কলারোয়া প্রতিনিধি: শারদীয় দুর্গা পুজোর সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষনে রবিবার (২৪অক্টোবর) বেলা ১২টায় মহানবমীতে কলারোয়ার বিভিন্ন বিভিন্ন পুজোমন্ডপ পরিদর্শন করেন কলারোয়া থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ আলহাজ্ব মীর খায়রুল কবির। এসময় তিনি পুজোমন্ডপের পূজারী এবং আগত দর্শনার্থীদের সাথে কথা বলেন। তিনি উৎসব পালনে কোন রকম সমস্যা হলে তা দ্রুত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানোর অনুরোধ করেন।
তিনি জানান, অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে লালন করে তা অব্যাহত রাখতে হবে এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে সমন্বিত করতে হবে। পূজায় যেকোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। আমাদের পুলিশের পাশাপাশি অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়মিত টহল দিচ্ছে। গয়ড়া পুজোমন্ডপে পৌছালে সনাতন ধর্মীয় দর্শনার্থীরা থানার অফিসার ইনচার্জকে শারদীয় শুভেচ্ছা জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম মনি, ইউনিয়ন আওয়মী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুল ইসলাম, বিট পুলিশের দায়িত্বরত এস আই ইস্ররাফিল হোসেন, এ এস আই রফিকুল, এ এস আই রাকিবুল, কলারোয়া প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক আতাউর রহমান, পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি বাসুদেব, যুগ্ম সম্পাদক পার্থ মজুমদার, সদস্য গৌতম কর্মকার, রামকৃষ্ণ মজুমদার, অশোক কর্মকার ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
Category: পুলিশ
-

কলারোয়ায় পুজোমন্ডপ পরিদর্শনে নবাগত ওসি
-

দেবহাটা থানার ওসি’র বিভিন্ন পূজামন্দির পরিদর্শন
দেবহাটা প্রতিনিধি: দেবহাটায় দূর্গাপূজা উপলক্ষ্যে দেবহাটা থানা প্রশাসনের আয়োজনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সার্বক্ষনিক মনিটরিং করা হচ্ছে।তারই ধারাবাহিকতায় দেবহাটা থানার ওসি বিপ্লব কুমার সাহা গত কয়েকদিন যাবৎ উপজেলার ২১টি দূর্গাপূজা মন্দির সার্বক্ষনিক পরিদর্শন করছেন। রবিবার সকালে ওসি বিপ্লব কুমার সাহা উপজেলার বিভিন্ন পরিদর্শনকালে বলেন, এলাকার মানুষ যাতে শান্তিতে বসবাস করতে পারে সেজন্য পুলিশ সদা তৎপর। কেউ যদি এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা নষ্ট করার অভিপ্রায় চালায় সেটা পুলিশ কঠোর হস্তে দমনে দৃড় প্রতিজ্ঞ। নাশকতাকারী ও সন্ত্রাসীদের কোন ছাড় নেই উল্লেখ করে ওসি জানান, দূর্গাপূজা যাতে শান্তিতে ও আনন্দঘন পরিবেশে সম্পন্ন হয় সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। সকল প্রকারের অপরাধমূলক কর্মকান্ড বন্ধ রাখতে পুলিশ সর্বদা কাজ করছে এবং এটা অব্যাহত থাকবে বলে ওসি জানান।
এসময় দেবহাটা থানার এসআই হাসিনা খাতুন, দেবহাটা প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি রশিদুল আলম, সিনিয়র সাংবাদিক আর.কে.বাপ্পা, সাংবাদিক রফিকুল ইসলামসহ সঙ্গীয় পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। ওসি বিপ্লব কুমার সাহা সকল মন্দিরের কর্মকর্তাদেরকে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সকল অনুষ্ঠান সম্পন্ন করার আহবান জানান। -

পাইকগাছায় পরিত্যক্ত অবস্থায় ৩টি অস্ত্র উদ্ধার
পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি: খুলনার পাইকগাছায় দেশীয় তৈরী ২টি পাইপগান ও ১টি রিভালবার পরিত্যক্ত অবস্থায় থানা পুলিশ উদ্ধার করেছে। শনিবার দুপুরের দিকে উপজেলার দেলুটি ইউনিয়নের গেওয়াবুনিয়া স্লুইজ গেটের পাশে এলাকাবাসী মাটি কাটার সময় মাটির নীচে তিনটি আগ্নেয়অস্ত্র দেখতে পেয়ে থানা পুলিশকে খবর দেয় এবং থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র তিনটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে বলে থানা পুলিশ সুত্রে জানা গেছে। ওসি মোঃ এজাজ শফী জানিয়েছেন, দেশীয় তৈরী ২টি পাইপগান ও ১টি রিভালবার পরিত্যক্ত অবস্থায় মাটির নীচ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
-

কলারোয়ার চন্দনপুরেবিট পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত
কলারোয়া প্রতিনিধি: কলারোয়ার চন্দনপুর ইউনিয়ন বিট পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার পুলিশ হবে জনতার’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে রবিবার সকালে ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) মীর খায়রুল কবির। সভায় চন্দনপুর ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম মনির সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হারান চন্দ্র পাল।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চন্দনপুর ইউনিয়ন বিট পুলিশিং এর দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার থানার এসআই ইস্রাফিল হোসেন, এএসআই রফিকুল ইসলাম, এএসআই রাকিবুল হাসান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মফিজুল ইসলাম, ইউপি সদস্য সাংবাদিক হাসান মাসুদ পলাশ, সাংবাদিক আতাউর রহমান, ফারুক হোসেনসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সুধিবৃন্দ। উল্লেখ্য, মাদক, ইভটিজিং, ধর্ষন, বাল্যবিবাহ ও জঙ্গীবাদসহ সকল সামাজিক অবক্ষয় প্রতিরোধে ইউনিয়ন বিট পুলিশিং কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে হবে বলে জানান অতিথিবৃন্দ। -

জেলা গোয়েন্দা শাখার নবাগত ওসি ইয়াছিন আলম চৌধুরী
নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ (ডিবির ওসি) হিসাবে যোগদান করেছে শ্যামনগর থানার বিদায়ী ইন্সপেক্টর (তদন্ত) ইয়াছিন আলম চৌধুরী। গতকাল বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) পূবাহ্নে তিনি সাতক্ষীরা পুলিশ অফিসে এসে ডিবির ইনচার্জ হিসাবে যোগদান করেন। যোগদানের পর তিনি বিদায়ী ওসি মহিদুল ইসলামের নিকট থেকে দায়িত্ব বুঝে নেন। দায়িত্ব গ্রহণের পর জেলা গোয়েন্দা শাখার পরিদর্শক বাবুল আক্তার, পরিদর্শক জহিরুল ইসলাম, ডিবির সেকেন্ড অফিসার হাফিজুর রহমান, ডিবির সাব-ইন্সপেক্টর ফরিদ হোসেন, সাব-ইন্সপেক্টর মুনিরুল ইসলাম, সাব-ইন্সপেক্টর মোস্তফা আলম, সাব-ইন্সপেক্টর তন্ময়, সাব-ইন্সপেক্টর মহাসিন হাওলাদার, নবাগত অফিসার ইনচার্জ ইয়াছিন আলম চৌধুরীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে বরণ করে নেন। পরে নবাগত অফিসার ইনচার্জ ডিবির ইন্সপেক্টরগণ ও সকল এসআই এবং এএসআইদের সাথে সংক্ষিপ্ত মতবিনিময় করেন ও বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। এসময় নবাগত অফিসার ইনচার্জ সাতক্ষীরা জেলাকে মাদক-সন্ত্রাস ও জঙ্গীমুক্ত জেলা হিসাবে গড়ে তুলতে সাংবাদিক মহল সহ সকল মহলের সহযোগীতা কামনা করেন।
-

মাধবকাটি এলাকা থেকে দুই কেজি গাঁজাসহ এক মাদক ব্যবসায়ী আটক
নিঁজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরার মাধবকাটি এলাকা থেকে দুই কেজি গাঁজাসহ এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটেলিয়নের (র্যাব) সদস্যরা। শুক্রবার ভোরে সদর উপজেলার মাধবকাটি অন্যের মোড় নামক স্থানের পাকা রাস্তার উপর থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক মাদক ব্যবসায়ীর নাম শাহিনুর সরদার (৩১)। তিনি সদর উপজেলার বাবুলিয়া কুচপুকুর গ্রামের রেছাতুল্লাহ সরদারের ছেলে।
র্যাব জানায়, সদর উপজেলার মাধাবকাটি এলাকায় কতিপয় ব্যক্তি মাদক দ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় করার উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তি র্যাব-৬ এর সাতক্ষীরা ক্যাম্পের অধিনায়ক সিনিয়র এ.এস.পি বজলুর রশিদের নেতৃত্বে একটি আভিযানিক দল সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় মাধবকাটি অন্যের মোড় নামক স্থানের জনৈক আতাউর মেম্বরের বাড়ির পিছনে পশ্চিম পাশের পাকা রাস্তার উপর থেকে দুই কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী শাহিনুর সরদারকে হাতেনাতে আটক করা হয়।
র্যাব সাতক্ষীরা ক্যাম্পের অধিনায়ক সিনিয়র এ.এস.পি বজলুর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটক মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। -

খুলনায় আল্টিমেটাম দিয়ে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি স্থগিত
খুলনায় ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ডা. আব্দুর রকিব খানকে হত্যায় জড়িত বাকি আসামিদের গ্রেফতার ও খুলনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে প্রত্যাহারের আল্টিমেটাম দিয়ে চিকিৎসকদের কর্মবিরতী স্থগিত ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ) খুলনা শাখা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এ ঘোষণা দিয়েছেন। এদিকে একই সাথে কর্মক্ষেত্রে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানিয়েছেন চিকিৎসক নেতারা।
জানা যায়, রোগীর স্বজনদের হামলায় গুরুতর আহত খুলনার রাইসা ক্লিনিকের পরিচালক ডা. রকিব খান মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আবু নাসের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তিনি বাগেরহাট মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট টেনিং স্কুলের (ম্যাটস) অধ্যক্ষ ছিলেন। রাইসা ক্লিনিকে চিকিৎসা নেওয়া এক রোগীর মৃত্যুতে তার স্বজনরা ভুল চিকিৎসার অভিযোগ তুলে সোমবার রাতে ডা. রকিবকে বেধড়ক মারপিট করে। এতে মাথায় আঘাত লাগায় মস্তিস্কে রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়।এ ঘটনায় দ্রুত আসামিদের গ্রেফতার ও নিহতের পরিবারের সাথে দুর্ব্যবহার করায় খুলনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বুধবার বিকাল থেকে টানা কর্মবিরতি শুরু করে খুলনার সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের চিকিৎসকরা। তবে বুধবার রাতে হত্যাকাণ্ডে জড়িত ৫ আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে খুলনা বিএমএ।সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ডা. মেহেদী নেওয়াজ জানান, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকাণ্ডে জড়িত বাকি আসামিদের গ্রেফতার ও খুলনা থানার ওসিকে প্রত্যাহার করা না হলে আরো কঠিন কর্মসূচি দেওয়া হবে। তবে রোগীর দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে কর্মবিরতি আপাতত স্থগিত থাকবে।
-

আশাশুনিতে পুলিশ সুপার এর পক্ষ থেকে খাদ্য সহায়তা প্রদান
নিজস্ব প্রতিনিধি: আশাশুনিতে পুলিশ সুপার মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান এর পক্ষ থেকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। রবিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত এ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন এ এসপি সার্কেল শেখ ইয়াসিন আলী। আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের ৬০০ পরিবার ও শ্রীউলা ইউনিয়নের ৬০০ পরিবার মোট ১২০০ পরিবারের মাঝে প্রত্যেককে ১৪ কেজি আটা বিতরণ করা হয়। খাদ্য সামগ্রী বিতরণ কালে এ এসপি সার্কেল শেখ ইয়াসিন আলী বলেন, সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানের পক্ষ থেকে ও দিকনির্দেশনায় আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ও প্রতাপনগর ইউনিয়নের পানিবন্দি মানুষ যারা অসহায় অবস্থায় দিনযাপন করছে তাদেরকে খাদ্যসহায়তা প্রদান করা হয়েছে। আমরা জনগণের সেবক হিসাবে সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ছিলাম এবং ভবিষ্যতেও থাকবো। তিনি আরো বলেন, আগামী দিনে এই এলাকার পানিবন্দি মানুষ খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি যাহাতে চিকিৎসা সেবা পায় তার ব্যবস্থা করা হবে। খাদ্য বিতরণ কালে আশাশুনি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এবিএম মোস্তাকিম, থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ গোলাম কবির, অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মোঃ মাহফুজুর রহমান, এসআই হাসানুজ্জামান, শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিল, প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জাকির হোসেন, আনুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর আলম লিটন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ বাচ্চু, পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্য বৃন্দ জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
-

লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশি হত্যার নেপথ্যে ৪ ট্রাভেল এজেন্সি
ন্যাশনাল ডেক্স:
লিবিয়ায় নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার ২৬ বাংলাদেশি। এছাড়া আরও ১১ জনকে গুলিবিদ্ধ করে আহত করা হয়েছে। এই ঘটনার পেছনে রয়েছে দেশের চারটি ট্রাভেল এজেন্সি ও অর্ধশতাধিক দালাল চক্র।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) অনুসন্ধান চালিয়ে এসব তথ্য উদঘাটন করেন। এর ভিত্তিতে চার ট্রাভেল এজেন্সি ও ৩৬ জনের নাম উল্লেখ করে মানবপাচার প্রতিরোধ আইনে মামলা করেছে সিআইডি।
সিআইডির এক সূত্রে জানা যায়, অর্গানাইজড ক্রাইমের হিউম্যান ট্রাফিকিং অ্যান্ড ভাইস স্কোয়াডের উপপুলিশ পরিদর্শক এএইচএম রাশেদ ফজল বাদী হয়ে পল্টন থানায় মামলাটি করেছেন। মানবপাচার প্রতিরোধ আইনে করা মামলাটিতে চারটি ট্রাভেল এজেন্সিসহ ৩৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ৩০-৩৫ জনকে।
মামলার এজাহারের ভাষ্য মতে, ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের মে মাসের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে আসামিরা হতাহতরাসহ আরও অনেককে ইউরোপ পাঠানোর কথা বলে লিবিয়ায় অবৈধভাবে পাচার করেন। এর মধ্যে ২৬ জনকে লিবিয়ায় হত্যা করা হয়েছে, পাশাপাশি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আরও ১১ বাংলাদেশি।
এই ঘটনার পেছনে রাজধানীর নাভীরা লিমিটেড এবং ফ্লাইওভার ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস নামের দুটি প্রতিষ্ঠান জড়িত রয়েছে বলে সিআইডির তদন্তে উঠে আসে। এই দুই প্রতিষ্ঠানের মালিক শেখ মো. মাহবুবুর রহমান ও শেখ সাহিদুর রহমান গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী থানার মুকুন্দপুরের মৃত আব্দুল মোতালেব শেখের ছেলে। এ দুটি ট্রাভেল এজেন্সি ছাড়াও পুরানা পল্টনের স্কাই ভিউ ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস ও বাংলামোটরের লালন নামের আরেকটি ট্রাভেল এজেন্সির নাম এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
সিআইডির হিউম্যান ট্রাফিকিং অ্যান্ড ভাইস স্কোয়াডের অনুসন্ধান বলছে, ট্রাভেল এজেন্সিগুলোর মালিকসহ অন্য আসামিরা প্রলোভন দেখিয়ে টাকার বিনিময়ে প্রতারণামূলকভাবে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন রুট ব্যবহার করে ভুক্তভোগীদের পাচার করেছে। কিন্তু সেখানে পাঠিয়ে তাদেরকে কম বেতনে কঠিন শ্রমের কাজে নিয়োজিত করা হতো।
এই মামলার এজাহারে উল্লেখিত আসামিদের নাম : তানজিদ, বাচ্চু মিলিটারি, নাজমুল, জোবর আলী, জাফর, স্বপন, মিন্টু মিয়া, হেলাল মিয়া, কামাল উদ্দিন ওরফে হাজী কামাল, আলী হোসেন, সাদ্দাম, কামাল হোসেন, রাশিদা বেগম, নুর হোসেন শেখ, ইমাম হোসেন শেখ, আকবর হোসেন শেখ, বুলু বেগম, জুলহাস সরদার, আমির শেখ, দিনা বেগম, নজরুল মোল্লা, শাহদাত হোসেন, জাহিদুল শেখ, জাকির মাতুব্বর, আমির হোসেন, লিয়াকত শেখ, আ. রব মোড়ল, কুদ্দুস বয়াতী, নাসির, সজীব মিয়া, রেজাউল বয়াতী, শেখ মো. মাহবুবুর রহমান, শেখ সাহিদুর রহমান, হাজী শহীদ মিয়া, মো. খবি উদ্দিন ও মুন্নি আক্তার রূপসী।
অর্গানাইজড ক্রাইমের হিউম্যান ট্রাফিকিং অ্যান্ড ভাইস স্কোয়াডের উপ পুলিশ পরিদর্শক এএইচএম রাশেদ ফজল জানান, গত এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ভুক্তভোগীদের লিবিয়ার বিভিন্ন স্থানে আটকে রাখে। মে মাসের মাঝামাঝি তাদের নিয়ে যাওয়া হয় ত্রিপোলি থেকে ১৮০ কিলোমিটার দক্ষিণের শহর মিজদায়। সেখানে আসামিরা লিবীয় সহযোগীদের মাধ্যমে তাদের ওপর নির্যাতন চালাতে থাকে। সেসব ছবি দেশে স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে মুক্তিপণ দাবি করা হয়।
মুক্তিপণের টাকা নিয়ে আসিমেদের সঙ্গে দরকষাকষির মধ্যে এক সুদানি স্থানীয় মানবপাচারকারীকে হত্যা করে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ নিহত মানবপাচারকারীর স্থানীয় সহযোগীরা গত ২৮ মে আসামিদের সহায়তায় হতভাগ্য পাচারকৃতদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায়। এ সময় তাদের গুলিতে জুয়েল, মানিক, আসাদুল, আয়নাল মোল্লা, জুয়েল-২, মনির, মনির-২, সজীব, ফিরোজ, শামীম, আরফান, রহিম, রাজন, শাকিল, আকাশ, সোহাগ, মো. আলী, সুজন. কামরুল, রকিবুল, লাল চন্দ ও জাকির হোসেনসহ মোট ২৬ বাংলাদেশী নিহত হন। এছাড়া গুরুতর আহত হন আরও ১১ জন।
-
সাতক্ষীরায় করোনা রোগী সনাক্ত হওয়ায় শক্ত অবস্থানে পুলিশ প্রশাসন, অন্য জেলা থেকে এ জেলায় কর্মস্থলে আসার পথে ফেরত পাঠানো হয়েছে এক ডাক্তারসহ তিন জনকে
স্টাফ রিপোটার ঃ সাতক্ষীরায় একজন করোনা রোগী সনাক্ত হওয়ায় শক্ত অবস্থানে পুলিশ প্রশাসন। যারা সাতক্ষীরার বাহিরে থেকে কিংবা সাতক্ষীরা থেকে বাহিরের জেলায় গিয়ে সরকারি ও বেসরকারি চাকুরি করেন, তাদের যাতায়াত বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। তাদেরকে স্ব-স্ব কর্মস্থলে থাকার জন্য বলা হয়েছে। অন্যথায় কোন চেকপোস্ট ও পুলিশি টহলে পড়লে তার প্রয়োজনীয় আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে ঘোষনাও দিয়েছেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান। জেলার প্রতিটি প্রবেশদ্বারে বসানো হয়েছে পুলিশি চেকযোষ্টসহ কড়া নজরদারী।
ইতিমধ্যে আজ সোমবার সকালে তালা উপজেলার সুভাষিনী এলাকায় জেলার প্রবেশদ্বারের পুলিশি চেকপোষ্টে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ মনিরুজ্জামান, জনৈক হাসান নামের এক জন মেডিকেল টেকনোশিয়ানকে খুলনা থেকে সাতক্ষীরায় আসার পথে গতিরোধ করা হয়। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায় তারা প্রতিদিন খুলনা থেকে সাতক্ষীরায় কর্মস্থলে আসেন। পরে তাদের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিষয়টি অবহিত করে তাদেরকে দ্রুত খুলনায় ফেরত পাঠানো হয়। অপর একজন স্বাস্থ্য কর্মী শ্যামনগর থেকে তার কর্মস্থল রুপসা উপজেলা স্বাস্থ্যকপ্লেক্সে যাওয়ার পথে তাকেও একই ভাবে ফেরত পাঠানো হয়। একই সাথে তাদের বহনকারী একটি প্রাইভেটকারসহ করেয়কটি মোটরযানের নামে মামলা দেয়া হয়।
সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তাদের স্থানীয় নিয়ন্ত্রকারী কর্তৃপক্ষ সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ ও জেলা সিভিল সার্জনকে এ ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে সে বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য আহবান করা হয়েছে।
এদিকে, পুলিশের একটি দায়িত্বশীল সূত্রে জানা যায়, স্বাস্থ্য বিভাগের বেশ কয়েকজন খুলনা এবং সাতক্ষীরায় কাজ করে থাকেন। তারা হাসপাতাল ও ক্লিনিকে কাজ করলে স্বস্ব কর্মস্থলের বাহিরে আসতে পারবেন না। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে বলাও হয়েছে।
সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত সবাইকে স্ব-স্ব কর্মস্থলে থেকে দায়িত্ব পালন করার জন্য অনুরোধ করা হলো। -

করোনা প্রতিরোধে মানুষদের ঘরে রাখতে পুলিশ আরও কঠোর হচ্ছে: ৫‘শাতধিক দরিদ্র মানুষের বাড়ীতে খাবার পৌছে দেয়া হয়েছে- পুলিশ সুপার
নিজস্ব প্রতিনিধি: করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জেলা পুলিশ ও কমিউনিটি পুলিশিং ফোরাম সাতক্ষীরার উদ্যোগে এক বিশেষ জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার বেলা ১১ টায় সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান (পিপিএমবার)। এসময় বিশেষ এ জরুরী সভায় বক্তব্য রাখেন, পদন্নিতপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার সাতক্ষীরা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইলতুৎমিশ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়াউর রহমার, সহকারী পুলিশ সুপার (ডিএসবি) সাইফুল ইসলাম, সাতক্ষীরা জেলা পুলিশিং ফোরামের সভাপতি ডা. আবুল কালাম বাবলা, পৌরসভার মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি, সরকারী কলেজের উপাধাক্ষ্য আমানুল্লাহ হাদী, সাংবাদিক মোজাফ্ফর রহমান, পৌর কাউন্সিলর কাজী ফিরোজ হাসান, পৌর কাউন্সিলর জোসনা আরা, সমাজ সেবক আনিছ খান বকুল, এ্যাড. সবুজ, এ্যাড. শ্যামল ঘোষাল, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রাজ্যেশ^র দাশ।
সভায় সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে পুলিশের পাশাপাশি কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের কার্যক্রমকে গতিশীল করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। সরকারের নির্দেশনা মেনে সাধারন মানুষ যাতে নিজ বাড়ীতে থাকে সে জন্য সতর্কমূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন। মানুষদের ঘরে রাখতে পুলিশ আরও কঠোর হবে উল্লেখ করে পুলিশ সুপার বলেন, আজ থেকে কোন বিশেষ কারন ছাড়া অহেতুক কোন মানুষ রাস্তায় ঘোরাফেরা করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সবাইকে এক যোগে কাজ করতে হবে। সতর্ক ও সচেতনার কোন বিকল্প নেই উল্লেখ করে পুলিশসুপার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, দরিদ্র মানুষদের বাড়ীতে বাড়ীতে খাবার পৌছে দিতে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা কাজ করে যাচ্ছে। তিনি জানান, সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ ও জেলা পুলিশিং ফোরামের উদ্যোগে মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে জেলার দুস্থ্য কর্মহীন পাঁচ শতাধিক পরিবারের কাছে চাউল, ডাল, তেল, আলুসহ অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী পৌছে দেয়ার কাজ শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আরও বাড়ানো হবে। -

করোনা ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের উদ্যোগে সচেতনতা মূলক প্রচারিভাযান
নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ করোনা ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের উদ্যোগে বুধবার দুপুরে সচেতনতা মূলক নানা প্রচারিভাযান চালানো হয়েছে। এ সময় তারা প্রয়োজন ছাড়া যাতে কেউ ঘরের বাহিরে বের হয়ে ঘোরাঘুরি না করেন সে জন্য তাদের সতর্ক করাসহ সচেতনতা মূলক লিফলেট বিতরন করেন। একইসাথে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দোকান ও ঔষধের দোকান ছাড়া বাকী অন্যান্য দোকানদের তাদের দোকান বন্ধ রাখার আহবান। এছাড়া সকল ধরনের সভা সমাবেশ, সেমিনার, সামাজিক অনুষ্ঠানসহ সকল প্রকার গণজমায়েত নিষিদ্ধ করার জন্য ঘোষনা দেন।
সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, করোনা একটি ছোঁয়াচে ভাইরাস। তাই এই ভাইরাস থেকে আমাদের মুক্ত হতে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। প্রাথমিকভাবে সকলকে সতর্ক করা হয়েছে। যদি কেউ এ নির্দেশ অমান্য করেন তাহলে পুলিশ আজ থেকে তাদের উপর মৃদু এ্যাকশনে যেতে বাধ্য হবেন।
এ সময় তার সাথে আরো উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পদোন্নতি প্রাপ্ত পুলিশ সুপার) ইলতুৎ মিশ, বিশেষ শাখার সহকারী পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম, সদর সার্কেল মীর্জা সালাউদ্দীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়াউর রহমান, জামিরুল ইসলাম, বিশেষ শাখার পরিদর্শক মিজানুর রহমান, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান প্রমুখ। -
বাঁকাল চেকপোস্টে ৭ লাখ ৪ হাজার টাকা মূল্যের ২১ কার্টুন সামুদ্রিক মাছ জব্দ
শেখ ফরিদ আহমেদ ময়না,সাতক্ষীরা প্রতিনিধি ঃ ভারত থেকে অবৈধভাবে আনার সময় সাতক্ষীরার বাঁকাল চেকপোষ্ট এলাকা থেকে ৭ লাখ ৪ হাজার টাকা মূল্যের ২১ কার্টুন বিভিন্ন প্রকার সামুদ্রিক মাছ জব্দ করেছে বিজিবি। রবিবার ভোরে শহরের অদূরে বাঁকাল চেকপোষ্ট এলাকা থেকে উক্ত মাছগুলো জব্দ করা হয়। তবে, এ সময় বিজিবি কোন চোরাকারবারীকে আটক করতে সক্ষম হননি।
বিজিবি জানায়, সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দর সীমান্ত এলাকা দিয়ে কাষ্টমস ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে অবৈধভাবে বিপুল পরিমান সামুদ্রিক মাছ আনা হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবি ব্যাটেলিয়নের গাজীপুর বিওপির আওতাধীন বাাঁকাল চেকপোষ্ট কমান্ডার হাবিলদার মোঃ মাহমুদ শরীফের নেতৃত্বে বিজিবির একটি টহল দল সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় সেখান থেকে সুন্দরবন ট্রেডিং এজেন্সি ভোমরার চারটি ট্রাকে তল্লাশী চালিয়ে ১ হাজার ১৫৫ কেজি ওজনের ২১ কার্টুন বিভিন্ন প্রকার সামুদ্রিক মাছ জব্দ করা হয়। জব্দকৃত মাছের সর্বমোট মূল্য ৭ লাখ ৪ হাজার টাকা বলে বিজিবি আরো জানায়।
সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবি ব্যাটেলিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোহাম্মদ গোলাম মহিউদ্দিন খন্দকার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় জব্দকৃত মাছ গুলো সাতক্ষীরা সদর থানায় সোপর্দ করার পর সেখান থেকে ম্যাজিষ্টেটের উপস্থিতিতে তা নিলামে বিক্রি করা হয়। -

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীকে সামনে রেখে সাতক্ষীরা পুলিশের তাল গাছ রোপন
সাতক্ষীরা জেলা পুলিশিএর পক্ষ হতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীকে সামনে রেখে ১৯৭১টি তালের চারাগাছ রোপণ করেছে । শনিবার সকালে সাতক্ষীরা শহর বাইপাস সড়কের দুই ধরে আনুষ্ঠানিকভাবে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোহম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই তালের চারাগাছ রোপন উদ্বোধন শুরু করেন।
পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি সাতক্ষীরা শাখার সভানেত্রী পুলিশ নাদিরা আফরোজের নেতৃত্বে নারী পুলিশের একটি চৌকস দল এ কর্মসূচিতে অংশ নেন। কর্মসুচিতে আরো অংশ নেন সাতক্ষীরা জেলা কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সভাপতি ডা. আবুল কালাম বাবলার নেতৃত্বে সংগঠনের সদস্যগণ ।বজ্রপাতে মৃত্য ঠেকাবে তালগাছ- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ উক্তিকে প্রতিপাদ্য করে তালের চারা রোপন কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইলতুৎমিশ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মির্জা সালাহউদ্দীন, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সস্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপি, প্রথম আলোর স্টাফ রিপোটার কল্যাণ ব্যানার্জীসহ পুলিশ প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তা ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ।
মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্দীপ্ত হয়ে ১৯৭১টি তাল গাছের চারা রোপনের ফলে সাতক্ষীরা বাইপাস সড়কে নান্দনিক দৃশ্যের সৃষ্টি হবে। ছায়া সুনিবিড় অবারিত মাঠের মাঝে ফুটে উঠবে চোখ জুড়ানো মনোরম দৃশ্য। পরিবেশ হবে সুরক্ষিত। মানুষ বজ্রপাত থেকে রেহাই পাবে। সুনিবিড় গাছের শীতর ছায়ায় বসে পথিক জুড়াবে প্রাণ। এমনটি আশা করছেন জেলার মানুষ। -

কলারোয়া থেকে পাজেরো গাড়ি ভর্তি ১২’শ ফেন্সিডিলসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক
নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরার কলারোয়া থেকে পাজেরো গাড়ি ভর্তি ১২’শ বোতল ভারতীয় আমদানী নিষিদ্ধ ফেন্সিডিলসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার দুপুরে র্যাব-৬ এর একটি দল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তারদের বাসভবনের সামনে থেকে ফেন্সিডিলসহ উক্ত দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে।
আটক দুই মাদক ব্যবসায়ীরা হলেন, যশোর জেলার শার্শা উপজেলার বাগআচড়া গ্রামের তৈয়েবুর রহমানের ছেলে মামুন ইসলাম (১৮) ও একই জেলার বেনাপোল থানার কভারবেড় গ্রামের মো. আব্দুল্লাহ’র ছেলে তৌহিদুল ইসলাম (২৩)।
র্যাব-৬ এর আওতাধীন সাতক্ষীরার ক্যাম্পের এ.এস.পি বজলুর রশীদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৬ এর সাতক্ষীরা ক্যাম্পের একটি চৌকসদল কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তারদের বাসভবনের সামনে অভিযান চালিয়ে এক্স করোলা একটি পাজেরো গাড়ি থেকে পাøষ্টিকের ব্যাগ ভর্তি ১২’শ বোতল ফেন্সিডিলসহ উক্ত দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে। তিনি জানান, কলারোয়া সীমান্ত এলাকা থেকে এনে ফেন্সিডিলগুলো তারা ফরিদপুরের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিলো জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে। আটক মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে তিনি আরো জানান। -
যানবাহনে ব্যবহৃত গোপন স্টিকারে ৫লক্ষাধিক টাকা মাসোয়ারা আদায়
শেখ জাকির হোসেন ॥
সাতক্ষীরা জেলা ট্রাফিক পুলিশ ইন্সপেক্টর (টিআই) মমিন উদ্দীনের বিরুদ্ধে কেস স্লিপ বানিজ্য পর এবার যানবাহনে ব্যবহৃত গোপন স্টিকারের মাধ্যমে ৫লক্ষাধিক টাকা মাসোয়ারা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ১১জুন সাতক্ষীরা ট্রাফিক পুলিশের নানাবিধ অনৈতিক কর্মকান্ড নিয়ে তথ্যভিক্তিক সংবাদ বিভিন্ন প্রিন্ট এবং অনলাইনের পোর্টালে প্রকাশিত হলে গাত্রদাহ শুরু হয়। দূর্নীতিপরায়ণ কর্মকর্তা নিজের অপকর্ম ঢাকতে এবং সাংবাদিকদের ম্যানেজ করতে রাজনৈতিক নেতা ও মহল বিশেষের কাছে ধর্ণা দিয়ে ব্যার্থ হন ।
অনুসন্ধান করে জানা গেছে, সাতক্ষীরাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় পণ্য পরিবহন সংস্থার নামে যানবাহনে ব্যবহৃত গোপন সংকেত হিসেবে সাতক্ষীরার আলিফ ও এনপি মটরস ,ফরিদপুর জেলার কানাইপুরের মাসুদ মটরস, ঝিনাইদহের একতা,হাবিব,মুক্তার,কালিগজ্ঞের জে কে ,যশোরের কে এম ব্রাদার্স কুষ্টিয়ার আরাফাত,সুজন,নাভারনের শাহাজান,মাগুরার আয়শা,এম এম টি ,রাহাবুল, মটরস সহ অর্ধশত সংস্থার নামের স্টিকার যানবাহনে ব্যবহার করে প্রতিমাসে ৫লক্ষাধিক টাকা আদায় করে আসছেন। এছাড়া জেলার ৮ থানায় অবৈধ ট্রলি,নসিমন,করিমন,ইজ্ঞিনভ্যান,আলমসাধু,মাহিন্দ্রা এসোসিয়েশন থেকে প্রতিমাসে আরও লক্ষাধিক টাকা মাসোয়ারা আদায় করে।এদিকে দূর্নীতিপরায়ন (টিআই) প্রতিনিয়ত কলারোয়া সড়কের টেকনিক্যাল কলেজ মোড়,ছয়ঘরিয়া মোড়,সাতক্ষীরা কালিগজ্ঞ সড়কের মেডিকেল কলেজের সামনে,আলিপুর পেট্রোলপাম্পের সামনে, আশাশুনি সড়কের আলিয়া মাদরাসার সামনে,খুলনা মহাসড়কের বিসিক শিল্পনগরীর সামনে ও বিনেরপোতাসহ সড়ক-মহাসড়কে যত্রতত্র যানবাহনে অভিযানের নামে ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তারা নানা অজুহাত দেখিয়ে অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করে থাকে।
অনুসন্ধানকালে একাধিক ভুক্তভোগীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, স্থলবন্দর ভোমরা থেকে ছেড়ে আসা পণ্য বোঝাই শত শত যানবাহন থামিয়ে কাগজপত্র চেকিংয়ে সময় ওভারলোড, বাম্পার বাড়ানো অজুহাতে গাড়ী প্রতি ১০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত টাকা দিতে হয়। অনেকের অভিযোগ রাস্তায় চলেতে হলে ট্রাফিক পুলিশের সাথে বিরোধ করে চলা খুবই কঠিন ব্যাপার।