Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
প্রশাসন Archives - Page 9 of 15 - Daily Dakshinermashal

Category: প্রশাসন

  • সাতক্ষীরায় শুরু হয়েছে ভারতীয় ভিসা সেন্টারের কার্যক্রম

    সাতক্ষীরায় শুরু হয়েছে ভারতীয় ভিসা সেন্টারের কার্যক্রম


    নিজস্ব প্রতিনিধি: কোন আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ছাড়াই আজ রবিবার থেকে সাতক্ষীরায় শুরু হয়েছে ভারতীয় ভিসা সেন্টারের কার্যক্রম। এদিকে, ভিসা সেন্টার চালু হওয়ায় ভারতে গমন ইচ্ছুক সাতক্ষীরাবাসী শতস্ফুর্তভাবে তাদের কাগজ পত্র জমা দিচ্ছেন। বর্তমানে এখানে দু’টি কাউন্টারে ভিসার কাগজপত্র জমা নেয়া হচ্ছে। ভারতীয় ভিসা সেন্টার কর্তৃপক্ষ এখানকার পরিবেশ অনুকূলে জানিয়ে তাদের জনবল কমের কথা জানিয়েছেন।
    হাইকমিশন সূত্রে জানা গেছে, প্রান্তিক ও দূরবর্তী এলাকায় বসবাসকারী বাংলাদেশি নাগরিকদের ভারতীয় ভিসা চাহিদা পূরণ ও ভিসা পাওয়া আরো সহজ করার লক্ষ্যে ঠাকুরগাঁও, বগুড়ায়, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নোয়াখালী ও সাতক্ষীরাসহ আরো ৬টি ভিসার আবেদন কেন্দ্র চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এতদিন বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে নয়টি ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র চালু ছিল। নতুন এই ছয়টি নতুন ভিসা আবেদন কেন্দ্র চালু হওয়ায় এর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মোট ১৫টিতে। এতে সহযোগিতা করছে ভারতীয় স্টেট ব্যাংক।
    সাতক্ষীরার ভিসা অফিসের ইনচার্জ মৃনাল কান্তি ঘোষ জনবল কমের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, সাতক্ষীরার পরিবেশ ভাল। সুষ্ঠ ও সুশৃংখলাবদ্ধ ভাবে এখানে ভিসার কাগজপত্র জমা নেয়া হচ্ছে। তিনি আরো জানান, এখন থেকে আর যশোর খুলনায় ভিসা করতে যাওয়া লাগবে না। এতে ভিসার আবেদন প্রার্থীদের একদিকে, যেমন সময় বাচবে, অপরদিকে, অর্থেরও সাশ্রয় হবে ।

  • সাতক্ষীরায় ১৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

    সাতক্ষীরায় ১৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন


    সাতক্ষীরা প্রতনিধি:ি একাদশ জাতীয় সংসদ নর্বিাচনকে সামনে রখেে আইনশৃঙ্খলা পরস্থিতিি স্বাভাবকি রাখতে সাতক্ষীরার ৪টি আসনে ১৪ প্লাটুন বজিবিি মোতায়নে করা হয়ছে।ে এরমধ্যে সাতক্ষীরার ১ ও ২ আসনে ৬ প্লাটুন এবং ৩ ও ৪ আসনে ৮ প্লাটুন বজিবিি মোতায়নে করা হয়। মঙ্গলবার সকাল থকেে বজিবিি সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় তারা তাদরে র্কাযক্রম শুরু করছে।ে
    সাতক্ষীরা ৩৩ বজিবিি ব্যাটলেয়িনরে অধনিায়ক ল.ে র্কনলে গোলাম মোহাম্মদ মহউিদ্দীন খন্দকার ও ৩৪ বজিবিি ব্যাটলেয়িনরে অধনিায়ক ল.ে র্কনলে আসাদ বষিয়টি নশ্চিতি করে জানান, আসন্ন জাতীয় সংসদ নর্বিাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বজিবিি মোতায়োন করা হয়ছে।ে আইনশৃঙ্গলা দখেভাল করার পাশাপাশি তারা নয়িমতি টহল দবে।ে নর্বিাচন উপলক্ষে বজিবিরি টহল শুরু হয়ছেে বলে তনিি জানান।

  • সাতক্ষীরায় জাতীয় ভ্যাট সপ্তাহ পালন

    সাতক্ষীরায় জাতীয় ভ্যাট সপ্তাহ পালন


    নিজস্ব প্রতিবেদক : “ভ্যাট দেব গড়ব দেশ, মধ্যম আয়ের বাংলাদেশ”, বাড়ছে ভ্যাটের প্রবৃদ্ধি দেশের হচ্ছে সমৃদ্ধি” শ্লোগানে সাতক্ষীরায় পালিত হয়েছে জাতীয় ভ্যাট সপ্তাহ। সাতক্ষীরা পলাশপোলস্থ নিজস্ব কার্যালয়ে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় জাতীয় ভ্যাট সপ্তাহ উপলক্ষ্যে কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট, সাতক্ষীরা সার্কেলের আয়োজনে ভ্যাট দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সহকারী কমিশনার মনিরুল হক, রাজস্ব কর্মকর্তা এ, এম নাহিদ হোসেন, আব্দুস সালাম, মোঃ হাশেম আলী, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা শাহিবুল সরদার, শফিউল বারী, রবিউল ইসলাম, আজিজা সুলতানা, আজিজ রেজা, ফারুখ আলমগীর, হামিদুর রহমান, সাইফুল ইসলাম প্রমুখ। এছাড়া ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্টন্স নেতৃবৃন্দ, জুয়েলারি সমিতির নেতৃবৃন্দ, মোজাফফার গার্ডেন, চায়না বাংলাসহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠানের শুরুতে শান্তির প্রতীক কবুতর ও ফেস্টুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠানে সকলকে ভ্যাট প্রদানে উৎসাহ প্রদান করতে “ভ্যাট দেব গড়ব দেশ, মধ্যম আয়ের বাংলাদেশ”, বাড়ছে ভ্যাটের প্রবৃদ্ধি দেশের হচ্ছে সমৃদ্ধি”, “জনগণের ভ্যাটের টাকা উন্নয়নের ঘুরছে চাকা”, “রাজস্বের প্রবৃদ্ধি টেকসই সমৃদ্ধি” এধরনের লেখা বিভিন্ন লিফলেট ও স্টিকার বিতরণ করা হয়।
    উল্লেখ্য: ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর জাতীয় ভ্যাট দিবসে ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে সাতক্ষীরার ৩টি প্রতিষ্ঠান শ্রেষ্ট ভ্যাট দাতা নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের মধ্যে রনি প্লাউড উৎপাদনে, ওয়াল্টন প্লাজা ব্যবসায়ে এবং মোজাফফর গার্ডেন সেবায় শ্রেষ্ট নির্বাচিত হন। ১০ ডিসেম্বর খুলনায় শ্রেষ্ঠ ভ্যাট দাতাদের নাম ঘোষণা করা হয় এবং তাদের সম্মাননা প্রদান করা হয়।

  • একাদশ সংসদ নির্বাচনে একটি মডেল নির্বাচন উপহার দিবে সাতক্ষীরা জেলাবাসী : মোস্তফা কামাল

    একাদশ সংসদ নির্বাচনে একটি মডেল নির্বাচন উপহার দিবে সাতক্ষীরা জেলাবাসী : মোস্তফা কামাল


    শ্যামনগর ব্যুরো ঃ জেলা প্রশাসক রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ মোস্তফা কামাল বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা জেলার সকল শ্রেণীর মানুষকে একটি মডেল নির্বাচন উপহার দেব। শান্তির জনপদ সাতক্ষীরা। এ এলাকায় কোন সম্প্রদায়িক বা কোন অপশক্তিকে বাণিজ্য করতে দেব না। আমরা বিজয়ী বীরের জাতি। বিজয়ের মাসে এ নির্বাচনের মাধ্যমে আর একবার স্বাধীনতার প্রতীক উপহার দেব। ১৩ ও ১৪ এর সময়কালীন মানুষের মাঝে অশান্তি এখন আর নেই। মানুষ শান্তিপূর্নভাবে তাদের স্ব-স্ব ভোট প্রদান করতে পারে এ লক্ষ্যে নির্বাচন আচরণ বিধি মেনে ভোট প্রদানের সকল ব্যবস্থা থাকবে প্রশাসনের। এ ব্যাপারে সকলকে সহযোগিতার জন্য এগিয়ে আসতে হবে। ’ গতকাল শ্যামনগর উপজেলা মিলনায়তনে আয়োজিত আইন শৃঙ্খলার বিশেষ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ মোস্তফা কামাল। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উদ্যোগে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কামরুজজামান। সহকারি কমিশনার (ভূমি) সুজন সরকারের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপ সচিব সাহ আব্দুল সাদী, জেলা পুলিশ সুপার সাজ্জাত হোসেন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ১৭ ব্যাটেলিয়ানের অধিনায়ক আজাদ আলী প্রমুখ। অন্যান্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন প্রেসক্লাবের সভাপতি আলহাজ্ব জি,এম আকবর কবীর, শ্যামনগর থানা অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম, মুক্তিযোদ্ধা মাস্টার নজরুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণানন্দ মুখার্জি, ইউপি চেয়ারম্যান ভবতোষ মন্ডল, মুফতি মাওলানা আঃ খালেক, চন্দ্রিকা ব্যানার্জি প্রমুখ।

  • সাতক্ষীরায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে আটক-৫৬

    মো. মুশফিকুর রহমান (রিজভি): সাতক্ষীরা জেলাব্যাপি বিশেষ অভিযান চালিয়ে ১ জমায়াতকর্মী এবং ৩ মাদক মামলার আসামিসহ ৫৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। গত রোববার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা থেকে সোমবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

    নিয়মিত চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে পরিচালিত এ অভিযান থেকে বেশকিছু মাদকদ্রব্য আটক করা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলাও দায়ের করা হয়েছে।

    এ অভিযান থেকে সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ৫১ পিস ইয়াবাসহ ১৫ জন, কলারোয়া থেকে ২১ পিস ইয়াবাসহ ৮ জন, তালা থানা থেকে ৫ জন, কালিগঞ্জ থানা থেকে ৫ জন, শ্যামনগর থানা থেকে ১ জামায়াতকর্মীসহ ৯ জন, আশাশুনি থানা থেকে ৭ জন, দেবহাটা থানা থেকে ৩ জন এবং পাটকেলঘাটা থানা থেকে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান জানান, নাশকতা, সন্ত্রাস এবং মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান নিয়মিত রয়েছে। সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশ জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছে।

  • জেলায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে আটক-৫৬

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা জেলাব্যাপী বিশেষ অভিযান চালিয়ে পাঁচ মাদক মামলার আসামি ও বিএনপি-জামায়াতের পাঁচ নেতা-কর্মীসহ ৫৬ জনকে আটক করা হয়েছে পুলিশ। এ সময় উদ্ধার করা হয়েছে ফেন্সিডিল ও ইয়াবাসহ বেশ কিছু মাদক দ্রব্য।

    বুধবার (৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা থেকে বৃহস্পতিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল পর্যন্ত জেলার আটটি থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে এসময় ৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
    এ অভিযানে সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ১৫ জন, কলারোয়া থানা থেকে ৭ জন, তালা থানার ৫ জন, কালিগঞ্জ থানার ৭ জন, শ্যামনগর থানার ৯ জন, আশাশুনি থানার ৭ জন, দেবহাটা থানার ২ জন ও পাটকেলঘাটা থানা থেকে ৪ জনকে আটক করা হয়েছে।সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে।

  • জেলার ৩৯ ব্যবসায়ীর ব্যাংক একাউন্টে অস্বাভাবিক লেনদেন

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার ৩৯ জন ব্যবসায়ীর ব্যাংক একাউন্ট তদন্ত করতে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের উচ্চ পর্যায়ের তিন সদস্যের একটি তদন্ত টিম গত সোমবার (৩ সেপ্টেম্বর) সাতক্ষীরাতে পৌছে তালিকাভূক্ত ৩৯ ব্যবসায়ীর ব্যাংক হিসাব নাম্বার তদন্ত শুরু করছেন।

    যাদের ব্যাংক একাউন্ট তদন্ত হচ্ছে তাদের ব্যাংকিং লেনদেন অস্বাভাবিক এবং সন্দেহজনক বলে একটি বিশ্বাসযোগ্য সূত্রে জানা গেছে। তিন সদস্যের ওই তদন্ত টিমে রয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের উপ-পরিচালক গাজী মনিরুদ্দীন, বাংলাদেশ ব্যাংকের উপ-পরিচালক সালেহ উদ্দীন এবং অর্থমন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. এম ডি বাশিরুল আলম।

    এই তদন্ত টিম প্রথম দিনে ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড সাতক্ষীরা শাখায় তদন্ত করেন। ৩৯ জনের তালিকার মধ্যে কমপক্ষে ১০ জন ব্যবসায়ীর ব্যাংক একাউন্ট রয়েছে ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড সাতক্ষীরা শাখায়। বাকীদের অন্যান্য ব্যাংকে একাউন্ট রয়েছে। দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার তারা ন্যাশনাল এবং সিটি ব্যাংকে অনুসন্ধান চালিয়েছেন।
    তাদের একাউন্টে কি ধরনের লেনদেন হয়েছে। এসব টাকা কোথা থেকে একাউন্টে জমা হয়েছে। কি পরিমাণ টাকা লেনদেন হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানা গেছে। খুঁজা হচ্ছে তাদের লেনদেনের প্রকৃত উৎস। তালিকাভূক্তদের বিরুদ্ধে ভারতে হুন্ডির টাকা পাচারের অভিযোগ রয়েছে।

    তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, যে ৩৯ জনের ব্যাংক একাউন্ট তদন্ত শুরু হয়েছে তাদের অনেকেই রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে। কোটি-কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। অতি অল্প দিনেই বিলাশবহুল গাড়ি ও বাড়ির মালিক হয়েছেন। এদের অনেকেই বর্তমানে বৈধ ব্যবসার নামে কোটি কোটি টাকার হুন্ডি, চোরাচালানী, স্বর্ণ পাচার, মাদকসহ বিভিন্ন ধরনের অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা করছেন। সরকারের একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা অবৈধ এসব টাকার উৎস খুঁজতে এদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে বলে জানাগেছে।

    বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সাতক্ষীরার বিভিন্ন ব্যাংকে পাঠানো তালিকাভূক্ত ৩৯ ব্যবসায়ীর মধ্যে অনেকেরই রয়েছে জেলা শহরসহ বিভিন্ন এলাকায় জুয়েলার্সের দোকান। যারা জুয়েলারী ব্যবসার আড়ালে হুন্ডি ও স্বর্ণ চোরাচালানী ব্যবসায় জড়িত। এছাড়া রয়েছে ভোমরার একাধিক সিএন্ডএফ ব্যবসায়ী, কয়েক জন গরু ব্যবসায়ী, কয়েকজন বর্তমান ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান, একজন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও একজন জেলা পরিষদ সদস্য। এদের মধ্যে কেউ-কেউ রয়েছেন হুন্ডি, অস্ত্র, মাদক,স্বর্ণসহ বিভিন্ন চোরাচালানীর সাথে জড়িত।

    যেসব ব্যবসায়ীর ব্যাংক একাউন্ট তদন্ত শুরু হয়েছে তারা হলেন, সাতক্ষীরা জেলা শহরের খান মার্কেটের অংকন জুয়েলার্সের স্বত্ত্বাধিকারী গৌর দত্ত, অমিত জুয়েলার্সের স্বত্ত্বাধিকারী জয়দেব দত্ত, তালার কুমিরার আদিত্য মজুমদার, ব্রাদার্স জুয়েলার্সের স্বত্ত্বাধিকারী আশুতোষ দে, আলিপুরের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ, জনপ্রিয় জুয়েলার্সের স্বত্ত্বাধিকারী সুমন কর্মকার ও বাবু কর্মকার, শ্যামনগরের নকীপুরের বিশ্বজিৎ মন্ডল, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম মোর্শেদ, শ্রী জুয়েলার্সের স্বত্ত্বাধিকারী দীন বন্ধু মিত্র, ঝাউডাঙ্গার এম ভি জুয়েলার্সের স্বত্ত্বাধিকারী মুকুন্দ ভারতী, ঝাউডাঙ্গার সাগর জুয়েলার্সের স্বত্ত্বাধিকারী রবিন্দ্র নাথ দে, আশাশুনির নিউ দে জুয়েলার্সের স্বত্ত্বাধিকারী দেব কুমার দে, কলারোয়ার সন্ধ্যা জুয়েলার্সের স্বত্ত্বাধিকারী হরেন্দ্র নাথ রায়, আধুনিক জুয়েলার্সের স্বত্ত্বাধিকারী গোপাল চন্দ্র দে, তালার দীপা জুয়েলার্সের স্বত্ত্বাধিকারী গনেশ চন্দ্র শীল, তালার নিউ জুয়েলার্সের স্বত্ত্বাধিকারী বাসুদেব দত্ত, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বৈকারী এলাকার মো. রাশেদুল ইসলাম, পদ্মশাখরা এলাকার মো. লিয়াকত হোসেন, একই উপজেলার ঘোনার মো. হাবিবুর রহমান, কলারোয়ার বলিয়ানপুরের জালালউদ্দিন গাজী, কলারোয়ার চন্দ্রনপুরের গরু ব্যবসায়ী নাসির, একই উপজেলার কাকডাঙ্গার গরু ব্যবসায়ী ইয়ার আলী মেম্বর, ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোশিয়েশনের সভাপতি কাজী নওশাদ দেলোয়ার রাজু, সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ সদস্য আল ফেরদৌস আলফা, বৈকারীর ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান অসলে, ভোমরার ইউপি চেয়ারম্যান ইসরাইল গাজী, কলারোয়ার সোনাবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম, সাতক্ষীরা জেলা শহরের রয়েল স্যানেটারীর স্বত্ত্বাধিকারী মো. নজরুল ইসলাম, ভোমরার এ.এস ট্রেডার্সের স্বত্ত্বাধিকারী আজিজুল ইসলাম, বাঁকালের ফিরোজ ইন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী ফিরোজ হোসেন, বাঁকালের কে হাসান ট্রেডার্সের স্বত্ত্বাধিকারী খালিদ কামাল, ভোমরার মামা-ভাগ্নে ভান্ডারের স্বত্ত্বাধিকারী আজহারুল ইসলাম, মেসার্স কাজী ইন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী কাজী নওশাদ দেলোয়ার রাজু, মেসার্স সুলতান ইন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী ইসরাইল গাজী, মেসার্স সাব্বির ইন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী শাহানুর ইসলাম শাহিন, মেসার্স নাজিম ইন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী গোলাম ফারুক বাবু (দেবহাটার পারুলিয়ার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ), মেসার্স রিজু এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী আবু মুসা এবং মেসার্স রোহিত ট্রেডার্সের স্বত্ত্বাধিকারী রাম প্রসাদ প্রমুখ।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাংক ব্যবস্থাপক জানান, গত সপ্তাহে ৩৯ জনের এই তালিকা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সাতক্ষীরার বিভিন্ন ব্যাংকে পাঠানো হয়। এসব ব্যসায়ীদের ব্যাংক লেনদেন (ব্যাংক একাউন্ট ওপেন থেকে আজ পর্যন্ত ) অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক বলে সূত্র জানায়।

    এসব ব্যবসায়ীদের ব্যাংকের যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, যে কোন সময় বাংলাদেশের ব্যাংকের তদন্ত টিম সরেজমিন এসে তালিকাভূক্তদের ব্যাংক একাউন্ট তদন্ত করবেন। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত টিম সাতক্ষীরা পৌছে গেছে। তদন্ত টিম সোমবার সকাল থেকে তদন্ত কাজ শুরু করেছেন। তবে তদন্তকারী ওই টিমের সদস্যদের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

    গত সপ্তাহে ৩৯ জন ব্যবসায়ীর এই তালিকা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সাতক্ষীরার বিভিন্ন ব্যাংকে পাঠানোর পর ব্যাংক গুলোতে তোলপাড় শুরু হয়।

    সাতক্ষীরা ইসলামী ব্যাংকের ম্যানেজার (অপারেশন) ছবিউল ইসলাম খাঁন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি প্রতিনিধি দল সোমবার ইসলামী ব্যাংকে গিয়েছিলেন। তারা তাদের তালিকা অনুযায়ী ইসলামী ব্যাংক সাতক্ষীরা শাখার যারা গ্রাহক রয়েছেন তাদের হিসাব সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য ও খোঁজ খবর নিয়েছেন।
    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের বরাত দিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে হুন্ডির টাকা পাচারকারীদের একটি তালিকা প্রকাশিত হয়। ওই তালিকায় সাতক্ষীরার ৩৯ জন ব্যবসায়ীর নাম দেয়া হয়েছিল।

  • হত্যা মামলার আসামিকে গ্রেফতারের ২০ ঘন্টা পর মুক্তি!

    নিজস্ব প্রতিনিধি: ১৭ বছর আগে চাঞ্চল্যকর একটি হত্যা মামলার পলাতক আসামি পুলিশের হাতে ধরা পড়েও হাত ফসকে বেরিয়ে গেলো। পুলিশ বলেছে ‘তাকে ভুল করে ধরা হয়েছিল । তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা পাওয়া যায়নি’ । এই দোহাই দিয়ে সদর থানা থেকে জামালউদ্দিন নামের ওই আসামিকে ছেড়ে দেওয়া হয় আজ মঙ্গলবার ।

    সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাড. জিল্লুর রহমান জানান ২০০১ সালের ৪ নভেম্বর রাতে তার সহোদর ভাই মাহবুবার রহমানকে সন্ত্রাসীরা তলুইগাছার খড় বিলের ঘেরের মধ্যে নৃশংসভাবে হত্যা করে। পরে তার মরদেহ পানিতে চুবিয়ে রাখে। এ ঘটনায় তিনি নিজে বাদি হয়ে সাতক্ষীরা থানায় একটি মামলা করেন ( সেশন কেস ৭৪/২০০৪ ও জিআর কেস ৫৪৯/২০০১)। এ মামলার আসামি কলারোয়া উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের পাচু গাজির ছেলে মো. জামালসহ ১১ জন ।

    তাদের মধ্যে দুজন মারা গেছেন , পাঁচজন জেল খেটে জামিনে রয়েছেন এবং চারজন পলাতক । জামালউদ্দিন পলাতকদের একজন। জামাল ঘটনার পর থেকে কখনও ভারতে , কখনও অন্য কোনো এলাকায় পালিয়ে থাকতো। সম্প্রতি সে তার দ্বিতীয় বাড়ি সদর উপজেলার তলুইগাছায় এলে পুলিশ খবর পেয়ে গত সোমবার সন্ধ্যায় তাকে গ্রেফতার করে। তিনি অভিযোগ করে বলেন প্রায় ২০ ঘন্টা থানা হাজতে আটক থাকার পর মঙ্গলবার দুপুরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তার অভিযোগ এ ব্যাপারে অনেক টাকার লেনদেন হয়েছে। আর এই লেনদেন করেছেন বাঁশদহা ইউপি সদস্য আবদুস সামাদ ও কুখ্যাত চোরাচালানি বিপুল।

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাতক্ষীরা থানার এসআই জিয়ারুল ইসলাম জানান ‘ জামালউদ্দিনকে আমরা ভুল তথ্যের ভিত্তিতে ধরেছিলাম। পরে থানায় সার্চিং দিয়ে তার নামে কোনো মামলা পাওয়া যায়নি। এজন্য তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে’।
    তবে মামলার বাদি অ্যাড. জিল্লুর রহমান জানান তিনি মামলার যাবতীয় কাগজপত্র পুলিশের কাছে দিয়েছেন। এমনকি একজনের ১৬৪ ধারার জবানবন্দীর কপিও রয়েছে পুলিশের কাছে। তারপরও তাকে ছেড়ে দেওয়া দুঃখজনক। বিষয়টি তিনি আদালতের বিচারকের দৃষ্টিতে আনবেন বলে জানান।

    গ্রামবাসী জানান জামালউদ্দিন কয়েকটি খুন , ডাকাতি, ছিনতাই চোরাচালান মামলার নাসামি। তার সন্ত্রাসী দাপটে আমরা টিকতে পারছি না। সে ছাড়া পেয়ে এখন আরও কি ঘটায় সেটাই দেখার বিষয়।

  • নির্বাচনকে সামনে রেখে সাতক্ষীরায় পুলিশের বিশেষ মহড়া

    মো. মুশফিকুর রহমান (রিজভি): একাদ্বশ সাংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সাতক্ষীরায় জেলা পুলিশের বিশেষ মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। জঙ্গি, মাদক, চোরাকারবারী, নাশকতাকারীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তার রক্ষার্থে জেলা পুলিশ এ বিশেষ মহড়ার আয়োজন করে।
    সোমবার (০৩ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলা পুলিশ লাইন্সের সামনে থেকে বের হওয়া এ বিশেষ গ্রীষ্মকালীন মহড়ায় ব্যাবহার করা হয় পুলিশের ব্যবহারিত অস্ত্র এবং আনুসাঙ্গিক সকল সরঞ্জাম। মহড়ায় নেতৃত্ব দেন পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান।
    মহড়ায় অন্যান্যদের মধ্যে অংশ নেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী মইন উদ্দিন, সহকারী পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মেরিনা আক্তার, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার শেখ ইয়াছিন আলী, অপু সরকার প্রমুখ।
    এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান জানান, ‘জঙ্গি, মাদক, চোরাকারবারী, নাশকতাকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশ জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছে। আমরা জনগণের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় সর্বদা বদ্ধপরিকর। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যেন কেউ কোন প্রকার নাশকতা সৃষ্টি করতে না পারে পুলিশ সেব্যাপারে সবসময় সজাগ।’
  • প্রেমের ফাঁদে ফেলে চাঁদা দাবি : গ্রেফতার-১

    প্রেমের ফাঁদে ফেলে চাঁদা দাবি : গ্রেফতার-১

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার এক যুবককে প্রেমের ফাঁদে ফেলে এক গৃহবধূ ও তার স্বামী ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করায় স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার কাথন্ডা গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় সুচতুর ওই গৃহবধূ জাহানারা খাতুন পালিয়ে গেছে।
    গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নাম সিরাজুল ইসলাম মোড়ল (৪৫)। তিনি যশোরের কেশবপুর উপজেলার কাথন্ডা গ্রামের ইন্তাজ আলী মোড়লের ছেলে।
    পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল এলাকার যুবক গাউসুল আযম সাকিলের সাথে পূর্ব পরিকল্পনা করে মোবাইলে পরকিয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন কেশবপুরের কাথন্ডা গ্রামের সিরাজুল ইসলাম মোড়লের স্ত্রী জাহানারা খাতুন।
    মোবাইলে প্রেমের এক পর্যায়ে ওই গৃহবধূ গত রোববার কুরবানীর মাংশ খাওয়ার জন্য দাওয়াত করেন যুবক সাকিলকে। সাকিল যথারিতি সেখানে দাওয়াত খেতে যায়। এক পর্যায়ে ওই গৃহবধূ ও তার স্বামী দু জন মিলে তাকে ঘরে আটকে রেখে তার (সাকিলের) মোবাইল থেকে ফোন করে তার পরিবারের কাছে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।
    বিষয়টি সাথে সাথেই সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশকে অবহিত করেন সাকিলের বাবা সিরাজুল ইসলাম । এরপর পুলিশ কৌশলে সাকিলেরর পরিবারের পক্ষ থেকে ওই গৃহবধূর সাথে মোবাইলে কথা বলে দাবীকৃত টাকা পরিশোধের জন্য বিকাশ নাম্বার চান। পুলিশ প্রথমে নাম্বারে ১০ হাজার টাকা বিকাশ করেন। এরপর সাদা পোশাকে কেশবপুর পুলিশের সহায়তায় ওই বিকাশ নাম্বারটির খঁজে সেখানে ওৎ পেতে থাকেন। বিকাশ কাউন্টার থেকে টাকা নেয়ার সময় পুলিশ ওই গৃহবধূর স্বামী সিরাজুলকে আটক করেন। কিন্তু তার স্ত্রী জাহানারা খাতুন পালিয়ে যায়।
    সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় যুবক সাকিলের বাবা বাদি হয়ে আটক সিরাজুল ও তার স্ত্রী জাহানারার বিরুদ্ধে মঙ্গলবার সকালে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
  • ঈদের জন্য প্রস্তুত সাতক্ষীরার ২২ টি পশুর হাট

    নিজস্ব প্রতিনিধি: পবিত্র ঈদ উল আযহা উপলক্ষে সাতক্ষীরায় ২২ টি পশুর হাট বসছে। এ সময় পশুবাহী যানবাহনে কোনো চেকিং করা হবে না। এসব হাটের গবাদিপশু যাতে নির্বিঘ্নে বেচাকেনা হতে পারে সে জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। হাটে যাতে চাঁদাবাজি প্রতারণা ও জাল টাকার লেনদেন না হতে পারে সে ব্যাপারেও সতর্ক রয়েছে পুলিশ ।
    মঙ্গলবার সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান তার সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন। তিনি বলেন ঈদ পরবর্তীতে কোরবানির পশুর চামড়া পাচার রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে । গবাদি পশু কেনাবেচার সময় মোটা অংকের টাকা বহনের নিরাপত্তা দিতেও প্রস্তুত রয়েছে পুলিশ। এ ছাড়া ঈদ যাতে পূর্ন ধর্মীয় মর্যাদায় নির্বিঘেœ উদযাপিত হতে পারে সে ব্যাপারে পুলিশ সব ধরনের নিরাপত্তা সহায়তা দিতে বদ্ধপরিকর।
    বাংলাদেশে প্রবেশ করা ভারতীয় গরু বহনে বৈধ কাগজপত্র থাকতে হবে উল্লেখ করে পুলিশ সুপার বলেন চোরাচালানরোধে পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। অবৈধভাবে পশু আমদানি কিংবা স্থানান্তর করার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে তিনি বলেন এ ব্যাপারে পুলিশ বিশেষভাবে সতর্ক রয়েছে। তবে এ জন্য কেউ যাতে অহেতুক হয়রানির শিকার না হয় সেজন্য পুলিশের সহায়তা নিতেও বলা হয়েছে। ঈদের পর কোরবানির চামড়া যাতে কোনো সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের বহির্মমুখী হতে না পারে সেজন্য সব থানার পুলিশকে সতর্ক করে দেন তিনি।
    প্রেস ব্রিফিংকালে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী মঈনউদ্দিন , দেবহাটা কালিগঞ্জ সার্কেল এএসপি মো. ইয়াসিন আলি, তালা কলারোয়া এএসপি সার্কেল অপু সরোয়ার , গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক আলি আহমেদ হাসেমী, বিশেষ শাখার পুলিশ পরিদর্শক মো. আজম খান ও আট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগন।
    এ সময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে পুলিশ সুপার বলেন সড়কে শৃংখলা ফিরাতে পুলিশ ভূমিকা পালন করছে। কারও সাথে দুর্ব্যবহার নয় বরং সৌজন্যমূলক আচরন করে তাকে যানবাহন আইনে সংশোধিত হবার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে । এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন সড়কে নাগরিকদের যেমন ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে তেমনি ঈদের পর কোনো এক সময়ে মোটর সাইকেল চালকদের মাথায় হেলমেট পরিয়ে দেওয়া হবে। এ প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার আরও বলেন গত ৫ আগস্ট থেকে ১৪ আগস্ট পর্যন্ত যানবাহন আইনে ৩৬৫৯ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ সময় আটক করা হয়েছে বিভিন্ন ধরনের ১২৭ টি যানবাহন।

  • সাতক্ষীরা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগে ২০ কোটি টাকার টেন্ডার দুর্নীতির অভিযোগ

    সাতক্ষীরা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগে ২০ কোটি টাকার টেন্ডার দুর্নীতির অভিযোগ

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ২০ কোটি টাকার টেন্ডার দুর্নীতির অভিযোগ এনেছেন ঠিকাদাররা। নির্বাহী প্রকৌশলী ও তার অফিসের কয়েকজনের দুর্নীতির কারণে ঠিকাদাররা কর্ম বঞ্চিত হয়েছেন দাবি করে অবিলম্বে নির্বাহী প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম, সহকারি প্রকৌশলী সরোয়ার হোসেন, এস্টিমেটর অমল রায় এবং কম্পিউটার অপারেটর ইমরানের প্রত্যাহার দাবি করেছেন তারা। রোববার (১২ আগস্ট) দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন সাতক্ষীরার ঠিকাদাররা।
    ঠিকাদারদের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন খন্দকার আলি হায়দার। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঠিকাদার মো. রুহুল আমিন, সৈয়দ হারিজ হোসেন, মো. শাহেদুজ্জামান, অসীম কুমার দাস, বাদল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
    ঠিকাদাররা অভিযোগ করে বলেন, সম্প্রতি খুলনা-সাতক্ষীরা-বাগেরহাট প্রকল্পের তিনটি আইডি এবং অগ্রাধিকারমূলক পানি সরবরাহ প্রকল্পের ৮টি টেন্ডার আহবান করা হয়। ঠিকাদার হিসাবে আমরা এসব আইডির মূল্য (রেট) জানতে চাইলে নির্বাহী প্রকৌশলী তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে বলেন, ‘খুলনায় প্রকল্প পরিচালক (পিডি) অফিসে যোগাযোগ করুন।’ সেখানে যোগাযোগ করা হলে সেখান থেকেও একই কথা বলা হয়। প্রকল্পের মূল্য (রেট) না পেয়ে আমরা নিজেদের মতো করে দরপত্র জমা দেয়। টেন্ডার ওপেনিংয়ের পর দেখা যায় নির্বাহী প্রকৌশলী তার খয়ের খা দুই-তিনজন ঠিকাদারের রেট ১০% নি¤œদরে মিলিয়ে দিয়েছেন।
    সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন রেখে ঠিকাদাররা বলেন, ‘সাতক্ষীরার ঠিকাদাররা রেট না পেলেও নির্বাহী প্রকৌশলীর প্রিয়ভাজন লোকজন কিভাবে তা পেলেন?’
    এ কাজে মোটা টাকার লেনদেন হয়েছে অভিযোগ করে তারা বলেন, ‘এর সাথে জড়িত রয়েছেন নির্বাহী প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম ছাড়াও সরোয়ার হোসেন, অমল রায় ,ইমরানসহ অফিসের কয়েকজন।’
    ঠিকাদারদের অভিযোগ কম্পিউটার অপারেটর ইমরানের মাধ্যমে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা শতকরা ১০ টাকা হিসাবে অবৈধ টাকা নিয়ে কার্যাদেশ দিয়ে আসছেন।
    অভিযোগ করে ঠিকাদাররা আরও বলেন, ‘গত ৫ ফেব্রুয়ারি খুলনা-সাতক্ষীরা-বাগেরহাট প্রকল্পে পাঁচটি টেন্ডার আইডিতে ১২ জন ঠিকাদার অংশ গ্রহণ করেন। ওই পাঁচটি টেন্ডারের বিপরীতে ত্রিশ লাখ টাকা ঘুষ আদায় করে দুই তিনজন ঠিকাদারকে সাত কোটি টাকার কার্যাদেশ দিয়েছেন নির্বাহী প্রকৌশলী। এর মধ্যে চারটি আইডির কাজ তার নিজের মনোনীত ঠিকাদারকে দিয়েছেন।’
    সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ঠিকাদারদের অভিযোগ, প্রিয়ভাজন ঠিকাদারদের সাথে নির্বাহী প্রকৌশলীর গোপন ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে। আরেকটি টেন্ডারের পাইপ লাইন কাজ মোটা টাকার বিনিময়ে তিনি ইউনুস অ্যান্ড ব্রাদার্স লাইসেন্সে কাজ দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রেও মোটা টাকার ঘুষ নিয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী কার্যাদেশ দিয়েছেন।
    ঠিকাদাররা জানান, টেন্ডার ওপেন করা হলেও নির্বাহী প্রকৌশলী তা সর্বসাধারণের অগোচরে রাখার চেষ্টা করেন। এর ফলে বঞ্চিত ঠিকাদারা কে কত রেট দিলেন কিংবা কে কাজ পাচ্ছেন কে পাচ্ছেন না সাধারণ ঠিকাদাররা তা জানতে পারেন না ।
    সংবাদ সম্মেলনে ঠিকাদাররা অবিলম্বে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম, সহকারি মো. সরোয়ার হোসেন, এস্টিমেটর অমল রায় ও কমপিউটার অপারেটর ইমরানকে দুর্নীতির দায়ে প্রত্যাহারের দাবি জানান।
    এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নির্বাহী প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘যা কিছু হয়েছে সবই বিধি মোতাবেক হয়েছে।’
    দুর্নীতির অভিযাগে অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘ছোট-ছোট ঠিকাদাররা অনেক সময় কাজ পান না। এতেই তারা সংক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। পিডবলিউডিএর সিডিউল মোতাবেক বাজার অনুযায়ী দরপত্র আহবানের নিয়ম রয়েছে। ফলে কোন ঠিকাদার কোন দর দেবেন না দেবেন তা তার নিজস্ব বিষয়। আমি কাজের অনুমোদন দিতে পারি না। সুপারিশ করি, অনুমোদন দেন ঢাকার প্রকল্প পরিচালক।’
  • কালিয়ানি সীমান্তে থেকে ৪৫ কেজি রূপার গহনা জব্দ 

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কালিয়ানি সীমান্ত থেকে ৪৫ কেজি রূপার গহনা জব্দ করেছে বিজিবি। ভারত থেকে বাংলাদেশে পাচারের সময় এ গহনা জব্দ করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা।
    শনিবার (১১ আগস্ট) সকালে সদর উপজেলার কালিয়ানি সীমান্ত থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় উক্ত রূপার গহনাগুলো জব্দ করা হয়। কিন্তু এসময় কোন চোরাকারবারিকে আটক করতে পারেনি বিজিবি। জব্দকৃত রূপার গহনার মূল্য ২৭ লাখ ৪৫ হাজার টাকা।
    এ ব্যাপারে বিজিবি ৩৩ ব্যাটলিয়নের অধিনায়ক লে.কর্নেল সরকার মোস্তাফিজুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ভারত থেকে অবৈধ পথে একদল চোরাকারবারী রূপার একটি বড় চালান নিয়ে আসছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৈকারী বিওপির নায়েক আবু হানিফের নেতৃত্বে বিজিবির একটি টহলদল সাতক্ষীরার কালিয়ানি সীমান্তের মেইন পিলার ৭ সাব পিলার ৫৮ এর কাছাকাছি স্থানে অভিযান চালায়। এ সময় বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাকারবারীরা রুপার গহনা গুলো সীমান্তের একটি খালে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে বিজিবি সদস্যরা সেগুলো জব্দ করে।’
  • সাতক্ষীরায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৩ জামায়াতকর্মীসহ আটক ৫৬

    সাতক্ষীরায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৩ জামায়াতকর্মীসহ আটক ৫৬

    মোঃ মুশফিকুর রহমান (রিজভি): সাতক্ষীরা জেলাব্যাপি বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৩ জামায়াতকর্মীসহ ৫৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। গত শনিবার (৫ আগস্ট) সন্ধ্যা থেকে রবিবার (৬ আগস্ট) সকাল পর্যন্ত জেলার ৮টি থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

    জেলাব্যাপি চালানো পুলিশের এই বিশেষ অভিযান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৪৭ পিস ইয়াবা এবং ৫০ বোতল ফেন্সিডিল। অভিযান শেষে তিনটি মাদক মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    পুলিশের নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে পরিচালিত এ অভিযানে সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ১ জামায়াতকর্মীসহ ১৩ জন, কলারোয়া থানা থেকে ১ জামায়াতকর্মীসহ ৮ জন, তালা থানা থেকে ১ জামায়াতকর্মীসহ ৩ জন, কালিগঞ্জ থানা থেকে ৭জন, শ্যামনগর থানা থেকে ১২ জন, আশাশুনি থানা থেকে ৭ জন, দেবহাটা থানা থেকে ৪ জন এবং পাটকেলঘাটা থানা থেকে ২ জনকে আটক করা হয়েছে।

    আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান জানান, জেলা পুলিশের মাদক ও সন্ত্রাস বিরোধী নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান থেকে মোট ৫৬ জনকে আটক করা হয়েছে।

  • সাতক্ষীরায় সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষমেলার উদ্বোধন

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় সপ্তাহব্যাপি বৃক্ষমেলার আয়োজন করা হয়েছে। শনিবার সকালে এ মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উদ্বোধন উপলক্ষে জেলা অফিসার্স ক্লাব থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান-প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র‌্যালি শেষে শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে আলোচনা সভায় অনুষ্ঠিত হয়।
    আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তরফদার মাহমুদুর রহমান। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সপ্তাহব্যাপী এ বৃক্ষমেলার উদ্বোধন করেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘বৃক্ষ নিধনের ফলে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিচ্ছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধি বৃষ্টিপাত কমসহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। আমাদের বেশি-বেশি বৃক্ষরোপন করতে হবে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে হলে বৃক্ষরোপনের কোন বিকল্প নেই।’

    অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা অমিতা মন্ডল, জেলা কৃষি সস্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক নুরুল ইসলাম প্রমুখ।

    এবছর বৃক্ষমেলার প্রতিপাদ্য ‘সবুজে বাঁচি, সবুজ বাাঁচাই, নগর-প্রাণ-প্রকৃতি সাজাই’। এবারের এ বৃক্ষ মেলায় ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছের শতাধিক ষ্টল স্থান পেয়েছে।

  • নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে পিছিয়ে নেই সাতক্ষীরা

    মোঃ মুশফিকুর রহমান (রিজভি): নিরাপদ সড়কের দাবিতে সারাদেশের ন্যায় সাতক্ষীরায়ও মানববন্ধন পালিত হয়েছে। শনিবার সকালে ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ দাবিতে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।

    নিরাপদ সড়কের দাবিতে সাতক্ষীরার বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে একটি দীর্ঘ র‌্যালি বের করে। র‌্যালিতে সাতক্ষীরা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি কলেজ, সরকারি মহিলা কলেজ, সাতক্ষীরা সিটি কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা অংশগ্রহণ করে।
    র‌্যালি শেষে তারা সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সমনে অবস্থান নেয় এবং বিভিন্ন স্লোগানে এলাকা মুখরিত করে তোলে। শিক্ষার্থীরা নয় দফা দাবি দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানান।

    এ সময় শিক্ষার্থীরা মুহুর্মুহু স্লোগানে তারা বলতে থাকে ‘বেপোরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো ড্রাইভারকে ফাঁসি দিতে হবে’, ‘প্রত্যেক সড়ক দূর্ঘটনা প্রবণ এলাকায় স্পিড ব্রেকার দিকে হবে’, ফিটনেসবিহীন গাড়ি রাস্তায় চলাচল বন্ধ করতে হবে’, ‘অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়া যাবে না’, শিক্ষার্থীদের গাড়িতে নিতে হবে, সারাদেশে শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়ার ব্যাবস্থা করতে হবে।’

    পরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মো. ইফতেখার হোসেন ও পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান।

    জেলা প্রশাসক ইফতেখার হোসেন বলেন, ‘তোমাদের দাবি দাওয়া ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী মেনে নিয়েছেন। এছাড়া যদি কোন সমস্যা থাকে তাহলে তোমরা আমার সাথে দেখা করে বললে আমি তোমাদের দাবি মেনে নেওয়ার ব্যাপাওে সর্বাত্মক সহযোগীতা করব।

    পুলিশ সুপার বলেন, ‘সাতক্ষীরায় বিভিন্ন স্কুল কলেজের সামনে স্প্রিড ব্রেকার ও একজন করে ট্রাফিক পুলিশ নিয়োগের ব্যাবস্থা করতে ইতিমধ্যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মানববন্ধনে তিনি ছাত্রছাত্রীদের পানি পান করান।

    জেলাপ্রশাসক এবং পুলিশ সুপারের প্রতিশ্রুতির পর শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরে যান।

  • সাতক্ষীরা পৌরসভায় ৬০ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা পৌরসভার ৬০ কোটি ২৩ লাখ ৮৪ হাজার ৫১৪ টাকার বাজেট ঘোষণা করেন হয়েছে। রোববার দুপুরে ‘চাই পৌর সেবার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে জন সম্মুখে সাতক্ষীরা পৌরসভার ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করেন পৌর মেয়র আলহাজ্ব তাজকিন আহমেদ চিশতি।

    সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) সাতক্ষীরা রোববার দুপুরে পৌরসভা মিলনায়তনে এ বাজেট অধিবেশনের আয়োজন করে। বাজেট অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন পৌর মেয়র আলহাজ্ব তাজকিন আহমেদ চিশতি।

    বক্তব্য রাখেন, বিশিষ্ট্য শিক্ষাবিদ সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসার অব্দুল হামিদ, জেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক আনিসুর রহিম, সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) এর জেলা কমিটির সহ-সভাপতি ও ফিফা রেফারি তৈয়ব হাসান বাবু, সিনিয়র সাংবাদিক কল্যাণ ব্যানার্জি, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদিকা ও পৌর কাউন্সিলর জোছনা আরা, পৌর কাউন্সিলর অনিমা রানী মন্ডল, শফিক-উদ-দৌলা সাগর, শেখ আব্দুস সেলিম, কাজী ফিরোজ হাসান, শাহিনুর রহমান শাহিন, শফিকুল আলম বাবু প্রমুখ।

  • আজ বিশ্ব বাঘ দিবস : দু’দশকে বনদস্যুদের শিকার হয়েছে সুন্দরবনের বিপুল সংখ্যক বাঘ

    আজ বিশ্ব বাঘ দিবস : দু’দশকে বনদস্যুদের শিকার হয়েছে সুন্দরবনের বিপুল সংখ্যক বাঘ

    নিজস্ব প্রতিনিধি: আজ ২৯ জুলাই বিশ্ব বাঘ দিবস। দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে। এদিনে ঘটা করে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হলেও নানা সংকটে গত দু’যুগে বনদস্যু ও চোরা শিকারীদের শিকার হয়েছে সুন্দরবনের রেকর্ড পরিমাণ রয়েল বেঙ্গল টাইগার। বন উজাড়, আন্তর্জাতিক বাজারে বাঘের চাহিদা এর অন্যতম কারণ।
    বিভিন্ন সময় উদ্ধার হওয়া বাঘের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, বাঘের শাবক সর্বোপরি বাঘ শুমারী তারই ইঙ্গিত দিচ্ছে। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত ১৬ বছরে ৫৭ টি বাঘ হত্যার তথ্য থাকলেও বাস্তবে এর সংখ্যা অনেক বেশী বলে জানিয়েছেন বনজীবিরা।
    বিভিন্ন সময়ে নানা গবেষণা, ব্যক্তি বা সংস্থা বাঘ হ্রাসের কারণ হিসেবে নানা মন্তব্য করলেও বনজীবি ও সুন্দরবন বিশেষজ্ঞরা আশংক্সক্ষাজনকহারে বাঘ হত্যার জন্য প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বনবিভাগসহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দূর্বলতাকেই দায়ী করছেন। সর্বশেষ ২০১৫ সালে ‘ক্যামেরা ট্র্যাপ’ পদ্ধতিতে গণনা শেষে দেখা যায়, সুন্দরবনে বাঘ রয়েছে মাত্র ১০৬টি। এর পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ফের শরু হওয়া বাঘ শুমারীর মাঠ পর্যায়ের কাজ শেষ হয় মে মাসে। তবে এখনো প্রকাশিত হয়নি শুমারীর প্রতিবেদন। ঠিক এমন পরিস্থিতিতে পালিত হচ্ছে বিশ্ব বাঘ দিবস।
    প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের জানুয়ারিতে থাইল্যন্ডের হুয়ানে অনুষ্ঠিত হয় টাইগার রেঞ্জ দেশ সমূহের ‘এশিয়া মিনিষ্ট্রয়াল কনফারেন্স’। সম্মেলনে বাঘ সংরক্ষণে ৯দফা পরিকল্পনাসহ সিদ্ধান্ত হয় যে, প্রতি বছর ২৯ জুলাই পালিত হবে বিশ্ব বাঘ দিবস। তখন থেকেই দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। সম্মেলনের মূল লক্ষ্য ছিল ২০২০ সালের মধ্যে বিশ্বে বাঘের সংখ্যা দ্বিগুণ করা।
    জানা যায়, বিগত ২০১৫ সালে মাত্র ১০ মাসের ব্যবধানে সবোর্চ্চ ৯ টি বাঘের চামড়া উদ্ধার হয়। এর মধ্যে কয়রার গোলখালী থেকে অক্টোবর মাসে একসাথে ৩ টি বাঘের চামড়া উদ্ধার হওয়ায় বনবিভাগের ভূমিকা নিয়ে রীতিমত প্রশ্ন দেখা দেয়। ঐ বছরের ৮ আগস্ট ৬৯ পিচ বাঘের হাড়সহ কয়রার এনায়েত হোসেন ও বাবু হোসেন নামে দু’চোরা শিকারীকে খুলনার লঞ্চ ঘাট এলাকা থেকে আটক করে পুলিশ। সাতক্ষীরার শ্যামনগরের রমজাননগরের টেংরাখালী গ্রামের চোরা শিকারীদের দ্বারা পাচারকৃত ৪ টি বাঘের শাবক উদ্ধার হয় ঢাকার শ্যামলী থেকে।
    ২০১৫ সালের ২৬ জুলাইয়ের ক্যামেরা ট্রাপিং পদ্ধতির শুমারী অনুযায়ী সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে মোট ১০৬ টি বাঘের অস্তিত্ব থাকলেও এর আগে ‘পাগ মার্ক’ পদ্ধতির শুমারী অনুযায়ী বাঘের সংখ্যা ছিল ৪৫০ টি। শুমারী অনুযায়ী মাত্র ৫ বছরের ব্যবধানে সুন্দরবন থেকে বাঘ কমেছে ৩৪৪টি। ২০০৪ সালের এক গবেষনায় সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ছিল ৪৪০টি। এর মধ্যে পুরুষ ১২১টি, স্ত্রী ২৯৮টি এবং বাচ্চা ২১টি। সব মিলিয়ে সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় কয়েক বার বাঘ শুমারী হলেও বাঘের প্রকৃত সংখ্যা কত তা নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে।

    ২০১৫ সালের ৬ জুলাই প্রকাশিত বাঘের ঘনত্ব শীর্ষক এক প্রতিবেদনে বলা হয় অবৈধ শিকার, খাদ্যের অভাব ও প্রকৃতিক দুর্যোগে সুন্দরবনে বাঘের অস্তিত্ব কমেছে। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, বনদস্যুসহ চোরা শিকারীদের বাঘ শিকার, সুন্দরবনের ভেতরের নদী সমূহে নৌচলাচল ও বনের পাশে শিল্প অবকাঠামো নির্মাণ বাঘের অস্তিত্বের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
    ২০১৬ সালে আমেরিকার দাতা সংস্থা ইউএসএআইডি অর্থায়নে ‘বাঘ প্রকল্পে’ ক্যামেরার সাহায্যে গণনার জন্য খুলনা বিভাগীয় বণ্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ এ প্রকল্পকে জনবল ও ৭০টি ডিজিটাল ক্যামেরা সরবরাহ করে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ফের বাঘ প্রকল্প ক্যামেরা ট্রাপিং এর মাধ্যমে গণনার কাজ শুরু করে এবং মে মাসে এর কাজ সম্পন্ন করে। এখনো তার ফলাফল পাওয়া যায় নি। তবে বাঘের সংখ্যা বাড়বে না কমতে পারে এ বিষয়ে কোন মন্তব্য না করলেও সুন্দরবনের ৩টি অভয়ারণ্য এলাকায় গাছের সাথে ক্যামেরা বেঁধে এর গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হয়।
    বন সংরক্ষক কার্যালয়ের প্রধান সহকারী মন্দিরা বলেন, সর্বশেষ প্রতিবেদন প্রকাশের আগে এখন পর্যন্ত সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ১০৬টি। খুলনা সার্কেলের উপ-বন সংরক্ষক মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, বাঘ গনণার প্রতিবেদন প্রকাশিত না হলে কিছুই বলা যাচ্ছে না। তবে আগের চেয়ে এখন অধুনিক ও উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে গণনা কার্যক্রম হচ্ছে। বাঘ প্রকল্পের গবেষনা কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল¬াহ আল মোজাহিদ বলেন, প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। বাঘের প্রতিবেদন প্রকাশ করবে সরকার। তবে বাঘের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে মনে করেন এ গবেষক।
    পশ্চিম বন বিভাগীয় কর্মকর্তা মোঃ বশিরুল-আল-মামুন বলেন, বাঘ শুমারী একটা কঠিন কাজ। আধুনিক পদ্ধতি গনণা হচ্ছে। প্রতিবেদন প্রকাশ না হলে কিছুই বলা যাচ্ছে না।
    সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের সূত্র জানায়, সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের লোকালয়ে ঢুকে পড়ে গণ পিটুনি, ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর সিডরের জলোচ্ছ্বাসে, বার্ধক্যজণিত কারণে এবং চোরা শিকারীদের হাতে মোট ১৭ টি রয়েল বেঙ্গল টাইগার মারা পড়েছে। এর মধ্যে বন সংলগ্ন মোংলা ও শরণখোলা উপজেলার লোকালয়ে ঢুকে পড়লে পিটিয়ে ও গুলি করে হত্যা, স্বাভাবিক মৃত্যু হয় ৪ টি ও সিডরের জলোচ্ছ্বাসে ১ টি বাঘ মারা যায়। আর ৮ টি নিহত হয় চোরা শিকারীদের হাতে। একই সময়ে ১ নারী সহ মোট ২৬ জন বাঘের আক্রমণে প্রাণ হারায়। এদের মধ্যে ময়না নামের মোংলার জয়মনি এলাকার বৃদ্ধা গ্রাামবাসী ছাড়া সবাই বনজীবি।
    সুন্দরবন পশ্চিম বনবিভাগের বিভাগীয কর্মকর্তা বশিরুল আল মামুন জানান, গত দু’দশকে পশ্চিম বন বিভাগে ১৫ টি রয়েল বেঙ্গল টাইগার নিহত হয়। এর মধ্যে লোকালয়ে ঢুকে গণপিটুনির শিকারে নিহত হয় ৮ টি। এছাড়া ২০০১ থেকে ২০১৮ সালের ২৫ জানুয়ারী পর্যন্ত প্রায় দু’দশকে সেখানে ২৩৪ জন নারী-পুরুষ বাঘের আক্রমণে নিহত হয়েছেন। যাদের অধিকাংশই বনজীবি ও সুন্দরবন সংলগ্ন নদ-নদীতে চিংড়ি রেণু আহরণকারী।
    সুন্দরবনের বণ্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা(ডিএফও) মোঃ মদিনুল আহসান বলেন, সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগার সংরক্ষণে সরকার ‘বাংলাদেশ টাইগার এ্যকশন প্ল্যান ২০০৯-১৭’ বাস্তবায়ন করছে। এর অংশ হিসেবে বাঘ রক্ষায় সচেতনতা সৃষ্টি, বাঘের আক্রমণ থেকে বন সংলগ্ন লোকালয়ের জানমাল এবং মানুষের হাত থেকে লোকালয়ে চলে আসা বাঘ রক্ষায় ৮৯ টি টাইগার রেসপন্স টিম গঠন করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, গত ১০ বছরে মানুষের হাতে ৯ টি বাঘ মারা পড়েছে। লোকালয়ে ঢুকে পড়া বাঘ রক্ষায় ভিলেজ টাইগার রেসপন্স টিম (ভিটিআর) কাজ করছে। বাঘ অচেতনে তাদের ৬ টি বন্দুক রয়েছে বলেও জানান তিনি।
    এদিকে সুন্দরবনের রেকর্ড সংখ্যক বাঘ হ্রাসের জন্য অন্যান্য কারণের সাথে বনজীবিরা জোর দিয়ে যোগ করেছেন বনদস্যুদের কথা। দীর্ঘ দিন সুন্দরবনের সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থেকে তারা জীবিকা নির্বাহ করছেন। কাছ থেকে দেখেছেন অনেক কিছু। তারা বলছেন, প্রায় দু’যুগ ধরে সুন্দরবনে নিয়ন্ত্রণ করছেন প্রায় ২ ডজন বনদস্যু বাহিনী। একই বনে বাঘের সাথে বসবাস দস্যুদেরও। সুন্দরবন অভ্যন্তরে অবাধ বিচরণ ও রাত্রি যাপনে বাঘের সাথে দেখা হলেই দস্যুরা তাদের হত্যা করে। এর সাথে তারা আন্তর্জাতিক বাজারে সুন্দরবনের বাঘের চাহিদার বিষয়টিকে যোগ করে এতে বনদস্যুদের দস্যুতা বৃত্তির পাশাপাশি অধিক মুনাফা লাভে বাঘ হত্যার বিষয়টিকে গুরুত্বের সাথে তুলে ধরেন। অভিযোগ রয়েছে, বাঘ বিলুপ্তির জন্য দায়ী চোরা শিকারীদের গ্রেফতার ও মামলায় র‌্যাবসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তৎপরতা দেখালেও বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের তেমন কোন সফলতা নেই।

    এব্যাপারে শ্যামনগরের গাবুরা ইউনিয়নের ডুমুরিয়ার ষাটোর্দ্ধ আনসার আলী, বনজীবি রাহুল, মান্নান, কওছার, রাশেদুল, আঃ করিম, খালেক গাজী, বুড়িগোয়ালীনি ইউনিয়নের দাতিনাখালি গ্রামের আমিনুর, নওশাদ, সাত্তার, মুন্সীগঞ্জের দাউদ সানা, মন্তেজ, রাজ্জাক, মুনছুর, রমজাননগর গফুর, সিদ্দিক, জবেদ আলী, সফেদ আলীসহ শতাধিক বনজীবিরা জানান, সুন্দরবন থেকে বাঘ হ্রাসের কারণ হিসেবে গবেষক থেকে শুরু করে বনবিভাগ বা দেশী-বিদেশী সংস্থা যাই বলুক বাঘ হত্যার জন্য বনদস্যুরাই সবচেয়ে বেশী দায়ী।
    জানা গেছে, মিয়ানমার ও থাইল্যান্ড সীমান্তে আন্তর্জতিক বাজারে গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গেল এ সুন্দরবনের বাঘের চামড়া থেকে শুরু করে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের চড়া মূল্য থাকায় মূলত সুন্দরবনে বনদস্যুরা বাঘ হত্যায় মেতে উঠে। সুন্দরবন বনদস্যুদের এক সময়ের অভয়ারণ্য থাকায় ঐসময়ে ব্যাপক সংখ্যক বাঘ শিকার হয় তাদের হাতে। বর্তমানে সরকার সুন্দরবন রক্ষায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে তা বাঘ রক্ষায় ঠিক কি ধরণের প্রভাব ফেলছে তা নির্ভর করবে চলতি ক্যামেরা ট্রাপিংয়ে বাঘ শুমারীতে বাঘের প্রকৃত সংখ্যার উপর। তবে আশার কথা, বাঘ সংরক্ষণে মনিটরিং, টহল ব্যবস্থা জোরদার এবং বনরক্ষীদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। কতগুলো বাঘ হত্যা করা হয়েছে বা কতটি মামলা হয়েছে এ ব্যাপারে কোন সঠিক তথ্য পাওয়া না গেলেও জনববল সংকটের বিষয়টি স্পষ্ট হয় বন কর্মকর্তাদের বক্তব্যে। সর্বশেষ এমন পরিস্থিতিতে আজ ২৯ জুলাই পালিত হচ্ছে বিশ্ব বাঘ দিবস।