


আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনিতে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ‘ক’ শ্রেণী (জমি নাই, ঘর নাই) গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারদের জন্য বরাদ্ধকৃত গৃহ নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজা। মঙ্গলবার বিকালে উপজেলার শোভনালী ইউনিয়নের বসুখালী গ্রামের ৮০টি গৃহের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন তিনি। এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার সঠিক নিয়মে গৃহ নির্মাণ হচ্ছে কিনা তা যাচাই করেন, সে মোতাবেক দিক নির্দেশনা প্রদান করেন ও ভূমিহীন পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেন। পরিদর্শনকালে পিআইও সোহাগ খান, শোভনালী ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক ম. মোনায়েম হোসেন, ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা, অফিস সহকারি আব্দুর রশিদসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামালের পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা সিএমএইচ-এ ইন্তেকাল করিয়াছেন (ইন্না-লিল্লাহ—–রাজিউন)। শোকার্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা ও মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেছেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপী, যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুস সামাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এম শাহীন গোলদার, অর্থ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক আব্দুল জলিল, দপ্তর সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল, নির্বাহী সদস্য সেলিম রেজা মুকুল, গোলাম সরোয়ার, ইয়ারব হোসেন, জি.এম আদম শফিউল্লাহ ও কৃষ্ণ মোহন ব্যানার্জীসহ সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সকল সদস্যবৃন্দ।

নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ বিন¤্র শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় সাতক্ষীরায় মহামারি করোনা পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে সীমিত পরিসরে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে মহান বিজয় দিবস। দিবসটি উপলক্ষে শহরের শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে বুধবার প্রত্যুষে ৩১ বার তোপরধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির শুভ সূচনা করা হয়।
এরপর জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে বুধবার সকাল সাড়ে ৮ টায় শহরের খুলনা রোড় মোড়ে বঙ্গবন্ধুর মোরালে পুষ্পস্তবক অর্পন করা হয়। পরে সার্কিট হাউজ চত্বরে গার্ড অব ওনার ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানসহ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা।
এছাড়া জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দিবসটি উপলক্ষে হাসপাতাল, জেলখানা, বৃদ্ধাশ্রম ও এতিমখানায় উন্নত মানের খাবার সরবরাহসহ অনলাইনের মাধ্যমে নানা কর্মসুচির আয়োজন করা হয়েছে।
ডেস্ক রিপোর্ট
সামাজিক সুরক্ষা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে বরিশাল বিভাগের উপ-ভূমি সংস্কার কমিশনার (ডিএলআরসি) তরফদার মোঃ আক্তার জামীল পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার তিন ভূমি অফিস পরিদর্শন করেছেন। ৯ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখ বৃহস্পতিবার তিনি উক্ত ভূমি অফিসসমূহ পরিদর্শন করেন।
বেলা ১১:৩০ টায় প্রথমে তিনি মির্জাগঞ্জ উপজেলা ভূমি অফিস পরিদর্শনে যান এবং ভূমি অফিসের সার্বিক কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন। এসময় তিনি ই-নামজারিসমূহ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশনা দেন। এছাড়া অর্পিত সম্পতির লীজ আইনানুগভাবে নবায়ন, মিস কেইসসমূহ দ্রুত নিষ্পত্তিকরণ, দেওয়ানী মামলার এসএফ যথাসময়ে প্রেরণ,সিকস্তি ও পয়স্তি জমির এডি লাইন নির্ধারণ প্রভৃতি বিষয়ের উপর গুরুত্বারোপ করেন। এরপর তিনি একে একে সুবিদখালী ইউনিয়ন ভূমি অফিস এবং মজিদবাড়িয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিস পরিদর্শন করেন। এখানে তিনি খাস জমিসহ সরকারি সকল সম্পত্তি সঠিকভাবে সংরক্ষণ, তলব বাকী অর্থ্যাৎ ২ নং রেজিস্টার হোল্ডিং ওয়ারী সরেজমিন পরিদর্শনপূর্বক হালনাগাদ করার নির্দেশনা দেন।
এছাড়া অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর নির্ধারণ ও
ভূমি উন্নয়ন কর আদায় এর নিমিত্ত ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবস্থাপনা সফটওয়ারের পাইলটিং কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনা দেন।
এছাড়া এ সময় তিনি স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভূমি অফিসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নিষ্ঠা ও সততার সাথে সেবা নিতে আসা জনগণের প্রতি দায়িত্ব পালনের আহবান জানান। এসময় তার সাথে মির্জাগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি ) মোঃ রায়হান-উজ্জামান এবং ভূমি অফিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আশাশুনি ব্যুরো: আশাশুনির প্রতাপনগরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার অপরাধে মোবাইল কোর্টে ড্রেজার মেশিন মালিককে জরিমানা করা হয়েছে। সোমবার প্রতাপনগরের কুড়িকাহুনিয়া গ্রামে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। প্রতাপনগর ইউনিয়নের কুড়িকাহুনিয়া গ্রামের আায়ুব আলি গাজীর পুত্র হাফিজুল দীর্ঘদিন ড্রেজার মেশিন দিয়ে ভূগর্ভস্থ বালি উত্তোলন করে। সোমবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মীর আলিফ রেজা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে গড়–ইমহল খাল থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করায় দোষি আইয়ুব আলী কে প্রাকৃত্রিক জলাধার সংরক্ষণ আইন- ২০০০ এর ৮(১) ধারায় ৫০০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
অবশেষে সাতক্ষীরার শহরের প্রাণসায়র খালের দুপােেড় সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। সাতদিন ধরে জেলা প্রশাসন উচ্ছেদ অভিযান চালায়। সাতদিনে মোট ২৫৩টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে প্রশাসন। গত ১২ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় পর্যায়ে অভিযান শুরু হয়ে শেষ হয় ১৯ সেপ্টেম্বর। এর আগে মুজিব বর্ষ উপলক্ষে চলতি বছরের শুরুতেই অভিযান পরিচালনা করে জেলা প্রশাসন। কয়েদিন অভিযান চলার পর করোনা পরিস্থিতির কারণে সাময়িক বন্ধ ছিল।
জলাবদ্ধাতার নিরসনের লক্ষ্যে শহরের মাঝ দিয়ে প্রবাহিত প্রাণসায়ের খালের দুই ধারে গড়ে ওঠা এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। জলাবদ্ধতা থেকে শহরবাসিকে মুক্তি এবং প্রাণসায়র খাল রক্ষায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহরের সুলতানপুর বড়বাজার ব্রিজ সংলগ্ন ও পানিউন্নয়ন বোর্ডের পিছন থেকে এ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। পৃথক দু’টি বুলডোজার দিয়ে অবৈধ স্থাপনা অপসারণের কাজ করা হয়।
উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইন্দ্রজিৎ কুমার সাহা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী রাশেদ রেজা বাপ্পি।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইন্দ্রজিৎ কুমার সাহা বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডর পিছন থেকে শহরের নারিকেলতলা ব্রিজ পর্যন্ত প্রাণসায়ের খালের দু’ধারে রয়েছে জেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও পৌরসভার জায়গা। ইতোপূর্বে প্রাণসায়ের খাল খননের লক্ষ্য কয়েকবার খালের দু’ধার উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে। শুধুমাত্র জেলা প্রশাসনের জায়গা জবর দখলকারিদের চিহ্নিত করে দু’টি বুলডোজার দিয়ে অবৈধ স্থাপনা ভাঙার কাজ শুরু করা হয়েছে।
অভিযান পরিচালনাকালে প্রাণসায়র খালের জমি দখল করে গড়ে ওঠা ২৫৩টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এসময় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পদস্থ কর্মকর্তা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল জানান, তালিকাভূক্ত সকল স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। সাতক্ষীরা থানা মসজিদের পাশে কিছু স্থাপনা আছে-সেগুলো উচ্ছেদ করা হবে। উচ্ছেদ অভিযানে সহযোগিতা কারার জন্য জেলা প্রশাসক জেলাবাসিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

প্রেস নোট: সাতক্ষীরা প্রাণসায়ের খালের শহর অংশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানের আজ ৫ম দিন। গতকাল পর্যন্ত ১০৭টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে এবং আজ ৩৮ টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড, সাতক্ষীরা-১ এর যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত উচ্ছেদ অভিযানে এ পর্যন্ত মোট ১৪৫ টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। জনস্বার্থে সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করা হয়।

নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ আবারও শুরু হয়েছে সাতক্ষীরার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান। জলাবদ্ধাতার নিরসনের জন্য শহরের মাঝ দিয়ে প্রবাহিত প্রানসায়ের খালের দুই ধারে গড়ে ওঠা এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হচ্ছে। জলাবদ্ধতা থেকে শহরবাসিকে মুক্তি এবং প্রাণসায়র খাল রক্ষায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহরের সুলতানপুর বড়বাজার ব্রিজ সংলগ্ন ও পানিউন্নয়ন বোর্ডের পিছন থেকে এ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। পৃথক দু’টি বুলডোজার দিয়ে অবৈধ স্থাপনা অপসারণের কাজ শুরু করা হয়। উচ্ছেদ অভিযানে এ সময় নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইদ্রজিৎ কুমার সাহা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী রাশেদ রেজা বাপ্পি।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইন্দ্রজিৎ কুমার সাহা বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডর পিছন থেকে শহরের নারিকেলতলা পর্যন্ত প্রাণসায়ের খালের দু’ধারে রয়েছে জেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও পৌরসভার জায়গা। ইতোপূর্বে প্রাণসায়ের খাল খননের লক্ষ্য কয়েকবার খালের দু’ধার উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে। শুধুমাত্র জেলা প্রশাসনের জায়গা জবর দখলকারিদের চিহ্নিত করে দু’টি বুলডোজার দিয়ে অবৈধ স্থাপনা ভাঙ্গার কাজ শুরু করা হয়েছে।
অভিযান পরিচালনাকালে প্রাণসায়র খালের জমি দখল করে গড়ে ওঠা বেশ কয়েকটি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এসময় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পদস্থ কর্মকর্তা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল জানান, তালিকাভূক্ত সকল স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। উচ্ছেদ অভিযানে সহযোগিতা কারার জন্য জেলা প্রশাসক জেলাবাসিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

সংবাদবিজ্ঞপ্তি: সাতক্ষীরার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জনাব এস এম মোস্তফা কামাল এর নির্দেশনায় এবং সার্বিক ত্বত্তাবধানে গতকাল জেলা ও উপজেলায় অবৈধ নেট-পাটার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয় । জলাবদ্ধতা নিরসনে সাতক্ষীরা জেলায় মোট ৯৪ টি নেট-পাটা অপসারণ করা হয় এবং নদ-নদী, খাল-বিল হতে নেট-পাটা অপসারণের কাজ চলমান রয়েছে। নদ, নদী, খালে কেউ নেট-পাটা স্থাপন করবেন না এবং কেউ এ ধরনের অবৈধকাজে লিপ্ত থাকলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এছাড়াও পেঁয়াজের মূল্য নিয়ন্ত্রনে বাজার মনিটরিং করা হয়। এসময় ২ টি দোকানে বেশী মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি করার অপরাধে ২৫০০ (দুই হাজার পাঁচশত) টাকা জরিমানা করা হয়।

সংবাদদাতা প্রেরিত:
বীর মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখ ও তার কন্যা দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট এর ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলার প্রতিবাদ ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আশাশুনিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকালে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদের প্রধান ফটকের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহীন সুলতানা, সমাজ সেবা কর্মকর্তা, পিআইও সোহাগ খান সহ সরকারি কর্মকর্তা বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ডেস্ক রিপোর্ট: সাতক্ষীরার শ্যামনগরের গাবুরা ইউনিয়নের নেবুবুনিয়ায় ভাঙনকবলিত বেড়িবাঁধ পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল।
মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) সকালে তিনি গাবুরা ইউনিয়নের নেবুবুনিয়ায় যান এবং স্থানীয়দের খোঁজখবর নেন।
এসময় জেলা প্রশাসক নেবুবুনিয়ার ভাঙনকবলিত বেড়িবাঁধ সংস্কারে স্বেচ্ছাশ্রমে কাজে নামা এলাকাবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, উপকূলের মানুষের প্রাণ শক্তিই সবচেয়ে বড় শক্তি। এই দুর্যোগকালে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এক মনে কাজ করে রিং বাঁধ মেরামত করতে হবে। এর কোন বিকল্প নেই।
এসময় জেলা প্রশাসক আগামী শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী টেকসই বাঁধ নির্মাণের কাজ করবে বলে স্থানীয়দের আশ^স্ত করে বলেন, আপনাদের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পাঠানো ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হবে।
ভাঙনকবলিত বেড়িবাঁধ পরিদর্শনকালে শ্যামনগর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউল হক দোলন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আ ন ম আবুজর গিফারী, গাবুরা ইউপি চেয়ারম্যান জিএম মাসুদুল আলম, সাবেক চেয়ারম্যান শফিউল আযম লেলিন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
পরে জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল আশাশুনির শ্রীউলা ইউনিয়নের ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শনে যান।
প্রসঙ্গত, গত ১৯ আগস্ট প্রবল জোয়ারের চাপে কপোতাক্ষ নদের নেবুবুনিয়া অংশে ছয়টি পয়েন্টে ভেঙে যায়। এর মধ্যে স্থানীয়রা স্বেচ্ছাশ্রমে ৫টি পয়েন্টে রিং বাধ দিতে সক্ষম হলেও একটি অংশে এখনো রিং বাঁধ দেওয়া সম্ভব হয়নি। সেখানে স্থানীয় শত শত মানুষ গত তিনদিন ধরে স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করছেন।গাবুরার নেবুবুনিয়ায় ভাঙনকবলিত বেড়িবাঁধ পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক মোস্তফা কামাল

হাজার বছরের শেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০২০ উপলক্ষে মাসব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসন গৃহীত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, ১৫ আগস্ট সকাল ৮টায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ, বেলা ১১টায় শোক দিবসের বিশেষ আলোচনা, বিকাল ৩টায় বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ কুইজ প্রতিযোগিতার বিশেষ রাউন্ড, বিকাল সাড়ে ৩টায় ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ প্রতিযোগিতা, রাত ৯টায় আবৃত্তি ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গান: বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এবং সুবিধামতো সময়ে মসজিদ, মন্দির, গির্জায় বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া সুবিধাজনক সময়ে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আলোচনা, কবিতা আবৃত্তি, হামদ-নাত আয়োজন করা হবে।
এদিকে, জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ৫ আগস্ট অসমাপ্ত আত্মজীবনী পাঠ ও আলোচনা, ৭ আগস্ট জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামালের সঞ্চালনায় আলোচনা অনুষ্ঠান ‘তারুণ্যের ভাবনা; বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’, ৮ আগস্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এর ৯০তম জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানমালা, ১০ আগস্ট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানবৃন্দকে নিয়ে বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠান-বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ, ১১ আগস্ট জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামালের সঞ্চালনায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অংশগ্রহণে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ শিরোনামে বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠান, ১২ আগস্ট আবৃত্তি অনুষ্ঠান ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ ও মাসব্যাপী সাংস্কৃতিক আয়োজন চলমান থাকবে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মোস্তফা কামাল বলেন, সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে জাতীয় শোক দিবস পালনের পাশাপাশি মাসব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা হাতে নেওয়া হয়েছে। এ সকল আয়োজন অনলাইনে জুম এর পাশাপাশি, ফেসবুক লাইভ এবং লোকাল কেবল চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। আয়োজনে যুক্ত থাকতে সংযুক্ত থাকুন জেলা প্রশাসক সাতক্ষীরার ফেসবুক পেইজে।

বিশেষ রিপোট: কথাতেই বলে রূপ নয় গুন দিয়ে বিচার করো। কিন্তু এখনো আমাদের সমাজের তথাকথিত কিছু মানুষ গুনকে ছেড়ে রূপকেই বড় করে দেখে। এবার সমাজের সেইসব মানুষের মুখ বন্ধ করে সবার উদাহরণ হয়ে উঠল উত্তরাখণ্ডের আরতি। মাত্র তিন ফুঁট উচ্চতা নিয়ে রাজস্থান ক্যাডারের আইএএস অফিসার সে।
তথাকথিত সমাজের কুটকাচালি থেকে বাদ যায়নি তিন ফুঁট উচ্চতার অারতিও। গোটা সমাজ আরতিকে বৈষম্যের চোখে দেখত। তার উচ্চতা নিয়ে হাঁসাহাঁসি করত তারাও। তবে, সেইসব হাসির ঊর্ধ্বে গিয়েই এক নজির গড়েছে উত্তরাখণ্ডের বাসিন্দা আরতি ডোগরা। আরতি ডোগরা এখন রাজস্থান ক্যাডারের আইএএস অফিসার। আরতির উচ্চতা কম হলেও তিনি এখন গোটা দেশের মেয়েদের রোল মডেল।
গোটা সমাজ যখন আরতিকে নিয়ে ঠাট্টা করত তখন নিজেদের নিজের মেয়েকে ক্রমাগত সাহস জুগিয়ে গেছে তার মা-বাবা। আরতির বাবার রাজেন্দ্র ডোগরা সেনার একজন অফিসার। তার মা কুমকুম ডোগরা একজন স্কুল শিক্ষিকা। আরতির জন্মের সময়েই ডাক্তাররা বলে দিয়েছিলেন যে, সে বাচ্চাদের সাথে সাধারণত ভাবে স্কুলে পড়াশুনা করতে পারবে না। সে বড় হল কিন্তু তার উচ্চতা বাড়ল না। আর যা নিয়ে সমাজ তাকে বঞ্চনা করতে ছাড়েনি। কিন্তু হাল ছাড়েনি আরতির মা-বাবা। তাঁদের একটাই কথা , আমাদের এই সন্তানই আমাদের সব স্বপ্ন পূরণ করবে। মা বাবার সেই কথা রেখেছে আরতী। এখন সকলের মুখে মুখেই শুধু আরতির নাম। এমনকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও পছন্দ করেন তাঁকে।
তবে, বর্তমানে আরতি নিজের কার্যকালে অনেক বড় বড় কাজ করেছেন। এখন মানুষের মুখে মুখে তার নাম। কিন্তু তবুও কোন মানুষকেই অছ্যুত হিসেবে দেখেননি সে। আরতির কাছে সবাই সমান। উনি যেই বঞ্চনা ছোট বেলায় সহ্য করেছেন, সেই বঞ্চনার শিকার কাউকে হতে দেবেন না প্রতিমুহূর্তে এমনটাই বলেন তিনি। (সংকলিত)
জনপ্রশাসন সচিব ও করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শ্বাসকষ্টে ভোগা করোনা রোগীদের চিকিৎসায় সংযোজিত হলো চারটি নতুন হাই ফ্লো নাসাল ক্যানুলা। এর মধ্যে জনপ্রশাসন সচিব ইউসুফ হারুন প্রদত্ত তিনটি হাই ফ্লো নাসাল ক্যানুলা শনিবার (১৮ জুলাই) মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সংযোজন করা হয়েছে।
এছাড়া সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের বেসরকারি ত্রাণ তহবিলে গচ্ছিত ৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা এবং জেলা প্রশাসনের আর্থিক সহায়তায় ক্রয়কৃত আরও একটি হাই ফ্লো নাসাল ক্যানুলা গত সোমবার (১৩ জুলাই) মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এ প্রসঙ্গে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. রফিকুল ইসলাম জনপ্রশাসন সচিব ইউসুফ হারুনসহ সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, হাই ফ্লো নাসাল ক্যানুলা শ্বাসকষ্টে ভোগা ক্রিটিক্যাল রোগীদের চিকিৎসায় খুবই জরুরী একটি সরঞ্জাম। এর দ্বারা সাতক্ষীরাবাসী বহুলাংশে উপকৃত হবে।

প্রেস নোট: সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হাই ফ্লো নাসাল ক্যানুলা প্রদান করেছে জেলা প্রশাসন। সোমবার জেলা প্রশাসনের বেসরকারি ত্রাণ তহবিলে গচ্ছিত ৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা এবং জেলা প্রশাসনের আর্থিক সহায়তায় ক্রয়কৃত হাই ফ্লো নাসাল ক্যানুলাটি মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ সময় জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামালের পক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. বদিউজ্জামান হাই ফ্লো নাসাল ক্যানুলাটি সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হেলথ এডুকেটর মুরাদ হোসেনের কাছে হস্তান্তর করেন। হাই ফ্লো নাসাল ক্যানুলাটি শ্বাসকষ্টে ভোগা রোগীদের করোনা চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনিতে ইউনিয়ন পরিষদ ও (ভূমি) অফিস পরিদর্শন করলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজা। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার কুল্য ইউনিয়ন, দরগাহপুর ইউনিয়ন ও দরগাহপুর (ভূমি) অফিস পরিদর্শনকালে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের নগদ ২৫০০ টাকা সহায়তার তালিকাসহ যাদের ফোন নাম্বারের ভুল ত্রুটি ছিল সেগুলো সংশোধনের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন। এ সময় পিআইও সোহাগ খান, কুল্যা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বাসেত হারুন চৌধুরী, দরগাহপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ মিরাজ আলী, অফিস সহকারি আব্দুর রশিদ, দরগাহপুর ইউনিয়ন (ভূমি) সহকারী কর্মকর্তা শ্যামল কুমার অধিকারি উপস্থিত ছিলেন।