Category: দুর্নীতি

  • শহরের বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত

    শহরের বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত

    জহুরুল কবীর: বুধবার সাতক্ষীরা জেলার জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মোস্তফা কামাল মহোদয় এঁর নির্দেশে সাতক্ষীরা শহরের বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। এসময়ে দেখা যায় লাইসেন্স গ্রহণ ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার স্থাপনের পূর্ব শর্তগুলো পূরণ ব্যতিরেকেই অনেকে ডায়াগনস্টিক সেন্টার স্থাপন করে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। উপরিউক্ত অপরাধের দায়ে প্রাইম ডায়াগনস্টিক ও সোনালী ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকদ্বয়কে মেডিকেল প্র্যাকটিস এবং বেসরকারি ক্লিনিক ও ল্যাবরেটরি( নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাদেশ- ১৯৮২ অনুযায়ী ৫০০০ টাকা করে অর্থ দন্ড ও ১০ দিন করে কারা দন্ড প্রদান করা হয়। জনস্বার্থে এই ধরনের অভিযান পরিচালনা অব্যাহত থাকবে।

  • পেশাগত নৈতিকতা লঙ্ঘন করায় সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহি কমিটির সদস্য এ্যাড. আকবর আলীর সদস্যপদ বাতিল

    পেশাগত নৈতিকতা লঙ্ঘন করায় সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহি কমিটির সদস্য এ্যাড. আকবর আলীর সদস্যপদ বাতিল


    স্টাফ রিপোটার ঃ পেশাগত নৈতিকতা লঙ্ঘন করায় সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহি কমিটির সদস্য এ্যাড. আকবর আলীর সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাডঃ এম, শাহ আলমের সভাপতিত্ব সভায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সহসভাপতি এ্যাডঃ গোলাম মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক এ্যাডঃ তোজাম্মেল হোসেন তোজাম, যুগ্ম-সম্পাদক এ্যাডঃ মোস্তফা জামানসহ সকল কর্মকর্তাবৃন্দ। সভায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত মোতাবেক আইনজীবী সমিতির সদস্য ও বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটির কোষাধ্যক্ষ এ্যাডঃ মোঃ আকবর আলী মামলা পরিচালনা করার ক্ষেত্রে পেশাগত নৈতিকতা লঙ্ঘন করায় তার সদস্যপদ বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় এবং বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটির কোষাধ্যক্ষ পদ শুন্য ঘোষনা করা হয়। অনতিবিলম্বে উক্ত কোষাধ্যক্ষ পদে পুনঃনির্বাচন করার সিদ্ধান্ত হয়।
    তারা জানান, বাংলাদেশ বার কাউন্সিল নিয়মাবলী অনুযায়ী একজন আইনজীবী একটি মামলায় বাদী ও আসামী উভয়পক্ষে ওকালতি করতে পারবেন না। কিন্তু এ্যাডঃ আকবর আলী সাতক্ষীরা নারী ও শিশু আদালতের একটি মামলায় ( যার নং-৬২/২০২০) একদিকে বাদী পক্ষের আইনজীবী অপরদিকে একই আইনজীবী একই মামলায় আসামী পক্ষেরও আইনজীবী হয়ে তিনি আসামীর জামিন আবেদন করে জামিন লাভ করে জামিননামা সম্পাদন করেছেন। বিষয়টি সাতক্ষীরা বিজ্ঞ সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান সাহেবের দৃষ্টিগোচর হলে তিনি সংশ্লিষ্ট আইনজীবীকে ৭ জুন শো-কজ করেন। বিজ্ঞ আইনজীবী লিখিত জবাবে ৯ জুন জানান বাদী পক্ষের স্বাক্ষর তার নহে। একই জবাবে আইনজীবী তার কৃতকর্ম ও ভুলের জন্য ক্ষমাও চান। বিষয়টি সুস্পষ্ট করার জন্য এবং বাদী পক্ষের স্বাক্ষর আইনজীবীর কিনা এবিষয়ে আইনজীবী সমিতির সভাপতি সাহেবকে তদন্তের নির্দেশ দেন। কার্যনির্বাহী কমিটি ম্যাজিষ্ট্রেট কোট, জজ কোর্ট, নারী শিশু কোর্টসহ অন্যান্য আদালতের ১৫টি মামলা নথি, হাজিরা, জামিনের আবেদন ও জামিননামা পরীক্ষা নিরীক্ষা অন্তে ওই আইনজীবীর স্বাক্ষর ও সীল পর্যালোচনা করে লিখিত ভাবে তদন্ত রিপোর্টে জানান যে, আইনজীবী তার জবাবে মিথ্যা কথা বলেছেন। সুতরাং উক্ত আইনজীবী সত্য গোপন করে ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা জবাব দাখিল করেছেন। আইনজীবী সমিতির তদন্ত রিপোর্টদৃষ্টে উক্ত আইনজীবী পারফেক্ট ল প্রাকটিসের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন এবং নিজ স্বার্থ হাসিলের ও আর্থিক লাভবানের জন্য আইনের অপপ্রয়োগ করিয়া সৃষ্ঠ বিচার কার্যক্রম ও আইনের সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বিঘœ সৃষ্টি করা এবং আইনজীবী হিসাবে পেশাগত নৈতিকতা চরমভাবে লঙ্ঘন করার অপরাধ প্রমানিত হওয়ায় বিজ্ঞ আইনজীবীর যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সচিব, সভাপতি, সহ-সভাপতি বাংলাদেশ বার কাউন্সিল বরাবর ১৮২ নং স্মারকে চিঠি প্রেরণ করেন সাতক্ষীরার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান। পাশাপাশি সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির নিকট গঠনতন্ত্র মোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলেন। সে মোতাবেক উক্ত মিটিংয়ে আইনজীবী সমিতির সদস্য এ্যাডঃ আকবর আলীর সদস্যপদ বাতিল করা হয় এবং তার কোষাধ্যক্ষ পদও শুন্য করা হয়। তবে, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত তিনি নারী শিশু ৬২/২০ মামলাসহ অপর একটি মামলা পরিচালনা করতে পারবেন না এবং আইনজীবী সমিতির ওকালতনামাসহ কোন কাগজপত্র ব্যবহার করতে পারবেন না।

  • কালিগঞ্জে শওকাত চেয়ারম্যানের শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন

    সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের ধলবাড়িয়ায় দুর্নীতিবাজ হিসেবে প্রমানিত ইউপি চেয়ারম্যান গাজী শওকাত হোসেনের বরখাস্ত ও শাস্তির দাবিতে এলাকায় মুক্তিযোদ্ধার সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    শনিবার বেলা ১২টায় গণেশপুরে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মুক্তিযোদ্ধা আনসার আলী।
    তিনি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, দেশ দুর্নীতিগ্রস্থ হবে এজন্য জীবনবাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধ করিনি। স্বাধীনতাবিরোধী শওকাত চেয়ারম্যান মৃত মানুষের টাকা উত্তোলনের বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের তালিকা থেকে প্রকাশ্য ও প্রমানিত হওয়ার পরও অদৃশ্য কারণে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। অথচ দেশে চালচুরিসহ সব অপরাধের সাথে সাথেই প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে। কিন্তু মৌলবাদের পৃষ্ঠপোষক শওকাতের অর্থবিত্তের কাছে সবাই পরাজিত এমনই দম্ভ তার পরিবারের মুখ থেকে শোনা যাচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ নেতৃবন্দ উপস্থিত ছিলেন।
    শেষে এলাকার লোকজন দুর্নীতিবাজের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

  • ৪২ বস্তা চাউল কালো বাজারে বিক্রির অভিযোগে ডিলার আটক, থানায় মামলা দায়ের

    ৪২ বস্তা চাউল কালো বাজারে বিক্রির অভিযোগে ডিলার আটক, থানায় মামলা দায়ের

    নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরার আশাশুনির বড়দল বাজার থেকে সরকারের খাদ্যবান্ধবের ১,২৭০ কেজি চাউল (৪২ বস্তা) কালো বাজারে বিক্রির অভিযোগে ডিলার মুজিবর সানাকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার সকালে আশাশুনি থানার ওসি আব্দুস সালাম উক্ত চাউলসহ ডিলার মুজিবর সানাকে আটক করেন। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন, বড়দল ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা রনজিত কুমার মন্ডল ও ইউনিয়ন খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশরাফ হোসেন। এদিকে, এ ঘটনায় আটক মুজিবর সানাসহ দুই জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
    আটক মুজিবর সানা বড়দল গ্রামের শাহজুউদ্দীন সানার ছেলে।
    আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম জানান, সরকারের খাদ্যবান্ধবের (কেজি প্রতি ১০ টাকা মূল্যের) ১,২৭০ কেজি চাউল (৪২ বস্তা) কার্ডধারী হত দরিদ্র গরীব মানুষের মাঝে না দিয়ে তিনি উক্ত চাউল গুলো কালো বাজারে বিক্রয় করেছেন এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে একই এলাকার জনৈক শাহাজান আলী গাজীর দোকান ঘর থেকে উক্ত চাউল গুলো জব্দ করা হয়। এ সময় শাহজান গাজী পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি। পরে কালোবাজারে উক্ত চাউল বিক্রির অভিযোগে মুজিবর সানাকে আটক করা হয়।
    ওসি আরো জানান, আটক ডিলার মুজিবর সানা ও পলাতক শাহজান গাজীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। তিনি আরো জানান, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
    এদিকে, স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, ইতিপূর্বেও ডিলার মুজিবর সানা গরীবের জন্য বরাদ্দ আসা এই চাউল কালোবাজারে বিক্রি করলে ওই চাউল জব্দ করে স্থানীয়রা। পরে ওই চাউল ফেরত এনে গরীবদের মাঝে বন্টন করার পর সে যাত্রাই তিনি রেহাই পান।

  • কলারোয়ার জয়নগরে বিএডিসির সেচ প্রকল্পে ড্রেন নির্মাণে অনিয়ম!


    নিজস্ব প্রতিবেদক: কলারোয়া উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের ক্ষেত্রপাড়ায় বিএডিসির (বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন) সেচ প্রকল্পের পাইপ লাইনের বসানোর কার্যক্রম তদারকি না করায় অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন স্থানীয় কৃষকরা। প্রকল্পের কার্যাদেশ অনুযায়ী পাইপ লাইনের মাটি খনন ও বালি না দেয়ায় অভিযোগ করেন এসব প্রান্তিক কৃষকরা। সাতক্ষীরা বিএডিসির সেচ প্রকল্পের আওতায় ফজলু মোড়লের স্কিমে এ কাজ করা হচ্ছে। স্থানীয় ক্ষুদ্র কৃষকসহ স্কীমের মালিক কার্যাদেশ অনুযায়ী কাজ না করায় বোরো আবাদ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে অবিলম্বে বিএডিসির উর্ধতন কর্মকর্তাদের কাজ পরিদর্শন ও সঠিক তদারকির দাবি জানিয়েছেন।
    খোজ নিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের ক্ষেত্রপাড়া গ্রামে ফজলু মোড়লের ২৪০০ ফুট (এক কিউসেট) স্কিমে পাইপ লাইন বসানোর জন্য মাটি খননের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। ইতোমধ্যে দুইশত ফুট পাইপ বসানো সম্পন্ন করা হয়েছে।
    স্থানীয় কৃষকদের দাবি, বিএডিসির কার্যক্রম সম্পর্কে কৃষকদের সঠিক ধারণা না থাকায় কর্মকর্তাদের ইচ্ছামত পাইপ লাইনের কাজ করে যাচ্ছে। আর এই সুযোগ নিয়ে অসাধু কর্মকর্তারা মহল বিভিন্ন স্কীম থেকে দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারের লাখ লাখ টাকা আত্মসাত করছেন।
    সাতক্ষীরা জেলা বিএডিসি সূত্র জানায়, মাটির নীচ দিয়ে ড্রেন নির্মণ করে নদীর পানি দিয়ে কৃষকরা সেচকাজে ব্যবহার করার জন্য এ প্রকল্প করা হয়েছে। এতে কৃষকরা অল্প দামে ক্ষেতে পানি দিতে পারবে। তবে পানির ড্রেন নির্মাণের বিষয়ে জানায়, সাড়ে চার ফুট মটির গর্ত করার পর এক ফুট বালি দিয়ে পাইপ বসানোর নিয়ম রয়েছে। এর বাইরে কাজ করার কোন সুযোগ নেই।
    এদিকে, ক্ষেত্রপাড়ায় ফজলু মোড়লের স্কিমে মাত্র আড়াই ফুট থেকে সোয়া তিন ফুট গর্ত করা হয়েছে। এছাড়া এক ফুট বালি দিয়ে পাইপ বসানোর নিয়ম থাকলেও সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমের ঠিকাদার উপস্থিত না থাকা এবং বিএডিসির কর্মকর্তাদের তদারকির না করায় কোন রকমে মাটি খুঁড়ে গর্তের পাইপ বসিয়ে তড়িঘড়ি করে প্রকল্পের কাজ শেষ করা হচ্ছে।
    স্থানীয় কৃষক, সোলাইমান আলী, মোবারক হোসেনসহ একাধিক কৃষক অভিযোগ করে জানান, সেচ প্রকল্পের কার্যক্রম সঠিকভাবে করা হলে আমরা দীর্ঘস্থায়ী ক্ষেতের সেচ সুবিধা পাবো। কিন্তু এ ধরনের দুর্নীতি করে পাইপ লাইনের কাজ করায় দ্রুত পাইপ নষ্ট হয়ে যাবে। ফলে কুষকরা সরকারের এই সেচ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে। তারা আরো বলেন, একাজে অনিয়মের অভিযোগ দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ঠ ঠিকাদারের খোঁজ করা হলে কমর্রত শ্রমিকরা বলেন, এই প্রকল্পের ঠিকাদারকে সেটা আমরাও জানি না এমনকি তাকে কোন দিন দেখিনি। তবে জয়নগর ইউনিয়নের শফি মালী (সাবেক চেয়ারম্যান) আমাদের টাকা দেন এবং কাজের খোঁজখবর নেন। তবে তিনি ঠিকাদার নন বলে শ্রমিকরা জানান।
    এবিষয়ে জানতে ক্ষেত্রপাড়া গ্রামের ফজলু মোড়লের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা এসব নিয়ম-কানুন বুঝি না। তারা যেভাবে চেয়েছে সেভাবে কাজ সম্পন্ন করছে। তারা আমাকে প্রকল্পের কাজের কার্যাদেশ সম্পর্কে কিছুই জানতে দিচ্ছে না। এছাড়া বিএডিসির কোন কর্মকর্তা না আসায় শ্রমিকদের কাজ মেনে নিচ্ছে।
    এদিকে, প্রকল্পের ঠিকাদার দাবি করা উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের শফি মালি (সাবেক ইউপি চেয়ারমান) যোগাযোগ করা হলে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।
    কলারোয়ায় সেচ প্রকল্পে দুর্নীতির বিষয়ে আব্দুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কার্যাদেশ অনুযায়ী সঠিকভাবে কাজ হচ্ছে। আমি কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখেছি। তবে কলারোয়ায় অনিয়মের বিরুদ্ধে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কলারোয়ার স্কীমগুলো পরিদর্শন করবেন বলে জানান।

  • সাপমারা খাল খননে অনিয়মের অভিযোগ পাড়ের বাসিন্দাদের আশ্রয় হবে কোথায়?


    বিশেষ প্রতিবেদক: দেবহাটা উপজেলার সাপমারা খাল। ইছামতি নদীর একটি ক্ষুদ্র শাখা। একসময় প্রবল জোয়ার ভাটা ছিল।খালটি বিস্তৃর্ন এলাকার পানি নিষ্কাশনের মাধ্যম ছিল। আশাশুনি,কালিগঞ্জ সংযুক্ত দেবহাটা পারুলিয়ার উপর দিয়ে বয়ে চলা খালটি দিয়ে প্রায় তিন হাজার হেক্টর জমির পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ছিল। মাছের ঘের ও জমির ফসল উৎপাদনের জন্য খালটি ব্যপক ভূমিকা ছিল। কিন্তু খালটি দিন দিন নিমজ্জিত হতে থাকলে জমির ফসল ও মৎস্য চাষের উপর ব্যপক প্রভাব পড়তে থাকে। বর্তমান উন্নয়নশীল সরকার এলাকার নানাবিধ সমস্যার কথা চিন্তা করে ১৯ কিলোমিটার খাল খননের উদ্যোগ নেয়। এতে খরচ ধরা হয় ১৯ কোটি টাকা। ইতোমধ্যে খল খননের কাজ শুরু হয়ে গেছে। সাপমারা খাল খনন কে কেন্দ্র করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে ভুক্তভোগিরা।
    স্থানীয়রা জানায়, সঠিক নিয়মে খাল খনন হচ্ছে না। রিকডীয় জমি নোটিস ছাড়া খনন করা হচ্ছে। ব্রিজের নিকট এস্কেভেটর মেশিন চালানো নিয়ম না থাকলেও সেখানে এস্কেভেটর দিয়ে মাটি কাটা হচ্ছে। পাড় থেকে এমন ভাবে ঢালু রাখা হচ্ছে যা পানি লাগলে ধ্বসে যাবে। নতুন মাটি দেওয়া পাড় থেকে গবীরতা নির্ণয় করা হচ্ছে যা খালের তলদেশ উঁচা হয়ে যাচ্ছে। খাল পাড়ে বসবাসরত ভূমিহীনদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করে খনন কাজ শুরু করা।
    দেবহাটা উপজেলার ঘড়িয়াডাঙ্গা গ্রামের মৃত রমজান আলীর ছেলে ইব্রাহিম সাপমারা খালপাড়ে দীর্ঘদিন বসবাস করে আসছে। নয় সদস্যের পরিবার নিয়ে কষ্টের সংসার এখন খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। থাকার কোন জায়গা নেই। সাপমারা খাল খননের কারণে এস্কেভেটর দিয়ে তাদের বাড়ি গুড়িয়ে দিয়েছে। এ রকম প্রায় এক হাজার পরিবার মানবেতর জীবন যাপন করছে। তাদের মধ্যে কারো কারো খোলা আকামের নিচে এই শীতে বসবাস করতে হচ্ছে। এলাকায় খাসজমি থাকলেও তাদের পুরর্বাসন না করায় তারা জেলা প্রশাসনের প্রতি অসন্তুষ্ট প্রকাশ করছে। েেজলা প্রশাসকে প্রতিশ্রুতি মোতাবেক ঢেওটিন ও টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও এখনো পাইনি।
    ওই সমস্ত এলাকায় প্রশাসন বা সাংবাদিক গেলে তাদের আকুতি জানানোর জন্য দলে দলে ভিড় জামায়। তাদের দাবি, টেন্ডারের নিয়মানুযায়ী খালটি খনন হয়। খাসজমিতে বসবাসরত মানুষের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা। স্থানীয় প্রভাবশালীরা পার্শ্ববর্তী খাসজমি জবরদখল করছে। অথচ প্রশাসন ওইসব জায়গায় আশ্রয়হীন মানুষের সাময়িকভাবে বসবাস করার সুযোগ না দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করছে। প্রচন্ড শীতে গরীব অসহায় মানুষের আশ্রয় ব্যবস্থা করার জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।

  • মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের শত শত কোটি টাকা লোপাট; দুদকের চিঠি

    সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ওষুধ, সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি ক্রয়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অসাধু কর্মকর্তা ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বড় ধরনের চক্রান্তে জড়িয়ে পড়েছে। তারা সিন্ডিকেট করে জনসাধারণের জন্য করা সরকারের বাজেটের ৭০-৮০ ভাগই হাতিয়ে নিচ্ছে। তাদের দুর্নীতির কারণে স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ।

    দুদক গত ১২ ডিসেম্বর কয়েকটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কালোতালিকাভুক্ত করার সুপারিশ করে স্বাস্থ্য খাতের নৈরাজ্য ও দীনতা তুলে ধরেছে সরকারের কাছে। সেখানে যারা স্বাস্থ্য বিভাগের কাজ হাতিয়ে নিয়ে প্রতিষ্ঠান তথা সেবা প্রার্থীদের ক্ষতি করেছে তারা যেন আর কোনো টেন্ডারে অংশ নিতে না পারে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।

    স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরতে না পারলে দেশের মানুষ প্রতিনিয়ত সুফল থেকে বঞ্চিত হবে উল্লেখ করে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, স্বাস্থ্য সেবা বিঘ্নিত করতে যারা দুর্নীতি করছে তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। এই খাতে সংস্কার করতে সব পদক্ষেপ নেয়া হবে।

    এরই মধ্যে অনেক দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দুদকের জালে চলে এসেছে। অনেকের বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। কেউ ছাড় পাবে না। অন্তত ১২টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য ও তালিকা তুলে ধরে দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখতের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ, হাসপাতাল ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের এমএসআর, ভারি মেশিনারিজ ও অন্যান্য সামগ্রী ক্রয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতি হচ্ছে।

    স্বাস্থ্য অধিদফতর, মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে একশ্রেণির অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো প্রয়োজন না থাকা সত্ত্বেও যন্ত্রপাতি কেনায় জড়িয়ে পড়ছে। তারা কয়েকগুণ বেশি দামে এমএসআর, ভারি যন্ত্রপাতি ও সেবা ইত্যাদি ক্রয় করেছে।

    এমনকি মালামাল সরবরাহ করা না হলেও বিল পরিশোধ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসাজশে অসাধু ঠিকাদাররা সিন্ডিকেট করে টেন্ডারে অংশগ্রহণ করে থাকে। সিন্ডিকেটের কারণে প্রতিযোগিতামূলক দর না পাওয়ায় প্রচলিত বাজার মূল্যের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি দামে সরবরাহ করা সামগ্রীর বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে।

    একইভাবে বেশি দামে ক্রয় করা হয় নিুমানের ও কম দামের সামগ্রী। এর ফলে বিপুল অঙ্কের সরকারি অর্থ আত্মসাতের ঘটনা ঘটছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, কয়েক বছরের ধারাবাহিক অভিযোগের পর দুদক থেকে পরিচালিত অনুসন্ধানে স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতির নানা রূপ বেরিয়ে আসে। দুদকের করা মামলায়ও ওই সব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

    সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সিন্ডিকেট করে দুর্নীতি হচ্ছে জানিয়ে বলা হয়েছে, এটি রাষ্ট্রের সঙ্গে বড় ধরনের প্রতারণা ও চক্রান্ত। এসব প্রতিরোধসহ সরকারি অর্থের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে ক্রয় কার্যক্রমে স্বচ্ছতা আনা এবং দুর্নীতি বন্ধে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে চিঠিতে।

    চিঠিতে যেসব ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কালোতালিকাভুক্ত করে ভবিষ্যতে কার্যাদেশ না দেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে সেগুলো হল- রংপুরের মেসার্স ম্যানিলা মেডিসিন, এমএইচ ফার্মা, মেসার্স অভি ড্রাগস, মেসার্স আলবিরা ফার্মেসি, এসএম ট্রেডার্স, সেগুনবাগিচার বেঙ্গল সায়েন্টেফিক অ্যান্ড সার্জিক্যাল কোং, রংপুরের মেসার্স এসকে ট্রেডার্স, গোপালগঞ্জের মেসার্স আহমেদ এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স অনিক ট্রেডার্স, পুরানা পল্টনের মেসার্স মার্কেন্টাইল অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল, ক্যান্টনমেন্টের আলবিটেকের রহমান ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল।

    এদের মধ্যে একাধিক প্রতিষ্ঠান শত শত কোটি টাকার অনিয়ম ও দুর্নীতি করছে। সূত্র জানায়, এক অর্থবছরেই কয়েকটি সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের জন্য অন্তত ২৯১ কোটি টাকার কেনাকাটায় ২০০ কোটি টাকাই লোপাট হয়েছে। সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসে ১৭ কোটি টাকার কাজের মধ্যে ১৬ কোটি ৬১ লক্ষ টাকাই লোপাট হয়।

    ২০১৬-১৭ অর্থবছরে সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের জন্য অন্তত ৩ হাজার কোটি টাকার কেনাকাটা হয়েছে, যার সিংহভাগই হয়েছে দুর্নীতি। দুদক ২০১৪ সাল থেকে এ বছর ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬ বছরের কেনাকাটা, টেন্ডার ও যন্ত্রপাতি সরবরাহের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করছে।

    অনুসন্ধানে গত ৫ বছরে কী পরিমাণ দুর্নীতি হয়েছে তার অঙ্ক বের করা হচ্ছে। এর পেছনে যারা জড়িত সবার দুর্নীতির বিষয়ে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে কত ভাগ দুর্নীতিবাজদের, কতভাগ ঠিকাদার ও মধ্যস্বত্বভোগী ও রাজনৈতিক নেতাদের পকেটে গেছে সে হিসাবও বের করছে দুদক। এসব প্রতিষ্ঠানে যন্ত্রপাতি সরবরাহের কাজে যেসব ঠিকাদার জড়িত ছিলেন তাদের সবার বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছে দুদক টিম।

    সূত্র জানায়, স্বাস্থ্য অধিদফতরের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী আবজালের স্ত্রী রুবিনার নামে করা রহমান ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল ও রূপা ফ্যাশনস লিমিটেড আছে দুর্নীতির শীর্ষে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের কয়েকজন পরিচালকসহ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা আবজালকে সামনে রেখে লুটপাটের মহোৎসব শুরু করে।

    শুধু কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের জন্য কেনাকাটা ও ভুয়া যন্ত্রপাতি সরবরাহের নামে আবজাল সিন্ডিকেট ৪৮ কোটি টাকার কাজে ৩৭ কোটি ৪৮ লাখ টাকা লুটে নেয়। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের জন্য ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৪৩ কোটি টাকার কেনাকাটা হয়েছে। যার আশি ভাগই দুর্নীতি হয়েছে বলে ধারণা করছে দুদক। এভাবে অপরাপর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে সিন্ডিকেট করে দুর্নীতির বাজার বসায় স্বাস্থ্য অধিদফতর।

    সূত্র জানায়, স্বাস্থ্য অধিদফতরের চিকিৎসা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন বিভাগের সাবেক পরিচালক ও লাইন ডিরেক্টর আবদুর রশীদের নেতৃত্বে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট দুর্নীতি শুরু করে। তারা কয়েকটি টেন্ডার থেকে আবজালের স্ত্রীর প্রতিষ্ঠান রূপা ফ্যাশনস ও রহমান ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের ব্যাংক হিসাবে ৩২১ কোটি টাকা ঢোকানোর ব্যবস্থা করে।

    সেই টাকা থেকে সিন্ডিকেটের সদস্যরা তাদের কমিশন বুঝে নেয় বলে অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স অনিক ট্রেডার্স ও আহমেদ এন্টারপ্রাইজ ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জন্য অপ্রয়োজনীয় এবং প্রাক্কলন ছাড়া উচ্চমূল্যে পর্দা ও যন্ত্রপাতি ক্রয়ের মাধ্যমে ১০ কোটি টাকা আত্মসাতের চেষ্টা চালায়।

    রংপুরের হাজীপাড়া ধাপের বাসিন্দা মনজুর আহমেদের মেসার্স ম্যানিলা মেডিসিন অ্যান্ড এসকে ট্রেডার্স, মো. মন্টুর মেসার্স এসএম ট্রেডার্স, মোসাদ্দেক হোসেনের এমএইচ ফার্মা, জয়নাল আবেদীনের মেসার্স অভি ড্রাগস ও আলমগীর হোসেনের মেসার্স আলবিরা ফার্মেসি নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রতারণা করে একটি টেন্ডার থেকেই সরকারের ৯ কোটি ৫৩ লাখ ৬১ হাজার টাকা আত্মসাৎ করে। ৩৭/২ পুরানা পল্টনের আবদুস সাত্তার সরকারের মেসার্স মার্কেন্টাইল ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল ও ৫/বি তোপখানা রোডের আসাদুর রহমানের ইউনিভার্সেল ট্রেড কর্পোরেশন ও একই ঠিকানায় করা জাহেদ উদ্দিন সরকারের মেসার্স বেঙ্গল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিক্যাল কোং এক কাজেই ৬ কোটি ৬ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে।

    মেসার্স বেঙ্গল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিক্যাল কো. রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কেনাকাটায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। দুদকের অনুসন্ধানে দেখা যায়, এই কয়েকটি প্রতিষ্ঠানই মাত্র এক ডজন কাজে ৫৬১ কোটি টাকার দুর্নীতি করে। অপরাপর যেসব ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান একইভাবে সরকারি অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে তাদের তালিকা করা হচ্ছে। ধাপে ধাপে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান সংশ্লিষ্ট একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা।

  • সাতক্ষীরায় স্বাস্থ্য খাতের ১৮ কোটি টাকা লোপাটের বিভাগীয় তদন্ত শুরু

    সাতক্ষীরায় স্বাস্থ্য খাতের ১৮ কোটি টাকা লোপাটের বিভাগীয় তদন্ত শুরু


    সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেবার মান উন্নয়নে যন্ত্রাংশ ক্রয়ের নামে ১৮ কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হওয়ার পর বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে।
    সোমবার দুপুরে খুলনা বিভাগীয় ডেপুটি ডাইরেক্টর ও তদন্ত কমিটির প্রধান ডা. সৈয়দ জাহাঙ্গীর হোসেন, সদস্য মঞ্জুরুল মুরশিদ ও জাহাতাপ হোসেন এই তদন্ত কার্য সম্পন্ন করেন। এসময় তদন্ত তদারকি করতে আসেন খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা: রাশেদা সুলতানা।
    ডা. রাশেদা সুলতানা এ সময় জানান, প্রাথমিকভাবে অসঙ্গতিপূর্ণ কাগজপত্র দেখে ও সার্ভে বোর্ডের লিখিত বক্তব্য নিয়ে অনিয়মের বিষয়টি সত্য বলে মনে হয়েছে। তিনি আরও বলেন, কোন সিভিল সার্জন তার চেয়ারে বসে স্বাস্থ্য যন্ত্রাংশ বুঝে না নিয়েই বিল পরিশোধ করেছেন এবং সেটি সৎ উদ্দেশ্যে করেছেন তা প্রমাণিত হয়না। যদিও তদন্ত রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ এসব মন্তব্য করা সঠিক হবেনা।
    তবে, প্রাথমিকভাবে তিনি নিশ্চিত হয়েছেন উক্ত মালামাল গ্রহণ ও বিল পরিশোধের ক্ষেত্রে কোন প্রকার নিয়মকানুন মানা হয়নি। তিনি বলেন, গত ২৪ এপ্রিল সাতক্ষীরার নাগরিক আন্দোলন মঞ্চ সিভিল সার্জন অফিস ঘেরাও করার পর বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে আসার পরদিন ২৫ এপ্রিল তিনি একটি তদন্ত টিম গঠন করে দেন। ঘূর্ণিঝড় ফণীসহ নানা কারনে ব্যস্ততা থাকায় আজ তদন্ত টিম আনুষ্ঠানকিভাবে কাজ শুরু করেছে। এই তদন্ত প্রতিবেদন আগামী ১৫দিনের মধ্যে জমা দেয়া হবে বলে তিনি আরো জানান।
    একই সাথে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগে গুরুতর অনিয়ম এবং অন্যান্য সমস্যা নিরসনে দ্রুত কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি এ সময় প্রতিশ্রুতি দেন।
    উল্লেখ্য ঃ গত ১৭-১৮ অর্থ বছরে জেলায় স্বাস্থ্য যন্ত্রাংশ ক্রয়ের জন্য তৎকালিন সিভিল সার্জন ডা. তৌহিদুর রহমান, হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন ও স্টোরকিপার একেএম ফজলুল হকের যোগসাজসে বরাদ্দের ১৩ কোটি টাকার পুরোটাই লোপাট করা হয়। পরে একই টেন্ডারের আওতায় আবারো বরাদ্দ বাড়িয়ে মোট ১৮ কোটি টাকা গায়েব করলে গত ৯ এপ্রিল ঢাকা থেকে উপসচিব হাছান মাহমুদ আকস্মিক সাতক্ষীরায় এসে এসব যন্ত্রাংশের খোঁজ নিলে তা দেখাতে পারেননি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

  • নাগরিক  মত বিনিময়

    নাগরিক মত বিনিময়


    সাতক্ষীরায় স্বাস্থ্য খাতে অনিয়ম ॥ ২৩ এপ্রিল সিভিল সার্জন অফিস ঘেরাও
    নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের ১৮ কোটি টাকার চিকিৎসা সরঞ্জাম দরপত্র আহবান ও সরবরাহে অনিয়ম ও দূর্ণীতির অভিযোগে সিভিল সার্জন অফিস ঘেরাও ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশের কর্মসুচি গ্রহণ করা হয়েছে। শনিবার সকাল ১১টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের স.ম আলাউদ্দিন মিলনায়তনে নাগরিক মঞ্চ আয়োজিত এক মত বিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
    সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জজ কোর্টের সাবেক পিপি অ্যাড. ওসমান গণি’র সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আহম্মেদ বাপ্পি, সাতক্ষীরা নাগরিক মঞ্চের আহবায়ক অ্যাড. ফাহিমুল হক কিসলু, সাংবাদিক হাফিজুর রহমান মাসুম, জাসদ নেতা ওবায়দুস সুলতান বাবলু, প্রথম আলোর স্টাফ রিপোর্টার কল্যাণ ব্যাণার্জী, মানবাধিকার কর্মী সাংবাদিক রঘুনাথ খাঁ, অ্যাড. আজাহারুল ইসলাম, জাসদ নেতা সুধাংশু শেখর সরকার, সাবেক অধ্যক্ষ মুক্তিযোদ্ধা সুভাষ সরকার, সাংবাদিক এম জিল্লুর রহমান, অ্যাড. খগেন্দ্র নাথ ঘোষ, বাসদ নেতা নিত্যানন্দ সরকার, মশিউর রহমান পলাশ, অ্যাড. সালাউদ্দিন ইকবাল লোদী প্রমুখ।
    বক্তারা বলেন, ২০১৭-২০১৮ এবং ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা সরঞ্জাম কেনার জন্য ১৮ কোটির বেশি টাকা বরাদ্দ করা হলেও টেণ্ডারে উল্লেখিত জিনিসপত্রের মূল্য প্রকৃত মূল্য অপেক্ষা কয়েক গুণ বেশি দেখানো হয়েছে। এ ছাড়া হাসপাতালের আইসিইউ না থাকার পরও আড়াই কোটি টাকা মূল্যে তিনটি ভেন্টিলেশন মেশিন কেনা হয়েছে। প্রয়োজন অতিরিক্ত ছয়টি প্রটেবল এক্সরে মেশিন, চারটি আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন ও দু’টি জেনারেল এনেসথেসিয়া মেশিন কেনা হয়েছে। উপরন্তু মালামাল সরবরাহ করা না হলেও মালামাল বুঝিয়া পাওয়ার ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদরারকে সাত মাস আগে টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। এ অনিয়ম ও দূর্ণীতির সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে হবে। এ ঘটনায় নাগরিক মঞ্চ শহরের বিভিন্ন প্রান্তে পথসভা, মতবিনিময় সভার পাশপাশি আগামি ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে সিভিল সার্জন অফিস ঘেরাও করা হবে। পরে তারা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, দুদক চেয়ারম্যান ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি পেশ করা হবে।

    শ্যামনগর জলবায়ু পরিষদের সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত
    শ্যামনগর ব্যুরো ঃ প্রকাশ বৃটিশ কাউন্সিল ও প্রগতির সহযোগিতায় এবং সিএসআরএল ও জলবায়ু পরিষদের আয়োজনে আগামী বিভিন্ন কার্যক্রম সমূহের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জলবায়ু পরিষদের সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল শনিবার সকাল ১১ টায় প্রগতির কার্যালয়ে জলবায়ু পরিষদের সভাপতি প্রাক্তন উপাধ্যক্ষ নাজিম উদ্দীনের সভাপতিত্বে, জলবায়ু পরিষদের সচিব অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহীর সঞ্চালনায় এবং জলবায়ু পরিষদের প্রোগ্রাম ম্যানেজার সুপর্ণা, সদস্য রফিকুল ইসলাম ও সদস্য বেল্লাল হোসেনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় এফজিডির শেয়ারিং মিটিং, আইলা দিবস পালন, প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারক লিপি প্রদান, ইউপি নারী সদস্যদের নিয়ে সমন্বয় সভা, জলবায়ু মেলা এ সকল কার্যক্রম সম্পর্কে সম্ভাব্য সময় নির্ধারন করা হয়। এসকল বিষয়ে সামগ্রিক মতামত পেশ করেন উপস্থিতিদের মধ্যে জলবায়ু পরিষদের সদস্য শেখ হারুণ-অর-রশিদ, মুক্তিযোদ্ধা মাস্টার নজরুল ইসলাম, সাংবাদিক আবু সাঈদ, সাংবাদিক আনিছুজ্জামন সুমন, সাংবাদিক আবু তালেব, ডাঃ আলী আশরাফ, চন্দ্রিকা ব্যানার্জি, শম্পা গোস্বামী, এ্যাড. মনসুর রহমান, পিজুস বাউলিয়া পিন্টু সহ জলবায়ু পরিষদের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ ও ভলেন্টিয়ারবৃন্দ।

    সাতক্ষীরায় স্বাস্থ্য খাতে অনিয়ম ॥ ২৩ এপ্রিল সিভিল সার্জন অফিস ঘেরাও
    নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের ১৮ কোটি টাকার চিকিৎসা সরঞ্জাম দরপত্র আহবান ও সরবরাহে অনিয়ম ও দূর্ণীতির অভিযোগে সিভিল সার্জন অফিস ঘেরাও ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশের কর্মসুচি গ্রহণ করা হয়েছে। শনিবার সকাল ১১টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের স.ম আলাউদ্দিন মিলনায়তনে নাগরিক মঞ্চ আয়োজিত এক মত বিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
    সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জজ কোর্টের সাবেক পিপি অ্যাড. ওসমান গণি’র সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আহম্মেদ বাপ্পি, সাতক্ষীরা নাগরিক মঞ্চের আহবায়ক অ্যাড. ফাহিমুল হক কিসলু, সাংবাদিক হাফিজুর রহমান মাসুম, জাসদ নেতা ওবায়দুস সুলতান বাবলু, প্রথম আলোর স্টাফ রিপোর্টার কল্যাণ ব্যাণার্জী, মানবাধিকার কর্মী সাংবাদিক রঘুনাথ খাঁ, অ্যাড. আজাহারুল ইসলাম, জাসদ নেতা সুধাংশু শেখর সরকার, সাবেক অধ্যক্ষ মুক্তিযোদ্ধা সুভাষ সরকার, সাংবাদিক এম জিল্লুর রহমান, অ্যাড. খগেন্দ্র নাথ ঘোষ, বাসদ নেতা নিত্যানন্দ সরকার, মশিউর রহমান পলাশ, অ্যাড. সালাউদ্দিন ইকবাল লোদী প্রমুখ।
    বক্তারা বলেন, ২০১৭-২০১৮ এবং ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা সরঞ্জাম কেনার জন্য ১৮ কোটির বেশি টাকা বরাদ্দ করা হলেও টেণ্ডারে উল্লেখিত জিনিসপত্রের মূল্য প্রকৃত মূল্য অপেক্ষা কয়েক গুণ বেশি দেখানো হয়েছে। এ ছাড়া হাসপাতালের আইসিইউ না থাকার পরও আড়াই কোটি টাকা মূল্যে তিনটি ভেন্টিলেশন মেশিন কেনা হয়েছে। প্রয়োজন অতিরিক্ত ছয়টি প্রটেবল এক্সরে মেশিন, চারটি আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন ও দু’টি জেনারেল এনেসথেসিয়া মেশিন কেনা হয়েছে। উপরন্তু মালামাল সরবরাহ করা না হলেও মালামাল বুঝিয়া পাওয়ার ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদরারকে সাত মাস আগে টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। এ অনিয়ম ও দূর্ণীতির সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে হবে। এ ঘটনায় নাগরিক মঞ্চ শহরের বিভিন্ন প্রান্তে পথসভা, মতবিনিময় সভার পাশপাশি আগামি ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে সিভিল সার্জন অফিস ঘেরাও করা হবে। পরে তারা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, দুদক চেয়ারম্যান ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি পেশ করা হবে।

  • সাতক্ষীরায় স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ

    সাতক্ষীরায় স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ


    নিজস্ব প্রতিবেদক :
    সাতক্ষীরার সরকারি চিকিৎসা সেবার সেবার মান উন্নয়নে বরাদ্দ প্রায় ১৩ কোটি টাকা লুটপাটের সাথে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও বিচারের দাবিসহ স্বাস্থ্য খাতের সকল অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে শুক্রবার ১৯ এপ্রিল, ২০১৯: সাতক্ষীরা সুলতানপুর বড়বাজারে সকাল ৯টায়, সাতক্ষীরা কাটিয়া আমতলা মোড়ে বিকাল ৫:৪৫টায়, সাতক্ষীরা মিল বাজারে সন্ধ্যা ৭টায় প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
    নাগরিক আন্দোলন মঞ্চ সাতক্ষীরার আহবায়ক এড. ফাহিমুল হক কিসলুর সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব হাফিজুর রহমান মাসুমের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন- বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ সুভাষ সরকার, সুধাংশু শেখর সরকার, প্রথম আলোর স্টাফ রিপোর্টার কল্যাণ ব্যানার্জী, এড. ওসমান গণি, শেখ ওবায়দুস সুলতান বাবলু, এড. ওসমান গণি, সাতক্ষীরা কাঁচাবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি কাজী কবির হোসেন বাদশা, স্বপন কুমার শীল, অধ্যক্ষ শিবপদ গাইন, আমির হোসেন খান চৌধুরি, এড. সালাউদ্দিন ইকবাল লোদী, দেবাশিষ মন্ডল, মেহেদীআলী সুজয় প্রমুখ। প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, চিকিৎসকদের দুর্নীতির কারণে বর্তমান সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সরকার কোটি কোটি টাকা স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ করেও তেমন কোন ফল পাচ্ছে না। এতে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। বক্তারা অবিলম্বে দোষীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানান।

    সাতক্ষীরায় স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ
    নিজস্ব প্রতিবেদক :
    সাতক্ষীরার সরকারি চিকিৎসা সেবার সেবার মান উন্নয়নে বরাদ্দ প্রায় ১৩ কোটি টাকা লুটপাটের সাথে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও বিচারের দাবিসহ স্বাস্থ্য খাতের সকল অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে শুক্রবার ১৯ এপ্রিল, ২০১৯: সাতক্ষীরা সুলতানপুর বড়বাজারে সকাল ৯টায়, সাতক্ষীরা কাটিয়া আমতলা মোড়ে বিকাল ৫:৪৫টায়, সাতক্ষীরা মিল বাজারে সন্ধ্যা ৭টায় প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
    নাগরিক আন্দোলন মঞ্চ সাতক্ষীরার আহবায়ক এড. ফাহিমুল হক কিসলুর সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব হাফিজুর রহমান মাসুমের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন- বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ সুভাষ সরকার, সুধাংশু শেখর সরকার, প্রথম আলোর স্টাফ রিপোর্টার কল্যাণ ব্যানার্জী, এড. ওসমান গণি, শেখ ওবায়দুস সুলতান বাবলু, এড. ওসমান গণি, সাতক্ষীরা কাঁচাবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি কাজী কবির হোসেন বাদশা, স্বপন কুমার শীল, অধ্যক্ষ শিবপদ গাইন, আমির হোসেন খান চৌধুরি, এড. সালাউদ্দিন ইকবাল লোদী, দেবাশিষ মন্ডল, মেহেদীআলী সুজয় প্রমুখ। প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, চিকিৎসকদের দুর্নীতির কারণে বর্তমান সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সরকার কোটি কোটি টাকা স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ করেও তেমন কোন ফল পাচ্ছে না। এতে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। বক্তারা অবিলম্বে দোষীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানান।