Category: পুলিশ

  • যে কারণে ২৫২ প্রশিক্ষণার্থী এসআইকে অব্যাহতি

    যে কারণে ২৫২ প্রশিক্ষণার্থী এসআইকে অব্যাহতি

    শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে চাকরি থেকে পুলিশের ২৫২ জন প্রশিক্ষণার্থী উপ-পরিদর্শককে (এসআই) অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমিতে ৪০তম ক্যাডেট ব্যাচের প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার মাত্র এক মাস আগে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়। তবে পুলিশের একটি সূত্র বলছে- শৃঙ্খলা ভঙ্গ ছাড়াও এর পেছনে আরও কারণ রয়েছে।

    এদিকে অব্যাহতি পাওয়া একজন প্রশিক্ষণার্থী এসআইকে দেওয়া চিঠির কপি গণমাধ্যমের হাতে এসেছে। এতে দেখা গেছে, চিঠিটি গতকাল ২১ অক্টোবর ইস্যু করা হয়েছে।

    চিঠিতে বলা হয়েছে- আপনি বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে ৪০তম ক্যাডেট এসআই/২০২৩ ব্যাচে গত ২০২৩ সালে ৫ মে এক বছর মেয়াদি মৌলিক প্রশিক্ষণরত আছেন। বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি প্যারেড মাঠে গত ১ অক্টোবর মঙ্গলবার সকাল ৭টা ২৫ মিনিট হতে ৪০তম বিসিএস (পুলিশ) প্রবেশনারস ব্যাচ-২০২৩ এর সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুশীলন প্যারেড কার্যক্রম চলমান ছিল। এ সময়ে পুলিশ একাডেমি কর্তৃক পূর্ব নির্ধারিত মেনু অনুযায়ী প্যারেডে অংশগ্রহণকারী সকল প্রশিক্ষণার্থীকে প্যারেড বিরতিতে সকালের নাশতা পরিবেশন করা হয়। কিন্তু আপনি (প্রশিক্ষণার্থী এসআই) উক্ত সরবরাহকৃত নাশতা না খেয়ে হৈ চৈ করে মাঠের মধ্যে চরম বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করেন। আপনি অন্যান্য প্রশিক্ষণরত ক্যাডেট এসআইদের পরস্পর সংগঠিত করে একাডেমি কর্তৃপক্ষকে হেয় প্রতিপন্ন করে চরম বিশৃঙ্খলা ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করতে থাকেন। এছাড়াও আপনি অন্যদের সাথে হৈ চৈ করতে করতে নিজের খেয়াল খুশিমত প্রশিক্ষণ মাঠ থেকে বের হয়ে নিজ ব্যারাকে চলে যান।

    একজন প্রশিক্ষণরত ক্যাডেট এসআই হিসেবে এরূপ আচরণ এবং বিনা অনুমতিতে প্যারেড মাঠ থেকে বের হয়ে নিজ ব্যারাকে চলে যাওয়া সম্পূর্ণভাবে শৃঙ্খলা পরিপন্থি। আপনার এরূপ আচরণ মাঠের সার্বিক প্রশিক্ষণ কার্যক্রমকে চরমভাবে ব্যাহত করেছে এবং অন্য প্রশিক্ষণার্থীদেরকে শৃঙ্খলা ভঙ্গে উৎসাহিত করেছে মর্মে আপনার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির প্রিন্সিপাল (অতিরিক্ত আইজিপি) পুলিশ পরিদর্শক (সঃ) মো. মহসিন আলী বরাবরে লিখিত প্রতিবেদন দাখিলের প্রেক্ষিতে ৩ অক্টোবর পুলিশ একাডেমির পুলিশ সুপার (ফিল্ড উইং) মো. সিদ্দিকুর রহমান এতদসংক্রান্তে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রেরণ করেন।

    উপরোক্ত অভিযোগের কারণে প্রিন্সিপালের পক্ষে পুলিশ সুপার (অ্যাডমিন অ্যান্ড লজিস্টিকস) তিন দিনের মধ্যে কৈফিয়তের জবাব দাখিল করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। বর্ণিত নির্দেশনার প্রেক্ষিতে আপনি নির্ধারিত তিন দিন সময়ের মধ্যে কৈফিয়তের জবাব দাখিল করেন। আপনার দাখিলকৃত কৈফিয়তের জবাব পর্যালোচনান্তে সন্তোষজনক নয় মর্মে প্রতীয়মান হয়। পূর্ব নির্ধারিত মেনু অনুযায়ী সরবরাহকৃত নাশতা আপনি না খেয়ে একাডেমি কর্তৃপক্ষকে হেয় প্রতিপন্ন করে চরম বিশৃঙ্খলা ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেন এবং কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অমান্য করে হৈ চৈ করে মাঠ থেকে বের হয়ে নিজ ব্যারাকে চলে যান। আপনি ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমী তথা বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন করেন। একজন প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে আপনার এ ধরনের আচরণ চরম শৃঙ্খলা পরিপন্থি ও অসদাচরণের শামিল। আপনার উপরোক্ত শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ড বাংলাদেশ পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ ও দায়িত্বশীল পদ হিসেবে বিবেচিত সাব-ইন্সপেক্টর পদে কাজ করার পথে বড় ধরনের অন্তরায় ও অযোগ্যতার শামিল।

    এমতাবস্থায় আপনার এহেন শৃঙ্খলাবিরোধী কার্যক্রমের কারণে মৌলিক প্রশিক্ষণ হতে ডিসচার্জ করণের বিষয়ে অনুমোদনের জন্য গত ১২ অক্টোবর পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ঢাকায় পত্র প্রেরণ করা হয়। তৎপ্রেক্ষিতে অ্যাডিশনাল ডিআইজি (ট্রেনিং-২) বাংলাদেশ পুলিশ, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ১৫ অক্টোবর আপনাকে চলমান মৌলিক প্রশিক্ষণ হতে ডিসচার্জ করণের আদেশ জারির বিষয়টি পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ঢাকা কর্তৃক অনুমোদিত হয় এবং পিআরবি-১৯৪৩ এর বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আদিষ্ট হয়ে অনুরোধ করেন। এমতাবস্থায় প্রশিক্ষণরত ক্যাডেট এসআই মৌলিক প্রশিক্ষণ হতে অদ্য ২১ অক্টোবর পূর্বাহ্নে ডিসচার্জ করা হলো।

    নাম প্রকাশ না করার শর্তে অব্যাহতি পাওয়া কয়েকজন শিক্ষানবিশ উপ-পরিদর্শক জানান, ওই কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানের আগে ৪০তম ক্যাডেট এসআই-২০২৩ ব্যাচের উপ-পরিদর্শকদের একাংশকে ১৯-২৩ অক্টোবর ছুটিতে পাঠানো হয়। আগের দিন ১৮ অক্টোবর এই ছুটি ঘোষণা করা হয়। এছাড়া ২৩ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টায় তাদের একাডেমিতে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে এর আগেই শিক্ষানবিশ উপ-পরিদর্শকদের স্থানীয় থানাগুলোয় বরখাস্তের আদেশ পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

    এ বিষয়ে একাডেমির অধ্যক্ষ ও অতিরিক্ত আইজিপি মাসুদুর রহমান ভুঞা বলেন, প্রশিক্ষণ চলাকালে শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে তাদের চাকরি থেকে ‘ডিসচার্জ’ করা হয়েছে। এজন্য প্রত্যেককে চিঠি ইস্যু করা হচ্ছে। ৪০তম ব্যাচের আউটসাইডার ক্যাডেট হিসেবে মোট ৮০৪ জন প্রশিক্ষণরত ছিলেন। তাদের মধ্যে শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে ২৫২ জনকে ডিসচার্জ করা হয়েছে।

    তিনি বলেন, এটা রাজনৈতিক কোনো ইস্যু না। শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য তাদের ডিসচার্জ করা হয়েছে।

    তবে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হলেও সুনির্দিষ্ট অভিযোগের বিষয়ে কেউ বিস্তারিত কিছু বলতে রাজি হননি। এর আগে ২০২৩ সালের ১১ নভেম্বর ক্যাডেট এসআই সদস্যদের ট্রেনিং শুরু হয়েছিল। শেষ হওয়ার কথা ছিল আগামী ৪ নভেম্বর।

    এর আগে গত ২০ অক্টোবর রাজশাহীর বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে ৪০তম বিসিএস (পুলিশ) ব্যাচের সমাপনী কুচকাওয়াজও হঠাৎ অনিবার্য কারণবশত স্থগিত করা হয়। এর মধ্যে সারদায় ২৫২ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এসআইকে অব্যাহতি দেওয়া হলো।

  • আট মাসে সাতক্ষীরা’র চিত্র বদলে দিলেন এসপি মনিরুজ্জামান 

    আট মাসে সাতক্ষীরা’র চিত্র বদলে দিলেন এসপি মনিরুজ্জামান 


     সাতক্ষীরা প্রতিনিধি :পুলিশ নিয়ে অনেকের বিরূপ ধারণা রয়েছে। সে ধারণা সম্পূর্ণ বদলে দিয়েছেন আট মাস আগে সাতক্ষীরা যোগদান করা পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান। যোগদানের পর থেকেই তিনি একে একে অপরাধ দমনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। তার প্রচেষ্টায় জেলার পুলিশের সর্বস্তরে এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন। জনসাধারণের দোরগোড়ায় আধুনিক পুলিশিং সেবা পৌঁছে দিতে রাত-দিন নিরলস কাজ করে চলেছেন তিনি।
    পুলিশের রুটিন ওয়ার্কের বাইরেও সাহসী পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন দেশ এবং জাতির কল্যাণের জন্য। পুলিশ সুপার হিসেবে সাতক্ষীরাবাসীর নজর কেড়েছেন, স্থাপন করেছেন অনন্য উদাহরণ।
    চলতি বছরের আগষ্ট মাসের ২৩ তারিখে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের দায়িত্ব ভার গ্রহণ করেন পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান পিপিএম। মাত্র ৮ মাসে পুলিশ সুপারের আচার-ব্যবহারে মুগ্ধ সাতক্ষীরার সকল শ্রেনী পেশার মানুষ।

    ছবি : পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান


    পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে , পুলিশ সুপারের সাথে যদি কোন ধনী লোক ও গরীব লোক দেখা করতে যান, তাহলে পুলিশ সুপার সবার আগে সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখেন যে বৃদ্ধ লুঙ্গিপরা লোকটি দাড়িয়ে আছে তাকে আগে দেখা করার সুযোগ করে দেন পুলিশ সুপার। শুধু তাই নয়,পুলিশ সুপার চেয়ার থেকে উঠে দাড়িয়ে দাড়িয়ে ঐ অসহায় মানুষটির সমস্যার কথা শোনেন ধৈয্য ধরে।
    এছাড়া অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে পুলিশ সুপার সংশ্লিষ্ট সার্কেল অথবা ওসিকে বলে  তাদের সমস্যা সমাধান করে দেন। মানবিক পুলিশ অফিসার হিসাবে পুলিশ সুপার বেশ প্রশংসা অর্জন করে চলেছেন। এক মেধাবী প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী সাজিয়া খাতুনের লেখা পড়ার দায়িত্ব নেন পুলিশ সুপার।
    আবুল হোসেন নামক এক বৃদ্ধ বিদেশ যাওয়ার নাম করে ৩ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা এক প্রতারক কে দিয়ে নি:স্ব হয়ে পড়ে। পরে পুলিশ সুপারের চেস্টায় প্রতারকের নিকট থেকে ৩ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা উদ্ধার করে পুলিশ সুপার আবুল হোসেনকে সেই টাকা ফেরত দেন।
    এছাড়া তীব্র শীতে যারা কষ্ট পাচ্ছিলেন তাদের দুঃখ  দুর্দশার চিত্র দেখে পুলিশ সুপার রাতের আধারে কম্বল নিয়ে বাস টার্মিনাল, বাইপাস সড়ক ও বিভিন্ন স্থানে ছিন্নমূল শীতাত মানুষদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন।
    এদিকে পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়,  যোগদানের পর বিগত ৮ মাসে জেলার আটটি থানায় পুলিশ সুপারের তদারকিতে ৬৯২ টি মামলা হয়েছে। এরমধ্যে  নাশকতা মামলা ২০ টি,  বিস্ফোরক দ্রব্য মামলা ৩ টি, অস্ত্র মামলা ১২ টি, মাদকদ্রব্য মামলা ৬১৮ টি এবং চোরাচালান মামলা ৩৯টি। 

    ছবি: পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান


    অপরদিকে, জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামানের নির্দেশে ও তদারকিতে হওয়া বিভিন্ন অভিযানে মাদকদ্রব্যের মধ্যে ফেন্সিডিল ১’শ ৭৮ বোতল, গাঁজা ৭৬ কেজি ৮’শ১৩ গ্রাম, ইয়াবা ট্যাবলেট ৯ হাজার ৩’শ ২৭ পিচ, ট্যাফেডাল ট্যাবলেট ৯ হাজারব ৩’শ ২০ পিচ, ভারতীয় মদ ৮৪ বোতল ও দেশী মদ ৩২ লিটার উদ্ধার করা হয়েছে। 
    এছাড়া চোরাচালানের সময় স্বর্ণের বার ২৪ পিচ, রুপা ৪৭ কেজি ৪৫ গ্রাম, ফেন্সিডিল ৫’শ ৯৯ বোতল, পাতার বিড়ি ৬৮ প্যাকেট, ভারতীয় মদ ৩ বোতল, ভারতীয় শাড়ী ২৫ পিচ,  ভারতীয় ক্রিম ১৬ পিচ, মোবাইল ফোন ৪টি জব্দ করা হয়েছে। তাছাড়া ডাকাতি মামলায় ২১ আসামী কে গ্রেফতার করা হয়েছে। 
    জেলা পুলিশের ফেসবুকসহ সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামানকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে যেসব পোস্ট করা হয়েছে, তার কমেন্টে গিয়ে দেখা গেছে অধিকাংশ কমেন্টটে পুলিশ সুপারকে নিয়ে বিভিন্ন প্রশংসা করা হয়েছে। 
    মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড সাতক্ষীরা সদর উপজেলা শাখার সদস্য সচিব মেহেদীআলী সুজয় বলেন, সাতক্ষীরার বর্তমান পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান যোগদানের পর থেকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। কারণ ১৩-১৪ সালে তিনি সাতক্ষীরার সদর সার্কেল হিসেবে কাজ করেছেন। সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে দেশবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে তিনি ভূমিকা রেখে চলেছেন। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশবিরোধী চক্রটি বিভিন্ন চক্রান্ত করার চেষ্টা করছে। কিন্তু পুলিশ সুপারের দৃঢ় ভূমিকার কারণে এখানে তারা মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারছে না। একারণে পুলিশ সুপার মহোদয় সর্ব মহলে প্রশংসিত হচ্ছে। 
    পুলিশ সুপারের যোগদানের পর থেকে জেলার ট্রাফিক বিভাগ নড়েচড়ে বসেছে। পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় ট্রাফিক পুলিশ শহরের প্রধান প্রধান সড়কে সিমেন্টের রিং বসিয়ে রাস্তা ক্রসিং চলাচল পথ নির্ধারন করেছে। এতে করে সড়কে আগের তুলনায় দূর্ঘটনা কম ঘটছে। তাছাড়া হেলমেট বিহীন চালক, রেজিষ্ট্রেশন বিহীন গাড়ী জব্দ করে  কোটি টাকা সরকারী রাজস্ব আদায় করেছে।
    পুলিশ সুপারের সব থেকে বড় অর্জন বলা যায়,  চলতি বছর মে মাসের ১৫ তারিখে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নিরপেক্ষতায় বিনা টাকায় ৭৬ জনকে কনস্টেবল পদে চাকুর দেওয়া।
    সাতক্ষীরায় পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশেই দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে জেলাবাসিকে সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। কোন অপশক্তি যাতে সাতক্ষীরায় মাথাচাড়া দিয়ে না উঠতে পারে সেজন্য জেলা পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া মাদক এবং চোরাচালান বন্ধে জেলা পুলিশের নিয়মিত অভিযান চলমান রয়েছে। সকলের সহযোগিতা পেলে জেলা পুলিশের কার্যক্রম আরো এগিয়ে যাবে। 

  • সাতক্ষীরায় লকডাউনের তৃতীয় দিন পালিত

    সাতক্ষীরায় লকডাউনের তৃতীয় দিন পালিত


    সংবাদদাতা: সাতক্ষীরায় করোনা সংক্রমনরোধে জেলা প্রশাসন ঘোষিত সাতদিনের লকডাউনের তৃতীয় দিন পালিত হয়েছে। সকাল থেকে লকডাউনের বাধা নিষেধের কারণে শহরে পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়ে চলাচল নিয়ন্ত্রন করা হয়। এসময় পথচারীদের মাঝে মাস্ক বিতরন করা হয়। সারাদিন সব ধরণের গণপরিবহন চলাচল বন্ধ ছিল। তবে বিক্ষিপ্তভাবে দু একটি ভ্যান, ইজিবাইক চলতে দেখা যায় । বানিজ্যিক কাজে নিয়োজিত যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক ছিল। লকডাউনের মধ্যে ওষুধ ফার্মেসী, অ্যাম্বুলেন্স, হাসপাতাল, ক্লিনিক, বিদ্যুৎ জ¦ালানি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান খোলা ছিল। বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে খুলনা ও যশোর যাতায়াতের পথ বন্ধ রাখা হয়েছে। ভোমরা স্থল বন্দরে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আমদানি রফতানি বানিজ্য স্বাভাবিক রাখা হয়েছে। তবে ভারতীয় চালক ও হেলপাররা যাতে খোলামেলা ঘুরে বেড়াতে না পারেন সে জন্য পুলিশ ও বিজিবির নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে।
    বিজিবির সাতক্ষীরাস্থ ৩৩ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে.কর্ণেল আল মাহমুদ জানান, অবৈধ যাতায়াত রোধে সীমান্তে টহল জোরদার করা হয়েছে। বিনা পাসপোর্টে বাংলাদেশে ফিরে আসা তিনজনকে রোববার রাতে গ্রেফতার করে তাদেরকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
    এদিকে করোনা পজিটিভ নিয়ে সাতক্ষীরা সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সদর হাসপাতালে এবং পারিবারিক ও প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেনটিনে ৩৭১ জন চিকিৎসাথীন রয়েছেন বলে জানিয়েছেন সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন সাফায়েত।

  • সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে মুক্তি দিন: আশেক-ই-এলাহী

    সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে মুক্তি দিন: আশেক-ই-এলাহী

    ‘আমরা আইন ও আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমরা আদালতের মাধ্যমেই ন্যায়বিচার পাওয়ার ব্যাপারে আস্থা রাখি।’ মঙ্গলবার সাংবাদিক নির্যাতন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে দৈনিক দক্ষিণের মশাল সম্পাদক আশেক-ই-এলাহী বলেন, সাংবাদিকতা মানে সন্ত্রাস নয়। কোন সাংবাদিক অস্ত্র নিয়ে তথ্য সংগ্রহে যায় না। আমরা যারা সাংবাদিকতা করি আইন-কানুন রাষ্ট্রিয় নীতিমালা সম্পর্কে কিছু না কিছু জানি। অধিকাংশ সময় ক্ষমতাশীল দূর্ণীতিবাজ আমলা আমাদের উপর আইনের খর্গ চাপিয়ে দেন। সাংবাদিক রোজিনা ইসলামর তারই উদাহরণ।

    আশেক-ই-এলাহী


    আশেক-ই-এলাহী আরও বলেন, ‘কিন্তু, আইনের বাইরে একজন নাগরিক হিসেবে, সাংবাদিক হিসেবে, একজন লেখক হিসেবে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারক হিসেবে আমি বলতে চাই, স্বাধীন সাংবাদিকতার পক্ষে দেশের সব সাংবাদিককে এক হতে হবে। আমাদের এখন একটাই দাবী, চাই স্বাধীনতা ও নিরাপত্ত’।
    তিনি বলেন, ‘আমরা সরকারের ক্ষমতার অংশিদার নই, সুবিধা ভোগী নই। আমরা সরকার ও প্রশাসনের সহযোগী। আমরা দুর্নীতির খবর তুলে না ধরলে সরকার কীভাবে জানবে দেশে দুর্নীতি হচ্ছে। কাজেই আমরা সরকারের উপকার করার চেষ্টা করছি এবং রোজিনা ইসলাম তাঁর পেশাগত দায়িত্বপালন করে যাচ্ছিলেন।’
    আশেক-ই-এলাহী আরও বলেন, ‘সরকারের উচ্চ মহলকে বলব, আমাদের একটা মন্ত্রনালয় আছে (তথ্য মন্ত্রনারয়) আমাদের কাজের ফাঁকে ভুর-ভ্রান্তি হতেও পারে। তার জন্য এভাবে শারিরিক, মানোষিক, সামাজিক ভাবে হেনেস্তা না করে মন্ত্রনালয় কর্তৃক বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের মাধ্যমে কারণ দর্শষানো পূর্বক বিভাগীয় শাস্তির বিধান করতে পারেণ।
    আশেক-ই-এলাহী বলেন, ‘আমি সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে সাংবাদিকতা করতে এসেছি। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, স্বচ্ছতা, তথ্যের অবাধ প্রবাহ পাওয়া প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার। সেই অধিকার কায়েম করতে গিয়ে সাংবাদিকেরা যদি নির্যাতনের শিকার হন, তবে তা সাংবাদিকতার জন্য ভালো না, দেশের জন্য ভালো না, সুশাসনের জন্য ভালো না, এটা প্রশাসনের জন্য ভালো না, এটা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষেও না।’
    পরিশেষে বুকভরা আশা নিয়ে বলবো, নারী ও স্বাধীন সাংবাদিকতার স্বর্থে অবিলম্বেসাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে মুক্তি দিন।

  • ভয়ংকর প্রতারক বাদশা মিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে জানাতে পুলিশ সুপারের আহবান

    ভয়ংকর প্রতারক বাদশা মিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে জানাতে পুলিশ সুপারের আহবান

    • জহুরুল কবীর:

    ভয়ংকর প্রতারক বাদশা মিয়া ওরফে ডাঃ এস এম বাদশা মিয়া পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতার প্রসংঙ্গে। ইং-০১/০৫/২০২১ তারিখ সাতক্ষীরা জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম (বার) মহোদয়ের দিক নির্দেশনায় সাতক্ষীরা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) জনাব মোঃ সজীব খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জনাব মোঃ শামসুল হক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) জনাব মোঃ ইকবাল হোসেন, মহোদয় নেতৃত্বে জেলা গোয়েন্দা শাখা এবং সাতক্ষীরা থানার অফিসার ও ফোর্সেদের সমন্বয়ে একটি চৌকস টিম সাতক্ষীরা থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন।

    অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার সুপার প্রতারক বাদশা মিঞা

    সাতক্ষীরা থানাধীন কামালনগর বাইপাসের জনৈক শফির মুদি দোকানের সামনে থেকে অদ্য ০১/০৫/২০২১খ্রিঃ তারিখ ভোর ০৫.৩০ ঘটিকায় ভয়ংকর প্রতারক বাদশা মিয়া@ ডাঃ এস এম বাদশা মিয়াকে একটি পিস্তল সদৃশ ওয়ান শুটার গান, ২ রাউন্ড তাজা গুলি সহ গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃত আসামীর দেওয়া তথ্য মতে তারদ তথ্য মতে

    ১। তিনটি সিল যথাক্রমে (ক) শেখ ফজলুর করিম সেলিম( এমপি), ২১৬, গোপালগঞ্জ-২ সভাপতি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সিল (খ) ডাঃ এস এম বাদশা মিয়া প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগার কেন্দ্রীয় কমিটি এর সিল। (গ) ডাঃ মোস্তফা জামান সাধারন সম্পাদক বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগার কেন্দ্রীয় কমিটি এর সিল,

    আটক বাদশার কোমরে শাটানে শুটার গান

    ২। শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল সংসদ সদস্য-১০০ খুলনা-২, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ এর অফিসিয়ার প্যাডে পুলিশ প্রধানকে (আইজিপি) লেখা ডিও লেটার-১ টি,

    ৩। প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব লেখা অফিসিয়াল নোট প্যাড-১টি,

    প্রতারক বাদশার নিকট হতে উদ্ধারকৃত অস্ত্র, মোবাইল, নগদ টাকাসহ বিভিন্ন সামগ্রী

    ৪। মানবাধিকার পত্রিকার স্ট্রিকার-১ টি, ৫। ভুয়া ওয়ারেন্ট-২৫ টি,

    জাল পরোয়ানা ফর্ম

    ৬। মসজিদের চাঁদা আদায়ের রশিদ বই-২০টি (প্রতিটি ১০০ পাতা),

    উদ্ধাকৃত দুই রাউন্ড গুলিসহ শুটারগান

    ৭। আদায়কৃত চাঁদার টাকা নগদ ৬৮,০০০/- টাকা সহ , অন্যান্য আলামত উদ্ধার করেন।

    উদ্ধাকৃত দুই রাউন্ড মোবাইল

    উক্ত ঘটনায় গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলা সহ একাধিক নিয়মিত মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীর নাম ঠিকানাঃবাদশা মিয়া@ ডাঃ এস এম বাদশা মিয়া (৩৭), পিতা- ডাঃ নুর ইসলাম, গ্রাম-পলাশপোল (মধুমোল্লার ডাঙ্গী), থানা- সাতক্ষীরা সদর, জেলা- সাতক্ষীরা।

    উক্ত ভয়ংকর প্রতারক আসামীর গ্রেফতার সম্পর্কে অদ্য ০১ মে বিকাল ৩ ঘটিাকায় ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া ও সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে প্রেস ব্রিফিং করেন সাতক্ষীরা জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম(বার) মহোদয়।

    সাতক্ষীরা জেলা বা জেলার বাহিরের যে সকল ব্যক্তিগণ প্রতারক বাদশা মিয়া কর্তৃক প্রতারিত/ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের নিকট হতে অভিযোগ/ সুনির্দিষ্ট তথ্য উপাত্ত আহব্বান করা হচ্ছে। সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সে সকল তথ্য উপাত্ত যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

  • অস্ত্রসহ শীর্ষ প্রতারক বাদশা মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ

    অস্ত্রসহ শীর্ষ প্রতারক বাদশা মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ

    নিজস্ব প্রতিনিধি: অস্ত্রসহ শীর্ষ প্রতারক এস এম বাদশা মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ-সাতক্ষীরায় প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিবের নকল নোট প্যাড, সীল, সংসদ সদস্যের ডিও লেটার ও বিভিন্ন প্রকার নিয়োগ পত্র এবং জমাজমি সংক্রান্ত কাগজ-পত্র জালিয়াতির অভিযোগে অস্ত্রসহ এসএম বাদশা মিয়া নামে এক শীর্ষ প্রতারককে আটক করেছে সাতক্ষীরা পুলিশ।শনিবার (১ মে) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সাতক্ষীরা শহরের বাইপাস সড়ক এলাকার জৈনক শফিকুল ইসলামের মুদি দোকানের পাশ থেকে তাকে আটক করা হয়। এসময় তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দোকানের ভিতর থেকে একটি অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। আটক বাদশা মিয়া সাতক্ষীরা পলাশপোল এলাকার হাতুড়ে পাইলস ডাক্তার নূর ইসলামের ছেলে।

    সে নিজেকে কখনও ডাক্তার কখনও প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের ডিরেক্টর পরিচয় দিতেন।

    তাছাড়া ক্ষমতাসীন দলের বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান কখনও বা কেন্দ্রীয় সভাপতি হিসাবে নিজেকে পরিচয় দিতেন তিনি। এছাড়াও বিভিন্ন মানুষকে টাকার বিনিময়ে চাকরিতে পদন্নতি, চাকুরী পাইয়ে দেওয়া এমন কি যে কোন মামলার সুরাহা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়াসহ বিভিন্ন প্রতারনার অভিযোগ রয়েছে তার নামে। সাতক্ষীরা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক ওসি ইয়াছিন আলম চৌধুরী জানান, প্রতারক বাদশার মিয়াকে শহরের বাইপাস সড়ক এলাকা থেকে আটক করে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে। এসময় তার উক্তিতে স্বীকারোক্তিতে একটি অস্ত্র উদ্ধার করে হয়। বিস্তারিত প্রেসব্রিফিং এর মাধ্যমে জানানো হবে।

  • কালিগঞ্জ থানার বহুল আলোচিত দারোগা জিয়ারত পাটকেলঘাটা থানায় বদলী

    কালিগঞ্জ থানার বহুল আলোচিত দারোগা জিয়ারত পাটকেলঘাটা থানায় বদলী


    কালিগঞ্জ প্রতিনিধি : কালীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক জিয়ারত হোসেনকে অবশেষে স্ট্যান্ড রিলিজ করে পাটকেল ঘাটা থানায় বদলী করা হয়েছে। শনিবার তিনি নতুন কর্মস্থল পাটকেলঘাটা থানায় যোগদান করেছেন। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত ১৬ এপ্রিল রাত ১০টার দিকে দু’টি মোটর সাইকেলে উপপরিদর্শক জিয়ারত হোসেনসহ কয়েকজন সাদা পোশাকের পুলিশ কালীগঞ্জ উপজেলার ডেমরাইল গ্রামের মনোরঞ্জন মন্ডলের বাড়িতে এসে প্রথমে তক্ষক সাপ বিক্রি, পরে গাজা ও পরে জুয়া খেলার মিথ্যা অভিযোগ এনে মনোরঞ্জন ও তার ছেলে সরোজিতের হাতে হাতকড়া পরান। এ সময় তাদের ঘরে ঢুকে এসবেস্টার্স এর চাল ভাঙচুর করা হয়। ভাঙচুর করা হয় আসবাবপত্র। খবর পেয়ে মনোরঞ্জনের শ্যালক ইউপি সদস্য প্রশান্ত হালদার মোটর সাইকেলে তাদের বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করলে তাকেও মাদক দিয়ে গ্রেপ্তারের হুমকি দেন জিয়ারত হোসেন। স্থানীয় লোকজনও পুলিশের হুমকিতে তাদের বাড়িতে আসতে পারেনি। সরোজিতের কোমরে পুলিশ গাজার পুরিয়া দিতে মাদক ব্যবসায়ি বানানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। একপর্যায়ে প্রশান্ত মেম্বরের সঙ্গে থাকা দেবেন মন্ডল ও সুভাষ মন্ডল কে রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে এসে তাদের হাতকড়া পরিয়ে মনোরঞ্জনের বাড়িতে রাখা হয়। বেড়াতে আসা মনোরঞ্জনের বড় ছেলে স্বপন মন্ডলের ভায়রাভাই শ্যামনগরের কাঁচড়াহাটি গ্রামের কমলেশ মন্ডলে ঘর থেকে বের করে নানা প্রশ্নবানে জর্জরিত করে পুলিশ। একপর্যায়ে মনোরঞ্জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। চারজনকে ছেড়ে দিতে মেম্বর প্রশান্ত হালদারের কাছে এক লাখ টাকা দাবি করেন উপপরিদর্শক জিয়ারত হোসেন। টাকা দিতে রাজী না হওয়ায় মেম্বরের মোটর সাইকেলসহ জিয়ারত আলী সরোজিত, কমলেশ, দেবেন ও সুভাষকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরদিন সকালে ৮০ হাজার টাকার বিনিময়ে প্রশান্ত মেম্বরের মোটর সাইকেলসহ তিনজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। মামলা দেওয়ার আগে হরিদাস মন্ডল কয়েকজন কমলেশের স্মার্ট কার্ড নিয়ে পুলিশ পরিদর্শক মিজানুর রহমান ও উপপরিদর্শক জিয়ারত আলীকে দেখালেও দাবীকৃত উৎকোচ দিতে না পারায় কমলেশকে ভারতীয় নাগরিক বানিয়ে শনিবার মামলা দিয়ে জেলে পাঠায় পুলিশ। পরে ১৫ হাজার টাকা দিয়ে কমলেশকে দুর্বল ধারায় চার্জশীট দেবেন বলে জানান মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা জিয়ারত হোসেন। এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকায় ফলাও প্রকাশিত হয়। গত বৃহষ্পতিবার কমলেশ বিচারিক হাকিম আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান। খবরের সূত্র ধরে গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা সরে জমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও তদন্ত করে সত্যতা পাওয়ায় অবশেষে বহুল আলোচিত দারোগা জিয়ারত হোসেন কে পাটকেলঘাটা থানায় বদলী করা হয়।

  • কালিগঞ্জের বিট পুলিশিং কার্যালয় পরিদর্শন

    কালিগঞ্জের বিট পুলিশিং কার্যালয় পরিদর্শন

    কালিগঞ্জ (শহর) প্রতিনিধি : কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ দেলোয়ার হুসেন বিট পুলিশিং কার্যালয় পরিদর্শন করেছেন। শনিবার (২৪ এপ্রিল) বেলা ২ টায় থানা এলাকার ৩ নং চাম্পাফুল ইউনিয়নে নির্মানাধীন বিট পুলিশিং কার্যালয়ে পরিদর্শনকালে ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক গাইনের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও তারালী ইউপির চেয়ারম্যান এনামুল হোসেন ছোট, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল হাকিম, কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সুকুমার দাশ বাচ্চু, সাংগঠনিক সম্পাদক এম হাফিজুর রহমান শিমুল, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের নির্বাহী সদস্য সেলিম রেজা মুকুল, সাংবাদিক আব্দুল করিম মামুন হাসান, আমিনুর রহমান, থানার উপ পরিদর্শক সঞ্জিব কুমার প্রমুখ। পরে তিনি তারালী ইউনিয়নের আম বাগান, লাইব্রেরী ও সবুজ পরিবেশ পরিদর্শন করেণ।

  • কলারোয়ার কেরালকাতা ইউনিয়ন বিট পুলিশিং কার্যক্রম পরিদর্শন


    কলারোয়া পৌর প্রতিনিধি : কলারোয়া উপজেলার কেরালকাতা ইউনিয়ন বিট পুলিশিং কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মীর খায়রুল কবির। শনিবার বেলা ১০টার দিকে কেরালকাতা ইউনিয়ন বিট পুলিশিং কর্মকর্তা এসআই ইসমাইল হোসেনের নেতৃত্ব ইউনিয়নের কাজিরহাট কাঁচা বাজার বেলতলা আমের বাজারে সামাজিক নিরাপত্তা বজায় রেখে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের বিভিন্ন নির্দেশনা প্রদান করেন। সেই সাথে কেরালকাতা ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন ইলিশপুর গ্রামের মধ্যপাড়ার লুৎফর রহমানের পুত্র শাহাজান আলী, নওসের আলীর পুত্র মধু ও ওহেদ আলীর পুত্র বাবুর আলীর মধ্যে জমিজমা সংক্রান্ত দীর্ঘদিনের পারিবারিক কলহ আপোশ মীমাংসা করেন। সেসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন কেরালকাতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান স ম মোরশেদ আলী (ভিপি মোরশেদ), ৩ নং ইলিশপুর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আব্দুল অদুদ, সাংবাদিক সরদার জিল্লুর সহ স্হানীয় বিভিন্ন আওয়ামী লীগ নেতা ও সামাজিক ব্যক্তিবর্গ। জমিজমা সংক্রান্ত দীর্ঘ দিনের পারিবারিক দ্বন্দ্ব নিরসন হওয়ায় ঐ পরিবারের ৩ জন শরীকদারসহ এলাকাবাসী কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মীর খায়রুল কবির, বীট পুলিশিং অফিসার এসআই ইসমাইল ও কেরালকাতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ভিপি মোরশেদের প্রতি সন্তোষ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

  • দেবহাটায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী গ্রেপ্তার

    দেবহাটায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী গ্রেপ্তার

    দেবহাটা প্রতিনিধি: দেবহাটায় হাফিজুল ইসলাম নামের এক পলাতক আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সে মেসার্স হাফিজ এন্টারপ্রাইজের স্বত্তাধীকারী ও উত্তর পারুলিয়া গ্রামের সৈয়দার রহমানের ছেলে। সিআর মামলায় ৬ মাসের সাজাপ্রাপ্ত হয়ে পালিয়ে ছিলো সে। শনিবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দেবহাটা থানার ওসি বিপ্লব কুমার সাহার নেতৃত্বে এএসআই রশিদুল ইসলাম, এএসআই সোহেল উদ্দীনসহ সঙ্গীয় পুলিশ সদস্যরা তাকে গ্রেপ্তার করে। ওসি জানান, অপরাধীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যহত আছে। কোন অপরাধীই ছাড় পাবেনা। গ্রেফতারকৃত হাফিজুলকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

  • আমরা খুবই সৌভাগ্যবান জাতি বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালন করছি -এমপি রবি

    আমরা খুবই সৌভাগ্যবান জাতি বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালন করছি -এমপি রবি


    নিজস্ব প্রতিনিধি: মহান বিজয় দিবস ২০২০ উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা পুলিশ সদস্যদের সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের আয়োজনে পুলিশ লাইন’র হলরুমে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে সম্মাননা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা ০২ আসনের সংসদ সদস্য নৌ-কমান্ডো ০০০১ বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি রবি বলেন,‘মহান মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের আত্মত্যাগ ও ভূমিকা দেশের মানুষ চিরদিন স্মরনে রাখবে। আমরা খুবই সৌভাগ্যবান জাতি আমরা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালন করছি সেই সাথে আমরা স্বাধীনতার ৫০ বছর পালন করতে যাচ্ছি। বিজয় দিবসে আমাদের যেভাবে আনন্দ উল্লাস করার কথা ছিল। তা করতে পারছিনা করোনার কারণে। নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে আমরা মহান বিজয় দিবস পালন করছি। আমাদের আনন্দ উল্লাস অতৃপ্ত থেকে যাচ্ছে।’
    সম্মাননা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মীর্জা সালাহ্ উদ্দিন প্রমুখ। সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের উদ্যোগে ৩৪ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা পুলিশ সদস্য ও পরিবারকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। এসময় সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

  • প্রশাসনের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত

    প্রশাসনের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত

    নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ বিন¤্র শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় সাতক্ষীরায় মহামারি করোনা পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে সীমিত পরিসরে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে মহান বিজয় দিবস। দিবসটি উপলক্ষে শহরের শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে বুধবার প্রত্যুষে ৩১ বার তোপরধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির শুভ সূচনা করা হয়।
    এরপর জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে বুধবার সকাল সাড়ে ৮ টায় শহরের খুলনা রোড় মোড়ে বঙ্গবন্ধুর মোরালে পুষ্পস্তবক অর্পন করা হয়। পরে সার্কিট হাউজ চত্বরে গার্ড অব ওনার ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানসহ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা।
    এছাড়া জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দিবসটি উপলক্ষে হাসপাতাল, জেলখানা, বৃদ্ধাশ্রম ও এতিমখানায় উন্নত মানের খাবার সরবরাহসহ অনলাইনের মাধ্যমে নানা কর্মসুচির আয়োজন করা হয়েছে।

  • কেএমপি পুলিশ কমিশনারের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার পরিদর্শন

    কেএমপি পুলিশ কমিশনারের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার পরিদর্শন

    মেহেদী হাসান, খুলনা প্রতিনিধি: খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা মডেল থানা সংলগ্ন ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার পরিদর্শন করেছেন কেএমপি’র পুলিশ কমিশনার মোঃ মাসুদুর রহমান ভূঞা।সোমবার (০২ নভেম্বর) পরিদর্শন কালে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার এর ইনচার্জ-সহ সকল অফিসারদের ব্রিফিং করেন।এসময় উপস্থিত ছিলেন, কেএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) এস.এম ফজলুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এএন্ডও) সরদার রকিবুল ইসলাম (বিপিএম-সেবা), ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (সদর) মোহম্মদ এহসান শাহ্, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) এম.এম শাকিলুজ্জামান, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (ইএন্ডডি) মোঃ কামরুল ইসলাম, অতিঃ ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (উত্তর) সোনালী সেন, সহকারী পুলিশ কমিশনার টু পুলিশ কমিশনার মোঃ হাফিজুর রহমান-সহ অন্যান্য অফিসারবৃন্দ ও ফোর্স।

  • কলারোয়ায় ২ আসামি গ্রেপ্তার

    কলারোয়ায় ২ আসামি গ্রেপ্তার


    কলারোয়া প্রতিনিধি: কলারোয়া থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ফেন্সিডিল ও গাঁজাসহ ১ ব্যক্তি এবং ওয়ারেন্টভুক্ত ১ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। থানা সূত্র জানায়, সোমবার থানার এসআই হামিদুল ইসলাম এবং এএসআই নুরুজ্জামান, কামাল হোসেন ও রকিবুল হাসানসহ সঙ্গীয় ফোর্স অভিযান চালিয়ে উপজেলার সীমান্তবর্তী মদনপুর গ্রামের নিছার আলি মোল্যার ছেলে রাসেল মোল্যার বসত বাড়ি থেকে ৭ বোতল ফেন্সিডিল ও ১শ’ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করে। এসময় রাসেল মোল্যাকে(৩৮) গ্রেপ্তার করা হয়। অপরদিকে, উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রাম থেকে ওয়ারেন্টভুক্ত ১ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি ওই গ্রামের মৃত মোছাব্দি মোড়লের ছেলে মো: হারুন।

  • ইরফান সেলিমের আরেক সহযোগী গ্রেপ্তার

    ইরফান সেলিমের আরেক সহযোগী গ্রেপ্তার

    নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় সাংসদ হাজি সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমের আরেক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

    গ্রেপ্তার হওয়া আসামির নাম এ বি সিদ্দিক ওরফে দিপু। তিনি হাজি সেলিমের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান মদিনা গ্রুপের প্রটোকল অফিসার।

    ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) রমনা বিভাগের উপকমিশনার এইচ এম আজিমুল হক আজ মঙ্গলবার সকালে প্রথম আলোকে এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন।

    আজিমুল হক বলেন, এ বি সিদ্দিক ওরফে দিপুকে টাঙ্গাইল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

    তার আগে গতকাল এই মামলায় গ্রেপ্তার হন—ইরফান সেলিম, তাঁর দেহরক্ষী মো. জাহিদ ও গাড়িচালক মিজানুর রহমান।

    ইরফান ও তাঁর তিন সহযোগীর বিরুদ্ধে গতকাল সকালে রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় মামলাটি করেন নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহম্মেদ খান।

    আগের দিন রোববার রাতে স্ত্রীকে নিয়ে মোটরসাইকেলে বাসায় ফিরছিলেন নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহম্মেদ খান। সংসদ সদস্যের স্টিকারযুক্ত একটি গাড়ি তাঁর মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়।

    ওই গাড়িতে ছিলেন হাজি সেলিমের ছেলে ইরফান এবং তাঁর লোকজন। ওয়াসিফ নিজের পরিচয় দিয়ে গাড়িটিকে থামতে ইশারা করেন ও কথা বলতে চান। তখন তাঁকে মারধর করে রক্তাক্ত করেন ইরফান ও তাঁর লোকজন।

    পরে গতকাল সকালে ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন ওয়াসিফ। এরপর শুরু হয় পুলিশ ও র‍্যাবের তৎপরতা।

    গতকাল সকালে ধানমন্ডি থানা-পুলিশ জানায়, ইরফানের গাড়িচালক মিজানুর গ্রেপ্তার হয়েছেন। গতকালই আদালত তাঁকে এক দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন।

  • আশাশুনিতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় জরিমানা

    আশাশুনিতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় জরিমানা


    আশাশুনি ব্যুরো: আশাশুনির প্রতাপনগরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার অপরাধে মোবাইল কোর্টে ড্রেজার মেশিন মালিককে জরিমানা করা হয়েছে। সোমবার প্রতাপনগরের কুড়িকাহুনিয়া গ্রামে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। প্রতাপনগর ইউনিয়নের কুড়িকাহুনিয়া গ্রামের আায়ুব আলি গাজীর পুত্র হাফিজুল দীর্ঘদিন ড্রেজার মেশিন দিয়ে ভূগর্ভস্থ বালি উত্তোলন করে। সোমবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মীর আলিফ রেজা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে গড়–ইমহল খাল থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করায় দোষি আইয়ুব আলী কে প্রাকৃত্রিক জলাধার সংরক্ষণ আইন- ২০০০ এর ৮(১) ধারায় ৫০০০ টাকা জরিমানা করা হয়।