Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
প্রশাসন Archives - Page 10 of 15 - Daily Dakshinermashal

Category: প্রশাসন

  • জেলায় ৮ জামায়াত নেতা-কর্মীসহ গ্রেফতার ৬৮

    মোঃ মুশফিকুর রহমান (রিজভি):  সাতক্ষীরা জেলাব্যাপি বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৮ জামায়াত নেতা-কর্মী এবং ৪ মাদক মামলার আসামিসহ বিভিন্ন মামলার ৬৮ আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    শুক্রবার (২৭ জুলাই) সন্ধ্যা থেকে শনিবার (২৮ জুলাই) সকাল পর্যন্ত জেলার আটটি থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

    এ অভিযান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ২০পিস ইয়াবা, ৪৯০ বোতল ফেনসিডিল, ১০০ গ্রাম গাঁজা এবং একটি মোটরসাইকেল।
    অভিযানে সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ৬ জামায়াতকর্মীসহ ১৬ জন, কলারোয়া থানা থেকে ২০পিস ইয়াবা এবং ১০০ গ্রাম গাঁজাসহ ৮ জন, তালা থানা থেকে ২ জন, কালিগঞ্জ থানা থেকে ৪৯০ বোতল ফেনসিডিলসহ ৯ জন, শ্যামনগর থানা থেকে উপজেলা জামায়াতের সভাপতি মাওলানা ফারুক হোসাইনসহ ১৫ জন, আশাশুনি থানা থেকে ২ জন, দেবহাটা থানা থেকে ২ জন এবং পাটকেলঘাটা থানা থেকে ১ জামায়াতকর্মীসহ ২ জনকে আটক করা হয়।

    আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান জানান, জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন মামলার ৬৮ আসামিকে আটক করা হয়েছে।

  • জেলায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৭ জামায়াত-শিবিরকর্মীসহ আটক ৭২

    মোঃ মুশফিকুর রহমান (রিজভি): সাতক্ষীরা জেলাব্যাপি বিশেষ অভিযান চালিয় ৭ জামায়াত-শিবিরকর্মীসহ ৭২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জেলার আট থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
    গত মঙ্গলবার (২৪ জুলাই) সন্ধ্যা থেকে (২৫ জুলাই) সকাল পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ২০ পিস ইয়াবা, ১০০ গ্রাম গাঁজা এবং বেশ কিছু জিহাদী বই।
    অভিযানে সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ২০পিস ইয়াবা, বেশ কিছু জিহাদী বই ও প্রচারপত্রসহ ২৪ জনকে আটক করা হয়েছে যার মধ্যে ৪ জন জামায়াত-শিবিরকর্মী। কলারোয়া থানা থেকে ১০০গ্রাম গাঁজাসহ আটক করা হয়েছে ৭ জনকে। ৪ জামায়াত-শিবিরকর্মীসহ মোট ৮ জনকে আটক করা হয়েছে তালা থানা থেকে। এ থানা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৬টি জিহাদী বই। এছাড়াও কালিগঞ্জ থানা থেকে ৯ জন, শ্যামনগর থানা থেকে ১১ জন, আশাশুনি থানা থেকে ১ জামায়াতকর্মীসহ ৮ জন, দেবহাটা থানা থেকে ৩জন এবং পাটকেলঘাটা থানা থেকে ২ জনকে আটক করা হয়েছে।
    আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত জেলার সবকটি থানায় অভিযান চালিয়ে বেশকিছু জিহাদী বই ও প্রচারপত্র সহ ৭ জামায়াত-শিবিরকর্মীসহ মোট ৭২ জনকে আটক করা হয়েছে।
  • জেলায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৭ জামায়াতকর্মীসহ আটক-৬১

    মোঃ মুশফিকুর রহমান (রিজভি): সাতক্ষীরা জেলাব্যাপি বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৭ জামায়াতকর্মী এবং ২ জন মাদক মামলার আসামীসহ ৬১জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার (২১ জুলাই) সন্ধ্যা থেকে রবিবার (২২ জুলাই) সকাল পর্যন্ত জেলার আটটি থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এ অভিযান থেকে বেশ কিছু মাদকদ্রব্যও উদ্ধার করা হয়েছে।

    অভিযানে সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ৬ জামায়াতকর্মীসহ ২৩ জন, কলারোয়া থানা থেকে ১০০ গ্রাম গাজাসহ ৯ জন, তালা থানা থেকে ৫ জন, কালিগঞ্জ থানা থেকে ৪ জন, শ্যামনগর থানা থেকে ৮ জন, আশাশুনি থেকে ১ জামায়াতকর্মী এবং ১০০ গ্রাম গাজাসহ ৭ জন, দেবহাটা থানা থেকে ২ জন এবং পাটকেলঘাটা থেকে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

    গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান জানান, শনিবার সন্ধ্যা থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন মামলার আসামীসহ মোট ৬১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

  • ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের শ্রীরামপুর বাজার পরিদর্শন।

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সাতক্ষীরা জেলা কার্যালয়ের বাজার তদারকি টিম ১৮ জুলাই সকালে সাতক্ষীরা সদরের ভোমরা ইউনিয়নস্থ শ্রীরামপুর বাজার পরিদর্শন করেন।

    এতে সহায়তা করেন জেলা ক্যাব সদস্য মো. সাকিবুর রহমান ও জেলা পুলিশ প্রশাসন। এসময়ে হোটেলে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, ফ্রিজে মিষ্টির সাথে কাঁচা মাংশ রাওা, দইয়ের পাত্রের অতিরিক্ত ওজন, দোকানে মেয়াদ উর্ত্তীণ, মেয়াদ ছাড়া পন্য বিক্রয় ও পন্যে অগ্রিম তারিখ দেওয়াসহ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন’০৯ বাস্তবায়নসহ বিবিধ বিষয়ে পরিদর্শন করেন সহকারি পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ইমরান।

    এসকল অপরাধে করিম স্টোর, গোলাম রসুল ষ্টোর ও তৌহিদ হোটেলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন’০৯ এর ৪৩ ও ৫১সহ বিভিন্ন ধারা লংঘনের অপরাধে বিভিন্ন অংকের মোট ৭০০০ টাকা জরিমানা করা হয়। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন কালে সচেতনামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়।

  • জেলা পরিষদের খেয়াঘাট ইজারার টাকা আত্মসাতের প্রাথমিক তদন্ত শুরু

    জেলা পরিষদের খেয়াঘাট ইজারার টাকা আত্মসাতের প্রাথমিক তদন্ত শুরু

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের খেয়াঘাট ইজারার টাকা আত্মসাতের ঘটনায় দায়েরকৃত অভিযোগের প্রাথমিক তদন্ত শুরু হয়েছে। বুধবার সকালে সাতক্ষীরা সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে এ তদন্ত করেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের খুলনা বিভাগীয় পরিচালক উপ-সচীব হোসেন আলী খন্দকার।

    বাস্তবতার আলোকে জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এসএম মাহাবুবর রহমান ও সংশ্লিষ্টদের অনিয়ম ও দূর্ণীতির বিষয়টি দালিলিক আকারে উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এ্যাডভোকেট সত্যরঞ্জন মন্ডল।

    অভিযোগ উপন্থাপনকালে এ্যাডভোকেট সত্যরঞ্জন মন্ডল বলেন, জেলা পরিষদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বাংলা ১৪১৫ সাল থেকে ১৪২৪ সাল পর্যন্ত আশাশুনির ঘোলা-হিজলা-কল্যাণপুর খেয়াঘাটের ১০ বছরের মোট ইজারা মূল্য ১৮ লাখ ৩৮ হাজার ৫১০ টাকা দেখানো হয়েছে। এর মধ্যে বাংলা ১৪১৮ সালে একইভাবে হাজরাখালি-বিছট খেয়াঘাটের ১০ বছরের ইজারা মূল্য নির্ধারণ করা হয় ১০ লাখ ৬৯ হাজার ৭৫ টাকা।

    বাংলা ১৪১৮ ও ১৪১৯ সালে ওই খেয়াঘাট বাবাদ গ্রহণ করা হয়েছে ১০ লাখ ৫২৮ টাকা। ওই দু’টি খেয়াঘাট ইজারা নেন আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আবু হেনা শাকিল। একইভাবে ইজারা নেওয়ার কিছুদিন পর খেয়াঘাটের শ্রেণী পরিবর্তণ করার অভিযোগে কেন তার ইজারা বাতিল করা হবে না জানতে চেয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তা এসএম মাহাবুবর রহমান নোটিশ করেন। এরই বিরুদ্ধে তিনি মহামান্য হাইকোর্টে দু’টি খেয়াঘাটের বিপরীতে ২০১২ সালের ২ জানুয়ারি ২৫/১২ রিট পিটিশন দাখিল করেন।

    রিট পিটিশনে ঘোলা- হিজলা- কল্যাণপুর খেয়াঘাট বাবদ বাংলা ১৪১৮ ও ১৪১৯ সালে ১২ লাখ ৪০০ টাকা ইজারা গ্রহণ করা হয়। এরমধ্যে ১৪১৮ সালের ইজারা মূল্য বাবদ তিন লাখ ৫০ হাজার ৪০০ টাকা ছাড়াও ভ্যাট, আয়কর ও ১% প্রিমিয়াম বাবদ ৭৩ হাজার ৫৮৪ টাকা জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এসএম মাহাবুবর রহমান ২০১১ সালের ২৬ জুন রশিদ বই এর মাধ্যমে গ্রহণ করেন। একই তারিখে হাজরাখালি বিছট খেয়াঘাটে বাংলা ১৪১৮ ও ১৪১৯ সালে ১০ লাখ ৫২৮ টাকার ইজারা গ্রহণ করার পর ১৪১৮ সাল বাবদ দু’ লাখ ২০ হাজার টাকা গ্রহণ ছাড়াও ভ্যাট, আয়কর ও ১% প্রিমিয়াম বাবদ ৪৬ হাজার ২০০ টাকা রশিদের মাধ্যমে গ্রহণ দেখানো হয়েছে। যেখানে আত্মসাতের বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যায়।

    ঘোলা- হিজলা-কল্যাণপুর খেয়াঘাটের ১৪১৯ সালের ইজারামূল্য ইজারাদার আবু হেনা শাকিল পরিশোধ করেছেন। কিন্তু তিনি ওই বছর ভ্যাট বাবদ ৫২,৫৬০ টাকা পরিশোধ করেন নাই।
    সেক্ষেত্রে ঘোলা- হিজলা ও কল্যাণপুর খেয়াঘাট থেকে দু’ বছরে দু’ লাখ ৮০ হাজার ২০০ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেখানোয় ইজারা মূল্য ৯ লাখ ২০ হাজার ২০০ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।

    একইভাবে মানিকখালি খেয়াঘাটটি ১০ বছরে ২৫ লাখ ৩১২ হাজার টাকায় ইজারা দেওয়া হয়। ইজারা গ্রহীতা কওছার আলী কারণ দর্শানোর নোটিশ পেয়ে ২২৭৯/২০০৫ নং রিট পিটিশন দাখিল করেন। ফলে ওই খেয়াঘাটে আদায়কৃত রাজস্ব যথাযথভাবে জেলা পরিষদ পাচ্ছে না।

    তিনি আরো বলেন, ২০১১ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি ইজারা নোটিশের শর্তাবলীতে সর্বোচ্চ বা কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত যে কোন কোটেশনে উদ্ধৃত দর অনুমোদনের পর নোটিশ দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে ১৪১৮ সালের ইজারা মূল্য বাবদ অবশিষ্ঠ ৫০ শতাংশ ইজারা মূল্যসহ ৫শতাংশ আয়কর, ১৫ শতাংশ ভ্যাট ও ১ শতাংশ প্রিমিয়াম এককালিন জেলা পরিষদে জমা দিতে হবে। ব্যর্থতায় ইজারা চুক্তি বাতিল বলে গণ্য হবে। কিন্তু সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা তা না করে আর্থিক সুবিধা নিয়ে ইজারা চুক্তি করেছেন।

    অভিযোগ শুনানীকালে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের ১৫জন সদস্য, কয়েকজন কর্মচারি, প্রশাসনিক কর্মকর্তা এসএম মাহাবুবর রহমানসহ সাংবাদিকরা। শুনানীকালে জেলা পরিষদ সদস্যরা এসএম মাহাবুবর রহমানের বিরুদ্ধে আব্দুর রউফ কমপ্লেক্স ও এতিমখানা পরিচালনা, এইচএসসি পাশ করে তার প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ অবৈধ ও তিন বার বদলী করার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট পিটিশন খারিজ হওয়ার পরও বহাল তবিয়তে সাতক্ষীরায় চাকুরি করা সংক্রান্ত বিষয়গুলি যথাযথভাবে উপস্থাপন করার পরও একই তদন্তকারি কর্মকর্তা অভিযোগের সত্যতা মেলেনি বলে প্রতিবেদন দেওয়ায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন। একইভাবে মন্ত্রণালয় চিঠি দেওয়ার পরও তাকে বদলী ও এক বছর ছুটি নেওয়ার আইনি বৈধতা সংক্রান্ত তদন্ত না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা হল থেকে বেরিয়ে যান।

  • শিশু পাচারের অভিযোগে নারীর যাবজ্জীবন কারাদন্ড

    শিশু পাচারের অভিযোগে নারীর যাবজ্জীবন কারাদন্ড

    মোঃ মুশফিকুর রহমান (রিজভি): সাতক্ষীরায় প্রথম শ্রেণিতে পড়–য়া এক কন্যা শিশুকে পাচারের অভিযোগে এক নারীর যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। একই সাথে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদ- দিয়েছে আদালত। বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হোসনে আরা আক্তার এ রায় দেন।
    সাজাপ্রাপ্ত নারী আসামী হলেন, শ্যামনগর উপাজেলার পরানপুর গ্রামের নূর ইসলামের মেয়ে মোছাঃ আফরোজা ও ওরফে তাছলিমা খাতুন। বর্তমানে তারা কালিগঞ্জ উপজেলার রতনপুর গ্রামে বসবাস করেন।
    মামলার বিবরণে জানা যায়, পাচারের শিকার শিশু কন্যাটি শ্যামনগর উপাজেলার ৮৬নং পরানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রণিতে পড়তো। ২০০৩ সালের ৬ মার্চ সকাল ৮টার দিকে বাড়ি থেকে স্কুলে যায় সে। স্কুল শেষে সে আর বাড়ি ফেরেনি। সহপাঠি ময়না ও টুম্পার মাধ্যমে পরিবারের সদস্যরা জানতে পারে যে স্কুল শেষে তাকে খালা পরিচয়ে এক নারী মাঠ থেকে ডেকে নিয়ে যায়।

    জানতে পেরে ইউপি চেয়ারম্যান জিএম আব্দুল করিম বিভিন্ন মসজিদে মাইকিং করে শিশুটির সন্ধান নেয়ার চেষ্টা করেন। রাত ১০টার দিকে স্থানীয় বৈশখালি গ্রামের লোকজন পাচারকারী আফরোজাকে আটক করলেও তার সঙ্গীরা পালিয়ে যায়। এ সময় উদ্ধার করা হয় ওই শিশুটিকে। এ ঘটনায় উদ্ধার হওয়া ওই শিশুর দাদা বারী সরদার বাদি হয়ে পাচারকারী আফরোজা খাতুন, রতনপুর গ্রামের বাবু, বাবলু ও আবু হান্নানের নাম উল্লেখ করে পরদিন শ্যামনগর থানায় একটি পাচারের মামলা দায়ের করেন।

    ২০০৩ সালের ৩০ জুন মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা শ্যামনগর থানার উপপরিদর্শক ফয়সাল জামান এজাহারভুক্ত আসামিদের নামে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।

    ১০জন সাক্ষীর জবানবন্দি ও মামলার নথি পর্যালোচনা শেষে বুধবার আসামি আফরোজা খাতুনের বিরুদ্ধে পাচারের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ-, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদ- প্রদান করেন। একই সাথে অপরাধ প্রমানিত না হওয়ায় এ মামলার অপর তিন আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়। তবে, এ রায়ের সময় পাচারকারী আসামি আফরোজা পলাতক ছিলেন।

    রাষ্ট্রপক্ষে এ মামলাটি পরিচালনা করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি অ্যাড. জহুরুল হায়দার বাবু।

  • সাতক্ষীরায় ধর্ষণ চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে এক গৃহবধূকে হত্যা : ঘাতক গ্রেফতার

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় ধর্ষণে ব্যার্থ হয়ে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আক্তারুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার সকালে সদর উপজেলার ফিংড়ি ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ওই গৃহবধুর নাম বাঁচাখুকি(৪৫)। সে ফিংড়ি ইউনিয়নের ফয়জুল্যাপুর গ্রাামের আব্দুল মজিদ কারিকরের স্ত্রী।

    ফিংড়ি ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মধুসুদন মন্ডল জানান, বুধবার সকালে ওই গৃহবধূ পালিচাঁদ বিলে ছাগল চরাতে যান। সেখানে আগে থেকেই ওৎপেতে ছিলো একই গ্রামের আহাদ আলির ছেলে মাদকাসক্ত আক্তারুল ইসলাম(২৬) নামের এক যুবক।

    আক্তারুল ওই গৃহবধূকে পাশের বাগানে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। কিন্তু ধর্ষণ চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে সে মেহগনি গাছের ডাল দিয়ে ওই গৃহবধূর মাথায় আঘাত করে। ফলে তিনি মাটিতে পড়ে যান। এরপর তাকে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে লাশ পালিচাঁদ বিলের একটি খালে সে পুতে রাখে ঘাতক আক্তারুল। স্থানীয় এলাকাবাসী লাশটি দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়।

    এদিকে, এ ঘটনার পর থেকে ঘাতক আক্তারুলকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান শুরু কওে পুলিশ। পরে আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। স্থানীয় ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মিরাজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাাফিজুর রহমান জানান, খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। ইতিমধ্যে ঘাতক আক্তারুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  • সাতক্ষীরায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে জামায়াতকর্মীসহ গ্রেফতার ৬০

    সাতক্ষীরায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে জামায়াতকর্মীসহ গ্রেফতার ৬০

    মোঃ মুশফিকুর রহমান (রিজভি): সাতক্ষীরা জেলাব্যাপি বিশেষ অভিযান চালিয়ে জামায়াতকর্মী ও মাদক মামলার আসামীসহ ৬০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।  মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত  জেলার ৮ থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
    অভিযানে ২২ পিস ইয়াবা, ১৪০ বোতল ফেন্সিডিল,  ৪০২ গ্রাম গাজা এবং ১৯ বোতল মদ উদ্ধার করা হয়েছে। বিভিন্ন অভিযোগে আটককৃতদের বিরুদ্ধে ৫টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
    অভিযানে সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ১৮ জন, কলারোয়া থানা থেকে ৬ জন, তালা থানা থেকে ৪ জন, কালিগঞ্জ থানা থেকে ১০ জন, শ্যামনগর থানা থেকে ১৮ জন, আশাশুনি থানা থেকে ৮ জন, দেবহাটা থানা থেকে ২ জন  ও পাটকেলঘাটা থানা থেকে ১ জামায়াতকর্মীসহ ৪ জনকে আটক করা হয়।
    সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটকদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে।
  • ভোমরা স্থল বন্দর কাস্টমস এলাকা থেকে বিজিবি চেকপোষ্ট প্রত্যাহার : আমদানি-রপ্তানী শুরু

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: অবশেষে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দর কাস্টমস এলাকা থেকে বিজিবি চেকপোষ্ট প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর আগে বিজিবি চেক পোষ্ট সরানোর দাবীতে মঙ্গলবার সকাল থেকে সিএন্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনসহ বন্দরের সকল সংগঠন আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখে। টানা ৬ ঘন্টা বন্ধ থাকার পর বিজিবি কর্তৃক চেক পোস্ট প্রত্যাহার করে নেয়ায় আবারো শুরু হয়েছে বন্দরের আমদানি-রপ্তানী কার্যক্রম। ভোমরা স্থল বন্দর সিএন্ডএফ এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কাজী নওশাদ দেলোয়ার রাজু জানান, কাস্টমস অ্যাক্টের ৯ ধারা মোতাবেক বন্দর এলাকার মধ্যে আমদানি-রপ্তানিকৃত পন্যে কাস্টমস ছাড়া অন্য কোন সংস্থা হস্তক্ষেপ করতে পারবেনা। কিন্তু ২০১৫ সালের আগষ্ট মাস থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত বন্দর এলাকার চারটি স্থানে বিজিবি অযাচিত হস্তক্ষেপ করে আসছে। এর ফলে ব্যবসায়ীদের সময় নষ্ট, বন্দরে গাড়ি কম প্রবেশ করাসহ নানা সমস্যার কারনণ সরকারের রাজস্ব কমে যাওয়ায় বিজিবির এই চেক পোষ্ট সরানোর দাবিতে সিএন্ডএফ এ্যাসোসিয়েশনসহ বন্দরের সকল সংগঠন সকাল থেকে আমাদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখে। এক পর্যায়ে দুপুরে বিজিবি বন্দর এলাকা থেকে চেকপোস্ট সরিয়ে নেয়ার পর আবারো শুরু হয় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম। ৩৩ বিজিবি ব্যাটেলিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর ফজলে হোসেন জানান, ব্যবসায়ীদের স্বার্থে চেকপোস্ট সরিয়ে নেয়া হয়েছে। তবে সীমান্তবর্তী এলাকায় বিজিবির কাজ যথারীতি চলবে। ভোমরা স্থল বন্দর কাষ্টমসের সহকারী কমিশনার সাগর সেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

  • জেলাব্যাপি পুলিশের বিশেষ অভিযানে ২ জামায়াতকর্মীসহ গ্রেফতার ৫৫

    জেলাব্যাপি পুলিশের বিশেষ অভিযানে ২ জামায়াতকর্মীসহ গ্রেফতার ৫৫

    মোঃ মুশফিকুর রহমান (রিজভি): সাতক্ষীরা জেলাব্যাপি বিশেষ অভিযান চালিয়ে ২ জামায়াতকর্মী ও ৮মাদক মামলার আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার সন্ধ্যা থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত জেলার ৮ থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

    অভিযানে ২২ বোতল ফেন্সিডিল ও ১১০ গ্রাম গাজা উদ্ধার করা হয়েছে। বিভিন্ন অভিযোগে আটককৃতদের বিরুদ্ধে ২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    অভিযানে সাতক্ষীরা সদর থানা জামায়াতের ১ সুরা সদস্যসহ ১৭ জন, কলারোয়া থানা থেকে ৭ জন, তালা থানার ইসলামকাটি ইউনিয়ন জামায়াতের রোকনসহ ৪ জন, কালিগঞ্জ থানা থেকে ৭ জন, শ্যামনগর থানা থেকে ১১ জন, আশাশুনি থানা থেকে ৫ জন, দেবহাটা থানা থেকে ১ জন ও পাটকেলঘাটা থানা থেকে ৩ জনকে আটক করা হয়।

    সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটকদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে।

     

  • টাউন বাজার বাজার পরিদর্শনে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ টিম

    নিজস্ব প্রতিনিধি: জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সাতক্ষীরা জেলা কার্যালয়ের বাজার তদারকি টিম ১৬ জুলাই সকালে সাতক্ষীরা শহরস্থ কাটিয়া টাউন বাজার পরিদর্শন করেন।

    এতে সহায়তা করেন জেলা ক্যাব সদস্য মো. সাকিবুর রহমান ও জেলা পুলিশ প্রশাসন। এসময়ে হোটেলগুলোতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, পঁচাবাঁসি খাবার রাখা, দইয়ের পাত্রের অতিরিক্ত ওজন, মেয়াদ উর্ত্তীণ পন্য ও পানীয় বিক্রয়সহ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন’০৯ বাস্তবায়নসহ বিবিধ বিষয়ে পরিদর্শন করেন সহকারি পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ইমরান।

    এসকল অপরাধে নিউ সাতক্ষীরা সুইটস, বিসমিল্লাহ ষ্টোর ও মণ্ডল ট্রেডার্সকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন’০৯ এর ৪৩ ও ৫১সহ বিভিন্ন ধারা লংঘনের অপরাধে বিভিন্ন অংকের মোট ৫০০০ টাকা জরিমানা করা হয়। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন কালে সচেতনামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়।

  • সদর থানায় অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোস্তাফিজুর রহমানের যোগদান

    শহর প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা সদর থানার সদ্য যোগদানকৃত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসেবে মো. মোস্তাফিজুর রহমান যোগদান করেছেন। এর আগে তিনি আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার জোর পুকুরিয়া গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগে বি.এস.এস অনার্স পাশ করেছেন। তার পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ মো. আব্দুর রহমান। মো. মোস্তাফিজুর রহমান একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে দেশ মাতৃকার টানে দেশের সেবা করার মনোভাব নিয়ে সাব ইন্সপেক্টর হিসেবে ২০০০ সালে নড়াইল সদরে প্রথম যোগদান করেন। তার পিতা মেহেরপুর জেলার মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটির চেয়ারম্যান। অদ্যবধি সে সুনামের সাথে চাকুরী করে আসছেন। ইতিমধ্যে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাসহ পুলিশিং কার্যক্রমে শ্রেষ্ঠ ওসি হিসেবে দুই দুই বার পুরস্কৃত হয়েছেন। তিনি বলেন, সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশ মোতাবেক তার কর্মস্থলে দায়িত্ব পালন করবেন এং জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে থাকবেন। সদর থানাকে একটি আদর্শ থানায় রুপান্তরিত করার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাবেন। একই সাথে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মারুফ আহম্মদ কলারোয়া থানায় যোগদান করেছেন।

     

  • বন্দুকযুদ্ধ : ২ মাদক ব্যবসায়ী নিহত, ৫ পুলিশ সদস্য আহত

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে দুই মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। শনিবার মধ্যরাতে সদর উপজেলার বাঁশদহা গ্রামের কয়ারবিল ব্রিজের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
    উদ্ধার করা হয়েছে একটি ওয়ান শুটার গান, এক রাউন্ড গুলি ও বেশকিছু মাদকদ্রব্য। এ সময় আহত হয়েছে ৫ পুলিশ সদস্য।
    গুলিবিদ্ধ নিহত মাদক ব্যবসায়ীরা হলেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁশদহা গ্রামের আব্দুল গণির ছেলে দেলোয়ার হোসেন (৩৮) ও কলারোয়া উপজেলার কেড়াগাছি গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে আবুল কালাম আজাদ (৪০)। তারা দুজনেই আন্তঃজেলা মাদক ব্যবসায়ী বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলাও রয়েছে।
    আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, এসআই রিয়াদুল, এএসআই সুমন ,এএসআই মাজেদুল ও দুই কনস্টেবল রুবায়েত ও তুহিন।
    সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ আহমেদ জানান, শনিবার বিকালে মাদক ব্যবসায়ী দেলোয়ার ও আবুল কালামকে কিছু গাঁজা ও ফেনসিডিলসহ গোয়েন্দা পুলিশ বাঁশদহা বাজার থেকে আটক করে। রাতে জিজ্ঞাসাবাদের সময় তারা স্বীকার করে যে আজ রাতে মাদকের একটি বড় চালান ভারত থেকে আসবে। তাদেরকে নিয়ে মাদকের চালান উদ্ধারে যায় পুলিশ।
    তিনি জানান, বাঁশদহার কয়ার বিল এলাকায় পৌঁছাতেই আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা তাদের সহযোগীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি ছোড়ে। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। তিনি আরো জানান, গোলাগুলির এক পর্যায়ে তাদের দুজনকে গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। গ্রামবাসীর সহায়তায় তাদের উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাদের মৃত ঘোষনা করেন।
    তাদের কাছ থেকে এ সময় একটি ওয়ান শুটার গান, ১ রাউন্ড গুলি ও বেশ কিছু মাদক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়। এদিকে, আহত পুলিশ সদস্যদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান।

  • কুশখালী সীমান্ত থেকে ২৫ কেজি রূপা ও অস্ত্র উদ্ধার

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কুশখালী সীমান্তে অভিযান চালিয়ে প্রায় ২৫ কেজি ভারতীয় রূপা ও একটি এয়ারগান উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা।

    রোববার ভোরে সদর উপজেলার কুশখালী সীমান্ত থেকে উক্ত রূপা ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। তবে বিজিবি এসময় কোন চোরাকারবারীকে আটক করতে পারেনি। উদ্ধারকৃত রূপার মূল্য ১৬ লাখ ৪ হাজার ২৯৫ টাকা।

    সাতক্ষীরা-৩৩ বিজিবি ব্যাটেলিয়নের আওতাধীন কুশখালী বিওপির নায়েক সুবেদার হানিফ জানান, সদর উপজেলার কুশখালী সীমান্ত দিয়ে অবৈধ পথে ভারত থেকে রূপার একটি বড় চালান আনা হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালানো হয়। এ সময় পরিত্যক্ত অবস্থায় সেখান থেকে ২৪ কেজি ৯৫০ গ্রাম ভারতীয় রূপা উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত রূপার আনুমানিক মূল্য ১৬ লাখ ৪ হাজার ২৯৫ টাকা।

  • সাতক্ষীরায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৭ জামায়াতকর্মীসহ আটক-৬৪

    মোঃ মুশফিকুর রহমান (রিজভি): সাতক্ষীরা জেলাব্যাপি বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৭ জামায়াতকর্মী এবং ৯ মাদক মামলার আসামীসহ ৬৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার সন্ধ্যা হতে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত জেলার আটটি থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
    অভিযানে সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ২০, কলারোয়া থানা থেকে ৭, তালা থানা থেকে ৩, কালিগঞ্জ থানা থেকে ৮, শ্যামনগর থানা থেকে ১১, আশাশুনি থানা থেকে ৯, দেবহাটা থানা থেকে ৩ এবং পাটকেলঘাটা থানা থেকে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
    এ অভিযান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১১ পিস ইয়াবা, ১০৫ গ্রাম গাজা, ৫টি মহিষ এবং ১টি মিনি ট্রাক। আটককৃতদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ কয়েকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
    আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান জানান, জেলার ৮টি থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে।

  • স্ত্রীকে পতিতালয়ে বিক্রির দায়ে স্বামীসহ দুইজনের যাবজ্জীবন

    স্ত্রীকে পতিতালয়ে বিক্রির দায়ে স্বামীসহ দুইজনের যাবজ্জীবন

    মোঃ মুশফিকুর রহমান (রিজভি): সাতক্ষীরায় স্ত্রীকে ভারতে পাচার করে পতিতালয়ে বিক্রির দায়ে স্বামীসহ দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদ- ও অর্থদ- দিয়েছে আদালত। তবে, এ মামলার অপর তিন আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
    বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হোসনে আরা আক্তার এ রায় ঘোষণা করেন।
    সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ধুলিহর ইউনিয়নের বালুইগাছা গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে তঞ্জুরুল ইসলাম বাবু ও আমের আলী সরদারের ছেলে শওকত হোসেন।
    মামলার বিবরণে জানা যায়, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ধুলিহর ইউনিয়নের বালুইগাছা গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে তঞ্জুরুল ইসলাম বাবু তার স্ত্রীকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে এক লাখ টাকার বিনিময়ে ২০০৫ সালের ২৫ আগস্ট স্থানীয় শওকত হোসেন, মক্ষ্মী রানী সুন্দরী ওরফে ময়না, আব্দুল গফুর ও সাগর মাতব্বরের সহযোগিতায় ভারতের একটি পতিতালয়ে বিক্রি করে দেয়। পরে সে পালিয়ে দেশে ফিরে আসে। এ ঘটনায় তার খালু আশাশুনি উপজেলার বড়দল গ্রামের মৃত মোহাম্মদ গাজীর ছেলে আতিয়ার রহমান গাজী বাদী হয়ে থানায় উল্লিখিত পাঁচজনের নামে মামলা দায়ের করেন।
    বুধবার এ মামলায় ছয়জন স্বাক্ষীরা সাক্ষ্য গ্রহণ ও নথি পর্যালোচনা করে তঞ্জুরুল ইসলাম বাবু ও শওকত হোসেনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাদের দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদ- ও এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদ-ের আদেশ দেন। তবে, অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার অপর তিন আসামিকে খালাস দেওয়া হয়।
    সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট জহুরুল হায়দার বাবু বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ রায়ের সময় আসামিরা পলাতক ছিলো।
  • প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তির মাধ্যমে জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে পরিণত করতে হবে-জেলা প্রশাসক

    মোঃ মুশফিকুর রহমান রিজভি: ‘পরিকল্পিত পরিবার সুরক্ষিত মানবাধিকার’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে সাতক্ষীরায় বিশ্ব জনসংখ্যা পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
    বুধবার সকালে জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের আয়োজনে সাতক্ষীরা শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্ক হতে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র‌্যালি শেষে সদর উপজেলা মিলনায়তনে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসের উপর বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ডা. রওশন আরা জামান।
    প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশ আজ দূর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি রোধ হয়েছে পরিকল্পিত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের ফলে। জনসংখ্যা এখন অভিশাপ নয়। প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তির মাধ্যমে জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে পরিণত করতে হবে’।
    আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবু, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেরিনা আক্তার, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তহমিনা খাতুন, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর ইসলাম, জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ডা. জি.এম মুজিবুর রহমান (সিসি) প্রমুখ।
    এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মেডিকেল অফিসার (এম.সি.এইচ.এফ.পি) ডা. মো. আমিনুল ইসলাম, মেডিকেল অফিসার (ক্লিনিক) ডা. লিপিকা বিশ^াস, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ের পরিসংখ্যান সহকারি মো. ফারুক হোসেন, সুর্যের হাসি ক্লিনিক’র ম্যানেজার মফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
    মাল্টি মিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে দিবসের মূল প্রতিপাদ্য উপাস্থাপন করেন সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসার মো. নকিবুল হাসান। কর্ম-দক্ষতা ও সেবাদানে বিশেষ অবদানের জন্য মাঠ কর্মীদের মাঝে পুরস্কার প্রদান করা হয়। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মো. জিল্লুর রহমান।

     

  • সাতক্ষীরায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে আটক-৪৭

    সাতক্ষীরায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে আটক-৪৭

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা জেলাব্যাপী বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৯ মাদক মামলার আসামি ও ১ জামায়াত কর্মীসহ ৪৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
    রবিবার সন্ধ্যা থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত জেলার আটটি থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। উদ্ধার করা হয়েছে ইয়াবাসহ বেশ কিছু মাদক দ্রব্য। এসময় বিভিন্ন অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে ৫ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
    আটককৃত আসামিদের মধ্যে সাতক্ষীরা সদর থানার ১৪ জন, কলারোয়া থানার ৮ জন, তালা থানার ৩ জন, কালিগঞ্জ থানার ৬ জন, শ্যামনগর থানার ৬ জন, আশাশুনি থানার ৭ জন, দেবহাটা থানার ১ জন ও পাটকেলঘাটা থানার ২ জন।
    সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে।