Category: পাইকখাছা
-

পাইকগাছার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ বেঁড়িবাঁধ মেরামত কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে!
পাইকগাছায় বেঁড়িবাঁধ মেরামত কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল এর আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ। ক্ষতিগ্রস্ত এ সব বেঁড়িবাঁধ প্রাথমিক মেরামত করতে আরো কিছুদিন সময় লাগতে পারে বলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষ জানিয়েছেন। উল্লেখ্য উপকূলীয় জনপদ পাইকগাছায় গত ২৬ মে প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় রেমাল আঘাত হানে। টানা কয়েক ঘন্টার ঘূর্ণিঝড়ের তান্ডব এবং ঘূর্ণিঝড়ের পরের দিন ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী ঝড়ের তান্ডবে ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায় উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার বিভিন্ন স্থানের ওয়াপদার বেঁড়িবাঁধ। রেমাল এর তান্ডবে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে কমপক্ষে শতাধিক স্থানে বাঁধ ভেঙ্গে ও উপচে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়। যেসব ইউনিয়ন বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তার মধ্যে দেলুটী, সোলাদানা, গড়ইখালী, রাড়ুলী, লস্কর ও পৌরসভা অন্যতম। সরকারি প্রাথমিক হিসেব অনুযায়ী কমপক্ষে ১০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী কয়েক দিনে পানি উন্নয়ন বোর্ড, উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান ও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষের যৌথ প্রচেষ্টায় ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ প্রাথমিক মেরামত, কোথাও কোথাও রিং বেড়িবাঁধ দিয়ে নদীর পানি প্রবেশ বন্ধ করা হয়েছে। এখন ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ কিছুটা মজবুত করার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষ।বিভিন্ন ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্ত পয়েন্টে প্রাথমিক বাঁধ মেরামতের কাজ চলমান রয়েছে বলে জানান, ইউপি চেয়ারম্যানগন। প্রাথমিক মেরামত কাজ শেষ করতে আরো কিছুদিন সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় লোকেরা। অনান্য ইউনিয়ন-এর মত চলমান রয়েছে গড়ইখালী বাজার সংলগ্ন আবাসন প্রতিরক্ষা বাঁধ মেরামতের কাজ। মূল ওয়াপদার বাইরে প্রতিরক্ষা বাঁধ বেষ্টুনী দিয়ে ১৭৫ পরিবার গড়ইখালী আবাসনে বসবাস করে। ঘূর্ণিঝড় রেমাল এর আঘাতে এখানকার ২ কিলোমিটার প্রতিরক্ষা বাঁধ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে আবাসনের বাসিন্দারা বাঁধটি মেরামতের কাজ করছেন। -
পাইকগাছায় জমে উঠেছে ১৯ প্রার্থীর উপজেলা পরিষদ-র নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা!
পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি।।পাইকগাছা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের বাকি মাত্র ক’য়েক দিন। তাই সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রার্থীরা নির্ধারিত এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন নিজ নিজ কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে। যতটুকু অবসর পাচ্ছেন পরের দিনের কর্মসূচি নিয়ে পরিকল্পনা করছেন। আর নিজের অবস্থান জোরদার করার জন্য বিভিন্ন কৌশল রপ্ত করছেন এবং কৌশল প্রয়োগ করেই যার যার ভোট ব্যাংকের বাইরে থাকা ভোটারদের কাছে টানার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ২লাখ ৩১ হাজার ৯১৩ জন পাইকগাছা উপজেলার মোট ভোটার। আগামী ২৯ মে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ৩য় ধাপ, পাইকগাছা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোট ১৯ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ গ্রহন করছেন! এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪জন। ১৯ জন প্রার্থীকেই মনোনয়ন যাচাই-বাচাই শেষে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়েছে, এর ভেতরে চেয়ারম্যান পদে ৬জন প্রার্থীর মধ্যে ৪ জনই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তারা হলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ কামরুল হাসান টিপু (মোটরসাইকেল), উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আনন্দ মোহন বিশ্বাস (চিংড়ি মাছ), উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এড.শেখ আবুল কালাম আজাদ (দোয়াত-কলম), সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা কৃষ্ণপদ মন্ডল (আনারস), অন্য দু’জন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা এড. স ম বাবর আলী’র পুত্র এড. স ম শিবলী নোমানী রানা (কাপ-পিরিচ) ও মোঃ আছাদুল বিশ্বাস (হেলিকপ্টার)।যে ৮ জন প্রার্থী ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তারা হলেন, বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা শিয়াবুদ্দীন ফিরোজ বুলু (তালা), স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম (মাইক), স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা প্রভাষক বজলুর রহমান (টিয়াপাখি), ষোলআনা ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির পরিচালক এস এম হাবিবুর রহমান মুছা (চশমা), সাবেক যুবলীগ নেতা সুকুমার চন্দ্র ঢালী (উড়োজাহাজ), ফরহাদ হোসেন ফয়সাল (টিউবওয়েল), প্রভাষক স.ম আব্দুল ওয়াহব বাবলু (পালকি), মিলন মন্ডল (আইসক্রিম) ও কৌতুক অভিনেতা বাবুল শরীফ (বই)।মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তারা হলেন বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লিপিকা ঢালী (পদ্ম ফুল), প্রধান শিক্ষক অনিতা রানী মন্ডল (ফুটবল), উপজেলা যুব মহিলালীগ নেত্রী ময়না বেগম (হাঁস) ও ইয়াসমিন বুশরা (কলস)। -

সাতক্ষীরায় পাঁচ সাংবাদিকের নামে মামলার প্রতিবাদে পাটকেলঘাটায় মানববন্ধন
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি :সাতক্ষীরায় পাঁচ সাংবাদিকের নামে মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে পাটকেলঘাটা প্রেসক্লাব। মঙ্গলবার (০২ মে) বিকাল সাড়ে ৪ টায় পাটকেলঘাটা বাজারের পাঁচ রাস্তা মোড়ে এ মানববন্ধন অনুষ্টিত হয়েছে।
পাটকেলঘাটা প্রেসক্লাব সভাপতি শেখ জহুরুল হকের সভাপতিত্বে, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মমিনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কালের চিত্র পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ। মানবজমিনের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি সাংবাদিক ইয়ারব হোসেন, মানবকন্ঠের জেলা প্রতিনিধি মেহেদী আলী সুজয়, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মোহনা টিভির তালা উপজেলা প্রতিনিধি আব্দুল মতিন, দৈনিক পত্রদূত পত্রিকার পাটকেলঘাটা প্রতিনিধি মুজিবুর রহমান, সাংবাদিক শাহিন আলম, নাজমুল হক খান, প্রভাষক ইয়াছিন আলী, বিশ্বজিত চক্রবর্তীসহ আরো অনেকে।
মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, এই হয়রানি মূলক মামলার বাদী জহর আলী সরদার পেশায় একজন ভ্যান চালক ছিলেন। রাতারাতি কোম্পানির ম্যানেজার হয়ে গেছেন। একজন ভ্যানচালক থেকে কিভাবে তিনি কোম্পানির ম্যানেজার হলেন এর সঠিক অনুসন্ধান করবে সাংবাদিকরা। জহর আলী ও তার বুদ্ধিদাতা দাতাদের অনতিবিলম্বে চিহ্নিত করে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন বক্তারা।
বক্তারা আরও বলেন, সৌদি আরব প্রবাসী শ্রমিক সবুজ সাতক্ষীরায় কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করে অবৈধ উপায়ে গড়ে তুলেছেন সেমাই কারখানা। সেই অবৈধ কারখানা নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় ক্ষিপ্ত হয়েছেন এই প্রবাসি। সেমাই কারখানার ম্যানেজার জহুর হোসেনকে বাদী করে বানোয়াট চাঁদাবাজি মামলা করিয়েছেন। একজন প্রবাসী শ্রমিক মাসে কত টাকা আয় করে আর এখানে কিভাবে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করে কারখানা গড়ে তুলেছেন এ সঠিক তদন্ত প্রশাসন করবে। একই সাথে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে করা মামলাটির সঠিক তদন্তের দাবি করছি।
মানববন্ধনে জেলা ও উপজেলা থেকে বিভিন্ন পর্যায়ের সাংবাদিকরা অংশগ্রহন করেন। প্রতিবাদ কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে বিভিন্ন সংগঠণের নেতৃবৃন্দরা।
উল্লেখ্য, সাতক্ষীরা তালা সদরের আটারই গ্রামে বিএসটিআই নিবন্ধন ছাড়া গড়ে উঠেছে শপিং ভ্যালী ফুড প্রোডাক্টস নামের একটি সেমাই কারখানা। সেখানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সেমাই প্রস্তুত করে বাজার জাত করতো। তাছাড়া সেমাইয়ের প্যাকেটের গায়ে বিএসটিআই এর ভুয়া নিবন্ধন ব্যবহার করে সেমাই বাজারজাত করছিলো। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম সংবাদ প্রকাশ করে। সংবাদ প্রকাশের পর বুধবার (২৯ মার্চ) র্যাব-৬ সাতক্ষীরা ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান পরিচালনা করে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। একই সাথে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ ঘোষণা করেন।
মামলার আসামীরা হলেন, ঢাকাপোস্টের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি সোহাগ হোসেন, ঢাকা মেইলের প্রতিনিধি গাজী ফারহাদ, স্থানীয় দৈনিক পত্রদূত পত্রিকার প্রতিবেদক হোসেন আলী, দৈনিক কালের চিত্র পত্রিকার প্রতিনিধি শাহীন বিশ্বাস ও দৈনিক মুক্ত খবরের প্রতিনিধি হাবিবুর রহমান সোহাগ। -

পাইকগাছায় রাস্তার বেহাল দশা!
বি.সরকার : খুলনার পাইকগাছায় সোলাদানা ইউনিয়নের সরদার আবুহোসেন কলেজ (চৌরাস্তা) হতে সোনাখালী খোয়াঘাট পর্যন্ত প্রায় সাত কিলোমিটার রাস্তাটির বেহাল দশা! এমপি আলহাজ্ব আক্তারুজ্জামান বাবু সহ ইউএনও মমতাজ বেগম রাস্তা সংস্কারের আশ্বাস দিয়েছেন। উপজেলার সোলাদানা ইউনিয়নের সরদার আবুহোসেন কলেজ (চৌরাস্তা) হতে সোনাখালী খোয়াঘাট পর্যন্ত প্রায় সাত কিলোমিটার রাস্তাটি এমনই বেহাল দশায় বছরের পর বছর আমুরকাটা, পশ্চিমকাইনমুখী, নুনিয়াপাড়া, দীঘা, দক্ষিণকাইনমুখী সহ কয়েকটি গ্রামের মানুষের সিমাহীন ভোগান্তির কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই রাস্তায় সংস্কারের কাজ না হলে ভরা মৌসুমে যেকোনো সময় রাস্তাটি ভেঙে এলাকা প্লাবিত হয়ে চরম ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে বলে এলাকাবাসীর ধারণা করছেন।
এড. শিবুপ্রসাদ সরকার জানান, প্রায় ৭ কিলোমিটার রাস্তাটির এক কিলোমিটার পীচকার্পেটিং, এক কিলোমিটার ইটের হেরিংবন, প্রায় তিন কিলোমিটার জরাজ্বীর্ন এবং ভাঙ্গাচোরা দীর্ঘদিনের পুরাতন ইটের সলিং। বাকী প্রায় দু’কিলোমিটার মাটির কাঁচা রাস্তা। রাস্তাটির দুই প্রান্তে পিচের কার্পেটিং-এর পাকা রাস্তা সংযুক্ত থাকলেও অভিভাবকহীন এই সামান্য রাস্তাটির ভাগ্য বদলে নেই কারো কোন মাথাব্যাথা। ভাঙ্গা চোরা ও বড় বড় গর্তে ভরা এই রাস্তাটি যেন কয়েকটি গ্রামের মানুষের জন্য অভিশাপে পরিনত হয়েছে। ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালক রাসেল, গোষ্ট, তরুন, রাজিব জানান, ইট সলিং ও মটির রাস্তায় আগাগোড়া রাস্তাটিতে মাঝে-মধ্যে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় সাইকেল, মোটর সাইকেল, ভ্যান, ইজিবাইক, নছিমন সহ বিভিন্ন মালবাহী গাড়ি প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। ভ্যানচালক ধৃতি, দিবাকর, নসিমন চালক আজুবর ও মোস্তাক জানান, বর্ষাকালে রাস্তাটিতে চলাচল আরো ভয়ংকর হয়ে ওঠে, গাড়ী তো দূরের কথা পায়ে হেঁটে চলাই দুষ্কর। এলাকাবাসির ক্ষোভ, চারিদিকে এতো রাস্তাঘাট তৈরি হচ্ছে, অথচ এই এলাকার সবচেয়ে জনো-গুরুত্বপুর্ন এই রাস্তাটির দিকে কোন জন-প্রতিনিধির নজর নেই। চরম ভোগান্তি হতে রেহাই পেতে রাস্তাটি দ্রুত নির্মানের জন্য জন-প্রতিনিধি সহ কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসি।খুলনা-৬ (পাইকগাছ-কয়রা)-র এমপি আলহাজ্ব আক্তারুজ্জামান বাবু রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারের আশ্বাস দিয়েছেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম অতিসম্প্রতি এ রাস্তায় যাতায়ত করে এলাকার একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে সরেজমিনে রাস্তাটির বেহাল দশা দেখে বিস্ময় প্রকাশ করে আগামী মিটিংয়ে রাস্তাটি যাতে দ্রুত সংস্কার করা হয় সেই আলোচনা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পাইকগাছা উপজেলা এসও মোঃ রমিত হোসেন মনি বলেন, বর্ষার পূর্বেই প্রায় সাড়ে সাত’শ মিটার রাস্তায় মাটির কাজ করা হবে। ইতোমধ্যে প্রায় সাড়ে সাত’শ মিটার রাস্তায় মাটির কাজে সংস্কারের সকল কার্যক্রম করে স্কাইবেটর মেসিন পাঠানো হয়েছে বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
-

পাইকগাছায় আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগ-এর উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত।
খুলনার পাইকগাছায় বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগ উপজেলা শাখার উদ্যোগে শুক্রবার সকালে উপজেলা আওয়ামীলীগের এক আলোচনা সভা দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি সাংবাদিক তৃপ্তি রঞ্জন সেন-এর সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন-এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, ইউপি সদস্য পিযুষ কান্তি মন্ডল, মোঃ মাহাফুজুল হক কিনু, সুজন কুমার রায়, প্রভাষক এস এম জাহাঙ্গীর আলম, মনোজ কুমার মন্ডল, পৌর কাউন্সিলর কবিতা দাশ, ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম (অবঃ আর্মি), সাংবাদিক বি.সরকার, সঞ্জিব মন্ডল, মোঃ আমিরুল ইসলাম, বাশারুল ইসলাম বাচ্চু, অসিত কুমার মন্ডল, অরবিন্দু কুমার সানা, রিপন রায়, সমারেশ বিশ্বাস, পলাশ বাছাড়, মোঃ হাবিবুর রহমান, মোঃ হাফিজুল ইসলাম, শেখ রাজু হোসেন, সবুজ ঢালী, নিউটন মিস্ত্রী, সুকৃতি মন্ডল, মোঃ কামরুজ্জামান, সমীরন কুমার সরদার। আলোচনা সভায় উপজেলা কমিটিতে সাংবাদিক বি.সরকারকে প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক, সঞ্জীব মন্ডলকে সহ-প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ও মোঃ আমিরুল ইসলামকে সদস্য হিসেবে অর্ন্তভুক্তির জন্য সিদ্ধান্ত গৃহিত হয় এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা কমিটির নিকট পত্র প্রেরনের সিদ্ধান্ত হয়। -
পাইকগাছায় মধুমিতা পার্কের স্থানে ৩০টি অবৈধ দোকান উচ্ছেদে টালবাহানা! মানা হচ্ছে না মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা
বি.সরকার, পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি।।
খুলনার পাইকগাছায় মধুমিতা পার্কের স্থানে ৩০টি অবৈধ দোকান উচ্ছেদে টালবাহানা! মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। উল্লেখ পাইকগাছা পৌরসভার প্রানকেন্দ্রে ১৯৮০ সালে তৎকালিন খুলনার প্রশাসক নূরুল ইসলাম উদ্বোধন করেন মধুমিতা পার্ক। এ পার্কের মধ্যে রয়েছে মিষ্টি পুকুর নামে একটি পুকুর। ঐ পুকুরের পানি মিষ্টি হওয়ার কারণে পৌরসদরের লোকজন বাসাবাড়ি, হোটেল ও রেস্তরায় ঐ পুকুরের পানি পান বা ব্যবহার করে। পার্কের গেট, সীমানা প্রাচীর সহ চারিপাশে বসার জন্য বেঞ্চ তৈরি করা হয়। লাগানো হয় ফুল বাগান। পৌরবাসির বিনোদনের একমাত্র স্হান এই মধুমিতা পার্ক। যার দিকে নজর পড়ে একশ্রেনির প্রভাবশালী, ভূমিখেকো, রাজনৈতিক নেতা-কর্মী ও ব্যবসায়ীদের।তারা পার্কের উত্তর ও পূর্ব পাশে দখল করে মোটা টাকা লেনদেনের মাধ্যমে ৩০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তৈরি করে ব্যবসা বা কেউ কেউ অগ্রিম ও মাসিক টাকা নিয়ে দিয়েছেন ভাড়া। ফলে ধ্বংশ হয়েছে মধুমিতা পার্কের সীমানা প্রাচীর, বসার জায়গা ও চারিধারের রাস্তা। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পিছনে রাতের আধারে চলে অনৈতিক কর্মকান্ড, যত্রতত্র প্রস্বাব, পায়খানা করায় নষ্ট হয় পৌরবাসির ব্যবহার যোগ্য মিষ্টি পানির আঁধার। এ দেখে কিছু সচেতন মানুষ মধুমিতা পার্ক সংরক্ষন কমিটি গঠন করে, পার্কের জমি উদ্ধার এবং অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করার জন্য ২০০৫সালে আদালতে মামলা করেন। আদালত মামলার চলমান প্রক্রিয়ায় নালিশি মধুমিতা পার্কের জমির উপর স্থগিত আদেশ দিলে অবৈধ দখলদাররা মহামন্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল ডিভিশন লিভ টু আপিল মামলা করলে ২০১৫ সালের ১৫ফেব্রুয়ারি অবৈধ দখলদারদের আবেদন না মঞ্জুর করেন। এরপর অবৈধ দখলদাররা রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় আজও দখলে আছে। অজ্ঞাত কারণে অবৈধ দখলদাররা উচ্ছেদ হয়নি। দীর্ঘদিন পর মধুমিতা পার্ক সংরক্ষন কমিটি গত ১০নভেম্বর অবৈধ দখলদার উচ্ছেদের জন্য মানববন্ধন এবং অবৈধ দখলদাররা মহামান্য হাইকের্টের আদেশ অমান্য করায় পার্ক সংরক্ষন কমিটির পক্ষে কন্টেম অফ কোর্ট পিটিশন ১০২/২২ দাখিল করেন। তখন আদালতের আদেশ কেন দীর্ঘদিনেও মধুমিতা পার্কের অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করা হয়নি মর্মে খুলনা জেলার জেলা প্রশাসক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের নিকট মহামান্য হাইকোর্ট জানতে চান। এরপরও মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না। বাস্তবে কোন উচ্ছেদ কার্যক্রম না করে, উচ্ছেদের নামে গত ১০ডিসেম্বর ২০২২ কিছু ইট, বালু ও খোয়া তুলে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সলিসিটর উইং সহ সহকারি এটর্নি জেনারেল কে অবৈধ স্হাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম চলমান মর্মে জানানো হয়। এহেন কার্যক্রমে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের আদেশ বাস্তবায়নে টালবাহনায় সচেতন মানুষকে হতবাক করেছে। এ ব্যাপারে পাইকগাছা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও বিশিষ্ট আইনজীবি এড.এফ,এম,এ রাজ্জাক সহ সচেতন মানুষ স্হানীয় প্রশাসনকে যথা শীঘ্রই মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা মোতাবেক মধুমিতা পার্কের অবৈধ স্হাপনা উচ্ছেদের দাবি জানিয়েছেন।
-
খুলনার পাইকগাছায় রোকেয়া দিবস পালিত। ৫ নারী পেলো জয়িতা সম্মাননা।
বি.সরকার, পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি।।
খুলনার পাইকগাছায় রোকেয়া দিবস পালিত হয়েছে। উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নিবার্হী অফিসার মমতাজ বেগম-এর সভাপতিত্বে ৫ নারী পেলো জয়িতা সম্মাননা। সরকার উপজেলা পর্যায় থেকে জেলা, বিভাগ ও জাতীয় পর্যায়ে প্রদান করে থাকে। প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও উপজেলায় ৫জন নারীকে জয়িতা সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার সকালে বেগম রোকেয়া দিবস ও জয়িতা সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে উপজেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক দপ্তর থেকে নির্বাচিত ৫ নারীকে সম্মাননা ক্রেস্ট ও সনদ পত্র প্রদান করা হয়েছে। শিক্ষা ও চাকুরী ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী পৌরসভার বাতিখালী গ্রামের জিএম নাহিদুল এহসান মিলন এর সহধমীর্নি ও এসএম সহিদুল ইসলাম এবং সাহিদা ইসলামের কন্যা রহিমা সুলতানা। তিনি প্রশাসনের ৩৪তম ব্যাচের বিসিএস কর্মকতা। তিনি বর্তমানে সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জে উপজেলা নিবার্হী অফিসার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। সফল জননী উপজেলার রাড়ূলী ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ এর সহধমীর্নি এবং প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম টুকু, প্রাক্তন চাকুরীজীবী মোমিনুল ইসলাম মুকুল, মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ইনামুল ইসলাম বকুল, জেলা পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম উজ্জ্বল ও আশরাফুন্নেছা রত্না-র মাতা আকলিমা আাজাদ। নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করেছেন যে নারী পৌরসভার শাহিদা আক্তার।লত অর্থনৈতিক ভাবে সাফল্য অর্জনকারী উপজেলার হরিঢালী গ্রামের
গঙ্গাধর রজক ও সন্ধ্যা রাণী রজক-এর মেয়ে মধ্যবিত্ত পরিবারে বেড়ে ওঠা পুতুল রজক। সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছেন উপজেলার উত্তর খড়িয়া গ্রামের কমলেশ সরকারের স্ত্রী কাকলী রাণী সরদার। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার ইকবাল মন্টু।
-

সামাজিক সম্প্রীতি অটুট রাখতে সকল অপশক্তিকে রুখে দিতে হবে -এমপি বাবু
বি.সরকার, পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি।।
খুলনার পাইকগাছায় খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ আক্তারুজ্জামান বাবু বলেন সামাজিক সম্প্রীতি অটুট রাখতে সকল অপশক্তিকে রুখে দিতে হবে। তিনি ঐক্যবদ্ধ থেকে সকল অশুভ শক্তিকে প্রতিহত করার আহ্বান জানিয়েছেন। রাস মেলা উদযাপন কমিটির আহবায়ক সন্তোষ কুমার সরদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মঙ্গলবার সকালে শিববাটী রাস মন্দির প্রাঙ্গনে পৌরসভাস্থ ৬টি পূজা মন্দিরের যৌথ উদ্যোগে শ্রীশ্রী রাধাকৃষ্ণের রাসযাত্রা ও রাস পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি বাবু এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, সংঘাত নয় শান্তির বাংলাদেশ চাই, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’। কিন্তু কিছু মানুষ আছে যারা এই সম্প্রীতি নষ্ট করতে চায়। যারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের চেষ্টা করবে তাদেরকে কোন ছাড় নয়, আইনের আওতায় আনা হবে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার ইকবাল মন্টু, পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শিয়াবুদ্দীন ফিরোজ বুলু, জেলা পূজা পরিষদ নেতা রমেন্দ্রনাথ সরকার, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের নেতা এ্যাডঃ অজিত কুমার মন্ডল, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সমীরণ সাধু, পৌরসভা পূজা উদযাপন পরিষদের সম্পাদক জগদীশ চন্দ্র রায়, প্যানেল মেয়র এসএম তৈয়বুর রহমান, কবিতা দাশ এবং রাস মেলা উদযাপন কমিটির সম্পাদক হিরেন্দ্র নাথ সানা প্রমুখ। রাস উৎসব উপলক্ষে সকাল ৭ টায় শ্রীশ্রী রাধাকৃষ্ণেরর পূজা, অঞ্জলি ও শিববাটি মন্দির সম্মুখস্হ শিবসা নদীতে পূণ্যস্নান এবং প্রসাদ বিতরণেরর মধ্য দিয়ে এ রাস উৎসবের সমাপ্তি ঘটে। এছাড়াও উপজেলার সোলাদানার আমুরকাটা, লতার কাঠামারি সহ বিভিন্ন ইউনিয়নে অনুরুপ অনুষ্ঠান পালিত হয়েছে। -

পাইকগাছায় সৃষ্টিশীল কাজের মাধ্যমে সাবেক এমপি শেখ মোঃ নূরুল হক বেঁচে থাকবেন। -এমপি বাবু!
বি.সরকার, পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি। পাইকগাছায় স্বরণ সভায় খুলনা-৬ (পাইকগাছা-কয়রা) এমপি মোঃ আক্তারুজ্জামান বাবু বলেছেন, সৃষ্টিশীল কাজের মাধ্যমে চিরদিন বেঁচে থাকবেন আওয়ামীলীগের সাবেক জাতীয় পরিষদ সদস্য ও সাবেক এমপি এ্যাডঃ শেখ মোঃ নূরুল হক। শুক্রবার সকালে পৌরসভাস্থ উপজেলা আ’লীগের দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত নূরুল হকের ২য় মৃত্যু বার্ষিকীর দোয়া অনুষ্ঠান ও স্বরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তবে এমপি বাবু একথা বলেন। আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকলে উন্নয়ন হয় এমন মন্তব্য করে এমপি বাবু আরোও বলেন, বিগত’৯১ সালে সংসদ নির্বাচনে এ্যাডঃ শেখ মোঃ নূরুল হক পরাজিত হয়ে এ সংসদীয় এলাকায় অর্থ ও শ্রম দিয়ে দলের সাংগঠনিক ভিত মজবুত করেন। এর উপর ভিত্তি করে তিনি ১৯৯৬ সালে এমপি নির্বাচিত হয়ে পাইকগাছা-কয়রায় ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড সংগঠিত করেছেন। কিন্তু লক্ষ্য করা গেছে সেই সময় থেকে এ পর্যন্ত যারা দলীয় এমপি নির্বাচিত হয়েছেন তাদের পিছনে দলের ভিতর ও বাহিরের কিছু মানুষ সব সময় বিরুপ সমালোচনায় লিপ্ত থাকেন। উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার ইকবাল মন্টুর সভাপতিত্বে সাধারন সম্পাদক শেখ কামরুল হাসান টিপুর সঞ্চালনায় স্বরণ সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামীলীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার মাহাবুবুল আলম। আরো বক্তব্য রাখেন, উপজেলা সংগঠনের সহ-সভাপতি সমীরন সাধু, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ রশীদুজ্জামান, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আঃ রাজ্জাক মলঙ্গী, ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের সাবেক নেতা শিয়াবুদ্দীন ফিরোজ বুলু, সহযোগী অধ্যাপক ময়নুল ইসলাম, লতা ইউপি চেয়ারম্যান কাজল কান্তি বিশ্বাস, জি,এম একরামুল ইসলাম, হেমেশ মন্ডল সহ আ’লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ।
-

উপকুলীয় জেলা সাতক্ষীরার উন্নয়নে বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ দিতে হবে
জহুরুল কবীর:
উপকুলীয় জেলা সাতক্ষীরা। এশিয়ার বৃহত্তম সবুজ ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন এই জেলায় অবস্থিত। এই উপকূলের গা ঘেঁষে বয়ে গেছে বঙ্গোপসাগর। শক্ষিাঙ্গণরে মহা পুরুষ খানবাহাদুর আহসান উল্লাহ এই শহরের গর্ব। তাছাড়া শিশু স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ জাতীয় অধ্যপক ডাঃ এম আর খান, ডাঃ রুহুল হক (সাবেক মন্ত্রী) (অর্থপেডিক্স), শৈল্য চিকিৎসক ডাঃ শ্যামাপদ পাল, ডাঃ আজিজার রহমান; বিশিষ্ট পরমানু বিজ্ঞানি ড. এম মতিয়ার রহমান; বিশ্ব বিখ্যাত বাঘ শিকারী পচাব্দী গাজী; প্রথম মুসলিম মহিলা কবি আজিজুননেছা খাতুন; বাঙালি লেখক/কবি মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী; বিশিষ্ট সাহিত্যিক সিকান্দার আবু জাফর; সাংবাদিক ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব আবেদ খান; বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা সাংবাদিক আব্দুল মোতালেব; বিশিষ্ট চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব অমর মিত্র (৩০ আগস্ট, ১৯৫১) ও আবুল কাশেম মিঠুন, পরীমনি; প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন ও নীলুফার ইয়াসমীন; চিত্রনায়ক আমিন খান ও রানী সরকার; নাট্যশিল্পী জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, তারিক আনাম খান, আফজাল হোসেন, ফাল্গুনী হামিদ ও মৌসুমী হামিদ; বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী (একুশে পদকপ্রাপ্ত) সৈয়দ জাহাঙ্গীর; আব্দুল জলিল (ঈশিকা); ক্রিকেটার মুস্তাফিজুর রহমান ও সৌম্য সরকার; নারী ফুটবলার সাবিনা; রাজনীতিবিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা স ম আলাউদ্দীন (সদস্য, প্রাদেশিক পরিষদ-১৯৭০ ); এম মনসুর আলী (সাবেক মন্ত্রী), সৈয়দ কামাল বখত সাকি, সৈয়দ দীদার বখত; পশ্চিমবঙ্গ ভারতের দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী বিধান চন্দ্র রায়; সাবেক সেনা প্রধান ভারতের শঙ্কর রায় চৌধুরী প্রমুখ জ্ঞানী-গুণিজন এই জেলার অহঙ্কার। ভোমরা স্থল বন্দর, চিংড়ি ও কাকড়া শিল্প এই জেলার বৃহৎ রাজস্ব আয়ের উৎস।
কপোতাক্ষ, ইছামতি (আদি যমুনা), কালিন্দী, কাকশিয়ালী, বেতনা(বেত্রাবতী), খোলপেটুয়া, গলঘেসিয়া, মরিচ্চাপ এই জেলার প্রধান প্রবহমান নদ-নদী সমুহ। এছাড়া প্রাণসায়র খাল জেলা শহরের প্রধান জল প্রবাহ।
জলবদ্ধতা, লোনা পানি, আন্তর্জাতিক সীমানা এই জেলার প্রধান সমস্যার উৎস। জেলার দক্ষিণ উপকূলীয় উপজেলার প্রায় অধিকাংশ ইউনিয়ন মিষ্টি পানির অভাবে বছরের বার মাস খাওয়ার পানি সঙ্কটে ভোগে। জেলার নদীগুলোয় চলমান প্রবাহ না থাকায় প্রতিনিয়ত পানির লবনাক্ততা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাছাড়া চিংড়ি চাষের জন্য ঘেরে লোনা পানি উঠানোয় বসতি এলাকাও লবনাক্ত হয়ে যাচ্ছে। ফলে খাওয়ার জন্য মিষ্টি পানির প্রচ- অভাবী এই উপকূল।
নদীগুলোয় চলমান প্রবাহ না থাকায় নদীর তলদেশ উচুঁ হয়ে যাচ্ছে। এতে করে নদীর পানি উচ্চতা বেড়ে যাচ্ছে। বসতি এলাকা অপেক্ষা নদীর পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় নদীগুলো ওভারফ্লো হয়ে পানি বসতি এলাকায় প্রবেশ করায় বছারের প্রায় ১২মাস উপকূলের অধিকাংশ ইউনিয়ন পানির নিচে থাকে। ফলে পয়নিষ্কাশনের মারাত্মক অসুবিধায় ভোগে এলাকার মানুষ। গৃহপালিত পশুর জীবন যাপন দুর্বিসহ হয়ে পড়েছে। কৃষি জমি পানির নিচে থাকায় এলাকায় কৃষি উৎপাদন একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে বেকার হয়েছে খুলনা সাতক্ষীরা উপকূলীয় এলাকার প্রায় ৫০ লাখ মানুষ। হাতে গোনা কিছু মানুষ জলে এবং জঙ্গলে কাজ করলেও তাতে পরিবারে স্বচ্ছতা ফেরে না। অভাবের তাড়ণায় পিতামাতা শিশু কিশোরদের লেখাপড়া বন্ধ করে জীবনের ঝুকি নিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় শ্রমিকের কাজে পাঠাতে বাদ্য হচ্ছে। গত বছর শ্যামনগরের কয়েকটি পরিবারের একাধিক শিশু ঢাকা গাজীপুর ইট ভাটায় দাদন খাটতে যেয়ে প্রাণ হারায়। এছাড়া উপকূলীয় এলাকায় ভয়াবহ হারে হ্রাস পাচ্ছে শিক্ষার হার। কর্মহীনতা যার প্রধান কারণ। সাতক্ষীরা উপকূলের নিন্ম শ্রেনীর বড় একটা গোষ্টি সুন্দরবন নির্ভর হয়ে হরে পড়েছে। কাঠ ও গোলপাতা কাটা, মধু আহরণ, পশু শিকার, মাছ ধরা ইত্যাদি এদের প্রধান পেশা হয়ে উঠেছে। এতে করে প্রতিনিয়ত ধ্বংস হচ্ছে সুন্দরবন। জঙ্গলের ঘনত্ব হ্রাস পাওয়ায় জনপদে চলে আসছে বাঘ, হরিণসহ বনজ প্রাণী। যার জন্য বনজীবীরা বাঘের মুখে পড়ছে প্রতিনিয়ত।
সাতক্ষীরা এমন একটা জেলা যেখানে সরকারি বে-সরকারি কোন কলকারকাখা নেই। আশির দশকে তৎকালিন বস্ত্রমন্ত্রী এম মুনছুর আলী একটি টেক্সটাই মিল (সুন্দরবন টেক্সটাইল মিলস) প্রতিষ্ঠা করলেও পরবর্তি সরকারের বাটপারেরা লুটপাট করে ধ্বংস করে দেয়। বর্তমানে এর (সুন্দরবন টেক্সটাইল মিলস) বিশাল জায়গা ছাড়া আর কিছু নেই। জেলার সামন্য একটা জনগোষ্টি ভোমরা স্থল বন্দরের সুবিধা ভোগ করে থাকেন।
শিক্ষিত যুবসমাজের জন্য এই জেলায় কোন কর্মসংস্থান না থাকায় বৃহত্তর চাকরী প্রার্থি রাজধানি মুখি হয়ে ওঠে।
সাতক্ষীরা ভারত সীমান্ত ঘেসা হওয়ায় উৎপাদন মুখি অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠান মূল্য সংকটে পড়ে। রাজধানি ঢাকা থেকে কাচামাল এনে স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করতে যে খরচ পড়ে দেখা গেছে পাশের রাষ্ট্র ভারতে তার দাম অনেক কম। আবার চায়না পণ্যের মূল্য আরো কম হওয়ায় ঢাকার মার্কেটেও স্থানীয় উৎপাদিত পণ্য বেঁচা যায় না।
এরকম নানান সমস্যা ও জটিলাতার জেলা উপকূলীয় সাতক্ষীরা।
শিক্ষা, কর্মসংস্থানসহ রাষ্ট্রীয় সব সুবিধা থেকে সাতক্ষীরা বঞ্চিত। বিভিন্ন নাগরিক সমাজের ব্যানারে সারা বছর আন্দোলন করলেও অদ্যবধি কোন জাতীয় বাজেটে দক্ষিণ উপকূলের জন্য বিশেষ কোন প্রকল্প গ্রহণ বা বরাদ্দ দেওয়া হয়নি।
এমতাবস্থায় সাতক্ষীরাবাসীর প্রধান দাবীসমুহ উপকুলীয় নদ-নদীসমুহে প্রবাহ বাড়াতে নদী খননসহ আন্তনদী সংযোগ সৃষ্টিতে বিশেষ প্রকল্প গ্রহণপূর্বক বরাদ্ধ দিতে হবে। মাওয়া থেকে সুন্দরবন (লিঙ্ক মোংলা, ভোমরা ও বেনাপোল বন্দর) মহাসড়কের আওতায় হাইওয়ে সড়ক ও রেল লাইন নির্মান করতে হবে। পদ্মার এপারে খুলনায় আন্তর্জাতিক আমদানি নির্ভর মার্কেট তৈরি করতে হবে। আন্তর্জাতিক বাজার থেকে আমদানিকৃত পণ্য খুলনা থেকে দেশব্যাপী সরবরাহ করতে হবে। ভোমরা স্থল বন্দরকে পূর্ণাঙ্গতা দিয়ে রাষ্ট্রীয় সকল আমদানী এখান দিয়ে করতে হবে। জেলার সাত উপজেলায় সাতটি পৃথক কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষে সাতটি ২০ লাখ শ্রমিক নির্ভর ইকোনোমিক জোন তৈরি করতে হবে। ভারতের বিভিন কোম্পানীর ম্যানুফ্যক্সারিং কারখানা উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরাতে স্থাপন করতে হবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা প্রধান স্থপনা সুন্দরবনের শক্তি বৃদ্ধিতে বনের ঘনত্ব বাড়াতে হবে। বিশাল বঙ্গোপসাগরের কূল ঘেষা সুন্দরবনের পরিধি দিনকিদিন সাগরে ভেঙে যাচ্ছে। বঙ্গপসাগরে সুন্দরবনের ভাঙন রোধে বিশেষ বাধ প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে। এশিয়ার বৃহৎ ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন সংলগ্ন শ্যামনগরকে পর্যাটন নগর ঘোষণা করতে হবে। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে বিশেষায়িত হাসপাতালে উন্নিত করতে হবে। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী এমএলএসএস পদে প্রশাসনিক স্থায়ী নিয়োগ দিতে হবে। -

পাইকগাছা পৌরসভার শহর রক্ষা বাঁধ ঝুঁকিপূর্ন
পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি: পাইকগাছা অঞ্চলের মানুষ খুলনার দক্ষিণে উপকূলবর্তী এ জনপদে জলবায়ু ও ভৌগলিক কারণে প্রায় প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার। বিশেষ করে প্রাকৃতিক দুর্যোগ পাউবো’র বেড়িবাঁধের ভাঙ্গনে এলাকার মানুষ চরম বিপর্যয়ের মূখে পড়ছে। বাঁধ ভেঙ্গে গেলে তা মেরামত করা এলাকার মানুষের পক্ষে দুঃসাধ্য ব্যাপার। ষাটের দশকে নির্মিত পানি উন্নয়ন বোর্ডের ওয়াপদা বাঁধে সুদীর্ঘ সময় নিয়মিত মাটির কাজ না হওয়ায় বাঁধের বেশির ভাগ ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে বর্তমানে নাজুক আকার ধারণ করেছে। বার বার প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বেঁড়িবাঁধ গুলো এখন ক্ষত-বিক্ষত। জরুরী ভিত্তিতে টেঁকসই বেঁড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি এলাকাবাসীর।
পাইকগাছা উপজেলা বিশিষ্ট মানবধিকার কর্মী ও এ্যাড. এফএমএ রাজ্জাক বলেন, পাইকগাছার বেশির ভাগ বাঁধে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে বেড়িবাঁধ নিচু ও চিকন হয়ে গেছে। তাছাড়া অনেক স্থানের বাঁধ কেটে লোনা পানি তুলে রাস্তার ক্ষতি করে চিংড়ি চাষ হচ্ছে। ফলে কর্তৃপক্ষ ভেঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধের জ্ঞাত থাকার পরও সেগুলো সংস্কারের কোন পদক্ষেপ না নিয়ে উপজেলা পাউবো জেগে জেগে ঘুমাচ্ছে। এলাকাবাসীরও একই অভিযোগ। তিনি আরও বলেন, “আমার জিজ্ঞাসা, এদের কাজ কি? বর্ষা মৌসুমের আগে এসকল বাঁধে সংস্কার কাজ না হলে যেকোন মুহুর্তে এসব বাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত হবে।
এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানাযায়, ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় সিডরের আঘাত, ২০০৯ সালে ২৫ মে সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় আইলার জলোচ্ছাস, পৌরসভার দক্ষিণ-পশ্চিমে শিববাটি থেকে বোয়ালিয়া পর্যন্ত একাধিক স্থানে ভেঙ্গে যায়। ঘরবাড়ি, ফসল ও লিজ ঘের পানিতে তলিয়ে যায়। এলাকাবাসী চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। স্থানীয় এলাকাবাসী ভাঙ্গনকৃত বাঁধগুলো স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে কোন মতে মেরামত করে পানি আটকানো রোধ করে। সে ভাবেই বেঁড়িবাঁধ পড়ে রয়েছে। সরজমিনে এসকল স্থান গুলো ঘুরে দেখা গেছে, অরক্ষিত পাইকগাছা পৌরসভা শহর রক্ষা বাঁধ। উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের অফিস থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার দুরে শিববাটির আশ্রায়ন প্রকল্পস্থ ইন্দুকাটা স্থানে ওয়াপদার একাধিক জায়গায় ভেঙ্গে যাওয়া বেড়িবাঁধ একই ভাবেই পড়ে রয়েছে। ভাঙ্গনের জায়গা দিয়ে চুয়ে চুয়ে লোনা পানি ঢুকছে। বাঁধটি এখনই সংস্কার না করলে বর্ষা মৌসুমে, অতিরিক্ত জোয়ারের পানি বৃদ্ধিতে ভেঙ্গে আবারও প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটার আশংকা করছে এলাকাবাসী। একইসাথে এই দীর্ঘ পরিক্রমায় এখনো পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর জানান, গত ১০ বছর যাবত শুনছি বিশ্বব্যাংক ও জাইকা নতুন বেঁড়িবাঁধ নির্মাণ করবে। উপজেলা পর্যায়ে সভা সেমিনারের বেঁড়িবাঁধ নিয়ে বহুকথা বলেছি কিন্তু কিছুই হচ্ছে না। তিনি সরকারের কাছে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের জোর দাবি জানান। জরুরী ভিত্তিতে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়ে স্থানীয় এমপি, উপজেলা প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী। -
পাইকগাছায় গাছ কাটার অভিযোগে লতা ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার, আদালত থেকে জামিন
পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি।। খুলনার পাইকগাছায় সরকারী গাছ কাটার অভিযোগে লতা ইউপি চেয়ারম্যান চিত্তরঞ্জন মন্ডলের নামে মামলা হলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছেন। বুধবার গভীর রাতে ওসি মোঃ এজাজ শফী চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করেন। দেলুটি ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা (তহশীলদার) লতিফা আক্তার এ মামলাটি করেছেন। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে গত ১৬ ডিসেম্বর সকালে চেয়ারম্যানের নির্দেশে ধলাই গ্রামের উত্তম রায় নামে এক যুবক লতা ইউনিয়নে নব-নির্মিত ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ভিতর থেকে কয়েকটি গেওয়া ও খেজুর গাছ কেটে নিয়ে যায়। অফিসের পিয়ন শরিফুলের মাধ্যমে জ্ঞাত হয়ে তহশীলদার লতিফা আক্তার মোবাইলে উত্তম রায় ও পরবর্তীতে চেয়ারম্যান চিত্তরঞ্জন মন্ডলকে গাছ কাটার করণ সম্বন্ধে জানতে চাইলে তারা উল্টো হুমকি দেন। এক পর্যায়ে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) পর্যন্ত গড়ালে তারা ইউপি চেয়ারম্যানকে তহশীদারের সাথে কথা বলে সমাধানের নির্দেশনা দেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত গাছ ফেরৎ না দেওয়ায় ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা লতিফা আক্তার বাদী হয়ে ২৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় চেয়ারম্যান চিত্তরঞ্জন মন্ডল ও উত্তম রায়ের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন, যার নাং-১৪। মামলার পর ওসি গভীর রাতে চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করেন এবং বৃহস্পতিবার সকালে তাকে আদালতে প্রেরন করেন। এদিকে চেয়ারম্যানের পক্ষে আনইজীবীরা আদালতে জামিন আবেদন করলে শুনানীন্তে বিজ্ঞ বিচারক পলাশ কুমার দালাল চেয়ারম্যানের জামিন মঞ্জুর করেন। -

পাইকগাছায় বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্য দেয়ায় যুবলীগনেতার বিরুদ্ধে আদালতে ২টি মামলা
পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি।। খুলনার পাইকগাছার কপিলমুনি মুক্ত দিবস উপলক্ষে আয়োজিত জনসভায় বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্য দেয়ায় যুবলীগনেতার বিরুদ্ধে আদালতে ২টি পৃথক মামলা হয়েছে। মামলা ২টি আমলে নিয়ে বিজ্ঞ আদালত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পিবিআই-তে পাঠিয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ৯ ডিসেম্বর উপজেলার কপিলমুনি মুক্ত দিবস উপলক্ষে কপিলমুনি সহচরী বিদ্যামন্দির মাঠে জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। জনসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক। উক্ত জনসভায় মন্ত্রীর আগমনের পূর্বে বক্তব্যকালে উপজেলা যুবলীগনেতা কাশিমনগর গ্রামের মৃত গাজী রফিকুল ইসলামের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক রাজু বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্য প্রদান করেন। এ বক্তব্যের প্রতিবাদে বক্তা আব্দুর রাজ্জাক রাজু’র শাস্তির দাবীতে বিক্ষোভ, প্রতিবাদ সভা ও সাংবাদিক সম্মেলন হয়েছে। এ কারণে গত ১৭ ডিসেম্বর রাজু ও ২০/২৫জন লোক নিয়ে লিটন সরদার নামে এক যুবককে মারপিট করে। এসব বিষয় নিয়ে লিটন সরদার বাদী হয়ে রাজু’র বিরুদ্ধে দ-বিধির ৩২৩/ ১২৩ (ক)/ ৫০০/ ৫০৬(২) ধারায় পাইকগাছা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেছে। একই ঘটনায় বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব সৈয়দ সালামুল্লাহ ১২৩ (ক)/ ৫০০ ধারায় একই আদালতে আরো ১টি মামলা করেছে। মামলার আইনজীবী এ্যাড. জি.এম. আমজাদ হোসেন ও শেখ তৈয়ব হোসেন নূর বলেন, মঙ্গলবার মামলাটি আমলে নিয়ে বিজ্ঞ আদালত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পিবিআই-তে পাঠিয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা যুবলীগ সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য আব্দুর রাজ্জাক রাজু বলেন, অসাবধানতা বশতঃ এ বক্তব্যটি হয়েছে। -

পাইকগাছায় সুজনা-কে হত্যার অভিযোগে হত্যাকারীর ফাঁসির দাবীতে মানববন্ধন ও শোকর্যালী
পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি। পাইকগাছায় সুজনা আক্তারকে হত্যার অভিযোগ এনে হত্যাকারীর ফাঁসির দাবীতে এলাকাবাসি ও তার স্বজনরা মানববন্ধন ও শোকর্যালী করেছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা পরিষদের সামনে মেইন সড়কে পৌর সভার ৬ ও ৭ নং ওয়ার্ডের নারী-পুরুষ সহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ এ কর্মসুচিতে যোগদেন। নিহত সুজনার পিতা ৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা বাবু সরদার দম্পতি অভিযোগ করেন তার মেয়েকে হত্যা করে জামাতা রবিউল গাজী গলায় রশি (দড়ি) ঝুলিয়ে আত্মহত্যা বলে প্রচার করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র আসমা আহম্মদ, আলমগীর সানা, কেষ্টপদ মন্ডল, ছলেমান মোড়ল ও নিহত সুজনার পিতা-মাতা সহ পৌর সভার ৬ ও ৭ নং ওয়ার্ডের নারী-পুরুষ সহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ। উল্লেক্ষ্য গত শুক্রবার রাতে উপজেলার বারুইডাঙ্গা গ্রামে স্বামী রবিউল গাজীর ঘর থেকে গলায় রশি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় সুজনার লাশ উদ্ধার করা হয়। -

২৬ শে মার্চের পূর্বে রাজাকারদের তালিকা প্রকাশ করা হবে। -অা ক ম মোজাম্মেল হক
পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি।। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী অা ক ম মোজাম্মেল হক, এমপি বলেছেন, অাগামী স্বাধীনতা দিবস (২৬শে মার্চ)-র পূর্বে রাজাকারদের তালিকা প্রনয়ন করা হবে। যা ইতিমধ্যে মন্ত্রী পরিষদে অনুমোদন হয়েছে। তিনি বুধবার দুপুরে খুলনার পাইকছায় কপিলমুনি মুক্ত দিবস উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্স`র নির্মান কাজের উদ্ভোধনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন। তিনি অারো বলেন, মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি বিজড়িত স্হান সংরক্ষন ও বদ্ধভুমি নির্ধারনে সরকারের পরিকল্পনার কথা বলে তিনি সকলের সহযোগীতা কামনা করেছেন। মন্ত্রী অারো বলেন, সুবিধাভোগী অমুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রনয়নে জটিলতার কথা বলে জানান, শহীদ ও বিরঙ্গনাদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে তবে এবং সামাজিক অবস্হার প্রেক্ষাপটে অনেক বিরঙ্গনা মা বোনরা সে ভাবে তালিকাভুক্ত হতে রাজি হচ্ছে না। এ সময় উপস্হিত ছিলেন, খুলনা ৬ (পাইকগাছা কয়রা) এমপি অাক্তারুজ্জামান বাবু, জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের সচিব শেখ ইউসুফ হারুন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাষক সাদিকুর রহমান, উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা অা’লীগ সভাপতি অানোয়ার ইকবাল মন্টু, ইউএনও এ বি এম খালিদ হোসেন সিদ্দীকী , উপজেলা অা’লীগের সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য শেখ কামরুল হাসান টিপু, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রশীদুজ্জামান, মুক্তিযুদ্ধ কউন্সিলের সাবেক কমান্ডার শাহাদাৎ হোসেন বাচ্চু, এসিল্যান্ড মোহাম্মদ অারাফাতুল অালম, উপজেলা অা’লীগের যুগ্ম সম্পাদক অানন্দ মোহন বিশ্বাস, কপিলমুনি ইউপি চেয়ারম্যান কওসার অালী জোয়াদ্দার সহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ। এর পূর্বে মন্ত্রী, এমপি ও সচিবদ্বয় সহ মুক্তিযোদ্ধারা কপিলমুনিতে নবনির্মিত স্মৃতিসৌধে পুস্পমাল্য অর্পন করে সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এরপর মন্ত্রী মহোদয় সহ অতিথীরা মাহমুদকাটী অনির্বান লাইব্রেরী পরিদর্শন করেন এবং বিকাল ৪ টায় কপিলমুনির সহচারী বিদ্যামন্দির এ্যান্ড কলজিয়েট স্কুল মাঠে হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে অালোচনা সভা অংশগ্রহণ করেন।
-

পাইকগাছায় অনলাইনে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
পাইকগাছা প্রতিনিধি: জেলা পর্যায়ে ৪১ তম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহের ৩য় দিনের বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড ও প্রকল্প উপস্থাপন সিনিয়র গ্রুপ ও বিশেষ গ্রুপ পর্বে পাইকগাছায় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে প্রকল্প উপস্থাপন পর্বে জুম এ্যাপসে সংযুক্ত থেকে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ভারপ্রাপ্ত ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ আরাফাতুল আলম। এসময়ে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা পবিত্র কুমার দাশ, সহকারী প্রোগ্রামার মৃদুল কান্তি দাশ, উপজেলা একাডেমিক সুপার ভাইজার নূরে আলম সিদ্দিকী, পেশকার প্রতুল জোদ্দারসহ বিভিন্ন কলেজ থেকে প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণকারীগণ।




