দেবহাটা প্রতিনিধি : দেবহাটায় চাউল ব্যবসায়ীদের হয়রানি । প্রতিবাদে ব্যবসায়ীদের পক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেছে উপজেলার সখিপুর বাজারের চাউল ব্যবসায়ীরা। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় দেবহাটা প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন চাউল ব্যবসায়ীদের পক্ষে সখিপুর বাজারের চাউল ব্যবসায়ী উম্মে সালেহা ট্রেডার্সের সত্তাধীকারী নজরুল ইসলাম। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গৃহবন্দি, কর্মহীন ও তীব্র খাদ্য সংকটে করোনা ভাইরাসকে ইস্যু বানিয়ে চালের বাজার অস্থিতিশীল করে তুলে আমি সহ সখিপুর বাজারের চাল ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেন, বাবুর আলী, শফিকুল ইসলাম, ওয়াজেদ আলীর বিরুদ্ধে যে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত। তিনি আরো বলেন, চলমান বিশ্বে করোনায় চাউলের বাজার বৃদ্ধি পাওয়ায় পূর্বের মূল্য ছাড়া বস্তা প্রতি দাম সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রকৃতপক্ষে আমরা অতিসুনামের সাথে চাউল ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। আমাদের ব্যবসার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান অবহিত আছেন। আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশনা মেনে চাল ক্রয় বিক্রয় করছি। এখানে মজুদ করে সাধারণ ক্রেতাদের কোন ক্ষতিগ্রস্থ করা হচ্ছে না। গতকয়েকদিন পূর্বে চালের দাম বস্তাপ্রতি বৃদ্ধি হওয়ায় চলমান বাজারে চাউলের দাম বেড়েছে। আমরা প্রশাসনের নির্দেশনা মোতাবেক কেনা দাম ছাড়া মাত্র ১০/১৫ টাকা লাভে বস্তাপ্রতি চাউল বিক্রয় করছি। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে যে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমরা সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা মেসার্স রাকিব অটো রাইচ মিল, কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা হাটখোলার মেসার্স বিশ্বাস চাউল ভান্ডার, সাতক্ষীরার চালতেতলা বাজারের তাপস এগ্রো ইন্ডাষ্ট্রীজ, দহকুলার মেসার্স আলাউদ্দীন এগ্রোফুড থেকে চাউল ক্রয় করছি। আমাদের কেনা চাউলের প্রতিটি চালানের বিল ভাউচার রয়েছে। তাছাড়া প্রতিদিনের বাজার দর বোর্ডের মাধ্যমে দোকনের সামনে টানিয়ে রাখি। কিন্তু একটি মহল আমাদের সুনাম নষ্ট ও বাজারকে অস্থিতিশীল করার অশুভ চক্রান্তে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে মনগড়া সংবাদ প্রকাশ করেছে। বর্তমানে সংকটময় পরিস্থিতিতে খাদ্যের ঘাটতি পুরণ করে যাতে সুষ্ট ভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারি সে জন্য প্রশাসনের সুষ্ট তদারকি ও হস্তক্ষেপ কামনা করছি।এ সময় উপস্থিত ছিলেন,সখিপুর বাজারের চাউল ব্যবসায়ী উম্মে সালেহা ট্রেডার্সের সত্তাধীকারী,আমজাদ হোসেন, মেসার্স মদিনা ভান্ডারের সত্তাধীকারী বাবুর আলী সহ শফিকুল ইসলাম ও ওয়াজেদ আলী।
Category: দেবহাটা
-

অসহায় মানুষের মাঝে ত্রান বিতরণ করেছেন নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজি খুলনার উপাচার্য
নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজি খুলনা’র উপাচার্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, সাতক্ষীরার কৃৃতি সন্তান ড. আবু ইউসুফ মোঃ আব্দুল্লাহ সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন উপজেলায় গরীব ও অসহায় মানুষেরর মাঝে ত্রান বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন।
২২ এপ্রিল ২০২০, বুধবার উপাচার্য এর পক্ষে একটি প্রতিনিধি দল দেবহাটা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সাজিয়া আফরিন এর সমন্বয়ে ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বার ও স্থানীয় আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ত্রান বিতরণ করেছেন।
প্রফেসর ড. আবু ইউসুফ মোঃ আব্দুল্লাহ এক ক্ষুদে বার্তায় জানান, “করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রথম থেকেই কাজ করে যাচ্ছি, আগামীতেও এমন ত্রান বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে”।
উল্লেখ্য, গত ,১, ২ ও ৩ এপ্রিল দেবহাটা, আশাসুনি ও কালিগঞ্জ উপজেলার প্রায় ১০ হাজার দুঃস্থ, গরীব ও অসহায় পরিবারের মাঝে চাল, ডাল, আলু ও তেল বিতরণ করা হয়। -
দেবহাটায় কৃষকের ধান কেটে ঘরে তুলে দিল ইউনিয়ন ছাত্রলীগ
দেবহাটা ব্যুরো : দেবহাটায় কৃষকের ধান কেটে ঘরে তুলে দিল ইউনিয়ন ছাত্রলীগ।উপজেলার ০৩নং সখিপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি তৌহিদ হোসেন এর উদ্যোগে কৃষকের ধান কেটে দিল ছাত্রলীগ। চলতি মৌসুমের ইরি-বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। চলতি মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হলেও করোনাভাইরাস আতঙ্ক ও আকর্ষিক বর্ষা হওয়ায় ধানকাটা শ্রমিকের সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে অনেক অসহায় কৃষক তাদের জমির পাকা ধান ঘরে তুলতে পারছে না। এ অবস্থায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশ মোতাবেক কৃষকের লোকসান কমানোর জন্য তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়ে ধান কেটে দিয়েছেন সখিপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দরা। সোমবার দিনভর ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ৩ বিঘা জমির ধান কেটে কৃষকের বাড়ি তুলে দেয়া হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জে এস আসাদুজ্জামান সোহাগ, সখিপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাভাপতি তৌহিদ হোসেন, দেবহাটা কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আহছানউল্লা কল্লোল ,সাধারণ সম্পাদক আকরাম মাহমুদ, সহ-সভাপতি ফরহাদ হোসেন, ০৯ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল, সাংগঠনিক সম্পাদক তামিম, প্রচার সম্পাদক আরিফ, সাবেক সখিপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আব্দুর রায়হান,০৯ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সদস্য আকিব হোসেন, রাকিব মোড়লসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।তবেস্থানীয়ও লোকজন ছাত্রলীগের ব্যতিক্রমী এমন কাজের প্রশংসা করেছেন।একদিকে করোনাভাইরাস অন্যদিকে আকর্ষিক বৃষ্টিতে শ্রমিক সংকটসহ কৃষি মজুরি বৃদ্ধি পাওয়ায় পাকা ধান নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন স্থানীয় কৃষকরা।ফলে কৃষকরা দিশাহারা হয়ে পড়ায় ধান নষ্ট হতে চলেছে। এ অবস্থায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এসে এলাকার দরিদ্র কৃষকের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। -

দেবহাটার ইসলামিয়া ব্রিকসে নারী কর্মচারীকে পিটিয়ে জখম
দেবহাটা ব্যুরো: সারা দেশে বর্তমানে মহামারি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। এসময় সকলকে জনসংগমে না থেকে নিরাপদে বাড়িতে অবস্থান করার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এঅবস্থায় অধিক কর্মচারী নিয়ে চলমান আছে দেবহাটার সখিপুরে মেসার্স ইসলামিয়া ব্রিকসের কাজ। কর্মচারীরা মানছে না কোন সামাজিক দুরত্ব। এখান থেকে ছড়িয়ে পড়তে পারে করোনা ভাইরাসের সংক্রমন। কর্মচারীরা প্রায়ই ব্যস্ত হট্টগোলে। এরই মধ্যে রবিবার সন্ধার পর তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক নারী কর্মচারীকে পিটিয়ে জখম করার ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় আহত দক্ষিণ সখিপুর গ্রামের শেখ আমির হামজার কন্যা আজমিরা খাতুন (২৭) গুরুতর জখম হয়েছেন। আহত আজমিরা খাতুন জানান, আমি দীর্ঘদিন ধরে সখিপুর ভাটায় রাধুনী হিসেবে কাজ করে আসছি। রবিবার রাতে ভাটায় কাজ করা কর্মচারীদের জন্য ভাত রান্না করার পর ভাতের মাড় নেওয়ার জন্য ভাটার শ্রমিক দক্ষিণ সখিপুর গ্রামের শেখ সিদ্দিক হোসেনের পুত্র শেখ তৌহিদ হোসেন লালু আমার উপর ক্ষুব্ধ হয়ে অশ্লীল ভাষায় গালি গালাজ করতে থাকে। এক পর্যায়ে আমি তাকে গালি গালাজ করতে নিষেধ করলে সে আমার উপর আরো ক্ষেপে ওঠে এবং ভাটার মধ্যে বসবাস করা ঘরের হাক দিয়ে আমার মাথায় ও হাতে বাড়ি মেরে গুরুতর জখম করে। এসময় আমি রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে গেলে ভাটার অন্যান্য কর্মচারীরা আমাকে উদ্ধার করে। পরে ভাটা কর্তৃপক্ষ নিজেদেরকে বাঁচাতে স্থানীয় এক গ্রাম ডাক্তার নিয়ে এসে সেলাই ও ব্যান্ডেজ করে প্রাথমিক চিকিৎসা করায়। আজমিরা খাতুন আরো বলেন, ভাটা কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও উক্ত শেখ তৌহিদ হোসেন লালু প্রভাবশালী হওয়ায় আমি হামলার শিকার হয়েছি। এমনকি আমাকে অসুস্থ অবস্থায় সোমবার সকালে রান্নার কাজ করতে বাধ্য করলে আমার ভাই রমজান আলীকে মারপিটের হুমকি দেয়। আমাকে অন্যায় ভাবে মারপিট করার পরেও এর কোন বিচার নেই। এঘটনায় শেখ তৌহিদ হোসেন লালুর কাছে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সে সময় আমি রাগের বসির্ভূত হয়ে তাকে আঘাত করি। এবিষয়ে ভাটার ম্যানেজার ভাটার ম্যানেজার নিউজটি না করার জন্য অনুরোধ জানান।
-

দেবহাটায় থেমে নেই ইছামতির বালু বহনের কাজ : ছড়িয়ে পড়তে পারে করোনা ভাইরাস
এস এম নাসির উদ্দীন : দেবহাটায় থেমে নেই ইছামতি নদীর বালু বহনের কাজ। এলাকায় ছড়িয়ে পড়তে পারে করোনা ভাইরাস। স্থানীয়দের অভিযোগ রাতের আধাঁরে পাচার হতে পারে ভারতীয় নেশা সামগ্রীসহ অবৈধ মালামাল। বর্তমানে নেই কোন ইজারা , তবু থেমে নেই বালু বহনের কাজ। সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার একেবারে গাঁ ঘেঁষে বয়ে যাওয়া ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী নদী ইছামতী। উপজেলার কোমরপুর, ভাতশালা, টাউন শ্রীপুর, সুশীলগাতী, বসন্তপুর, নাংলা, নওয়াপাড়াসহ ইছামতীর কয়েকটি জায়গায় দেখা দিয়েছে ব্যাপক ভাঙন । স্থানীয় প্রভাবশালী মহল ড্রেজার মেশিন দিয়ে নদীর তীর থেকে বালু তোলার কারণে নদীর বাঁধ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। প্রশাসন বালুমহলের ইজারা বন্ধের সিদ্ধান্তও নিয়েছে কয়েক বার। তার পরেও থেমে নেই বালু উত্তোলনের কাজ। এভাবে বালু উত্তোলনের ফলে নদী গর্ভে বিলীন হতে পারে বেড়ি বাঁধসহ ফসলী জমি,মৎস্য ঘের ও ঘরবাড়ি । তাতে বর্তমানে বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের কারনে দেবহাটাতেও চলছে কঠোর আইনী প্রয়োগ। নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছু দোকান খোলা থাকলেও পন্য বেঁচা কেনায় থাকছে মাস্ক পরাসহ সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার প্রশাসনিক কঠোর নির্দেশনা। এরই মাঝে প্রশাসনের নাকের ডগায় বালু ব্যবসায় মেতেছে কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি।সরোজমিনে দেখা যায়,দেবহাটা সদরে অবস্থিত থানা এবং বিজিবি ক্যাম্পের মধ্যবর্তী স্থানে বাজার সংলগ্ন এলাকার ইছামতি নদীর তীরের গাঁ ঘেষা প্রধান সড়কের উপরে আছে বড় বড় বালূর স্থুপ।আর এ স্থুপের পানির ধারানীতে প্রাকৃতিক ভারসাম্য হারিয়ে ধ্বংস হচ্ছে কয়েকশ গাছ । ভু-খন্ড বিলীন হচ্ছে নদী গর্ভে। তাতে আবার ট্রাকের বালু লোর্ড আনলোর্ডের কাজে যে সব বালু শ্রমিকরা কাজ করছে তাদের মুখে নেই মাস্ক, নেই সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার হিসাব নিকাশ। তাছাড়া রাতে বালু বহনের সময় মাদকসহ পাচার হতে পারে ভারতীয় অবৈধ মালামাল বলে জানিয়েছে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যক্তি। আর এ সকল ট্রাক গুলো কোথা থেকে আসছে বা কোথায় যাচ্ছে এ নিয়েও আছে নানা প্রশ্ন। এই ট্রাক গুলো যাতায়াতের ফলে ছড়িয়ে পড়তে পারে করোনা ভাইরাস। এ ব্যাপারে দেবহাটা বিজিপি ক্যাম্প কমান্ডার জামশেদ জানান,সরকার ওদের বালুর অনুমোদন দিয়েছে আমরা বন্ধ করতে পারিনা ,সামাজিক দুরত্ব বজায় না রাখলে সে বিষয়ে বলা যায়।তবে রাতে বালু বহনের ক্ষেত্রে মাদক পাচারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,হতে পারে কিন্তু আমরা সচেতন আছি। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজিয়া আফরীন জানান, রাতে বালু বহনে কোন মাদক পাচার হলে বিজিবি দেখবে।
-

করোনা প্রতিরোধে ত্রান ও স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ে মতবিনিময় সভায় ডিসি মোস্তফা কামাল : ত্রাণ বিতারণে অনিয়ম হলে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না
: দেবহাটায় উপজেলায় করোনা প্রতিরোধে ত্রান, স্বাস্থ্যসেবা ও সামাজিক দূরত্ব বিষয়ক মতবিনিময় সভায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল বলেছেন ত্রাণ বিতরণে কোন প্রকার অনিয়ম হলে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। সাতক্ষীরা জেলার যে স্থানে অনিয়ম হবে তাৎক্ষনিক ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। সরকারের দেওয়া বরাদ্দ সঠিক নিয়মে প্রকৃতদের মাঝে বণ্ঠন করতে হবে। ইতি মধ্যে সরকারের প্রদত্ত ৯০০ মেট্রিক টন চাউলের ৮৫০ মেট্রিক টন বিতরন করা শেষ হয়েছে। কোথাও কোন অনিয়মের খবর পাওয়া যায়নি। যদি কোথাও কোন অনিয়ম হয় আমাকে জানাবেন। আপনারা কেউ গুজবে কান দেবেন না। হতাশ হবেন না। আমরা প্রতিটি এলাকায় ত্রাণ কমিটির মাধ্যমে আপনাদের মাঝে সহায়তা পৌছে দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহন করেছি।
এ সময় তিনি করোনার প্রভাবে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে জেলার প্রতিটি এলাকায় এক হাত মাটি ফেলে না রাখার বিষয়ে কাজ করার পরামর্শ দেন। সব স্থানে সবজি ও ফলের আবাদ করতে হবে। এতে একদিকে পরিবেশ সবুজ হবে। সাথে পরিবার ও সমাজের চাহিদা মেটাবে। একই সাথে কোন কোন জলাশয় ফেলে রাখা যাবে না। মাছ চাষ করতে নির্দেশ দেন। খাদ্য ঘাট্টি না থাকে সে জন্য পরিকল্পিত ভাবে চাষ করতে হবে। একই সাথে তিনি আরো বলেন যারা দেশের ও জেলার বাহিরে থেকে এসেছেন আপনারা হোম কোয়ারেন্টাই মেনে চলবেন। সবাই যাতে এই নিময় মেনে চলে সে জন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। ভয় বা আতঙ্ক না পেয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে। এছাড়া প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ৩মাস ধরে লাগাতর প্রচারের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করে তোলার নির্দেশ দেন । যাতে মানুষ নিয়ম মেনে চলে। একই সাথে ত্রাণ সমন্বয়হীনতার বিষয়ে নির্বাহী অফিসারকে নির্দেশ দেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান ডিসি। এদিকে, করোনা প্রতিরোধে যে সব সংগঠন কাজ করছে তাদের নিরাপত্তা ব্যাবস্থা ঠিক রেখে কাজ করার নির্দেশ দেন। ভাইরাস নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেউ অপপ্রচার না করতে পারে সেজন্য প্রশাসনকে নজর রাখার জন্য অনুরোধ জানান। বুধবার বিকাল ৪ টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ মতবিনিময়ে দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাজিয়া আফরীনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল। বিশেষ অতিথি ছিলেন দেবহাটা থানার ওসি বিপ্লব কুমার সাহা। এসময় দেবহাটা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নওয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবর রহমান, সাধারন সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুল লতিফ, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জি.এম স্পর্শ, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরীফ মোহাম্মদ তিতুমীর, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সখিপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ফারুক হোসেন রতন, দেবহাটা ইউপি চেয়ারম্যান আবুবকর গাজী, পারুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যানর সাইফুল ইসলাম, কুলিয়া ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আসাদুল ইসলাম, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শফিউল বশার, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা অধীর কুমার গাইন, উপজেলা বিআরডিবি কর্মকর্তা রাকিব ইসলাম, দেবহাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি আব্দুর রব লিটুসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ ও সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভায় করোনা প্রতিরোধে ত্রান ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরন এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। -

দেবহাটায় কর্মহীন ও দুঃস্থদের মধ্যে এএসপি ও ওসির ত্রান বিতরন
দেবহাটা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান (পিপিএম) বার এর নির্দেশনা মোতাবেক করোনা প্রতিরোধ ও সতর্কতা কার্যক্রম এবং করোনা ভাইরাসের কারনে কর্মহীন ও অসহায় দুঃস্থ মানুষদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরনের অংশ হিসেবে দেবহাটা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার শেখ ইয়াছিন আলী ও দেবহাটা থানার ওসি বিপ্লব কুমার সাহা বুধবার সকাল ১০ টায় ত্রান বিতরন করেন। দেবহাটা থানা এলাকার ৫টি ইউনিয়নের বাছাই করা অপেক্ষাকৃত গরীব ও অসহায় কর্মহীনদের মধ্যে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় দিনহীন অসহায় কর্ম হারানো মানুষদের মধ্যে এই ত্রান তুলে দেন দেবহাটা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার শেখ ইয়াছিন আলী ও দেবহাটা থানার ওসি বিপ্লব কুমার সাহা। এসময় দেবহাটা থানার সেকেন্ড অফিসার এস আই নয়ন চৌধুরী, দেবহাটা প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক আর.কে.বাপ্পা, দেবহাটা প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ কে.এম রেজাউল করিম, দপ্তর সম্পাদক আজিজুল হক আরিফসহ থানার সকল অফিসারবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। দেবহাটা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার শেখ ইয়াছিন আলী এবং ওসি বিপ্লব কুমার সাহা করোনা ভাইরাসের কারনে কেউ ভয় বা আতঙ্কিত না হয়ে সকলকে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি সরকারের আদেশ মেনে অকারনে কাউকে বাড়ির বাইরে না আসা, বারবার সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, বেশী করে পানি পান করা ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার পরামর্শ দেন। এমন এক দূর্যোগ মূহুর্তে সমাজের বিত্তশালীদের অসহায় মানুষদের পাশে দাড়ানোর জন্য তারা আহবান জানান। -

দেবহাটায় আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে সাবেক চেয়ারম্যানের জমি দখলের পায়তারা ; পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা
দেবহাটা ব্যুরো: দেবহাটায় আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে সংখ্যা লঘুর নাম ভাঙিয়ে উপজেলার সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যানের জমি দখলের পায়তারা। পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী চেয়ারম্যান। প্রশাসন যখন করোনা মোকাবেলায় ব্যস্ত, তখন সংখ্যা লঘুর অযুহাতে জমি দখলে মেতেছে দেবহাটা সদরের মৃত অমুল্য রায়ের পুত্র নিমাইরায় ও তার স্ত্রী শিবানী রায় এবং কন্যা সাথী রায় সহ পরিবারের অন্য সদস্যরা। অভিযোগ করে সাবেক সদর ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম জানান, দেবহাটা সদরের দাগ নং-৭৩৭, নতুন -১৯৮১দাগে ৩৫ শতক জমি মৃত অমূল্য রায়ের পুত্র নিমাই রায়ের ক্রয় করি। জমির পূর্বের মালিক নিমাই রায় কিছু অংশ বুঝিয়ে না দিয়ে আমার সাথে তালবাহানা শুরু করেন। এর প্রতিকার চেয়ে ২০১৭ সালে আমি আদালতে ৩০/১৭ মামলা দায়ের করি। ১৬/৪/১৯ তারিখে মামলার রায়ে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা সহ ডিগ্রী প্রদান করে। তাছাড়া বিবাদীদ্বয় নিমাই এবং তার স্ত্রীকে ঐ জমিতে প্রবেশ বা দখলেরও নিষেধাজ্ঞা জারী করে আদালত। এরপর নিমাই রায় আপিল করলে সেটি পুনরায় আদালতে ২৭/২/২০২০ তারিখে পুর্বের রায় বহাল রাখে উক্ত আদালত। কিন্তু বুধবার সকালে আদালতের রায় উপেক্ষা করে ঐ জমির কিছু অংশ দখল করার চেষ্টা করেন নিমাই ও তার স্ত্রী শিবানী রায় ও কন্য সাথী রায় সহ পরিবারের অন্য সদস্যরা। আমি বাধা দিতে গেলে আমাকে খুন, জখম সহ মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেওয়া হবে বলে জানান। বিষয়টি নিয়ে আমি দেবহাটা থানার অফিসার ইনচাজের্র সহযোগীতা চাইলে তিনি ফোর্স পাঠিয়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশের নির্দেশ দেয়। কিন্তু প্রশাসনের নির্দেশ না মেনে ঐ জমির কিছু অংশ দখলে নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। আমি বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। আমি বিষয়টি নিয়ে পুলিশ সুপার সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
দেবহাটা থানার ওসি বিপ্লব কুমার সাহা জানান, বিষয়টি জেনে আমি সাথে সাথে ব্যবস্থা গ্রহন করি। তবে শুনেছি পরে না কি তারা সব কিছু নিয়ম উপেক্ষা করে দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। -

সাতক্ষীরার দেবহাটায় দ্বিতীয় দিনের মতো পিপিই প্রদান করলো স্বেচ্ছাসেবকলীগ
দেবহাটা প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরার দেবহাটায় দ্বিতীয় দিনের মতো জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের দিক নির্দেশনায়, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির পৃষ্ঠপোষকতায়, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের উদ্যোগে পিপিই প্রদান করা হয়েছে।বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ আব্দুল লতিফের হাতে পিপিই তুলে দেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সখিপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও সাবেক উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ ফারুক হোসেন রতন ,উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুব আলম খোকন, সাধারন সম্পাদক বিশিষ্ট মৎস্য ব্যবসায়ী লোকমান কবির, উপজেলা কৃষকলীগের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুর রব লিটুসহ দলীয় নেতৃবৃন্দ। পরে নেতৃবৃন্দরা কুলিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক কোষাধাক্ষ আছাদুল হক, সখিপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও সাবেক উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ ফারুক হোসেন রতন, দেবহাটা সদর চেয়ারম্যান আবু বকর গাজী,পারুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, কুলিয়া ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আছাদুল ইসলামের দপ্তরে যেয়ে তাদের হাতে পিপিই তুলে দেন। এছাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের স্বেচ্ছাসেবী মেডিকেল টিমের হাতেও পিপিই তুলে দেন নেতৃবৃন্দ। পিপিই প্রদানের সময় ্উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতৃবৃন্দকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান সবাই।
-

দেবহাটায় প্রথমবারের মতো পিপিই প্রদান করলো স্বেচ্ছাসেবকলীগ
দেবহাটা প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরার দেবহাটায় প্রথমবারের মতো জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের দিক নির্দেশনায়, দেবহাটা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির পৃষ্ঠপোষকতায়, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের উদ্যোগে দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাজিয়া আফরীন, দেবহাটা থানার ওসি বিপ্লব্ কুমার সাহা ও উপজেলা গ্রাম্য ডাক্তার কল্যান সমিতির সভাপতির কছে পিপিই প্রদান করা হয়েছে। সোমবার সকাল ১০ টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাজিয়া আফরীনের দপ্তরে গিয়ে এই পিপিই প্রদান করা হয়। এসময় দেবহাটা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদক মীর মোস্তাক আলী, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের দপ্তর সম্পাদক খন্দকার আনিছুর রহমান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মাহবুব আলম খোকন, সাধারন সম্পাদক বিশিষ্ট মৎস্য ব্যবসায়ী লোকমান কবির, উপজেলা কৃষকলীগের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুর রব লিটুসহ দলীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে নেতৃবৃন্দ দেবহাটা থানার ওসি বিপ্লব কুমার সাহার নিকট পিপিই প্রদান করেন। এসময় দেবহাটা থানার ওসি (তদন্ত) উজ্জ্বল কুমার মৈত্র, থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই নয়ন চৌধুরীসহ থানার অফিসারবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। নেতৃবৃন্দ স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতৃবৃন্দকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বর্তমানে বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের কারনে মানুষের জীবনযাত্রা স্থবির হয়ে পড়েছে। সরকার এই মহামারি থেকে মানুষকে বাচাতে নানামুখী কাজ করছে। সরকারের সেই কাজের সূত্র ধরে যারা নিরলসভাবে কাজ করছেন তাদেরকে এই পিপিই প্রদান সত্যিই প্রশংসার দাবীদার। সাতক্ষীরা তথা দেবহাটায় এখনো কোন করোনা রোগী সনাক্ত হয়নি জানিয়ে নেতৃবৃন্দ মহান আল্লাহ পাকের দরবারে লাখো কোটি শুকরিয়া জানিয়ে এই মহামারি থেকে বাচতে সকলকে আরো সচেতন হওয়ার আহবান জানান। শেষে নেতৃবৃন্দ উপজেলা গ্রাম্য ডাক্তার কল্যান সমিতির সভাপতি শেখ আক্তার হোসেনের নিকট পিপিই প্রদান করেন। এসময় নেতৃবৃন্দ জানান, মঙ্গলবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকদের ও উপজেলা ছাত্রলীগের ভ্রাম্যমান মেডিকেল টিমকে পিপিই প্রদান করা হবে।
-
দেবহাটায় কেবিএ কলেজ ছাত্রলীগের পক্ষে কর্মবঞ্চিত দুঃস্থদের ত্রান বিতরন
দেবহাটা প্রতিনিধি : দেবহাটায় কেবিএ কলেজ ছাত্রলীগের পক্ষে করোনা প্রভাবে কর্মবঞ্চিত অসহায় দুঃস্থদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরন করা হয়েছে। রবিবার বেলা ১১ টায় উপজেলার সখিপুর কেবিএ কলেজ চত্বরে ত্রান বিতরন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন এবং করোনা ভাইরাসের প্রভাবে কর্মবঞ্চিত অসহায় পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা বিতরন করেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি। এসময় উপস্থিত ছিলেন কেবিএ কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আমির হোসেন মিঠু ও সাধারন সম্পাদক মিজানুর রহমান মাহিসহ ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। প্রধান অতিথি মনিরুজ্জামান মনি এই সংক্রামক রোগ থেকে মুক্তি পেতে সচেতন ও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী ও সাবেক স্বাস্থমন্ত্রী আফম রুহুল হকের সহযোগীতায় এই খাদ্য সামগ্রী বিতরন করা হচ্ছে এবং পর্যায়ক্রমে সকল ইউনিয়নে করা হবে। এর আগে উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে বিভিন্ন এলাকায় মাস্ক বিতরন করা হয়েছে উল্লেখ করে মনি বলেন, এই ভাইরাস থেকে বাঁচতে ঘরে বসে থাকার বিকল্প নেই। তিনি সমাজের বিত্তবানদেরকেও কর্মবঞ্চিতদের পাশে দাড়ানোর অনুরোধ জানান। এতে ভয় করলে ক্ষতি ছাড়া কোন কল্যাণ বয়ে আনবে না জানিয়ে তিনি অযথা আতংঙ্কিত না হয়ে সচেতন হওয়ার আহবান জানান। -

দেবহাটায় করোনা প্রভাব এড়াতে গাজীরহাট বাজার ও মৎস্য সেড শিমুলিয়া স্কুলে স্থানান্তর
দেবহাটা প্রতিনিধি ॥ দেবহাটায় করোনা ভাইরাসের প্রভাব এড়াতে থানা পুলিশের তৎপরতায় উপজেলার অন্যতম গাজীরহাট বাজার ও মৎস্য সেড পাশ্ববর্তী শিমুলিয়া স্কুলে স্থানান্তর করা হয়েছে। ইতিমধ্যে করোনা রোধকল্পে সরকার বিভিন্ন কাজ করছে। তারই আলোকে দেবহাটা থানার ওসি বিপ্লব কুমার সাহার দিক নির্দেশনায় দেবহাটা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও নওয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মুজিবর রহমানের উপস্থিতিতে দেবহাটা থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই নয়ন চৌধুরীর নেতৃত্বে থানার একদল পুলিশ সদস্য ও স্থানীয় গ্রাম পুলিশ সদস্যরা শনিবার সকালে গাজীরহাট মৎস্য সেড ও গাজীরহাট বাজারটি পাশর্^বর্তী শিমুলিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে স্থানান্তর করেছেন। পুলিশের এ ধরনের কাজকে সাধুবাদ জানিয়েছেন উপজেলাবাসী। পাশাপাশি উপজেলার সকল বাজার কোন ফাকা মাঠে বা ফাকা স্থানে স্থানান্তরের আহবান জানিয়েছেন উপজেলাবাসী। দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার সাহা পর্যায়ক্রমে সকল গুরুত্বপূর্ন বাজার পাশর্^বর্তী ফাকা স্থানে স্থানান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন।
-

সাঁপমারা খাল খননের সংবাদ প্রকাশের জের : দেবহাটায় শেষ রক্ষা হলোনা মুনছুরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান
এস এম নাসির উদ্দীন : দেবহাটায় সাঁপমারা খাল খননের সংবাদ প্রকাশের জের । শেষ রক্ষা হলোনা দেবহাটায় সখিপুরে মুনছুরের অবৈধ স্থাপনা। গত ১০ তারিখে কয়েকটি অনলাইন পত্রিকায় দেবহাটার সাঁপমারা খাল খননের অনিয়মের চিত্র তুলে ধরে প্রকাশিত হয়েছিল সংবাদ। এতে নজর পড়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড কতৃপক্ষের। শনিবারে শুরু হয় নতুন মাপ জরিপ। পুনরায় মাপ দিলে সখিপুরের মুসছুর ওরফে কাঠ মুনছুরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অর্ধেক পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং বাকী অর্ধেক সড়ক ও জনপদ বিভাগের জায়গায় পড়ে। আর সংবাদে প্রকাশিত রবিন বিশ্বাস, জনতা ফার্মেসীর শর্তাধীকারী দেবু বিশ্বাস, শুশিল বিশ্বাস, নুর হোসেন, অনিল এবং পাগল বাবুর ভবনের পাশ দিয়ে গেছে খাল এমনটাই পাওয়া যাচ্ছে তাদের দেখানো রেকর্ডের কাগজ ও ম্যাপে। এতে সন্তোষ প্রকাশ করেনি স্থানীয় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক ব্যক্তি। তাদের অভিমত সখিপুর বাজার সংলগ্ন খালের এ স্থানটিতে পুর্বে ছিল একটি বড় নদী। তাই এটা কিভাবে রেকর্ডিও সম্পত্তি হয়? বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখে জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনার করেছে তারা। খাল খননের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। কাজ শেষ হওয়ার আগেই পাড়ের মাটির ধ্বসে আবার পুরন হচ্ছে খাল। একে চলছে দুর্নীতি তাতে যে টুকু কাজ হচ্ছে তাও বিফলে যাওয়ার উপক্রম এমনটাই বলছে অনেকে। ভেস্তে যেতে বসেছে সরকারের কয়েক কোটি টাকার প্রকল্প। পানি উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে খাল পুনঃখননের নামে চলছে অনিয়ম আর লুটপাট। খালের গতিপথ পরিবর্তন করে প্রভাবশালীদের বাঁচাতে অসহায়দের ভোগ দখলীয় জমিতে খাল-খনন করার অভিযোগও উঠেছে। কিন্তু এখনও রয়ে গেছে প্রভাবশালী প্রতিপত্তিদের ভবনসহ বেশ কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। যা বর্তমানে দৃশ্যমান। অথচ খালের অন্যান্য অংশে দিকে একটু লক্ষ করলে দেখা যাবে গরীব অসহায় পরিবার গুলোর বসত বাড়ি কিভাবে ভেঙে ফেলা হয়েছে। কিছু কিছু স্থানে কালের স্বাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে আছে প্রভাব শালী টাকা ওয়ালাদের ঘর। যে কারনে পুনরায় মেপে মুনছুরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভেঙ্গে ফেলতে হচ্ছে। তবে একটি সুত্র থেকে আরো জানাযায়,পারুলিয়া ব্রীজ সংলগ্ন স্থানটি উল্লেখিত ব্যক্তিরা তাদের রেকর্ডীয় সম্পত্তির অর্ন্তভুক্ত দেখাতে মাপজরিপের সময় সার্ভেয়ারসহ সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সাথে মোটা অংকের টাকা লেন দেন করে। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জলবদ্ধতা নিরসনে বদ্ধ পরিকর। তাই তিনি এদেশের নদ-নদী, খাল-বিল, হাওড়-বাওড়সহ পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহন করেছেন। যার ধারাবাহিকতায় আশাশুনি ও দেবহাটা উপজেলার সংযোগ হওয়া সাঁপমারা খাল খননকল্পে গ্রহন করা হয়েছে দুইটি প্রকল্প। সরেজমিনে যেয়ে জানা যায়, গত বছরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) অধীনে নদী খনন পর্যায়ে দেবহাটার সাঁপমারা খালটির আশাশুনীর শোভনালী ইউনিয়নের কাটাখালী হতে দেবহাটার পারুলিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত দেবহাটা সদর ইউনিয়নের ভাতশালায় ইছামতি নদীর সংযোগস্থল পর্যন্ত ১৯ কিলোমিটার দীর্ঘ খাল খননের জন্য দুইটি প্যাকেজে ১৯ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। খাল খননের প্যাকেজ দুটির একটির কাজ আগামি জুন ও অপরটি আগামি ডিসেম্বর মাসের মধ্যে শেষ করার জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে খনন কাজ শুরুর পর খালটির দু’পাশে বসবাসরত শতশত পরিবারকে তাদের ঘর, আসবাবপত্র সরিয়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। বর্তমানে গৃহহারা সে সব পরিবার বিশ্বব্যাপি করোনা ভাইরাসের প্রভাবে কর্মহীন হয়ে খোলা আকাশের নিচে অত্যান্ত মাতবতার জীবন যাপন করছে। তাদের জন্য নতুন আবাসস্থলের দাবী জানানো হলে তাদের পুনবাসনের প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছিল সে সময়। তবে নাম পকাশ না করার শর্তে তারা অনেকে জানান, বসতবাড়ি ভেঙ্গে আমাদের গৃহহারা করা হয়েছে। কিন্ত খালের পাড়ে যে সমস্ত বড়লোকদের ঘর আছে সে গুলো দেখলে আমাদের কান্না পায়। তাহলে আমাদের টাকা নেই তাই এ সব ঘর ভাঙ্গা হয়েছে? প্রশ্ন তাদের। এ ব্যপারে সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)’র এসও সাইদুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে,তিনি ম্যাপ জরিপের কথা স¦ীকার করে জানান,মুনছুরের জায়গার অর্ধেক পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় পড়ায় তাকে শনিবারের মধ্যে ভেঙ্গে নিতে বলা হয়েছে। তবে না ভেঙ্গে নিলে রবিবার পানি উন্নযন বোর্ড কতৃপক্ষ অবৈধ স্থাপনাটি ভেঙ্গে দিবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। -

দেবহাটা সখিপুরে করোনা সন্দেহে ০৩ পরিবার লকডাউনে
দেবহাটা প্রতিনিধি ॥ দেবহাটা উপজেলার সখিপুরে এক পরিবারের করোনা সন্দেহে ৩ বাড়ি লগডাউন ঘোষনা করেছে প্রশাসন।স্থাানীয় সুত্রে জানা গেছে, সখিপুর মাঝপাড়ার আব্দুল গফফারের পুত্র বাবলু হোসেন (৩৩) ঢাকার নারায়নগঞ্জে একটি হোটেলের ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার কর্মস্থলের পাশে এক ব্যক্তি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে সোমবার সে গ্রামের বাড়ি আসে। বিষয়টি জানতে পেরে দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাজিয়া আফরীন, ওসি বিপ্লব কুমার সাহা, ওসি (তদন্ত) উজ্জ্বল কুমার মৈত্র, সখিপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ফারুক হোসেন রতন দুপুর ১২ টার দিকে বাবলুর বাড়িতে যেয়ে তাদের বাড়িসহ আশেপাশের ২ টি বাড়ি ৬ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন ঘোষনা করেন। এ ছাড়া ছাড়া চন্ডীপুর গ্রামের বাসিন্দা সরোয়ারের পুত্র আল মামুন,আমজাদ গাজীর পুত্র রাজু,গোলাম মোস্তাফার স্ত্রী কোহিনুর বেগম ভারত থেকে এবং মৃত আনার গাজীর পুত্র গোলাম নবী,মৃত কওছার গাজীর পুত্র হাসান গাজী নারায়নগঞ্জ থেকে আসার কারনে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে । এ ব্যাপারে ওসি বিপ্লব কুমার সাহা বাবলুর বাড়িসহ আশেপাশের ২টি বাড়ি লকডাউন করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
-

দেবহাটায় সাঁপমারা খাল খননে অনিয়মের অভিযোগ: লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান
এসএম নাসির উদ্দীন : দেবহাটায় সাঁপমারা খাল খননের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। কাজ শেষ হওয়ার আগেই পাড়ের মাটির ধ্বসে আবার পুরন হচ্ছে খাল। একে চলছে দুর্নীতি তাতে যে টুকু কাজ হচ্ছে তাও বিফলে যাওয়ার উপক্রম। এ যে মানুষের আশার গুড়ে বালি দেওয়ার মত। দেবহাটাÑআশাশুনি এলাকার বিশাল জনগোষ্টির একটি বৃহত অংশ খাল খননকে সাধুবাদ জানিয়ে আশায় বুকবেঁধে ছিল। তাদের এ আশা যেন বিলীন হতে চলেছে অসাধু কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি এবং ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কারনে। ভেস্তে যেতে বসেছে সরকারের কয়েক কোটি টাকা। পানি উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে খাল পুনঃখননের নামে চলছে অনিয়ম আর লুটপাট। খালের গতিপথ পরিবর্তন করে প্রভাবশালীদের বাঁচাতে অসহায়দের ভোগ দখলীয় জমিতে খাল-খনন করার অভিযোগও উঠেছে। কিন্তু এখনও রয়ে গেছে প্রভাবশালী প্রতিপত্তিদের ভবনসহ বেশ কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। যা বর্তমানে দৃশ্যমান। গরীব অসহায় পরিবারের লোক গুলো দেখছে আর চোখের পানি ফেলছে। এমন কি ভুক্তভোগী ভূমি মালিকরা উপায়ান্তর না পেয়ে ঠিকাদার ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার সাহস হারিয়ে ফেলছে।এমনই অভিযোগ উঠেছে পারুলিয়া ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায়।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তিরা জানান,পার্শ্ববর্তী এলাকার রবিন বিশ্বাস,জনতা ফার্মেসীর শর্তাধীকারী দেবু বিশ্বাস,শুশিল বিশ্বাস,নুর হোসেন,অনিল,পাগল বাবু,মুনছুর ওরফে কাঠ মুনছুরের জায়গা রক্ষা করতে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। অথচ খালের অন্যান্য অংশে দিকে একটু লক্ষ করলে দেখা যাবে গরীব অসহায় পরিবার গুলোর বসত বাড়ি কিভাবে ভেঙে ফেলা হয়েছে।কিছু কিছু স্থানে কালের স্বাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে আছে প্রভাব শালী টাকা ওয়ালাদের ঘর। তবে একটি সুত্র থেকে জানাযায়,পারুলিয়া ব্রীজ সংলগ্ন স্থানটি উল্লেখিত ব্যক্তিরা তাদের রেকর্ডীয় সম্পত্তির অর্ন্তভুক্ত দেখাতে মাপজরিপের সময় সার্ভেয়ারসহ সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সাথে মোটা অংকের টাকা লেন দেন করে। তাছাড়া পাড়ের মাটি পাড়ে রেখে সেখান থেকে মাপ ধরে কাটছে তলদেশের মাটি। এক মাথা দিয়ে শেষ করে আসতে আসতে পাড়ের মাটি ধ্বস নেমে পুরন হয়ে যাচ্ছে আবার খাল ভরাট। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জলবদ্ধতা নিরসনে বদ্ধ পরিকর। তাই তিনি এদেশের নদ-নদী, খাল-বিল, হাওড়-বাওড়সহ পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহন করেছেন। যার ধারাবাহিকতায় আশাশুনি ও দেবহাটা উপজেলার সংযোগ হওয়া সাঁপমারা খাল খননকল্পে গ্রহন করা হয়েছে দুইটি প্রকল্প। সরেজমিনে যেয়ে জানা যায়, গত বছরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) অধীনে নদী খনন পর্যায়ে দেবহাটার সাঁপমারা খালটির আশাশুনীর শোভনালী ইউনিয়নের কাটাখালী হতে দেবহাটার পারুলিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত দেবহাটা সদর ইউনিয়নের ভাতশালায় ইছামতি নদীর সংযোগস্থল পর্যন্ত ১৯ কিলোমিটার দীর্ঘ খাল খননের জন্য দুইটি প্যাকেজে ১৯ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। বরাদ্দ পরবর্তী টেন্ডারের মাধ্যমে খাল খননের দুটি প্যাকেজের কাজ পায় পটুয়াখালীর আবুল কালাম আজাদ ও ঢাকা বিজয় নগরের বশির উদ্দীনের এমকে এন্টারপ্রাইজ নামের দুই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। সাঁপমারা খালটির ৯ কিলোমিটারের এ খননকাজে উপরিভাগে গড়ে ৩০ মিটার এবং তলদেশ গড়ে ৯ মিটার হারে খনন করা হবে বলে জানিয়েছেন পাউবো কর্তৃপক্ষ। তাছাড়া খালটি খনন কাজ চলাকালে দু পাশের ১৫ ফিট করে জায়গা রেখে খালের খননকৃত মাটি ফেলতে হবে বলে জানা গেছে। সরকারীভাবে সাঁপমারা খাল খননের প্যাকেজ দুটির একটির কাজ আগামি জুন ও অপরটি আগামি ডিসেম্বর মাসের মধ্যে শেষ করার জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে খনন কাজ শুরুর পর খালটির দু’পাশে বসবাসরত শতশত পরিবারকে তাদের ঘর, আসবাবপত্র সরিয়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। বর্তমানে গৃহহারা সে সব পরিবার বিশ্বব্যাপি করোনা ভাইরাসের প্রভাবে কর্মহীন হয়ে খোলা আকাশের নিচে অত্যান্ত মাতবতার জীবন যাপন করছে। তাদের জন্য নতুন আবাসস্থলের দাবী জানানো হলে তাদের পুনবাসনের প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছিল সে সময়। এ ব্যপারে সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)’র এসও সাইদুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে,তিনি ম্যাপ অনুযায়ী মেপে কাজ করা হচ্ছে বলে জানান।তবে এ সব দুর্নীতির সুষ্ঠ তদন্তের দাবী জানিয়েছে এলাকাবাসী।
-

দেবহাটায় করোনার প্রভাবে অসহায় ও দুঃস্থদের মধ্যে ওসির খাদ্য সামগ্রী বিতরন
দেবহাটা প্রতিনিধি ॥ সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাাফিজুর রহমান (বিপিএম) বার এর নির্দেশনা মোতাবেক করোনা প্রতিরোধ ও সতর্কতা কার্যক্রম এবং করোনা ভাইরাসের কারনে কর্মহীন ও অসহায় দুঃস্থ মানুষদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরনের অংশ হিসেবে দেবহাটা থানার ওসি বিপ্লব কুমার সাহার উদ্যোগে এবং এনসিসি ব্যাংকের প্রতিষ্টাতা পরিচালক দেবহাটার টাউনশ্রীপুরের বিশিষ্ট সমাজসেবক আলহাজ¦ আবুল কাশেমের অর্থায়নে মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় ত্রান বিতরন অনুষ্ঠিত হয়। দেবহাটা থানা এলাকার ৫টি ইউনিয়নের বাছাই করা অপেক্ষাকৃত গরীব ও অসহায় কর্মহীনদের মধ্যে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে দিনহীন অসহায় কর্ম হারানো মানুষদের মধ্যে এই ত্রান তুলে দেন দেবহাটা থানার ওসি বিপ্লব কুমার সাহা। এসময় দেবহাটা থানার ওসি (তদস্ত) উজ্জ্বল কুমার মৈত্র, দেবহাটা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নওয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মুজিবর রহমান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান সবুজ, দেবহাটা সদর ইউপি চেয়ারম্যান আবু বকর গাজী, দেবহাটা থানার সেকেন্ড অফিসার এস আই নয়ন চৌধুরী, দেবহাটা প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক আর.কে.বাপ্পা, দেবহাটা প্রেসক্লাবের কার্য্যনির্বাহী সদস্য সহকারী অধ্যাপক ইয়াছিন আলী,কোষাধাক্ষ কেএম রেজাউল করিম,দপ্তর সম্পাদক আজিজুল হক আরিফ, এসআই আবু হানিফ, এসআই হেকমত আলী, এস আই আসিফ ইকবাল, প্রবীর কুমার, সুজিত বিশ^াস, এএসআই রাশিদুল ইসলাম প্রমুখ।এ সময় ওসি বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, করোনা ভাইরাসের কারনে কেউ ভয় বা আতঙ্কিত না হয়ে সকলকে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি সরকারের আদেশ মেনে অকারনে কাউকে বাড়ির বাইরে না আসা, বারবার সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, বেশী করে পানি পান করা ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার পরামর্শ দেন। এমন এক দূর্যোগ মূহুর্তে সমাজের বিত্তশালীদের অসহায় মানুষদের পাশে দাড়ানোর জন্য ওসি বিপ্লব কুমার সাহা আহবান জানান।
-
দেবহাটায় জনশুমারি ও গৃহগণনা’র দুই পদে নিয়োগ পরীক্ষা
বিশেষ প্রতিনিধি, দেবহাটা: বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২১’ এর লিস্টিং অপারেশন এবং মুল শুমারির গণনা কার্যক্রমে ‘তালিকাকারী/গণনাকারী ও সুপারভাইজার’ পদে আবেদনকারীদের নিয়োগ পরীক্ষা আজ বৃহষ্পতিবার । দুপুর ২ টা থেকে দেবহাটা কলেজ ও দেবহাটা সরকারি বিবিএমপি ইনষ্টিটিউশনে পরীক্ষায় অংশগ্রহন করবেন আবেদনকারীরা। ইতোমধ্যেই উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন থেকে নির্ধারিত দু’টি পদে দাখিলকৃত আবেদন থেকে ত্রুটিপুর্ন আবেদনপত্র বাতিল পরবর্তী বাছাইকৃত মোট ৪৬৫ জনের তালিকা প্রকাশ করেছে উপজেলা পরিসংখ্যান অধিদপ্তর। এর আগে গত ১৪ জানুয়ারী দু’টি পদের জন্য নিয়োগে আগ্রহী দেবহাটা উপজেলার স্থায়ী বসবাসকারী বেকার যুব, যুব মহিলা, ও ছাত্র ছাত্রীদের থেকে শর্তসাপেক্ষে লিখিত আবেদন জমা দেয়ার আহ্বান জানায় উপজেলা প্রশাসন। ভারপ্রাপ্ত দেবহাটা উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা আব্দুস সামাদ জানান, সুপারভাইজার পদে ¯œাতক পাশ ও তালিকাকারী/গণনাকারী পদে এইচএসসি পাশ প্রার্থীদের আবেদন করতে বলা হয়েছিলো। নির্ধারিত দুটি পদের জন্য উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন থেকে মোট ৫৯৭ জন প্রার্থী আবেদনপত্র দাখিল করেন। এসকল আবেদনের মধ্য থেকে বিভিন্ন ত্রুটির কারনে ১৩২ জনের আবেদনপত্র বাতিল এবং পরীক্ষায় অংশগ্রহনের জন্য বাছাইকৃত ৪৬৫ জনের চুড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এদের মধ্য থেকে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে ৭৬ জন তালিকাকারী/গণনাকারী এবং ১০ জন সুপারভাইজার নিয়োগ পাবেন। দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাজিয়া আফরীন বলেন, স্বচ্ছতার সাথে দু’টি পদের নিয়োগ সম্পন্ন করতে আবেদনকারীদের জন্য ত্রিশ মার্কস্ এর প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে লিখিত পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। নিয়োগ পেতে প্রার্থীদের অবশ্যই পরীক্ষার মাধ্যমে মেধা তালিকায় উত্তীর্ন হতে হবে। এছাড়া প্রার্থীদের আধুনিক এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোন ব্যবহারে পারদর্শী, নির্ভুল বানান ও সহজে বোধগম্য সুন্দর হাতের লেখা হওয়া বাঞ্ছনীয়। এতে করে কোন প্রকার দুর্নীতি-অনিয়ম ছাড়াই সুষ্ঠভাবে পরীক্ষার মাধ্যমে কেবলমাত্র যোগ্য প্রার্থীরা নিয়োগ পাবেন।
-

কেবিএ কলেজের সহকারী অধ্যাপকের সম্পতি দখলে নিতে অপচেষ্টায় দুই সহোদর!
দেবহাটা প্রতিনিধি: দেবহাটা উপজেলার সরকারি কেবিএ কলেজের ভূগোল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আব্দুল আজিজের রেকর্ডীয় সম্পত্তি কামটা গ্রামের মৃত. শাহাবুদ্দিনের ছেলে বিএনপি নেতা আব্দুল কাদের ও জামায়াত নেতা আব্দুর রশিদ জোরপূর্বক দখলের পায়তারা চালাচ্ছেন অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, ১৯৫৫সাল থেকে বালিকৃষ্ণপুর মৌজার এস,এ ৫৭নং খতিয়ানে লিখিত সাবেক ৫৮২ দাগ, বর্তমান বি.আর.এস ৪৬৮ দাগে ০.৫৪একর জমি গোলাপজান বিবির এক আনা সম্পত্তির মালিক। গোলাপ জানের মৃত্যুতে তার একপুত্র আব্দুল আজিজ ও এক কন্যা ঐ জমির ওয়ারেশ হন। পরে ২৩ জানুয়ারী ২০১৮ সালে ভাই বোনের জমির অংশ বিনিময় করে কলেজ শিক্ষক আব্দুল আজিজ একক ভাবে প্রাপ্ত হন। উক্ত সম্পত্তিতে পূর্বে ধান্য চাষ করলেও বিগত কয়েক বছর যাবত সমগ্র ০.৫৪ একর ভূমিতে মৎস্য ঘের করে কালতক মালিক পক্ষ আব্দুল আজিজ দখলিকার আছেন। উক্ত ভূমিতে বা তাহার কোন অংশে কামটা গ্রামের মৃত. সাহাবুদ্দিনের ছেলে আব্দুল কাদের(৪৫) ও আব্দুর রশিদ(৫৬) এর কোন প্রকার স্বত্বস্বার্থে দখল সংশ্রব ছিল না। তাদের কোন অংশ না থাকার সত্বেও নিত্যান্ত অন্যায় ও বেআইনি ভাবে জমিতে জবর দখল করবে বলে। তারা ভেড়িবাধ ভেঙ্গে দিবে বলে এবং ঘেরের ক্ষতিসাধান করবে বলে বিভিন্ন প্রকার হুমকি ও পায়তারা করছে বলে জানান কলেজ শিক্ষক। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে পাশ্ববর্তী ঘের মালিক ২ সহোদর অতিরিক্ত পানি তুলে এবং ভেড়িবাধ ভেঙ্গে দিয়ে তাদের দখলে নিতে অপকৌশল চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের এসব কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করতে গেলে তারা লাঠিসোটা, লোহার রড নিয়ে মারতে এগিয়ে আসে। আমি তাদের ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
