Category: দুর্নীতি

  • সাতক্ষীরায় দুর্নীতি দমন কমিশনের গণশুনানি

    সাতক্ষীরায় দুর্নীতি দমন কমিশনের গণশুনানি

    সকল বিষয়ে দুদুকে দোষারোপ করবেন না,  দুদুকের এখতিয়ারের বাহিরে কিছুই করা সম্ভব নয় – দুদুক

    নিজস্ব প্রতিনিধি : “রুখবো দূর্নীতি, গড়বো দেশ, হবে সোনার বাংলাদেশ” এই স্লোগানে সাতক্ষীরায় দুর্নীতি দমন কমিশনের আয়োজনে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রবিবার সকাল ৯টা থেকে সাতক্ষীরা জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে গণশুনানিতে প্রধান অতিথি ছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার (তদন্ত)  মোঃ জহুরুল হক। 

    এ সময় দুর্নীতি দমন কমিশন, খুলনার পরিচালক মোনজুরুল মোরশেদ, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, পুলিশ সুপার মোঃ কাজী মনিরুজ্জামান, দুদকের সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী পরিচালক তারুণ কান্তি ঘোষসহ জেলার সকল সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও অভিযোগকারিগন উপস্থিত ছিলেন। পানি উন্নয়ন বোর্ড, সমাজ সেবা অধিদপ্তর, পিডিবি ও পল্লী বিদ্যুৎ, ইউনিয়ন ভূমি অফিস, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) এর কার্যালয় স্বাস্থ্য বিভাগ, রেজিষ্ট্রি অফিস, সেটেলমেন্ট অফিসসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের দূর্ণীতি তুলে ধরা হয়।

    সদর উপজেলার জনৈক ব্যক্তি অর্ভিযোগ করেন,সদর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিস থেকে দলিল তুলতে তার ৩ হাজার টাকা লেগেছিল। উত্তরে সাব-রেজিস্টার রিপন মুন্সি জানান,দলিল তুলতে ৮০০ টাকা লাগে। সাথে লাগে ১০০ টাকা। ৩ হাজার টাকা কে নিয়েছে,তা তার জানা নেই।

    অভিযোগের প্রেক্ষিতে কমিশনার (তদন্ত) মোঃ জহুরুল হক বলেন,রেজিস্ট্রি অফিসের দুর্নীতির বিষয়ে সাধারণ জনগণের মধ্যে নেতিবাচক ধারণা রয়েছে। বিষয়টি আমলে নিয়ে অধিকতর তদন্তের আশ^াস দেন কমিশনার।

    পানি উন্নয়ন বোর্ডের দুর্নীতির বিষয়ে জনৈক ব্যক্তি তার অভিযোগে বলেন,বিনেরপোতা এলাকায় কুন্দুরডাঙ্গী খালের এক কি.মি. খনন করেছিল মৎস্য অধিদপ্তর। পরবর্তীতে সেই খালের একই জায়গায় খনন দেখিয়ে ৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা।

    এছাড়া গোবিন্দপুর থেকে বিনেরপোতা অভিমুখী ৫কি.মি. বেড়িবাঁধ সংস্কারে ৩ কোটি টাকা খরচ করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা ও ঠিকাদারের যোগসাজসে ৫ কোটি টাকা উত্তোলন করে ২ কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে।

    তহশীলদার মহসিন আলীর বিরুদ্ধে ৪০ টাকার খাজনা জমা দিতে ১৬০০ টাকা ও এক মুক্তিযোদ্ধার কাছ থেকে নামপত্তন করিয়ে দেওয়ার নাম করে ৪০০ হাজার টাকা নিয়েও কাজ না করা বা টাকা ফেরৎ না দেওয়ার অভিযোগ করা হয়। সাথে সাথে ওই তহশীলদার নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করলেও তাকে তাৎক্ষণিক বরখাস্ত করা হয়।

    দুর্নীতির বড় অভিযোগ উঠেছে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজকে নিয়ে। মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমানের সময় ৫০ লাখ টাকার এসি, ফার্নিচার ও ল্যাবের বিভিন্ন যত্রাংশ কেনা হয়েছিল। পরবর্তীতে অধ্যক্ষ রুহুল কুদ্দুস সেই সব জিনিসপত্র ব্যবহার না করে অন্যত্র বিক্রি করে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে দুদক কমিশনারের কাছে। এছাড়া অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ছাত্র কল্যাণ তহবিলের ৮০ লাখ টাকা তছরুপের অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। তবে আশাশুনি উপজেলার গোকুলনগরের ফারুক হোসেন জানান, বেআইনিভাবে আশাশুনি সহকারি জজ আদালতে তার বিচারাধীন দেঃ ৪৮/২০ নং মামলার নথিতে নিয়মবহির্ভুতভাবে সংযোজনের ব্যাপারে পেশকার শফির বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেও তার আবেদন উপস্থাপন করা হয়নি। তবে জেলা প্রশাসক মহোদয় বলেন যে, এখানে যে সমস্ত অভিযোগ উপস্থাপন করা যায়নি সেগুলো প্রতি বুধবার তার অফিসে অনুষ্ঠিত গণশুনানীতে উপস্থাপন করা যাবে।

    এসব অভিযোগের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার (তদন্ত) মোঃ জহুরুল হক বলেন,৩৬টি অভিযোগ পেয়েছি। প্রতিটি অভিযোগের তদন্ত হবে।

  • সাতক্ষীরায় দুর্বৃত্তের আগুনে কৃষকের একবিঘা জমির ধান পুড়িয়ে নষ্ট

    সাতক্ষীরায় দুর্বৃত্তের আগুনে কৃষকের একবিঘা জমির ধান পুড়িয়ে নষ্ট

    রঘুনাথ খাঁ,সাতক্ষীরাঃ সাতক্ষীরায় কৃষকের এক বিঘা জমির ধান আগুনে পুড়িয়ে নষ্ট করে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার ভোর ৫টায় কলারোয়া উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নের ব্রজবক্স গ্রামেে দাকোপের বিলে এ ঘটনা ঘটে।
    ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক ইসরাইল হোসেন জানান, বৃষ্টির কারণে শুক্রবার সন্ধ্যায় কেটে রাখা এক বিঘা জমির বোরো ধান একত্রিত করে গাদা বানিয়ে রাখা হয়েছিলো। শনিবার ভোরে আগুন জ্বলতে দেখে স্থানীয়রা পানি দিয়ে তা নেভানোর চেষ্টা করলেও ততক্ষনে সব ধান পুড়ে নষ্ট হয়ে গেছে। এতে তার মোটা অংকের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই কৃষক।
    ব্রজবক্স গ্রামের ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নাসিমা খাতুন জানান, ইসরাইল হোসেন একজন অতি গরীব কৃষক। কৃষিকাজের পাশাপাশি সে কাচা শাক সবজির ব্যবসা করতো। তার জড়ো করে রাখা ধানে কারা আগুন দিয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
    কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে

  • শ্যামনগরে যুধিষ্ঠির ম-লের বাড়িতে হামলার মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, হামলাকারিদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

    শ্যামনগরে যুধিষ্ঠির ম-লের বাড়িতে হামলার মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, হামলাকারিদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

    বিশেষ প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কৈখালি ইউনিয়নের গোনা গ্রামের যুধিষ্টির ম-লের বাড়িতে দুই দফা হামলা, মারপিট ও ঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও হামলাকারিদের দেওয়া মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মান ববন্ধন কর্মসুচি পালিত হয়েছে। বঞ্চিত জনগোষ্ঠী অধিকার আন্দোলন এর সাতক্ষীরা শাখা বৃহষ্পতিবার সকাল ১১টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসুচি পালন করে।
    বঞ্চিত জনগোষ্ঠী অধিকার আন্দোলনের সাতক্ষীরা শাখার সভাপতি দীলিপ দাসের সভাপতিত্বে মানববন্ধন কর্মসুচিতে প্রধান অতিথির বক্দব্য দেন সংগঠণটির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বিভুতোষ রায়। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন অধ্যক্ষ আশেক ই এলাহী, সাংবাদিক রঘুনাথ খাঁ, কলেজ শিক্ষক পবিত্র মোহন দাস, দুলাল দাস, নির্যাতিত স্মৃতি রানী ম-ল প্রমুখ।
    বক্তারা বলেন, গত ১৬ এপ্রিল গোনা গ্রামে পুকুরে ¯œানকে ঘিরে দুটি বাচ্চার মধ্যে হাতহাতিকে ঘিরে অনিমেষ ম-লকে পুকুরের জলে ডুবিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়। প্রতিবাদ করায় নূর আলম চৌকিদার, মুনরুল চৌকিদার, আব্দুল বারী, মতিয়ার রহমান, আব্দুর রহিম, সাদ্দাম হোসেন, মাজিদা, মমতাজসহ কয়েকজন শিশু অনিমেষ ম-লের মা স্মৃতি রানী ম-লকে পিটিয়ে জখম করে। এ ঘটনায় শ্রীপদ ম-লকে দায়েরকৃত মামলায় পুলিশ দুইজনকে গ্রেপ্তার করায় অন্য আসামীরা বাদিকে মামলা তুলে নিতে হুমকি দেয়। কয়েকদিন অবরুদ্ধ করে রাখা হয় ওই পরিবারের সদস্যদের। হত্যা করে লাশ কালিন্দি নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার হুমকিসহ ভারতে চলে যাওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। একপর্যায়ে ২৩ এপ্রিল বিকেলে আবারো বাড়িতে ঢুকে শ্রীপদ ম-ল, সুপদ ম-ল, কবিতা ম-ল, ভূষণ ম-ল, যুধিষ্টির ম-লসহ আটজনকে পিটিয়ে জখম করা হয়। রাতে পুড়িয়ে দেওয়া হয় তাদের গোয়ালঘর। এ ঘটনায় পুলিশ হামলাকারিদের দেওয়া মিথ্যা মামলা বিশেষ সুবিধা নিয়ে ২৫ এপ্রিল রেকর্ড করে। একপর্যায়ে বেগতিক বুঝে ২৬ এপ্রিল সুপদ ম-লের দায়েরকৃত মামলা রেকর্ড করা হয়। দ্বিতীয় হামলার পর থেকে পুলিশ আজ পর্যন্ত কোন আসামীকে গ্রেপ্তার করেনি। অবিলম্বে হামলাকারিদের গ্রেপ্তার করে দৃষ¦টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়

  • সংবাদ প্রকাশের জেরে সাতক্ষীরার ৫ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা, প্রত্যাহারের দাবি

    সংবাদ প্রকাশের জেরে সাতক্ষীরার ৫ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা, প্রত্যাহারের দাবি


    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:সংবাদ প্রকাশের জেরে সাতক্ষীরায় কর্মরত পাঁচ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন জেলার তালার শপিং ভ্যালি ফুড প্রোডাক্টস কোম্পানির ম্যানেজার জহর আলী সরদার।
    গত ২ এপ্রিল সাতক্ষীরা আমলী আদালত ৩-এ মামলাটি দায়ের করা হয়। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সম্প্রতি পিবিআইকে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
    মামলার আসামিরা হলেন, ঢাকা পোস্টের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি সোহাগ হোসেন, ঢাকা মেইলের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি গাজী ফারহাদ, সাতক্ষীরার দৈনিক পত্রদূতের নিজস্ব প্রতিনিধি হোসেন আলী, দৈনিক মুক্ত খবরের প্রতিনিধি হাবিবুর রহমান সোহাগ ও সাতক্ষীরার দৈনিক কালের চিত্রের পাটকেলঘাটা প্রতিনিধি শাহীন বিশ্বাস
    মামলায় উল্লিখিত পাঁচ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে গত ২ এপ্রিল শপিং ভ্যালি ফুড প্রোডাক্টস কোম্পানির ম্যানেজার জহর আলী সরদারের নিকট দশ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ করা হয়। একই সাথে মামলার বাদীকে মারপিট করে তার কাছে থাকা ৬০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ করা হয়েছে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে।
    আদালত পিবিআইকে আগামী ২৩ মের মধ্যে মামলাটি তদন্ত পূর্বক আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
    ঢাকা পোস্টের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি সোহাগ হোসেন জানান, সাতক্ষীরার তালা সদরের আটারই গ্রামে শপিং ভ্যালি নামে একটি সেমাই কারখানা গড়ে উঠেছে। বিএসটিআই এর ভুয়া নিবন্ধন ব্যবহারের দায়ে ২৮ মার্চ র‍্যাব-৬ ওই কারখানায় অভিযান পরিচালনা করে। আমি এতটুকু জানি। এর বাইরে আমার কিছু জানা নেই। ওই ফ্যাক্টরির কারও সাথে কখনো মোবাইল ফোনে কিংবা সামনাসামনি আমার কথা হয়নি। আমি সেখানে যায়ও নি। হঠাৎ জানতে পারলাম আমাকে ১ নাম্বর আসামি করে পাঁচজনের নামে মামলা হয়েছে। নিঃসন্দেহে এটা হয়রানিমূলক। আমি মামলাটি প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। একই সাথে মিথ্যা মামলা করে হয়রানির অভিযোগে বাদীর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
    ঢাকা মেইলের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি গাজী ফারহাদ জানান, বিএসটিআই এর ভুয়া নিবন্ধন ব্যবহারের বিষয়ে আমি একটি প্রতিবেদন করি। ওই প্রতিবেদন প্রকাশের পর ওই সেমাই কারখানায় অভিযান পরিচালনা করে র‍্যাব। তাই ক্ষিপ্ত হয়ে কারখানার ম্যানেজার আমাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছে।
    এদিকে, পাঁচ সাংবাদিকের নামে মামলা দায়েরের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক কালের চিত্রের সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, প্রশাসন অভিযান চালিয়ে কারখানা সিলগালা করেছে। তারা বিএসটিআই এর ভুয়া নিবন্ধন ব্যবহার করছে এটা প্রমাণিত হওয়ায় জরিমানাও করা হয়েছে। আর মামলা হলো সাংবাদিকদের নামে। এটা হাস্যকর। অবিলম্বে মামলাটি প্রত্যাহার করার আহবান জানান তিনি।
    একইভাবে পাঁচ তরুণ সাংবাদিকের নামে মামলা দায়েরের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা সাংবাদিক কেন্দ্রের সমন্বয়কারী আহসান রাজীব। তিনি বলেন, এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা না হলে কঠোর আন্দোলন করা হবে।

  • অভিযোগকারীর নামে আইনি ব্যবস্থা নেবেন রিয়াজ

    অভিযোগকারীর নামে আইনি ব্যবস্থা নেবেন রিয়াজ

    ঢাকাই সিনেমার এক সময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক রিয়াজের নামে ‘প্রতারণা, বিশ্বাসঘাতকতা ও মানহানির’ অভিযোগ তুলেছেন হারুনুর রশিদ কাজল (জ্যাম্বস্ কাজল) নামের এক পরিচালক। শনিবার (১ এপ্রিল) দুপুরে এফডিসিতে এসে চলচ্চিত্র পরিচালক, শিল্পী ও প্রযোজক পরিবেশক তিনটি সমিতিতে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন তিনি।

    কাজলের অভিযোগ, একটি প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের জন্য রিয়াজকে অভিনেতা হিসেবে চুক্তিবদ্ধ করেছিলেন। কিন্তু পরে সেই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সখ্য তৈরি করে কাজলের নামে ‘মিথ্যা ও অপপ্রচার’ চালিয়ে কাজটি নিজের নিয়ন্ত্রণে নেন। এর ফলে পরিচালক কাজলের প্রতিষ্ঠান ‘অ্যাড প্লাস’র সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে রিয়াজের প্রতিষ্ঠান ‘পিংক ক্রিয়েশন লিমিটেড’র সঙ্গে নতুন চুক্তি করে আরসিএল। সেই চুক্তি মোতাবেক শুক্রবার (৩১ মার্চ) থেকে শুটিংও শুরু করেছেন রিয়াজ ও তার দল।

    এই অবস্থায় কাজলের দাবি, আমার রিজিক হরণকারী, ওয়াদা ভঙ্গকারী, সম্মান ধ্বংসকারী, বেঈমান, চিত্রনায়ক রিয়াজ কর্তৃক আমার ওয়ার্ক অর্ডারপ্রাপ্ত তিনটি বিজ্ঞাপনের নির্মাণ কাজ দ্রুত বন্ধ করার যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সমিতির কাছে বিনীত আবেদন করছি। সেই সঙ্গে জানাচ্ছি এমন কর্মকাণ্ড করার ও আমার মান সম্মান নষ্ট করার দায়ে রিয়াজের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

    অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে রিয়াজ বলেন, বিজ্ঞাপনের জন্য ওই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমার চুক্তি হয়েছিলো। সেই সুবাদে তিনি (কাজল) আমার বাসায় এসেছিলেন। পরে তার সঙ্গে কোম্পানির কী হয়েছে, তা আমি জানি না। তারা পরিচালক পরিবর্তন করেছেন, এর এখতিয়ার তাদের আছে কিনা, সেটা আমার জানার বিষয়ও না। আমি শুধু শিল্পী হিসেবে কাজ করছি। কিন্তু সম্প্রতি তিনি (কাজল) প্রেস কনফারেন্স করছেন, নানান রকম মন্তব্য করছেন, কেন করছেন তা আসলে আমার বোধগম্য না।

    রিয়াজ আরো বলেন, তিনি নানারকম মনগড়া কাহিনি বলছেন, কেন এমনটা করছেন, এর পেছনে কোনো চক্র আছে কিনা, এসব জানার জন্য আসলে আইনের আশ্রয় নেওয়া ছাড়া কোনো উপায় দেখছি না। আমি বাংলাদেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই সেদিকেই আগাচ্ছি।

  • শহীদ স্মৃতি ডিগ্রি কলেজকে ধ্বংসের হাত থেকেরক্ষার দাবিতে শিক্ষক-কর্মচারীদের সংবাদ সম্মেলন

    শহীদ স্মৃতি ডিগ্রি কলেজকে ধ্বংসের হাত থেকে
    রক্ষার দাবিতে শিক্ষক-কর্মচারীদের সংবাদ সম্মেলন


    নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার শহীদ স্মৃতি ডিগ্রি কলেজকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা এবং শিক্ষক-কর্মচারীদের মিথ্যা মামলাসহ অত্যাচার নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষায় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে শিক্ষক-কর্মচারীরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, শহীদ স্মৃতি ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের পক্ষে মো: শাহিদুজ্জামান। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমরা সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁশদহা ইউনিয়নে অবস্থিত শহীদ স্মৃতি কলেজের সকল শিক্ষক কর্মচারী। ১৯৯৪ সালে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম বাঁশদহে প্রতিষ্ঠিত হয় শহীদ স্মৃতি কলেজ। প্রতিষ্টার পর থেকে সুনাম আর সম্মানের সাথে পায়ে পায়ে এগুতে থাকে এ শিক্ষা নিকেতনটি। কিন্তু ২৮/০৬/২০১৫ থেকে বর্তমান কলেজ অধ্যক্ষ মোঃ ফজলুর রহমানের অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্তির থেকে ক্রমশ প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে। অধ্যক্ষের অনিয়ম-দুর্নীতির বিরোধীতা করায় শিক্ষক-কর্মচারীরা মিথ্যা মামলাসহ অত্যাচার নির্যাতনে দিশেহারা। অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদানের পর থেকে অদ্যাবধি কলেজের অভ্যন্তরীণ অডিটই হয়নি, যা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর মতো। কলেজ উন্নয়নে তার কোনও দৃষ্টি না থাকলেও বৈধ/অবৈধ ভাবে শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগে তার জুড়ি মেলা ভার। কলেজের চৌহদ্দি বাড়ানোর কথা বলে জমি ক্রয়ের নামে বার বার নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের নিকট থেকে প্রায় ০২ কোটি টাকা নিয়েও অদ্যাবধি তা পূরণ হয়নি। নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকরা তাদের সেই অনুদানের কথা লিখিত আকারে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন। সরকারের শিক্ষা বিভাগের কাছ থেকে বহুতল বিশিষ্ট বিল্ডিং নির্মাণের নামে শিক্ষকদের কাছ থেকে নগদ ৫ লক্ষ টাকা তিনি আত্মসাৎ করেছেন। কলেজে তাঁর অনিয়মিত যাতায়াতের কারণে প্রশাসনিক অবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। দিন দিন কলেজে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমছে, অন্যদিকে রেজুলেশন জালিয়াতি করে(একই রেজুলেশন চারবার পরিবর্তন) অবৈধভাবে শিক্ষক নিয়োগের মাধ্যমে শিক্ষকের সংখ্যা বাড়ছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঘোষিত অবৈধ অধ্যক্ষ হিসেবে চিহ্নিত হলেও স্বৈরতান্ত্রিক ভাবে সকল কাজ করে যাচ্ছেন। অর্থলোলুপ শিক্ষাদস্যু এই অধ্যক্ষ কতটা অর্থ পিশাচ-যার প্রমাণ দীর্ঘ ২০/২৫ বছর ধরে যাদের সাথে চাকরি করেছেন, যারা ২৫ বছর অধ্যাপনা জীবনে একটিবার প্রমোশন পেয়েছেন, এমন ১৪ জন প্রভাষকের কাছ থেকে ঘুষ নিতেও কুন্ঠিত হননি। অধ্যক্ষ ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কার্যক্রম শেষে তার নিয়োগ অবৈধ প্রমাণিত হওয়ায় বিগত ২১/০৩/২০১৭ তারিখে তাকে অবৈধ ঘোষণা করে পত্র জারি হয় এবং অবৈধভাবে উত্তোলিত সমস্ত টাকা ফেরৎ প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে গভনির্ং বডির সভাপতি অধ্যক্ষের আপন ভগ্নিপতি হওয়ায় সেই আদেশ বাস্তবায়িত করেননি বরং তিনি (অধ্যক্ষ) গায়ের জোরে, অবৈধভাবে কলেজের সকল কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছেন। এসব অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে আমরা বিভিন্ন সময়ে কলেজের সাবেক গভর্নিং বডির সভাপতি তার আপন ভগ্নিপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলতাফ হোসেন (মোবাইল নম্বর-০১৭১৬-৫৮২৪৯০) এর কাছে আবেদন করি কিন্তু তিনি বিষয়টি আমলে নেননি। পরবর্তীতে বর্তমান সভাপতি গোলাম মোরশেদ (মোবাইল নম্বর-০১৭১৫-১২২৯৯৬) এর স্মরণাপন্ন হই, তিনি পদ্মাসেতু উদ্বোধনের পরে এমপি মহোদয়ের সাথে আলোচনাক্রমে সিদ্ধান্ত নিবেন বললেও অদ্যাবধি কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। তাঁর এই অপকর্মকে ধামাচাপা দিতে তিনি অত্যন্ত সুচতুর ভাবে তাঁর দুজন সহকর্মীকে মামলা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন। কারণ সেই দুইজন তার অপকর্মের বিরুদ্ধে সর্বদা স্বোচ্চার। তার বিপক্ষে অবস্থানকারীকে এক এক করে ‘‘দেখে নেবেন’’ বলে হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে আসছেন। ওই শিক্ষাদস্যুর হাত থেকে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষক-কর্মচারীদের রক্ষার দাবিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা। এসময় অত্র কলেজেন শিক্ষক ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

  • সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে মুক্তি দিন: আশেক-ই-এলাহী

    সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে মুক্তি দিন: আশেক-ই-এলাহী

    ‘আমরা আইন ও আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমরা আদালতের মাধ্যমেই ন্যায়বিচার পাওয়ার ব্যাপারে আস্থা রাখি।’ মঙ্গলবার সাংবাদিক নির্যাতন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে দৈনিক দক্ষিণের মশাল সম্পাদক আশেক-ই-এলাহী বলেন, সাংবাদিকতা মানে সন্ত্রাস নয়। কোন সাংবাদিক অস্ত্র নিয়ে তথ্য সংগ্রহে যায় না। আমরা যারা সাংবাদিকতা করি আইন-কানুন রাষ্ট্রিয় নীতিমালা সম্পর্কে কিছু না কিছু জানি। অধিকাংশ সময় ক্ষমতাশীল দূর্ণীতিবাজ আমলা আমাদের উপর আইনের খর্গ চাপিয়ে দেন। সাংবাদিক রোজিনা ইসলামর তারই উদাহরণ।

    আশেক-ই-এলাহী


    আশেক-ই-এলাহী আরও বলেন, ‘কিন্তু, আইনের বাইরে একজন নাগরিক হিসেবে, সাংবাদিক হিসেবে, একজন লেখক হিসেবে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারক হিসেবে আমি বলতে চাই, স্বাধীন সাংবাদিকতার পক্ষে দেশের সব সাংবাদিককে এক হতে হবে। আমাদের এখন একটাই দাবী, চাই স্বাধীনতা ও নিরাপত্ত’।
    তিনি বলেন, ‘আমরা সরকারের ক্ষমতার অংশিদার নই, সুবিধা ভোগী নই। আমরা সরকার ও প্রশাসনের সহযোগী। আমরা দুর্নীতির খবর তুলে না ধরলে সরকার কীভাবে জানবে দেশে দুর্নীতি হচ্ছে। কাজেই আমরা সরকারের উপকার করার চেষ্টা করছি এবং রোজিনা ইসলাম তাঁর পেশাগত দায়িত্বপালন করে যাচ্ছিলেন।’
    আশেক-ই-এলাহী আরও বলেন, ‘সরকারের উচ্চ মহলকে বলব, আমাদের একটা মন্ত্রনালয় আছে (তথ্য মন্ত্রনারয়) আমাদের কাজের ফাঁকে ভুর-ভ্রান্তি হতেও পারে। তার জন্য এভাবে শারিরিক, মানোষিক, সামাজিক ভাবে হেনেস্তা না করে মন্ত্রনালয় কর্তৃক বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের মাধ্যমে কারণ দর্শষানো পূর্বক বিভাগীয় শাস্তির বিধান করতে পারেণ।
    আশেক-ই-এলাহী বলেন, ‘আমি সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে সাংবাদিকতা করতে এসেছি। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, স্বচ্ছতা, তথ্যের অবাধ প্রবাহ পাওয়া প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার। সেই অধিকার কায়েম করতে গিয়ে সাংবাদিকেরা যদি নির্যাতনের শিকার হন, তবে তা সাংবাদিকতার জন্য ভালো না, দেশের জন্য ভালো না, সুশাসনের জন্য ভালো না, এটা প্রশাসনের জন্য ভালো না, এটা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষেও না।’
    পরিশেষে বুকভরা আশা নিয়ে বলবো, নারী ও স্বাধীন সাংবাদিকতার স্বর্থে অবিলম্বেসাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে মুক্তি দিন।

  • ভয়ংকর প্রতারক বাদশা মিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে জানাতে পুলিশ সুপারের আহবান

    ভয়ংকর প্রতারক বাদশা মিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে জানাতে পুলিশ সুপারের আহবান

    • জহুরুল কবীর:

    ভয়ংকর প্রতারক বাদশা মিয়া ওরফে ডাঃ এস এম বাদশা মিয়া পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতার প্রসংঙ্গে। ইং-০১/০৫/২০২১ তারিখ সাতক্ষীরা জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম (বার) মহোদয়ের দিক নির্দেশনায় সাতক্ষীরা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) জনাব মোঃ সজীব খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জনাব মোঃ শামসুল হক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) জনাব মোঃ ইকবাল হোসেন, মহোদয় নেতৃত্বে জেলা গোয়েন্দা শাখা এবং সাতক্ষীরা থানার অফিসার ও ফোর্সেদের সমন্বয়ে একটি চৌকস টিম সাতক্ষীরা থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন।

    অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার সুপার প্রতারক বাদশা মিঞা

    সাতক্ষীরা থানাধীন কামালনগর বাইপাসের জনৈক শফির মুদি দোকানের সামনে থেকে অদ্য ০১/০৫/২০২১খ্রিঃ তারিখ ভোর ০৫.৩০ ঘটিকায় ভয়ংকর প্রতারক বাদশা মিয়া@ ডাঃ এস এম বাদশা মিয়াকে একটি পিস্তল সদৃশ ওয়ান শুটার গান, ২ রাউন্ড তাজা গুলি সহ গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃত আসামীর দেওয়া তথ্য মতে তারদ তথ্য মতে

    ১। তিনটি সিল যথাক্রমে (ক) শেখ ফজলুর করিম সেলিম( এমপি), ২১৬, গোপালগঞ্জ-২ সভাপতি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সিল (খ) ডাঃ এস এম বাদশা মিয়া প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগার কেন্দ্রীয় কমিটি এর সিল। (গ) ডাঃ মোস্তফা জামান সাধারন সম্পাদক বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগার কেন্দ্রীয় কমিটি এর সিল,

    আটক বাদশার কোমরে শাটানে শুটার গান

    ২। শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল সংসদ সদস্য-১০০ খুলনা-২, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ এর অফিসিয়ার প্যাডে পুলিশ প্রধানকে (আইজিপি) লেখা ডিও লেটার-১ টি,

    ৩। প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব লেখা অফিসিয়াল নোট প্যাড-১টি,

    প্রতারক বাদশার নিকট হতে উদ্ধারকৃত অস্ত্র, মোবাইল, নগদ টাকাসহ বিভিন্ন সামগ্রী

    ৪। মানবাধিকার পত্রিকার স্ট্রিকার-১ টি, ৫। ভুয়া ওয়ারেন্ট-২৫ টি,

    জাল পরোয়ানা ফর্ম

    ৬। মসজিদের চাঁদা আদায়ের রশিদ বই-২০টি (প্রতিটি ১০০ পাতা),

    উদ্ধাকৃত দুই রাউন্ড গুলিসহ শুটারগান

    ৭। আদায়কৃত চাঁদার টাকা নগদ ৬৮,০০০/- টাকা সহ , অন্যান্য আলামত উদ্ধার করেন।

    উদ্ধাকৃত দুই রাউন্ড মোবাইল

    উক্ত ঘটনায় গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলা সহ একাধিক নিয়মিত মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীর নাম ঠিকানাঃবাদশা মিয়া@ ডাঃ এস এম বাদশা মিয়া (৩৭), পিতা- ডাঃ নুর ইসলাম, গ্রাম-পলাশপোল (মধুমোল্লার ডাঙ্গী), থানা- সাতক্ষীরা সদর, জেলা- সাতক্ষীরা।

    উক্ত ভয়ংকর প্রতারক আসামীর গ্রেফতার সম্পর্কে অদ্য ০১ মে বিকাল ৩ ঘটিাকায় ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া ও সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে প্রেস ব্রিফিং করেন সাতক্ষীরা জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম(বার) মহোদয়।

    সাতক্ষীরা জেলা বা জেলার বাহিরের যে সকল ব্যক্তিগণ প্রতারক বাদশা মিয়া কর্তৃক প্রতারিত/ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের নিকট হতে অভিযোগ/ সুনির্দিষ্ট তথ্য উপাত্ত আহব্বান করা হচ্ছে। সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সে সকল তথ্য উপাত্ত যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

  • কলারোয়ার চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী, ঘুষের অর্থ নিয়ে হয়েছেন কোটিপতি

    কলারোয়ার চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী, ঘুষের অর্থ নিয়ে হয়েছেন কোটিপতি

    নিজস্ব প্রতিনিধি: কলারোয়ায় ০১ চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারীর বিত্ত বৈভব আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ,অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম রফিকুল ইসলাম। তিনি কলারোয়া উপজেলা পরিষদের ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারী। বিগত কয়েকে বছর চাকুরী জীবনে তিনি উপজেলার এক কর্মকর্তার টাকা পয়সা ও ঘুষ লেনদেন করে বনে গেছেন কোটিপতি। পরিবার ও নিজের নামে গড়েছেন সহায় সম্পত্তি ও ব্যাংক ব্যালেন্স। তার ঘুষ লেনদেন উপজেলাতে এখন প্রকাশ্য হয়ে দাড়িয়েছে ২০২০ সালের এপ্রিল মাসের ১৯ তারিখে রফিকুল ইসলাম কে ঘুষ লেনদেনের সময় হাতেনাতে ধরে ফেলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কাজী শাহাজাদাঅ। সে সময় ঘুষ লেনদেনের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে ভাইরাল হয়ে যওয়া ছাড়াও দেশের বিভিন্ন গনমধ্যমে ফলাও করে সংবাদ টি প্রকাশিত হয়, হাতেনাতে ঘুষ লেনদেনের প্রমান থাকার পরেও অদৃশ্য ভাবে(সেই কর্মকর্তার দাপটে তিনি পার পেয়ে যান)তাকে কোথাও বদলি কিম্বা শাস্তি মূলক কোনও ব্যবস্থা গ্রহন করেনি জেলা ও উপজেলা প্রশাসন। বর্তমানে তিনি স্বীয়পদে বহাল থেকে স্বদর্পে ঘুষ লেনদেন করে যাচ্ছেন। উপজেলার বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারী ও উপজেলার সাধারন বাসিন্দাগন অনতিবিলম্বে ঘুষখোর রফিকুল ইসলামের নামে-বেনামে থাকা সহায় সম্পত্তি ও ব্যাংক ব্যালেন্সের অনুসন্ধান দাবী করেছেন পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন।

  • কলারোয়ায় ফেনসিডিলসহ দুইজন  আটক

    কলারোয়ায় ফেনসিডিলসহ দুইজন আটক


    কলারোয়া প্রতিনিধি: কলারোয়ায় ফেনসিডিলসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক হয়েছে। কলারোয়ায় মাদক বিরোধী অভিযানে পুলিশ ৯২ বোতল ফেনসিডিল সহ ওই দুইজনকে পৃথক স্থান থেকে আটক হয়। থানা সূত্রে জানায়, মঙ্গলবার ভোররাতে অভিযান চালিয়ে কলারোয়া পুলিশ উপজেলার হিজলদীর ফকির পাড়া গ্রামের মৃত রবিউল ইসলাম মন্ডলের ছেলে কাউসার আলী মন্ডল (৩৮) কে আটক করে। এসময় তার কাছ থেকে ৭৩ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। অপর এক অভিযানে কলারোয়া থানার এসআই মাসুদ রানা সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার চন্দনপুর গ্রামের মমিন সানার ছেলে আয়জুল সানা (২৮) কে তার বাড়ী থেকে আটক করে। এসময় সে নিজ হাতে তার বাড়ীর মধ্যে থেকে ১৯ পিস ফেনসিডিল বের করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এঘটনায় কলারোয়া থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। আসামীদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

  • ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা শাকিলসহ ১২ জনের নামে অর্থ আতœসাতের মামলা দুদকের

    ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা শাকিলসহ ১২ জনের নামে অর্থ আতœসাতের মামলা দুদকের

    সংবাদদাতা: ১০ বছরে সাতক্ষীরা জেলার ছয়টি খেয়াঘাট ইজারার ১৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আশাশুনি উপাজেলার শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা শাকিল ও জেলা পরিষদের দু’কর্মকর্তাসহ ১২জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার দূর্ণীতি দমন কমিশনের উপপরিচালক নাজমুল হাসান বাদি হয়ে খুলনা দুদক কার্যালয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
    মামলার আসামীরা হলেন, আশাশুনি উপজেলার বুড়োখারাটি গ্রামের মৃত আবু বক্কর ছিদ্দিকের ছেলে শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা শাকিল, একই উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নের কলিমাখালি গ্রামের নূর ইসলামের ছেলে সাতক্ষীরা জজ কোর্টের অ্যাড. নুরুল আমিন, একই উপজেলার প্রতাপনগর গ্রামের দলিল গাজীর ছেলে হারুণ অর রশিদ, গাজীপুর গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে মোঃ সরোয়ার হোসেন, কালিগঞ্জ উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের সাদুলল্লাহ কারিকরের ছেলে আব্দুল মজিদ কারিকর, কোমরপুর গ্রামের ওসমান গাজীর ছেলে মোঃ মোক্তার হোসেন, শ্যামনগর উপজেলার আটুলিয়া গ্রামের আব্দুল বারির ছেলে মোঃ শাহীন হোসেন, একই উপজেলার গোদাড়া গ্রামের মোহাম্মদ আলী গাজীর ছেলে আইয়ুব হোসেন, শহরের মুনজিতপুরের আরশাদ আলীর ছেলে মোঃ ইকবাল হোসেন, শহরের সুলতানপুরের শেখ সাইফুদ্দিন আহমেদ এর ছেলে শেখ আহছান হাবিব অয়ন, সাতক্ষীরা সদরের মাটিয়াডাঙা গ্রামের আরিফ সরদারের ছেলে ও জেলা পরিষদের প্রধান সহকারি মোঃ খলিলুর রহমান ও শ্যামনগর উপজেলার মীরগাঙ গ্রামের আতিয়ার রহমান সরদারের ছেলে ও জেলা পরিষদের নিম্নমান সহকারি এসএম নাজমুল হোসেন।
    মামলার বিবরণে জানা যায়, বাংলা ১৪১৫ সাল থেকে ১৪২৪ সাল বা ইংরেজি ২০০৮ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত সাতক্ষীরার চেউটিয়া, কালিগঞ্জ বাজার, ঝাঁপালি-মাদারবাড়িয়া, কালিকাপুর নাসিমাবাদ, ঘোলা- হিজলা- কল্যাণপুর এবং হাজরাখালি বিছট খেয়াঘাটসহ ২১টি খেয়াঘাটে এক কোটি ৯৬ লাখ ৪৬ হাজার ৪৫৮ টাকার ইজারা দেওয়া হয়। এরমধ্যে ইজারাদাররা এক কোটি ৮১ লাখ ৭১ হাজার ৬৩৮ টাকা জেলা পরিষদের কোষাগারে জমা দেন। বকেয়া থাকে ১৩ লাখ ৭৪ হাজার ৮২০ টাকা।
    বাংলা ১৪২২ সালে কালিগঞ্জ বাজার খেয়াঘাটের ইজারাদার মোক্তার হোসেন ৩৭ হাজার ৯০০ টাকা, ১৪১৯ সালে ঝাঁপালি- মাদারবাড়িয়া খেয়াঘাটে ইজারাদার আইয়ুব হোসেন ৩৯ হাজার ৬৯২ টাকা, একই খেয়াঘাট ১৪২১ সালে ইজারাদার ইকবাল হোসেন ২৫ হাজার, ১৪২২ সালে ইজারাদার হারুন অর রশিদ ৫ হাজার ৪০০ টাকা ও ১৪২৩ সালে ইজারাদার মোঃ শাহীন ৩৮ হাজার টাকা পরিশোধ করেননি। এ ছাড়া ১৪২২ সালে কালিকাপুর – নাসিমাবাদ খেয়াঘাটের ইজারাদার আব্দুল মজিদ কারিকর ২৭ হাজার ১০০ টাকা, ১৪১৯ সালে হাজরাখালি- বিছট খেয়াঘাটের ইজারাদার শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা শাকিল ৫ লাখ ৬০ হাজার ৫২৮ টাকা, চেউটিয়া খেয়াঘাটে ১৪২৩ সালে ইজারাদার সরোয়ার হোসেন ৪৯ হাজার ৫০০ টাকা, ১৪২৪ সালে শেখ এহসান হাবিব অয়ন ৬৭ হাজার, ঘোলা- হিজলা- কল্যাণপুর খেয়াঘাটে ১৪১৫ সালে ইজারাদার অ্যাড. নুরুল আমিন ২৫ হাজার ১০০ টাকা, একই খেয়াঘাট ১৪১৯ সালে ইজারাদার শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা শাকিল ৪ লাখ ৯৯ হাজার ৬০০ টাকা জেলা পরিষদের কোষাগারে জমা করেননি। এ ক্ষেত্রে শুধু আবু হেনা শাকিলই ১০ লাখ ৬০ হাজার ১২৮ টাকা ইজারার টাকা জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। টাকা পরিশোধের জন্য জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী ওইসব ইজারাদারদের নোটিশ করলেও তারা সাড়া পাননি।
    পরবর্তীতে তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় গত বছরের ১৩ আগষ্ট ১০জন ইজারার টাকা আত্মসাৎকারি ও ইজারার টাকা আদায়ের দায়িত্বে থেকেও গাফিলতি করা জেলা পরিষদের প্রধান সহকারি মোঃ খলিলুর রহমান ও নিম্নমান সহকারি এসএম নাজমুল হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করার সুপারিশ করে দু’দকের খুলনা বিভাগীয় সমন্বিত কার্যালয় ও ঢাকার সেগুনবাগিচার প্রধান কার্যালয়ে চিঠি দেওয়া হয়। চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে উপরোক্ত দোষীদের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য খুলনা বিভাগীয় সমন্বিত কার্যালয়ে নির্দেশ পাঠানো হয়। সে অনুযায়ি খুলনা অফিস ২১ জানুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য অনুমোদন দিলে ২৭ জানুয়ারি দুদকের খুলনা অফিসের উপপরিচালক নাজমুল হাসান বাদি হয়ে দ-বিধির ৪০৯/১০৯ এবং ১৯৪৭ সালের দূর্ণীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় তাদের কার্যালয়ে এ মামলা(২) দায়ের করেন। মামলার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে সহকারি পরিচালক তরুণ কান্তি ঘোষ। সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এ মামলার নথি পাঠানো হলে বিশেষ মামলা (০১/২১) হিসেবে বিচার কার্যক্রম শুরু হয়ে আগামি ২৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য তদন্তকারি কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন শেখ মফিজুল ইসলাম।
    সাতক্ষীরা জজ কোর্টে রাষ্ট্রপক্ষে দুদকের মামলা পরিচালনাকারি অ্যাড. আসাদুজ্জামান দিলু মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
    প্রসঙ্গত, ঘোলা- হিজলা- কল্যাণপুর খেয়াঘাট ও হাজরাখালি- বিছট খেয়াঘাটের শ্রেণী পরিবর্তণ করার বিরুদ্ধে জেলা পরিষদের তৎকালিন প্রশাসনিক কর্মকর্তা এসএম মাহাবুবর রহমান নোটিশ করলে ২০১২ সালের ২ জানুয়ারি আবু হেনা শাকিল হাইকোর্টে ২৫/২০১২ নং রিট পিটিশন দাখিল করেন। বাংলা ১৪২০-১৪২১ সালে ঘোলা- হিজলা- কল্যাণপুর খেয়াঘাট ইজারাদার আবু হেনা শাকিল ইজারার চার লাখ ২০ হাজার ৪৮০ টাকা পরিশোধ না করায় ২০১৬ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি তৎকালিন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী শেখ মোঃ মনিরুজ্জামান আশাশুনি উপজেলা নির্বাচন অফিসারকে এক চিঠি দেন। চিঠিতে আবু হেনা শাকিল যাহাতে ইজারার টাকা পরিশোধ না করে ওই বছরের ২২ মার্চ ইউপি নির্বাচন না করতে পারেন সেজন্য ব্যবস্থা নিতে বলেন। যদিও তৎকালিন উপজেলা নির্বাচন অফিসার কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় ইজারার টাকা পরিশোধ না করেও শ্রীউলা ইউনিয়নে নির্বাচন করেন প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা আবু হেনা শাকিল।
    সাতক্ষীরার ২১টি খেয়াঘাটে ইজারার টাকা আত্মসাতসহ জেলা পরিষদের বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে ২০১৮ সালের ১৩ মে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাড. সত্যরঞ্জন ম-ল স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেন। ওই বছরের জেলা পরিষদে এ নিয়ে প্রাথমিক তদন্ত করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের খুলনা বিভাগীয় পরিচালক (যুগ্ম সচিব) হোসেন আলী খন্দকার। সেখানে তথ্য অধিকার আইনের মাধ্যমে পাওয়া তৎকালিন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী এএনএম মঈনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত কাগজপত্র দেখিয়ে স্বাক্ষ্য দেন অ্যাড. সত্যরঞ্জন ম-ল ও মানবাধিকার কর্মী রঘুনাথ খাঁ। পরে ওই কর্মকর্তা তদন্তের দায়িত্ব পালনে অনীহা প্রকাশ করলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় খুলনা বিভাগীয় কমিশনারকে তদন্তের দায়িত্ব দেন। বিভাগীয় কমিশনার আনোয়ার হোসেন হাওলাদার তদন্তে অপরাগতা প্রকাশ করে মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেন।
    এরপর শুধুমাত্র খেয়াঘাটের ইজারার টাকা দূর্ণীতির মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগ করে অ্যাড. সত্যরঞ্জন ম-ল ২০১৮ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে ১২২৬২/১৮ নং রিট পিটিশন দাখিল করেন। ওই বছরের ১৫ অক্টোবর হাইকোর্টের বিচারপতি মোঃ নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এক মাসের মধ্যে সত্যরঞ্জন ম-লের আবেদন নিষ্পত্তি করার জন্য ৮নং বিবাদী দুদক চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেন।

  • মাছখোলায় নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার আগেই ধ্বসে পড়লো রাস্তা!

    মাছখোলায় নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার আগেই ধ্বসে পড়লো রাস্তা!

    সংবাদদাতা: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মাছখোলায় নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার আগেই ধ্বসে পড়েছে রাস্তা। গেল বছরের জুন মাসে মাছখোলা ক্লাব মোড় থেকে মাছখোলা বাজার পর্যন্ত রাস্তাটির নির্মাণ কাজ শুরু হলেও এখনো শেষ হয়নি তবে ইতিমধ্যেই ধ্বসে পড়েছে রাস্তটির কিছু অংশ।

    স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ভোগান্তির পর গেল বছরের মাঝামাঝি সময়ে রাস্তাটির পুণঃনির্মাণ কাজ শুরু হলেও এখনো শেষ হয়নি। তবে ঠিকাদারের অবহেলায় এরই মধ্যে মাছখোলার দাউদের পুকুর সংলগ্ন এলাকায় রাস্তাটির বৃহৎ একটি অংশ ধ্বসে পড়েছে। এখনি যদি রাস্তটির সংস্কার করা না হয় তবে সামনে আরও ভয়াভহ ভাঙ্গন দেখা দিতে পারে।

    স্থানীয়রা অভিযোগ করে আরো বলেন, রাস্তার ধার থেকে মাটি কেটে রাস্তার পাড় বাধার কারণে এতদ্রুত রাস্তা ধ্বসে পড়ছে।

    তারা আরো বলেন, এখনো রাস্তার নির্মাণকাজ শেষ না হলেও এরই মধ্যে রাস্তাটি দিয়ে দিনে অসংখ্যবার ট্রলি, ডাম্পার এবং ট্রাক ইটভাটার পরিবহন কাজে এ রাস্তাটি ব্যবহার করে ফলে দিনে-দিনে রাস্তাটি আরো ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়ছে।

    স্থানীয়রা দ্রুত রাস্তাটির নির্মাণকাজ শেষ ও ধ্বসে পড়া অংশের সংস্কার দাবি করেছেন।

  • সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডায়ালাইসিস বিভাগের যন্ত্রপাতির টেন্ডার পাশ হলেও হয়নি ওয়ার্ক অর্ডার

    সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডায়ালাইসিস বিভাগের যন্ত্রপাতির টেন্ডার পাশ হলেও হয়নি ওয়ার্ক অর্ডার


    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কিডনি রোগীদের যন্ত্রপাতির টেন্ডার পাশ হলেও হয়নি ওয়ার্ক অর্ডার। যার ফলে প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ জন রোগীর পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ, গুনতে হচ্ছে হাজার হাজার টাকা, দ্রুত ওয়ার্ক অডারের দাবী ভুক্তভোগীদের। সরেজমিনে গিয়ে রোগীদের সাথে কথা বললে তারা জানান, ‘সাতক্ষীরা মেডিকেলে এসেছিলাম অনেক আশা নিয়ে কিন্তু এখানে রোগীদের ডায়ালাইসিসের প্রয়োজনীয় সামগ্রী না থাকার কারনে প্রতিদিন তাদেরকে ছুটতে হচ্ছে সাতক্ষীরার বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে, গুনতে হচ্ছে মোটা অংকের টাকা’, অনেকে আবার অর্থের অভাবে চিকিৎসা সেবা থেকে হচ্ছে বঞ্চিত হচ্ছে, ঠিক সেই সময় কান্না ভরা কন্ঠে কেশবপুরের কোহিনুর বেগম জানান, তিনি প্রায় দেড় বছর যাবৎ তার স্বামীকে নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেলে আছেন , স্বামীর চিকিৎসা করাতে গিয়ে তারা নিঃস্ব প্রায়, এখন অর্থের অভাবে তার স্বামীকে চিকিৎসা করাতে পারছে না , আজ ও তাকে ডায়ালাইজার, ব্লাডলাইন, নিডিল, সিরিঞ্জ বাবদ ২ হাজার টাকার প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী ক্রয় করতে হয়েছে ।

    অপর একটি সুত্র জানায়, টেন্ডার হওযার পরও কন্টাক্টরের সাথে কমিশন নিয়ে দরকশাকশির কারণে মাল ক্রয়ে বিলম্ব হচ্ছে।

    এ বিষয়ে হিসাব রক্ষক মোত্তাজুল জানান, গত ৩০ নভেম্বর ডায়ালাইসিস বিভাগের বিভিন্ন যন্ত্রপাতির টেন্ডার পাশ হয়েছে, কিন্তু টেন্ডার পাশ হলেই কার্যক্রম শুরু করা যায় না, টেন্ডার পাশ, মুল্যায়ন ও ওপেনিং করার জন্য কিছু প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করতে হয়, সে সকল কার্যক্রম শেষে ডায়ালাইসিস বিভাগের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ক্রয়ের জন্য খুব শীঘ্রই মেডিকেল তত্ত্বাবধায়ক ও অতিরিক্ত পরিচালকের নেতৃত্বে মেডিকেল অফিসারদের নিয়ে একটি বোর্ড মিটিং হবে, তারপর কন্টাক্টরের এর কাছে হস্তান্তর করা হবে। অপর একটি সুত্র জানায়, টেন্ডার হওযার পরও কন্টাক্টরের সাথে কমিশন নিয়ে দরকশাকশির কারণে মাল ক্রয়ে বিলম্ব হচ্ছে। এ বিষয়ে মেডিকেল তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ রফিকুল ইসলাম জানান, আমাদের কিছু প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ শেষে অতিশীঘ্রই কিডনি ডায়ালাইসিস বিভাগের টেন্ডারকৃত সকল যন্ত্রপাতির ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া হবে।

  • আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবসের আলোচনা সভা

    আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস উপলক্ষে সাতক্ষীরা জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি আয়োজনে  আলোচনা করা হয়েছে। 

    ৯ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস উদযাপনে জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ বেলা ১০টায় শহরের তুফান কোম্পানির কার্যালয়ে এবং কমিটির অস্থায়ী কার্যালয়ে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

    কমিটির সভাপতি জিয়াউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে উক্ত উপস্থিত ছিলেন কমিটির সহ’সভাপতি অধ্যাপক মুর্শিদা আক্তার ও ডা. আবুল কালাম বাবলা, নির্বাহি সদস্য- ক্যাপ্টেন মো. এছাহক আলী, মো. আব্দুর রব ওয়ার্ছি, সাকিবুর রহমান বাবলা, বেগম মরিয়ম মান্নান, রেবেকা সুলতানা ও শেখ মোসফিকুর রহমান মিলটন, ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগণ। 

    করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে জনসমাগমের সীমাবদ্ধ থাকায় সংক্ষিপ্ত পরিসরে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। কমিটি ইতিপূর্বে জেলা, সকল উপজেলা ও সদরের সকল ইউনিয়ন পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও স্থানে দুর্নীতি বিরোধী কয়েক ধরনের পোস্টিং করেছে।

    সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোজাম্মেল হোসেন।

  • মথুরাপুর ও লাবসায় অবৈধভাবে জমি দখলের প্রতিবাদে মানববন্ধন

    মথুরাপুর ও লাবসায় অবৈধভাবে জমি দখলের প্রতিবাদে মানববন্ধন

    নিজস্ব প্রতিবেদক: অবৈধভাবে জমি দখলের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল ১১টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
    দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া উপেক্ষা করে মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, “টুটুল, আবু বাক্কার ও আবু সাইদ বাহিনী অবৈধ ভাবে মথুরাপুর ও লাবসায় জমি দখল করে হজম করার পায়তারা করছে। কোর্টের নির্দেশে ভূমি অফিসার তদন্ত সম্পন্ন করে ফিরে গেলে টুটুল, আবু বক্কার ও আবু সাইদসহ তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী দেশিয় অস্ত্রসহ আমাদের উপর হামলা করে। তাদের হামলায় আহত হয় আবু রায়হান ও আলমগীর হোসেন সহ চারজন। তারা আমাদের পৈত্রিক ভিটা পরিকল্পিত ভাবে দখল করার পায়তারা করছে। তারা একের পর এক মামলা দিয়ে আমাদের হয়রানি করছে। টুটুল, বক্কার ও সাইদদের অত্যাচারে দেবনগরের ২০টি পরিবার আজ ভিটা ছাড়া হয়েছে। আমরা সবাই তাদের দেওয়া মিথ্যা মামলার ঘানি টানছি। আমরা দেবনগর বাসীরা এ বিষয়ে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। সেই সাথে সাথে এই বাহিনীর হাত থেকে মুক্তি চাই।”

  • কৈখালী ফরেষ্ট কর্মকর্তার অবহেলায় ধ্বংস হচ্ছেপশ্চিম সুন্দরবন

    কৈখালী ফরেষ্ট কর্মকর্তার অবহেলায় ধ্বংস হচ্ছেপশ্চিম সুন্দরবন

    নিজস্ব প্রতিবেদক, শ্যামনগর: কৈখালী ফরেষ্ট কর্মকর্তার অবহেলায় ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে পশ্চিম সুন্দরবন। প্রকাশ্যে দেখাগেছে যে, মিরগাং, কালিঞ্চী ও কৈখালীর কিছু কু-চক্রী মহল প্রকাশ্য দিবালকে সুন্দরবন থেকে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে উজাড় করে দিচ্ছে। ফলে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে সুন্দরবন।
    একটি বিশেষ সূত্রে জানাগেছে, সাতক্ষীরা রেঞ্জের পশ্চিম সন্দরবনের কৈখালী ফরেষ্ট কর্মকর্তা মোবারক হোসেন গোপন উৎকোচ গ্রহণ করে এই সব চোরাচালানীদের সুন্দরবনের বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কাটার সুযোগ করে দিচ্ছে। যদিও গত ২০১৪ সালের পর সুন্দরবনের চোরাচালানী বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু নতুন কওে তা আবারও শুরু হয়েছে। গরান, গেওয়া, সুন্দরী, পশুর মিরগাং বিভিন্ন প্রজাতিরগাছ টহলফাঁড়ীর পাশ দিয়ে যতিন্দ্রনগর গ্রামের উপর দিয়ে শ্যামনগর চলে যায়।
    তবে চোরাচালানীদের দু’একজনের সাথে কথা বলে জানাগেছে যে, বাড়ীতে কিছু জ¦ালানির প্রয়োজনে তারা ফরেষ্ট কর্মকর্তা মোবারক হোসেনকে বলে সুন্দরবনে যায়।
    গত কয়েকটা প্রাকৃতিক দূর্যোগের ফলে সুন্দরবনে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে, এর পরও যদি এভাবে চোরাচালানীরা সুন্দরবনের গাছ কেটে উজাড় করতে থাকে তবে ধ্বংস হয়ে যাবে সুন্দরবন- এমন মন্তব্য সচেতন মহলের।
    এ ব্যাপাওে মিরগাং টহলফাঁড়ীর অফিসার ইনচার্জ মহাসিন হোসেন বলেন, আমার জানামতে এমন ধরনের কোন কাজ চলছে না। তবে আমাদের অফিস ষ্টাফ কম হওয়ায় হয়তো এ ধরনের ঘটনা আমাদের জানার বাইরে ঘটতে পারে।
    কৈখালী ফরেষ্ট কর্মকর্তা মোবারক হোসেনের সাথে ০১৭৮৮০৮০৮৭৯ নম্বরে যোগাযোগ করতে গেলে ফোনটি বন্ধ থাকার কারনে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।