Category: ধর্ম

  • মক্কা-মদিনায় ঈদের নামাজে মুসল্লিদের ঢল

    মক্কা-মদিনায় ঈদের নামাজে মুসল্লিদের ঢল

    অনলাইন ডেস্ক   

    মক্কা-মদিনায় ঈদের নামাজে মুসল্লিদের ঢল

    ইসলামের সম্মানিত স্থান মক্কা ও মদিনার পবিত্র দুই মসজিদে ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। করোনা মহামারির দুই বছর পর অনুষ্ঠিত ঈদের নামাজে মুসল্লিদের প্রচণ্ড ভিড় ছিল। আজ সোমবার (২ মে) রমজান মাসের ত্রিশ রোজার পর মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববিতে ঈদের নামাজ হয়।  

    kalerkantho

    মক্কার গ্র্যান্ড মসজিদে ঈদের নামাজের ইমাম ছিলেন শায়খ ড. সালেহ বিন আবদুল্লাহ বিন হুমাইদ।

    বিজ্ঞাপন মসজিদুল হারামে ঈদের জামাতে অংশ নিয়েছেন সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ ও যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানসহ দেশটির শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ।  

    kalerkantho

    এদিকে মদিনার পবিত্র মসজিদে নববিতে ঈদের নামাজের ইমামতি করেন শেখ আলি হুজাইফি। তাতে মদিনার গভর্নর প্রিন্স ফয়সাল বিন সালমান বিন আবদুল আজিজ ও ডেপুটি গভর্নর প্রিন্স সাউদ বিন খালিদ আল ফয়সাল ঈদের জামাতে অংশ নেন।  

  • সাতক্ষীরায় এইচসিজি ইকো ক্যান্সার সেন্টারের ইফতার

    সাতক্ষীরায় এইচসিজি ইকো ক্যান্সার সেন্টারের ইফতার

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: ভারতের স্বনামধন্য ক্যান্সার হসপিটাল এইচ,সি,জি ইকো ক্যান্সার সেন্টারের আয়োজনে এবং এম,এস কম্পিউটারের পরিচালনায় ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় সাতক্ষীরাতে একটি চাইনিজের ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন এইচ,সি,জি ইকো ক্যান্সার সেন্টারের বাংলাদেশ রিজনের মার্কেটিং ম্যানেজার বিপুল বিশ^াস। ব্যবস্থাপনায় ছিলেন এম,এস কম্পিউটারের পরিচালক মীর শাহারিয়ার (অপু), সহযোগিতায় মীর বায়েজীদ হোসেন, ইব্রাহীম হোসেন, অভিক রহমার হযরত। উক্ত ইফতার মাহফিলে উপস্থি ছিলেন সাতক্ষীরা জেলার বিশিষ্টি ব্যবসায়ী সমাজসেবক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

  • মসজিদে হবে ঈদুল ফিতরের নামাজ

    মসজিদে হবে ঈদুল ফিতরের নামাজ


    ন্যাশনাল ডেস্ক: স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদুল ফিতরের নামাজ মসজিদে পরার আহ্বান জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
    সোমবার (২৬ এপ্রিল) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য দেওয়া হয়।
    বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনা পরিস্থিতির কারণে ঈদুল ফিতরের নামাজ ঈদগাহে না হয়ে নিজ নিজ এলাকার মসজিদে পরার জন্য় মুসলিমদের প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে।

    একইসঙ্গে মসজিদে জামাত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলানো পরিহার করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
    দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় (সোমবার সকাল আটটা পর্যন্ত) করোনাভাইরাসে সংক্রমিত আরো ৯৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে পুরুষ ৬১ জন ও নারী ৩৭ জন। একই সময় নতুন করে আরো ৩ হাজার ৩০৬ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন।
    এই পরিস্থিতিতে চলমান বিধিনিষেধ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। আগামী ৫ মে পর্যন্ত এই বিধিনিষেধ বহাল থাকবে।

  • এবার সর্বনিম্ন ফিতরা ৭০ টাকা

    এবার সর্বনিম্ন ফিতরা ৭০ টাকা


    ন্যাশনাল ডেস্ক: চলতি বছর জনপ্রতি ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে সর্বনিম্ন ৭০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ২ হাজার ৩১০ টাকা।
    বুধবার রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভায় এই হার নির্ধারণ করা হয়। পরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

    সভায় সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত হয়, ইসলামী শরিয়াহ অনুযায়ী আটা, যব, গম, কিসমিস, খেজুর ও পনির ইত্যাদি পণ্যের যেকোনো একটি দিয়ে ফিতরা দেওয়া যায়। মুসলমানরা নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী পণ্যগুলোর যেকোনো একটি পণ্য বা এর বাজারমূল্য দিয়ে ফিতরা আদায় করতে পারবেন।
    বিজ্ঞপ্তির তথ্য মতে, উন্নতমানের গম বা আটা দিয়ে ফিতরা আদায় করলে তার সমমূল্য বা ১ কেজি ৬০০ গ্রাম বা বাজার মূল্য ৭০ টাকা দিতে হবে, যব দিয়ে আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ২৮০ টাকা, কিসমিস দিয়ে আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর সর্বোচ্চ বাজার মূল্য ১ হাজার ৩২০ টাকা, খেজুর দিয়ে আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর সর্বোচ্চ বাজার মূল্য ১ হাজার ৬৫০ টাকা, পনির দিয়ে ফিতরা আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর সর্বোচ্চ বাজারমূল্য ২ হাজার ৩১০ টাকা দিতে হবে।
    তবে এসব পণ্যে বাজার মূল্যে তারতম্য রয়েছে, তাই স্থানীয় বাজার দরের সঙ্গে মিল রেখে ফিতরা দেওয়া যাবে।
    ইসলাম ধর্মে ছোট-বড়, নারী-পুরুষ সব সামর্থ্যবান মুসলিমের পক্ষে ফিতরা আদায় করা ওয়াজিব। ফিতরা ঈদের নামাজের আগে বণ্টন করাও ওয়াজিব।
    উল্লেখ্য, গত বছর সর্বনিম্ন ফিতরার হার ছিল ৭০ টাকা। তবে সর্বোচ্চ ছিল ২ হাজার ২০০ টাকা।

  • বাংলাদেশে ইসলামপন্থী রাজনীতির প্রতি আস্থাহীনতা

    মো. জাকির হোসেন
    বাংলাদেশে ইসলাম ধর্মের অনুসারীর সংখ্যা ৯০ শতাংশ। অথচ বাংলাদেশের মানুষ ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলোর চেয়ে ধর্মনিরপেক্ষ কিংবা ইসলামি আইন ও বিধি-বিধান অনুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালনায় বিশ্বাসী নয় এমন রাজনৈতিক দলকে অধিক পছন্দ করে, তাদের ভোট দেয়। ইসলামপন্থী রাজনীতির প্রতি তাদের আস্থা নেই। এই অনাস্থার পেছনে অনেক কারণ রয়েছে। অবিভক্ত ভারতে মুসলিম লীগ নেতাদের অদূরদর্শিতা, একগুঁয়েমি, হঠকারিতা ও ষড়যন্ত্রের কারণে ভারত ভাগের সময় বাংলাদেশ তার প্রাপ্য অনেক ভূ-খন্ড হারিয়েছে। ভারত ও পাকিস্তান নামে দু’টি রাষ্ট্র সৃষ্টি হওয়ার পর লর্ড মাউন্টব্যাটেন চেয়েছিলেন সাময়িকভাবে তিনি ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশেরই গভর্নর জেনারেল থাকবেন। ভারত মেনে নিলেও জিন্নাহ রাজি হলেন না, তিনি নিজেই পাকিস্তানের গভর্নর হলেন। এতে মাউন্টব্যাটেন ক্ষেপে গিয়ে পাকিস্তানের সর্বনাশ করলেন। যদিও র‌্যাডক্লিফকে ভার দেওয়া ছিল ভারত ও পাকিস্তানের সীমানা নির্ধারণ করতে, তথাপি রাগান্বিত মাউন্টব্যাটেন গোপনে কংগ্রেসের সঙ্গে পরামর্শ করে একটি ম্যাপ নির্ধারণ করেছিলেন বলে অনেকেই মনে করেন। এরূপ মনে করার পেছনে প্রধান যুক্তি হলো, মওলানা আকরাম খাঁ মুসলিম লীগের সভাপতি হিসাবে ঘোষণা করেছিলেন, ‘আমার রক্তের উপর দিয়ে বাংলা ভাগ হবে। আমার জীবন থাকতে বাংলা ভাগ করতে দেব না। সমস্ত বাংলাই পাকিস্তানে যাবে।’ কিন্তু ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সোহরাওয়ার্দী সাহেবের স্থলে নাজিমুদ্দিন সাহেব নেতা নির্বাচিত হয়ে যে হঠকারী সিদ্ধান্ত নেন তাতেই বাংলাদেশের কপাল পুড়লো। বঙ্গবন্ধু অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে এ বিষয়ে লিখেছেন, ‘নাজিমুদ্দিন সাহেব মুসলিম লীগ বা অন্য কারো সাথে পরামর্শ না করেই ঘোষণা করলেন ঢাকাকে রাজধানী করা হবে। তাতেই আমাদের কলকাতার ওপর আর কোনও দাবি রইল না। এদিকে লর্ড মাউন্টব্যাটেন চিন্তাযুক্ত হয়ে পড়েছিলেন, কলকাতা নিয়ে কী করবেন?’ ইংরেজ তখনও ঠিক করে নাই কলকাতা পাকিস্তানে আসবে, না হিন্দুস্তানে থাকবে। আর যদি কোনও উপায় না থাকে তবে একে ‘ফ্রি শহর’ করা যায় কিনা? কারণ, কলকাতার হিন্দু-মুসলমান লড়বার জন্য প্রস্তুত। যেকোনও সময় দাঙ্গা-হাঙ্গামা ভীষণ রূপ নিতে পারে। কলকাতা হিন্দুস্তানে পড়লেও শিয়ালদহ স্টেশন পর্যন্ত পাকিস্তানে আসার সম্ভাবনা ছিল। হিন্দুরা কলকাতা পাওয়ার জন্য আরও অনেক কিছু ছেড়ে দিতে বাধ্য হতো।’ একজন ইংরেজ গভর্নর হয়ে ঢাকা আসতে রাজি হচ্ছিল না, কারণ ঢাকায় খুব গরম। তার উত্তরে মাউন্টব্যাটেন যে চিঠি দিয়েছিলেন তাতে লেখা ছিল, ‘পূর্ব পাকিস্তানে দুনিয়ার অন্যতম পাহাড়ি শহর, থাকার কোনও কষ্ট হবে না। অর্থাৎ দার্জিলিংও আমরা পাব। তাও নাজিমুদ্দিন সাহেবের এই ঘোষণায় শেষ হয়ে গেল। যখন গোলমালের সম্ভাবনা থাকল না, মাউন্টব্যাটেন সুযোগ পেয়ে যশোর জেলায় সংখ্যাগুরু মুসলমান অধ্যুষিত বনগাঁ জংশন কেটে দিলেন। নদীয়ায় মুসলমান বেশি, তবু কৃষ্ণনগর ও রানাঘাট জংশন ওদের দিয়ে দিলেন। মুর্শিদাবাদে মুসলমান বেশি কিন্তু সমস্ত জেলাই দিয়ে দিলেন। মালদহ জেলায় মুসলমান ও হিন্দু সমান সমান তার আধা অংশ কেটে দিলেন, দিনাজপুরে মুসলমান বেশি, বালুর ঘাট মহকুমা কেটে দিলেন যাতে জলপাইগুড়ি ও দার্জিলিং হিন্দুস্তানে যায় এবং আসামের সাথে হিন্দুস্তানের সরাসরি যোগাযোগ হয়। উপরোক্ত জায়গাগুলো কিছুতেই পাকিস্তানে না এসে পারত না। এদিকে সিলেটে গণভোটে জয়লাভ করা সত্ত্বেও মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ করিমগঞ্জ মহকুমা ভারতবর্ষকে দিয়েছিল। আমরা আশা করেছিলাম, আসামের কাছাড় জেলা ও সিলেট জেলা পাকিস্তানের ভাগে না দিয়ে পারবে না।’ নেতারা যদি নেতৃত্ব দিতে ভুল করে, জনগণকে তার খেসারত দিতে হয়। যে কলকাতা পূর্ব বাংলার টাকায় গড়ে উঠেছিল সেই কলকাতা আমরা স্বেচ্ছায় ছেড়ে দিলাম। কেন্দ্রীয় লীগের কিছু কিছু লোক কলকাতা ভারতে চলে যাক এটা চেয়েছিল বলে আমার মনে হয়। অথবা পূর্বেই গোপনে রাজি হয়ে গিয়েছিলেন। সোহরাওয়ার্দী নেতা হলে তাদের অসুবিধা হতো তাই তারা পেছনের দরজা দিয়ে কাজ হাসিল করতে চাইল।’
    ইসলাম ধর্মের নামে রাজনীতিতে ষড়যন্ত্র সেই সময় ছিল, এখনও চলছে। পাকিস্তান সৃষ্টির পর পূর্ব বাংলার মানুষকে ধর্মের দোহাই দিয়ে শোষণ-নির্যাতন শুরু হলো। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে শোষণ-নির্যাতনের বিরুদ্ধে বাঙালি স্বায়ত্তশাসনের জন্য ঐক্যবদ্ধ হলে আবারও ধর্মের নামে মনগড়া ফতোয়া দিল ইসলামপন্থী দলগুলো। ইসলাম রক্ষা করতে হলে পাকিস্তান রক্ষা করতে হবে জিগির তুললো। ধর্মজীবীদের মিথ্যার জাল ছিন্ন করে জেগে উঠলো মানুষ, শুরু হলো মুক্তিযুদ্ধ। ইসলাম ধর্মের ভয়ঙ্কর অপব্যবহার করলো পাকিস্তান ও তাদের এ দেশীয় দোসর ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলো। ইসলাম রক্ষার নামে পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম নৃশংসতম গণহত্যা, ধর্ষণসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটন করল। ইসলাম ধর্মের নামে মিথ্যাচার, মনগড়া ফতোয়া কেবল একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধেই নয় এর আগেও ইসলামপন্থী দলগুলো এমন করেছে। চুয়ান্নর নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর বিপরীতে মুসলিম লীগ প্রার্থী ছিলেন ওয়াহিদুজ্জামান। নির্বাচনে মুসলিম লীগ কিভাবে ধর্মের অপব্যবহার করেছে সে বিষয়ে অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে বঙ্গবন্ধু লিখেছেন, ‘জামান সাহেব ও মুসলিম লীগ যখন দেখতে পারলেন তাদের অবস্থা ভালো না, তখন এক দাবার ঘুঁটি চাললেন। অনেক বড় বড় আলেম, পীর ও মওলানা সাহেবদের হাজির করলেন। গোপালগঞ্জে আমার নিজ ইউনিয়নে পূর্ব বাংলার এক বিখ্যাত আলেম মওলানা শামসুল হক সাহেব জন্মগ্রহণ করেছেন। আমি তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে খুবই শ্রদ্ধা করতাম। তিনি ধর্ম সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান রাখেন। আমার ধারণা ছিল, মওলানা সাহেব আমার বিরুদ্ধাচরণ করবেন না। কিন্তু এর মধ্যে তিনি মুসলিম লীগে যোগদান করলেন এবং আমার বিরুদ্ধে ইলেকশনে লেগে পড়লেন। ঐ অঞ্চলের মুসলমান জনসাধারণ তাকে খুবই ভক্তি করত। মওলানা সাহেব ইউনিয়নের পর ইউনিয়ন স্পিডবোট নিয়ে ঘুরতে শুরু করলেন এবং এক ধর্ম সভা ডেকে ফতোয়া দিলেন আমার বিরুদ্ধে যে, ‘আমাকে ভোট দিলে ইসলাম থাকবে না, ধর্ম শেষ হয়ে যাবে।’ সাথে শর্ষিনার পীর সাহেব, বরগুনার পীর সাহেব, শিবপুরের পীর সাহেব, রহমতপুরের শাহ সাহেব সকলেই আমার বিরুদ্ধে নেমে পড়লেন এবং যত রকম ফতোয়া দেয়া যায় তাহা দিতে কৃপণতা করলেন না।’ প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নির্বাচনে ওয়াহিদুজ্জামান সাহেব প্রায় দশ হাজার ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন এবং সেই সাথে মুসলিম লীগও শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়। ধর্মের অপরাজনীতির বিষয়ে এদেশের মানুষের আস্থাহীনতার বিষয়ে বঙ্গবন্ধু লিখেছেন, ‘এই নির্বাচনে একটা জিনিস লক্ষ্য করা গেছে যে, জনগণকে ‘ইসলাম ও মুসলমানের নামে’ শ্লোগান দিয়ে ধোঁকা দেওয়া যায় না। ধর্মপ্রাণ বাঙালি মুসলমানরা তাদের ধর্মকে ভালোবাসে; কিন্তু ধর্মের নামে ধোঁকা দিয়ে রাজনৈতিক কার্যসিদ্ধি করতে তারা দিবে না।’
    ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি এদেশের মানুষের আস্থাহীনতার কারণেই একসময়ের অত্যন্ত দাপুটে ইসলামি রাজনৈতিক দলগুলো বিলুপ্ত বা ‘প্যাড’সর্বস্ব দলে পরিণত হয়েছে, কিংবা অন্য অ-ইসলামিক দলের কাঁধে সওয়ার হয়ে ৩-৪ শতাংশ ভোট নিয়ে অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছে। ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলোর এমন আস্থা সংকটের সময়ে দৃশ্যপটে অরাজনৈতিক মোড়কে আবির্ভূত হয়েছে হেফাজতে ইসলাম। আসলে এটি অরাজনৈতিক সংগঠন কি? আমার বিবেচনায় অবশ্যই না। হেফাজতের কর্মকা- বিবেচনা করলে, এর নেতৃত্বে যারা আছেন সেদিকে দেখলে সহজেই অনুমেয় অরাজনৈতিক মোড়কটা একটা ধোঁকা মাত্র। গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে ‘প্রয়াত শাহ আহমদ শফীর জীবনকর্ম, অবদান’ শীর্ষক আলোচনা ও মতবিনিময় সভায় হেফাজতের সাবেক নেতারা দাবি করেন, মতিঝিলের শাপলা চত্বরে ২০১৩ সালের ৫ মে সংঘটিত পুরো ঘটনার দায়ভার হেফাজতে ইসলামের ওই সময়ের মহাসচিব ও বর্তমান আমির জুনাইদ বাবুনগরীর। তাঁরা অভিযোগ করেছেন- তৎকালীন আমির শাহ আহমদ শফীকে না জানিয়ে হেফাজতের নেতাকর্মীদের রাতভর শাপলা চত্বরে রেখে দেন বাবুনগরী। শফী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অনুষ্ঠান চলবে; কিন্তু তিনি হুজুরকে না জানিয়ে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন। তার ধারণা ছিল, সারারাত শাপলা চত্বরে অবস্থান নিতে পারলে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনী নামতে বাধ্য হবে। সভায় শাহ আহম্মদ শফীর জীবনের শেষ তিনদিনের কথা বর্ণনা করতে গিয়ে বক্তারা অভিযোগ করেন, হাটহাজারী মাদ্রাসায় হামলা, ভাঙচুর হয়েছে। শফীর প্রতি চরম বেয়াদবি করা হয়েছে। গৃহবন্দি করে নির্যাতনের মাধ্যমে তাকে শাহাদাত বরণ করতে বাধ্য করা হয়েছে। খাবার-ওষুধ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, অ্যাম্বুলেন্স বন্ধ ছিল- এগুলোই তার মৃত্যুর মূল কারণ।
    স্বভাবতই প্রশ্ন, একটি অরাজনৈতিক সংগঠন সরকার উৎখাতের জন্য মতিঝিলে মরিয়া হয়ে উঠেছিল কেন? আহম্মদ শফীর নেতৃত্ব পরিবর্তনে এমন নিষ্ঠুর ‘অনৈসলামিক’ পন্থা বেছে নেওয়া হয়েছিল রাজনীতির কোন অদৃশ্য হাতের ইশারায়?
    বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে দক্ষিণ এশিয়া ও বিশ্বের অনেক নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কোভিডের কারণে কয়েকজন এসেছেন, অন্যরা শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন। নরেন্দ্র মোদি বিজেপির নেতা হিসাবে নয়,ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে উদযাপনে যোগ দিতে এসেছেন। স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় ভারতের অবদান অবিস্মরণীয়। সুবর্ণজয়ন্তীর সময়ে যিনিই ভারতের সরকার প্রধান থাকতেন তিনি আমন্ত্রিত হতেন। মোদির বাংলাদেশে আগমনকে কেন্দ্র করে হেফাজতের কয়েক দিনব্যাপী তা-বের ফলে এর অরাজনৈতিক খোলসটা পুরোপুরি খুলে গিয়েছে। সৌদি আরব, জর্ডান, ওমান, বাহরাইন, ফিলিস্তিন, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ মোদি অনেক মুসলিম দেশ সফর করেছেন। কোথায়ও কি মোদির আগমন ঠেকাতে বিরোধিতা, তা-ব হয়েছে? অবশ্যই না। বরং, সংযুক্ত আরব আমিরাত সেদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘জায়েদ মেডাল’ দিয়েছে মোদিকে। এছাড়াও আবুধাবিকে নরেন্দ্র মোদির ‘দ্বিতীয় বাসস্থান’ হিসেবেও ঘোষণা করা হয়েছে। অন্যদিকে বাহরাইনও মোদিকে সম্মাননা দিয়েছে। তারা মোদিকে জাতি গঠনে অগ্রগতির স্বীকৃতিস্বরূপ ‘কিং হামাদ অর্ডার অব দ্য রেনেসাঁ’ পুরস্কার দিয়েছে। ২০১৯ এর ডিসেম্বরে মোদি সৌদি আরব সফর করেছেন। রিয়াদ ভারতের সাথে ‘কৌশলগত অংশীদারিত্বের’ কথা ঘোষণা করে এ সময়। সৌদি আরব ও ভারতের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত মজবুত করতে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানও ভারত সফর করেছেন এবং বিরাট অংকের সৌদি বিনিয়োগের ঘোষণা করেছেন। দশকের পর দশক ধরে ভারতের বিরুদ্ধে লড়াই করে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে ভঙ্গুর পাকিস্তান এখন ভারতের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নে অতি তৎপর হয়ে উঠেছে। পাক সেনাপ্রধান জেনারেল বাজওয়া গত ২১ মার্চ অতীতের বিরোধকে কবর দিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্প্রীতি ও শান্তিপূর্ণ সম্পর্কের আহ্বান জানিয়েছেন। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও ভারতের সাথে তার দেশের শান্তি স্থাপনের প্রস্তাব দেন। প্রধানমন্ত্রী এবং সেনাপ্রধানের কথার প্রতিধ্বনি করেছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশীও। পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাদের সরকার ভারতের সাথে বিরোধের বদলে সহাবস্থান এবং সহযোগিতার সম্পর্কে ইচ্ছুক। তাহলে মোদির বাংলাদেশ আগমনকে কেন্দ্র করে হেফাজতের তা-বের পেছনে কি রহস্য? হরতালের নামে ভাংচুর, জ্বালাও-পোড়াও, ধ্বংসযজ্ঞ ইসলাম কি সমর্থন করে? হেফাজতে ইসলাম ভয়ংকর তা-ব চালিয়ে সারা দেশে হাজার কোট টাকার সম্পদ ধ্বংস করেছে। তা-বের একটি উদাহরণ উল্লেখ করছি। হরতালের দিন হেফাজতে ইসলাম নেতাকর্মীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার, প্রেসক্লাব, জেলা পরিষদ ভবন, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, জেলা পুলিশ লাইন, সার্কিট হাউস, ফায়ার সার্ভিসের কার্যালয়, সদর উপজেলা ভূমি অফিস, সিভিল সার্জনের কার্যালয়, মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়, সরাইলে হাইওয়ে থানা, সদরের খাঁটিহাতা থানা, রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি, সদর থানাধীন দুই নম্বর পুলিশ ফাঁড়ি, জেলা আনসার-ভিডিপি কার্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা কার্যালয়, জেলা প্রশাসন আয়োজিত উন্নয়ন মেলা, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমপ্লেক্স, ব্যাংক এশিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশন, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতর কার্যালয়, মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্র, দলিল লেখক সমিতির কার্যালয়, শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ ভাষা চত্বর, ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ সংগীতাঙ্গন, আব্দুল কুদ্দুস মাখন মুক্তমঞ্চ, জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের কার্যালয় ও বাড়ি, জেলা আওয়ামীগ নেতা ও আয়কর উপদেষ্টা জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়ার কার্যালয়, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির বাড়ি, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের বাড়ি, বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির অফিস, বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের বাসভবন ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের বাড়ি ভাংচুর করেছে এবং কিছু ক্ষেত্রে পুড়িয়ে দিয়েছে। পুলিশ সুপারের কার্যালয় ও ফাঁড়িতে থাকা ১৮টি মাইক্রোবাস এবং মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়। এছাড়া সিভিল সার্জন, মৎস্য কর্মকর্তা ও জেলা পরিষদ কার্যালয়ের মধ্যে থাকা প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলীর তিনটি গাড়িও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কালীবাড়ি মন্দিরের প্রতিমা ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেন, ঢাকা থেকে সিলেটগামী পারাবাত এক্সপ্রেস ট্রেন ভাংচুর করেছে। প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি ও চ্যানেল টুয়েন্টি ফোরের প্রতিনিধির ওপর হামলা করা হয়েছে।
    হেফাজতে ইসলাম সেদিন ইসলাম হেফাজত দূরে থাক ভয়ংকরভাবে কুরআন ও হাদিসের বিধান লংঘন করে তা-ব চালিয়েছে। ইসলামের দৃষ্টিতে সমাজে ফিতনা-ফ্যাসাদ, বিপর্যয়, নিরাপত্তাহীনতা ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হত্যার চেয়েও বড় পাপ। মহান রব পবিত্র কুরআনে বলেন, ‘ফিতনা হত্যা অপেক্ষা গুরুতর’। (সূরা বাকারা: ১৯১) ধ্বংসাত্মক কাজে লিপ্ত ব্যক্তিরা আল্লাহর অনুগ্রহ বঞ্চিত। আল্লাহ বলেন, ‘ৃআল্লাহ ধ্বংসাত্মক কাজে লিপ্ত ব্যক্তিদের ভালোবাসেন না।‘ (সুরা মায়িদা:৬৪) ইসলাম অন্যায়ের প্রতিকার অন্যায় পথে করতে নিষেধ করেছে। এ বিষয়ে কুরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘ভালো কাজ এবং মন্দ কাজ সমান হতে পারে না। মন্দ প্রতিহত কর উৎকৃষ্ট দ্বারা; ফলে তোমার সাথে যার শত্রুতা আছে সে হয়ে যাবে অন্তরঙ্গ বন্ধুর মতো’। (সুরা ফুসসিলাত: ৩৪) হাটহাজারীতে হেফাজত কর্মী নিহত হওয়ার প্রতিকার হিসাবে ইসলাম কি আইন নিজের হাতে তুলে নেয়া অনুমোদন করে? রাস্তা বন্ধ করতে ইটের দেওয়াল তুলে দেওয়া, মসজিদের পরিবর্তে রাস্তায় নামাজ আদায় ও কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কুরআন তিলাওয়াত করতে রাস্তায় বসিয়ে দেওয়া ইসলাম সমর্থন করে কি? রাসুল (সা.) পথিকের হক নষ্ট করতে নিষেধ করে বলেছেন এমন কোন কাজ না করা যাতে তার দ্বারা কোনও চলাচলকারীর সামান্য কষ্টও হয়। (আবু দাউদ, ৪৮১৯; মুসনাদে বাযযার, ৫২৩২; মুসলিম, ২১৬১; মুসনাদে আবি ইয়ালা, ৬৬০৩)। ইসলামের যুদ্ধনীতি প্রতিরক্ষামূলক, আক্রমণাত্মক নয়, এমনকি প্রতিশোধমূলকও নয়। ইসলাম এমনকি যুদ্ধের সময়ও আসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে, বাড়িঘর ও উপাসনালয় ধ্বংস করতে নিষেধ করেছে। (বাইহাকী, আস-সুনানুল কুবরা ৯/৯০) অথচ হেফাজত অনেক বাড়িঘর ও অসামরিক স্থাপনা পুড়িয়েছে, ভাংচুর করেছে। বুখারি, মুসলিমসহ প্রায় ৬০টির উপরে হাদিসের কিতাবে পাওয়া যায়, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যার জিহ্বা ও হাত থেকে মুসলমানগণ নিরাপদ থাকে সে ব্যক্তিই প্রকৃত মুসলিম। আর যাকে মানুষ তাদের জান ও মালের জন্য নিরাপদ মনে করে সে-ই প্রকৃত মুমিন’। (তিরমিযী,২৫৫১; নাসাঈ, ৪৯০৯) অন্য হাদিসে মুসলমানের পরিবর্তে মানুষ শব্দটি এসেছে (সহীহ ইবনে হিব্বান)। রাসুল (সা.)-এর হাদিসকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে হেফাজত কর্মীদের হাতগুলো কী ভয়ানক তা-ব চালালো। রাসুল (সা.) মানুষকে ভয় দেখাতে এবং শাসাতে নিষেধ করেছেন। কেননা, তা মানুষের অধিকার ও মর্যাদার পরিপন্থী। তিনি বলেন, ‘কোনও মুসলিমের জন্য অন্য মুসলিমকে ভয় দেখানো বৈধ নয়।’ (আবু দাউদ, ৫০০৪) অন্য হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা কখনও আগে অস্ত্র উত্তোলন করো না বা অস্ত্রের ভয়ভীতিও প্রদর্শন করো না।’ (মুসনাদে আহমাদ, ২৭২৮) হেফাজত কর্মীরা লাঠি, রামদা, কুড়াল, শাবল, কিরিচ, গুলতি, ঘোড়া, হেলমেট নিয়ে হরতালের শুরুতেই রাস্তা দখল নেয়। হেফাজতের পিকেটাররা অনবরত ইটপাটকেল ছুড়তে থাকলে ট্রেনের যাত্রীরা আত্মরক্ষার জন্য ট্রেনের মেঝেতে শুয়ে পড়েন। তারপরও ইটপাটকেলের আঘাতে অনেক যাত্রী আহত হন। শিশুর প্রতি আচরণ সম্পর্কে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি শিশুকে স্নেহ করে না এবং বড়দের সম্মান দেখায় না সে আমাদের দলভুক্ত নয়।’ (তিরমিজি, ১৯২১)। অন্য হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘কেবল হতভাগ্য ব্যক্তির হৃদয় থেকেই দয়া তুলে নেওয়া হয়।’ (তিরমিজি, ১৯২৩)। নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য ইসলামের নামে শিশুদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে হেফাজত। খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানা যারা জ্বালিয়ে দিয়েছে ওই হামলাকারীদের মধ্যে ছিল উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিশু ও কিশোর। এ সময় পুলিশের গুলিতে নিহত দুজনের একজন শিশু। আহতদের মধ্যেও কয়েকটি শিশু রয়েছে।
    মোদি বিরোধিতায় এই যে জীবন হানি ও হাজার কোটি টাকার সম্পদ ধ্বংস হলো, জমির দলিলসহ নানা সরকারী নথি ধ্বংসের কারণে নিশ্চিত হয়রানি, ভোগান্তি ও ভয়ংকর অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হলো তাতে মোদির কি ক্ষতি হলো? বরং শাপে বর হয়ে পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে হয়ত মোদির দলের বিজয়গাথা রচিত হলো। আমাদের পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র মিয়ানমারের জনগণ সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে। পুলিশ, সেনাবাহিনীর গুলিতে শত শত লোক নিহত হয়েছে কিন্তু তারা সরকারি-বেসরকারি সম্পদের ওপর এমন তা-ব চালিয়েছে? অথচ ইসলাম হেফাজতের ধ্বজাধারীরা ‘নারায়ে তকবির, আল্লাহু আকবার’ স্লোগান দিয়ে কী নারকীয় তা-বে মেতে উঠলো। ফ্রান্সে জিহাদের নামে একজন অমুসলিমকে গলা কেটে হত্যার প্রতিক্রিয়ায় ফরাসি সরকার এমন এক আইন প্রণয়ন করতে যাচ্ছে যার দ্বারা ফরাসি সরকার মসজিদসহ যেকোনও ইসলামি কেন্দ্র বন্ধ করে দিতে পারবে। মোদিবিরোধী তা-বের সময় হেফাজতিরা ভারতের ৩০ কোটি মুসলমানের নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনা করেছে বলে প্রতীয়মান হয় না। ইসলামকে অপরাজনীতির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার, ইসলামের মনগড়া ব্যাখ্যা, মিথ্যাচার, হঠকারিতা, অদূরদর্শিতা, বিদ্বেষ, উগ্রতা, ঘৃণা ছড়ানো, ভয়ংকর সাম্প্রদায়িকতা, ষড়যন্ত্র, ইত্যাদি কারণে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের দেশে ইসলামি রাজনীতির প্রতি মানুষের আস্থা তলানিতে।

    লেখক: অধ্যাপক, আইন বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

  • বাগেরহাটে খানহাজান (রহঃ) মাজার মেলা স্থগিত

    খোরদো (কলারোয়া) প্রতিনিধি: সারা দেশে করোনা সংক্রমন বৃদ্ধি পাওয়ায় ঐতিহ্যবাহী খানহাজান (রহঃ) মাজারে মেলা স্থগিত করেছে আয়োজক কর্তৃপক্ষ। যার ফলে এবারের চৈত্রের পূর্নিমায় আর মেলা হচ্ছে না মাজার প্রাঙ্গনে । বিষয়াট নিশ্চিত করেছেন মাজারের প্রধান খাদেম ফকির শের আলী। দীর্ঘ দিনের ঐতিহ্যবাহী এই মেলা স্থগিত করায় হতাশা প্রকাশ করেছে মাজার ভক্ত ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। এবছর ২৮, থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই মেলা হওয়ার কথা ছিল।
    মাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা বলেন, সারা বছরই মাজার কেন্দ্রিক আমরা শিশুদের খেলনা, মোববাতি, আগরবাতি, তাগিসহ বিভিন্ন বিভিন্ন খাদ্যপন্য বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করি। সারা বছরের ক্রয়-বিক্রয়ে যে আয় হয়, তা দিয়ে একধরণের পেটে ভাতে খেয়ে পড়ে বেচেঁ থাকি। সারা বছরই আমরা মেলার জন্য অপেক্ষা করি। কারণ চার দিনের এই মেলায় সারা দেশ থেকেই প্রচুর লোক আসেন। এই সময়ে আমাদের যে আয় হয় তা দিয়ে সন্তানের লেখা পড়ার খরচ ও কিছু সঞ্চয়ও করি। কিন্তু এবছর মাত্র মেলা স্থগিত হওয়ায় আমাদের খুব ক্ষতি হয়ে গেল।

    একাধিক ব্যবসায়ী জানান, মেলা উপলক্ষে আমরা ব্যবসায়ীরা লোন করে অনেক মালামাল ক্রয় করেছিলাম। হঠাৎ করে মেলা স্থগিত করায় আমরা চরম দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছি। আমরা এখন কি করব, কিভাবে কিস্তি পরিশোধ করব বুধে উঠতে পারছি না। তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে মেলা বাস্তবায়নের দাবি জানান তারা।
    খানজাহান (রহ) এর মাজারের প্রধান খাদেম ফকির শের আলী বলেন, খানজাহান আলী (রহঃ) এর মাজারে সাড়ে পাঁচ’শ বছরের অধিক সময় ধরে প্রতিবছর চৈত্র মাসের পূর্নিমার সময় চারদিন ব্যাপি ধর্মীয় উৎসব, ওরজ, মিলাদ মাহফিল ও মেলার আয়োজন করা হয়। এই মেলায় সারা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লক্ষাধিক দর্শনার্থীরা আসেন। কিন্তু এবার করোনার কারণে মেলাটি আমরা করতে পারছি না। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে যথারীতি আবারও এখানে উৎসবের আয়োজন করা হবে। করোনা মুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করি। এই পরিস্তিতিতে ধর্মীয় সমাবেশ উপলক্ষে সারা দেশ থেকে যেসব ভক্তবৃন্দরা মাজারে এসে থাকেন তাদেরও আসতে নিরুৎসাহিত করেন তিনি।

    বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক আ.ন.ম ফয়জুল হক বলেন, করোনা সংক্রমন বৃদ্ধি পাওয়ায় চৈত্র পূর্নিমায় মাজার সংলগ্ন ধর্মীয় উৎসব ও মেলা হচ্ছে না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আগামী বছর আবারও ধর্মীয় উৎসব ও মেলা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান তিনি।

  • কালিগঞ্জে মা মারিয়ার গির্জায় ফাদার জয় সলোমন মন্ডল এর অভিষেক

    কালিগঞ্জে মা মারিয়ার গির্জায় ফাদার জয় সলোমন মন্ডল এর অভিষেক


    কালিগঞ্জ শহর প্রতিনিধি :
    কালিগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নে চাঁচাই গ্রামে অবস্থিত মা মারিয়ার গির্জায় ২৩ নভেম্বর সোমবার সকাল ১০ টায় আনুষ্ঠানিক ভাবে নব অভিষিক্ত ফাদার জয় সলোমন মন্ডল যাজকীয় অভিষেক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকালে বাদ্য যন্ত্র বাজিয়ে উৎসব মুখর পরিবেশে নব অভিষিক্ত ফাদার জয় সলোমন মন্ডলের প্রথম ধন্যবাদের খ্রীষ্টযোগ ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের মাধমে অভিষিক্ত সঞ্চে আনা হয়। এসময় সকলেই ফুল সিটিয়ে ফুলের মালা দিয়ে এবং করতালীর মাধ্যমে অভিনন্দন জানান। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা অঞ্চল কারিতাসের ধর্ম প্রদেশ বিশপ জেমস্ রোমেন বৈরাগী। ফাদার যাকোব বিশ্বাস, ভিকার জেনারেল, ফাদার দানিয়েল মন্ডল, নরেন বৈদ্য, ফাদার ফিলিপ মন্ডল, ফাদার ভিনসেন্ট মন্ডল, ফাদার বিপ্লব বিশ্বাস, ফাদার আনন্দ মন্ডল, ফাদার লরেন্স ভালোক্তি, ফাদার উদয় মন্ডল, মিঃ মার্টিন মিস্ত্রি, বিষ্ণুপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ রিয়াজ উদ্দীন, বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি শাহ আলম, ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চলনা করেন ক্যাটেথ্রিষ্ট আনন্দ মন্ডল, নব অভিষিক্ত জয় সলোমন মন্ডলকে এসময় স্বর্ণের ও রূপার মালা, ফুলের মালা সহ অন্যান্য উপহার দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। এছাড়া তাকে গ্রামবাসী কারিতাস খুলনা অঞ্চল, মারিয়া সংঘ ও ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ হতে সংবর্ধনা ও শুভেচ্ছা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রায় দেড় হাজার ব্যক্তিকে প্রীতিভোজ আর আয়োজন করে। যাজক পদে অভিষিক্ত অনুষ্ঠানের উপলক্ষ্যে সন্ধ্যায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

  • কালিগঞ্জে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষ্যে ধর্মীয় শোভাযাত্রা


    কালিগঞ্জ (শহর) প্রতিনিধি : কালিগঞ্জে পবিত্র রবিউল আওয়াল শরীফ জশনে জুলুসে ঈদে মিলাদুন্নবী পালন উপলক্ষ্যে এক বিশাল ধর্মীয় শোবাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ আহালে সুন্নত ওয়াল জামায়াত কালিগঞ্জ শাখার আয়োজনে ২ নভেম্বর সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ মাঠ থেকে ১২ই রবিউল আওয়াল ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষ্যে বিশাল এ ধর্মীয় শোভাযাত্রাটি বাহির হয়। পরে উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদিক্ষণ করে পুনরায় উপজেলা মাঠে এসে সমাবেশে মিলিত হয়। ধর্মীয় ভাব গাম্ভিয্যের মধ্য দিয়ে বিশাল এ সমাবেশে আলোচনা করেন কালিগঞ্জ থানা জামে মসজিদের খতিব ও নলতা সাহী জামে মসজিদের ঈমাম বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ হযরত মাওলানা আশরাফুল ইসলাম আজিজী। এসময় বাংলাদেশ আহালে সুন্নত ওয়াল জামায়াত কালিগঞ্জের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • বিজয়া দশমীতে বিভিন্ন পূজা মণ্ডপে জেলা আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দের শুভেচ্ছা বিনিময়

    বিজয়া দশমীতে বিভিন্ন পূজা মণ্ডপে জেলা আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দের শুভেচ্ছা বিনিময়

    নিজস্ব প্রতিনিধি : সনাতন ধর্মালম্বীদের শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে বিজয়া দশমীতে করোনা পরিস্থিতিতে উপেক্ষা করে সাতক্ষীরার বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেছেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ।
    ২৬ অক্টোবর সোমবার সন্ধ্যায় সদর ইউনিয়নের ধুলিহর, ব্রহ্মরাজপুর বিভিন্ন সার্বজনীন পূজা মণ্ডপ পরিদর্শকন ও তাদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। করোনা কালের এই দূর্গা পূজায় জেলা আওমীলীগের নেতৃবৃন্দদের কাছে পেয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বী নারী পুরুষ উচ্ছ্বাসিত। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এভাবে বজায় রাখতে জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দকে পাশে চান।
    সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আহমেদ এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন কালে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এস এম শওকত হোসেন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল হোসেন মাসুম, দপ্তর সম্পাদক উপাধাক্ষ শাহাজান সিরাজ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শেখ মোনায়েম, সদস্য লোকমান মিয়া,আজহারুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা জি এম ওয়াহিদ পারভেজ, সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান মিজান ,সাবেক ছাত্রনেতা তানভীর কবীর রবিন, সাতক্ষীরা জেলা তাঁতী লীগের সভাপতি কাজী মারুফ, সাধারণ সম্পাদক শেখ আলমগীর হোসেন,সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রেজাউল ইসলাম সহ ছাত্রলীগের ও যুবলীগের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।

  • ইছামতিতে অশ্রুসিক্ত নয়নে দেবী দূর্গাকে বিসর্জন, এবারও হয়নি মিলনমেলা!

    ইছামতিতে অশ্রুসিক্ত নয়নে দেবী দূর্গাকে বিসর্জন, এবারও হয়নি মিলনমেলা!

    নাসির উদ্দীন/কবির হোসেন: দেবী দূর্গার বিসর্জনকে ঘিরে বিজয়া দশমীতে সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী ইছামতি নদীতে যুগ যুগ ধরে অনুষ্ঠিত হওয়া বাংলাদেশ-ভারত দুদেশের ঐতিহাসিক মিলনমেলা এবারও করোনা পরিস্থিতিসহ নানা জটিলতায় পন্ড হয়ে গেছে। ফলে ইছামতি নদীর দু পাড়ে ঘন্টার পর ঘন্টা দাড়িয়ে থেকে অবশেষে সন্ধ্যার পর অশ্রুসিক্ত নয়নে দেবী দূর্গাকে বিদায় জানিয়েছেন প্রতিবেশী দুই দেশের অপেক্ষমান হাজার হাজার মানুষ।
    প্রতিমা বিসর্জনকে ঘিরে সোমবার সকাল থেকে ইছামতির দুপাশে স্ব স্ব সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)। এরআগে প্রতিমা বিসর্জনকে ঘিরে ইছামতি নদীর বাংলাদেশ অংশে এবছর কোনো প্রতিমাবাহী কিংবা মানুষবাহী নৌকা চলাচল করবে না বলে জানিয়ে দেয় বিজিবি। পাশাপাশি বেলা বাড়ার সাথে সাথে ইছামতি নদীর নোম্যান্স ল্যান্ডে দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সিদ্ধান্তে সারিসারি নৌকা দিয়ে ভাসমান ব্যারিকেড দেয় বিএসএফ। শুধু তাই নয়, নদীর স্ব স্ব সীমারেখায় স্পিডবোর্ট ও অন্যান্য নৌযানে টহল জোরদার করে বিজিবি ও বিএসএফ।
    এদিকে দুপুরের মধ্যেই ইছামতির বাংলাদেশ ও ভারতের দু পাড়েই জমতে থাকে গেল কয়েক বছরের মতো মিলন মেলার আশায় নদী তীরে আসা দু দেশের হাজার হাজার উৎসুক মানুষের ভিড়।
    একপর্যায়ে দুপুরের পর ইছামতি নদীর ভারতের টাকী ও আশপাশের এলাকা দিয়ে সেদেশের কিছু প্রতিমাবাহী ও মানুষবাহী নৌকা নদীতে নামতে পারলেও, বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি’র কঠোর অবস্থানের কারনে বাংলাদেশ অংশে নামতে পারেনি কোনো নৌকা। কেবলমাত্র প্রতিমা বিসর্জনের সংবাদ সংগ্রহের জন্য দেবহাটা প্রেসক্লাবের সংবাদকর্মীদের একটি নৌকাকে স্বল্প সময়ের জন্য ইছামতি নদীতে নামার অনুমতি দেয় বিজিবি। অন্যদিকে প্রতিমা বিসর্জনকে ঘিরে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য ইছামতি নদীর বেড়ীবাধ থেকে শুরু করে মোড়ে মোড়ে দেবহাটা থানা পুলিশের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো।
    একপর্যায়ে ঘন্টার পর ঘন্টা নদীতে নৌকা ভাসানের অপেক্ষায় বেড়িবাধে দাড়িয়ে থাকার পর সন্ধ্যায় অশ্রুসিক্ত নয়নে ইছামতি নদীতে দেবী দূর্গার প্রতিমা বিসর্জন শেষে হতাশ হয়ে ঘরে ফেরে দুই বাংলার হাজার হাজার মানুষ।
    বিগত কয়েক বছর ধরে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে স্ব স্ব সীমারেখায় দুই বাংলার দূর্গা প্রতিমা বিসর্জন এবং ভাসমান ব্যারিকেডের দুপাশে উভয় দেশের মানুষের কিছুটা হলেও আনন্দ উৎসব অনুষ্ঠিত হলেও, এবছর মহামারী করোনা পরিস্থিতি এবং সীমান্ত সংশ্লিষ্ট না জটিলতার কারনে সেটুকুও প্রায় পুরোপুরি বন্ধ হয়েছে বললে চলে। এতে করে ্উভয় দেশের সবচেয়ে বৃহৎ ও ঐতিহ্যবাহী প্রতিমা বিসর্জনাস্থল দেবহাটার ইছামতি নদী দশমীর দিনে দু দেশের অজ¯্র মানুষের হতাশার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিনত হয়েছে।
    যুগযুগ ধরে চলে আসা দেবী দূর্গার বিসর্জনকে ঘিরে ইছামতি নদীতে দুদেশের মানুষের এই মিলন মেলা দেশ বিভক্তির পরও বন্ধ হয়নি। কিন্তু বিগত কয়েক বছর আগে প্রতিমা বিসর্জনের সময় ভারতের এক শিক্ষক গবেষকের সলীল সমাধি এবং তৎপরবর্তী আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখতে এবং এক দেশ থেকে অন্যদেশে অবৈধ পারাপার, সন্ত্রাসী, পলাতক আসামী, দৃষ্কৃতিকারীদের অবাধ যাতায়াতসহ নিরাপত্তা জনিত বিভিন্ন বিষয় মাথায় নিয়ে মিলনমেলা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় দুদেশের প্রশাসন। যার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় এবং সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কঠিন সিদ্ধান্তে বিগত প্রায় ৬/৭ বছর ধরে বন্ধ হয়ে আছে প্রতিবেশী দেশ দুটির লাখো মানুষের কাঙ্খিত ঐতিহ্যবাহী মিলন মেলা।

  • নজিরবিহীন সুরক্ষা ব্যবস্থা

    নজিরবিহীন সুরক্ষা ব্যবস্থা

    সীমিত পরিসরে এবার পবিত্র হজ পালিত

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সৌদি আরবের মক্কা নগরীতে স্বাস্থ্যবিধির নজিরবিহীন সুরক্ষাব্যবস্থার মধ্যদিয়ে শেষ হয়েছে পবিত্র হজ। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে আরাফাতের ময়দানে হজ পালনে জড়ো হন অনুমোদন পাওয়া ভাগ্যবান হজযাত্রীরা। মহান আলস্নাহর কাছে নিজের উপস্থিতির জানান দিয়ে তারা পাপমুক্তির ধ্বনি তুলেছেন ‘লাব্বাইক, আলস্নাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা, ওয়ান্নি’মাতা লাকা ওয়ালমুল্‌?ক’ (আমি হাজির, হে আলস্নাহ আমি হাজির, তোমার কোনো শরিক নেই, সব প্রশংসা ও নিয়ামত শুধু তোমারই, সব সাম্রাজ্যও তোমার)।’

    আজ শুক্রবার জামারাতে পাথর নিক্ষেপ ও পশু কোরবানির পর পুরুষরা মাথা মুন্ডন করে ইহরাম ত্যাগ করেছেন। এরপর পবিত্র কাবা শরিফ তাওয়াফের মধ্যে দিয়ে হজের পূর্ণ আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হবে।

    এদিকে হজের মূল আনুষ্ঠনিকতা পালনে গতকাল সৌদির স্থানীয় সময় দুপুর সাড়ে ১২টায় হজের খুতবা শুরু করেন খতিব শায়খ আবদুলস্নাহ বিন সোলায়মান আল মানিয়া। খুতবার শুরুতে তিনি আলস্নাহ তায়ালার প্রশংসা ও হজরত মুহাম্মদ (সা.) ওপর দরুদ পাঠ করেন। খুতবায় তিনি বৈশ্বিক মহামারি থেকে মুক্তি, গোনাহ মাফ, আলস্নাহর রহমত কামনাসহ সমসাময়িক প্রসঙ্গ নিয়ে নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন। খুতবায় মানুষের অধিকার, বিশেষ করে নারীর অধিকার ও উত্তরাধিকার সম্পত্তি বণ্টনের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন শায়খ মানিয়া। সেই সঙ্গে ওয়াদাপালন, মা-বাবার সেবা, সৎ কাজের আদেশ, অসৎ কাজের নিষেধ, মানবসেবা, রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা রক্ষায় নাগরিকদের সচেতন হওয়ার কথা বলেন।

    শায়খ মানিয়া খুতবায় কোরআনে কারিমের বিভিন্ন আয়াত ও হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে মানুষকে ইসলামের পূর্ণাঙ্গ অনুসারী হওয়ার আহ্বান জানান। ইবাদত-বন্দেগির বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করেন। আরাফাতের ময়দানে করণীয়সহ হজের পরবর্তী বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেন। নামাজ, পবিত্রতা অর্জন, রোগীর সেবা, মহামারি উপদ্রম্নত এলাকায় প্রবেশ না করা এবং ওইসব এলাকা থেকে অন্যত্র না যাওয়ার কথা বলেন।

    লিখিত খুতবায় তিনি বর্তমান প্রেক্ষাপট নিয়ে সৌদি সরকারের গৃহীত হজের সিদ্ধান্তের বিষয়ে কথা বলেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, খুব দ্রম্নত বৈশ্বিক এই মহামারি কেটে যাবে। আবার আগের মতো হজ ও উমরা যাত্রীদের আগমনে মুখরিত হবে পবিত্র এই ভূমি।

    ৩০ মিনিটব্যাপী খুতবার শেষাংশে সৌদি সরকারের জন্য দোয়া করেন, সেই সঙ্গে বিশ্বে শান্তি, সমৃদ্ধি কামনা করেন শায়খ মানিয়া। রোগ মুক্তির জন্য দোয়া করেন। করোনাকে মহামারি উলেস্নখ করে, এর থেকে বিশ্ববাসীর হেফাজতের জন্য দোয়া করেন। সর্বাবস্থায় আলস্নাহর দরবারে যাবতীয় সমস্যার জন্য বেশি বেশি দোয়া করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

    খুতবা শেষে জোহরের নামাজের আজান দেওয়া হয়। আজান দেন মসজিদে হারামের মুয়াজ্জিন শায়খ ইমাদ বিন আলি ইসমাইল। এর পর খতিব উপস্থিত হাজিদের নিয়ে দুই ইকামতে জোহর ও আসরের নামাজ আদায় করেন।

    গত ২৮ জুলাই সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ এক রাজকীয় ফরমানে শায়খ আবদুলস্নাহ বিন সোলায়মান আল মানিয়াকে হজের খতিব নিয়োগ দেন। তিনি হলেন সবচেয়ে বেশি বয়স্ক হজের খতিব।

    হজের অন্যতম ফরজ হলো ৯ জিলহজ আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করা। আরাফাতের ময়দানে হজরত মুহাম্মদ (সা.) বিদায় হজের ভাষণ দিয়েছিলেন। সেই রীতি অনুযায়ী প্রতি বছর ৯ জিলহজ আরাফাত ময়দানে হজের খুতবা দেওয়া হয়।

    এ বছর পবিত্র হজের আরবি খুতবা অন্যান্য ভাষার পাশাপাশি বাংলা ভাষায়ও অনুবাদ করে সম্প্রচার করা হয়। দুটি সম্প্রচার মাধ্যমে হজের খুতবা ১০টি ভাষায় অনুবাদ করে প্রচার করা হয়। বাংলা ছাড়াও বাকি নয়টি ভাষা হলো- ইংরেজি, মালয়, উর্দু, ফার্সি, ফ্রেঞ্চ, মান্দারিন, তুর্কি, রুশ ও হাবশি। ২০১৯ সালের হজে পাঁচ ভাষায় খুতবার অনুবাদ প্রচারিত হয়েছিল।

    প্রসঙ্গত, প্রতিবছর হজে লাখ লাখ ইসলাম ধর্মাবলম্বী যোগ দিলেও এবারের পরিস্থিতি আলাদা। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে কেবল সৌদি আরবে অবস্থানরত নির্বাচিত ব্যক্তিরাই সুযোগ পেয়েছেন। তারপরও ভাইরাসটি থেকে সুরক্ষায় হজের সময়ে সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে সৌদি সরকার। এবারের হজে অংশ নেওয়া হাজিরা করোনাভাইরাসের মধ্যে হজ ব্যবস্থাপনা সন্তোষ প্রকাশ করেছে। সীমিত পরিসরের এ হজে অংশগ্রহণ করতে পেরে তারা নিজেদের ভাগ্যবান মনে করছেন।

  • মসজিদ ও মন্দিরের উন্নয়ন কল্পে ৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকার চেক বিতরণ


    স্টাফ রিপোটার : সাতক্ষীরায় মসজিদ ও মন্দিরের উন্নয়ন কল্পে ৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকার চেক বিতরণ করা হয়েছে। সদর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় উপজেলা ডিজিটাল কর্ণারে ধর্ম মন্ত্রণালয় হতে প্রদত্ত এ সব চেক বিতরন করেন, প্রধান অতিথি সাতক্ষীরা সদর-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।
    সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেবাশীষ চৌধুরী’র সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবু। এ সময় সেখানে আরো উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আসাদুজ্জামান, জাতীয় মহিলা সংস্থা সাতক্ষীরা’র চেয়ারম্যান ও জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জ্যোৎ¯œা আরা, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এস.এম মারুফ তানভীর হোসাইন সুজন প্রমুখ।
    ধর্ম মন্ত্রণালয় হতে প্রদত্ত সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ১৪টি মসজিদের জন্য ৪ লক্ষ ৫ হাজার টাকা ও ৪টি মন্দিরের জন্য ৪০ হাজার টাকা এই অনুদান মঞ্জুরীর চেক বিতরণ করা হয়।
    প্রধান অতিথি এমপি রবি এ সময় বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ জনবান্ধব ও উন্নয়নের সরকার। অগ্রগতি ও উন্নয়নের মহাসড়কে বর্তমান সরকার। দেশ ও জাতির উন্নয়নে সাফল্য ধরে রাখায় বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ পরপর চার বার জনগণের ভালবাসায় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসেছে।

  • সৌদির বাইরে হজ করতে পারবেন না কেউ

    সৌদির বাইরে হজ করতে পারবেন না কেউ

    করোনা পরিস্থিতির কারণে সৌদি নাগরিক এবং দেশটিতে অবস্থানরত বিদেশিরা ছাড়া অন্য কেউ এবার হজ পালন করতে পারবেন না। 
    সোমবার সৌদির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এমন ঘোষণা দেয়া হয়েছে। 
    সেখানে বলা হয়, বিভিন্ন দেশের মুসলিম যারা বর্তমানে সৌদি আরবে বসবাস করছেন ওইসব সীমিত সংখ্যক হাজিদের নিয়েই এবারের হজ অনুষ্ঠিত হবে।
    বলা হয়, বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দিন দিন বাড়ছে। এমনকি এখন পর্যন্ত কোনো ভ্যাকসিন বা প্রতিষেধক বের হয়নি। এই অবস্থায় বিশ্বের ভিন্ন দেশ থেকে আসা লাখো হাজিদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়বে। সে জন্যেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

  • করোনা ভাইরাস: হজ পালন করতে পারবেন না মালয়েশিয়ার নাগরিকরা

    করোনা ভাইরাস: হজ পালন করতে পারবেন না মালয়েশিয়ার নাগরিকরা

    মক্কা

    ন্যাশনাল ডেক্স :

    মালয়েশিয়ার কর্তৃপক্ষ তাদের নগারিকদের এবছর হজের জন্য সৌদি আরব যাওয়ার অনুমতি দেবে না বলে জানিয়েছে।

    হজ পালন করতে গিয়ে নাগরিকদের করোনাভাইরাস সংক্রমণ হতে পারে, এমন আশঙ্কা থেকে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।

    মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ মালয়েশিয়া থেকে প্রতিবছরই বহু মানুষ হজ করতে সৌদি আরবে যান। এবছর মালয়েশিয়ার আনুমানিক ৩০ হাজার মানুষের হজ করতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল।

    বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মুসলিমের দেশ ইন্দোনেশিয়া আগেই জানিয়েছে তারা এবছর তাদের নাগরিকদের হজ করতে যাওয়ার অনুমতি দেবে না।

    প্রতিবছর সারাবিশ্বের প্রায় ২৫ লাখ মুসলিম হজ পালন করতে সৌদি আরব যান।

    তবে কয়েকদিন আগে বার্তা সংস্থা রয়টার্সে প্রকাশিত এক খবরে প্রকাশিত হয় যে, প্রত্যেক দেশ থেকে যে পরিমাণ হজযাত্রী যাওয়ার কথা অন্যান্য বারের তুলনায় এবার তার ২০ শতাংশ মানুষ আসতে অনুমতি দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    বাংলাদেশ থেকেও প্রতিবছর এক লাখের বেশি মানুষ হজে যান, কাজেই বাংলাদেশ থেকে এবার হজ পালন করতে ইচ্ছুক ব্যক্তিরাও বাধার মুখে পড়তে পারেন।

    তবে বাংলাদেশ থেকে ঠিক কী পরিমাণ মানুষ এবার হজ করতে যাওয়ার অনুমতি পাবেন এবং সেটি কোন ভিত্তিতে নির্ধারন করা হবে, সেবিষয়ে এখনো কিছু জানানো হয়নি বলে মঙ্গলবার বিবিসিকে জানান ধর্ম মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা।

    করোনাভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধির সাথে সাথে ব্যাপক সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়েছে সৌদি আরব।

    মার্চের শুরুতে বিদেশি নাগরিকদের জন্য মক্কা ও মদিনায় ওমরাহ পালন ও ধর্মীয় সব কর্মকাণ্ড বন্ধের বিরল ঘোষণা দিয়েছিল সৌদি আরব।

    এর কয়েকদিন পর সৌদি নাগরিক ও বাসিন্দাদের জন্যেও ওমরাহ হজ সাময়িক সময়ের জন্য স্থগিত করা হয়।

    মসজিদে নামাজ পড়া এমনকি ঈদের জামাতের উপরেও বিধিনিষেধ ছিল।

    একই সময়ে সকল আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাতিল করে দেশটি। সেখানে বিভিন্ন শহরে কারফিউ জারি ছিল।

    সৌদি আরবে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ১৬ হাজারের বেশি মানুষের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। কোভিড-১৯ এ দেশটিতে এখন পর্যন্ত মারা গেছে ৮৫৭ জন।

  • রোজা রেখেও পুরোহিতের নিথর দেহ শ্মশানে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাঁধ দিলেন এলাকার মুসলিম যুবকরা

    রোজা রেখেও পুরোহিতের নিথর দেহ শ্মশানে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাঁধ দিলেন এলাকার মুসলিম যুবকরা

    করোনাকে নিয়েও যখন ধর্মীয় দ্বেষ ছড়ানোর অ্যাজেন্ডায় পিছপা হচ্ছে না শাসকদল বিজেপির নেতা-কর্মীরা সেই সময় দাঁড়িয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য নজির গড়ল মীরাট। লকডাউনের মধ্যেই মারা যান মীরাটের শাহপীর এলাকার পুরোহিত ৬৮ বছরের রমেশ মাথুর। বড় ছেলে কর্মসূত্রে দিল্লিতে থাকেন। ফলে উপস্থিত হতে পারেননি বাবার শেষকৃত্যে। ছোট ছেলের একার পক্ষে সবটুকু দায়িত্ব পালন করা সম্ভব হচ্ছিল না। তাই রোজার উপবাস রেখেও পুরোহিতের নিথর দেহ শ্মশানে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাঁধ দিলেন এলাকার মুসলিম যুবকরা। জয় হল মানবতার। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে মীরাটের এই সম্প্রীতির ছবি। 

    ছোট ছেলে চন্দ্রমৌলি মাথুর জানিয়েছেন, ‘বাবার খাদ্যনালীতে টিউমার ছিল। দীর্ঘদিন ধরে চিকিত্‍‌সা চলছিল। মঙ্গলবার মারা যান। দাদা দিল্লিতে থাকায় লকডাউনের জেরে ফিরতে পারেননি। লকডাউনে কোনও আত্মীয়-স্বজনও আসতে পারেননি। এই সময় প্রতিবেশীরা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। বাবার দেহ নিয়ে যান শ্মশানে।’ সামাজিক দূরত্ব মেনে শেষকৃত্যের সব কাজ সম্পন্ন হয়েছে বুধবার। এলাকারই এক বাসিন্দা  “শুধু আমরাই নয়, আমাদের পূর্বপুরুষরাও এখানে এভাবেই সকলের সঙ্গে মিলেমিশে থাকতেন। আমাদের এই সংস্কৃতি কয়েকশো বছরের।”

    সুত্র: গণশক্তি

  • শ্যামনগরে আহমদিয়া মুসলিম জামাতের ৬৫ ভাষায় অনুদিত কোরআন শরিফ প্রদর্শনী

    শ্যামনগরে আহমদিয়া মুসলিম জামাতের ৬৫ ভাষায় অনুদিত কোরআন শরিফ প্রদর্শনী

    নিজস্ব প্রতিবেদক, শ্যামনগর: শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের যতিন্দ্রনগরে আহমদিয়া মুসলিম জামাতের উদ্যোগে ৬৫টি ভাষায় অনুবাদিত চার দিনব্যাপী পবিত্র কোরআন প্রদর্শনী গতহ রবিবার শেষ হয়েছে।

    পবিত্র কোরআন শরিফ যে ৬৫টি আন্তর্জাতিক ভাষায় অনুবাদিত হয়েছে তা যচ্ছে যথাক্রমে- বাংলা, মানদিকা, মনিপুরী, উর্দু, ফিজিয়ান, করিয়াল, কানাড়া, লুগান্ডা, পশতুা, নরওয়েজিয়ান, ইউরোবা, গুজরাটি, মারাঠি, চাইনিজ, কিকুয়া, ডেনিশ, তামিল, সিন্ধি, ইটালিয়ান, কাশ্মিরী, হিন্দি, হাওসা, কেটালান, সোহেলি, থাই, টগালো, সুইডিশ, নেপালি, গ্রিক, তেলেগু, মানডি, জার্মান, ওরিয়া, উজবেক, ওলিশ, কিকামবা, জাপানিজ, ভিয়েতনামিজ, আসামিজ, টার্কিশ, টুভালোয়ানা, কোরিয়ান, পলিশ, চেক, ডাচ, ইটালিয়ান, মালায়ালাম, বসনিয়ান, সারায়িকী, ওলোক, ফ্রেন্স, ইগবো, জুলা, পুর্তুগিজ, সিনহানিজ, ইংলিশ, বসনিয়ান, স্পেনিশ, মওরিটিয়ান, পাঞ্জাবি, পার্সিয়ান, আলবেনিয়ান, আশান্তি, বার্মিজ এবং মালে।

    শ্যমগনগরে যতিন্দ্রনগরে সুন্দরবন আহমদিয়া মুসলিম জামাতের আমির জিএম মোবারক আহমেদের সভপতিত্বে গত ১০ থেকে ১৩ জানুয়ারি ২০২০ পর্যন্তক অনুষ্ঠিত এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন আহমদিয়া মুসলিম জামাতের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি মাওলানা ফিরোজ আলম সাহেব এবং যুক্তরাজ্য ও ন্যাশনাল আমির মাওলানা আবদুল আওয়াল খান চৌধুরী।

    কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি মাওলানা নূরুল আমীন জানান, বর্তমানে পৃথিবীর ২১৪টি দেশে আহমদিয়া মুসলিম জামাতের কার্যক্রম চলছে। যার সদস্য সংখ্যা এক কোটি ২০ লক্ষ।

    অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি মাওলান নূরুল আমিন, এসএম মতিউর রহমান, জিএম আবু দাইদ, মাওলানা আমীর হোসেন, শ্যামনগরে কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ ও দেশ-বিদেশের বরেণ্য ব্যক্তিবর্গ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।