Category: ধর্ম

  • পবিত্র ঈদুল আজহা ৭ জুন

    পবিত্র ঈদুল আজহা ৭ জুন

    দেশে দেখা গেছে জিলহজের চাঁদ

    নিজস্ব প্রতিনিধি : বাংলাদেশে ১৪৪৬ হিজরি সনের জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে আগামী ৭ জুন (শনিবার) সারাদেশে ধর্মীয় ভাবগম্ভীর্য ও উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল আজহা।

    বুধবার (২৮ মে) সন্ধ্যায় জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    সভায় দেশের বিভিন্ন জেলা প্রশাসন, আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাঠপর্যায়ের কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করে চাঁদ দেখা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (২৯ মে) থেকে জিলহজ মাস গণনা শুরু হবে।

    এই হিসেবে, আগামী ৬ জুন (শুক্রবার) পালিত হবে পবিত্র হজের দিন (আরাফাতের দিন)। আর পরদিন ৭ জুন (শুক্রবার) পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে দেশজুড়ে।
    ধর্ম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চাঁদ দেখা যাওয়ার তথ্য জানাতে টেলিফোন ও ফ্যাক্স নম্বর খোলা রাখা হয়েছিল। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে চাঁদ দেখা যাওয়ার তথ্য আসায় দ্রুত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে।

    সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব, চাঁদ দেখা কমিটির সদস্যরাসহ ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

    উল্লেখ্য, এর আগে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান ও ইন্দোনেশিয়ায় ২৮ মে চাঁদ দেখা যাওয়ার খবর আসে। এসব দেশে ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে আরাফাতের দিন এবং ৬ জুন ঈদুল আজহা উদযাপন করা হবে।

  • জমজমের পানি পানে ৮ নির্দেশনা দিলো সৌদির

    জমজমের পানি পানে ৮ নির্দেশনা দিলো সৌদির

    জমজম কূপের পানি পান নিয়ে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে সৌদি আরব। দেশটির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় বলেছে, পবিত্র এই পানি পানের সময় নিজেকে শান্ত রাখতে হবে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি চাইতে হবে। গালফ নিউজ এক প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

    ওমরা পালন করতে প্রতিদিনই মক্কায় ভিড় করেন হাজার হাজার মুসল্লি। ওমরাশেষে বেশিরভাগই মদিনার মসজিদে নববীতে যান।

    সৌদি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছর প্রায় এক কোটি ৩৫ লাখ মুসল্লি ওমরা পালন করেছেন। আগামী বছর সে সংখ্যা দেড় কোটিতে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে সৌদি সরকারের। সে লক্ষ্যে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে অনেক সুবিধা চালু করেছে দেশটি।

    যে নিয়মগুলো সবাইকে মানতে হবে, তা হলো-

    ১. শান্তভাবে আল্লাহর নাম স্মরণ করে পান করা

    ২. এই পানি পানের সময় আল্লাহর সন্তুষ্টি চাওয়া

    ৩. ডান হাতে পানি পান করা

    ৪.পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা

    ৫. মেঝেতে পানি ফেলা থেকে বিরত থাকা

    ৬. জমজমের পানির ট্যাপ ছেড়ে অজু না করা

    ৭. পানি পানের পর কাপগুলো যথাস্থানে রাখা

    ৮. ঠেলাঠেলি না করা ও ভদ্রতা বজায় রাখা

  • ৩০ নভেম্বরের পর হজের নিবন্ধন আর বাড়বে না : ধর্ম উপদেষ্টা

    ৩০ নভেম্বরের পর হজের নিবন্ধন আর বাড়বে না : ধর্ম উপদেষ্টা

    যারা পবিত্র হজ পালন করতে চান তাদের দ্রুত সময়ের মধ্যে চূড়ান্ত নিবন্ধন করার অনুরোধ জানিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন। তিনি বলেন, এতদিন হজ প্যাকেজ না থাকায় অনেকে নিয়ত করলেও নিবন্ধন করেননি। এবার দ্রুত করে ফেলুন। ৩০ নভেম্বরের পর নিবন্ধনের সময় আর বাড়ানো হবে না।

    বুধবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে এ‌ক সংবাদ সম্মেলনে দুটি হজ প্যাকেজ ঘোষণা করে এ তথ্য জানান ধর্ম উপদেষ্টা।

    খালিদ হোসেন বলেন, সৌদি সরকারের তরফ থেকে বারবার বলেছে, দ্রুত তাঁবু বুকিং দেওয়ার জন্য। যেহেতু আমাদের হজ প্যাকেজ ঘোষণা হয়নি সেজন্য নিবন্ধন কম হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে দেখিয়ে নিবন্ধনের সময় ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এরপর আর বাড়ানো হবে না। কারণ সৌদি সরকারকে কতজন যাবে সেই তালিকা দিয়ে তাঁবু বুকিং দিতে হবে।

    এর আগে প্রথম দফায় নিবন্ধনের সময় শেষ হয় ২৫ আগস্ট। এরপর তা ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। যারা হজে যেতে চান তাদের তিন লাখ টাকা ব্যাংকে জমা দিয়ে প্রাথমিক নিবন্ধন করতে বলা হয়েছে।

    উল্লেখ্য, চলতি বছর হজের নিবন্ধনের শুরু হয় ১ সেপ্টেম্বর। বাংলাদেশের হজ কোটা অনুযায়ী, ২০২৫ সালে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজযাত্রী হজ পালন করার সুযোগ পাবেন। তবে সরকার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিবন্ধন না করলে সুবিধাজনক জোনে তাঁবু বরাদ্দ পেতে সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।

  • হজে যেতে হলে নিবন্ধন করতে হবে ২৩ অক্টোবরের মধ্যে

    হজে যেতে হলে নিবন্ধন করতে হবে ২৩ অক্টোবরের মধ্যে

    আগামী বছর হজে যেতে ২৩ অক্টোবরের মধ্যেই নিবন্ধন সম্পন্ন করার অনুরোধ করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

    আজ রোববার মন্ত্রণালয়ের হজ অনুবিভাগ এ সংক্রান্ত বিশেষ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।

    এতে বলা হয়েছে, সৌদি সরকারের ঘোষিত রোডম্যাপ অনুসারে মিনা ও আরাফায় তাঁবু নির্ধারণ ও সার্ভিস কোম্পানির সাথে চুক্তি সম্পাদন কার্যক্রম ২৩ অক্টোবর হতে শুরু হবে।

    তাঁবু বরাদ্দ প্রদান করার ক্ষেত্রে ‘আগে আসলে আগে পাবেন’ নীতি অনুসরণ করা হয়ে থাকে।

    বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ২৩ অক্টোবরের মধ্যে হজযাত্রী নিবন্ধন শেষ না হলে মিনা ও আরাফায় কাঙ্ক্ষিত জোনে তাঁবু বরাদ্দ পাওয়া যাবে না।

    তাঁবু গ্রহণ ও সার্ভিস কোম্পানির সাথে চুক্তি সম্পাদনে দেরি হলে হজযাত্রীদের জামারাহ হতে অনেক দূরে পাহাড়ি এলাকা কিংবা নিউ মিনা এলাকায় অবস্থান করতে হবে। ফলে হজযাত্রীদের সৌদি আরবে প্রখর রোদ ও গরমের মধ্যে দীর্ঘপথ হাটতে হবে, যা তাদের জন্য কষ্টকর হবে।

    সে কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিবন্ধনের অনুরোধ করেছে মন্ত্রণালয়।

  • মহানবী(সা:)কে কটুক্তি করার প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ

    মহানবী(সা:)কে কটুক্তি করার প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ

    ভারতের বিজেপি নেতা নরসিংহানন্দ,নিতেশ নারায়র রানে ও ধর্মগুরু রামগিরি মহারাজ কর্তৃক মহানবী(সা:)কে কটুক্তি করা ও সন্ত্রাসী ইসরাইলী কর্তৃক ফিলিস্তিন এবং লেবাননের নিরিহ মানুষের উপর বর্বর,নৃশংস হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ইমাম সমিতি সাতক্ষীরা জেলা শাখা। বাংলাদেশ ইমাম সমিতি সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা  আব্দুর রশিদ’র সভাপতিত্বে  শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বাদ জুম্মা সাতক্ষীরা নিউ মার্কেট চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সাতক্ষীরা আব্দুর রাজ্জাক পার্কে প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হয়। এ সময় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইমাম সমিতি সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা  আব্দুর রশিদ,সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম, হাফেজ কল্যাণ পরিষদের জেলা সভাপতি হাফেজ খাইরুল বাশার, সাধারণ সম্পাদক হাফেজ সাইদুর রহমান, বাংলাদেশ মজলিসুল মুফাসসিরিন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হাফেজ মাওলানা মনোয়ার হোসাইন মোমিন, মাওলানা মনিরুল ইসলাম ফারুকী, সাতক্ষীরা ইমাম মুয়াজ্জিন কল্যান পরিষদের সভাপতি হাফেজ কারী অহিদুজ্জামান অহিদ, সাধারণ সম্পাদক হাফেজ ইব্রাহিম খলিলসহ সাতক্ষীরা ইমাম সমিতির নেতৃবৃন্দ। এ সময় বক্তারা বলেন,ভারতের বিজেপি নেতা নরসিংহানন্দ,নিতেশ নারায়র রানে ও ধর্মগুরু রামগিরি মহারাজ কর্তৃক মহানবী(সা:)কে কটুক্তি করা হয়েছে তার বিচার শাস্তির ব্যবস্থা করতে জাতিসংঘের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এছাড়া  সন্ত্রাসী ইসরাইলী কর্তৃক ফিলিস্তিন এবং লেবাননের নিরিহ মানুষের উপর বর্বর,নৃশংস হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান। প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে বিশ্বের নির্যাতিত মুসলিমদের জন্য দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
  • আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)

    আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)

    আজ ১২ রবিউল আউয়াল, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)। ৫৭০ সালের এই দিনে মানব জাতির জন্য রহমত হিসেবে প্রেরিত মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) আরবের মক্কা নগরীর সম্ভ্রান্ত কুরাইশ বংশে মা আমিনার কোল আলোকিত করে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।

    পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের উদ্যোগে পক্ষকালব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। আজ সরকারি ছুটি।

    এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পৃথক বাণী দিয়েছেন।

    এক সময় গোটা আরব সমাজ অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল। তারা মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহকে ভুলে গিয়ে নানা অপকর্মে লিপ্ত হয়ে পড়েছিল। আরবের সর্বত্র দেখা দিয়েছিল অরাজকতা ও বিশৃংখলা। এ সময়কে বলা হতো আইয়ামে জাহেলিয়াতের যুগ।

    এই অন্ধকার যুগ থেকে মানবকুলের মুক্তিসহ তাদের আলোর পথ দেখাতে মহান আল্লাহতাআলা রাসুলুল্লাহকে (সা.) প্রেরণ করেন এই পৃথিবীতে।

    বাংলাদেশসহ বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায় এ দিনটি পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) হিসেবে পালন করে থাকে।

    পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)’ উপলক্ষ্যে দেয়া বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর প্রতিটি কথা ও কর্মই মানবজাতির জন্য অনুকরণীয় ও অনুসরণীয়।

    প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) মানব জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে; প্রতিটি ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে তিনি বিশ্ব মানবতার জন্য অনিন্দ্য সুন্দর অনুসরণীয় শিক্ষা ও আদর্শ রেখে গেছেন; যা প্রতিটি যুগ ও শতাব্দীর মানুষের জন্য মুক্তির দিশারি হিসেবে পথ দেখাবে।

  • শুধু লাশ আর লাশ! আবার শিউরে ওঠার মতো ঘটনা হাথরসে, এলাকার খণ্ডচিত্র

    (আনন্দবাজার অনলাইন থেকে)

    জানা গিয়েছে, হাথরসের মুঘলাগড়ি গ্রামে একটি সৎসঙ্গের আয়োজন করা হয়েছিল স্থানীয় উদ্যোগে। সভা শেষে বহু মানুষ এক সঙ্গে বেরোবার চেষ্টা করলে হুড়োহুড়ির সৃষ্টি হয়। মনে করা হচ্ছে তাতেই এই দুর্ঘটনা।

    উত্তরপ্রদেশের হাথরসের কথা মনে আছে? এক দলিত কিশোরীকে গণধর্ষণ এবং মৃত্যুর পর রাতারাতি তাঁর দেহ সৎকারের অভিযোগ উঠেছিল পুলিশের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনা গোটা দেশে আলোড়ন ফেলেছিল। এ বার সেই হাথরসেই পদপিষ্টের ঘটনা ঘটল।

    উত্তরপ্রদেশের হাথরসের কথা মনে আছে? এক দলিত কিশোরীকে গণধর্ষণ এবং মৃত্যুর পর রাতারাতি তাঁর দেহ সৎকারের অভিযোগ উঠেছিল পুলিশের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনা গোটা দেশে আলোড়ন ফেলেছিল। এ বার সেই হাথরসেই পদপিষ্টের ঘটনা ঘটল।

    জানা গিয়েছে, হাথরসের মুঘলাগড়ি গ্রামে একটি সৎসঙ্গের আয়োজন করা হয়েছিল স্থানীয় উদ্যোগে। সেই সভায় হাজির হয়েছিলেন কয়েক হাজার মানুষ।

    জানা গিয়েছে, হাথরসের মুঘলাগড়ি গ্রামে একটি সৎসঙ্গের আয়োজন করা হয়েছিল স্থানীয় উদ্যোগে। সেই সভায় হাজির হয়েছিলেন কয়েক হাজার মানুষ।

     

    আলিগড় রেঞ্জের আইজি শলভ মাথুর জানিয়েছেন, প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে খুব ছোট জায়গায় এই সৎসঙ্গের আয়োজন করা হয়েছিল। বহু মানুষের ভিড় ছিল সেখানে। মনে করা হচ্ছে তাতেই হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছিল পুণ্যার্থীদের মধ্যে।

    আলিগড় রেঞ্জের আইজি শলভ মাথুর জানিয়েছেন, প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে খুব ছোট জায়গায় এই সৎসঙ্গের আয়োজন করা হয়েছিল। বহু মানুষের ভিড় ছিল সেখানে। মনে করা হচ্ছে তাতেই হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছিল পুণ্যার্থীদের মধ্যে।

    তবে কী ভাবে সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেল এবং এই পদপিষ্টের ঘটনা শুরু হল তা পুরোপুরি স্পষ্ট নয়।

    তবে কী ভাবে সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেল এবং এই পদপিষ্টের ঘটনা শুরু হল তা পুরোপুরি স্পষ্ট নয়।

     

    হাথরসের জেলাশাসক আশিসকুমার জানিয়েছেন, অন্ততপক্ষে ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে স্থানীয় সূত্রের দাবি, মৃতের সংখ্যা শতাধিক।

    হাথরসের জেলাশাসক আশিসকুমার জানিয়েছেন, অন্ততপক্ষে ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে স্থানীয় সূত্রের দাবি, মৃতের সংখ্যা শতাধিক।

    মঙ্গলবার আয়োজন করা হয়েছিল সৎসঙ্গের। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এই প্রার্থনাসভা ঘিরে উন্মাদনা ছিল তুঙ্গে। বহু মানুষ একসঙ্গে হাজির হয়েছিলেন। হঠাৎই হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছিল। যেখানে এই সভা চলছিল, সেই রাস্তা সোমবার রাত থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার দুপুরে খোলা হয়।

    মঙ্গলবার আয়োজন করা হয়েছিল সৎসঙ্গের। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এই প্রার্থনাসভা ঘিরে উন্মাদনা ছিল তুঙ্গে। বহু মানুষ একসঙ্গে হাজির হয়েছিলেন। হঠাৎই হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছিল। যেখানে এই সভা চলছিল, সেই রাস্তা সোমবার রাত থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার দুপুরে খোলা হয়।

     

    প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, মঙ্গলবার রাস্তা খুলে দেওয়ার পরই হুড়মুড়িয়ে লোকজন বেরোনোর চেষ্টা করেন। তখনই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। মৃতদের মধ্যে মহিলার সংখ্যাই বেশি। বেশ কয়েকটি শিশুরও মৃত্যু হয়েছে বলে তাঁদের দাবি।

    প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, মঙ্গলবার রাস্তা খুলে দেওয়ার পরই হুড়মুড়িয়ে লোকজন বেরোনোর চেষ্টা করেন। তখনই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। মৃতদের মধ্যে মহিলার সংখ্যাই বেশি। বেশ কয়েকটি শিশুরও মৃত্যু হয়েছে বলে তাঁদের দাবি।

     

     আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় মানুষজনই হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানেও চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, হাসপাতালে পর্যাপ্ত চিকিৎসক ছিলেন না। ফলে সময়মতো চিকিৎসাও করানো যায়নি আহতদের।

    আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় মানুষজনই হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানেও চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, হাসপাতালে পর্যাপ্ত চিকিৎসক ছিলেন না। ফলে সময়মতো চিকিৎসাও করানো যায়নি আহতদের।

     স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ঘটনার পর দেড় ঘণ্টা কেটে গেলেও প্রশাসনের কোনও আধিকারিক ঘটনাস্থলে আসেননি। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তাঁরা।

    স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ঘটনার পর দেড় ঘণ্টা কেটে গেলেও প্রশাসনের কোনও আধিকারিক ঘটনাস্থলে আসেননি। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তাঁরা।

    মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ঘটনাটির খোঁজখবর নিয়েছেন। তিনি ইতিমধ্যেই একটি তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন।

    মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ঘটনাটির খোঁজখবর নিয়েছেন। তিনি ইতিমধ্যেই একটি তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন।

    তদন্ত কমিটির নেতৃত্বে থাকবেন আগরার অতিরিক্ত ডিজি। তদন্ত কমিটি খতিয়ে দেখবে দুর্ঘটনার কারণ। কী ভাবে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল।
    ঘটনার খবর পেয়ে মুঘলাগড়ি গ্রামে গিয়েছেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী লক্ষ্মীনারায়ণ চৌধরী এবং সন্দীপ সিংহ। রাজ্য পুলিশের ডিজিও ঘটনাস্থলে গিয়েছেন।

    ঘটনার খবর পেয়ে মুঘলাগড়ি গ্রামে গিয়েছেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী লক্ষ্মীনারায়ণ চৌধরী এবং সন্দীপ সিংহ। রাজ্য পুলিশের ডিজিও ঘটনাস্থলে গিয়েছেন।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, ঘটনাস্থল থেকে বাসে এবং টেম্পোতে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, ঘটনাস্থল থেকে বাসে এবং টেম্পোতে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।

    স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগের আঙুল তুলেছেন আয়োজকদের দিকে। কী ভাবে এত লোককে এক জায়গায় জমায়েতের অনুমতি দেওয়া হল। প্রশ্ন উঠেছে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও।

    স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগের আঙুল তুলেছেন আয়োজকদের দিকে। কী ভাবে এত লোককে এক জায়গায় জমায়েতের অনুমতি দেওয়া হল। প্রশ্ন উঠেছে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও।

    এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। শোকজ্ঞাপন করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

    এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। শোকজ্ঞাপন করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

     

     মৃতদের পরিবারের জন্য ২ লক্ষ টাকা এবং আহতদের জন্য ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার।

    মৃতদের পরিবারের জন্য ২ লক্ষ টাকা এবং আহতদের জন্য ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার।

    মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ জানিয়েছেন, এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে। আয়োজকদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

    মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ জানিয়েছেন, এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে। আয়োজকদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

     ২০২০ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর এই হাথরসই গোটা দেশে আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল। রাজ্য থেকে জাতীয় রাজনীতি উত্তাল হয়ে উঠেছিল।

    ২০২০ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর এই হাথরসই গোটা দেশে আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল। রাজ্য থেকে জাতীয় রাজনীতি উত্তাল হয়ে উঠেছিল।

    এক দলিত তরুণীকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে। ১৪ দিন হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর ২৯ সেপ্টেম্বর তাঁর মৃত্যু হয়। অভিযোগ ওঠে, পরিবারকে না জানিয়েই পুলিশ ওই তরুণীর দেহ রাতারাতি সৎকার করে।

    এক দলিত তরুণীকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে। ১৪ দিন হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর ২৯ সেপ্টেম্বর তাঁর মৃত্যু হয়। অভিযোগ ওঠে, পরিবারকে না জানিয়েই পুলিশ ওই তরুণীর দেহ রাতারাতি সৎকার করে।

     

    মঙ্গলবার হাথরসের ওই ঘটনাস্থলে ছিল প্রবল গরম, সঙ্গে গুমোট পরিবেশ। যাওয়ার আসার জন্য রাস্তা সঙ্কীর্ণ। সেই সঙ্গে ছোট জায়গায় এত মানুষের জমায়েতই কি এই দুর্ঘটনার কারণ? তদন্তে উঠে আসবে প্রকৃত তথ্য।

    মঙ্গলবার হাথরসের ওই ঘটনাস্থলে ছিল প্রবল গরম, সঙ্গে গুমোট পরিবেশ। যাওয়ার আসার জন্য রাস্তা সঙ্কীর্ণ। সেই সঙ্গে ছোট জায়গায় এত মানুষের জমায়েতই কি এই দুর্ঘটনার কারণ? তদন্তে উঠে আসবে প্রকৃত তথ্য।

  • সেঞ্চুরী সাতক্ষীরা উদ্যোগে শহরের ২৯ টি মসজিদে হাসিমুখ উপহার প্রদান

    সেঞ্চুরী সাতক্ষীরা উদ্যোগে শহরের ২৯ টি মসজিদে হাসিমুখ উপহার প্রদান

    সেঞ্চুরী সাতক্ষীরা পরিচালক এবং আওয়ামী লীগের শিল্প ও বানিজ্য সম্পদক শেখ এজাজ  আহমেদ স্বপন এর পক্ষ থেকে শহরের ২৯ টি মসজিদে হাসিমুখ উপহার প্রদান করা হয় ।সেঞ্চুরী সাতক্ষীরা উদ্যোগে শহরের ২৯ টি মসজিদের ইতেকাফ কারি, মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন,খাদেম, সভাপতির জন্য উপহার সামগ্রী তুলে দেওয়া হয় । শহরের একাডেমি জামে মসজিদ,বিসমিল্লাহ জামে মসজিদ,বায়তুন জান্নাহ জামে মসজিদ, আল আরাবিয়া জামে মসজিদ, কাটিয়া লস্কার পাড়া জামে মসজিদ,মাষ্টারপাড়া জামে মসজিদ, উত্তর কাটিয়া জামে মসজিদ,বায়তুন নূর জামে মসজিদ,ুবায়তুন ফালাহ জামে মসজিদ,রসূলপুর পূর্বপাড়া জামে মসজিদ, রসূলপুর আলে হাদিস জামে মসজিদ,রসূলপুর হানাফি জামে মসজিদ, রসূলপুর বায়তুন নূও জামে মসজিদ,কদমতলা জামে মসজিদ, কদমতলা আলে হাদিস জামে মসজিদ, মসজিদে বেলাল, সিটি কলেজ জামে মসজিদ, খোদেজাতুল কোবরা জামে মসজিদ, মসজিদে কুবা, পুলিশ লাাইন জামে মসজিদ,বাস টারমিনাল জামে মসজিদ, সদর হাসপাতাল জামে মসজিদ,আহছানিয়া জামে মসজিদ, পলাশপোল জামে মসজিদ,বায়তুন আমান জামে মসজিদ,জেলা আলে হাদিস জামে মসজিদ,মোট ২৯ টি মসজিদে উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয় । 

  • কয়েক’শ মানুষকে ইফতার করালেন ড. কাজী এরতেজা হাসান

    কয়েক’শ মানুষকে ইফতার করালেন ড. কাজী এরতেজা হাসান

    সমাজের সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের জন্য ইফতারের আয়োজন করেছেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, দৈনিক ভোরের পাতা ও ডেইলি পিপলস্ টাইমের সম্পাদক এবং এফবিসিসিআই’র পরিচালক ড.কাজী এরতেজা হাসান। বুধবার (১২ এপ্রিল) সাতক্ষীরা শহরের বদ্দিপুর কলোনি জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে এ আয়োজনে প্রায় তিন শতাধিক সাধারণ মানুষ, শ্রমিক, দিনমজুর রিকশাচালক, পথচারী ও অসহায় মানুষ একসঙ্গে বসে ইফতার করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা উপ কমিটির সদস্য,সাবেক ছাত্রনেতা কাজী হেদায়েত হোসেন রাজ, পৌর যুবলীগের আহবায় মনোয়ার হোসেন অনু,জেলা কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রিফাত হাসান রাসেল, পৌর যুগ্ম আহবায় এস এম তুহিনুর রহমান তুহিন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শেখ বনি, ছাত্রলীগ নেতা জুবায়ের আল জামান সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

  • সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে মসজিদে কুবায় হিফজুল কুরআন তেলওয়াত প্রতিযোগিতা উদ্বোধন

    সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে মসজিদে কুবায় হিফজুল কুরআন তেলওয়াত প্রতিযোগিতা উদ্বোধন


    নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরায় হিফজুল কুরআন তেলওয়াত প্রতিযোগিতা উদ্বোধন করা হয়েছে। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও মাসজিদের কুবার ব্যবস্থপনায় গতকাল সকাল ১০টায় শহরের মেহেদীবাগস্থ মাসজিদে কুবা কমপ্লেক্সে দৈনিক দৃষ্টিপাত সম্পাদক ও মাসজিদে কুবার সভাপতি জিএম নূর ইসলামের সভাপতিত্বে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন অতি: জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শেখ মইনুল ইসলাম মঈন। তিনি কুরআন তেলওয়াত প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন। এসময় তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআন মাহে রমজান মাসে নাজিল করেছেন। ইসলামের দৃষ্টিতে কুরআনের অবস্থান সর্ব উচ্চ স্থানে। মানব জাতির হেদায়েতের জন্য কুরআন নাজিল হয়েছে। পবিত্র কুরআনের হাফেজদের রাষ্ট্রীয় ও সামাজিকভাবে সম্মানিত ব্যক্তি হিসাবে আমাদের কাছে পরিচিত। তিনি আরো বলেন, মাহে রমজান মাসে সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক কুরআন প্রতিযোগিতা আয়োজন করায় প্রশংসিত হয়েছে। বাংলাদেশের হাফেজরা বিশ্বে বিভিন্ন দেশে গিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহন করে বিজয়ী হয়ে বাংলাদেশকে সম্মানিত করেছে। সাতক্ষীরার হাফেজদের জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরার জন্য জেলা প্রশাসনের এমন মহতি উদ্যোগ গ্রহন করেছে। এই প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অংশ গ্রহন করতে হবে। হাফেজরা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়ে নতুন করে সাতক্ষীরাকে বিশ্ব বাসীর কাছে পরিচিত করবে। তিনি মাসজিদে কুবার এমন উদ্যোগ কে সহায়তা করায় কমিটির নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জানান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মাসজিদে কুবার উপদেষ্টা ও জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত ক্রীড়া সংগঠক তৈয়েব হাসান বাবু, বক্তব্য রাখেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ডিডি মুহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, মাসজিদে কুবার সাধারন সম্পাদক আব্দুর রশিদ। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার মো: আব্দুল্লাহ আল আমিন, জেলা তথ্য অফিসার মো: জাহারুল ইসলাম, সমাজসেবক আলহাজ্ব আব্দুল মান্নান, জেলা সাহিত্য পরিষদের সভাপতি মো: শহিদুর রহমান, মাসজিদের মুয়াজ্জিন আব্দুস সবুর, কোষাধ্যক্ষ আব্দুল করিম, গোলাম হোসেন, শফিকুল মোল্লা, গোলাম রহমান। বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন হাফেজ কারী শেখ ফিরোজ হাসান, হাফেজ আব্দুল আজিজ, মাও: খায়রুল বাসার। মাসজিদে কুবায় পবিত্র কুরআন প্রতিযোগিতাকে কেন্দ্র করে বেশ আগে থেকে মাসজিদে কুবায় আসতে থাকে হাফেজগন। নির্ধারিত সময়ের পূর্বে মাসজিদে তরুন হাফেজদের উপস্থিতিতে নয়নাভিরাম পরিবেশ সৃষ্টি হয়। নির্ধারিত সময়ে প্রতিযোগিতায় একে একে পবিত্র কুরআনের সুমধুর বাণী শোনাতে থাকে হাফেজরা। এসময় জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত শতাধিক হাফেজ প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহন করেন। বয়স ভিত্তিক কুরআন প্রতিযোগিতায় ১৭ বছর বয়সী হাফেজ গন অংশ গ্রহন করেন। এখানে প্রথম স্থান অধিকারীকে ৫০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় স্থান অধিকারীকে ৩০ হাজার টাকা এবং তৃতীয় স্থান অধিকারীকে ২০ হাজার টাকা সহ ১০ জন বিজয়ীকে পুরস্কার প্রদান করা হবে। এর পূর্বে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয় দোয়া পরিচালনা করেন সুলতানপুর বড় বাজার জামে মসজিদের পেশ ইমাম আলহাজ্ব মাও: আব্দুল খালেক। সমগ্র অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারন সম্পাদক শেখ মোশফিকুর রহমান মিল্টন। উল্লেখ্য ৯৫ জন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন কারীর মধ্য হতে বাছাই করে ২৫ জন প্রতিযোগীকে ইয়েস কার্ড প্রদান করা হয়।

  • মাহে রমজানে শাল্যে মাছখোলাসহ বিভিন্ন স্থানে বীর মুক্তিযোদ্ধা এমপি রবির পক্ষ থেকে রোজাদারদের মাঝে ইফতার বিতরণ

    মাহে রমজানে শাল্যে মাছখোলাসহ বিভিন্ন স্থানে বীর মুক্তিযোদ্ধা এমপি রবির পক্ষ থেকে রোজাদারদের মাঝে ইফতার বিতরণ


    মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : পবিত্র মাহে রমজানে সাতক্ষীরা সদরের বিভিন্ন স্থানে সাতক্ষীরা সদর-২আসনের সংসদ সদস্য নৌ-কমান্ডো ০০০১বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবির পক্ষ থেকে রোজাদারদের মাঝে ইফতার বিতরণ। বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) সদরের ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের শাল্যে মাছখোলা এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে গিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা এমপি রবির পক্ষ থেকে রোজাদারদের হাতে ইফতার তুলে দেওয়া হয়।এসময় পথচারী রোজাদাররা বীর মুক্তিযোদ্ধা এমপি রবির পক্ষ থেকে ইফতার পেয়ে বেজায় খুশি হয়ে তাঁর জন্য দোয়া করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সাহাদাৎ হোসেন, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় মহিলা সংস্থা সাতক্ষীরা জেলা শাখার চেয়ারম্যান জ্যোৎ¯œা আরা, সাতক্ষীরা পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর বিন সেলিম যাদু, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক শেখ মাহফুজুর রহমান, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এহছান হাবীব অয়ন, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি কাজী হাশিম উদ্দিন হিমেল, সাবেক ইউপি সদস্য এস.এম রেজাউল ইসলাম, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক তহমিনা ইসলাম সিম্মি, পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ মোস্তাফিজুর রহমান শোভন ও পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা মো. নুর মনোয়ারসহ দলীয় নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

  • বিশ্বের সর্ববৃহৎ হাতে লেখা কুরআন শরীফ প্রদর্শনী হল মাসজিদে কুবা কমপ্লেক্সে

    বিশ্বের সর্ববৃহৎ হাতে লেখা কুরআন শরীফ প্রদর্শনী হল মাসজিদে কুবা কমপ্লেক্সে


    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: সাতক্ষীরায় বিশ্বের সর্ববৃহৎ কুরআন শরীফ দুই দিন ব্যাপী প্রদর্শনী উদ্বোধন হয়েছে। সাতক্ষীরা শহরের মেহেদীবাগ মাসজিদে কুবা কমপ্লেক্সে কুরআন শরীফ প্রদর্শনী দেখার জন্য বেশ আগে স্থানীয় সহ পাশ্ববর্তী এলাকার লোকজন জড়ো হতে থাকে। পুরুষ, মহিলা, শিশু, কুরআন প্রেমিক সহ সব বয়সের মানুষ উপস্থিতিতে মেহেদীবাগ এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়। অতিথিরা মাসজিদে কুবা কমপ্লেক্সে প্রবেশ করলে মাসজিদে কুবার সভাপতি জিএম নূর ইসলাম, উপদেষ্টা তৈয়েব হাসান বাবু সহ অপরাপর মুসল্লীরা অতিথিদের কে স্বাগত জানান। গতকাল সকাল ১০টায় প্রধান অতিথি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব মো: নজরুল ইসলাম আনুষ্ঠানিকভাবে কুরআন শরীফ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। এ সময় তিনি বলেন, কুরআন আল্লাহর বানী। এটি মানব জাতির জন্য সঠিক পথ নির্দেশক। সাতক্ষীরার সন্তান হাবিবুর রহমান নিজ হাতে বিশ্বের সর্ববৃহৎ কুরআন লিখে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এটি জেলা বাসির জন্য গৌরবের বিষয়। হাতে লেখা মহাগ্রন্থটি আরো কিভাবে আলোড়ন সৃষ্টি করা যায় সে বিষয়ে সরকারের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে অবহিত করা হবে। তিনি আরো বলেন, মাসজিদে কুবা কমপ্লেক্স সাতক্ষীরার মধ্যে একটি নান্দনিক মসজিদ। এখানে শুধু নামাজ আদায় হয় না নামাজের পাশাপাশি ইসলামি সাংস্কৃতিক ও সেবা কেন্দ্র হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছে। মসজিদটি এ ধরনের কর্মকান্ড চালু থাকুক এটাই আমাদের কাম্য। তিনি মাসজিদে কুবা কমপ্লেক্সের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করেন। মাসজিদে কুবা কমপ্লেক্সের সভাপতি জিএম নূর ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আ’লীগ যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব মো: আসাদুজ্জামান বাবু, মাসজিদে কুবা কমপ্লেক্সের উপদেষ্টা তৈয়েব হাসান বাবু। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন মাসজিদে কুবা কমপ্লেক্সের উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল ওয়াদুদ, গ্রাম ডা: শাহাজান আলম, সহ সভাপতি আব্দুল গনি, ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, কোষাধ্যক্ষ আব্দুল করিম, সদস্য আবু জাফর, গোলাম হোসেন, আনিছুর রহমান, শাহাদাত হোসেন, আব্দুল জব্বার, জিয়াউর রহমান, মোয়াজ্জিন হাফেজ মাহমুদুল হাসান প্রমুখ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ হাতেলেখা কুরআন শরীফটি এক নজরে দেখার জন্য দিনভর দলে দলে মানুষ মাসজিদে কুবা কমপ্লেক্সে ছুটে যান। একে অপরের মুখে কথাছিল এমন হাতে লেখা কুরআন শরীফটি আগে কখনো দেখিনি। কুরআন শরীফটি সাদা কাগজে লাল নীল সহ বিভিন্ন রঙের কালিতে শোভা বর্ধন করে পবিত্র কুরআনে পরিনত হয়েছে। বিশ্বের সর্ববৃহৎ হাতে লেখা কুরআন শরীফের লেখক মো: হাবিবুর রহমান বলেন, দীর্ঘ ছয় বছর আট মাস ত্রিশ দিন ধরে বিভিন্ন রঙের ছয় শত ষাটটি কলম দিয়ে পূর্ণ কুরআন শরীফ সম্পন্ন করলাম। হাতে লেখা পবিত্র মহা গ্রন্থটির ওজন চারশত পাঁচ কেজি। যার দৈর্ঘ্য ১১ ফুট প্রস্থ ১৭ ফুট ৪ ইঞ্চি ও ১৪২ পৃষ্ঠার মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে। কুরআন শরীফটি আরো ব্যাপক আকারে পরিচিতি লাভ করার জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ সহ গণমাধ্যম কর্মীদের দৃষ্টি আকর্ষন করেন। এছাড়া মাসজিদের কুবা কমপ্লেক্সের সদস্য, স্থানীয় মুসল্লীবৃন্দ সহ সর্ব পর্যায়ের মুসল্লীরা উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন মাসজিদে কুবা কমপ্লেক্সের ইমাম মুফতি সাইফুল ইসলাম।

  • সাতক্ষীরা সদর থানা জামে মসজিদের সম্প্রসারিত ভবনের ভিত্তিপ্রস্তুরের উদ্বোধন

    সাতক্ষীরা সদর থানা জামে মসজিদের সম্প্রসারিত ভবনের ভিত্তিপ্রস্তুরের উদ্বোধন

    প্রেস বিজ্ঞপ্তি: সাতক্ষীরা সদর থানা জামে মসজিদের সম্প্রসারিত ভবনের ভিত্তিপ্রস্তুরের উদ্বোধন করা হয়েছে। ৮ ডিসেম্বর যোহর বাদ প্রধান অতিথি হিসেবে ভিত্তিপ্রস্তুরের শুভ উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার ও সদর থানা জামে মসজিদের সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান।
    এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) এবং মসজিদের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ সজীব খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মোঃ আতিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মীর আসাদুজ্জামান, থানা মসজিদের সহ-সভাপতি ডাঃ মুনছুর আহমেদ, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ও মসজিদের সাধারণ সম্পাদক আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান, মসজিদের ক্যাশিয়ার মো: রুস্তম আলী, সদস্য হাবিবুর রহমান, মঞ্জুরুল ইসলাম, আব্দুস সামাদ, মীর আহছানুল হক, হাসান সিরাজুম মনিরসহ মসজিদ কমিটির সদস্যবৃন্দ। দোয়া পরিচালনা করেন অত্র মসজিদের পেশ ইমাম মাও সাইফুল্লাহ আনোয়ার।

  • দুর্গাপূজা : মাতৃরূপা ব্রহ্মেরই উপাসনা

    দুর্গাপূজা : মাতৃরূপা ব্রহ্মেরই উপাসনা

    কুশল বরণ চক্রবর্ত্তী

    ব্রহ্ম এবং তাঁর শক্তি অভেদ্য। চিন্তার অতীত ব্রহ্মই যখন ক্রিয়াশীল হয়ে সৃষ্টি, পালন এবং লয়ে অংশগ্রহণ করেন তখন তাকেই আমরা শক্তি বা আদ্যাশক্তি বলি। জগতের সবকিছুর মূলেই এই ব্রহ্মরূপা আদ্যাশক্তি। তিনিই সৃষ্টি করেন, তিনিই পালন করেন আবার তিনিই লয় বা ধ্বংস করেন। অনন্ত তাঁর রূপ, অনন্ত তাঁর প্রকাশ এবং অনন্ত তাঁর বৈভব।

    শ্রীচণ্ডীর শুরুতেই শ্রীশ্রীচণ্ডীকার ধ্যানমন্ত্রে (ধ্যান : ৩) সেই আদ্যাশক্তি মহামায়াকে “নবকোটীমূর্তিসহিতা” বলা হয়েছে। এই বাক্যের দুই ধরনের অর্থ। নবকোটীমূর্তি বলতে প্রথমত নিত্যনতুন মূর্তিতে দেবী বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে প্রকাশিতা এবং দ্বিতীয় আক্ষরিক অর্থে নবকোটীমূর্তি পরিবৃতা অর্থেও প্রযুক্ত হয়।

    “যা চণ্ডী মধুকৈটভাদিদৈত্যদলনী যা মাহিষোন্মূলিনী

    যা ধূম্রেক্ষণচণ্ডমুণ্ডমথনী যা রক্তবীজাশনী।

    শক্তিঃ শুম্ভনিশুম্ভদৈত্যদলনী যা সিদ্ধিদাত্রী পরা

    সা দেবী নবকোটীমূর্তিসহিতা মাং পাতু বিশ্বেশ্বরী।।”

    আদ্যাশক্তি মহামায়া যখন সৃষ্টি করেন, তখন তিনি সত্ত্বগুণ সম্ভূতা ব্রহ্মাণী বা মহাসরস্বতী বলে অভিহিত হন; যখন পালন করেন তখন রজোগুণ সম্ভূতা বৈষ্ণবী বা মহালক্ষ্মী বলা হয় তাঁকে এবং লয় বা ধংসের স্বরূপে মাহেশ্বরী বা মহাকালী বলে অভিহিত হন দেবী।

    “যে চণ্ডিকা মধুকৈটভাদি-দৈত্যনাশিনী, যিনি মহিষাসুরমর্দিনী, যিনি ধূম্রলোচন-চণ্ড-মুণ্ড-সংহারিণী, যিনি রক্তবীজ-ভক্ষয়ত্রী, যে মহাশক্তি শুম্ভ-নিশুম্ভ-অসুর-বিনাশিনী ও শ্রেষ্ঠা সিদ্ধিদাত্রী এবং নিত্যনতুন মূর্তিতে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে প্রকাশিতা, সেই জগদীশ্বরী দেবী আমাকে পালন করুন।”

    আরও পড়ুন : শারদীয় দুর্গোৎসব : সম্প্রীতির উৎসব

    ব্রহ্ম এবং তাঁর ক্রিয়াশীল শক্তির মাঝে অভেদ-তত্ত্ব বোঝাতে শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস অসাধারণ কয়েকটি কথা বলেছেন। কথাগুলো শ্রী মহেন্দ্রনাথ গুপ্ত বা শ্রীম লিখিত ‘শ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত’ গ্রন্থে বিধৃত হয়েছে—

    ”ব্রহ্ম আর শক্তি অভেদ, এককে মানলেই আর-একটিকে মানতে হয়। যেমন অগ্নি আর তার দাহিকাশক্তি; … অগ্নি মানলেই দাহিকাশক্তি মানতে হয়, দাহিকাশক্তি ছাড়া অগ্নি ভাবা যায় না; আবার অগ্নিকে বাদ দিয়ে দাহিকাশক্তি ভাবা যায় না। সূর্যকে বাদ দিয়ে সূর্যের রশ্মি ভাবা যায় না।”

    “আদ্যাশক্তি লীলাময়ী; সৃষ্টি-স্থিতি-প্রলয় করছেন। তাঁরই নাম কালী। কালীই ব্রহ্ম, ব্রহ্মই কালী! একই বস্তু, যখন তিনি নিষ্ক্রিয়—সৃষ্টি, স্থিতি, প্রলয় কোনো কাজ করছেন না—এই কথা যখন ভাবি, তখন তাঁকে ব্রহ্ম বলে কই। যখন তিনি এই সব কার্য করেন, তখন তাঁকে কালী বলি, শক্তি বলি। একই ব্যক্তি নাম-রূপভেদ।”

    শারদীয়া দুর্গাপূজা আশ্বিনের শুক্লপক্ষে হয়। আবার কার্তিক মাসেও দেবীর পূজা হয়, যা কাত্যায়নী পূজা নামে খ্যাত। বর্তমানে আমরা বাঙালিরা যে পদ্ধতিতে দুর্গাপূজা করি এই পূজা প্রচলন করেন রাজশাহী জেলার তাহিরপুরের রাজা কংশনারায়ণ...

    সামবেদীয় কেনোপনিষদের উমা হৈমবতী আখ্যানে ব্রহ্ম এবং তৎশক্তি অভেদ, এই শাক্ত সিদ্ধান্ত অত্যন্ত সুন্দরভাবে গল্পের মাধ্যমে বর্ণনা করা আছে। আদ্যাশক্তি মহামায়া যখন সৃষ্টি করেন, তখন তিনি সত্ত্বগুণ সম্ভূতা ব্রহ্মাণী বা মহাসরস্বতী বলে অভিহিত হন; যখন পালন করেন তখন রজোগুণ সম্ভূতা বৈষ্ণবী বা মহালক্ষ্মী বলা হয় তাঁকে এবং লয় বা ধংসের স্বরূপে মাহেশ্বরী বা মহাকালী বলে অভিহিত হন দেবী।

    “মহালক্ষ্মীর্ম্মহাকালী তথা মহাসরস্বতী।

    ঈশ্বরী সর্বভূতানাং সর্বকারণকারণম্‌।।

    সর্বকামার্থদা শান্তা সুখসেব্যা দয়ান্বিতা।

    নামোচ্চারণমাত্রেণ বাঞ্ছিতার্থফলপ্রদা।।”

    (দেবীভাগবত পুরাণ : ৩.৯. ৩৯-৪০)

    “অখিল ভূতগণের ঈশ্বরী, সমুদয় কারণের কারণ সেই মহামায়াই মহালক্ষ্মী, মহাকালী ও মহাসরস্বতী। সেই পরম দয়াবতী শান্তময়ী দেবীকে সেবা করাও ক্লেশকর নহে এবং তাঁর আরাধনায় সর্বফল লাভ হয়। অধিক কি তাঁর নাম উচ্চারণ মাত্রেই বাঞ্ছিত ফল লাভ হয়।”

    আরও পড়ুন : এই দুঃখ কোথায় রাখি?

    শ্রীচণ্ডীতে তিনটি চরিত্রে আদ্যাশক্তি মহামায়ার তিনটি প্রধান রূপেরই বর্ণনা করা হয়েছে। প্রথম চরিত্রে (প্রথম অধ্যায়) দেবী মহাকালিকা রূপে মধুকৈটভকে বধ করেছেন। দ্বিতীয় চরিত্রে (দ্বিতীয়-চতুর্থ অধ্যায়) দেবী মহালক্ষ্মী রূপে মহিষাসুর বধ করেছেন এবং তৃতীয় বা উত্তর চরিত্রে (পঞ্চম-ত্রয়োদশ) দেবী মহাসরস্বতী রূপে শুম্ভনিশুম্ভকে বধ করেছেন।

    শ্রীচণ্ডীতে আমরা দেখি যিনি কালী, তিনিই লক্ষ্মী এবং তিনিই সরস্বতী। কিন্তু আমরা প্রচলিত বাঙালি বিশ্বাসে দেখি দেবী দুর্গার দুই মেয়ে লক্ষ্মী এবং সরস্বতী; কিন্তু শ্রীচণ্ডী অনুসারে তাঁরা সকলেই এক আদ্যাশক্তি মহামায়া দুর্গা। শুধুমাত্র প্রকাশ বিভিন্ন। শ্রীচণ্ডীর দেবীকবচে নবদুর্গা নামে দেবীর নয় প্রকার রূপের কথা ব্যক্ত হয়েছে।

    “প্রথমং শৈলপুত্রীতি দ্বিতীয়ং ব্রহ্মচারিণী।

    তৃতীয়ং চন্দ্রঘণ্টেতি কুষ্মাণ্ডেতি চতুর্থকম্।।

    পঞ্চমং স্কন্দমাতেতি ষষ্ঠং কাত্যায়নী তথা।

    সপ্তমং কালরাত্রীতি মহাগৌরীতি চাষ্টমম্।।

    নবমং সিদ্ধিদাত্রী চ নবদূর্গাঃ প্রকীর্তিতাঃ।

    উক্তান্যেতানি নামানি ব্রহ্মণৈব মহাত্মনা।।”

    (দেবীকবচ : ৩-৫)

    “প্রথম শৈলপুত্রী, দ্বিতীয় ব্রহ্মচারিণী, তৃতীয় চন্দ্ৰঘণ্টা, চতুর্থ কুষ্মাণ্ডা, পঞ্চম স্কন্দমাতা, ষষ্ঠ কাত্যায়নী, সপ্তম কালরাত্রি, অষ্টম মহাগৌরী এবং নবম মোক্ষপ্রদাত্রী সিদ্ধিদাত্রী; দেবীর এই নবরূপই নবদুর্গা নামে প্রকীর্তিতা। এই সকল নাম ব্রহ্মের দ্বারাই উক্ত হয়েছে।”

    আরও পড়ুন : ধর্ম যার যার থাকুক, উৎসব হোক সবার

    সেই আদ্যাশক্তি মহামায়া দুর্গাই কালী, লক্ষ্মী, সরস্বতী ইত্যাদি বিবিধ নামে প্রকাশিতা। বৈদিককাল থেকেই তাঁর পূজা প্রচলিত। আশ্বলায়ন শাখার ঋগ্বেদ সংহিতার দশম মণ্ডলের রাত্রিসূক্তে রাত্রিরূপা আদ্যাশক্তি ভগবতী দুর্গাকে ক্ষীরসহ পঞ্চগব্যাদি দিয়ে দেবীর শ্রীবিগ্রহকে অভিষিক্ত করে চন্দনাদি দ্বারা অনুলিপ্ত করে “নমো দুর্গে নমো নমঃ” মন্ত্রে দেবীর গলায় বিল্বপত্রের মালা প্রদান করে পুষ্পাঞ্জলি প্রদানের নির্দেশনাও রয়েছে।

    “ক্ষীরেণ স্নাপিতা দুর্গা চন্দনেনানুলেপিতা।

    বৈল্বপত্রকৃতামালা নমো দুর্গে নমো নমঃ।।”

    (আশ্বলায়ন শাখার ঋগ্বেদ সংহিতা : ১০.১২৮.৮)

    দুর্গাপূজা এই বঙ্গে প্রাচীনকাল থেকেই প্রচলিত। বঙ্গের বিভিন্ন স্মৃতিশাস্ত্রকারদের বিধানেও আমরা দুর্গোৎসবের সরব উপস্থিতি পাই...

    পুষ্পপত্র, চন্দনাদি অনুলেপন এবং দেবীর শ্রীবিগ্রহের অভিষেকসহ বিবিধ উপাচারে দেবীর পূজাও পদ্ধতিও বৈদিক। অর্থাৎ অনেকেই বলেন, বৈদিকযুগে প্রতিমাপূজা ছিল না, প্রতিমা পূজা পদ্ধতি অবৈদিক, তাদের কথাগুলো সত্য নয়। তারা অনেকটা বেদ সম্পর্কে পরিপূর্ণভাবে না জেনেই ব্যক্তিগত বা জনপ্রিয় প্রচলিত ধারণার বশবর্তী হয়ে বলেন।

    একই সত্ত্বার শুধুমাত্র প্রকাশ বিভিন্ন হওয়ার কারণে এই দৃশ্যমান বিভিন্ন স্বরূপ দেখে মায়ার প্রভাবে বিভ্রান্ত হয়ে যাই আমরা প্রতিনিয়ত। উপাস্য রুচির বৈচিত্র্যের জন্যে একই ব্রহ্মের আলাদা আলাদা রূপের প্রকাশ। আমরা এক পরমেশ্বর ছাড়া দ্বিতীয় কারো উপাসনা করি না। বেদে বিভিন্ন মন্ত্রে অত্যন্ত সুন্দর এবং স্পষ্ট করে বিষয়টা বলা আছে।

    “ইন্দ্রং মিত্রং বরুণমগ্নি-মাহু রথো

    দিব্যঃ স সুপর্ণো গরুত্মান্।

    একং সদ্বিপ্রা বহুধা বদন্তি

    অগ্নি যমং মাতরিশ্বানমাহুঃ।।”

    (ঋগ্বেদ সংহিতা : ১.১৬৪.৪৬)

    আরও পড়ুন : মিলেছি প্রাণের উৎসবে

    “সেই সদ্বস্তু অর্থাৎ পরব্রহ্ম এক ও অদ্বিতীয়। কিন্তু জ্ঞানীগণ তাঁকেই ইন্দ্র, মিত্র, বরুণ, অগ্নি, দিব্য (সূর্য), সুপর্ণ, গরুড়, যম, বায়ু ইত্যাদি বিভিন্ন নামে অভিহিত করে থাকেন।”

    “ন দ্বিতীয়ো ন তৃতীয়শ্চতুর্থো নাপুচ্যতে।

    ন পঞ্চমো ন ষষ্ঠঃ সপ্তমো নাপুচ্যতে।

    নাষ্টমো ন নবমো দশমো নাপুচ্যতে।

    য এতং দেবমেক বৃতং বেদ।।”

    (অথর্ববেদ সংহিতা : ১৩.৪.২)

    “পরমাত্মা এক, তিনি ছাড়া কেহই দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম, ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম, নবম বা দশম ঈশ্বর বলে অভিহিত হয় না। যিনি তাঁহাকে শুধু এক বলে জানেন একমাত্র তিনিই তাঁকে প্রাপ্ত হন।”

    আরও পড়ুন : রাজনৈতিক সম্প্রীতির দেশ!

    বৈদিক একত্ববাদের মতো শ্রীচণ্ডীতেও অসংখ্য স্থানে দেবীর অদ্বৈতবাদী একত্ব বর্ণিত আছে। উত্তর চরিত্রে দেবী ব্রহ্মাণী, বৈষ্ণবী, মাহেশ্বরী, কৌমারী, ঐন্দ্রী, নারসিংহী, বারাহী এবং চামুণ্ডা এই অষ্টমাতৃকা শক্তিকে সাথে নিয়ে শুম্ভনিশুম্ভের সাথে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।

    যুদ্ধে দেবীর হাতে শুম্ভের প্রাণতুল্য ভাই নিশুম্ভ বধ হয়। শুম্ভ ভাইকে নিহত হতে দেখে এবং সকল সৈন্যবল বিনষ্ট হতে দেখে, উত্তেজিত হয়ে দেবীকে বলেন, “হে উদ্ধতা দুর্গা, তুমি গর্ব করিও না তুমি অন্যান্য বিভিন্ন দেবীকে সাথে নিয়ে আমাদের সাথে যুক্ত করছো, তাই গর্বিত হওয়ার কিছুই নেই।” শুম্ভের ক্রোধভরা উক্তি শুনে দেবী তখন বলেন—

    “একৈবাহং জগতত্র দ্বিতীয়া কা মমাপরা।

    পশ্যৈতা দুষ্ট ময্যেব বিশন্ত্যো মদ্বিভূতয়ঃ।।”

    (শ্রীচণ্ডী : ১০.০৫)

    “আমিই একমাত্র জগতে বিরাজিতা। আমার অতিরিক্ত অন্য দ্বিতীয়া আর কে আছে জগতে? ওরে দুষ্ট, ব্রহ্মাণী এই সকল দেবী আমারই অভিন্না বিভূতি। এই দেখ ওরা আমাতেই মিলে বিলীনা হয়ে যাচ্ছে।”

    অর্থাৎ দেবী এক থেকে বহু হয়েছিলেন, আবার বহু থেকে আবার এক অদ্বৈত হয়ে গেলেন।

    “একই শক্তির শুধু বিভিন্নরূপের প্রকাশ চারিদিকে

    নিরাকারকে সাকারে বাধার ভক্তচেষ্টা।

    সরস্বতী-লক্ষ্মী-কালী এ ত্রিধা মূর্তি পরিব্যাপ্ত,

    সত্ত্ব-রজঃ-তমঃ গুণপ্রতিভূ হয়ে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে।

    অণুতে পরমাণুতে সর্বত্রই চলছে সেই

    চিন্ময় শক্তির নিয়ত প্রকাশের খেলা।

    সৃষ্টির আনন্দ, স্থিতির অভিভাবকত্ব;

    ধ্বংসের মুক্তির প্রশান্তি সর্বত্রই সেই কারণমময়ী।

    তিনি অনন্তরূপী,তাঁর কোনো প্রাকৃত মূর্তি নেই,

    সন্তানের শুদ্ধমানসলোকই তাঁর মূর্ত্তির উৎস।”

    বাঙালিরা ষষ্ঠী থেকে বোধন, আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মাধ্যমে পূজা শুরু করে বিজয়া দশমীতে দশমীবিহিত বিসর্জনাঙ্গ পূজা, সিঁদুর খেলা এবং পরিশেষে নৃত্যগীতাদির সাথে বিসর্জনের মাধ্যমে পাঁচদিনের বর্ণাঢ্য দুর্গোৎসব সমাপ্ত করেন...

    সমস্যা বাধে তখনই, যখন আমরা যার যার ব্যক্তিগত বিশ্বাস থেকেই যে যে মতাবলম্বী সবাইকে সেই সেই মতাবলম্বী বানাতে চাই। আমরা ভুলে যাই বেদান্তসূত্রের চতুর্থসূত্রকে। “তত্তু সমন্বয়াৎ (১.১.৪)।” এই সূত্রেই স্পষ্ট করে বলা হয়েছে বিভিন্ন মত-পথ নির্বিশেষে সকল মত-পথই ব্রহ্ম লাভ এবং উপলব্ধির এক একটি পন্থা। তিনিই জীবকে অজ্ঞানতার মায়ার ডোরে বদ্ধ করেন, আবার তিনিই সেই বন্ধন থেকে মুক্তি দেন।

    আরও পড়ুন : ফিরে আসুক সম্প্রীতি

    ঋগ্বেদ সংহিতায় দেবী বলেছেন, তিনি রাষ্ট্রী অর্থাৎ সমগ্র বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের চালিকা শক্তি ঈশ্বরী। যে সব সাধক তার উপাসনা করে, সেই সব উপাসকদের তিনি মুক্তিরূপ নিঃশ্রেয়স ধন এবং জাগতিক আভ্যুদয়িক ধন প্রদান করেন। প্রত্যেকটি জীবের হৃদয়ের মাঝেই তিনি বিরাজিতা। তিনি যজ্ঞের অধিষ্ঠাত্রী, সব দেবতাগণের তিনি শক্তিস্বরূপা এবং অগ্রগণ্যা।

    বিবিধ রূপে প্রকাশিত হলেও তিনি এক এবং অদ্বিতীয়। তিনিই জগৎ প্রপঞ্চরূপে অনন্তভাবে, অনন্তরূপে নিমিত্ত এবং উপাদান কারণ হয়ে বিরাজ করেন। তিনিই নিমিত্ত কারণ হয়ে জগতকে পরিচালনা করেন, আবার তিনিই উপাদান কারণ হয়ে এই জগতের জড় চেতন সকল কিছুতেই বিরাজ করেন।

    তিনিই জীবাত্মা হয়ে জীবের মধ্যে প্রবিষ্টা জীবের প্রাণকে সচল রাখেন। রূপ থেকে রূপান্তরে সর্বদেশে, সর্বকালেই তিনি পূজিতা। প্রাণীকুল থেকে দেবতা সকলেই বিবিধভাবে তাকে আরাধনা করে। তিনি যেহেতু অনন্য এবং অনন্ত; তাই তাঁর উপাসনা পদ্ধতিও অনন্ত।

    “অহং রাষ্ট্রী সংগমনী বসুনাং

    চিকিতুষী প্রথমা যজ্ঞিয়ানাম্।

    তাং মা দেবা ব্যদধুঃ পুরুত্রা

    ভূরিস্থাত্রাং ভূর্যাবেশয়ন্তীম্।।”

    (ঋগ্বেদ সংহিতা : ১০.১২৫.৩)

    “আমি রাষ্ট্রী অর্থাৎ সমগ্র জগতের ঈশ্বরী। আমি উপাসকগণের ধন প্রদাত্রী। আমি পরব্রহ্মকে আত্মস্বরূপে অভিন্নরূপে প্রত্যক্ষ জেনেছি। আমি যজ্ঞিয় দেবতাগণের প্রধানা। জগৎ প্রপঞ্চরূপে আমি অনন্তভাবে অবস্থান করি এবং জীবাত্মা হয়ে জীবের মধ্যে প্রবিষ্টা। আমাকেই সর্বদেশে সুরনরাদি যজমানগণ বিবিধভাবে আরাধনা করে।”

    আরও পড়ুন : অর্থনীতি যখন উৎসবের অংশ

    ঈশ্বরকে মাতৃরূপে আরাধনা সুপ্রাচীনকাল থেকেই প্রচলিত। শুধুমাত্র ভারতবর্ষেই নয় সারা পৃথিবীব্যাপী ছিল সৃষ্টিকর্তাকে মাতৃরূপে আরাধনার প্রভাব। প্রত্যেকটি জাতির জীবনেই দেখি ঈশ্বরীরূপা মহাদেবীর অবস্থান। যেমন, সেমিটিকদের মধ্যে ছিল দেবী ননা, অনৎ; আরবদের ছিল ঈশ্বরীস্বরূপা সর্বশক্তিমান অল্লৎ; ব্যাবিলন ও আসিরিয়াতে ইশতার; পারস্যে ছিলেন মহাদেবী অর্দ্বি; ফিনিশিয়দের হলেন মিলিত্তা; মিশরের অন্যতম প্রধান দেবী হলেন আইসিস; এথেন্সের হলেন এথিনি; গ্রিকদের হলেন আর্তিমিস; রোমানদের হলেন ডায়না। অর্থাৎ পৃথিবীতে প্রাচীন খুব কম জাতিই আছে যাদের জীবনে একজন শক্তি স্বরূপা মহাদেবী নেই।

    আমাদের প্রচলিত ধারণা মতে, বসন্তকালের দুর্গাপূজাই প্রকৃত পূজা। কিন্তু এই তথ্য গ্রহণযোগ্য নয়। শ্রীচণ্ডীতে জগন্মাতা দুর্গা নিজেই তাঁর বাৎসরিক পূজা শরৎকালে করতে বলেছেন। বাল্মীকিরচিত রামায়ণে কোথাও শ্রীরামচন্দ্র কর্তৃক দুর্গাপূজার কথা পাওয়া যায় না। অবশ্য বাল্মীকিরচিত রামায়ণের যুদ্ধকাণ্ডে বা লঙ্কাকাণ্ডে একটা শ্লোকে (৮৫.৩৪) ব্রহ্মার বিধান দ্বারা রঘুনন্দনের মহামায়া পূজার ইঙ্গিত পাওয়া যায়। তবে দুর্গাপূজা বিস্তৃতভাবে পাওয়া যায় কৃত্তিবাস ওঝার (আনু. ১৩৮১-১৪৬১) লেখা কৃত্তিবাসী বাংলা রামায়ণে।

    “শরৎকালে মহাপূজা ক্রিয়তে যা চ বার্ষিকী।

    তস্যাং মমৈতম্মাহাত্ম্যং শ্রুত্বা ভক্তিসমন্বিতঃ।।”

    (শ্রীশ্রীচণ্ডী : ১২.১২)

    “শরতকালে আমার যে বাৎসরিক মহাপূজা অনুষ্ঠিত হয় তাতে সবাই ভক্তি সহকারে আমার মাহাত্ম্য কথারূপ শ্রীচণ্ডী পাঠ করে শুনবে।”

    দুর্গাপূজার প্রচলন বা মাহাত্ম্য সম্পর্কে মার্কণ্ডেয় পুরাণের ৮১-৯৩ অধ্যায় যা আমাদের কাছে শ্রীচণ্ডী নামে খ্যাত। এই শ্রীচণ্ডীর তেরটি অধ্যায়ের ৫৭৮টি শ্লোক এবং ৭০০টি মন্ত্রে দেবী মাহাত্ম্য বর্ণনা করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, পুরাকালে রাজ্যহারা রাজা সুরথ এবং স্ত্রী-সন্তানদের দ্বারা প্রতারিত সমাধি নামক এক বৈশ্য একদিন মেধা ঋষির আশ্রমে যান। সেখানে তাঁর নির্দেশে তাঁরা দেবীদুর্গার মৃন্ময়ী প্রতিমায় পূজা করেন এবং দেবীসূক্ত জপ করেন। পূজায় সন্তুষ্টা হয়ে দেবী তাঁদের মনস্কামনা পূর্ণ করেন। কৃত্তিবাসী রামায়ণ এবং কালিকা পুরাণ থেকে জানা যায়, শ্রীরামচন্দ্র রাবণবধের জন্য অকালে শরৎকালে যুদ্ধজয় করতে দেবীকে পূজা করেছিলেন। তখন থেকে এই পূজার নাম হয় অকালবোধন বা শারদীয়া দুর্গাপূজা। চৈত্রের শুক্লপক্ষেও দেবীর পূজা হয় যা বাসন্তী দুর্গাপূজা নামে খ্যাত।

    শারদীয়া দুর্গাপূজা আশ্বিনের শুক্লপক্ষে হয়। আবার কার্তিক মাসেও দেবীর পূজা হয়, যা কাত্যায়নী পূজা নামে খ্যাত। বর্তমানে আমরা বাঙালিরা যে পদ্ধতিতে দুর্গাপূজা করি এই পূজা প্রচলন করেন রাজশাহী জেলার তাহিরপুরের রাজা কংশনারায়ণ, তিনি ছিলেন মনুসংহিতার টীকাকার কুল্লুক ভট্টের বংশধর।

    কংশনারায়ণকে পূজা পদ্ধতি প্রদান করেন রাজপুরোহিত রমেশ শাস্ত্রী। দুর্গাপূজা এই বঙ্গে প্রাচীনকাল থেকেই প্রচলিত। বঙ্গের বিভিন্ন স্মৃতিশাস্ত্রকারদের বিধানেও আমরা দুর্গোৎসবের সরব উপস্থিতি পাই। জীমূতবাহনের (আনু. ১০৫০-১১৫০) দুর্গোৎসব নির্ণয়, বিদ্যাপতির (১৩৭৪-১৪৬০) দুর্গাভক্তি তরঙ্গিণী, শূলপাণির (১৩৭৫-১৪৬০) দুর্গোৎসব বিবেক, বাচস্পতি মিশ্রের (১৪২৫-১৪৮০) ক্রিয়া চিন্তামণি, শ্রীচৈতন্যদেবের সমসাময়িক রঘুনন্দনের (১৫শ-১৬শ শতক) তিথিতত্ত্ব গ্রন্থেও দুর্গাপূজার বিধান পাওয়া যায়।

    রাজশাহীর তাহেরপুরের রাজা কংশনারায়ণের পরবর্তীতে, নদীয়ার মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় (১৭১০-১৭৮৩) বিভিন্ন আড়ম্বর এবং চাকচিক্যের মাধ্যমে দুর্গাপূজাকে জনপ্রিয় করে তোলেন। একবিংশ এবং বিংশ শতাব্দীতে এসে দুর্গাপূজা রাজা, মহারাজা এবং জমিদারদের হাত থেকে বেড়িয়ে সর্বজনীন এক মহোৎসবে পরিণত হয়ে যায়। এই মহোৎসবের পরিধি বাড়তে বাড়তে আজ সারাবিশ্বময় ছড়িয়ে পড়েছে।

    আজ দুর্গোৎসব জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সারা পৃথিবীর প্রত্যেকটি ছোট, বড় শহরে অনুষ্ঠিত হয়ে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ বর্ণাঢ্য মহোৎসবে পরিণত হয়েছে। শুক্ল পক্ষের অষ্টমী, নবমী এবং বিজয়া দশমী সারা পৃথিবীতেই দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়। কেউ হয়তো ভাদ্র কৃষ্ণা নবমী থেকে পূজা শুরু করে, কেউ প্রতিপদ থেকে, কেউ বা পঞ্চমী থেকে।

    বাঙালিরা ষষ্ঠী থেকে বোধন, আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মাধ্যমে পূজা শুরু করে বিজয়া দশমীতে দশমীবিহিত বিসর্জনাঙ্গ পূজা, সিঁদুর খেলা এবং পরিশেষে নৃত্যগীতাদির সাথে বিসর্জনের মাধ্যমে পাঁচদিনের বর্ণাঢ্য দুর্গোৎসব সমাপ্ত করেন।

    দেবী দুর্গা যে রাজা-প্রজা, ভালো-মন্দ, সৎ-অসৎ নির্বিশেষে সকলেরই মা এবং তিনি যে সর্বস্থানেই বিরাজ করেন এই সরল তত্ত্বীয় বিষয় বোঝাতেই দেবীর মহাস্নানে সমাজের সর্বোচ্চ স্থানে অধিষ্ঠিত রাজার দ্বারের মাটি যেমন লাগে; পক্ষান্তরে সমাজের সর্বোচ্চ অপাংক্তেয় বেশ্যার দ্বারের মাটিসহ আরও বহু স্থানের মাটি, জলের প্রয়োজন হয়। অবশ্য বেশ্যা শব্দটি গণিকা শব্দের বাইরে ভিন্ন অর্থও হয়। তন্ত্র মতে বেশ্যা শব্দের অর্থ, কৌল অভিসিক্তা নারী অর্থাৎ শাক্ত মতে, সাধন পথে অভিষিক্তা নারীকেও বোঝায়।

    দেবী দুর্গার সর্বজনীনতার এই বিষয়টি বুঝতে হলে এই ভূখণ্ডের মনন প্রয়োজন। চোখের দৃষ্টিপথে বৈদেশিক সংস্কৃতির চশমা পরিধান করে থাকলে, কখনো বিষয়টি উপলব্ধি করা সম্ভব নয়।

    কুশল বরণ চক্রবর্ত্তী ।। সহকারী অধ্যাপক, সংস্কৃত বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

  • হজ পালনে বয়সের বিধিনিষেধ না থাকার সম্ভাবনা: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী

    ন্যাশনাল ডেস্ক: ৬৫ ঊর্ধ্ব বয়সী বাংলা‌দে‌শি হজযাত্রীরা বয়সসীমার কার‌ণে চল‌তি বছর হজ কর‌তে পা‌রেন‌নি। আগামী‌তে হ‌জের এই বয়সসীমা না-ও থাক‌তে পা‌রে ব‌লে জা‌নি‌য়ে‌ছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান।

    মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) সচিবালয়ে রিলিজিয়াস রিপোর্টার্স ফোরামের নবনির্বাচিত কমিটির সঙ্গে মতবিনিময় শেষে তিনি একথা ব‌লেন।

    প্রতিমন্ত্রী ব‌লেন, ৬৫ বছরের বিধিনিষেধের বিষয়টিও এবার না-ও থাকতে পারে। এ জিনিসটা আমরা এরই মধ্যে তাদের কাছে জানতে পেরেছি। এটা (৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের হজ পালনে বাধা না থাকা) যদি হয়, তাহলে আমাদের সিরিয়াল মেইনটেইন করে সহজে হয়ে যাবে।

    তিনি বলেন, সৌদি সরকারের সঙ্গে আমাদের যতটুকু আনঅফিসিয়াল কথা হয়েছে, সেই অনুযায়ী তাদের বিষয়ে যতটুকু জেনেছি, এবার হয়তো পূর্ণ হজই হবে ইনশা আল্লাহ। গত বছর আমাদের যেটা হয়েছিল সেটা হয়তো না-ও হতে পারে। এবার হয়তো রেশিও হিসেবে আমরা যতটুকু পাওয়ার, ততটুকু পাবো।

    প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত বছর ১০ হাজার (৬৫ বছরের বেশি বয়সী) মানুষ হজে যেতে পারেননি। এর মধ্যে ৭ হাজার রিপ্লেস করেছেন তারা সবাই। আর বাকি ৩ হাজার আমরা ইচ্ছামতো আবদার করার কার‌ণে। আগামী বছর এ সিস্টেম চালু হলে কারও কোনও আবদার রক্ষা করার সুযোগ আমাদের থাকবে না। তখন পুরো সিরিয়াল মেইনটেইন করতে হবে। আমাদের জন্য সেটা ভালো।

    সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যেতে দ্রুত প্রাক-নিবন্ধন করার পরামর্শ দিয়ে ফরিদুল হক খান বলেন, হয়তো এখনও আগামী বছর হজে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। ১০ দিন পর সেটা হয়তো থাকবে না। ১২ হাজার পার হয়েছে। সরকারিভাবে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার পেতে পারি। করোনা পরিস্থিতির অবনতি না হলে এবার বাংলাদেশের পূর্ণ কোটার হজযাত্রীরা সৌদি আরবে হজে যেতে পারবেন।

    এসময়ে রিলিজিয়াস রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি উবায়দুল্লাহ বাদল, সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবলু, অর্থ সম্পাদক শাহ আলম নূর, সদস‌্য শামসুল ইসলাম, মাসউদু্ল হক প্রমুখ উপস্থিত ছি‌লেন।

  • তালা-কলারোয়াবাসীকে সাবেক মন্ত্রী জননেতা সৈয়দ দিদার বখত্ এর শারদীয় শুভেচ্ছা

    তালা-কলারোয়াবাসীকে সাবেক মন্ত্রী জননেতা সৈয়দ দিদার বখত্ এর শারদীয় শুভেচ্ছা

    প্রেস রিলিজ::
    সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গা পূজায় সাতক্ষীরা-১(তালা-কলারোয়াবাসী) কে শারদীয় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক সফল মন্ত্রী জননেতা সৈয়দ দিদার বখত্।

    রবিবার(০২ই অক্টোবার) মহাসপ্তমীতে সংসদীয় আসন সহ সাতক্ষীরা জেলা বাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের মর্যাদা সমুন্নত রাখতে আমরা বদ্ধপরিকর। শারদীয় দুর্গাপূজাকে আনন্দ উৎসবের সাথে সাথে কেউ যাতে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়ে মানুষের মনে বিষাদ সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য সকলকে সজাগ থাকতে হবে। শারদীয় দুর্গা পূজা সনাতন সম্প্রদায়ের মধ্যে বয়ে নিয়ে আসুক অনাবিল আনন্দ। ধনী,গরিব নির্বিশেষে সবাই যেন এ আনন্দ সমানভাগে ভাগাভাগি করে এই প্রত্যাশা আমার।

    এসময় তিনি, সকল সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রতি প্রয়াত সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান পল্লীবন্ধু পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বিদেহী আতœার শান্তি কামনা সহ জাতীয় পার্টির বর্তমান চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদেরের দীর্ঘ আয়ু কামনা করার জন্য প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

    উল্লেখ্য, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজা আজ ১ই অক্টোবার মহাষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হয়ে আগামী ৫ ই অক্টোবার বিজয়া দশমীর মাধ্যমে শেষ হবে। তালা উপজেলার দুটি থানাধীন ১৯৪ টি পূজা মন্ডপ ও কলারোয়া উপজেলার ৪৬টি টি মন্ডপে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

  • মাসজিদে কুবা পরিদর্শন করলেন অতিরিক্ত সচিব ও গনযোগাযোগ অধিদপ্তরের পরিচালক

    নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরায় মেহেদীবাগাস্থ মাসজিদে কুবা মসজিদ পরিদর্শন আসেন ও নামাজ আদায় করেন অতিরিক্ত সচিব অবসরপ্রাপ্ত মোঃ আজমল হোসেন ও গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের পরিচালক মোঃ তৈয়েব আলী।

    গতকাল জোহর নামাজের পূর্বে মাসজিদে কুবায় অতিথিরা প্রবেশ করলে মাসজিদে কুবার সভাপতি জিএম নূর ইসলাম, সাধারন সম্পাদক আব্দুর রশিদ সহ অপরাপর মুসল­ীরা তাদেরকে স্বাগত জানান। তারপর অতিথিরা মাসজিদে কুবায় জোহর নামাজ আদায় করেন। জোহর নামাজ শেষে পরিদর্শন কালে অতিথিরা মসজিদ কমিটির নেতৃবৃন্দ ও মুসল­ীদের উদ্দেশ্যে বলেন, শহরের মধ্যে একটি নান্দনিক মসজিদ। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তথ্য অফিসার মোঃ মোজাম্মেল হক, মাসজিদে কুবার কোষাধ্যক্ষ আব্দুল করিম, আবু জাফর প্রমুখ। এছাড়া মাসজিদে কুবার ইমাম, মুয়াজ্জিন ও মুসল­ীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • জয় মহাপ্রভু সেবক সংঘের উদ্যোগে সাতক্ষীরা জেলা মন্দির প্রাঙ্গণে শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা উৎসব উপলক্ষে আলোচনা সভা

    জয় মহাপ্রভু সেবক সংঘের উদ্যোগে সাতক্ষীরা জেলা মন্দির প্রাঙ্গণে শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা উৎসব উপলক্ষে আলোচনা সভা


    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি : শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা উৎসব উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (০১ জুলাই) শহরের পুরাতন সাতক্ষীরাস্থ জেলা মন্দির প্রাঙ্গণ জয় মহাপ্রভু সেবক সংঘ সাতক্ষীরা জেলা শাখার আয়োজনে সংগঠনের সভাপতি গোষ্ঠ বিহারী মন্ডলের সভাপতিত্ব রথযাত্রার আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা সদর-২ আসনের সংসদ সদস্য নৌ কমান্ডো ০০০১ বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।
    আলোচনা সভায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কাজী আরিফুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা মন্দির সমিতির সভাপতি বিশ্বনাথ ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার শীল, সাতক্ষীরা জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জ্যোৎস্না আরা, সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ এস.এম কাইয়ুম, জয় মহাপ্রভু সেবক সংঘ জেলা শাখার সহ-সভাপতি এ্যাড. সোমনাথ ব্যানার্জি, নিত্যানন্দ আমীন, জেলা হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সহকারী পরিচালক অপূর্ব আদিত্য, জেলা মন্দির সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ রঘুজিৎ গুহ, রথযাত্রা উদযাপন কমিটি ২০২২ এর আহ্বায়ক অসীম কুমার দাস সোনা প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে ফিতা কেটে রথযাত্রার উদ্বোধন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি এমপি। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জয় মহাপ্রভু সেবক সংঘের সাতক্ষীরা জেলা শাখার যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক বিকাশ চন্দ্র দাস।