Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
প্রশাসন Archives - Page 6 of 15 - Daily Dakshinermashal

Category: প্রশাসন

  • সাতক্ষীরায় সামাজিক দূরত্ব না মানায় ৩১জনকে জরিমানা, দেবহাটায় ৪টি বাড়ি লক ডাউন

    সাতক্ষীরায় সামাজিক দূরত্ব না মানায় ৩১জনকে জরিমানা, দেবহাটায় ৪টি বাড়ি লক ডাউন

    প্রেস নোট : সাতক্ষীরায় করোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় সামাজিক দূরত্ব না মেনে অহেতুক ঘোরাঘুরি করায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৩১জনকে ১৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জনসমাগম কমিয়ে সাধারণ মানুষকে ঘরে ফেরাতে ২০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে জেলাব্যাপী সাড়াশি অভিযান চালাচ্ছে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও ব্যাটালিয়ন আনসার। জেলাব্যাপী চলছে মাইকিং, করা হচ্ছে জীবাণুনাশক স্প্রে। একই সাথে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নারায়নগঞ্জ থেকে দেবহাটায় আসা চারটি পরিবারকে লক ডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এসব পরিবারের ২০জন সদস্য বাড়ি থেকে বের হতে পারবেন না। অনুরূপভাবে ভারত থেকে আসা ১৩জনকে সাতক্ষীরা যুব উন্নয়ন ভবনে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

    জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, অকারণে বাইক নিয়ে বাইরে আড্ডা দেওয়া ও ঘোরাফেরা করায় শ্যামনগরে ৪জনকে এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনুরূপভাবে কালিগঞ্জে ২জনকে দেড় হাজার টাকা, আশাশুনিতে ৯জনকে সাড়ে ৭ হাজার টাকা ও অবৈধভাবে ইট পোড়ানোর জন্য বড়দল ইউনিয়নে মইনুল সরদারকে ৫ হাজার টাকা, তালায় ৭ জনকে ৩ হাজার ৮শ টাকা, কলারোয়ায় ৯জনকে তিন হাজার দুইশ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

    এদিকে, জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামালসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ, উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা বাড়ি বাড়ি গিয়ে কর্মহীন খেটে খাওয়া মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী পৌঁেছ দিচ্ছেন।

    জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল জেলাবাসীর প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, করোনো ভাইরাস মোকাবেলায় ঘরে থাকার বিকল্প নেই। এজন্য সবধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তারপরও অনেকে অসচেতনভাবে ও সরকারি নির্দেশনা না মেনে ঘর থেকে অপ্রয়োজনে বের হচ্ছেন। এজন্য আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • প্রয়োজনে আরও কঠোর ব্যবস্থা: সাতক্ষীরায় অহেতুক ঘোরাঘুরি করায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৮জনকে জরিমানা

    প্রয়োজনে আরও কঠোর ব্যবস্থা: সাতক্ষীরায় অহেতুক ঘোরাঘুরি করায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৮জনকে জরিমানা

    প্রেস নোট : সাতক্ষীরায় করোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় সামাজিক দূরত্ব না মেনে অহেতুক ঘোরাঘুরি করায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৮জনকে ২৯ হাজার ৯৫৪ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জনসমাগম কমিয়ে সাধারণ মানুষকে ঘরে ফেরাতে ২০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে জেলাব্যাপী সাড়াশি অভিযান চালাচ্ছে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও ব্যাটালিয়ন আনসার। জেলাব্যাপী চলছে মাইকিং, করা হচ্ছে জীবাণুনাশক স্প্রে।

    জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, অকারণে বাইক নিয়ে বাইরে আড্ডা দেওয়া ও ঘোরাফেরা করায় সাতক্ষীরা শহরে চারজনকে জনকে ৩ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

    অনুরূপভাবে শ্যামনগরে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে সচেতনতামূলক অভিযান চলাকালে অপ্রয়োজনে বাইরে ঘোরাফেরা করায় ২৬জনকে ১৩ হাজার ৭১০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

    একইভাবে কালিগঞ্জে চারজনকে ৩ হাজার ৬৪৪ টাকা, আশাশুনিতে ৯জনকে ৪ হাজার ১শ টাকা, তালায় দুইজনকে দেড় হাজার টাকা, দেবহাটায় ৬ জনকে দেড় হাজার টাকা ও কলারোয়ায় সাতজনকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

    এদিকে, করোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের বাড়িতে বাড়িতে জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামালসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ, উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারবৃন্দ পৌঁছে দিচ্ছেন খাদ্য সামগ্রী। এজন্য ইতোমধ্যে জেলার প্রত্যেক উপজেলা ও পৌরসভার অনুকূলে মোট ৪২৫ মেট্রিক টন চাল এবং ১৬ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৯ হাজার ৪০০ মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে। চিকিৎসক ও নার্সদের চলাচলের জন্য দেওয়া হয়েছে গাড়ি।

    জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল জানান, করোনো মোকাবেলায় জেলার সর্বত্র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা অভিযান চালাচ্ছে। মানুষকে ঘরে ফেরাতে প্রয়োজনে আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সেই সাথে কর্মহীন হয়ে পড়া দুস্থ মানুষের বাড়ি বাড়ি খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।

  • ত্রাণ বিতরণের পূর্বে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসককে অবহিত করতে হবে : লোক জড়ো করে ত্রাণ বিতরণ নয়

    ত্রাণ বিতরণের পূর্বে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসককে অবহিত করতে হবে : লোক জড়ো করে ত্রাণ বিতরণ নয়

    কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বাইরে লোক জড়ো করে ত্রাণ বিতরণ করতে পারবে না। পৌরসভাসহ সকল ইউনিয়নে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ত্রাণ বিতরণ করতে হবে। ত্রাণ বিতরণের পূর্বে জেলা প্রশাসককে অবহিত করতে হবে। এর ব্যত্যয় ঘটলে আইননানুগ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    রোববার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে নোভেল করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জরুরী মতবিনিময় ও পর্যালোচনা সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

    সভায় সর্বসম্মতিক্রমে করোনো ভাইরাস প্রতিরোধে কওমি মাদ্রাসার আলেমদের নিয়ে কমিটি গঠন, জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে করোনা প্রতিরোধে কমিটি গঠন, ত্রাণ ও দুর্যোগ কমিটির মাধ্যমে ইউনিয়ন পর্যায়ে ত্রাণ বিতরণ, জনপ্রতিনিধি বিশেষ করে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং মেম্বারের উদ্যোগে দোকান বন্ধ রাখা এবং জনসমাগম বন্ধ করা, পণ্যবাহী/রোগীবহনকারী যানবাহন ছাড়া অন্য যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা, পণ্যবাহী কোন গাড়িতে যাতে যাত্রী না উঠতে পারে, সেটা খেয়াল রাখা, প্রতিদিন জীবাণুনাশক স্প্রে, সার/কীটনাশক/ঔষধ/কৃষি যন্ত্রপাতির দোকান খোলা থাকবে কিন্তু সন্ধ্যা ৬টা হতে রাত ১০টা পর্যন্ত ঔষধের দোকান বাদে সব দোকান বন্ধ রাখা এবং মাছের সেড দুপুর ১২টার পর বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

    সভায় জানানো হয়, যে ঘরে থাকবে সেই কেবল ত্রাণ পাবে। খাদ্য সংকট কাটিয়ে উঠতে অনাবাদী জমি চাষাবাদের জন্য উপযোগী করে তুলতে হবে।
    সভায় জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলামসহ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানগণ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

  • সাতক্ষীরায় করোনা পজিটিভ রোগীদের চিকিৎসা ডক্টরস ডরমেটরিতে, সন্দেহভাজনদের চিকিৎসা মেডিকেলের ৬তলায়

    সাতক্ষীরায় করোনা পজিটিভ রোগীদের চিকিৎসা ডক্টরস ডরমেটরিতে, সন্দেহভাজনদের চিকিৎসা মেডিকেলের ৬তলায়

    করোনা পজিটিভ রোগীদের ডক্টরস ডরমেটরিতে আলাদাভাবে চিকিৎসা দেয়া হবে। এছাড়া করোনা সন্দেহভাজন রোগীদের আইসোলেশনের জন্য সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের ৬তলা ব্যবহৃত হবে। আইসিইউ ইউনিট পরিচালনার জন্য ডাক্তার, নার্স এবং স্টাফদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
    রোববার সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে করোনো ভাইরাস প্রতিরোধে অনুষ্ঠিত এক জরুরী সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
    সভায় জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন শাফায়াত, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের তত্ত্বাবধায়ক ডা. রফিকুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম ও এবং অন্যান্য ডাক্তারবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • হার্ড লাইনে জেলা প্রশাসন: সামাজিক দূরত্ব না মানায় ৫৪জনকে জরিমানা | সন্ধ্যা ৬টার পরে ওষুধ ব্যতীত সব দোকান বন্ধ ঘোষণা

    হার্ড লাইনে জেলা প্রশাসন: সামাজিক দূরত্ব না মানায় ৫৪জনকে জরিমানা | সন্ধ্যা ৬টার পরে ওষুধ ব্যতীত সব দোকান বন্ধ ঘোষণা


    আব্দুল জলিল : সাতক্ষীরায় করোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় সামাজিক দূরত্ব না মেনে অহেতুক ঘোরাঘুরি করায় ৫৪জনকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে টহল জোরদার করেছে সেনাবাহিনী ও পুলিশ। এছাড়া জনসমাগম কমাতে সন্ধ্যা ৬টার পরে ওষুধের দোকান ব্যতীত সব ধরনের দোকান বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন।
    এদিকে, কর্মহীন হয়ে পড়া খেটে খাওয়া দুস্থ মানুষের জন্য ইতোমধ্যে ৪২৫ মেট্রিক টন চাল এবং ১৬ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে খাদ্য সামগ্রী। অব্যাহত রয়েছে জীবাণু নাশক স্প্রে।
    জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামালের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী, পুলিশ এবং ব্যাটালিয়ন আনসার এর সহযোগিতায় ২০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাত-দিনের পার্থক্য ভুলে গিয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিতে দিনরাত কাজ করছে। একই সাথে সাতটি উপজেলায় সেনাবাহিনীর ৭টি টিমসহ জেলা সদরে পুলিশ এবং আনসারের সমন্বয়ে ৪টি টিম শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। চলছে মাইকিং।
    জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, প্রতিটি উপজেলায় ইউনিয়ন ভিত্তিক দুস্থ ও সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের বাহিরে থাকা গরীব মানুষের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। তালিকা অনুযায়ী বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। এজন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় প্রাপ্ত বরাদ্দ থেকে ইতোমধ্যে জেলার উপজেলা ও পৌরসভার অনুকূলে ৪২৫ মেট্রিক টন চাল এবং ১৬ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া করোনা পরিস্থিতিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ যারা ওয়ার্ড-ইউনিয়ন পর্যায়ে তালিকাভুক্ত হতে সংকোচবোধ করছে কিন্তু খাদ্য সংকট আছেন তাদের নাম, ঠিকানা এবং মোবাইল নাম্বারসহ এসএমএস এর মাধ্যমে সংগ্রহ করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসক নিজে তাদের সাথে যোগাযোগ করছেন। রাতে গোপনে তাদের বাড়িতে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে ত্রাণসামগী বিতরণ করা হচ্ছে।
    এদিকে, ইতোমধ্যে উপজেলায় বিতরণের জন্য সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২ লক্ষ টাকার মাস্ক ক্রয় করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ২৮ হাজার মাস্ক মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।
    স্বাস্থ্য বিভাগের চিকিৎসক ও নার্সদের চলাচলের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক গাড়ি সরবরাহ করা হয়েছে। একই সাথে তাদের সুরক্ষায় সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৮৫০ টি পিপিই মজুদ রয়েছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে ১০০০ পিপিই বিতরণ করা হয়েছে।
    সূত্র জানায়, সাতক্ষীরা সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আসাদুজ্জামান শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছেন। শ্যামনগরে সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখায় ৩জনকে দেড় হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। কালিগঞ্জে একই কারণে ২০জনকে ২৯ হাজার ৫৮০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আশাশুনিতে ১০জনকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তালায় সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখায় ১০জনকে ৮ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। কলারোয়া উপজেলায় ৯টি জনকে তিন হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া সাতক্ষীরা শহরে দুইজনকে আটশ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

    এছাড়া তালার তেতুলিইয়ায় দ্রব্যের দাম বেশি রাখায় একজনকে ৫০০ টাকা, দেবহাটার বন্ধু ব্রিকসকে ৫ হাজার ৩শ টাকা জরিমানা করেন।

    এদিকে, জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল জেলার সংসদ সদস্যবর্গের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সাথে আলোচনা এবং পরামর্শ গ্রহণ করে করোনা মোকাবেলায় সর্বাত্মক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছেন। একই সাথে তিনি জেলা সদরের সিনিয়র সিটিজেনদের সাথে নিয়মিত ফোনে খোঁজ নিচ্ছেন এবং তাদেরকে ঘরের বাইরে না যেতে বিশেষ অনুরোধ করছেন।
    জেলা প্রশাসক সরকারি ত্রাণের তালিকা এবং বিতরণে অনিয়ম স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতি হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের হুশিয়ারী দিয়েছেন। এছাড়া কতিপয় ব্যক্তি ত্রাণ দেয়ার কথা বলে বিকাশ নম্বরে অন্যের কাছে সাহায্য চাইছেন মর্মে জানা গেছে। তাদের বিরুদ্ধে ও দোকান খুলে দেয়ার কথা বলে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি দোকানদারদের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিচ্ছেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে, যাদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে মাঠে কঠোর অবস্থানে সেনা বাহিনী

    করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে মাঠে কঠোর অবস্থানে সেনা বাহিনী

    আশাশুনি প্রতিনিধি : সারা দেশের ন্যায় আশাশুনিতেও করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বিস্তার রোধে মাঠে কঠোর অবস্থানে থেকে কাজ করছে বাংলাদেশ সেনা বাহিনী। প্রতিরক্ষা মন্ত্রানালয়ের সহকারী পরিচালক রাশেদুল আলম খানের স্বাক্ষরিত পত্রে জানাগেছে গত ২ এপ্রিল থেকে বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর অগ্রগামী দল প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় কাজ করবে। সড়ক, বাজার ও গ্রামগঞ্জে টহলকালে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করণ বজায় রাখা, হোম কোয়ারান্টিন কঠোরভাবে নিশ্চিত করণ করা সহ সরকারের নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তা করবেন এবং আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানাগেছে। একই সাথে উপজেলার সকল বাজারে, সড়কে ও পাড়ায় পাড়ায় প্রশাসন ও পুলিশ বাহিনী দায়িত্ব পালন করছেন।

  • করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সাতক্ষীরায় জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে মাঠে নেমেছেন সেনাবাহিনী, দুঃস্থ পরিবারের মাঝে দেয়া হচ্ছে খাদ্য সহায়তা

    করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সাতক্ষীরায় জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে মাঠে নেমেছেন সেনাবাহিনী, দুঃস্থ পরিবারের মাঝে দেয়া হচ্ছে খাদ্য সহায়তা


    নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ করোনা ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধে সাতক্ষীরায় জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে মাঠে নেমেছেন সেনাবাহিনী। শহরের মানুষ যাতে অযথা ঘরের বাহিরে ঘোরাফেরা না করেন এ জন্য জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল সেনাবাহিনীর সদস্যদের নিয়ে নিজেই শহরের বিভিন্ন সড়কে মাংকিং করছেন। এ সময় তিনি সবাইকে ঘরে থাকার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সবাইকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাহিরে বের হবেননা। এছাড়া খেটে খাওয়া দুঃস্থ মানুষের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা ঘরে থাকুন, আপনাদের যাতে কোন কষ্ট না হয় সেজন্য সরকার খাদ্য সহায়তা প্রদান করছে। তাহলে আপনারা কেন ঘরের বাইরে এসে নিজের বিপদ ডেকে আনবেন। পরে জেলা প্রশাসক তার নিজস্ব তহবিল থেকে অর্ধশতাধিক দুঃস্থ পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদান করেন।
    এদিকে, শহরের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দোকান ও ঔষধের দোকান ছাড়া বাকী অন্যান্য দোকান পাট অধিকাংশই বন্ধ থাকায় রাস্তাঘাটে লোক-সমাগম খুবই। এছাড়া চলছে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান।

  • জেলা প্রশাসক  এস এম মোস্তফা কামাল'র নির্দেশে গতরাতে  জেলার প্রতিটি উপজেলায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতামূলক  অভিযান পরিচালনা

    জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল'র নির্দেশে গতরাতে জেলার প্রতিটি উপজেলায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতামূলক অভিযান পরিচালনা

    জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল’র নির্দেশে গতরাতে সাতক্ষীরা জেলার প্রতিটি উপজেলায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতামূলক  অভিযান পরিচালনা করা হয়। প্রতিটি উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং সহকারী কমিশনারদের নেতৃত্ব বাজার মনিটরিং করা হয়, করোনা প্রতিরোধে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ হয় এবং শতভাগ হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করাসহ নিত্যিপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দোকান ছাড়া অন্যসব দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়।

    অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) শহরের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে শহরের সার্বিক অবস্থা বিশেষ করে জনাসমাগম না হয় এবং মানুষ যেন নির্দিষ দূরত্বে থেকে কেনাকাটা করে সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে অভিযান চালান। 

     সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার জন্যে কাজ করে যাচ্ছে জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট বৃন্দ। সবাইকে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার জন্যে অনুরোধ করা হচ্ছে। ‌‍আপনি ঘরে থাকলে ভালো থাকবে আপনার পরিবার, ভালো থাকবে জাতি, ভালো থাকবে দেশ।

    নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ও ঔষধের দোকান ব্যতীত অন্যান্য দোকান বন্ধ রাখা নিশ্চিত করতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দ সদা গতিশীল রয়েছে। আপনারা ঘরে থাকুন, পরিবারকে সময় দিন, নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন। করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে এই যুদ্ধে আমাদের জয়ী হতেই হবে।

    এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মুর্শিদা খাতুন এবং উম্মে মুসলিমার নেতৃত্বে একটি টিম খুলনা রোড হতে পাটকেলঘাটা বাজার পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করে। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান গুলোতে লোক সমাগম পরিহার করে বিক্রয় করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়। চায়ের দোকানে অপ্রয়োজনীয় জমায়েত বন্ধ করার নির্দেশ প্রদান করা হয় এবং মুদি দোকানে একত্রে জমায়েত বন্ধ করতে বলা হয়।প্রয়োজন ব্যতীত বাহিরে বের না হতেও অনুরোধ করা হয় মাইকের মাধ্যমে।

  • আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশনায় বাজারে ব্লিচিং পাউডার দ্বারা স্প্রে করা হয়

    আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশনায় বাজারে ব্লিচিং পাউডার দ্বারা স্প্রে করা হয়

    আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশনায় বুধহাটা ইউনিয়নের প্রত্যেকটি বাজার ব্লিচিং পাউডার দ্বারা স্প্রে করা হয় এবং এবং প্রতিটি ইউনিয়নে ভাইরাস প্রতিরোধে স্প্রের ধারা অব্যাহত আছে। ভিজিটিং কার্ডধারীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে চাল ইউপি চেয়ারম্যান, সদস্য ও চোকিদারদের মাধ্যমে তাদের চাল পৌছে দেওয়া হচ্ছ। প্রতিটি দোকানের সামনে সাদা গোল বিত্ত চিহ্নিত করে দেওয়া হয়েছে যাতে নিরাপদ দূরত্বে থেকে দ্রব্য ক্রয় করতে পারে।

  • জেলাতে সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করণ : নিম্ন আয়ের  পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে  প্রশাসন

    জেলাতে সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করণ : নিম্ন আয়ের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে প্রশাসন

    করোনাভাইরাস প্রতিরোধে হোম কোয়ারেন্টিন বাস্তবায়ন করতে গিয়ে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন সাতক্ষীরার শত শত পরিবার। বাড়িতে অবস্থান করায় কাজ করতে পারছেন না তারা। নিম্ন আয়ের এ সব পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশ। বুধবার রাত থেকে এসব পরিবারের মাঝে বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিয়েছে পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
    সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এসএম মোস্তফা কামাল জানান, সাতক্ষীরা জেলার প্রতিটি উপজেলায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতামূলক অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। প্রতিটি উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং সহকারী কমিশনারদের নেতৃত্ব বাজার মনিটরিং করা হয়। করোনা প্রতিরোধে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ হয় এবং শতভাগ হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করাসহ নিত্যিপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দোকান ছাড়া অন্যসব দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়।
    এদিকে জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল প্রতিটি উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের কাছে ৫০ হাজার করে টাকা এবং ৫ মেট্রিক টন চাল পাঠান। উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ উপজেলার দুস্থ মানুষের তালিকা প্রস্তুত করেছেন। চাল, ডাল, তেলসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য দুস্থদের বাড়িতে বাড়িতে পাঠানো হবে।
    অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ও ওষুধের দোকানের সামনে সাদা গোল বৃত্যের মধ্য থেকে কেনাকাটা করার জন্য মানুষকে সচেতন করেন। করোনা থেকে জনগনকে সচেতন করার লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ এবং মার্কিং করেন।
    বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) সাতক্ষীরা শহরের বকচরা এলাকায় বাইপাস সড়ক সংলগ্ন এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ পেয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি), সাতক্ষীরা সদর ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনাকালে বালু উত্তোলনকারীরা পালিয়ে যায়। বালু উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত স্যালো মেশিন এবং পাইপ জব্দ করা হয়েছে।
    এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. আজাহার আলীর নেতৃত্বে একটি টিম সাতক্ষীরা শহর ও বড় বাজার এলাকায় টহল কার্যক্রম পরিচালনা করে। এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট দেওয়ান আকরামুল হক এবং ইন্দ্রজিৎ সাহার নেতৃত্বে একটি টিম সাতক্ষীরা শহর, আলিপুর থেকে বাদামতলা হয়ে ভোমরা পর্যন্ত টহল কার্যক্রম চলমান রেখেছেন।
    এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ নূরুল আমিনের নেতৃত্বে একটি টিম পুরাতন সাতক্ষীরা হতে ব্রহ্মরাজপুর বাজার পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করেন। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দোকানগুলোতে লোক সমাগম পরিহার করে বিক্রয় করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
    এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মুর্শিদা খাতুন নেতৃত্বে একটি টিম খুলনা রোড হতে পাটকেলঘাটা বাজার পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করে। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দোকানগুলোতে লোক সমাগম পরিহার করে বিক্রয় করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়। চায়ের দোকানে অপ্রয়োজনীয় জমায়েত বন্ধ করার নির্দেশ প্রদান করা হয় এবং মুদি দোকানে একত্রে জমায়েত বন্ধ করতে বলা হয়।প্রয়োজন ব্যতীত বাইরে বের না হতেও অনুরোধ করা হয় মাইকের মাধ্যমে।
    এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে মুসলিমার নেতৃত্বে একটি টিম সার্কিট হাউজ হতে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করে। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দোকানগুলোতে লোক সমাগম পরিহার করে বিক্রয় করার নির্দেশনা প্রদান করে। এছাড়া চা এর দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়।
    আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশনায় বুধহাটা ইউনিয়নের প্রত্যেকটি বাজার ব্লিচিং পাউডার দ্বারা স্প্রে করা হয় এবং এবং প্রতিটি ইউনিয়নে ভাইরাস প্রতিরোধে স্প্রের ধারা অব্যাহত আছে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস হতে প্রাপ্ত ১২ সেট চচঊ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, আশাশুনিতে প্রদান করা হয়েছে। বিদেশ ফেরতদের শতভাগ হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে বাড়িতে বাড়িতে লাল পতাকা টানানো হয়েছে। আশাশুনির বুধহাটা, চাপড়া ও গোয়ালডাংয়া বাজারে সহকারী কমিশনার (ভূমি), আশাশুনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সহ অভিযান কালে লোক সমাগম খুব কম দেখা যায় এবং বেশিরভাগ দোকান বন্ধ ছিল। সবাইকে ঘরে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। জরিমানা হয়নি।
    তালা উপজেলায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দোকানগুলোর সামনে সাদা দাগ দেওয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট দাগের মধ্যে দাঁড়িয়ে মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয় করছেন। প্রয়োজন ছাড়া যাতে কেউ ঘরের বাহিরে বের হয়ে ঘোরাঘুরি না করেন সে জন্য তাদের সতর্ক করাসহ সচেতনতা মূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়, মাইকিং অব্যাহত আছে। একইসাথে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দোকান ও ঔষধের দোকান ছাড়া বাকী অন্যান্য দোকানদের তাদের দোকান বন্ধ রাখার আহবান। এছাড়া সকল ধরনের সভা সমাবেশ, সেমিনার, সামাজিক অনুষ্ঠানসহ সকল প্রকার গণজমায়েত নিষিদ্ধ করার জন্য ঘোষণা দেন।
    কলারোয়া উপজেলার কলারোয়া বাজারে জীবানুনাশক ব্লিচিং পাউডার মিশ্রিত জীবানুনাশক পানি ছিটানো হচ্ছে। হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা হয়েছে। সহকারী কমিশনার (ভূমি), কলারোয়া বাজার, দমদম, সোনাবাড়িয়া, বুঝতলা ও গয়ড়া বাজারে ঔষধ ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকান, মুদি দোকান ব্যতিত অন্যান্য দোকান বন্ধে পরিচালিত অভিযান পরিচালনা করে।
    কালিগঞ্জ উপজেলায় জীবাণুনাষক দিয়ে পুরো উপজেলা ধুয়ে ফেলা শুরু করছি। সরকারি আদেশ অমান্য করায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ২০০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
    শ্যামনগর উপজেলায় বাজারগুলোতে প্রতিটি দোকানের সামনে সাদা দাম দিয়ে দেওয়া হয়েছে যেন মানুষ নিরাপদ দূরত্ব বজার রেখে প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে পারে। শতভাগ হোম কোয়ানেন্টিন নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে।
    দেবহাটা উপজেলায় বিদেশ ফেরত সকেলেই হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন। নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকান ছাড়া অন্যান্য দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

  • সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক: প্রেস বিজ্ঞপ্তি

    করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে সরকার প্রদত্ত নির্দেশনা অনুসরণে জানানো যাচ্ছে যে: 

    ১. এই ছুটি/বন্ধ সরকারি-বেসরকারি অফিস আদালতের জন্য প্রযোজ্য। স্বাস্থ্য-সেবা, সংবাদপত্রসহ অন্যান্য জরুরি কার্যাবলীর ক্ষেত্রে এই নির্দেশনা প্রযোজ্য নয়।

    ২. সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ এই ছুটি/বন্ধকালীন সময়ে অবশ্যই নিজ-নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করবেন।

    ৩. এই বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে জনগণকে ব্যাপকহারে পারষ্পরিক মেলা-মেশা বা সংস্পর্শে এসে রোগ বিস্তার করা থেকে বিরত রাখার জন্য। সে কারণে সর্বসাধারণকে এই সময়ে বাইরে যাওয়া বা ভ্রমণ করা থেকে বিরত থাকতে আহ্বান জানানো হচ্ছে।

    ৪. ঔষধ/খাদ্য প্রস্তুত, ক্রয়-বিক্রয়সহ অন্যান্য শিল্প কারখানা/প্রতিষ্ঠান/বাজার/দোকানপাট নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চলবে।

    ৫. গণপরিবহন ব্যতীত অন্যান্য জরুরি পরিবহন যেমন-ট্রাক, কার্গো, এ্যাম্বুলেন্স ও সংবাদপত্রবাহী গাড়ি ইত্যাদি যথারীতি চলবে।

    এস এম মোস্তফা কামাল
    জেলা প্রশাসক
    সাতক্ষীরা

  • সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত : করোনো ভাইরাস সংক্রমণ রোধে হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতকরণ ও বাজার স্থিতিশীল রাখতে

    সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত : করোনো ভাইরাস সংক্রমণ রোধে হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতকরণ ও বাজার স্থিতিশীল রাখতে

    প্রেস নোট : করোনো ভাইরাস সংক্রমণ রোধে হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতকরণ ও বাজার স্থিতিশীল রাখতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত হয়েছে।

    মঙ্গলবারও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা বিদেশ ফেরত প্রবাসীদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতকরণে বাড়ি বাড়ি অভিযান চালিয়ে লাল নিশানা টানিয়ে দেন। একই সাথে বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের হাতে অমোচনীয় কালির সিল মেরে দেওয়া হয়। আর কোয়ারেন্টাইনের শর্ত ভঙ্গ করায় জরিমানাও করা হয় কয়েকজন প্রবাসীকে। একই সাথে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে জেলাব্যাপী চলছে মাইকিং, লিফলেট বিতরণ।

    এদিকে, করোনো সংক্রমণ রোধে সিভিল প্রশাসনকে সহায়তার লক্ষ্যে মঙ্গলবার দুপুরে সেনাবাহিনীর অগ্রগামী একটি দল সাতক্ষীরা পৌঁছে জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামালের সাথে বৈঠক করে তাদের কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করেছেন।
    করোনো সংক্রমণ রোধে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবাশীষ চৌধুরী ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের কয়েকটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে লাল নিশানা টানিয়ে দেন। হোম কোয়ানন্টেনি নশ্চিতিে অভযিান চালয়িে ৬ হাজার টাকা জরমিানা কর।

    অপরদিকে, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লিখন বণিক মঙ্গলবার সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা, মাধবকাটি ও কদমতলা বাজারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। এসময় কদমতলা বাজারের এক ব্যবসায়ীকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

    একইভাবে মিল বাজার ও কাটিয়া বাজারে অভিযান চালিয়ে কয়েকজন ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুর্শিদা পারভীন ও উম্মে মুসলিমা।

    আশাশুনিতে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের বাড়িতে লাল ফ্লাগ টানানো ও হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিতকরণ এবং বাজার মনিটরিংয়ে একাধিক অভিযান পরিচালিত হয়েছে।

    শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী ইউনিয়নে বিদেশ ফেরত একজন হোম কোয়ারেন্টাইনের শর্ত ভঙ্গ করায় ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা হয়।

    এছাড়া শ্যামনগরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের সাথে করোনো ভাইরাস প্রতিরোধে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    কলারোয়া উপজলোয় বাজার নয়িন্ত্রণে অভযিান চালয়িে ৩ হাজার টাকা এবং তালা উপজলোয় ৩ হাজার টাকা জরমিানা করা হয়।

  • সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের  অভিযান

    সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের অভিযান

    প্রেস বিজ্ঞপ্তি: সাতক্ষীরা জেলার প্রতিটি উপজেলায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতামূলক  অভিযান পরিচালনা করা হয়। প্রতিটি উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং সহকারী কমিশনারদের নেতৃত্ব বাজার মনিটরিং করা হয়, করোনা প্রতিরোধে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ হয় এবং হোম কোয়ারেন্টিন অমান্য করায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা আদায়ের পাশাপাশি হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা হয়।

    সাতক্ষীরা সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ব্রহ্মরাজপুর  বাজারে ২টি চায়ের দোকানে মোবাইল কোর্টের অভিযান চলাকালে ঐ ২ দোকান হতে ২টি টেলিভিশন জব্দ করে ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের জিম্মায় রেখেছে ।
    সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের জনাব বেলায়েত হোসেন গত বৃহস্পতিবার ভারত থেকে এসে উন্মুক্ত ঘোরাঘুরি করছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে আজ তার বাসায় গিয়ে তাকে হোম কোয়ারেণ্টাইন মেনে চলার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ঐ বাড়ীতে লাল ফ্লাগ টাংগিয়ে দেয়াসহ ঐ ব্যক্তির হাতে অমোচনীয় কালীর সীল দেয়া হয়েছে। অভিযানের সময় ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও জেলা পুলিশের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিতি  ছিলেন।
    বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট দেওয়ান আকরামুল হক, ভোমরা স্থলবন্দরে অভিযান চালায়। আজকে ৭৫ ট্রাক পেয়াজ ভারত থেকে আসবে। আরো কাচা ফলমূল ভারত থেকে প্রবেশ করবে। পাথর বহনকারী ভারতীয় ট্রাক প্রবেশ করতে দেখা গেছে।
    এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ নূরুল আমিন সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরা দোকানে মোবাইল কোর্টের অভিযান পরিচালনা করে এবং বাজার মূল্য যাচাই করে। অভিযান পরিচালনাকালে দেখা যায় যাচাইকৃত দোকান গুলোতে বাজার মূল্য স্বাভাবিক পাওয়া যায়। পণ্য তালিকা না  টাঙানোর অপরাধে চারটি দোকানে মোট ৬৫০০ টাকা অর্থ দন্ড প্রদান করা হয়।

    এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে মুসলিমা সাতক্ষীরা বড়বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য যাচাই করতে অভিযান পরিচালনা করে।

    তালা উপজেলার খালিলনগর ইউনিয়ন, জালালপুর ইউনিয়ন বিদেশ ফেরত আগত ব্যক্তিদের বাড়িতে লাল নিশান টানিয়ে টানিয়ে দেওয়া হয়। বাসস্ট্যান্ডে স্প্রে করা হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবীদের হ্যান্ডগ্লভস এবং মাস্ক সরবরাহ করা হয়েছে।

    দেবহাটা উপজেলায়  ১৯ টি টিম মাঠ পর্যায়ে অভিযান পরিচালনা করছে।সচেতনতা, লিফলেট বিতরণ, হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করাসহ বিদেশ ফেরতদের বাড়িতে লাল পতাকা টানিয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া বাজারমূল্য নিয়ন্ত্রণে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে  ১০০০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

    কলারোয়ার চন্দনপুর ইউনিয়নে হোম কোরান্টাইনদের বাসাই লাল ফ্লাগ স্থাপন করা হয়েছে। বাজারে পণ্যের মূল্য স্বাভাবিক আছে।

    শ্যামনগর উপজেলায় Cyclone Preparedness Program (CPP) সদস্যদের সাথে মিটিং করা হয় এবং মিটিং শেষে  প্রায় ২০০
    প্রবাসীদের বাড়িতে  লাল ফ্লাগ স্থাপন করা হয়েছে।

    কালিগঞ্জ উপজেলায় ১২টি বাজারে ৫ সদস্যের একটি করে টিম কাজ করছে। বাজারগুলোতে দ্রব্যমূল্যের দাম স্বাভাবিক আছে।প্রতিটি মুদি দোকানে মূল্য তালিকা শোভা পাচ্ছে।

    আশাশুনি উপজেলায় হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে সিল মারা এবং লাল নিশানা লাগানোর কার্যক্রম চলমান আছে। বাজার মনিটরিং করে দেখা যায় দ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণে আছে।
    জনস্বার্থে এই ধরনের  অভিযান অব্যাহত থাকবে।

  • করোনা :  প্রশাসনের মতবিনিময়

    করোনা : প্রশাসনের মতবিনিময়

    করোনো ভাইরাস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে আজ শনিবার থেকেই সর্বোচ্চ শক্তি নিয়ে মাঠে নামছে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, স্বাস্থ্য বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সমন্বয়ে গঠিত টিম। ইতোমধ্যে জেলায় সকল গণজমায়েত নিষিদ্ধ ও পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। হোম কোয়ারেন্টাইনে না থেকে প্রকাশ্যে ঘোরাঘুরি করায় ১৮টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এছাড়া করোনো ভাইরাসকে ইস্যু করে অসাধু ব্যবসায়ীরা নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি ও কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের ৪৫টি অভিযানের মাধ্যমে তাদের শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে। সীমান্তেও বাড়ানো হয়েছে নজরদারি।
    শুক্রবার রাত ৮টায় সাতক্ষীরা সার্কিট হাউজে জেলা প্রশাসন আয়োজিত করোনো ভাইরাস প্রতিরোধে জরুরী মতবিনিময় ও পর্যালোচনা সভায় জেলা করোনো ভাইরাস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কমিটির পক্ষ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
    সভায় আরও জানানো হয়, সংক্রমণ প্রতিরোধে বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতে জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে গঠিত টিম সার্বক্ষণিক কাজ করছে। তথ্য অনুযায়ী ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
    সভায় জানানো হয়, ১৯ মার্চ সম্প্রতি বিদেশ থেকে সাতক্ষীরায় আসা মানুষের তালিকা হাতে পাওয়া গেছে। এই তালিকা অনুযায়ী ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগ বিদেশ ফেরত মানুষদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করতে মাঠে নেমেছে। ইতোমধ্যে বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের শরীরে সিল মারার কাজও শুরু হয়েছে।
    সভায় জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন শাফায়াত, ৩৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল খন্দকার গোলাম মহিউদ্দিনসহ অংশগ্রহণকারী সাংবাদিকবৃন্দ তাদের মতামত তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।
    সভায় জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল বলেন, সরকারি নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও অনেক জায়গায় ওয়াজ মাহফিল, নামযজ্ঞ, কীর্তনসহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান আয়োজনের খবর পাওয়া যাচ্ছে। ইতোমধ্যে কঠোর হস্তক্ষেপে তা বন্ধ করা হয়েছে। এছাড়া ব্যাপক হারে মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। যাতে মানুষ সচেতন হয়। জ¦র-সর্দি-কাশিসহ সংশ্লিষ্ট উপসর্গ থাকলে তাদের মসজিদে নামাজ না পড়তে যাওয়ার জন্য ব্যাপকভাবে প্রচার করা হচ্ছে। তিনি বলেন, যেখানে উৎপত্তি সেই চিনেই করোনো ভাইরাসের সংক্রমণ কমে এসেছে। তারা নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছে। আর একটু সচেতন হয়ে বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে পারলে মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আমরাও অবশ্যই এই মহামারী থেকে সাতক্ষীরাকে রক্ষা করতে পারবো। এজন্য সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।

  • এস এম মোস্তফা কামাল'র নির্দেশে গতরাতে সাতক্ষীরা জেলার প্রতিটি উপজেলায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতামূলক অভিযান পরিচালনা

    জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, এস এম মোস্তফা কামাল মহোদয়ের নির্দেশে গতরাতে সাতক্ষীরা জেলার প্রতিটি উপজেলায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতামূলক  অভিযান পরিচালনা করা হয়। প্রতিটি উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং সহকারী কমিশনারদের নেতৃত্ব বাজার মনিটরিং করা হয়, করোনা প্রতিরোধে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ হয় এবং হোম কোয়ারেন্টিন অমান্য করায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা আদায়ের পাশাপাশি হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা হয়।
    ভারত থেকে আসা এক ব্যক্তির হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ইন্দ্রজিৎ সাহা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন এবং সচেতনতা মূলক লিফলেট বিতরণ করেন।
    সাতক্ষীরার সদর উপজেলার লাবসা ইউনিয়নের কৈখালী গ্রামের সৌদি আরব ফেরত প্রবাসী, মো: আব্দুল গাফফার এবং মালয়েশিয়া ফেরত প্রবাসী মোঃ আব্দুল বারী হোম কোয়ারেন্টিনে না থাকায় এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জুবায়ের হোসেন মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে প্রবাসীদের জরিমানা করেন এবং হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করেন।সেইসাথে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করেন।
    তালা উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিদেশ থেকে প্রত্যাগত ব্যক্তিদের হোন কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন এবং মানুষকে সচেতন করতে লিফলেট বিতরণ করেন।
    আশাশুনি উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিদেশ থেকে প্রত্যাগত ব্যক্তিদের হোন কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন, সচেতনতা মূলক প্রচারনা করেন এবং লিফলেট বিতরণ করেন। ইউপজেলা নির্বাহী অফিসার জুম্মার নামাযের পর সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করেন।
    কালিগঞ্জ উপজেলায় মোবাইল কোর্টের এবং লিফলেট বিতরণের পাশাপাশি করোনা সম্পর্কিত সমন্বয়ের কাজ দ্রুত, সুচারু এবং সফলভাবে করার জন্য কাজিগঞ্জ উপজেলায়
     উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে Kaliganj Corona Fighting Team নামে একটি ফেসবুক দল অনলাইনে কাজ করে যাচ্ছে।
    দেবহাটা উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার বাজার মনিটরিং করে কয়েকজন অসাধু ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেন এবং করোনা প্রতিরোধে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করেন।
    কলারোয়া উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার সচেতনতা মূলক প্রচারনা, লিফট বিতরণ এবং হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন।
    আজ সকালে বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ইন্দ্রজিৎ সাহা দ্রব্যমূল্যের স্থিতিশীলতা রক্ষায় সুলতানপুর বড় বাজারে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১০,০০০ টাকা জরিমানা করেন।
    সাতক্ষীরা জেলাতে ইতোমধ্যে সকল ট্যুরিজম স্পট বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ও মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নে সচেতনতা মূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। শ্যামনগর উপজেলায় বাজার মনিটরিং এর জন্য তিন সদস্যের একটি টিম গঠন করা হয়েছে এবং সকল চায়ের দোকান (টি স্টল) বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
    কালিগঞ্জ উপজেলার বাশতলা বাজারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে ৩৭০০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন এবং মাইকে সচেতনতামূলক প্রচারণা করেন। 
    পুরো সাতক্ষীরা জেলা ব্যাপী করোনা প্রতিরোধে সচেতনতামূলক মাইকিং করা হচ্ছে, মসজিদে মসজিদে মাইকিং অব্যাহত আছে। সকল অফিসার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে এবং যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে মানষিক ভাবে প্রস্তুত আছে।