সাতক্ষীরা : নতুন ব্যাগ দেখানোর কথা বলে নবম
শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীকে গুদাম ঘরে আটকে রেখে ধর্ষণের চেষ্টা
চালানো হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল তিনটার দিকে সাতক্ষীরা সদর
উপজেলার বাঁশদহা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। জনতা ওই যুবককে
আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
আটককৃত যুবকের নাম মোঃ নাঈম ইসলাম (২৩)। সে সাতক্ষীরা
সদর উপজেলার ভাদড়া গ্রামের আব্দুস সবুরের ছেলে ও বাঁশদহা
বাজারের নাঈম কসমেটিকস সেন্টারের স্বত্বাধিকারী।
সদর উপজেলার বাঁশদহা গ্রামের এক দরিদ্র ইজিবাইক চালক
জানান, তার মেয়ে স্থানীয় একটি বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর
ছাত্রী। মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে বিদ্যালয় ছুটি হওয়ার পর তার
মেয়ে একটি ব্যাগ কেনার জন্য বাঁশদহা বাজারের নাঈম
কসমেটিকস সেন্টারে আসে। দোকানদার নাঈম পছন্দের ব্যাগ
গুদামে আছে বলে তাকে সেখানে নিয়ে যায়। বিকেল তিনটার
দিকে গুদামঘরের শার্টারের দরজা খুলে ভিতরে ঢোকা মাত্রই ভিতর
থেকে শার্টারের দরজা লাগিয়ে দেয় নাঈম। একপর্যায়ে মেয়েটির
মুখ চেপে ধরে মাটিতে ফেলে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। ঘণ্টাব্যাপি
ধস্তা ধ্বস্তির একপর্যায়ে মেয়েটিকে ভিতরে রেখে সে বাইরে
এসে শার্টারের দরজা লাগিয়ে নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চলে
আসে নাঈম। মেয়েটির চিৎকারে পার্শ্ববর্তী এক ব্যবসায়ি
বাজার কমিটি ও মেয়েটির চাচাকে জানায়। মেয়ের চাচা আরো
এক ঘণ্টা পরে খবর পেয়ে নাঈমের দোকান থেকে চাবি এনে
গুদামঘরের তালা খুলে ফেলে। একপর্যায়ে তিনি (বাবা) ৯৯৯ এ ফোন
করলে রাত ৮টার দিকে পুলিশ ওই ভিকটিমকে উদ্ধার ও নাঈমকে আটক
করে থানায় নিয়ে আসে।
মেয়েটির বাবা আরো জানান, কিছু টাকা নিয়ে ঘটনাটি
চেপে যাওয়ার জন্য বঁ^াশদহা বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক
আজাহারুল ইসলামের মাধ্যমে তার কাছে প্রস্তাব দেওয়া হয়। তিনি
তাতে রাজী হননি।
তবে আজাহারুল ইসলামের সাথে এ ব্যাপারে কথধা বলা সম্ভব
হয়নি। এ ব্যাপারে আটককৃত নাঈম ইসলাম তার নিজ কৃতকর্মের কথা
স্বীকার করেছে।
সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম জানান, এ
ঘটনায় ওই স্কুল ছাত্রীর বাবা বাদি হয়ে নাঈম ঈসলামের নাম উল্লেখ
করে বুধবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২০০০ সালের
সংশোধিত ২০০৩ এর ৯(৪) ধারায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
আসামী নাঈম ইসলামকে বুধবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেল
হাজতে পাঠানো হয়েছে। সাতক্ষীরার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম নয়ন
বড়ালের কাছে মেয়েটির ২২ ধারায় জবানবন্দি শেষে তার বাবার
জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।
Category: ধর্ষন
-

গুদাম ঘরে আটকে রেখে নবম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা, আটক-১
-

কলারোয়ায় ধর্ষন মামলার আসামী আটক
সংবাদদাতা: কলারোয়া থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ধর্ষন মামলার এক আসামীকে আটক করেছে। মামলা দায়েরের ৩ ঘন্টার মধ্যে আসামী ইয়ারাব (২৫) কে পুলিশ আটক করতে সক্ষম হয়। থানা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কেরালকাতা ইউনিয়নের বহুড়া গ্রামের সামছুর রহমান ঢালীর মেয়ে সাথী খাতুন বাদী হয়ে তার অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছোট বোন (১৪) কে জোরপূর্বক ধর্ষনের অপরাধে একই গ্রামের ইব্রাহীম হোসেনের ছেলে ইয়ারাব এর বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর তদন্ত কর্মকর্তা এসআই ইস্রাফিল হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার (১২নভেম্বর) রাত আড়াই টার দিকে বহুড়া গ্রাম এলাকা থেকে আসামী ইয়ারাবকে আটক করে। আরও জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে এর আগে থানায় একটি শিশু ধর্ষন মামলা নং-৩২(১২)২০২০ হয়েছে। এব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ মীর খায়রুল কবির বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ধর্ষন মামলায গ্রেফতারকৃত আসামী ইয়ারাবকে বৃহস্পতিবার অফিস চলাকালিন সময়ে সাতক্ষীরা বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী প্রদানের জন্য প্রেরন করা হয়েছে। -

প্রেমিকের বিচার চেয়ে সুইসাইড নোট, অন্তঃসত্ত্বা স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা!
‘আমার পেটে জীবনের বাচ্চা। আমিতো বেঁচে থাকতে ওর বিচার করতে পারলাম না। মরার পরে যেন কঠোর বিচার হয়” মৃত্যুর আগে এভাবে আবেগঘন সুইসাইড নোট লিখে দুই মাসের অন্তঃস্বত্তা এক স্কুলছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। সোমবার সকাল ৭ টার দিকে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়ের চর নিতাইল পাড়ার পূর্ব পাড়াতে এ ঘটনা ঘটে।
ওই ছাত্রীর নাম সোনিয়া খাতুন (১৬)। তিনি শালঘর মধুয়া হাজী আছিয়া খাতুন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী এবং নিতাইল পাড়ার সুফিয়া খাতুনের কন্যা। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, একই এলাকায় জহুরুল হাজীর কলেজ পড়ুয়া ছেলে জীবনের (২০) সাথে সোনিয়ার প্রায় এক বছর যাবৎ প্রেম চলছিল। এর মাঝে তারা শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। সম্পর্কের এক পর্যায়ে সোনিয়া দুই মাসের অন্তঃস্বত্তা হয়ে পড়লে বিয়ের জন্য জীবনকে সোনিয়া চাপাচাপি করতে থাকে। এরপর গত শনিবার জীবনের সাথে পালিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যাগপত্র গুছিয়ে রাখে সোনিয়া। কিন্তু জীবন পালাতে রাজি না হওয়াই রবিবার সন্ধ্যায় জীবনের বাড়িতে ছুটে যায় সোনিয়া। এসময় জীবনের মা বাবা বোন মিলে সোনিয়াকে মারধর করে তাড়িয়ে দেয়। সোনিয়া সোজা বাঁশগ্রাম পুলিশ ক্যাম্পে গিয়ে লিখিত অভিযোগ করে। পুলিশ বিষয়টি দেখা হবে বলে আশ্বস্ত করে সোনিয়াকে বাড়ি পৌঁছে দেয়। অপমান আর ক্ষোভে সোমবার সকাল ৭ টার দিকে সুইসাইড নোট লিখে নিজ ঘরে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে সোনিয়া।
নিহতের মা সুফিয়া খাতুন জানান, জীবনের সাথে গোপনে সোনিয়ার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। জীবনের বাড়িতে গেলে ওরা মারধর করলে ক্যাম্পে যায় সোনিয়া। পরে পুলিশ সোনিয়াকে বাড়ি পৌঁছে দেয়। তিনি আরো জানান, রাতেই সোনিয়ার কাছ থেকে জানতে পারলাম ওদের শারীরিক সম্পর্ক ছিল এবং সোনিয়া দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তবে মেডিকেল টেস্ট করানো হয়নি। সুফিয়া জানান, আমার মেয়ে বাবা হারা। অনেক কষ্টে বড় করেছি। ওর সাথে যারা খারাপ কিছু করেছে, তাদের কঠোর বিচার চাই।
এ বিষয়ে বাঁশগ্রাম পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ রেজাউল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, মেয়েটি ক্যাম্পে এসে তার এক ছেলের সাথে প্রেমের কথা জানিয়ে বলে আমি বাড়ি গেলে পরিবারের লোকজন মারবে। এ কথা শুনে আমরা বাড়ি পৌঁছে দিয়েছি। তবে লিখিত অভিযোগের কথা তিনি অস্বীকার করেন।
কুমারখালী থানার ওসি অফিসার মজিবুর রহমান জানান, সুইসাইড নোট লিখে মেয়েটি ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তদন্তের স্বার্থে সুইসাইড নোটসহ একটি ডায়েরী জব্দ করা হয়েছে এবং সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এদিকে ঘটনার পর থেকেই জীবনসহ তার পরিবারের সকল সদস্য পলাতক রয়েছে।
-

তরুণীকে পাচারের পর যৌনপল্লিতে বিক্রি, যুবক গ্রেফতার
:
ডেক্স রিপোর্ট : কথা ছিল ঢাকায় নিয়ে চাকরি দেওয়া হবে। কিন্তু সেই চাকরির নামে নিজের অজান্তেই পাচার হয়ে যান এক তরুণী। পরে তাকে রাজবাড়ির দৌলতদিয়া যৌনপল্লিতে নিয়ে বিক্রি করে দেওয়া হয়। তবে শেষ পর্যন্ত নিজের চেষ্টা ও ভাগ্যের জোরে অন্ধকার সেই জগৎ থেকে পালিয়ে আসতে সক্ষম হন তরুণী। এর পর ওই মানবপাচারকারীর বিরুদ্ধে থানায় গিয়ে অভিযোগ দেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে তড়িৎ ব্যবস্থা নেয় পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৬ জুন) ভোরে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার উজানপাড়া এলাকা থেকে মানবপাচারকারী আলিফ হোসেনকে (২৮) গ্রেফতার করা হয়। আলিফ রাজশাহী মহানগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার গুড়িপাড়া এলাকায় তকবুল হোসেনের ছেলে।
রাজশাহীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) ইফতে খায়ের আলম মঙ্গলবার বিকেলে এ মানবপাচারের ঘটনা ও দোষি ব্যক্তি গ্রেফতার অভিযানের তথ্য নিশ্চিত করেন।
ইফতে খায়ের আলম বলেন, গ্রেফতারের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়েছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আলিফ জানিয়েছেন- ঢাকার পোশাক কারখানায় চাকরি দেওয়ার নাম করে ওই তরুণীকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি রাজবাড়ির দৌলতদিয়া যৌনপল্লিতে নিয়ে গিয়ে মাত্র ২৫ হাজার টাকায় তাকে বিক্রি করে দিয়ে আসেন। আলিফ মানবপাচারকারী চক্রের সঙ্গে জড়িত বলে জানিয়েছে। এ চক্রের আরও তিনজনের নাম বলেছে। বর্তমানে তাদের গ্রেফতারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গোদাগাড়ীর ওই অসহায় তরুণীকে গত ৯ জুন চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়েছিল আলিফ। ১৫ জুন ওই তরুণী বহু কষ্টে দৌলতদিয়া যৌনপল্লি থেকে পালিয়ে আসতে সক্ষম হন। তিনি বাড়ি ফিরে পরিবারকে ঘটনা খুলে বলেন। পরে তারা গোদাগাড়ী থানায় অভিযোগ করেন। পরে রাজশাহীর পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহর নির্দেশে তড়িৎ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ওই মানবপাচারকারীকে ধরতে রাতেই অভিযান শুরু করে গোদাগাড়ী থানা পুলিশ।
পরে মঙ্গলবার ভোরে মানবপাচারকারী আলিফকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারেও পাঠানো হয়েছে বলেও জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতে খায়ের আলম।
-
তালায় শিশুকে ধর্ষণ : সালিশের নামে ভিকটিমকে নির্যাতন
তালা প্রতিনিধি ॥
সাতক্ষীরা তালায় হতদরিদ্র পরিবারের শিশু (১৬)কে জোরপূর্বক ধর্ষণ করা হয়েছে। ঘটনার পর বিষয়টি মিমাংসার নামে ওই শিশুকে ডেকে ব্যপক মারপিট করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ধাঁমাচাঁপা দিতে একটি রাজনৈতিক মহল ভিকটিমের পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগে বলা হয়েছে। শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে তালা সদর ইউনিয়নের জেয়ালা গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। এঘটনায় এলাকার সাধারন মানুষ ধর্ষকের পরিবারের শাস্তির দাবীতে ফুঁসে উঠেছে।
হতদরিদ্র শিশুর মা জানান, শুক্রবার সকালে কৃষি শ্রমিকের কাজ করার জন্য তিনি ও তার স্বামী মাঠে যান। সেসময় তার অসুস্থ্য মেয়ে বাড়িতে একা ছিল। বেলা ১২টার দিকে পাশ্ববর্তী হায়দার সরদারের লম্পট ছেলে সোহাগ সরদার (২৫) ঘরে ঢুকে শিশু মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষন করে।
ভিকটিম শিশু জানান, শরীর অসুস্থ্য থাকায় সে ঘরের মধ্যে একা ঘুমিয়ে পড়ে। এসময় সোহাগ এসে জোরপূর্বক ধর্ষন করে। একপর্যায়ে শিশুর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে লম্পট সোহাগ পালিয়ে যায়। বিষয়টি জানার পর লম্পট সোহাগের পিতা হায়দার সরদার, মা মরিয়ম বেগম, ফুফু সাহিদা বেগম ও ফরিদা বেগম এসে বিষয়টি নিষ্পত্তি করবে বলে বাড়িতে ডেকে নিয়ে যেয়ে তারা ভিকটিম শিশুকে ব্যপক মারপিট করে বলে শিশুটির পিতা জানান। পরবর্তীতে এসব খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে গ্রামের লোকজন জড়ো হয়ে লম্পট সোহাগের বাড়ি ঘিরে রাখে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মাদ আলী নিকারী জানান, ধর্ষিত শিশুটির পরিবার হতদরিদ্র এবং তারা একটি জরাজীর্ন ঘরে বসবাস করে। ওই পরিবারের শিশু কন্যাকে ধর্ষন এবং সালিস করার নামে ডেকে নিয়ে লম্পট সোহাগের মা ও ফুফুরা মারপীট করায় এলাকার মানুষ ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছে। পরে অবস্থা বেগতীক দেখে শুক্রবার রাতে লম্পট সোহাগ ও তার পিতা হায়দার আলী বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে। লম্পট সোহাগের পিতা হায়দার আলী-ও একজন কূখ্যাত লম্পট। ইতোপূর্বে সে তার নিজ পুত্রবধু ও ভাতিজি সহ এলাকার একাধিক মহিলাকে রাতের আঁধারে ধর্ষন করে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে শুক্রবার রাত থেকে তালার এক রাজনৈতিক নেতা ঘটনা নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার জন্য ওই শিশুর পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এবিষয়ে ইউপি সদস্য মোহাম্মাদ আলী বলেন, দরিদ্র শিশুকে ধর্ষন, মারপীট ও হুমকির ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে গ্রামের সকল মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের পাশে দাড়িয়েছে। শনিবার বেলা ১২টার দিকে গ্রামের লোকজন ভিকটিম শিশু ও তার পরিবারকে সাথে নিয়ে তালা থানায় মামলা দায়ের’র জন্য আসে।
এবিষয়ে তালা থানার ওসি মো. মেহেদী রাসেল বলেন, শুক্রবার রাতে ঘটনার আংশিক খবর পাওয়া যায়। ভিকটিম শিশুর পরিবার মামলা করলে তৎক্ষনাত যথাযথ আইনী ব্যবস্থা নেয়া সহ আসামীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। -
ফিংড়ি ইউনিয়নের সুলতানপুরে ৪ র্থ শ্রেনীর এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষনের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের, ধর্ষক পলাতক
নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরার ফিংড়ি ইউনিয়নের সুলতানপুরে চতুর্থ শ্রেনীর এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষনের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। বুধবার রাতে ওই স্কুল ছাত্রীর ভাই বাদী হয়ে সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। তবে, ধর্ষক আব্দুস ছালাম পলাতক থাকায় পুলিশ এখনও তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হননি। এদিকে, ধর্ষিতা ওই স্কুল ছাত্রীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ধর্ষক আব্দুস ছালাম (৪৫) সদর উপজেলার ফিংড়ি ইউনয়নের জিফুলবাড়িয়া গ্রামের মৃত ছদরুদ্দীনের ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, প্রতিবেশী ধর্ষক আব্দুস ছালাম ওই স্কুল ছাত্রীর বাড়ির উপর দিয়ে প্রায়ই যাতায়াত করতো। এই সুবাদে তার সঙ্গে কথাবার্তা হতো। এক পর্যায়ে গত ২৯ মার্চ সকাল ১০ টার দিকে ওই স্কুল ছাত্রী তাদের বাড়ির পাশে একটি বিলে গবাদী পশুর জন্য ঘাস কাটতে যায়। এ সময় পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা লম্পট আব্দুস ছালাম তাকে খাবার খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে পাশ্ববর্তী একটি আমবাগানে নিয়ে তার হাত ও মুখ চেপে ধরে জোর পূর্বক ধর্ষন করে এবং বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য তাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এদিকে এ ঘটনাটি তাদের পাশে থাকা জনৈক সাগর নামের ১৩ বছরের অপর এক কিশোর দেখে ফেলে। কিন্তু সেও ভয়ে বিষয়টি কাউকে জানায়নি। এ ঘটনার দুই দিন পর বুধবার বিকালে কিশোর সাগর ঘটনাটি ওই স্কুল ছাত্রীর ভাইকে জানানোর পর বিষয়টি জানাজানি হয়। এরপর ওই স্কুল ছাত্রীর ভাই স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের পরামর্শে রাতেই ধর্ষক আব্দুস ছালামের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। এদিকে, ধর্ষিতা ওই স্কুল ছাত্রীকে তার ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পলাতক ধর্ষক আব্দুস সালামকে গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।




