্যাক্টরী অপসারনের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবে মানববন্ধন
ন্যাশনাল ডেস্ক: ঢাকা সেনানিবাস আবাসিক এলাকা থেকে বিএটি’র অবৈধ সিগারেট ফ্যাক্টরী অপসারণ, বিড়ির শুল্ক ও অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহারসহ পাঁচ দফা দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকাল সাড়ে ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে তারা।
এসময় শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, নকল বিড়ি উৎপাদন ও বিক্রি বন্ধ এবং জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে নকল বিড়ি ও সিগারেট প্রতিরোধ কমিটি গঠনের দাবি জানান শ্রমিকরা।
বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিন উদ্দিন বিএসসি বলেন, বিড়ি একটি দেশীয় শ্রমিক নির্ভর শিল্প। প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে বিড়িতে কোনো শুল্ক ছিল না। কিন্তু দেশি-বিদেশী কিছু এনজিও এবং বিদেশী বহুজাতিক কোম্পানির ষড়যন্ত্রে বিড়ি কারখানা গুলো ক্রমান্বয়ে বন্ধ হচ্ছে। ফলে শিল্পটি আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এবং বেকারত্বের আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছে লক্ষ লক্ষ অসহায় নারী ও পুরুষ শ্রমিক। বিড়ি শিল্পের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। ২০২২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে বিড়ি শিল্পে শুল্ক বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা থাকলে সারাদেশের ১৮ লাখ বিড়ি শ্রমিক নিয়ে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলব। এছাড়া নকল বিড়ি উৎপাদন এবং বিক্রি বন্ধে জেলা পর্যায়ে নকল বিড়ি প্রতিরোধ কমিটি গঠন করতে হবে।
সাধারণ সম্পাদক হারিক হোসেন বলেন, ঢাকা সেনানিবাস আবাসিক এলাকায় বিএটি’র সিগারেট ফ্যাক্টরী পরিবেশ ও জনস্বাস্থের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে বিএটি আদালতের রায়কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আবাসিক এলাকায় অবৈধ সিগারেট ফ্যাক্টরী পরিচালনা করছে। আমাদের প্রশ্ন হলো, বিএটি কি সরকারের চেয়েও ক্ষমতাশালী? সুতরাং অতি দ্রুত বিএটির অবৈধ সিগারেট ফ্যাক্টরী অপসারন, শুল্ক ফাঁকিসহ তাদের সকল প্রকার আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে।বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক হারিক হোসেনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিন উদ্দিন বিএসসি। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ফেডারেশনের সহ-সভাপতি নাজিম উদ্দিন, লুৎফর রহমান, আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল গফুর, আবুল হাসনাত লাবলু, সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম ইসলাম প্রমূখ।
-

সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সভায় গুরুত্বপূর্ন সিদ্ধান্ত গৃহীত
ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের ভিআইপি হলরুমে শনিবার (১৭ মে ২০২৫) বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করেন, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু নাসের মোঃ আবু সাঈদ। প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল বারীর সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি জি,এম মনিরুল ইসলাম মিনি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জল, কার্যনির্বাহী কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এম রফিক, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ রফিকুল ইসলাম শাওন, অর্থ সম্পাদক শেখ মাসুদ হোসেন, নির্বাহি সদস্য আব্দুল গফুর সরদার, গোলাম সরোয়ার, মুহাঃ জিললুর রহমান, আক্তারুজ্জামান বাচ্চু, আমিরুজ্জামান বাবু, সদস্য আমিনুর রশিদ, এডভোকেট ড. দিলীপ কুমার দেব, শহিদুল ইসলাম, এবিএম মোস্তাফিজুর রহমান, এস,এম রেজাউল ইসলাম, মনিরুল ইসলাম মনি, এম জিল্লুর রহমান, ইব্রাহিম খলিল, মীর আবু বকর, ডিএম কামরুল ইসলাম প্রমুখ।
বিগত সাধারণ সভার কার্যবিবরণী পাঠ করেন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারী। প্রেসক্লাবের আয়-ব্যায়, মার্কেট নির্মাণ, সদস্যদের হালনাগাদ তালিকা, বকেয়া সদস্য চাদাঁ, সাংগঠনিক ও বিবিধ বিষয় নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেন, প্রেসক্লাবের সম্মানিত সদস্যবৃন্দ। আলোচনায় বিগত সাধারণ সভার কার্যবিবরণী সকলের সম্মতিতে অনুমোদন দেয়া হয়।
এছাড়া, গঠনতন্ত্র বর্হিভুতভাবে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের নাম ব্যবহার করে বিপথগামী, স্বার্থান্বেষী কতিপয় সদস্য শহরের অজ্ঞাত স্থান থেকে কথিত কমিটি ঘোষনা করে তা অনলাইন, নিউজ পেপার, ফেসবুকসহ বিভিন্ন গ্রুপে পোস্ট করে চরম ধৃষ্টতা দেখিয়েছে। সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন করেছে। পরিকল্পিতভাবে প্রশাসনসহ সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্তিতে ফেলার অপচেষ্টা করছে।
সাধারণ সভায় উপস্থিত সকল সদস্যবৃন্দ এহেন ঘৃণিত কর্মকান্ডের জন্য ওই সমস্ত বিপথগামী সদস্যদের বিরুদ্ধে গঠনতন্ত্র মোতাবেক কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানান। একই সাথে প্রেসক্লাবের কার্যক্রম বেগবান করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের কথা বলেন।
সাধারণ সভায় উপস্থিত সদস্যবৃন্দ আরো বলেন, পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটের আগ পর্যন্ত একটি রাজনৈতিক দলের ভয় দেখিয়ে ফ্যাসিস্টের দোসর মমতাজ আহমেদ বাপী, হাবিবুর রহমান হাবিব ও আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ আলী সুজন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্র লংঘন করে প্রেসক্লাবকে সাড়ে তিন বছর দখলে রেখে জেলাব্যাপী প্রেসক্লাবের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছে। শুধু তাই নয়, ফ্যাসিস্ট সরকারের সংসদ সদস্য ও কয়েকজন দলীয় নেতার ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রেসক্লাবের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদাবাজি করে নিজেরা আত্মসাত করেছে। তারা প্রেসক্লাবের দীর্ঘদিনের লালিত গনতন্ত্র চর্চাকে হত্যা করেছে। তাদের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সকল সদস্যকে সজাগ থাকার উদাত্ত আহবান জানিয়ে সাধারণ সদস্যরা বলেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের শক্ত হাতে দমন করা হবে।
সভায় আগামী ২২ জুলাই ২০২৫ সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের বার্ষিক সাধারণ সভাসহ বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। -

সাতক্ষীরায় চাঁদা না পেয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় একের পর এক মামলা। প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন
সাতক্ষীরায় চাঁদার দাবিকৃত ৫ লাখ টাকা না দেওয়ায় প্রতিবেশী আব্দুল করিম কর্তৃক ব্যবসায়ি মোঃ মশিউর রহমানসহ বিভিন্ন ব্যক্তিকে মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (১৪ মে) সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন কালিগঞ্জ উপজেলার গাঙ্কুলিয়া গ্রামের মৃত ফেরজতুল্লাহ গাজীর ছেলে মোঃ মশিউর রহমান।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি গাঙ্কুলিয়া গ্রামে দোকান নিয়ে সার ও কীটনাশক ব্যবসা করি। গাঙ্কুলিয়া গ্রামের আশরাফ হোসেন গাইনের ছেলে আব্দুল করিম (৪০)কে অপরাধমূলক কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে বললে সে আমার কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা না দেওয়ায় সম্প্রতি সে আমারসহ এলাকার নিরীহ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নানাভাবে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। একপর্যায় কুখ্যাত চাঁদাবাজ আব্দুল করিম বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে অসামাজিক কাজে লিপ্ত মহিলাদের সংগ্রহ পূর্বক তাদের বাদী করে গত ১১ মার্চ আমিসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে মামলা (নং-১৭০/২৫ (কালিঃ) দায়ের করে। যা পিবিআই তদন্ত করছে। এটাতে ক্ষ্যান্ত না হয়ে আব্দুল করিম সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, আমলি আদালত, মানিকাঞ্জে আমারসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সিআর মামলা(নং-৪৮০/২৫) দায়ের করে। সেটিও পিবিআই তদন্ত করছে। গত ৬ মে আমারসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন তমন ট্রাইবুন্যাল, চুয়াডাঙ্গায় এবং গত ৮মে আমিসহ ৮জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল, ঝিনাইদহ আদালতে আরো একটি মিথ্যে মামলা দায়ের করেছে।
মশিউর রহমান বলেন, এভাবে একর পর এক মিথ্যে মামলা দায়ের করায় আমরা সামাজিক ও মানসিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন হচ্ছি। চাঁদাবাজ আব্দুল করিম অসামাজিক কাজে লিপ্ত বিভিন্ন মহিলাদের সংগ্রহ করে তাদের বাদী করে এলাকার নিরীহ ব্যক্তিদের নামে মিথ্যে ও হয়রানি মূলক মামলা দায়ের করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। তার দাবিকৃত চাঁদার টাকা না দিলে আরো মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানি করে আমাদের ভিটা ছাড়া করবে বলে হুমকি ধামকি প্রদান করছে। উক্ত চাঁদাবাজ চক্র ও তাদের সহযোগীদের উৎপাতে আমিসহ এলাকার সর্বস্তরের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। ওই চাঁদাবাজরা এলাকার ছোট খাট ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষকে আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার পাশাপাশি তাদের মধ্যে মানসিক ভাবে ভীতির সঞ্চার করে চলেছে।
তিনি কুখ্যাত চাঁদাবাজ আব্দুল করিমসহ তার সহযোগীদের অন্যায় অপরাধমূলক কার্যক্রম বন্ধে এবং মিথ্যে মামলার দায় থেকে অব্যহতি পেতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন। -

জেলা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা সাতক্ষীরা ব্রাদার্স মোটরের মালিকের বিরুদ্ধে কর্মচারিকে ফাঁসানোর অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:
মাদক মামলায় কারাগারে থাকা শোরুম মালিককে বাঁচাতে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে ঋণ করে টাকা দিয়ে সহযোগিতা করা কর্মচারীর টাকা পরিশোধ না করে উল্টো বিভিন্নভাবে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন সাতক্ষীরা শহরের মাগুরা বৌ বাজার এলাকার জুম্মান গাজীর ছেলে সালাউদ্দীন গাজী।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, জীবিকার তাগিদে বিগত কয়েক বছর পূর্বে কাটিয়া “ব্রাদার্স মোটর” নামক রিকন্ডিশন মোটর সাইকেল শোরুমে মাত্র ৮ হাজার টাকা বেতনের চুক্তিতে কর্মচারী হিসেবে যোগদান করি। কিছুদিন পর প্রতিষ্ঠানটির মালিক শেখ নাহিদুল ইসলাম নাহিদ একটি মাদক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামী হিসাবে গ্রেফতার হয়ে জেল হাজতে যান। তিনি জেল হাজতে থাকাকালিন তার ১ম স্ত্রী বিলকিস খাতুন তাকে ছাড়াতে এবং মামলা মিটানোর জন্য বিভিন্ন স্থানে ছুটাছুটি করতে থাকে। তার কাছে টাকা না থাকায় বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও নেতাদের কাছে গেলেও কোন টাকা জোগাড় করতে পারেনি। পরবর্তীতে শোরুম মালিকের বিপদের কথা মাথায় রেখে আমার মাধ্যমে প্রিয়ংকর মন্ডলের নিকট থেকে ২লক্ষ টাকা, প্রকাশ মন্ডলের নিকট থেকে ২ লক্ষ টাকা, গাজী পার্সের নিকট থেকে একটি চেক নিয়ে অন্য ব্যবসায়ী সোহাগের নিকট থেকে ১লক্ষ টাকা, প্রিয়ংকর মন্ডলের নিকট থেকে আমার নাম করে আরো ২লক্ষ টাকা তুলে দেই বিলকিস খাতুনের কাছে। প্রত্যেক ব্যবসায়ী আমাকে জিম্মাদার হিসেবেই তাকে টাকা ঋণ দিয়েছিল। কথা ছিল স্বামী নাহিদ জেল থেকে বের হলে টাকা পরিশোধ করবে। এছাড়া বিভিন্ন এনজিও থেকে লক্ষাধিক টাকা উত্তোলন করে দিয়েছি বিলকিসের কাছে। এখন সমিতির কিস্তি টানতে হিমশিম খাচ্ছি। কিন্তু নাহিদ জামিনে বের ওই টাকা পরিশোধ না করে উল্টো আমাকে ফাঁসাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
তিনি আরো বলেন, ওই টাকা চাইতে গেলে নাহিদ বলে যার কাছে টাকা দিয়েছো, তার কাছ থেকেই টাকা নাও। আমি বিলকিস খাতুনের কাছে টাকা চাইতে গেলে তালবাহানা করতে থাকে এবং টাকা না দিয়ে আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি প্রদর্শন করে। শোরুমের লোনের জন্য নাহিদ এর গ্রান্টার হিসেবে আমার নামীয় এবং আমার স্ত্রীর নামীয় ফাঁকা চেক এবং স্ট্যাম্প জমা দেওয়া ছিলো। ওই চেক এবং স্ট্যাম্প ব্যবহার করে আমাদের বিপাদে ফেলানোর চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে। আমি একজন সামান্য কর্মচারী নিজে ঋণ না করেও ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি। অন্যদিকে শোরুম মালিকের ষড়যন্ত্রের ভয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছি।
আমি ওই নাহিদ তার স্ত্রী বিলকিস গংয়ের চক্রান্তের হাত থেকে রক্ষা পেতে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। -

সাতক্ষীরা জেলা ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের ত্রিবার্ষিক নির্বাচন বন্ধের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
সাতক্ষীরা জেলা ট্রাক, ট্যাংকলরী, ট্রাকটর ও কভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের
(রেজি নং খুলনা-৭৬৪) ত্রিবার্ষিক নির্বাচন বন্ধের দাবিতে সংবাদ সম্মেলনসাতক্ষীরা প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরা জেলা ট্রাক ট্যাংকলরী ট্রাকটর ও কভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন রেজি নং খুলনা-৭৬৪ এর ত্রিবার্ষিক নির্বাচন ২০২৪ বন্ধের দাবি জানিয়েছেন সংগঠনের আহবায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দ। রোববার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনাতনে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এই দাবি জানান।
লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম বলেন, সাতক্ষীরা জেলা ট্রাক ট্যাংকলরী ট্রাকটর ও কভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নটি প্রতিষ্ঠার পর নিবন্ধিত হয়ে সুনামের সাথে পরিচালিত হয়ে আসছিল। কিন্তু বিগত আ’লীগ সরকারের সময় থেকে ভোট বিহীন অবস্থায় গায়ের জোরে সংগঠনটি দখল করে রেখেছিল ফ্যাসিস্টদের দোষররা।। গত ৫ আগষ্ট সরকার পতনের পর সংগঠনের দখলদার বাহিনী পালায়ে যায়। এমতাবস্থায় জেলা শ্রমিক দলের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচানা করে গঠনতন্ত্র মফিক ও শ্রম আইন অনুযায়ী কার্যক্রম শুরু করি। গত ৩০ আগষ্ট বিধি মোতাবেক সাধারণ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে গঠনতন্ত্রের ৩২/ছ ধারা অনুযায়ী আহবায়ক কমিটি ও ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু আ’লীগের দোষর পরিচালক শ্রম পরিদপ্তরের মাধ্যমে একটি ত্রিমুখী সভায় আমাদের পক্ষে আহবায়ক কমিটিতে ৩জন ও বিরোধী পক্ষের ২জন রাখার সিদ্ধান্ত এবং নির্বাচন পরিচালনা কমিটিতে মোঃ আব্দুস সবুর ডিমোনেস্টেটরকে চেয়ারম্যান করার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু খুলনা শ্রমিক অধিদপ্তরের পরিচালক মিজানুর রহমান তার রেজুলেশনে আহবায়ক কমিটিতে আ’লীগের দোষর ৩জনকে রাখেন। তার মধ্যে একজনকে গঠনতন্ত্র বর্হিভূত ভাবে সদস্য সচির এবং নির্বাচন পরিচালনা কমিটিতে চেয়ারম্যান বদলিয়ে ডেমনেস্টেটর আলমগীর কবিরকে দিয়েছেন। যার ফলে সমস্যা ক্রমশঃ জটিল হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, গত ৫ আগষ্টের পর আহবায়ক ৮৫০ জনের নিয়মিত কার্ড দেখতে পান। কিন্তু ভূয়া সদস্য সচিব ও পলাতক আব্দুল আাদের কাদু দুই জন মিলে ষড়যন্ত্র করে আরও ৭০০ মত নতুন ভূয়া কার্ড দিয়ে ১৫৫০ ভোটার সৃষ্টি করে একটা প্রহসনের নির্বাচনের পায়তারা চালাচ্ছে। ইতিমধ্যে তারা ষড়যন্ত্র করে নির্বাচনের তপশিল ও প্রকাশ করেছে। এখন আমাদের প্রশ্ন আহবায়কের সহি ছাড়া একটি অবৈধ ভুয়া ভোটার তালিকা তারা কিভাবে গ্রহণ করিলেন? এক্ষেত্রে শুধু মাত্র একপক্ষের মতামতের ভিত্তিতে সবকিছু স্বেচ্ছাচারিতা ভাবে ফ্যাসিষ্ট কায়দায় করা হচ্ছে। যা একটা সংঘাত ও বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করা তাদের উদ্দেশ্য মাত্র। সংগঠনটি পরিচালনার জন্য একটা শান্তিপূর্ণ সুষ্ঠ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক এটা আমাদের কামনা। কিন্তু এই ষড়যন্ত্র ও প্রহসনের মাধ্যমে চলমান নির্বাচন প্রক্রিয়া বন্ধ না হলে রক্ষক্ষয়ী সংঘর্ষের সম্ভাবনা বিদ্যমান।
এমতাবস্থায় জরুরী ভাবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে এই অবৈধ নির্বাচন প্রক্রিয়া বন্ধ করে দিয়ে গত ৩০ আগষ্টের সাধারণ শ্রমিক সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনা হতে পারে। একই সাথে অত্র সংগঠনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার জন্য একটি সুষ্ঠ গণতান্ত্রিক নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট অনুরোধ জানানো হয়। -

ধর্মীয় অনুভূতিকে পুঁজি করে নলতার এমজেএফ বিশেষ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় উচ্ছেদ চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরায় ধর্মীয় অনুভূতিকে পুঁজি করে নলতায় অবস্থিত এমজেএফ বিশেষ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় উচ্ছেদ করতে পায়তারা চালাচ্ছে একটি কু-চক্রিয় মহল। শনিবার (৯ নভেম্বর) সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়টি ধ্বংশ না করে এবাদতখানা প্রতিষ্ঠা করতে এবং হুমকি ও অপপ্রচার থেকে রেহায় পাওয়ার দাবি জানিয়েছেন নলতা এমজেএফ ফাউন্ডেশন ও এমজেএফ বিশেষ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীরা।
লিখিত বক্তব্যে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষা সহকারি আবুল হুসাইন বলেন, মানবাধিকার জনকল্যাণ ফাউন্ডেশনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এম.জে.এফ বিশেষ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়টি ২০০৮ সাল থেকে কালিগঞ্জ উপজেলার নলতায় বাড়ি ভিত্তিক প্রতিবন্ধী শিক্ষা কার্যক্রমের পাশাপশি প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করে। ২০১৪ সালের ১০ই আগস্ট নলতা চৌমহনীতে প্রতিষ্ঠানিক কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। পরবর্তীতে সাবেক ইউএনও গোলাম মাইনউদ্দীন হাসানের সহযোগিতায় ও যুগ্ম- সচিব সুলতান মাহমুদের পরিদর্শন পরবর্তী মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রজ্ঞানের মাধ্যমে বিদ্যালয়টি স্বীকৃতি লাভ করে। পরে ২০১৯ সালে নলতা জিয়ার খালের চরের খাস জমিতে বিদ্যালয়টি স্থানান্তরীত হয়। সেই থেকে দীর্ঘ ৫ বছর ওই স্থানে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। জমিটি বিদ্যালয়ের নামে বন্দোবস্ত প্রদানের লক্ষে কালিগঞ্জ উপজেলার সাবেক ইউএনও রহিমা সুলতানা বুশরা ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আজহার আলীর সহযোগিতায় স্থানীয় ভাড়াশিমলা ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা শরমীষ্ঠা ছবি সহ তদন্ত প্রতিবেদন প্রদান করেন। সেই সাথে স্কুলের নামে জমি বরাদ্দের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এসিল্যান্ড, ইউএনও এর মাধ্যমে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক বরাবর প্রেরণ করেন।
আবুল হুসাইন অভিযোগ করে বলেন, গত ৫ আগষ্ট সরকার পতনের পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থির অবনতির সুযোগে ৬ আগস্ট সকালে স্থানীয় আ’লীগ নেতা হাবিবুর রহমানের ছেলে যুবলীগ নেতা ডাঃ আবু হাসান এবং তার সহযোগি আল-আমিন ও রুবেল, বাচ্চুর পরিকল্পনায় বহিরাগতরা বিদ্যালয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করে প্রায় ৩ লক্ষাধীক টাকার ক্ষতিসাধন করে। পরে বিদ্যালয় সংস্কার করতে গেলে উল্লেখিতরা বাধা দানের পাশাপাশি ভয়ভীতি প্রদর্শন ও হুমকি দিতে থাকে। একপর্যায় ১৪ আগস্ট বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক স্থানীয় সেনা ক্যাম্পের সহযোগীতা কামনা করেন। পরে সেনা সদস্য ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে সংস্কার কাজ শুরু হলে ওই দিন সন্ধ্যায় যুবলীগ নেতা ডা. আবু হাসানের নেতৃত্বে একটি ব্যানার টানিয়ে বিদ্যালয়ের গা ঘেষে পাঞ্জেগানা মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু করে। এসময় তারা বিদ্যালয়ের কার্যক্রম বন্ধের লক্ষ্যে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ধর্মীয় অনুভূতি আকৃষ্ট করে বিভিন্ন পত্রিকয় সংবাদ প্রকাশ করায়। যা বিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নষ্টের পায়তারার সামিল। বর্তমানে উপরে উল্লেখিত ব্যক্তিগণ এমএফ’র পরিচালক ও তার পরিবার এবং বিদ্যালয়ের স্টাফদের বিভিন্নভাবে জীবননাশের হুমকি প্রদান করে চলেছে। গত ৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় মাঘুরালী গ্রামের হাফিজুল, আবু বকর পরিচালকের বড় ছেলে আবু রায়হানকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
তিনি আরো বলেন, আমরা ধর্মভীরু মুসলিম পরিবারের সন্তান, আমি কখনো এ মহল্লার মানুষের আশাহত মসজিদের বিরোধী নই। আমরাও চাই এই মহল্লায় একটা এবাদতখানা প্রতিষ্ঠিত হোক। কিন্তু সেটি প্রতিবন্ধীদের বিদ্যালয় ধ্বংস করে নয়। তিনি এবিষয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মীর খায়রুল ইসলাম, সহকারি শিক্ষক আরিফুল হক, সাদ্দাম হোসেন, আবুল কাশেম, শরিফা কাতুন, শিক্ষা সহায়ক আবুল হোসেন, উম্মে শাখওয়া শারমিন ও এমজেএফ’র নির্বাহী পরিচালক আজহারুল ইসলাম প্রমুখ। -

সাতক্ষীরা প্রেস উদ্যানে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি উদ্বোধন
প্রকৃতির মাঝেই জীবনের অস্তিত্ব, প্রকৃতিকে বাঁচাতে বৃক্ষরোপণের কোন বিকল্প নেই: মোস্তাক আহমেদ
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: ‘সবুজে সাজাই বাংলাদেশ’ স্লোগানে প্রকৃতি ও জীবন ক্লাব সাতক্ষীরার উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) হেমন্তের আলো ঝলমলে সকালে সাতক্ষীরা শহরের বুক চিরে প্রবাহিত প্রাণসায়র খালের পূর্বপাশে “প্রেস উদ্যানে” আমের চারা রোপণের মধ্যদিয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ।
কর্মসূচির উদ্বোধনকালে জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ বলেন, জন্ম থেকে আমরা প্রকৃতির কোলেই বেড়ে উঠি। প্রকৃতি না বাঁচলে আমরা বাঁচবো না। প্রকৃতিকে বাঁচাতে বৃক্ষরোপণের কোন বিকল্প নেই। প্রকৃতির মাঝেই জীবনের অস্তিত্ব। প্রকৃতি ও জীবন ক্লাবের উদ্যোগে সাতক্ষীরা প্রাণসায়র খাল রক্ষায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি স্মৃতির স্মারক হয়ে থাকবে।
জেলা প্রশাসক বলেন, জলাবদ্ধতা সাতক্ষীরা জেলার বড় সমস্যা। এ সমস্যা দূর করতে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। জেলার সকল নদী ও খাল অবৈধ দখলদারদের কবল থেকে অবমুক্ত করা হচ্ছে। একই সাথে এ সকল নদী ও খাল রক্ষায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। নদী ও খালের অবৈধ বাঁধ ও স্থাপনা উচ্ছেদ করে প্রবাহ ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। জেলা ও উপজেলা প্রশাসন এ ব্যাপারে কঠোর ভূমিকা পালন করছে।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, সাতক্ষীরা শহরের বুকচিরে প্রবাহিত প্রাণসায়র খাল রক্ষায় ইতোমধ্যে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। খালটির দু’ধারে গড়ে তোলা হবে নান্দনিক উদ্যান। এ উদ্যানে লাগানো গাছ সুরক্ষায় সাতক্ষীরা পৌরসভা কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ।
নান্দনিক এ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও নাগরিক নেতা প্রফেসর আব্দুল হামিদ, শিক্ষাবিদ প্রফেসর পবিত্র মোহন দাশ, মানবাধিকার কর্মী মাধব চন্দ্র দত্ত, প্রকৃতি ও জীবন ক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট মুনিরউদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ, নারী নেত্রী জ্যোৎস্না দত্ত, সাহিত্যিক সুদয় কুমার মন্ডল, লেখক মনিরুজ্জামান মুন্না, বিশিষ্ট সাংবাদিক প্রথম আলোর স্টাফ রিপোর্টার কল্যাণ ব্যানার্জী, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সর্বশেষ নির্বাচিত সভাপতি ও সময় টিভির মমতাজ আহমেদ বাপী, এটিএন বাংলা ও সমকালের এম কামরুজ্জামান, আরটিভির রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী, সাপ্তাহিক সূর্যের আলো সম্পাদক আব্দুল ওয়ারেশ খান চৌধুরী, দেশ টিভি ও বিডি নিউজের শরীফুল্লাহ কায়সার সুমন, বৈশাখী টিভির শামীম পারভেজ, চ্যানেল টুয়েন্টি ফোরের আমিনা বিলকিস ময়না, বাংলাভিশনের আসাদুজ্জামান, বণিক বার্তার গোলাম সরোয়ার, সাতক্ষীরার সকালের নির্বাহী সম্পাদক মোঃ আমিরুজ্জামান বাবু, বাংলানিউজ টুয়েন্টি ফোরের শেখ তানজির আহমেদ, এসএ টিভির শাহিন গোলদার, সাতক্ষীরা সাংবাদিক ক্লাবের সভাপতি মহিদার রহমান, সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুজ্জামান লিটু, দৈনিক পত্রদূত এর বার্তা সম্পাদক এসএম শহীদুল ইসলাম, মানবজমিনের এসএম বিপ্লব হোসেন, ঢাকা টাইমস এর মোঃ হোসেন আলী, ঢাকা পোস্টের মোঃ ইব্রাহীম খলিল, সংবাদ প্রকাশ এর রেজাউল করিম, খবরের কাগজের নাজমুস শাহাদাত জাকির, উদীচীর জেলা সভাপতি শেখ সিদ্দিকুর রহমান, সেলিম হোসেন, রেজাউল ইসলাম, মাহিদা মিজান, নাজমুল আলম মুন্নাসহ শিক্ষক, সাংবাদিক, কবি-সাহিত্যিক ও সুধীজন। এছাড়া বিডি ক্লিন ও ভিবিডি’র সদস্যসহ শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক এ কর্মসূচিতে অংশ নেয়।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে দুই শতাধিক বনজ, ঔষধী ও ফলজ গাছের চারা রোপন করছে চ্যানেল আই-প্রকৃতি ও জীবন ক্লাব। জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় দেশব্যাপী সবুজ বেষ্টনী গড়ার অংশ হিসেবে গাছের চারা রোপণ করেছে সংগঠনটি। প্রকৃতি ও জীবন ক্লাব পরিবেশ বান্ধব এমন নান্দনিক কর্মসূচী গ্রহণ করায় কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়ে এবং কর্মসূচীর সফলতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক।
কর্মসূচিতে সহাযোগিতা করেন সাতক্ষীরা জেলা প্রকৃতি ও জীবন ক্লাবের সদস্যরা। -

শ্যামনগরের সুজা মাহমুদ গংয়ের বিরুদ্ধে ভূমিহীন পল্লীতে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও মারপিটের অভিযোগ
সরকার পরিবর্তনের সুযোগ কাজে লাগিয়ে সাতক্ষীরার শ্যামনগরে সুজা মাহমুদ গংয়ের বিরুদ্ধে ভূমিহীন পল্লীতে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট এবং মারপিটের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতলেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে শ্যামনগর উপজেলার নকিপুর গ্রামের মোঃ ছকিমুদ্দিন গাজীর ছেলে মোঃ মোকসেদ আলী গাজী এই অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বিগত ১৯৭৭ সালে শ্যামনগর মৌজায় এসএ খতিয়ান নং- নামজারী খতিয়ান নং- ১/১১৫, ১/২২, ১/২০ এর ৭৫৬,৭৫২, ৭৫৯, ৭৮১ ও ৭৫৭ দাগে মোট ৪ একর ৬ শতক সম্পত্তি সরকারের কাছ থেকে ভূমিহীনদের নামে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখল করে আসছি। সেখানে উপজেলার ৪৩টি অসহায় ভূমিহীন পরিবার ঘরবাড়ি নির্মাণ করে মাথাগোজায় ঠাঁই পেয়েছে। অথচ নকিপুর গ্রামের মৃত সামছুদ্দীন গাজীর ছেলে সুজা মাহমুদ ওরফে সুজাউদ্দীন আহমেদ জাল কাগজপত্র সৃষ্টিকরে ওই ভূমিহীন পল্লী অবৈধভাবে দখলের পায়তারা করতে থাকে। ওই জাল কাগজপত্রের বুনিয়াদে সুজা মাহমুদ ৬২/২১ মামলা দায়ের করেন। কাগজপত্র পর্যালোচনা করে সুজা মাহমুদের কাগজপত্র জাল প্রমানিত হলে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফারুক উল্টো সুজা মাহমুদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। আদালতে জায়গা না পেয়ে সুজা মাহমুদ গং বিভিন্ন চক্রান্ত শুরু করে। ভাড়াটিয়া বাহিনী নিয়ে ভূমিহীন পল্লী দখলের পায়তারা চালাতে থাকে।
মোকসেদ আলী আরো বলেন, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পালায়নের পর উপজেলা বিএনপির যুব বিষয়ক সম্পাদক জহুরুল হক আপ্পু, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক হাফিজ আল আসাদ কল্লোলের নির্দেশে তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী ওই ভূমিহীন পল্লীতে হামলা করে। সে সময় তারা অগ্নিসংযোগ করে বাড়িঘর জ¦ালিয়ে দেয় এবং লুটপাট চালায়।
তিনি বলেন, আমরা পরবর্তীতে জানতে পেরেছি যে, ভিপি জমির মালিক সুশান্ত চ্যাটার্জি নকিপুর গ্রামের সুজা মাহমুদের ছেলে মারুফের কাছে ১০ লক্ষ টাকা দেন। মারুফ ওই টাকা বিএনপি নেতা জহুরুল হক আপ্পু ও হাফিজ আল আসাদ কল্লোলদের দিয়ে তাদের ম্যানেজ করে। টাকা পাওয়ার পর জহুরুল হক আপ্পু ও হাফিজ আল আসাদ কল্লোলের সন্ত্রাসী বাহিনী ওই ভূমিহীন পল্লীতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালিয়ে ভূমিহীনদের উচ্ছেদের চেষ্টা করে। এরপরও তারা আমাদের হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে যাচ্ছেন। যে কোন সময় সেখানে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করছেন ভূমিহীন পরিবারগুলো।
তিনি অবিলম্বে ওই হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ পূর্বক ভূমিহীন পল্লীতে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন। -
ডিগ্রি ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের বিরোধিতা ও বিদ্বেষী কার্যক্রমের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

কারিগরি শিক্ষাকে মর্যাদা প্রদান ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাকে বিএসসি (পাস) সমমান মর্যাদা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণের প্রেক্ষিতে ডিগ্রি ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের বিরোধিতা ও বিদ্বেষী কার্যক্রমের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন।
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : কারিগরি শিক্ষাকে মর্যাদা প্রদান ও সমাজে গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধির প্রয়াসে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাকে বিএসসি (পাস) সমমান মর্যাদা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণের প্রেক্ষিতে ডিগ্রি ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের যুক্তিহীন বিরোধিতা ও বিদ্বেষী কার্যক্রমের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত পাঠ করেন, আইডিইবি জেলা নির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক এম এম এ আবু জায়েদ বিন গফুর। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নে সরকার কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় ভর্তির হার ২০৩০ সালে ৩০% ও ২০৪০ সালের মধ্যে ৫০-৬০% এ উন্নীত করার পরিকল্পনা নিয়েছে। এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষাকে শিক্ষার মূল¯্রােতধারায় নিয়ে আসার ঘোষণা দিয়ে ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত ১০০ নম্বরের একটি করে কারিগরি বিষয় বাধ্যতামূলক করে শিক্ষা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মাধ্যমস্তরের প্রকৌশল শিক্ষা বিস্তারের লক্ষ্যে ২৩ টি জেলায় একটি করে বিশ্বমানের পলিটেকনিক এবং মেয়েদের জন্য আরো ৪টি আন্তর্জাতিক মানের পলিটেকনিক স্থাপন করার কাজ শুরু করেছেন। কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমে ৪টি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যার ২টি শুধু ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য নির্ধারিত করে দিয়েছে সরকার। এছাড়া সরকার বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে দক্ষ জনবল তৈরির উদ্দেশ্যে শতাধিক টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন করছে। দেশে চালু ৫০টি সরকারি পলিটেকনিকের শিক্ষা কার্যক্রম যথাযথভাবে সম্পন্ন করা ও দক্ষ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার গড়ে তোলার লক্ষ্যে ১২৫০০ শিক্ষক পদ সৃষ্টি করে নিয়োগ শুরু করেছেন। অন্যদিকে টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের আরো ৬৫০০ শিক্ষক পদ সৃষ্টিপূর্বক একইভাবে নিয়োগ দেয়া শুরু করেছেন। ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের বিএসসি (পাস) কোর্সের সমমানের মর্যাদা প্রদান করার বিষয়ে মতামত ও সুপারিশ দেয়ার জন্য ১০ সদস্যের একটি জাতীয় কমিটি গঠন করেছেন।
এই কারিগরি শিক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ প্রকৌশল কর্মক্ষেত্রে ডেস্ক ও ফিল্ড ইঞ্জিনিয়ারিং-এ কাজ করে থাকেন। যেখানে ডিজাইন, প্ল্যানিং, গবেষণায় ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে বিএসসি ইঞ্জিনিয়াররা ডেস্কে এবং এক্সিকিউশন, সুপারভিশন, অপারেশন, পরিচালক ও মেইনটেন্যান্স কাজে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারগণ করে যাচ্ছেন। দেশের ইঞ্জিনিয়ারিং কর্মকান্ডের ৮৫% কাজ এদেশের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারগণ করে থাকেন। বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার উভয়েই ইঞ্জিনিয়ার, যা রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারগণ বিএসসি (পাস) সমমান মর্যাদা পাওয়ার যোগ্যতা যৌক্তিকভাবেই রাখেন। সার্বিক বিষয়টি ইতোমধ্যে আইডিইবি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জাতির নিকট স্পষ্ট করে দেশপ্রেমিক সাংবাদিক বন্ধুদের মাধ্যমে সরকারের নিকট নি¤েœর দাবি উপস্থাপন করেছেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ বাস্তবায়ন ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নসহ আইডিইবি’র পক্ষে উপস্থাপিত উপরোল্লিখিত দাবি বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে ইতোমধ্যে আইডিইবি’র পক্ষে মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। সেই কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ আমরা আপনাদের উপস্থিতিতে জেলা নির্বাহী কমিটির পক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছি। কেন্দ্রীয়ভাবে ইতোমধ্যে ঘোষিত কর্মসূচির আলোকে আমরা সাতক্ষীরা জেলা শাখার পক্ষে নি¤েœাক্ত কর্মসূচি ঘোষণা করছি। কমসূচি সমূহ: ১২-১৮ মে’২৪ পর্যন্ত আইডিইবি জেলা নির্বাহী কমিটির উদ্যোগে সকল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের বাংলাদেশ কারিগরি ছাত্র পরিষদ (বাকাছাপ), বাংলাদেশ পলিটেকনিক শিক্ষক সমিতি, পেশাজীবী অন্যান্য সংগঠন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিক সংগঠনসহ সমাজের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে মতবিনিময় ও জনগণকে অবহিতকরণ। ১৯-২৩ মে’২৪ পর্যন্ত জেলার সকল ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স সার্ভিস এসোসিয়েশনের উদ্যোগে স্ব স্ব প্রধান দপ্তরে প্রতিবাদ সভা ও শিক্ষামন্ত্রী সমীপে স্মারকলিপি প্রদান। ৩০ মে’২৪ জেলা শাখার উদ্যোগে ছাত্র শিক্ষক ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের সমন্বয়ে প্রতিবাদ সভা এবং সভা শেষে বিক্ষোভ মিছিল ও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে শিক্ষামন্ত্রী সমীপে স্মারকলিপি প্রদান। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সভাপতি প্রকৌ. মো: আব্দুর রশিদ, সহ-সভাপতি প্রকৌ. আবেদুর রহমান, প্রকৌ. কামরুল আকতার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রকৌ. গোলাম মোস্তফা, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রকৌ.শিমুল, কাউন্সিলর প্রকৌ. অধ্যক্ষ মো: রফিকুল ইসলাম, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক প্রকৌ. অনিমেষ দেব নাথ, প্রকৌ. ইন্সট্যাক্টর আব্দুল আলিম। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রকৌ. রবিউল ইসলাম, প্রকৌ. ফারুক আহমেদ। -

স্বামীকে মারপিট ও হুমকি ধামকির প্রতিবাদে স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি : মাদকাসক্ত স্বামীকে তালাক দিয়ে অন্যত্র বিবাহ করায় পিতা-মাতাসহ পরিবারের অন্য সদস্য মিলে বর্তমান স্বামীসহ তার পরিবারের সদস্যদের মারপিট ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে হয়রানিসহ খুন জখমের হুমকি ধামকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে স্ত্রী পরি রাণী দাস।
শুক্রবার (৭ জুলাই) সকালে সাতক্ষীরা সাংবাদিক কেন্দ্রে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পপি রাণী দাস বলেন, আমি পপি রাণী দাস, পিতা- সন্তোষ কুমার দাস, সাং- তেরছি(কাটিপাড়া), থানা- তালা, জেলা-সাতক্ষীরা। ২০১৭ সালে পারিবারিকভাবে যশোর জেলার মহিতোষ বিশ^াসের পুত্র শোভন বিশ^াসের সাথে আমার বিবাহ হয়। কিন্তু বিবাহের পর ধীরে ধীরে জানতে পারি আমার স্বামী শোভন বিশ^াস মাদকাসক্ত ব্যক্তি। নেশা করে প্রায় প্রতিদিন আমাকে মারপিটসহ নির্মম নির্যাতন করতে থাকে। বিষয়টি পিতা- মাতাকে অবগত করালেও পিতা-মাতা বলে ধৈর্য ধর সব ঠিক হয়ে যাবে। এভাবেই প্রায় ৫ বছর অতিবাহিত হলেও স্বামী শোভন বিশ^াসের কোন পরিবর্তন হয়নি উল্টো নির্যাতন আরো বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু পিতা-মাতাকে জানিয়েও কোন লাভ না হওয়ায় আমি আত্মহত্যার চেষ্টাও করি। পরে শোভন বিশ^াসের বাড়ি থেকে পালিয়ে চলে আসি এবং তাকে তালাক পাঠিয়ে দেই। এর কিছুদিন পর তেরছি গ্রামের দুলাল চন্দ্র দাশের পুত্র উজ্জল কুমার দাশের সাথে আমার সম্পর্ক তৈরি হয়। সে আমাকে নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখায়। উজ্জল কুমার দাশ আজীবন আমার পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিলে একপর্যায়ে আমরা সনাতন ধর্মীয় মতে কোর্ট ম্যারেজ করি। বিবাহের পর সুখে শান্তিতেই বর্তমান স্বামী উজ্জল কুমার দাসের বাড়িতে বসবাস করে আসছি। কিন্তু আমার পিতা সন্তোষ কুমার দাশ, মাতা জ্যোৎ¯œা রাণী দাস, প্রকাশ কুমার দাস, জেটি পূর্ণিমা রাণী দাস, প্রতিবেশী কাকা জয়দেব বিষয়টি মানতে নারাজ এবং কৌশলে আমাকে পুনরায় পূর্বের মাদকাসক্ত স্বামীর ঘরে পাঠাতে মরিয়া হয়ে ওঠে। যেখানে আমার জীবন নিয়ে সংশয় রয়েছে সেখানে পুনরায় ফিরে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না কিন্তু জানি না কি কারনে তারা এমনটি করছে। আমি তাদের কথায় বর্তমান স্বামীকে ত্যাগ না করায় আমার পিতার নেতৃত্বে উল্লেখিত ব্যক্তিরা আমার স্বামীসহ তার পরিবারের সদস্যদের মারপিট, পুলিশ দিয়ে হয়রানি এবং মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে হয়রানির চেষ্টা করে যাচ্ছে। তাদের কারনে আমার বর্তমান স্বামীর পরিবার বর্তমানে চরম নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে।
তিনি বলেন, আমি সুখে শান্তিতে আছি এবং বর্তমান স্বামীর সাথেই সংসার করতে চাই। আমি যেখানে সুখে থাকব সেটিই পিতা-মাতার প্রত্যাশা হওয়ার কথা হলেও আমার পিতা-মাতা কেন জানিনা সেটি মেনে নিতে পারছে না। আমার জীবন গেলেও ওই মাদকাসক্ত স্বামীর ঘরে আর আমি ফিরে যেতে চাই না। আমি আমার বর্তমান স্বামী এবং তার পরিবারের সদস্যদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত পূর্বক যাতে বর্তমান স্বামীকে নিয়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারি তার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি। -

বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল’র উদ্যোগে সাতক্ষীরার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকদের অংশগ্রহণে সেমিনার ও মতবিনিময় সভা
নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকদের অংশগ্রহণে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল আয়োজিত সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতার মান সংরক্ষণে সাংবাদিকতার নীতি নৈতিকতা এবং সাংবাদিকতার আচরণবিধি প্রতিপালন শীর্ষক সেমিনার ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ মে) সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল এর আয়োজনে এবং জেলা প্রশাসন ও জেলা তথ্য অফিসের সহযোগিতায় জেলা প্রশাসক হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে সেমিনার ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু ছিলেন প্রথম জীবনে একজন সাংবাদিক। তিনি আরো বলেন, আইন মেনেই বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল কাজ করে যাচ্ছে। মফস্বলের সাংবাদিকরা বাধ্য হয়ে অপরাধপ্রবণতায় জড়িয়ে পড়ছে। শুধুমাত্র প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরায় প্রেস কাউন্সিল এর আওতাভুক্ত। বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল আইন তৈরী হওয়ার সময় ইলেকট্রনিক মিডিয়া এর অন্তর্ভুক্ত ছিল না। ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া প্রেস কাউন্সিলের আওতাভুক্ত নয়। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন সাংবাদিকরা হল সমাজের ক্রিম। বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল তিরস্কার করা ছাড়া তাদের কোন বিচারিক ক্ষমতা নেই। তাই বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল এর ক্ষমতা বাড়ানো দরকার। প্রকৃত সাংবাদিকদের তালিকা তৈরি করে ও ডাটাবেজ তৈরি করতে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল কাজ করে যাচ্ছে।”
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আতিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সাবিক) শেখ মঈনুল ইসলাম মঈন। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা তথ্য অফিসার মো. জাহারুল ইসলাম।
সাংবাদিকতার নীতি নৈতিকতা বিষয়ে আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সদস্য ড. উৎপল কুমার সরকার।
উন্মুক্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, দৈনিক দৃষ্টিপাত সম্পাদক জি এম নুর ইসলাম, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এ্যাড. আবুল কালাম আজাদ, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি মমতাজ আহমেদ বাপী, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাবিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মাদ আলী সুজন, সাপ্তাহিক সুর্যের আলো পত্রিকার সম্পাদক আব্দুল ওয়ারেশ খান চৌধুরী, সাংবাদিক এস এম রেজাউল ইসলাম, সাংবাদিক আবুল কাশেম, সাংবাদিক এম বেলাল হোসাইন, সাংবাদিক মশিউর রহমান ফারুক প্রমুখ। এসময় জেলার প্রিন্ট্র ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকরা সেমিনার ও মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সুপারিন্টেন্ডেন্ট মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন। -

সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়ে এমপি মীর মোস্তাক আহমেদ রবি
প্রেস বিজ্ঞপ্তি: সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছেন সাতক্ষীরা সদর ২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়ে মিলিত হন তিনি। মতবিনিময়ে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাবিবুর রহমান, কার্যনির্বাহী সদস্য সেলিম রেজা মুকুল, আব্দুল গফুর সরদার, মোজাফ্ফর রহমান, শহিদুল ইসলাম, মনিরুজ্জামান তুহিন, মাছুদুর জামান সুমন। মতবিনিময়ে আরো উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক এবিএম মোস্তাফিজুর রহমান, দৈনিক সংযোগ বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি শেখ তহিদুর রহমান, দৈনিক সংযোগ প্রতিদিনের জেলা প্রতিনিধি অসীম বরণ চক্রবর্তী, দৈনিক শেয়ারবিজের সৈয়দ মহিউদ্দীন হাসেমী তপু, দৈনিক সাতক্ষীরা সংবাদের সম্পাদক ও প্রকাশক শাহ আলম, সাংবাদিক মাফফিজুল ইসলাম আক্কাস, দৈনিক সাতঘরিয়ার শেখ রফিকুল ইসলাম রানা, দৈনিক স্বাধীনমতের জেলা প্রতিনিধি আহাদুর রহমান, দৈনিক খুলনার ইমান আলী, সাতক্ষীরা সংবাদের স্টাফ রিপোর্টার ও জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জ্যোৎস্না আরা, সাতক্ষীরা সংবাদের স্টাফ রিপোর্টার মোঃ জিয়াউর বিন সেলিম যাদু। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন অর রশীদ, সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম, মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী রুবী, হ্যাপী, সুলেখা দাস, তহমিনা ইসলাম, পৌর আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক শেখ মাহফুজুর রহমান প্রমুখ।
-

ধর্ষন চেষ্টার সুবিচার ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে ধর্ষন চেষ্টার মামলার সুবিচার ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন, কালিগঞ্জ উপজেলার মহৎপুর গ্রামের মোহাম্মাদ আইয়ুব আলীর স্ত্রী মাজেদা বেগম।
লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, ‘পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে এলাকার প্রতিপক্ষ কুচক্রী মহলের ইন্ধনে শেখ পাড়া গ্রামের শেখ মশিয়ার রহমান কুরাইশির পুত্র মাদক ব্যবসায়ী আরাফাত আলী এবং তার সহযোগী দুদলী গ্রামের শাকিল আহমেদ গাজীর পুত্র জিএম মামুনকে আমার পিছে লেলিয়ে দেয়। আমার সতীন মর্জিনা খাতুন বাড়িতে অবস্থান করায় তাকে খারাপ আখ্যা দিয়ে আমর ও আমার স্বামীর নিকট থেকে ২০ হাজার টাকা চাঁদা ও অনৈতিক সুবিধা দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকার করায় ২০২২ সালে ১৪ নভেম্বর মামুন ও আরাফাত আমার বাড়িতে লোক নিয়ে মিথ্যা অপবাদে হামলা করে। পুলিশ ফোর্স আমাদের নিরাপত্তার স্বার্থে আমদের থানায় এনে ঘটনার সত্যতা উদঘাটন করে আমাদের ছেড়ে দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে একই মাসের ২৩ তারিখে রাত ৮টায় আমার বাড়ির সামনে এসে আমার স্বামীকে খোঁজ করে। তাকে না পেয়ে বাড়িতে পানি পানের নামে প্রবেশ করে ঘরে ঢুকে আমাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। ধস্তাধস্তীতে আমার দুই প্রতিবন্ধী কন্যা ভয়ে চিৎকার করলে প্রতিবেশি আরশাদ, নাসির, সালমা ছুটে এলে তারা দুজন মোটরসাইকেল যোগে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় সাতক্ষীরা বিজ্ঞ নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল বিশেষ আদালতে ৯(৪)(খ) ২০০০সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩ ধারায় একটি মামলা করি। যা থানায় এজাহার হিসেবে নিয়ে ১৭৩ ধারায় পুলিশ রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ দেয় আদালত। যার মামলা নং ৪, তারিখ ৯জানুয়ারি২০২৩খ্রিঃ।
উল্লেখ্য, আরাফাত আলীর ভাই মাদক সম্্রাট রাফু কুরাইশী সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন মামলার আসামী। তার মাদক ব্যবসা নির্বিঘেœ করার জন্য আরাফাত আলী ও জি এম মামুনকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। মামলা হওয়ার পরও উক্ত আসামীরা এখনো গ্রেফতার হয়নি বিধায় আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। অন্যদিকে আমার ন্যায় বিচার না পাওয়ার আশংকা প্রকাশ করছি।’ তিনি সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে ধর্ষন চেষ্টার সুবিচার ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভুক্তভোগী মাজেদা বেগম। -
কলারোয়ায় শিক্ষাবিদ অধ্যাপক এম.এ ফারুকের ইন্তেকাল সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে শোক জ্ঞাপন
প্রেস বিজ্ঞপ্তি: জেলাবাসীকে শোক সাগরে ভাসিয়ে চির বিদায় নিলেন শিক্ষাবিদ অধ্যাপক এম.এ ফারুক(৭৫)। বঙ্গবন্ধুর সহচর, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, প্রাক্তন এমসিএ প্রয়াত মমতাজ আহম্মেদ’র জ্যেষ্ঠ পুত্র এম.এ ফারুক।
পারিবারিকভাবে জানা যায়, বুধবার (১২ এপ্রিল) সকাল ৮ টায় ঢাকাস্থ কলাবাগানে ছেলের বাসায় তিনি ইন্তেকাল (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন) করেছেন। তিনি দীর্ঘ বছর যাবৎ ডায়াবেটিক সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ১ পুত্র, ৩ কন্যা, নাতি- নাতনি সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। মরহুমের জন্মস্থান কেঁড়াগাছি ইউনিয়নের বোয়ালিয়া মুক্তিযোদ্ধা কলেজ মাঠে দ্বিতীয় জানাযা নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে (মমতাজ আহমেদ কমপ্লেক্স চত্বরে) দাফন সম্পন্ন করা হবে। কলারোয়া কলেজের(সরকারি) প্রতিষ্ঠাতা শিক্ষক, উপজেলা আ’লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, যশোর শিক্ষা বোর্ডের সাবেক স্কুল পরিদর্শক, বিশিষ্ঠ সমাজসেবক ও নারী শিক্ষার পথপরিদর্শক অবসরপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক এম.এ ফারুকের মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আছে ও দূর দূরন্তে অবস্থানরত শুভাকাঙ্খীরা শোকে মুহ্যমান হয়।
কলারোয়ার কৃতি সন্তান শিক্ষাবিদ অধ্যাপক এম.এ ফারুকের মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ। এক শোক বার্তায় শিক্ষাবিদ অধ্যাপক এম.এ ফারুকের রুহের মাগফেরাত জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাবিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মাদ আলী সুজন, কার্যনির্বাহী সদস্য সেলিম রেজা মুকুল, আব্দুল গফুর সরদার, মোজাফ্ফর রহমান, শহিদুল ইসলাম, মনিরুজ্জামান তুহিন, মাছুদুর জামান সুমন।