Category: দেবহাটা

  • দেবহাটায় জাতীয় বিদ্যুৎ ও জালানি সপ্তাহ পালিত

    দেবহাটায় জাতীয় বিদ্যুৎ ও জালানি সপ্তাহ পালিত

     

    দেবহাটা প্রতিনিধি: দেবহাটায় বিদ্যুৎ, জালানি ও খনিজ সম্পাদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ সপ্তাহ উপলক্ষ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের বক্তব্য প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বেলা ১২ টায় উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে এ প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়। পরে পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাফিজ আল আসাদের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেণ উপজেলা কৃষি অফিসার জসিমউদ্দীন, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল হাই রকেট, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুত সমিতির এজিএম(অর্থ) আব্দুল হান্নান, প্রকৌশলী(ওএন্ড এম) আশরাফুল আলম, দেবহাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি আব্দুল ওহাব, খানবাহাদুর আহছান উল্লা কলেজের অধ্যক্ষ রিয়াজুল ইসলাম, দেবহাটা সরকারি মডেল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মদন মোহন পাল প্রমুখ।

  • জেলায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে আটক-৬২

    জেলায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে আটক-৬২

    নিজস্ব প্রতিনিধি: জেলাব্যাপী বিশেষ অভিযান চালিয়ে ১৩ মাদক মামলার আসামী ও বিএনপি-জামায়াতের ৩ নেতা-কর্মীসহ ৬২ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

    গত সোমবার সন্ধ্যা থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত জেলার আটটি থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। অভিযান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৮৬ পিচ ইয়াবাসহ বেশ কিছু মাদক দ্রব্য। এ সময় বিভিন্ন অভিযোগে ৯টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    আটককৃতদের মধ্যে, সাতক্ষীরা সদর থানার ১৬ জন, কলারোয়া থানার ১২ জন, তালা থানার ৫ জন, কালিগঞ্জ থানার ১২ জন, শ্যামনগর থানার ৬ জন, আশাশুনি থানার ৬ জন, দেবহাটা থানার ২ জন ও পাটকেলঘাটা থানার থেকে ৩ জনকে আটক করা হয়েছে।

    জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে।

  • দেবহাটায় প্রতিবন্ধী স্বাস্থ্য সেবা কমিটির ত্রৈমাসিক সভা

    দেবহাটায় প্রতিবন্ধী স্বাস্থ্য সেবা কমিটির ত্রৈমাসিক সভা

    সখিপুর প্রতিনিধি: দেবহাটায় প্রতিবন্ধীদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণ ও পুনর্বাসন সেবা সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় উপজেলা প্রতিবন্ধী স্বাস্থ্য কমিটির ত্রৈমাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    রবিবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সভা কক্ষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রাণালয় ও সিবিএম’র সহযোগীতায়, বেসরকারী সংস্থা ডিআরআরএ’র পরিচালনায় এবং আস্টেলিয়ান এইডের অর্থায়নে উক্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুল লতিফ। সভায় মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে মূল প্রবন্ধ তুলে ধরেন ডিআরআরএ’র জেলা ম্যানেজার আবুল হোসেন।

    অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা পারভীন, সমাজসেবা অফিসার অধির কুমার গাইন, সাবেক সখিপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট সমাজসেবক আলহাজ্ব সালামাতুল্লাাহ গাজী, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকারী সার্জন ডাঃ নাসরিন নাহার, দেবহাটা রিপোর্টাস ক্লাবের সভাপতি মীর খায়রুল আলম, ডিআরআরএ’র কমিউনিটি মবিলাইজার করবী স্বর্ণকার, সহকারী হিসাবরক্ষক সুকুমার রায়, এমএসআই অফিসার এহছানুল করিম, ডিপিও সদস্য মুর্শিদা পারভীন, সাবিয়া সুলতানা, রেশমা পারভীন, আছের আলী, সাবিহা পারভীন, রেশমা পারভীন প্রমূখ।

    সভায় সংস্থাটির পক্ষ থেকে বিভিন্ন সেবা সমূহের অর্জন নিয়ে আলোচনার করা হয়। পাশাপাশি সখিপুর হাসপাতালটি প্রতিবন্ধী বান্ধব করতে কাজ করা হয়েছে বলে জানানো হয়। এছাড়া চলতি ৩ মাসে নতুন বিভিন্ন থেরাপি প্রদান করা পাশাপাাশি সহায়ক উপকরণ, উন্নত চিকিৎসা ও ঔষধ সেবা প্রদান সহ বিভিন্ন প্রকার সেবা চলমান রয়েছে।

  • কুলিয়ায় ইউনিয়নে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্ট

    শিক্ষাঙ্গণ প্রতিনিধি: শনিবার সকাল ৮টায় বহেরা ভাটামাঠে ইউনিয়নের বিভিন্ন প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা ফজিলাতুনন্নেছা গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠিত হয়। খেলা উদ্বোধন করেন কুলিয়া ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আছাদুল ইসলাম। খেলায় পুষ্পকটি জিপিএস(বালক)একাদশ খাসখামার জিপিএস(বালক) একাদশকে ০-১ গোলে পরাজিত করে। খাসখামার জিপিএস (বালিকা) একাদশ পুষ্পকটি জিপিএস একাদশকে০-১ গোলে পরাজিত করে। অপর খেলায় বহেরা জিপিএস (বালক)একাদশ হিরারচক একাদশকে ৪-০ গোলে পরাজিত করে। একই সাথে বালিকা দল বহেরা জিপিএস একাদশ হিরারচক একাদশকে ১-০ গোলে পরাজিত করে। এছাড়া বালিয়াডাঙ্গা বালক দল শশাডাঙ্গা একাদশ ৩-১ গোলে পরাজিত করে এবং বালিকা দল বালিয়াডাঙ্গা একাদশ শশাডাঙ্গা একাদশকে ০-১ গোলে পরাজিত করে।

  • দেবহাটার রুপসী ম্যানগ্রোভ পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক

    দেবহাটার রুপসী ম্যানগ্রোভ পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক

    রেজাইল / নাসির : দেবহাটা উপজেলার শীভনগরে অবস্থিত ইছামতি নদীর কুল ষেষে গড়ে উঠা “রুপসী ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট” পিকনিক স্পটে শনিবার বিকালে পরিদর্শনে করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন। এই রুপসী ম্যানগ্রোভ পিকনিট স্পটটি সরকারি পৃষ্টপোতকতায় ও সাহায্যে হতে চলেছে দেশের অন্যতম একটি পর্যটন শিল্প। ভারত-বাংলাদেশ বিভাজনকারী ইছামতি নদীর কুল ঘেষে দেবহাটা উপজেলার শীবনগর গ্রামে গত প্রায় ৫ বছর আগে মানুষের চিত্ত বিনোদনের লক্ষ্যে দেবহাটা উপজেলা পরিষদের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এড. গোলাম মোস্তফার উদ্যোগে সুন্দরবনের আদলে গড়ে তোলা হয় “রুপসী ম্যানেগ্রাভ দেবহাটা ফরেস্ট” নামে একটি বিনোদন কেন্দ্র। তৎকালীন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ড. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই “রুপসী দেবহাটা ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট” উদ্বোধন করেন। এখানে সুন্দরবন থেকে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ এনে সেসময় রোপন করা হয়, খনন করা হয় একটি দিঘী, তৈরী করা হয় একটি রেস্ট হাউজ। গত ২ বছর আগে এখানে আসেন প্রধানমন্ত্রীর কার্য্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) কবির বিন আনোয়ার। তিনি জায়গাটিতে এসে মুদ্ধ হন এবং উন্নয়নের সবধরনের আশ^াস প্রদান করেন। গত কয়েক মাস আগে থেকে বর্তমান দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ-আল আসাদের উদ্যোগে ও নির্দেশনায় এই বিনোদন কেন্দ্রটিকে আরো নান্দনিক ও নয়নাভিরাম করে একটি সৌন্দর্যপূর্নভাবে মানুষের চিত্ত বিনোদনের জন্য গড়ে তুলতে ট্রেইল নির্মান, দিঘীতে প্যাডেল বোর্ড দেয়া, পাকা বেঞ্চ নির্মান, বিভিন্ন কৃত্রিম পশু পাখি স্থাপন, গাড়ী গ্যারেজ, উপজেলা সদর থেকে রুপসী ম্যানগ্রোভ পর্যন্ত পিচের রাস্তা নির্মান সহ বিভিন্ন কাজ শুরু করা হয়। সেসব কাজের অনেকটাই শেষ হয়ে বর্তমানে এই চিত্ত বিনোদন কেন্দ্রটি এখন নান্দনিক রুপ ধারন করেছে। দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ-আল আসাদ জানান, রুপসী দেবহাটা ম্যানগ্রোভ পর্যটন কেন্দ্রটি দেবহাটা উপজেলার শিবনগর মৌজার ১ নং খতিয়ানের ৩৯৮ নং দাগের ইছামতি নদীর তীরে জেগে ওঠা চরভূমি। যার আয়তন ৩১.৪৬ একর (০৭ একর পুকুরসহ)। দেবহাটা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গড়ে ওঠা ম্যানগ্রোভ বন সাতক্ষীরা জেলার বর্তমানে একটি উল্লেখযোগ্য পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। এ পর্যটন কেন্দ্রে রয়েছে সুন্দরবনের বিভিন্ন প্রজাতির গাছ-গাছালি ও নানা ফলদবৃক্ষ। দুরদুরন্ত থেকে দেশী ও বিদেশী পর্যটকরা এসে বাংলাদেশ ও ভারত সীমান্তবর্তী ইছামতি নদীর সৌন্দর্য এবং রুপসী দেবহাটা ম্যানগ্রোভ বনের অপরুপ সৌন্দর্যে মুগ্ধ হচ্ছেন। ইউএনও আরো বলেন, এখানে সাধারনত প্রতিদিন ৫০০-৬০০ জন এবং শুক্র ও শনিবার ১০০০ জন পর্যটক আসছেন। গত ঈদুল ফিতরের দিন থেকে এই পিকনিট স্পটে টিকিট সিস্টেম করে প্রায় ১ লক্ষ টাকার রাজস্ব আয় হয়েছে বলে ইউএনও জানান। শনিবার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন সাতক্ষীরায় যোগদানের পরে প্রথম এখানে এসে বিনোদন কেন্দ্রটির অপরুপ প্রাকৃতিক রুপ দেখে মুদ্ধ হন। তিনি হেটে হেটে বিনোদন কেন্দ্রটির সকল জায়গা পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি রুপসী ম্যানগ্রোটিকে আরো সৌন্দর্যপূর্ন করতে কাজ করবেন বলে জানান। এসময় জেলা প্রশাসকের সাথে দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ-আল আসাদ, দেবহাটা থানার ওসি কাজী কামাল হোসেন, সাতক্ষীরার নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটদের মধ্যে আমিনুর রহমান, আবু তালেব, আক্তার হোসেন, শািম্ম আক্তার, জেলা পরিষদ সদস্য আল ফেরদাউস আলফা, দেবহাটা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা অধীর কুমার গাইন, দেবহাটা সদর ইউপি চেয়ারম্যান আবু বকর গাজী, পারুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, দেবহাটার টাউনশ্রীপুর বিজিবির সুবেদার শাহাব উদ্দীন, দেবহাটা প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব আর.কে.বাপ্পা, সাংবাদিক কে.এম রেজাউল করিম সহ প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • দেবহাটায় ইছামতি নদীর ভেড়ীবাঁধ ঝুকিপূর্ণ : বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্ক্ষা

    দেবহাটায় ইছামতি নদীর ভেড়ীবাঁধ ঝুকিপূর্ণ : বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্ক্ষা

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা উপজেলার গা ঘেষে বয়ে যাওয়া ভারত-বাংলাদেশের সীমান্ত নদী ইছামতির কয়েকটি স্থানে ভয়াবহ ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।
    চলতি বর্ষা মৌসুমে ভেড়ীবাধের ভাঙন ব্যাপক দেখা দেয়ায় আতঙ্কে রয়েছেন গ্রামবাসী। সহায় সম্পদ রক্ষার জন্য তাদের খাওয়া ঘুম প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম। ভেড়িবাধের সামান্য যে অংশটুকু এখনো অক্ষত আছে যদি পানির চাপে সেটুকুও ভেঙ্গে যায় তাহলে নাংলা, ছুটিপুর, ঘোনাপাড়সহ কয়েকটি গ্রাম ইছামতি নদীর পানিতে তলিয়ে যেতে পারে। নষ্ট হতে পারে ফসলি জমি, প্রানহাণি ঘটতে পারে মানুষ সহ প্রাণী সম্পদের।
    পানি উন্নয়ন বোর্ড এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় গ্রামবাসীর আতংক আরও বেড়ে চলেছে। অপরিকল্পিতভাবে চিংড়ি চাষ এবং গুটিকয়েক মানুষের ঠেলা জাল নদীতে ফেলার কারণে দেবহাটা উপজেলার চরকোমরপুর, ভাতশালা, টাউনশ্রীপুর, সুশীলগাতী, শীবনগর ও নাংলা সহ কয়েকটি স্থানের ভেড়ীবাধে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। গত বছরে যে সামান্য পরিমানের কাজ করা হয়েছিল সেসব স্থানে ছাড়াও নতুন নতুন স্থানে আবারো ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।
    গ্রামবাসীরা জানান, স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী মহল ড্রেজার মেশিন দিয়ে নদীপাড় থেকে বালু তোলার কারণে নদীর বাধঁ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বর্তমানেও উপজেলার সুশীলগাতি এলাকায় মেশিনের সাহায্যে বালু তোলা হচ্ছে। বড় কোন জোয়ার বা বৃষ্টি হলেই ভেড়ীবাধঁগুলো যেকোন সময় ভেঙ্গে যেতে পারে।
    ভেড়ীবাধঁঁ গুলির মধ্যে সবচেয়ে ঝুকিপূর্ণ নাংলা ছুটিপুর, সুশীলগাতী এলাকার বিজিবি পোষ্টের সামনে, টাউনশ্রীপুর ও ভাতশালা গ্রামের সামনের বাঁধ।
    এলাকাবাসীরা জানান, প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে ভেড়ীবাধঁগুলো ঝুকির মধ্যে থাকে। পাউবো মাঝে মাঝে সংষ্কার কাজ করে কিন্তু সেটাও নামমাত্র। এর মধ্যে আবার প্রকাশ্যে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু ও নদীর মাটি কেটে নিয়ে কতিপয় অসাধু মহল।
    গ্রামবাসী আরও জানান, চিংড়ি চাষীরা খেয়ালখুশীমত মূল বাধেঁর গা ঘেষে ছোট-ছোট বাঁধ দিয়ে মূল বাঁধের সর্বনাশ করছে। বেড়িবাঁধের গা ঘেঁষে পোনা ধরা এবং বালু তোলার কারণে বাঁধগুলো ক্রমেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। কয়েক বছর আগে শীবনগরের পাশে রাজনগর মৌজা ইছামতির নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়।
    এ বিষয়ে বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলেও পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত কার্যকর কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।
    নওয়াপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি লাভলু বিশ্বাস জানান, নাংলা এলাকার ভেড়ীবাধঁটি অত্যন্ত ঝুকিপূর্ণ হওয়ায় তারা ইতিমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। কিন্তু অনেক দিন পার হলেও এখনো পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
    দেবহাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নওয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মুজিবর রহমান জানান, নাংলা এলাকার ভেড়ীবাধঁ সংষ্কারের বিষয়ে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. আফম রুহুল হক কে সরেজমিনে দেখিয়েছেন। সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডকেও জানিয়েছেন। কিন্তু তারা এখনো কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
    এব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড ১ এর আওতাধীন ৩ নং পোল্ডারের কালীগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও ওবায়দুল হক মল্লিক জানান, নাংলা এলাকার বাধঁ সংস্কারে এবং পাকা ব্লক দেয়ার জন্য প্রজেক্ট দেয়া আছে। বাজেট পেলেই কাজ শুরু করা হবে।
    দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ-আল আসাদ জানান, তিনি ইতিমধ্যে ভেড়ীবাধঁ সংষ্কারের বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছেন। এ পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত গ্রামবাসী নদী ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণে কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
  • জেলায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে আটক-৫৮

    জেলায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে আটক-৫৮

    নিজস্ব প্রতিনিধি: জেলাব্যাপী পুলিশের বিশেষ অভিযানে বিএনপি-জামায়াতের ৬ নেতা কর্মীসহ ৫৮ জনকে আটক করা হয়েছে।

    বুধবার সন্ধ্যা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পযর্ন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। অভিযান চলাকালে হয়েছে বেশ কিছু মাদক দ্রব্য উদ্ধার করা। এসময় বিভিন্ন অভিযোগে ৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    আটককৃতদের মধ্যে, সাতক্ষীরা সদর থানার ৮ জন, কলারোয়া থানার ৭ জন, তালা থানার ৪ জন, কালিগঞ্জ থানার ১০ জন, শ্যামনগর থানার ১৬ জন, আশাশুনি থানার ৭ জন, দেবহাটা থানার ৪ জন ও পাটকেলঘাটা থানার ২ জন।

    জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে।

  • দেবহাটায় মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষন: শিক্ষক আটক

    সখিপুর প্রতিনিধি: দেবহাটায় এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণ করার ঘটনা ঘটেছে। ধর্ষিতার পিতার দায়ের করা মামলায় লম্পট শিক্ষক ফজর আলীকে আটক করেছে পুলিশ।

    সে কালিগঞ্জ উপজেলার কাশেমপুর গ্রামের দবিরউদ্দীন খাঁনের ছেলে ও দেবহাটা উপজেলার হাদীপুর আহছানিয়া আলিম মাদ্রাসার আইসিটি শিক্ষক।

    মামলার বাদি ছাত্রীর পিতা জানান, তিনি ও মাদ্রাসার আইসিটি শিক্ষক ফজর আলী একই সাথে মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করের। সে সুবাদে লম্পট ফজর আলী আমার বাড়িতে আসা যাওয়া করতেন। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আমার এসএসসি পড়–য়া কন্যাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রায় ২ বছর ধরে ধর্ষণ করে আসছে। গত ১০জুন রাতে তিনি জানতে পারি লম্পট ফজর আলী তার মেয়ে ধর্ষণ করেছে। তার স্ত্রী মমতাজ বেগম দেখতে পেয়ে চিৎকার করলে ফজর আলী পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে তিনি বাদি হয়ে দেবহাটা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০১ এর ৯(১) ধারায় মামলা দায়ের করি। যার মামলা নং- ১২। এঘটনায় দেবহাটা থানা পুলিশ ধর্ষক ফজর আলীকে আটক করে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে।

  • সখিপুওে ত্রৈমাসিক ডায়লগ সেশন অনুষ্ঠিত

    সখিপুওে ত্রৈমাসিক ডায়লগ সেশন অনুষ্ঠিত

    দেবহাটা প্রতিনিধি: দেবহাটার সখিপুরে স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিদের সাথে ত্রৈমাসিক ডায়লগ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    বুধবার সকালে সখিপুর ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে ব্রেকিং দ্যা সাইলেন্স এর আয়োজনে উক্ত সেশন অনুষ্ঠিত হয়।

    অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সখিপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরতী রানী ঘোষ। ব্রেকিং দ্যা সাইলেন্স এর ইউ এফবিটিএস আব্দুল মান্নানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ইউপি সদস্য মোনাজাত আলী, পরিতোষ বিশ্বাস, আব্দুল করিম, আবুল হোসেন, জগন্নাথ মন্ডল প্রমুখ।

  • কুলিয়ার জামায়াতের অর্থদাতা ছবুর এর খুটির জোর কোথায়?

    নিজস্ব প্রতিনিধিঃ দেবহাটা উপজেলার ০১নং কুলিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মৃত আঃ খালেক এর পুত্র আব্দুস সবুর (৩০) এর বিরুদ্ধে সরকারী রাস্তা দখল করে ঘর বাড়ি নির্মান এর অভিযোগ উঠেছে।

    জামায়াত এর অর্থদাতা আব্দুস সবুর মানুষের চলাচলের সরকারী রাস্তা দখল করে তাহার বসত বাড়ী নির্মান করছে। সরজমিনে তদন্ত কালে স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, হঠাৎ করে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হওয়া এই আব্দুস ছবুর কুলিয়া ইউনিয়ন জামায়াত ইসলামের অর্থদাতা। তার অদৃশ্য ক্ষমতার জোরে রাস্তা দখল করে আলিশান বাড়ি নির্মান করার পায়তারা করছে। হঠাৎ করে ধন সম্পত্তির মালিক বনে যাওয়া এই ছবুর কারো তোয়াক্কা করে না। কিছুদিন আগে সামান্য কিছু পাওনা টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে স্থানীয় দীনমজুর যুবক জায়নাল কে মধ্যযুগীয় কায়দায় গাছের সাথে বেধে নির্যাতন করে। এ নিয়ে দেবহাটা থানায় একটি মামলা রেকর্ড হয়।

    এ ব্যাপারে ৫নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্যের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এলাকার লোকজন আমার কাছে মৌখিক ভাবে অভিযোগ জানালে আমি গ্রাম পুলিশ কে দিয়ে ছবুর কে ঘর নির্মান না করার জন্য বললে সে গ্রাম পুলিশকে বলে মেম্বর চেয়ারম্যান তো দুরের কথা প্রশাসনও আমার কিছু করতে পারবে না। তার এমন বক্তব্যে এলাকাবাসীর “প্রশ্ন ছবুরের এই অদৃশ্য ক্ষমতার জোর কোথায়?”

  • কুলিয়ায় ইমামদের ঈদ সামগ্রী বিতরণ

    কুলিয়ায় ইমামদের ঈদ সামগ্রী বিতরণ

    নিজস্ব প্রতিনিধি: দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. ইমাদুল ইসলাম নিজস্ব অর্থায়নে ইউনিয়নের ইমামদের ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেছেন।

    ঈদ সামগ্রী বিতরণী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কুলিয়া ইউপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. আসাদুল ইসলাম।

    অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য রওনাক উল ইসলাম, শাহাদাত হোসেন, গোলাম রব্বানী, আমিরুল ইসলাম, প্রেম কুমার, অচিন্ত মন্ডল, ভরত চন্দ্র সরকার, বিকাশ সরকার, ইউপি সদস্যা ফতেমা খাতুন, শ্যামলী রানী প্রমুখ।

    সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ইউপি সচিব মো. ফারুক হোসেন।

  • জেলায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে আটক-৩৯

    শহর প্রতিনিধি: জেলাব্যাপী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ৩৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। বিভিন্ন অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে ৪টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    আটককৃতদের মধ্যে, সাতক্ষীরা সদর থানার ৬ জন, কলারোয়া থানার ৬ জন, তালা থানার ৩ জন, কালিগঞ্জ থানার ৬ জন, শ্যামনগর থানার ৮ জন, আশাশুনি থানার ৬ জন, দেবহাটা থানার ২ জন ও পাটকেলঘাটা থানার ২ জন।

    জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে।

  • দেবহাটা উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল গণির দায়িত্ব গ্রহণ

    দেবহাটা উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল গণির দায়িত্ব গ্রহণ

    দেবহাটা উপজেলা চেয়ারম্যান ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল গণি উপজেলা পরিষদের দায়িত্ব গ্রহণ ও মতবিনিময় সভা করেন। গত বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় উপজেলা পরিষদের অফিস কক্ষে সাধারণ জনগনের সাথে মতবিনিময় করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাফিজ-আল-আসাদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের সদস্য আল ফেরদাউস আলফা, উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা আব্দুল হাই, শেখ মারুফ হোসেন, সাতক্ষীরা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের আহবয়াক আবু রায়হান তিতু প্রমূখ।

  • কুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে ভিক্ষুকদের সাথে ইউএনওর ইফতারী

    কুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে ভিক্ষুকদের সাথে ইউএনওর ইফতারী

    গতকাল দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ভিক্ষুকদের নিয়ে এক ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। কুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ আসাদুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাফিজ আল আসাদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ সদস্য আল ফেরদৌস আলফা। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন কুলিয়া ইউপি সদস্য রওনাক উল ইসলাম, শাহাদাত হোসেন, আমিরুল ইসলাম, প্রেম কুমার , অচন্ত মন্ডল, ভরত চন্দ্র সরকার, ইউপি সদস্যা শ্যামলী রানী, পারুলিয়া ইউপি সদস্য ফরহাদ হোসেন হিরা প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন কুলিয়া ইউপি সচিব মোঃ ফারুক হোসেন। ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ভিক্ষুকদের মাঝে উপজেলা পরিষদ এর পক্ষ থেকে শিমাই চিনি ও জেলা পরিষদ সদস্য আলফার পক্ষ থেকে লাড়ি লুঙ্গি বিতরণ করা হয়।

  • ‘ভাই কর্নেল তাই জায়গা দখল করতে দোকান ঘরে আগুন দিয়েছি’

    নিজস্ব প্রতিনিধি: আমার ভাই সেনা বাহিনীর কর্নেল কেউ আমার কিছু করতে পারবে না। তাই দোকানের জায়গা দখল করার জন্য আমি ও আমার সহযোগী একই এলাকার বহেরা গ্রামের হায়দার আলী সাহাজীর ছেলে ওহাব আলী মধ্যরাতে দোকান ঘর গুলো আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছি। থানার ওসি আমার পকেটে থাকে। অত্যন্ত দম্ভোক্তির সাথে শত শত লোকের সামনে বাজারে কথা গুলো বলছিল দেবহাটা উপজেলার বহেরা গ্রামের মৃত আবু সরদারের পুত্র জামায়াতের পৃষ্ঠপোষক অলিউল ইসলাম। উল্লেখ্য যে গত ৩০শে এপ্রিল দেবহাটা উপজেলার বহেরা বাজারে আমির আলীর হোটেল, ডাঃ শোকর আলীর ঔষধের দোকান ও ফরিদ মিস্ত্রীর দোকানে মধ্যরাতে হঠাৎ করে আগুন লেগে ভষ্ম হয়ে যায়। তবে আগুন লাগার সঠিক কারন জানা না গেলেও ধারনা করা হচ্ছিল যে, বৈদ্যুতিক শক সার্কিটের ফলে আগুনের সৃষ্টি হতে পারে।এমতাবস্তায় দোকানের মালিক গন আগুনে পোড়া দোকান গুলো সাম্প্রতিক মেরামত করতে গেলে বাধা দেন দোকানের পিছনের বাড়ির মালিক অলিউল ইসলাম । তিনি উক্ত জায়গা তার বলে দাবী করেন। এ নিয়ে বহেরা বাজারে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে শালিসি বৈঠকের আয়োজন করলে অলিউল ইসলাম শালিস না মেনে শালিসে উপস্থিত সকলের সামনে জায়গা দখলের জন্য তিনি নিজে ও তার সহযোগী মিলে ঐ দোকান গুলোতে আগুন দিয়ে দোকান পুড়িয়ে দিয়েছেন। দুই-এক জন থানার ওসি আমার পকেটে থাকে। এ ব্যাপারে দোকান মালিক গণ জানান আমরা ৩৫ বছর ধরে এখানে ব্যবসা করে আসছি। কিন্তু সাম্প্রতিক কয়েক মাস ধরে অলিউল ইসলাম আমাদের দোকান ভেঙ্গে গায়ের জোরে জায়গা দখল করার হুমকি দিয়ে আসছিলো। যা বাজারের সকল ব্যবসায়ীগণ জানে। এ ব্যাপারে বাজার এলাকায় বসবাসকারী দেবহাটা উপজেলা ছাত্র লীগের সাধারন সম্পাদক হাফিজুল ইসলাম, ও কুলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম জানান অলিউল প্রকাশ্যে শালিসি বৈঠকে দোকানে আগুন দেওয়ার কথা স্বীকার করেছে এবং তার ভাই সেনা বাহিনীর উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা হওয়ায় তাকে কেউ কিছু করতে পারবে না বলেও চ্যালেঞ্জ করেছে। এ ব্যাপারে বাজারের সাধারন ব্যবসায়ী ও এলাকার সচেতন মহল এই আতœস্বীকৃত অপরাধীর বিরুদ্বে দ্রুত আইনানুগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

  • দেবহাটায় জমজমাট ঈদ বাজার

    দেবহাটা ব্যুরো: দেবহাটায় ঈদের প্রস্তুতিতে ঈদ বাজার সরগরম হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন পোশাকের পাশাপাশি কেনাকাটায় সাজসজ্জায় তরুনীদের ভিড় বেড়েছে। ঈদের দিন নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে কিংবা নতুন সাজে নিজেকে সাজাতে তরুনীদের কাছে বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ন। তাই কসমেটিসকসের দোকানগুলোতে বিভিন্ন বয়সের নারীর পাশাপাশি তরুনীদের ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। রোজার শেষ প্রান্তে এসে ঈদ-উল ফিতরের প্রহর গুনছেন সবাই। ঈদ নিয়ে এরইমধ্যে মবার মধ্যে কম-বেশী প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে। শেষ মূহুর্তে দেবহাটার বিভিন্ন শপিং সেন্টার ঘুরে এমনই চিত্র পাওয়া গেছে। বিভিন্ন মার্কেটে সকল শ্রেনী পেশার মানুষেরা শাড়ী, থ্রি-পিচ, বাচ্চাদের পোশাক সহ পাঞ্জাবী কিনতে ভিড় করছেন। যাদের ঈদের পোশাক কেনা শেষ তারা ব্যস্ত রয়েছেন পোশাকের সাথে ম্যাচিং করে কানের দুল, চুড়ি সহ সাজগোজের বিভিন্ন অনুসংগ কিনতে এক মার্কেট থেকে আরেক মার্কেটে ছুটে চলেছেন। পোশাকের পূর্নতা পায় রুচিশীল সাজ সজ্জায়। ঈদ ছাড়াও মোটামুটি বছরের সকর সময়েই কম-বেশী কসমেটিকস ও জুয়েলারি দোকানের বিক্রেতারা ব্যস্ত সময় পার করেন। তবে ঈদের সময় একটি বেশীই ব্যস্ত থাকেন তারা। পারুলিয়া ঝিলমিল কসমেটিকসের মালিক মোজাফফর রহমান ও রফিকুল ইসলাম জানান, ঈদ হচ্ছে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় উৎসব। বিশেষ করে রোজার ঈদে মানুষের আগ্রহটা একটু বেশীই থাকে। এই ঈদে সকল মানুষরাই তাদের সাধ্যের মধ্যে কেনাকাটা করেন। তারা জানান, তরুনীরা তাদের পছন্দমতো প্রসাধনী সামগ্রী কিনতে বেশী আগ্রহী। বিশেষ করে পোষাকের সাথে ম্যাচিং করে নেইল পলিশ, চুড়ি, দুল সহ প্রসাধনী সামগ্রী কিনতে তরুনীদের চাহিদা পুরন করতে তারা চেষ্টা করেন। তবে তারা জানান, এবছর তরুনীদের ব্রান্ডের বিভিন্ন কসমেটিকসের জিনিষের প্রতিই আগ্রহ বেশী। এবছর কিন্তু একটি বিষয় লক্ষ্য করা গেছে, সেটা হলো আগের মতো এখন আর পোশাকের কোন নাম নেই। রুচিশীল পোশাকের প্রতিই এবার সবার আগ্রহটা একটু বেশী বলে জানা গেছে। যাইহোক সার্বিক বিষয়ে ঈদ প্রস্তুতিতে এখন ব্যস্ত নি¤œ মধ্যবিত্ত থেকে বিত্তশালী পর্যন্ত সকল শ্রেনী পেশার মানুষ। সবাই তাদের সাধ্যের মধ্যে কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।

  • দেবহাটায় আটক ৩৫ জামায়াত কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

    দেবহাটা ব্যুরো: দেবহাটায় পুলিশের অভিযানে জামায়াতের গোপন বৈঠক করার অভিযোগে আটককৃত ৩৪ জন নারীকর্মীকে আটক করে।
    গতকালদেবহাটায় পুলিশের অভিযানে জামায়াতের গোপন বৈঠক করার অভিযোগে আটককৃত ৩৪ জন বিরুদ্ধে দেবহাটা থানায় মামলা হয়েছে। মামলাটি দায়ের করেছেন দেবহাটা থানার এসআই রাজিব কুমার। মামলার আসামীরা হলেন, উত্তর সখিপুর গ্রামের মৃত মোহর আলীর ছেলে মহিউদ্দীন মিস্ত্রী (৪৬), একই গ্রামের রাহাতুল্লার স্ত্রী ফজিলা বেগম (৪২), একই গ্রামের সাবুর আলী গাজীর স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৫৮), দক্ষিন পারুলিয়া গ্রামের নাসিরুল ইসলামের স্ত্রী রুমা খাতুন (১৯), ধোপাডাঙ্গা গ্রামের মৃত গফুর গাজীর স্ত্রী রোজিনা বেগম (৪৮), উত্তর সখিপুর গ্রামের আবুল কাশেমের স্ত্রী রাবেয়া খাতুন (৫৫), একই গ্রামের আরশাদ আলীর স্ত্রী স্বপ্না বেগম (৩১), একই গ্রামের সালামতুল্লা গাজীর স্ত্রী আকিলা বেগম (৫৮), একই গ্রামের আজিজুল ইসলামের স্ত্রী সায়রা খাতুন (৩৩), সাতক্ষীরা সদর থানার মাগুরা গ্রামের শফিউল্লাহ শেখের স্ত্রী জরিনা বেগম (৩০), উত্তর সখিপুর গ্রামের নুর ইসলাম সরদার খোকনের স্ত্রী কদবানু বেগম (৪৮), দক্ষিন সখিপুর গ্রামের মুনসুর আলীর স্ত্রী খোদেজা বেগম (৫২), উত্তর সখিপুর গ্রামের মৃত ছবেদ আলীর স্ত্রী শাহিদা খাতুন (৬৬), একই গ্রামের রবিউল ইসলামের স্ত্রী তাসলিমা খাতুন (২৬), একই গ্রামের মারুফ হোসেনের স্ত্রী বেবি খাতুন (৩৭), মোহাম্মাদলীপুর গ্রামের আব্দুর রশিদের মেয়ে সেলিনা পারভিন (২৬), উত্তর সখিপুর গ্রামের মহিউদ্দীন গাজীর স্ত্রী বিলকিস বেগম (৩৯), একই গ্রামের হাসন সেলিমের স্ত্রী রাবেয়া বেগম (৩৯), একই গ্রামের আবুল বাসারের স্ত্রী জামিলা খাতুন রুপা (২৪), একই গ্রামের আবুল কালামের স্ত্রী সুফিয়া খাতুন (৪১), সামছুল আরেফের স্ত্রী তহুরা খাতুন (৩৬), খেজুরবাড়িয়া গ্রামের সোহরাব খাকনের স্ত্রী রাবেয়া খাতুন (৪৬), উত্তর সখিপুর গ্রামের আব্দুল হামিদের স্ত্রী বিলকিস খাতুন (২৪), একই গ্রামের রবিউল ইসলামের স্ত্রী হাফিজা খাতুন (৪৫), একই গ্রামের বাবুর আলীর স্ত্রী জোহরা বেগম (৪৯), একই গ্রামের মৃত সাকাতুল্লাহ গাজীর স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৫৫), একই গ্রামের শাহজাহান মিস্ত্রির স্ত্রী আঞ্জুয়াবা খাতুন (৪১), একই গ্রামের নুর ইসলাম মোল্লার স্ত্রী সুফিয়া খাতুন (৩২), একই গ্রামের সামছুর রহমানের স্ত্রী জেলেখা বেগম (৩৬), দক্ষিন পারুলিয়া গ্রামের আব্দুর রউফের স্ত্রী রেহেনা বেগম (৩৭), আশাশুনির খাজরা গ্রামের আজিজ সরদারের স্ত্রী রোজিনা আজিজ (৩৭), উত্তর সখিপুর গ্রামের শেখ আলী হোসেনের স্ত্রী মাসুদা খাতুন (৪৫), একই গ্রামের ইব্রাহীমের স্ত্রী মাহফুজা খাতুন (৩৫), একই গ্রামের হবিবার সরদারের স্ত্রী শিল্পী খাতুন (২৩) ও একই গ্রামের আল মামুনের স্ত্রী শাহানারা খাতুন (১৬)। উল্লেখিত আসামীদের বিরুদ্ধে দেবহাটা থানার এসআই রাজিব কুমার বাদী হয়ে ১৯০৮ সালের বিষ্ফোরক দ্রব্য আইন তৎসহ ১৫(৩)২৫-উ ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে দেবহাটা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। যার মামলা নং- ০২/১৮, জি আর নং- ৭০/১৮। আটককৃত আসামীদেরকে রবিবার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরন করা হয়েছে। উল্লেখ্য, শনিবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে দেবহাটা উপজেলার সখিপুর গ্রামের মৃত মোহর আলীর ছেলে মহিউদ্দীনের বাড়ি থেকে জামায়াতের গোপন বৈঠক করার সময় উক্ত আসামীদেরকে আটক করা হয়।

  • দেবহাটা সরকারি বিবিএমপি হাইস্কুলের শতবর্ষ উদযাপন কমিটির সভা

    দেবহাটা ব্যুরো: দেবহাটা উপজেলা সদরের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক সদ্য সরকারীকৃত বিবিএমপি হাইস্কুলের শতবর্ষ উদযাপন কমিটির এক সভা শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় স্কুলের ল্যাঙগুয়েজ ক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন শতবর্ষ উদযাপন কমিটির আহবায়ক ডাঃ আব্দুল লতিফ। সভায় অন্যান্যের মধ্যে কমিটির সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক মদন মোহন পাল, সহকারী প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম, সাবেক শিক্ষক মোজাম্মেল হোসেন, সাবেক শিক্ষক আব্দুল হামিদ, মাহমুদুল হক লাভলু, মোঃ শামসুজ্জোহা, প্রচার কমিটির আহবায়ক আর.কে.বাপ্পা, শিক্ষক সিদ্দিক আহমেদ মিঠু, শিক্ষক গৌর চন্দ্র পাল, সাখাওয়াত হোসেন, হারুন-অর রশিদ, সাংবাদিক কে.এম রেজাউল করিম প্রমুখ। সভায় বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহনের পাশাপাশি আগামী রোজার ঈদের পরের দিন সকাল ১০ টায় স্কুল মিলনায়তনে বিভিন্ন উপ-কমিটি গঠন ও কমিটির পূর্নাঙ্গ করা হবে।