এই মর্মে সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, বিশ^ব্যাপী করোনা ভাইরাস মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ায় জেলার মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা বিবেচনা করে শুধুমাত্র সরকারি কর্মকান্ড পরিচালনা করা ও করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত বিষয়ে দাপ্তরিক কর্মকান্ড ব্যতিত সাতক্ষীরা জেলায় সকল ধরণের সভা, সমাবেশ, সেমিনার, সামাজিক, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড যেমন মেলা, কনসার্ট, কমিউনিটি সেন্টার, পার্টি সেন্টার ক্লাবসমূহে গণজমায়েত, ধর্মীয় অনুষ্ঠান যেমন ওয়াজ মাহফিল, নামযজ্ঞ, কীর্তনসহ সকল ধরণের গণজমায়েত পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখতে বলা হলো। একই সাথে জেলার সকল পর্যটন এলাকা বন্ধ থাকবে। পর্যটন এলাকায় না যাওয়ার জন্য সর্বসাধারণকে অনুরোধ করা হলো।
Category: প্রশাসন
-
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের বিজ্ঞপ্তি
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, করোনা ভাইরাস একটি সংক্রমক ভাইরাস। আক্রান্ত ব্যক্তিকে স্পর্শ করলে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হবেন। দেশের বাইরে থেকে যারাই আসবেন, ১৪ দিন পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করুন। বিদেশ ফেরত ব্যক্তি নিজ পরিবারের কাছ থেকেও আলাদা থাকবেন। অন্যথায় পরিবারের সদস্যরাও স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়বেন। বিদেশ ফেরত ব্যক্তি হোম কোয়ারেন্টাইন না মানলে তার বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। হোম কোয়ারেন্টাইন না মানা ব্যক্তি সম্পর্কে স্থানীয় প্রশাসনকে তথ্য প্রদান করে সহায়তা করুন। করোনা ভাইরাসের কারণে জনস্বাস্থ্য বিবেচনা করে আকাশলীনা, রূপসী দেবহাটা, কলাগাছিসহ সাতক্ষীরা জেলার সকল পর্যটন এলাকা বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। জনসাধারনকে পর্যটন এলাকায় না যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।
-

১৮ মাইলে জেলা সীমানা গেইট উদ্বোধন
সাতক্ষীরায় বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি সম্বলিত সাতক্ষীরা জেলা সীসানা গেইট উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) দুপুরে সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের আয়োজনে জেলা সীমন্ত ১৮ মাইল এলাকায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ফলক উন্মোচন করে জেলা সীমানা গেইট উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা সদর ০২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল, সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আহমেদ, সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ছাদেকুর রহমান, দৈনিক দৃষ্টিপাত সম্পাদক জি.এম নুর ইসলাম, তালা উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবু, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আবু সায়ীদ, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সৈয়দ আমিনুর রহমান বাবু, জেলা পরিষদের সদস্য ওবায়দুর রহমান লাল্টু, মাহফুজা রুবি, এ্যাড. শাহনওয়াজ পারভীন মিলি, মহিতুর রহমান, আব্দুল হাকিম, মতিয়ার রহমান, আসাদুর রহমান সেলিম, মুকুল, ডালিম ঘরামী, শিল্পী রানী, জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এস.এম খলিলুর রহমান, ছাত্র নেতা কাজী হিমেল প্রমুখ। এসময় জেলা পরিষদের অর্থায়ণে অতিথিবৃন্দ ফলক উন্মোচন করে সাতক্ষীরা জেলা সীমানা গেইট উদ্বোধন করেন। এসময় জেলা পরিষদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। -

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে হুইল চেয়ার, ভূমিহীনদের মাঝে খাসজমির দলিল, ঢেউটিন ও ঘরের চাবি হস্তান্তর
মাহফিজুল ইসলাম আককাজ ঃ সাতক্ষীরায় বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২০ উপলক্ষে গৃহহীন ভিক্ষুক পুনর্বাসন ও প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ, ভূমিহীন পরিবারের মাঝে খাসজমির দলিল হস্তান্তর, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে ঢেউটিন বিতরণ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রায়ণ-২ প্রকল্পের অধীন ‘জমি আছে ঘর নাই’ এমন পরিবারের মাঝে ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) বেলা সাড়ে ১২টায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সাতক্ষীরা শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কের খোলা মঞ্চে জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিভাগ উপপরিচালক সাতক্ষীরা মো. হুসাইন শওকত, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. বদিউজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সাঈদ, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবু, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এম.এম মাহমুদুর রহমান, সাতক্ষীরা পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি, দৈনিক দৃষ্টিপাত সম্পাদক জি.এম নুর ইসলাম, সদর সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. আসাদুজ্জামান, জেলা সমাজসেবা অধিদফতরের উপপরিচালক দেবাশিষ সরদার, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আবু সায়ীদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর ইসলাম, সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. ইয়ারুল হক, সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার শেখ সহিদুর রহমান, শহর সমাজসেবা অফিসার মো. মিজানুর রহমান, ছাত্র নেতা কাজী হিমেল প্রমুখ। -

সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগ : কেক কেটে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালন
সাতক্ষীরায় যথাযথ মর্যাদায় ও ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২০ উপলক্ষে কেক কাটা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর কেক কাটেন সাতক্ষীরা সদর ০২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিভাগ উপপরিচালক সাতক্ষীরা মো. হুসাইন শওকত, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. বদিউজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সাঈদ, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবু, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এম.এম মাহমুদুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আবু সায়ীদ প্রমুখ। এসময় জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও দলীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। -

আন্তঃপ্রাথমিক বিদ্যালয় ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা : শিশুদের আদর্শ নাগরিক হয়ে গড়ে উঠতে খেলাধূলা ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে- জেলা প্রশাসক
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল বলেছেন, শিশুদেরকে উন্নত, মননশীল, আদর্শ ও সুনাগরিক হয়ে গড়ে উঠতে হলে পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধূলা চর্চা করতে হবে। দেহ ও মন প্রফুল্ল না থাকলে উন্নত চিন্তা করা যাবে না। উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে হলে শিশুদের উন্নত চিন্তা শক্তির অধিকারী হতে হবে। শিশুদের আদর্শ নাগরিক হয়ে গড়ে উঠতে খেলাধূলা খুবই ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে।
বুধবার পিটিআই মাঠে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস আয়োজিত আন্তঃপ্রাথমিক বিদ্যালয় ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রুহুল আমীনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবাশীষ চৌধুরী, পিটিআই সুপার এসএম রাওফার রহীম প্রমুখ।
পরে শিক্ষার্থীরা ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার বিভিন্ন ইভেন্টে অংশ নেয়। # -
দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ সাতক্ষীরায় আসছেন বুধবার
দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ সাতক্ষীরায় আসছেন বুধবার (২২ জানুয়ারি)।
সফরসূচি অনুযায়ী দুদক চেয়ারম্যান বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে দুর্নীতি প্রতিরোধ বিষয়ক মতবিনিময় সভায় অংশ নেবেন। রাতে সার্কিট হাউজে রাত্রিযাপন করে পরদিন ২৪ জানুয়ারি বেলা ১২টায় তিনি সাতক্ষীরা থেকে যশোর বিমান বন্দরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন।
দুদক চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব ফজলুল জাহিদ পাভেল স্বাক্ষরিত পত্রে এ তথ্য জানানো হয়েছে। -

জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক, এস এম মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে উক্ত সভায় জেলার সকল ডিপার্টমেন্ট প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
মুজিববর্ষের ক্ষণগণনা অনুষ্ঠানকে সম্মিলিত ভাবে সফল করার জন্য সভার শুরুতেই জেলা প্রশাসক মহোদয় সকলেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। সভায় সাতক্ষীরা জেলার সকল ডিপার্টমেন্টর উন্নয়ন পরিস্থিতির সার্বিক দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়। -

শিক্ষক, অভিভাবক, পুস্তক বিক্রেতা ও সুধিজনের সাথে মতবিনিময়কালে জেলা প্রশাসক নোট-গাইড শিক্ষার্থীদের মেধা, মনন, সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনী শক্তি নষ্ট করে দিচ্ছে
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল বলেছেন, নোট-গাইড শিক্ষার্থীদের মেধা, মনন, সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনী শক্তি নষ্ট করে দিচ্ছে। শুধুমাত্র ব্যবসায়িক কারণে এখনো নোট-গাইড জোর করে চালানো হচ্ছে। এর সাথে বৃহৎ সিন্ডিকেট জড়িত। এখন জাতীয়ভাবে ভাবা উচিত যে, সৃজনশীল পদ্ধতি চালু করার পরও এখনো নোট-গাইড চলছে কেমন করে।
বুধবার বিকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে শিক্ষা কার্যক্রমে পাঠ সহায়ক হিসেবে নোট বই ও গাইড বই ব্যবহার বিষয়ে জেলার শিক্ষক, অভিভাবক, পুস্তক বিক্রেতা ও সুধিজনের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক নোট-গাইড বই ক্রয়-বিক্রয় ও সংগ্রহের উপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্ব্যক্ত করে আরও বলেন, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নোট-গাইড বিক্রয় বন্ধ থাকবে। কোনভাবেই শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা নষ্ট হতে দেওয়া হবে না।
সভায় মূল পাঠ্যপুস্তকের সাথে গ্রামার বইয়ের কিছুটা প্রয়োজন আছে, শিক্ষক-অভিভাবকদের এমন বক্তব্যের প্রেক্ষিতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি বিষয়টি পর্যালোচনা করে ১৯ জানুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে এবং তৎপরবর্তী ২০ জানুয়ারি পুনরায় শিক্ষক, অভিভাবক, পুস্তক বিক্রেতা ও সুধিজনের সাথে মতবিনিময় করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় সে পর্যন্ত সকল দোকানে নোট-গাইড বিক্রয় বন্ধ রাখার নিদের্শনা দেওয়া হয়।
সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এমএম মাহমুদুর রহমান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে মুসলিমা, জেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ শিক্ষক, অভিভাবক, পুস্তক বিক্রেতা ও সুধিজন উপস্থিত ছিলেন। -

সাতক্ষীরায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সকালে জেলা প্রশাসন ও মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের আয়োজনে শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কস্থ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তাবক অর্পণের পর বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচির শুভ সূচনা করেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল।
পরে সেখান থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়ে শহরে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে গিয়ে শেষ হয়।
এরপর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সাঈদের সভাপতিত্বে সদর উপজেলা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক হুসাইন শওকত, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেবাশীষ চৌধুরী, সহকারী পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শেখ মো. হাসেম আলী, জেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রুহুল আমিন প্রমুখ।
সভায় জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল বলেন, বর্তমান সরকার মাদককে মানবতা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং শান্তি, উন্নয়ন ও অগ্রগতির অন্যতম অন্তরায় হিসেবে চিহ্নিত করে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে। এজন্য সকলকে সচেতন হতে হবে। মাদকের ভয়াবহ আগ্রাসন রোধ করতে না পারলে যুব সমাজ ধ্বংস মুখে পতিত হবে। উন্নত ও সমৃদ্ধি বাংলাদেশ গড়ে তুলতে মাদকাসক্তি মুক্ত সমাজ গড়ে তোলার বিকল্প নেই।
পরে অতিথিবৃন্দ মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটেন।
-

এতিম শিশুদের সাথে কেক কেটে নতুন বছরের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিলেন জেলা প্রশাসক
বছরের শেষ দিনে সাতক্ষীরা সরকারি শিশু পরিবারের শিশুদের সাথে কেক কেটে নতুন বছরের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিলেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) রাতে জেলা প্রশাসক সরকারি শিশু পরিবারে গিয়ে শিশুদের নিয়ে নতুন বছরের কেক কাটেন।
এ সময় তিনি বলেন, সকলকে সাথে নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে। আজকের শিশুরা আগামী দিনের ভবিষ্যত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গঠনে কাউকেই পিছিয়ে রাখার সুযোগ নেই। আমরা আশা করি নতুন বছর সকলের জন্য কল্যাণ বয়ে নিয়ে আসবে।
এ সময় জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামালের সাথে সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক দেবাশীষ সরদার, সহকারী পরিচালক রোকনুজ্জামানসহ শিশু পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। -

টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সময়ে নির্মিত খাদ্য গুদাম পরিদর্শন করলেন খাদ্য সচিব
টুঙ্গিপাড়া প্রতিনিধি ঃ
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের নবনিযুক্ত সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সময়ে নির্মিত জরাজীর্ন উপজেলা খাদ্য গুদামের ১নং ভবন পরিদর্শণ করেছেন। তিনি বুধবার বিকেলে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা খাদ্য গুদামে যান। সেখানে জরাজীর্ন হেলেপড়া ১নং ভবনটি তিনি ঘুরেঘুরে দেখেন। জরাজীর্ন খাদ্যগুদামটি ভেঙ্গে তিনি সেখানে নতুন ভবন নির্মাণের নির্দেশ দেন।
এরপর তিনি টুঙ্গিপাড়া খাদ্য গুদামে সংরক্ষিত ধান চাল সহ খাদ্যের সঠিক মান নিরূপন করেন। এ সময় তিনি টুঙ্গিপাড়া খাদ্য গুদামের সার্বিক খোঁজ খবর নেন।
এর আগে দুপুরে টুঙ্গিপাড়া পৌছে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধের বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে তিনি পবিত্র ফাতেহা পাঠ ও বঙ্গবন্ধুর রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া মোনাজাত করেন।
এ সময় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের পরিচালক (প্রশাসন) পরিমল চন্দ্র সরকার, গোপালগঞ্জ জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু ইউসুফ মোহাম্মদ রেজাউর রহমান, জেলা খাদ্য কর্মকর্তা মোঃ শেফাউর রহমান সহ খাদ্য মন্ত্রণালয় ও গোপালগঞ্জ খাদ্য বিভাগের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। -

মুজিব বর্ষ উদযাপনের ক্ষণগণনা উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের বর্ণাঢ্য আয়োজন
মুজিব বর্ষ উদযাপনে ২০২০ সালের ১০ জানুয়ারি শুরু হবে ক্ষণগণনা। এ উপলক্ষে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে।
এই অনুষ্ঠানমালার ১ম পর্বে রয়েছে, ১০ জানুয়ারি সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে প্রেস ব্রিফিং, এরপর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে শহীর আব্দুর রাজ্জাক পার্ক পর্যন্ত বর্ণাঢ্য র্যালি, শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কস্থ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ, ক্ষণগণনা যন্ত্র স্থাপন, আলোচনা সভা ও বিজয় ফুল প্রদর্শনী। অনুষ্ঠানমালার ২য় পর্বে রয়েছে দুপুর ২টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বিকাল ৪টায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ক্ষণগণনার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সম্প্রচার এবং সন্ধ্যায় আতশবাজি প্রদর্শনী।
রোববার জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে এ সংক্রান্ত প্রস্তুতি সভায় এই অনুষ্ঠানমালা ঘোষণা করা হয়েছে।
সভায় জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক হুসাইন শওকত, এডিএম আবু সাইদ, পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতিসহ জেলার প্রত্যেক সরকারি দপ্তরের প্রধান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারবৃন্দ।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল বলেন, মুজিব বর্ষ উদযাপন কোন একক সংস্থার কর্মসূচি নয়, এটা জেলাবাসী তথা দেশবাসীর কর্মসূচি।
এসময় বর্ণাঢ্য আয়োজনে মুজিব বর্ষ উদযাপনে সকলকে সক্রিয়ভাবে অংশ গ্রহণের আহবান জানান তিনি।
সভায় পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, জাতির পিতার জন্মশত বার্ষিকী উদযাপনে ক্ষণগণনার অনুষ্ঠানে সব দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি প্রত্যাশা করি। এই উদযাপন জাতির জীবনে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। -

মুজিব বর্ষ উপলক্ষে উপজেলায় ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানের ব্যবস্থা করা হবে: জেলা প্রশাসক
সাতক্ষীরা: মুজিব বর্ষ উদযাপন উপলক্ষে পেশাদার গাড়ি চালকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল বলেন, জেলার প্রতিটি ডিপার্টমেন্টেকে হয়রানিমুক্ত সেবা নিশ্চিত করতে হবে। স্কুল-কলেজে গিয়ে বিআরটিএ’র নিয়মকানুন সম্পর্কে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। উপজেলায় উপজেলায় যোগ্যদের ড্রাইভারদের ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করার ব্যবস্থা করা হবে।
এ সময় তিনি ড্রাইভারদের সঠিক প্রশিক্ষণ নিয়ে দায়িত্বশীলতার সাথে গাড়ি চালানোর পরামর্শ দেন।
সভায় চিকিৎসক, বিআরটিও ও পুলিশ কর্মকর্তা এবং পেশাদার ড্রাইভাররা উপস্থিত ছিলেন।
-

‘ক্লিন সাতক্ষীরা গ্রিন সাতক্ষীরা’ বাস্তবায়ন কর্মসূচিতে একাত্মতা ঘোষণা করলেন বিচারপতি আশরাফুল কামাল
‘নদীগুলোর প্রাণ আছে, নদীকে হত্যা আমাদেরকে হত্যা করার সামিল’ শীর্ষক রায় প্রদানকারী হাইকোর্টের বিচারপতি আশরাফুল কামাল প্রাণ সায়ের খালের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযানে যোগ দেওয়ায় নতুন মাত্রা পেল ‘ক্লিন সাতক্ষীরা গ্রিন সাতক্ষীরা’ বাস্তবায়ন কর্মসূচি।
বিচারপতি আশরাফুল কামাল প্রাণ সায়ের খালের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযানে যোগ দিয়ে জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামালের এই মহতি উদ্যোগের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেন।
সেই সাথে তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, এমন মহতি উদ্যোগের মাধ্যমেই সারা দেশের নদীগুলো আবারও প্রাণ ফিরে পাবে এবং সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত হবে।
শনিবার সকালে সাতক্ষীরা বড়বাজার থেকে প্রাণ সায়ের খাল পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার এই অভিযান শুরু হয়।
জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামালসহ পৌর মেয়র তাজকিন আগমেদ চিশতি, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবাশীষ চৌধুরী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আসাদুজ্জামানসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থী, স্বেচ্ছা সেবী সংগঠন, সাংবাদিকসহ সকল শ্রেণিপেশার মানুষ এই কাজে অংশগ্রহণ করেন।
-

প্রাণ সায়ের খননে অনিয়ম ও ত্রুটি মেনে নেওয়া হবে না : জেলা প্রশাসক মোস্তফা কামাল
সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল বলেছেন, প্রাণ সায়ের খাল সাতক্ষীরার প্রাণ। এই খালের প্রাণ ফেরাতে খনন কাজ শুরু হয়েছে। প্রাণ সায়ের খননে কোন প্রকার অনিয়ম ও ত্রুটি মেনে নেওয়া হবে না। এজন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে সজাগ থাকতে হবে। ২৩ ডিসেম্বর থেকে সারাদেশে নদী ও খালের অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হবে। এরই অংশ হিসেবে প্রাণ সায়ের খালের দুই পাড়ের সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, মুজিব বর্ষের আগেই সব সরকারি দপ্তরের সেবা ঘুষ দুর্নীতি ও হয়রানিমুক্ত করা হবে। এজন্য সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বিশেষ করে ভূমি, পাসপোর্ট ও বিআরটিএ অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সতর্ক হতে হবে। এসব অফিসে দুর্নীতি হলে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।
সভায় সম্প্রতি সাতক্ষীরা জেলায় ৮০জন চিকিৎসককে পদায়ন করায় জেলা প্রশাসক মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
সভায় জেলা প্রশাসক জানান, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণে জেলার ১২টি স্থানে কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ সংস্কারে বরাদ্দ এসেছে। দ্রুতই এর কাজ শুরু হবে।
সভায় প্রতিটি সরকারি দপ্তরের উন্নয়ন কর্মকান্ড পর্যালোচনা করা হয়।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন, স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক হুসাইন শওকত, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ছাদেকুর রহমান, কালিগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী, শ্যামনগর উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম আতাউল হক দোলনসহ জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সদস্যবৃন্দ। -

প্রেস কনফারেন্সে জেলা প্রশাসক: প্রাণ সায়র খননে অনিয়ম ধরা পড়লে ব্যবস্থা, তদারকি কমিটি গঠন
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল বলেছেন, প্রাণ সায়ের খাল নিয়ে সাতক্ষীরাবাসীর একটি স্বপ্ন আছে। ডিজাইন অনুযায়ী খাল খনন করেও যদি কাটার পর বর্তমানের চেয়ে ছোট হয়ে যায়, তাহলে সেই খননের কোন মানে হয় না। এজন্য প্রয়োজনে পুনরায় প্রি-ওয়ার্ক করে ডিজাইন করতে হবে। প্রয়োজন হলে খাল খনন বন্ধ রেখে পানিসম্পদ সচিব স্যারের সাথে কথা বলে বিকল্প ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু খাল খনন করে জেলাবাসীর স্বপ্ন পূরণ না হলে, সেই রকম খননের কোন প্রয়োজন নেই।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে প্রাণ সায়ের খাল পুনঃখনন সংক্রান্ত প্রেস কনফারেন্সে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, এজন্য ৯ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। এই কমিটি প্রয়োজন অনুযায়ী খাল খননের স্থল পরিদর্শন ও প্রি-ওয়ার্ক করবে। কোন ক্রটি বা অনিয়ম ধরা পড়লে তারা জেলা প্রশাসক এবং পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে প্রতিবেদন দেবে। প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রাণ সায়ের খাল পুনঃখনন কাজ তদারকির জন্য গঠিত কমিটিতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি, পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী, সাতক্ষীরা পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক, জেলা নাগরিক অধিকার ও উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক, জেলা নাগরিক কমিটির সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক ও সাতক্ষীরা নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক সদস্য হবেন।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, প্রাণ সায়ের খাল খননের কাজ দেখে নেওয়ার দায়িত্ব এই জেলার মানুষের। এই কাজে কোন অনিয়ম ও ত্রুটি যেমন বরদাশত করা হবে না, তেমনি খনন কাজ নিয়ে কারো কোন লোভ থাকলে তা পরিহার করতে হবে। অথবা জিহ্বা টেনে ছিলে ফেলা হবে।
এর আগে সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী দুটি প্যাকেজের আওতায় চলমান সাতক্ষীরা প্রাণ সায়ের খান খননের তথ্য পড়ে শোনান।
এতে বলা হয়, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে সাতক্ষীরা পওর বিভাগ-১ এর অধীন ‘৬৪টি জেলার অভ্যন্তরস্থ ছোট নদী, খাল এবং জলাশয় পুনঃখনন প্রকল্প (১ম পর্যায়) এর আওতায় প্রাণ-সায়ের খালের (সাতক্ষীরা খাল) সাতক্ষীরা স্টেডিয়াম ব্রীজ হতে খেজুরডাঙ্গা ৬ (ছয়) ভেন্ট স্লুইস গেট (বেতনা) পর্যন্ত (৮ কিলোমিটার হতে ১৪.৫ কিলোমিটার) ৬.৫ কিলোমিটার এলাকা খননের জন্য টেন্ডারের মাধ্যমে (প্যাকেজ নং-ডব্লিউ-২) ৪৪৬.০১ লক্ষ টাকা চুক্তি মূল্যে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশের ইউনুস এন্ড ব্রাদার্স (প্রা.) লিমিটেডকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। যার প্রাক্কলিত মূল্যছিল ৪৯৫.৫৭ লক্ষ টাকা। এই খনন কাজ শুরুর তারিখ ২১-০৩-২০১৯ এবং সমাপ্তির তারিখ ২০-০৬-২০২০ খ্রিঃ। খননকৃত মাটির পরিমাণ ১১০০৮১০৮ দশমিক ৫৯ (সিএফটি)।
টেন্ডার অনুযায়ী খালটির ডিজাইন দুই ভাগে বিভক্ত। এর মধ্যে প্রথম ৫.৪২০ কিলোমিটারে রয়েছে সাতক্ষীরা স্টেডিয়াম ব্রীজ হতে খেজুরডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত। যার বিদ্যমান তথ্য টপ এর চওড়া ১১.৬০-১৪.০০ মিটার (৩৮.০০-৪৬.০ফুট)। বেডের চওড়া ২.৪৫-৩.০০মিটার (৮.০০-১০.০০ ফুট) এবং গভীরতা বিদ্যমান পাড় হতে ১.২০-১.৪০ মিটার (৪.০০-৪.৫০ ফুট)। আর পুনঃখনন এর জন্য নির্ধারিত তথ্য টপ এর চওড়া ২২.৬০-২৩.৩৬ মিটার (৭৫-৭৭.০০ ফুট)। বেডের চওড়া ৬.০০ মিটার ১৯.৬৮ফুট এবং গভীরতা বিদ্যমান বেড থেকে২.৮৯-৩.৪০ মিটার (৯.৪৭-১১.১৫ ফুট)। এই অংশে খননকৃত মাটির পরিমাণ ৯৩২৮৬৭৯.৯০ (সিএফটি)।
আর দ্বিতীয় ১.০৮০ কিলোমিটারে রয়েছে খেজুরডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে খেজুরডাঙ্গা ৬ (ছয়) ভেন্ট স্লুইস গেট পর্যন্ত। যার বিদ্যমান তথ্য টপ এর চওড়া ১২.০০-১৪.০০ মিটার (৪০-৪৬.০০ফুট)। বেডের চওড়া ২.৫০-৩.০০ মিটার (৮.০০-১০.০০ফুট) ও গভীরতা বিদ্যমান পাড় হতে ১.৪০-১.৫০ মিটার (৪.৫০-৫.০০ফুট)। আর পুনঃখনন এর জন্য নির্ধারিত তথ্য টপ এর চওড়া ২২.৪১-২২.৬০ মিটার (৭৪-৭৫ ফুট)। বেডের চওড়া ৫.০০ মিটার (১৬.৪০ ফুট) এবং গভীরতা বিদ্যমান বেড থেকে ২.৮৯-৩.২২ মিটার (৯.৪৭-১০.৫৬ ফুট)। এ অংশে খননকৃত মাটির পরিমাণ ১৬৭৯৪২৮.৬৯ (সিএফটি)।
এদিকে, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে সাতক্ষীরা পওর বিভাগ-১ এর অধীন ‘৬৪টি জেলার অভ্যন্তরস্থ ছোট নদী, খাল এবং জলাশয় পুনঃখনন প্রকল্প (১ম পর্যায়)’ এর আওতায় সাতক্ষীরা খালের চরবালিথা হতে সাতক্ষীরা স্টেডিয়াম ব্রীজ পর্যন্ত (০ থেকে ৮ কিলোমিটার) পুনঃখননের জন্য টেন্ডারের মাধ্যমে (প্যাকেজ নং-ডব্লিউ-১) গোপালগঞ্জের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মাসুদ এন্ড টেকনিফকে ৭৪৮.৪১ লক্ষ টাকা চুক্তি মূল্যে কার্যাদেশ প্রদান করেছে। যার প্রাক্কলিত মূল্য ৭৬৩.২৫ লক্ষ টাকা। কাজ শুরুর তারিখ ০১-০৮-২০১৯ খ্রিঃ ও সমাপ্তির তারিখ ১৬-০৬-২০২০ খ্রিঃ। খননকৃত মাটির পরিমাণ ১৫১৬৬৫৯৭ দশমিক ৩৫ (সিএফটি)।
টেন্ডার অনুযায়ী খালটির ডিজাইন দুই ভাগে বিভক্ত। যার প্রথম অংশে চরবালিথা হতে কুখরালী দক্ষিণপাড়া ঈদগাহ পর্যন্ত (০ থেকে ৪.০৪৫ কিলোমিটার) খনন করা হবে। এই অংশের বিদ্যমান তথ্য টপ এর চওড়া ১২.০০-১৫.০০ মিটার (৪০-৪৯.০০ফুট)। বেডের চওড়া ২.১৩-২.৭৫ মিটার (৭.০০-৯.০০ ফুট) ও গভীরতা বিদ্যমান পাড় হতে ১.৫০-১.৭০ মিটার (৫.০০-৫.৬০ ফুট)। খননের জন্য নির্ধারিত তথ্য টপের চওড়া ২২.৮৬-২৫.৯১ মিটার (৭৫-৮৫ ফুট)। বেডের চওড়া ৮.০০ মিটার (২৬.২৪) ফুট এবং গভীরতা বিদ্যমান বেড থেকে ২.৪৩-৩.২০ মিটার (৮.০০-১০.৫২ ফুট)। এই অংশে খননকৃত মাটির পরিমান ৮৬৮৩৭৬৮.৪৯ (সিএফটি)।
আর দ্বিতীয় অংশে কুখরালী দক্ষিণপাড়া ঈদগাহ হতে সাতক্ষীরা স্টেডিয়াম ব্রীজ পর্যন্ত (৪.০৪৫ হতে ৮ কিলোমিটার) খনন করা হবে। যার বিদ্যমান তথ্য টপ এর চওড়া ১১.৬০-১৪.০০ মিটার (৩৮.০০-৪৬.০০ ফুট)। বেডের চওড়া ২.৪৫-৩.০০ মিটার (৮.০০-১০.০০ ফুট) এবং গভীরতা বিদ্যমান পাড় হতে১.৬০-১.৮০ মিটার (৫.৫০-৬.০০ ফুট)। আর খননের জন্য নির্ধারিত তথ্য টপের চওড়া ২১.৩৪-২২.৮৬ মিটার (৭০-৭৫ ফুট)। বেডের চওড়া ৬.০০ মিটার (১৯.৬৮ ফুট) এবং গভীরতা বিদ্যমান বেড থেকে২.৭৫-৩.৪৫ মিটার (৯.০০-১১.৩৫ ফুট)। এই অংশে খননকৃত মাটির পরিমান ৬৪৮২৮২৮.৮৬ (সিএফটি)।
এছাড়া ৫.৫৯৫ কিলোমিটার হতে ৮ কিলোমিটার অর্থাৎ ইটাগাছা পূর্বপাড়া হতে সাতক্ষীরা স্টেডিয়াম ব্রীজ পর্যন্ত খননকৃত মাটির পরিমান ৪৩৯৭৯৪৬.১৬ সিএফটি। যা ড্রাম ট্রাকের মাধ্যমে শহরের মধ্য থেকে নিরাপদ দূরত্বে স্থানান্তর করা হবে।
প্রেস কনফারেন্সে খাল খননের উল্লিখিত তথ্যের বিভিন্ন অংশের সাথে বাস্তবের অমিল আছে উল্লেখ করে সাংবাদিকরা বলেন, খাল খননের প্রি-ওয়ার্ক যথাযথ হয়নি। তাই উল্লিখিত তথ্য অনুযায়ী খাল খনন করতে খাল বিদ্যমান অবস্থার চেয়ে ছোট হয়ে যাবে। একই সাথে যে এলাকায় খনন কাজ শুরু হয়েছে, সেখানে খালের মাটি কেটে পাড়ের উপর রাখা হচ্ছে। যা ইতোমধ্যে ধ্বসে ফের খালে পড়ছে। এভাবে খনন করা হলে খাল খনন কাজ কোন উপকার আসবে না। সরকারের কোটি কোটি টাকা পানিতে যাবে।
প্রেস কনফারেন্সে সাংবাদিকদের এসব তথ্য তদারকি কমিটির মাধ্যমে বিশ্লেষণ ও প্রি-ওয়ার্ক করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ^াস দেন জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল।
এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. বদিউজ্জামান, সাতক্ষীরা পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপী, সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল খায়েরসহ সংবাদ কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। -

সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে আট দিনব্যাপী বই মেলা শুরু হচ্ছে আগামীকাল
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী স্মরণীয় করে রাখতে ঘোষিত মুজিব বর্ষ পালন ও সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে আট দিনব্যাপী বই মেলা শুরু হচ্ছে আগামীকাল ১৬ নভেম্বর।
জাতীয় গ্রন্থ কেন্দ্রের উদ্যোগে ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন আয়োজিত এই মেলায় বাংলা একাডেমী, চলচিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরসহ ৩২টি খ্যাতনামা প্রকাশনীর ৬৮ স্টলে বই বিক্রি করা হবে। বই মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে অংশ নেবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক উপচার্য আ.আ.ম.স আরেফিন সিদ্দিক।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বই মেলা উপলক্ষে আয়োজিত প্রেস বিফ্রিংয়ে এবং বিকালে স্থানীয় পত্রিকার সম্পাদকদের সাথে মতবিনিময়কালে সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল এসব তথ্য জানিয়েছেন। এতে আরও বলা হয়, প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে মেলা চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। সন্ধ্যায় থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এছাড়া ১৮-২২ নভেম্বর পর্যন্ত ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও সাংস্কৃতিক প্রতিভা বিকশিত করার লক্ষ্যে চিত্রাংকন, সংগীত, আবৃত্তি, নৃত্য প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। এছাড়াও মানুষকে বই পড়া ও বই কেনায় উদ্বুদ্ধ করার জন্য কমপক্ষে ২০০ টাকার বই ক্রয়কারীদের জন্য থাকবে র্যাফেল ড্র এর কুপন। এই র্যাফেল ড্র-তে ভাগ্যবান ১০ জনের জন্য থাকবে ১০টি আকর্ষণীয় পুরস্কার।
মেলায় ঢাকা থেকে বই নিয়ে আসছে, পুথিনিলয়, পাঞ্জেরী, গ্রন্থ কুঠির, অন্যপ্রকাশ, রোদেলা, বিজ্ঞান একাডেমী, কলি প্রকাশনী, ইমামীয়া চিশতিয়া পাবলিসার, অনিন্দ্য প্রকাশ, চিরন্তন প্রকাশ, শব্দশৈলী, সৃজনী, আদর্শ, নওরোজ কিতাবিস্তান, অয়ন প্রকাশন, তা¤্রলিপি, দি রয়েল পাবলিশার্স, কথা প্রকাশ, আহমদ পাবলিশিং হাউস, কাকলী প্রকাশনী, প্রথমা প্রকাশন, র্যামন পাবলিশার্স, আলোঘর প্রকাশনা, সাঁকোবাড়ি প্রকাশন, বিশ্বসাহিত্য ভবন, সময় প্রকাশন, ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড, অনুপম প্রকাশনীর মত জাতীয় পর্যায়ের নামকরা বিভিন্ন প্রকাশনী।
প্রেস বিফ্রিংকালে আরো উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক হুসাইন শওকত, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বদিউজ্জামান, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব সভাপতি আবু আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপী, সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান রাসেল প্রমুখ।