Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
প্রশাসন Archives - Page 5 of 15 - Daily Dakshinermashal

Category: প্রশাসন

  • সাতক্ষীরায় যাওয়া-আসা বন্ধে শপথ পড়ালো প্রশাসন করোনা মুক্ত রাখতে প্রশানের প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারী,

    সাতক্ষীরায় যাওয়া-আসা বন্ধে শপথ পড়ালো প্রশাসন করোনা মুক্ত রাখতে প্রশানের প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারী,

    স্টাফ রিপোটার ঃ সাতক্ষীরা জেলাকে করোনা মুক্ত রাখতে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারী করা হয়েছে। করোনা আক্রান্ত যে সমস্থ জেলা ইতিমধ্যে লকডাউন ঘোষনা করা হয়েছে সে সমস্ত জেলা থেকে কেউ যাতে করোনা ভাইরাস বহন করে এ জেলায় না আসেন সে জন্য জেলার প্রবেশদ্বানে বসানো চেকপোষ্টসহ বিভিন্ন স্থানে আইসশৃখংলা বাহিনীর নজরদারী বাড়ানো হয়েছে। এ জেলার প্রবেশদ্বারে বসানো চেকপোস্টসহ বিভিন্ন স্থানে চলছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা। বিশেষ করে যারা সাতক্ষীরার বাহিরে থেকে এ জেলায় কিংবা এ জেলা থেকে বাহিরের জেলায় গিয়ে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করেন, তাদের ইমিমধ্যে যাতায়াত বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। তাদেরকে স্ব-স্ব কর্মস্থলে থাকার জন্য বলা হয়েছে। অন্যথায় কোন চেকপোস্ট ও পুলিশি টহলে পড়লে তাকে প্রয়োজনীয় আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে ঘোষনাও দিয়েছেন সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার। আর এ জন্য জেলার প্রতিটি প্রবেশদ্বারে বসানো চেকপোষ্ট গুলোকে আরো নজরদারী বাড়ানো হয়েছে।
    ইতিমধ্যে, জেলার প্রবেশদ্বার তালা উপজেলার সুভাষিনী এলাকায় পুলিশি চেকপোষ্টে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে কর্মরত এক জন ডাক্তারসহ কমপক্ষে ৭/৮জন সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্টানে কর্মরত চাকুরীরতদের খুলনা থেকে সাতক্ষীরায় আসার পথে গতিরোধ করা হয়। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায় তারা প্রতিদিন খুলনা থেকে সাতক্ষীরায় কর্মস্থলে আসেন। পরে তাদের স্ব-স্ব কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করে তারা যাতে আর এভাবে না আসেন সে জন্য তাদের শপথ করান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান। এরপর তাদেরকে ফেরত পাঠানো হয়।
    সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত সবাইকে স্ব-স্ব কর্মস্থলে থেকে দায়িত্ব পালন করার জন্য অনুরোধ করা হলো।

  • কোভিড-19 পরিস্থিতি  নিয়ে জেলা প্রশাসক, সাতক্ষীরা

    কোভিড-19 পরিস্থিতি নিয়ে জেলা প্রশাসক, সাতক্ষীরা

    সম্মানিত জেলাবাসী,

    আপনারা হয়তো জেনেছেন সাতক্ষীরা জেলার সদরে একজন করোনা রোগী সনাক্ত হয়েছে।  তিনি করোনা আক্রান্ত যশোরের শার্শা উপজেলা হাসপাতালে চাকরি করতেন এবং সাতক্ষীরা থেকে যাতায়াত করতেন। গতকাল যশোরে পরীক্ষার জন্য নমুনা দিয়ে সাতক্ষীরা চলে আসেন।  আজ সকালে তার করোনা পজিটিভ হয়েছে মর্মে সিভিল সার্জন আমাকে জানিয়েছেন। আমি  আক্রান্তের সাথে কথা বলেছি।  সে যেন মানসিকভাবে চাঙা থাকে দুশ্চিন্তা না করে বা নিজেকে দোষারোপ না করে সে পরামর্শ দিয়েছি। বলেছি তোমার পাশে আছি। তুমি দ্রুত আরোগ্য লাভ করবা। ইতোমধ্যে ঐ বাড়িসহ তার সংস্পর্শে যারা এসেছেন তাদের চিহ্নিত করে লকডাউন করা হয়েছে।  যেহেতু তিনি  একটি আক্রান্ত জেলায় হাসপাতালে চাকরি করতেন সে কারণে তার আক্রান্ত হওয়া খুব স্বাভাবিক। তদুপরি আমি সিভিল সার্জনকে অনুরোধ করেছি দ্রুততম সময়ের মধ্যে ঢাকা  বা খুলনায় তার পুনরায় পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে। 

     প্রিয় জেলাবাসী এ সংবাদে আতঙ্কিত না হয়ে অধিক সতর্ক হওয়ার জন্য  অনুরোধ করছি।  মনে রাখতে হবে  বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে পৃথিবীর অধিকাংশ দেশ আজ আক্রান্ত বাংলাদেশের প্রায় সব জেলা আক্রান্ত হয়েছে।  তবে  এটা ঠিক  আমরা সম্মিলিতভাবে প্রচেষ্টা নেওয়ার পরও অসচেতনতার জন্য আজ আমরা এমন সংবাদের মুখোমুখি। আমাদেরকে আরো সমন্বিতভাবে কার্যকর উদ্যোগের মাধ্যমে করোনা মোকাবিলা করতে হবে।  আমি  সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানাই। আইডিসিআর কি বলে এবং কিভাবে চিহ্নিত করে  তা দেখে আমরা  পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে আপনাদের অবহিত করবো।

    জেলা প্রশাসক

    সাতক্ষীরা

  • জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ  ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দ সদা গতিশীল

    জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দ সদা গতিশীল

    পবিত্র মাহে রমযান উপলক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির বাজারমূল্য মনিটরিং ও নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দ সদা গতিশীল রয়েছে। সবাই মাহে রমজানের পবিত্রতার রক্ষার পাশাপাশি নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন

  • সাকসেস স্টোরি : সাতক্ষীরানো প্রফিট নো লস ভ্রাম্যমাণ বাজার চালুকরণ

    করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণে সাতক্ষীরা জেলার প্রতিটি পৌরসভায় ওয়ার্ডভিত্তিক এবং ইউনিয়নভিত্তিক ভ্রাম্যমান বাজার চালু করা হয়েছে। মূলত জনগণের দোরগোড়ায় বাজার পৌঁছে দেয়ার অঙ্গীকার নিয়ে চালু হয়েছে এই ভ্রাম্যমাণ বাজার। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গত ১২ এপ্রিল থেকে এই ভ্রাম্যমান বাজার শুরু হলেও বর্তমানে প্রতিটি ওয়ার্ড ও ইউনিয়নে এ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এছাড়া সাতক্ষীরা জেলার প্রতিটি বাজারকে স্থানীয় মাঠ বা খোলা জায়গায় স্থানান্তর করা হয়েছে। 

    করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের সংকটকালীন সময়ে বাজারে জনসমাগম কমাতে জেলা প্রশাসন সাতক্ষীরার নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় প্রতিদিন সকাল আটটা থেকে চালু হয় ভ্রাম্যমাণ বাজার। শহরের সিটি কলেজ মোড় হয়ে খুলনা মোড়, চায়না বাংলা শপিং মল, সংগীতার মোড়, ইটাগাছা মোড়, রাজ্জাক পার্ক, পুরাতন সাতক্ষীরা অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানে প্রতিদিন এক ঘণ্টা করে অবস্থান করে এই বাজার। চাল ,ডাল, আলু, পিয়াজ, তেল, মরিচসহ সকল স্থানীয় উৎপাদিত সবজি সুলভ মুল্যে পাওয়া যায়। নো প্রফিট নো লস ধারণাকে সামনে নিয়ে বাজার থেকে কেনা মূল্যে বিক্রয় করা হয় সকল পণ্য। এই উদ্যোগকে মডেল বিবেচনায় জেলার সকল উপজেলা, পৌরসভা ভ্রাম্যমান বাজার চালু করেছে। এছাড়াও সাতক্ষীরা শহরের বড় বাজারের কাঁচা বাজার অংশকে স্থানীয় পিটিআই মাঠে স্থানান্তর করা হয়েছে।  প্রতিটি দোকানের চারিদিকে চুন দিয়ে চিহ্নিত করে দেওয়া হয়েছে এবং ৩ ফুট দূরত্বে গোলাকার চিহ্নের মাধ্যমে সামাজিক দূরত্ব নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।

    সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে পাঁচটি করে ভ্রাম্যমাণ বাজার চালু করা হয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও প্রতিটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দিকনির্দেশনায় এ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মাছখোলা ও ব্রহ্মরাজপুর বাজার কে স্থানীয় স্কুল মাঠে স্থানান্তর করা হয়েছে। 

    তালা উপজেলায় ২৫ টি বাজারকে স্থানীয় মাঠে স্থানান্তর করা হয়েছে। এছড়াও, প্রতিটি ইউনিয়নে ভ্রাম্যমান বাজার চালু করা হয়েছে।

    সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে ভ্রাম্যমাণ বাজার চালু করা হয়েছে। এছাড়া ফেসবুকভিত্তিক  কালিগঞ্জ অনলাইন ফ্রেশ মিট এন্ড ফিস মার্কেট চালু করা হয়েছে। উপজেলার প্রতিটি দোকানকে ফেসবুকভিত্তিক এফ কমার্স সুবিধা চালু করার জন্য উৎসাহিত করা হয়েছে। কালীগঞ্জের স্থানীয় প্রোডাক্ট দুধ ডিম কাঁচা সবজি ইত্যাদি উৎপাদন ও বিক্রি সচল রাখতে কালিগঞ্জ অনলাইন শপ পেজের মাধ্যমে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার ব্যবস্থাপনায় ফোনেও ফেসবুকে অর্ডার নিয়ে ১০৫ টি ভ্যান এর মাধ্যমে বিভিন্ন পণ্য মানুষের বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।

    দেবহাটা উপজেলায় সাতটি বড়বাজারকে স্থানীয় খোলা জায়গায় স্থানান্তর করা হয়েছে। প্রতিটি দোকানের সামনে তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং রং বা চুনের মাধ্যমে ক্রেতাকে দাঁড়ানোর জন্য গোলাকার চিহ্ন করা হয়েছে। এছাড়াও দেবহাটা উপজেলার সবকটি ইউনিয়নে এ ভ্রাম্যমাণ বাজার চালু করা হয়েছে। 

    সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলায় প্রতিটি ইউনিয়নে প্রতিটি ওয়ার্ডে ভ্রাম্যমাণ বাজার চালু করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপজেলায় কর্মরত কর্মকর্তাদের থেকে ট্যাগ অফিসার নিয়োগ করার মাধ্যমে প্রতিটি বাজার মনিটরিং করছেন। 

    শ্যামনগর উপজেলায় সবকয়টি বাজারকে স্থানীয় খোলা স্থানে স্থানান্তর করা হয়েছে এবং প্রতিটি ইউনিয়নে পাঁচটি করে ভ্রাম্যমাণ বাজার চালু করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিষয়টি তদারক করছেন।

    এমনিভাবে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় দোড়গোড়ায় বাজারসেবা পাচ্ছেন সাতক্ষীরার সকল প্রান্তের সাধারণ মানুষ। 

  • সাতক্ষীরায় চলছে সেনাবাহিনী ও পুলিশসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর টহল, জেলায়  ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত ২০ লক্ষাধিক টাকা জরিমানা,

    সাতক্ষীরায় চলছে সেনাবাহিনী ও পুলিশসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর টহল, জেলায় ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত ২০ লক্ষাধিক টাকা জরিমানা,

    স্টাফ রিপোটারঃ সাতক্ষীরায় করোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় জনসমাগম কমিয়ে সাধারণ মানুষকে ঘরে ফেরাতে জেলাব্যাপী অভিযান চালাচ্ছে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র‌্যাবসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা। চলছে মাইকিং, ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান ও দেয়া হচ্ছে জীবাণুনাশক স্প্রে। বসানো হয়েছে শহরের বিভিন্ন প্রবেশদ্বারে চেকপোষ্ট। এতকিছুর পরও সাধারন মানুষ যেন কোন বাধাই মানতে চাচ্ছেননা। প্রতিদিনই তারা বিভিন্ন অজুহাতে ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন। আজও শহরের বিভিন্ন সড়কে সাধারন মানুষকে সামাজিক দূরত্ব না মেনে চলাচল করতে দেখা গেছে।
    এদিকে, সামাজিক দূরত্ব না মেনে অহেতুক ঘোরাঘুরি ও সন্ধ্যা ৬ টার পরে দোকান খোলা রাখার অপরাধে জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ২৫ জনকে ১৫ হাজার ৬০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জেলার বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে আজ ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৯৪৮ টি মামলায় প্রায় ২০ লক্ষাধিক টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

  • জেলায় ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ ৮৫০ মে. টন চাল এবং ৪২ লক্ষ টাকা

    জেলায় ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ ৮৫০ মে. টন চাল এবং ৪২ লক্ষ টাকা

    জেলার প্রতিটি উপজেলায় ইউনিয়ন ভিত্তিক দুস্থ ও সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের বাইরে থাকা গরীব মানুষের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। তালিকা অনুযায়ী বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্যসামগ্রী পৌছে দেয়া হচ্ছে। ত্রাণসামগ্রী বিতরণের ক্ষেত্রে নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া মোট বরাদ্দ থেকে ইতোমধ্যে উপজেলা, পৌরসভার অনুকূলে ৮৫০ মে: টন চাল এবং ৪২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ রয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌরসভার মেয়রগণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের মাধ্যমে তালিকা প্রস্তুত করে এই ত্রাণ সহায়তা কর্মহীন হয়ে পড়া দুস্থ অসহায় মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছেন। ইতোমধ্যে উপজেলা ও পৌরসভার ৬২৫০০ পরিবারের মাঝে সরকারি ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। সকল সরকারি ত্রাণ বিতরণের ক্ষেত্রে সকলকে ব্যাগের গায়ে ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার’ কথাটি লিখে দেয়া হচ্ছে।
    সাতক্ষীরা জেলায় বরাদ্দকৃত ত্রাণ সহায়তা উপজেলা ও পৌরসভা ওয়ারী বন্টন করে দেয়া হয়েছে। সাতক্ষিরা সদর উপজেলায় ১৩৬ মেট্রিকটন চাল ও নগদ ৬,০৩,৫০০ টাকা, কলারোয়া উপজেলায় ৯২ মেট্রিকটন চাল ও নগদ ৪,৩০,০০০ টাকা, তালাউপজেলায় ১০৫ মেট্রিকটনচাল ও নগদ ৪,৭৪,০০০ টাকা, আশাশুনিউপজেলায় ৯৭ মেট্রিকটনচাল ও নগদ ৪,৮৪,০০০ টাকা, দেবহাটাউপজেলায় ৬৬ মেট্রিকটনচাল ও নগদ ৩,৩৭,০০০ টাকা, কালিগঞ্জউপজেলায় ৯৬ মেট্রিকটনচাল ও নগদ ৪,৬১,৫০০ টাকা, শ্যামনগরউপজেলায় ১১৬ মেট্রিকটনচাল ও নগদ ৫,৩৫,০০০ টাকা, সাতক্ষীরাপৌরসভা ১০৮ মেট্রিকটনচাল ও নগদ ৪,৯৭,০০০ টাকা এবং কলারোয়া পৌরসভা ৩৪ মেট্রিকটনচাল ও নগদ ১,২৮,০০০ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
    জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল বলেন, সরকারি ত্রাণের তালিকা এবং বিতরণে অনিয়ম স্বজনপ্রীতি ও দুর্র্নীতি হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং দুর্নীতি দমন আইনে মামলা করা হবে। এছাড়া, দোকান খুলে দেয়ার কথা বলে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী দোকানদারদের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিচ্ছেন তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঘরে থাকুন, বার বার সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন, নিরাপদে থাকুন। আপনি ঘরে থাকলে ভালো থাকবে আপনার পরিবার, ভালো থাকবে জাতি, ভালো থাকবে দেশ। জনস্বার্থে সকল কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

  • ঘরে থাকা শিক্ষার্থীদের নিয়ে জেলা প্রশাসনের নানা আয়োজন

    সাতক্ষীরা জেলার ঘরে থাকা স্কুল, কলেজ শিক্ষার্থীদের জন্য গ্রুপভিত্তিক রচনা, গল্প, কবিতা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীর নাম, শ্রেণি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মোবাইল নাম্বারসহ তাদের লেখা আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে dcsatkhira1984@gmail.com  এই মেইল ঠিকানায় পাঠাতে পারবেন। লেখার বিষয় ছাত্র-ছত্রীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

  • জেলা প্রশাসকের ত্রাণ তহবিলে জেলা প্রশাসকের ঈদ বোনাস, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ১ দিনের বেতন সমপরিমান অর্থ, জেলা কৃষি বিভাগ তাদের ১ দিনের বেতন সমপরিমান অর্থ প্রদান

    সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর অফিসে ত্রাণ তহবিল খোলা হয়েছে। জেলা প্রশাসকের ত্রাণ তহবিলে জেলা প্রশাসকের ঈদ বোনাস, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ১ দিনের বেতন সমপরিমান অর্থ, জেলা কৃষি বিভাগ তাদের ১ দিনের বেতন সমপরিমান অর্থ ত্রাণ তহবিলে আর্থিক সাহায্য হিসেবে প্রদান করেছেন।

  • বাস শ্রমিকদের মাঝে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল হতে খাদ্য সহায়তা প্রদান

    বাস শ্রমিকদের মাঝে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল হতে খাদ্য সহায়তা প্রদান

    করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবে সংকটকালীন সময়ে বাস-মালিক সমিতির শ্রমিকদের মাঝে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল হতে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এর অংশ হিসেবে বাস মালিক সমিতির শ্রমিক ৫০০ জনকে সহায়তা প্রদান করা হয়। উক্ত খাদ্য সহায়তা বিতরণে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা-২ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। আরও উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলার জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল এবং পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, পিপিএম (বার)। জেলা প্রশাসক বলেন, পর্যায়ক্রমে নির্মাণ শ্রমিক ও সকল পরিবহন শ্রমিকদের সহায়তা প্রদান করা হবে। আগামীকাল অটোরিকশা চালকদের মাঝে ত্রাণ সহায়তা প্রদান করা হবে। উদ্বিগ্ন না হয়ে সচেতন থাকুন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করুন। যেহেতু করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) এর কোন প্রতিষেধক এখনও আবিষ্কৃত হয় নাই এবং দেশে এর সংক্রমণ প্রতিদিন বেড়েই চলেছে তাই সকলের সম্বলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে প্রতিরোধ করাই একমাত্র উপায়।

  • তালা উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে মতবিনিময়

    তালা উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে মতবিনিময়

    গতকাল সাতক্ষীরার তালা উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে “তালা উপজেলায় করোনা প্রতিরোধে ত্রাণ, স্বাস্থ্যসেবা এবং সামাজিক দূরত্ব বিষয়ক” মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক, এস এম মোস্তফা কামাল সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তালা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভূমি), ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ এবং দুই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। মতবিনিময় সভায় করোনা প্রতিরোধে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। উপজেলার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেন অবনতি না ঘটে এবং কোন গুজব যেন সৃষ্টি না হয় সে ব্যাপারে জেলা প্রশাসক সবাইকে সতর্ক থাকতে বলেন। ত্রাণ বিতরণে কোন অনিয়ম, দুর্নীতি ঘটলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে সবাইকে সাবধান করেন। চিকিৎসকদের পাশে সব সময় আছেন বলে জানান জেলা প্রশাসক। জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে স্থানীয় তহবিল গঠন করতে বলেন। জেলা পুলিশ, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছ্বাসেবী সংগঠন এবং এনজিও সহ সকলের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান জেলা প্রশাসক।

  • সাতক্ষীরায় সরকারী আদেশ অমান্য করায় ৬২,৮০০ টাকা জরিমানা আদায়

    সাতক্ষীরায় সরকারী আদেশ অমান্য করায় ৬২,৮০০ টাকা জরিমানা আদায়


    প্রেস নোট: সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখা ও সরকারি আদেশ অমান্য করে ৬ টার পর দোকান খোলা রাখা এবং বিনা প্রয়োজনে রাস্তায় ঘোরাঘুরি করার অপরাধে জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন অভিযানে সর্বশেষ তথ্যমতে এখন পর্যন্ত ৩৪ টি অভিযানে ৩৯ টি মামলায় ৬২,৮০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এর মধ্যে সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় ৫ টি মামলায় ১৪০০০ টাকা, তালা উপজেলায় ৩ টি মামলায় ১০৫০০ টাকা, দেবহাটা উপজেলায় ১ টি মামলায় ৫০০ টাকা, শ্যামনগর উপজেলায় ৮ টি মামলায় ২৮৮৫০ টাকা, আশাশুনি ৭ টি মামলায় ২২০০ টাকা, কলারোয়া উপজেলায় ৭ টি মামলায় ১৬০০ টাকা এবং জেলা প্রশাসনের ৮ মামলায় ৫২০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

  • জেলা প্রশাসকের করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে চলমান কার্যক্রমের বিষয়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তি

    জেলা প্রশাসকের করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে চলমান কার্যক্রমের বিষয়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তি

    প্রেস নোট

    আজ ১২ এপ্রিল সাতক্ষীরা জেলার প্রতিটি উপজেলায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতামূলক অভিযান পরিচালনা করা হয়। প্রতিটি উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং সহকারী কমিশনারদের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী, পুলিশ এবং আনসারের সমন্বয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এবং হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিতকরন ও অভ্যিান আরো জোরদার করা হয়েছে।
    গত ২-৩ দিনে নারায়নগঞ্জ, মাদারিপুর এবং শরিয়তপুর থেকে সেখানে ঘোষিত লক ডাউনের মধ্যেও ৩ হাজারের মত মানুষ সাতক্ষীরা জেলাতে এসেছে। এদের মধ্যে ৭৮৪ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে এবং ২০৫০ জনকে বাড়িতে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।
    নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, সেনাবাহিনী এবং আনসার ব্যাটালিয়নের সমন্বয়ে টহল জোরদার করা হয়েছে। সীমান্তে চেক পোস্ট বসানো হয়েছে। যে সকল মানুষ লক ডাউন ব উপেক্ষা করে বিভিন্ন জেলা থেকে সাতক্ষীরা জেলা সীমান্তে আসছে তাদেরকে ফিরিয়ে দেওয়া অমানবিক। যারা ফিরে আসছেন তাদের প্রাতিষ্ঠানিক এবং হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।
    এরপরও সরকারি আদেশ, নির্দেশ, উপেক্ষা করে মানুষ ঘর হতে বেরিয়ে আসছে। এর ফলে করোনা সংক্রমনের ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। সবাইকে সচেতন হতে হবে। ঘরে থাকতে হবে। অন্যকে সচেতন করতে হবে। ধৈর্য্য ধারণ করতে হবে। ফিরে আসা সকল মানুষের কোয়ারেন্টিন নিশ্চিতের পাশাপাশি তাদের সাথে মানবিক আচরণ করার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
    এছাড়া, তথ্য অধিদপ্তরের একটিসহ মোট ৩টি সচেতনতামূলক মাইকিং প্রতিনিয়ত করা হচ্ছে এবং শতভাগ হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দোকান ছাড়া অন্যসব দোকান বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। এ জেলাকে করোনা ঝুঁকি মুক্ত রাখতে জেলার সাথে পার্শ্ববর্তী জেলার সকল সীমান্ত এবং আন্ত: উপজেলা সীমান্ত জরুরী সেবা ব্যতীত (যেমনঃ রোগীবাহী গাড়ী, ঔষধ পণ্যবাহী গাড়ী ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মালামালবাহী গাড়ী) সকল প্রকার যানবাহন ও জনচলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এ আদেশ বহাল থাকবে। অমান্যকারীর বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
    গত ৬ এপ্রিল,২০২০ তারিখে ভারত থেকে থেকে আসার জন্য ১৩ জনকে সাতক্ষীরা যুব ভবনে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। জেলা প্রশাসক সার্বক্ষণিক তাদের খোজখবর নিচ্ছেন। জেলা প্রশাসন থেকে তাদের খাদ্য ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস সরবরাহ করা হচ্ছে। তারা সকলেই সুস্থ আছেন।
    সাতক্ষীরা থেকে করোনা টেস্টের জন্য এ পর্যন্ত ১৪৩ জনের নমুনা পাঠানো হয়েছে। ৯ জনের রিপোর্ট পাওয়া গেছে। আশার কথা হলো সবাই করোনা নেগেটিভ।
    করোনা পরিস্থিতিতে বিভিন্ন শেণি-পেশার মানুষ যারা ওয়ার্ড-ইউনিয়ন পর্যায়ে তালিকাভুক্ত হতে সংকোচবোধ করছে কিন্তু খাদ্য সংকট আছেন তাদের নাম, ঠিকানা এবং মোবাইল নাম্বারসহ এসএমএস এর মাধ্যমে সংগ্রহ করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসক নিজে তাদের সাথে যোগাযোগ করছেন। রাতে গোপনে তাদের বাড়িতে খাদ্যসামগ্রী পৌছে দেওয়া হচ্ছে। “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার” শিরোনামে ঘরে ঘরে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ মোটরসাইকেল দল। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মহোদয়ের মোবাইলে মেসেজের মাধ্যমে প্রাপ্ত ২৩ মধ্যবিত্ত পরিবারকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেয়া হয়েছে। সাতক্ষীরা শহরের কাটিয়া, আমতলা, মধুমালার ডাংগী, ব্রহ্মরাজপুর, ও কুখরালি বলফিল্ড এলাকার এ সকল পরিবারকে উপহার পৌঁছে দেয়া হয়। ইতিপূর্বে জেলা প্রশাসকের নম্বরে এসএমএস থেকে প্রাপ্ত ২৭৫টি পরিবারের মাঝে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
    প্রতিটি উপজেলায় ইউনিয়ন ভিত্তিক দুস্থ ও সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের বাহিরে থাকা গরীব মানুষের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। তালিকা অনুযায়ী বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্যসামগ্রী পৌছে দেয়া হচ্ছে। ত্রাণসামগ্রী বিতরণের ক্ষেত্রে নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয় থেকে পাওয়া মোট বরাদ্দ থেকে ইতোমধ্যে উপজেলা, পৌরসভার অনুকূলে ৬০০ টন চাল এবং ২০ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌরসভার মেয়রগণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের মাধ্যমে তালিকা প্রস্তুত করে এই ত্রাণ সহায়তা কর্মহীন হয়ে পড়া দুস্থ অসহায় মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছেন। ইতোমধ্যে উপজেলা ও পৌরসভার ৪২,৫০০ পরিবারের মাঝে সরকারি ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। সাতক্ষীরা জেলায় হিজড়া জনগোষ্ঠীর ৭০ জন সদস্যের সমাজ কল্যাণ তহবিল হতে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। সকল সরকারি ত্রাণ বিতরণের ক্ষেত্রে সকলকে ব্যাগের গায়ে “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার” কতাটি লিখে দেয়া হচ্ছে।

    সাতক্ষীরা জেলায় বরাদ্দকৃত ত্রাণ সহায়তা উপজেলা ও পৌরসভাওয়ারী বন্টন করে দেয়া হয়েছে। সাতক্ষিরা সদর উপজেলায় ৯১ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৪,৬৩,৫০০/- টাকা, কলারোয়া উপজেলায় ৬৭ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৩,৩০,০০০/- টাকা, তালা উপজেলায় ৭৩ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৩,৫৪,০০০/- টাকা, আশাশুনি উপজেলায় ৭২ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৩,৮৪,০০০/- টাকা, দেবহাটা উপজেলায় ৪৯ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ২,৫৭,০০০/- টাকা, কালিগঞ্জ উপজেলায় ৭১ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৩,৬১,৫০০/- টাকা, শ্যামনগর উপজেলায় ৮১ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৪,১৫,০০০/- টাকা, সাতক্ষীরা পৌরসভা ৭০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৩,৭৭,০০০/- টাকা এবং কলারোয়া পৌরসভা ২৬ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ১,০৮,০০০/- টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

    মসজিদে নামাজ ও জামায়াতের বিষয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা সর্বসাধারণের মধ্যে প্রচারের জন্য উপপরিচালক, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, সাতক্ষীরাকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রচারনা চালাচ্ছে।

    জেলা প্রশাসক জেলার জনপ্রতিনিধি মাননীয় সংসদ সদস্যবর্গের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে জেলার পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সাথে আলোচনা এবং পরামর্শ গ্রহণ করে করোনা মোকাবেলায় সর্বাত্মক কর্মসূচী বাস্তবাযন করে চলেছেন। এছাড়া, জেলা সদরের সিনিয়র সিটিজেনদের সাথে নিয়মিত ফোনে খোঁজ নিচ্ছেন এবং তাদেরকে ঘরের বাইরে না যেতে বিশেষ অনুরোধ করছেন।

    সরকারি ত্রাণের তালিকা এবং বিতরণে অনিয়ম স্বজনপ্রীতি ও দূর্ণীতি হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং দুর্নীতি দমন আইনে মামলা করা হবে। এছাড়া, দোকান খুলে দেয়ার কথা বলে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী দোকানদারদের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিচ্ছেন তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    ঘরে থাকুন, বার বার সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন, নিরাপদে থাকুন। আপনি ঘরে থাকলে ভালো থাকবে আপনার পরিবার, ভালো থাকবে জাতি, ভালো থাকবে দেশ।

    জনস্বার্থে সকল কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

  • সরকারি আদেশ অমান্য  করায়  জেলাতে   ২৭টি অভিযানে ৫৭টি মামলায় ২,২৪,৩০০ টাকা জরিমানা আদায়

    সরকারি আদেশ অমান্য করায় জেলাতে ২৭টি অভিযানে ৫৭টি মামলায় ২,২৪,৩০০ টাকা জরিমানা আদায়

    প্রেসনোট: সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখা ও সরকারি আদেশ অমান্য করে ৬টার পর দোকান খোলা রাখা এবং বিনা প্রয়োজনে রাস্তায় ঘোরাঘুরি করার অপরাধে জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন অভিযানে সর্বশেষ তথ্যমতে এখন পর্যন্ত ২৭টি অভিযানে ৫৭টি মামলায় ২,২৪,৩০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে, যা গতকালের প্রায় ৩ গুন। এর মধ্যে সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় ৫টি মামলায় ২৪০০ টাকা, তালা উপজেলায় ১টি মামলায় ৩০০০০ টাকা, কালিগঞ্জ উপজেলায় ২টি মামলায় ৪০০০ টাকা, শ্যামনগর উপজেলায় ১৮টি মামলায় ১,৪৮,৫০০ টাকা, আশাশুনি ১০টি মামলায় ৪২০০ টাকা, কলারোয়া উপজেলায় ৫টি মামলায় ২৪০০ টাকা এবং জেলা প্রশাসনের ১৪ মামলায় ৩৩,৮০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

  • জেলা প্রশাসক পক্ষ হতে জেলার প্রতিটি উপজেলায় ও শহরের করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে,   সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য  বিভিন্ন স্থানে অভিযান ও সচেতনতা কাযক্রম অব্যাহত রয়েছে

    জেলা প্রশাসক পক্ষ হতে জেলার প্রতিটি উপজেলায় ও শহরের করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান ও সচেতনতা কাযক্রম অব্যাহত রয়েছে

    প্রস নোট :
    শনিবার সাতক্ষীরা জেলার প্রতিটি উপজেলায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতামূলক অভিযান পরিচালনা করা হয়। প্রতিটি উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং সহকারী কমিশনারদের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী, পুলিশ এবং আনসারের সমন্বয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান ও সচেতনতা কাযক্রম অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া, তথ্য অধিদপ্তরের একটিসহ মোট ৩টি সচেতনতামূলক মাইকিং প্রতিনিয়ত করা হচ্ছে এবং শতভাগ হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দোকান ছাড়া অন্যসব দোকান বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।

    দেশের কয়েকটি জেলায় করোনা রোগী সনাক্ত হওয়ায় ও বিভিন্ন জেলা লক ডাউন ঘোষণার প্রেক্ষিতে ঐ সকল জেলাতে কর্মরত লোকজন নিজ নিজ জেলায় ফিরতে চেষ্টা করছে। এর প্রেক্ষিতে সাতক্ষীরা জেলাতে সাম্প্রতিক সময়ে প্রায় ২ হাজারের মত মানুষ অন্য জেলা থেকে এসেছে। এর মধ্যে নারায়নগঞ্জ থেকে আগত ৮ জনকে দেবহাটা উপজেলায় বাড়িতে কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে। কালিগঞ্জ উপজেলায় ৩৯১ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। আশাশুনি উপজেলায় ১০২ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে এবং ৫৫০ জনকে বাড়িতে কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা হয়েছে। বিভিন্ন জেলা থেকে আগত ১০০ জনকে বড়দল ইউনিয়নে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে। শ্যামনগর উপজেলায় ২৮৭ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে, ১৫০০ জনকে বাড়িতে কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা হয়েছে। এখনও যারা কোয়ারেন্টিনের বাহিরে আছে তাদেরকে চেকপোস্ট বসিয়ে কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করার চেষ্টা চলছে। তদুপরি, এ জেলাকে করোনা ঝুঁকি মুক্ত রাখতে জেলার সাথে পার্শ্ববর্তী জেলার সকল সীমান্ত এবং আন্ত: উপজেলা সীমান্ত জরুরী সেবা ব্যতীত (যেমনঃ রোগীবাহী গাড়ী, ঔষধ পণ্যবাহী গাড়ী ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মালামালবাহী গাড়ী) সকল প্রকার যানবাহন ও জনচলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এ আদেশ বহাল থাকবে। অমান্যকারীর বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    সাতক্ষীরা শহরে এবং প্রতিটি উপজেলায় রাস্তায় রাস্তায় জীবাণু নাশক স্প্রে করা হচ্ছে। মেশিনের মাধ্যমে রাস্তায় পানি ছিটানো অব্যাহত আছে। জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় ১০০০ লিটারের ২টি পানির ট্যাংকের মাধ্যমে প্রতিদিন জীবানু নাশক স্প্রে করা হচ্ছে।

    গত ৬ এপ্রিল,২০২০ তারিখে ভারত থেকে থেকে আসার জন্য ১৩ জনকে সাতক্ষীরা যুব ভবনে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। জেলা প্রশাসক সার্বক্ষণিক তাদের খোজখবর নিচ্ছেন। জেলা প্রশাসন থেকে তাদের খাদ্য ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস সরবরাহ করা হচ্ছে।

    সাতক্ষীরা থেকে করোনা টেস্টের জন্য এ পর্যন্ত ১২০ জনের নমুনা পাঠানো হয়েছে। ৯ জনের রিপোর্ট পাওয়া গেছে। আশার কথা হলো সবাই করোনা নেগেটিভ।

    গত সাত দিনে ঢাকা, নারায়নগঞ্জ, মাদারিপুর ও শরিয়তপুর থেকে ৩ হাজারের মত মানুষ সাতক্ষীরাতে এসেছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের তথ্যমতে এর মধ্যে ৭০৪ জন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এবং বাকিরা নিজ বাড়িতে হোম কোয়ারিন্টাইনে রয়েছেন। আমাদের তথ্যমতে, আজও সাতক্ষীরায় মানুষ ফিরছে। এ সকল মানুষকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন ও হোম কোয়ারেন্টাইন এর জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

    প্রতিটি উপজেলায় ইউনিয়ন ভিত্তিক দুস্থ ও সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের বাহিরে থাকা গরীব মানুষের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। তালিকা অনুযায়ী বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্যসামগ্রী পৌছে দেয়া হচ্ছে। ত্রাণসামগ্রী বিতরণের ক্ষেত্রে নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয় থেকে পাওয়া মোট বরাদ্দ থেকে ইতোমধ্যে উপজেলা, পৌরসভার অনুকূলে ৬০০ টন চাল এবং ২০ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌরসভার মেয়রগণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের মাধ্যমে তালিকা প্রস্তুত করে এই ত্রাণ সহায়তা কর্মহীন হয়ে পড়া দুস্থ অসহায় মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছেন। ইতোমধ্যে উপজেলা ও পৌরসভার ৪২,৫০০ পরিবারের মাঝে সরকারি ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। সাতক্ষীরা জেলায় হিজড়া জনগোষ্ঠীর ৭০ জন সদস্যের মধ্যে ১০ কেজি চাল, ৫ কেজি আলু, ১ কেজি ডাল, ১ কেজি লবন, ১ লিটার তৈল এবং একটি সাবানের প্যাকেজ সমাজ কল্যাণ তহবিল হতে বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া, শিশু খাদ্যের জন্য সরকারের দেয়া ৪ লক্ষ টাকায় উপজেলায় এবং পৌরসভার অনুকূলে উপবরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সকল সরকারি ত্রাণ বিতরণের ক্ষেত্রে সকলকে ব্যাগের গায়ে “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক খাদ্য সহায়তা” কতাটি লিখে দিতে হবে।

    উপজেলাওয়ারী বরাদ্দকৃত ত্রাণ সহায়তাঃ

    উপজেলা বরাদ্দকৃত চাল (মেঃ টন) বরাদ্দকৃত নগদ অর্থ (টাকা)
    সাতক্ষীরা সদর ৯১ ৪৬৩৫০০

    কলারোয়া ৬৭ ৩৩০০০০

    তালা ৭৩ ৩৫৪০০০

    আশাশুনি ৭২ ৩৮৪০০০

    দেবহাটা ৪৯ ২৫৭০০০

    কালিগঞ্জ ৭১ ৩৬১৫০০

    শ্যামনগর ৮১ ৪১৫০০০

    সাতক্ষীরা পৌরসভা ৭০ ৩৭৭০০০

    কলারোয়া পৌরসভা ২৬ ১০৮০০০ মোট ৬০০ ৩০,৫০,০০০

    করোনা পরিস্থিতিতে বিভিন্ন শেণি-পেশার মানুষ যারা ওয়ার্ড-ইউনিয়ন পর্যায়ে তালিকাভুক্ত হতে সংকোচবোধ করছে কিন্তু খাদ্য সংকট আছেন তাদের নাম, ঠিকানা এবং মোবাইল নাম্বারসহ এসএমএস এর মাধ্যমে সংগ্রহ করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসক নিজে তাদের সাথে যোগাযোগ করছেন। রাতে গোপনে তাদের বাড়িতে খাদ্যসামগ্রী পৌছে দেওয়া হচ্ছে। এ পর্যন্ত এ ধরনের ৩১৫ ব্যক্তিকে সরকারী ত্রাণ সহায়তা তাদের সামাজিক মর্যাদা রক্ষা করে বিতরণ করা হয়েছে। প্রতিদিন এ কার্যক্রম চলছে।

    উপজেলায় বিতরণের জন্য সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২ লক্ষ টাকার মাস্ক ক্রয় করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ৩১৪০০ মাস্ক মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।

    ইতোমধ্যে ডাক্তার, মেডিকেল স্টাফ এবং নার্সদের চলাচলের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক গাড়ি সরবরাহ করা হয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় একটি করে এম্বুলেন্স সার্বক্ষণিক রাখা হয়েছে। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৮৫০ টি পিপিই মজুত রয়েছে। এবং সিভিল সার্জন, সাতক্ষীরা ১০০০ পিপিই প্রতিটি উপজেলার বিভিন্ন স্বাস্থ্য কম্প্লেক্সে বিতরণ করেছেন।

    বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ এবং ব্যাটালিয়ন আনসার এর সহযোগিতায় ২০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতিদিন জেলা এবং উপজেলাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এবং হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিতকরন ও অভ্যিান অব্যাহত রয়েছে।

    জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন অভিযানে সর্বশেষ তথ্যমতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৪ টি মামলায় ৭৭৩০০ টাকা জরিমানাও আদায় করা হয়। এর মধ্যে সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় ১৭ টি মামলায় ১১৭০০ টাকা, তালা উপজেলায় ৩ টি মামলায় ২৫০০ টাকা, কালিগঞ্জ উপজেলায় ২ টি মামলায় ৩৬০০ টাকা, শ্যামনগর উপজেলায় ৮ টি মামলায় ৩৮,০০০ টাকা, দেবহাটা উপজেলায় ৪ টি মামলায় ১৮৫০০ টাকা, আশাশুনি ৮ টি মামলায় ২৬০০ টাকা, কলারোয়া উপজেলায় ২ টি মামলায় ৪০০ টাকা।

    মসজিদে নামাজ ও জামায়াতের বিষয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা সর্বসাধারণের মধ্যে প্রচারের জন্য উপপরিচালক, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, সাতক্ষীরাকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রচারনা চালাচ্ছে।

    এখন পর্যন্ত, করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবে সংকটকালীন সময়ে বাস- মালিক সমিতির শ্রমিকদের মাঝে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল হতে ১৭৯ জনকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সকল পরিবহন শ্রমিকদের সহায়তা প্রদান করা হবে। এছাড়া, সাতক্ষীরা শহরে ২০৭ জন চা বিক্রেতা ও ভ্যান চালকের মধ্যে সরকারি ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে।

    জেলা প্রশাসক জেলার জনপ্রতিনিধি মাননীয় সংসদ সদস্যবর্গের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে জেলার পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সাথে আলোচনা এবং পরামর্শ গ্রহণ করে করোনা মোকাবেলায় সর্বাত্মক কর্মসূচী বাস্তবাযন করে চলেছেন। এছাড়া, জেলা সদরের সিনিয়র সিটিজেনদের সাথে নিয়মিত ফোনে খোঁজ নিচ্ছেন এবং তাদেরকে ঘরের বাইরে না যেতে বিশেষ অনুরোধ করছেন।

    সরকারি ত্রাণের তালিকা এবং বিতরণে অনিয়ম স্বজনপ্রীতি ও দূর্ণীতি হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং দুর্নীতি দমন আইনে মামলা করা হবে। এছাড়া, দোকান খুলে দেয়ার কথা বলে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী দোকানদারদের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিচ্ছেন তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    ঘরে থাকুন, বার বার সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন, নিরাপদে থাকুন। আপনি ঘরে থাকলে ভালো থাকবে আপনার পরিবার, ভালো থাকবে জাতি, ভালো থাকবে দেশ।

    জনস্বার্থে সকল কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

  • সাতক্ষীরায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে অভিযান অব্যাহত

    সাতক্ষীরায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে অভিযান অব্যাহত


    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা জেলার প্রতিটি উপজেলায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতামূলক অভিযান পরিচালনা করা হয়। প্রতিটি উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং সহকারী কমিশনারদের নেতৃত্ব মানুষকে নিজ বাড়িতে রাখতে সচেতনতামূলক অভিযান পাশাপাশি মাইকিং করা হয় এবং শতভাগ হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দোকান ছাড়া অন্যসব দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়।
    সাতটি উপজেলায় সেনাবাহিনীর ৭টি টিমসহ জেলা সদরে পুলিশ এবং আনসারের সমন্বয়ে ৪টি টিম নিয়ে জেলা প্রশাসন এবং উপজেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেটগণ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত রেখেছেন। তথ্য অধিদপ্তরের একটি সহ মোট ৩টি সচেতনতামূলক মাইকিং অব্যাহত আছে। সবাইকে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার জন্যে অনুরোধ করা হচ্ছে। আপনি ঘরে থাকলে ভালো থাকবে আপনার পরিবার, ভালো থাকবে জাতি, ভালো থাকবে দেশ।
    আজ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সেনা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল, জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন, এবং সাতক্ষীরাতে দায়িত্বরত সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সমন্বয়ে এক জরুরী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত বৈঠকে করোনা পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে সাতক্ষীরাতে কী কী কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে সে বিষয়টি জেলা প্রশাসক তুলে ধরেণ। সিভিল সার্জন এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাদের কার্যক্রম তুলে ধরেন। সেনাবাহিনী পূর্বের ন্যায় এই দুর্যোগকালীন সময়ে মানুষের পাশে থাকার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
    দেশের কয়েকটি জেলায় করোনা রোগী সনাক্ত হওয়ায় ঐ সকল জেলাতে কর্মরত লোকজন নিজ নিজ জেলায় ফিরতে চেষ্টা করছে। এর প্রেক্ষিতে সাতক্ষীরা জেলাতে সাম্প্রতিক সময়ে প্রায় ২ হাজারের মত মানুষ অন্য জেলা থেকে এসেছে। এর মধ্যে নারায়নগঞ্জ থেকে আগত ৮ জনকে দেবহাটা উপজেলায় বাড়িতে কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে। আশাশুনি উপজেলায় ২৫০ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে এবং ৫৫০ জনকে বাড়িতে কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা হয়েছে। শ্যামনগর উপজেলায় প্রায় ১০০০ জন লোক অন্য জেলা থেকে এসেছে। এর মধ্যে ৫০ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে, ২০০ জনকে বাড়িতে কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা হয়েছে। বাকিদেরকে চেকপোস্ট বসিয়ে কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করার চেষ্টা চলছে। বৃহস্পতিবার দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এক অভিযানে ৭৩ জনকে নারায়নগঞ্জ থেকে আসার সময় আটক করে কালিগঞ্জ এবং শ্যামনগর উপজেলায় হস্তান্তর করেন।
    দেশের কয়েকটি জেলায় করোনা রোগী সনাক্ত হওয়ায় ঐ সকল জেলা লক ডাউন ঘোষণার প্রেক্ষিতে সেখানে কর্মরত লোকজন নিজ নিজ জেলায় ফিরতে চেষ্টা করছে। এ প্রেক্ষিতে সাতক্ষীরা জেলাকে করোনা ঝুঁকি মুক্ত রাখতে সাতক্ষীরা জেলার সাথে পার্শ্ববর্তী জেলার সকল সীমান্ত এবং আন্ত:উপজেলা সীমান্ত জরুরী সেবা ব্যতীত (যেমনঃ রোগীবাহী গাড়ী, ঔষধ পণ্যবাহী গাড়ী ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মালামালবাহী গাড়ী) সকল প্রকার যানবাহন ও জনচলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এ আদেশ বহাল থাকবে। অমান্যকারীর বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
    সাতক্ষীরা শহরে এবং প্রতিটি উপজেলায় রাস্তায় রাস্তায় জীবাণু নাশক স্প্রে করা হচ্ছে। মেশিনের মাধ্যমে রাস্তায় পানি ছিটানো অব্যাহত আছে। জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় ১০০০ লিটারের ২টি পানির ট্যাংকের মাধ্যমে প্রতিদিন জীবানু নাশক স্প্রে করা হচ্ছে।
    গত ৬ এপ্রিল,২০২০ তারিখে ভারত থেকে থেকে আসার জন্য ১৩ জনকে সাতক্ষীরা যুব ভবনে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে এবং ২ জনকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে আইসোলেসনে রাখা হয়েছে। জেলা প্রশাসক সার্বক্ষণিক তাদের খোঁজখবর নিচ্ছেন। তারা সকলেই সুস্থ আছেন। তাদের থাকা, খাওয়সহ সকল বিষয়ে জেলা প্রশাসক নিজে মনিটরিং করছেন।
    সাতক্ষীরা থেকে করোনা টেস্টের জন্য এপর্যন্ত ৯১ জনের নমুনা পাঠানো হয়েছে। ৮ জনের রিপোর্ট পাওয়া গেছে। আশার কথা হলো সবাই করোনা নেগেটিভ।
    প্রতিটি উপজেলায় ইউনিয়ন ভিত্তিক দুস্থ ও সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের বাহিরে থাকা গরীব মানুষের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। তালিকা অনুযায়ী বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্যসামগ্রী পৌছে দেয়া হচ্ছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয় থেকে পাওয়া মোট বরাদ্দ থেকে ইতোমধ্যে উপজেলা, পৌরসভার অনুকূলে ৪২৫ মেঃ টন চাল এবং ১৬ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌরসভার মেয়রগণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের মাধ্যমে তালিকা প্রস্তুত করে এই ত্রাণ সহায়তা কর্মহীন হয়ে পড়া দুস্থ অসহায় মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছেন। ইতোমধ্যে উপজেলা ও পৌরসভার ৩৯,৫০০ পরিবারের মাঝে সরকারি ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। সাতক্ষীরা জেলায় হিজড়া জনগোষ্ঠীর ৭০ জন সদস্যের মধ্যে ১০ কেজি চাল, ৫ কেজি আলু, ১ কেজি ডাল, ১ কেজি লবন, ১ লিটার তৈল এবং একটি সাবানের প্যাকেজ সমাজ কল্যাণ তহবিল হতে বিতরণ করা হয়েছে।
    শিশু খাদ্যের জন্য সরকারের দেয়া ২ লক্ষ টাকায় উপজেলায় এবং পৌরসভার অনুকূলে উপবরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
    জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলা ও উপজেলায় ৬০০ হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করা হয়েছে।
    করোনা পরিস্থিতিতে বিভিন্ন শেণি-পেশার মানুষ যারা ওয়ার্ড-ইউনিয়ন পর্যায়ে তালিকাভুক্ত হতে সংকোচবোধ করছে কিন্তু খাদ্য সংকট আছেন তাদের নাম, ঠিকানা এবং মোবাইল নাম্বারসহ এসএমএস এর মাধ্যমে সংগ্রহ করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসক নিজে তাদের সাথে যোগাযোগ করছেন। রাতে গোপনে তাদের বাড়িতে খাদ্যসামগ্রী পৌছে দেওয়া হচ্ছে। এ পর্যন্ত এ ধরনের ২৮০ ব্যক্তিকে সরকারী ত্রাণ সহায়তা তাদের সামাজিক মর্যাদা রক্ষা করে বিতরণ করা হয়েছে। প্রতিদিন এ কার্যক্রম চলছে।
    ত্রাণসামগী বিতরণের ক্ষেত্রে নিরাপদ সামিজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে ত্রাণসামগী বিতরণ করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে কেউ যদি সামিজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয় তাহলে যিনি বিতরণ করবেন তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
    উপজেলায় বিতরণের জন্য সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২ লক্ষ টাকার মাস্ক ক্রয় করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ৩১০০০ মাস্ক মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।
    ইতোমধ্যে ডাক্তার, মেডিকেল স্টাফ এবং নার্সদের চলাচলের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক গাড়ি সরবরাহ করা হয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় একটি করে এম্বুলেন্স সার্বক্ষণিক রাখা হয়েছে। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৮৫০ টি পিপিই মজুত রয়েছে। এবং সিভিল সার্জন, সাতক্ষীরা ১০০০ পিপিই প্রতিটি উপজেলার বিভিন্ন স্বাস্থ্য কম্প্লেক্সে বিতরণ করেছেন।
    বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ এবং ব্যাটালিয়ন আনসার এর সহযোগিতায় ২০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতিদিন জেলা এবং উপজেলাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এবং হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে। করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সম্পর্কে সচেতন থাকুন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন, নিজে নিরাপদ থাকুন, নিজ পরিবারকেও নিরাপদ রাখুন।
    জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন অভিযানে এখন পর্যন্ত ৪৪টি মামলায় ৫৯,০০০ টাকা জরিমানাও আদায় করা হয়। এর মধ্যে সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় ১৩ টি মামলায় ৬৬০০ টাকা, আশাশুনি উপজেলায় ৩টিমামলায় ২০০০ টাকা, কলারোয়া উপজেলায় ১টি মামলায় ৩০,০০০ টাকা, তালা উপজেলায় ১২ টি মামলায় ৬০০০ টাকা, কালিগঞ্জ উপজেলায় ২ টি মামলায় ২৫০০ টাকা,শ্যামনগর উপজেলায় ৪ টি মামলায় ৪০০ টাকা, দেবহাটা উপজেলায় ৯ টি মামলায় ১১৭০০ টাকা।
    মসজিদে নামাজ ও জামায়াতের বিষয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা সর্বসাধারণের মধ্যে প্রচারের জন্য উপপরিচালক, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, সাতক্ষীরাকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রচারনা চালাচ্ছে।
    করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবে সংকটকালীন সময়ে বাস- মালিক সমিতির শ্রমিকদের মাঝে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল হতে ১৭৯ জনকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।পর্যায়ক্রমে সকল পরিবহন শ্রমিকদের সহায়তা প্রদান করা হবে।
    জেলা প্রশাসক জেলার জনপ্রতিনিধি মাননীয় সংসদ সদস্যবর্গের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে জেলার পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সাথে আলোচনা এবং পরামর্শ গ্রহণ করে করোনা মোকাবেলায় সর্বাত্মক কর্মসূচী বাস্তবাযন করে চলেছেন।
    জেলা সদরের সিনিয়র সিটিজেনদের সাথে নিয়মিত ফোনে খোঁজ নিচ্ছেন এবং তাদেরকে ঘরের বাইরে না যেতে বিশেষ অনুরোধ করছেন।
    সরকারি ত্রাণের তালিকা এবং বিতরণে অনিয়ম স্বজনপ্রীতি ও দূর্ণীতি হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের হুশিয়ারী দিয়েছেন।
    কতিপয় ব্যক্তি ত্রাণ দেয়ার কথা বলে বিকাশ নম্বরে অন্যের কাছে সাহায্য চাইছেন মর্মে জানা গেছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তথ্য দিন।
    এমন শোনা যাচ্ছে দোকান খুলে দেয়ার কথা বলে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী দোকানদারদের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিচ্ছেন তাদেরকে চিহ্নিত করা হবে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
    সকলকে ধৈর্য ও সাহসের সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য আহবান জানিয়েছেন।
    ঘরে থাকুন, বার বার সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলুন, নিরাপদে থাকুন।
    জনস্বার্থে সকল কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

  • জেলার সকল সীমান্ত এবং আন্তঃউপজেলা সীমান্ত জরুরী সেবা ব্যতীত সকল প্রকার যানবাহন ও জনচলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা

    প্রেস নোট : দেশের কয়েকটি জেলায় করোনা রোগী সনাক্ত হওয়ায় ঐ সকল জেলা লক ডাউন ঘোষণার প্রেক্ষিতে সেখানে কর্মরত লোকজন নিজ নিজ জেলায় ফিরতে চেষ্টা করছে। এ প্রেক্ষিতে সাতক্ষীরা জেলাকে করোনা ঝুঁকি মুক্ত রাখতে সাতক্ষীরা জেলার সাথে পার্শ্ববর্তী জেলার সকল সীমান্ত এবং আন্তঃউপজেলা সীমান্ত জরুরী সেবা ব্যতীত (যেমনঃ রোগীবাহী গাড়ি, ঔষধ পণ্যবাহী গাড়ী ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মালামালবাহী গাড়ী) সকল প্রকার যানবাহন ও জনচলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এ আদেশ বহাল থাকবে। অমান্যকারীর বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  • জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামালের নেতৃত্বে  জেলা সদরসহ প্রতিটি উপজেলায়  সচেতনতামূলক অভিযান পরিচালনা  এবং শতভাগ হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা হচ্ছে

    জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামালের নেতৃত্বে জেলা সদরসহ প্রতিটি উপজেলায় সচেতনতামূলক অভিযান পরিচালনা এবং শতভাগ হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা হচ্ছে

    প্রেস নোট: সাতক্ষীরা জেলার প্রতিটি উপজেলায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতামূলক অভিযান পরিচালনা করা হয়। প্রতিটি উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং সহকারী কমিশনারদের নেতৃত্ব মানুষকে নিজ বাড়িতে রাখতে সচেতনতামূলক অভিযান পাশাপাশি মাইকিং করা হয় এবং শতভাগ হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করাসহ নিত্যিপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দোকান ছাড়া অন্যসব দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়।

    সাতটি উপজেলায় সেনাবাহিনীর ৭টি টিমসহ জেলা সদরে পুলিশ এবং আনসারের সমন্বয়ে ৪টি টিম নিয়ে জেলা প্রশাসন এবং উপজেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেটগণ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত রেখেছেন। তথ্য অধিদপ্তরের একটি সহ মোট ৩টি সচেতনতামূলক মাইকিং অব্যাহত আছে। সবাইকে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার জন্যে অনুরোধ করা হচ্ছে। আপনি ঘরে থাকলে ভালো থাকবে আপনার পরিবার, ভালো থাকবে জাতি, ভালো থাকবে দেশ।

    দেশের কয়েকটি জেলায় করোনা রোগী সনাক্ত হওয়ায় ঐ সকল জেলা লক ডাউন ঘোষণার প্রেক্ষিতে সেখানে কর্মরত লোকজন নিজ নিজ জেলায় ফিরতে চেষ্টা করছে। এ প্রেক্ষিতে সাতক্ষীরা জেলাকে করোনা ঝুঁকি মুক্ত রাখতে সাতক্ষীরা জেলার সাথে পার্শ্ববর্তী জেলার সকল সীমান্ত এবং আন্তঃউপজেলা সীমান্ত জরুরী সেবা ব্যতীত (যেমনঃ রোগীবাহী গাড়ি, ঔষধ পণ্যবাহী গাড়ী ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মালামালবাহী গাড়ী) সকল প্রকার যানবাহন ও জনচলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এ আদেশ বহাল থাকবে। অমান্যকারীর বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    সাতক্ষীরা শহরে এবং প্রতিটি উপজেলায় রাস্তায় রাস্তায় জীবাণু নাশক স্প্রে করা হচ্ছে। মেশিনের মাধ্যমে রাস্তায় পানি ছিটানো অব্যাহত আছে। জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় ১০০০ লিটারের ২টি পানির ট্যাংকের মাধ্যমে জীবানু নাশক স্প্রে করা হচ্ছে।

    গত ৬ এপ্রিল,২০২০ তারিখে ভারত থেকে থেকে আসার জন্য ১৩ জনকে সাতক্ষীরা যুব ভবনে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। জেলা প্রশাসক সার্বক্ষণিক তাদের খোজখবর নিচ্ছেন। তারা সকলেই সুস্থ্য আছেন। তাদের থাকা, খাওয়সহ সকল বিষয়ে জেলা প্রশাসক নিজে মনিটরিং করছেন।

    প্রতিটি উপজেলায় ইউনিয়ন ভিত্তিক দুস্থ ও সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের বাহিরে থাকা গরীব মানুষের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। তালিকা অনুযায়ী বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্যসামগ্রী পৌছে দেয়া হচ্ছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয় থেকে পাওয়া মোট বরাদ্দ থেকে ইতোমধ্যে উপজেলা, পৌরসভার অনুকূলে ৪২৫ মেঃ টন চাল এবং ১৬ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌরসভার মেয়রগণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের মাধ্যমে তালিকা প্রস্তুত করে এই ত্রাণ সহায়তা কর্মহীন হয়ে পড়া দুস্থ অসহায় মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছেন। ইতোমধ্যে উপজেলা ও পৌরসভার ৩৭,২০০ পরিবারের মাঝে সরকারি ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। সাতক্ষীরা জেলায় হিজড়া জনগোষ্ঠীর ৭০ জন সদস্যের মধ্যে ১০ কেজি চাল, ৫ কেজি আলু, ১ কেজি ডাল, ১ কেজি লবন, ১ লিটার তৈল এবং একটি সাবানের প্যাকেজ সমাজ কল্যাণ তহবিল হতে বিতরণ করা হয়েছে।
    শিশু খাদ্যের জন্য সরকারের দেয়া ২ লক্ষ টাকায় উপজেলায় এবং পৌরসভার অনুকূলে আজ উপবরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
    জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলা ও উপজেলায় ৫০০ হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করা হয়েছে।
    করোনা পরিস্থিতিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ যারা ওয়ার্ড-ইউনিয়ন পর্যায়ে তালিকাভুক্ত হতে সংকোচবোধ করছে কিন্তু খাদ্য সংকট আছেন তাদের নাম, ঠিকানা এবং মোবাইল নাম্বারসহ এসএমএস এর মাধ্যমে সংগ্রহ করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসক নিজে তাদের সাথে যোগাযোগ করছেন। রাতে গোপনে তাদের বাড়িতে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
    ত্রাণসামগী বিতরণের ক্ষেত্রে নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে ত্রাণসামগী বিতরণ করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে কেউ যদি সামিজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয় তাহলে যিনি বিতরণ করবেন তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
    উপজেলায় বিতরণের জন্য সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২ লক্ষ টাকার মাস্ক ক্রয় করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ৩০৪০০ মাস্ক মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।
    ইতোমধ্যে ডাক্তার, মেডিকেল স্টাফ এবং নার্সদের চলাচলের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক গাড়ি সরবরাহ করা হয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় একটি করে এম্বুলেন্স সার্বক্ষণিক রাখা হয়েছে। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৮৫০ টি পিপিই মজুত রয়েছে। এবং সিভিল সার্জন, সাতক্ষীরা ১০০০ পিপিই প্রতিটি উপজেলার বিভিন্ন স্বাস্থ্য কম্প্লেক্সে বিতরণ করেছেন।
    বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ এবং ব্যাটালিয়ন আনসার এর সহযোগিতায় ২০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতিদিন জেলা এবং উপজেলাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এবং হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে। করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সম্পর্কে সচেতন থাকুন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন, নিজে নিরাপদ থাকুন, নিজ পরিবারকেও নিরাপদ রাখুন।
    জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন অভিযানে এখন পর্যন্ত ৪০টি মামলায় ৩৬৩০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এর মধ্যে সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় ১৯ টি মামলায় ১২৭০০ টাকা, আশাশুনি উপজেলায় ৩টিমামলায় ১৫০০ টাকা, কলারোয়া উপজেলায় ১টি মামলায় ২০০ টাকা, তালা উপজেলায় ১ টি মামলায় ৫০০ টাকা, শ্যামনগর উপজেলায় ১১ টি মামলায় ৭১০০ টাকা, কালিগঞ্জ উপজেলায় ৫ টি মামলায় ১৪০০ টাকা।
    মসজিদে নামাজ ও জামায়াতের বিষয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা সর্বসাধারণের মধ্যে প্রচারের জন্য উপপরিচালক, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, সাতক্ষীরাকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
    করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবে সংকটকালীন সময়ে বাস- মালিক সমিতির শ্রমিকদের মাঝে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল হতে ১৭৯ জনকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।পর্যায়ক্রমে সকল পরিবহন শ্রমিকদের সহায়তা প্রদান করা হবে।
    জেলা প্রশাসক জেলার জনপ্রতিনিধি মাননীয় সংসদ সদস্যবর্গের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে জেলার পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সাথে আলোচনা এবং পরামর্শ গ্রহণ করে করোনা মোকাবেলায় সর্বাত্মক কর্মসূচী বাস্তবাযন করে চলেছেন।
    জেলা সদরের সিনিয়র সিটিজেনদের সাথে নিয়মিত ফোনে খোঁজ নিচ্ছেন এবং তাদেরকে ঘরের বাইরে না যেতে বিশেষ অনুরোধ করছেন। সরকারি ত্রাণের তালিকা এবং বিতরণে অনিয়ম স্বজনপ্রীতি ও দূর্ণীতি হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের হুশিয়ারী দিয়েছেন। কতিপয় ব্যক্তি ত্রাণ দেয়ার কথা বলে বিকাশ নম্বরে অন্যের কাছে সাহায্য চাইছেন মর্মে জানা গেছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তথ্য দিন।
    এমন শোনা যাচ্ছে দোকান খুলে দেয়ার কথা বলে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী দোকানদারদের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিচ্ছেন তাদেরকে চিহ্নিত করা হবে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
    সকলকে ধৈর্য ও সাহসের সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য আহবান জানিয়েছেন।
    জনস্বার্থে সকল কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।