স্টাফ রিপোর্টার : দেবহাটায় নিজ বাড়িতে প্রবেশ করে হামলা ও পিটিয়ে রক্তাক্ত করার ঘটনায় থানায় মামলা । উপজেলার সখিপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে নিজ বাড়িতে প্রবেশ করে পিটিয়ে আহত ও রক্তাক্ত করার করার ঘটনায় দেবহাটা থানায় একাট মামলা দায়ের করেছে আহতের ভাই জহুরুল ইসলাম। মারপিটের ঘটনায় আহত দক্ষিন সখিপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের পুত্র শহিদুল ইসলাম (৩৫) গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মামলার এজাহার সূত্রে জানাযায়, দক্ষিন সখিপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের পুত্র জহুরুল ইসলাম আনুমানিক ২০ বছর পূর্বে উপজেলার ঘোনাপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল গফ্ফার গাজীর কন্যা পারুল বেগম (৩৫) এর সাথে ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক বিবাহ করে। বিবাহের পর থেকে স্ত্রী পারুল বেগম নিজের খেয়াল খুশি মত চলা ফেরা ও বহুবার কলহ সৃষ্টি করতে থাকে। বিষয়টি বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা অনেকবার আপোষ মিমাংশা করে দেন। কিন্তু পারুল বেগম নিজেকে শুধরে না নিয়ে দিনের পর দিন কলহ সৃষ্টি করতে থাকে। দীর্ঘ সাংসারিক জীবনের অশান্তির কোন উপায় না পেয়ে জহুরুল ইসলাম গত ইং ১১/০৩/২০২০ তারিখে আইন ও শরিয়াত মোতাবেক পারুল বেগমকে তালাক প্রদান করে। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে গত ১২/০৬/২০২০ তারিখ সন্ধা সাড়ে ৭টার দিকে লাঠি সোটা সহ বিভিন্ন অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে জহুরুলকে মারতে আসলে তাকে বাড়িতে না পেয়ে তার ভাই শহিদুল ইসলাম (৩৫)কে মারপিট করে রক্তাক্ত জথম এবং ঘরের দরজা সহ অন্যান্য মালামাল ভাংচুর করে প্রায় ১লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করে। এসময় শহিদুল ইসলামের ডাক ও চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসলে তারা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এঘটনায় শহিদুলকে গুরুতর রক্তাক্ত অবস্থায় সখিপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এঘটনায় আহতের ভাই জহুরুল ইসলাম ৫জনের নামে ১৩/০৬/২০২০ তারিখ (ধারা- ১৪৩/৪৪৭/৩২৩/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৩৮০/৪২৭/৫০৬/১৪৪) উল্লেখ করে দেবহাটা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ০৩। এ এব্যাপারে দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার সাহা জানান, ঘটনার পরপরই রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ব্যাপারে আহতের ভাই বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেছে। আইনগত প্রক্রিয়া চলছে।
Category: দেবহাটা
-

দেবহাটা পারুলিয়ায় গৃহ বধুর রহস্য জনক মৃত্যু
দেবহাটা প্রতিনিধি : ,দেবহাটা : দেবহাটা পারুলিায়ায় এক গৃহ বধুর রহস্য জনক মৃত্যু। সে দুই সন্তানের জননী। পরিবার ও স্থানীয়দের ধারনা নেশার ঘোরে তাকে হত্যা করেছে তার স্বামী। এ ঘটনায় প্রাথমিক ভাবে তার স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পারুলিয়া কাশেম পার্ক এলাকায়। প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানাযায়, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আলীপুর ঢালিপড়া গ্রামের আইয়ুব আলী সরদারের কন্যা ফরিদা খাতুনের সাথে ১২ বছর আগে বিয়ে হয় পারুলিয়া গ্রামের শহিদুল ইসলামের পুত্র বাবুরালীর সাথে। বিয়ের পরে দুইটি সন্তান হয় তাদের। কিন্ত স্মামী বাবুর আলী মাদকাসক্ত হওয়ায় সংসারে অশান্তি লেগে খাকত প্রায়ই । এরই মধ্যে গত বৃস্পতিবার ঐ দুই সন্তানের জননী হাতে পায় মাতৃত্ব কালীন ভাতার চেক। শুক্রবার ভোর বেলা এই চেকের বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে শুরু হয় অশান্তি। এই সময়ের মধ্যে মারা যায় ফরিদা। পরে সকালে স্বামী সব যায়গায় প্রচার দেয় উচ্চ রক্তচাপে সে মারা গেছে। এ সময় বাবুরালী শশুর বাড়িতেও খবর দেয়, তার স্ত্রী উচ্চ রক্তচাপে মারা গেছে। তখন দুই সন্তানের জননী ফরিদা খাতুনের বাবার বাড়ি থেকে সবাই পারুলিয়া কাশেম পার্ক সংলগ্ন বাবুরালীর বাড়িতে চলে আসে। এ সময় তারা তাদের কন্যা ফরিদার গলায় দাগ এবং ঘরের মধ্যে নিচু একটি বাশের আড়ায় ঝুলন্ত ওড়না দেখতে পায় । বিষয়টি দেখে তাদের সন্দেহ হলে থানা পুলিশে খবর দেয়। দেবহাটা থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে এসে তার স্বামী বাবুরালীকে প্রাথমিক গ্রেফতার করে এবং নিহত ফরিদার লাশ ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা পাঠায় । এ ব্যাপারে দেবহাটা থনার দায়িত্ব প্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ ওসি তদন্ত উজ্বল কুমার মৈত্র জানান, তার স্বামীকে আটক করা হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে জিঞ্জাসাবাদ শেষে তাকে জেল হাজতে প্রেরন করা হবে। পোষ্ট মডেম রিপোর্ট আসলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। -
দেবহাটায় সাপমারা খাল দখলের প্রতিবাদে মানববন্ধন
সাতক্ষীরার দেবহাটায় সরকারী ১৯ কোটি টাকা বরাদ্দে চলমান পুনঃখনন কার্যক্রম শেষ হতে না হতেই প্রভাবশালী দেব কুমার বিশ্বাস কতৃক সাপমারা খাল দখল করে কংক্রিটের অবৈধ স্থাপনা নির্মানের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার সকাল ৯টা থেকে সাতক্ষীরা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের আয়োজনে পারুলিয়া-সখিপুর বাজার ব্রীজের উপর অবস্থান নিয়ে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন করেন উপজেলার রাজনৈতিক ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দসহ সকল শ্রেনী পেশার মানুষ।
মানববন্ধন কর্মসূচীতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দেবহাটা উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জিএম স্পর্শ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের আহ্বায়ক আবু রাহান তিতু, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান মিন্নুর, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি সাইফুর রহমান সুমন, পারুলিয়া মৎস্য সেড কমিটির সভাপতি রজব আলী, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হোসেন প্রমূখ।
এসময় বক্তারা বলেন, বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ১৯ কোটি টাকা বরাদ্দে চলমান পুনঃখনন কার্যক্রমে যখন পারুলিয়া সাপমারা খালটি প্রান ফিরে পেতে শুরু করেছে, ঠিক তখনই সরকারের উন্নয়ন প্রচেষ্টাকে নস্যাৎ করে সাপমারা খাল দখলে নিয়ে খালের অভ্যন্তরেই কংক্রিটের অবৈধ স্থাপনা নির্মান করে চলেছে সখিপুর বাজারের জনতা ফার্মেসীর মালিক প্রভাবশালী দেব কুমার বিশ্বাস ওরফে দেবু বিশ্বাস।
খাল দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মান দেশের প্রচলিত নদী আইনের চরম অবমাননাকর এবং প্রকৃতি ও পরিবেশের জন্য হুমকি স্বরুপ হওয়া স্বত্ত্বেও, দেবহাটা উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার সাইদুর রহমানসহ গুটি কয়েক অসাধূ ব্যাক্তির প্রত্যক্ষ পরোক্ষ সহযোগীতায় মোটা টাকা ঘুষ লেনদেনের মাধ্যমে প্রশাসনের নাকের ডগায় প্রকাশ্যে সাপমারা খাল দখল করে কংক্রিটের অবৈধ স্থাপনা নির্মান করে চলেছে ওই প্রভাবশালী দেব কুমার বিশ্বাস।
এভাবে দখলদারিত্ব চলতে থাকলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে সাপমারা খালটি আবারো নাব্যতা হারিয়ে অস্তিত্ব সংকটে পড়তে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করে বক্তারা আরো বলেন, ইতোপূর্বেও সাপমারা খালটি অবৈধ দখলদারদের দখল প্রবণতায় এবং নাব্যতা হারিয়ে অস্তিত্ব সংকটে পড়ায় সুদীর্ঘ সময় ধরে দেবহাটা উপজেলাবাসীকে জলাবদ্ধতাসহ তীব্র দূর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
সম্প্রতি সরকারী বরাদ্দে চলমান খনন কার্যক্রমের ফলে আবারো প্রান ফিরে পাচ্ছে সাপমারা খালটি। প্রকাশ্যে খাল দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মান চলতে থাকলেও অদ্যবধি প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্মানাধীন অবৈধ স্থাপনাটি উচ্ছেদ এবং দখলদারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন না করায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন বক্তারা।
একই সাথে খাল রক্ষায় প্রশাসন এগিয়ে না এলেও দেশ ও মানুষের বৃহৎ স্বার্থে প্রয়োজনে নিজেদের খাল নিজেরাই রক্ষার ঘোষনা দেয়া হয় মানববন্ধন থেকে। মাননবন্ধন শেষে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন না করা পর্যন্ত সাপমারা খাল দখল করে নির্মানাধীন অবৈধ স্থাপনার নির্মান কাজ বন্ধ করে দেন এলাকাবাসী। -
দেবহাটা নাংলা-ছুটিপুর সীমান্ত দিয়ে আসছে মাদক ও গলদা রেনু,গরু : করোনা আতঙ্কে এলাকাবাসী
দেবহাটা প্রতিনিধি: পার্সপোট লাগেনা, ভিসা লাগেনা অবাধে চলে ভারতে যাতায়াত। প্রশাসনের নজর এড়িয়ে স্থানীয় ভাষায় কথিত ঝাপানো পার্সপোটে চলছে এসব ব্যবসা। দেবহাটা নাংলা, বসন্তপুর ছুটিপুর সীমান্ত দিয়ে আসছে মাদক ও নফড়ী,গরুসহ অবেধ বিভিন্ন পন্য সামগ্রী। করোনা ছড়ানোর আতঙ্কে দিন কাটছে এলাকাবাসীর। দেবহাটা নাংলা-ছুটিপুর সীমান্ত দিয়ে আসছে মাদক,গলদারেনু, নফড়ীসহ বিভিন্ন অবৈধ মালামাল।সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাস নামক ঘাতক ব্যাধি থেকে দেশকে রক্ষা করতে যখন পুলিশসহ প্রসাশনের কর্মকর্তরা ব্যস্ত তখন উপজেলার নাংলা, বসন্তপুর ছুটিপুর এলাকার কিছু প্রভাবশালীর ছত্র ছায়ায় মাদক ব্যবসায়ী ও চোরা কারবারীরা সক্রীয়। যাদের এক দেশ থেকে আর এক দেশের সিমানা অতিক্রম করতে লাগেনা কোন পার্সপোর্ট ভিসা। অবাধে ইছামতি নদী পার হয়ে চলে যায় ভারত সিমান্তে। রাতের আধারে পারাপার করে নিয়ে আসে মরন ঘাতক নেশার সামগ্রী মাদক, গলদারেনুসহ বিভিন্ন অবৈধ মালামাল। তবে সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো যারা যাতায়াত করে তাদের লাগেনা পার্সপোর্ট বা ভিসা। এর পরেও স্থানীয়দের খবরের পরিপ্রেক্ষিতে কিছু দিন পুর্বে তারা পারিনি প্রশাসনের নজর এড়াতে। তাদের বাড়িতে টানিয়ে দেওয়া হয়েছিল হোম কোয়ারেন্টাইনের চিহ্নিত লাল পতাকা। তবে থেমে নেই অবৈধ চোরা কারবারীদের ব্যবসা। আর এ সব অভিযোগ করেছে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েক জন ব্যক্তি। বিষয়টির সত্যতা খুজতে গত ৩রা জুন বিকালে যাওয়া হয় ঐ এলাকায়। সরেজমিনে যেয়ে দেখা যায়,উপজেলার সিমান্তবর্তী দক্ষিন নাংলা গ্রামের আব্দুর রশিদের পুত্র মোরসেলিম, একই গ্রামের জোমাত আলীর পুত্র জাহিদুল এবং দীন আলীর পুত্র শরীফুল মাল আনার জন্য অবৈধ ভাবে ভারতে অবস্থান করছে। তবে তাদের পরিবারের পক্ষে ভারতে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে। তাছাড়া মাদক আনতে যাওয়ার বিষয় জানতে চাইলে তা অস্বীকার করে বলে তারা গরু আনতে গেছে। তারা সুযোগ বুঝে প্রায়ই সিমান্তবর্তী নদী ইছামতি সাঁতরীয়ে ভারত থেকে অবৈধ মালামাল নিয়ে আসে বলেও জানায় একটি সুত্র। এছাড়া একই এলাকার জিয়াদ আলীর পুত্র আদর আলী,আনছার মন্ডলের পুত্র রফিকুল,সাহামোত আলীর পুত্র মাজেদ প্রতি নিয়ত ভারতে যেয়ে অবৈধ মালামাল পারাপার করে বলে জানায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অপর একজন।তা ছাড়া এদের মধ্যে দুই একজন এসব কারনে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনও শেষ করেছেন বলে জানাযায়। এমন পরিস্থিতিতে ঐ এলাকায় চলে করোনা আতঙ্ক। এ ব্যাপারে বিজিবি’র খানজিয়া ক্যাম্প কমান্ডার আসলাম হোসেনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার ফোনটি বন্ধ থাকায় সম্ভব হয়নি।
-

দেবহাটার চিহ্নিত মামলাবাজ ওহাব আলী কর্তৃক একাধিক মিথ্যা মামলার দায় থেকে অব্যাহতি সংবাদ সম্মেলন
অবৈধভাবে সম্পত্তি দখল করতে দেবহাটার চিহ্নিত মামলাবাজ ওহাব আলী কর্তৃক একাধিক মিথ্যা মামলার দায় থেকে অব্যাহতি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন দেবহাটা উপজেলার ধোপাডাঙ্গা গ্রামের মৃত. আব্দুর রহিম সরদারের পুত্র আব্দুস সামাদ।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি একজন অসহায় নিরিহ প্রকৃতির মানুষ। ধোপাডাঙ্গা মৌজায় বিভিন্ন স্থানে থাকা পৈত্রিক সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলের চক্রান্তে লিপ্ত হয় একই এলাকার ওহাব আলী ও তার পুত্র মহিউদ্দীন। অথচ ওই সব সম্পত্তি ১৯৭১ সালের পূর্বের আমার পিতা ক্রয় করেন। সে অনুযায়ী আমার দীর্ঘদিন খাজনাদি পরিশোধ পূর্বক ভোগদখল করে আসছি। বর্তমান রেকর্ডও আমার নামে রয়েছে। এরপরও পর সম্পদ লোভী ওহাব আলী ও তার পুত্র মহিউদ্দীন জনৈক হারান গাজীর কাছ থেকে একটি পাওয়ার অব এ্যাটার্নী করে নিয়েছে। ওই পাওয়ার অব এ্যাটার্নীর বুনিয়াদে তারা আমাদের সম্পত্তি দখলের চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু হারান গাজীর পিতা মৃত. সোনাই গাজী জীবিত থাকা অবস্থায় ওই সম্পত্তি অন্যত্র বিক্রয় করেন। তাহলে হারানের পাওয়ার অব এ্যাটার্নী দেওয়ার কোন ক্ষমতায় নেই।
তার মৎস্যঘেরের মধ্যে থাকার আমার ১৫ শতক সম্পত্তি কোন হারির টাকাও পরিশোধ করে না। কিন্তু বিগত ২০১৪ সাল পর্যন্ত ওই ব্যক্তিই আমাকে হারির টাকা প্রদান করেছে। ২০১৫ সাল থেকে আর পরিশোধ করে না। এবিষয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে মামলাবাজ ওহাব আলী আমার বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে যাচ্ছে। অথচ উক্ত সম্পত্তির বিষয়ে সেই আদালতে মামলা দায়ের করেছে। মামলার রায় আসার অপেক্ষা না করে সাঙ্গ পাঙ্গ নিয়ে গায়ের জোরে আমার পৈত্রিক সম্পত্তি দখলের পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি পবিত্র ঈদ উল ফিতরের পরের আমি আতœীয় বাড়িতে বেড়াতে যায়। সেখান থেকে ফিরে এসে শুনতে পাই ওই ওহাবের মৎস্যঘেরে কে বা কারা বিষ প্রয়োগ করে মাছ মেরে ফেলেছে। সেখানেও নাকি আমাকেসহ কয়েকজনকে আসামী করার চেষ্টা করছে ওহাব আলী। অথচ ঘটনার সময় আমি বাড়িতেই ছিলাম না। আর ঘটনার বিষয়টি বাড়ি ফিরে শুনেছি। তাহলে কিভাবে ওই মৎস্যঘেরে বিষ প্রয়োগ করলাম।
ওই ওহাব আলীর উদ্দেশ্যে আমাকে মামলায় মামলায় জর্জরিত করে জেল খাটিয়ে ভিটেমাটি ছাড়া করে আমার পৈত্রিক সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল করে নিবে। আর সে উদ্দেশ্যেই একবার পিতা বাদী হয়ে, আরেক বার পুত্র বাদী হয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করে যাচ্ছে। শুধু আমার বিরুদ্ধেই না আমার ভাইসহ প্রতিবেশী অনেকের বিরুদ্ধে সে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। আমি বর্তমানে মিথ্যা মামলার বোঝা মাথায় নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছি। তিনি ওই পরসম্পদ লোভী মামলাবাজ ওহাব আলী ও তার পুত্র কর্র্তৃক দেওয়া মিথ্যা মামলার হাত থেকে পরিত্রাণ এবং আমার পৈত্রিক সম্পত্তির রক্ষার জন্য সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। -

দেবহাটায় ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে লন্ডভন্ড আমিনা খাতুন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়
দেবহাটা প্রতিনিধি : দেবহাটায় ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে লন্ডভন্ড আমিনা খাতুন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়। করেনা পরিস্থিতির পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললেই শিক্ষক-ছাত্রীদের পাঠদান খোলা আকাশের নিচে করার বিকল্প কিছু নেই। সংশ্লিষ্ঠদের সহযোগিতা কামনা করেছেন বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও শিক্ষক-কর্মচারীরা। একে বিদ্যাটির শিক্ষক-কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরে এমপিও’র অভাবে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। তাতে আবার ঘুর্নিঝড় আম্ফানের তান্ডবে লন্ডভন্ড করে দিয়েছে বিদ্যালয়ের সব কয়টি শ্রেনী কক্ষ। বেতন নেই তবুও ছাত্রীদের নিয়ে প্রায় ২০ বছর পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছিল শিক্ষকরা। জানাযায়,উপজেলার দেবহাটা ও সখিপুর ইউনিয়নের একমাত্র নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আমিনা খাতুন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যাালয়টি ২০০০ সালে স্থাপিত হয়। প্রাথমিক ভাবে বিদ্যালয়টি ২০০২ সালে নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসাবে পাঠদানের অনুমতি পায়। পরে ২০০৫ সালে বিদ্যালয়টি নি¤œ মাধ্যমিকে একাডেমিক স্বীকৃতি (চুড়ান্ত পাঠ দানের অনুমতি) পায়। ২০১০ সালের প্রথম দিনেই বিদ্যালয়টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একাডেমিক স্বীকৃতি পায়। তবে বিদ্যালয়টির শিক্ষার মান প্রথম থেকেই ছিল সন্তোষ জনক। এ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় এ পর্যন্ত চার বার এবং নি¤œ মাথ্যমিক পরীক্ষায় একবার শতভাগ পাশ করার সফালতা থাকলেও নানা সমস্যায় এমপিও ভুক্তির তালিকায় আসতে পারেনি বিদ্যারযটি। এ বিদ্যালয়ে রয়েছে ১২ জন শিক্ষক ও ৩ জন কর্মচারী। বেকারত্বের অভিশাপ নিয়ে মানবেতর জীবনের মধ্যে কাটছে তাদের জীবন। বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক জহুরুল ইসলাম জানান, বিদ্যালয়ের ০৯ কক্ষ বিশিষ্ট টিনসেডের একটাই ভবন। যার প্রায় প্রত্যেকটি কক্ষের চাল সম্প্রতি বাংলাদেশের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া প্রলয়ংকারী ঘুর্ণিঝড় আম্ফানের তান্ডবে উড়িয়ে নিয়ে গেছে। করোনা প্রভাবে বন্ধ হওয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার পর শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য এমন কোন কক্ষ নেই যে সেখানে তাদের পাঠদান করাবো। এমন পরিস্তিতে খোলা আকাশের নিচে পাঠদান করানো ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না। তাই প্রতিষ্ঠানটি সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ ও বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করেন প্রধান শিক্ষকসহ সকল শিক্ষক,অভিভাবক ও এলাকার সচেতন মহল।
-

দেবহাটা নওয়াপড়ায় ২ কোটি ৬৭লক্ষ ৬৩ হাজার ৫শত টাকার বাজেট ঘোষনা:
দেবহাটা প্রতিনিধি: দেবহাটা নওয়াপড়া ইউনিয়ন পরিষদে উন্মক্ত বাজেট ঘোষনা করা হয়েছে। রবিবার সকাল ১০ টায় নওয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে ২০২০-২০২১ সালের জন্য এক বছরের বাজেট ঘোষনা করেন ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মুজিবর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউপি সচিব কামরুজ্জামান,ইউপি সদস্য আবুল কাশেম,নুরুজ্জামান সরদার,মিজানুর রহমান,আসমাতুল্লা গাজী আসমান,মনিরুজ্জামান মনিসহ সকল ইউপি সদস্য ও এলাকার সাধারন জনগন। এ সময় ইউপি চেয়াম্যান ২০২০-২০২১ অর্থবছরের মোট আয় ২৬৭৬৩৫০০ টাকা, মোট ব্যায় ২৬০৬৩০০০/ টাকা ধরে একটি বাজেট ঘোসনা করেন।
-

পিকআপের ধাক্কায় প্রান গেল, চালক ও পিকআপ আটক দেবহাটায় নানার বাড়িতে যাওয়া হলোনা প্রথম শ্রেনী পড়–য়া ছাত্র নিশানের
দেবহাটা প্রতিনিধি : দেবহাটায় নানার বাড়িতে যাওয়া হলোনা প্রথম শ্রেনী পড়ুয়া ছাত্র নিশানের । পিকআপের ধাক্কায় প্রান গেল তার। চালক ও পিকআপটি আটক করেছে স্থানীয় জনতা ও পুলিশ। ঈদের পরে নানার বাড়ি যাওয়া, সেখানে যেয়ে সবার সাথে খেলা করা,মজা করে অনেক কিছু খাওয়া এ সব স্বপ্ন নিয়ে ভোমরা আসছিল উপজেলার ধোপাডাঙ্গায় নানার বাড়ি।আর অল্প একটুর জন্য পূর্ন হলোনা সে স্বপ্ন। পথেই ঘাতক একটি পিকআপ রাস্তা পার হওয়ার সময় তার মায়ের হাত থেকে ছিনিয়ে নিল তার প্রাণ। এ ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে উপজেলার সাতক্ষীরা-কালীগঞ্জ সড়কের সখিপুরস্থ সরকারী হাসপাতালের নিকটে। জানাযায়, চলন্ত পিকআপের ধাক্কায় প্রথম শ্রেনীতে পড়ুয়া শিশু নিশান (৭) নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে উক্ত পিকআপের চালক ও ঘাতক পিকআপটি আটক করেছে। নিহত শিশু নিশান সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভোমরা গ্রামের আবুল কাশেমের পুত্র। নিহত নিশান ও তার মা খাদিজা খাতুন ভোমরা থেকে দেবহাটা উপজেলার ধোপাডাঙ্গাস্থ তার নানার বাড়িতে বেড়াতে আসতেছিল। তারা ইজিবাইক থেকে নেমে রাস্তা পার হওয়ার সময় কালীগঞ্জের দিক থেকে সাতক্ষীরার দিকে যাওয়া খুলনা মেট্রো- ন ১১-১২৫৭ নম্বরের একটি মোবাইল কোম্পানীর পিকআপ দ্রুত বেগে যাওয়ার সময় নিশান ও তার মাকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে নিশান মারাত্মক আহত হলে তাকে সখিপুরস্থ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পথিমধ্যে সে মারা যায়। এছাড়া তার মা খাদিজা খাতুনের একটি হাত ভেঙ্গে গেছে বলে জানা যায়। এসময় স্থানীয় জনতা ঘাতক পিকআপ ও ড্রাইভারকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ড্রাইভার সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা গ্রামের আব্দুস সাত্তারের পুত্র রবিউল ইসলামকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। সড়ক দূর্ঘটনায় নিশানের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে দেবহাটা থানার ওসি বিপ্লব কুমার সাহা জানান, চালক ও পিকআপটি আটক করা হয়েছে এবং এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে ।
-

দেবহাটায় বিজিবি’র উদ্যোগে ত্রান সামগ্রী বিতরন
দেবহাটা প্রতিনিধি : দেবহাটায় বিজিবি’র উদ্যোগে করোনায় কর্মবঞ্চিত সিমান্তবর্তী অসহায় পরিবারের মাঝে ত্রান সামগ্রী বিতরন করা হয়েছে। বুধবার সকাল ৯ টায় উপজেলার বসন্তপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে দেবহাটা সদর ক্যাম্পের আয়োজনে সিমান্তবর্তী কর্মবঞ্চিত অসহায় ৫০টি পরিবারের মাঝে মাথাপিছু ৬ কেজি চাল,৪ কেজি আটা, ১ কেজি ডাল এবং ৫শ গ্রাম লবন বিতরন করা হয়।এ সময় উপস্থিত ছিলেন,খানজিয়া ক্যাম্প কমান্ডার সুবেদার সাহেব আলী, দেবহাটা ক্যাম্প কমান্ডার হাবিলদার সবুর, সহকারী ক্যাম্প কমান্ডার হাবিলদার হানিফসহ বিজিবি’র অন্যান্য সদস্য।এছাড়া খানজিয়া ক্যাম্প এলাকায় ৫০,টাউনশ্রীপুর ক্যাম্প এলাকায় ৫০,ভাতশালা ক্যাম্প এলাকায় ৫০ এবং শাখরা-কোমরপুর ক্যাম্পের অওতাধীন সিমান্তবর্তী এলাকার ৭০ জন কর্মহারা অসহায় পরিবারের মাঝে এ ত্রান সামগ্রী বিতরন করা হয়। -

দেবহাটার নওয়াপাড়ায় ভিজিডি চাল ও শিশু খাদ্য বিতরন
দেবহাটা প্রতিনিধি: দেবহাটা নওয়াপাড়ায় ভিজিডি চাল ও শিশু খাদ্য বিতরন করা হয়েছে। উপজেলার নওয়াপাড়া ইউনিয়ানে মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় নওয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে ৯ টি ওয়ার্ডে ৫৭০ পরিবারের মাঝে ৩০ কেজি করে চাল ও শিশুদের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার ৪২ প্যাকেট গুড়া দুধ বিারন করেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও নওয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মুজিবর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ইউপি সদস্য আবুল কাসেম,নুরুজ্জামান সরদার,আকবর আলী,আসমাতুল্যা গাজী আসমান.মিজানুর রহমান,মনিরুজ্জামান মনি,আবুল খায়ের তারু,মিছেস ফতেমা খাতুন,আল্পনা অধিকারি,হামিদা খাতুন প্রমুখ। এসময় ইউপি চেয়ারম্যান বলেন দেশের সংকটমুহুত্বে প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের জন্য যে খাদ্য সমগ্রী পাঠাচ্ছেন এটাতে কোন দূর্নিতী হলে কঠোর ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। তাই সকলকে সাধারন মানুষের কল্যানে কাজ করার আহবান জানান তিনি । এ ছাড়া জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বাহিরে না যাওয়ার জন্য সবাই কে অনুরোধ করেন। করোনা প্রতিরোধে সবাই কে একসাথে কাজ করার আহবান জানায়ে তিনি আরো বলেন, আমাদের সংসদ সদস্য সাবেক সফল স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডাঃ আফম রুহুল হক এমপি সব সময় আপনাদের খোজ খবর নিচ্ছেন। এই মহামারি করোনা থেকে বাঁচতে সবাই মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করবেন । আমাদের জীবনের মায়া ত্যাগ করে সব সময় আপনাদের জন্য কাজ করে যাচ্ছি । আপনারা সবাই সজাগ হলে বাংলাদেকে করোনা মুক্ত করা সম্ভব হবে।
-

দেবহাটায় মুখোমুখি মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় আহত-৪
দেবহাটা প্রতিনিধি: দেবহাটার পারুলিয়ায় বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালানোয় মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ৪জন। আহতদের মধ্যে ২জনের অবস্থা আশংঙ্কাজনক। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে সাতক্ষীরা থেকে কালিগঞ্জ অভিমুখে আসা এবং কালিগঞ্জ থেকে সাতক্ষীরা অভিমুখে দ্রুতগামী মোটরসাইকেলটি পারুলিয়া গালর্স স্কুল মোড় এলাকায় পৌঁছালে সংর্ঘষের সৃষ্টি হয়। এতে এক মোটরসাইলের চালক সহ ৩জন আরহী এবং অপর মোটরসাইকেল চালক মারাতœক আহত হয়। স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভার্তি করে। উক্ত সড়ক দূর্ঘটনায় আহতরা হলেন দেবহাটার নারিকেলী গ্রামের মৃত জিয়াদ আলীর ছেলে শাহিনুর ইসলাম(৩৫), কালিগঞ্জ উপজেলার নারায়নপুর গ্রামের গোলাম রব্বানীর ছেলে রাইসুল ইসলাম(২৫), একই এলাকার আফজাল হোসেনের ছেলে রুহুল আমিন(২৩) এবং আকবর আলীর ছেলে নাজমুল হোসেন নাইম(২৪)। আহত রুহুল আমিন জানান, তারা ৩জন বন্ধু। সাতক্ষীরা থেকে বাড়ি ফেরার পথে তারা এই দূর্ঘটনার শিকার হয়েছেন। এদিকে এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আহতদের ২জনের অবস্থা অবনতি হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎকরা তাদেরকে সদর হাসপাতালে প্রেরণের প্রস্তুতি চলাচ্ছিল। দেবহাটা থানার সেকেন্ড অফিসার নয়ন চৌধুরী জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আহতদের স্বজনদের খবর দেওয়া হয়েছে। -

দেবহাটা পারুলিয়ায় গ্রামীন ব্যাংকের উদ্যোগে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ
দেবহাটা প্রতিনিধি : দেবহাটার পারুলিয়ায় গ্রামীন ব্যাংকের উদ্যোগে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। সোমবার বেলা ১১টায় গ্রামীম ব্যাংকের পারুলিয়া শাখার আয়োজনে এ বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে পারুলিয়া শাখার ব্যবস্থাপক মিজানুর রহমানের সভাপতিতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, খুলনা জোন জোনাল ম্যানেজার মো. এমাজউদ্দীন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা এরিয়া ম্যানেজার জয়নুল আবেদিন, কালিগঞ্জ এরিয়া ম্যানেজার দীপক কুমার দাশ, প্রোগ্রাম অফিসার (সাতক্ষীরা) আব্দুল আলিম। এসময় ৮জন সংগ্রামী সদস্যকে ২য় দফায় ৩৮ কেজি চাল, ৪ কেজি ডাল, ৪ কেজি পেঁয়াজ, ৮ কেজি আলু, ২ কেজি লবন, ২ লিটার তেল, ৪ টি সাবান সহ নগদ ৬শত টাকা হারে প্রদান করা হয়। এছাড়া পর্যায়ক্রমে আরো সদস্যদের এ সহায়তা প্রদান করা হবে বলে জানা গেছে। -

দেবহাটায় করোনায় আক্রান্ত ও লকডাউনে থাকা পরিবারের মাঝে আলফার খাদ্য সামগ্রী বিতরণ
দেবহাটা প্রতিনিধি : দেবহাটায় কারোনা আক্রান্ত ব্যক্তি এবং তার বাড়ির পার্শ্ববর্তী লকডাউনে থাকা ১০ পরিবারের চাল,ডাল,মসলাসহ ১০দিনের কাচাবাজার হাতে তুলে দিলেন জেলা পরিষদ সদস্য আলহাজ্ব আল ফেরদৌস আলফা। এ ছাড়া সখিপুর সরকারী খান বাহাদুর আহছান উল্লাহ কলেজে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকা ২৪ জনের মাঝেও খাদ্য সামগ্রী বিতরন করেন তিনি। ইতিপুর্বে জেলা পরিষদ সদস্য আল ফেরদৌস আলফা বর্তমান বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের কারনে দেবহাটার কর্মবঞ্চিত অসহায় সহ¯্রাধীক পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরন করেন । প্রাথমিক পর্যায়ে তিনি করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সাধারন মানুষকে সচেতন করার পাশাপাশি মাস্ক বিতরন করেন।তারপর পর্যায় ক্রমে তিনি অসহায় মানুষের পাশে দাড়ান এবং উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে কর্মহারা মানুষের বাড়িতে যেয়ে ব্যক্তিগত তহবীল হতে খাবার পৌছে দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহন করেন।এর ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রথমে তিনি উপজেলার করোনা অক্রান্ত ব্যক্তির বাড়ি ও তার বাড়ি সংলগ্ন লগ ডাউনে খাকা ১০ পরিবারের মাঝে ১০দিনের খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন। পরে তিনি খান বাহাদুর আহছান উল্লাহ কলেজে চিকিৎসাধীন করোনা রোগীর বিভিন্ন ফল এবং পানি গরম করার হিটার সহ কিছু সরঞ্জাম তুলেদেন। এছাড়া প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকা ২৪ জনের মাঝেও খাদ্য বিতরণ করেন জেলা পরিষদ সদস্য আল-ফেরদাউস আলফা। এ সময় সদর ইউপি চেয়াারম্যান আবু বকর গাজী, ইউপি সদস্য আরমান হোসেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আজহারুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।উল্লেখ্য গত পহেলা মে নারায়ণগঞ্জ থেকে ঐ ব্যক্তি সহ আরো ২৪ ব্যক্তি এলাকায় ফিরলে তাদেরকে প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। এরপর ৩ মে ১০জনের নমুনা সংগ্রহ করে খুলনায় প্রেরণ করা হয় । ৫ মে আশা রিপোর্টে একজনের করোনা পজিটিভ ধরা পডছে। বর্তমানে আক্রান্ত ব্যক্তি সহ নারায়নগঞ্জ থেকে আসা অন্যান্যরা প্রতিষ্ঠানিক কোয়াারেন্টাইনে রয়েছে। -
দেবহাটায় প্রথম করোনা রোগী সনাক্ত
দেবহাটা প্রতিনিধি : দেবহাটায় প্রথম করোনা রোগী সনাক্ত হয়েছে। সে উপজেলা সদর ইউনিয়নের দেবহাটা গ্রামের মান্দার গাজীর পুত্র। জানাযায়, দেবহাটা গ্রামের মান্দার গাজীর পুত্র রেজাউল ইসলাম (৪৫) ঢাকার নারায়নগঞ্জে কাজ করতো। সে গত ১লা মে বাড়িতে আসলে তাকে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সখিপুর খান বাহাদুর আহছানউল্লাহ কলেজে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। তার শরীরে করোনা উপসর্গ দেখা দিলে ৩ মে নমুনা পরীক্ষার জন্য খুলনা পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। সেখান থেকে ৫ মে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তার রিপোর্টে পজেটিভ হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা জয়ান্ত সরকার। -

দেবহাটায় কৌশলে বাড়িতে ডেকে ক্যাবল অপারেটরকে হত্যার চেষ্টা : থানায় অভিযোগ
দেবহাটা প্রতিনিধি : দেবহাটায় কৌশলে বাড়িতে ডেকে ক্যাবল অপারেটরকে হত্যার চেষ্টায় দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করেছে এক সন্ত্রাসী। আহত পরিবারের পক্ষে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। জানাযায়, উপজেলার চকমাহমুদ আলীপুর গ্রামের মৃত মীর মোর্শেদ আলীর পুত্র মীর শাহীন বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে দক্ষিন নাংলা গ্রামের হানিফ আলী গাজীর পুত্র ক্যাবল অপারেটর ( ডিশ লাইনের কর্মী ) সাইদুর রহমান সাঈদকে সু-কৌশলে ডিশ লাইনের ম্যাশিন খাটানোর নাম করে বাড়িতে ডাকে। সাঈদ তার বাড়িতে এসে ম্যাশিন খাটানোর পরে শাহীন তাকে কৌশলে টিভি সারর্সিং করার কথা বলে ঘরে ঢুকতে বলে । সাঈদ ঘরে ঢুকে রিমোর্ট কন্ট্রোলার দিয়ে মনোয়োগ সহকারে টিভি সার্সিং করতে থাকে। এক পর্যায়ে চুপিসারে মীর শাহীন প্রথমে পিছন থেকে সাঈদকে দা দিয়ে ঘাড়ের উপরে কোপ মারে। এসময় সাঈদ পিছন ফিরলে আরো একটি কোপ মারতে যায় শাহীন । তখন সাঈদ ঠেকাতে গেলে কোপটি তার ডান হাতের তিনটি আঙ্গুলে স্বজোরে আঘাত লাগে। তখন সাঈদ ভয়ে স্থানীয় এক জনের বাড়িতে যেয়ে আ¤্রয় নেয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সখিপুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করলে তার অবস্থার অবনতি দেখে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা গাজী মেডিকেলে ভর্তি করে সাঈদের পরিবার। তবে হত্যা চেষ্টার রহস্য এখনও উৎঘাট হয়নি বলে জানায়ায় একটি সুত্রে।স্থানীয় সুত্রে ধারনা করা হচ্ছে তার মোটর সাইকেল ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে এ হত্যা চেষ্টা হতে পারে। তাছাড়া এই শাহীন ২০১৩ সাল থেকে ভারতের তামিলনাড়ু এবং বাংলাদেদেশ বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়ে ছিল। তাই অনেকের ধারনা শাহীন জামাতের একজন সক্রীয় কর্মী। সে স্থানীয় মসজিদের ইমামের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তর্ক বিতর্ক করতো। জামাতের গোপন পরামর্শে এমন ঘটনা ঘটাতে পারে বলেও অনেকের ধারনা।তবে রিপোর্টটি লেখা পর্যন্ত পালিয়ে থাকা শাহীন তার ভগ্নিপতি পশ্চিম কোড়ার পুটে পাগলের ছেলে মজনুকে দিয়ে তার ফার্মের মুরগী বিক্রয় করে দেয়। উল্লেখ্য এই এলাকাটি জামাত শিবির অধ্যশিত এলাকা। ২০১৩ সালে এই এলাকার কিছু শিবির কর্মী রাস্তায় ব্যারিকেট দেওয়া,গাছকাটা এমকি আওয়ামীলীগ নেতা রায়হান হত্যা মামলার সাথে জড়িত ছিল বলে জানাযায়। এ ব্যাপারে আহত সাঈদের পিতা বাদী হয়ে দেবহাটা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। এব্যাপারে সরোজমিনে যেয়ে শাহীনসহ তার পরিবারের কাউকেই বাড়িতে পাওয়া যায়নি।এদিকে দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,এ ব্যপারে একটি অভিযোগ পেয়েছি।তদন্ত পুর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। -

দেবহাটায় পাওনা টাকা আদায়ের নামে মধ্যযুগীয় কায়দায় হাত-পাঁ বেঁধে নির্যাতন :উঠানের মাড়াই করা ধান দিয়ে মুক্তি
দেবহাটা প্রতিনিধি : দেবহাটায় পাওনা টাকা আদায়ের নামে মধ্যযুগীয় কায়দায় হাত-পাঁ বেধে নির্যাতন। দীর্ঘ সময় পারকরে উঠানের মাড়াই করা ধান দিয়ে মিললো মুক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে গত রবিবার উপজেলার চিনেডাঙ্গা গ্রামে। জানাযায়,চিনেডাঙ্গা গ্রামের মৃত-গোলাপ গাজীর পুত্র ওয়াজেদ আলীর নিকট বন্ধকীয় জমির নামে সুদের টাকা পেত একই গ্রামের জমির খোঁড়ার পুত্র মিজান আলী। তারই জের ধরে সোমবার বেলা ১১টার দিকে ওয়াজেদ আলীর বাড়ীতে সুদের টাকা চাইতে যায় মিজান গাজী। তখন ওয়াজেদ আলী তার উঠানের মাড়াই করা ধান বিক্রয় করে মিজান আলীর টাকা দেওয়ার কথা বলে। কিন্তু মিজান কোন কথা না শুনে তার উঠানের ধান নিয়ে কথা বলে। এক পর্যায়ে মিজান ধানের বস্তা নিয়ে টানাটানী করতে থাকে। তখন ওয়াজেদ আলীর বিবাহিত কন্যা তাকে বাধা দিয়ে বলে আমার আব্বার কাছে টাকা পাবেন আমরা টাকা দিয়ে দিব। আপনি ধান নিয়ে যেতে পারবেন না। আর এ কথা শুনেই মিজান মেয়েটির চোখের কোনাসহ বিভিন্ন স্থানে মারপিঠ করে ফোলা জখম করে। এ সময় মেয়ের পিতা ওয়াজেদ গাজী মেয়েকে ছাড়িয়ে নেওয়ার সময় মিজানকে ঝাড়– দিয়ে মারপিঠ করে বলে জানায় ভুক্ত ভেগীর পরিবার। এ ছাড়া ওয়াজেদ গাজী আরো জানায়, এ ঘটনার পরে মিজান বাড়িতে যেয়ে পুনরায় লোক জন নিয়ে হাজির হয় আমার বাড়িতে । তখন মিজানের ভাই জিয়া ,রশীদ,ওহিদুল,খালেক ,মনি মিলে আমার বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে আমাকে টানতে টানতে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। সে সময় আমার স্ত্রী এবং কন্য বাধা দিলে তাদেরও মারপিঠ করে। আর আমাদের বাড়ির সামনে লোক বসিয়ে আমার স্ত্রী ও কন্যাকে অবরুদ্ধ করে কোথায়ও বাহির না হওয়ার জন্য বলে। আর আমার চার হাত পা বেধে মারপিঠ করার এক পর্যায়ে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। এ সুযোগে আমার বাড়ি থেকে ধান নিয়ে এসে আমাকে মুক্তি দেয় তারা। এ ব্যাপারে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মিজান জানায়, আমি ওয়াজেদকে ধরে এনে বাড়িতে বেধে রাখি। কিন্তু মারপিঠ করিনি। তবে এ রিপোট লেখা পর্যন্ত দেবহাটা থানায় অভিযোগের প্রস্তুতি চলছিল বলে জানায় ভুক্তভোগী ওয়াজেদ।
-

দেবহাটায় পবিত্র রমজান উপলক্ষে ছাত্রলীগের মাংস বিতরন
দেবহাটা প্রতিনিধি : দেবহাটায় পবিত্র রমজান উপলক্ষে মাংস বিতরন করলো ছাত্রলীগ। উপজেলার সখিপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি তৌহিদ হোসেন এবং দেবহাটা কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আহছান উল্লাহ কল্লোলের উদ্যোগে তাদের ব্যক্তিগত তহবীল থেকে এ মাংস বিতরন করা হয়। বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের প্রভাবে কর্মহীন হয়ে পড়া অসহায় মানুষের মধ্যে আর্থিক সংকট দেখা দিয়েছে। আসন্ন পবিত্র রমজান মাসে অসহায় মানুষের কষ্টের কথা চিন্তা করে এ কর্ম-পরিকল্পনা গ্রহন করে ছাত্রলীগ। শনিবার সখিপুর ইউনিয়নের ০৯ নং ওয়ার্ডের ২০টি অসহায় পরিবারের বাড়িতে বাড়িতে যেয়ে পরিবার প্রতি ৫শ গ্রাম করে মাংস বিতরন করে ছাত্রলীগের এই দুই নেতা। -

করোনা ঠেকাতে দেবহাটায় কৃষকের বাড়িতে বীজ পৌঁছে দিলেন কৃষি অফিস
দেবহাটা প্রতিনিধি: উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে এবং (কোভিড-১৯) করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে কৃষকের বাড়িতে বাড়িতে যেয়ে ধান ও পাটের বীজ প্রদান করেছেন কৃষি অফিস। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কুলিয়া ও পারুলিয়া ইউনিয়নের মোট ৬০জন কৃষকের মাঝে এ বীজ বিতরন করা হয়। এতে প্রতি ইউনিয়নে ৩০জন চাষিকে পাট ও আউশ ধানের বীজ প্রদান করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি অফিসার শরীফ মোঃ তিতুমীর, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার শওকত ওসমান, উপ-সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার শাহজাহান আলী, উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মনিরুল ইসলাম, আহম্মদ সাঈদ প্রমুখ। কৃষি অফিসার বলেন, চলমান এই দূর্যোগ মোকাবেলায় পর্যাপ্ত ফসলের আবাদ করতে হবে। কোন জমি ফেলে রাখা যাবে না। চাষের জমির পাশাপাশি বাড়ির আঙ্গিনায় সবজির আবাদ করতে হবে। যাতে জরুরী মুর্হূতেও খাদ্যের ঘাটতি পুরণ করা যায়। তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকার বীজ ও সার প্রদান। কৃষকদের জন্য বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা চালু করা হয়েছে। কৃষক এখন ক্ষেতে বসে অনলাইনে সমস্যা সমাধানের সুবিধা, ফসল ক্রয়-বিক্রয় সুবিধা পাচ্ছে। এছাড়া কৃষি সংক্রান্ত বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসে যোগাযোগ করার পরামর্শ প্রদান করেন তিনি। এদিকে কৃষি অফিসের মাধ্যমে বর্তমান করোনা পরিস্থিতে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষক পর্যায়ে উন্নত মানের ধান, গম ও পাট বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্পের আওতায় স্থাপিত প্রদর্শনী ও কৃষকদের পরামর্শ প্রদান কর্মকান্ড চলমান রয়েছে জানা গেছে।
