Category: ধর্মীয়

  • বেঁচে যাওয়া ৮ কোটি টাকা ফেরত পাবেন ৪৯৭৮ হাজি: ধর্ম উপদেষ্টা

    বেঁচে যাওয়া ৮ কোটি টাকা ফেরত পাবেন ৪৯৭৮ হাজি: ধর্ম উপদেষ্টা

    চলতি বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালন করা যাত্রীদের (ব্যালটি) উদ্বৃত্ত ৮ কোটি ২৮ লাখ ৯০ হাজার ১৮৩ টাকা ফেরত দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। তিনি বলেছেন, এ বছর ৪ হাজার ৯৭৮ জন হজযাত্রীর মধ্যে এসব টাকা বিতরণ করা হবে। রোববার (১৩ জুলাই) সচিবালয়ে চলতি বছর হজ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের অর্জন ও আগামী হজ মৌসুমের পরিকল্পনা নিয়ে ধর্ম মন্ত্রনালয় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ধর্ম উপদেষ্টা এ কথা জানান।

    তিনি জানান,’ উদ্বৃত্ত টাকা থেকে প্যাকেজভেদে সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের সর্বনিম্ন ৫ হাজার ৩১৫ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫৩ হাজার ৬২৪ টাকা ফেরত দেওয়া হবে। যতদ্রুত সম্ভব এই টাকা হাজিদের ব্যাংক একাউন্টে ফেরত পাঠানো হবে। টাকা পাঠাতে মন্ত্রণালয় থেকে কাউকে ফোন করা কিংবা তার কাছ থেকে ডেবিট-ক্রেডিট কার্ডের নম্বর কিংবা বিকাশ/নগদ/রকেট- এর কোন পিন নম্বর চাওয়া হয়না। এমনটি যদি কেউ করে তাহলে আপনারা নিশ্চিত জেনে রাখুন সে প্রতারক। এধরনের প্রতারক থেকে সাবধান থাকুন।’

    তিনি বলেন, আমরা এ বছর হজ প্যাকেজে বাড়িভাড়ার জন্য যে পরিমাণ টাকা ধার্য করেছিলাম তার চেয়ে কিছু কম রেটে বাড়ি ভাড়া পেয়েছি। কোন কোন ক্ষেত্রে সার্ভিস চার্জও কিছুটা কমেছে। ইতোমধ্যে আমরা পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব চূড়ান্ত করেছি। সরকারি মাধ্যমে প্রত্যেক হাজিকে আমরা প্যাকেজের উদ্বৃত্ত টাকা ফেরত প্রদান করব।

    উপদেষ্টা জানান, সাধারণ হজ প্যাকেজ-১ এর হাজিদেরকে ৪, ৫ ও ৬ নম্বর বাড়িতে রাখা হয়। ৪ নম্বর বাড়িতে পূর্ণ প্যাকেজের হাজিরা প্রত্যেকে ৫ হাজার ৩১৫ টাকা, শর্ট প্যাকেজের হাজিরা প্রত্যেকে ২৩ হাজার ২৭ টাকা ফেরত পাবেন। ৫ নম্বর বাড়িতে পূর্ণ প্যাকেজের হাজিরা প্রত্যেকে ১৩ হাজার ৫৭০ টাকা ফেরত পাবেন, এ বাড়িতে শর্ট প্যাকেজের কোন হাজি রাখা হয়নি। ৬ নম্বর বাড়িতে পূর্ণ প্যাকেজের হাজিরা প্রত্যেকে ৫ হাজার ৩১৫ টাকা ফেরত পাবেন, এ বাড়িতেও শর্ট প্যাকেজের কোন হাজি রাখা হয়নি।

    সাধারণ হজ প্যাকেজ-২ এর হাজিদেরকে ১, ২ ও ৩ নম্বর বাড়িতে রাখা হয়। ১ নম্বর বাড়িতে পূর্ণ প্যাকেজের হাজিরা প্রত্যেকে ১৯ হাজার ১৯২ টাকা, শর্ট প্যাকেজের হাজিরা প্রত্যেকে ৫১ হাজার ৬৯২ টাকা ফেরত পাবেন। ২ নম্বর বাড়িতে পূর্ণ প্যাকেজের হাজিরা প্রত্যেকে ২১ হাজার ১৪২ টাকা ফেরত পাবেন এবং শর্ট প্যাকেজের হাজিরা প্রত্যেকে ৫৩ হাজার ৬৪২ টাকা ফেরত পাবেন। ৩ নম্বর বাড়িতে পূর্ণ প্যাকেজের হাজিরা প্রত্যেকে ২৪ হাজার ২৬২ টাকা ফেরত পাবেন, এ বাড়িতে শর্ট প্যাকেজের কোন হাজি রাখা হয়নি।

    উপদেষ্টা জানান, গত ৮ জুলাই হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ১০ জুন থেকে হজের ফিরতি ফ্লাইট শুরু হয়। ১০ জুলাই হজের ফিরতি ফ্লাইট শেষ হয়েছে। ৮৭ হাজার ১৪৫ জন হাজি দেশে ফিরেছেন। ৯ জন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। মোট ৪৫ জন হাজযাত্রী মারা গেছেন।এ বছর হজযাত্রীদের হারানোর পরিমানও হ্রাস পেয়েছে। এ বছর ৮৯২জন হাজি হারানো গিয়েছিল এরমধ্যে ৮৯১জনকে খুজে পাওয়া গেছে। ৮২বছর বয়স্ক একজন হজযাত্রীকে এখনো খুজে পাওয়া যায়নি।

  • আগামী ৬ জুলাই পবিত্র আশুরা

    আগামী ৬ জুলাই পবিত্র আশুরা

    দেশের আকাশে ১৪৪৭ হিজরি সনের মহররম মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে আগামীকাল শুক্রবার থেকে মহররম মাস গণনা করা হবে। এ হিসাবে পবিত্র আশুরা পালিত হবে আগামী ৬ জুলাই রোববার।

    বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সন্ধ্যায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মুকাররমের সভাকক্ষে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

    মহররম মাসের চাঁদ দেখা সম্পর্কে সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়। এতে দেখা যায় যে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র মহররম মাসের চাঁদ দেখা গেছে।

    সভায় ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এ কে এম আফতাব হোসেন প্রামাণিক, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ) আব্দুস ছালাম খান, ওয়াকফ প্রশাসক মো. নূর-ই-আলম, তথ্য অধিদপ্তরের উপ- প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী সরকার, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন, ঢাকা জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পারভেজ চৌধুরী, বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. রাশেদুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

  • পবিত্র ঈদুল আজহা ৭ জুন

    পবিত্র ঈদুল আজহা ৭ জুন

    দেশে দেখা গেছে জিলহজের চাঁদ

    নিজস্ব প্রতিনিধি : বাংলাদেশে ১৪৪৬ হিজরি সনের জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে আগামী ৭ জুন (শনিবার) সারাদেশে ধর্মীয় ভাবগম্ভীর্য ও উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল আজহা।

    বুধবার (২৮ মে) সন্ধ্যায় জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    সভায় দেশের বিভিন্ন জেলা প্রশাসন, আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাঠপর্যায়ের কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করে চাঁদ দেখা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (২৯ মে) থেকে জিলহজ মাস গণনা শুরু হবে।

    এই হিসেবে, আগামী ৬ জুন (শুক্রবার) পালিত হবে পবিত্র হজের দিন (আরাফাতের দিন)। আর পরদিন ৭ জুন (শুক্রবার) পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে দেশজুড়ে।
    ধর্ম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চাঁদ দেখা যাওয়ার তথ্য জানাতে টেলিফোন ও ফ্যাক্স নম্বর খোলা রাখা হয়েছিল। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে চাঁদ দেখা যাওয়ার তথ্য আসায় দ্রুত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে।

    সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব, চাঁদ দেখা কমিটির সদস্যরাসহ ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

    উল্লেখ্য, এর আগে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান ও ইন্দোনেশিয়ায় ২৮ মে চাঁদ দেখা যাওয়ার খবর আসে। এসব দেশে ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে আরাফাতের দিন এবং ৬ জুন ঈদুল আজহা উদযাপন করা হবে।

  • দেশের সব মসজিদে দুপুর দেড়টায় জুমার নামাজ আদায়ের নির্দেশনা

    দেশের সব মসজিদে দুপুর দেড়টায় জুমার নামাজ আদায়ের নির্দেশনা

    সারাদেশের সব মসজিদে মুসল্লিদের সুবিধার্থে একই সময় দুপুর দেড়টায় জুমার নামাজ আদায় করার জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। রোববার (১৩ এপ্রিল) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আ. ছালাম খানের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।

    চিঠিতে বলা হয়, জুমার দিন সর্বাপেক্ষা উত্তম ও বরকতময় দিন। সপ্তাহের শ্রেষ্ঠতম দিন। মহান আল্লাহ বলেছেন, হে বিশ্বাসীরা। জুমার দিন যখন নামাজের জন্য ডাকা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের দিকে ধাবিত হও। আর বেচা-কেনা বর্জন কর। এই তোমাদের জন্য সর্বোত্তম; যদি তোমরা জানতে। (সুরা জুমা, আয়াত: ৯) জুমা পারস্পরিক দেখা সাক্ষাৎ ও সাপ্তাহিক ঈদের দিন। এ দিনকে বিশেষ মর্যাদা ও তাৎপর্যপূর্ণ হওয়ার কারণ হলো এ দিনে বিশেষ সময়ে বরকত ও কল্যাণ রয়েছে।

    আরো বলা হয়, বাংলাদেশে বিভিন্ন মসজিদে বিভিন্ন সময়ে জুমার নামাজ আদায় করতে দেখা যায়। কোনো মসজিদে দুপুর ১টায়, কোনো মসজিদে ১.৩০ মিনিটে, আবার কোনো মসজিদে দুপুর ১.৫০ মিনিটে জুমার নামাজ শুরু করতে দেখা যায়। সময়ের তারতম্যের কারণে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা বিশেষ করে পথচারী (সফররত মুসল্লি) বিভ্রান্ত ও সমস্যার সম্মুখীন হন। এ সমস্যা দূরীকরণে দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। বিভাগ/জেলায় অবস্থিত সব মসজিদে একই সময়ে অর্থাৎ ১টা ৩০ মিনিটে জুমার নামাজ আদায় করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

  • সাংবাদিকদের সম্মানে সাতক্ষীরায় জামায়াতের ইফতার মাহফিল

    সাংবাদিকদের সম্মানে সাতক্ষীরায় জামায়াতের ইফতার মাহফিল

    বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাতক্ষীরা জেলা শাখা সাংবাদিকদের সম্মানে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেছে।
    বৃহস্পতিবার  (২০ মার্চ) শহরের পিজ্জা মিলন  রেস্টুরেন্টে এ ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের সাতক্ষীরা জেলা  সেক্রেটারি মাওলানা আজিজুর রহমান এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী সাতক্ষীরা জেলা আমীর উপাধ্যক্ষ  শহিদুল ইসলাম মুকুল।
     সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি প্রভাষক ওবায়দুল্লাহ এর সঞ্চালনায় এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি প্রভাষক ওমর ফারুক, শহর জামায়তের আমীর মো.জাহিদুল ইসলাম বকুল, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু নাসের মোহাম্মদ আবু সাঈদ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারী, দৈনিক দক্ষিণের মশাল পত্রিকার সম্পাদক আশিক-ই- এলাহী, দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার   কল্যাণ ব্যানার্জি,বাংলাদেশ বেতার এর সাতক্ষীরা প্রতিনিধি আবুল কাশেমসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ার সিনিয়ার  সাংবাদিকবৃন্দ।
  • আজ ঐতিহাসিক বদর দিবস

    আজ ঐতিহাসিক বদর দিবস

    হিজরি দ্বিতীয় সনের ১৭ রমজান বদর প্রান্তরে রাসূল (সা.)-এর নেতৃত্বে মক্কার কুফরি শক্তির বিরুদ্ধে যে সশস্ত্র যুদ্ধ হয় ইতিহাসে তাই বদর যুদ্ধ নামে পরিচিত। ইসলামের ইতিহাসে এটি প্রথম সশস্ত্র যুদ্ধ।

    মক্কার কাফেররা রাসূল (সা.) এবং মুমিন বাহিনীকে মক্কা থেকে বের করে দিয়েই চুপ করে বসে থাকেনি, তারা ইসলামকে শেষ করে দেয়ার জন্য নানা ফন্দি আঁটতে থাকে। এক পর্যায়ে আবু জাহেল আবু সুফিয়ান সিদ্ধান্ত নেয়, এখনই যদি মুহম্মদ বাহিনীকে নিঃশেষ করা না যায় তাহলে এ বাহিনীর সঙ্গে আর কুলিয়ে ওঠা সম্ভব নয়।

    আবু জাহেল এক হাজার সুসজ্জিত প্রশিক্ষিত সৈন্য নিয়ে বদরপ্রান্তরে এসে মদিনা আক্রমণের জন্য অপেক্ষা করে। এ খবর জানতে পেরে রাসূল (সা.) মাত্র ৩১৩ জন নিরস্ত্র-প্রায় সাহাবি নিয়ে এ বিশাল সৈন্যবাহিনীর মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত থাকেন।যুদ্ধ শুরুর আগে রাসূল (সা.) আল্লাহর কাছে দুই হাত তুলে কান্নাভেজা কণ্ঠে বলেন, ওগো আল্লাহ, আজ তোমার প্রতিশ্রুত সাহায্য বড়ই প্রয়োজন। আজ যদি এ কয়জন মুমিন বান্দা মরে যায়, তাহলে তোমার দ্বীন প্রচারের জন্য আর কোনো মানুষ থাকবে না। তোমার দ্বীনের স্বার্থে তুমি আমাদের বিজয় দান কর।

    আল্লাহর রাসূলের দোয়া এমনই কবুল হয়েছে, বিশেষ ফেরেশতা নাজিল করে আল্লাহতায়ালা মুমিন বাহিনীকে সাহায্য করেছেন।এ সাহায্যের কথা আবার সূরা আলে ইমরানে আল্লাহ উল্লেখ করেছেন, হে মুমিনরা, আল্লাহ তোমাদের বদরে সাহায্য করেছেন অথচ সেদিন তোমরা ছিলে অসহায়।বদরের এ ঘটনা থেকে মুসলিম উম্মাহর সবচেয়ে বড় শিক্ষণীয় বিষয় হল, মুসলিম উম্মাহ এমন একটি জাতি, যে নীরবে নিভৃতে অত্যাচার-অনাচার-জুলুম সহ্য করাকে ভয়াবহ গোনাহ মনে করে। প্রয়োজনে জীবন দিয়ে হলেও সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা মুসলিম উম্মাহর সবচেয়ে বড় কর্তব্য।

    আজ মুসলমানদের সামনে সেদিন এসেছে সমাজে শান্তি বজায় রাখা, শৃঙ্খলা বজায় রাখা, ধৈর্যধারণ করা খুবই জরুরি। পাশাপাশি তাদের এ কর্তব্য পালনের জন্য আল্লাহতায়ালার সাহায্য প্রার্থনা করাও জরুরি। মুসলমান কখনও জাগতিক উপায়-উপকরণ কিংবা সম্পদের ওপর ভরসা করে না। তারা সব সময় আল্লাহর ওপর ভরসা করে। তার মানে এ নয় যে, উপায়-উপকরণ ব্যবহার করা যাবে না।বদরের ঘটনায় দেখা যায়, মুসলিম সৈন্যবাহিনী কম থাকায় রাসূল (সা.) নানা কৌশল অবলম্বন করেছেন।

    রাসূল (সা.) সৈন্যদের বলেছেন, একদল সৈন্য তীর ছুড়ে পেছনে চলে আসবে। তখন পেছন থেকে আরেক দল সৈন্য সামনে গিয়ে তীর ছুড়বে। যাতে শত্রুপক্ষ বুঝতে পারে একই লোক বারবার তীর ছুড়ছে না। বরং মুসলিম মুজাহিদের সংখ্যা মনে হবে অনেক বেশি। তারা একদলের পর একদল এসে তীর ছুড়ে যাচ্ছে। যুদ্ধের আগে রাসূল (সা.) বলেন, আমরা ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে আলাদা আলাদা রান্না করব। আলাদা আলাদা তাঁবু খাটাব। অনেক বেশি টয়লেট বানাব। যেন শত্রুপক্ষ দূর থেকে দেখে বুঝতে পারে সংখ্যায় আমরা অনেক বেশি।

    একদিকে রাসূল (সা.) কান্নায় বিগলিত হয়ে মোনাজাত করেছেন, অন্যদিকে সমসাময়িক সব ধরনের যুদ্ধ কৌশলও তিনি রাসূল (সা.) প্রয়োগ করেছেন। মুসলমান যদি আবার তাদের হারানো বিজয় ফিরিয়ে আনতে চায়, তাহলে দোয়া এবং কৌশল দুটোই সঙ্গে করে এগোতে হবে।হে আল্লাহ, বদরের চেতনায় মুসলমান যেভাবে বিজয়ী হয়েছিল আজকের মুসলমানদেরও সেভাবে বিজয় অর্জন করার তাওফিক দিন আল্লাহুম্মা আমিন।

    লেখক:  সাবেকঃ- ইমাম ও খতিব কদমতলী মাজার জামে মসজিদ সিলেট।

  • চরমোনাইর মাহফিল শুরু

    চরমোনাইর মাহফিল শুরু

    চরমোনাইর তিনদিন ব্যাপী অগ্রহায়ণ মাহফিল আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে আজ। বুধবার (২৭ নভেম্বর) বাদ জোহর চরমোনাই মাদরাসার মূল মাঠ ও ৩নম্বর মাঠ নিয়ে ২টি মাঠে চরমোনাই পীর মাওলানা মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম এর উদ্বোধনী বয়ানের মাধ্যমে এই মাহফিল শুরু হয়।

    উদ্বোধনী বয়ানে চরমোনাই পীর বলেন, চরমোনাই মাহফিল দুনিয়াবি উদ্দেশ্যে নয় বরং পথভোলা মানুষকে আল্লাহর সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্যই এই মাহফিল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। সুতরাং এখানে দুনিয়াবি কোনো উদ্দেশ্য সাধনের জন্য আসার প্রয়োজন নেই। যদি এমন কেউ এসে থাকেন তবে নিয়ত পরিবর্তন করে আত্মশুদ্ধির জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করুন

    চরমোনাইর বার্ষিক মাহফিলের উদ্বোধনী অধিবেশনে চরমোনাই পীর আরও বলেন, যারা চরমোনাইতে নতুন এসেছেন, তারা দুনিয়ার ধ্যান-খেয়াল বিদায় করে দিয়ে আখেরাতের খেয়াল-ধ্যান অন্তরে যায়গা দেন। দিল থেকে বড়ত্ব এবং আমিত্ব ভাব বের করে দিয়ে আল্লাহর কুদরতি পায়ে নিজেকে বিলীন করে দিতে হবে। সদা-সর্বদা আল্লাহর জিকিরের মাধ্যমে দিলকে তরতাজা রেখে আল্লাহর ওলী হয়ে চরমোনাই থেকে বিদায় নেয়ার প্রস্তুতি নিতে হবে।

    চরমোনাই পীর তাঁর উদ্বোধনী বয়ান শেষে মাহফিলের নিয়ম-কানুন সম্পর্কে বিশদ বর্ণনা করেন।

    আজ সকাল ৮টা থেকে মাহফিলে আগত মুসল্লীদের সহস্রাধিক হালকায় বিভক্ত করে হাতে-কলমে সালাত ও ইসলামের বুনিয়াদি বিষয়ে বাস্তব প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।

    মাহফিলে আগত মুসল্লীদের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ১০০ শয্যা বিশিষ্ট অস্থায়ী মাহফিল হাসপাতাল স্থাপন করা হয়েছে। এতে ১১ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অধীনে আরো ৪০ জন চিকিৎসকের সমন্বয়ে চিকিৎসা সেবা পরিচালিত হচ্ছে। ৬ টি এ্যাম্বুল্যান্স ও ১ টি নৌ এ্যাম্বুলেন্স মাহফিল হাসপাতালে কার্যক্রমে নিয়োজিত রয়েছে। মাঠে অসুস্থ হয়ে পড়া রোগীকে তাৎক্ষণিক মাহফিল হাসপাতালে পৌঁছানোর জন্য নিযুক্ত রয়েছে বিশেষ স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী

    দুটি মাঠে মাহফিলের শৃঙ্খলা রক্ষায় নিযুক্ত করা হয়েছে বিশাল স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী। নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটির নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনীর স্পেশাল টীম।

    সারাদেশ থেকে আগত মুসল্লীদের খাবারের জন্য উভয় মাঠের চারিদিকে সুপেয় নিরাপদ পানির ব্যবস্থাসহ রয়েছে সহস্রাধিক মানসম্মত টয়লেট, ওজু এবং গোসলের ব্যবস্থাপনা।

    তিন দিনব্যাপী বিশাল এ মাহফিলের প্রথমদিন তথা আজ বাংলাদেশ কুরআন শিক্ষা বোর্ডের উদ্যোগে প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দিন সারাদেশ থেকে আগত ওলামায়ে কিরামদের নিয়ে ওলামা সম্মেলন ও শেষদিন সকালে সারাদেশ থেকে আগত ছাত্র-জনতাকে নিয়ে ছাত্র গণজমায়েত অনুষ্ঠিত হবে ইনশাআল্লাহ। এছাড়াও মাহফিলে আগত যুবক, শ্রমিকদের নিয়ে ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ এবং ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজন করে বিশেষ মতবিনিময় সভা।

    আগামী শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮ টায় হযরত চরমোনাই পীর আখেরি বয়ানের মধ্য দিয়ে তিন দিনব্যাপী বিশাল এ মাহফিলের কার্যক্রম সমাপ্ত হবে।

  • জমজমের পানি পানে ৮ নির্দেশনা দিলো সৌদির

    জমজমের পানি পানে ৮ নির্দেশনা দিলো সৌদির

    জমজম কূপের পানি পান নিয়ে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে সৌদি আরব। দেশটির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় বলেছে, পবিত্র এই পানি পানের সময় নিজেকে শান্ত রাখতে হবে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি চাইতে হবে। গালফ নিউজ এক প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

    ওমরা পালন করতে প্রতিদিনই মক্কায় ভিড় করেন হাজার হাজার মুসল্লি। ওমরাশেষে বেশিরভাগই মদিনার মসজিদে নববীতে যান।

    সৌদি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছর প্রায় এক কোটি ৩৫ লাখ মুসল্লি ওমরা পালন করেছেন। আগামী বছর সে সংখ্যা দেড় কোটিতে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে সৌদি সরকারের। সে লক্ষ্যে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে অনেক সুবিধা চালু করেছে দেশটি।

    যে নিয়মগুলো সবাইকে মানতে হবে, তা হলো-

    ১. শান্তভাবে আল্লাহর নাম স্মরণ করে পান করা

    ২. এই পানি পানের সময় আল্লাহর সন্তুষ্টি চাওয়া

    ৩. ডান হাতে পানি পান করা

    ৪.পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা

    ৫. মেঝেতে পানি ফেলা থেকে বিরত থাকা

    ৬. জমজমের পানির ট্যাপ ছেড়ে অজু না করা

    ৭. পানি পানের পর কাপগুলো যথাস্থানে রাখা

    ৮. ঠেলাঠেলি না করা ও ভদ্রতা বজায় রাখা

  • ৩০ নভেম্বরের পর হজের নিবন্ধন আর বাড়বে না : ধর্ম উপদেষ্টা

    ৩০ নভেম্বরের পর হজের নিবন্ধন আর বাড়বে না : ধর্ম উপদেষ্টা

    যারা পবিত্র হজ পালন করতে চান তাদের দ্রুত সময়ের মধ্যে চূড়ান্ত নিবন্ধন করার অনুরোধ জানিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন। তিনি বলেন, এতদিন হজ প্যাকেজ না থাকায় অনেকে নিয়ত করলেও নিবন্ধন করেননি। এবার দ্রুত করে ফেলুন। ৩০ নভেম্বরের পর নিবন্ধনের সময় আর বাড়ানো হবে না।

    বুধবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে এ‌ক সংবাদ সম্মেলনে দুটি হজ প্যাকেজ ঘোষণা করে এ তথ্য জানান ধর্ম উপদেষ্টা।

    খালিদ হোসেন বলেন, সৌদি সরকারের তরফ থেকে বারবার বলেছে, দ্রুত তাঁবু বুকিং দেওয়ার জন্য। যেহেতু আমাদের হজ প্যাকেজ ঘোষণা হয়নি সেজন্য নিবন্ধন কম হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে দেখিয়ে নিবন্ধনের সময় ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এরপর আর বাড়ানো হবে না। কারণ সৌদি সরকারকে কতজন যাবে সেই তালিকা দিয়ে তাঁবু বুকিং দিতে হবে।

    এর আগে প্রথম দফায় নিবন্ধনের সময় শেষ হয় ২৫ আগস্ট। এরপর তা ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। যারা হজে যেতে চান তাদের তিন লাখ টাকা ব্যাংকে জমা দিয়ে প্রাথমিক নিবন্ধন করতে বলা হয়েছে।

    উল্লেখ্য, চলতি বছর হজের নিবন্ধনের শুরু হয় ১ সেপ্টেম্বর। বাংলাদেশের হজ কোটা অনুযায়ী, ২০২৫ সালে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজযাত্রী হজ পালন করার সুযোগ পাবেন। তবে সরকার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিবন্ধন না করলে সুবিধাজনক জোনে তাঁবু বরাদ্দ পেতে সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।

  • হজে যেতে হলে নিবন্ধন করতে হবে ২৩ অক্টোবরের মধ্যে

    হজে যেতে হলে নিবন্ধন করতে হবে ২৩ অক্টোবরের মধ্যে

    আগামী বছর হজে যেতে ২৩ অক্টোবরের মধ্যেই নিবন্ধন সম্পন্ন করার অনুরোধ করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

    আজ রোববার মন্ত্রণালয়ের হজ অনুবিভাগ এ সংক্রান্ত বিশেষ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।

    এতে বলা হয়েছে, সৌদি সরকারের ঘোষিত রোডম্যাপ অনুসারে মিনা ও আরাফায় তাঁবু নির্ধারণ ও সার্ভিস কোম্পানির সাথে চুক্তি সম্পাদন কার্যক্রম ২৩ অক্টোবর হতে শুরু হবে।

    তাঁবু বরাদ্দ প্রদান করার ক্ষেত্রে ‘আগে আসলে আগে পাবেন’ নীতি অনুসরণ করা হয়ে থাকে।

    বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ২৩ অক্টোবরের মধ্যে হজযাত্রী নিবন্ধন শেষ না হলে মিনা ও আরাফায় কাঙ্ক্ষিত জোনে তাঁবু বরাদ্দ পাওয়া যাবে না।

    তাঁবু গ্রহণ ও সার্ভিস কোম্পানির সাথে চুক্তি সম্পাদনে দেরি হলে হজযাত্রীদের জামারাহ হতে অনেক দূরে পাহাড়ি এলাকা কিংবা নিউ মিনা এলাকায় অবস্থান করতে হবে। ফলে হজযাত্রীদের সৌদি আরবে প্রখর রোদ ও গরমের মধ্যে দীর্ঘপথ হাটতে হবে, যা তাদের জন্য কষ্টকর হবে।

    সে কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিবন্ধনের অনুরোধ করেছে মন্ত্রণালয়।

  • মহানবী(সা:)কে কটুক্তি করার প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ

    মহানবী(সা:)কে কটুক্তি করার প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ

    ভারতের বিজেপি নেতা নরসিংহানন্দ,নিতেশ নারায়র রানে ও ধর্মগুরু রামগিরি মহারাজ কর্তৃক মহানবী(সা:)কে কটুক্তি করা ও সন্ত্রাসী ইসরাইলী কর্তৃক ফিলিস্তিন এবং লেবাননের নিরিহ মানুষের উপর বর্বর,নৃশংস হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ইমাম সমিতি সাতক্ষীরা জেলা শাখা। বাংলাদেশ ইমাম সমিতি সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা  আব্দুর রশিদ’র সভাপতিত্বে  শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বাদ জুম্মা সাতক্ষীরা নিউ মার্কেট চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সাতক্ষীরা আব্দুর রাজ্জাক পার্কে প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হয়। এ সময় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইমাম সমিতি সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা  আব্দুর রশিদ,সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম, হাফেজ কল্যাণ পরিষদের জেলা সভাপতি হাফেজ খাইরুল বাশার, সাধারণ সম্পাদক হাফেজ সাইদুর রহমান, বাংলাদেশ মজলিসুল মুফাসসিরিন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হাফেজ মাওলানা মনোয়ার হোসাইন মোমিন, মাওলানা মনিরুল ইসলাম ফারুকী, সাতক্ষীরা ইমাম মুয়াজ্জিন কল্যান পরিষদের সভাপতি হাফেজ কারী অহিদুজ্জামান অহিদ, সাধারণ সম্পাদক হাফেজ ইব্রাহিম খলিলসহ সাতক্ষীরা ইমাম সমিতির নেতৃবৃন্দ। এ সময় বক্তারা বলেন,ভারতের বিজেপি নেতা নরসিংহানন্দ,নিতেশ নারায়র রানে ও ধর্মগুরু রামগিরি মহারাজ কর্তৃক মহানবী(সা:)কে কটুক্তি করা হয়েছে তার বিচার শাস্তির ব্যবস্থা করতে জাতিসংঘের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এছাড়া  সন্ত্রাসী ইসরাইলী কর্তৃক ফিলিস্তিন এবং লেবাননের নিরিহ মানুষের উপর বর্বর,নৃশংস হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান। প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে বিশ্বের নির্যাতিত মুসলিমদের জন্য দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
  • সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (স:) উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ

    সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (স:) উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ

    পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (স:) উদযাপন উপলক্ষে সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে
    পুরস্কার বিতরণ, আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায়
    সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের আয়োজনে বিদ্যালয়ের হলরুমে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আমিনুল
    ইসলাম টুকু’র সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন
    সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ।
    অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা শিক্ষা অফিসার মুহা: আবুল খায়ের, সাতক্ষীরা
    সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. জয়ন্ত সরকার, সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের
    সহকারি প্রধান শিক্ষক মো. সিরাজুল ইসলাম, সহকারি প্রধান শিক্ষক মো. মতিউর রহমান, শিক্ষক
    জি.এম আলতাফ হোসেন, শেখ মুস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।
    আলোচনা সভা শেষে কোরআন তেলওয়াত প্রতিযোগিতা, হামদ/নাত ও কুইজ প্রতিযোগিতাসহ
    বিভিন্ন উভেন্টে অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এসময় সাতক্ষীরা সরকারি
    উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
    ক্যাপশন : পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (স:) উদযাপন উপলক্ষে সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে বিজয়ী
    শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করছেন প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির
    সভাপতি মোস্তাক আহমেদ।

  • আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)

    আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)

    আজ ১২ রবিউল আউয়াল, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)। ৫৭০ সালের এই দিনে মানব জাতির জন্য রহমত হিসেবে প্রেরিত মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) আরবের মক্কা নগরীর সম্ভ্রান্ত কুরাইশ বংশে মা আমিনার কোল আলোকিত করে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।

    পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের উদ্যোগে পক্ষকালব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। আজ সরকারি ছুটি।

    এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পৃথক বাণী দিয়েছেন।

    এক সময় গোটা আরব সমাজ অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল। তারা মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহকে ভুলে গিয়ে নানা অপকর্মে লিপ্ত হয়ে পড়েছিল। আরবের সর্বত্র দেখা দিয়েছিল অরাজকতা ও বিশৃংখলা। এ সময়কে বলা হতো আইয়ামে জাহেলিয়াতের যুগ।

    এই অন্ধকার যুগ থেকে মানবকুলের মুক্তিসহ তাদের আলোর পথ দেখাতে মহান আল্লাহতাআলা রাসুলুল্লাহকে (সা.) প্রেরণ করেন এই পৃথিবীতে।

    বাংলাদেশসহ বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায় এ দিনটি পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) হিসেবে পালন করে থাকে।

    পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)’ উপলক্ষ্যে দেয়া বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর প্রতিটি কথা ও কর্মই মানবজাতির জন্য অনুকরণীয় ও অনুসরণীয়।

    প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) মানব জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে; প্রতিটি ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে তিনি বিশ্ব মানবতার জন্য অনিন্দ্য সুন্দর অনুসরণীয় শিক্ষা ও আদর্শ রেখে গেছেন; যা প্রতিটি যুগ ও শতাব্দীর মানুষের জন্য মুক্তির দিশারি হিসেবে পথ দেখাবে।

  • শুধু লাশ আর লাশ! আবার শিউরে ওঠার মতো ঘটনা হাথরসে, এলাকার খণ্ডচিত্র

    (আনন্দবাজার অনলাইন থেকে)

    জানা গিয়েছে, হাথরসের মুঘলাগড়ি গ্রামে একটি সৎসঙ্গের আয়োজন করা হয়েছিল স্থানীয় উদ্যোগে। সভা শেষে বহু মানুষ এক সঙ্গে বেরোবার চেষ্টা করলে হুড়োহুড়ির সৃষ্টি হয়। মনে করা হচ্ছে তাতেই এই দুর্ঘটনা।

    উত্তরপ্রদেশের হাথরসের কথা মনে আছে? এক দলিত কিশোরীকে গণধর্ষণ এবং মৃত্যুর পর রাতারাতি তাঁর দেহ সৎকারের অভিযোগ উঠেছিল পুলিশের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনা গোটা দেশে আলোড়ন ফেলেছিল। এ বার সেই হাথরসেই পদপিষ্টের ঘটনা ঘটল।

    উত্তরপ্রদেশের হাথরসের কথা মনে আছে? এক দলিত কিশোরীকে গণধর্ষণ এবং মৃত্যুর পর রাতারাতি তাঁর দেহ সৎকারের অভিযোগ উঠেছিল পুলিশের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনা গোটা দেশে আলোড়ন ফেলেছিল। এ বার সেই হাথরসেই পদপিষ্টের ঘটনা ঘটল।

    জানা গিয়েছে, হাথরসের মুঘলাগড়ি গ্রামে একটি সৎসঙ্গের আয়োজন করা হয়েছিল স্থানীয় উদ্যোগে। সেই সভায় হাজির হয়েছিলেন কয়েক হাজার মানুষ।

    জানা গিয়েছে, হাথরসের মুঘলাগড়ি গ্রামে একটি সৎসঙ্গের আয়োজন করা হয়েছিল স্থানীয় উদ্যোগে। সেই সভায় হাজির হয়েছিলেন কয়েক হাজার মানুষ।

     

    আলিগড় রেঞ্জের আইজি শলভ মাথুর জানিয়েছেন, প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে খুব ছোট জায়গায় এই সৎসঙ্গের আয়োজন করা হয়েছিল। বহু মানুষের ভিড় ছিল সেখানে। মনে করা হচ্ছে তাতেই হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছিল পুণ্যার্থীদের মধ্যে।

    আলিগড় রেঞ্জের আইজি শলভ মাথুর জানিয়েছেন, প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে খুব ছোট জায়গায় এই সৎসঙ্গের আয়োজন করা হয়েছিল। বহু মানুষের ভিড় ছিল সেখানে। মনে করা হচ্ছে তাতেই হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছিল পুণ্যার্থীদের মধ্যে।

    তবে কী ভাবে সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেল এবং এই পদপিষ্টের ঘটনা শুরু হল তা পুরোপুরি স্পষ্ট নয়।

    তবে কী ভাবে সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেল এবং এই পদপিষ্টের ঘটনা শুরু হল তা পুরোপুরি স্পষ্ট নয়।

     

    হাথরসের জেলাশাসক আশিসকুমার জানিয়েছেন, অন্ততপক্ষে ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে স্থানীয় সূত্রের দাবি, মৃতের সংখ্যা শতাধিক।

    হাথরসের জেলাশাসক আশিসকুমার জানিয়েছেন, অন্ততপক্ষে ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে স্থানীয় সূত্রের দাবি, মৃতের সংখ্যা শতাধিক।

    মঙ্গলবার আয়োজন করা হয়েছিল সৎসঙ্গের। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এই প্রার্থনাসভা ঘিরে উন্মাদনা ছিল তুঙ্গে। বহু মানুষ একসঙ্গে হাজির হয়েছিলেন। হঠাৎই হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছিল। যেখানে এই সভা চলছিল, সেই রাস্তা সোমবার রাত থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার দুপুরে খোলা হয়।

    মঙ্গলবার আয়োজন করা হয়েছিল সৎসঙ্গের। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এই প্রার্থনাসভা ঘিরে উন্মাদনা ছিল তুঙ্গে। বহু মানুষ একসঙ্গে হাজির হয়েছিলেন। হঠাৎই হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছিল। যেখানে এই সভা চলছিল, সেই রাস্তা সোমবার রাত থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার দুপুরে খোলা হয়।

     

    প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, মঙ্গলবার রাস্তা খুলে দেওয়ার পরই হুড়মুড়িয়ে লোকজন বেরোনোর চেষ্টা করেন। তখনই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। মৃতদের মধ্যে মহিলার সংখ্যাই বেশি। বেশ কয়েকটি শিশুরও মৃত্যু হয়েছে বলে তাঁদের দাবি।

    প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, মঙ্গলবার রাস্তা খুলে দেওয়ার পরই হুড়মুড়িয়ে লোকজন বেরোনোর চেষ্টা করেন। তখনই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। মৃতদের মধ্যে মহিলার সংখ্যাই বেশি। বেশ কয়েকটি শিশুরও মৃত্যু হয়েছে বলে তাঁদের দাবি।

     

     আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় মানুষজনই হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানেও চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, হাসপাতালে পর্যাপ্ত চিকিৎসক ছিলেন না। ফলে সময়মতো চিকিৎসাও করানো যায়নি আহতদের।

    আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় মানুষজনই হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানেও চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, হাসপাতালে পর্যাপ্ত চিকিৎসক ছিলেন না। ফলে সময়মতো চিকিৎসাও করানো যায়নি আহতদের।

     স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ঘটনার পর দেড় ঘণ্টা কেটে গেলেও প্রশাসনের কোনও আধিকারিক ঘটনাস্থলে আসেননি। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তাঁরা।

    স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ঘটনার পর দেড় ঘণ্টা কেটে গেলেও প্রশাসনের কোনও আধিকারিক ঘটনাস্থলে আসেননি। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তাঁরা।

    মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ঘটনাটির খোঁজখবর নিয়েছেন। তিনি ইতিমধ্যেই একটি তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন।

    মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ঘটনাটির খোঁজখবর নিয়েছেন। তিনি ইতিমধ্যেই একটি তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন।

    তদন্ত কমিটির নেতৃত্বে থাকবেন আগরার অতিরিক্ত ডিজি। তদন্ত কমিটি খতিয়ে দেখবে দুর্ঘটনার কারণ। কী ভাবে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল।
    ঘটনার খবর পেয়ে মুঘলাগড়ি গ্রামে গিয়েছেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী লক্ষ্মীনারায়ণ চৌধরী এবং সন্দীপ সিংহ। রাজ্য পুলিশের ডিজিও ঘটনাস্থলে গিয়েছেন।

    ঘটনার খবর পেয়ে মুঘলাগড়ি গ্রামে গিয়েছেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী লক্ষ্মীনারায়ণ চৌধরী এবং সন্দীপ সিংহ। রাজ্য পুলিশের ডিজিও ঘটনাস্থলে গিয়েছেন।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, ঘটনাস্থল থেকে বাসে এবং টেম্পোতে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, ঘটনাস্থল থেকে বাসে এবং টেম্পোতে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।

    স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগের আঙুল তুলেছেন আয়োজকদের দিকে। কী ভাবে এত লোককে এক জায়গায় জমায়েতের অনুমতি দেওয়া হল। প্রশ্ন উঠেছে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও।

    স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগের আঙুল তুলেছেন আয়োজকদের দিকে। কী ভাবে এত লোককে এক জায়গায় জমায়েতের অনুমতি দেওয়া হল। প্রশ্ন উঠেছে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও।

    এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। শোকজ্ঞাপন করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

    এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। শোকজ্ঞাপন করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

     

     মৃতদের পরিবারের জন্য ২ লক্ষ টাকা এবং আহতদের জন্য ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার।

    মৃতদের পরিবারের জন্য ২ লক্ষ টাকা এবং আহতদের জন্য ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার।

    মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ জানিয়েছেন, এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে। আয়োজকদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

    মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ জানিয়েছেন, এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে। আয়োজকদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

     ২০২০ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর এই হাথরসই গোটা দেশে আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল। রাজ্য থেকে জাতীয় রাজনীতি উত্তাল হয়ে উঠেছিল।

    ২০২০ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর এই হাথরসই গোটা দেশে আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল। রাজ্য থেকে জাতীয় রাজনীতি উত্তাল হয়ে উঠেছিল।

    এক দলিত তরুণীকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে। ১৪ দিন হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর ২৯ সেপ্টেম্বর তাঁর মৃত্যু হয়। অভিযোগ ওঠে, পরিবারকে না জানিয়েই পুলিশ ওই তরুণীর দেহ রাতারাতি সৎকার করে।

    এক দলিত তরুণীকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে। ১৪ দিন হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর ২৯ সেপ্টেম্বর তাঁর মৃত্যু হয়। অভিযোগ ওঠে, পরিবারকে না জানিয়েই পুলিশ ওই তরুণীর দেহ রাতারাতি সৎকার করে।

     

    মঙ্গলবার হাথরসের ওই ঘটনাস্থলে ছিল প্রবল গরম, সঙ্গে গুমোট পরিবেশ। যাওয়ার আসার জন্য রাস্তা সঙ্কীর্ণ। সেই সঙ্গে ছোট জায়গায় এত মানুষের জমায়েতই কি এই দুর্ঘটনার কারণ? তদন্তে উঠে আসবে প্রকৃত তথ্য।

    মঙ্গলবার হাথরসের ওই ঘটনাস্থলে ছিল প্রবল গরম, সঙ্গে গুমোট পরিবেশ। যাওয়ার আসার জন্য রাস্তা সঙ্কীর্ণ। সেই সঙ্গে ছোট জায়গায় এত মানুষের জমায়েতই কি এই দুর্ঘটনার কারণ? তদন্তে উঠে আসবে প্রকৃত তথ্য।

  • হজযাত্রীদের ডিজিটাল পরিচয়পত্র, নতুন পাসপোর্ট স্ট্যাম্প দেবে সৌদি

    বিদেশি যেসব হজযাত্রী চলতি ২০২৪ সালে সৌদিতে যাবেন, তাদের সবার জন্য জন্য ডিজিটাল পরিচয়পত্র এবং নতুন পাসপোর্ট স্ট্যাম্পের ব্যবস্থা করেছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে এ তথ্য।

    বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে গোটা হজ ব্যবস্থাপনা ডিজিটালাইজেশনের লক্ষ্য নিয়েছে সৌদির সরকার। সেই লক্ষ্যের অংশ হিসেবে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

    নতুন এই ডিজিটাল পরিচয় পরিষেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রয়েছে সৌদির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, হজ ও ওমরাহ মন্ত্রনালয় এবং সৌদি ডেটা এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কর্তৃপক্ষ। এই দু’টি পরিষেবা সৌদির অনলাইন প্ল্যাটফরম আবসার ও তায়াক্কালানায় ইলেক্ট্রনিকভাবে নিজেদের পরিচয় প্রমাণে সক্ষম করবে বিদেশি হজযাত্রীদের।

    এছাড়া গোটা হজযাত্রায় সৌদি সরকারের কাছ থেকে বিদেশি হজযাত্রীদের যেসব পরিষেবা প্রাপ্য, সেসব ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে এই নতুন এই ডিজিটাল পরিচয় পরিষেবার।

    আর নতুন পাসপোর্ট স্ট্যাম্প পরিষেবা অবশ্য সবদেশের হজযাত্রীদের জন্য প্রযোজ্য হবে না। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মরক্কো, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, বাংলাদেশ, তুরস্ক এবং আইভরি কোস্ট থেকে আগত যাত্রীদের এই পরিষেবার জন্য বিবেচনা করবে সৌদির সরকার।

    সূত্র : আল আরাবিয়া

  • ছবি:সংগৃহীত

    এ বছরের প্রথম হজ ফ্লাইট আজ বৃহস্পতিবার ভোর ৪টা ২০ মিনিটে ৪১০ জন হজযাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে সৌদি আরবের জেদ্দার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। সৌদি এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়েছেন হজযাত্রীরা।

    এরপর ৭টা ২০ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে ৪১৫ হজযাত্রী জেদ্দার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন।

    বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের হজ ফ্লাইট উদ্বোধন করেন ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান।

    এ সময় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাসহ (সিইও) অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান পরে উড়োজাহাজে উঠে হজযাত্রীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।

    এর আগে বুধবার রাত ১১টায় হজযাত্রীদের ইমিগ্রেশন শুরু হয়। শেষ হয় রাত তিনটায়। বাংলাদেশ হজ অফিসের পরিচালক মুহম্মদ কামরুজ্জামান বাসসকে বলেন, ভোর থেকে এখন পর্যন্ত জেদ্দার উদ্দেশ্যে দুটি ফ্লাইট ছেড়ে গেছে। আজ সারাদিন মোট সাতটি ফ্লাইট সৌদি আরব যাবে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন পবিত্র হজ পালিত হতে পারে।বাসস

  • রোববার থেকে হজ শুরু

    রোববার থেকে হজ শুরু

    ডেস্ক রিপোর্ট : ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভ হজের বার্ষিক আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম রোববার থেকে শুরু হবে। সারা বিশ্বের ২০ লাখের বেশি ধর্মপ্রাণ মুসলমান এই হজ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
    করোনাভাইরাস মহামারী সৌদি কর্তৃপক্ষকে এই হজ আয়োজনের আকার কমাতে বাধ্য করার পর থেকে এটিই হবে সবচেয়ে বড় হজ অনুষ্ঠান।
    সরকারী পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২২ সালে ৯,২৬,০০০ এরও বেশি লোক হজ পালন করেছে। এর আগের বছর প্রায় ৫৯,০০০ জন হজ পালন করেছেন। করোনা মহামারির আগে ২০১৯ সালে প্রায় ২৫ লাখ লোক হজ পালন করেছে।
    কোভিড-১৯ বিধিনিষেধ সম্পূর্ণভাবে তুলে নেয়া হয়েছে এবং বয়সের সীমা বাতিল করা হয়েছে। এতে এবারের হজ অনুষ্ঠানে ২০ লাখের বেশী ধর্মপ্রাণ মুসলিম হজ পালনে মক্কায় সমবেত হবেন বলে অশা করা হচ্ছে।
    সব মুসলমান জীবনে একবার মক্কায় হজ পালনের আকাক্সক্ষা লালন করেন এবং সামর্থবানদের অবশ্যই জীবনে একবার এই হজ পালনের বিধান রয়েছে। তবে অমুসলিমদের এই অনুষ্ঠানে যোগ দেয়া কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।

  • সেঞ্চুরী সাতক্ষীরা উদ্যোগে শহরের ২৯ টি মসজিদে হাসিমুখ উপহার প্রদান

    সেঞ্চুরী সাতক্ষীরা উদ্যোগে শহরের ২৯ টি মসজিদে হাসিমুখ উপহার প্রদান

    সেঞ্চুরী সাতক্ষীরা পরিচালক এবং আওয়ামী লীগের শিল্প ও বানিজ্য সম্পদক শেখ এজাজ  আহমেদ স্বপন এর পক্ষ থেকে শহরের ২৯ টি মসজিদে হাসিমুখ উপহার প্রদান করা হয় ।সেঞ্চুরী সাতক্ষীরা উদ্যোগে শহরের ২৯ টি মসজিদের ইতেকাফ কারি, মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন,খাদেম, সভাপতির জন্য উপহার সামগ্রী তুলে দেওয়া হয় । শহরের একাডেমি জামে মসজিদ,বিসমিল্লাহ জামে মসজিদ,বায়তুন জান্নাহ জামে মসজিদ, আল আরাবিয়া জামে মসজিদ, কাটিয়া লস্কার পাড়া জামে মসজিদ,মাষ্টারপাড়া জামে মসজিদ, উত্তর কাটিয়া জামে মসজিদ,বায়তুন নূর জামে মসজিদ,ুবায়তুন ফালাহ জামে মসজিদ,রসূলপুর পূর্বপাড়া জামে মসজিদ, রসূলপুর আলে হাদিস জামে মসজিদ,রসূলপুর হানাফি জামে মসজিদ, রসূলপুর বায়তুন নূও জামে মসজিদ,কদমতলা জামে মসজিদ, কদমতলা আলে হাদিস জামে মসজিদ, মসজিদে বেলাল, সিটি কলেজ জামে মসজিদ, খোদেজাতুল কোবরা জামে মসজিদ, মসজিদে কুবা, পুলিশ লাাইন জামে মসজিদ,বাস টারমিনাল জামে মসজিদ, সদর হাসপাতাল জামে মসজিদ,আহছানিয়া জামে মসজিদ, পলাশপোল জামে মসজিদ,বায়তুন আমান জামে মসজিদ,জেলা আলে হাদিস জামে মসজিদ,মোট ২৯ টি মসজিদে উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয় ।